Tag: ABVP

ABVP

  • ABVP: এবিভিপির ৬৯তম সম্মেলনে হাজির অমিত শাহ, কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    ABVP: এবিভিপির ৬৯তম সম্মেলনে হাজির অমিত শাহ, কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই দিল্লিতে শুরু হয়েছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) ৬৯তম সর্বভারতীয় সম্মেলন। চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শুক্রবারই সম্মেলনের প্রকাশ্য অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রসঙ্গত, ছাত্র জীবনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদেরই কর্মী ছিলেন অমিত শাহ। এদিন তাঁর ভাষণে উঠে আসে রামমন্দির থেকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ।

    কী বললেন অমিত শাহ

    এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘‘একটা সময় ছিল যখন আমরা স্লোগান দিতাম, ‘কাশ্মীর হো ইয়া গুয়াহাটি, আপনা দেশ, আপনা মাটি।’ আজকে আমি বলতে চাই, কাশ্মীরও আমাদের। আর পুরো উত্তর-পূর্ব ভারতও আমাদের।’’ এদিন অমিত শাহের বক্তব্যে উঠে আসে রাম মন্দির প্রসঙ্গও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘১৯৯০-এর দশকে যখন আমরা আন্দোলন করতাম রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে, তখন তা আমাদের কাছে স্বপ্ন ছিল কিন্তু নরেন্দ্র মোদির আমলে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এবং আগামী ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হতে যাচ্ছে রামমন্দিরের।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ‘‘মোদি জমানায় এগিয়ে চলেছে (ABVP) দেশ এবং তার প্রমাণ ভারতের স্থান পৃথিবীর অর্থনৈতিক মানচিত্রে এগারো থেকে উঠে এসেছে সেরা পাঁচে।’’

    সারাদেশ থেকে ৮,৫০০ প্রতিনিধি হাজির

    সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবারই দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ নগরে পৌঁছে যান সারা দেশ থেকে ৮,৫০০ প্রতিনিধি। সম্মেলনের আয়োজন ও ব্যবস্থায় কাজ করছেন আরও ৪ হাজার কর্মী। সম্মেলন স্থলকে মোট ১২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল, সন্ত জ্ঞানেশ্বর, অহল্যাবাই হোলকর, লাচিত বরফুকন, ভগবান বীরসা মুন্ডা, মদনমোহন মালব্য, গুরু তেগবাহাদুর, সুব্রহ্মণ্য ভারতী, মহারানা প্রতাপ, গুরু নানক দেব, ভগবান বিশ্বকর্মা, রানি দুর্গাবতী, রানি লক্ষ্মীবাঈ, রানি মা গাইদিনলিউতে। ৬৯তম অধিবেশনে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন যাজ্ঞবল্ক্য শুক্ল এবং সভাপতি হিসেবে (ABVP) নির্বাচিত হয়েছেন রাজশরণ শাহি।

    পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাজির মোট ৪৩২ জন প্রতিনিধি

    প্রসঙ্গত, দিল্লিতে চলা এই অধিবেশনে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি এবং রাজ্য সম্পাদকেরও নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সাংগঠনিক দৃষ্টিতে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদকে (ABVP) দুটি প্রান্তে ভাগ করা হয়েছে। একটি উত্তরবঙ্গ এবং অপরটি দক্ষিণবঙ্গ। উত্তরবঙ্গের সভাপতির দায়িত্ব এসেছেন বিশ্বজিৎ রায় এবং সম্পাদকের দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়েছে দীপ্ত দে’কে। দক্ষিণবঙ্গে সভাপতির দায়িত্বে পেয়েছেন পবিত্র দেবনাথ, সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন অনিরুদ্ধ সরকার। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ থেকে ১০১ জন প্রতিনিধি দিল্লির অধিবেশনে হাজির হয়েছেন এবং দক্ষিণবঙ্গ থেকে এই সংখ্যা ৩৩১।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অধ্যাপিকাকে অশ্লীল মন্তব্য টিএমসিপি ছাত্রনেতার! কলেজে বিক্ষোভ এবিভিপির

    Nadia: অধ্যাপিকাকে অশ্লীল মন্তব্য টিএমসিপি ছাত্রনেতার! কলেজে বিক্ষোভ এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া সুধীররঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ের এডুকেশন বিভাগের অধ্যাপিকাকে ফোন করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই কলেজের টিএমসিপি’র সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে এই ফোনের অডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রের নাম বিভাস হালদার। প্রতিবাদে কলেজ ক্যাম্পাসে সরব হয়ে বিক্ষোভ দেখায় এবিভিপি।

    শাস্তির দাবিতে এবিবিপির বিক্ষোভ (Nadia)

    অধ্যাপিকার ওপর এহেন আচরণের প্রতিবাদে সোমবার মাজদিয়া (Nadia) কলেজের সামনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। দাবি একটাই তৃণমূল ছাত্র নেতার শাস্তি চাই। আর এই বিক্ষোভ প্রদর্শনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই কৃষ্ণগঞ্জ থানার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। ঘটনায় পুলিশ বাধা দিলে, এভিবিপি ছাত্রছাত্রীরা জোর করে কলেজে ঢুকতে গেলে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। সেই সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। কারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও কলেজের ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর ঘটনাস্থলে আসেন কৃষ্ণগঞ্জ থানার আইসি বাবিন মুখার্জী।

    প্রিন্সিপালের বক্তব্য

    কলেজ (Nadia) প্রিন্সিপাল এই প্রসঙ্গে বলেন, “আই কার্ড থাকলে ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে।” এরপর প্রিন্সিপালের হস্তক্ষেপে যারা আইডেন্টিটি কার্ড নিয়ে এসেছিল, সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কলেজের ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে প্রিন্সিপাল আরও বলেন, “ফোনে অশালীন মন্তব্য করার ঘটনায় অধ্যাপিকা নিজে বিবরণ দিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।”

    টিএমসিপি ছাত্রনেতার শাস্তির দাবি

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে কলেজের (Nadia) অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও স্টাফদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রিন্সিপাল। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় কোনও মতেই অধ্যাপিকার উপর এই অসভ্য আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। অভিযুক্ত ছাত্র যাতে শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: সভা-মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত যাদবপুর, এবিভিপির ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

    JU Student Death: সভা-মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত যাদবপুর, এবিভিপির ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবারও সরগরম থাকল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর (JU Student Death)। এদিন সন্ধ্যাতেও উত্তেজনা ছড়াল। এবিভিপি-র কর্মী সমর্থকদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রাক্তনীদের সভা এবং এবিভিপি-এর পাল্টা স্লোগানকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের অভিযোগ, প্রশাসন প্রাক্তনীদের সভা করার অনুমতি দিলেও তাদের কোনও রকম অনুমতি দেয়নি। জানা গিয়েছে, প্রাক্তনীদের সভা চলছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে, সে সময়ে এবিভিপি-র কর্মী সমর্থকরা ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদে স্লোগান (JU Student Death) দিতে থাকেন। তখনই বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরানোর চেষ্টা করে পুলিশ। পাল্টা প্রতিরোধ শুরু করে এবিভিপি। তারপরেই লাঠিচার্জ শুরু করে কলকাতা পুলিশ।

    তৃণমূল-বাম ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে ধস্তাধস্তি 

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের সামনে ধস্তাধস্তিতে শুরু হয় একাধিক বাম ছাত্র সংগঠন এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে। এতে গোটা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুপক্ষই পাল্টা অভিযোগ এনেছে(JU Student Death) একে অপরের বিরুদ্ধে। একই সময়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা এবং বাম ছাত্র সংগঠনগুলির যৌথ সভা ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয়। দুই পক্ষ মুখোমুখি হতেই প্রথমে বচসা এবং পরে ধস্তাধস্তি হয়।

    লালবাজারে তলব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে

    বৃহস্পতিবারই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় লালবাজারে তলব করা হয় (JU Student Death) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশকর্তারা। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, হোস্টেল এবং প্রশাসনিক সংক্রান্ত বিষয়ে স্নেহ মঞ্জু বসুকে কুড়িটিরও বেশি প্রশ্ন করা হয়েছে।  সূত্রের খবর বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরই দিন এড়িয়ে গিয়েছেন স্নেহমঞ্জু বসু। এবং  বলেছেন ডিন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। যদিও লালবাজারে বিকাল তিনটের সময় স্নেহমঞ্জু বসু এবং ডিন দুজনকেই তলব করা হয়েছিল। কিন্তু রজত রায় এদিন উপস্থিত হননি। এখনও পর্যন্ত অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায়। যাঁদের মধ্যে ওই হোস্টেলের প্রাক্তনী এবং আবাসিকরাও রয়েছেন। এখানে প্রশ্ন উঠছে প্রাক্তনী হওয়ার পরেও কিভাবে হোস্টেলে থাকা যায় (JU Student Death)?

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও অমান্য করেছে। র‌্যাগিং সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল ২০০৯ সালে যে ছাত্রাবাসে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা রাখতে হবে। এবং তা সম্ভব না হলে বজায় রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তাদের অনবরত নজরদারি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এই ইস্যুতে শোকজ করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (JU Student Death)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে টায়ার জ্বলিয়ে বিক্ষোভ, এস পি অফিস ঘেরাও করল এবিভিপি

    Cooch Behar: ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে টায়ার জ্বলিয়ে বিক্ষোভ, এস পি অফিস ঘেরাও করল এবিভিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালজানিতে (Cooch Behar) চোদ্দ বছরের নাবালিকাকে পাঁচজন দুষ্কৃতী ধর্ষণ করে এবং তার পরবর্তীতে এক সপ্তাহের উপরে জ্ঞানহীন থাকার পর গতকাল সেই নবম শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যু হয়। এরপর প্রতিবাদে কোচবিহার জেলার সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশের অফিস ঘেরাও করল এবিভিপি। অপর দিকে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে কালজানির সেই মৃত নাবালিকার বাড়িতে পরিবারের সাথে কথা বলতে এল বিশেষ প্রতিনিধি দল। শিশু সুরক্ষা কমিটির বক্তব্য, আমরা পরিবারের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলাম। আমরাও চাইব দোষীদের যাতে দ্রুত শাস্তি দেওয়া হয়।

    এবিভিপির বক্তব্য (Cooch Behar)

    এবিভিপি সংগঠনের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গের সম্পাদক সুব্রত অধিকারী বলেন, গত সাত দিনে ৫টা এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে মহিলাদের নগ্ন করে নির্যাতন করা হয়েছে। কোচবিহারের (Cooch Behar) কালজিনি এবং তুফানগঞ্জে দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের কাছে নারী সুরক্ষা বিপন্ন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই। দুষ্কৃতীদের শাসন চলছে রাজ্যে। তিনি আরও বলেন, এই জেলাশাসক নিজে তৃণমূল জেলা সভাপতির চামচা।

    অপর দিকে কোচবিহারের রামকৃষ্ণ বয়েজ স্কুলের পক্ষ থেকে ছাত্ররা কোচবিহারের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে টায়া, কাঠ জ্বলিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হয়েছেন। ছাত্রদের বক্তব্য এই জায়গায় কোনও রাজনীতির রং লাগিয়ে লাভ হবে না। যে পাঁচ জন দোষী ধরা পড়েছে, তাদের প্রত্যেককে ফাঁসি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। শাস্তি এমন দিতে হবে যেন পরবর্তীতে এই ধরনের অপরাধ করতে দুষ্কৃতীদের ভিতর কেঁপে ওঠে।

    রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের বক্তব্য

    কালজানিতে (Cooch Behar) নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্যা নিয়োতি মাহাতো বলেন, আমরা পরিবারের পাশে রয়েছি, এই নির্মম ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের অবিলম্বে শাস্তি চাই। প্রশাসন, পুলিশ, শাসক দলের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা এই ধরনের বিঙেগুলির উপর নজর রাখব। উল্লেখ্য কমিশনের সদস্যারা নির্যাতিতা পরিবারের বাড়িতে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। ঘটনা ঘটার এতদিন পরে কেন এসেছেন! ঠিক এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: বন্‌ধ ব্যর্থ করতে এবিভিপি-র ওপর হামলার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ

    ABVP: বন্‌ধ ব্যর্থ করতে এবিভিপি-র ওপর হামলার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্‌ধ ব্যর্থ করতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠল। এদিন সকাল থেকেই বন্‌ধকে সফল করতে শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজের সামনে এবিভিপি’র সদস্যরা পিকেটিং করে। মূল অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একদল কর্মী বন্‌ধ ব্যর্থ করতে এসে আচমকা এবিভিপির সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এবিভিপি সদস্যদের বাঁশ, রড দিয়ে পেটানো হয়। তাতে এবিভিপি-র কয়েকজন ছাত্র জখম হয়েছে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হলে একজন বাদে সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

    কেন এই বন্‌ধ? 

    এবিভিপির তরফে জানানো হয়েছে, কলেজের ছাত্রছাত্রীদের একাধিক অসুবিধার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার পলিটেকনিক কলেজে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে বাধা দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। অন্যদিকে পাল্টা অভিযোগ করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ স্মারকলিপি দিতে গেলে এবিভিপি-ই বাধা দেয়। এই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিলিগুড়ির পলিটেকনিক কলেজ চত্বর। বাদানুবাদ থেকে দু-পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় সংগঠনের দুই কর্মী জখম হওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতেই শিলিগুড়ি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় এবিভিপি। সেই সঙ্গে শুক্রবার ১২ ঘন্টা শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজ ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা।

    কেন তৃণমূলের হামলা?

    এই বন্‌ধকে ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সকাল থেকেই কলেজের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি থানার আইসি অনুপম মজুমদার। শান্তিপূর্ণভাবে এবিভিপি পিকেটিং করছিল। সিংহভাগ ছাত্রছাত্রী বন্‌ধকে সমর্থন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তারা এবিভিপির ছেলেদের কলেজ ছেড়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে। শুরু হয় দু-দলের মধ্যে বচসা, তারপর এবিভিপির সদস্যদের মারধর শুরু করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পুলিশের সামনেই দুষ্কৃতীদের দল এবিভিপি সদস্যদের মাটিতে ফেলে পেটায়। এবিষয়ে এবিভিপির রাজ্য কমিটির সদস্য অনিকেত দে সরকার বলেন, আমরা সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে পিকেটিং করছিলাম। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের লোকজন আমাদের বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মেরেছে৷ অনেকেই জখম হয়েছে।পুলিশের সামনে গোটা ঘটনা ঘটেছে।

    কী বলছে তৃণমূল ও পুলিশ?

    দার্জিলিং জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (সমতল) সভাপতি তনয় তালুকদার বলেন, মারধরের কোনও ঘটনাই ঘটেনি৷ রড, লাঠি নিয়ে এবিভিপির কিছু গেরুয়া গুন্ডা এখানে এসে দাঁড়িয়েছিল। আমরা স্লোগান দিলে তারা ভয়ে এখান থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন এবিভিপির ডাকা বন্‌ধকে কেন্দ্র করে কলেজ চত্বরে উত্তেজনা দেখা দেয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এবিভিপির সদস্যরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। সময়মতো পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

    বিধায়কের নিন্দা

    খবর পেয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে এবিভিপির জখম কর্মী-সমর্থকদের দেখতে যান শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গুন্ডাবাহিনী পুলিশের সামনে এবিভিপির শান্তিপূর্ণ পিকেটিংয়ে হামলা চালিয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ এবিভিপির

    ABVP: কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে উত্তরদিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাল সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি (ABVP)। গত তিনদিন ধরে দফায় দফায় বিক্ষোভ অবরোধে কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে কালিয়াগঞ্জের পরিস্থিতি। এই আবহে রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে সওয়াল তুলে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির। প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচির পরে আজ বিজেপির তপশিলি শাখা জেলায় জেলায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এবিভিপির মিছিল শুরু হয় রায়গঞ্জের কলেজ মোড় থেকে। জেলার শতাধিক নেতা কর্মীদের ভিড়ে ঠাসা মিছিলে ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সঙ্ঘের ছাত্র শাখার (ABVP) মিছিল রুখতে এদিন প্রথম থেকেই সক্রিয় ছিল পুলিশ। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কর্মীদের একাংশ। তাদের দাবি, এবিভিপিকে (ABVP) আটকাতে পুলিশ যতটা সক্রিয়, ততটাই যদি তদন্তের ক্ষেত্রে হতো! পুলিশের তৈরি বাঁশের প্রথম ব্যারিকেড ভাঙতে সক্ষম হয় এবিভিপি। 

    কী বললেন এবিভিপি নেতৃত্ব

    এদিনে বিক্ষোভে হাজির ছিলেন এবিভিপির (ABVP) উত্তরবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক শুভব্রত অধিকারী তিনি বলেন, পুলিশ শাসক দলের দলদাসে পরিণত হয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। একটা গণধর্ষণ ও নৃশংস হত্যাকে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির স্বার্থে আত্মহত্যা বলে চালানোর চক্রান্ত চলছে। পরিকল্পিতভাবে জেলার পুলিশ সুপার শাসক দলের সঙ্গে গোপনে এই সব চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন। আন্দোলনকে লাগাতার চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভব্রতের আরও সংযোজন, এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা। কারণ রাজ্য পুলিশের উপর আমাদের ভরসা নেই। শুভব্রত ছাড়াও এদিনের কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন এবিভিপি (ABVP) নেত্রী সুমিতা সেন, ছাত্র নেতা অভিজিৎ রায়, কৌস্তভ আচার্য সহ অন্যান্যরা।

    জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার কী বললেন

    অন্যদিকে, সোমবার দিল্লি যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর মৃতার পরিবারের সঙ্গেই দেখা করেছি। সকলের সঙ্গে কথা বলে এবং সবকিছু দেখে মনে হয়েছে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। কেননা নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে না। ঘটনার পর থেকে পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। আমরা দিল্লি থেকে ছুটে এসেছি। লিখিতভাবে জানানোর পরও প্রোটোকল অনুযায়ী আইজি, জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় এই ঘটনার যে তদন্তকারী অফিসার তাঁকেও পাওয়া যায়নি। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তা আড়াল করার চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: ফেসবুক পোস্ট করে গ্রেফতার এবিভিপি নেতা, প্রতিবাদে সরব নেটিজেনরা

    ABVP: ফেসবুক পোস্ট করে গ্রেফতার এবিভিপি নেতা, প্রতিবাদে সরব নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বাক স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ উঠল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করার কারণে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের এক এবিভিপি ছাত্র নেতাকে অন্যায়ভাবে  গ্রেফতার করল পুলিশ। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সমগ্র জেলা জুড়ে।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

    জানা গিয়েছে ২৩ বছর বয়সী কৌশিক সাহা বর্তমানে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সোশ্যাল মিডিয়া প্রমুখের দায়িত্বে রয়েছেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কৌশিক নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পোস্ট করে জানতে চান, “ওপার বাংলায় জমি বাড়ি রেখে কেন আমাদের এপার বাংলায় চলে আসতে হল”? এই পোস্ট ২৭ ফেব্রুয়ারি করা হলেও কৌশিককে তপন থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ১ মার্চ। শোনা যাচ্ছে, নিজের এলাকাতে অত্যন্ত জনপ্রিয় হওয়াতে কৌশিককে দীর্ঘদিন ধরেই চাপে রাখার কৌশল নিচ্ছিল স্থানীয় শাসকদলের নেতারা। মূলত তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই কৌশিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

    কোন কোন ধারায় মামলা দায়ের করা হল কৌশিকের বিরুদ্ধে

    জানা গিয়েছে কৌশিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ২৯৫-এ, ৫০৪, ৫০৫ এবং আইটি অ্যাক্ট ৬৬, ৬৭ অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছে তপন থানার পুলিশ। বর্তমানে সে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সংশোধনাগারে রয়েছে, তাকে ১১ দিনের জন্য জেল হাজত দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন এবিভিপির উত্তরবঙ্গের নেত্রী

    এবিভিপির উত্তরবঙ্গ জোনের সহ সভাপতি গার্গী মণ্ডল বলেন, কৌশিক নামের ছেলেটি বাংলাদেশ থেকে আগত একটি উদ্বাস্তু হিন্দু পরিবারের শিক্ষিত ছেলে। সে ফেসবুকের মাধ্যমে তার মনের আবেগ প্রকাশ করে একটি পোষ্ট করে। সেখানে কোনও ব্যক্তি বা কোন গোষ্ঠীকে আক্রমণ করা হয়নি। অথচ সেই পোষ্টকে কেন্দ্র করে এই স্বৈরাচারী সরকারের তৃণমূলের দলদাস পুলিশ কিছু তৃণমূলের নেতার কথায় ছেলেটিকে থানায় ডেকে গ্রেফতার করে এবং পরদিন তাকে ১১ দিনের জেল হেফাজত দেয়। এই সরকার তার দলদাস পুলিশ প্রশাসনকে অপব্যবহার করে জনসাধারণের বাকস্বাধীনতাকে হরণ করতে চাইছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি এবং অবিলম্বে কৌশিক সাহার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।

    কী প্রতিক্রিয়া বিজেপি বিধায়কের

    উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মন বলেন, ভয়ানক অবস্থা চলছে সারা রাজ্য জুড়ে। ঠিক যেন জরুরি অবস্থা, বাক স্বাধীনতার অধিকার আমাদের সংবিধান দিয়েছে, অথচ তা লঙ্ঘিত হচ্ছে এ রাজ্যে। তৃনমূল সরকারের আমলে মানুষের মৌলিক অধিকার বলে কিছু নেই।

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে প্রতিবাদে সরব হয়েছে নেটিজেনরা। কৌশিকের ছবি ব্যবহার করে ‘নিঃশর্ত মুক্তি চাই’ হ্যাশ ট্যাগ লিখে প্রচার চলছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

     

     

  • JNU: জেএনইউতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, লাগু আদর্শ আচরণ বিধি, জানুন নির্ঘণ্ট

    JNU: জেএনইউতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, লাগু আদর্শ আচরণ বিধি, জানুন নির্ঘণ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ে চার বছর বাদে লোকসভা নির্বাচনের মুখে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU)। নির্বাচন হবে ২২ মার্চ। ফল প্রকাশ হবে দু’দিন পরে, ২৪ মার্চ।

    নির্বাচনের নির্ঘণ্ট

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ইলেকশন কমিটি জানিয়েছে, সোমবার থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে ছাত্র ভোটের। মনোনয়নপত্র বিলি করা হবে বৃহস্পতিবার। তার আগেই প্রকাশ করা হবে ভোটার তালিকা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৫ মার্চ। স্ক্রুটিনি হবে তার পরের দিন। ইলেকশন কমিটির তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২২ মার্চ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হবে। ফের শুরু হবে দুপুর আড়াইটে থেকে। চলবে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। নির্বাচন হবে ব্যালট পেপারে। ভোটের আগে (JNU) রীতি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হবে তর্কসভা। এই সভায় বিভিন্ন দল তাদের দলের লক্ষ্য ও নীতি সম্পর্কে ভোটারদের অবহিত করবে।

    আদর্শ আচরণ বিধি জারি

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, যেহেতু নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, তাই এদিন থেকেই লাগু হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণ বিধিও। এই বিধি অনুযায়ী, নির্বাচন কমিটির আগাম অনুমতি ছাড়া পোস্টার ও প্যামফ্লেট প্রকাশ করা যাবে না। প্রার্থী ও তাঁদের দল কেবল হাতে লেখা পোস্টার ও তার ফটোকপি ব্যবহার করতে পারবে প্রচারের জন্য। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ভবন, রাস্তা, বিদ্যুতের খুঁটি, বাসস্টপ, গাছপালা ইত্যাদি এলাকায় পোস্টার টাঙানো যাবে না। প্রচারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তিও বিকৃত করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের আগাম অনুমতি নিয়ে তবেই সোশ্যাল, সাংস্কৃতিক এবং নির্বাচনী সভার আয়োজন করা যাবে।     

    আরও পড়ুুন: ‘পার্থ সকলকে উস্কে গালাগাল করাচ্ছিল’, বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে তোপ অর্জুনের

    জেএনইউয়ে শেষবার ছাত্র ভোট হয়েছিল ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, লোকসভা নির্বাচনের পরে। সেবার নির্বাচনে জিতে সংসদের সভানেত্রী হয়েছিলেন এসএফআই নেত্রী ঐশী ঘোষ। হেরে গিয়েছিলেন এবিভিপির প্রার্থী। এর পর যমুনা দিয়ে গড়িয়েছে অনেক জল। দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শক্তি বাড়িয়েছে এবিভিপি। দিল্লিতেও আগের চেয়ে মজবুত হয়েছে বিজেপির ভিত। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে জেএনইউতে নির্বাচনে করিয়ে সংগঠনের ভিত কতটা পোক্ত হয়েছে, তা-ই মেপে নিতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব (JNU)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • ABVP: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিধানসভা অভিযানকে ঘিরে এবিভিপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ধুন্ধুমার

    ABVP: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিধানসভা অভিযানকে ঘিরে এবিভিপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি (ABVP) আজ সারা দেশব্যাপী মমতা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ প্রদর্শন করল। একই সঙ্গে নির্যাতিতাদের ন্যায় বিচারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা অভিযানকে ঘিরে এবিভিপি-পুলিশের ব্যাপক ধুন্ধুমার বাধে। সেই সঙ্গে করা হয় পুলিশের লাঠি এবং গ্রেফতার। একই ভাবে দেশের বড় বড় শহরগুলির মধ্যে দিল্লির বঙ্গভবন, রাজস্থানের ভিলওয়ারা, গুজরাটের আমেদাবাদ, লখনউ, ইন্দোর, হিমাচলের কৌশাম্বি, একাধিক জায়গার বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে বাংলার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে মমতার কুশপুতুল দাহ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

    বিধানসভায় ঘেরাও (ABVP)

    এই রাজ্যের বিধানসভার সামনে দক্ষিণবঙ্গ এবিভিপির তরফ থেকে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হয়। এই অভিযানের সময় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা-নেত্রীরা যোগদান করে। দলের জাতীয় সম্পাদক শিবাঙ্গী কারওয়াল এবং শালিনী বর্মা নেতৃত্ব দেন। প্রথমে সংগঠনের কর্মীরা সুবোধ মল্লিক স্কয়ারে জমায়েত হয়। এরপর মিছিল করে বিধানসভার দিকে এগোলে পুলিশ বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ এবং গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ ওঠে। এবিভিপির দাবি, মোট ৪১ জন মহিলা কর্মীদের গ্রেফতার করা হয় এবং ব্যাপক মারধর করা হয়। সন্দেশখালির নিপীড়িত মানুষের অধিকার এবং ন্যায় বিচারের দাবি করা হয়। উল্লেখ্য এই সন্দেশখালি মামলায় প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আজ। পালটা সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার দ্রুত শুনানির আর্জি করলে তা খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে আজই মামলা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

    দেশ ব্যাপি বিক্ষোভ

    হিমাচলের কৌশাম্বিতে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) পক্ষে থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে এবিভিপির সমর্থকরা। অপর দিকে ইন্দোরে জেলা শাসকের দফতরের বাইরে পশ্চিমবঙ্গে ঘটা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ জানিয়ে প্রতিবাদ করে।  সেই সঙ্গে নিপীড়িত মহিলাদের আর্থিক সাহায্যের দাবি রাখে। আবার উত্তরপ্রদেশের লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্দেশখালিতে গণধর্ষণের বিরুদ্ধে এবিভিপি সমর্থকরা আন্দোলনে রাস্তায় নামে। আমেদাবাদের গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপির কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়। দেশ জুড়ে ব্যাপক গণ আন্দোলনের ডাক দেয় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ju Abvp: যাদবপুরে রাম মন্দিরের উদ্বোধনী সম্প্রচার ঘিরে সংঘর্ষ এবিভিপি ও বাম ছাত্র সংগঠনের

    Ju Abvp: যাদবপুরে রাম মন্দিরের উদ্বোধনী সম্প্রচার ঘিরে সংঘর্ষ এবিভিপি ও বাম ছাত্র সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছিল ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। অভিযোগ, প্রোজেক্টর-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সময় সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠনের ওপর হামলা চালায় বাম ছাত্র সংগঠন। পাল্টা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করে এবিভিপি সদস্যরা (Ju Abvp)। পরিস্থিতি সামাল দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেটে হাজির হন অধ্যাপকদের একাংশ। বন্ধ করে দেওয়া হয় গেট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চাপা উত্তজেনা রয়েছে এখনও। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘সকলের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সকলেই সহযোগিতা করুন।’’

    গ্রিনজোনে বিক্ষোভ এবিভিপির

    ক্যাম্পাসে বাধা পাওয়ার পরে এবিভিপি সদস্যরা (Ju Abvp) পরবর্তীকালে গ্রিন জোনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তখনও তাদের মুখে শোনা যায় রাম-রাম এবং জয় শ্রীরাম স্লোগান। তখনই উল্টো দিক থেকে এগিয়ে আসে বাম ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়ারা। তাদের মুখে ছিল ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান। এবিভিপি সদস্যদের উপর হামলা করার উদ্দেশ্যেই তারা আসে। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। ঘটনাস্থলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। অশান্তি এতটাই ছড়ায় যে মাথা ফেটে যায় সিকিউরিটি হেড মুকুল চন্দ্র দাসের। গেটের বাইরে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে। 

    কী বলছেন এবিভিপি কর্মীরা?

    প্রসঙ্গত, ছাত্রদের উদ্যোগে যাদবপুরে রাম মন্দিরের সরাসরি সম্প্রচার অনুষ্ঠান যে হবে, তা আগেই জানিয়েছিল ছাত্র সংগঠনটি। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারও শুরু করেছিল তারা। আয়োজক হিসেবে নাম লেখা ছিল জেইউ স্টুডেন্ট। কিন্তু তখন থেকেই এসএফআই এবং বাম ছাত্র সংগঠনগুলি হুমকি দিতে থাকে রামের নামে কোনও অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে করা যাবে না। এনিয়ে এবিভিপির (Ju Abvp) সদস্যরা বলেন,  “আমরা স্ক্রিনিং করছিলাম। প্রসাদ দিতাম। পুজো করতাম। সেই সময় বামপন্থী ছেলেমেয়েরা জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে। আমাদের গালিগালাজ করা হয়। ওরা স্লোগান দেয়। এমনকী মারধর করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share