Tag: arjun singh

arjun singh

  • Arjun Singh: পার্থ ভৌমিক সন্দেশখালি ছুটেছিলেন শাহজাহান, উত্তম ও শিবুদের বাঁচাতে, বিস্ফোরক অর্জুন

    Arjun Singh: পার্থ ভৌমিক সন্দেশখালি ছুটেছিলেন শাহজাহান, উত্তম ও শিবুদের বাঁচাতে, বিস্ফোরক অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাতেই দিল্লির উদ্দেশে তিনি রওনা দেবেন। তার আগেই বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিককে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। সন্দেশখালির শাহজাহানের সঙ্গে পার্থর সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আর নৈহাটিতে ইডি অভিযান হবে বলেও ইঙ্গিত দিলেন বারাকপুরের সাংসদ।

    পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে শাহজাহান যোগ! (Arjun Singh)

    সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় বিঘার পর বিঘা জমি, একের পর এক ভেড়ি, প্রাসাদোপম বাড়ি রয়েছে শেখ শাহজাহানের। এটা সকলের কমবেশি জানা। ইডি-র ওপর হামলার ঘটনায় সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছেন তিনি। সিবিআই হেফাজতে থাকা সন্দেশখালির সেই শেখ শাহজাহানের প্রসঙ্গ টেনে অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, “নৈহাটিতে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বিঘার পর বিঘা জমি কেনা রয়েছে। পার্থ ভৌমিক সন্দেশখালি ছুটেছিলেন শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাদের বাঁচাতে। ওদের সম্পত্তির সঙ্গে বিধায়ক যুক্ত কিনা, সেটা দেখতে হবে। যতদুর জানি, মামুদপুর, পলাশী মাঝিপাড়া এবং জেটিয়া এলাকায় শাহজাহানের প্রচুর জমি রয়েছে। আর রাজারহাটে ১৩ বিঘা জমি শেখ শাহজাহানের সঙ্গে কার নামে রেজিস্টারি আছে তার প্রমাণ আর কিছুদিনের মধ্যেই দিয়ে দেবো। ২০২৪-এ লোকসভায় বিজেপি যদি আমাকে প্রার্থী করে তাহলে আমি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝিয়ে দেব। “এরপরই তিনি বলেন, “নৈহাটিতে খুব শীঘ্রই ইডি আসছে। আপনারা দেখতে পাবেন।” তবে, ই়ডি নৈহাটিতে কোথায় যাবেন তা তিনি খোলসা করেননি। শাহজাহানের সঙ্গে আঁতাঁত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেও দাবি অর্জুনের।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানের ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত, গোডাউনে সারি সারি গাড়ির হদিশ

    কী বললেন পার্থ?

    নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকই বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকেই বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন অর্জুন। কেন লোকসভা নির্বাচনে বারাকপুর কেন্দ্রের টিকিট দেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরেও দেন তিনি। অর্জুন (Arjun Singh) ফের বিজেপিতে প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্তও নেন। আর তারপরই পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি অর্জুনের। যদিও পার্থ ভৌমিক অর্জুনের অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, “এতদিন কেন একথা বললেন না? আর দলের নির্দেশ মেনেই সন্দেশখালি গিয়েছিলাম।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং

    Arjun Singh: বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কথা দিয়ে কথা রাখেনি তৃণমূল।” বারাকপুর লোকসভায় পার্থ ভৌমিকের নাম ঘোষণার পরই প্রকাশ্যে সেকথা বলেছিলেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং (Arjun Singh)।  পরে, পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তবে, কোন দলের হয়ে তিনি ভোটে লড়াই করবেন তা নিয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি। তাঁর হুঁশিয়ারি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন অর্জুন।

     

    বিজেপিতে অর্জুন! (Arjun Singh)

    ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পরই দলের প্রতি ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন অর্জুন (Arjun Singh)। পরে, ভাটপাড়ার মজদুর ভবন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে নরেন্দ্র মোদির ছবি লাগানো হয়। তারপর থেকেই একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে, অর্জুন বিজেপিতেই যোগ দিচ্ছেন। তবে, অর্জুন প্রকাশ্যে তা বলেননি। বৃহস্পতিবার অর্জুন সিং বলেন, “তৃণমূলে ফেরা আমার ভুল ছিল। আমি আর তৃণমূল করব না। আমি বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছি। দুপুরের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে, কলকাতা বা দিল্লিতে যোগ দিতে পারি। আমি শুধু একা নই, তৃণমূলের বড় একা নেতা আমার সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। পাশাপাশি বারাকপুরের বহু তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগদান করবেন। তৃণমূল কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তৃণমূলের বহু পুরানো কর্মী বসে গিয়েছেন, তাঁরা সকলে বিজেপিতে চলে আসবেন। আর প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি দল ঠিক করবেন।”

    মমতাকে বিঁধলেন অর্জুন

    বুধবারই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্জুন (Arjun Singh) প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, “ও তো এখনও বিজেপিরই সাংসদ”। তাঁর বিজেপিতে যোগদানের ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যকেই এদিন টেনে এনেছেন বারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ। ২০১৯ সালে তৃণমূলের টিকিট না পেয়েই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অর্জুন। বারাকপুর থেকে জয়ীও হন। জিতে আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন। এরপর মমতার এই মন্তব্যে এদিন অর্জুন বলেন, “আমি ব্রিগেডের মঞ্চে ছিলাম। তা সত্ত্বেও আমাকে শুনতে হল আমি বিজেপির সাংসদ। তা হলেই বুঝুন তৃণমূল দলটার কী অবস্থা!” বৃহস্পতিবার রাতের বিমানেই রওনা দেবেন দিল্লির উদ্দেশে। দিল্লিতে গিয়ে শুক্রবার যোগদান করবেন পদ্ম শিবিরে। তারপরে ওইদিনই ফিরে আসবেন বাংলায়। নতুন করে শুরু করবেন কাজ। তবে, বারাকপুরে তিনি বিজেপির টিকিটে লোকসভা ভোটে লড়বেন কি না তা তাঁর দল অর্থাৎ বিজেপিই ঠিক করবে বলে জানালেন অর্জুন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ‘পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে বারাকপুরে প্রার্থী হব’, হুঁশিয়ারি অর্জুনের

    Arjun Singh: ‘পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে বারাকপুরে প্রার্থী হব’, হুঁশিয়ারি অর্জুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) তৃণমূল ত্যাগ কেবল সময়ের অপেক্ষা। ভাটপাড়ার মজদুর ভবনে বলে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করলেন তিনি। ভোটে দাঁড়়ানোরও তিনি ইঙ্গিত দিলেন। টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ অর্জুনের বসার ঘর থেকে মঙ্গলবারই সরে গিয়েছে মমতা, অভিষেকের ছবি। সেখানে এসেছে মোদীর ছবি। এই প্রেক্ষিতে তাঁর আবার পদ্মে ফিরে যাওয়ার জল্পনা দানা বেঁধেছে।

    ঠিক কী বললেন অর্জুন? (Arjun Singh)

    বুধবার অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, “বারাকপুর লোকসভা আসনেই আমি ভোটে দাঁড়়াব। পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। তবে, নির্দল হিসেবে নয়, দলীয় প্রতীক নিয়ে ভোটে দাঁড়াব। ২০১৯ সালে বিজেপি বারাকপুরে জয়ী হয়েছিল। এবারও এই আসনটি বিজেপি-র দখলে থাকবে। আর গতবারের থেকে বেশি ভোটে এ বার জিতব। পার্থ ভৌমিকের সিন্ডিকেট থেকে বারাকপুরকে আমাকে বাঁচাতেই হবে। ভোট পরবর্তী হিংসার নায়ক হচ্ছে পার্থ ভৌমিক এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পার্থ বারাকপুরবাসীর কারও ভালো করেননি। নৈহাটির হকাররা না খেয়ে মরছেন।” তবে, কোন দলের হয়ে তিনি ভোটে লড়াই করবেন তা তিনি স্পষ্ট করেননি। তিনি আরও বলেন, “বারাকপুর আমার জায়গা। আমি বারাকপুরের লোকের জন্য ৩৬৫ দিন দিনরাত রাজনীতি করি। বারাকপুরের লোকের জন্য সব সময় আছি। বারাকপুরবাসীর জন্যেই চিরকাল থাকব।”

    আরও পড়ুন: মমতার পরিবারে ‘বিদ্রোহ’! ‘‘নির্দল হয়ে লড়ব’’, টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর ভাই

    তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে অর্জুনের

    ব্রিগেডের সভায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। মূলত,বারাকপুর লোকসভায় যে তিনি প্রার্থী হতে চান, তা ২০১৯ সালেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন অর্জুন। কিন্তু, সে বার তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করেনি। তিনি তারপর বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি প্রার্থী হিসাবে বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীকে হারিয়ে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। পরে, ফের তৃণমূলে ফিরে যান। আশা ছিল, দল তাঁকে এবার বারাকপুর কেন্দ্রের জন্য টিকিট দেবে। দল সেটা করেনি। আর এতেই তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে। এখন দলবদল করে পার্থর বিরুদ্ধে বারাকপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব”, নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে বিস্ফোরক হুমায়ুন

    Murshidabad: “ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব”, নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে বিস্ফোরক হুমায়ুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিককে মানতে পারেননি সাংসদ অর্জুন সিং। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন অর্জুন। এবার বহরমপুরের তৃণমূলের প্রার্থী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে না পসন্দ  মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের। তাঁকে বহিরাগত তকমা দিয়ে নির্দল হিসেবে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হুমায়ুন। প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের পাশাপাশি দলীয় নেতৃত্বকে তোপ দাগলেন তিনি। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে আমার বিরুদ্ধে তৃণমূলের একটা অংশ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল, যাতে তিনি বিধানসভার টিকিট না পান। তবে দলের শীর্ষ নেতাদের তো অনেক ক্ষমতা। তাই প্রার্থী ঘোষণার আগে কারও সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনই মনে করেনি।

    ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব (Murshidabad)

     অর্জুনের মতো মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) তৃণমূলের ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী মানতে আমার কোনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব যদি আমাদের মতো লোকজনকে একবার বলতেন এটা মানতে হবে, এটা আমাদের সিদ্ধান্ত, অবশ্যই আমি মাথা নত করে মেনে নিতাম।”এরপরই সুর চড়ান হুমায়ুন। তিনি বলেন, “আমি বলছি, বহিরাগত প্রার্থীকে আমি মানছি না। তারজন্য নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ জানালে কী করব তা গোটা রাজ্যের মানুষ দেখতে পাবেন। আমি ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব। এবার কি তবে দল বদলের পালা হুমায়ুনের? তিনি বলছেন, “আমি কোনও দলে যাব না। আমি নিজেই পার্টি খুলব। নিজেই সেই পার্টির হয়ে লড়ব।”

    আরও পড়ুন: ঘর থেকে সরল মমতার ছবি, মজদুর ভবনে মোদি বন্দনায় অর্জুন

    পদে পদে অপমানিত হয়েছি

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা নেতৃত্বের দলীয় বৈঠক ছিল। সেখানেই দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা হরিহরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখকে পাশে নিয়ে হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য, “আমরা পদে পদে অপমানিত হয়েছি। সময়মতো সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। জেলার অনেক বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা বসে গিয়েছেন। নির্দল প্রার্থী হিসেবে আমার ভোটে লড়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাতে যে দলীয় নেতৃত্ব কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে, তা নিয়ে আদৌ ভাবিত নন হুমায়ুন। সাফ জানালেন, “ওসব নিয়ে ভাবছি না। সব কিছুর জন্য আমি প্রস্তুত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ঘর থেকে সরল মমতার ছবি, মজদুর ভবনে মোদি বন্দনায় অর্জুন

    Arjun Singh: ঘর থেকে সরল মমতার ছবি, মজদুর ভবনে মোদি বন্দনায় অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিগেডে প্রার্থী ঘোষণার পর হ্যাংওভার কাটতে সময় নিলেন দুদিন। আর তারপরই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং (Arjun Singh) । তিনি যে শিল্পাঞ্চলে “বাঘ” আছেন তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন। উপ নির্বাচনে প্রার্থী করে মন্ত্রীর ললিপপ দেখিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাতে ছিঁড়ে ভেজেনি। আর তাই মঙ্গলবার সকালে ভাটপাড়ায় মজদুর ভবনে অর্জুনের অফিস ঘর থেকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সরল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।

    তৃণমূলের কাছে আনওয়ান্টেড হয়ে গিয়েছি (Arjun Singh)

    মমতার ছবি সরানোর প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করতেই অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, “মন থেকে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের কাছে আনওয়ান্টেড হয়ে গিয়েছি আমি। তার প্রমাণও পেয়ে গিয়েছি। তবে, বারাকপুরের মানুষের কাছে আমি ওয়ান্টেড আছি। আমার মনে হয় তৃণমূলে আমার গুরুত্বটাই নেই। আমার দেড় বছর নষ্ট করা হল। তৃণমূল নষ্ট করল। আর তৃণমূলে যারা কাজ করেছে পুরনো দিনের প্রায় সকলকেই এভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে আমার ছেলের কাছে অনেক কিছু শেখার আছে। ও তৃণমূলে যেতে নিষেধ করেছিল। আমি শুনিনি। ও বলেছিল আমাকে টিকিট দেওয়া হবে না। সেটাই সত্যি হল।” অর্জুন পুত্র পবন সিং বলেন, “একজন বিধায়ক বাবার নামে এত কিছু বলত, দল কোনও ব্যবস্থা নিত না। বাবাকে বহুবার বলেছিলাম। দেরিতে হলেও তৃণমূল সম্পর্কে বাবার মোহভঙ্গ হয়েছে জেনে খুব ভাল লাগছে।” জানা গিয়েছে, ফিরহাদ হাকিম অর্জুনকে ফোন করেছিলেন। বিধানসভা উপ নির্বাচনে প্রার্থী করে জেতার পর তাঁকে মন্ত্রী করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাতে বরফ গলেনি।

    অর্জুনের মুখে মোদি স্তুতি

    মমতার ছবি ঘর থেকে সরতেই অর্জুনের (Arjun Singh) মুখে মোদি স্তুতি শোনা গেল। তিনি বলেন, “জনতার রায় মোদির দিকে রয়েছে। আর গতবারের তুলনায় রাজ্যে বিজেপি-র ফল অনেক ভাল হবে। আর বারাকপুরে ২০১৯ সালে বিজেপি-র দখলে ছিল। এবারও তাই হবে।” তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এবার কি তবে আবারও বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন অর্জুন সিং। ২০১৯-এর মার্চের পুনরাবৃত্তিই কি দেখতে চলেছে বারাকপুর-সহ গোটা রাজ্য? অর্জুন বলেন, “বিজেপিতে আমার সবাই বন্ধুবান্ধব। ফোন না আসার কথা বললে ঠিক হবে না। বিজেপিতে যখন ছিলাম, একটা জিনিস দেখতাম প্রতি মঙ্গলবার সাংসদদের মিটিং হত। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদীজী একটা কথা বলতেন, সম্পর্ক সকলের সঙ্গে রাখা উচিত। কারও সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা উচিত নয়।”

    অর্জুনকে নিয়ে কী বললেন পার্থ?

    বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, “অর্জুন বুদ্ধিমান ছেলে। আমার মনে হয় না বার বার দল বদল করে ও নিজেকে অবিশ্বাসের পাত্র করে তুলতে চাইবে। এটা নিম্নরুচির পরিচয়। তবে, গোটাটাই ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি তো এনিয়ে কিছু বলতে পারি না। যা বলার রাজনৈতিকভাবে বলব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ‘পার্থ সকলকে উস্কে গালাগাল করাচ্ছিল’, বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে তোপ অর্জুনের

    Barrackpore: ‘পার্থ সকলকে উস্কে গালাগাল করাচ্ছিল’, বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে তোপ অর্জুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভা কেন্দ্রে টিকিট পাননি অর্জুন সিং। পার্থ ভৌমিকের ওপর আস্থা রেখেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর এতে বেজায় চটেছেন এবং দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন অর্জুন। অর্জুনের অনুগামীরাও রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন। দত্তপুকুর, ভাটপাড়ার মেঘনা মোড়ে অর্জুন অনুগামীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এবার পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন অর্জুন।

    পার্থ সকলকে উস্কে সাংসদকে গালাগাল করাচ্ছিল (Barrackpore)

    পার্থ ভৌমিককে নিয়ে অর্জুন বলেন, ১০০ শতাংশ পার্থর ভূমিকা ছিল। ওই তো সকলকে উস্কে থেকে দলের সাংসদকে গালাগাল করাচ্ছিল। ওই তো সব করাচ্ছিল। সোমনাথ শ্যাম, সুবোধ অধিকারীদের প্রকাশ্য বারাকপুরে (Barrackpore)’বিদ্রোহ’কে অর্জুন ‘স্ক্রিপ্টেড’ বলেন এদিন। অর্জুন সিং বলেন, “স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী দু’জন বিধায়ককে দিয়ে বলানো, সিন ক্রিয়েট করা হয়। বলানো হয়, এরা ক্ষতি করে দেবে। আমি দিদিকে বলেছিলাম, এরা তো ২০১৯-এও আমার বিরুদ্ধে ছিল। তবে আমার দিদি, অভিষেকের ওপর কোনও ক্ষোভ নেই। তবে, আমাকে ডেকে এভাবে যা করা হল।” রাজনীতিতে একটা জিনিস চলে, বিরোধীদের একত্রিত করে একজনের উপর আঘাত করে শেষ করে দেওয়া। এটা রাজনীতিতে হয়। তাই হয়েছে। আমার সঙ্গে এটা হয়েছে, আমি কিছুটা শকড। তবে আমার আগে ভাবা উচিত ছিল। আমি বিশ্বাস করেছিলাম, তাতেই আঘাতটা হল।

    বিশ্বাস করা ভুল হয়েছে

    বেশ কিছুদিন ধরেই বারাকপুরে (Barrackpore) অর্জুন সিংকে নিয়ে নানা অভিযোগ তুলছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীরা। সূত্রের খবর, সোমনাথ শ্যাম দলকে প্রকাশ্যে জানিয়ে রেখেছিলেন, অর্জুনকে প্রার্থী করা হলে প্রচারে যোগ দেবেন না। সোমনাথ শ্যাম একা নন। সুবোধ অধিকারীও প্রকাশ্যে বলেছিলেন, বিজেপিতে যোগ দিয়ে যারা তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করে, যারা বারাকপুরে দাপিয়ে বেড়িয়েছে এক সময়, কোনওভাবেই মানুষ তাদের মানবে না। অর্জুনের দাবি, বিজেপি থেকে এলেও বিশ্বজিৎ দাস বনগাঁয় টিকিট পেলেন। তাহলে তিনি কেন পেলেন না? অর্জুন বলেন, “কোথাও না কোথাও আমারই ভুল হয়েছে। আমি বিশ্বাস করেছি। এটা কারও সঙ্গে করা উচিত না। আমাকে বলে আনা হয় বারাকপুরের জন্য। আমি বুঝতেই পারলাম না কিছু।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: “বারাকপুরে টিকিট দেওয়া হবে বলে এনেছিল”, পার্থকে তৃণমূল প্রার্থী করতেই তোপ অর্জুনের

    Barrackpore: “বারাকপুরে টিকিট দেওয়া হবে বলে এনেছিল”, পার্থকে তৃণমূল প্রার্থী করতেই তোপ অর্জুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভায় তৃণমূলের কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে ব্রিগেডের সভা থেকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে প্রার্থী করা হয়েছে। আর সাংসদ অর্জুন সিংকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। আর তারপরই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাস্তায় আন্দোলনে নামলেন তৃণমূল কর্মীরা। রাস্তা অবরোধ করে অর্জুন অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    শুরু হল তৃণমূল প্রার্থী হয়ে প্রচার (Barrackpore)

    কয়েকদিন আগেই বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলের একাধিক জায়গায় তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের নামে পোস্টার পড়েছিল। নাম ঘোষণার আগে পোস্টার প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে, অর্জুন বিরোধী হিসেবে পরিচিত জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী বেশ কয়েকমাস ধরে নতুন প্রার্থীর দাবি জানাচ্ছিলেন। অর্জুনকে কোনওভাবে যাতে প্রার্থী না করা হয় তার জন্য শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছিলেন। আর বিভিন্ন মিটিং, পথসভায় অর্জুনের বিরুদ্ধে তাঁরা প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। এই আবহের মধ্যে এই লোকসভায় রাজ চক্রবর্তীর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। বারাকপুর শিল্পা়ঞ্চল জুড়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টার পড়েছিল। এসবের পরই এদিন পার্থ ভৌমিকের নাম ঘোষণা করা হয়। স্বাভাবিকভাবে অর্জুন বিরোধীরা উজ্জীবিত। অর্জুন বিরোধীদের বক্তব্য, পার্থ ভৌমিক ভূমিপুত্র। মন্ত্রী হয়ে তিনি প্রচুর কাজ করেছেন। দলীয় নেতৃত্ব যোগ্য মানুষকে প্রার্থী করেছেন। বিপুল ভোটে তিনি জয়লাভ করবেন। ইতিমধ্যেই পার্থ ভৌমিকের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর নামে পোস্টারও বিভিন্ন জায়গায় টাঙানো শুরু হয়ে গিয়েছে।

     রাস্তা অবরোধ করলেন অর্জুন বিরোধীরা

    অর্জুন সিংকে দল এবার টিকিট না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ দলের একাংশ। বিশেষ করে অর্জুন অনুগামীরা মুষড়ে পড়েছেন। এদিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই দত্তপুকুর এলাকায় অর্জুন অনুগামীরা বনগাঁ রোড অবরোধ করেন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, বারাকপুর (Barrackpore) কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করে অর্জুন সিংকে প্রার্থী করতে হবে। পরে, পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করে।

    আগে জানলে তৃণমূলে আসতাম না

    পার্থ ভৌমিকের নাম ঘোষণা হওয়ায় ক্ষুব্ধ অর্জুন। তিনি বলেন,”দেড় বছর ধরে দলের দায়িত্বে ছিলাম না। শুধু সাংসদ ছিলাম। আমাকে বলা হয়েছিল বারাকপুরে (Barrackpore) টিকিট দেওয়া হবে। দলে যিনি এনেছিলেন তিনিই বলেছিলেন। এবার টিকিট দেওয়া হয়নি।” এবার কি তাহলে নতুন পথে হাঁটবেন অর্জুন? বললেন না কিছু। তবে অর্জুন বলেন, “আক্ষেপ থাকবে। দেড় বছর ধরে দল বলে নিয়ে এল টিকিট দেবে বারাকপুরে। আগে জানলে তো আমি আসতামই না। আমি বারাকপুরের মানুষকে ঠকাইনি। আমাকে বারবার টোপ দেওয়া হচ্ছিল, এখানে চলে যান ওখানে চলে যান। আমি বারাকপুর ছেড়ে যাব না তো। এখানে জন্মেছি, এখানে মরব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: নাম ঘোষণা করেনি দল, বারাকপুর জুড়়ে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে পড়ল অর্জুনের পোস্টার

    Barrackpore: নাম ঘোষণা করেনি দল, বারাকপুর জুড়়ে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে পড়ল অর্জুনের পোস্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের পক্ষ থেকে কোনও নাম ঘোষণা হয়নি। এরইমধ্যে অর্জুন সিং বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বলে পোস্টার পড়ল শিল্পাঞ্চল জুড়ে। যা নিয়ে নতুন করে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। অফিসিয়াল নাম ঘোষণা করা হয়নি। তারপরও এভাবে পোস্টার দেওয়ার অর্থ দলবিরোধী কাজ। জানা গিয়েছে, দলেরই একটি অংশ ইতিমধ্যেই অর্জুন যাতে কোনওভাবে প্রার্থী হতে না পারে তারজন্য শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। সবমিলিয়ে বারাকপুরে তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে? (Barrackpore)

    পোস্টারের মধ্যে লেখা রয়েছে, বারাকপুর (Barrackpore)  লোকসভায় তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের বিপুল ভোটে জয়ী করুন। পোস্টারে মমতা-অভিষেকের সঙ্গে অর্জুনের ছবি রয়েছে। যদিও পোস্টার নিয়ে অর্জুন কিছু মন্তব্য করতে চাননি। তবে, অর্জুন বিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিত সোমনাথ শ্যাম, সুবোধ অধিকারী কোনওভাবেই চান না অর্জুন এবার প্রার্থী হোক। দুদিন আগেই দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সোমনাথ বলেছিলেন, বিজেপির সঙ্গে যোগ রাখা নেতাকে আপনারা চিনে রাখুন। কখনই সমর্থন করবেন না। এসবের মধ্যে শিল্পাঞ্চলের একাধিক দাপুটে নেতা জোট বেঁধে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছেন। অর্জুন প্রার্থী হলে তাঁরা এলাকায় প্রার্থীর হয়ে কাজ পর্যন্ত করবেন না বলে জানিয়েছেন। শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাঁদের কী আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। আর অর্জুন বিরোধী এই আবহের মধ্যেই তাঁর নামে পোস্টার ঘিরে জোর চর্চা চলছে। অর্জুন ঘনিষ্ঠ অনুগামীরা এই পোস্টার দিয়েছে বলে জল্পনা চলছে।

    অর্জুন-সোমনাথ অনুগামীদের মধ্যে মারামারি

    এই পোস্টারের ঘটনা সামনে আসার আগে সোমনাথ-অর্জুন অনুগামীদের মধ্যে প্রকাশ্যে মারামারি হয়েছে বলে অভিযোগ। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে অর্জুন অনুগামী তৃণমূলের শ্রমিক নেতা চন্দন রজক কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় সোমনাথ শ্যাম ঘনিষ্ঠ বিনোদ সাউ ও তাঁর সহযোগীরা সাংসদ অর্জুন সিং এর নামে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন চন্দন। এরপরই আগ্নেয়াস্ত্র সহ লোহার রড নিয়ে চন্দনের বাড়ির সামনে হামলা চালান বিনোদ ও তাঁর দলবল। যার জেরে চন্দনের মাথা ফেটে যায়। এমনকী তাঁর পরিবারের সদস্যকেও মারধর করা হয়। অন্যদিকে, বিনোদ সাউ এর ওপর সাংসদ ঘনিষ্ঠ সুরাজ সিং ও তাঁর দলবল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তিনিও গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা সুরাজ সিং বলেন, এলাকায় যথেষ্ট সিসিটিভি লাগানো রয়েছে। সেটা দেখলেই ঘটনার সত্য সামনে আসবে। ঘটনার সময় আমি ছিলামই না। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। দুপক্ষের মধ্যে হামলা, অর্জুনের পোস্টার সামনে আসাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Subhranshu Roy: ‘কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুকুলপুত্র

    Subhranshu Roy: ‘কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুকুলপুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদাধিকার অনুযায়ী কাঁচরাপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের এক সময়ের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায় (Subhranshu Roy)। বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কাঁচরাপাড়া পুরসভা। অথচ তিনি সেই পুরসভাতেই আর যান না। কার্যত কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে মুকুলপুত্রকে। পুরসভায় কেন যান না, তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন তিনি নিজেই।

    ঠিক কী বলেছেন শুভ্রাংশু? (Subhranshu Roy)

    শুভ্রাংশু (Subhranshu Roy) বলেন, আমি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। আমাকে ট্রেড লাইসেন্স, অ্যাসেসমেন্ট দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দফতরে বেশিরভাগই অনলাইনে কাজ হয়ে যায়। ফলে, পুরসভায় আমার কোনও কাজ নেই। পুরসভায় গিয়ে চুপচাপ বসে থাকতে হয়। এমনকী বিল্ডিং-এর অনুমোদনের দায়িত্ব রয়েছে আমার ওপর। তবে, সেটা দোতলা পর্যন্ত। তার ওপরে বিল্ডিং হলে তার দায়িত্ব চেয়ারম্যানের ওপরে রয়েছে। ফলে, এই দফতরে আমার বিশেষ কোনও কাজ নেই বললেই চলে। থাকল পড়ে বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব। তবে, এই কাজ করতে গেলে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে করতে হবে। সেখানেও আমার কোনও স্বাধীনতা নেই। অথচ পুরসভাকে আরও অনেক ভালোভাবে চালানো যেতে পারত। অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করা যেত। কিন্তু, কোনও কিছুই করা হচ্ছে না। আর পুরসভায় গিয়ে ঠুঁটো হয়ে চুপচাপ বসে থাকতে আমি রাজি নই। আমি এসবের কোনও তোয়াক্কা করি না। আর কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না। বোর্ড মিটিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। জানা গিয়েছে, কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান হচ্ছেন কমল অধিকারী। তিনি বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর ভাই।

    অর্জুনের পাশে দাঁড়িয়ে সোমনাথ-সুবোধকে তুলোধনা

    দিন দুয়েক আগে অর্জুন সিং-এর পাশে দাঁড়িয়ে শুভ্রাংশু (Subhranshu Roy) বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে তুলোধনা করেছিলেন। দলের অনুমতি পেলে দুজনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে প্রস্তুত বলে তিনি জানিয়েছিলেন। আর অর্জুনের বিরুদ্ধে বারবার সোমনাথ শ্যাম মুখ খোলার প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন তিনি। কারণ, সাংসদ তৃণমূলের শীর্য নেতৃত্বের কথা মতো দলে এসেছেন। যা বলার তা দলের ভিতরে বলা উচিত। সবমিলিয়ে শুভ্রাংশু রায়ের এই কোণঠাসা নিয়ে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: অপরাধীদের নিয়ে ঘুরছেন অর্জুন! পুলিশের কাছে নালিশ তৃণমূল বিধায়কের

    Arjun Singh: অপরাধীদের নিয়ে ঘুরছেন অর্জুন! পুলিশের কাছে নালিশ তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ফের অর্জুন-সোমনাথ-সুবোধ দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠছে। সাংসদ  অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। একইসঙ্গে বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী অর্জুনের (Arjun Singh) বিরুদ্ধে  সমালোচনা করেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বলে সাংসদ এবং বিধায়কদের মধ্যে কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় রাজনৈতিক মহলে  চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    অর্জুনকে (Arjun Singh) পল্টুরাম বললেন সুবোধ

    মঙ্গলবার কাঁচরাপাড়া কাঁপা মোড় সংলগ্ন বাবু ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। রক্তদান শিবিরের মঞ্চ থেকে আবারও বিস্ফোরক সুবোধ এবং সোমনাথ। দুজনেরই আক্রমণের লক্ষ্য ছিল সংসদ অর্জুন সিং(Arjun Singh)। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাসক দলের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী বলেন, ২০১৯ সালে বীজপুর থেকে টিটাগড় যে সন্ত্রাস, তাণ্ডব হয়েছিল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও তা করার চেষ্টা হচ্ছে। রাজ্যের সেরা থানার পুরস্কার পাওয়া বীজপুরকে নতুন করে অশান্ত করার পরিকল্পনা চলছে। এরপরই সুবোধ অধিকারীর গলায় কার্যত হুঁশিয়ারির সুর। সাংসদ অর্জুন সিং কে নিশানা করে বলেন, ‘ তিনি দাগী আসামীদের নিয়ে বীজপুরে অনেক জায়গায় পিকনিক করছেন। সেই ছবি আমি পুলিশ এবং প্রশাসনকে পাঠিয়েছি।  ২০১৯ সালে প্রতিবাদ হয়েছে। আবারও আমি সাবধান করতে চাই। আবারও যদি এই কাজ করতে যান তাহলে মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে এবং সামল দিতে হবে আপনাকে’। সাংসদের নাম না করে সুবোধের কটাক্ষ, পল্টুরাম নীতীশ কুমার এখানেও আছে। যে ছেলেকে বিজেপিতে ঢুকিয়ে রেখেছে এবং নিজে তৃণমূলে ঘোরাঘুরি করছে। অর্থাৎ এক পা বিজেপিতে এবং এক পা তৃণমূলে। আবার আমাদের নামেই গুজব ছড়ানো হচ্ছে আমরা নাকি দিল্লিতে গিয়েছি বিজেপিতে যোগদান করার জন্য! আমরা তো তৃণমূলেই থাকবো, কিন্তু তিনি যে আগামী দিনে আবার পল্টুরাম হবেন না তার গ্যারান্টি কে নেবে? এরপরই মঞ্চের সামনে আসনে বসা মানুষদের উদ্দেশে সুবোধ বলেন, ‘ ২০২৪ সালে আবার অনেক পল্টুরাম পাবেন। তারা অনেক কথা বলবে। কিন্তু, সেদিকে কান দেবেন না’।

    জগদ্দলের বিধায়ক কী বললেন?

    জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের নিশানাতেও সেই অর্জুন সিং (Arjun Singh)। একসময়ের মুকুল রায়ের খাস তালুক কাঁচরাপাড়ায় দাঁড়িয়ে সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘এখানে নাকি বড় বড় নেতারা থাকতেন। যারা পাল্টিবাজ। সেই পাল্টিবাজদের মত কিছু নেতা গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছেন আমি এবং সুবোধ নাকি দিল্লিতে রওনা দিয়েছি বিজেপিতে যোগদান করতে।  আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমরা পাল্টিবাজ নই। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের খুন করার চক্রান্ত করছে সাংসদ। এর আগে ইছাপুরে শহর তৃণমূলের সভাপতি গোপাল মজুমদারের পিছনেও সাংসদের হাত রয়েছে। ভারাটে খুনিরা তা স্বীকার করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share