Tag: মাধ্যম

  • Atal Bihari Vajpayee: ১৬ অগাস্ট অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবস, শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

    Atal Bihari Vajpayee: ১৬ অগাস্ট অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবস, শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ অগাস্ট প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবস (Atal Bihari Vajpayee)। এই দিনেই তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দিল্লিতে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে নির্মিত স্মৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন এবং এ নিয়ে তিনি এক্স-এ একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “সমগ্র দেশবাসীর তরফ থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীজিকে (Atal Bihari Vajpayee) তাঁর পুণ্যতিথিতে নমস্কার জানাচ্ছি। দেশের সর্বাঙ্গীন বিকাশের জন্য তাঁর সমর্পণ, সেবাভাব ও বিকশিত এবং আত্মনির্ভর ভারতের নির্মাণে তাঁর অবদান আজও সকলকে প্রেরণা জোগায়।”

    শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু

    এদিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং অন্যান্য সিনিয়র কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও ‘সদৈব অটল’ — যা কিনা অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) সমাধিস্থল — সেখানে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্ম হয়েছিল ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর

    অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) জন্ম হয়েছিল ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর। তিনি ছিলেন ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রদ্ধেয় ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। তাঁর বাগ্মিতা, রাষ্ট্রদৃষ্টিভঙ্গি, দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের জন্য আজও তিনি দেশবাসীর হৃদয়ে অটল।

    প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৯৬ সালে

    তিনি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৯৬ সালে, যদিও সে দায়িত্ব ছিল স্বল্পকালীন। এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর আমলেই ১৯৯৮ সালে পোখরানে ভারত সফলভাবে পরমাণু পরীক্ষা করে। তিনিই ছিলেন সেই ব্যক্তি যিনি ভারতবর্ষকে সড়কপথে যুক্ত করার লক্ষ্যে ‘সোনালী চতুর্ভুজ’ প্রকল্প চালু করেন। দেশের প্রতি তাঁর এই অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে ২০১৫ সালে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’-এ ভূষিত করা হয়। ২০১৮ সালের ১৬ অগাস্ট অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee) প্রয়াত হন।

  • Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে কেন পালন করা হয় ‘দহি হান্ডি’ উৎসব? কী এর তাৎপর্য?

    Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে কেন পালন করা হয় ‘দহি হান্ডি’ উৎসব? কী এর তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে ভাদ্র মাসে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীতে পালিত হয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2025)। সারা ভারত জুড়ে উত্সাহের সঙ্গে পালিত হয় এই উৎসব। কৃষ্ণ হলেন ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। এই বছর জন্মাষ্টমী পালিত হবে সোমবার, ২৬ অগাস্ট। দহি হান্ডি উতসব পালিত হবে মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট। জন্মাষ্টমীর সঙ্গে যুক্ত অনেক রীতিনীতির মধ্যে একটি হল দহি হান্ডি (Dahi Handi Festival) উৎসব। গুজরাট, মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে পালিত হয় এই উৎসব। আসুন জেনে নিই এই উৎসবের তাৎপর্য।

    কৃষ্ণের তরুণ বয়সের প্রতীক

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) দহি হান্ডি (Dahi Handi Festival) উৎসব হল কৃষ্ণের তরুণ বয়সের প্রতীক। হাঁড়িতে দই রেখে সেই হাঁড়ি ভাঙা। সংক্ষেপে এমন উৎসবের নামই হল দহি-হান্ডি উৎসব। এই উপলক্ষে একরকম প্রতিযোগিতাও চলে। যারা অংশ গ্রহণ করে, তারা মজার ছলে কৌতুকপূর্ণ এবং দুষ্টু প্রকৃতির ভাবনাগুলিকে ফুটিয়ে তোলে। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, কৃষ্ণ মাখন বেশ পছন্দ করতেন, প্রায়শই কৃষ্ণ গোকুলের গ্রামবাসীদের বাড়ি থেকে মাখন চুরি করতেন। মাখনের প্রতি ভালবাসা এতটাই তীব্র যে, বন্ধুদের সঙ্গে মিলে মানুষের পিরামিড তৈরি করতেন। একটি মাটির পাত্রে অর্থৎ হান্ডিতে মাখন এবং দই রেখে উঁচু থেকে ঝুলিয়ে রাখা হতো। এরপর মানুষের পিরামিড বেয়ে উঠে হান্ডি ভাঙা হয়। এই খেলা বেশ জনপ্রিয় ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যুগের পরিবর্তনে, মাখন চুরির কৌতুকপূর্ণ খেলাটি মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং ভারতের অন্যান্য অংশে অত্যন্ত উত্সাহের সঙ্গে পালিত হয়। এই উৎসবে হাজার হাজার কৃষ্ণভক্ত যোগদান করে থাকেন।

    দহি হান্ডির তাৎপর্য

    দহি হান্ডি (Janmashtami 2025) উদযাপনের গভীর প্রতীকী অর্থ রয়েছে। হান্ডি ভাঙার অর্থ হল মন্দের উপর ভালোর জয়কে চিহ্নিত করা। সামাজিক রীতিনীতির অনমনীয়তার উপর কৃষ্ণের ঐশ্বরিক বিজয়কে কৌতুকের সঙ্গে প্রতিধ্বনিত করা। এই উত্সবে মানুষের দলগত কাজ, ঐক্য এবং সাহসের মূল্যবোধের উপরও জোর দেওয়া হয়। কারণ যুবকদের দল, কৃষ্ণের নাম গোবিন্দ নামে পরিচিত হয়। মাটির পাত্র ভাঙার জন্য মানব পিরামিডের নির্মাণ করা হয়।

    দল এবং একতা

    শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে (Janmashtami 2025) দহি হান্ডির ঐতিহ্যের মধ্যে সহযোগিতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্বকে বিশেষ ভাবে প্রদর্শন করা হয়। গোবিন্দরা অর্থাৎ স্থানীয় যারা যোগদান করে, তারা একত্রে কাজ করে একটি সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টা করে থাকে। এই সবটাই একতার মধ্যে থাকা শক্তির প্রতীক। সাহস ও অধ্যবসায় ছাড়া উঁচুতে রাখা মাটির পাত্র ভাঙা সহজ কাজ নয়। পিরামিডগুলি বেশ লম্বা হতে পারে এবং কাজটির জন্য প্রচুর শারীরিক শক্তি, ভারসাম্য এবং সংকল্পের প্রয়োজন হয়। ফলে সাহস এবং অধ্যবসার মাধ্যমে কীভাবে প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে শক্তি সঞ্চয় করা যায়, সেটাই প্রমাণ করা হয় এই খেলায়। কৃষ্ণ স্বয়ং সমস্যা থেকে জয় পেতে শক্তির প্রতীক ছিলেন।

    আধ্যাত্মিক তাৎপর্য

    এই উৎসবের গভীরে রয়েছে আধ্যাত্মিক উচ্চতার রূপক। হান্ডি অহংকে প্রতিনিধিত্ব করে, যা ভাঙা কঠিন। তাই ভাঙার স্তরে পৌঁছানোর জন্য গোবিন্দকে আত্ম-উপলব্ধির মধ্যে দিয়ে মানব মনকে যাত্রা করাতে হয়। আবার মাটির পাত্রের মধ্যে থাকা দই ঐশ্বরিক আনন্দের মাধুর্যকে নির্দেশ করে, যা একজন ব্যক্তি অহং-কে ভেঙে দেয়। ফলে নিজের আত্মাকে উপলব্ধি করা এবং পরিচালনার জন্য মনকে অনুভব করা প্রয়োজন।

    আধুনিক সময়ে কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী

    সমসাময়িক সময়ে, দহি হান্ডি (Janmashtami 2025) একটি উৎসবমুখর পরিবেশে একটি প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়ায় পরিণত হয়েছে। অনেক রাজ্যে দহি হান্ডি প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়ে থাকে। যেখানে গোবিন্দদের দল সর্বোচ্চ পিরামিড গঠনের জন্য প্রতিযোগিতা করে এবং বিজয় সুনিশ্চিত করে পুরস্কার অর্জন করে থাকে। প্রতিযোগিতাটি সঙ্গীত, নৃত্য এবং “গোবিন্দ আলা রে” গানের সাথে একটি প্রাণবন্ত আনন্দময় পরিবেশ তৈরি করে থাকে। ভক্তরাও দারুণ উপভোগ করে থাকেন। জন্মাষ্টমীর ধর্মীয় উৎসব এখন একটি সামাজিক মাত্রাও অর্জন করেছে। আয়োজকদের দেওয়া পুরস্কারের অর্থ প্রায়ই জনকল্যাণ প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী এবং দহি হান্ডি প্রথা শুধু ধর্মীয় উৎসব (Dahi Handi Festival) নয়, তার থেকেও চেয়েও বেশি পরিমাণে সামজিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। মানুষের জীবন, আনন্দ এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রবহমান ধারাকে নিশ্চিত করে।

  • Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে গোপালকে কেন নিবেদন করা হয় ৫৬ ভোগ? জানুন পৌরাণিক কাহিনি

    Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে গোপালকে কেন নিবেদন করা হয় ৫৬ ভোগ? জানুন পৌরাণিক কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশজুড়ি পালিত হচ্ছে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মর্ত্যে আবির্ভুত হয়েছিলেন শ্রী কৃষ্ণ। যে কারণে, দেশের প্রতিটি কৃষ্ণ মন্দির সেজে ওঠে এই দিন। ঘরে ঘরে আরাধনা করা হয় যশোদা-কা নন্দলালার। “হরে-কৃষ্ণ নাম”-এ মেতে ওঠে নবদ্বীপ থেকে মায়াপুর, মথুরা-বৃন্দাবন। লুচি, মালপোয়া, মোহনভোগ, তালের বড়া, তাল ক্ষীর সাজিয়ে শ্রী কৃষ্ণের প্রার্থনায় মেতে ওঠেন আট থেকে আশি। গোপালকে নিবেদন করা হয় মাখন, মিছরি, ননী-ক্ষীর-সহ ছাপান্ন ভোগ (Krishna Janmashtami 56 Bhog)।

    জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণের আরাধনা

    দ্বাপর যুগে মর্ত্যে আবির্ভাব ঘটে বিষ্ণুর অষ্টম (Janmashtami 2025) অবতার শ্রী কৃষ্ণের। সনাতন ধর্মে, পাপভার থেকে পৃথিবীকে মুক্তি দিতে ও সাধু-সন্ন্যাসীদের পরিত্রাণের জন্য মর্ত্যে আর্বিভূত হয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। ভাদ্রমাসের রোহিনী নক্ষত্র অবস্থিত অষ্টমী তিথিকে শ্রীকৃষ্ণের আর্বিভাব তিথি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি জন্মাষ্টমী হিসেবে পরিচিত। এদিন ধুমধাম করে সারা দেশে কৃষ্ণ পুজো করা হয়ে থাকে। শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রাধা, বলরাম ও সুভদ্রার পুজোও করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরায়। তবে তিনি বেড়ে ওঠেন গোকুলে। সেজন্য মথুরা ও বৃন্দাবনে এই উত্‍সব সবচেয়ে বড় করে হয়।

    কেন ছাপান্ন ভোগ?

    জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপালকে ৫৬ ভোগ (Krishna Janmashtami 56 Bhog) দেওয়া হয়। জন্মাষ্টমীতে গোপালকে ৫৬ ভোগ অর্পণ করে তাঁর প্রসাদ গ্রহণ করা অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। ৫৬ ভোগে ভগবান কৃষ্ণ প্রসন্ন হন ও ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ করেন, এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। ৫৬ রকমের ভোগ অর্পণ করা হয় গোপালকে। ভাত, ডাল, লুচি থেকে তালের বড়া, ক্ষীর, মালপোয়া, লস্যি কী থাকে না! আর মাখন, মিছরি ছাড়া তো গোপালের ভোগই অসম্পূর্ণ।

    পৌরাণিক কাহিনি

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) দিন বালগোপালকে ৫৬ রকম পদ সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। হিন্দুশাস্ত্র মতে, দেব-দেবীদের পুজোর সময় সাধারণ বিজোড় সংখ্যায় নৈবেদ্য সাজানো হয়ে থাকে। কিন্তু কৃষ্ণকে দেওয়া ৫৬ ভোগ (Krishna Janmashtami 56 Bhog)। পৌরাণিক কাহিনি মতে, বৃন্দাবনবাসীরা ইন্দ্রকে নানারূপে মহার্ঘ ভোগ নিবেদন করে সন্তুষ্ট রাখতেন। হিন্দুশাস্ত্র মতে, ইন্দ্র হলেন বৃষ্টি ও ব্রজের দেবতা। তাঁর আশীর্বাদেই সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত বর্ষণ হয়। তাই চাষীরা ইন্দ্রদেবকে তুষ্ট করতে দামি ও প্রচুর ভোগ রান্না করে নিবেদন করতেন। কিন্তু, গরিব চাষীদের পক্ষে দামি ভোগ নিবেদন করা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। চাষীদের কষ্ট দূর করতে এগিয়ে আসেন শ্রীকৃষ্ণ। এভাবে ভোগ নিবেদন না করে ইন্দ্রকে নিজের ভোগ অবস্থা বুঝে নিবেদন করার পরামর্শ গরিব চাষীদের দেন কৃষ্ণ। তাঁর কথা শুনে চাষীরা সেই কাজই করেন। এদিকে, ভোগের সামগ্রীতে ঘাটতি দেখে ইন্দ্র অত্যন্ত রেগে যান। তাঁর ক্রোধে প্রচণ্ড বৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে থাকে। ক্রোধের কারণে বৃন্দাবনে হতে থাকে মেঘভাঙা বৃষ্টি। তারপর থেকেই মানুষের জীবন হয়ে ওঠে বিপন্ন।

    বিপদে পড়ে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারস্থ হয় সকলে। বন্যা পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে গ্রামবাসীরা গোবর্ধন পর্বতের দিকে চলে যায়। সেখানে গিয়ে সকলেই দেখেন, শ্রীকৃষ্ণ পর্বতকে নিজের কড়ে আঙুল তুলে রেখে দিয়েছেন। সেই পর্বতের তলায় আশ্রয় নেন সকল গ্রামবাসীরা। টানা সাতদিন ধরে বৃষ্টিপাত হলে বন্যা পরিস্থিতি আরও জোরালো হয়ে ওঠে। সাতদিন টানা কৃষ্ণঠাকুর কড়ে আঙুলে পর্বতকে ধরে থাকেন। সাতদিন ধরে একচুলও নড়েননি তিনি। এমনকী, এককণা খাবারও মুখে তোলেননি। এরপর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মাতা যশোদা এবং ব্রজবাসীরা মিলে সাত দিন ও অষ্টপ্রহর হিসেবে ৫৬ ধরনের খাবার প্রস্তুত করে কৃষ্ণের কাছে পরিবেশন করেন। তারপর থেকে প্রত্যেক জন্মাষ্টমীতে (Janmashtami 2025) তাঁর জন্য ছাপ্পান্ন ধরনের ভোগ প্রস্তুত করা হয়। কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণকে প্রসন্ন করতে এই ছাপ্পান্ন ভোগ নিবেদন করলে ভক্তদের মনোবাসনা পূর্ণ হয়ে থাকে।

    ৫৬ ভোগে কী কী থাকে? (Krishna Janmashtami 56 Bhog)

    ভাত (ভক্ত), ডাল (সুপ), চাটনি (প্রলেহ), কঢ়ী (সদিকা), দই-সব্জির কঢ়ী (দধিশাকজা), সিখরন (সিখরিণী), শরবৎ (অবলেহ), বাটী (বালকা), মোরব্বা (ইক্ষু খেরিণী), শর্করা যুক্ত (ত্রিকোণ), বড়া (বটক), মঠরী (মধু শীর্ষক), ফেনি (ফেণিকা), পুরী বা লুচি (পরিষ্টশ্চ), খজলা (শতপত্র), ঘেওয়ার (সধিদ্রক), মালপোয়া (চক্রাম), চোলা (চিল্ডিকা), জিলিপি (সুধাকুন্ডলিকা), মেসু (ধৃতপূর), রসগোল্লা (বায়ুপূর), চন্দ্রকলা (পগী হুই), মহারায়তা (দই), থুলি (স্থূলী), লবঙ্গপুরী (কর্পূরনাড়ী), খুরমা (খণ্ড মণ্ডল), ডালিয়া (গোধূম), পরিখা, সুফলঢয়া (মৌরী যুক্ত), বিলসারু (দধিরূপ), লাড্ডু (মোদক), শাক, অধানৌ আচার (সৌধান), মোঠ (মণ্ডকা), পায়েস (ক্ষীর), দই, গাওয়া ঘি, মাখন (হৈয়ঙ্গপীনম), মালাই (মন্ডূরী), রাবড়ি (কূপিকা), পাপড় (পর্পট), সীরা (শক্তিকা), লস্যি (লসিকা), সুবত, মোহন (সংঘায়), সুপারি (সুফলা), এলাচ (সিতা), ফল, তাম্বুল, মোহন ভোগ, লবণ, কষায়, মধুর, তিক্ত, কটূ, অম্ল।

    কীভাবে প্রস্তুত করবেন ছাপান্ন ভোগ

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) ভোরে উঠেই এই ভোগ রান্না তৈরি করা শুরু করে দেওয়া উচিত। শুদ্ধাচারে হলুদ বস্ত্র পরে এই ভোগ রান্না করা ভাল। অনেকে এই সময় মুখে কাপড় বেঁধে এই রান্না করেন। ছাপান্ন ভোগে শস্য, ফল, শুকনো ফল, মিষ্টি, পানীয়, নোনতা, আচার প্রভৃতিও নিবেদন করা হয়। নিয়ম অনুসারে ৫৬ ভোগে (Krishna Janmashtami 56 Bhog) থাকে ১৬ ধরনের জলখাবার, ২০টি মিষ্টি এবং ২০ ধরনের শুকনো ফল। যার মধ্যে দুধের তৈরি খাবার সবার আগে পরিবেশন করতে হয়।

  • Janmashtami 2025: আজ জন্মাষ্টমী, এ বছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কততম আবির্ভাব তিথি জানেন?

    Janmashtami 2025: আজ জন্মাষ্টমী, এ বছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কততম আবির্ভাব তিথি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2025)। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, দ্বাপর যুগে আজকের দিন শ্রীকৃষ্ণের মর্ত্যে আগমন ঘটেছিল। দেখে নেওয়া যাক, আজ শ্রীকৃষ্ণের কততম জন্মতিথি (Lord Krishna Birth Anniversary)। কীভাবেই বা হিসেব করা হয়েছে সেই সময়?

    শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব কবে?

    বিভিন্ন হিন্দু শাস্ত্র থেকে জানা যায়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর মর্ত্যলোকে ছিলেন। পুরাণ অনুসারে, মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান ইহধাম ত্যাগ করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, সেই দিনই কলিযুগ প্রবেশ করে। জানা যায়, ওই দিন ছিল শুক্রবার। অর্থাৎ হিসেব করে দেখলে খ্রিস্টপূর্ব ৩১০১ সালে কলিযুগ শুরু হয়, বর্তমানে চলছে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ। অঙ্কের হিসেবে কলির বয়স দাঁড়াচ্ছে ৩১০১ + ২০২৫= ৫১২৬ বছর। শ্রীকৃষ্ণের (Lord Shri Krishna) অর্ন্তধানের দিন কলি যুগের সূচনা বলে মনে করা হয়। আগেই বলা হয়েছে, শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর ধরাধামে ছিলেন। তা হলে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ৫১২৬ + ১২৫= ৫২৫১ বছর পূর্বে হয়েছিল বলে বোঝা যাচ্ছে।

    ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি

    ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি এবং রোহিণী নক্ষত্রের মিলনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। কংসের অত্যাচার থেকে পৃথিবীকে মুক্তি দিতে তাঁর মর্ত্যে আগমন। এই দিনে রাতের পুজোর তাৎপর্য রয়েছে, কারণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই রাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশু-রূপের পুজো করা হয়। এই শিশু রূপের অনেক নাম রয়েছে। যেমন— নন্দগোপাল, ননীগোপাল, নাড়ুগোপাল ইত্যাদি। এই পুজের রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম। শিষ্টাচারে, যথাযথ নিয়ম মেনে এই দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করলে দুঃখ-কষ্ট দূর হয়।

    জন্মাষ্টমী পুজোর পদ্ধতি

    জন্মাষ্টমীর আগের দিন নিরমিষ অন্ন খেয়ে সংযম পালন করতে হবে এবং রাত ১২টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। পুজোর দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করুন। বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। সমস্ত দেবতার জলাভিষেক করুন। তারপর ব্রত বা উপাসনার সংকল্প নিন। সারাদিন জলাহার ও ফলাহার করুন। সাত্বিক থাকুন। তারপর একটি পাত্রে ভগবান কৃষ্ণের একটি ধাতব মূর্তি রাখুন এবং স্নান করান। প্রথমে দুধ, তারপর দই, তারপর মধু, তারপর চিনি এবং সবশেষে ঘি দিয়ে প্রভুকে স্নান করান। একে পঞ্চামৃত স্নান বলে। প্রভুকে যথাযথভাবে স্নান করানোর পর, তাকে জল দিয়ে স্নান করান। মনে রাখবেন যে জিনিসগুলি নিবেদন করা হবে তা শঙ্খের মধ্যে রেখেই নিবেদন করা উচিত।

    প্রসাদ নিবেদন

    এরপর পীতাম্বর, ফুল ও প্রসাদ নিবেদন করুন। এর পর ভগবানকে দোলনায় বসিয়ে দোল দিন। নাড়ুগোপালকে ছেলের মতো যত্ন করে ভোগ নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালকে চিনি, মিছরি এবং শুকনো ফল নিবেদন করুন। ননীও মাখন দিতে ভুলবেন ন। তারপর নাড়ুগোপালের আরতি করুন। ঈশ্বরের কাছে আপনার জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর করার জন্য অনুরোধ করুন। এর পরে, আপনি “হরে কৃষ্ণ” মহামন্ত্রও জপ করতে পারেন। জীবনে প্রেম এবং সুখের জন্য “মধুরাষ্টক” পাঠ করুন। শ্রী কৃষ্ণকে গুরুরূপে পেতে হলে শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ করুন।

  • Australia: অস্ট্রেলিয়াতে স্বাধীনতা দিবস পালনে বাধা খালিস্তানপন্থীদের, পিছু হটল ভারতীয়দের দাপটে

    Australia: অস্ট্রেলিয়াতে স্বাধীনতা দিবস পালনে বাধা খালিস্তানপন্থীদের, পিছু হটল ভারতীয়দের দাপটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার (Australia) মেলবোর্নে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেটে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনের সময় খালিস্তানপন্থীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। শুক্রবার সকালে মেলবোর্নের প্রবাসী ভারতীয়রা কনস্যুলেটের সামনে জড়ো হয়েছিলেন স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য। কিন্তু সেই সময় আচমকাই বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানপন্থীরা সেখানে জড়ো হয়। তবে তাদের দেখে ভারতীয়রা স্লোগান তোলেন এবং দেশাত্মবোধক গান গাইতে থাকেন এবং সুশৃঙ্খলভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেন।

    পিছু হটে খালিস্তানপন্থীরা (Australia)

    একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতীয়রা যখন দেশাত্মবোধক গান গাইছেন, তখন খালিস্তানপন্থীরা হট্টগোল সৃষ্টি করছে। একটি অস্ট্রেলিয়ান (Australia) সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে, মেলবোর্নে ভারতীয় কনস্যুলেটের বাইরে খালিস্তানি গুন্ডারা গোলমাল সৃষ্টি করে। তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ভারতবিরোধী স্লোগান তুলতে থাকে। কিন্তু খালি গলায় তাদের সেই স্লোগান শোনা যায়নি, কারণ লাউডস্পিকারে ভারতীয়রা দেশাত্মবোধক গান গাইতে থাকেন। এরপরে এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পিছু হটে এবং শেষে সঠিকভাবে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করা হয়।

    ভারত মাতা কি জয় স্লোগান প্রবাসী ভারতীয়দের

    তিরঙ্গা উত্তোলনের সময় উপস্থিত ভারতীয়রা (Australia) “ভারত মাতা কি জয়”, “বন্দেমাতরম” প্রভৃতি ধ্বনি দেন। প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমাগত বাড়ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানপন্থীদের (Khalistani) প্রভাব এবং তাদের কার্যকলাপ। সম্প্রতি মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁতে ঘৃণামূলক গ্রাফিতি দেখা গেছে। অন্যদিকে সম্প্রতি অ্যাডিলেডে সামান্য গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ২৩ বছর বয়সি এক ভারতীয় যুবককে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে।

    অস্ট্রেলিয়াতে বাড়ছে খালিস্তানি কার্যকলাপ (Australia)

    শুধু তাই নয়, গত বছর যখন ভারতীয় ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল, সেই সময় ডিসেম্বর মাসে চলছিল চতুর্থ টেস্ট। তখনই খালিস্তানপন্থীরা ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং তাদের গালিগালাজ করে। জানা যায়, ওই খালিস্তান সমর্থকরা তখন টিকিট ছাড়াই স্টেডিয়ামে ঢুকে ভারতবিরোধী স্লোগান দেয়। ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসেও তারা একইরকম প্রয়াস চালায়। তবে উপস্থিত ভারতীয়দের সামনে তারা টিকতে পারেনি (Khalistani)।

  • PM Modi: ‘‘আত্মনির্ভর ভারত গড়তে অর্জন করতে হবে জ্বালানি স্বাধীনতা’’, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি

    PM Modi: ‘‘আত্মনির্ভর ভারত গড়তে অর্জন করতে হবে জ্বালানি স্বাধীনতা’’, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানান, ভারতকে সত্যিকারের আত্মনির্ভরশীল দেশ হতে হলে আগে জ্বালানি স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, “আমরা জানি, আমাদের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে অনেক দেশের উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে গেলে, সর্বপ্রথম আমাদের জ্বালানি স্বাধীনতা (Energy Independence) অর্জন করতে হবে।” প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির জমানায় আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচি ব্যাপক সফল হয়েছে। দেশের তৈরি জিনিসপত্রের বিদেশে রফতানির পরিমাণ আগের থেকে বেড়েছে অনেক কিছুই। এবার লালকেল্লা থেকে মোদি বললেন জ্বালানি স্বাধীনতার কথা। সেই লক্ষ্যে ঘোষণা করলেন ন্যাশনাল ডিপ ওয়াটার এক্সপ্লোরেশন মিশনের।

    ১১ বছরে ভারতের সৌরশক্তির ক্ষমতা ৩০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে

    ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) উল্লেখ করেন, বিগত ১১ বছরে তাঁর শাসনকালে ভারতের সৌরশক্তির ক্ষমতা ৩০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা নতুন বাঁধ নির্মাণ করছি এবং ভারত এখন পারমাণবিক শক্তির ওপর সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এই দিকটিতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দশটি নতুন পারমাণবিক চুল্লি চালু হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন আমাদের লক্ষ্য হবে পারমাণবিক শক্তির ক্ষমতা ১০ গুণ বৃদ্ধি করা।

    ন্যাশনাল ডিপ ওয়াটার এক্সপ্লোরেশন মিশন

    এদিন লালকেল্লার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ন্যাশনাল ডিপ ওয়াটার এক্সপ্লোরেশন মিশন-এর কথাও ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “এই মিশনের মাধ্যমে ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। সমুদ্রের গভীরে খনন ও অনুসন্ধান প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে।” এই মিশন মূলত বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের গভীর জলে পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে সরকারি ও বেসরকারি—উভয় ক্ষেত্রের সংস্থাগুলি অংশ নেবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে ভারত যে পরিমাণ তেল বাইরে থেকে আমদানি করে, সেই নির্ভরতা অনেকটাই কমবে এবং আগামী দশকে দেশের নিজস্ব উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে (PM Modi)।

  • Janmashtami 2025: এখন ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী, পুজোতে এই উপকরণগুলো অবশ্যই রাখবেন

    Janmashtami 2025: এখন ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী, পুজোতে এই উপকরণগুলো অবশ্যই রাখবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী। দৃক সিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধ সিদ্ধান্তমতে জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে আজ, শুক্রবার ১৫ অগাস্ট। এদিন রাত ১১টা ৫১ মিনিটে এই তিথি শুরু হচ্ছে। আর অষ্টমী তিথি শেষ হচ্ছে শনিবার ১৬ অগাস্ট রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে। মধ্যরাত ১২টা ০৪ মিনিট থেকে ১২টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত পুজো করার শুভ সময়। অন্যদিকে, গুপ্তপ্রেস বা বেণীমাধব শীলের ফুল পঞ্জিকামতে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে, শুক্রবার ১৫ অগাস্ট গভীর রাত ১টা ১৬ মিনিট ৯ সেকেন্ডে। শেষ হবে শনিবার রাত ১০টা ৪৮ মিনিট ৩ সেকেন্ডে। ফলে, উদয় তিথি হিসেবে শনিবার অষ্টমী। ফলে, শনিবারই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জন্মাষ্টমী পুজো হবে। তবে, মধ্যরাতের নিরিখে শুক্রবারেও বহু গৃহে উদযাপন হচ্ছে।

    জন্মাষ্টমী পুজোর উপকরণ—

    ধূপকাঠি, কর্পূর, জাফরান, চন্দন, সিঁদুর, সুপারি, পান, পদ্ম, তুলসীর মালা, ধনে, যজ্ঞবেত ৫, কুমকুম, ধান, আবির, কাঁচা হলুদ, গোপালের গয়না, সপ্তমৃত্তিকা, সপ্তধন, কুশ ও দূর্বা, শুকনো ফল, গঙ্গাজল, মধু, চিনি, মিছরি, তুলসী ডাল, খাঁটি ঘি, দই, দুধ, মৌসুমি ফল, নৈবেদ্য বা মিষ্টান্ন, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, সুগন্ধি, সিংহাসন, ঝুলা।

    এই পুজোতে লাগে— আমপল্লব, পঞ্চামৃত, কলা পাতা, ওষুধ, শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি বা ছবি, গণেশের ছবি, অম্বিকার ছবি, ভগবানের পোশাক, গণেশকে নিবেদনের পোশাক, অম্বিকাকে নিবেদনের পোশাক, সাদা কাপড়, লাল কাপড়, পঞ্চ রত্ন, প্রদীপ, পান, নারকেল, চাল, গম, গোলাপ ও লাল পদ্মফুল, দূর্বা, অর্ঘ্য পাত্র, পঞ্চগব্য, পঞ্চগুড়ি, পাট, বালি, পঞ্চবর্ণের গুড়ো, মধুপর্কের বাটি।

    জন্মাষ্টমীর পুজোয় ময়ূরের পালক ও বাঁশির মাহাত্ম্য

    ময়ুর পালক

    ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মবার্ষিকীতে ময়ূরের পালক দেওয়া ভগবান কৃষ্ণের আরাধনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান কৃষ্ণ বাঁশির মতো ময়ূরের পালক অত্যন্ত পছন্দ করেন। তাই তিনি এটিকে মুকুট হিসাবে ব্যবহার করতেন। জন্মাষ্টমীর পুজো সফল করতে ময়ূরের পালক ও একটি মুকুট অর্পণ করুন গোপালকে। ঘরের সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূরে সরিয়ে সমৃদ্ধি পেতে চাইলে বাড়িতে রাখুন ময়ূরের পালক। জন্মাষ্টমীর পুজোতেও ময়ূরের পালক রাখা প্রয়োজন। এতে ঘরে সুখ শান্তি আসে।

    বাঁশি

    ময়ূরের পালকের মতো বাঁশি ছাড়াও পুজো করা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে বাঁশি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। আপনি যদি চান যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ আপনার উপর বর্ষিত হোক, তা হলে আপনাকে অবশ্যই গোপালকে জন্মবার্ষিকীতে বাঁশি নিবেদন করতে হবে। বলা হয়, কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিন বাড়িতে বাঁশি রাখলে খুবই উপকার হয়। এতে ঘরে ধন-সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ে সুখ ও শান্তি। ফলে পুজোর বেদীতে শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি রেখে দিতে পারেন।

    শঙ্খ ও তুলসীর তাৎপর্য

    শঙ্খ

    জন্মাষ্টমীর পুজোতে শঙ্খ ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শঙ্খকে সনাতন ঐতিহ্যে শুভর প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জন্মাষ্টমীর উৎসবে গোপালকে স্নান করাতে এবং পুজোর সময় শঙ্খ ব্যবহার করা হয়। জন্মাষ্টমীর পুজোর সময় সঙ্গে রাখুন একটি শঙ্খ।

    তুলসী

    জন্মাষ্টমীর পুজোয় তুলসী পাতা অবশ্যই নিবেদন করতে হয় গোপালকে। কারণ তুলসী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে জন্মাষ্টমীর পুজোয় তুলসী নিবেদন করলে শীঘ্রই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রসন্ন হন এবং কাঙ্খিত বরদান করেন।

    জন্মাষ্টমীর বিশেষ ভোগ-

    জন্মাষ্টমীর ভোগের মধ্যে ৫৬ ভোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ৫৬ রকমের নৈবেদ্যর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। নিয়ম অনুসারে ৫৬ ভোগে থাকে ১৬ ধরনের জলখাবার, ২০ টি মিষ্টি এবং ২০ ধরণের শুকনো ফল। যার মধ্যে দুধের তৈরি খাবার সবার আগে পরিবেশন করতে হয়।

    তবে, যদি বাড়িতে ৫৬ ভোগ করা সম্ভব না হয়, তাহলে লুচি, ছোলার ডাল এবং সুজি প্রস্তুত করুন। গোপাল পুজোয় ঘরে ঘরে তৈরি হয় তালের বড়া ও তালের ক্ষীর, মালপোয়া, মোহনভোগ, নারকেল নাড়ু, মাখন, ক্ষীর, মিষ্টি, পায়েস, বাসন্তী পোলাও। এর পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই দুধ-দই, কাঁচা মাখন বা ননীর ব্যবস্থা করতে হবে, কারণ গোপাল দুধ-দই এবং মাখন খুব পছন্দ করেন। পঞ্চামৃত তৈরি করুন এবং সব ধরনের ফল রাখুন।

    জন্মাষ্টমী পুজোর পদ্ধতি

    জন্মাষ্টমীর আগের দিন নিরমিষ অন্ন খেয়ে সংযম পালন করতে হবে এবং রাত ১২টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। ঘুমনোর আগে অবশ্যই ভাল করে মুখ ধুয়ে ঘুমতে হবে। পুজোর দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে নিন। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করুন। বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। সমস্ত দেবতার জলাভিষেক করুন।

    এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশু-রূপের পুজো করা হয়। এই শিশু রূপের অনেক নাম রয়েছে। যেমন— নন্দগোপাল, ননীগোপাল, নাড়ুগোপাল ইত্যাদি। নাড়ুগোপালকে ছেলের মতো যত্ন করে ভোগ নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালের জলাভিষেক করে তাকে দোলনায় রাখুন। এরপর আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী নাড়ুগোপালকে ভোগ নিবেদন করুন। মনে রাখবেন যে শুধুমাত্র সাত্ত্বিক জিনিস ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করা হয়।

    এই দিনে রাতের পুজোর তাৎপর্য রয়েছে, কারণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ পুজো করুন। সেই সময় নাড়ুগোপালকে চিনি, মিছরি এবং শুকনো ফল নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালকে ভোগ নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালের আরতি করুন।

  • Operation Sindoor: “অপারেশন সিঁদুর ঐতিহাসিক”, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বললেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু

    Operation Sindoor: “অপারেশন সিঁদুর ঐতিহাসিক”, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বললেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu) ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের এক ‘ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত’ হিসেবে বর্ণনা করলেন। তিনি বলেন, এই অপারেশন (Operation Sindoor) প্রমাণ করেছে যে দেশের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনও পরিস্থিতিতে দেশের সুরক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত। রাষ্ট্রপতি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, গত এপ্রিল মাসে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে যে নৃশংস সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিরীহ ভারতীয় প্রাণ হারান, তা ছিল এক কাপুরুষোচিত আঘাত। সেই ঘটনার পর ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিল ‘দৃঢ় ও সঠিক’—এমনটাই মন্তব্য করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর কেবল একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি মানবতার পক্ষে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক স্পষ্ট ও দৃঢ় বার্তা। এই অভিযান ইতিহাসে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

    অপারেশন সিঁদুর আসলে আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

    রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, “পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর গোটা দেশ একসঙ্গে দাঁড়িয়ে যে ঐক্য দেখিয়েছে, তা ভারতের শক্তির প্রমাণ। যারা আমাদের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা করেছিল, তাদের এটাই ছিল উপযুক্ত উত্তর।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব এখন বুঝতে পেরেছে যে ভারত কখনও আগ্রাসী নয়, তবে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষায় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না।” রাষ্ট্রপতির মতে, “অপারেশন সিঁদুর আসলে আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক (Operation Sindoor)।” তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, “এই অভিযানের সাফল্য দেখিয়ে দিয়েছে, আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি।”

    পহেলগাঁওয়ে হামলা

    প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় ঘটে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ৭ মে ভারত চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’। অভিযানে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে চালানো হয় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা (Operation Sindoor)। ভারতীয় বায়ুসেনার নিখুঁত স্ট্রাইকে নিহত হয় একশোরও বেশি জঙ্গি। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান জম্মু-কাশ্মীরের নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালায় ড্রোন ও মিসাইল হামলা, কিন্তু ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তা সফলভাবে প্রতিহত করে। শুধু তাই নয়, ভারত পাল্টা আঘাত হানে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বিমান ঘাঁটিতে। এই অভিযানে ভারতের স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির কার্যকারিতা বিশ্বের সামনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ‘ব্রহ্মোস’-এর মতো অস্ত্র ব্যবহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা এই অভিযান (Operation Sindoor) সম্পন্ন করে।

  • Modi At Red Fort: দেশের প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হবে নিরাপদ, লালকেল্লা থেকে ‘সুদর্শন চক্র মিশন’-এর ঘোষণা মোদির

    Modi At Red Fort: দেশের প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হবে নিরাপদ, লালকেল্লা থেকে ‘সুদর্শন চক্র মিশন’-এর ঘোষণা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতের যে কোনও ধরনের প্রযুক্তি-ভিত্তিক হামলা থেকে দেশের প্রতিটা প্রান্তকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সেই যুগান্তকারী প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এদিন দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস (79th Independence Day) উপলক্ষে দিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্র মোদি (Modi At Red Fort)। সেখানেই তিনি জানান, আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটা কোনাকে সুরক্ষিত করতে জাতীয় সুরক্ষা ঢাল তৈরি করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ দেশীয় এই প্রকল্পের নাম ‘মিশন সুদর্শন চক্র’ (Mission Sudarshan Chakra)। দেশকে সুরক্ষা দেওয়ার, শত্রুদের আক্রমণ প্রতিহত পাশাপাশি শত্রুদের ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকবে এই মিশনের। পুরোপুরিভাবে আত্মনির্ভরভাবে তথা দেশীয় প্রযুক্তিতে এই মিশন কাজ করবে, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর।

    কী এই ‘সুদর্শন চক্র মিশন’?

    নরেন্দ্র মোদি (Modi Independence Day Speech) বলেছেন, “২০৩৫ সালের মধ্যে রাষ্ট্রের সব গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরকে পুরোপুরি একটি নির্দিষ্ট সুরক্ষা কবচের মধ্যে আনা হবে। এর সেক্টরগুলির মধ্যে সামরিক সেক্টর যেমন রয়েছে তেমনই থাকবে হাসপাতাল, রেলও। নতুন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পুরোপুরি সুরক্ষাকবচ দেওয়া হবে এই সব ক্ষেত্রকে।” প্রধানমন্ত্রী জানান, এটি ভগবান কৃষ্ণের সুদর্শন চক্র দ্বারা অনুপ্রাণিত। এটি হবে একটি অত্যাধুনিক দেশীয় প্রযুক্তিনির্ভর অস্ত্র ব্যবস্থা, যা শুধু শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধই নয়, প্রয়োজনে তাদের উপর নির্ভুল পাল্টা আঘাত হানতেও সক্ষম হবে। মহাভারতের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “সকলেই জানেন, কীভাবে শ্রী কৃষ্ণ তাঁর সুদর্শন চক্র দিয়ে সূর্যকে ঢেকে দিনকে অন্ধকার করে দিয়েছিলেন, যাতে অর্জুন তাঁর প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে সক্ষম হন। একইভাবে, ভারতের ‘সুদর্শন চক্র’ও শত্রুদের প্রতিটি আক্রমণকে নিষ্ক্রিয় করতে এবং তাদের চেয়ে বহুগুণ বেশি শক্তি দিয়ে প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হবে।”

    প্রতিরক্ষায় দেশীয় ঢাল ও বর্ম

    প্রধানমন্ত্রী আরও স্পষ্ট করেছেন যে, এই উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত গবেষণা, উন্নয়ন এবং উৎপাদন ভারতেই করা হবে এবং এটি দেশের যুবকদের হাতেই প্রস্তুত করা হবে। এই ‘মিশন সুদর্শন চক্র’ বাস্তবায়নের মূল উদ্দেশ্য দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া, যেখানে আকাশপথ, স্থলপথ ও সমুদ্রপথ— তিন ক্ষেত্রেই শত্রুর যেকোনও আক্রমণ মুহূর্তের মধ্যে শনাক্ত ও প্রতিহত করা সম্ভব হবে। শুধু সামরিক সুরক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না এই প্রযুক্তি; বরং দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে— যেমন বড় শহর, কৌশলগত শিল্পাঞ্চল, বিদ্যুৎকেন্দ্র, পারমাণবিক স্থাপনা এবং সীমান্তবর্তী এলাকায়— এটি স্থাপন করা হবে, যাতে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়।

    দেশীয় ইঞ্জিনের পক্ষে সওয়াল মোদির

    তিনি আরও বলেন, “এই সুরক্ষা নিয়মিত বাড়ানো হবে। রাষ্ট্রীয় সুরক্ষাকে মজবুত, আধুনিক করার জন্য এই সিদ্ধান্ত।” ‘মিশন সুদর্শন চক্র’ যে প্রযুক্তিগত হামলা ঠেকানোর ঢাল হবে, তা একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোদি। এই মিশনের জন্য রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট, ম্যানুফ্যাকচারিং সবটাই ভারতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে, যুদ্ধবিমানের জন্য মেড ইন ইন্ডিয়া ইঞ্জিনের জন্য জোরালো সওয়াল করেন তিনি। জানান, এটাই সময়ের দাবি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “সম্মান পাওয়ার জন্য আত্মনির্ভর থাকা দরকার। অপারেশন সিঁদুরে দেখেছি আত্মনির্ভরতার ক্ষমতা। আত্মনির্ভর না হলে এত বড় সাফল্য আসত না।” প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ, আমেরিকা থেকে ইঞ্জিন আসতে দেরি হওয়ায় তেজসের উৎপাদন বিলম্বিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের জন্য ইঞ্জিন সরবরাহ করছে মার্কিন সংস্থা জিই।

  • Cloudburst: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভূ-স্বর্গে হড়পা বান, উদ্ধার ৪৬ দেহ, আরও প্রাণহানির আশঙ্কা

    Cloudburst: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভূ-স্বর্গে হড়পা বান, উদ্ধার ৪৬ দেহ, আরও প্রাণহানির আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে (Cloudburst) ভয়াবহ হড়পা বানের ছবি দেখা গিয়েছিল। এবার সেই একই ধারা দেখা গেল জম্মু ও কাশ্মীরেও। কিস্তওয়ার জেলায় প্রবল বৃষ্টির ফলে হড়পা বান নেমে এসেছে, যার ফলে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দুই সিআইএসএফ জওয়ানও। আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা, পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কিস্তওয়ারের (Kishtwar) পুলিশ কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৪৬টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।

    শোক প্রকাশ মোদির (Cloudburst)

    প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডলে তিনি জানিয়েছেন, গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ইতিমধ্যেই আগামীকাল স্বাধীনতা দিবসের নির্ধারিত সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে, পতাকা উত্তোলন, মার্চ পাস্ট ও ভাষণের মতো কর্মসূচি নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই হবে বলে জানিয়েছেন তিনি (Cloudburst)।

    হড়পা বানের সময় চলছিল উৎসব

    লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা উদ্ধার কাজে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছেন এবং দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তিনি। কিস্তওয়ারের ডেপুটি কমিশনার পঙ্কজ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, চাসোতি গ্রামে হড়পা বান নেমে আসে। এই গ্রাম থেকেই ‘মচৈল মাতা যাত্রা’ শুরু হয়। হড়পা বানের সময় বহু পুণ্যার্থী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে যাত্রাটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে (Cloudburst) ।

    কী বলছেন স্থানীয় বিধায়ক সুনীল কুমার শর্মা

    স্থানীয় বিধায়ক সুনীল কুমার শর্মা জানিয়েছেন, একাধিক প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা সেনা, পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে (Kishtwar) দ্রুত ও সমন্বিতভাবে উদ্ধার কার্য পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে, ৫ অগাস্ট উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর ধরালী ও হর্ষিল গ্রামেও ভয়াবহ হড়পা বান নেমেছিল। সেই দুর্যোগে ধরালীর অধিকাংশ অংশ পাথর ও কাদার নিচে চাপা পড়ে যায়। উত্তরাখণ্ডের ওই ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে (Cloudburst) ।

LinkedIn
Share