Tag: মাধ্যম

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল সিট

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জাফরাবাদে ওয়াকফ অশান্তির জেরে খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাস। এই খুনের ঘটনায় শুক্রবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার ৫৬ দিন পরে জমা পড়া এই চার্জশিটে মোট ১৩ জনের নাম রয়েছে।

    ধৃতদের জেরা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে (Jafrabad Double Murder) অভিযুক্তরা কীভাবে খুনের ঘটনা ঘটিয়েছিল, কোথায় এবং কতদিন ধরে তারা আত্মগোপন করেছিল। এসব কিছু তথ্যই বিস্তারিতভাবে চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। ধৃতদের জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে, বলেও জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মামলার দ্রুত শুনানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ১২ এপ্রিল খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস (Jafrabad Double Murder)

    প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে তাণ্ডব চালায় মৌলবাদীরা। উত্তাল হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জাফরাবাদ। সেই অশান্তির মধ্যেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে।তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ইদের সময়ে ওড়িশায় কর্মরত বেশ কয়েকজন বিড়ি শ্রমিক গ্রামে ফিরেছিল। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের হিংসায় তারাও জড়িয়ে পড়ে। এরপরে ছুটি শেষে ওড়িশায় ফিরে গেলেও তদন্তকারীদের হাত থেকে ছাড় পায়নি তারা। ওড়িশা থেকেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়

    ঘটনার পরেই রাজ্য সরকার একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসটিএফ) গঠন করে। খুনে অভিযুক্তরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পালিয়ে গা ঢাকা দেয়। এরপর মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের (Murshidabad) বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার মূল চক্রী জিয়াউল শেখকে ধরা হয় উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকা থেকে। তার দুই ছেলেকে গ্রেফতার করা হয় ওড়িশা থেকে (Jafrabad Double Murder)।

  • Mineral Diplomacy: কমবে চিনের দাপট! খনিজ কূটনীতিতে মধ্য এশিয়ার ৫ দেশের সঙ্গে চুক্তি ভারতের

    Mineral Diplomacy: কমবে চিনের দাপট! খনিজ কূটনীতিতে মধ্য এশিয়ার ৫ দেশের সঙ্গে চুক্তি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে চলছে চতুর্থ ইন্ডিয়া-সেন্ট্রাল এশিয়া ডায়লগ (Mineral Diplomacy)। এখানেই খনিজ কূটনীতিতে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—একটি কৌশলগত চুক্তিতে এবার থেকে পাঁচটি মধ্য এশীয় দেশ কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং ভারত একসঙ্গে খনিজ উত্তোলনের কাজ করবে।

    এবার কমবে চিনের দাপট

    প্রসঙ্গত, এই অঞ্চলের বেশিরভাগ খনিজ-সমৃদ্ধ এলাকায় (Mineral Diplomacy) এতদিন চিনের দাপট ছিল। ভারতের এই কূটনৈতিক পদক্ষেপে এবার চিনের একাধিপত্য কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই খনিজসমূহ পৃথিবীর অন্যতম বিরল খনিজের মধ্যে পড়ে। এগুলির উত্তোলন থেকে শুরু করে শোধন পর্যন্ত— সবকিছুই এতদিন নিয়ন্ত্রণ করত চিন (Central Asia)। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে পৃথিবীর ছয়টি বিরল খনিজের উপর নিজেদের প্রভাব আরও জোরদার করার কথা ঘোষণা করে চীন, যার মধ্যে ছিল চুম্বকও।

    সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়(Mineral Diplomacy)

    সম্প্রতি খনিজ উত্তোলন নিয়ে নয়াদিল্লিতে একটি উচ্চপর্যায়ের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের খনিজ মন্ত্রক এই সেমিনারের আয়োজন করে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি. কিষণ রেড্ডি এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন। এই অনুষ্ঠানে ২০০-র বেশি স্টেকহোল্ডার অংশ নেয়, যাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাও ছিল। উল্লেখযোগ্য যে, এই জটিল খনিজগুলো (Central Asia) শুধুমাত্র কোনও বস্তুর উৎস নয় বরং এগুলি ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির অন্যতম মূল উপাদান।

    ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে

    ভারতের বিভিন্ন সংস্থা এই খনিজ (Mineral Diplomacy) ব্যবহার করবে বিদ্যুৎ, সৌরশক্তি, সেমিকন্ডাক্টর, এরোস্পেস ইত্যাদি ক্ষেত্রে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর ফলে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ভারত আরও শক্তিশালী হবে। প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া-সেন্ট্রাল এশিয়া ডায়লগে সমস্ত দেশের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিরাই জোর দিয়েছেন ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর। পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গে এই দেশগুলির ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার বিস্তার, ব্যাংকিং সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ব্যবসা ও পর্যটনের প্রসার নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

  • Congo: আফ্রিকার কঙ্গোতে ইসলামিক মৌলবাদীদের টার্গেট খ্রিস্টানরা, ফেব্রুয়ারিতে গণহত্যায় নিহত ৭০

    Congo: আফ্রিকার কঙ্গোতে ইসলামিক মৌলবাদীদের টার্গেট খ্রিস্টানরা, ফেব্রুয়ারিতে গণহত্যায় নিহত ৭০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি, আফ্রিকা মহাদেশের কঙ্গোতে (Congo) এক নির্মম গণহত্যায় অন্তত ৭০ জন খ্রিস্টান নিহত হন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায় এক ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠন। নৃশংস বর্বর এই হত্যাকাণ্ডে নিন্দা জানায় বিশ্বের সব মহলই। নিহতদের মধ্যে মহিলা, শিশু এবং বয়স্করাও ছিলেন। তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে এনে শরীর থেকে মাথা আলাদা করা হয়।

    মাইবা গ্রামে চালানো হয় এই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড (Congo)

    এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে মাইবা নামক একটি গ্রামে, যা কঙ্গোর উত্তর কিভু প্রদেশে অবস্থিত। নিহতদের প্রত্যেকের হাত পিছনে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন পরে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই গণহত্যার দায় স্বীকার করে উগান্ডার ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন Allied Democratic Forces (ADF)। পুরো অঞ্চলে এই হামলা এক ভয়াবহ আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে, বিশেষত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে (Africa)।

    অর্থডক্স পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির রিপোর্ট কী বলছে?

    অর্থডক্স পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের আগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই সংগঠনটি খ্রিস্টানদের অধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এটিকে মানবাধিকারের ওপর গুরুতর আক্রমণ বলে আখ্যা দিয়েছে।

    ২০২৩ সালের একশোর ওপর হত্যা করে এই জঙ্গি সংগঠন

    উল্লেখ্য, এর আগেও ADF বহু হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। শুধুমাত্র ২০২৩ সালেই এই সংগঠনের বিরুদ্ধে একশোরও বেশি হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তারা একের পর এক গ্রামে হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে অপহরণ করছে এবং চার্চসহ ধর্মীয় স্থানে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফ্রিকা মহাদেশে খ্রীস্টানদের জীবন-জীবিকার সংশের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসলামিক জঙ্গিরা (Congo)।এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে ক্যাথলিক চার্চ এবং এই ঘটনাকে তারা নৃশংস গণহত্যা বলে আখ্যা দিয়েছে।

  • RSS: ‘‘স্বয়ংসেবকদের জীবনযাপন সাধারণ কিন্তু চিন্তাভাবনা উচ্চস্তরের’’, বললেন মোহন ভাগবত

    RSS: ‘‘স্বয়ংসেবকদের জীবনযাপন সাধারণ কিন্তু চিন্তাভাবনা উচ্চস্তরের’’, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর স্বয়ংসেবকেরা (RSS) অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করেন, কিন্তু তাঁদের কাজ ও চিন্তাভাবনা থাকে অত্যন্ত উচ্চস্তরের। সমাজের বিকাশ এবং উন্নতির লক্ষ্যে এই কাজ করেন তাঁরা।’’ — এমন কথাই উঠে এল আরএসএস-এর সরসংঘচালক ড. মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) বক্তব্যে।

    সংঘ জীবন নামের একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই কথাগুলি বলেন ভাগবত

    নাগপুরের শৈক্ষিক সহকারী ব্যাঙ্ক অডিটোরিয়ামে সংঘ জীবন নামক একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য রাখেন। বইটি লিখেছেন রামচন্দ্র দেবদরে এবং এটি প্রকাশ করেছে নচিকেত প্রকাশন। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘সংঘের স্বয়ংসেবকরা (RSS) সর্বদা সমাজের জন্য ভালো কাজ করে চলেছেন এবং সেই কাজ তারা করে থাকেন নিঃস্বার্থভাবে ও ধারাবাহিকভাবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আরএসএস সামুহিক সিদ্ধান্তের ওপরেই জোর দেয় সর্বদা। সংঘের প্রতিটি কর্মসূচি ও কার্যকলাপের মধ্যেই এর চেতনা প্রতিফলিত হয়।’’

    প্রচারের আড়ালে কাজ করেন স্বয়ংসেবকরা (RSS)

    তিনি আরও বলেন, ‘‘নেতৃত্বকে আমরা সাধারণভাবে চোখে দেখতে পাই, কিন্তু সেই উৎসর্গীকৃত মানসিকতা সম্পন্ন এবং প্রচারের আড়ালে থাকা অসংখ্য কর্মী যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে সমাজকে সংগঠিত করতে কাজ করে চলেছেন, তাঁদের চোখে দেখা যায় না, কিন্তু তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য।’’ ড. ভাগবত আরও বলেন, ‘‘ভারত ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছে সামুহিক সংঘর্ষের মাধ্যমেই, কিন্তু সেই সংগ্রামের পেছনে ছিল একটি গভীর চেতনা ও আত্মত্যাগের ইতিহাস।’’

    বই সম্পর্কে কী বললেন আরএসএস প্রধান (RSS)

    এই বই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘রামচন্দ্র দেবদরের অভিজ্ঞতাই এই গ্রন্থে প্রতিফলিত হয়েছে তিনি তা অত্যন্ত সরল ও হৃদয়গ্রাহী ভাষায় লিপিবদ্ধ করেছেন এই বই যা পাঠকদের সহজেই বোধগম্য হবে।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই বইয়ের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়েছে সেই সকল স্বয়ংসেবকদের (RSS) প্রতি, যাঁরা নিরন্তর ও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে চলেছেন সমাজের জন্য।

  • Morocco: এবছরের কোরবানিতে মরক্কোয় পশু হত্যা নিষিদ্ধ করেন রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ, কেন জানেন?

    Morocco: এবছরের কোরবানিতে মরক্কোয় পশু হত্যা নিষিদ্ধ করেন রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফ্রিকার ছোট্ট দেশ মরক্কো (Morocco), যেখানে ৯৯ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা বসবাস করে। সেখানে এ বছরের ঈদ-উল-আযহা বা বকরিদ (Bakrid) উপলক্ষে পশু জবাই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং তীব্র খরার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    কোরবানির পশু বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে (Morocco)

    সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, কোরবানির পশু বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন পশুর হাট ও বাজার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মরক্কোর প্রশাসনের মতে, দেশে পশু জবাইয়ের কারণে গবাদি পশুর সংখ্যা বিপজ্জনকভাবে কমে যাচ্ছে তাই এমন সিদ্ধান্ত। সেদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন প্রদেশে সাপ্তাহিক ভেড়ার হাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, পশু বিক্রি সংক্রান্ত যেকোনো অস্থায়ী বা স্থায়ী বাজারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মরক্কোর নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে গবাদি পশুগুলিকেও নিয়ে এসেছে। যাতে ঈদে সেগুলো হত্যা না করা হয়। একইসঙ্গে, কিছু এলাকার কসাইখানা সাময়িকভাবে (Morocco) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পশু জবাইয়ের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    মরোক্কোতে ভেড়ার সংখ্যা ৩৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে (Morocco)

    উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ দেশের নাগরিকদের আর্থিক চাপ কমাতে এবং গবাদি পশু সংরক্ষণের জন্য কোরবানি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি জানান, দেশের সমস্ত নাগরিকদের পক্ষ থেকে তিনিই একমাত্র পশু জবাই করবেন কোরবানিতে। বিগত ছয় বছর ধরে মরক্কো তীব্র খরার সঙ্গে লড়াই করছে। এর ফলে দেশে ভেড়ার সংখ্যা ৩৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও, মরোক্কোতে (Morocco) ৫০ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার ফলে পশুখাদ্যের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পশু জবাই বন্ধ করে সংরক্ষণের দিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে মরক্কো সরকার (Bakrid)।

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ২

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ২

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    পর্ব-২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৯ মে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঢাকা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় মাসুম হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের হুমকি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ঢাকার কামরনগিরছা এলাকায়।
    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ৩৬ বছর বয়সি মাসুম হোসেন খুনের হুমকি দিয়ে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানে লুটপাট চালায়। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম রাজবংশী। যাঁকে ৫০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করা হয়।
    জানা গেছে, মাসুম হোসেনের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক খুন ও ডাকাতির মামলা রয়েছে (Bangladeshi Hindus)। পুলিশ তাকে চান্দ মসজিদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

    ঘরে ঢুকে কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা (Bangladeshi Hindus)

    ১২ মে প্রথম আলো-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চট্টগ্রামে যুবদলের নেতা আবুল কাশেম কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
    কাশেম ‘জল খাওয়ার’ অজুহাতে ওই কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তাকে যৌন নির্যাতন করে। স্থানীয়রা ঘটনা জানতে পেরে গেলে কাশেম মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় একটি গোষ্ঠী নির্যাতিতার পরিবারকে পুলিশে অভিযোগ না করতে চাপ দেয় এবং কাশেমের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে। তবে নির্যাতিতার মা অভিযোগ দায়ের করেন এবং জানান, তাঁর মেয়েকে নিজের বাড়িতে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।
    আবুল কাশেম বর্তমানে যুবদলের একজন সক্রিয় নেতা এবং কমিটিতে রয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় যুবদল নেতৃত্ব কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে।

    আদিবাসী পরিবারের ওপর হামলা (Bangladeshi Hindus)

    ৯ মে ইবি নিউজ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮ মে রংপুরের রামনাথপুর ইউনিয়নের বদরগঞ্জ এলাকায় যুবদল নেতা জোবায়দুল ও তার সহযোগীরা একটি আদিবাসী পরিবারের ওপর হামলা চালায় ও লুটপাট করে।
    ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন একটি শিশু লিচু গাছ থেকে পড়ে যায় এবং জোবায়দুল অপর একটি শিশু অর্জুন রাউতকে একারণে দায়ী করে। এরপর জোবায়দুল ও তার সঙ্গীরা অর্জুনের বাড়িতে ভাঙচুর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলঙ্কার লুট করে। পরবর্তীতে অর্জুনের পরিবারের পক্ষ থেকে ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

    রংপুরে সোনার দোকানে চুরি (Bangladeshi Hindus)

    ১৪ মে সমকাল-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রংপুর শহরের লক্ষ্মী জুয়েলারি থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাঁচজন মহিলা একটি সোনার বাক্স চুরি করে।
    বাক্সটিতে ১০০ ভরি সোনা ছিল, যার বাজারমূল্য দেড় কোটি টাকা। তারা দোকানে ঢুকে কর্মচারীদের বিভ্রান্ত করে এবং একজন মহিলা ক্যাশ কাউন্টার থেকে বাক্সটি নিয়ে পালিয়ে যায়। বিকেল ৩টার দিকে দোকানের মালিক সিসিটিভি ফুটেজে বিষয়টি শনাক্ত করেন এবং রংপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

    শিব মন্দিরে মাইক বাজানো নিয়ে সংঘর্ষ

    ১৪ মে আজকের পত্রিকা-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নাটোরের লালপুর উপজেলার হালদারপাড়ায় একটি শিব মন্দিরে গান বাজানো নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ ঘটে।
    ধুপাইল এলাকার এই ঘটনায় দুইজন আহত হন। পুলিশ জানায়, স্থানীয় বাসিন্দা পিন্টু আলি এই ঝামেলার সূত্রপাত করে। ২১ বছর বয়সি অলিউল ইসলামকে সেনাবাহিনী আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

    খুলনায় প্রধান শিক্ষক গুলিবিদ্ধ

    ১৫ মে প্রথম আলো-তে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, খুলনার আড়ংঘাটা এলাকার টেলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার সরকারের ওপর দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়।
    সকাল ১০টার দিকে সরদারপাড়া জামে মসজিদের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে। গুলি তাঁর বাঁ পায়ে লাগে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
    পুলিশ জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও তোলাবাজির টাকা না দেওয়ায় এই হামলা হয়েছে। দিলীপ কুমার সরকার (Hindus Under Attack) সম্প্রতি দুষ্কৃতীদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

    তানোরে আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা (Bangladeshi Hindus)

    ১৫ মে জনকণ্ঠ-এ প্রকাশিত খবরে জানা যায়, রাজশাহীর তানোরে খায়রুল ইসলাম (বয়স ৪৫), একজন আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
    খায়রুলের দাদা স্থানীয় বিএনপি নেতা। দীর্ঘদিন ধরেই সে ওই মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
    ১৪ মে রাতে, মহিলার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সে জোর করে ঢুকে পড়ে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। প্রতিবেশীদের (Hindus Under Attack) হস্তক্ষেপে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তানোর থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ খায়রুলকে গ্রেফতার করে।

     

  • INS Arnala: অগভীর জলেও চলতে পারদর্শী, নৌসেনায় যোগ দিচ্ছে সাবমেরিন-ঘাতক ‘আইএনএস অর্নালা’

    INS Arnala: অগভীর জলেও চলতে পারদর্শী, নৌসেনায় যোগ দিচ্ছে সাবমেরিন-ঘাতক ‘আইএনএস অর্নালা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮ জুন বিশাখাপত্তনমে অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার শ্যালো ওয়াটার ক্র্যাফট (ASW-SWC) সিরিজের প্রথম যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস অর্নালা’ (INS Arnala) ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। উল্লেখ্য, গত ৮ মে এই যুদ্ধজাহাজটি নৌবাহিনীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল।

    ৮৮ শতাংশেরও বেশি উপকরণ দেশীয়ভাবে প্রস্তুত

    এই যুদ্ধজাহাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, এর ৮৮ শতাংশেরও বেশি উপকরণ দেশীয়ভাবে প্রস্তুত। আত্মনির্ভর ভারতের স্পষ্ট ছাপ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, এলঅ্যান্ডটি, মহীন্দ্রা ডিফেন্স সহ একাধিক শীর্ষস্থানীয় দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে এই যুদ্ধজাহাজ। ‘অর্নলা’র (INS Arnala) যাত্রায় উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান।

    গার্ডেন রিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড তৈরি করেছে

    জানা গিয়েছে, এই জাহাজ (INS Arnala) তৈরি করেছে গার্ডেন রিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (জিআরএসই)। সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের নৌবাহিনীকে (Anti Submarine Warfare) সহায়তা করবে এই জাহাজ। জাহাজটি ৭৭.৬ মিটার লম্বা এবং ১০.৫ মিটার চওড়া। ‘অর্নালা’র যাত্রা শুরুর দিনে দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন পূর্বাঞ্চলীয় নৌ কমান্ডের ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ ভাইস অ্যাডমিরাল রাজেশ পেনধারকর। একই সঙ্গে এই জাহাজের নির্মাণ শ্রমিকরাও অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন।

    দেশের যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের ইতিহাসে এমন ঘটনা

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য়, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথভাবে এই জাহাজটি তৈরি করা হয়েছে। দেশের যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের (INS Arnala) ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম। জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা হচ্ছে মোট ১৬টি যুদ্ধজাহাজ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আয়তনে ছোট হলেও এই জাহাজ যথেষ্ট কার্যকরী। সমুদ্রে তুলনায় অগভীর এলাকাগুলিতে এই জাহাজ কাজে লাগানো হবে। হাল্কা ওজনের টর্পিডো, সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী রকেটে সমৃদ্ধ হবে এই রণতরী। এই জাহাজকে শক্তি জোগাবে এক জোড়া ডিজেল ইঞ্জিন এবং ‘ওয়াটার জেট প্রোপালসান’ সিস্টেম। বহুক্ষেত্রে শত্রুর সাবমেরিন সেই সব অগভীর সমুদ্রাঞ্চল বা খাঁড়িতে মোতায়েন থাকে বা ঘাপটি মেরে বসে থাকে যেখানে বড় জাহাজ ঢুকতে পারে না। সেখানে অতি সহজেই ঢুকে যাবে ‘আইএনএস অর্নালা’।

    কেন যুদ্ধজাহাজটির নাম ‘অর্নালা’?

    যুদ্ধজাহাজটির নাম ‘অর্নালা’ কেন রাখা হল, তা নিয়ে অনেকের কৌতূহল থাকতেই পারে। এই নামটির পেছনে রয়েছে এক ঐতিহাসিক গুরুত্ব। আসলে, ‘অর্নালা’ নামটি এসেছে মহারাষ্ট্রের এক উপকূলীয় দুর্গ থেকে থেকে। সেটিরও নাম ছিল ‘অর্নালা’ । ১৭৩৭ সালে মারাঠা নেতা চিমাজি আপ্পা-র নেতৃত্বে এই দুর্গটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় বইতোরনা নদীর মুখ এবং উত্তর কোঙ্কন উপকূলকে শত্রু আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য এই দুর্গ ছিল গড়ে তোলা হয়েছিল। এই দুর্গ উপকূল রক্ষার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত ছিল।

  • Brain Tumor: মানসিক চাপেই বাড়ছে বিপদ! ব্রেন টিউমারের নেপথ্যে কি স্ট্রেস?

    Brain Tumor: মানসিক চাপেই বাড়ছে বিপদ! ব্রেন টিউমারের নেপথ্যে কি স্ট্রেস?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মনের পাশাপাশি শরীরের উপরেও গভীর ছাপ ফেলে! মানসিক চাপ থেকে শুরু করে ডিপ্রেসন বা অবসাদ মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক! শরীরের একাধিক রোগের কারণ! এমনকি মস্তিষ্কের টিউমারের (Brain Tumor) কারণ ও হতে পারে মানসিক চাপ। সম্প্রতি চিকিৎসকদের এক আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রে এমন তথ্যই প্রকাশিত হল। তবে, প্রথম থেকেই সতর্ক হলে বড় বিপদ মোকাবিলা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসার সুযোগ হারিয়ে যায়। তারপরে শুরু হয় রোগ নির্ণয়। এটাই মস্তিষ্কের টিউমারের চিকিৎসায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আজ, ৮ মে ওয়ার্ল্ড ব্রেন টিউমার ডে (World Brain Tumor Day)। সেই উপলক্ষে একটি সর্বভারতীয় কর্মশালায় এমনটাই জানালেন দেশের বিভিন্ন শহরের শল্য চিকিৎসকদের একাংশ। বিশ্ব জুড়ে লাগাতার মস্তিষ্কের টিউমার ও তার চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা চলছে। গবেষণায় নতুন দিক উঠে আসছে। তবে আধুনিক এই চিকিৎসার প্রথম শর্ত হল দ্রুত রোগ নির্ণয়। ভারতে মস্তিষ্কের টিউমার (Brain Tumor) চিকিৎসার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সচেতনতার অভাব। তাই রোগ নির্ণয় করতেই অনেকটা সময় চলে যায়‌।

    ভারতে ব্রেন টিউমারে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা কি বাড়ছে?

    ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ভারতে নতুন করে ব্রেন টিউমারে আক্রান্তের তালিকা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রায় তিরিশ হাজার মানুষ এ দেশে নতুন করে ব্রেন টিউমারের সমস্যার শিকার হন। যা যথেষ্ট উদ্বেগের। এই রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় রোগীর বাড়তি ভোগান্তি হয় বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেন ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) হয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোনও একটি নির্দিষ্ট কারণকে ব্রেন টিউমারের জন্য দায়ী করা যায় না। তবে কিছু কারণে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেগুলো এড়িয়ে চললে রোগের ঝুঁকিও কমতে পারে। মানসিক চাপ ব্রেন টিউমারের অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশে ব্রেন টিউমারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, মানসিক অসুস্থতা! আধুনিক জীবন যাপনে অধিকাংশ মানুষ নানান কারণে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন‌। বদলে যাচ্ছে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সম্পর্ক। এমনকি কর্মজীবনে ও নানান পরিবর্তন আসছে। আর এই সবকিছুই মানুষের মনে গভীর প্রভাব ফেলছে। বহু মানুষ নানান কারণে মানসিক চাপের শিকার হচ্ছেন। এর ফলে মস্তিষ্কে অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। মানসিক চাপ থাকলে শরীরে অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ হয়। মস্তিষ্কে এর গভীর প্রভাব পড়ে। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হিসাবে টিউমার (Brain Tumor) হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    স্ট্রেস ফ্যাক্টরের পাশপাশি আরও কিছু কারণ মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। নিয়মিত রেডিয়েশন, এক্স রে শরীরে প্রবেশ করলে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই দেখা যায়, অন্য কোনও রোগের জেরে দীর্ঘদিন রেডিয়েশন থেরাপি নেওয়ার জেরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) হয়েছে। আবার বংশানুক্রমিক সমস্যার জেরেও এই রোগ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারে ক্যান্সারে আক্রান্ত কেউ থাকলে বা আগে কেউ অন্য কোনও টিউমারে আক্রান্ত থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্থুলতা মস্তিষ্কের টিউমারের অন্যতম কারণ হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে মস্তিষ্কে চাপ‌ পড়ে। সেটা টিউমারের অন্যতম কারণ হতে পারে।

    কীভাবে উপসর্গ চিনবেন?

    চিকিৎসকদের মতে, প্রথম পর্বেই রোগ নির্ণয় হয়ে গেলে রোগের‌ মোকাবিলা সম্ভব। কিছু উপসর্গ সম্পর্কে সজাগ হলেই রোগ নির্ণয় দ্রুত সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মাথার তীব্র যন্ত্রণা, মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলা, স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলা, কাজ করার ইচ্ছে না থাকা, বমি হওয়া, মল-মূত্রত্যাগে নিয়ন্ত্রণ হারানোর মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট পরীক্ষার (Brain Tumor) মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সম্ভব।‌

    চিকিৎসার পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্রেন টিউমারের (World Brain Tumor Day) আক্রান্ত মানেই জীবন শেষ, এমন ভাবনা একেবারেই ঠিক নয়। টিউমারের চিকিৎসা সম্ভব। আর টিউমার হলেই ক্যান্সার বা অন্য কোনও জটিল রোগ হবে এমন ভাবাও অপ্রয়োজনীয়। নানান নেতিবাচক ভাবনা বাদ দিয়ে ঠিকমতো চিকিৎসা সম্পূর্ণ করলে আবার সুস্থ জীবনে ফিরে আসা যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ১

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ১

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    পর্ব-১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১ মে, ‘সকালের খবর’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার তানোরে সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরীর বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়। ডাকাতরা সাংবাদিকের মা এবং তার ১০ বছর বয়সী ভাগ্নিকে নির্মমভাবে আঘাত করে। এই ঘটনা ঘটে ৩০ এপ্রিল গভীর রাতে, গ্রাম আখচায় অবস্থিত বিশ্বজিৎ চৌধুরীর বাড়িতে (Bangladeshi Hindus)। তিনি বর্তমানে তানোর রিপোর্টার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন। বাড়িতে হামলার সময় বিশ্বজিৎ চৌধুরী নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। হামলাকারীরা ঘরের ভেতরে ঢুকে প্রথমে তাঁর মাকে প্রথমেই আক্রমণ করে। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকের দশ বছর বয়সি ভাগ্নেকেও চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। এর ফলে শিশুটির মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। এরপরেই স্থানীয় গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন, এবং তাদের উপস্থিতিতে হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরে গ্রামবাসীদের সহায়তায় আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরীর মা ও ভাগ্নিকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

    ২ মে, বাংলাদেশের দৈনিক ‘পার্বত্য কণ্ঠ’-এ প্রকাশিত খবর ধর্ষিতা হিন্দু মহিলা

    গত ২ মে, বাংলাদেশের দৈনিক ‘পার্বত্য কণ্ঠ’-এ প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, ধর্ষণের একটি মামলায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ১৮ বছর বয়সি এক হিন্দু মহিলার (Hindus Under Attack) ওপর হামলা চালানো হয়। পরে তাঁকে  গণধর্ষণ করা হয়। তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে একটি গাছের নিচে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে এই অপরাধ সংঘটিত করা হয়। অভিযুক্তরা পালা করে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। একজন ধর্ষণ করে এবং অপরজন মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ড করে। গ্রেফতার হওয়া দুজনের নাম মফিজুল ইসলাম (৩১) এবং আবু তালেব গাজী (২৮)।

    ৪ মে, ‘ডেইলি অবজারভার’ পত্রিকার খবর, দেবোত্তর সম্পত্তি দখল

    গত ৪ মে, ‘ডেইলি অবজারভার’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের নিয়ামতপুর-মান্দা এলাকার ঐতিহাসিক দেবোত্তর সম্পত্তির প্রায় ১৪০০ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। এই দেবোত্তর জমি একসময় জমিদার কালিপদ এবং দেবীপদ রায়ের মালিকানাধীন ছিল। ১৯৪৯ সালের পরে এই সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহণ করে (Bangladeshi Hindus)।

    ৫ মে, ‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর হিন্দু মহিলার নগ্ন দেহ উদ্ধার

    গত ৫ মে, ‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানানো হয়, বাংলাদেশের বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু এলাকায় একটি খাল থেকে ২৯ বছর বয়সি এক হিন্দু মহিলার মৃতদেহ (Bangladeshi Hindus) উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, তিনি নিজের জমিতে একা চাষ করতে গিয়েছিলেন। দুপুরে খেতে না আসায় পরিবার ও প্রতিবেশীরা খোঁজ শুরু করে। পরে তাঁর নগ্নদেহ খাল থেকে উদ্ধার করা হয়। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। যৌন নির্যাতনের পরেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ (Hindus Under Attack)।

    ৫ মে, ‘কালবেলা’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর হিন্দু ধর্মকে অপমান করে ফোসবুক পোস্ট, গ্রেফতার ১

    ৫ মে, ‘কালবেলা’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আবদুল ওহাব ফকির (৪০) নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে পোস্ট দেন। ঘটনাটি গাবতলী উপজেলার। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন উস্কানিমূলক পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। গত অগাস্ট মাসে জামাত-বিএনপির নেতৃত্বে গণভবন দখল করা হয়। পদচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই সে দেশে হিন্দুবিরোধী (Hindus Under Attack) কার্যকলাপ আরও বেড়ে যায়। সামাজিক মাধ্যমে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অসংখ্য উস্কানিমূলক পোস্ট ছড়িয়ে পড়ছে। আব্দুল ওহাব ফকিরের এমন পোস্টকে তাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা মানতে নারাজ ওয়াকিবহাল মহল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন পলাশ কুমার মহন্ত নামের এক ব্যক্তি। ওহাবের বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্ম (Bangladeshi Hindus) অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। গাবতলীর শতমথ মুক্ত মঞ্চ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

    ৭ মে, ‘এই দিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর কালী মূর্তি ভাঙচুর

    গত ৭ মে, ‘এই দিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের একটি চা বাগানে অবস্থিত কালীমন্দিরে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় এবং দেবী কালী ও ভগবান শিবের মূর্তি ভেঙে ফেলে। এই ঘটনাটি গভীর রাতে ঘটে। পরদিন সকালে স্থানীয়রা ভাঙা মূর্তিগুলো দেখতে পান। এরপর গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এছাড়া, ‘জয়জায়দিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পেশায় কাঠমিস্ত্রি এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম মঙ্গল সূত্রধর। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সকালে তিনি বাড়ি থেকে বের হন, কিন্তু আর ফিরে আসেননি (Bangladeshi Hindus)।

     

    (চলবে)

  • BRICS: চাপ বাড়ল পাকিস্তানের! পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করল ‘বন্ধু’ চিন, ইরান

    BRICS: চাপ বাড়ল পাকিস্তানের! পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করল ‘বন্ধু’ চিন, ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তানের মুখোশ বিশ্বের দরবারে খুলে দিতে ঘুরছে ভারতের প্রতিনিধি দল (BRICS)। এই আবহে বিশ্বমঞ্চে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল পাকিস্তান। ব্রিকসের অন্তর্ভুক্ত ১০টি দেশেরই সংসদীয় ফোরাম পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করল। একইসঙ্গে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতিতে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর কথাও বলা হল। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ১০ দেশের এই সংসদীয় ফোরামে পাকিস্তানের বন্ধু দেশ চিন ও ইরানও রয়েছে।

    কোন কোন দেশ রয়েছে (BRICS)?

    প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের (BRICS) ব্রাসিলিয়ায় ৪ ও ৫ জুন ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বার্ষিক সংসদীয় ফোরামের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যোগ দেয় ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মিশর, ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া। সম্মেলনের প্রতিনিধিরা ২ দিন ধরে নানা ইস্যুতে আলোচনা করেন। ভারতের তরফে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নেতৃত্বে একটি সংসদীয় দল এই সম্মেলনে যোগদান করে। ব্রিকসের এই সম্মেলনে ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।

    নিজের বক্তব্যে কী বললেন ওম বিড়লা

    ওম বিড়লা তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ আজ একটি বিশ্বব্যাপী সঙ্কটে পরিণত হয়েছে, যা কেবল আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমেই মোকাবিলা করা যেতে পারে।’’ সন্ত্রাস ইস্যুতে তিনি চারটি বড় পদক্ষেপের কথা বলেছেন নিজের বক্তব্যে। এর মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর অর্থায়ন বন্ধ করা, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও মসৃণ করা, প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করা এবং তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা বাড়ানো (BRICS)।

    ১০ দেশের সংসদের প্রতিনিধিরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন

    সম্মেলনের একেবারে শেষে ১০ দেশের সংসদের প্রতিনিধিরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন। সেখানেই পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়। লোকসভা সচিবালয় এনিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে সম্মেলনের যৌথ ঘোষণায় ভারতের পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এবং ব্রিকসভুক্ত সব দেশের সংসদগুলিও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে (Pahalgam Terror Attack)। ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিশ্ব বাণিজ্য, আন্তঃসংসদীয় সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার মতো বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

LinkedIn
Share