Tag: মাধ্যম

  • BJP: তৃণমূল নেতার অভিযোগে হিন্দুদের নাম বাদ ভোটার তালিকা থেকে! একযোগে আক্রমণ মালব্য-শুভেন্দু-সুকান্তর

    BJP: তৃণমূল নেতার অভিযোগে হিন্দুদের নাম বাদ ভোটার তালিকা থেকে! একযোগে আক্রমণ মালব্য-শুভেন্দু-সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা ভোট। তার আগে ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে সরগরম বাংলার রাজনীতি। এনিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একযোগে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন গেরুয়া শিবিরের তিন নেতা মালব্য-শুভেন্দু-সুকান্ত। বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের অভিযোগ, বাংলার ভোটার তালিকা থেকে হিন্দু নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নাম যুক্ত করছে তৃণমূল। এনিয়ে কৃষ্ণনগরের ঘটনা তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি,  ওই এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা আব্দুল রহমান শেখের নির্দেশে হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বেছে বেছে বাদ দিচ্ছে তৃণমূল।

    তৃণমূল সরকারের (TMC) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ অমিতের মালব্যর

    মঙ্গলবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বে টুইটার) একটি পোস্ট করেন বিজেপি (BJP) নেতা অমিত মালব্য। তিনি লেখেন, ‘‘তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে হিন্দু নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নাম যুক্ত করছে।’’ এক্ষেত্রে অমিত মালব্য সীমান্ত অঞ্চলের কথা তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, বিজেপি যে স্থানগুলিতে শক্তিশালী সেখানেই এমনটা করছে প্রশাসন। অমিত মালব্য লেখেন, ‘‘নদিয়া, যেখানে বিজেপির সংগঠন শক্ত, সেখানে আব্দুল রহমান শেখের থেকে একটি অনুরোধ পেয়ে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (বিডিও) সেদিনই ভোটার তালিকা থেকে ৯৮ জন হিন্দুর নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন।’’ তাঁর নিজের দাবির স্বপক্ষে অর্ডারের ছবিও পোস্ট করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান। অমিত মালব্যর আরও দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই কার্যকলাপ চলছে। ভোটার তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে বিডিও-রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন মুসলিমরা তাঁকে ব্যাপকভাবে রাজ্যে ভোট দেয়। হিন্দুদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার এটি একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা।’’

    সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও

    এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আবদুর রহিম শেখ তিনি নাকি তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্ট, না কী নেতা আছেন! তিনি টুসি ঠাকুর, অমিত কুমার ঘোষ, কৃষ্ণা ঘোষ, কমলা মণ্ডল, সবিতারানি সরকার এই ভাবে একা ৯৭টা নাম নিয়ে অভিযোগ করেছেন। প্রথমত, এভাবে অভিযোগ করা যায় না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব, অবিলম্বে কৃষ্ণনগরের বিডিওকে বহিষ্কার করতে। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, সাদা কাগজে দরখাস্ত দিলে যদি বিডিও তার তদন্ত করেন এবং এই হিন্দু ভোটারদের ডিস্টার্ব করেন, তাহলে আমরা এই বিডিওকে সাসপেন্ড করার জন্য বলব। কারণ, এই কাজটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের কাজ নয়। এটা ইসিআইয়ের কাজ। বিডিও তাঁর লিমিটেশন ক্রস করছেন। এটা হচ্ছে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নির্দেশে। আমরা কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের এই ৯৮ জনকে নিয়ে ধর্নাও দেব, কোর্টেও যাব। এই বিডিওর বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেব। এই ৯৮ জনকে আবেদন করব, রেসপন্স করবেন না। এটা যথার্থ ফর্ম নয়।’’

    পরিকল্পনা করে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ সুকান্তর

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, রীতিমতো পরিকল্পনা করে হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাম ঢোকানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এক্ষেত্রে সুকান্ত মজুমদার ছবি সহ প্রমাণও তুলে ধরেন। তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বড়সড় চক্রান্তের অভিযোগ আনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায় উঠে আসে, কৃষ্ণনগরের ঘটনা। পরিকল্পনা করে সীমান্তবর্তী জেলা থেকে হিন্দুদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত। এনিয়ে শাহি দরবারে অভিযোগও জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বেশ কিছু হিন্দু ভোটারদের কাছে নট ইন্ডিয়ান বলে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে যে দেশের নাগরিক হিসেবে প্রমাণ দিতে হবে তাঁদের। কিন্তু এবার একসঙ্গে একটা বড় অভিযোগ আনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ করে তুলতে কোনও খামতি রাখছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। একদিকে যেমন হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, তেমনি বাংলাদেশের মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ বানানোর চক্রান্ত

    সুকান্তর দাবি, পশ্চিমবঙ্গকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। নিজের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাকে গ্রেটার বাংলাদেশ বানানোর স্বপ্ন দেখা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের আরও মারাত্মক একটি চক্রান্ত। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বাংলাদেশের যশোর জেলার চৌগাছা অঞ্চলের বাসিন্দা শহিদুল বিশ্বাস, তার নাম রয়েছে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায়।’’ সুকান্তর মতে, ‘‘শুধু একজন শহিদুল নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গে এমন লক্ষ লক্ষ অনুপ্রবেশকারীদের সম্মানের সঙ্গে ভোটার তালিকায় সংযোজিত করেছে তৃণমূল।’’

  • LCH Prachand: ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৬টি দেশীয় অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনতে চলেছে কেন্দ্র!

    LCH Prachand: ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৬টি দেশীয় অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনতে চলেছে কেন্দ্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষাকে জোরদার করতে গত সপ্তাহেই ৬১ হাজার কোটি টাকার সামরাস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা। শীঘ্রই আরও একটি চুক্তিতে অনুমোদন দিতে পারে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, দেশে তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’-র (LCH Prachand) ১৫৬টি ইউনিট কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর সঙ্গে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করতে পারে কেন্দ্র। এই হাল্কা অ্যাটাক হেলিকপ্টারগুলি (Light Combat Helicopters Deal) ভারতীয় স্থলসেনা ও ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য কেনা হবে।

    দ্বিমুখী যুদ্ধের প্রস্তুতি!

    কয়েকদিন আগেই, ভারতীয় সেনাপ্রধান আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, বর্তমান সময়ে ভারতের সামনে দ্বিমুখী যুদ্ধ পরিস্থিতির তৈরি হওয়াটা কোনও কল্পনা নয়। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এর সম্ভাবনা যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। ফলে, ভারতকে দুই দিকেই (চিন ও পাকিস্তান) প্রতিরক্ষাকে জোরদার করে রাখতে হবে। সদা-সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে যে কোনও দিন দ্বিমুখী সংঘাত পরিস্থিতির জন্য। আর সেই জন্য, সামরিক দিকগুলোয় যেখানে যা দুর্বলতা বা ফাঁকফোকড় রয়েছে, তা দ্রুত ভরাট করতে হবে। সূত্রের দাবি, পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে নিরাপত্তা অভিযান বাড়ানোর জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই হেলিকপ্টারগুলি অধিগ্রহণের পক্ষে জোরালোভাবে সওয়াল করছে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ড দেশের গর্ব (LCH Prachand)

    জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জুনে মাসে, হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ১৫৬টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র পেয়েছিল। সেই নিয়ে আলোচনা-পর্ব মেটার পর এখন তা চূড়ান্ত অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। এই ১৫৬টি হেলিকপ্টারের মধ্যে ৯০টি ভারতীয় স্থলসেনার জন্য এবং ৬৬টি ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বরাদ্দ করা হবে। এই প্রস্তাব অনুমোদন পেলে, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সুরক্ষিত হবে। একইসঙ্গে, প্রতিরক্ষা উৎপাদনে দেশে জোয়ার আসবে, যা মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত-এর (Atmanirbhar Bharat) পক্ষে জোরালো সওয়াল হবে এবং একইসঙ্গে ভারতে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

    এক নজরে হ্যাল এলসিএইচ প্রচণ্ড-র বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি

    ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) বিশ্বের একমাত্র আক্রমণকারী বা অ্যাটাক হেলিকপ্টার, যা ৫,০০০ থেকে ১৬,৪০০ ফুট উচ্চতায় অবতরণ ও উড়তে সক্ষম। সিয়াচেন হিমবাহ ও পূর্ব লাদাখের মত অতি উচ্চ এলকায় যুদ্ধের জন্য এগুলি আদর্শ।

    অধিক উচ্চতার অভিযানে দক্ষতার পাশাপাশি, প্রচণ্ড হেলিকপ্টারগুলি আকাশ থেকে ভূমি এবং আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত।

    প্রচণ্ড চপারগুলো ডেটা চিপ দিয়ে সংযুক্ত, যা তাদের নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক অভিযানে অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা দেয়। ডেটা চিপগুলির জন্য এই কপ্টারগুলি সামরিক অভিযানে সমন্বয় গঠনের মাধ্যমে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে ওঠে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ডকে (LCH Prachand) ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় বায়ুসেনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    মেক ইন ইন্ডিয়া-য় জোর, গুরুত্ব আত্মনির্ভর ভারত-কে

    মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করতে এবং আত্মনির্ভর ভারত (Atmanirbhar Bharat) প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে ইতিমধ্যেই হ্যালকে ৮৩টি এলসিএ তেজস যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য একটি অর্ডার দিয়েছে এবং আরও ৯৭টি যুদ্ধবিমান চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তার মধ্যেই, এবার ১৫৬টি এলসিএইচ-এর (LCH Prachand) বরাত পেতে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। কেন্দ্রের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার পরিষদ বা কেবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি ৩০৭টি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম (এটিএজিএস) কেনার জন্য ৭ হাজার কোটি টাকার একটি চুক্তিও অনুমোদন করেছে, যা বুধবার স্বাক্ষরিত হওয়ার জন্য প্রত্যাশিত। এই হাউইৎজারগুলি ভারত ফোর্জ এবং টাটা গ্রুপ দ্বারা উৎপাদিত হবে।

  • Mehul Choksi: তাঁদের দেশেই রয়েছেন মেহুল চোকসি, জানাল বেলজিয়াম, কেন বিলম্ব প্রত্যর্পণে?

    Mehul Choksi: তাঁদের দেশেই রয়েছেন মেহুল চোকসি, জানাল বেলজিয়াম, কেন বিলম্ব প্রত্যর্পণে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেলজিয়ামেই রয়েছে পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসি (Mehul Choksi)! তাঁর উপস্থিতি সম্পর্কে অবগত বেলজিয়াম। এমনটাই জানাল সে দেশের সরকার। ভারতে তাঁর প্রত্যর্পণের বিষয়টি একইসঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্ব ও মনোযোগ সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

    কী বললেন বেলজিয়ামের (Belgium) বিদেশ বিষয়ক মুখপাত্র?

    একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বেলজিয়ামের ফেডেরাল পাবলিক সার্ভিসের (এফপিএস) বিদেশ বিষয়ক মুখপাত্র ডেভিড জর্ডেন্সের কাছে মেহুলের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত করতে পারি, বিদেশ মন্ত্রক বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। যদিও এই বিষয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করতে পারি না। এই বিষয়টি এফপিএস-এর বিচারকের অধীনে পড়ে।’’ তার পর তিনি আরও বলেন, বেলজিয়াম সরকার পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।

    কেন বিলম্ব হচ্ছে প্রত্যর্পণ

    জানা গিয়েছে, মেহুলের (Mehul Choksi) স্ত্রী প্রীতি চোকসি বেলজিয়ামেরই নাগরিক। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নিজের স্ত্রীর সাহায্যে ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ‘এফ রেসিডেন্সি কার্ড’ জোগাড় করে বেলজিয়ামে থাকতে শুরু করেছেন মেহুল। এই কার্ডের মাধ্যমে অন্য কোনও দেশের নাগরিক বৈবাহিক সূত্রে তাঁর স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে বেশে কিছু শর্ত মেনে বেলজিয়ামে থাকতে পারেন। তবে মেহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভুয়ো কাগজপত্র জোগাড় করে তিনি বেলজিয়ামে থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন। নানা কৌশলে ভারতে প্রত্যর্পণ ঠেকানোর চেষ্টাও করে চলেছেন তিনি।

    মেহুলের (Mehul Choksi) বিরুদ্ধে অভিযোগ

    এক্ষেত্রে উল্লেখ্য পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে মেহুলের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে পিএনবি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তাঁর। এর পর ভারত ছেড়ে পালিয়ে যান মেহুল। এদেশের সিবিআই এবং ইডি, উভয় সংস্থাই তাঁকে খুঁজছে। জানা যায়, আগে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র অ্যান্টিগা ও বারবুডায় ছিলেন মেহুল। সেখানকারও নাগরিকত্ব রয়েছে তাঁর কাছে। সেখান থেকে মেহুলকে ভারতে ফেরানো যায়নি। এর পর ২০২১ সাল নাগাদ, আচমকা, সেখান থেকে উধাও হয়ে যান মেহুল। সম্প্রতি, বেলজিয়ামে মেহুলকে দেখতে পাওয়ার পরই ফের তাঁকে ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয় ভারত সরকার।

  • Hafiz Saeed: পাকিস্তানে ফের হানা অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজদের, এবার খতম হাফিজ ঘনিষ্ঠ জঙ্গিনেতা

    Hafiz Saeed: পাকিস্তানে ফের হানা অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজদের, এবার খতম হাফিজ ঘনিষ্ঠ জঙ্গিনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের করাচিতে ফের খতম ভারত-বিরোধী জঙ্গি। জানা গিয়েছে, হাফিজ সঈদের (Hafiz Saeed) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি কারি শাহজাদাকে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজরা গুলি করে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে করাচিতে। ২৪ মার্চ সকালে করাচির খরিয়াবাদ এলাকাতে এই ঘটনা ঘটে। জমিয়ত-উলেমায়ে-হিন্দ বলে একটি সংগঠনের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন এই শাহজাদা। তাঁকেই গুলি করে হত্যা করা হয়।

    মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফেরার পথেই গুলি (Hafiz Saeed)

    জানা গিয়েছে, সোমবার মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফেরার পথেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত মাসে যেভাবে পাঁচজন জমিয়তে-উলেমায়ে-ইসলামের (Qari Shahzada) নেতাকে খুন করা হয়েছে, এক্ষেত্রেও একই কায়দা অনুসরণ করা হয়েছে। শাহজাদার এই হত্যাকাণ্ড এখন আর কোনও গোপন ঘটনা নেই। সর্বত্র চর্চা চলছে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এর ফলে বেশ চাপেও পড়েছে পাকিস্তানের সরকার। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার জন্য কোনও জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার করেনি। প্রসঙ্গত, ভারত-বিরোধী জঙ্গিদের (Hafiz Saeed) গুলি করে হত্যা করার ঘটনা বেড়েই চলেছে পাকিস্তানে এবং এর সবটাই করছে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজরা। এর আগেও একাধিকবার এমন একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু প্রতিবারই এই ঘটনা রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে পাক সরকার ও গোয়েন্দা বিভাগ।

    পাকিস্তানে ছড়িয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং তাদের গোয়েন্দা দফতরের ওপরেও প্রশ্ন চিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। সামনে এসেছে তাদের ব্যর্থতা। ব্যাপক সমালোচনার শোনা গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই ধরনের হত্যাকাণ্ডকে পাক গোয়েন্দারা কেন আগে থেকে রোধ করতে পারছে না, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। কারি শাহজাদাকে খতম করার এই ঘটনায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক উত্তাপও ছড়িয়েছে। বিরোধী নেতারা দাবি তুলছেন যে, পাকিস্তান নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা এই ধরনের ঘটনাকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তথা প্রশাসন এবং সরকারের ব্যর্থতা বলেই তোপ দাগছেন।

  • Nilamadhaba Temple: স্বপ্নাদেশ পেয়ে ভগবানকে খুঁজতে যান রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন! জানুন ওড়িশার নীলমাধব মন্দিরের মাহাত্ম্য

    Nilamadhaba Temple: স্বপ্নাদেশ পেয়ে ভগবানকে খুঁজতে যান রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন! জানুন ওড়িশার নীলমাধব মন্দিরের মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ওড়িশার কন্টিলোতে অবস্থিত নীলমাধব মন্দির (Nilamadhaba Temple) পরিদর্শন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বৈষ্ণব ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই মন্দির ওড়িশা তথা ভারতবর্ষের হিন্দু সমাজের কাছে এক উল্লেখযোগ্য তীর্থস্থান। সারা বছর ধরেই প্রচুর ভক্ত নিজেদের মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য এই মন্দিরে আসেন। নীলমাধব মন্দিরেই প্রতিফলিত হয় হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য। প্রাচীন জনজাতি সমাজের রীতিনীতিও বোঝা যায় এই মন্দিরে পৌঁছালে। এই মন্দির যেন কথা বলে। হাজার হাজার বছর ধরে সমুদ্র, নদী, অরণ্য কীভাবে আমাদের মানব সমাজকে প্রতিমুহূর্তে লালন পালন করে আসছে, সেই কথাই ধ্বনিত হয় এই মন্দিরে। ওড়িশা রাজ্যের প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী তথা সে রাজ্যের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস হল, ভগবান জগন্নাথ এই প্রাচীনতম বৈষ্ণব উপাসনা তীর্থে সর্বদাই বাস করেন। তিনি এখানে থেকেই ভক্তদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেন। ভগবান নীলমাধব হলেন ভগবান বিষ্ণুরই অন্যতম রূপ। পুরীতেই ইনি ভগবান জগন্নাথ হিসেবে পূজিত হচ্ছেন। ভক্তদের বিশ্বাস ও ওড়িশা রাজ্যের প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী, পুরীতে জগন্নাথদেবের পুজোর আগে থেকেই ভগবান বিষ্ণুর রূপ হিসেবে নীলমাধবের পুজো করা হত। গবেষকরা জানাচ্ছেন, নীলমাধব শব্দটি এসেছে নীলা মাধব থেকে। বিষ্ণুসহস্র নামে উল্লেখ রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর ২৪টি প্রধান নামের কথা। এই নামগুলির মধ্যে অন্যতম হল নীলমাধব। ঐতিহাসিক তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়, নীলমাধবের পুজো ওড়িশায় প্রায় হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে হয়ে আসছে। এই প্রতিবেদনে জানব নীলমাধবের পুজো কীভাবে শুরু হল?

    নীলমাধবের পুজো চারটি নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল

    ওড়িশা রাজ্যে (Odisha) নীলমাধবের পুজো (Nilamadhaba Temple) চারটি নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। এই নদীগুলি হল- মহানদী, ঋষিকুল্য, বৈতরণী এবং প্রাচী। যে স্থানে এই মন্দির অবস্থিত সেই কন্টিলো হল ওড়িশার নয়াগড় জেলায় অবস্থিত একটি জনপদ। এই স্থানের দূরত্ব পুরী থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে। ওড়িশা রাজ্যের লোককথা থেকে জানা যায়, ভগবান বিষ্ণু প্রথমে নীলমাধবের আকারে কাঠের মূর্তি হিসেবে কন্টিলোতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। অর্থাৎ পুরীর মন্দিরের আগে থেকেই কন্টিলোতে চলে আসছে পুজো। প্রসঙ্গত, পুরীর জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। ভক্তদের বিশ্বাস- জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি স্থাপন করেছিলেন তিনি।

    ভগবান বিষ্ণু স্বপ্নে নির্দেশ দেন রাজাকে (Nilamadhaba Temple)

    কন্টিলোর নীলমাধব মন্দির এবং রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের পৌরাণিক কাহিনীও বেশ জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে। প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী, স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু ধর্মপ্রাণ রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে একদিন স্বপ্নে দেখা দেন। ভগবান বিষ্ণু এরপর ইন্দ্রদ্যুম্নকে জানান, ওড় দেশের (ওড়িশা) মহানদীর তীরে (Odisha) তিনি নীলমাধব রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। যেখানে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন সেখানে শবর জনগোষ্ঠীর প্রধান তাঁকে একটি বড় গাছের নিচে পুজো করছে। এই স্বপ্ন দেখার পরের দিনই ইন্দ্রদ্যুম্ন, তাঁর বিশ্বস্ত ব্রাহ্মণ পুরোহিত বিদ্যাপতিকে নীলমাধবের মূর্তি খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, ওই মূর্তি নিয়ে আসতে হবে পুরুষোত্তম (পুরী) ক্ষেত্রে। সেখানেই একটি মন্দিরে তা স্থাপন করা হবে।

    বিদ্যাপতির শবর রাজ্যে গমন (Nilamadhaba Temple)

    রাজার নির্দেশে বিদ্যাপতি ব্রাহ্মণ বেরিয়ে পড়েন। পথে ঘুরতে ঘুরতে তিনি পৌঁছান সেই শবর রাজ্যে। যে রাজ্যের কথা ভগবান বিষ্ণুর দেওয়া স্বপ্ন থেকে জানতে পেরেছিলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। শবর রাজ্যে পৌঁছে সেখানকার জনজাতি গোষ্ঠীর প্রধান বিশ্ববসুর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। বিশ্ববসুর কাছে বিদ্যাপতি জনজাতি রাজ্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। এই সময় বিদ্যাপতি বিশ্ববসুর কন্যা ললিতার প্রেমে পড়েন এবং তাঁকে বিয়ে করেন। পরবর্তীকালে বিদ্যাপতি লক্ষ্য করেন যে বিশ্ববসু প্রায়ই একটি গোপন স্থানে নীলমাধবের পুজো করতে যাচ্ছেন। স্থানটি কোথায় তা দেখা যায় না। কারণ অরণ্যের মধ্যে ঢুকেই অদৃশ্য হয়ে যেতেন বিশ্ববসু।

    বিদ্যাপতির নীলমাধব দর্শন

    এতে বিদ্যাপতির কৌতূহল বাড়তে থাকে। সেই মতো বিদ্যাপতি এ কথা জানান তাঁর স্ত্রী ললিতাকে । ললিতা সেই মতো তাঁর বাবা বিশ্ববসুকে রাজি করান যাতে তিনি বিদ্যাপতিকে নীলমাধবের দর্শনের জন্য নিয়ে যান। কিন্তু বনের গভীরে নিয়ে যাওয়ার সময় বিদ্যাপতির চোখ বেঁধে দেন বিশ্ববসু। বিদ্যাপতি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তি। তিনি হাতে করে সর্ষের বীজ লুকিয়ে রেখেছিলেন। চলার পথে সেই বীজগুলোকে ফেলতে ফেলতে যান। এরপর বিদ্যাপতিকে নীলমাধবের দর্শন করান বিশ্ববসু। পরবর্তীকালে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের কাছে ফিরে গিয়ে বিদ্যাপতি জানান যে, নীলমাধবকে তিনি জনজাতি রাজ্যে খুঁজে পেয়েছেন। পরবর্তীকালে নিজের দলবল নিয়ে বনের মধ্যে বেড়ে ওঠা সরিষা গাছের পথ অনুসরণ করেন রাজা। কিন্তু সে সময় নীলমাধবের দর্শন তিনি পাননি।

    ভগবান বিষ্ণু আবির্ভূত হন রাজার সামনে

    এরপরে ব্যর্থতায় হতাশ হয়ে পড়েন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। শুরু করেন কঠোর তপস্যা। অন্ন-জল কোনও কিছু গ্রহণ করেননি। সারাক্ষণ ভগবান বিষ্ণুর দেখা পাওয়ার জন্য তিনি ব্যাকুল হয়ে ধ্যান করতে লাগলেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান বিষ্ণু এরপর হতাশ করেননি তাঁর এই পরম ভক্তকে। প্রকট হন রাজার সামনে। তাঁকে জানান যে, পুরীর সমুদ্র সৈকতে তিনি কাঠের রূপে (দারু ব্রহ্মা) আবির্ভূত হবেন। একইসঙ্গে ভগবান বিষ্ণু রাজাকে পুরীতে বিশাল মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দেন। তিনি জানান, ওই মন্দিরেই তিনি জগন্নাথদেব হিসেবে পূজিত হবেন। এর পরবর্তীকালে রাজা দারু ব্রহ্মা বা ঐশ্বরিক কাঠকে খুঁজে পান। পরবর্তীকালে সেগুলোকে তিনি প্রাসাদে নিয়ে আসেন। এরপরে ভগবান বিশ্বকর্মা এক ছুতোরের রূপ ধারণ করে মূর্তি খোদাই এর কাজ শুরু করেন। বিশ্বকর্মা রূপী ওই ছুতোরের শর্ত একটিই ছিল, বন্ধ দরজার পিছনে এই কাজ হবে এবং সম্পূর্ণ গোপনীয়তার সঙ্গে। যদি কাজ করার সময় তাঁকে কেউ বিরক্ত করে তাহলে কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। এভাবেই মূর্তি তৈরির কাজ চলতে থাকল। সাতদিন পরে রাজা ও রানি মূর্তি দেখতে অস্থির হয়ে পড়েন এবং ওই ছুতোর যেখানে কাজ করছিলেন সেই দরজা খুলে দেন। সে সময় দেখা যায় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার তিনটি মূর্তি তৈরি করা হয়েছে বটে তবে তা অসম্পূর্ণ। আজও পুরীতে পূজিত হয় এই তিন মূর্তি। তবে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন জনজাতিদের প্রতি তাঁর কর্তব্য তখনও ভোলেননি। ললিতা যে গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তাঁদেরকে দৈত্যপতি বলা হত। সেই ললিতার গোত্রকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে বিশেষ সেবায়েত হিসেবে মর্যাদা দেন রাজা। এইভাবেই শবর জনগোষ্ঠী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে পুরীতে। আজও পর্যন্ত ললিতার সেই বংশধর এবং দৈত্যপতিরা সেবা করে চলেছেন জগন্নাথদেবের।

  • Dr Ambedkar: ভারতকে ‘কমিউনিস্ট রাষ্ট্র’ বানানোর ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিলেন আম্বেদকর

    Dr Ambedkar: ভারতকে ‘কমিউনিস্ট রাষ্ট্র’ বানানোর ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিলেন আম্বেদকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর হয় ভারতের সংবিধান। দেশের সংবিধান পা দিয়েছে ৭৫ বছরে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীন হয় ভারত। এদেশের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, পরম্পরা, কৃষ্টি সভ্যতা এবং গৌরবময় ইতিহাসের ওপর দাঁড়িয়ে শুর হয় সংবিধানিক ভারত তৈরির কাজ। ভারতীয় মূল্যবোধ, ভারতীয় পরম্পরার প্রতিফলন দেখা যায় সংবিধানজুড়ে। সংবিধানের খসড়া কমিটির সদস্যরা অত্যন্ত সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে থাকেন, যাতে ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতির সঙ্গে আধুনিক যুগের মেলবন্ধন থাকে। এর প্রভাব দেখা গিয়েছে সংবিধানে।

    সংবিধান কমিটির বেশ কিছু সদস্য ভারতীয় মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন

    সংবিধান কমিটির বেশ কিছু সদস্য ছিলেন। যাঁরা সংবিধান রচনায় ভারতীয় মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন কেবি কামাত, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, গোবিন্দ দাস, ঘনশ্যাম গুপ্তা, কাললুরু সুব্বারাও, রাম সহায় প্রমুখ। এনারাই জোর দেন যে সংবিধানকে দাঁড় করাতে হবে ভারতের ঐতিহাসিক মূল্যবোধ এবং তার সাংস্কৃতিক ভিতের ওপর। এই সময়ে তাঁরা প্রাচীন ভারতীয় ধর্মশাস্ত্র বেদ, পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত- এই সমস্ত কিছুকেই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।

    ঔপনিবেশিক প্রভাব রাখতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস ও বামপন্থী মনোভাবাপন্ন সদস্যরা

    জানা যায়, সেসময় সদস্যদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রতিনিধি ছিলেন মুসলিম লিগের এবং কংগ্রেসের। তাঁরা প্রাচীন ভারতীয় মূল্যবোধের ওপর সংবিধান তৈরির ভাবনার বিরোধিতা করেন। ঔপনিবেশিক প্রভাবকেই রাখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তবে ভারতবর্ষের নিজস্ব সংস্কৃতিকে দূরে সরিয়ে রেখে সংবিধান তৈরির এমন ভাবনাকে রুখে দেন ডঃ বিআর আম্বেদকর। তিনি ভারতের নিজস্ব সংস্কৃতিকে কোনওভাবেই বাদ দিতে চাননি সংবিধান থেকে। এ সময় আম্বেদকরের (Dr Ambedkar) বিবৃতিও আসে। তিনি বলেন, ‘‘সংবিধান সভা এর কাজ শুরু করার আগে থেকেই, সেই সমস্ত কিছুকে প্রত্যাখ্যান করেছে যেগুলি ব্রিটিশ সংসদ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর একজনও সদস্য এবং এমনকি আমিও এমন কিছু কাজ করতে পারি না, যেখানে আমরা ব্রিটিশদের নির্দেশকে সংবিধানে ঠাঁই দিতে পারি।’’

    আম্বেদকরের কারণেই কমিউনিস্ট রাষ্ট্র হয়নি ভারত

    এছাড়াও বিআর আম্বেদকরের (Dr Ambedkar) শক্তিশালী নেতৃত্বের কারণেই ভারতবর্ষের সংবিধান কমিউনিস্ট মডেলে (Communist State) দাঁড়ায়নি। সংবিধান মুক্ত থেকেছে কমিউনিস্ট প্রভাব। ১৯৪৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সংবিধান সংশোধন করার প্রস্তাব আনা হয়। এমন প্রস্তাব আনেন আসরাফ আলি। তাঁকে সমর্থন করেন আশরাফ মহানি। এঁরা দুজনেই প্রথমে ছিলেন কংগ্রেস এবং পরবর্তীকালে মুসলিম লিগে যোগদান করেন। তাঁরা দাবি করেন যে সংবিধানে সংশোধন আনতে হবে এবং ভারতকে একটি ‘ইউনিয়ন অফ সোশালিস্ট রিপাবলিক’ বলে ঘোষণা করতে হবে। প্রসঙ্গত, কমিউনিস্ট রাশিয়া এই নামেই পরিচিত ছিল। তবে আম্বেদকর (Dr Ambedkar) এটিও রুখে দেন। প্রসঙ্গত, সংবিধানে ভারতে ‘ইউনিয়ন অফ স্টেটস’-র মর্যাদা কেন দেওয়া হল? এমন প্রশ্নও তোলেন ওই দুই নেতা। এর পরিবর্তে তাঁরা ভারতকে ‘ফেডারেশন অফ রিপাবলিক’ করতে বলেন। তাঁরা এমন দাবিও তেলেন সমাজতন্ত্রকে আঁকড়ে ধরা উচিত ভারতের।

    ৩৭০ ধারারও বিরোধী ছিলেন আম্বেদকর (Dr Ambedkar)

    তবে এই সংশোধন প্রস্তাবগুলিকে বিআর আম্বেদকর প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি জোর দেন ভারতের মূল্যবোধের ওপর। আম্বেদকর বলেন, ‘‘আমি সেই সমস্ত কিছুকে অনুমোদন দেব না যেগুলি আমাদের দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধকে আঘাত করে। যেমন উগ্র সমাজতন্ত্রের কোনওকিছুকেই সংবিধানে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ডঃ বিআর আম্বেদকরের ভারতের অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য ৩৭০ ধারার বিরোধ করেছিলেন। তিনি মনে করতেন, এই ধারা ভারতের ঐক্যের পক্ষে বিপজ্জনক। যা জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছিল। স্বাভাবিকভাবে সংবিধান সভার এই ধরনের বিতর্ক আজও একটি উল্লেখযোগ্য দলিল, ভারতবর্ষকে কীভাবে একটি কমিউনিস্ট রাষ্ট্রের পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছিল! যার নেপথ্যে ছিলেন কংগ্রেস এবং মুসলিম লিগের বামপন্থী মনোভাবাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বরা। আম্বেদকর নিজেই তা রুখে দিয়েছিলেন। ভারতবর্ষের প্রাচীন সভ্যতা, সংস্কৃতি, কৃষ্টির ওপরেই দেশের সংবিধানকে দাঁড় করিয়েছিলেন বি আর আম্বেদকর। স্বাধীন ভারতের সংবিধানে তাই আজও প্রতিফলিত হচ্ছে ভারতীয় মূল্যবোধ, দেশের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি এবং বৈচিত্রতা।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘ভোটার তালিকায় বেছে বেছে হিন্দু নাম বাদ দিচ্ছে তৃণমূল’’, শাহকে অভিযোগ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘ভোটার তালিকায় বেছে বেছে হিন্দু নাম বাদ দিচ্ছে তৃণমূল’’, শাহকে অভিযোগ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় বেছে বেছে হিন্দু নাম বাদ দিচ্ছে তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল সোমবারই বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ফের সাক্ষাৎ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে। বৈঠকে হিন্দু ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার কথা তুলে ধরেন সুকান্ত। এদিনই একই অভিযোগ তুলে কলকাতায় দলের দুই সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও দীপক বর্মন পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বিজেপির দাবি

    বিজেপির দাবি, উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদা এবং নদিয়ার কৃষ্ণনগর-২ ব্লকে বেছে বেছে হিন্দু ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে তৃণমূল বাদ দিতে চাইছে। এই ইস্যুতে সোমবার সকাল থেকেই অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির। ধর্মীয় কারণে অত্যাচারের শিকার হয়ে বাংলাদেশ থেকে আগত উদ্বাস্তুদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এই বিষয়টিই জানিয়ে এসেছেন।

    সাংবাদিকদের কী বললেন শুভেন্দু?

    সোমবার বিকালে দলীয় অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু বলেন, ‘‘তৃণমূল যে অভিযোগ বিডিওদের কাছে জানিয়েছে, তার জন্য ফর্ম ৭ পূরণ করতে হয়। তা না করে সাদা কাগজে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। সেই অভিযোগ গ্রাহ্যই হওয়া উচিত নয়। তাও বিডিও ওই অভিযোগ গ্রহণ করেছেন।’’ শুভেন্দুর আরও দাবি, ‘‘আইন অনুযায়ী, কোনও ভোটারের বিরুদ্ধে এই রকম অভিযোগ যিনি তুলছেন, অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ দেওয়ার দায়িত্বও তাঁরই। কিন্তু বিডিও সে আইন মানছেন না। যাঁদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁদেরকেই চিঠি পাঠিয়ে বিডিও বলছেন, আপনারা প্রমাণ দিন যে, আপনারা বাংলাদেশি নন।’’

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নতুন এক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। নদিয়া সহ বিভিন্ন জেলায় এই ধরনের নোটিস হিন্দুদের পাঠানো হচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে তাঁরা ভারতের নাগরিক নয়। এও বলা হচ্ছে, ওই সকল হিন্দুদের প্রমাণ করতে হবে তাঁরা ভারতের নাগরিক। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বলেছিলেন বাংলায় যাঁরা বাস করেন তাঁরা সকলেই ভারতের নাগরিক। সিএএ-তে আবেদন করতে দেননি। বলেছিলেন, সিএএ-তে আবেদন করলে নাগরিকত্ব চলে যাবে। এখন তিনি এই ফাঁদে ফেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের বিডিও নোটিস পাচ্ছে হিন্দুদের যে তাঁরা ভারতের নাগরিক নন। ভোটার লিস্ট থেকে নাম কেটে বাদ দেওয়া হল।’’

  • Bangladesh: বন্ধু পাকিস্তানের চালের দাম বেশি! বাংলাদেশকে ফের হাত পাততেই হল ভারতের কাছে

    Bangladesh: বন্ধু পাকিস্তানের চালের দাম বেশি! বাংলাদেশকে ফের হাত পাততেই হল ভারতের কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর ইউনূসের বাংলাদেশ বিবাদে জড়িয়েছে ভারতের (India) সঙ্গে। এই আবহে তাদের সঙ্গে সখ্যতা বেড়েছে পাকিস্তানের। সদ্য পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। সেই চুক্তি অনুযায়ীই বাংলাদেশের ঘরে ঢুকেছে পাকিস্তানি চাল। একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হলেও সেই চালের দাম খুবই বেশি। তাই ফের হাত পাততেই হল ভারতের কাছে। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এই আবহে ভারত থেকে আমদানির সাড়ে ১১ হাজার টন চাল পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশে। আরও ৫০ হাজার চাল ভারতের কাছে কিনতে চলেছে বাংলাদেশ।

    ভাঁড়ে মা ভবানী বাংলাদেশকে (Bangladesh) খরচ কত করতে হবে?

    এদিকে ভারতের কাছ থেকে চাল আমদানি করা নিয়ে সাফাই দিতেও শোনা গিয়েছে ইউনূস সরকারকে। তাদের দাবি, খাদ্যের যোগান বাড়াতেই ভারত সরকারের কাছ থেকে এই চাল কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছ, এই চাল কেনার জন্য ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা হওয়া বাংলাদেশকে খরচ করতে হবে প্রায় ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের (Bangladesh) অর্থ মন্ত্রকের উপদেষ্টার তরফে এই খবর ইতিমধ্যে সামনে এসেছে।

    উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত

    বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভি আগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই চাল কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানেই প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয়েছে, ৪২৯.৫৫ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলারের সমান। প্রসঙ্গত, এর আগেও বাংলাদেশ খাদ্য মন্ত্রকের আবেদনে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে (Bangladesh) রফতানি করা হয়েছিল। বাংলাদেশ উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির শীর্ষ আধিকারিকরা বৈঠক করেন। সেখানেই ভারত থেকে চাল কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের তরফে এর আগেও সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া থেকেও চাল কেনা হয়েছিল।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘ইটের জবাব দিতে হবে পাথর দিয়ে’’, রামনবমী নিয়ে হুঙ্কার সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘ইটের জবাব দিতে হবে পাথর দিয়ে’’, রামনবমী নিয়ে হুঙ্কার সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরে রামনবমী রয়েছে ৬ এপ্রিল রবিবার। মাঝে আর কয়েকটা দিন। এই আবহে রামনবমীকে ঘিরে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। প্রসঙ্গত, প্রতিবারই রামনবমীকে ঘিরে বিপুল উন্মাদনা দেখা যায় বঙ্গজুড়ে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ইটের জবাবে পাথর

    রবিবার বারাকপুরে দলীয় কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখান থেকে রামনবমী (Ram Navami Procession) নিয়ে রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, ‘‘রামনবমী মিছিল ঘিরে কেউ অশান্তি করার চেষ্টা করলে, ইটের জবাব পাথর দিয়ে দিতে হবে।’’ কোনওভাবেই রাজ্যে রামনবমী যেন না রখতে পারে প্রশাসন, সেই বিষয়েও কর্মীদের নজর রাখতে বললেন তিনি। এমনকি,পুলিশ যদি বাধা দিতে আসে তার পাল্টা মোকাবিলা করতে হবে বলেও দলের কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে নির্দেশ দিয়েছেন সুকান্ত।

    ইডেন থেকে ম্যাচ সরেছে অসমে! (Sukanta Majumdar)

    রামনবমীর (Ram Navami Procession) দিনেই আবার কলকাতার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে আয়োজন হয়েছিল আইপিএল ম্যাচ। রামনবমীর ভিড়ের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে সিএবিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে, রামনবমীর জন্য সেই দিন ইডেনে ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব নয়। জানা যাচ্ছে, ওই দিনের ম্যাচ সরেছে অসমে। এনিয়েও অবশ্য তোপ দেগেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি এই ম্যাচ বাতিলকে ‘রাজনৈতিক’ আখ্যা দিয়েছেন।

    বিজেপি শাসিত রাজ্য পারলে বাংলা কে পারছে না

    রাজ্য সরকারের ওপর ক্ষোভ উগড়ে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘এরা রামনবমী করতে পারে না, আর রামনবমী হলে বলে যে আইপিএল হবে না। শুনলাম, কলকাতায় বাতিল হয়ে ওই ম্যাচটা গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে তো বিজেপির সরকার। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একইদিনে আইপিএল ও রামনবমী করাতে পারলে, বাংলা কেন পারছে না?’’

  • Rana Sanga: ইব্রাহিম লোদি থেকে বাবর, তাঁর হাতেই হন পরাস্ত, জানুন রানা সঙ্গের বীরত্বগাথা

    Rana Sanga: ইব্রাহিম লোদি থেকে বাবর, তাঁর হাতেই হন পরাস্ত, জানুন রানা সঙ্গের বীরত্বগাথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ রামজি লাল সুমন সম্প্রতি রানা সঙ্গ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সংগ্রাম সিং যিনি রানা সঙ্গ (Rana Sanga) নামে পরিচিত তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলে উল্লেখ করেছেন সমাজবাদী পার্টির এই নেতা। এতেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়ও উঠেছে এহেন মন্তব্যের প্রতিবাদে। গত শনিবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ বলেন, ‘‘রানা সঙ্গ ইব্রাহিম লোদিকে পরাজিত করার জন্য বাবরকে ভারতে ডেকেছিলেন।’’ এই কারণে রানা সঙ্গকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ। তবে গবেষকরা বলছেন, ‘‘সমাজবাদী পার্টির সাংসদের এমন দাবি বিকৃত তথ্যের উপর দাঁড়িয়ে আছে এবং এটা মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়।’’ বাস্তবতা হল, রানা সঙ্গ নিজেই একাধিকবার ইব্রাহিম লোদিকে পরাস্ত করতে সমর্থ হয়েছিলেন। এর বাইরে গুজরাট এবং মালোয়ার সুলতানের সেনাবাহিনীকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন এই ভারতীয় রাজা। শুধু তাই নয়, বায়নার যুদ্ধে রানা সঙ্গের কাছে পরাস্ত হন খোদ বাবরও।

    সংগ্রাম সিংয়ের দাপটে পরাস্ত হন বাবরও (Babar)

    ১৫২৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাবর ও সংগ্রাম সিংয়ের বাহিনী বায়নার যুদ্ধক্ষেত্রে মুখোমুখি হয়। এই যুদ্ধে বাবরের বাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়। স্কটিশ ইতিহাসবিদ উইলিয়াম এরস্কাইন লিখছেন, সংগ্রাম সিংয়ের বীরত্ব সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন বাবর। কিন্তু বায়নার যুদ্ধে তিনি প্রথমবারের জন্য মুখোমুখি হন এই ভারতীয় রাজার। এরস্কাইনের মতে, মুঘলরা বুঝতে পেরেছিল যে রানা সংগ্রাম সিং (Rana Sanga) আফগানদের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। বায়নার যুদ্ধ সম্পর্কে মুঘল সম্রাট বাবর তাঁর আত্মজীবনী বাবরনামায় লিখছেন, ‘‘কাফেররা এত ভয়ঙ্কর যুদ্ধ করছিল যে মুঘল সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে গিয়েছিল। তারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল।’’ ইতিহাসবিদ কৃষ্ণরামের মতে, সংগ্রাম সিং বাবরকে একজন অত্যাচারী এবং বিদেশি আক্রমণকারী হিসেবে বিবেচনা করতেন। তিনি দিল্লি এবং আগ্রা জয় করে এই বিদেশি আক্রমণকারীদের শেষ করতে চেয়েছিলেন। বাবরের সঙ্গে এই যুদ্ধে (বায়নার) রানা সঙ্গকে সমর্থন করেন অনেক ভারতীয় রাজা। মারওয়ারের শাসক রাও গঙ্গার পুত্র মালদেব, চান্দেরির মেদিনী রায়, মের্তার রাইমল রাঠোর, সিরোহির আখেরাজ দুদা, ডুঙ্গারপুরের রাওয়াল উদয় সিং, সালুম্বরের রাওয়াত রত্না সিং, সাদারীর ঝালা আজা প্রমুখরা রানা সঙ্গকে (Rana Sanga) সমর্থন করেন।

    একশোটিরও বেশি যুদ্ধ করেছিলেন রানা সঙ্গ (Rana Sanga)

    ব্যাপক শক্তিশালী সেনা ছিল রানা সঙ্গের। ইব্রাহিম লোদিকে একাধিকবার পরাস্ত করতে সক্ষম হন এই ভারতীয় রাজা। তাঁর দাপটের সামনে টিকতে পারতেন না অত্যাচারী সুলতানরা। এমন একজন রাজাকে কেন বাইরের কারও সাহায্য নিতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য রানার সঙ্গের বিরোধীরা দিতে পারেননি। এমন প্রসঙ্গ নিয়ে কোনও কথা বলতেও শোনা যায়নি সমাজবাদী পার্টির সাংসদকে। জানা যায়, ১৫০৮ সালেই মেবারের শাসক হয়ে ওঠেন রানা সঙ্গ। নিজের জীবনে ১০০টিরও বেশি তিনি যুদ্ধ করেছিলেন। এরমধ্যে একমাত্র খানুয়ার যুদ্ধে তিনি পরাস্ত হয়েছিলেন। রানা সঙ্গের এই দাপট এবং বীরত্বের জন্য তাঁকে ‘হিন্দুপত’ উপাধি দেওয়া হয়েছিল। জানা যায়, যুদ্ধে লড়তে গিয়ে তিনি নিজের একটি চোখ এবং একটি হাতও হারিয়েছিলেন। শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে তাঁর একটি পা নষ্ট হয়ে যায়। রানা সঙ্গের বা সংগ্রাম সিংয়ের শরীরে আশিটিরও বেশি গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানা যায়। তবুও কোনও কিছুতেই তিনি দমেননি।

    ২ লাখ পদাতিক বাহিনী, ৮০ হাজার ঘোড়া ছিল রানা সঙ্গের

    জানা যায়, সংগ্রাম সিংয়ের (Rana Sanga) আমলে মেবারের সীমানা দূর-দূরান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। সে সময়ে মেবারে সীমানা ছিল পূর্বে আগ্রা, যা বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত এবং দক্ষিণে গুজরাট পর্যন্ত বিস্তৃত। রাজপুতানার ইতিহাসে নিয়ে গবেষণা করেছেন কর্নেল জেমস। তিনি জানাচ্ছেন, রানা সংগ্রাম সিংয়ের ছিল ৮০ হাজার ঘোড়া, ৫০০ হাতি এবং প্রায় দু’লক্ষ পদাতিক সৈন্য। এছাড়াও কর্নেল জেমস নিজের একাধিক লেখায় উল্লেখ করেছেন, সংগ্রাম সিংয়ের অধীনে ছিলেন ৭ জন রাজা, ৯ জন রাও, ১০৪ জন রাওয়াল। গোয়ালিয়র, আজমীর, সিক্রি, চান্দেরী, রামপুরা প্রভৃতি স্থানের রাজারা সংগ্রাম সিং-কে সম্রাট বলে গণ্য করতেন।

    একাধিক যুদ্ধে পরাস্ত হন ইব্রাহিম লোদি

    জানা যায়, রানা সঙ্গ দিল্লি, মালওয়া, গুজরাটের সুলতানদের সঙ্গে ১৮টি ভয়ঙ্কর যুদ্ধে করেন। প্রত্যেকটি যুদ্ধেই তিনি জিতে যান। ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির সুলতান ইব্রাহিম লোদির সঙ্গে তাঁর যুদ্ধ হয়। যা খাটোলীর যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধে এই রানা সঙ্গ ইব্রাহিম লোদিকে পরাস্ত করেন। ১৫১৮-১৯ সালে ইব্রাহিম লোদি ফের একবার আক্রমণ করে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাজস্থানের দোলপুরে ইব্রাহিম লোদি রানা সঙ্গকে ফের একবার পরাস্ত করেন। এরপরে আরও বেশ কয়েকটি যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদিকে রানা সঙ্গ পরাস্ত করতে সক্ষম হন। ক্রমাগত যুদ্ধে পরাস্ত হওয়ার কারণে রাজস্থানে পায়ের তলার জমি হারান ইব্রাহিম লোদি। অন্যদিকে, ১৫২০ সালে রানা সঙ্গ নিজাম খানের সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করেন। এর ফলে সমগ্র উত্তর গুজরাট নিজের দখলে আনতে পারেন রানা সঙ্গ।

    বাবরকে ভারতে কারা আমন্ত্রণ জানিয়েছিল?

    অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন যে, পাঞ্জাবের গভর্নর দৌলত খান দিল্লির সুলতান ইব্রাহিম লোদির স্থলাভিষিক্ত হতে চেয়েছিলেন। তিনি জানতেন যে আফগানিস্তান জয়ের পরে বাবর ভারতেই আসবেন। একইসঙ্গে ইব্রাহিম লোদির কাকা আলম খানও মসনদ দখল করতে চেয়েছিলেন। জানা যায়, আলম খান এবং দৌলত খান এই দুইজনে মিলে বাবরকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। জানা যায়, আলম খান বাবরের দরবারে গিয়েছিলেন। সেখানে আলম খান বাবরকে ভারতের রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা জানান। পরবর্তীকালে বাবর তার দূতকে পাঞ্জাবে পাঠান। সেই দূতের কাছ থেকে যাবতীয় বিষয় জানার পরে বাবর ভারত জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। প্রথমে ১৫০৩, ১৫০৪ এরপর ১৫১৮ এবং তারপরে ১৫১৯ সালে তিনি ভারত আক্রমণ করেন। তবে কোনওবারই সফলতা পাননি। পরে ১৫২৬ সালে বাবর ইব্রাহিম লোদিকে আক্রমণ করেন ও পরাস্ত করেন। ইব্রাহিম লোদি এর আগে একাধিকবার রানা সঙ্গকে হাতে মার খেয়ে ব্যাপক দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। তাই পানিপথের প্রথম যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদিকে সহজেই পরাস্ত করেন বাবর (Babar)।

LinkedIn
Share