Tag: মাধ্যম বাংলা

  • NIA: হামলায় পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট, পহেলগাঁওয়ের তদন্তভার নিল এনআই, ২০ এপ্রিলের আগে রেইকি করে জঙ্গিরা

    NIA: হামলায় পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট, পহেলগাঁওয়ের তদন্তভার নিল এনআই, ২০ এপ্রিলের আগে রেইকি করে জঙ্গিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Aerror Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করা হয়। পাকিস্তানের মদতে সংঘটিত হওয়া এই হত্যাকাণ্ডে লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ এই হত্যা লীলা চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এবার পেহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্তভার নিল এনআইএ (NIA)। রবিবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। নিজেদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্র উন্মোচনের জন্য পুরো এলাকা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তাঁরা। অন্যদিকে, এই ঘটনায় পাকিস্তান যোগের প্রমাণও মিলেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। ২০ এপ্রিলের আগেই জঙ্গিরা হামলার স্থান রেকি করে যায়।

    জঙ্গিদের প্রবেশ ও প্রস্থান পথকে পর্যবেক্ষণ করছে এনআইএ (NIA)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কাছ থেকে এই মামলার যাবতীয় দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে এনআইএ। এনআইএ-র (NIA) ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় সাখারের নেতৃত্বে একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং একজন পুলিশ সুপারিটেনডেন্টের সমন্বয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এরপরেই এনআইয়ের দল পেহেলগাঁওয়ে অবস্থিত বৈসরনে যেখানে হামলা চালানো হয় সেখানে তদন্তে নামে। এনআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। যাঁরা নিজেদের চোখের সামনে এই হত্যালীলা সংঘটিত হতে দেখেছিলেন। সন্ত্রাসবাদীদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার জন্য তদন্তকারী দলগুলি বৈসারনে জঙ্গিদের প্রবেশ ও প্রস্থান পথকেও পর্যবেক্ষণ করছে। একইসঙ্গে ফরেনসিক এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞ দল সেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করছে, যাতে সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রকে উন্মোচন করা যায়।

    ২০ এপ্রিলের আগেই পহেলগাঁওয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে জঙ্গিরা

    এনআইএ-র (NIA) তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য রাজ্যে যে সমস্ত পর্যটক পহেলগাঁও হামলার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বর্তমানে জেলে থাকা লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদ এবং অন্যান্য মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। আতস কাচের তলায় রয়েছে অসংখ্য সহযোগী, তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলায় জড়িতদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। এই কাজে একসঙ্গে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এনআইএ-র তরফ থেকে তদন্তে উঠে এসেছে যে ২০ এপ্রিলের আগেই পেহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Aerror Attack) বৈসরনে এবং আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপরে নজরদারি চালিয়েছিল ওই জঙ্গিরা।

    পাকিস্তান যোগের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে

    ইতিমধ্যে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মুজাফফরবাদ এবং করাচির কিছু জায়গায় যোগ রয়েছে এই সন্ত্রাসী হামলায়। তাই স্বাভাবিকভাবে এখানে পাকিস্তানের হাত স্পষ্টভাবেই রয়েছে। ঠিক যেমনটা ২৬/১১ তে মুম্বাই হামলার সময় পাকিস্তান করেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে যে তথ্য অনুযায়ী, চার থেকে পাঁচ জন সন্ত্রাসবাদি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। তাদের কাছে অত্যাধুনিক মাধ্যমের যোগাযোগ যন্ত্র ছিল। এদের মধ্যে কেউ কেউ সামরিক পোশাকও পরেছিল এবং হাতে ছিল একে-৪৭। গোয়েন্দাদের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেখানে জানতে পারা যাচ্ছে পাকিস্থানে বসে থাকা এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ডদের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র ছিল হামলাকারী সন্ত্রাসবাদীদের। মুজাফফরবাদ এবং করাচিতে বেশ কিছু জায়গায় এমনই ডিজিটাল প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

    স্থানীয় মাঠকর্মীরাই ওই সন্ত্রাসবাদীদের খাদ্য আশ্রয় এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করে

    শুধু তাই নয় গোয়েন্দাদের আরও দাবি, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আইএসআই এই বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভারতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের জন্য সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এবং মার্চ মাসে এনআইএ জম্মু-কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি স্থানে ব্যাপক তল্লাশি চালায় তখনই উঠে আসে এমন তথ্য।
    এনআইএ-র সন্দেহ ভারতে প্রবেশের পরে স্থানীয় মাঠকর্মীরাই ওই সন্ত্রাসবাদীদের খাদ্য আশ্রয় এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করে। জানা গিয়েছে, এনআইয়ে নিজেই মার্চ মাসে একটি বিবৃতি জারি করেছিল। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীরা কাঠুয়া, উধমপুর, ডোডা, কিস্তোয়ার এবং পুঞ্চে উপত্যকায় প্রবেশ করেছে।

    চিহ্নিত আরও ১৪ সন্ত্রাসবাদী

    ইতিমধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ গত শুক্রবারই তিনজন সন্ত্রাসীর স্কেচ প্রকাশ করেছে। যাদের মধ্যে দুজনকে পাকিস্তানি বলে জানা গিয়েছে। এরা হল আলি ভাই এবং হাসিম মুসা। স্থানীয় জঙ্গি আদিলের নাম রয়েছে। এদের প্রত্যেকের মাথার দাম কুড়ি লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে মুসা জম্মু কাশ্মীরের আগে তিনটি সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে ভারতীয় বিমানবাহিনীর কনভয়ের ওপর অতর্কিত হামলাতেও সে জড়িত ছিল। এর পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আরও ১৪ জন সন্ত্রাসবাদীকে চিহ্নিত করেছে। এদের মধ্যে ৮ জন লস্কর-ই-তৈবার তিনজন জৈশ-ই-মহম্মদের এবং ৩ জন হিজবুল মুজাহিদিনের।

  • JNUSU Elections: জেএনইউতে ইতিহাস গড়ল এবিভিপি, ছাত্র সংসদের ৪২টির মধ্যে ২৪ আসনে এল জয়

    JNUSU Elections: জেএনইউতে ইতিহাস গড়ল এবিভিপি, ছাত্র সংসদের ৪২টির মধ্যে ২৪ আসনে এল জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইতিহাস তৈরি করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (JNUSU Elections)। ছাত্র সংসদের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৪টিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি। প্রসঙ্গত, ৪২ জন ছাত্র-ছাত্রী প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ১৬টি স্কুল এবং অন্যান্য কেন্দ্র থেকে। এর পাশাপাশি সেন্ট্রাল প্যানেলে সহ-সম্পাদক পদে জয় ছিনিয়ে এনেছেন এবিভিপি প্রার্থী বৈভব মিনা। এবিভিপি-র এই বিপুল জয়ে আর কখনও এটা বলা যাবে না যে জেএনইউ লাল দুর্গ। এবিভিপির (ABVP) এই বিপুল উত্থানে একেবারেই লাল দুর্গ ভেঙে পড়ল এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। অনেকেই বলছেন, এটি একটি মাইলফলকও বটে, বিশেষত ছাত্র আন্দোলনের ক্ষেত্রে। এই বিপুল জয়ে পড়ুয়ারা জাতীয়তাবাদী মতাদর্শকেই গ্রহণ করল বলে জানাচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সেন্ট্রাল প্যানেলের একটিমাত্র সহ-সম্পাদক পদে জয় এলেও বাকি সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদেও এবিভিপি জোর টক্কর দিয়েছে। শেষ রাউন্ড পর্যন্ত ঘাড়ের উপরে নিঃশ্বাস ফেলেছে বামপন্থী ছাত্র জোটের উপরে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, সমস্ত বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের মধ্যে লড়াই করে এবিভিপির বিরুদ্ধে। এর সত্ত্বেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এবিভিপি লড়াই দিয়ে যায়।

    রাজস্থানের বাসিন্দা  এবিভিপির বৈভব মিনা জিতলেন সহ-সম্পাদক পদে

    সেন্ট্রাল প্যানেলে সহ-সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন এবিভিপির বৈভব মিনা। জানা যাচ্ছে,  তিনি আদতে রাজস্থানের বাসিন্দা। সে রাজ্যের কারাওলি থেকে তিনি পড়তে আসেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। বৈভব মিনা একজন তফশিলি জাতির ছাত্র। রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক হন। জয়পুরে পড়াশোনা শেষ করে পরবর্তীকালে হিন্দি সাহিত্যে তিনি স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি নেন বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে তিনি হিন্দি সাহিত্যের ওপরে গবেষণা করছেন, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজে। একইসঙ্গে তিনি সম্পূর্ণ করেছেন তাঁর দুবছরের এনএসএস প্রোগ্রামও। বর্তমানে তিনি জেএনইউ-র জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNUSU Elections) কাবেরি হস্টেলের সভাপতি রয়েছেন।

    এক নজরে আমরা দেখে নেব, এবিভিপি (ABVP) কোথা থেকে কত আসন জিতল

    স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে রয়েছে পাঁচটি আসন। এর মধ্যে এবিভিপি জয় পেয়েছে দুটি আসনে।

    স্কুল অফ সোশ্যাল সায়েন্সে রয়েছে পাঁচটি আসন। এর মধ্যে এবিভিপি জয় পেয়েছে দুটি আসনে।

    স্কুল অফ বায়োটেকনোলজিতে রয়েছে দুটি আসন। এখানে এবিভিপি জয় পেয়েছে একটি আসনে।

    স্পেশাল সেন্টার ফর মলিকুলার মেডিসিন এখানে রয়েছে একটি আসন, এবিভিপি জয় পেয়েছে ওই আসনে।

    স্কুল অফ কম্পিউটেশনাল এবং ইন্টিগ্রেটিভ সায়েন্স, এখানে দুটি আসনের মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    স্কুল অফ কম্পিউটার অ্যান্ড সিস্টেম সায়েন্স, এখানে রয়েছে তিনটি আসন যার মধ্যে এবিভিপি জয় পেয়েছে দুটি আসনে।

    স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, এখানে চারটি আসনের মধ্যে চারটিতেই এবিভিপি জয় পেয়েছে।

    স্পেশাল সেন্টার ফর ন্যানো সায়েন্স, এখানে রয়েছে একটি আসন এবিভিপি একটিতেই জয় পেয়েছে।

    স্কুল অফ সংস্কৃত অ্যান্ড ইন্ডিক্ট স্টাডিজ, এখানে রয়েছে তিনটি আসন, তিনটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    অ্যামালগামেটেড সেন্টারে দুটি আসনের মধ্যে দুটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    স্কুল অফ এনভারমেন্টাল সায়েন্সে দুটি আসনের মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    অটল বিহারী বাজপেয়ি স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিয়েন্সিপ, এখানে একটি আসনের মধ্যে একটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    স্কুল অফ ফিজিক্যাল সায়েন্সে তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    সার্টিফিকেট প্রফেসিয়েন্সির একটি আসনের মধ্যে একটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    প্রসঙ্গত, জেএনইউ-র সোশ্যাল সায়েন্সকে মনে করা হত যে বামেদের শক্ত ঘাঁটি। কিন্তু ২৫ বছর পরে এবিভিপি এই জায়গা থেকে দুটি আসন দখল করতে সমর্থ হয়েছে।

    কী বলছেন এবিভিপি নেতৃত্ব (ABVP)

    এ নিয়ে এবিভিপির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNUSU Elections) শাখার সভাপতি রাজেশেখরকান্ত দুবে বলেন, ‘‘আমাদের এই জয় শুধুমাত্র এটা প্রমাণ করে না যে আমরা কতটা সক্রিয় ছাত্র আন্দোলনে, এর পাশাপাশি এটাও প্রমাণ করে বিদ্যার্থী পরিষদের ওপর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিক কতটা বিশ্বাস এবং ভরসা রয়েছে।’’ এবিভিপি তরফ থেকে নবনির্বাচিত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সম্পাদক বৈভব মিনা বলেন, ‘‘আমি এটিকে আমার ব্যক্তিগত জয় হিসেবে দেখছি না। এটা হচ্ছে জাতীয়তাবাদী ভাবাদর্শের জয়।’’

  • Pakistan: বাতিল স্বল্প মেয়াদি ভিসা, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে গত দু’দিনে ভারত ছেড়েছেন ২৭২ জন পাকিস্তানি

    Pakistan: বাতিল স্বল্প মেয়াদি ভিসা, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে গত দু’দিনে ভারত ছেড়েছেন ২৭২ জন পাকিস্তানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে পাকিস্তানিদের এদেশ ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমাও। তথ্য বলছে, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে গত দু’দিনে ভারত ছেড়েছেন ২৭২ জন পাকিস্তানি। এমনটাই জানা গিয়েছে সরকারি সূত্রে। অন্যদিকে, পাঞ্জাবে এই সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ভারতে ফিরেছেন ৬২৯ জন নাগরিক। জানা যাচ্ছে, এঁদের মধ্যে ১৩ জন কূটনীতিক এবং আধিকারিক রয়েছেন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারত ছেড়েছেন ১৯১ জন পাকিস্তানি। অন্যদিকে শনিবার ওই পথে ভারত ছেড়েছেন আরও ৮১ জন। আবার শুক্রবার ওই সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে এ দেশে ফিরেছেন ২৮৭ জন ভারতীয়। শনিবারে দেশে ফিরেছেন ৩৪২ জন ভারতীয় (India)।

    সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি (Pakistan) মহারাষ্ট্রে

    জানা যাচ্ছে, স্বল্পমেয়াদি ভিসায় ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি ছিলেন মহারাষ্ট্রে। এই সংখ্যাটা প্রায় ১০০০। জানা যাচ্ছে, এমনিতে মহারাষ্ট্রে রয়েছেন প্রায় ৫,০৫০ পাকিস্তানের (Pakistan) নাগরিক। এঁদের বেশির ভাগই দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় রয়েছেন। এর ফলে তাঁদের ভিসা বাতিল হয়নি। অন্যদিকে, তেলেঙ্গানার পুলিশ প্রধান জিতেন্দ্র জানিয়েছেন, সে রাজ্যে পাকিস্তানির সংখ্যা ২০৮। তাঁদের মধ্যে ১৫৬ জন দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় রয়েছেন।সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কিছু পাকিস্তানি বিমানবন্দর দিয়েও ভারত ছেড়েছেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি উড়ান চালু নেই। মনে করা হচ্ছে, তৃতীয় দেশের মাধ্যমে তাঁরা পাকিস্তানে ফিরতে পারেন।

    গুজরাটে থাকা পাকিস্তানিদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু

    অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের পাকিস্তানির (Pakistan) সংখ্যা ২২৮। সে রাজ্যের সরকার জানিয়েছে, বেশিরভাগই পাক নাগরিকই বর্তমানে চলে গিয়েছেন নিজেদের দেশে। ওড়িশায় রয়েছেন ১২ জন পাকিস্তানি। সরকারি তথ্য বলছে, গোয়ায় রয়েছেন তিন জন পাকিস্তানি নাগরিক।অন্যদিকে গুজরাটে স্বল্পমেয়াদি ভিসায় রয়েছে সাত জন পাকিস্তানি নাগরিক। দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় রয়েছেন ৪৩৮ জন। তবে গুজরাটে থাকা পাকস্তানিদের মধ্যে বেশিরভাগজনই হিন্দু (India) বলেই জানা গিয়েছে। যাঁরা নাগরিকত্বের আবেদন জানিয়েছেন।

  • Rajnath Singh: বাড়বে প্রত্যাঘাত? প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দেশের সিডিএস অনিল চৌহান

    Rajnath Singh: বাড়বে প্রত্যাঘাত? প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দেশের সিডিএস অনিল চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান তথা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আরও বড় প্রত্যাঘাতের খবর কি সামনে আসতে চলেছে? এমন জল্পনাই শুরু হয়েছে। কারণ রবিবার বিকালেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) বাড়িতে তাঁর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন দেশের সিডিএস অনিল চৌহান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর উপত্যকায় ‘অ্যাকশনে’ নেমেছে ভারতীয় সেনা। প্রশাসন শুরু করেছে অভিযান। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ জঙ্গি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা। এবার এই আবহেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন সিডিএস অনিল চৌহান (CDS Anil Chauhan)।

    কোন কোন ইস্যুতে বৈঠক জানা যায়নি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Rajnath Singh) সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার বিকাল ৫টা নাগাদ শুরু হয় এই বিশেষ বৈঠক। তবে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হবে সেই নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Rajnath Singh) তরফে। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা, মূলত কোন লাইনে এগোবে ভারত সে নিয়েই আলোচনা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরনের হামলার পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতার অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। জঙ্গিদের সন্ধানে চলছে চিরুনি তল্লাশি। একাধিক লস্কর জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও জঙ্গির বাড়িতে বিস্ফোরণ করা হয়েছে, তো কোনও জঙ্গির বাড়িতে চালানো হয় বুলডোজার।

    শনিবার মধ্যরাতেও নিয়্ন্ত্রণ রেখায় গুলি চালায় পাকিস্তান, পাল্টা জবাব দেয় ভারত

    শনিবার মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। রবিবারই এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ভারতের সেনা। নিজেদের বিবৃতিতে ভারতীয় সেনা  জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। ভারতীয় সেনা এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরে এটা ছিল তৃতীয় রাত, যখন পাকিস্তান (Pakistan) নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়। ভারতীয় সেনা নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘২৬-২৭ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে, পাকিস্তানি সেনা তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলিবর্ষণ করে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।’’

  • Kasturirangan: প্রাক্তন ইসরো চেয়ারম্যান কস্তুরীরঙ্গনের শেষকৃত্য সম্পন্ন, ‘‘অমূল্য রত্ন হারালাম’’, বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

    Kasturirangan: প্রাক্তন ইসরো চেয়ারম্যান কস্তুরীরঙ্গনের শেষকৃত্য সম্পন্ন, ‘‘অমূল্য রত্ন হারালাম’’, বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরীরঙ্গন (Kasturirangan) শেষকৃত্য সম্পন্ন হল রবিবার। প্রসঙ্গত, শুক্রবার নিজের বেঙ্গালুরুর বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিন শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর মতে, ‘‘অমূল্য রত্ন হারালাম।’’ কস্তুরীরঙ্গনের মৃত্যুতে আগেই শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইসরোর (ISRO) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কস্তুরীরঙ্গন শুক্রবার সকাল ১০.৪৩ টায় প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। সাধারণ মানুষদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁর মরদেহ এদিন ২৭ এপ্রিল রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুরের মধ্যে বেঙ্গালুরুর রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটে রাখা হয়।

    মহাকাশ গবেষণাকে নতুন উচ্চতা দিয়েছিলেন, সমাজমাধ্যমে লেখেন মোদি

    তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী মোদি শোক প্রকাশ করে সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘তাঁর (Kasturirangan) দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং জাতির প্রতি নিঃস্বার্থ অবদান সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে ইসরোর সেবা করেছেন। ভারতের মহাকাশ কর্মসূচিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন, তার জন্য আমরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতিও পেয়েছি।’’

    ১৯৯৪-২০০৩ সাল পর্যন্ত ইসরোর পঞ্চম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন

    প্রসঙ্গত, ডঃ কস্তুরীরঙ্গন (Kasturirangan) ১৯৯৪-২০০৩ সাল পর্যন্ত ইসরোর পঞ্চম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বলে জানা যায়। ৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরোর মহাকাশ কমিশন এবং মহাকাশ বিভাগে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও কস্তুরীরঙ্গন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং কর্নাটক জ্ঞান কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন ইসরোর এই প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তৎকালীন ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন কস্তুরীরঙ্গন (Kasturirangan)।এছাড়াও, ইসরো স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি । ইনস্যাট-২, আইআরএস-১এ/১বি উপগ্রহ এবং অন্যান্য উপগ্রহ তৈরির সঙ্গেও যুক্ত থেকেছেন ইসরোর এই প্রাক্তন চেয়ারম্যান।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদে দিল্লিতে আজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ‘আক্রোশ যাত্রা’

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদে দিল্লিতে আজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ‘আক্রোশ যাত্রা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) প্রতিবাদে আজ রবিবার দিল্লিতে আক্রোশ যাত্রার ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা বিনোদ বনসল জানিয়েছেন আক্রোশ যাত্রা শুরু হবে দিল্লির পূর্ব কৈলাসে অবস্থিত ইসকন মন্দির থেকে। অন্যদিকে, আরও একটি আক্রোশ যাত্রা (Pahalgam Attack) শুরু হবে দিল্লির বদরপুর থেকে। ইসকন মন্দিরের আক্রোশ যাত্রা শুরু হবে বিকাল পাঁচটা থেকে। বদরপুরের আক্রোশ যাত্রা শুরু হবে বিকাল ৫টা ৪৫ থেকে।

    দিল্লির সন্ত নগরে হবে যজ্ঞ (Pahalgam Attack)

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওই নেতা জানিয়েছেন, ভারতবর্ষের প্রত্যেক নাগরিক এখন সমস্ত কিছু ভুলে গিয়েছেন এবং তাঁরা এ দেশ থেকে দেশদ্রোহীদের বিতারণ করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে আর্য সমাজ মন্দিরে একটি যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। দিল্লির সন্ত নগরে হওয়া ওই যজ্ঞে অংশগ্রহণ করবেন পহেলগাঁও হামলার ক্ষতিগ্রস্তদের (Pahalgam Attack) বেশ কয়েকটি পরিবার। এদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার সময় এসেছে বলে মনে করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওই নেতা।

    পহেলগাঁও হামলা

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, পহেলগাঁও হামলার সন্ত্রাসীরা প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালায়। তাদের হাতে থাকা একে-৪৭ রাইফেল থেকে কমপক্ষে ৫০ রাউন্ড গুলি চালায় জঙ্গিরা। এই সময়ই তারা পর্যটকদের নাম ও ধর্ম জিজ্ঞাসা করে। যারা হিন্দু বলে শনাক্ত হন, তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলায় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের স্কেচ এবং ছবি প্রকাশ করেছে। তদন্তকারীরা এই আক্রমণকারীদের আসিফ ফৌজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা নামে চিহ্নিত করেছে। নিজেদের বয়ানে মৃতদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছিলেন হিন্দু পুরুষদের বেছে বেছে হত্যা করে জঙ্গিরা। আরও দাবি ছিল, নিম্নাঙ্গের পোশাক পর্যন্ত খোলা হয় ধর্ম যাচাই করতে। এমন বয়ানের সঙ্গে মিলে গিয়েছে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসা তথ্য। অর্থাৎ, জঙ্গিরা নির্দিষ্ট করেই হিন্দু পুরুষদের হত্যা করতেই এসেছিল। সেটাই ছিল হামলার মূল ছক। তদন্তে উঠে এসেছে ২০জন পর্যটকের প্যান্টের চেইন খোলা হয় শুধুমাত্র ধর্ম যাচাই করতে।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও কাণ্ডে ভারতকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিল দিল এফবিআই

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও কাণ্ডে ভারতকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিল দিল এফবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পরে ভারতকে সব ধরনের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিল ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। সমাজ মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের পরিচালক কাশ প্যাটেল। ওই পোস্টে এফবিআই পরিচালক লিখেছেন, ‘‘কাশ্মীরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার সকল ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি এফবিআই সমবেদনা জানাচ্ছে। ভারত সরকারের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’’ সন্ত্রাসবাদের কুফলের কারণে বিশ্ব যে ক্রমাগত হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, এই ঘটনা তাও স্মরণ করিয়ে দেয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

    আগেই ভারতকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল জঙ্গি হামলা হয় জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় (Pahalgam Attack)। এখানেই জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ২৬ জন পর্যটকের। অভিযোগ বেছে বেছে হিন্দুদের হত্য়া করা হয়। ওই হামলার পরেই ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়াতে একথা জানানোর পাশাপাশি তিনি টেলিফোনে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সঙ্গে। তখনই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে (Pahalgam Attack) ভারতকে সব রকমের সাহায্য করার কথা জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    আগেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান

    প্রসঙ্গত , শুক্রবারই পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ান মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড ।জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি, জঙ্গিদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা বলেও জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড  নিজের সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘পহেলগাঁওতে ২৬ জন হিন্দুকে হত্যা করেছে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীরা (Pahalgam Attackers)। এর নিন্দা করছি এবং আমরা ভারতের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। যাঁরা তাদের প্রিয়জন হারালেন তাঁদের প্রতি আমার প্রার্থনা এবং গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতের সমস্ত নাগরিকের পাশে আছে আমেরিকা। এই জঘন্য হামলার জন্য দোষীদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতের পাশে আছে আমেরিকা।’’

  • Pakistan: শনিবার মধ্যরাতে ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    Pakistan: শনিবার মধ্যরাতে ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। রবিবারই এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ভারতের সেনা। নিজেদের বিবৃতিতে ভারতীয় সেনা (Indian Army) জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। ভারতীয় সেনা এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরে এটা ছিল তৃতীয় রাত, যখন পাকিস্তান (Pakistan) নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়।

    ভারতীয় সেনার বিবৃতি (Pakistan)

    ভারতীয় সেনা নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘২৬-২৭ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে, পাকিস্তানি (Pakistan) সেনা তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলিবর্ষণ করে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।’’ এদিকে, শনিবারই সেনাবাহিনী (Indian Army) এবং সিআরপিএফের যৌথ অভিযানে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। এদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে সে দেশের সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণ করছে এমনটাই খবর উঠে আসতে থাকে। শনিবার রাতে ফের চলে গুলি। সাম্প্রতিক সময়ে এই ঘটনা ঘটেনি বলেই জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। যদিও পাক সেনা যে গুলি চালিয়েছে, তার পাল্টা জবাব ভারতের সেনাবাহিনীও দিয়েছে প্রতিবার। এই হামলাগুলিতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    শনিবার গ্রেফতার করা হয় ২ জঙ্গিকে

    জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাঁও থেকে শনিবারই গ্রেফতার করা হল দুই কাশ্মীরি তরুণকে। ধৃতদের নাম বিলাল আহমেদ ভাট এবং মহম্মদ ইসমাইল ভাট। দুজনেই কুলগাঁও জেলার বাসিন্দা। কুলগাঁও জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই তরুণের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, ২৫ রাউন্ড গুলি এবং দুটি ম্যাগাজিন পাওয়া গিয়েছে। পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে জঙ্গিদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ চেক পয়েন্টগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এই তল্লাশি অভিযানেই কুলগাঁওয়ের কাইমো শহরের ঠোকেরপোরা এলাকায় একটি চেক পয়েন্টে আটক করা হয় দুই কাশ্মীরি তরুণকে। তারা জঙ্গিদের সাহায্য করত বলে অভিযোগ।

  • Pahalgam: ভারতবাসী দেশপ্রেমকে পরম ধর্ম না মানলে পহেলগাঁওয়ের মতো হামলা চলতেই থাকবে, মত গোয়েলের

    Pahalgam: ভারতবাসী দেশপ্রেমকে পরম ধর্ম না মানলে পহেলগাঁওয়ের মতো হামলা চলতেই থাকবে, মত গোয়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘যতক্ষণ পর্যন্ত ১৪০ কোটি ভারতবাসী দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদকে তাঁদের পরম ধর্ম হিসেবে বিবেচনা না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত পহেলগাঁওয়ের মতো হামলা ঘটতেই থাকবে।’’ একথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)। তিনি আরও বলেন, পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam) মতো হামলার ঘটনা কখনও ভারতের চেতনাকে ভাঙতে পারবে না। ভারতবাসী বিশ্বাস করে যে কাশ্মীরে পর্যটন পুনরায় চালু হবে। তীর্থযাত্রীরা অমরনাথ যাত্রা চালিয়ে যাবেন।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, ‘‘ভারতবর্ষ সারা বিশ্বে এক মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটাই সহ্য হচ্ছে না অনেকের। যে ধরনের ঘটনাগুলি ঘটছে তাতে এই অপশক্তি শেষ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ভারতের মর্যাদাকে বিনষ্ট করার। তবে কেউ ছাড় পাবে না। যারা এ ধরনের কাজ করছে।’’

    অবৈধভাবে কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না 

    দেশের অভ্যন্তরে এই ধরনের সন্ত্রাসবাদকে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যেমন দ্রুত নকশালবাদকে নির্মূল করছি। তেমন একইভাবে আমরা সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করব। এক্ষেত্রে ভারতের শক্তি এবং সংকল্প দুটোই আমাদের অটল রয়েছে।’’ অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সম্প্রতি ভারতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে পীযূষ গোয়েল বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যেই তাঁদেরকে এ দেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা বলেছি। এখানে অবৈধভাবে কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না (Pahalgam)।’’

    কেউ থামাতে পারবেন না কাশ্মীরের উন্নয়ন

    অন্যদিকে পহেলগাঁও (Pahalgam) হামলা কাশ্মীরের পর্যটনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে নাকি, এ বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ভারতের জনগণের শক্তি রয়েছে, সাহস রয়েছে এবং আত্মবিশ্বাস রয়েছে। পর্যটন শীঘ্রই আবার শুরু হবে। তীর্থযাত্রীরাও অমরনাথ যাত্রা চালিয়ে যেতে পারবেন এবং কাশ্মীরের উন্নয়নও এর পাশাপাশি চলতে থাকবে। কেউ থামাতে পারবে না।’’ প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়। পর্যটকদের হিন্দু পরিচয় বেছে বেছে হত্যা করা হয়।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ে ২০ জন পর্যটকের নিম্নাঙ্গের পোশাক খোলা হয় ধর্ম যাচাই করতে, উঠে এল তদন্তে

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ে ২০ জন পর্যটকের নিম্নাঙ্গের পোশাক খোলা হয় ধর্ম যাচাই করতে, উঠে এল তদন্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ঘটে। নিজেদের বয়ানে মৃতদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছিলেন হিন্দু পুরুষদের বেছে বেছে হত্যা করে জঙ্গিরা। আরও দাবি ছিল, নিম্নাঙ্গের পোশাক পর্যন্ত খোলা হয় ধর্ম যাচাই করতে। এমন বয়ানের সঙ্গে মিলে গেল প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসা তথ্য। অর্থাৎ, জঙ্গিরা নির্দিষ্ট করেই হিন্দু পুরুষদের (Pahalgam) হত্যা করতেই এসেছিল। সেটাই ছিল হামলার মূল ছক। বিশ্লেষকদের মতে, এর থেকে পরিষ্কার, এই হামলা আরও বৃহৎ কোনও ষড়যন্ত্রের অঙ্গ। এককথায় টার্গেটেড কিলিং।

    ২০ জনের প্যান্টের চেইন খুলে তাঁদের খৎনা পরীক্ষা করা হয় (Pahalgam Attack)

    প্রসঙ্গত, নিহতদের পরিবারের সদস্যদের বয়ানে উঠে এসেছিল উদ্বেগজনক তথ্য। যে ২৬ জন নিহত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ২০ জনের প্যান্টের চেইন খুলে তাঁদের খৎনা পরীক্ষা করা হয় এবং দেখা হয় তাঁরা কোন ধর্মের। প্রাথমিক তদন্তেও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের এমন দাবিতে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। তদন্তে বলা হয়েছে, ধর্ম পরিচয় দেখার জন্য হিন্দু পুরুষদের প্যান্টের চেইন খোলা হয়েছিল।

    সন্ত্রাসবাদীরা পর্যটকদের কোরানের আয়াত অথবা কলেমা পড়তে বাধ্য করেছিল

    একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীরা পর্যটকদের (Pahalgam Attack) কোরানের আয়াত অথবা কালমা পাঠ করতে করেছিল। যাঁরা সেটা করতে পেরেছিলেন, তাঁদেরকে সন্ত্রাসবাদীরা ভেবেছিল যে তাঁরা মুসলিম। এভাবেই ছাড় পান অসমের এক হিন্দু। অন্যদিকে যাঁরা সেটা করতে পারেননি, সেখানে সন্ত্রাসীরা নিশ্চিত হয়ে যায় যে তাঁরা অমুসলিম এবং তাঁদেরকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রসঙ্গত, ঘটনার তদন্তে মৃতদেহগুলিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি প্রশাসনিক আধিকারিকদের দল। তখনই এভাবে মৃতদেহগুলির অবস্থান সামনে আসে। যেখানে তাঁদের খৎনা পরীক্ষা করার জন্য নিম্নাঙ্গের পোশাক পর্যন্ত খুলে ফেলেছিল জঙ্গিরা।

    হামলাকারীরা আধার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও চেয়েছিল

    পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) সেদিন উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। জঙ্গিরা বারবার তাঁদের ধর্মীয় পরিচয় যাচাই করছিল বলে জানিয়েছেন পর্যটকরা। শুধু তাই নয় হামলাকারীরা আধার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও চাইছিল। একইসঙ্গে কালমা পাঠ করতেও বলছিল জঙ্গিরা। এর পাশাপাশি খৎনা পরীক্ষা করার জন্য তাঁদের নিচের পোশাকও খুলে ফেলতে বাধ্য করেছিল। পর্যটকরা হিন্দু না মুসলিম- এই পরিচয় জানার জন্য এই তিন ধরনের পরীক্ষা করে ইসলামিক জঙ্গিরা। এর মাধ্যমে তারা নিশ্চিত হয় এবং খুব কাছ থেকে হিন্দু পুরুষদের গুলি করে। মঙ্গলবারই নিহত হন ২৬ জন। যার মধ্যে ২৫ জনকেই হিন্দু হিসেবে শনাক্ত করা গিয়েছে। এঁদের প্রত্যেকেই পুরুষ।

    ৭০ জন মাঠ কর্মী নজরদারির মধ্যে

    জানা যাচ্ছে, পহেলগাঁও হামলার তদন্ত বর্তমানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ভারতের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির সবাই একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তদন্ত করছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, ‘র’ সমেত অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত তদন্তের জন্য প্রায় দেড় হাজার ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স (জঙ্গিদের সয়াহতা প্রদানকারী) একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জড়ো করা হয়েছিল। এর মধ্যে বর্তমানে ৭০ জন সন্দেহভাজনকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। যাদেরকে হামলার সঙ্গে জড়িত হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, হামলাকারীদের দলটিকে লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করেছিল ওই কর্মীরাই। এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। তিনি আরও জানিয়েছেন, অতি দ্রুত এই তদন্ত সম্পূর্ণ হবে।

    ২০ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, পহেলগাঁও হামলার সন্ত্রাসীরা প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালায়। তাদের হাতে থাকা একে-৪৭ রাইফেল থেকে কমপক্ষে ৫০ রাউন্ড গুলি চালায় জঙ্গিরা। এই সময়ই তারা পর্যটকদের নাম ও ধর্ম জিজ্ঞাসা করে। যারা হিন্দু বলে শনাক্ত হন, তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলায় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের স্কেচ এবং ছবি প্রকাশ করেছে। তদন্তকারীরা এই আক্রমণকারীদের আসিফ ফৌজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা নামে চিহ্নিত করেছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তে উঠে এসেছে, এই হামলাকারীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার একটি ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফাউন্ডেশন (টিআরএফ)-এর সদস্য। পহেলগাঁওয়ের বৈসরন তার মনোরম দৃশ্য এবং বিস্তীর্ণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য মিনি সুইৎজারল্যান্ড নামেই পরিচিত। পহেলগাঁও থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই পর্যটক স্থান। এই স্থানটি দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের কাছে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল। বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে এখানে পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম দেখা যায়।

LinkedIn
Share