Tag: মাধ্যম

  • Catherine Perez-Shakdam: ঘরেই লুকিয়ে ছিল মোসাদের ভয়ঙ্কর অস্ত্র, জানতেই পারেননি খামেনেই

    Catherine Perez-Shakdam: ঘরেই লুকিয়ে ছিল মোসাদের ভয়ঙ্কর অস্ত্র, জানতেই পারেননি খামেনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও হলিউড সিনেমার চিত্রনাট্য নয়। একেবারে বাস্তব গল্প। এমন এক গল্প যা রোমহর্ষকতায় পর্দার কাহিনিকেও হার মানাবে। হলিউড সিনেমার দৌলতে অনেকেই হয়ত সুন্দরী, রহস্যময়ী মহিলা গুপ্তচর-আততায়ীদের সঙ্গে পরিচিত। তা সে আমেরিকার ‘ব্ল্যাক উইডো’-ই হোক কিংবা রাশিয়ার ‘রেড স্প্যারো’। তবে, এই গল্পের নায়িকা কোনও পর্দার কাল্পনিক চরিত্র নয়, সত্যিকারের মানুষ। এক কথায়, বাস্তবের ‘ব্ল্যাক উইডো’, রক্ত-মাংসের ‘রেড স্প্যারো’। এই কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের এক উচ্চশিক্ষিত ও প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন মহিলা গুপ্তচর (Catherine Perez-Shakdam), যিনি কিনা ইরানে ঢুকে, ধর্ম বদলে, দিনে দিনে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইরানের শীর্ষ কর্তাদের কাছে। স্রেফ পৌঁছে গিয়েছিলেন তাই নয়, রীতিমতো আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন। ধীরে ধীরে জোগাড় করেছিলেন গোপন তথ্য। পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মোসাদকে (Mossad Spy)। তারপর আচমকা একদিন উধাও! তাঁর দেওয়া সেই তথ্যের ভিত্তিতেই যুদ্ধে ইরানকে পর্যুদস্ত করতে সক্ষম হয় ইজরায়েল। তন্নতন্ন করে খুঁজেও এখন তাঁর কোনও হদিশ পাচ্ছে না ইরান! কীভাবে সম্ভব হল? জেনে নিন সেই রোমহর্ষক গল্প।

    রহস্যময়ী মোসাদ এজেন্টের পরিচয়…

    প্রথমেই পরিচয় করে নেওয়া যাক এই রহস্যময়ী নারীর সঙ্গে, যাঁকে নিয়ে আজ কৌতুহলের শেষ নেই বিশ্বে। মোসাদের এই গুপ্তচরের নাম ক্যাথরিন পেরেজ শাকদাম (Catherine Perez-Shakdam)। আদতে ফ্রান্সের বাসিন্দা। উচ্চ শিক্ষিত, অত্যন্ত বুদ্ধিমতী, এবং বলা বাহুল্য প্রচণ্ড সাহসী। ফ্রান্সের একটি ইহুদি পরিবারে জন্ম নেন ক্যাথরিন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান পড়াশোনা করেন এবং তার পরে অর্থ ও জনসংযোগ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে থাকাকালীন তিনি ইয়েমেনের এক সুন্নি মুসলিম ব্যক্তির প্রেমে পড়েন এবং তাঁকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ২০১৪ সালে এই বিবাহের সমাপ্তি ঘটে। এর পরই, ক্যাথরিনের জীবনে এক বিশাল পরিবর্তন আসে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে মোসাদ। তাঁকে রাজি করানো হয় ‘এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করার। মুসলিমের সঙ্গে সংসার করায় ইসলামিক রীতিগুলো রপ্ত ছিল ক্যাথরিনের। ফলে, মোসাদের খুব বেশি সময় লাগেনি ক্যাথরিনকে গড়ে তুলতে।

    মাথায় হিজাব, মস্তিষ্কে মোসাদ!

    মোসাদের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৭ সালে সাংবাদিক, গবেষক ও চিন্তাবিদের পরিচয়ে ইরানে প্রবেশ করেন ক্যাথরিন। তিনি নিজেকে এক মুসলিম নারী এবং একজন ইয়েমেনি পুরুষের স্ত্রী হিসেবে উপস্থাপন করতেন। ইরানে তিনি শিয়া ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হিজাব পরতেন। ক্যাথরিন (Catherine Perez-Shakdam) দাবি করেছিলেন যে, তিনি কেবল ইসলাম সম্পর্কে কৌতূহলী। তাই তিনি শিয়া ইসলাম গ্রহণ করেছেন। বিশ্বাস অর্জনের জন্য ইরানের সরকার এবং সেনার প্রতি আনুগত্য দেখাতে থাকেন তিনি। প্রথমে তাঁকে দেখা গিয়েছিল টিভির বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষক হিসেবে। তিনি ইয়েমেন যুদ্ধ, সৌদি নীতিমালা ও ইসরায়েল-বিরোধী অবস্থান নিয়ে প্রবন্ধ লিখতেন, যা তাসনিম, মেহর এবং এমনকি সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই পরিচালিত ওয়েবসাইটেও প্রকাশ পেত। খামেনেই ডট আইআর–এ তাঁর লেখা ১৮টির বেশি প্রতিবেদন রয়েছে।

    ইরানের শীর্ষকর্তাদের স্ত্রীদের হাত করেন!

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোর বা আইআরজিসি-র উচ্চপদস্থ কমান্ডারদের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন তিনি। তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করেন এবং তাঁদের বাড়িতে নিয়মিত অতিথি হয়ে ওঠেন ক্যাথরিন। সেই মওকায় শীর্ষ কর্মকর্তা এবং তাঁদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন। নানা জায়গায় ঢুকে পড়েন, ছবি তোলেন এবং সংগ্রহ করেন নানা গোপন তথ্য। ক্যাথরিন (Catherine Perez-Shakdam) এতটাই বিশ্বস্ত ছিলেন যে, যেসব বাড়িতে এবং স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাধারণত খুব কড়া, সেই ব্যক্তিগত স্থানেও প্রবেশ করতে পারতেন। ইরানের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের স্ত্রীদের সঙ্গে আড্ডা ও বিশ্বাসের আড়ালে গৃহিণীদের মুখ থেকে তুলে আনতেন চরম গোপন তথ্য—স্বামী কোথায় কর্মরত, কখন কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে মিটিং করছেন, কারা তাঁর সঙ্গে থাকেন ইত্যাদি। এই কথোপকথন গোপনে রেকর্ড করতেন ক্যাথরিন।

    ক্যাথরিনের তথ্য দিয়েই হামলার নকশা!

    ইরানি সেনা অফিসারদের একাংশের বাড়িতে ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত। ফলে কিছু দিনের মধ্যেই তাঁদের গতিবিধি চলে যায় ক্যাথরিনের নখদর্পণে। তরুণী গুপ্তচরের (Mossad Spy) থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে চলে আসে মোসাদের। ওই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই শিয়া কমান্ডারদের নিকেশ করার নীল নকশা ছকে ফেলে ইজরায়েল। যুদ্ধ বাঁধতেই, একের পর একে ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সেনা ও গোয়েন্দা কর্তার মৃত্যু হতে থাকে ইজরায়েলি হানায়। ইজরায়েলি হানার জেরে অনেক শীর্ষ ইরানি কর্মকর্তা নিরাপত্তার জন্য নিজেদের লোকেশন পরিবর্তন করেছিলেন। হয়ত ভেবেছিলেন যে, তাঁরা এখন নিরাপদ। কিন্তু প্রতিবারই যখনই কোনও আক্রমণ হয়েছিল, তখন তা এত নির্ভুল ছিল যে, মনে হয়েছিল যেন কেউ সঠিক লোকেশন ইজরায়েলের হাতে তুলে দিয়েছে। এমনকি, নিহত কমান্ডারদের জায়গায় যাঁদের নিযুক্ত করা হয়, তাঁরাও ইজরায়েলের ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এর শিকার হন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়ি বা গাড়িতে থাকাকালীন ক্ষেপণাস্ত্র বা বোমায় নিশানা করা হয়েছে তাঁদের। সেই আক্রমণ এতটাই নিখুঁত ছিল যে আশপাশের কোনও কিছু সে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

    আচমকা ভ্যানিশ হয়ে যান ক্যাথরিন…

    এর পরেই নড়েচড়ে বসে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মিনিস্ট্রি অফ ইন্টেলিজেন্স অফ দ্য ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান’। বুঝতে অসুবিধে হয় না যে, সর্ষের মধ্যেই ভূত লুকিয়ে। বিভিন্ন ছবি খতিয়ে দেখে ক্যাথরিনকে (Catherine Perez-Shakdam) চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ক্যাথরিন ততদিনে ভ্যানিশ। ক্যাথরিন সম্পূর্ণরূপে নিখোঁজ। ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা তার পোস্টার এবং ছবি সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। তন্নতন্ন করে খুঁজেও আজও তাঁর কোনও নাগাল পাননি ইরানের গুপ্তচররা । কারও মতে, ক্যাথরিন তাঁর পরিচয় পরিবর্তন করেছে এবং এখন অন্য দেশে বাস করছেন। কিন্তু কোথায় তিনি? কেউ জানে না। তাঁর কোন চিহ্ন নেই, যেন হাওয়ায় মিশে গিয়েছেন। শুধু রয়ে গিয়েছে ক্যাথরিন পেরেজ শাকদাম নামটা। ইজরায়েলি ইতিহাসের সবচেয়ে সাহসী গুপ্তচরদের (Mossad Spy) একজন, যিনি ইরানকে হতবাক করেছেন এবং বিশ্বকে হতবাক করেছেন।

  • High Blood Pressure: শুধু নুন নয়, এই চার খাবারেও লুকিয়ে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপের বিপদ!

    High Blood Pressure: শুধু নুন নয়, এই চার খাবারেও লুকিয়ে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপের বিপদ!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপে (High Blood Pressure) আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই সমস্যা বাড়ছে। ভারতীয় পুরুষদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয়দের মধ্যে অতিরিক্ত নুন খাওয়ার প্রবণতা আছে। আর তাতেই বাড়তি বিপদ তৈরি হচ্ছে। তবে, নুন খাওয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আরও চারটি খাবার বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, নুন খাওয়ায় লাগাম টানার পাশাপাশি আরও চার ধরনের খাবারে (Foods to Avoid) লাগাম দেওয়া জরুরি। তবেই উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমবে।

    কোন চারটি খাবার বাড়তি বিপদ তৈরি করছে?

    নিয়মিত চিজ খাওয়া!

    সকালের জলখাবারে অনেকেই অমলেটের সঙ্গে কিংবা স্যান্ডুইচের মধ্যে চিজ দিয়ে খেতে পছন্দ করেন। আবার পাস্তা, পিৎজা, বার্গারের মতো মন-পসন্দ খাবারে তো অবশ্যই থাকে অতিরিক্ত পরিমাণ চিজ। আর এই চিজ বিপদ বাড়াচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছে সাম্প্রতিক তথ‌্য। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১০০ গ্রাম চিজের মধ্যে ৬২১ মিলিগ্রাম নুন থাকে। নিয়মিত পাউরুটি, রুটি কিংবা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে চিজ খেলে রক্তে অতিরিক্ত পরিমাণ সোডিয়াম মিশতে থাকে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় না। উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই চিজ খেলে বাড়বে রক্তচাপ। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নুনের পাশপাশি চিজ খাওয়ায় রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    প্রক্রিয়াজাত খাবারে বাড়ছে বিপদ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে বিভ্রান্তি বাড়ছে। অনেকেই শুধু বিরিয়ানি, পিৎজা হটডগ‌ কিংবা বার্গারকেই অস্বাস্থ্যকর খাবার ভাবেন। কিন্তু এই খাবারের পাশাপাশি আরও একাধিক খাবার আছে, যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত খাবার দীর্ঘদিন তাজা রাখার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণ রাসায়নিক মেশানো হয়, সেই সব খাবার অস্বাস্থ্যকর। সবুজ সতেজ সব্জি, টাটকা মাছ, মাংস পরিমিত তেল মশলায় রান্না করলে তবেই তা স্বাস্থ্যকর হয়‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জলখাবারে সপ্তাহে অন্তত একাধিকবার সসেজ, হ্যাম, সালামির মতো নানান দেশি-বিদেশি মাংসের পদ খান। অনেকেই মনে করেন, এই ধরনের পদ স্বাস্থ্যকর। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই খাবার একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। এই খাবার প্রক্রিয়াজাত। এগুলোতে রক্তে (High Blood Pressure) অতিরিক্ত সোডিয়াম মেশে। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এই খাবারগুলো হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকারক।

    নরম পানীয় বিপজ্জনক!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নোনতা জাতীয় খাবারের পাশপাশি পানীয়তেও বিপদ বাড়তে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যাকেটজাত নরম পানীয় অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এতে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। প্যাকেটজাত ফলের রস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যাকেটজাত ফলের রসে থাকে অতিরিক্ত চিনি। এই মাত্রাতিরিক্ত শর্করা শরীরে রক্তচাপ ওঠানামা অনিয়ন্ত্রিত করে তোলে। আবার অতিরিক্ত কফি খেলেও উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) ঝুঁকি বাড়তে পারে।

    রান্নায় সস ব্যবহারে নজর জরুরি!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রান্নায় নানান ধরনের মশলা এবং সস ব্যবহারের রেওয়াজ বাড়ছে। আধুনিক নানান রান্নায় সস ব্যবহারের রেওয়াজ বাড়ছে‌। তাই সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। সোয়া সস, টমেটো কেচাপ, বার্বিকিউ সস এবং নানান ধরনের প্যাকেটজাত মশলা নিয়মিত রান্নায় ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নজরদারি জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) অন্যতম কারণ এই ধরনের প্যাকেটজাত সস নিয়মিত রান্নায় ব্যবহার। এতে শরীরের পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত তাজা ফল ও সব্জি খাওয়া জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত কলা, আপেল, বেদানা এবং লেবু জাতীয় ফল খেলে শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশপাশি মোচা, ডুমুর, পটল, পালং শাকের মতো সব্জি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের তাজা ফল ও সব্জি নিয়মিত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Delhi News: দিল্লিতে ২ সাংবাদিকের ওপর হামলা চালাল মৌলবাদীরা, ছিনতাই করা হল টাকা-মোবাইল

    Delhi News: দিল্লিতে ২ সাংবাদিকের ওপর হামলা চালাল মৌলবাদীরা, ছিনতাই করা হল টাকা-মোবাইল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi News) সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ। একদল মৌলবাদী এই হামলা চালিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জানা গেছে, গত ৪ জুলাই সাংবাদিক সুপ্রিয়া পাঠক এবং তাঁর ক্যামেরাম্যান স্যামের উপর হামলা চালায় একটি দল। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির সীমাপুরি থানা এলাকার বেঙ্গলি মার্কেট অঞ্চলে। অভিযোগ, সেখানে সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছিল। এই বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়েছিলেন (Journalist) সুপ্রিয়া ও স্যাম। সেই সময়েই তাঁদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ চালানো হয়।

    জিনিসপত্র লুটও করে তারা (Delhi News)

    ঘটনার ফলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। আহত সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, আচমকাই বেশ কয়েকজন বোরখা পরা মহিলা এবং কিছু অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর তাঁদের উপর নির্মমভাবে হামলা চালায়। তাঁদের ক্যামেরা, মোবাইল, মাইক, নগদ টাকা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার (Delhi News) হয়নি। সোমবার সন্ধ্যাবেলায় দুই সাংবাদিক বেঙ্গলি বস্তির কাছাকাছি যান। দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় সরকারি জমি দখল, অনুপ্রবেশকারী এবং বেআইনি নির্মাণ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ছিল। অভিযোগ, সেই এলাকায় বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের বসবাস রয়েছে।

    ২০০ জনের দল হামলা চালায়

    প্রথমে প্রায় ২০-৩০ জনের একটি দল সাংবাদিকদের (Journalist) বাধা দেয়। এরপর সেই সংখ্যা দ্রুত বেড়ে প্রায় ২০০ জনে পৌঁছায়। তাদের হাতে ছিল লাঠি ও অন্যান্য অস্ত্র। তারা লাথি, ঘুষি, চড়-থাপ্পড়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের উপর হিংস্র আক্রমণ চালায়। সুপ্রিয়া পাঠকের উপর বিশেষভাবে চড়াও হয় তারা এবং তাঁর মোবাইল, ক্যামেরা, মাইকসহ যাবতীয় সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেয়। সাংবাদিকরা একটি বাসে উঠতে (Delhi News) চাইলেও হামলা থেমে থাকেনি। হামলাকারীরা বাসের জানলা ভেঙে ফেলে এবং বাসের মধ্যেও তাদের উপর হামলা চালাতে থাকে। অভিযোগ, বাসমালিক সাংবাদিকদের (Journalist) সাহায্য না করে উলটে তাঁদের জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেন। এই ঘটনার একাধিক ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনার জেরে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

  • CBI: শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর! আদালতের নির্দেশে তিন বিজেপি কর্মীর খুনের তদন্তভার নিল সিবিআই

    CBI: শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর! আদালতের নির্দেশে তিন বিজেপি কর্মীর খুনের তদন্তভার নিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ঘটে যাওয়া হিংসাত্মক ঘটনার তদন্তভার শেষমেশ গ্রহণ করল সিবিআই। ওই ঘটনায় তিন বিজেপি কর্মীর খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে তৃণমূল দুষ্কৃতী শাহজাহান শেখের নাম। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই (CBI)। শনিবার এই তথ্য সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।

    ৩০ জুন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ

    গত ৩০ জুন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে, সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করবে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআইকে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠনের নির্দেশও দেন। ওই তিন বিজেপি কর্মী—প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল। ২০১৯ সালের ৮ জুন এঁরা খুন হন বলে অভিযোগ।

    শাহজাহানের বাড়িতে ইডি

    প্রাথমিক চার্জশিটে শাহজাহান শেখের নাম থাকলেও, পরবর্তী সময়ে সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ (CBI) করলে তাঁর নাম বাদ পড়ে বলে দাবি নিহতদের পরিবারের। নিহতদের পরিবারগুলোর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া হয় । উল্লেখ্য, ২০২২ সালে আরেকটি খুনের মামলার চার্জশিটেও শাহজাহানের নাম ছিল, কিন্তু পরে তিনি জামিন পান।
    ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে (CBI) রেশন দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চালাতে গিয়ে শাহজাহানের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আধিকারিক ও আধাসেনা জওয়ানরা ‘আক্রান্ত’ হন বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির আন্দোলন

    এই ঘটনার কিছুদিন পর থেকেই সন্দেশখালির বহু বাসিন্দা শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সরব হতে থাকেন। অভিযোগ ওঠে, স্থানীয়দের কৃষিজমি জোর করে দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করা হয়েছে, সেই ভেড়ির লিজের টাকা প্রাপ্যদের দেওয়া হয়নি, এবং একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁরা জড়িত। এছাড়াও, এলাকায় মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায় (CBI)। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকায় বিজেপি-সহ একাধিক বিরোধী দল রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে অংশ নেয়। এই চাপের মুখেই তৃণমূল কংগ্রেস শাহজাহান শেখকে দল থেকে সাসপেন্ড করে।

  • Amit Shah: ফৌজদারি ক্ষেত্রে নয়া আইন, দেশের বিচার ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সংস্কার, জানালেন শাহ

    Amit Shah: ফৌজদারি ক্ষেত্রে নয়া আইন, দেশের বিচার ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সংস্কার, জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় আনা সবচেয়ে বড় সংস্কার হিসেবে নতুন তিনটি ফৌজদারি আইনের প্রশংসা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) মঙ্গলবার বলেছেন, দেশজুড়ে এই নতুন আইনগুলি পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার পর, এফআইআর দায়েরের তিন বছরের মধ্যেই বিচার নিষ্পত্তি সম্ভব হবে। নতুন তিনটি আইন—ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS), ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (BNSS) এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন (BSA)—২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। এই আইন তিনটি যথাক্রমে ঔপনিবেশিক যুগের ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC), ফৌজদারি কার্যবিধি (CrPC) এবং ১৮৭২ সালের ভারতীয় সাক্ষ্য আইনকে প্রতিস্থাপন করেছে।

    তিন বছরের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হবে এবার জানালেন শাহ (Amit Shah)

    দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “এই তিনটি আইন এক ধরনের রূপান্তর আনতে চলেছে আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায়। এতদিন এই ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল বিচারপ্রক্রিয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা না থাকা। আমি ভারতের প্রতিটি নাগরিককে (New Criminal Law) আশ্বস্ত করতে চাই যে, আগামী তিন বছরের মধ্যে নতুন আইনগুলির পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে এবং তারপরে, কোনও এফআইআর দায়ের হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে তার বিচার নিষ্পত্তি হবে—এটি নিশ্চিত করা হবে।”

    ভারত মণ্ডপমে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    রাজধানীর ভারত মণ্ডপমে (Amit Shah) ভাষণ দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “এই সংস্কার প্রতিটি নাগরিকের অধিকারকে আরও সুদৃঢ় করে তোলে। এটি তাঁদের নিরাপত্তার সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ, সময়োপযোগী এবং সহজলভ্য করে তোলাই এই সংস্কারের মূল লক্ষ্য। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে এটাই দেশের সবচেয়ে বড় আইনি সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হবে।” তিনি আরও জানান, এই আইনগুলির প্রণয়নের (New Criminal Law) পেছনে ছিল বিস্তৃত পরামর্শ, বহু বিশেষজ্ঞের মতামত ।

  • Indore: মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে লাভ জেহাদের অভিযোগ, পলাতক নেতার মাথার দাম ১০ হাজার

    Indore: মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে লাভ জেহাদের অভিযোগ, পলাতক নেতার মাথার দাম ১০ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা প্রলোভনে হিন্দু মহিলাদের (Hindu Girls) ফাঁদে ফেলে তাঁদের ‘লাভ জিহাদ’-এর শিকার বানানোর অভিযোগ উঠেছে মধ্যপ্রদেশের এক কংগ্রেস কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে ওই কংগ্রেস কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস কাউন্সিলরের নাম আনোয়ার কাদরী। ইতিমধ্যেই তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর মাথার দাম মধ্যপ্রদেশ (Indore) প্রশাসন ১০,০০০ টাকা ঘোষণা করেছে। তাঁকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

    কী বলছেন মধ্যপ্রদেশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ?

    এ নিয়ে মধ্যপ্রদেশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ রাজেশ দন্দিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনায় আনোয়ার কাদরী অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার (Indore) অভিযোগে ওয়ান্টেড ঘোষণা করা হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতারের জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।

    স্থানীয়ভাবে ‘আনোয়ার ডাকাত’ নামে পরিচিত কাদরি (Hindu Girls)

    প্রসঙ্গত, কংগ্রেস কাউন্সিলর আনোয়ার কাদরী একাধিক অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত — এজন্য তাঁকে ‘আনোয়ার ডাকাত’ নামেও ডাকা হয়। ‘লাভ-জিহাদ’ অভিযানে অর্থায়ন এবং একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার নাম (Indore) আসার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন আনোয়ার। উল্লেখযোগ্যভাবে, আনোয়ার কাদরী তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাহিল শেখ এবং আলতাফ খানকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রদান করেছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, এই অর্থ মূলত ব্যবহৃত হত হিন্দু সম্প্রদায়ের তরুণী ও মহিলাদের নানা প্রলোভনের মাধ্যমে ফাঁদে ফেলার কাজে। সাহিল এবং আলতাফ ওই অর্থের সাহায্যে পরিকল্পিতভাবে মহিলাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলতেন এবং পরবর্তীতে তাদের বিয়ে করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করতেন বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, লাভ জিহাদের মূল উদ্দেশ্য হল, ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নারীদের টার্গেট করা। এই কার্যকলাপের পেছনে আনোয়ার কাদরীর প্রত্যক্ষ অর্থায়ন ও মদত ছিল বলেই তদন্তকারীদের ধারণা।

  • Defence Purchase: ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের! ১ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক কেনাকাটায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের, কী কী থাকছে?

    Defence Purchase: ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের! ১ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক কেনাকাটায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের, কী কী থাকছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনার ক্ষমতা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বের। আত্মনির্ভর ভারতের ক্ষমতা তাক লাগিয়ে গিয়েছে প্রথম বিশ্বের দেশগুলিকে। এবার আরও শক্তি বাড়তে চলেছে। এবার সেনাকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন করে আরও অস্ত্র কেনার (Defence Purchase) জন্য তৎপরতা শুরু করল কেন্দ্র। শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের (Defence Acquisition Council) দেশীয় উৎস থেকে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ১০টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যা অপারেশন সিঁদুরের পর সামরিক বাহিনীর জন্য তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।

    কী কী থাকছে কেনাকাটার (Defence Purchase) তালিকায়?

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ডিএসি-র (DAC) বৈঠকে যে যে সামরিক সরঞ্জামের কেনার বিষয়ে ছাড়পত্র মিলেছে, তাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাথায় রেখে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখাকেই (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামরিক কেনাকাটার (Defence Purchase) তালিকায় অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে, ‘ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র’, সাঁজোয়া গাড়ি (আর্মার্ড রিকভারি ভেহিকল্‌) এবং অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিন যুদ্ধব্যবস্থার (ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার) উপকরণ। নৌসেনার জন্য আকাশহানা প্রতিরোধী ‘সুপার র‌্যাপিড গান’, মাইন চিহ্নিতকারী জাহাজ এবং উচ্চ গতিসম্পন্ন ‘সাব-মার্সিবল অটোনোমাস ভেসেল’ রয়েছে এই তালিকায় (Defence Purchase)। দেশেই হবে ১২টি মাইন কাউন্টার মেজার ভেসেল (MCMVs) নির্মাণ। এই জল সুরক্ষা যান তৈরির বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৪৪,০০০ কোটি টাকা। এই ৯০০-১,০০০ টনের বিশেষ যুদ্ধজাহাজগুলি জলের নিচে মাইন নিস্ক্রিয় করতে কার্যকরী, যুদ্ধের সময় বন্দর বা জলপথ অবরোধ করা প্রতিহত করতেও কাজে লাগবে।

    ১০,০০০ কোটি টাকায় তিনটি গুপ্তচর বিমান

    আবার বায়ুসেনার জন্য কেনা হবে (Defence Purchase) বিশেষ গুপ্তচর বিমান। ১০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেলিয়ান্স, টার্গেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রিকনেসেন্স (ISTAR) বিমান। ৩৬,০০০ কোটি টাকার কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইল (QRSAM) কেনা হবে। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) এটি তৈরি করবে সেনাবাহিনীর তিনটি রেজিমেন্ট ও বিমানবাহিনীর তিনটি স্কোয়াড্রনের জন্য। এই মিসাইলগুলি অত্যন্ত দ্রুত শত্রুপক্ষের বিমান, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন ধ্বংস করতে পারে, ৩০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে যে কোনও শক্তিকে প্রতিহত করতে পারে।

  • Good Sleep: সন্ধ্যা ছ’টার পরেই নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা! কোন রোগ রুখতে এই পরামর্শ?

    Good Sleep: সন্ধ্যা ছ’টার পরেই নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা! কোন রোগ রুখতে এই পরামর্শ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নানান শারীরিক জটিলতা। আবার অনেক সময়েই ডায়াবেটিস (Diabetes), উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) মতো জটিল রোগ খুব কম বয়সেও হানা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জীবন যাপনে কিছু বদল একাধিক রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের (Healthy Lifestyle Tips) মধ্যেই দীর্ঘ সুস্থ জীবন যাপনের চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সূর্যাস্তের পরে কিছু অভ্যাস (Good Sleep) নিয়মিত করলে শরীরে রোগের ঝুঁকি কমে। তাই সন্ধ্যা ছ’টার পরে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কোন বাড়তি সতর্কতার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ ভাবে দীর্ঘ জীবনের জন্য সন্ধ্যার পরে খাদ্য ও পানীয়তে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাই তাঁদের পরামর্শ, সন্ধ্যা ছটার পরে কখনই একাধিকবার কফি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কফিতে থাকে ক্যাফিন। এই প্রাকৃতিক ক্যাফিন শরীরের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে। সাময়িকভাবে বাড়তি এনার্জির জোগান বলে মনে হলেও এই উপাদান শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ক্যাফিন অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে ঘুম কম (Good Sleep) হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলেই নানান হরমোন ঘটিত সমস্যা হতে পারে।

    কফিতে নিয়ন্ত্রণের পাশপাশি বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ সন্ধ্যা ছটার পরে অতিরিক্ত ভারি খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। বিশেষত চর্বিজাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন এবং অতিরিক্ত তেল ও মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের চর্বিযুক্ত খাবার সন্ধ্যার পরে খেলে অন্ত্রের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। রাতে খুব উচ্চস্বরে গান শোনার অভ্যাস বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। দীর্ঘসময় খুব উচ্চস্বরে গান-বাজনা চললে মস্তিষ্কের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। যার ফলে স্নায়ুর বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটে। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।

    সন্ধ্যার পরের বাড়তি সতর্কতা কোন রোগের ঝুঁকি কমাবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম (Good Sleep), একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায়। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নানান রোগের দাপট বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, অপর্যাপ্ত ঘুম। তাই সূর্যাস্তের পরে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। নির্দিষ্ট সময়ে যাতে ঘুম হয়। প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম হলে শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্ধ্যার পরে একাধিকবার কফি খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ করলে শরীরে স্নায়ু বাড়তি উত্তেজিত থাকবে না। বরং সারাদিনের পরিশ্রমের পরে ঠিকমতো বিশ্রাম (Good Sleep) পাবে।

    রাতের খাবারে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন লিভারের উপরেও বাড়তি চাপ তৈরি করে। আবার হজমের সমস্যাও দেখা দেয়। তাই রাতে নিয়মিত ভারী খাবার খেলে লিভারের রোগের (Liver Problem) ঝুঁকি বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত রাতে হালকা খাবার খেলে, সহজপাচ্য খাবার খেলে লিভারের রোগের ঝুঁকি কমানো যায়। আবার সহজেই হজমের গোলমাল এড়ানো‌ যায়। বারবার বমি, পেটের অসুখের মতো ভোগান্তিও কমে।

    মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাসের (Memory Loss) মতো সমস্যা এড়াতে সন্ধ্যা ছটার পরে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম (Good Sleep) হলেই মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কমবে। কারণ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকলে এবং স্নায়ুর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেলেই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় থাকে। পাশপাশি স্মৃতিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকিও কমে‌। তাই বয়স বাড়লে ডিমেনশিয়ার (Dementia) মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে পর্যাপ্ত ঘুমের (Good Sleep) দিকে নজরদারি জরুরি‌‌ (Healthy Lifestyle Tips) বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Rath Yatra 2025: আজ উল্টোরথ, তিনদিন মন্দিরে প্রবেশ করবেন না প্রভু জগন্নাথ! জানুন বিশেষ রীতি

    Rath Yatra 2025: আজ উল্টোরথ, তিনদিন মন্দিরে প্রবেশ করবেন না প্রভু জগন্নাথ! জানুন বিশেষ রীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার ৫ জুলাই, উল্টো রথের (Rath Yatra 2025) পুণ্য তিথি। আট দিন পর মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দির থেকে এবার ফেরার পালা (Lord Jagannath Homecoming) প্রভুর। আষাঢ় মাসের দশমী তিথিতে শ্রীক্ষেত্র জগন্নাথ ধামে ফিরে আসবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। গত ২৭ জুন তিন দেবদেবী মাসির বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন। আট দিন সেখানে কাটিয়ে আজ গুণ্ডিচা থেকে জগন্নাথধামের (Jagannath Dham) পথে তিন দেবদেবী। সেদিন ছিল রথযাত্রা। আজকের গন্তব্য ঠিক উল্টো। তাই ফেরাকে বলা হয় উল্টো রথযাত্রা। আজকের এই ফিরতি যাত্রার মধ্য দিয়েই সম্পন্ন হবে বার্ষিক রথযাত্রা উৎসব (Rath Yatra 2025)। তবে, সারা বিশ্ব এটিকে উল্টো রথ হিসেবে জানলেও, আসলে এর নাম ‘বহুদা যাত্রা’ (Bahuda Yatra)। মন্দিরের সামনে এসেও তিনদিন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। কিন্তু কেন? কেন তিনদিন নিজ গৃহে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করতে হবে প্রভুকে। এই তিনদিন কোথায় থাকবেন তাঁরা?

    তিন দিন প্রভুর অপেক্ষা

    কথিত আছে, মাসির বাড়ি থেকে ফিরে সহজে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মূল মন্দিরে (Jagannath Temple) প্রবেশের অনুমতি পান না। কারণ তাঁরা দেবীর লক্ষ্মীকে শ্রী মন্দিরে একা রেখেই মাসির বাড়িতে (Rath Yatra 2025) গিয়েছিলেন এবং আনন্দে মেতে ছিলেন। তাই অভিমানী দেবী সটান মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেন। সেই থেকে টানা তিন দিন দরজার সামনেই অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের। আর এই দিনগুলিতে হয় নানান ধরনের উৎসব।

    তিনদিন মহোৎসব (Bahuda Yatra)

    রীতি অনুযায়ী, মন্দিরের সামনে তিনদিন মহোৎসব পালন করা হয়। উল্টো রথের (Rath Yatra 2025) পরের দিন অর্থাৎ একাদশীতে ‘সুনা বেশে’ পুজো করা হয়। অর্থাৎ, সোনা দিয়ে সাজানো হয় তিন দেব-দেবীকে। তিন দেব-দেবী সোনার বেশভূষায় সজ্জিত হন রথেই। স্বর্ণালংকার পরিয়ে তাঁদের আরাধনা হয়। দ্বিতীয় দিন, দ্বাদশীতে পালন করা হয় ‘অধরপনা’ উৎসব। এই রীতি অনুযায়ী দ্বাদশীর দিন সন্ধ্যাবেলায় জগন্নাথ দেবকে সরবত খাওয়ানো হয়। তৃতীয় দিন হয় রসগোল্লা উৎসব বা ‘নীলাদ্রি ভেজ’। ত্রয়োদশীর দিন পালন করা হয় এই উৎসব। জগন্নাথ দেবকে কয়েকশো হাঁড়ি রসগোল্লা ও ৫৬ ভোগ নিবেদন করা হয়। এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় তিন দিনের সাজা। তৃতীয় দিনই মূলরত্ন বেদীতে তোলা হয় জগন্নাথ, বলরাম সুভদ্রাকে।

    ‘বহুদা যাত্রা’র মাহাত্ম্য

    পুরীর জগন্নাথ ধামের রথযাত্রা (Rath Yatra 2025) জগদ্বিখ্যাত। বলা বাহুল্য, রথযাত্রার মতো উল্টো রথেও সেখানে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। পুরীর এই উৎসবের অনেক মাহাত্ম্যও রয়েছে। সুভদ্রার (দর্পদলন) রথটি মাঝখানে, তার পরে পশ্চিমে বলভদ্রের (তালধ্বজ) রথ এবং সবশেষে পূর্বে জগন্নাথের (নন্দীঘোষ) রথ। অর্থাৎ, মাঝখানে সুভদ্রা, ডানে জগন্নাথ এবং বামদিকে বলভদ্র। উল্টো রথযাত্রার (Bahuda Yatra) সময় প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার রথগুলি মৌসিমা মন্দিরে থামে। ভগবান জগন্নাথের মাসিকে উৎসর্গ করা মৌসিমা মন্দিরে তিন দেবতাকে ‘পোদা পিঠা’ পরিবেশন করা হয়, যা ভাত, নারকেল, মসুর এবং গুড় সমন্বিত একটি অনন্য সুস্বাদু খাবার। এর পরে, জগন্নাথের রথ গজপতির প্রাসাদের সামনে লক্ষীনারায়ণ ভেতা বা লক্ষ্মীর সমাবেশের জন্য থামে। তারপর রথ টানা হয় এবং তার চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছায়।

    পুরাণ মতে…

    কথিত রয়েছে, মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্নর আমলে জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি তৈরি হয়। সেই সময়েই রথযাত্রাও চালু হয়। আবার অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন, রথযাত্রার ইতিহাস আলাদা। ১০৭৮ সালে তৈরি হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) । ১১৭৪ সালে মেরামতি করানোর হয়। তার পরেই নাকি তা বর্তমান জগন্নাথ মন্দিরের চেহারা নেয়। তখন শুরু হয় রথযাত্রা। কপিলা সংহিতা, ব্রহ্ম পুরাণ, পদ্ম পুরাণ ও স্কন্দ পুরাণে রথযাত্রা সম্পর্কে পাওয়া যায় তথ্য। ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ বলছে, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত। সমুদ্রে ভেসে আসা কাঠের খণ্ড দিয়ে তিনি দেবমূর্তি নির্মাণে আদেশ পান। আরও এক সূত্র বলে, তিনি বিষ্ণু মন্দির গড়ার স্বপ্নাদেশ পান। তবে এই মন্দির গড়া নিয়ে ছিল না ধারণা। আদেশ ছিল মূর্তি গড়ার সময়ে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না মন্দিরে। মূর্তি গড়ছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা।

  • Good Mood: মেজাজ খিটখিটে! রাগ বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই মিলবে সমাধান

    Good Mood: মেজাজ খিটখিটে! রাগ বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই মিলবে সমাধান

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিনভর একাধিক কাজের চাপ (Work Pressure)। ঘরের দায়িত্বের পাশপাশি কর্মজীবনেও নানান জটিলতা। সবমিলিয়ে অনেক সময়েই মানসিক চাপ (Mental Stress) বাড়ছে। যার ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। রাগ বাড়ছে‌। কাজের জায়গার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে। যার ফলে জটিলতা আরও বাড়ছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মন ভালো (Good Mood) না থাকলে, অতিরিক্ত রাগ (Anger Attacks) বা বিরক্তি তৈরি হলে শরীরের উপরে গভীর প্রভাব পড়ে। উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ুর সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই মেজাজ ভালো (Good Mood) রাখা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু উপাদানই বাজিমাত করবে‌।

    মেজাজ ভালো রাখার ঘরোয়া উপাদান কী?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেজাজ ভালো রাখার এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ (Keeping Calm) করার দাওয়াই খাবারেই লুকিয়ে রয়েছে। ঠিকমতো খাবার শরীরে পৌঁছলে অনেক সময়েই এই অতিরিক্ত বিরক্তিভাব এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবার শুধুই পেট ভরায় না। খাবারের সঙ্গে শরীরের নানান হরমোন এবং একাধিক উপাদানের সম্পর্ক রয়েছে। যা মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাই কয়েকটি খাবার নিয়মিত খেলেই মন শান্ত (Good Mood) রাখা সহজ হবে।

    সকালের প্রাতঃরাশ ভারি হওয়া জরুরি!

    বাড়ি থেকে কাজে বেরোনোর আগে প্রাতঃরাশ জরুরি। আর সেটা অবশ্যই ভারি প্রাতঃরাশ হতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাজের তাড়া থাকায় অনেকেই খুব হালকা সামান্য খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়েন। আর সারাদিনের কাজের উপরে এর গভীর প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সকালের প্রাতঃরাশ প্রোটিন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। একসঙ্গে প্রোটিন-ভিটামিন-কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেলে, তা ধীরে ধীরে হজম হয়। পেট দীর্ঘসময় ভর্তি থাকে। শরীরে রক্তচাপ এবং শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ থাকে। ফলে মেজাজ ভালো থাকে। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, প্রাতঃরাশের মেনুতে রুটি কিংবা স্যান্ডউইচের সঙ্গে সব্জি থাকা জরুরি। এতে শরীরে কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন পৌঁছবে। তার সঙ্গে অবশ্যই সোয়াবিন, পনীর কিংবা ডিমের মতো প্রোটিন জাতীয় একটি পদ থাকা দরকার। তাহলে শরীর পর্যাপ্ত এনার্জি পাবে। এতে বিরক্তিভাব কমবে। মন শান্ত থাকবে।

    দিনভর সঙ্গী হোক বাদাম ও বীজ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। স্নায়ু সক্রিয় থাকলে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়লে বিরক্তিভাব কমে। মেজাজ খিটখিটে হয় না। তাই সকালে ভারি খাবার খেয়ে বেরনোর সময় সঙ্গী হোক বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার। অর্থাৎ দিনের যেকোনও সময় কিছুটা বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার খেলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তা যেকোনও ধরনের বাদামের পাশপাশি সূর্যমুখীর বীজ, তিল কিংবা কুমড়োর বীজ খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। যা মেজাজ ভালো (Good Mood) রাখতে সাহায্য করে।

    আপেল, বেদানার মতো ফল নিয়মিত থাকুক!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর খাবার মন ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেল, বেদানা, কিউই জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। রাগ কমে।

    প্রোটিন মন শান্ত করতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের এনার্জির সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের ওতোপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। তাই শরীর সুস্থ থাকলে, এনার্জিতে ভরপুর থাকলে রাগ ও বিরক্তি কম (Keeping Calm) হয়। না হলেই মেজাজ হারানোর ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত মেনুতে প্রোটিন জাতীয় খাবার জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডিম, মাছ কিংবা মাংসের মতো পদ মেনুতে থাকলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হবে না। এর প্রভাব মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও পড়বে। বিরক্তিভাব কমবে।

    তুলসী পাতা দেওয়া চা বাড়তি উপকারি!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মন ভালো (Good Mood) রাখতে দিনে অন্তত একবার তুলসী পাতা দেওয়া চা খাওয়া উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতা দেওয়া চা খেলে শরীরে কোর্টিসোল হরমোনের মাত্রা বজায় থাকে। এর ফলে মানসিক চাপ কমে। তাই নিয়মিত অন্তত একবার তুলসী পাতা দেওয়া চা খেলে শরীর ও মন সুস্থ থাকবে। কারণ, তুলসী পাতা শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। নানান সংক্রামক রোগের ঝুঁকিও কমায়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share