Tag: America

America

  • Asim Munir: মার্কিন-ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে ফের পরমাণু বোমার হুমকি মুনিরের! নেপথ্যে ট্রাম্পের ইন্ধন?

    Asim Munir: মার্কিন-ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে ফের পরমাণু বোমার হুমকি মুনিরের! নেপথ্যে ট্রাম্পের ইন্ধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন-ভূম থেকে পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir) পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলেন ভারতকে। এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মার্কিন ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে সরাসরি হুমকি কী করে দিচ্ছেন মুনির? ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এর নেপথ্যে নিশ্চয়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইন্ধন রয়েছে, নয়তো, এত দুঃসাহস মুনিরের হত না।

    ঠিক কী বলেছেন মুনির?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাম্পায় পাকিস্তানের কনসাল আদনান আসাদ আয়োজিত ব্ল্যাক-টাই ডিনারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুনির বলেন, “আমরা একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি আমরা মনে করি আমরা ডুবে যাচ্ছি, তাহলে আমরা বিশ্বের অর্ধেককে আমাদের সঙ্গে নিয়ে ডুবব।” তিনি আরও বলেন, “আমরা শুরু করব ভারতের পূর্ব দিক থেকে, যেখানে তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ রয়েছে, তারপর পশ্চিম দিকে এগোব (Asim Munir)।” সিন্ধু জল চুক্তির প্রসঙ্গে মুনির বলেন, “এই চুক্তি স্থগিত করে ভারত ২৫ কোটি মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। আমরা অপেক্ষা করব ভারতের বাঁধ নির্মাণ করা পর্যন্ত। যখন তারা এটা করবে তখন ১০টি মিসাইল দিয়ে তা ধ্বংস করে দেব।” তিনি বলেন, “সিন্ধু নদ ভারতীয়দের পারিবারিক সম্পত্তি নয়। আমাদের মিসাইলের কোনও অভাব নেই (Asim Munir)।”

    ভারত-মার্কিন বাণিজ্য জটকে হাতিয়ার

    এর পরেই ভারত ও পাকিস্তান প্রসঙ্গে (Inflammatory Nuke Speech) মুনির একটি মার্সিডিজ গাড়ি এবং নুড়ি-পাথর ভর্তি ট্রাকের উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি বোঝাতে আমি একটি সরল উদাহরণ ব্যবহার করছি। ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, যা হাইওয়েতে ছুটছে, আর আমরা নুড়ি-পাথরে ভর্তি একটি ডাম্প ট্রাক। যদি ট্রাকটি গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়, তবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কে?”  ভারত-আমেরিকার মধ্যে বর্তমান বাণিজ্যিক উত্তেজনার প্রসঙ্গও তোলেন মুনির। ট্রাম্পের অধীনে ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির বর্তমান বাণিজ্য উত্তেজনাকে নিশানা করে তাঁর কটাক্ষ, পাকিস্তানের উচিত প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় মাস্টারক্লাস অফার করা। মুনির বলেন, “আমাদের সাফল্যের আসল কারণ হল আমরা কৃপণ নই। কেউ ভালো কাজ করলে আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁকে স্বীকৃতি দিই। এই কারণেই আমরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছি।”

    মুনিরের বক্তব্য ওড়ালেন বিশেষজ্ঞরা

    মুনিরের উসকানিমূলক ভাষণে কী বললেন সেটা নয়, বরং কোথায় দাঁড়িয়ে মুনির কথাগুলি বললেন, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। মুনিরের এই বক্তব্যকে আসলে আমেরিকার তরফে একটি পরোক্ষ হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রাক্তন রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র’)-এর প্রধান বিক্রম সুদ। তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানকে বোঝাতে মুনির যে উদাহরণ দিয়েছেন – ভারতকে মার্সিডিজ-বেঞ্জ এবং পাকিস্তানকে কাঁকরবাহী ট্রাকের সঙ্গে তুলনা—তা যথার্থ।  এক্স হ্যান্ডেলে বিক্রম বলেন, এক অর্থে, মার্কিন ভূমিতে মুনিরের ঘোরাঘুরি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরোক্ষ হুমকি। এটিকেই সেইভাবে দেখা উচিত। মার্সিডিজ আর ডাম্প ট্রাকের উদাহরণটি সঠিক—শুধু পার্থক্য হল, ডাম্প ট্রাকে এক কণা নুড়িও নেই (Inflammatory Nuke Speech)।” মুনিরের বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল পিকে সেহগলও। তিনি বলেন, “পারমাণবিক অস্ত্র হল প্রতিরোধের অস্ত্র এবং সেগুলি কখনওই ব্যবহার করা যাবে না।”

    কেন আমেরিকার ভূমিকে বাছলেন মুনির?

    প্রশ্ন হল, কেন মুনির ভারতকে হুমকি দিলেন মার্কিন ভূখণ্ড থেকে? মুনিরের আমেরিকাকে তাঁর উসকানিমূলক মন্তব্যের মঞ্চ হিসেবে বেছে নেওয়ার পরিকল্পনার নেপথ্য কারণ হল ট্রাম্পের আমলে পাক-মার্কিন সম্পর্কের সাম্প্রতিক উন্নতি। তাই আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে মুনিরের (Asim Munir) এই হুমকি মোটেই বিস্ময়ের নয়। আয়ুব থেকে জিয়া এবং মোশাররফ থেকে মুনির—প্রত্যেকেই ভেবেছিলেন আমেরিকানরাই তাঁদের প্রকৃত বন্ধু। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁরা হচ্ছেন আদতে দাবার বোড়ে। তাই মুনিরের পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি দেওয়ার মূল কারণ হল ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুরে’ পাকিস্তানের পারমাণবিক ভয় দেখানোর কৌশল ভেঙে দেওয়া।

    উগ্রপন্থীদের আশ্বস্ত করার প্রয়াস মাত্র!

    মুনিরের হুমকি ছিল ভারতের সাহসী সামরিক অভিযানের জবাব, যেখানে ‘অপারেশন সিন্দুরে’ পাক ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি শিবিরগুলিকে টার্গেট করা হয়েছিল। এমনকি প্রতীকী বার্তা হিসেবে কাইরানা পাহাড়েও আঘাত হানা হয়, যা দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের (Asim Munir) ভান্ডার হিসেবে পরিচিত।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুনিরের এই সব মন্তব্য পাকিস্তানের উগ্রপন্থীদের আশ্বস্ত করার উদ্দেশ্যেও করা হয়েছে, বিশেষত যখন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে একের পর প্রশ্নবাণে বিদ্ধ মুনিরের নেতৃত্ব।

    প্রসঙ্গত, এর আগে গত জুন মাসে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে আমেরিকায় গিয়েছিলেন মুনির। সেবার ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজও সেরেছিলেন তিনি। সেই প্রথম কোনও সরকারি আধিকারিক ছাড়াই পাক সেনাপ্রধানকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন কোনও প্রেসিডেন্ট। সেই সময় ভারত-পাক (Inflammatory Nuke Speech) উত্তেজনা প্রশমনেও মুনিরের ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন ট্রাম্প। তার পরেই পরমাণু যুদ্ধ রোখার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব দেন পাক সেনাপ্রধান (Asim Munir)।

  • John Bolton: ‘‘বিরাট ভুল’’! ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপানোয় নিজের দেশেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    John Bolton: ‘‘বিরাট ভুল’’! ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপানোয় নিজের দেশেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দেশেই কড়া সমালোচনার মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে দেশের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন কূটনীতিকদের কয়েক দশকের প্রচেষ্টা নষ্ট করেছেন – যার লক্ষ্য ছিল ভারতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি আনা এবং রাশিয়া ও চিনের খপ্পর থেকে দূরে রাখা (Tariffs)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন (John Bolton), “ট্রাম্প রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছেন, অথচ চিনের প্রতি তুলনামূলকভাবে নমনীয়।” বোল্টন বলেন, “ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ একটি বিরাট ভুল হতে পারে। কারণ এতে ভারত রাশিয়া ও চিনের আরও কাছাকাছি চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।” তিনি বলেন, “যদিও এ বছরের শুরুতে ট্রাম্প চিনের সঙ্গে সামান্য বাণিজ্যিক বিরোধে জড়িয়েছিলেন, তিনি বেজিংয়ের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির আশায় সেটিকে আর বাড়াননি। উল্টোদিকে, ভারতকে ৫০ শতাংশেরও বেশি শুল্কের মুখোমুখি হতে হয়েছে, যার মধ্যে ছিল রাশিয়া থেকে তেল আমদানির জন্য শাস্তিমূলক ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কও।

    কী বলছেন বোল্টন (John Bolton)

    বোল্টনের মতে, রাশিয়াকে শিক্ষা দিতে গিয়ে ভারতের ওপর আরোপিত দ্বিতীয় পর্যায়ের শুল্কই বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই সবচেয়ে খারাপ ফল তৈরি করেছে। ভারত এ বিষয়ে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এর একটা কারণ হল তারা দেখেছে চিনের বিরুদ্ধে একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর সতর্কবার্তা, এই পরিস্থিতি ভারত, রাশিয়া ও চিনকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে সমন্বয় সাধনে উৎসাহিত করতে পারে। মার্কিন বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার পাডিলা বলেন, “এই শুল্ক ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একজন অংশীদার হিসেবে কতটা নির্ভরযোগ্য, সে বিষয়ে ভারতের সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারে।”

    বোল্টনের যুক্তি

    এর আগে দ্য হিল নামে এক পত্রিকায় প্রকাশিত (John Bolton) এক মতামত নিবন্ধে বোল্টন যুক্তি দিয়েছিলেন, বেজিংয়ের প্রতি ট্রাম্পের নরম অবস্থান চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করার প্রচেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থকে বিসর্জন দিতে পারে। তিনি এও বলেছিলেন, “চিনের ক্ষেত্রে ভারতের তুলনায় শুল্কে বেশি সুবিধা দেওয়া বিশাল একটি ভুল হতে পারে (Tariffs)। প্রসঙ্গত, ভারত রাশিয়ান তেল আমদানি বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ককে অন্যায় ও অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে। রাশিয়া ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবৈধ বাণিজ্যিক চাপ প্রয়োগের অভিযোগ করেছে। বোল্টনের আশঙ্কা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর আসন্ন ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ভারত-শুল্ক বিরোধকে নিজের স্বার্থে কাজে লাগাতে পারেন।

    ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর প্রাক্তন মার্কিন সেনেটের

    এদিকে, ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সেনেটের তথা ডেপুটি সেক্রেটারি কার্ট ক্যাম্পবেল। তিনি সমর্থন করেছেন ভারতকে। কড়া সমালোচনা করেছেন ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের। ক্যাম্পবেল বলেন, “ট্রাম্পের এই অবস্থান ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে।” তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেন কখনওই মার্কিন নেতার সামনে মাথা নত না করেন (Tariffs)।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ক্যাম্পবেল বলেন, শুল্ক ঘোষণার পর থেকে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে অবনতি হয়েছে। তিনি বলেন, “২১ শতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল ভারতের সঙ্গে। কিন্তু এখন তা সংকটে। যেভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারত ও প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্পর্কে কথা বলেছেন, তা ভারত সরকারের জন্য পরিস্থিতিকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলেছে।” ক্যাম্পবেল জোর দিয়ে বলেন, মোদি যেন কোনও অবস্থায়ই ট্রাম্পের কাছে নতিস্বীকার না করেন (John Bolton)।

    ভারতের ওপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক

    ৬ অগাস্ট ট্রাম্প একটি এক্সিকিউটিভ আদেশে স্বাক্ষর করেন, যার মাধ্যমে ভারতীয় আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়, যা আগে থেকেই কার্যকর থাকা ২৫ শতাংশ করের সঙ্গে যুক্ত হবে। প্রশাসন জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যই এই নতুন পদক্ষেপের কারণ, যা ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। ভারত ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে অশ্রদ্ধাশীল ও অযৌক্তিক পদক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সম্ভাব্য সব উপায় অনুসন্ধানের অঙ্গীকারও করে। ঘোষণার পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। একে ওয়াশিংটনের প্রতি সরাসরি প্রতিক্রিয়া হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারত সফর করবেন পুতিন (John Bolton)।

    এখন দেখার কোথাকার জল কতদূর গড়ায়।

  • PM Modi: লক্ষ্য মার্কিন খবরদারি রোখা, ফোনে কথা মোদি-পুতিনের, কী ‘গপ্পো’ হল দুই ‘হুজুরে’র?

    PM Modi: লক্ষ্য মার্কিন খবরদারি রোখা, ফোনে কথা মোদি-পুতিনের, কী ‘গপ্পো’ হল দুই ‘হুজুরে’র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধুত্বের মুখোশধারীদের (Trumps Tariff Threats) থেকে দূরত্ব তৈরি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)! বেছে নিলেন প্রকৃত বন্ধুও। ভারত-মার্কিন শুল্ক নিয়ে চাপানউতোরের আবহেই শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই রাষ্ট্রনেতার কী কথোপকথন হল, তাও শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    পুতিনকে নিজের ‘বন্ধু’ সম্বোধন (Trumps Tariff Threats)

    পুতিনকে নিজের ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, তাঁরা দুজনেই ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত করার ওপর জোর দিয়েছেন। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারি বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেছেন। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির বিষয়ে পুতিন তাঁকে অবগত করেছেন বলেও জানিয়েছেন মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “বন্ধু পুতিনের সঙ্গে খুব ভালো ও পুঙ্খানুপুঙ্খ কথোপকথন হয়েছে। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা জানানোর জন্য ওঁকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। ভারত ও রাশিয়ার বিশেষ কৌশলগত অংশীদারি বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা করেছি। চলতি বছরে পুতিনকে এ দেশে স্বাগত জানানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছি।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সূত্রের খবর, তার পরেই মোদির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের। এর পরেই প্রকাশ্যে এসেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নয়া বন্ধুর কথা।

    চড়া শুল্ক আরোপ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর দু’দফায় সব মিলিয়ে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, আরোপ করা হয়েছে জরিমানাও। তেল কেনা বন্ধ না করলে আরও শুল্ক আরোপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অথচ, ট্রাম্পেরই আমন্ত্রণে আমেরিকা গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্পও। মোদিকে সম্মান জানাতে মার্কিন মুলুকে আয়োজন করেছিলেন ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠান। তখনও অটুট দুই ‘হুজুরে’র বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্বেই চিড় ধরে দিন কয়েক আগে। ভারতের ওপর প্রথমেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। তার পরেও ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে চলায় ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রসিডেন্ট। ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এহেন আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মোদি পরোক্ষে বার্তা দিলেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের (Trumps Tariff Threats)। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সার্বভৌম দেশগুলির অবশ্যই তাদের বাণিজ্য ও আর্থিক সহযোগী নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে (PM Modi)।

    ট্রাম্পের বক্তব্য

    ভারতীয় পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের চাপানো শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ২৭ অগাস্ট থেকে। ট্রাম্পের বক্তব্য, ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থা রাশিয়া থেকে তেল কিনে খোলা বাজারে বিক্রি করে মুনাফা লুটছে এবং রাশিয়াকে যুদ্ধে সাহায্য করে চলেছে। তাই এই শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা। তার পরেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বাধীন ভারতের পুরানো বন্ধু, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর আমলে সূত্রপাত হয়েছিল যে বন্ধুত্বের।

    কী কারণে ফের ভারত-রাশিয়া কাছাকাছি

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আরও একটি কারণে রাশিয়া দাঁড়িয়েছে ভারতের পাশে। সেটি হল তামাম বিশ্বের ওপর মার্কিন খবরদারি রোখা। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে চলে এসেছে ভারত। জাপানের ঠিক পরেই। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, অচিরেই ভারত টপকে যাবে জাপানকেও (Trumps Tariff Threats)। তাই আমেরিকাকে থোড়াই কেয়ার করে ভারত। সেই কারণেই যেদিন দ্বিতীয় দফায় ভারতের ওপর ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং আরও শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, সেদিনই সন্ধ্যায় মস্কোয় পৌঁছে যান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথাও হয় তাঁর। তার পরপরই পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)।

    ভারতের সাফ কথা

    ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করে বসে রাশিয়া। মস্কোর এই আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাশিয়ার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পশ্চিমী বিশ্ব। তার জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে মার খায় রাশিয়ার ব্যবসা। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে (Trumps Tariff Threats) সস্তায় অপরিশোধিত তেল বিক্রি করতে শুরু করে রাশিয়া। সেই সুযোগটাই লুফে নেয় নরেন্দ্র মোদির ভারত। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে রাশিয়া থেকে কয়েক গুণ বেশি তেল কিনতে শুরু করে নয়াদিল্লি। এতেই বেজায় চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে মিস্টার প্রেসিডেন্টের শুল্ক হুমকির প্রতিক্রিয়া বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “জাতীয় স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক বাজারদরের কথা মাথায় রেখেই বাণিজ্যনীতি নির্ধারণ করে থাকে ভারত। রাশিয়া সস্তায় তেল বিক্রি করছে বলেই কিনছে ভারত।”

    ‘মিস্টার প্রেসিডেন্টে’র (Trumps Tariff Threats) মুখে কি ঝামা ঘষে দিলেন ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ (PM Modi)!

  • PM Modi: “ভারত কখনওই কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না,” ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর সাফ জানালেন মোদি

    PM Modi: “ভারত কখনওই কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না,” ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর সাফ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কৃষকদের স্বার্থ আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। ভারত কখনওই তার কৃষক, পশুপালক ও মৎস্যজীবীদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না।”  পর পর দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করার পর বৃহস্পতিবারই এমন প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দিল্লিতে এমএস স্বামীনাথন জন্মশতবার্ষিকী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদির সাফ কথা (PM Modi)

    সেখানেই তিনি বলেন, “ভারত কখনওই তার কৃষক, পশুপালক এবং মৎস্যজীবী ভাই-বোনদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি যে, এর জন্য আমাকে অনেক বড় মূল্য চোকাতে হতে পারে, কিন্তু আমি তার জন্য প্রস্তুত। ভারত দৃঢ়ভাবে তার কৃষকদের পাশে আছে, এবং তাদের কল্যাণের জন্য যা কিছুই করতে হয়, আমি তা-ই করতে প্রস্তুত।” উল্লেখ্য, দেশের কৃষিক্ষেত্রে কার্যত বিপ্লব ঘটিয়েছিল সবুজ বিপ্লব। এই বিপ্লবের স্থপতি ছিলেন কৃষিবিজ্ঞানী স্বামীনাথন। তাঁর জনশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গিয়ে কৃষকদের স্বার্থরক্ষার কথা বলে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দেশের কৃষক সমাজকেও বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যটি এসেছে এমন একটা সময়ে যখন ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখায় ভারতের ওপর এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ভারত একে অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত বলে অভিহিত করেছে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানিকেই টার্গেট করেছে। যদিও এই বিষয়ে নয়াদিল্লি (PM Modi) তার অবস্থান স্পষ্টভাবেই ব্যাখ্যা করে দিয়েছে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “আমাদের আমদানি বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল এবং এর প্রধান উদ্দেশ্য হল ১৪০ কোটিরও বেশি ভারতীয় নাগরিকের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।” আমেরিকার এই পদক্ষেপকে গভীরভাবে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, অনেক দেশই তাদের জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে এখনও রাশিয়া থেকে তেল আমদানি চালিয়ে যাচ্ছে। কেবলমাত্র ভারতকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের জন্য নিশানা করাকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে ভারত সরকার জানিয়েছে যে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও আমার সরকার গ্রামীণ জনগণের স্বার্থ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ।”

    বাধার প্রাচীর কেবল তেল নয়, কৃষিও

    যদিও রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়টি ভারত–মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তবুও বাজারে প্রবেশাধিকারের চাহিদা, ভর্তুকি কাঠামো এবং খাদ্য নিরাপত্তার অগ্রাধিকারের মৌলিক পার্থক্যের কারণে কৃষিও দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনায় একটি বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে (PM Modi)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য ভারতীয় বাজারে আরও বড় প্রবেশাধিকার চায়। অথচ ভারত চায় তার অভ্যন্তরীণ কৃষি খাতকে সুরক্ষা দিতে। এটি একটি বিশাল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করে এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হয়।জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) ফসল, স্বাস্থ্য ও উদ্ভিদ স্বাস্থ্যবিধি মানদণ্ড এবং স্থানীয় জীবিকার সম্ভাব্য বিঘ্ন নিয়েও উদ্বেগে রয়েছে আমেরিকা ও ভারত দুই দেশই। এটা আলোচনাকে আরও জটিল করে তোলে। ফলে কৃষি ক্ষেত্রটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনার সবচেয়ে সংবেদনশীল ও বিতর্কিত অংশগুলির একটি হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। তবে কোনওরকম ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ যাতে না থাকে, তাই ভারত সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কৃষকদের স্বার্থই সর্বোচ্চ, এবং ভারত কোনও চাপের কাছেই নত হবে না (PM Modi)।

    বাণিজ্যচুক্তি আপাতত বিশ বাঁও জলে

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত বিশ বাঁও জলে। এখনও পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে পাঁচ দফায়। আরও আলোচনা হওয়ার কথা। তবে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগে একটি অন্তবর্তী সমঝোতা সেরে নিতে চাইছে দুই দেশ। চলতি মাসেই মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের ভারতে আসার কথা। কেন্দ্রের একটি সূত্রের খবর, আমেরিকা চায় ভারত তাদের জন্য পুরোপুরি খুলে দিক কৃষিপণ্য, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার। এতেই আপত্তি জানিয়েছে ভারত। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আমেরিকার সুবিধা হয়, এমন একপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে রাজি নয় নরেন্দ্র মোদির দেশ (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় বুধবারই ভারতীয় পণ্যের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। তার ফলে ২৭ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় কোনও পণ্য রফতানি করতে হলে সব মিলিয়ে ভারতকে দিতে হবে ৫০ শতাংশ শুল্ক। পরে ট্রাম্প বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা হলে দেশগুলির ওপর আরও অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে (PM Modi)।”

  • World War 3: পুতিন-ট্রাম্পের অস্ত্র মোতায়েনের জেরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ, দুয়ারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

    World War 3: পুতিন-ট্রাম্পের অস্ত্র মোতায়েনের জেরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ, দুয়ারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার উপকূলের কাছে পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পরেই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। জানা গিয়েছে, রাশিয়া ইউরোপের কাছাকাছি (World War 3) চারটি পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে। দুই উন্নত দেশের এই অস্ত্রের ঝনঝনানিতে বিশ্বের ঈশান কোণে ঘনাচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মেঘ। এই বিমানগুলি অতীতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে। পশ্চিমি মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে এগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা রয়েছে।

    কৌশলগত বোমারু বিমানগুলির অবস্থান বদল (World War 3)

    ট্রাম্পের এই নির্দেশের আগে রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দিমিত্রি মেদভেদেভ একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। এর পরপরই রাশিয়া দ্রুত তাদের কৌশলগত বোমারু বিমানগুলির অবস্থান বদলে ফেলে। ট্রাম্প সম্প্রতি বলেন, “মার্কিন সাবমেরিনগুলি এখন সেখানেই রয়েছে, যেখানে থাকা দরকার।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মস্কোর প্রতি একটি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি। উল্লেখ্য, রুশ বোমারু বিমানগুলি আর্কটিক অঞ্চলের মুরমানস্ক এলাকার ওলেনিয়া এয়ারবেসে মোতায়েন করা হয়েছিল। ১ জুন ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ার পর এবার সেগুলিকে ফের সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কিছু বিমান সারাতভ অঞ্চল থেকেও সরানো হয়েছে। কারণ রাশিয়ান সামরিক ভবনে ইউক্রেনীয় হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই ব্যবস্থা।

    রাশিয়ার পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীর অংশ

    এই বোমারু বিমানগুলি রাশিয়ার পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীর অংশ। তবে ইউক্রেনে বোমাবর্ষণ মিশনেও ব্যবহার করা হয়েছে এগুলি (World War 3)।এদিকে, ইউক্রেন একটি বড় সামরিক সাফল্যের দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, তারা একটি রুশ জেট ফাইটার গুলি করে নামিয়েছে এবং রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়ায় চালানো এক হামলায় চারটি সামরিক বিমানের ক্ষতি করেছে। এই হামলাটি ঘটেছে মাত্র এক দিন আগেই।

    প্রসঙ্গত, মেদভেদেভ, যিনি বর্তমানে রাশিয়ান ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এর আগে ট্রাম্পকে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সতর্ক করেছিলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছিলেন, “রাশিয়া ইজরায়েল বা ইরান নয়, এবং সতর্ক করেন যে ট্রাম্পের প্রতিটি হুমকি বিশ্বকে একটি (Putin) পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে আরও কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।” এই সতর্কতার কিছুক্ষণ পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। যা উত্তেজনার পারদ আরও চড়িয়ে দিয়েছে (World War 3)।

  • Ajit Doval: রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই মস্কোয় ডোভাল

    Ajit Doval: রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই মস্কোয় ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জ্বালানি কেনা নিয়ে ভারতকে ফের একবার শুল্কবৃদ্ধির হুঁশিয়ারি (Tariff Threat) দিয়েছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের ওপর আরও শুল্ক বৃদ্ধি করা হবে।” এর আগে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। পরে তিনি যে শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তার পরিমাণ কত, তা বলেননি। ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ায় পৌঁছে গেলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। তবে ঠিক কী কারণে তিনি তড়িঘড়ি করে মস্কোয় গেলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

    রাশিয়ায় পৌঁছে গেলেন ডোভাল (Ajit Doval)

    মঙ্গলবার সকালেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। আর এদিনই রাতে রাশিয়ায় পৌঁছে গেলেন ডোভাল। সূত্রের খবর, রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যেই রাশিয়া গিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। চলতি সফরে ডোভাল রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবেন রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কর্তাদের সঙ্গে। বৈঠকে আলোচনা হতে পারে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, সন্ত্রাসবাদ দমনের মতো বিষয়েও। এ মাসেরই শেষের দিকে রাশিয়ায় যাওয়ার কথা রয়েছে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরও। সংবাদ সংস্থা ‘তাস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জয়শঙ্করের এই রাশিয়া সফর পূর্বনির্ধারিত সূচির অংশ। ফোকাস থাকবে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনাও আলোচনার বিষয় হবে। এর পাশাপাশি রাশিয়া থেকে ভারতের জন্য তেল সরবরাহের মতো জরুরি বিষয়গুলিও আলোচনায় আসবে।”

    ট্রাম্পের অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের অভিযোগ, ভারত মস্কো থেকে জ্বালানি কিনে আদতে সাহায্য করছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে। তাই ভারতের উচিত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা বন্ধ করা। তা না হলে ভারতীয় পণ্যের ওপর ফের একপ্রস্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। ভারতকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি ট্রাম্প রাশিয়াকে ইউক্রনে যুদ্ধে দ্রুত বিরতি ঘোষণা করতে বলেছেন। তিনি বলেন, “রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করে, তাহলে আমেরিকা কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।” এহেন উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশেই ডোভালের মস্কো যাত্রা।

    ভারতের প্রত্যুত্তর

    রাশিয়া (Ajit Doval) থেকে তেল কেনায় ট্রাম্পের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত আমেরিকাকে পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে, আমেরিকা নিজেই রাশিয়ার সঙ্গে প্রচুর ব্যবসা করছে (Tariff Threat)। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে কোনও প্রধান অর্থনীতির মতো, ভারতও তার জাতীয় স্বার্থ এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা নেবে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২২ সালে যখন রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল, তখন আমেরিকাই চেয়েছিল যে ভারত সস্তায় রাশিয়ান তেল কিনুক, যাতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম স্থিতিশীল থাকে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাশিয়া ও ইউরোপের বাণিজ্য তালিকায় শুধু তেল বা গ্যাস নয়, সার, খনিজ, রাসায়নিক, লৌহ-ইস্পাত-সহ আরও বহু পণ্য আমদানি করে। এই তালিকায় শুধু ইউরোপ কেন, খোদ আমেরিকাও বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করে। তারা নিজেদের পারমাণবিক কার্যকলাপের জন্য রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড কেনে। বৈদ্যুতিন গাড়ি শিল্পের জন্য আমদানি করে প্যালাডিয়াম, সার ও রাসায়নিক।

    জ্বালানি আমদানি নিয়ে বড় চুক্তি!

    সূত্রের খবর, ডোভালের (Ajit Doval) চলতি সফরে রাশিয়ার সঙ্গে অপরিশোধিত জ্বালানি আমদানি নিয়ে বড় চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে রাশিয়া ভারতকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে আরও বেশি পরিমাণে ছাড় দিতে পারে। ভারতের ওপর শুল্ক ঘোষণার পর রাশিয়া ট্রাম্পকে বিশ্বে কোণঠাসা করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। রাশিয়ার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও দেশের হস্তক্ষেপে দুর্বল হবে না ভারত-রুশ সম্পর্ক। এহেন পরিস্থিতিতে ডোভালের রাশিয়া সফরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে তামাম বিশ্ব।

    ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জেরেই সমস্যা

    এর একটা অন্যতম বড় কারণ হল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য। তিনি বলেছিলেন, “বাণিজ্যের জন্য ভারত ভালো অংশীদার নয়। তারা আমাদের সঙ্গে যথেষ্ট বাণিজ্য করে। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে বাণিজ্য করি না। তাই ভারতের ওপর আমরা ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলাম। কিন্তু আগামী (মঙ্গলবার বলেছিলেন) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা বৃদ্ধি করা হবে। কারণ, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছে এবং তারা ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করছে।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন প্রতিক্রিয়ায় ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে (Tariff Threat), ভারতকে (Ajit Doval) নীতি ধর্ম শেখাতে আসা আমেরিকা নিজেই বিপুল পণ্য আমদানি করে রাশিয়া থেকে।

  • Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করেনি ভারত, ফের শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করেনি ভারত, ফের শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করেনি নরেন্দ্র মোদির ভারত। পাত্তা দেয়নি ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক (US Tariffs) আরোপের হুঁশিয়ারিকে। তার পরেও দিব্যি রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। নয়াদিল্লির এহেন সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। একাধিকবার বলা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না করায় ভারতের ওপর ফের একপ্রস্ত উল্লেখযোগ্য শুল্ক বৃদ্ধির হুঁশিয়ারি দিলেন ‘হাউডি মোদি’র আয়োজক ট্রাম্প। ‘বন্ধু’র প্রতি তাঁর হুঁশিয়ারি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।

    ট্রাম্পের গলায় ভিন্ন সুর (Donald Trump)

    ভারত ও আমেরিকার মধ্যে এখনও চূড়ান্ত হয়নি বাণিজ্যচুক্তি। চলছে দর কষাকষি। এমতাবস্থায় ভারতকে ‘বন্ধু দেশ’ হিসেবে অভিহিত করে ট্রাম্প জানিয়েছেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে ব্যবসার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। মঙ্গলবার ‘হাউডি মোদি’র আয়োজক ট্রাম্পের গলায় শোনা গেল ভিন্ন সুর। এদিন তিনি জানান, ভারত ভালো ব্যবসায়িক বন্ধু নয়। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারত ভালো ব্যবসায়িক বন্ধু নয়। কারণ ওরা আমাদের সঙ্গে ব্যবসা করে। কিন্তু আমরা ওদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারি না।” এর পরেই মিস্টার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের ওপর আরও শুল্ক চাপাতে চলেছি।” তবে ভারতীয় পণ্যের ওপর কত পরিমাণ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে আমেরিকা, এদিন তা স্পষ্ট করেননি ‘নমস্তে ট্রাম্পে’র ‘নায়ক’ (US Tariffs)।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের পোস্ট

    ট্রুথ সোশ্যালে ফের একটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “ভারত যে শুধু রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে তেল কিনছে, তা নয়। বরং মুনাফার জন্য তারা কেনা তেলের বেশিরভাগটাই (Donald Trump) খোলা বাজারে বিক্রিও করছে। এদিকে রাশিয়ার যুদ্ধপ্রক্রিয়া যে ইউক্রেনের কত মানুষের প্রাণ কাড়ছে, তার পরোয়াও করছে না ভারত। এই কারণেই আমি ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক আরও বাড়াব।” গত বুধবারই ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প (Donald Trump)। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল এবং অস্ত্র কেনার জন্য ভারতকে ‘জরিমানা’ও দিতে হবে বলে (US Tariffs) জানিয়েছিলেন মোদির ‘বন্ধু’।

  • Russian Oil: ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক’! ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির তীব্র প্রতিক্রিয়া ভারতের, বার্তা পাল্টা পদক্ষেপের

    Russian Oil: ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক’! ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির তীব্র প্রতিক্রিয়া ভারতের, বার্তা পাল্টা পদক্ষেপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া থেকে তেল কেনা (Russian Oil) নিয়ে সোমবার রাতে ভারতকে ফের একবার হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের বিবৃতিতে ট্রাম্প (Donald Trump) জানান, ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ থেকে তেল কিনে তা খোলা বাজারে বিক্রি করছে ভারত, যা একটি ‘অপরাধ’। এই কারণে ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হবে বলেও তিনি সতর্ক করেন। আমেরিকার এই হুঁশিয়ারির জবাবে এবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে ভারত প্রয়োজনে সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আমেরিকার এমন বিবৃতিকে ভারত ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক’ বলেও অভিহিত করেছে।

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি (Russian Oil)

    সোমবার রাতে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে সাফ জানানো হয়েছে, রাশিয়ার থেকে তেল (Russian Oil) কেনা নিয়ে নয়াদিল্লিকে বার বার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নিশানা করছে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য ভারতকে নিশানা করা হচ্ছে। আদতে সংঘাত শুরুর পর সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী ইউরোপে চলে যাচ্ছিল বলেই ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি শুরু করে। সে সময় বিশ্বের জ্বালানির বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিতে উৎসাহও দিয়েছিল আমেরিকা।’’

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি হল-

    একই সঙ্গে, বিদেশ মন্ত্রক আরও জানিয়েছে—যারা ভারতের সমালোচনা করছে, তারাই আবার রাশিয়ার (Russian Oil) সঙ্গে বাণিজ্যে লিপ্ত। এই বিষয়ে তারা পরিসংখ্যানও সামনে এনেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও রাশিয়ার মধ্যে ৬৭,৫০০ কোটি ইউরো মূল্যের বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। পাশাপাশি, ২০২৩ সালে এই বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৭,২০০ কোটি ইউরো। এই পরিসংখ্যান ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার মোট বাণিজ্যের তুলনায় অনেক বেশি।

    বিদেশ মন্ত্রক যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে, তাতে বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে যে, ইউক্রেন সংঘাতের ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে ভারত রাশিয়া থেকে ছাড়ে তেল কিনতে শুরু করে, যাতে দেশের জ্বালানি চাহিদা নিশ্চিত করা যায়। ভারতের এই সিদ্ধান্ত ছিল কেবলমাত্র জাতীয় স্বার্থে নেওয়া একটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ।

    বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, যখন ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি শুরু করেছিল, সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এই উদ্যোগকে ‘উৎসাহিত’ করেছিল। এমনকি তারা বলেছিল, এতে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি আমদানি ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত সাশ্রয়ী। বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতির কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যাতে দেশের সাধারণ মানুষ এবং অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

    এছাড়াও, মন্ত্রক জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে আমেরিকাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পণ্য আমদানি করে থাকে। বিশেষ করে, ওয়াশিংটন তাদের পারমাণবিক শিল্পের জন্য ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড, বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধাতু প্যালেডিয়াম, সেইসঙ্গে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য এবং সার রাশিয়া থেকেই আমদানি করে। এসব তথ্য বিদেশ মন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে তুলে ধরেছে।

    বিবৃতির একেবারে শেষে, বিদেশ মন্ত্রক ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা এই ধরনের মন্তব্যকে “অযৌক্তিক এবং অন্যায্য” বলে আখ্যা দিয়েছে (Russian Oil)। সেই সঙ্গে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য প্রধান অর্থনীতির মতো ভারতও তার জাতীয় স্বার্থ এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষার্থে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখে।

    কী লিখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    উল্লেখযোগ্যভাবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১ অগাস্ট ২০২৫ থেকে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শিল্প শুল্ক আরোপ করেছেন। এই শুল্ক বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছে এবং ব্রিকস গোষ্ঠীতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। ট্রাম্পের দাবি, ভারতের এই সিদ্ধান্তগুলি ‘আমেরিকা-বিরোধী’ এবং এরই ‘শাস্তি’ হিসেবে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ভারতকে সরাসরি হুমকি দেন ট্রাম্প। সোমবার রাতে তিনি লেখেন, ‘‘ভারত যে শুধু রাশিয়ার থেকে বিপুল পরিমাণে তেল কিনছে, তা নয়। বরং মুনাফার জন্য তারা কেনা তেলের বেশির ভাগ অংশ খোলা বাজারে বিক্রিও করছে। এ দিকে রাশিয়ার যুদ্ধপ্রক্রিয়া ইউক্রেনের কত মানুষের প্রাণ কাড়ছে, তার পরোয়াও করছে না ভারত। এই কারণেই আমি ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক আরও বৃদ্ধি করব।’’

  • Donald Trump: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-চাপ’, ভারতের অর্থনীতিতে এর কতটা প্রভাব পড়বে?

    Donald Trump: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-চাপ’, ভারতের অর্থনীতিতে এর কতটা প্রভাব পড়বে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের (Indian Goods) ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারতকে চাপে রাখতে চেয়েছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে তাতে যে ভারতের খুব একটা বড়সড় সমস্যা হবে না, তা জানিয়ে দিল সরকারি বিভিন্ন সূত্র। তাদের বক্তব্য, দেশের অর্থনীতির ওপর এর ‘অত্যন্ত সামান্য’ প্রভাব পড়বে। সূত্রের খবর, জিডিপিতে এর প্রভাব ০.২ শতাংশের বেশি হবে না।

    অর্থনীতিবিদের বক্তব্য (Donald Trump)

    উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে ভারতীয় এক অর্থনীতিবিদও বলেছিলেন, জিডিপি হয়তো ০.৩ শতাংশ পর্যন্ত স্লো হবে। ওই সূত্র এও জানিয়ে দিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে সরকার দামের দিক থেকে সংবেদনশীল কৃষি ও দুগ্ধ বাজার খুলে দেবে না। গোমাংস বা ‘নন-ভেজ মিল্ক’ (অর্থাৎ যেসব গরুকে পশু-ভিত্তিক খাবার যেমন হাড়গুঁড়া খাওয়ানো হয়, সেই গরুর দুধ) আমদানি করার অনুমতিও দেবে না। এগুলো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে। সরকার জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় পদক্ষেপ করবে এবং কৃষক, উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গোষ্ঠীর কল্যাণেও দায়বদ্ধ থাকবে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সরকার কৃষকদের স্বার্থে কোনও আপস করবে না। আর তাই জিএম ফসল আমদানি করার অনুমতিও দেয়নি।

    কী চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    প্রসঙ্গত, ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে এমন একটা সময়ে যখন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা স্থগিত হয়ে রয়েছে। এই আলোচনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় তাদের কৃষক ও দুগ্ধ উৎপাদকরা যেন ভারতে পণ্য বিক্রি করতে পারে। ভারত বারবার বলেছে, এই বাজার খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলি ভারতের জিডিপিতে ২০ শতাংশেরও কম অবদান রাখে। তবে দেশের ১৪৪ কোটির প্রায় অর্ধেক জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই খাতে নিয়োজিত (Donald Trump)।

    কী বলেছিলেন ট্রাম্প

    এটি এত বড় ভোট ব্যাংক যে, কোনও সরকারই তাদের বিরুদ্ধাচরণ করার ঝুঁকি নিতে পারে না। এই বাস্তব বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে ২০২১ সালে যখন তীব্র প্রতিবাদের মুখে বিজেপি সরকারকে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়। এই বিষয়ে মতপার্থক্য ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করেছে বলে খবর। ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, “ভারত আমাদের ভালো বন্ধু। কিন্তু ওরা প্রায় সব দেশের চেয়ে বেশি শুল্ক ধার্য করেছে। এটা আর চলতে পারে না (Indian Goods)।”

    ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার আমেরিকা

    সামগ্রিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার, এবং গত চার বছর ধরেই এমনটি রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৩২ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রফতানি ১১.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮৬.৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল। তার আগের বছরে (২০২২-২৩) এর পরিমাণ ছিল ৭৭.৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এদিকে, আমদানি বেড়ে হয়েছে ৪৫.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ছিল ৪২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (Donald Trump)।

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা

    সূত্রের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা সঠিক পথেই রয়েছে এবং ইতিবাচকভাবেই এগোচ্ছে। এই আলোচনার সূচনা হয়েছিল গত বছরের নভেম্বর মাসে। এই আলোচনাই এখনও চলছে। ওই সূত্রেরই খবর, চূড়ান্ত চুক্তির পর ২৫ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা পুনর্বিবেচনা ও তা কমানোর বিষয়ে আলোচনা হবে। গত সপ্তাহে ভারতের একটি সংবাদ সংস্থাকে জানানো হয়, ভারত একটি অন্তর্বর্তী চুক্তি চূড়ান্ত করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই চুক্তি সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে ঘোষণা করা হতে পারে। এর আগে অনুমান করা হয়েছিল, ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার (আগামী ৭ আগস্ট) আগেই বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। কিন্তু এখনই সেটি সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না (Donald Trump)।

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই আলোচনার জন্য ভারত সফরে আসতে পারেন মার্কিন কর্তারা। তাই দিল্লি তার আস্তিনে রেখে দিয়েছে তুরুপের তাসটি। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফরের পর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, উভয় পক্ষ ভারতে অপরিশোধিত তেল, পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের শীর্ষস্থানীয় (Indian Goods) সরবরাহকারী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য মার্কিন বাণিজ্য চুক্তিতে জ্বালানি কেনার বিষয়টি স্থান পেয়েছে। তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দর কষাকষি হতে পারে (Donald Trump)।

  • Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার নয়, শুল্ক-যুদ্ধে ট্রাম্পের চোখে চোখ মোদির

    Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার নয়, শুল্ক-যুদ্ধে ট্রাম্পের চোখে চোখ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের হালটা যে নরেন্দ্র মোদির হাতে, মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে তা বুঝিয়ে দিল ‘হাতি’। ভারতকে ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ বলে উল্লেখ করেও, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানিয়ে দিয়েছেন, ১ অগাস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর (American Bullying) ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি নয়াদিল্লিকে অতিরিক্ত পেনাল্টিও দিতে হবে। তাঁর অভিযোগ, নয়াদিল্লি অসহনীয় নন-মানিটরি ট্রেড ব্যারিয়ার্স বজায় রেখেছে, রাশিয়া থেকে জ্বালানি ও সামরিক সরঞ্জাম কিনছে এবং বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার সময় মার্কিন চাপকে প্রতিহত করছে।

    ট্রাম্পের বক্তব্য (Donald Trump)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লিখেছেন, “মনে রাখবেন, ভারত আমাদের বন্ধু হলেও, বছরের পর বছর ধরে তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা তুলনামূলকভাবে খুব কম হয়েছে। কারণ ওরা অনেক বেশি শুল্ক নেয়। বিশ্বের সব চেয়ে বেশি হারে শুল্ক নেওয়া দেশগুলির মধ্যে একটি। ওদের সঙ্গে ব্যবসায় অনেক বিরক্তিকর বাধা রয়েছে, যার সঙ্গে আর্থিক কোনও সম্পর্ক নেই। এছাড়া ওরা সব সময় সামরিক সরঞ্জামের একটি বড় অংশ কেনে রাশিয়া থেকে। রাশিয়ার জ্বালানিও ওরা সব চেয়ে বেশি কেনে।” তিনি লিখেছেন, “যখন সকলে চাইছে রাশিয়া ইউক্রেনে হত্যালীলা বন্ধ করুক, তখন এসব কাজ ভালো নয়। তাই ভারত ২৫ শতাংশ শুল্ক দেবে এবং উল্লিখিত বিষয়গুলির জন্য একটি জরিমানাও নেওয়া হবে ১ অগাস্ট থেকে।”

    ট্রাম্পের এই চাপের কাছে মাথা নত করেনি মোদির দেশ

    ট্রাম্পের এই চাপের কাছে মাথা নত করেনি মোদির দেশ। বরং নিজের অবস্থানেই অটল রয়েছে ভারত। অর্থনৈতিক অধীনতার বদলে অগ্রাধিকার দিয়েছে কৌশলগত সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থকে (Donald Trump)। সম্প্রতি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সঙ্গীকে ১৫ শতাংশ বা তারও কম হারে শুল্কের সুবিধা দিয়েছেন ট্রাম্প। ‘বন্ধুদেশ’ হওয়ায় ভারতও তেমনটাই আশা করেছিল। ভারতের সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যদি আমেরিকার কৃষিপণ্যকে অবাধ প্রবেশাধিকার দিত এবং নিজস্ব শিল্প রক্ষার নীতি শিথিল করত, তাহলে মার্কিন শুল্কে ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। ভারত তা তো করেইনি, উল্টে দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে কঠোর অবস্থান নেয় মোদি সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদির এই কঠোর অবস্থানেই ‘ব্যবসায়ী’ ট্রাম্প বুঝে যান, এই দেশ নয়া ‘ইন্ডিয়া’ নয়, বরং (American Bullying) ‘মোদির ভারত’।

    বন্ধুদেশকে শাস্তি

    বন্ধুদেশকে শাস্তি দেওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সেটি হল ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জেরে ভারত-পাক যে সংঘাত হয়েছিল, তাতে রাশ টেনেছিলেন তিনি। ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি হয়েছে তাঁরই হস্তক্ষেপে। ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’ প্রত্যাশী ট্রাম্পের এহেন দাবিকেও নস্যাৎ করে দেয় নয়াদিল্লি। বিভিন্ন সময় নানা জায়গায় ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, পাকিস্তান অনুনয়-বিনয় করায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তৃতীয় কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপে নয় (Donald Trump)। বৃহত্তর অর্থনৈতিক শক্তির দেশের তালিকায় আমেরিকা রয়েছে এক নম্বরে, চারে রয়েছে ভারত। তাই ফোর্থ হওয়া স্টুডেন্টটি যেভাবে ‘ফার্স্টবয়’কে উপেক্ষা করছে, সেটা ভালো চোখে দেখেননি ট্রাম্প। অথচ মোদি জমানায় ভারত বরাবর তা-ই করে এসেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা “৫৬ ইঞ্চির ছাতি”র  

    রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় জারি করে নিষেধাজ্ঞা। মার্কিন রক্তচক্ষুর ভয়ে যখন বিড়াল সেজে বিভিন্ন দেশ রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে সেঁধিয়ে গিয়েছে টেবিলের তলায়, সেই সময়ও রাশিয়া থেকে বীর-বিক্রমে নিয়মিত তেল কিনে চলেছেন “৫৬ ইঞ্চির ছাতি”র মানুষের (নরেন্দ্র মোদি নিজেকে এভাবেই পরিচয় দেন) দেশ। তার জেরে ব্যয় কমেছে ভারতের জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে। কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে বিশ্ববাজারে বেড়ে যায় জীবাশ্ম জ্বালানির দাম, কমতে থাকে রাশিয়ার তেলের দর (American Bullying)। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাঁচিয়ে তিনি আদতে আরও বেশি করে মজবুত করেছেন দেশীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ডটি।

    বন্ধুত্বের বার্তা

    ২০২০ সালে গুজরাটে ‘নমস্তে ট্রাম্পে’র আয়োজন করে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছিলেন মোদি। পরে ট্রাম্পও পাল্টা বন্ধুত্বের বার্তা দিতে মার্কিন মুলুকে আয়োজন করেছিলেন ‘হাউডি মোদি’র। তার পরিণতি যে এমন হবে, চার বছর পরে মার্কিন কুর্সিতে ফিরে তা ভাবতেও পারেননি ট্রাম্প। তাঁর আশা ছিল, ভারত আর পাঁচটা দেশের মতোই মার্কিন হুমকি উপেক্ষা করতে পারবে না (Donald Trump)। রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ করবেন মোদি। কিন্তু তা না হওয়ায় বড্ড হতাশ হয়েছেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট। এহ বাহ্য। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই সামরিক অস্ত্র কিংবা যুদ্ধ সরঞ্জাম কিনে আসছে রাশিয়া থেকে। সেই নেহরু জমানা থেকে শুরু করে ভায়া অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং মনমোহন সিং হয়ে বর্তমানে মোদি আমলেও ছেদ পড়েনি তাতে। কারণ মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রচিত হয়েছে প্রয়োজন এবং নির্ভরযোগ্যতার ভিত্তিতে (American Bullying)। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কিংবা তারও আগে বিভিন্ন সংঘাতের সময় বারবার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে মস্কো।

    ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আমেরিকার ভূমিকা

    অথচ ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আমেরিকা আফগানিস্তানে মুজাহিদিন যুদ্ধ চালানোর জন্য পাকিস্তানকে কোলে টেনে নিয়েছিল। যার জেরে তখন ভারতের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা বাজারের দোর। সেই সময়ও প্রকৃত বন্ধুর মতোই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল রাশিয়া। এমতাবস্থায় ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা তাঁর দেশ যদি আশা করে, ভারত দশকের পর দশক ধরে গড়ে তোলা অস্ত্র ব্যবসার কার্যকর সামঞ্জস্যতা, প্রশিক্ষণ প্রোটোকল এবং সরবরাহ শৃঙ্খলা ছিঁড়ে বেরিয়ে স্রেফ মার্কিন খামখেয়ালিপনা মেটাতে পদক্ষেপ করবে, তবে তা হবে আদতে অবাস্তব এবং মূর্খের স্বর্গে বাস করার শামিল (Donald Trump)। বস্তুত, এই ঘটনা কেবল বাণিজ্য সংক্রান্ত নয়। এটা ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। ব্যবসায়ী ট্রাম্পের আগ্রাসী এবং লেনদেন নির্ভর কূটনীতির সামনে নতিস্বীকার না করে ভারত তামাম বিশ্বকে এই বার্তাই দিয়েছে যে, ভারত কোনও বৈশ্বিক শক্তির তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত হবে না। হবে না ‘জো হুজুরে’র মতো ধামাধারীও। তা সে সামরিক সিদ্ধান্তই হোক কিংবা জ্বালানি কেনা কিংবা বাণিজ্য নীতি – ভারত সিদ্ধান্ত নেবে তার জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই, অন্য কোনও দেশকে খুশি করতে নয়।

    কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখতে অর্থনৈতিক মূল্য চোকাতেও প্রস্তুত

    ট্রাম্পের চোখে চোখ রেখে নয়াদিল্লি দেখিয়ে দিয়েছে, কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখতে অর্থনৈতিক মূল্য চোকাতেও প্রস্তুত মোদির ভারত। বন্ধুরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে আমেরিকা ভেবে ছিল, চাপে পড়ে বাপ বলবে ভারত। তবে তা না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট-সহ তামাম দুনিয়াকে নয়াদিল্লি বুঝিয়ে দিয়েছে (American Bullying), কোনও মূল্যেই ভারত তার সার্বভৌমত্ব বিক্রি করবে না, এমনকি পৃথিবীর সব চেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রের কাছেও নয়। ভারত কারও উপগ্রহ হয়ে থাকতে চায় না, চায় না কৃপার পাত্র হয়ে থাকতে, সে নিজেই হতে চায় গ্রহ, বাঁচতে চায় নিজের শর্তে। মোদির ভারত কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না, বরং চোখে চোখ রেখে কথা বলে।

    ওহ, ডার্লিং ইয়ে হ্যায় নয়া ইন্ডিয়া (Donald Trump)!

LinkedIn
Share