Tag: Abhishek Banerjee

Abhishek Banerjee

  • ED on Abhishek Banerjee: কিছু প্রশ্ন রয়েছে, তাই তলব করা হয়েছে অভিষেককে, হাইকোর্টে জানাল ইডি

    ED on Abhishek Banerjee: কিছু প্রশ্ন রয়েছে, তাই তলব করা হয়েছে অভিষেককে, হাইকোর্টে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সরাসরি রক্ষাকবচ মিলল না তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। মামলা যতক্ষণ বিচারাধীন, ততক্ষণ যেন ইডি কোনও পদক্ষেপ না করে, আদালতের কাছে এমনই আবেদন জানান তৃণমূল নেতার আইনজীবী।

    “নির্দেশনামায় কেন নতুন শব্দবন্ধ লিখতে যাব?”

    ইডির (ED on Abhishek Banerjee) আইনজীবীর মৌখিক প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে ইডির আধিকারিকরা এই মামলার শুরু থেকে কোনও কড়া পদক্ষেপ করেননি। মঙ্গলবার ফের শুনানি হয় এই মামলার। মামলা ওঠে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। তিনি বলেন, “এই মামলার শেষ মুহূর্তে নির্দেশনামায় কেন নতুন শব্দবন্ধ লিখতে যাব? কালকেও আমার বিচার্য বিষয় একই থাকবে।  জামিনের মামলা শুনানির জন্য আমার কাছেই আসবে।” প্রসঙ্গত, ইসিআইআর খারিজের দাবিতে যখন মামলা চলছে, তখন ১০ সেপ্টেম্বর অভিষেককে নতুন করে সমন পাঠানো হয়েছে।

    অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন

    ১৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। অভিষেকের আইনজীবী জানান, বুধবার তাঁর (অভিষেকের) বিশেষ একটি বৈঠক রয়েছে। তিনি বলেন, “এটা বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ। কাল তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। এই ধরনের হয়রানির মানে কি?” ইডির আইনজীবী বলেন, “সমন পাঠানো মানে কড়া পদক্ষেপ নয়। তিনি অভিযুক্ত নন।  ইডির (ED on Abhishek Banerjee) কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তাই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সমন পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের কোনও বাধা নেই। গ্রেফতার করতে আমাদের কোনও সমনের দরকার নেই।  আমরা যখন ইচ্ছা গিয়ে গ্রেফতার করতে পারি। গ্রেফতারির জন্য সমন পাঠানো হয়েছে এই আশঙ্কা অমূলক।” তিনি বলেন, “এই আদালতের অন্য এজলাসেও মামলা চলছে।  সেখানে আমাদের রিপোর্ট দিতে হবে। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই’’! মমতার বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বিচারপতি ঘোষ বলেন, “ইসিআইআর খারিজের মূল মামলায় অভিষেক এবং ইডির বক্তব্যের লিখিত আকারে খুশি (ED on Abhishek Banerjee) নয় আদালত। ১৯ সেপ্টেম্বর নতুন করে লিখিত আকারে বক্তব্য পেশ করতে হবে।” অভিষেকের আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন,  “আপনি এমন কিছু নির্দেশনামার উল্লেখ করেছেন যা আপনার বিপক্ষে যেতে পারে। আপনি মুখে যা বলেছেন এবং লিখিত আকারে যা জমা দিয়েছেন তার মধ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। অনেক বক্তব্য লিখিত আকারে দেননি।” এদিন রিপোর্ট জমা দিল সিএফএসএল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে  ১৯ সেপ্টেম্বর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: ‘‘অভিষেক মিথ্যাবাদী’’, তথ্যপ্রমাণ দিয়ে ট্যুইট করলেন সুকান্ত মজুমদার

    Sukanta Majumdar: ‘‘অভিষেক মিথ্যাবাদী’’, তথ্যপ্রমাণ দিয়ে ট্যুইট করলেন সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যাবাদী। মঙ্গলবার তথ্য দিয়ে প্রমাণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ট্যুইট করে অভিষেকের তথ্য যে ভুল তা তুলে ধরেছেন তিনি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    অভিষেক ঠিক কী বলেছেন?

    সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে দাবি করেছিলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)  দত্তক নেওয়া গ্রাম থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিততে পারেনি বিজেপি। এই অভিযোগের পরেই মঙ্গলবার সকালে সুকান্ত মজুমদার ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরামপ্রসাদ গ্রাম থেকে বিজেপির জয়ী সদস্য অমলি হাঁসদার জয়ের সার্টিফিকেট দেখিয়ে দাবি করেন  মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন অভিষেক। অভিষেকের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে এদিন  ট্যুইট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    কী বললেন বিজেপির জয়ী সদস্য?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের চকরামপ্রসাদ গ্রাম এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী অমলি হাঁসদা জয়ী হন। অমলি হাসদা মোট ২৬৩ ভোট পেয়ে তৃণমূল প্রার্থী  থেকে ৩৩ ভোটে জয়ী হন। উল্লেখ্য, বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম প্রসাদ গ্রাম সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দত্তক নেন লোকসভা ভোটের পর পরই। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে চকরাম গ্রাম সংসদের অধীনে ছিল চকরাম প্রসাদগ্রাম। গতবার সংসদটি বিজেপির অধীনে ছিল। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে চকরাম এবং চকরামপ্রসাদ গ্রাম দুটি আলাদা সংসদ হয়। চকরাম গ্রামটি বিজেপি দখল করতে না পারলেও সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দত্তক নেওয়া গ্রাম চকরামপ্রসাদ গ্রাম সংসদ বিজেপি দখল করে। স্বাভাবিকভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুকান্ত মজুমদারের দত্তক নেওয়া গ্রামের হেরে যাওয়ার যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মিথ্যে সে কথাই এদিন জানান বিজেপি রাজ্য সভাপতি।এই বিষয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থী অমলি হাঁসদা বলেন,আমি এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে চকরাম প্রসাদ গ্রামে বিজেপির প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছি। টোটাল ভোট ২৬৩ আমরা পেয়েছিলাম আর তৃণমূল প্রার্থী  থেকে ৩৩ ভোটে জয়ী হই ।চকরাম প্রসাদ গ্রাম এখন বিজেপির দখলে রয়েছে ও আমাদের ভাটপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতও বিজেপির দখলে রয়েছে। আমাদের চকরামপ্রসাদ গ্রাম সুকান্ত মজুমদার দত্তক নিয়েছে  আর আমি এই গ্রামের বিজেপির জয়ী প্রার্থী। এবং সুকান্ত মজুমদারের দত্তক নেওয়া গ্রামে যে উনি হেরে গেছেন যে প্রচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? (Sukanta Majumdar)

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ছাত্র ছাত্রীদের সামনে অভিষেক ব্যানার্জি  মিথ্যে কথা বলেছেন। মিথ্যা কথা বলা অভ্যাসে  পরিণত হয়ে গিয়েছে। তিনি হারানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর কথা মত বালুরঘাটের বিডিও সমস্তরকম চেষ্টা করেছিলেন। তারপরেও বলছি বিডিও হারাতে পারেননি ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের চকরামপ্রসাদ গ্রামের ৮২ নম্বর বুথ। বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছে। শুধু তাই নয় গোটা ভাটপাড়া পঞ্চায়েতটা বিজেপি দখল করেছে। প্রধান বিজেপির, উপ প্রধান বিজেপির। আপনি রাজ্যের নেতা আপনি এতটকু  খবর রাখেন না।রাজ্য চালাবেন কীভাবে? পিসি না থাকলে তো অনাথ হয়ে যাবেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, নির্বাচন বিধি অনুযায়ী যে ভাবে ভাগাভাগি হয়েছে সেইটা আগে বুজতে হবে। চকরাম বলে যে গ্রামটা ছিল সেইটা এখন দুইটা ভাগে হয়েছে। একটা চকরামপ্রসাদ হয়েছে, আরেকটি চকরাম হয়েছে। চকরাম প্রসাদ গ্রামে বিজেপি জয়ী হয়েছে। কিন্তু, চকরাম গ্রামে বিজেপি হেরেছে। আমাদের নেতা অভিষেক ব্যানার্জী সঠিক কথা বলেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর সিইও ছিলেন অভিষেক! বিবৃতি জারি করে জানাল ইডি

    ED: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর সিইও ছিলেন অভিষেক! বিবৃতি জারি করে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ইডির (ED) ফাঁসে জড়িয়ে পড়ছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! বুধবার এক প্রেস বিবৃতিতে ইডি জানিয়ে দেয়, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বা সিইও। ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ওই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন তিনি।

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’ তল্লাশি

    প্রসঙ্গত, সোমবার ভোর থেকে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার অফিসে তল্লাশি শুরু করেন ইডির গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার এ নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে অবশ্য আখেরে লাভ হয়নি তৃণমূলের। বরং এদিন বিবৃতি জারি করে ইডি (ED)। তাতে বলা হয়েছে, বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে গত ২১ ও ২২ অগাস্ট কলকাতায় তারা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সূত্রেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।

    প্রচুর নথি উদ্ধার

    তাতে বেশ কিছু নথি ও ডিজিট্যাল সাক্ষ্য প্রমাণ উদ্ধার ও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির দাবি, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ছিলেন ‘মেসার্স লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর চিফ অপারেটিং অফিসার তথা সিওও। মূলত কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হত এই কোম্পানিকে। অভিষেকের পাশাপাশি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রও এই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন। ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ওই কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

    এদিকে, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এ ইডির (ED) তল্লাশি নিয়ে প্রশ্ন করায় মেজাজ হারান সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। তল্লাশিতে ইডির হাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এসেছে জানতে পেরেই বুকের ব্যথা বেড়েছে সুজয়ের। মঙ্গলবার শারীরিক পরীক্ষা করাতে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে। তখনই সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারান কালীঘাটের কাকু। তিনি বলেন, “সরুন এখান থেকে, অসভ্য সব…।” পরে বলেন, “দু কোটি বার তল্লাশি করবে, তোর বাপের কী? গালাগালি দিয়ে ফের বলেন, “তোর বাপের কী?”

    আরও পড়ুুন: “২০৪৭ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে পরিণত হবে ভারত”, ব্রিকসে প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর বিষ্ণুপুর জল কারখানা থেকে দু’ ব্যাগ নথি ও ডিজিটাল নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডির আধিকারিকরা। নিউ আলিপুরের অফিস থেকেও উদ্ধার হয়েছে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রচুর নথি। 

    ফান্দে পড়িয়াই কি গালাগালি করছেন ‘কাকু’!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

    Abhishek Banerjee: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সরাসরি নাম জড়াল তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে ইডি যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে নাম রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর ভাইপোর। কালীঘাটের কাকুর সংস্থা থেকে অভিষেকের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে টাকা গিয়েছে বলেও চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি।

    ইডির স্ক্যানারে অভিষেকের সংস্থা

    জানা গিয়েছে, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বাবা-মা পরিচালিত তিনটি সংস্থা বর্তমানে বহু কোটি টাকার কয়লা চোরাচালান কেলেঙ্কারির তদন্তে ইডির স্ক্যানারে রয়েছে। এই তিন সংস্থায়ই তাঁরা পরিচালক কিংবা মনোনীত অংশীদার হিসেবে যুক্ত। এই তিনটি সংস্থা হল, লিপস অ্যন্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ইনফ্রা কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিমিটেড এবং লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস এলএলপি। এই তিনটি সংস্থাই নিবন্ধিত একই ঠিকানায়। ঠিকানাটি হল, পি ৭৩৩, ব্লক পি, নিউ আলিপুর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ ৭০০০৫৩।

    শেল কোম্পানি হিসেবে ব্যবহার 

    ইডি সূত্রে খবর, কয়লা কেলেঙ্কারির চাঁই অনুপ মাঝি ওরফে লালার মালিকানাধীন একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি থেকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে ৪.৩৭ কোটি টাকা। শেল কোম্পানি হিসেবে এই সংস্থাগুলিকে টাকা সরানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনে রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজের রেকর্ড অনুসারে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত অভিষেক (Abhishek Banerjee) নিজেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের একজন পরিচালক ছিলেন। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত অভিষেকের মা লতা। অভিষেকের বাবা অমিত যোগ দিয়েছিলেন ২ জানুয়ারি, ২০১৪।

    আরও পড়ুুন: “ইন্ডিয়া নয়, বিরোধী জোটকে ডাকুন ঘমন্ডিয়া নামে”, এনডিএ সাংসদদের বৈঠকে পরামর্শ মোদির

    ২০১৩ সালেই এই কোম্পানির ডিরেক্টর অভিষেকের দিকে আঙুল তুলেছিলেন সিপিএম নেতা গৌতম দেব। পরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমও তাক করেছেন অভিষেকের ওই সংস্থাকে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। চার্জশিটে ইডিরও অভিযোগ, কালীঘাটের কাকুর সংস্থা থেকে টাকা গিয়েছে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে।

    ২০২০ সালে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি সংস্থার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের একটি চুক্তি হয়। এরপর সুজয়কৃষ্ণের সংস্থা থেকে অভিষেকের সংস্থায় প্রায় এক কোটি টাকা পাঠানো হয় বলে জানানো হয়েছে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিস থেকেই এসডি কনসালটেন্সির কাজকর্ম পরিচালনা করার পাশাপাশি তার বিনিময়ে বিপুল অঙ্কের টাকা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে গিয়েছে বলেও দাবি ইডির। ইডি সূত্রে খরব, কলকাতার লি রোডে মেয়ে-জামাইকে আড়াই কোটি মূল্যের একটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ‘‘নির্দোষই যদি হন, তাহলে ভয় পাচ্ছেন কেন?’’ অভিষেকের রক্ষাকবচ মামলায় প্রশ্ন ইডির

    Abhishek Banerjee: ‘‘নির্দোষই যদি হন, তাহলে ভয় পাচ্ছেন কেন?’’ অভিষেকের রক্ষাকবচ মামলায় প্রশ্ন ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি নির্দোষই হন, তাহলে তদন্তের স্বার্থে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন কেন? হাইকোর্টে এই প্রশ্ন তুললেন  ইডির আইনজীবী এম ভি রাজু। হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) রক্ষাকবচ মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। সেখানে আবারও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্ষাকবচের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি। তার প্রেক্ষিতেই এই প্রশ্ন তোলে ইডি। 

    ভার্চুয়াল শুনানি

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এখন বিদেশে। কুন্তল ঘোষের বক্তব্যের নিরিখে এই রক্ষাকবচ মামলা। শুনানিপর্বে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি ও  ইডির আইনজীবী এম ভি রাজু। এদিন আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি বলেন, কোথাও অভিষেকের নামে কোনও অভিযোগ নেই। সাপ্লিমেন্টারি যে চার্জশিট, সেখানেও নাম নেই। অথচ ১৬ এপ্রিল, ১৯ মে ২০২৩ সমন পাঠানো হয় সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। ১৪ জুন চতুর্থ সমন পাঠানো হয়। ২০ অগাস্ট অভিষেকের দেশে ফেরার কথা। আশঙ্কা তিনি ফিরলেই গ্রেফতার করা হতে পারে তাঁকে। তাই কোনও পদক্ষেপ যাতে না করা হয়, সেই নির্দেশ দেওয়া হোক। আজ, শুক্রবার ফের মামলার শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: কঠোর নিরাপত্তা! জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে এএসআই-এর ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ শুরু

    আদালতে ইডির দাবি

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আইনজীবীর বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবী এম ভি রাজুর বক্তব্য, ‘‘সমন পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডাকা মানেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে, এমন কেন ভাবছেন তিনি? তিনি এত প্রভাবশালী যে জিজ্ঞাসাবাদ করতেও ডাকা যাবে না? তা হলে তো তদন্তই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে! তিনি যদি নির্দোষ হন, তা হলে কেন গ্রেফতারের ভয় পাচ্ছেন? কেন সমন এড়িয়ে যাছেন? আজ অভিযুক্ত নন বলে, কালও যে হবেন না, এমনটা তো নয়।’’ এ দিন আদালতে শুনানি সন্ধ্যা পর্যন্ত গড়ায়। শেষে বিচারপতি ঘোষ জানান, মামলাটি আজ, শুক্রবার আবার তিনি শুনবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত রক্ষাকবচ থাকবে অভিষেকের। প্রসঙ্গত, ইডি ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টেও দাবি করেছে, অভিষেকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে বলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। ইডির যুক্তি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যে আর্থিক লেনদেন হয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্যই অভিষেককে জিজ্ঞসাবাদে ডাকা হয়েছে। অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। বহু গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। তাই তদন্তের কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিক আদালত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: বিদেশ সফরের এক সপ্তাহ আগে ইডিকে নোটিশ দিতে অভিষেককে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Abhishek Banerjee: বিদেশ সফরের এক সপ্তাহ আগে ইডিকে নোটিশ দিতে অভিষেককে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিদেশ যাত্রা নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন ছিল, ইডির অনুমতি না নিয়েই কি তিনি দেশ ছেড়েছেন? নাকি এর পিছনে রয়েছে আরও বড় রহস্য? শুক্রবার শীর্ষ আদালতে ইডি জানায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এর বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। যা শোনার পর সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি কিষাণ কউল ও সুধাংশু ধুলিয়ান অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে জারি হওয়া লুক আউট নোটিশ তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বিদেশ যাত্রার সাত দিন আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সচিব ও তাঁর স্ত্রীকে। 

    সুপ্রিম অভিমত

    চিকিৎসার জন্য স্ত্রী রুজিরার সঙ্গে আমেরিকায় গিয়েছেন অভিষেক। তাঁর বিদেশ যাত্রা নিয়ে মামলাটি শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। সুপ্রিম কোর্টে ইডির আইনজীবী এস ভি রাজু বলেন, “বিদেশযাত্রার এক সপ্তাহ আগে ইডি-কে জানাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে ইডি। বিদেশযাত্রায় কোনও বাধা দেওয়া হবে না।” একইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে জেরা করা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই সেই বিষয় নিয়ে মেধার ভিত্তিতে শুনানি করা হবে। খতিয়ে দেখা হবে সিআরপিসি এবং পিএমএলএ ধারা। সমস্ত পক্ষকে জমা দিতে হবে হলফনামা। দুই মাস পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে।

    আরও পড়ুুন: “কৃষ্ণ-রুক্মিণীর বিয়ে লাভ জিহাদ”! কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কী জবাব দিলেন হিমন্ত?

    এরপরই শীর্ষ আদালত জানায়, বিদেশ যাত্রার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তদন্তকারী এজেন্সির থেকে অনুমতি নিতে হবে। এদিন শীর্ষ আদালতে ইডির আইনজীবী এস ভি রাজু সওয়াল করেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভাবশালী, ক্ষমতাশালী সাংসদ। প্রায়ই দিল্লিতে আসেন, তাহলে ইডি অফিসে এসে জেরায় অংশ নিতে সমস্যা কোথায়?” তিনি আরও বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আর এই অভিযোগগুলির প্রেক্ষিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে চায় ইডি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলেন অভিষেক! ‘‘স্বাস্থ্যসাথী কাজে দিলো না?’’ কটাক্ষ সুকান্তর

    Abhishek Banerjee: চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলেন অভিষেক! ‘‘স্বাস্থ্যসাথী কাজে দিলো না?’’ কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখের চিকিৎসার জন্য ফের বিদেশ যেতে হল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Abhishek Banerjee)। অভিবাসন সূত্রে খবর, বুধবার কলকাতা থেকে এমিরেটসের উড়ানে সস্ত্রীক দুবাই উড়ে গিয়েছেন অভিষেক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন চিকিৎসা করাতে বিদেশে গেলেন, তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। 

    দুবাই যাত্রা অভিষেকের

    জানা গিয়েছে, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দুবাই যাত্রা করেছেন অভিষেক। সেখান থেকে চোখের চিকিৎসার জন্য আমেরিকা যাবেন। এই বিদেশ যাত্রা নিয়ে অভিষেককে কটাক্ষ  করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের বিদেশ যাত্রা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত বলেন, “খবর পেয়েছি চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন। ভেবেছিলাম স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে চিকিৎসা করাবেন। কেন করালেন না বুঝতে পারছি না।” তবে গেরুয়া শিবিরের তরফে সরাসরি এ প্রসঙ্গে কিছু বলা হয়নি। কারণ বিষয়টা এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, “শুধু অভিষেক নয়, তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের ডাকা হলে বারবার তাঁরা হাজিরা এড়ানোর চেষ্টা করেন। আদালত আর সিবিআই বিষয়টা দেখছে। তিনি বলেন, “আইনের ব্যাপার আছে। কোর্ট বুঝবে।”

    আদালতের অভিমত

    বারবার বিদেশ যাত্রায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন তিনি। আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে জানিয়েছিলেন, ২৬ জুলাই চোখের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চান অভিষেক। আগামী ৮ অগাস্ট তাঁর অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে। এ ব্যাপারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তদন্ত চলাকালীন বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে একাধিকবার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে অভিষেকের পরিবারকে। কিছুদিন আগেই বিমানবন্দরে বাধা দেওয়া হয়েছিল রুজিরাকে।

  • Nadia: “৫ অগাস্টের দরকার নেই, আগেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দে!” বলেই মাথায় লাঠির বাড়ি!

    Nadia: “৫ অগাস্টের দরকার নেই, আগেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দে!” বলেই মাথায় লাঠির বাড়ি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ অগাস্ট বিজেপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। এতো দেরি বোধহয় কর্মীদের সহ্য হল না। তার অনেক আগেই শুরু হয়ে গেল হামলা। নদিয়া (Nadia) জেলার গয়েশপুর পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুরের ঘটনা। বিজেপির পঞ্চায়েত ভোটের এজেন্টকে রাস্তায় ঘেরাও করে ব্যাপক মারধর করল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ একটাই, কেন বিজেপি করেন?

    ঘটনা কী ঘটেছে (Nadia)?

    মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় শ্রীরামপুর (Nadia) গ্রামে বিজেপির বুথ এজেন্টের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা অজয় মাঝি এবার ভোটে তাঁর এলাকায় বিজেপির বুথ এজেন্ট হয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে কাজ শেষে পূর্ব পাড়া থেকে বাড়ি ফেরার সময়, তাঁকে কিছু তৃণমূলের দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে এবং ৫ই অগাস্টের আগেই ব্যবস্থা নেব বলে তাঁর ওপর হামলা চালায়। মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয় মানুষজন। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর দাবি, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে গয়েশপুর এলাকায় ভালো ফল করেছে বিজেপি। একদিকে তাঁর উপর তৃণমূলের হিংসাত্মক আক্রোশ এবং অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিমূলক মন্তব্য, এই দুইয়ে মিলে তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    বিজেপি কর্মীর বক্তব্য

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মী অজয় মাঝি (Nadia) বলেন, তৃণমূলের গুন্ডা তারকনাথ কবিরাজ বলে, ৫ অগাস্টের দরকার নেই, আগেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দে! এই প্রসঙ্গে অজয়বাবু আরও বলেন, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির এজেন্ট ছিলাম। সেই সময় বিজেপি ১৩ টি ভোট পেয়েছিল। এই বছর ২০২৩ সালে আবার আমি বিজেপির এজেন্ট হই। এই বার আমাদের গ্রামের পঞ্চায়েতে ১১ টার মধ্যে ১০ টায় বিজেপি প্রার্থী দিয়ে জয়ী হয়েছে। আমি একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলেই আমায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সোমবারের আগে অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়, আদালতে জানাল ইডি

    Abhishek Banerjee: সোমবারের আগে অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়, আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারের আগে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মামলার শুনানি হচ্ছে না। তাই ওই দিন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করবে না ইডি (ED)। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানিয়ে দিলেন ইডির আইনজীবী। মঙ্গলবার অভিষেকের মামলা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে পাঠিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বুধবার মামলাটি এজলাসে উঠতেই দ্রুত শুনানির আবেদন জানান ইডির আইনজীবী। কিন্তু অন্যান্য মামলার চাপ থাকায় সোমবারের আগে শুনানি সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি ঘোষ। তার পরেই ওই দিন পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নেয় ইডি। পরে তা আদালতে জানিয়েও দেওয়া হয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।

    মামলার সাত সতের

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় আদালতে এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড (Abhishek Banerjee)। গত সোমবার পর্যন্ত রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। মামলা নির্দিষ্ট না করা পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। মামলাটি বিচারপতি ঘোষের এজলাসে উঠলে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইডি। ইডির আইনজীবী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলাটি বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে গিয়েছে। সেখানে তদন্ত চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাই মামলাটি বিচারপতি সিনহার বেঞ্চেই যাওয়া উচিত। বিচারপতি ঘোষ জানিয়ে দেন, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিই ঠিক করবেন, কার এজলাসে শুনানি হবে সংশ্লিষ্ট মামলার। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম মামলাটি ফেরত পাঠান বিচারপতি ঘোষের এজলাসে। শুনানির জন্য মামলাটি উঠলে তিনি জানান, সোমবারের আগে এই মামলার শুনানি সম্ভব নয়।

    নাম জড়ায় অভিষেকের 

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হন যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা কুন্তল ঘোষ। পরে তিনি অভিযোগ করেন, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নাম বলতে তাঁকে চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। এর পরেই ওই মামলায় নাম জড়ায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের। সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলেও, ইডির হাজিরা এড়াতে অভিষেক দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টে। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ওই মামলা শুনবে হাইকোর্টই। এবার মামলা আসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নন্দীগ্রাম থানার সিভিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর করে ইডি তদন্ত করতে পারবে বলে নির্দেশ দেন তিনি। এর পরেই এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে ফের একবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। সেই মামলারই শুনানি সোমবারের আগে হবে না বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি ঘোষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেকের ‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়ে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অভিষেকের ‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়ে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে এই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। 

    কেন মামলা

    গত শুক্রবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে ‘বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘোরও’-এর ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যের জেরেই দায়ের হয়ে এফআইআর। পরে তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল নেত্রী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ওই মন্তব্যে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপি। বিজেপির আইনজীবী সূর্যনীল দাস সোমবার আদালতকে বলেন, এই ধরনের কর্মসূচি একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে। এই মর্মেই আদালতে মামলা রুজু করার অনুমতি চান তাঁরা। একই সঙ্গে মামলর দ্রুত শুনানির অনুরোধও করেন। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ প্রথম আর্জিটি মেনে নিলেও দ্বিতীয় আবেদনটি খারিজ করে দেয়।

    আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকলেই আন্দোলন কেন?’ ধনখড়ের নিশানা কাদের দিকে

    বিজেপির দাবি

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বক্তব্য অনুযায়ী বিজেপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে আগামী ৫ অগাস্ট। মূলত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও করার নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলার অবনমন এবং বিজেপি নেতা, কর্মীদের সুরক্ষার দিক থেকে যথেষ্ট বিপজ্জনক বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। এরকম কর্মসূচি আরও বিপদ ডেকে আনবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে মানুষের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে তুলে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share