Tag: attack

attack

  • Hindus Under Attack: ভারত ও বিদেশে চলছে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ আক্রমণ, এক সপ্তাহের খতিয়ান দেখলে চমকে যাবেন

    Hindus Under Attack: ভারত ও বিদেশে চলছে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ আক্রমণ, এক সপ্তাহের খতিয়ান দেখলে চমকে যাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর ক্রমাগত নিদারুণ আক্রমণ (Hindus Under Attack) চলছে। বিশ্বের বহু অঞ্চলে এই নির্যাতন ধীরগতিতে সংঘটিত একটি গণহত্যার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে (Roundup Week)। হিন্দুবিদ্বেষী সংকীর্ণ মানসিকতার কারণে দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণের প্রকৃত গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করে এসেছে। হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, জমি দখল, উৎসব-অনুষ্ঠানে হস্তক্ষেপ, মন্দির ও মূর্তি অপবিত্রকরণ, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত – হিন্দুরা তাঁদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান আক্রমণের পাশাপাশি অভূতপূর্ব হিন্দুবিদ্বেষের মুখোমুখি হচ্ছেন। চলতি বছরের ৬ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল এই সাতদিনে বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের ওপর সংঘটিত অপরাধগুলির দিকে আমরা একবার চোখ বুলিয়ে নিই।

    ভারত (Hindus Under Attack)

    উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার বারগুম কাচারি বাড়ি এলাকায় অগ্রদূত ক্লাব আয়োজিত বাসন্তী পুজোর প্যান্ডেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে যায় প্রতিমাগুলি। ‘প্রার্থনা সভা’ বা ‘স্বাস্থ্য উদ্ধার সভা’র অছিলায় স্থানীয় হিন্দুদের জবরদস্তিমূলক খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে এক পাদ্রি-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকান্ডা থানার বাহাতরাই অঞ্চলের ঘটনা। দাগী আসামি ওয়াজিদ শাহেনশা রামনবমী উদযাপনে বিঘ্ন ঘটাতে বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। গালিগালাজও করে। আহমেদাবাদের দানিলিমদার ঘটনা। পুনের কোঠরুডে একটি ইউনিসেক্স সেলুনের বিরুদ্ধে ইসলামিক ধর্মান্তর ও লাভ জিহাদে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একটি ভিডিওয় সত্য সনাতন ধর্ম নামক সংগঠনের সদস্যদের জাভেদ ও আরমান নামে দুই মুসলমানকে এক হিন্দু মেয়েকে কালমা পড়তে বাধ্য করা হতে দেখা গিয়েছে।

    হিংসাত্মক বিক্ষোভ

    ওয়াকফ আইন ২০২৫ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ইসলামিস্টদের দ্বারা হিংসাত্মক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মালদার নিমতিতা স্টেশন ছিল এই অশান্তির ভরকেন্দ্র। এখানে ইসলামিস্টরা “আল্লাহু আকবর” ধ্বনি দিয়ে রেল ট্র্যাক দখল করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দয়ে বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের উননাওয়ে ওয়াকফ বিল নিয়ে তর্কে জড়িয়ে এক ক্যাব ড্রাইভার ওয়াসিম ও তার সহযোগীরা এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারকে আক্রমণ করে। অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্নেলের নাম সূর্য প্রতাপ সিং। জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় আম আদমি পার্টির বিধায়ক মেহরাজ মালিকের হিন্দুদের লক্ষ্য করে আপত্তিজনক মন্তব্য করার পর হাতাহাতি হয়। বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদে সভা স্থগিত করতে বাধ্য হয়। ঠাকুরগাঁও জেলায় ইসলামিস্টরা একটি শ্মশানের জমি দখলের চেষ্টা করে। অভিযোগ, শ্মশানে প্রিয়জনের দেহ সৎকার করতে যাওয়া হিন্দুদের ওপর হামলা চালায় ইসলামিস্টরা (Hindus Under Attack)।

    নাবালিকাকে ধর্ষণ

    পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মন্তাজ হোসেন নামে এক যুবক হিন্দু নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কলকাতার নিউ টাউন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বারাণসীতে এক ছাত্রীকে টানা ছ’দিন ধরে যৌন নির্যাতন করা হয়। ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই ইসলামিস্ট। বিহারের সারণের রেওয়েলগঞ্জ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ গির্জা ভেঙে ফেলেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, খ্রিস্টান মিশনারিরা লোভ দেখিয়ে তাঁদের জোরপূর্বক খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছিল (Roundup Week)।

    ইউটিউবারকে হুমকি

    হিমাচলের উনা জেলার ইউটিউবার রোহিত কাটওয়ালকে খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলি হুমকি দেয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আজমগড়ের আহিরৌলা থানা এলাকার আরুশা গ্রামে একটি বাড়ির ভিতরে বড় ধরনের খ্রিস্টান ধর্মান্তরের পর্দা ফাঁস করেছে। গুজরাটের আহমেদাবাদে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুসলিম জনতা রাস্তায় নমাজ আদায় করে। তারা ‘মসজিদ কেড়ে নেওয়া হবে’ এই স্লোগান দিয়ে উত্তেজনা বাড়ায়। ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটছে। জাফরাবাদ এলাকায় দুজন হিন্দু নিহত হন। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুসলিম জনতা সামশেরগঞ্জেই এক হিন্দু দম্পতির দোকানে হামলা চালায় (Hindus Under Attack)।

    পাকিস্তান

    পাকিস্তানের হিন্দু নাবালিকাদের অপহরণ, ধর্ষণ, জোর করে ধর্মান্তরকরণ ও বিয়ের ঘটনা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কেবল সিন্ধ প্রদেশেই প্রতি বছর কমপক্ষে ১০০০ সংখ্যালঘু মেয়ে এই ধরনের যৌন দাসত্বের শিকার হয়। হিন্দু মন্দিরে নিয়মিত হামলাও হয়। সিন্ধের উমরকোট জেলার ২০ বছরের যুবক সুরজ কুমার রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার পর হঠাৎই মুহাম্মদ আলি নামে একজন নতুন ইসলামিক পরিচয় নিয়ে আবির্ভূত হন। সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, নিখোঁজ থাকাকালে গুলজার খলিলে তিনি স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন (Roundup Week)।

    বাংলাদেশ

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিরবচ্ছিন্ন হামলা হয়েই চলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বারাকাতের গবেষণা অনুযায়ী, প্রাতিষ্ঠানিক ও পদ্ধতিগত নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে একজনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না। মন্দির অপবিত্রকরণ, জমি দখল, মিথ্যা মামলার পর জনতার দ্বারা হামলা, ধর্ষণ, জবরদস্তি ধর্মান্তরকরণ এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য হিন্দুদের বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য করছে। টাঙ্গাইল জেলায় উন্মত্ত মুসলিম জনতা জনৈক অখিল চন্দ্র মন্ডলের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ এনে তাঁকে পিটিয়ে (Hindus Under Attack) হত্যা করার চেষ্টা করে।

    কানাডা

    কানাডার অটোয়ায় ভারতীয় নাগরিক ধর্মেশ কাথিরিয়াকে খুন করেন এক শ্বেতাঙ্গ। আক্রমণকারী ধর্মেশের স্ত্রীকেও ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, আক্রমণকারী গিলস মার্টেল আগে ধর্মেশ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে (Roundup Week) জাতিগত বিদ্বেষমূলক ও ভারত-বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন (Hindus Under Attack)।

  • Anti Hindu Attacks: শুধু মার্চেই ৮ জায়গায় হামলা! মমতা জমানায় এপার বাংলায়ও বাড়ছে মন্দির-মূর্তি ধ্বংসের ঘটনা

    Anti Hindu Attacks: শুধু মার্চেই ৮ জায়গায় হামলা! মমতা জমানায় এপার বাংলায়ও বাড়ছে মন্দির-মূর্তি ধ্বংসের ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও (Anti Hindu Attacks)! এখানেও নির্বিচারে ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দুদের (West Bengal) মন্দির-বিগ্রহ। বিরোধীদের অভিযোগ, এ রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এই হিংসা নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। হিন্দুদের উপাসনালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং হামলার ঘটনা ঘটছে। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ মালদার মোথাবাড়ি। অভিযোগ, সেখানে পুলিশ গিয়ে হিন্দু মহিলাদের বলছেন শাঁখা-পলা খুলে ফেলতে, কালো কাপড়ে মুখ ঢাকতে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণ নীতি, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং হিংসা মোকাবিলায় ব্যর্থতার কারণে পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। চলতি বছরের মার্চেই এ রাজ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে আটটি। এই তালিকায় রয়েছে মোথাবাড়িও। আসুন, দেখে নেওয়া যাক গত মাসে কোথায় কোথায় আক্রান্ত হয়েছে হিন্দুদের দেবালয়।

    বারুইপুরে মূর্তি পোড়ানোর অভিযোগ (Anti Hindu Attacks)

    ৭ মার্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর শহরে মা শীতলার মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। পরে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। খবরে প্রকাশ, শেখ ইন্দু নামে এক ব্যক্তি মূর্তিটি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, মূর্তিটি পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে। যে মন্দিরে মূর্তিটি ছিল, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটিও। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত শেখকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে যায়। এদিনই এক ট্যুইট-বার্তায় বারুইপুর পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তি বহিরাগত। তার মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা রয়েছে। ওই ট্যুইটে তাকে অসুস্থ মস্তিষ্কের ব্যক্তি বলে উল্লেখ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মামলা দায়ের হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।

    নওদায় হিন্দুদের দোকান ও সম্পত্তি ভাঙচুর

    এর ঠিক দুদিন পরেই মুর্শিবাদের (West Bengal) নওদায় হিন্দুদের দোকান ও সম্পত্তির ওপর হামলা হয়। গত ৯ মার্চ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে জানান, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা ব্লকের পাটিকাবাড়ি বাজারে হিন্দুদের দোকান ও সম্পত্তিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “কয়েক ঘণ্টা আগে, অপরাধীরা মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা ব্লকের পাটিকাবাড়ি বাজারে হিন্দুদের দোকান ও সম্পত্তি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়।” তিনি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও মুখ্য সচিবের হস্তক্ষেপ চেয়ে দ্রুত শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুভেন্দু বিএসএফ মোতায়েনের দাবিও জানান। তিনি বলেন, “যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে আমি অনুরোধ করব, মাননীয় রাজ্যপালকে বিএসএফ পার্সোনাল মোতায়েনের অনুরোধ করুন, যাতে শীঘ্রই আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যায় এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়।”

    বসিরহাটে কালী মন্দিরে হামলা

    এই ৯ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনার (Anti Hindu Attacks) বসিরহাট শহরের শাঁখচূড়া বাজারে একটি কালী মন্দিরে হামলার খবর প্রকাশিত হয়। এক্স হ্যান্ডেলে এ নিয়ে একটি পোস্ট করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার পরেই ঘটনাটি আসে প্রকাশ্যে। তিনি জানান, হিন্দু দেবতার মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা শাহানূর মণ্ডলের নেতৃত্বে ওই মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে। এর ঠিক কয়েক ঘন্টা পরেই পুলিশের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই ঘটনায় কোনও সাম্প্রদায়িক ব্যাপার নেই। কালী মূর্তি ভাঙচুরের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে।

    নন্দীগ্রামে মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর

    ১৪ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের কামালপুরের একটি হিন্দু মন্দিরে দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টের মাধ্যমে ঘটনাটি জনসমক্ষে আনেন। ওই পোস্টে ভাঙচুর করা মূর্তির একটি ভিডিও-ও জোড়া ছিল। মালব্যর অভিযোগ, কিছু ব্যক্তি পূজা ও রাম নারায়ণ কীর্তন সহ্য করতে না পেরে মন্দিরে ভাঙচুর চালায় এবং মূর্তির অবমাননা করে। তিনি পরিস্থিতির গুরুত্বও তুলে ধরেন। পোস্টের ওই ভিডিওয় দেখা যায়, এক ব্যক্তি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলছেন যে তারা কিছুই (West Bengal) করছে না। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ভাঙচুর করা মূর্তির ভিডিও যিনি বানাচ্ছিলেন, একজন পুলিশ অফিসার তাঁকে ভয় দেখাচ্ছেন।

    শিরোনামে মোথাবাড়িও

    ২৭ মার্চ মোথাবাড়ি গ্রামে ব্যাপক হিংসা হয়। অভিযোগ, মুসলিম জনতা হিন্দুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িগুলিকে টার্গেট করেছিল (Anti Hindu Attacks)। বিজেওয়াইএম নেতা অচিন্ত্য মণ্ডলের শেয়ার করা একটি ভিডিও-সহ প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এক হিন্দু মহিলা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, “মুসলিমরা হিন্দুদের বাড়িঘর ধ্বংস করেছে।ভয়ে আমরা লুকিয়েছিলাম।” তাঁর অভিযোগ, বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করার পর টাকা-পয়সা ও জিনিসপত্রও লুট করা হয়েছে। তিনি বলেন, “পুলিশ তাদের প্রাণ নিয়ে দৌড়েছে। তারা আমাদের বাঁচায়নি।”

    আর এক হিন্দু মহিলার দাবি, তাঁদের ধর্মীয় পরিচয় গোপন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমাদের শাঁখা-পলা খুলে হিজাবের মতো মাথা ঢাকতে হচ্ছে। আমরা অনিচ্ছা সত্ত্বেও তা করতে বাধ্য হচ্ছি।” তাঁর অভিযোগ, নারীদের অপহরণ ও নির্যাতন করা হচ্ছে। হিন্দুদের বাড়ি লক্ষ্য করে অবিরাম পাথর ছোড়া হচ্ছে। হিন্দু নারীরা কোনও দাবি মানতে না চাইলে শিশুদের অপহরণ ও হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।

    ঝাউবোনায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    ২৯ মার্চ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডেলে কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করে মুর্শিদাবাদের ঝাউবোনায় হিন্দুদের (Anti Hindu Attacks) ওপর হামলার অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, হিন্দুদের মালিকানাধীন সুপারি বাগানে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং দোকান লুট করা হয়েছে। এই ঘটনাগুলিকে তিনি জিহাদি মবস দ্বারা সংঘটিত হিংসা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ট্যুইট-বার্তায় তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণ নীতির অধীনে হিন্দুদের ওপর আর একটি ভয়ঙ্কর হামলা! মোথাবাড়ি হাঙ্গামার পর জিহাদি মবস ঝাউবোনা, নওদা (মুর্শিদাবাদ)-এ সন্ত্রাস ছড়িয়েছে। অন্ধকারের আড়ালে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দুদের সুপারি বাগানে আগুন ধরিয়ে দেয়, ঝাউবোনা ও ত্রিমোহিনী বাজারের দোকান লুটপাট করে এবং নিরীহ হিন্দুদের আক্রমণ করে।”

    দক্ষিণ দিনাজপুর মন্দিরে ভাঙচুর

    ৩০ মার্চ সুকান্ত ফের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের কেশবপুর গ্রামের একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছে, মন্দির চত্বরে শীতলা মায়ের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “দক্ষিণ দিনাজপুরের (West Bengal) জাহাঙ্গিরপুর অঞ্চলের কেশবপুরে শ্রী শ্রী শীতলা মায়ের মন্দিরের ধ্বংসস্তূপ দেখুন। রাতের আড়ালে মন্দিরটি ভাঙচুর করা হয়েছে। মায়ের মূর্তিটি এমনভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে যা বাংলাদেশের মৌলবাদী জিহাদিদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় (Anti Hindu Attacks)।”

  • Islamists Attack: এবার ক্রীড়াপ্রেমীদের মিছিলে হামলা মুসলমানদের, গাড়ি-দোকানদানিতে আগুন

    Islamists Attack: এবার ক্রীড়াপ্রেমীদের মিছিলে হামলা মুসলমানদের, গাড়ি-দোকানদানিতে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম নবমীর মিছিলে হয়েছিল হামলা। এবার হামলা হল ভারতের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) জয় উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় মিছিলেও। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছর, তৃণমূল শাসিত বাংলায়। আর এবারের ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে। ফেরা যাক খবরে।

    মিছিল লক্ষ্য করে পাথর (Islamists Attack)

    আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ জয়ী হয় ভারত। সেই উপলক্ষে সোমবার মহোওয় একটি মিছিল করেন স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা। মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন ক্রিকেট লাভার্সরাও। অভিযোগ, মিছিল যখন জামা মসজিদ এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন আচমকাই মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় (Islamists Attack)। এলোপাথাড়ি পাথর ছোড়ায় অল্পবিস্তর জখম হন কয়েকজন। এর পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে মিছিলে থাকা ক্রীড়াপ্রেমীরা। দুপক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে বাইক ফেলেই পালিয়ে যান মিছিলে থাকা লোকজন।

    ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

    তার পরেই হামলাকারীরা একতরফা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাতে থাকে। মিছিলে হামলাকারীরা কয়েকটি যানবাহন এবং হিন্দুদের দোকানেও আগুন লাগিয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মসজিদের কাছে থাকা লোকজনের হঠাৎ হামলায় হকচকিয়ে যান মিছিলে থাকা লোকজন। পরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তাঁরা। কিন্তু বস্তুত মুসলমানদের আক্রমণের সামনে সেই প্রতিরোধ ভেসে যায় খড়কুটোর মতো। প্রাণ বাঁচাতে দৌড় লাগান ক্রীড়াপ্রেমীরা। রে রে করে তাঁদের পেছনে ছুটে যায় হামলাকারীরা। পরে তারা অন্তত দুটি গাড়ি এবং দুটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। গাড়ি এবং দোকানগুলি হিন্দুদের।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    ক্রীড়াপ্রেমীদের মিছিলে হামলার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহোওর এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, “র‍্যালিটি (Islamists Attack) শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। মিছিল যখন জামা মসজিদের কাছে পৌঁছায়, তখন একদল ইসলামপন্থী পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। ফলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মানুষ তাঁদের জীবন বাঁচানোর জন্য ছুটতে শুরু করেন। দুষ্কৃতীরা গাড়ি ও দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়।”

    বিশাল পুলিশ বাহিনী

    খবর পেয়ে দ্রুত ইন্দোর গ্রামীণ ও ইন্দোর শহর থেকে নিয়ে গিয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে দেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সঙ্গে সঙ্গেই দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ কর্মীদের সেখানে পাঠানো হয়। মহোও একটি সেনানিবাস শহর। সেখানে সেনা ইউনিটগুলিও সতর্ক ছিল। যদিও অল্পক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই আর অতিরিক্ত সামরিক বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন হয়নি। প্রসঙ্গত, ইন্দোর জেলা সদর থেকে মাত্র পঁচিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মহোও শহর। সোমবার সকালে এখানেই ঘটে হিংসার ঘটনা। দুবাইয়ে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের জয় উপলক্ষে একদল তরুণ ক্রিকেটপ্রেমী বিজয় সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। সেই উপলক্ষে প্রথমে হয় মিছিল। সেই মিছিলেই হামলা চালায় মসজিদ এলাকার লোকজন।

    কী বলছেন এসপি

    এ প্রসঙ্গে ইন্দোর গ্রামীণ সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (SP) হিতিকা বাসল বলেন, “দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা (Islamists Attack) সৃষ্টি হয়। যার ফলে পাথর নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। র‍্যালির সময় আতশবাজি সংক্রান্ত একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এই হিংসার ঘটনা শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিনজন জখম হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা জনগণকে অনুরোধ করছি যেন কোনও ভুয়ো খবরে বিশ্বাস না করেন তাঁরা। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা এলাকায় টহল দিচ্ছি। ঘটনাটি তদন্ত করা হবে (Champions Trophy)। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    ইন্দোর জেলার কালেক্টর আশিস সিং বলেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” মানুষকে শান্ত থাকার ও গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। আশিস বলেন, “এলাকায় শান্তি ফিরে এসেছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। আমি নাগরিকদের ধৈর্য ধরতে ও ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাই। যারা এই হিংসার সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”

    পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি, গ্রামাঞ্চল) নিমিশ আগরওয়াল বলেন, “ঘটনার সঠিক ক্রম এবং দোষীদের (Islamists Attack) চিহ্নিত করার জন্য প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে।” তিনি বলেন, “টিম ইন্ডিয়ার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের উদযাপনের সময় সংঘর্ষ বাঁধে। এখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি আইন নিজেদের হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য। আমাদের তদন্ত নিশ্চিত করবে যে হিংসার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী অন্তত চারজন জখম হয়েছেন। তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে আরও বিস্তারিত তথ্য (Champions Trophy) প্রকাশ পাবে।”

  • Saif Ali Khan: সইফ আলি খানের হামলাকারী বাংলাদেশি, ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    Saif Ali Khan: সইফ আলি খানের হামলাকারী বাংলাদেশি, ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) হামলাকারীর পরিচয় জানা গিয়েছে। দুষ্কৃতী বাংলাদেশের (Bangladeshi) নাগরিক। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুষ্কৃতী মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদ নিজে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। শুধু তাই নয় নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখতে বিজয় দাস নাম নিয়েছে। তার কাছে কোনও বৈধ পরিচয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আজ তাকে আদালতে তোলা হয়েছে। ধৃতের বাংলাদেশি পরিচয়ে এখন এই হামলাকাণ্ড নয়া মোড় নিল। 

    ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত (Saif Ali Khan)

    লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা আহত অভিনেতা সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan)  সম্পর্কে জানিয়েছেন, তিনি ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন। অপর দিকে হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত বাংলাদেশি যুবক শাহজাদকে রবিবার বান্দ্রা আদালত পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ধৃতের আইনজীবী বলেন, “এই গ্রেফতার সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি। আগে থেকে পুলিশ কোনও রকম নোটিশ দেয়নি। আমার মক্কেল অনেক দিন যাবত মুম্বই শহরে বসবাস করছেন। সেই জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পেশ করেছি আদালতে। তিনি কোনও পেশাদারি দুষ্কৃতী (Bangladeshi) নন। তাঁর একটি অল্পবয়স্ক ছেলে রয়েছে। মামলাটি যেহেতু বলিউড অভিনেতা সম্পর্কিত, তাই চক্রান্ত চলছে।” অপর দিকে তদন্তকারী অফিসার আদালতে জানিয়েছেন, “ঘটনায় যে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তার একটি অংশ অভিনেতার ঘাড় থেকে উদ্ধার হয়েছে, একটি অংশ অপরাধের ঘটনাস্থল থেকে এবং বাকি আর একটি অংশ কোথাও ফেলে দিয়েছে অভিযুক্ত।” মুম্বই পুলিশের ডিসিপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, থানে এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ঝোপ জঙ্গলের মধ্যে জড়ো করা শুকনো ঘাসের মধ্যে শুয়ে ছিলেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে কাস্তে জাতীয় ধারালো অস্ত্র এবং একটি তোয়ালেও পাওয়া গিয়েছে।

    একাধিক অপরাধকাণ্ডে জড়িত বাংলাদেশিরা

    ভারতের নানা প্রান্তে বাংলাদেশি (Bangladeshi) অনুপ্রবেশকারীরা নানা রকম অপরাধ কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। সম্প্রতি তামিলনাড়ু থেকে ৩১ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। আবার পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থেকে একাধিক জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। বর্ধমানের খাগড়াগড়কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড-ও বাংলাদেশি ছিল। মালদায় তৃণমূল পঞ্চায়েতর এক প্রধানের পরিচয় জানা গিয়েছে। তিনিও অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: বীজাপুরে মাও হামলা, ফের ডেডলাইন বেঁধে দিলেন শাহ

    Amit Shah: বীজাপুরে মাও হামলা, ফের ডেডলাইন বেঁধে দিলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেড লাইন বেঁধে দিয়েছিলেন আগেই। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) আরও একবার জানিয়ে দিলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যেই দেশ থেকে নকশালদের (Naxal Elimination) সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা হবে। ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের দ্বারা নিহতদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি।

    মাও হামলা (Amit Shah)

    সোমবার দুপুর ২টো ১৫ নাগাদ নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল মাও-দমন অভিযান সেরে এসইউভি গাড়িতে চড়ে বীজাপুরের কুটরু রোড এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এই সময় আচমকাই ঘটে আইইডি বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের অভিঘাতে দুমড়ে মুচড়ে যায় জওয়ানদের গাড়িটি। শহিদ হন ৯ জন জওয়ান।

    কী লিখলেন শাহ?

    ঘটনার পর এক্স হ্যান্ডেলে শোক জ্ঞাপন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি লেখেন, “এই শোককে ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব, তবে আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি যে আমাদের সেনাদের ত্যাগ বৃথা যাবে না। আমরা ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ভারতের মাওবাদী সন্ত্রাস (নকশালবাদ) সমাপ্ত করব।” গত দুবছরে এটিই ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর মাওবাদীদের সব চেয়ে বড় হামলার ঘটনা। এটি চলতি বছরে ছত্তিশগড়ে চতুর্থ মাওবাদী হামলার ঘটনা। গত ৩ জানুয়ারি গড়িয়াবন্দ জেলায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে এনকাউন্টারে ৩ মাওবাদীর মৃত্যু হয়।

    প্রসঙ্গত, ছত্তিশগড়ের (Amit Shah) এদিনের ঘটনা জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ের ওপর হামলার স্মৃতি উসকে দিল। পুলওয়ামায় ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সিআরপিএফ কনভয়ের ওপর হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ওই হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান।

    আরও পড়ুন: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    এদিকে, ছত্তিশগড়েরই দক্ষিণ আবুজমাদে শনিবার গভীর রাতে গুলি বিনিময় হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের। এনকাউন্টার চলাকালীনই উদ্ধার হয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনীর পোশাক পরা ৪ মাওবাদীর দেহ। সোমবার সকালে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় (Amit Shah) আরও এক মাওবাদীর (Naxal Elimination) দেহ। মৃত ৫ জনের মধ্যে ২জন মহিলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh:  এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলবাদীদের হামলার অভিযোগ, ভাঙা হয়েছে মুজিবুরের ছবিও!  

    Bangladesh: এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলবাদীদের হামলার অভিযোগ, ভাঙা হয়েছে মুজিবুরের ছবিও!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ অগাস্ট থেকে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। বিএনপি, জামাত এবং ছাত্র শিবিরের তাণ্ডবে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জনজীবন বিপন্নের মুখে। বারবার দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। ভাঙা হয়েছে আসবাবপত্র এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে ক্যাম্পাসে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি মাদ্রাসায় পরিণত করার ছক (Bangladesh)?

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সম্পাদক জিনাত হুদা বলেন, “শনিবার রাত ১০টার দিকে শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে সরকার পক্ষের ২০-৩০ জনের একটি দল জোর করে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য রাখা ফুল ছিঁড়ে নষ্ট করা হয়। ভাঙা হয় জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।” তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই হামলার পিছনে নাম জড়িয়েছে কট্টর মৌলবাদীদের। জানা গিয়েছে এই কট্টর মুসলিম দুষ্কৃতীদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি খুব দ্রুত মাদ্রাসায় পরিণয় হবে? এখন এই প্রশ্ন ওই দেশের প্রগতিশীল মানুষের মুখে উঠছে।

    আরও পড়ুনঃ রাশিয়ার পর সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করল আমেরিকাও, স্বীকার বিদেশমন্ত্রীর

    হিন্দুদের ওপর লাগাতার হিংসা অব্যাহত

    উল্লেখ্য, হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকেই বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদীরা দেশের নাম, মানচিত্র, জাতীয় সঙ্গীত এবং ধর্মীয় পরিচয়কে নস্যাৎ করতে ব্যাপক ভাবে দাপাদাপি করছে। দেশের জেলগুলি থেকে বন্দি এবং দুষ্কৃতীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। লাগাতার হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে রংপুর, চট্টগ্রামে ধর্মসভা করেছিলেন ধর্মগুরু চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। এরপর ইউনূস প্রশাসন মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। এরপর থেকেই নেত্রকোনা, রাজশাহী, বরিশাল এবং ঢাকার একাধিক জায়গায় হিন্দু মন্দির, বাড়িঘর, সম্পত্তিলুট, ধর্ষণ, খুনের মতো একাধিক অত্যাচারের ঘটনা হিন্দু জনজীবনকে আরও বিপন্ন করে দিয়েছে। হিন্দু নারীদের বাড়ির বাইরে থেকে বের হওয়া, বাজার, স্কুল, কলেজে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৌলবাদীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sambhal Violence: সম্ভলে আক্রমণ ও হিংসার ঘটনায় তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন

    Sambhal Violence: সম্ভলে আক্রমণ ও হিংসার ঘটনায় তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্ভলের (Sambhal-Violence) মসজিদ জরিপ চলাকালীন উগ্র মুসলিম জনতার হামলার ঘটনায় তদন্তের জন্য তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে। রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেলের নির্দেশে গত ২৪ নভেম্বরের হিংসার ঘটনায় তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন (Judicial panel) গঠন করা হয়েছে। উল্লেখ্য ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের সমীক্ষায় এই মসজিদে হিন্দু মন্দিরের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। হিন্দু পক্ষের দাবি, মসজিদ হল হিন্দু দেবতা হরিহরের মন্দির। বাবরের সময়ে এই মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল।

    চার জন মারা যান এবং বেশ কিছু পুলিশ কর্মী আহত (Sambhal-Violence)

    জানা গিয়েছে, সম্ভলের (Sambhal-Violence) কোট গারভি এলাকায় শাহি জামা মসজিদের জমি বিবাদ নিয়ে আদালতের নির্দেশে জরিপের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু গত রবিবার সমীক্ষা করতে গেলে সরকারি কর্মচারী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপর ব্যাপক পরিমাণে ইট-পাথর ছোড়ে মুসলিম দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছায়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। বেশ কিছু সরকারি আধিকারিক ও পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হন। একই ভাবে হিংসাত্মক হামলায় চার দুষ্কৃতী মারা যায়। তবে এই মন্দিরের একটি পিটিশনে উল্লেখ করা হয়, মসজিদ আদতে হরিহর মন্দির ছিল। মুসলমান শাসকরা মন্দির ভেঙে মসজিত নির্মাণ করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    প্রকৃত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করার নির্দেশ

    ২৮ নভেম্বর, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, “ঘটনার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং বিস্তৃত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করা হবে।” জানা গিয়েছে, এই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনে (Judicial panel) থাকবেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবেন্দ্র কুমার আরোরা। সেই সঙ্গে বাকি সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার অমিত মোহন প্রসাদ এবং অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার অরবিন্দ কুমার জৈন। ২৪ অক্টোবর সুপরিকল্পিত ভাবে হিংসার ঘটনা (Sambhal-Violence) ঘটানো হয়েছে কিনা সেই বিষয়েও তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে হিংসার ঘটনা ২৪ অক্টোবর ঘটলেও তার সূত্রপাত হয়েছিল ১৯ অক্টোবর থেকেই। ফলে এই প্ররোচনা এবং ষড়যন্ত্রের পিছনে ঠিক কারা কারা যুক্ত তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: মধ্যপ্রাচ্যে রণদামামা! ইজরায়েলে হামলা ইরানের, “মাশুল গুণতে হবে”, বলছেন নেতানিয়াহু

    Israel: মধ্যপ্রাচ্যে রণদামামা! ইজরায়েলে হামলা ইরানের, “মাশুল গুণতে হবে”, বলছেন নেতানিয়াহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে বাজল রণদামামা! এবার ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান (Irans Attack)। তার পরেই তেহরানকে (ইরানের রাজধানী) যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বললেন, “ইরানকে এই ভুলের মাশুল গুণতে হবে।” ইজরায়েল ও ইরানের দ্বন্দ্বে তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা।

    হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর বদলা! (Israel)

    ইজরায়েলি সেনার হামলায় খতম হয়েছে লেবাননের মদতপুষ্ট সংগঠন হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর বদলা নিতে ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তেল আভিভের দাবি, ইরানের তরফে অন্তত ১৮১টি মিসাইল ছোড়া হয়েছে। তবে তার বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা গিয়েছে। তেল আভিভের কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জখমও হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। এর পরেই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরাট ভুল করে ফেলেছে ইরান। যথা সময়ে ওরা এর জবাব পেয়ে যাবে। আমরা তৈরিই রয়েছি।” তিনি বলেন, “যারাই আমাদের আক্রমণ করবে, আমরা তাদের যোগ্য জবাব দেব।”

    আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ইরানের

    ইরান যে ইজরায়েলে হামলা চালাতে চলেছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আগেই। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর খবর পেয়ে তেহরানে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার মানুষ। নাসরাল্লার মৃত্যুর বদলা নেওয়ার দাবি জানায় তারা। চাপে পড়ে যায় ইরান সরকার। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দেয় তারা। জানিয়ে দেয়, এর (নাসরাল্লার মৃত্যু) ফল ভালো হবে না। এর পরেই মঙ্গলবার রাতে ইজরায়েলে হামলা চালায় ইরান। ইজরায়েল-ইরানের এই দ্বন্দ্বে আমেরিকা যাতে না জড়ায়, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে তেহরান। আমেরিকার উদ্দেশে তাদের হুমকি, আমেরিকা এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ইরাকে মার্কিন বেস লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে। ইজরায়েল প্রতিশোধ নিতে এলে তার পরিণাম ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ইরানের তরফে।

    ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, রিপোর্ট গেল শাহের মন্ত্রকে
    এদিকে, ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর ইসলামি রাষ্ট্র ইরানের হামলার পর জরুরি বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও। আমেরিকার নিরাপত্তা সংক্রান্ত আধিকারিকরা ছিলেন বৈঠকে। বৈঠকের পর ইজরায়েলকে সাহায্যের নির্দেশ দেওয়া হয় মার্কিন সেনাকে। ইজরায়েলে ইরানের হামলার (Irans Attack) নিন্দাও করেছে বাইডেন সরকার। আমেরিকা যে ইজরায়েলের (Israel) পাশে রয়েছে, তাও জানিয়ে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel-Lebanon Conflict: লেবাননে ঢুকে হামলা শুরু ইজরায়েলের, হিজবুল্লাকে সমূলে উৎখাতের ডাক!

    Israel-Lebanon Conflict: লেবাননে ঢুকে হামলা শুরু ইজরায়েলের, হিজবুল্লাকে সমূলে উৎখাতের ডাক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেজার ও ওয়াকি-টকি হামলা (Attack), দুই সপ্তাহের বিমান হামলার পর এবার স্থলপথে লেবাননে আক্রমণ শুরু করল ইজরায়েল। এবার রীতিমতো আগাম ঘোষণা করেই লেবাননে (Israel-Lebanon Conflict)  ঢুকে অভিযান শুরু করল তারা। মঙ্গলবার ভোরে ইজরায়েলি সেনার তরফে জানানো হয়, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লার ঘাঁটিতে নিয়ন্ত্রিত হামলা চালানো হবে। মূলত স্থলপথে হওয়া এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন নর্দার্ন অ্যারো’।

    ইজরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছে আমেরিকা (Israel-Lebanon Conflict)  

    ইজরায়েলি সেনা সূত্রে খবর, হামাসের মতো হিজবুল্লারও গোপন সুড়ঙ্গগুলিকে নজরে রাখা হচ্ছে। ইরানের মদতপুষ্ট লেবাননের সশস্ত্র সংগঠনটির ভূগর্ভস্থ ‘নেটওয়ার্ক’ ধ্বংস করতে চাইছে ইজরায়েল (Israel-Lebanon Conflict)। ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালেই হিজবুল্লার সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েছে ইজরায়েলি সেনা। ইজরায়েলের সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ লেবানন ধরে সুড়ঙ্গগুলিতে এগোচ্ছে সেনা। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ লেবাননের হিজবুল্লা ঘাঁটি দাহিয়ে থেকে সকলকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইজরায়েল। ইজরায়েল স্থলাভিযান শুরুর ঘোষণা করার পরেই আমেরিকা বন্ধুরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, ইজরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকারকে’ সমর্থন করছে পেন্টাগন।

    আরও পড়ুন: মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

     গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ জন নিহত

    গত সপ্তাহে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লাকে হত্যার পর ইজরায়েলের এটাই প্রথম স্থলপথে আক্রমণ। লেবানন (Israel-Lebanon Conflict)  সরকারের মতে, ধারাবাহিক বিমান হামলায় ইজরায়েল অনেক হিজবুল্লা কমান্ডারকে নির্মূল করেছে। ইজরায়েলের হামলায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ১,০০০ ছুঁয়েছে। এছাড়া, ১০ লক্ষ মানুষ তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রককে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল, পূর্ব বেকা উপত্যকা এবং বেইরুটে ইজরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৯৫ জন নিহত এবং ১৭২ জন আহত হয়েছেন।

    হুথিকেও নিশানা

    লেবাননের (Israel-Lebanon Conflict) পাশাপাশি ইরানের মদতপুষ্ট আর এক সশস্ত্র গোষ্ঠী, ইয়েমেনের হুথিকেও নিশানা করছে ইজরায়েল। রবিবার ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, ইয়েমেনের হোদেইদা শহরে হুথি নিয়ন্ত্রিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সমুদ্রবন্দরে হামলা চালানো হয়েছে। গত শনিবার ইজরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল হুথি। ঠিক সেই সময়ই আমেরিকা সফর শেষ করে ওই বিমানবন্দরে অবতরণ করেন নেতানিয়াহু। তবে তাঁকে নিরাপদেই বিমানবন্দর থেকে বার করে আনা হয়।

    নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা মোদির

    পশ্চিম এশিয়া জুড়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার ইজরায়েলের (Israel-Lebanon Conflict) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন। এই অঞ্চলে আরও উত্তেজনা রোধ করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। মোদি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “আমাদের বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের কোনও স্থান নেই। আঞ্চলিক উত্তেজনা রোধ করা এবং সমস্ত পণবন্দিদের নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Muslims Attack: হিন্দুদের ওপর আক্রমণ ভারতেই! গণেশ মূর্তি কিনে ফেরার পথে একতরফা হামলা, জখম যুবক

    Muslims Attack: হিন্দুদের ওপর আক্রমণ ভারতেই! গণেশ মূর্তি কিনে ফেরার পথে একতরফা হামলা, জখম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের (Hindu Youth) ওপর হামলা মুসলমানদের (Muslims Attack)। না, না, বাংলাদেশ নয়, এই ঘটনা ঘটেছে ভারতেই। আরও স্পষ্ট করে বললে, গুজরাটের কচ্ছ জেলার মুন্দ্রা এলাকায়। ইসলামপন্থীদের ওই হামলায় জখম হয়েছে যুবরাজ সিং জাদেদা নামে একজন। হামজা, ফারুক-সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। এই ঘটনায় রবিবার দুপুর পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    কাঠগড়ায় পাঁচ (Muslims Attack)

    জানা গিয়েছে, গণেশ পুজো উপলক্ষে মূর্তি কিনে বাড়িতে ফিরছিলেন মুন্দ্রা তালুকের সমঘোঘা গ্রামের বাসিন্দা জাদেজা-সহ তিন হিন্দু যুবক। অভিযুক্তরা রাস্তায় সাইকেল দাঁড় করিয়ে গল্পগাছা করছিল। জাদেজারা তাদের সাইকেল সরিয়ে নিতে বলেন। এনিয়ে শুরু হয় দুপক্ষে বচসা। অভিযোগ, এর পরেই ওই মুসলমান যুবকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। জখম হন জাদেজা। ঘটনায় মুন্দ্রা থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।

    তরোয়াল উঁচিয়ে হুমকি

    কেবল জাদেজারা নন, বারংবার হর্ন দিয়ে ওই যুবকদের রাস্তার মাঝখান থেকে বাইক সরাতে বলেন এক টেম্পো চালকও। অভিযোগ, তাতেও কর্ণপাত করেনি অভিযুক্তরা। জাদেজারাও তাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বলেন। এর পর চোটপাট করতে শুরু করে ওই যুবকরা। তার পরেই জাদেজাদের ওপর চড়াও হয় ওই যুবকরা। অভিযুক্তরা লোহার পাইপ দিয়ে যুবরাজকে মারধর করে। তাঁর ডান কাঁধে আঘাত লাগে। মাটিতে পড়ে যান জাদেজা। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন কোথাও থেকে একটি তরোয়াল নিয়ে আসে (Muslims Attack)। তরোয়াল উঁচিয়ে হুমকি দেয়, জাদেজাদের শেষ করে দেবে, জীবিত থাকতে দেবে না।

    আরও পড়ুন: ভারতের দাবিই সত্যি প্রমাণিত হল, কার্গিল যুদ্ধে জড়িত থাকার কথা কবুল পাকিস্তানের!

    অভিযুক্তদের কয়েকজনের কাছেও ধারালো অস্ত্র ছিল। ভিড় জমে গেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। জাদেজা বলেন, “মামুলি একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু করে দেয় ওরা। গাড়িতে রাখা গণেশ মূর্তিকে লক্ষ্য করেও পাথর ছোড়ে দুষ্কৃতীরা।” যদিও মূর্তিটির (Hindu Youth) কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই জানান তিনি (Muslims Attack)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share