Tag: Ayodhya

Ayodhya

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কারা আমন্ত্রিত, আসছেনই বা কে?

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কারা আমন্ত্রিত, আসছেনই বা কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসখানেকও বাকি নেই রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের বহু অতিথি। এঁদের মধ্যে যেমন সাধু-সন্তরা রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন বিনোদন জগতের লোকজনও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদেরও।

    কী বলছে কংগ্রেস?

    রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেসের প্রবীণ নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকেও। তবে শনিবার বিকেল পর্যন্তও তাঁরা ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কিনা, অফিসিয়ালি তা নিশ্চিত করে জানানো হয়নি। দিন কয়েক আগে অবশ্য কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ বলেছিলেন, “না যাওয়ার তো কোনও কারণ নেই। এ ব্যাপারে সোনিয়াজি খুব পজিটিভ। হয় সোনিয়াজি স্বয়ং যাবেন, নয়তো কোনও প্রতিনিধি পাঠানো হবে।”

    কী বলছে সিপিএম?

    মন্দির উদ্বোধনের দিনই প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে রামলালার মূর্তিরও। মূর্তিটিকে মন্দিরে নিয়ে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় পুরোহিতদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিনিধি এলেও, অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন না সিপিএমের কেউ। কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা থাকবেন না বলে দিন দুই আগেই জানিয়েছিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাট। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “সিপিএমের নীতি হল ধর্মীয় বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করা।

    আরও পড়ুুন: ভোটাভুটি করে বেছে নেওয়া হল রামলালার মূর্তি, কেমন দেখতে জানেন?

    প্রত্যেকে যাতে শান্তিতে ধর্মাচরণ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা। ধর্ম একটি ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। তাই রাজনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যে একে ব্যবহার করা ঠিক নয়।” তিনি বলেন, “সংবিধানে বলাই হয়েছে রাষ্ট্র কোনও বিশেষ ধর্মকে গুরুত্ব দেবে না।” অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবালও। তিনি বলেন, “ভগবান রাম আমার হৃদয়ে। তাই অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।” বিশ্বহিন্দু পরিষদের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এলকে আদবানি ও মুরলী মনোহর যোশীকে।

    আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অমিতাভ বচ্চন, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগণ, রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, অনুপম খের এবং মাধুরী দীক্ষিত নেনেকেও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শিল্পপতি রতন টাটা, মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানিকে। ক্রিকেটার শচিন তেণ্ডুলকর ও বিরাট কোহলিও উপস্থিত থাকবেন বলে খবর। ট্রাস্টের (Ram Mandir) তরফে জানানো হয়েছে, সব মিলিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৭০০০ জনকে। এর মধ্যে ভিভিআইপি ৩০০০ জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Modi Visit  Ayodhya: আজ অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, বিমানবন্দর থেকে রেল স্টেশন একগুচ্ছ কর্মসূচি

    PM Modi Visit  Ayodhya: আজ অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, বিমানবন্দর থেকে রেল স্টেশন একগুচ্ছ কর্মসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অযোধ্যা ধাম’-এর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কার্যত আজ, শনিবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে রামলালার ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’র বোধন। আজ, ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যা ধাম জংশন স্টেশন ও মহর্ষি বাল্মিকীর নামাঙ্কিত নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Visit  Ayodhya)। তার আগে অযোধ্যাজুড়ে সাজো সাজো রব। রেলস্টেশন, এয়ারপোর্ট সহ অযোধ্য়ার অলিতে গলিতে তুমুল ব্য়স্ততা। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহর। 

    বিমানবন্দরের উদ্বোধন

    শনিবার অত্যাধুনিক বিমানবন্দর উদ্বোধনের পাশাপাশি ১৫ কিলোমিটার পথে রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রামমন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের আগে নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর। আগে অযোধ্যা বিমানবন্দরের নাম ছিল ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম অযোধ্যা আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট’। উদ্বোধনের দিন থেকেই এই বিমানবন্দরে বিমান চলাচল শুরু হয়ে যাবে। এ ছাড়াও ঢেলে সাজানো হচ্ছে গোটা অযোধ্যা নগরী। পুরোনো মন্দিরগুলো সংস্কারের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে নতুন রাস্তাও। আগামী ২২ জানুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অস্থায়ী মন্দির থেকে ৫ বছরের রামলালার মূর্তি কোলে নেবেন ও তা নতুন রামমন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করবেন। এর জন্য তিনটি ৫১ ইঞ্চির মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। তিনটি মূর্তিরই ডিজাইন সম্পূর্ণ আলাদা। তিন জন আলাদা শিল্পী এই মূর্তিগুলি তৈরি করছেন। রামমন্দির ট্রাস্টের সদস্যদের ভোটে বেছে নেওয়া হবে যে কোনও একটিকে। সেটাই প্রতিষ্ঠা করা হবে জানুয়ারিতে।

    নয়া ট্রেনের যাত্রা

    এদিন মোদি ‘অমৃত ভারত’ ট্রেনের উদ্বোধন করবেন অযোধ্যা থেকে। তার একটি চলাচল করবে বিহারের দারভাঙ্গা থেকে নয়াদিল্লির আনন্দ বিহার রুটে। যেটি অযোধ্যায় থামবে। আর একটি রুট বাংলার মালদা টাউন থেকে বেঙ্গালুরু। তার উদ্বোধনও আজ অযোধ্যা থেকেই করবেন তিনি। সরকারি সূত্রে খবর, অযোধ্যার উন্নয়নের জন্য শনিবারই ১৫,৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তার মধ্যে রয়েছে রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অযোধ্যায় বিশ্বমানের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চান মোদি। 

    আরও পড়ুন: গোলাপের পাপড়িতে শ্রীরাম! থাকবে মোদির ছবিও, রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অভিনব ফুল

    আজ অযোধ্যায় সারাদিন

    ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে আজ অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সকাল ১০.৪৫ মিনিটে অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর রোড শো রয়েছে। তারপর সকাল ১১.১৫ মিনিটে অযোধ্যা ধাম জংশনের উদ্বোধন। সকাল ১১.৩০ টায় অমৃত ভারত এক্সপ্রেস-সহ বেশ কিছু ট্রেনের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১২.১৫ মিনিটে মহর্ষি বাল্মিকী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন মোদি। দুপুর ১টায় জনসভায় প্রায় ১৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করেবন তিনি। দুপুর ২.৪০ মিনিটে দিল্লি থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা হবে প্রথম বিমান। বিকেল ৪টে অযোধ্যার নবনির্মিত বিমানবন্দরে প্রথম বিমান অবতরণ করার কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: গোলাপের পাপড়িতে শ্রীরাম! থাকবে মোদির ছবিও, রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অভিনব ফুল

    Ram Mandir: গোলাপের পাপড়িতে শ্রীরাম! থাকবে মোদির ছবিও, রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অভিনব ফুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন (Ram Mandir Inauguration)। মন্দির উদ্বোধনের দিন আনা হবে বিশেষ গোলাপী রঙের গোলাপ, যার প্রতিটি পাপড়িতে থাকবে শ্রী রামের ছবি। গোলাপের পাপড়িতে থাকবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মুখও। বিশেষ এই গোলাপে লেখা থাকবে জয় শ্রী রাম।

    কেমনভাবে প্রস্তুত এই বিশেষ গোলাপ

    বছর ঘুরলেই রাম মন্দিরের উদ্বোধন (Ram Mandir Inauguration)। আপাতত গর্ভগৃহেরই উদ্বোধন করা হবে। এখানেই প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন আনা হবে বিশেষ গোলাপী রঙের গোলাপ, যার প্রতিটি পাপড়িতে শ্রী রামের (Sree Ram) ছবি থাকবে। এই বিশেষ ফুল তৈরির জন্য গুজরাট থেকে একজন ফ্লোরিস্টকে আনা হচ্ছে। অশোক বনসলী নামক ওই ফুল বিক্রেতা জানান, তিনি এক বিশেষ প্রযুক্তি তৈরি করেছেন, যেখানে ফুলের পাপড়িতে ছবি ছাপানো সম্ভব। চার বছর সময় লেগেছে এই প্রযুক্তি তৈরি করতে। একগুচ্ছ গোলাপ ফুল তুলেও দেখান ওই ফ্লোরিস্ট, যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও রামলালার নাম লেখা রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র যে ডাক দিয়েছিলেন, তা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এই আধুনিক প্রিন্টিং টেকনোলজি তৈরি করেছেন অশোক বনসলী। রাম মন্দির সাজানোর জন্য ব্যবহৃত ফুল ও গাছের পাতায় রামলালার নাম লেখা থাকবে। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন ৩ থেকে ৪ হাজার ফুলে এই ছবিগুলি ছাপানো থাকবে। এর আগে, ২০২০ সালে রাম মন্দিরের ভূমি পুজার দিনও তিনি এইরকমের ৫০০ ফুল তৈরি করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bangla Ayodhya Train: বাংলা থেকে অযোধ্যা বিশেষ ট্রেন! বঙ্গবাসীর রাম মন্দির দর্শনে উদ্যোগ বিজেপির

    Bangla Ayodhya Train: বাংলা থেকে অযোধ্যা বিশেষ ট্রেন! বঙ্গবাসীর রাম মন্দির দর্শনে উদ্যোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন ২২ জানুয়ারি থেকেই বাংলা থেকে প্রতিদিন একটি করে অযোধ্যা এক্সপ্রেস ট্রেন (Bangla Ayodhya Train) পরিষেবা চালুর ভাবনা বিজেপির। দলীয় সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে এই মর্মে। বাংলার বিজেপির কর্মী সমর্থক অথবা সাধারণ মানুষ, যে কেউ যদি রামমন্দির দর্শন করতে যেতে চান তাহলে নিখরচায় যাত্রীদের নিয়ে ট্রেন পৌঁছে যাবে অযোধ্যায়। এমনই উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য বিজেপি।

    বাংলা-অযোধ্যা রেল-যোগ

    আগামিকাল ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যা রেল স্টেশনের (Bangla Ayodhya Train) উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। অযোধ্যা স্টেশনের নাম বদলের কথা জানিয়ে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ লাল্লু সিং। এক্স হ্যান্ডলে তিনি জানান, অযোধ্যা স্টেশনের নতুন নাম হবে ‘অযোধ্যা ধাম’। কলকাতা থেকে রেলপথে অযোধ্যা ধামের (নতুন নাম) দূরত্ব ৮৭৫ কিলোমিটার। কলকাতা স্টেশন থেকে প্রতিদিন রাতে ছাড়ে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেস। পাশাপাশি, হাওড়া থেকে প্রতিদিন ছাড়ে দুন এক্সপ্রেস। রেলের বর্তমান পরিষেবায় বাংলা থেকে সরাসরি অযোধ্যা যেতে হলে এই দু’টি ট্রেনই রয়েছে। কিন্তু রামমন্দির উদ্বোধনের পরে বাংলা থেকে কয়েক লক্ষ মানুষ যাবেন অযোধ্যায় মন্দির দর্শনে। ফলে রেলের ওই দু’টি ট্রেন তাঁদের নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত হবে না। সেই কারণে রেলের কাছে ইতিমধ্যেই বিজেপি বিশেষ ট্রেন চালানোর আর্জি জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, রেলও বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। শুধু বাংলা নয়, সব রাজ্য থেকেই এমন ট্রেন ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।

    আরও পড়ুন: পরনে হিজাব, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি! হেঁটে মুম্বই থেকে অযোধ্যা পাড়ি শবনমের

    বিশেষ ট্রেন পরিষেবা

    ২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা ভোট হওয়ার সম্ভাবনা। তার আগে, বাংলা থেকে দলের নেতা-কর্মীদের অযোধ্যা পাঠাতে চায় বিজেপি। রামমন্দিরে রামলালার দর্শন সেরে ফেরার পরেই শুরু হবে নির্বাচনী লড়াই। বুধবার রাজ্য বিজেপির বর্ধিত কার্যকারিণী বৈঠকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, রেল গোটা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়েই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্টেশন থেকে অযোধ্যাগামী বিশেষ ট্রেন চালাবে। সেই ট্রেনে চেপেই নেতা-কর্মীদের যেতে হবে অযোধ্যায়। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়ে গেলেও অযোধ্যায় ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পুণ্যার্থী আসার বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এর পর প্রতিটি রাজ্যের জন্য একটি করে ট্রেনের ব্যবস্থা করছে সঙ্ঘ পরিবারও। দীর্ঘ সময় ধরে যাঁরা রামমন্দির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেই ট্রেনে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার কথা। এর জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে বিভিন্ন রাজ্যের জন্য আলাদা আলাদা ট্রেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলা থেকে সেই বিশেষ ট্রেনটি ছাড়বে ৫ ফেব্রুয়ারি। সেই ট্রেনটিই অযোধ্যায় দু’দিন থাকার পরে যাত্রীদের রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: পরনে হিজাব, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি! হেঁটে মুম্বই থেকে অযোধ্যা পাড়ি শবনমের

    Ayodhya Ram Mandir: পরনে হিজাব, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি! হেঁটে মুম্বই থেকে অযোধ্যা পাড়ি শবনমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামের (Ayodhya Ram Mandir) উপাসনা করতে হিন্দু হওয়ার প্রয়োজন নেই। মন থেকে ভালো মানুষ হলেই রামের ভক্ত হওয়া যায়। এই বিশ্বাসকে সঙ্গে করেই মুম্বই থেকে হেঁটে অযোধ্যা চলেছেন মুসলিম তরুণী শবনম। পরনে হিজাব, সঙ্গে গেরুয়া ধ্বজ, ধর্মের নামে বিভাজন সৃষ্টিকারীদের বার্তা দিতেই হাঁটতে শুরু করেছেন শবনম। তিনি মুসলিম ধর্মাবলম্বী। তা সত্ত্বেও ভগবান রামের প্রতি তাঁর অটল ভক্তি। 

    কী বলছেন শবনম

    স্টিরিওটাইপ বিশ্বাস ভেঙে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ২২ জানুয়ারির প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবে পৌঁছবেন রামভক্ত মুসলিম তরুণী শবনম। কট্টরপন্থীদের চোখরাঙানিকে ভয় না পেয়েই, শবনম গর্ব করে বলেন, ‘‘রাম পুজো করতে হিন্দু হওয়ার দরকার নেই, ভালো মানুষ হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’’ বর্তমানে, শবনম প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার হাঁটছেন। মুম্বই থেকে শুরু করে তিনি পৌঁছেছেন মধ্যপ্রদেশের সিন্ধভা পর্যন্ত। এই যাত্রাপথে শবনমের অপর দুই সঙ্গী রামভক্ত রমন রাজ শর্মা এবং বিনীত পাণ্ডে। শবনম বলেন, ‘‘ভগবান রাম সকলেরই। জাত বা ধর্মের ভেদাভেদ করে তাঁর ভাগ করা যায় না। রামের উপাসনা করতে গেলে সমস্ত সীমানা তুচ্ছ হয়ে যায়।’’

    আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের চেতনাতেই তৈরি অযোধ্যা বিমানবন্দর, নামেও রামায়ণের ছোঁয়া

    সংহতির বার্তা

    বর্তমানে নেটপাড়ায় ভাইরাল এই তিন পুণ্যার্থীর রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) যাত্রার খবর। যাত্রাপথে তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। খাবারের ব্যবস্থা থেকে মাথা গোঁজার ঠাঁই, সব কিছুরই বন্দোবস্ত করে দিয়েছে পুলিশ। শবনমের কথায়, দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে তাঁদের। কখনও কখনও চেপে ধরছে  ক্লান্তি। তা সত্ত্বেও রামের প্রতি তাদের ভক্তি তাঁদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে শবনমকে স্বাগত জানিয়েছেন অলি-গলির মানুষ। মুসলিম নাগরিকরাও শবনমের এই উদ্যোগে খুশি। রামমন্দিরের যাত্রাপথে এই মুসলিম তরুণী বলেছেন, ‘‘তিনি সংহতির হৃদয়গ্রাহী মুহূর্তগুলি মনের মণিকোঠায় ধরে রাখতে চান।’’ তাঁকে বহু মানুষ ‘জয় শ্রী রাম’ বলে অভিবাদন জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya airport: রাম মন্দিরের চেতনাতেই তৈরি অযোধ্যা বিমানবন্দর, নামেও রামায়ণের ছোঁয়া

    Ayodhya airport: রাম মন্দিরের চেতনাতেই তৈরি অযোধ্যা বিমানবন্দর, নামেও রামায়ণের ছোঁয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম জন্মভূমির সঙ্গে জড়িয়ে গেল রামায়ণের রচয়িতা, মহর্ষী বাল্মীকির নামও। ২০২৪-এর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জমকালো উদ্বোধন। তার আগে, ৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন হবে অযোধ্যার নবনির্মিত বিমানবন্দরের (Ayodhya airport)। বৃহস্পতিবার এর নাম বদলে ‘মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অযোধ্যাধাম’ করা হল। আগামী কাল, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ওই বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    বিমানবন্দরে সুবিধা

    উদ্বোধনের দিনেই অযোধ্যা বিমানবন্দরে ইন্ডিগো এবং এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান (Ayodhya airport) চলাচল করবে। এই দুই বিমান সংস্থা ইতিমধ্যে দিল্লি, মুম্বই এবং আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত বিমান চলাচলের কথা ঘোষণা করে দিয়েছে। অযোধ্যা বিমানবন্দরের প্রথম পর্যায়ের নির্মাণকার্যে আনুমানিক ১,৪৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। সাড়ে ছ’হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে সেখানে তৈরি হয়েছে নতুন টার্মিনাল ভবন। ব্যস্ত সময়ে অন্তত ৬০০ জন যাত্রী সেখানে অপেক্ষা করতে পারবেন। সারা বছরে এর যাত্রীধারণ ক্ষমতা ১০ লাখের বেশি। সূ্ত্রের খবর, দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও একটি টার্মিনাল ভবন তৈরি করা হবে অযোধ্যা বিমানবন্দরে। ৫০ হাজার বর্গমিটারের সেই ভবনে ব্যস্ত সময়ে অন্তত তিন হাজার যাত্রী থাকতে পারবেন। বছরে তার যাত্রীধারণ ক্ষমতা হবে ৬০ লক্ষ।

    আরও পড়ুন: ‘মদ-মুক্ত’ অযোধ্যার রাম মন্দির চত্বর, ঘোষণা যোগী সরকারের

    বিমানবন্দরে রামায়ণের কাহিনি

    বিমানবন্দর (Ayodhya airport) সূত্রে জানা গিয়েছে, রাম মন্দিরের চেতনাতেই তৈরি করা হয়েছে এই নতুন বিমানবন্দরটি। রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের পর, রামের প্রত্যাবর্তনের সময়, অযোধ্যাবাসী যে আনন্দ অনুভব করেছিলেন, বিমানবন্দরে আগত এবং এখান থেকে প্রস্থানকারী সকল যাত্রীরা যাতে সেই অনুভূতি পান, বিমানবন্দর নির্মাণের সময় সেটাই মাথায় রাখা হয়েছিল। টার্মিনাল ভবনের ভিতগুলি রামায়ণ মহাকাব্যের মূল ঘটনাগুলির ছবিতে সাজানো হয়েছে। কাজেই টার্মিনালের মধ্য দিয়ে হাঁটার সময়ই যাত্রীরা রামের পুরো কাহিনি জেনে নিতে পারবেন। এই বিমানবন্দর উদ্বোধনের জন্য শনিবারই অযোধ্যা যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখবেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ayodhya Ram Mandir: ‘মদ-মুক্ত’ অযোধ্যার রাম মন্দির চত্বর, ঘোষণা যোগী সরকারের

    Ayodhya Ram Mandir: ‘মদ-মুক্ত’ অযোধ্যার রাম মন্দির চত্বর, ঘোষণা যোগী সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির সংলগ্ন ৮৪-কোশী পরিক্রমা অঞ্চল ‘মদবিহীন এলাকা’ হিসাবে ঘোষিত করা হল। ওই এলাকায় মদ খাওয়া, বিক্রি, কেনা বা প্রস্তুত করা যাবে না। এমনকি, এলাকায় আগে থেকে যে মদের দোকান রয়েছে,  সেগুলিকেও তুলে দেওয়া হবে। রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে এমনই নির্দেশ দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। 

    ‘মদবিহীন’ অঞ্চল

    আগামী ২২ জানুযারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধন হবে। সূচনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে সমগ্র অযোধ্যা জুড়ে সাজ সাজ রব। তারই মাঝে বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাম মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এখন থেকে আর মদ খাওয়া, বিক্রি, কেনা- কোনওকিছুই করা যাবে না। জারি করা নির্দেশিকার জেরে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আগে থেকে থাকা সরকারি মদ দোকানগুলিও সরতে চলেছে। সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত কোনও মদ ব্যবসায়ী দোকান সরাতে না চাইলে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পৎ রাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন উত্তরপ্রদেশের আবগারিমন্ত্রী নিতিন আগরওয়াল। তার পরেই মন্দির সংলগ্ন এলাকা ‘মদবিহীন’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত কে? চিনে নিন

    নির্দেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা

    রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সরযূ নদীর তীরে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। তার মাঝেই নতুন নিয়মের কথা জানাল উত্তরপ্রদেশ সরকার। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের আবগারিমন্ত্রী নিতিন আগরওয়াল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের সিদ্ধান্ত, ৮৪ কোশী পরিক্রমা মার্গে মদ বিক্রি বন্ধ। রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সঙ্গে আলোচনা করেই এলাকাকে মদ-বিহীন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা ওখানে অবস্থিত দোকানগুলি সরিয়ে দিয়েছি। ১৫০-১৭৫ কিমি দীর্ঘ ওই রাস্তায় সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মদ বিক্রি। নির্দেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Railway Station: মন্দির উদ্বোধনের আগে বদলে গেল অযোধ্যা রেল স্টেশনের নাম, কী হল জানেন?

    Ayodhya Railway Station: মন্দির উদ্বোধনের আগে বদলে গেল অযোধ্যা রেল স্টেশনের নাম, কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে গেল অযোধ্যা রেলস্টেশনের (Ayodhya Railway Station) নাম। নতুন বছরের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। ওই দিনই হবে রামলালার বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। অযোধ্যায় নবনির্মিত বিমানবন্দরের উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেটি হবে চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর। এদিনই উদ্বোধন হবে অযোধ্যা রেলস্টশনেরও। বদলে যাচ্ছে এই স্টেশনের নামই।

    অযোধ্য়া রেলস্টেশনের নাম বদল

    অযোধ্যা রেলস্টেশনটি আদতে একটি জংশন। যেহেতু মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হওয়ার পরে এই পুণ্যভূমিতে ঢল নামবে ভক্তের, তাই ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশনটিকে। স্টেশনটির পরতে পরতে রয়েছে অত্যাধুনিকতার ছাপ। এহেন রেলস্টেশনের নাম বদলে যাওয়ার কথা জানালেন স্থানীয় সাংসদ বিজেপির লাল্লু সিংহ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “অযোধ্যা স্টেশনের (Ayodhya Railway Station) নতুন নাম হবে অযোধ্যা ধাম।” নবনির্মিত স্টেশনের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “অযোধ্যা জংশন হল অযোধ্যা ধাম জংশন। ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির নির্দেশে জনগণের ভাবাবেগ ও প্রত্যাশায় সাড়া দিয়ে নবনির্মিত গ্র্যান্ড অযোধ্যা রেলওয়ে স্টেশন অযোধ্যা জংশনের নাম পরিবর্তন করে অযোধ্যা ধাম জংশন করা হয়েছে।”

    বিজ্ঞপ্তি জারি রেলের

    সাংসদের এই দাবির আগেই অবশ্য রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অযোধ্যা স্টেশনের নাম বদলের কথা জানিয়েছে রেল। রেলের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এবার থেকে অযোধ্যা জংশনের নাম হল অযোধ্যা ধাম জংশন’। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষে ৩০ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে অযোধ্যা বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনের। রেলস্টেশনের নাম যেমন হয়েছে অযোধ্যা ধাম জংশন, তেমনি বিমানবন্দরের নামেও রয়েছে আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া। নবনির্মিত বিমানবন্দরটির নাম দেওয়া হয়েছে পুরুষোত্তম শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এদিন প্রথমে এই বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ১৫ কিলোমিটার পথে করবেন রোড-শো। এভাবেই তিনি পৌঁছবেন রেলস্টেশনে। উদ্বোধন করবেন নবকলেবর-প্রাপ্ত এই স্টেশনেরও। পরে একটি জনসভাও করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    অযোধ্যায় রাম মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান হবে ২২ জানুয়ারি। দেবদর্শন শুরু হবে তার পরের দিন (Ayodhya Railway Station) থেকে। অযোধ্যা প্রশাসনের অনুমান, এদিন থেকে প্রতিদিনই অযোধ্যায় আসবেন ৫০ থেকে ৫৫ হাজার মানুষ। এঁদের মধ্যে যেমন থাকবেন দেশ-বিদেশের পুণ্যার্থীরাও, তেমনি থাকবেন অনুসন্ধিৎসু মানুষও। তাই ঢেলে সাজানো হচ্ছে রামজনমভূমিকে।

    আরও পড়ুুন: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: আত্মনির্ভর রাম মন্দির, মিলবে সব রকমের নাগরিক পরিষেবা

    Ram Mandir: আত্মনির্ভর রাম মন্দির, মিলবে সব রকমের নাগরিক পরিষেবা

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা

    সকাল ১১টা থেকে ‘রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর সাংবাদিক বৈঠক। সারা দেশ থেকে হাজির সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। আমরা পৌঁছাতেই দেখলাম বিরাট জেড ক্যাটাগরির কনভয় নিয়ে ঢুকছেন উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। তাঁর সঙ্গেই এলেন তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই। আধঘণ্টার সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই আমাদের নিয়ে যাওয়া হল রাম মন্দির প্রাঙ্গণে। সেখানেও ঢোকার মুখে বোঝা গেল কেন রাম মন্দির (Ram Mandir) এত বিশেষ! ভারতের আর কোনও মন্দিরে বোধহয় এত নিরাপত্তার বলয় থাকে না। মন্দির চত্বরে দেখা গেল কয়েক হাজার নির্মাণ কর্মী এক নাগাড়ে কাজ করে চলেছেন। সময় যে বড় কম! প্রভু রামচন্দ্র ঘরে ফিরবেন তাও আবার ৫০০ বছর পরে। একি কম আনন্দের! জানা গেল সেখানে অনেক আইআইটি পাশ ইঞ্জিনিয়ারও কাজ করছেন। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রম।

    ট্রাস্টের সাংবাদিক বৈঠকে কোন কোন দিক উঠে এল?

    ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই জানিয়েছেন, সব দিক থেকেই আত্মনির্ভর হতে চলেছে এই মন্দির (Ram Mandir)। নিকাশী থেকে জল, বিদ্যুৎ থেকে চিকিৎসাকেন্দ্র সবই থাকছে ভিতরে। অর্থাৎ রাম মন্দির যেন আলাদা একটা ব্যবস্থা। সরকারের কোনও সাহায্যই লাগবে না। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতীয় রীতির মেলবন্ধনে তৈরি হচ্ছে মন্দির। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ভারতীয় মন্দির রীতি ‘গোপুরম’ নামে পরিচিত এবং উত্তর ভারতীয় মন্দির রীতিকে নাগারা বলে। এই দুই রীতির ছোঁয়া দেখা যাবে রাম মন্দিরে। অন্যদিকে ভগবান শঙ্করাচার্যের ভাবনা অনুযায়ী ‘পঞ্চায়তন’ ধারণার ছোঁয়াও দেখা যাবে মন্দির চত্বরে। ‘পঞ্চায়তন’ হল পাঁচ দেবদেবীর মন্দির। সূর্য, শঙ্কর, ভগবতী, গণপতি এবং বিষ্ণু। মূল রাম মন্দিরের চার দিকে এই মন্দিরগুলি থাকবে। ভগবান রামকেই বিষ্ণুর অবতার মানা হয় তাই আলাদাভাবে কোনও বিষ্ণু মন্দির থাকছে না।

    আত্মনির্ভর রামমন্দির

    অযোধ্যার সাংবাদিক সম্মেলনে চম্পক রাই জানান, মন্দির (Ram Mandir) চত্বরেই থাকবে পাওয়ার স্টেশন। যেখান থেকে বিদ্যুৎ বন্টন করা মন্দিরের বিভিন্ন বিভাগে। আবার জল সরবরাহের জন্য তৈরি হচ্ছে মন্দিরের নিজস্ব ওয়াটার প্ল্যান্টও। রামমন্দিরের ঠিক পিছনে থাকবে দিব্যাঙ্গদের জন্য লিফটও। রামমন্দির ট্রাস্টের মতে, ‘‘লাখ লাখ দর্শনার্থী আসবেন মন্দির দর্শনে। তাঁরা পরিক্রমা করবেন মন্দির। তাই তাঁদের জন্য সমস্ত রকমের পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে।’’ মন্দির চত্বরেই মিলবে চিকিৎসা ব্যবস্থাও। গড়ে উঠছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র। আবার ভক্তরা যাতে বিশ্রাম নিতে পারেন সেজন্য তৈরি হচ্ছে বিশ্রামাগারও। জানা গিয়েছে রেলের মতোই হবে এই বিশ্রামাগার। যেখানে ভক্তরা নিজেদের মোবাইল, জুতো, ব্যাগ ইত্যাদি সামগ্রী রাখতে পারবেন। এরজন্য আলাদা কোনও চার্জও দিতে হবে না।

    বশিষ্ট থেকে অহল্যা, বিশ্বামিত্র থেকে নিষাদ রাজের মন্দিরও তৈরি হচ্ছে

    রামজন্মভূমি প্রাঙ্গণে মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হবে আরও বেশ কতগুলি। ভগবান রাম চন্দ্রের জীবনে বিশেষ অবদান রয়েছে যাঁদের তাঁদেরও মন্দির তৈরি হবে। বাল্মিকী, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য, মাতা শবরী, নিষাদরাজ গোহু, অহল্যা এই সাত মন্দির থাকবে রামন্দিরের প্রাঙ্গণে। অর্থাৎ ভক্তরা মন্দির চত্বরে এলেই আরেকবার রামায়ণ মহাকাব্যকেই চাক্ষুষ করতে পারবেন। রামের জীবনে অবদান ছিল জটায়ুরও। তাঁর মূর্তি ইতিমধ্য়ে কুবের টিলাতে স্থাপন করা হয়েছে। 

    ৭০ একর জায়গার মধ্যে ২০ একরে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ৭০ একর জমি পেয়েছি আমরা। কিন্তু এর মধ্যে ২০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থান করবে মন্দির প্রাঙ্গণ। বাকি জায়গায় ১০০-এরও বেশি বৃক্ষরোপণ করা হবে বলে জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এদিন চম্পত রাই আরও বলেন, ‘‘৭০ একর জায়গার একেবারে উত্তর দিকেই তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। সমগ্র ভূমির যে প্লট নিয়ে বিবাদ এবং বিতর্ক ছিল সেই স্থানেই তৈরি হচ্ছে মন্দির।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দীর্ঘ পথে রোড-শো, বছর শেষের আগেই অযোধ্যায় মেগা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: দীর্ঘ পথে রোড-শো, বছর শেষের আগেই অযোধ্যায় মেগা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তবে তার আগেই একবার অযোধ্যা সফরে যাচ্ছেন তিনি। ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় রোড-শো করবেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ দেবেন জনসভায়ও। এদিন তাঁর হাতেই উদ্বোধন হবে অযোধ্যা বিমানবন্দরেরও। এর পরেই রোড-শো ও জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি

    অযোধ্যার কমিশনার গৌরব দয়াল বলেন, “সব বন্দোবস্ত হয়ে গিয়েছে। গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী আসছেন ৩০ ডিসেম্বর। প্রথম দফার কাজ শেষে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত অযোধ্যা বিমানবন্দর ও রেলস্টেশন।” তিনি জানান, এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) প্রথমে অযোধ্যা বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন। পরে অযোধ্যা রেলস্টেশন থেকে সবুজ পতাকা দেখিয়ে সূচনা করবেন ট্রেনযাত্রার। রোড-শো করে তিনি যাবেন বিমানবন্দর থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত। এই রাস্তাটির দৈর্ঘ ১৫ কিলোমিটার। পরে একটি জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    রামলালার দর্শন কবে থেকে?

    কমিশনার জানান, রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৫৫ হাজার মানুষ আসবেন মন্দির দর্শনে। এই দর্শনার্থীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত প্রশাসন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন উদ্বোধনের আগে মন্দির দর্শন হবে না। ২১ এবং ২২ জানুয়ারি ভক্তরা রামলালাকে দর্শন করতে পারবেন না। দেবদর্শন শুরু হবে ২৩ তারিখ থেকে। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে যাঁরা অযোধ্যায় আসবেন, তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত করতে হোটেলের ঘর নেওয়া হয়েছে। অনেক অতিথি চাটার্ড প্লেনে করে আসতে পারেন। তাই প্রয়াগরাজ, গোরক্ষপুর ও বারাণসীতে সেই বিমানগুলি রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। ঠিক কতগুলি চাটার্ড বিমান আসবে, তা জানা গেলে এভিয়েশন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে তা জানাব।”

    আরও পড়ুুন: এবার লোহিত সাগরে ভারতীয় তেলের ট্যাঙ্কারে ড্রোন হানা, নেপথ্যে হুথি?

    রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে ‘প্রদীপ প্রজ্জ্বলন’ কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি সফল করতে দেশের প্রতিটি বাড়িতে যাবেন বিজেপি  নেতা-কর্মীরা। অন্তত ১০ কোটি পরিবার যাতে এই কর্মসূচি পালন করেন, সেই জন্যই তাঁরা ঘুরবেন দোরে দোরে। নতুন (PM Modi) বছরের প্রথম দিন সোমবার থেকেই পথে নেমে পড়বেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

      

LinkedIn
Share