Tag: Arvind Kejriwal

Arvind Kejriwal

  • Arvind Kejriwal: প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি বিতর্কে কেজরিকে তলব গুজরাট আদালতের

    Arvind Kejriwal: প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি বিতর্কে কেজরিকে তলব গুজরাট আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের বিকল্প গড়তে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তিনি যখন বিজেপির বিকল্প খুঁজতে বেরিয়েছেন, তখন তাঁকে এবং আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় সিংহকে তলব করল গুজরাটের আমেদাবাদের আদালত। ৭ জুন সশরীরে তাঁদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    মামলা করেছিলেন কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা কী তা জানতে চেয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে মামলা করেছিলেন আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়াল। পরে গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণবের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রমাণ দেখাতে হবে না। মামলা করায় কেজরির ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।

    নিজের মতো করে যুক্তি দিয়েছেন কেজরি

    এর পরেই সুর চড়ান কেজরি (Arvind Kejriwal)। তিনি বলেন, “গুজরাট হাইকোর্টের রায়ে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সংশয় আরও বেড়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী কতদূর পড়াশোনা করেছেন, তা জানতেই পারছেন না মানুষ। কয়েক বছর আগে অমিত শাহ সাংবাদিক বৈঠক করে ডিগ্রি দেখিয়েছিলেন। ডিগ্রি যদি যথার্থ হয়, তাহলে দেখাতে সমস্যা কোথায়?” আপ সুপ্রিমো বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি না দেখানোর পিছনে দুটি কারণ থাকতে পারে। হতে পারে তিনি অহংকারী। ভাবতে পারেন, আমি কেন ডিগ্রি দেখাব! আমার ডিগ্রি দেখতে চাওয়ার এরা কে? এদের কী যোগ্যতা? আর দ্বিতীয়ত, হতে পারে যে ভুয়ো বা নকল বলেই ডিগ্রি দেখানো হচ্ছে না।” তিনি বলেন, “মানুষের মনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এত লুকোছাপা কেন, সেটাই বুঝতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘দ্য বস’ আখ্যা দিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    প্রধানমন্ত্রীর দফতর অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, মোদি বিএ পাশ করেছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এমএ পাশ করেছেন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তার পরেও প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটের কপি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর (Arvind Kejriwal) বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে দায়ের হয় মামলা। তার প্রেক্ষিতে আদালত জরিমানাও করে। সেই জরিমানাও দেননি আপ সুপ্রিমো। তার পরেই মঙ্গলবার আমেদাবাদের আদালত কেজরিকে ৭ জুন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। ওই দিনই সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেজরিরই দলের নেতা সঞ্জয় সিংহকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Delhi Liquor Scam: দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি কী? বিতর্কের মূল কারণ কী?

    Delhi Liquor Scam: দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি কী? বিতর্কের মূল কারণ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর নতুন আবগারি নীতি আনে দিল্লি সরকার। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া আবগারি দফতরের দায়িত্বে। মদ কেনার পাশাপাশি বিক্রির পদ্ধতিতেও বেশ কিছু বদল আনা হয়। নতুন আবগারি নীতিতে সরকারি মদের দোকানগুলি বন্ধ করে বেসরকারি মদের দোকানগুলিকে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়। এর পর গত ২ মে দিল্লির আবগারি নীতি সংশোধন করে নয়া নীতি মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবিত হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ৩০ জুলাই নতুন মদ নীতি সম্পূর্ণ বাতিল ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন, ১ অগাস্ট থেকে শুধুমাত্র সরকারি মালিকানাধীন মদের দোকান থেকেই মদ বিক্রি করা যাবে।

    কী নিয়ে বিতর্ক?

    আবগারি নয়া নীতিতে মদের হোম ডেলিভারি, ভোর তিনটে পর্যন্ত মদের দোকান খোলা রাখা, লাইসেন্সধারী মদ বিক্রেতাদের সীমাহীন ছাড়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৩০ জুলাই ২০২২ সালে তা বাতিল করা হয়। আপ সরকারের দাবি ছিল এই নতুন আবগারি নীতির ফলে মদের কালোবাজারি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়বে। কিন্তু এই নীতি কার্যকর করতেই আবগারি লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম এমনকী আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে।

    আরও পড়ুন: আরও অস্বস্তিতে আপ, এক বছরের মধ্যেই গ্রেফতার কেজরিওয়াল ‘ঘনিষ্ঠ’ দুই মন্ত্রী

    নতুন মদ নীতিতে অনিয়মের কারণেই দিল্লি সরকারের আবগারি বিভাগের বিরুদ্ধে তদন্ত নামে সিবিআই। ফলে নতুন আবগারি নীতি চালুর ঠিক ৮ মাস পর তা প্রত্যাহার করা হয়। বলা হয়, নতুন নীতিতে পদ্ধতিগত কিছু সমস্যা রয়েছে। এর পর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সরকার পুরনো আবগারি নীততে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারে প্রতিনিধি তথা লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয়কুমার সাক্সেনা সরকারের এই নতুন নীতিতে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত মামলারই তদন্ত করছে সিবিআই। এর পাশাপাশি তিনি দিল্লির মুখ্য সচিবকে নতুন মদ নীতির ‘অবৈধ প্রণয়ন, সংশোধনী এবং বাস্তবায়নে অফিসার এবং সরকারি কর্মচারীদের ভূমিকা’ নিয়ে বিশদ রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পর এই মামলায় তদন্তে নেমেই গতকাল গ্রেফতার করা হল আবগারি দফতরের দায়িত্বে থাকা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে।

  • Delhi Liquor Policy: কেজরির দুয়ারে ইডি! এবার জেরা মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ককে, কেন জানেন?

    Delhi Liquor Policy: কেজরির দুয়ারে ইডি! এবার জেরা মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ককে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির আবগারি নীতি (Delhi Liquor Policy) মামলায় এবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) আপ্ত সহায়ক বিভব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি (ED)। বিভব  কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ সহচর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিভবকে দিল্লির আবগারি নীতি ও তৎপরবর্তীকালে ঘুষ নিয়ে মদের দোকানের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগেই জেরা করা হয়েছে। সম্প্রতি এই মামলায়ই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তল্লাশি চালানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়েও। এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ককে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করল ইডি।

    ইডির দাবি…

    ইডির দাবি, প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছিল। প্রমাণ লোপাট করতে ইতিমধ্যেই নষ্ট করা হয়েছে ১৭০টি ফোন। কিছু দিন আগেই তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, লাইসেন্সের (Delhi Liquor Policy) বিনিময়ে নেওয়া ঘুষের অর্থের প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা চলছে। ওই কাজে অন্তত ৩৬ জন যুক্ত বলেও অভিযোগ ইডির। এই ৩৬ জনের মধ্যেই রয়েছেন মনীশ এবং বিভব। সেই সূত্রেই এদিন জেরা করা হয় বিভবকে।

    আবগারি নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই দুটি চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। তাতে বলা হয়েছে, অন্তত ৩৬ জন অভিযুক্ত লেনদেন ও বেআইনি কারবার গোপন করতে ঘন ঘন মোবাইল সেট বদল করতেন। ওই তালিকায় দিল্লির আবগারি মন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া ও কেজরিওয়ালের পিএ বিভব কুমারের নামও রয়েছে। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, আবগারি নীতি (Delhi Liquor Policy) তৈরির প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালও। সেই কাজে তাঁর ফ্রন্টম্যান ছিলেন বিভব। গোয়েন্দাদের আরও দাবি, আবগারি নীতির খসড়ার কপি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে এনে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন বিভবই। বিজেপির দাবি, এই কাণ্ডে আসল চক্রী মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। এদিন তাঁরই আপ্ত সহায়ককে জেরা করা হল।

    আরও পড়ুুন: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    প্রসঙ্গত, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছিল কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। সরকার জানিয়েছিল, নয়া আবগারি নীতিতে মদের কালোবাজারি কমবে, শায়েস্তা হবে মদ মাফিয়ারা। এর আগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা আগেই আবগারি নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী আবগারি নীতিতে দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত এবং বিভিন্ন ব্যক্তিকে এই আবগারি নীতির মাধ্যমে সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি নিজেও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • MCD Election: ‘‘প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ চাই’’, দিল্লি পুরভোটে জিতে কেজরিওয়াল

    MCD Election: ‘‘প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ চাই’’, দিল্লি পুরভোটে জিতে কেজরিওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিধানসভার পর এ বার দিল্লি পুরনিগমও এল আম আদমি পার্টির হাতে। পুরনিগম ভোটে (Delhi Municipal Election) জয় পেয়ে দিল্লিবাসীর প্রতি অভিনন্দন জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (AAP) সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। একইসঙ্গে কেন্দ্রের কাছেও সহযোগিতার আবেদন জানিয়ে ‘প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ’ চাইলেন তিনি। 

    দ্বিতীয় বিজেপি

    এদিন সকালে দিল্লি পুরনিগম ভোটের গণনার শুরু থেকেই আম আদমি পার্টি এবং বিজেপির মধ্যে লড়াই চলে সমানে সমানে। প্রথমদিকে গেরুয়া শিবির এগিয়ে ছিল। তবে বেলা যত বাড়তে থাকে, ততই আপের ঝুলিতে আসনের সংখ্যা বাড়ে। দুপুর ২টো নাগাদ আপ ‘ম্যাজিক ফিগার’ ১২৬ পেরিয়ে যেতেই ভোটের ফলাফল একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে যায়। অবশেষে সওয়া ৩টে নাগাদ ভোট গণনা সম্পূর্ণ হয় এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলকেই জয়ী বলে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আপ পেয়েছে মোট ১৩৪টি আসন। বিজেপি-র আসন সংখ্যা ১০৪। কংগ্রেস পেয়েছে ৯টি আসন। অন্যান্যরা পেয়েছে ৩টি।  ভোটে জয়ের পর কেজরিওয়াল বললেন, ‘যারা আমাদের ভোট দেননি, তাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আগে আপনাদের কাজ করব। তারপর বাকিদের কাজ করব। আমাদের কেন্দ্র ও প্রধানমন্ত্রীরও আশীর্বাদ চাই দিল্লিকে দুর্নীতি মুক্ত করতে। আমরা নেগেটিভ রাজনীতি করি না। স্কুল ও হাসপাতাল থেকে ভোট মেলে।’

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ করতে নথি জাল, এই জন্যই গ্রেফতার তৃণমূলের সাকেত

    রবিবারই দিল্লির পুরনিগমের ২৫০ আসনে ভোট গ্রহণ হয়। রাজ্যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি ক্ষমতায় থাকলেও, গত ১৫ বছর ধরে দিল্লি পুরনিগম ছিল বিজেপির হাতে। এবার তার দখল নিল আপ। তবে লড়াই হয়েছে সমানে সমানে। একজিট পোলে সকলে বলেছিল বিজেপি ৭০-৮০ আসন পাবে। ‘আজ তকে’র বুথ ফেরত সমীক্ষায় বলা হয়েছিল বিজেপি ৬৯ থেকে ৯১টি আসন পাবে। ‘টাইমস নাউ’ বলেছিল বিজেপির আসন সংখ্যা হবে ৮৪ থেকে ৯৪। কিন্তু, সব পূর্বাভাসকে ভুল প্রমাণিত করে বিজেপি ১০৪ আসনে জয়ী হয়েছে। এছাড়া, ভোট শতাংশের হারও বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের। এবারের পুরভোটে বিজেপি পেয়েছে ৩৯.১২ শতাংশ ভোট। সেখানে ২০১৭ সালে ছিল ৩৬.০৮ শতাংশ। অন্যদিকে, আপ এবছর পেয়েছে ৪২.২ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ, আপ ও বিজেপির মধ্যে ভোট শতাংশের পার্থক্য কেবল ৩ শতাংশের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Satyendar Jain: জেলে সত্যেন্দ্রকে মালিশ করা ব্যক্তি ধর্ষণে অভিযুক্ত বন্দি! সরব বিজেপি

    Satyendar Jain: জেলে সত্যেন্দ্রকে মালিশ করা ব্যক্তি ধর্ষণে অভিযুক্ত বন্দি! সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিহার জেলের ভিতর ভিআইপি পরিষেবা-ই পাচ্ছেন আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendar Jain)। ইতিমধ্যেই জেলের অন্দরে সত্যেন্দ্র জৈনের পা মালিশের ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড় দেশ। এরই মধ্যে নয়া তথ্য আগুনে ঘি ঢালার কাজ করল। জানা গিয়েছে, ভিডিও-য় যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল আপ নেতার (Aam Aadmi Party) পায়ে তেল মালিশ করতে, সে আদতে কোনও ফিজিওথেরাপিস্টই নয়। তিনি একজন ‘রেপিস্ট’। ধর্ষণের অভিযোগে তিহার জেলে রয়েছে সে।

    কী হয়েছিল

    সম্প্রতি আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের (Satyendar Jain) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে জেলের ভিতরে বিছানায় আয়েশ করে শুয়ে আছেন আম আদমি পার্টির (আপ) মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তার ঠিক পায়ের নীচের দিকে বসে এক ব্যক্তি মন্ত্রীর পা মালিশ করছেন। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। আর্থিক তছরুপে তিহার জেল বন্দি আপ মন্ত্রীকে ‘ভিআইপি’ পরিষেবা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই ভিডিও সামনে আসতে আপের তরফে বলা হয়েছিল, সত্যেন্দ্র অসুস্থ। তাঁর ফিজিও থেরাপি চলছে। তবে কিন্তু যাঁকে থেরাপিস্ট বলে দাবি করা হয়েছে, তিনি আসলে কোনও থেরাপিস্ট নন, জেলের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।

    আরও পড়ুন: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    কে পা টিপছেন

    দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি ২০২১ সালে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল রিঙ্কু। বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি সে। তার বিরুদ্ধে নিজের মেয়েক ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়ালা এ প্রসঙ্গে ট্যুইট করেন, “আচ্ছা, যাকে থেরাপিস্ট হিসাবে দেখানো হচ্ছিল, সে কোনও থেরাপিস্ট নয়! সে আসলে একজন ধর্ষক। ওর নাম রিঙ্কু। ওর বিরুদ্ধে পকসো এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় মামলা চলছে। কেন এক জন ধর্ষককে থেরাপিস্ট বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে? কেজরিওয়ালকে এর জবাব দিতে হবে। এই দাবির মধ্যে দিয়ে উনি থেরাপিস্টদের অপমান করেছেন।” সুর চড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরও। তিনি ট্যুইট করে বলেন, “আম আদমি পার্টি নতুন করে রাজনীত তৈরি করছে। পকসো মামলায় অভিযুক্তকে ফিজিওথেরাপিস্ট সাজানো হচ্ছে। মন্ত্রীরা আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত, আবগারি দুর্নীতি মামলায় সরকার জর্জরিত। দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে মানুষকে বোকা বানানোর রাজনীতি চলছে।”

  • BJP: কেজরির ‘গুজরাট ডিলে’র অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা, সাফ জানাল বিজেপি

    BJP: কেজরির ‘গুজরাট ডিলে’র অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা, সাফ জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে (Gujarat) ভোট প্রচারে গিয়ে আম আদমি পার্টির (AAP) নেতা তথা দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) দাবি করেছিলেন, বিজেপির (BJP) তরফে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Assembly polls) থেকে তাঁকে সরে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি এও দাবি করেছিলেন, এর বদলে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈনকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। আপ নেতার এহেন অভিযোগ অস্বীকার করল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কেজরিওয়ালের অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। বিজেপির মুখপাত্র সঈদ জাফর ইসলাম বলেন, ভোটের আগে গুজরাটবাসীকে বিপথগামী করতে এবং আম জনতার কাছে বিজেপির ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই এসব বলা হচ্ছে।

    ডিসেম্বরে ১ ও ৫ তারিখে দু দফায় ভোট হবে গুজরাটে। এই বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৮২। গত আড়াই দশক ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি (BJP)। এ রাজ্যে ক্রমেই বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। দলের হয়ে গুজরাট চষে বেড়াচ্ছেন কেজরি স্বয়ং। শনিবার এক জনসভায় তিনি বলেন, ওরা (বিজেপি) আমার কাছে এসেছিল, বলেছিল যদি আমি গুজরাট নির্বাচনে অংশ না নিই, তাহলে সত্যেন্দর জৈনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। গ্রেফতার করা হবে না মণীশ সিসোদিয়াকেও। তবে বিজেপির তরফে তাঁকে কে এই প্রস্তাব দিয়েছিল এদিন তা খোলসা করেননি কেজরি। তিনি শুধু বলেন, নিজের লোকের নাম কীভাবে বলব? আমার লোকের মাধ্যমেই ওঁরা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিজেপি (BJP) কখনও সরাসরি প্রস্তাব দেয় না। ওরা একজনের থেকে অন্যজনের কাছে যায়। তারপর আরও একজনের কাছে যায়। তারপর কোনও বন্ধুর কাছে যায়। তারপর সেই বার্তা আপনার কাছে আসে।

    আরও পড়ুন: টাকায় লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপানোর আবেদন কেজরির, কী বলল বিজেপি?

    কেজরির দাবি নস্যাৎ করে জাফর ইসলাম বলেন, এটি সর্বৈব মিথ্যা কথা। উনি দিল্লি ও দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। আন্না হাজারেকে ব্যবহার করে উনি ক্ষমতায় এসেছেন। পরে তাঁকে ছেড়ে দিয়েছেন। ক্ষমতা দখলের জন্য উনি যে কাউকে বিভ্রান্ত করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Arvind Kejriwal: টাকায় লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপানোর আবেদন কেজরির, কী বলল বিজেপি? 

    Arvind Kejriwal: টাকায় লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপানোর আবেদন কেজরির, কী বলল বিজেপি? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া নোটে লক্ষ্মী গণেশের ছবি দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) অনুরোধ করলেন আম আদমি পার্টির (AAP) নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তাঁর মতে, দেশের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে নোটের এই ছবি।

    দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ আমি কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটা অনুরোধ করছি। ভারতীয় নোটে গান্ধীজির একটা ছবি থাকে। সেটা থাকুক। নোটের উল্টো পিঠে রাখা উচিত গণেশজি ও লক্ষ্মীজির ছবি। তিনি বলেন, দেশের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে নানাবিধ চেষ্টা আমাদের করতে হবে। আমাদের সেই চেষ্টা তখনই সফল হবে যখন ভগবানের আশীর্বাদ মিলবে। নোটের একদিকে গান্ধীজির ছবি, অন্য দিকে গণেশজি লক্ষ্মীজির ছবি থাকলে গোটা দেশই ভগবানের আশীর্বাদ পাবে। আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো (Arvind Kejriwal) বলেন, লক্ষ্মী সমৃদ্ধির দেবী। আর গণেশ হলেন বিঘ্ননাশকারী। তিনি বলেন, আমি সব নোট পরিবর্তন করতে বলছি না। কিন্তু প্রতি মাসে যেসব নতুন নোট বের হয়, সেগুলিতে ওই ছবি দিতে বলছি।

    এ প্রসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Arvind Kejriwal) ইন্দোনেশিয়ার প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া মুসলিম দেশ। তাদের নোটে গণেশের ছবি রয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, ইন্দোনেশিয়া পারলে, আমরা কেন পারব না? তিনি বলেন, নতুন নোটেই ছবি ছাপানো যেতে পারে। প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ায় ২০ হাজার টাকার নোটে গণেশের ছবি রয়েছে। কেজরিওয়াল বলেন, আমি এক দু দিনের মধ্যে কেন্দ্রকে এ ব্যাপারে চিঠি লিখব। দেশের আর্থিক হাল ফেরাতে চেষ্টার পাশাপাশি আমাদের ভগবানের আশীর্বাদ প্রয়োজন।

    নোটে লক্ষ্মী গণেশের ছবি দেওয়ার কথা বলে কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) দলের হিন্দু বিরোধী মুখটাই ঢাকতে চাইছেন বলে দাবি বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারির। তাঁর মতে, সামনে ভোট। তাই তিনি এসব বলছেন। মনোজের মতে, এটা তাঁর ব্যর্থ চেষ্টা। বিজেপি সাংসদ বলেন, তিনি (কেজরিওয়াল) যদি সত্যিই এটা বোঝাতে চাইতেন, তাহলে তাঁর উচিত দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী রাজেন্দ্র পাল গৌতম ও আপের গুজরাট ইউনিট প্রেসিডেন্ট গোপাল ইটালিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে এই দুই নেতা হিন্দুদের দেবদেবীর মূর্তি-বিরোধী কথা বলেছিলেন বলে অভিযোগ।

     

     

  • Assam: কেজরিওয়ালকে সপাটে জবাব বিশ্বশর্মার, অসমে স্কুল উন্নয়নের জন্যে বরাদ্দ ১০ হাজার কোটি টাকা 

    Assam: কেজরিওয়ালকে সপাটে জবাব বিশ্বশর্মার, অসমে স্কুল উন্নয়নের জন্যে বরাদ্দ ১০ হাজার কোটি টাকা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের (Assam) রাজ্য সরকারের অধীনস্থ স্কুলগুলির (School) পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্যে ১০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তাহলে কি এবার কেজরিওয়াল-বিশ্বশর্মা (Arvind Kejriwal) ট্যুইট যুদ্ধে যবনিকা পতন? মুখ বন্ধ হবে কেজরিওয়ালের? 

    একটা নয় দেশে যদি আমরা ৫টি রাজধানী পেতাম…! এ কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    কিছুদিন আগেই ৩৪ টি সরকারি স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল বিজেপি পরিচালিত অসম সরকার। স্কুলগুলিতে শিক্ষার অবস্থা শোচনীয় হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। জানা গিয়েছে, এই ৩৪টি স্কুল থেকে এ বছর দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় কোনও পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেনি। তারপরেই সে রাজ্যের সরকার স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরেই এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। চাঁচাছোলা বাক্যবাণে আসাম সরকারের এই সিদ্ধন্তের তীব্র সমালোচনা করেন আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী একটি ট্যুইটে লেখেন, “স্কুল বন্ধ করে দেওয়া কখনওই সমাধান হতে পারে না। আমাদের প্রয়োজন দেশজুড়ে আরও নতুন স্কুল তৈরি করা এবং স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার পরিবর্তে সেগুলিতে শিক্ষা ব্যবস্থার মান আরও উন্নত করা।” 

    এরপর শুরু হয় দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ট্যুইট যুদ্ধ। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তারপর পাল্টা ট্যুইটে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অসমে শিক্ষা ব্যবস্থার কী উন্নতি হয়েছে তা দেখতে তিনি সেই রাজ্যে আসবেন। আর তারপরেই অসমের মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত।

    আরও পড়ুন: অসমে ফের আলকায়দা জঙ্গির খোঁজ! যোগ মধ্যপ্রদেশ, বাংলার সঙ্গেও

    জনসভায় বক্তৃতা রাখার সময় বিশ্বশর্মা বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারের স্কুলগুলিকে উন্নত করতে ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করব। এর ফলে বেসরকারি স্কুলগুলির থেকেও দেখতে ভালো হবে রাজ্য সরকারের স্কুলগুলি। আমরা স্কুলগুলির পরিকাঠামোগত মানও উন্নত করব। এভাবেই রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার আসবে।”

    এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়েই কি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জবাব দিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা? এরপর কী প্রতিক্রিয়া আসবে কেজরিওয়ালের তরফ থেকে? এবার সেদিকেই অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছে নেট মহল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।     

     
     

     

     

  • MHA on Rohingya Issue: রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি, সাফ জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    MHA on Rohingya Issue: রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি, সাফ জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) উপকণ্ঠে রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থীদের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় হাউজিং অ্যান্ড আরবান অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। তবে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (MHA) তরফে সাফ জানানো হয়েছে, দিল্লিতে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে ফ্ল্যাট দেওয়ার কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। শুধু তাই নয়, মন্ত্রকের তরফে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও (Arvind Kejriwal) বলা হয়েছে রোহিঙ্গারা যেখানে ছিলেন, সেখানেই থাকুন। মন্ত্রকের জারি করা ওই নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবিরেই আপাতত থাকতে হবে যতদিন না পর্যন্ত তাঁদের আইন মেনে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।

    ট্যুইটবার্তায় পুরী লিখেছিলেন, ভারত বরাবরই এ দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য তৈরি করা ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাদের সাধারণ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে এবং দিল্লি পুলিশ ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার জন্য থাকবে। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি লিখেছিলেন, যাঁরা ভারতের শরণার্থী নীতিকে সিএএ-র সঙ্গে জুড়ে বিরোধিতা করে নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করতে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন ঘোষণায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে সরকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। বুধবার মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানান, মিডিয়ার একাংশ যেভাবে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের কেন্দ্রের তরফে সুবিধা দেওয়ার কথা প্রচার করছে, তা ঠিক নয়। মন্ত্রকের তরফে এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। স্বরাষ্ট্র দফতরের হিসেব বলছে, দিল্লি সহ গোটা দেশে হাজার চল্লিশেক রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছেন।

    আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্র দফতর দিল্লি সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে, রোহিঙ্গারা যেসব শরণার্থী শিবিরে ছিলেন, সেসব শিবিরেই থাকবেন। আইন মেনে তাদের দেশ থেকে বের করে না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা ওখানেই থাকবেন। মন্ত্রকের ওই মুখপাত্র বলেন, এখন রোহিঙ্গারা যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন দিল্লি সরকার তাকে এখনও শরণার্থী শিবির ঘোষণা করেনি। তাদের এখনই তা ঘোষণা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

     

  • Manish Sisodia: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির

    Manish Sisodia: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে হানা দিল সিবিআই আধিকারিকরা। শুক্রবার সকালে জানা গিয়েছে, দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে যে দুর্নীতি ও বিতর্কের শুরু হয়েছে, সেই সংক্রান্ত তদন্তেই শুক্রবার সকালে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। 

    এদিন সকাল আটটা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকরা মণীশ সিসোদিয়ার  বাড়িতে গেলেই পুলিশি নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয় বাড়ি। সূত্রের খবর, দিল্লির আবগারি নীতিতে বেনিয়মের যে অভিযোগ তুলেছিলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর, সেই তদন্তেই উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। মণীশ সিসোদিয়া নিজেই ট্যুইট করে সিবিআই আসার কথা জানিয়েছেন। তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাসও দেন তিনি।

    উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানার নিন্দা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। ট্যুইটবার্তায় তিনি বলেন, “যেদিন আমেরিকার সবথেকে বড় সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসে দিল্লির শিক্ষা মডেলের প্রশংসা করা হয়েছে এবং মণীশ সিসোদিয়ার ছবি প্রথম পাতায় ছাপানো হয়েছে, সেইদিনই মণীশের বাড়িতে কেন্দ্র থেকে সিবিআই পাঠানো হল। সিবিআইকে স্বাগত। আমরা তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করব। এর আগেও অনেক পরীক্ষা, তল্লাশি চালানো হয়েছে, কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি। এবারও কিছু পাওয়া যাবে না।”

    বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকেরা আসতেই মণীশ সিসোদিয়া পরপর ট্যুইট করে লেখেন, “সিবিআই এসেছে। আমরা সৎ, লক্ষাধিক শিশুর ভবিষ্যৎ তৈরি করছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই দেশে যারাই ভাল কাজ করেন, তাদের এইভাবে হেনস্থা হতে হয়। দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতির জন্য আমি যে কাজ করছি, তা কোনভাবেই আটকানো যাবে না।”

    আরও পড়ুন: অনুব্রতের চালকলে সিবিআই হানা! মিলল রাজ্য সরকারের স্টিকার লাগানো ৫টি গাড়ি

    সিবিআইকে স্বাগত জানিয়ে মণীশ  বলেন, তিনি চান সত্যিটা দ্রুত সামনে আসুক। তার জন্য সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তিনি। দুর্নীতি দমনের লক্ষ্যে এদিন সারা দেশের সাতটি রাজ্যের ২০টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। 

     

LinkedIn
Share