Tag: America

America

  • Donald Trump: “মোদি আমার মহান বন্ধু, অত্যন্ত বুদ্ধিমান”, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    Donald Trump: “মোদি আমার মহান বন্ধু, অত্যন্ত বুদ্ধিমান”, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আমার মহান বন্ধু। তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি মোদির কোনও স্তাবক নন, বিজেপির কোনও নেতা-মন্ত্রীও নন, সাধারণ মানুষ তো ননই। শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্পের গলায় শোনা গেল মোদি-স্তুতি। এই বৈঠকেই তিনি ভারতের উচ্চ শুল্ক নীতির প্রতি তাঁর অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত করেন।

    ‘তোমাদের একজন মহান প্রধানমন্ত্রী আছেন’ (Donald Trump)

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্প্রতি এখানে এসেছিলেন, এবং আমরা সবসময় খুব ভালো বন্ধু। ভারত বিশ্বের সর্বোচ্চ শুল্ক আদায়কারী দেশগুলির মধ্যে একটি। তারা খুব স্মার্ট। তিনি একজন অত্যন্ত বুদ্ধিমান মানুষ এবং আমার একজন মহান বন্ধু। আমাদের মধ্যে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি ভারত ও আমাদের দেশের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভালোভাবেই গড়ে উঠবে। আমি বলতে চাই, তোমাদের একজন মহান প্রধানমন্ত্রী আছেন।”

    ‘শুল্ক রাজা’

    প্রসঙ্গত, ২ এপ্রিল থেকে আমেরিকা ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে ভারতের বাণিজ্য নীতির সমালোচনা করেছেন। তিনি একে ‘শুল্ক রাজা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ভারতের আমদানি শুল্ককে ‘অত্যন্ত অন্যায্য ও কঠিন’ বলে বর্ণনা করেছেন। এর আগে একটি বিবৃতিতে ট্রাম্প (Donald Trump) বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক আছে। ভারত সম্পর্কে আমার একমাত্র সমস্যা হল তারা বিশ্বের অন্যতম উচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশ। আমি মনে করি, তারা সম্ভবত এই শুল্কগুলি যথেষ্ট পরিমাণে কমিয়ে দেবে। কিন্তু ২ এপ্রিল থেকে আমরা তাদের ওপর সেই একই শুল্ক আরোপ করব, যা তারা আমাদের ওপর আরোপ করে।”

    এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “১২-১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ভারত ও আমেরিকা দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ককে গভীরতর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ন্যায্যতা, জাতীয় নিরাপত্তা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিশ্চিত করে।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন – ‘মিশন ৫০০’ – যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে পণ্য ও সেবার দ্বিমুখী বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা… উভয় পক্ষ ২০২৫ সালের শরৎকালের মধ্যে একটি পারস্পরিকভাবে উপকারী, বহু-ক্ষেত্রীয় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির (বিটিএ) প্রথম কিস্তি নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন।”

    কীর্তি বলেন, “দুই সরকারই এই আলোচনাগুলি এগিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে এবং বিটিএ-র জন্য একটি কাঠামো (PM Modi) গড়ে তুলতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এর লক্ষ্য হল পণ্য ও সেবা খাতে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা, পাশাপাশি বাজার প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি, শুল্ক ও অ-শুল্ক বাধা কমানো এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের একীকরণকে গভীরতর করা (Donald Trump)।”

  • Hindu Temple Vandalized: ফের মন্দিরে হামলা, দেওয়ালের গায়ে হিন্দুরা ফিরে যাও স্লোগান  

    Hindu Temple Vandalized: ফের মন্দিরে হামলা, দেওয়ালের গায়ে হিন্দুরা ফিরে যাও স্লোগান  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা (Hindu Temple Vandalized)। আবারও খবরের শিরোনামে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া। এবার চিনো হিলসে বিএপিএসের একটি মন্দিরে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। দিন কয়েক পরেই রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে তথাকথিত ‘খালিস্তানি গণভোট’।

    হিন্দু মন্দিরে হামলা (Hindu Temple Vandalized)

    তার আগেই হামলা চালানো হল হিন্দু মন্দিরে। বিএপিএসের অফিসিয়াল পেজ এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে এই ঘটনা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কখনওই ঘৃণাকে শেকড় গাড়তে দেওয়া হবে না। শান্তি এবং সহানুভূতিই শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবে।’ এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে বিএপিএসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স লিখেছে, “আর একটি মন্দির অবমাননার মুখে। এবার চিনো হিলস, ক্যালিফোর্নিয়ায়, হিন্দু সম্প্রদায় ঘৃণার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছে। চিনো হিলস ও দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার সম্প্রদায়ের সঙ্গে একসঙ্গে, আমরা কখনওই ঘৃণাকে শেকড় গাড়তে দেব না। আমাদের সাধারণ মানবতা ও বিশ্বাস নিশ্চিত করবে যে শান্তি ও সহানুভূতি বিজয়ী হবে।”

    হিন্দু বিরোধী স্লোগান

    এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনার বিবরণ দিয়েছে উত্তর আমেরিকার হিন্দুদের সংস্থা সিওএইচএনএ। সেখানে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার (Hindu Temple Vandalized) এই আইকনিক বিএপিএস মন্দিরের অবমাননা লস অ্যাঞ্জেলেসে তথাকথিত ‘খালিস্তানি গণভোট’-এর আগে ঘটেছে। গত বছরও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোতে অবস্থিত বিএপিএস শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনার দিন দশেক আগেই নিউ ইয়র্কের বিএপিএস মন্দিরেও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। হিন্দু বিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়েছিল।

    মন্দিরের গায়ে লিখে দেওয়া হয়, ‘হিন্দুরা ফিরে যাও’। দুষ্কৃতীরা মন্দিরের জলের লাইনও কেটে দিয়েছে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রবাসী হিন্দুরা জড়ো হন মন্দিরে। সেখানে তাঁরা শান্তি প্রার্থনা করেন। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ অ্যামি বেরি। তাঁর সাফ কথা, স্যাক্রামেন্টোতে ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ঘৃণার কোনও স্থান নেই। এই ঘটনার নেপথ্যে কারা জড়িত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও সংগঠনই এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে শিখদের উগ্রবাদী সংগঠন এই হামলা করে থাকতে পারে (Hindu Temple Vandalized) বলে অনুমান।

  • S Jaishankar: “বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প, এটা ভারতের জন্য…”, বড় বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প, এটা ভারতের জন্য…”, বড় বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমেরিকায় এখন আমরা একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রশাসন দেখছি যারা বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের পক্ষে এটা বেশ উপযোগী।” কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (S Jaishankar)

    লন্ডনে চ্যাথাম হাউসের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ব্রোনওয়েন ম্যাডক্সের সঙ্গে এক আলোচনায় জয়শঙ্কর বলেন, “ট্রাম্পের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে (Donald Trump) দিল্লি আশ্চর্য হয়নি। বেশিরভাগ সময় রাজনৈতিক নেতারা যা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার বেশিরভাগটাই করেন বা অন্তত চেষ্টা করেন। তাঁরা সব সময় সফল হন না, বা সব সময় যা চান, তা পান না। কিন্তু সব রাজনৈতিক নেতাদের নিজেদের একটা অ্যাজেন্ডা থাকে। এই আবহে আমি মনে করি, গত কয়েক সপ্তাহে আমরা যা দেখেছি এবং শুনেছি, তার বেশিরভাগটাই প্রত্যাশিত ছিল। তাই আমি একটু অবাক হয়েছি যে অন্যরা তা দেখে অবাক হচ্ছেন।”

    বহু মেরুকরণ

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমেরিকায় এখন আমরা একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রশাসন দেখছি যারা বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের পক্ষে এটা বেশ উপযোগী। আমাদের কখনও মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের সঙ্গে কোনও সমস্যা হয়নি, অন্তত সাম্প্রতিক সময়ে। আমাদের ওপর এমন কোনও বোঝা নেই যা আমরা বহন করে চলেছি।” ব্রিকস দেশগুলি আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ডলারের বদলি খুঁজছে বলে কিছুদিন আগেই অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প। সে প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আন্তর্জাতিক মুদ্রারূপে মার্কিন ডলারের বদলি খোঁজার কোনও নীতি ভারতের নেই।” তিনি বলেন, “মার্কিন ডলার মুদ্রা রূপে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উৎস। আর আমরা বিশ্বে আরও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই। বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারকে প্রতিস্থাপন করার ব্যাপারে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির মধ্যে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেই।”

    বুধ-সন্ধ্যায় চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আয়োজিত ‘বিশ্বে ভারতের উত্থান ও ভূমিকা’ শীর্ষক এক অধিবেশনেও যোগ দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সেখানেও তিনি ট্রাম্পের বহু মেরুকরণের উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের মধ্যে একটি বড় যৌথ উদ্যোগ হল কোয়াড, যা এমন একটি বোঝাপড়া যেখানে প্রত্যেকে তাদের ন্যায্য অংশ প্রদান করে। এখানে ফ্রি রাইডার্স কেউ নেই। এটি (Donald Trump) একটি ভালো মডেল, কার্যকরীও বটে (S Jaishankar)।”

  • Volodymyr Zelenskyy: হোয়াইট হাউসের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ, জেলেনস্কির মুখে এখন শান্তির বার্তা

    Volodymyr Zelenskyy: হোয়াইট হাউসের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ, জেলেনস্কির মুখে এখন শান্তির বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করে নিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)! হোয়াইট হাউসকাণ্ডের জেরে ইউক্রেনকে সব রকম সামরিক সহায়তা দেওয়া (Ukraine Peace) বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দুঃখ প্রকাশ (Volodymyr Zelenskyy)

    তিনি বলেন, “শুক্রবার ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে আমাদের বৈঠকটি যেমন হওয়া উচিত ছিল, তেমন হয়নি। এটা দুঃখজনক যে এটা এভাবে ঘটেছে। এখন সময় এসেছে সব কিছু ঠিক করার। আমরা চাই, ভবিষ্যতের সহযোগিতা ও যোগাযোগ গঠনমূলক হোক।” মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট (Volodymyr Zelenskyy) বলেন, “আমি শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমার দেশ স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনায় বসতে চায়।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি ও আমার দল সর্বদা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃঢ় নেতৃত্বে কাজ করতে প্রস্তুত।” জেলেনস্কি বলেন, “কেউই এই যুদ্ধ চায় না।”

    যুদ্ধ শেষ করতে রাজি

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা যুদ্ধ শেষ করার জন্য দ্রুত কাজ করতে প্রস্তুত এবং এর প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে বন্দিদের মুক্তি এবং আকাশ ও সমুদ্রে যুদ্ধবিরতি; যদি রাশিয়াও একই কাজ করে। এর আওতায় ক্ষেপণাস্ত্র, দূরপাল্লার ড্রোন, জ্বালানি ও অন্যান্য অসামরিক পরিকাঠামোর ওপর বোমা-হামলা নিষিদ্ধ করা উচিত। আমরা পরবর্তী সব পদক্ষেপ খুব দ্রুত সম্পন্ন করতে চাই। এবং একটি শক্তিশালী চূড়ান্ত চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চাই। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ সাহায্য করেছে, আমরা তা সত্যিই মূল্যবান বলে মনে করি। আর আমরা সেই মুহূর্তটির কথা মনে করি, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনকে জ্যাভেলিন সরবরাহ করেছিলেন, তখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছিল। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

    জেলেনস্কি বলেন, “ইউক্রেন যে কোনও সময় এবং যে কোনও সুবিধাজনক বিন্যাসে খনিজ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। আমরা এই চুক্তিকে বৃহত্তর নিরাপত্তা ও দৃঢ় নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি (Ukraine Peace)। আমি সত্যিই আশা করি, এটি কার্যকরভাবে কাজ করবে (Volodymyr Zelenskyy)।”

  • Ukraine: খনিজ চুক্তি করতে রাজি তিনি, আমেরিকাকে বার্তা জেলেনস্কির, কীসের ইঙ্গিত দিলেন?

    Ukraine: খনিজ চুক্তি করতে রাজি তিনি, আমেরিকাকে বার্তা জেলেনস্কির, কীসের ইঙ্গিত দিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে-বাইরে চাপ বাড়ছিল। পথ খোলা ছিল দুটো – হয় পথ বদল, নয় পদত্যাগ। শেষ পর্যন্ত এই দুই বিকল্পের মধ্যে প্ল্যান এ-টাই বেছে নিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ব্রিটেন থেকে রবিবার তিনি (Zelenskyy) জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরে রাজি আছেন তিনি।

    বৈঠক করতেও আপত্তি নেই (Ukraine)

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এও জানিয়েছেন, আমেরিকা যদি তাঁকে আবারও ডাকে, তাহলে ফের তিনি সেখানে যেতে প্রস্তুত। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বৈঠক করতেও আপত্তি নেই তাঁর। এই সব কিছুর পরেও অবশ্য ছোট্ট একটা শর্তও দিয়ে রেখেছেন জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কথাও শুনতে হবে। বিবেচনা করতে হবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থাও। আমেরিকার সঙ্গে খনিজসম্পদ সংক্রান্ত চুক্তিকে তিনি বর্ণনা করেছেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রথম ধাপ হিসেবে। এক্স হ্যান্ডেলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “আমরা খনিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। এবং এটি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রথম পদক্ষেপ। তবে এটি যথেষ্ট নয়, আমাদের এর চেয়েও বেশি প্রয়োজন।”

    ইউক্রেনের পক্ষে বিপজ্জনক

    তিনি লিখেছেন, “নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া যুদ্ধবিরতি ইউক্রেনের পক্ষে বিপজ্জনক। আমরা তিন বছর ধরে যুদ্ধ করছি, এবং ইউক্রেনের জনগণের জানা প্রয়োজন যে আমেরিকা আমাদের পাশে আছে।” সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন জেলেনস্কি। তাতে বলেছেন, “আমরা ইউরোপ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। একটি বিষয়ে সকলেই একমত, সকলেই শান্তি চায়। সেই কারণেই আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দরকার। এটাই ইউরোপের অবস্থান। অবশ্যই আমরা আমেরিকাকেও গুরুত্ব দিই। ওদের কাছ থেকে আমরা অনেক সাহায্য পেয়েছি। তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ইউক্রেনের প্রতিরোধ পুরোটাই তার বন্ধু দেশগুলির সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। যে সাহায্য তারা করছে ইউক্রেন এবং নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে। আমরা শান্তি চাই। বিরামহীন যুদ্ধ চাই না। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এই শান্তির চাবিকাঠি।”

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য

    রবিবার লন্ডনে আয়োজিত ইউরোপীয় রাষ্ট্রনেতাদের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও। সেখানে তিনি জানান, ওয়াশিংটনের বৈঠকে যা ঘটেছে, তা থেকে আমেরিকা কিংবা ইউক্রেনের কোনও লাভ হবে না। লাভ হবে রাশিয়ার। এর পরেই জেলেনস্কি বলেন, “আমাকে যদি ডাকা হয়, আমি আবার আমেরিকায় যাব। খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে এখনও আমি প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের কথাও শুনতে হবে।” ইউক্রেনের জমির মালিকানা নিয়ে তিনি যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনও (Zelenskyy) সমঝোতার পথে হাঁটবেন না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

    হোয়াইট হাউসে বিতণ্ডা

    প্রসঙ্গত, খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্দেশ্যেই হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট। সেখানে ট্রাম্প ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। বৈঠকে তিনজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। যার জেরে বাতিল হয়ে যায় চুক্তি। মিনিট চল্লিশের ওই বৈঠক শেষেই মধ্যাহ্নভোজ না করেই হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। আমেরিকা থেকে জেলেনস্কি সোজা চলে যান ব্রিটেনে। সেখানে তিনি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে। পরে লন্ডনে একটি সম্মেলনেও যোগ দেন তিনি। তার পরেই জানান, আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে তিনি এখনও প্রস্তুত। জেলেনস্কি বলেন, “আমি শুধু চাই, ইউক্রেনের অবস্থার কথাটাও শোনা হোক। বিবেচনা করা হোক। আমাদের বন্ধু দেশগুলি মনে রাখুক, এই যুদ্ধে মূল আগ্রাসী কারা, কারাই বা আগে যুদ্ধ শুরু করেছিল।”

    সংঘাতের জল গড়িয়েছে অনেক দূর

    আমেরিকা-ইউক্রেন (Ukraine) সংঘাতের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের সঙ্গে তুলনা করে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ জেলেনস্কির আচরণকে ‘অত্যন্ত অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, চার্চিল “একটি বিশেষ মুহূর্তের নেতা ছিলেন, কিন্তু তিনি ইংল্যান্ডকে পরবর্তী পর্বে রূপান্তর করতে পারেননি। বিশেষ করে শুক্রবার যা দেখলাম, তার পরে এটা পরিষ্কার নয় যে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনকে এই যুদ্ধের সমাপ্তির দিকে নিয়ে যেতে এবং আলোচনা করে আপস করতে প্রস্তুত কিনা।” ওয়াল্টজ বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য ইউক্রেন থেকে আঞ্চলিক ছাড়ের পাশাপাশি নিরাপত্তা গ্যারান্টিতে রাশিয়ার ছাড় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তবে মস্কোকে কী করতে হবে সে সম্পর্কে তিনি কোনও বিস্তারিত তথ্য দেননি।”

    আমেরিকার হাউস স্পিকার মাইক জনসনও ওভাল অফিসের বিতর্কের পর জেলেনস্কি সম্পর্কে বলেন, “হয় তিনি যেন যুক্তিসঙ্গত হন এবং কৃতজ্ঞতা সহকারে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসেন, নতুবা দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অন্য কাউকে এগিয়ে আসতে হবে (Zelenskyy)।”

    এর পরে আর কীই বা করতে পারতেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট!

  • Joe Biden: ইউএসএআইডির টাকা গিয়েছে হামাস, তালিবান, আল কায়েদার হাতে! কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    Joe Biden: ইউএসএআইডির টাকা গিয়েছে হামাস, তালিবান, আল কায়েদার হাতে! কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা গিয়েছে জঙ্গিদের হাতে! বিশ্বের মার্কামারা জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতে পৌঁছেছে এই টাকা। জঙ্গিদের এই তালিকায় রয়েছে কুখ্যাত হামাস, তালিবান এবং আল কায়েদাও। ঘটনাটিকে মার্কিন কংগ্রেসের আইনপ্রণেতারা ‘জাতীয় লজ্জা’ এবং ‘মার্কিন করদাতাদের সঙ্গে বিপজ্জনক বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে অভিহিত করেছেন (Joe Biden)।

    অর্থ সাহায্যে উদ্বেগ (Joe Biden)

    জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (USAID) মাধ্যমে বিলি করা বৈদেশিক সাহায্য খরচ হয়েছে ওই খাতে। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে এক শুনানি হয়। শিরোনাম ছিল ‘আমেরিকা লাস্ট: কীভাবে বিদেশি সাহায্য সারা বিশ্বে মার্কিন স্বার্থকে দুর্বল করেছে’। ইউএসএআইডি কীভাবে করদাতাদের অর্থ খরচ করেছে, তা খতিয়ে দেখতেই আয়োজন করা হয়েছিল শুনানির। এই শুনানিতে প্রতিনিধি টিম বারচেট এবং মার্জোরি টেলর গ্রিন ইজরায়েলের ওপর হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় দেওয়া ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

    করদাতার অর্থ হামাসকে বাঁচিয়ে রেখেছে!

    বাইডেন প্রশাসনকে নিশানা করে বারচেট বলেন, “করদাতার অর্থ হামাসকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমাদের সরকার অন্ধভাবে কোটি কোটি ডলার সেই অঞ্চলে পাঠাচ্ছে, যা আদতে একটি জঙ্গি সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি অবমাননাকর ব্যাপার। এই প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এটা নিশ্চিত করতে যে আমাদের সাহায্য সেই লোকরাই অপব্যবহার করছে, যারা আমেরিকা ও ইজরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চায়।” এক্সপার্ট উইটনেস রোমান সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বলেন, “শিথিল তদারকি এবং জরুরি অনুমোদনের কারণে ইউএসএআইডি তহবিল গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এড়িয়ে গিয়েছে।”

    কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “‘জরুরি ব্যবহার’ বিধানের কারণে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এর ফলস্বরূপ, গাজার দিকে পাঠানো প্রায় ৯০ শতাংশ মার্কিন সাহায্য হামাস-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে চলে গিয়েছে। এটি অযৌক্তিক। সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির আগে পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কার্যত হামাসের টিকে থাকায় ইন্ধন জুগিয়েছে।” বারচেট বলেন, “বাইডেন প্রশাসন এখনও আফগানিস্তানে প্রতি সপ্তাহে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠাচ্ছে। এই অর্থের প্রধান উপভোক্তা তালিবান এবং আল কায়েদা।”

    তালিবানের কাছে নিলামে তোলা হয়

    এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন (Joe Biden), “প্রতি সপ্তাহে চার্টার জেটের মাধ্যমে আফগানিস্তানে করদাতাদের ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ পাঠানো হচ্ছে। এই নগদ অর্থ এরপর তালিবানের কাছে নিলামে তোলা হয়, যারা তাদের অংশ কেটে নেওয়ার পর বাকি অর্থ এনজিওগুলির মধ্যে বিলি করে। এই এনজিওগুলি পরে তালিবানকে ‘কর’ দিতে বাধ্য হয়, যা আদতে জঙ্গি শাসনব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে।” রোমানও বলেন, “আমাদের কাছে এমন প্রমাণও রয়েছে যেখানে মার্কিন সহায়তা পরোক্ষভাবে সোমালিয়ার আল-শাবাব, সুদানের হামজি নেটওয়ার্ক, হামাস, ইসলামিক জিহাদ, হিজবুল্লা, কাতাইব হিজবুল্লা এবং সিরিয়ার হায়াত তাহরির আল-শামকে সমর্থন করেছে।” তিনি বলেন, “ইউএসএইড কার্যত বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সংগঠনগুলোর জন্য একটি নগদ অর্থের পাইপলাইন হয়ে উঠেছে।” গ্রিনের অভিযোগের আঙুল আবার ইউক্রেনের দিকে।

    “আমরা একে দুর্নীতি বলি”

    তিনি জানান, জো বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন ইউএসএইড (USAID) তহবিল ব্যবহার করে তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনকে ইউক্রেনে দুর্নীতির তদন্ত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেন, “যখন জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তাঁর ছেলে হান্টার ইউক্রেনের একটি জ্বালানি কোম্পানি, বুরিসমার বোর্ডে ছিলেন, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় প্রসিকিউটর জেনারেল ভিক্টর শোকিন বুরিসমার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “তখন বাইডেন (Joe Biden) হুমকি দেন যে শোকিনকে বরখাস্ত না করলে ১ বিলিয়ন ডলার ইউএসএআইডি অনুদান আটকে দেওয়া হবে। এটা সব ভিডিওতে ধরা আছে।” সাক্ষী প্রিমোরাক বলেন, “আমরা একে দুর্নীতি বলি।”

    ইউএসএআইডির ভূমিকার নিন্দা

    ইউএসএআইডির ভূমিকার নিন্দা করে গ্রিন বলেন, “ইউএসএআইডি-প্রণোদিত শাসন পরিবর্তনের সবচেয়ে বিস্তৃত উদাহরণগুলোর একটি হল বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার জন্য সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করা।” তিনি বলেন, “আমেরিকাকে নিরাপদ করার পরিবর্তে ইউএসএআইডির অর্থ শেষ পর্যন্ত এমন কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে পৌঁছে যায়, যারা পরবর্তীকালে মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে চলে যায় (Joe Biden)।”
    রিপাবলিকান প্রতিনিধি এরিক বার্লিসন বলেন, “এটি আমেরিকান করদাতাদের প্রতি একটি লজ্জাজনক বিশ্বাসঘাতকতা। ইউএসএআইডি (USAID) সম্পূর্ণভাবে তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে এবং এর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “আমরা এটা কখনওই মেনে নেব না যে আমেরিকান নাগরিকরা যখন জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে সংগ্রাম করছেন, তখন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার চলে যাচ্ছে জঙ্গিদের অর্থায়নে।”

  • PM Modi: ইজরায়েলের মুখে মোদি-প্রশস্তি, কী বললেন তেল আভিভের রাষ্ট্রদূত?

    PM Modi: ইজরায়েলের মুখে মোদি-প্রশস্তি, কী বললেন তেল আভিভের রাষ্ট্রদূত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের মুখে মোদি-প্রশস্তি। ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত (Israel Ambassador) রেউভেন আজার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “গত বছরের ৭ অক্টোবর জঙ্গি সংগঠন হামাসের দ্বারা ইজরায়েলে জঙ্গি হামলার পরে তিনিই প্রথম ফোন করেছিলেন।” আইএএনএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আজার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি গত দেড় বছর ধরে ইজরায়েলের পাশে ছিলেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মোদির বন্ধুত্বকে অত্যন্ত মূল্য দেন। ভবিষ্যতে ভারত ও ইজরায়েল অনেক বিষয়ে এক সঙ্গে কাজ করবে।”

    মোদির বন্ধুত্ব আমাদের কাছে মূল্যবান (PM Modi)

    তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের সাফল্যের প্রতি ইজরায়েল গভীর প্রশংসার দৃষ্টিতে তাকায়। তাঁর বন্ধুত্ব আমাদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান। আমরা দেখেছি, ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর তিনিই প্রথম আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আমরা দেখেছি, কীভাবে তিনি গত দেড় বছর ধরে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা জানি যে, অনেক বিষয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা একরকম। আমরা একইভাবে বিভিন্ন বিষয়কে দেখি। আমাদের চ্যালেঞ্জও অনেকটা একরকম। তাই আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আসন্ন বছরগুলিতে আমরা একসঙ্গে আরও অনেক কিছু করতে সক্ষম হব।” তিনি ভারত ও ভারতের বাইরের নেতাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “তাঁরা যেন ইজরায়েলকে সাহায্য করেন। একটি শান্তিপূর্ণ ও হিংসামুক্ত বিশ্ব গঠনের প্রচেষ্টায় এই সাহায্যের প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা (Israel Ambassador) যে, যে কোনও শান্তিপ্রিয় নেতা বা দল, তারা যেখানেই থাকুন না কেন — ভারতে হোক বা ভারতের বাইরে — তাঁরা আমাদের সঙ্গে এই হিংসামুক্ত, উন্নত বিশ্ব গড়ার এই প্রচেষ্টায় যোগ দেবেন।”

    ট্রাম্প ও বাইডেনের তুলনা

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নবগঠিত ট্রাম্প সরকারের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “ইজরায়েলের পূর্ববর্তী ট্রাম্প শাসনের সঙ্গে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এ কথা বলা যায় ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যে আব্রাহাম চুক্তি স্বাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল (PM Modi) আমেরিকা।” ট্রাম্প ও বাইডেন প্রশাসনের মধ্যে পার্থক্য করতে গিয়ে আজার বলেন, “ইজরায়েলের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের কিছু মতবিরোধ ছিল। কারণ তারা রাফাহ অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু অস্ত্র ইজরায়েলকে দিতে অস্বীকার করেছিল।” তিনি বলেন, “আমাদের সব সময়ই যে কোনও আমেরিকান প্রশাসনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গেও ছিল। তবে হামাসের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করার সংগ্রামের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কিছু মতবিরোধ ছিল। বাইডেন প্রশাসন আমাদের রাফাহ অভিযান থেকে বিরত থাকতে বলেছিল এবং যুদ্ধের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় কিছু অস্ত্রও আটকে রেখেছিল (PM Modi)।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর আস্থা

    বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে আজার বলেন, “ইজরায়েল এই প্রশাসনের অধীনে কোনও সীমাবদ্ধতার মুখে পড়বে না। কারণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইজরায়েলকে (Israel Ambassador) আত্মরক্ষার প্রচেষ্টায় প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি ভারতের জন্য এফ-৩৫ ফাইটার জেট সরবরাহে ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রশংসাও করেন। বলেন, “উন্নত সামরিক প্রযুক্তি প্রতিপক্ষের ওপর কৌশলগত সুবিধা সৃষ্টি করতে গুরুত্বপূর্ণ।”

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামাসের বৈঠকে উদ্বেগ

    কিছুদিন আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বৈঠকে বসেছিলেন প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতারা। সেখানে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কয়েকজনও হাজির ছিল বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত আজার। তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত জঙ্গি সংগঠনগুলো নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করে এবং অনেক সময় তারা একে অপরকে সমর্থন করার উপায় খুঁজে পায়। এটি শুধু আমাদের অঞ্চল নয়, অনেক দেশের জন্যই ক্ষতিকারক।” এর পরেই তিনি বলেন, “উদাহরণস্বরূপ, মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মীরের এলাকায় হামাস নেতাদের একটি বৈঠক হয়েছিল। এটি দেখায়, এই জঙ্গি সংগঠনগুলো কীভাবে একে অপরকে অনুপ্রাণিত করছে এবং তারা স্পষ্টতই তাদের সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সহযোগিতা করছে, যা আমাদের এবং আপনাদের আতঙ্কিত করে।”

    ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত আল জাজিরা এবং বিবিসির মতো গণমাধ্যমকে চরমপন্থী ইসলামিদের হয়ে প্রচার চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের গণমাধ্যম অমুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে ন্যায়সঙ্গত করার মূল্যবোধ প্রচার করে সভ্য বিশ্বের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।”

    প্রসঙ্গত, ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ চলেছে প্রায় ১৫ মাস। মুসলিম জঙ্গি সংগঠন হামাস প্রথমে হামলা চালায় ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে। তার পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে তেল আভিভ(ইজরায়েলের রাজধানী)। সম্প্রতি স্বাক্ষরিত হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি (Israel Ambassador)। এমন আবহে ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূতের এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বই কি (PM Modi)!

  • Indian Army: সামরিক শক্তিতে বিশ্বে চতুর্থ ভারত! পাকিস্তান, বাংলাদেশের স্থান কত নম্বরে?

    Indian Army: সামরিক শক্তিতে বিশ্বে চতুর্থ ভারত! পাকিস্তান, বাংলাদেশের স্থান কত নম্বরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ। শুধু দেশের সুরক্ষাই নয়, অন্য দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং বিশ্বমঞ্চে নিজের প্রভাব বিস্তারেও সামরিক শক্তি অন্যতম বিবেচ্য বিষয়। এজন্যই বিশ্বের প্রতিটি দেশ তার সামরিক শক্তি প্রতিনিয়ত বাড়ানোর চেষ্টা করে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষণ করে প্রতি বছর একটি তালিকা প্রকাশ করে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ২০২৫ সালের রিপোর্টে বিশ্বের চতুর্থ শক্তিধর সামরিক বাহিনীর তালিকায় চার নম্বরে আছে ভারত (Indian Army)। দিল্লির থেকে বেশ কয়েক কদম পিছনে রয়েছে ইসলামাবাদ।

    প্রতিরক্ষায় জোর কেন্দ্রের

    সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের মাটিতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। ‘হাইপারসোনিক’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। এ ছাড়া অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তিতেও উন্নতি লক্ষ করা গিয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় শক্তি বৃদ্ধি করতে একের পর এক রণতরী এবং ডুবোজাহাজ নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি সবাইকে চমকে দিয়ে গত দু’বছরে পরমাণু অস্ত্রের সম্ভারও বাড়িয়েছে ভারত। চিন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা বাড়ানোর জন্য ভারত তার প্রতিরক্ষা বাজেট (৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বৃদ্ধি করেছে। ভারত তেজস যুদ্ধবিমান, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো দেশীয় অস্ত্র তৈরির উপর মনোযোগ দিয়েছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্সে যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার ইনডেক্স ০.০৭৪৪, রাশিয়ার ০.০৭৮৮, চিনের ০.০৭৮৮ এবং ভারতের ০.১১৮৪। এরপরের স্থানগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান, তুরস্ক এবং ইতালি রয়েছে।

    কয়েক ধাপ পিছনে পাকিস্তান

    আগেরবারও এই তালিকায় ভারত (Indian Army) চার নম্বরেই ছিল। শুধু ২০২৪ সালে নয়, ২০০৬ সাল থেকেই লাগাতার চতুর্থ স্থানে আছে ভারত। ২০০৫ সালে ভারত পঞ্চম স্থানে ছিল। আর সেই বছর যে দেশ চতুর্থ স্থানে ছিল, সেই পাকিস্তান ২০২৫ সালে ১২ নম্বরে নেমে গিয়েছে। গত বছর ছিল নয় নম্বরে। অন্যদিকে এবার সামরিক শক্তির নিরিখে বিশ্বে ৩৫ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। তালিকায় পাকিস্তানের পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কয়েকটি কারণের কথা বলেছেন বিশ্লেষকেরা। এর মধ্যে অন্যতম হল ইসলামাবাদের আর্থিক দুরবস্থা। প্রায় দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতের পশ্চিম পারের প্রতিবেশী। এ ছাড়া হাতিয়ারের ব্যাপারে অত্যধিক চিনা নির্ভরতা রয়েছে রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তাদের।

    এক নম্বরে আমেরিকা

    বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের নিরিখে অবশ্য এক নম্বর স্থানটি ধরে রেখেছে আমেরিকা। ২০০৫ সাল থেকে চলা ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারে’র তালিকায় এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ধারেকাছে নেই অন্য কোনও দেশ। পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৫-এ ওয়াশিংটনের প্রাপ্ত পয়েন্ট ০.০৭৪৪। সমীক্ষকদের দাবি, আমেরিকার হাতে রয়েছে ২১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫০০ সৈনিকের এক বিশাল বাহিনী। দেশের বাইরে অন্তত ১০০টি সেনাঘাঁটি রয়েছে ওয়াশিংটনের। সেখান থেকে বিশ্বের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ শানানোর ক্ষমতা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে আটলান্টিকের পারের এই ‘সুপার পাওয়ার’।

    ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের সামরিক শক্তি

    স্থলভাগে অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারত: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের হাতে ৪,২০১টি ট্যাঙ্ক আছে। গাড়ি আছে ১,৪৮,৫৯৪টি। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা হল ১০০। আর ২৬৪টি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএসআরএস) আছে ভারতের হাতে।

    পাকিস্তান: ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের ট্যাঙ্কের সংখ্যা হল ২,৬২৭। ১৭,৫১৬টি গাড়ি আছে। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি ৬৬২টি রয়েছে। মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেমের (এমএসআরএস) সংখ্যা হল ৬০০।

    বাংলাদেশ: বাংলাদেশের কাছে ৩২০টি ট্যাঙ্ক আছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ১১,৫৮৪টি গাড়ি আছে। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি আছে ৫৬টি। রকেট আর্টিলারি ১১০টি রয়েছ।

    আকাশপথে অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারত: মোট এয়ারক্রাফটের সংখ্যা হল ২,২২৯। যুদ্ধবিমান আছে ৫১৩টি। আবার ৮৯৯টি হেলিকপ্টার আছে। আবার অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা হল ৮০।

    পাকিস্তান: পাকিস্তানের হাতে মোট ১,৩৯৯টি এয়ারক্রাফট আছে। যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হল ৩২৮। হেলিকপ্টার আছে ৩৭৩টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা হল ৫৭।

    বাংলাদেশ: বাংলাদেশের হাতে ২১৪টি এয়ারক্রাফট আছে। যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হল ৪২। হেলিকপ্টার মাত্র ৬৫টি আছে। কোনও অ্যাটাক হেলিকপ্টার নেই।

    জলপথে অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারত: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের হাতে ২৯৩টি ‘অ্যাসেট’ আছে। এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের সংখ্যা হল দুই। ডেস্ট্রয়ার আছে ১৩টি। ১৪টি ফ্রিগেট আছে। সাবমেরিন আছে ১৮টি। প্যাট্রোলিং ভেসেলের সংখ্যা হল ১৩৫।

    পাকিস্তান: পাকিস্তানর ‘অ্যাসেট’-র সংখ্যা হল ১২১টি। একটিও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং ডেস্ট্রয়ার নেই পাকিস্তানের কাছে। ন’টি ফ্রিগেট, আটটি সাবমেরিন এবং ৬৯টি প্যাট্রোলিং ভেসেল আছে পাকিস্তানের হাতে।

    বাংলাদেশ: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের হাতে ১১৮টি ‘অ্যাসেট’ আছে। ফ্রিগেটের সংখ্যা সাত। সাবমেরিনের সংখ্যা দুটি। ৬১টি প্যাট্রোলিং ভেসেল আছে। আর পাকিস্তানের মতো একটিও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং ডেস্ট্রয়ার নেই বাংলাদেশের হাতে।

  • Trump Modi: “ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির কেমিস্ট্রি খুব ভালো”, বললেন জয়শঙ্কর

    Trump Modi: “ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির কেমিস্ট্রি খুব ভালো”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির কেমিস্ট্রি খুব ভালো।” শনিবার কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Trump Modi) আমেরিকা সফর খুব ভালো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। চলতি মাসেই দুদিনের সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (Trump Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর এই সফর সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, “আমি এটা আমার পুরো জীবন ধরে করে আসছি, তাই আমার কিছু রেফারেন্স পয়েন্ট আছে এবং তুলনামূলক মূল্যায়নের জন্য কিছু অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আমি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সঙ্গে বলব, আমার মনে হয়েছে, সফরটি খুব ভালো হয়েছে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “লোকেরা জানে যে প্রধানমন্ত্রী মোদি একজন খুব শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী এবং তিনি সেই জাতীয়তাবোধকে বিকিরণ করেন।”

    ট্রাম্প-প্রশস্তি

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কে তিনি বলেন, “ট্রাম্প একজন আমেরিকান জাতীয়তাবাদী। আমার মনে হয় অনেকভাবে জাতীয়তাবাদীরা একে অপরকে সম্মান করেন। তাঁরা খুব স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি রাখেন। তাঁরা তাঁদের দেশের জন্য কাজ করেন, ট্রাম্প স্বীকার করেন যে মোদি ভারতের জন্য কাজ করছেন, মোদিও স্বীকার করেন যে ট্রাম্প আমেরিকার জন্য কাজ করছেন (Trump Modi)।” জয়শঙ্কর বলেন, “আমি অনুভব করেছিলাম… রসায়নটি (মোদি-ট্রাম্পের) ভালো ছিল। আবারও, ট্রাম্প কিছুটা অস্বাভাবিক, বিশ্বে অনেক অন্যান্য নেতা রয়েছেন, যাঁদের সঙ্গে তাঁর ইতিবাচক ইতিহাস নেই। কিন্তু মোদিজির ক্ষেত্রে বিষয়টি তা নয়। তিনি (ট্রাম্প) ভারতে দুর্দান্ত একটি সফর করেছিলেন, যা তিনি মনে রেখেছিলেন।”

    জয়শঙ্কর এদিন ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের ওপর একটি ছবির বইয়ের উল্লেখ করেন। বলেন, “তাঁকে জানানো হয়েছিল যে ট্রাম্প নিজেই তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ছবি বেছে নিয়েছিলেন। বেশিরভাগ ছবিই ছিল ভারত সম্পর্কে।এতে ২০২০ সালে তাঁর সফরের সময় আমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘নমস্তে ট্রাম্প’ ইভেন্টের একটি ছবিও ছিল।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মনে হয় আমেরিকার স্বার্থ সম্পর্কে একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তিনি কী চান এবং আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে কী চান। আমাদেরও একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আমরাও আমেরিকার সঙ্গে সুযোগ এবং চাহিদা নিয়ে কথা বলছি (S Jaishankar)। তাই আমি মনে করি, এ নিয়ে খুব খোলামেলা আলোচনা হয়েছে এবং আমি বলতেই পারি, এটি খুব ভালো মনোভাব, আন্তরিকতা এবং সৌহার্দ্যের সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে (Trump Modi)।”

  • PM Modi: বিশ্বের বহু সমস্যার সমাধান করতে পারে বুদ্ধের দর্শন, বললেন মোদি

    PM Modi: বিশ্বের বহু সমস্যার সমাধান করতে পারে বুদ্ধের দর্শন, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বুদ্ধের মধ্যম পথ অনুসরণের শিক্ষা এবং চরমপন্থা পরিহার করার দর্শন বিশ্বব্যাপী বহু সমস্যার সমাধান করতে পারে।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “বিশ্বের অনেক সংঘাতের মূল কারণ হল চরমপন্থী অবস্থান গ্রহণ করা। এর পরিবর্তে উচিত একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা।”

    বুদ্ধের শরণ (Samvad Programme)

    বর্তমানে দুদিনের (Samvad Programme) সফরে আমেরিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকেই থাইল্যান্ডে আয়োজিত সংঘাত পরিহারের লক্ষ্যে বৈশ্বিক হিন্দু-বৌদ্ধ উদ্যোগ ‘সংবাদ’-এর চতুর্থ সংস্করণের ভিডিও ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি ফের শরণ নিলেন বুদ্ধের। তিনি বলেন, “এশিয়ার ধম্ম-ভিত্তিক ঐতিহ্য পরিবেশগত সংকটের সমাধান দিতে পারে যা বর্তমানে বিশ্বকে বিপর্যস্ত করছে। হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, শিন্তোবাদ এবং অন্যান্য এশীয় ঐতিহ্য মানুষকে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বসবাস করতে শেখায়। এগুলি নিজেকে প্রকৃতি থেকে আলাদা কিছু মনে করে না, বরং প্রকৃতিরই অংশ হিসেবে দেখে।”

    থাইল্যান্ড প্রশস্তি

    থাইল্যান্ডের আতিথেয়তা, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রশংসা করে মোদি (PM Modi) বলেন, “এটি এশিয়ার যৌথ দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের এক সুন্দর উদাহরণ।” ভারত ও থাইল্যান্ডের দুহাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যমান গভীর সাংস্কৃতিক সম্পর্কের কথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রামায়ণ ও রামাকিয়েন উভয় দেশকে সংযুক্ত করে এবং ভগবান বুদ্ধের প্রতি তাদের সম্মিলিত শ্রদ্ধা তাদের একত্রিত করে।”

    বুদ্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংযমের নীতি আজও প্রাসঙ্গিক, যা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দিকনির্দেশনা দেয়।” তিনি দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী খাতে প্রাণবন্ত অংশীদারিত্বের কথার উল্লেখ করেন। বলেন, “ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি ও থাইল্যান্ডের ‘অ্যাক্ট ওয়েস্ট’ নীতি পরস্পরের পরিপূরক।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংঘাতের আর একটি কারণ হল অন্যদের মৌলিকভাবে ভিন্ন হিসেবে দেখা। এই পার্থক্য দূরত্ব সৃষ্টি করে। আর এই দূরত্ব বিভেদের রূপ নিতে পারে। এর প্রতিকারে, তিনি ধম্মপদ থেকে একটি শ্লোক উদ্ধৃত করেন, যেখানে বলা হয়েছে যে সবাই যন্ত্রণা ও মৃত্যুকে ভয় (Samvad Programme) পায়।” তিনি বলেন, “ভগবান বুদ্ধের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ভারত সরকারের নীতিগুলির প্রতিফলনে দেখা যায় (PM Modi)।”

LinkedIn
Share