Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Murshidabad: মনে করাচ্ছে ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’, জীবন বাঁচাতে ভিটে ছাড়ছেন মুর্শিদাবাদের আক্রান্ত হিন্দুরা

    Murshidabad: মনে করাচ্ছে ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’, জীবন বাঁচাতে ভিটে ছাড়ছেন মুর্শিদাবাদের আক্রান্ত হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে মৌলবাদীদের তাণ্ডবে অশান্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। অভিযোগ, বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে হিন্দু বাড়িগুলিকে। পরিবার নিয়ে হিন্দুরা নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নিচ্ছেন। এমন চিত্র সারা দেশ দেখেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সৌজন্যে। গত শুক্রবার ১১ এপ্রিল থেকে এই জেলার সামশেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ান প্রভৃতি স্থানে হিন্দু সমাজের ওপর আক্রমণ নেমে আসে বলে অভিযোগ। ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুরা জানাচ্ছেন, বেছে বেছে হিন্দুদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। তাঁদের বাড়িঘর দোকান মন্দির এই সমস্ত কিছু কিছুতেই হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় যে বিক্ষোভ শুরু হয় তা শুক্রবার ঠিক নামাজের পরেই শুরু হয়। শনিবার পর্যন্ত এই তাণ্ডব অব্যাহত ছিল। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে ওঠে যে শয়ে শয়ে হিন্দুকে মুর্শিদাবাদে নিজেদের ভিটেমাটি- এই সমস্ত সমস্ত কিছু ত্যাগ করে নৌকায় চড়ে পার্শ্ববর্তী মালদা জেলায় পালিয়ে যেতে হয়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরবর্তীকালেও ঠিক এমনটাই হয়েছিল। যখন তাঁদেরকে এভাবে পালিয়ে যেতে হয়।

    কী বলছেন হিন্দু ব্যবসায়ীর স্ত্রী মঞ্জু ভগত?

    এ নিয়ে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজ তক-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হিন্দু ব্যবসায়ীর স্ত্রী মঞ্জু ভগত বলেন, ‘‘তারা অর্থাৎ মৌলবাদীরা আমাদের বাড়ির সামনে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। তখন তারা পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে। এর পরেই তারা আমাদের বাইক ভাঙচুর। বাড়ি ভাঙচুর করে। চেয়ার, গদি টিভি থেকে শুরু করে দামি জিনিসপত্র সমস্ত কিছু তারা লুট করে।’’ ওই হিন্দু মহিলা আরও বলেন, ‘‘মৌলবাদীদের ভয়ে আমাদের পুরো পরিবার তখন ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছিলাম। আমরা আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে লুকিয়ে ছিলাম। আমরা তখন ভগবানের নাম জপ করছিলাম এবং প্রার্থনা করছিলাম যে এই উন্মত্ত মৌলবাদী জনতা যেন আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। সেই সময় আমার মেয়ের যদি কিছু একটা ঘটত! তখন আমি কি করতে পারতাম।’’ ওই মহিলা আরও জানান, স্থানীয় দোকানগুলিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। একজন হিন্দু দোকানদার এরপরেই সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন,‘‘চা, বিস্কুট, সিগারেট সহ আমি যা যা বিক্রি করতাম সবই শেষ হয়ে গেল।’’ ভাঙচুরের সময় পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী।

    উন্মত্ত মৌলবাদীরা বলছিল, এটা একটা ট্রেলার সিনেমা এখনও আসেনি!

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বাসিন্দা নারায়ণ সাহা সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁরও দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি কী বলব আর কি করব কিছুই জানিনা। এখানে আমাদের কোনও নিরাপত্তা নেই।’’ স্থানীয় সুজিত সাহা নামের এক হিন্দু ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘উন্মত্ত মৌলবাদীদের ভিড় যখন হামলা করছিল, তখন তারা বারবার বলছিল এটা একটা ট্রেলার সিনেমা এখনও আসেনি।’’ হিংসা কবলিত ওই এলাকাতেই ছিল শুভ স্মৃতি হোটেল। যার মালিকের স্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমার এখানে এই দোকান ছিল। যা ভাঙচুর করা হয়েছে। তারা আমার সমস্ত জিনিসপত্র লুট করেছে। দোকানের ভেতরে থাকা নগদ টাকা পয়সা কিছুই অবশিষ্ট নেই। এখন আমরা কিভাবে খাব?’’

    মৌলবাদীদের (Murshidabad) তাণ্ডবে পুলিশ লুকিয়ে ছিল

    সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনোজ ঘোষ নামের এক ব্যক্তি জানান, সমস্ত ঘরবাড়ি এবং দোকান ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে। চারপাশে তাকিয়ে আপনারা নিজেরাই দেখতে পারেন। কারণ তাদের লক্ষ্য ছিল হিন্দুরা। ওই মনোজ ঘোষ সংবাদমাধ্যমে আরও দাবি করেন, ‘‘শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের এখানে একটি স্থায়ী বিএসএফের ক্যাম্প চাই।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘যখন মৌলবাদীদের এমন তান্ডব চলছিল, তখন কোনও পুলিশ ৪ ঘণ্টা ধরে ধারে কাছে ছিল না।’’ মনোজ ঘোষ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘পুলিশ স্টেশনটি আমাদের বাড়ি থেকে ২০০ মিটারের দূরত্বের মধ্যে ছিল কিন্তু আমাদের উদ্ধারে কেউ আসেনি।’’

    পুলিশ নিজেই তাদের জীবন বাঁচাতে দৌড়াচ্ছিল

    এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে (Murshidabad) অপর এক স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু বলেন, ‘‘ওরা বাইক ভাঙচুর করেছে। আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমাদের জিনিসপত্র লুট করেছে। দোকানপাট পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি রাতে ঘুমোতে পারিনি। আমরা জেগে ছিলাম এবং সারারাত সন্ত্রস্ত অবস্থায় ছিলাম। এখানে যখন হিংসা চলছিল তখন কোনও পুলিশ বাহিনীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশ নিজেই তাদের জীবন বাঁচাতে দৌড়াচ্ছিল। দেখা যাক সরকার আমাদের কোনও ক্ষতিপূরণ (Waqf Law) দেয় কিনা!’’ মৌলবাদীদের তাণ্ডবের শিকার এক হিন্দু এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমরা এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন দাবি করছি। কারণ এখানে যেহেতু কেবল অরাজকতা এবং গুন্ডামি চলছে। শুক্রবারে নামাজের পর থেকেই মিছিল বের হয় এবং তারপর থেকে এই তাণ্ডব চলতে থাকে।’’

    জলে বিষ মেশানোর অভিযোগ (Murshidabad)

    অন্যদিকে, একটি ভাইরাল ভিডিওতে (মাধ্যম সত্যতা যাচাই করেনি) দেখা যাচ্ছে এক মধ্যবয়সি হিন্দু মহিলাকে। তিনি বলছেন, ‘‘মৌলবাদীরা তাদের জলের ট্যাঙ্ক গুলিতে বিষ মিশিয়ে দিয়েছেন। আমরা সেই জল খেতে পারিনি। কারণ তা বিষ মিশ্রিত ছিল।’’ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তরফ থেকে যে ভিডিওগুলি দেখানো হচ্ছে সেখানে দেখা যাচ্ছে হিন্দু মহিলারা মুর্শিদাবাদ থেকে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে পালিয়ে আসছেন। এমনকি মাত্র ছয় দিনের বাচ্চাকে নিয়েও পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন হিন্দুরা।

    মোদি ওয়াকফ আইন এনেছে, কোনও হিন্দুকে থাকতে দেব না এমনটাই বলছিল মৌলবাদীরা, দাবি স্থানীয়দের

    বিজেপি নেতা অর্জুন সিং এক্স মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাঁর ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে অজস্র হিন্দু ধুলিয়ান থেকে গঙ্গা পার হয়ে মালদা জেলায় যাচ্ছেন। সেখানে হিন্দু পুরুষ এবং মহিলা প্রত্যেককেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে। তাঁরা নিজেদের ওপর হওয়া সন্ত্রাসের কথাগুলিকে বলছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বেছে বেছে হিন্দুদের ঘরবাড়িতে হামলা করা হয়েছে। একজন মহিলা বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে ব্যাপক বোমাবাজি চলছে। যার ফলে আমরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছি।’’ আর একজন মহিলা বলেন, ‘‘তারা আমাদের এখানে বলে দিয়েছে যে নরেন্দ্র মোদি ওয়াকফ বিল পাস করেছে। তাই আমরা এখানে কোনও হিন্দুকে থাকতে দেব না। সোনার অলংকার এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালিয়েছে, মৌলবাদীরা অনেক বাড়িতে আগুনও লাগিয়েছে আমাদের শিশুরা খেতে পাচ্ছে না এবং মহিলাদেরকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’’

    মুর্শিদাবাদের ঘটনাকে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ের সঙ্গে তুলনা করলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য

    মুর্শিদাবাদের এই ঘটনায় এক্স মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। নিজের পোস্ট করা ভিডিওতে তিনি লেখেন, ‘‘১১ এপ্রিল হল বাঙালির ইতিহাস একটি কালো দিন। কারণ এই দিনই বাঙালিকে মনে করিয়ে দিল ১৯৪৬ সালের গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং এর কথা। মুর্শিদাবাদে যেখানে ভিটেমাটি ছাড়তে হচ্ছে হিন্দুদের এবং মৌলবাদীরা ধুলিয়ান শামসেরগঞ্জ সুতি প্রভৃতি জায়গায় তান্ডব চালাচ্ছে।’’

  • Mehul Choksi: পিএনবি কেলেঙ্কারিতে ১৩,৫০০ কোটির প্রতারণা! ভারতের অনুরোধে বেলজিয়ামে গ্রেফতার মেহুল চোকসি

    Mehul Choksi: পিএনবি কেলেঙ্কারিতে ১৩,৫০০ কোটির প্রতারণা! ভারতের অনুরোধে বেলজিয়ামে গ্রেফতার মেহুল চোকসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের তরফে অনুরোধের পরেই পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে (Mehul Choksi) গ্রেফতার করল বেলজিয়াম। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (PNB Loan Fraud Case) আর্থিক তছরুপ মামলায় অভিযুক্ত মেহুল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সোমবার সকালে জানিয়েছে যে, ৬৫ বছর বয়সি চোকসিকে গত শনিবার বেলজিয়াম পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি সেখানকার এক জেলে বন্দি রয়েছেন। জানা গিয়েছে, গ্রেফতারের সময় বেলজিয়াম পুলিশ মুম্বইয়ের এক আদালত থেকে জারি করা দুটি ‘ওপেন-এন্ডেড’ গ্রেফতারি পরোয়ানার উল্লেখ করে। এই পরোয়ানাগুলি জারি হয়েছিল যথাক্রমে ২৩ মে ২০১৮ এবং ১৫ জুন ২০২১ তারিখে।

    ভারতের উদ্যোগেই গ্রেফতার 

    ভারত সরকারের তরফে পলাতক অপরাধী হিসেবে ঘোষিত চোকসিকে (Mehul Choksi)  দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র। বেলজিয়াম সরকারকে এনিয়ে আবেদনও জানানো হয় ভারতের তরফে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে অবশেষে মেহুল চোকসিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। চোকসির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছিল মুম্বইয়ের আদালত। তাঁকে দেশে ফেরাতে সরকারকে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই ও ইডি। চোকসির গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বেলজিয়াম সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক দফতরের মুখপাত্র তথা সোশ্যাল মিডিয়া সার্ভিসের প্রধান ডেভিড জর্ডনস জানান, চোকসির গ্রেফতারি ও তাঁর অপরাধ সংক্রান্ত মামলা বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকার গোটা অপরাধ সম্পর্কে অবগত রয়েছে।

    পলাতক চোকসি কীভাবে বেলজিয়ামে

    ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে পিএনবি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পর ভারত ছেড়ে পালিয়ে যান চোকসি (Mehul Choksi) । থাকতে শুরু করেন অ্যান্টিগা ও বারবুডায়। সেখানকার নাগরিকত্বও জোগাড় করে ফেলেন। ২০২১ সালে সেখান থেকে রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অনেকে মনে করেছিলেন, ভারত সরকার তাঁকে অপহরণ করেছে। কিন্তু পরে তাঁকে ডমিনিকায় পাওয়া যায়। এর পর বেলজিয়ান স্ত্রীর সাহায্যে ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ‘এফ রেসিডেন্সি কার্ড’ জোগাড় করে বেলজিয়ামে থাকতে শুরু করেন মেহুল। এই কার্ডের মাধ্যমে অন্য কোনও দেশের নাগরিক বৈবাহিক সঙ্গীর সঙ্গে কিছু শর্তসাপেক্ষে বেলজিয়ামে থাকতে পারেন। তবে মেহুল চোকসি এখনও অ্যান্টিগা ও বারবুডার নাগরিক।

    জামিনের আর্জি জানাবেন চোকসি

    আপাতত বেলজিয়ামের জেলে রয়েছেন চোকসি। তবে খুব তাড়াতাড়ি জামিনের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন মেহুল, এমনটাই অনুমান করা যাচ্ছে। ৬৫ বছর বয়সি মেহুলের একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তার ভিত্তিতেই জামিন চাইতে পারেন তিনি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে জানিয়েছিলেন, মেহুল চোকসির ২২ হাজার ২৮০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং তা বিক্রির প্রস্তুতি চলছে প্রতারণার টাকা মেটানোর জন্য। জের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মেহুল চোকসি।

    মেহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    মেহুল চোকসি (Mehul Choksi)  ও নীরব মোদি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রতারণা (PNB Loan Fraud Case) করেছিলেন। মুম্বইয়ের ব্রাডি হাউস ব্রাঞ্চ থেকে ভুয়ো লেটার অব আন্ডারটেকিং ও ফরেন লেটার অব ক্রেডিট দেখিয়ে এই বিপুল অর্থ ঋণ নিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে চোকসি ও নীরব মোদি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এর কয়েক সপ্তাহ পরে প্রকাশ্য়ে আসে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্কের এই বিপুল আর্থিক প্রতারণা। ততক্ষণে দুজনেই নাগালের বাইরে চলে গিয়েছেন। গত মাসেই বেলজিয়ামের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, মেহুল চোকসি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী প্রীতি চোকসি বেলজিয়ামের নাগরিক। সেই সূত্র ধরেই বেলজিয়ামে নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন চোকসি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানায় বেলজিয়াম সরকার। শোনা যায়, চোকসির প্রত্যর্পণের জন্য বেলজিয়াম সরকারের কাছে অনুরোধও জানাবে ভারত।

    ভারতে প্রত্যর্পনের প্রয়াস

    পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। দীর্ঘদিন ধরেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন। এই প্রতারণায় তাঁর ভাইপো নীরব মোদিও অভিযুক্ত। বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন নীরব। তাঁকেও ভারতে প্রত্যর্পণের জন্য আবেদন করেছে সরকার। শীঘ্রই ভারতে প্রত্যর্পণ করা হতে পারে চোকসিকেও। সিবিআই ও ইডি- দুই তদন্তকারী সংস্থার ওয়ান্টেড লিস্টে ছিলেন মেহুল চোকসি। গত মাসেই জানা গিয়েছিল, চোকসিকে ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে নয়াদিল্লি। বেলজিয়াম সরকারের সঙ্গে সে বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদিও পিএনবি-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁকে ভারতে ফেরানোর জন্য ব্রিটেন সরকারের সঙ্গে আইনি কথাবার্তা চলছে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই ২৬/১১ হামলার মূল চক্রী তাহাউর রানার প্রত্যর্পণ সম্পন্ন করেছে ভারত। এবার কি দেশে ফেরানো যাবে ঋণখেলাপি মেহুল চোকসিকেও?

  • Ambedkar Jayanti: ন্যায় ও সাম্যের মূর্ত প্রতীক অম্বেডকর, জন্মদিনে জানুন সংবিধান প্রণেতার জীবনী

    Ambedkar Jayanti: ন্যায় ও সাম্যের মূর্ত প্রতীক অম্বেডকর, জন্মদিনে জানুন সংবিধান প্রণেতার জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ১৪ এপ্রিল সংবিধান প্রণেতা ডক্টর ভীমরাও রামজি অম্বেডকরের জন্ম জয়ন্তী (Ambedkar Jayanti)। তাঁর নেতৃত্বেই গড়া হয়েছিল সংবিধান কমিটি। যে সংবিধান গৃহীত হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। সময় যত গড়িয়েছে, দেশ যত এগিয়েছে, অম্বেডকর (Bhimrao Ramji Ambedkar) ততই পরিচিতি লাভ করেছেন ন্যায় ও সাম্যের মূর্ত প্রতীক হিসেবে।

    অম্বেডকর আখ্যান (Ambedkar Jayanti)

    নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় একাধিকবার সংশোধন করা হয়েছে সংবিধান। যদিও অটুট রয়েছে অম্বেডকরের নেতৃত্বে তৈরি সংবিধান। তফশিলি সম্প্রদায়ের এই মানুষই জন্মেছিলেন ১৮৯১ সালের ১৪ এপ্রিল। মধ্যপ্রদেশের মহউ ক্যান্টনমেন্টে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অম্বেডকর (Ambedkar Jayanti)। মহারাষ্ট্রের সাতারায় প্রাথমিক স্কুলের পাঠ চুকিয়ে বম্বের (অধুনা মুম্বই) এলফিনস্টোন হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯১২ সালে বম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ পাশ করেন। কলেজে অসাধারণ দক্ষতার কারণে এমএ এবং পিএইচডি করার জন্য ১৯১৩ সালে বরোদা রাজ্যের মহারাজা তাঁকে বৃত্তি দেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠও নেন তিনি। তাঁর থিসিসের শিরোনাম ছিল ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসন ও অর্থ’। সেখান থেকে অম্বেডকর চলে যান লন্ডনে। ভর্তি হন লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সে। আইন (Ambedkar Jayanti) পড়ার জন্য ভর্তি হন গ্রেস ইনে। অর্থাভাবে ১৯১৭ সালে দেশে ফেরেন অম্বেডকর। ১৯১৮ সালে সিডেনহাম কলেজ, মুম্বইয়ের রাজনৈতিক অর্থনীতির অধ্যাপক হন তিনি।

    গণপরিষদের খসড়া কমিটির চেয়ারপার্সন ছিলেন অম্বেডকর

    ১৯৪৬ সালে ভারতের গণপরিষদে নির্বাচিত হন অম্বেডকর। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীন ভারতের দেশের প্রথম আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। পরে নির্বাচিত হন গণপরিষদের খসড়া কমিটির চেয়ারপার্সন। গণপরিষদের তৎকালীন সদস্য মহাবীর ত্যাগী অম্বেডকরকে ‘প্রধান শিল্পী’ আখ্যা দিয়েছিলেন। অম্বেডকর সম্পর্কে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেছিলেন, “চেয়ারে বসে এবং প্রতিদিনের কার্যধারায় দেখছি, আমি বুঝতে পেরেছি যে অন্য কেউ এত উদ্যমে থাকতে পারেন না। নিষ্ঠার সঙ্গে ড্রাফটিং কমিটির সদস্যরাও বিশেষ করে এর চেয়ারম্যান ডঃ অম্বেডকর তাঁর স্বাস্থ্যের কথা না ভেবেই কাজ করে গিয়েছেন। তিনি কেবল তাঁর নির্বাচনকে ন্যায্যতা দেননি, বরং তিনি যে কাজটি করেছেন, তাতে দীপ্তি যোগ করেছেন।”

    অম্বেডকরের সামাজিক আন্দোলন

    ১৯৫২ সালে অম্বেডকর রাজ্যসভার সদস্য হন। এই বছরই কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়। পরের বছরই ওই একই ডিগ্রি দেয় হায়দ্রাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও। দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে ১৯৫৫ সালে তাঁর স্বাস্থ্য একেবারেই ভেঙে পড়ে। ১৯৫৬ সালের ৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে ঘুমঘোরে না ফেরার দেশে চলে যান অম্বেডকর। অম্বেডকর ছিলেন সমাজ সংস্কারক। তিনি ছিলেন লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে। মহিলাদের অধিকারের দাবিতে সওয়াল করেছেন নানা সময়। লিঙ্গ বৈষম্য, সমাজ থেকে অস্পশ্যতা দূর করতে এবং দলিত মহিলাদের ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়েছিলেন তিনি। স্কুলে পড়ার সময় উচ্চবর্ণের লোকজন যে কলে জলপান করত, সেখানে তাঁকে জল খেতে দেওয়া হয়নি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্তও তা ভুলে যাননি তিনি। এই প্রেক্ষিতেই তিনি লিখেছিলেন বিশ্বখ্যাত বই ‘দ্য আনটাচেবল’। সমালোচকদের একাংশের মতে, যা তৎকালীন সমাজের জীবন্ত দলিল। অম্বেদকর দলিত বৌদ্ধ আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন এবং অস্পৃশ্য বা দলিতদের সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন। অম্বেডকর একজন খ্যাতনামা আইনবিদ, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ। তিনি দলিত বৌদ্ধ আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।

  • Charak Puja: চৈত্র সংক্রান্তিতে জানুন চড়ক উৎসবের পৌরাণিক কাহিনি

    Charak Puja: চৈত্র সংক্রান্তিতে জানুন চড়ক উৎসবের পৌরাণিক কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার চৈত্র সংক্রান্তি। এদিনই বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে হয় চড়ক উৎসব (Charak Puja)। কোথাও কোথাও এই উৎসব উপলক্ষে মেলাও বসে। নীলষষ্ঠীর পরের দিনই হয় চড়ক উৎসব। তাই অনেকেই একে শিবের (Lord Shiva) গাজনের অঙ্গ হিসেবেই বিবেচনা করেন।

    চড়ক উৎসব (Charak Puja)…

    ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ অনুযায়ী, দ্বারকাধীশ কৃষ্ণের সঙ্গে দেবাদিদেব মহাদেবের একনিষ্ঠ ভক্ত বাণরাজার যুদ্ধ হয়। যুদ্ধ শুরুর আগে মহাদেবের স্তব-স্তুতি করেন রাজা বাণ। যুদ্ধে যাতে তিনি জয়ী হন এবং অমরত্ব লাভ করেন, তাই নিজের শরীরের রক্ত দিয়ে তুষ্ট করেন ভগবান শঙ্করকে। তাঁর এই কৃচ্ছসাধনায় সন্তুষ্ট হন ভোলানাথ। রাজা বাণকে অমরত্বের আশীর্বাদ দেন তিনি। সেই শুরু চড়ক উৎসবের। তবে পুরাণ কথিত এই উৎসবের প্রচলন হয় ১৪৮৫ সালে, সূচনা করেন রাজা সুন্দরানন্দ ঠাকুর। তার পর থেকে মূলত শৈবরাই পালন করতেন চড়ক উৎসব। বর্তমানে এই উৎসব হয়েছে সর্বজনীন।

    একটি লম্বা কাষ্ঠখণ্ডকে (Charak Puja) বছরভর ডুবিয়ে রাখা হয় জলে। এই কাষ্ঠখণ্ডকে বলে চড়ক কাঠ। চড়ক পুজোর আগের দিন জলেই পুজো করা হয় সেই কাঠকে। তার পরে জল থেকে তুলে নিয়ে এসে পোঁতা হয় কোনও মাঠে। এই চড়ক কাঠের মাথায় থাকে লম্বা একটি বাঁশ। এই বাঁশের একদিকে ঝোলেন কোনও এক সন্ন্যাসী। অন্যদিকে ঝুলতে থাকে মস্ত বড় দড়ি। এই দড়ি ধরে ঘুরতে থাকেন ভক্তরা। বাঁশে ঝুলন্ত সন্ন্যাসী শূন্যে ভাসতে ভাসতে ছড়াতে থাকেন বাতাসা। সেই বাতাসাকেই প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করেন ভক্তরা।

    কোথাও কোথাও আবার জ্বলন্ত কয়লার ওপর দিয়ে হেঁটে যান সন্ন্যাসীরা। লৌহশলাকা পিঠে ফুটিয়ে নৃত্য করতে থাকেন কোনও কোনও সন্ন্যাসী। কোথাও কোথাও আবার সন্ন্যাসীরা কাঁটা গাছের ওপর দিয়ে হেঁটে যান। যেহেতু এই পুজোর মূল কথাই হল কৃচ্ছসাধন, তাই নানা প্রকারে এদিন দেবাদিদেবকে তুষ্ট করার চেষ্টা করেন সন্ন্যাসীরা। এ রাজ্যের বহু জায়গায় এখনও ঘটা করে পালিত হয় চড়ক উৎসব (Charak Puja)। দুই মেদিনীপুর, নদিয়া, তারকেশ্বর, বাঁকুড়া এবং হুগলি জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে পালিত হয় চড়ক উৎসব। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়ও হয় এই উৎসব।

  • BJP: চাকরি দুর্নীতি ও মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে বিজেপির মিছিলে জনজোয়ার, উঠল মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি

    BJP: চাকরি দুর্নীতি ও মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে বিজেপির মিছিলে জনজোয়ার, উঠল মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম রায়ে রাজ্যে চাকরি গিয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষিক-শিক্ষিকার। অন্যদিকে ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় ছড়িয়েছে অশান্তির আঁচ। এই আবহে রবিবারই রাজ্য বিজেপির (BJP) ডাকে কলেজ স্কোয়ার থেকে মহামিছিল করা হয় (BJP Protest Rally)। পথে নেমে প্রতিবাদ করতে দেখা গেল একসঙ্গে শুভেন্দু-দিলীপ-সুকান্তকে।

    বিজেপির (BJP) মিছিলে জনজোয়ার

    চাকরি বাতিল ও মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে এই মিছিলে এদিন জনজোয়ার লক্ষ্য করা যায়। এদিনে মিছিলে হাজির ছিলেন এই মিছিলে একই সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বর্ষীয়াণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব (BJP Protest Rally)। এদিনের মিছিল থেকে ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে জোরালো সওয়াল।

    কী বললেন প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ?

    প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতারা কাটমানি খেয়ে শিক্ষকদের পথে বসিয়েছে। বাংলায় একদিকে চাকরি হারাদের হাহাকার অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে গৃহহারাদের আর্তনাদ। কঠিন এক দুঃসময়ে আজ আমরা পথে নেমেছি। যোগ্যরা যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তার জন্য যাঁরা দায়ি তাঁদেরকে আমরা ছাড়ব না।’’ হুঙ্কারের সুরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এই সরকারের দিন ঘনিয়ে এসেছে। আমরা এই সরকারের পতন চাই।’’

    রাজ্য সরকারকে তুলোধনা শুভেন্দু অধিকারীর

    মুর্শিদাবাদের ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। মিছিল শেষে নিজের ভাষণে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে পুলিশকে দাঁড় করিয়ে রেখে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে। এই সরকারের আর একদিনও ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।’’ রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মুর্শিদাবাদে অশান্তি ও চাকরিহারা ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা করা দরকার, গতকাল শনিবার শুভেন্দুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদে নয়, রাজ্যের যেসব অঞ্চলে হিংসার ঘটনা ঘটছে, সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। আদালত রাজ্য সরকারকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।

  • BJP: মমতার তোষণের রাজনীতি বাংলাকে জালিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করেছে, তোপ বিজেপি নেতার

    BJP: মমতার তোষণের রাজনীতি বাংলাকে জালিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করেছে, তোপ বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার তোষণের রাজনীতির কারণে পশ্চিমবঙ্গ জালিয়ানওয়ালাবাগে (Jallianwala Bagh) পরিণত হয়েছে। রবিবার এভাবেই তোপ দাগলেন বিজেপি (BJP) নেতা কেশবন। এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেশবন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গকে জালিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করেছে। মুর্শিদাবাদে যখন মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। তখন তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান চা পান করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করছেন। এটি তৃণমূলের অসহিষ্ণু মানসিকতার প্রতিফলন।’’

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপশাসনের শাস্তি পেতেই হবে

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে বিজেপি (BJP) নেতা আরও বলেন, ‘‘ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিত্তিহীন বিরোধিতা করছেন। ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকরের নীতির পরিপন্থী (Jallianwala Bagh)। আমরা দেখতে পাচ্ছি হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। নির্যাতন করা হচ্ছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীরব দর্শক হিসেবে রয়ে গেছেন। কলকাতা হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করেছে এবং শান্তির জন্য সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে। এটি আমাদের আরজি কর কাণ্ডের কথাও মনে (BJP) করিয়ে দিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপশাসনের শাস্তি পেতেই হবে।’’

    অশান্তির সূত্রপাত

    অশান্তির সূত্রপাত হয় এই সপ্তাহের শুরুতেই (Anti Waqf Act Violence)। শুক্রবার ও তার পরের দিন তা তীব্র আকার ধারণ করে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুন্ডাবাহিনীর হামলা চালায়, অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। জেলার সাঁতরাগঞ্জ, সূতি ও ধুলিয়ান-সহ বিভিন্ন এলাকায় হিংসা খবর পাওয়া গিয়েছে। গুন্ডারা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে, বাড়িঘরেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে উন্মত্ত জনতার একাংশ। এ পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।শুক্রবার রাতের হিংসায় তিনজন নিহত হন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সাঁতরাগঞ্জের ৬৫ বছর বয়সী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ৪০ বছর বয়সী পুত্র চন্দন দাস। অভিযোগ, তাঁদের বাড়ি থেকে জোর করে টেনে এনে হত্যা করা হয়। সূতিতে মৃত্যু হয় বছর পঁচিশের এক যুবকের। বিজেপির দাবি, ধুলিয়ান থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০০ মানুষ, যাদের মধ্যে নারী ও কিশোরীও রয়েছেন, নৌকায় করে বৈষ্ণবনগরের পার্লালপুর গ্রামে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

  • Anti Waqf Act Violence: থমথমে মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার ১৫০, ঘরছাড়া ৪০০ হিন্দু পরিবার, দাবি বিজেপির

    Anti Waqf Act Violence: থমথমে মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার ১৫০, ঘরছাড়া ৪০০ হিন্দু পরিবার, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে (Anti Waqf Act Violence) আন্দোলনের জেরে মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত রয়েছে। এই ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলায় মোতায়েন করা (BJP) হয়েছে প্রায় ৮ কোম্পানি বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী। হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে ডিজি স্তর থেকে অতিরিক্ত এসপি পর্যন্ত পদস্থ কর্তাদের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। তবে শনিবার রাত থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

    হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ (Anti Waqf Act Violence)

    কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পর এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদে নয়, রাজ্যের যেসব অঞ্চলে হিংসার ঘটনা ঘটছে, সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের দেরিতে সাড়া দেওয়ার সমালোচনা করে হাইকোর্ট বর্তমান পরিস্থিতিকে “গুরুতর ও অস্থিতিশীল” বলে অভিহিত করেছে। আদালত রাজ্য সরকারকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।

    অশান্তির সূত্রপাত

    অশান্তির সূত্রপাত হয় এই সপ্তাহের শুরুতেই (Anti Waqf Act Violence)। শুক্রবার ও তার পরের দিন তা তীব্র আকার ধারণ করে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুন্ডাবাহিনীর হামলা চালায়, অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। জেলার সাঁতরাগঞ্জ, সূতি ও ধুলিয়ান-সহ বিভিন্ন এলাকায় হিংসা খবর পাওয়া গিয়েছে। গুন্ডারা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে, বাড়িঘরেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে উন্মত্ত জনতার একাংশ। এ পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    শুক্রবার রাতের হিংসায় তিনজন নিহত হন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সাঁতরাগঞ্জের ৬৫ বছর বয়সী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ৪০ বছর বয়সী পুত্র চন্দন দাস। অভিযোগ, তাঁদের বাড়ি থেকে জোর করে টেনে এনে হত্যা করা হয়। সূতিতে মৃত্যু হয় বছর পঁচিশের এক যুবকের।

    বিজেপির দাবি, ধুলিয়ান থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০০ মানুষ, যাদের মধ্যে নারী ও কিশোরীও রয়েছেন, নৌকায় করে বৈষ্ণবনগরের পার্লালপুর গ্রামে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রধান সুকান্ত মজুমদারেরও দাবি, হিংসার মধ্যেই ধুলিয়ানের একাধিক পরিবারকে বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে একাধিক পরিবারকে চরমপন্থী মৌলবাদী দুর্বৃত্তদের হয়রানির কারণে মালদার পার্লালপুর হাইস্কুল প্রাঙ্গনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হতে হয়েছে। হিন্দুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক এই সময়েও স্থানীয় তৃণমূল প্রতিনিধিরা তাঁদের এলাকা ছেড়ে যেতে হুমকি দিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে (BJP)। স্বাধীন ভারতের মাটিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বিভীষিকাময় দেশভাগের ইতিহাসের সাক্ষী বানাচ্ছেন (Anti Waqf Act Violence)।”

  • Murshidabad Violence: জ্বলছে মুর্শিদাবাদ, চায়ে চুমুক দিয়ে স্বস্তি খুঁজছেন ইউসূফ! বিজেপির নিশানায় তৃণমূল সাংসদ

    Murshidabad Violence: জ্বলছে মুর্শিদাবাদ, চায়ে চুমুক দিয়ে স্বস্তি খুঁজছেন ইউসূফ! বিজেপির নিশানায় তৃণমূল সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোম যখন পুড়ছিল, তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন নিরো! আর হিংসার আগুনে যখন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence) পুড়ছে, তখন চা পানে ব্যস্ত মুর্শিদাবাদেরই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তৃণমূলের ইউসূফ পাঠান। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় বাংলার রাজনীতিতে (BJP)।

    জ্বলছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence)

    ফেরা যাক খবরে। ওয়াকফ সংশোধিত আইন বাতিলের দাবিতে গত শুক্রবার থেকে জ্বলছে মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ অংশ। খুন হয়েছেন তিনজন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। টহল দিচ্ছে বিএসএফও। এমতাবস্থায় রবিবার বহরমপুরের সাংসদ ইউসূফ পাঠানের ইনস্টাগ্রামে দেখা যায়, তিনি মনের সুখে চা পানে ব্যস্ত। পোস্টে লিখেছেন, “আরামদায়ক বিকেলে চায়ে চুমুক, শান্তি। এই মুহূর্তে ডুবে আছি।”

    পদ্মের নিশানায় তৃণমূল

    একজন সাংসদের এহেন পোস্টে যারপরনাই চটেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালার অভিযোগ, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুরে ভোটব্যাংকের অঙ্কে ইউসূফকে জিতিয়ে দিয়েছেন। তবে জেতার পর প্রাক্তন এই ক্রিকেটার নিজের সাংসদের দায়িত্ব ভুলে মজা করছেন।” যদিও হিংসা কবলিত এলাকার সিংহভাগ অংশই ইউসূফের নির্বাচনী ক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে সেই জায়গাগুলো তাঁর কেন্দ্র লাগোয়া। তার জেরেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তৃণমূলের এই সাংসদ। শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোথাও থেকে ইউসূফ পাঠান নামে একজন ক্রিকেটারকে তুলে এনে টিকিট দিয়েছিলেন। তাঁর ভোটব্যাংক ইউসূফকে বহরমপুরে (Murshidabad Violence) জয়ী করেছিল। আজ যখন বাংলা জ্বলছে, হিন্দুদের বেছে বেছে হত্যা করা হচ্ছে, ইউসূফ পাঠান চা খেয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন…এটাই তৃণমূলের অগ্রাধিকার…দাস পরিবারকে হত্যা করা হল, বাংলা জ্বলছে আর পাঠান সাহেব চা পান করবেন এবং আনন্দ উপভোগ করবেন।”

    এর আগে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শেহজাদ পুনাওয়ালা লিখেছিলেন, “বাংলা জ্বলছে। হাইকোর্ট বলেছে যে তারা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারছেন না এবং তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে। পুলিশ নীরব থাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারিভাবে হিংসাকে উৎসাহিত করছেন! আর ইতিমধ্যে ইউসূফ পাঠান – এমপি চায়ে চুমুক দিচ্ছেন এবং হিন্দুদের হত্যার মুহূর্তটি উপভোগ করছেন…এটাই টিএমসি।”

    রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ইউসূফ পাঠান একজন ক্রিকেটার। কোনও রাজনীতিক নন। তাঁকে বহরমপুরে তৃণমূল কেন টিকিট দিয়েছিল শুধু তাঁর ধর্মীয় পরিচয়টাকে ব্যবহার করার জন্য। স্বাভাবিকভাবেই ইউসূফের সঙ্গে রাজনীতির বা মুর্শিদাবাদ জেলার সাধারণ মানুষের জীবনের তাপ-উত্তাপের কোনও সম্পর্কই নেই। সমাজ মাধ্যমে পোস্ট হাওয়া ছবি থেকেই সেটা পরিষ্কার।” তিনি বলেন, “তৃণমূল শুধু মুসলমান ভোটব্যাংক সংহত রাখতে রাজনীতি করে। সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য রাজনীতি করে না (BJP)। তারই প্রমাণ হচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে নির্বাচিত সাংসদের এই ছবি (Murshidabad Violence)।”

  • PM Modi: ‘‘জালিয়ানওয়ালাবাগ জাতির ইতিহাসে কালো অধ্যায়’’, শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘জালিয়ানওয়ালাবাগ জাতির ইতিহাসে কালো অধ্যায়’’, শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার ১৩ এপ্রিল। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের ১০৬তম বার্ষিকী। শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনাকে কালো অধ্যায় বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) পাশাপাশি শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুও।

    জাতির ইতিহাসে জালিয়ানওয়ালাবাগ একটি কালো অধ্যায়

    এক্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন, ‘‘আমাদের জাতির ইতিহাসে এই ঘটনা একটি কালো অধ্যায়। জালিয়ানওয়ালাবাগের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আগামী প্রজন্ম সর্বদা শহিদদের স্মরণ করবে।’’ জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলেও উল্লেখ করেন মোদি (PM Modi)। তিনি লেখেন, ‘‘জাতির ইতিহাসে জালিয়ানওয়ালাবাগ একটি অন্ধকার অধ্যায় ছিল। এই ঘটনায় শহিদদের আত্মত্যাগ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মোড় হয়ে ওঠে।’’

    এদেশ শহিদদের প্রতি সদা কৃতজ্ঞ ও ঋণী থাকবে বললেন রাষ্ট্রপতি

    জালিয়ানওয়ালাবাগে জীবন উৎসর্গকারী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, ‘‘তাঁদের (শহিদদের) আত্মত্যাগ আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরও তীব্র করে তুলেছিল। এদেশে তাঁদের প্রতি সদা কৃতজ্ঞ ও ঋণী থাকবে।’’ রাষ্ট্রপতির মতে, ‘‘জালিয়ানওয়ালাবাগে (Jallianwala Bagh Massacre) ভারত মাতার জন্য যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই সকল স্বাধীনতা সংগ্রামীকে আমি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। তাঁদের আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাকে (PM Modi) আরও শক্তিশালী করে তুলেছিল।’’ রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত যে সেই অমর শহিদদের কাছ থেকে প্রেরণা নিয়ে, সমস্ত দেশবাসী তাঁদের তন-মন-ধন দিয়ে ভারতের অগ্রগতিতে অবদান রাখবে।’’

    ১৩ এপ্রিল ১৯১৯ সালে অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড

    প্রসঙ্গত, ১৩ এপ্রিল ১৯১৯ সালে অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে বৈশাখী মেলায় জড়ো হয়েছিলেন শত শত সাধারণ নাগরিক। যাদের মধ্যে ছিল শিশুও। ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল রেজিনাল্ড ডায়ারের নির্দেশে নিরস্ত্র মানুষদের এই সমাবেশে গুলি চালায় ব্রিটিশ বাহিনী। রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে দমন করতে এইভাবেই বর্বরোচিত হামলা করে ব্রিটিশ পুলিশ। সরকারি হিসেবে এই ঘটনায় ৩৭৯ জন নিহত হওয়ার তথ্য দেওয়া হয়। বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা হাজার পার করেছিল।

  • Pohela Boishakh 2025: আকবর নন, বাংলা নববর্ষের প্রবর্তন করেছিলেন হিন্দু রাজা শশাঙ্ক!

    Pohela Boishakh 2025: আকবর নন, বাংলা নববর্ষের প্রবর্তন করেছিলেন হিন্দু রাজা শশাঙ্ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে বাংলা নববর্ষ। পয়লা বৈশাখ (Pohela Boishakh 2025), বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। ইতিহাস বলে, বাংলা নববর্ষের প্রচলন করেছিলেন মুঘল সম্রাট আকবর। এতদিন ধরে আমরা যা জেনে এসেছি, পড়ে এসেছি, তা একটি মিথ্যে তথ্য, তা-ই আজ প্রমাণ করবে মাধ্যম

    মহারাজ শশাঙ্ক (Pohela Boishakh 2025)

    বঙ্গাব্দের প্রকৃত প্রবর্তক মহারাজ শশাঙ্ক। স্বাধীন বাংলার শাসক ছিলেন তিনি।! হিন্দু এই রাজা কালগণনার ক্ষেত্রে সূর্য সিদ্ধান্ত পদ্ধতি চালু করেছিলেন। শশাঙ্কই যে বঙ্গাব্দের প্রকৃত প্রবর্তক, তা আঁক কষেই বলে দেওয়া যায়। এটা বাংলায় ১৪৩১ সাল। ইংরেজিতে ২০২৫। এই দুই সালের পার্থক্য করলে ফারাক কত দাঁড়ায়? ২০২৫-১৪৩১ = ৫৯৪। এই ৫৯৪ সালে কে রাজত্ব করতেন? তখন তো মুঘলরা ভারতই আক্রমণ করেনি! আসলে এই সময় ছিল হিন্দু রাজা শশাঙ্কের রাজত্বকাল। ৫৯৩ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গাব্দ চালুর কারণ হল ওই বৈশাখের প্রথম দিনেই রাজ্যাভিষেক হয়েছিল তাঁর। সেদিন ছিল সোমবার। আনুমানিক ৫৯০ থেকে ৬২৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ছিল শশাঙ্কের রাজত্বকাল। তাঁর রাজ্যাভিষেকের দিন ছিল ১লা বৈশাখ ৫৯৪ খ্রিষ্টাব্দ, ১২ এপ্রিল, সোমবার। পরবর্তীকালে পঞ্জিকার বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পয়লা বৈশাখ ১২ এপ্রিল থেকে বদলে এখন পালিত হয় ১৫ এপ্রিল।

    হাজার বছরের পার্থক্য কেন?

    প্রশ্ন হল, যদি আকবর বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠাতা হন, তাহলে কালগণনায় প্রায় এক হাজার বছরের পার্থক্য কেন? ইতিহাস থেকেই জানা যায়, বাংলায় যে অজস্র ছোটো-ছোটো রাজ্যগুলি ছিল, সেগুলিকে একত্রিত করে প্রথম স্বাধীন বাঙালি সাম্রাজ্য স্থাপন করে সিংহাসনে বসেছিলেন মহারাজ নরেন্দ্রাদিত্য শশাঙ্ক। রাজধানী ছিল আজকের মুর্শিদাবাদের কর্ণসুবর্ণতে। শশাঙ্কের অধীনে ছিল বাংলা, বিহার, ওড়িশা এবং অসমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্রথম বাঙ্গালি সম্রাট শশাঙ্কের রাজ্যাভিষেক থেকেই বাঙালির নিজস্ব ক্যালেন্ডার বঙ্গাব্দর সূচনা। তাই বাংলা নববর্ষের প্রবর্তক আকবর নন, শশাঙ্ক। বঙ্গাব্দ প্রচলন এবং বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ইসলামের কোনও যোগই নেই। এই ভাবনা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

    শশাঙ্কের রাজত্বকাল (Pohela Boishakh 2025) চলাকালীন ৫৯৩ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গাব্দ শুরু হয়। ২০২৫-এর সঙ্গে হিসেব মিলিয়ে করলে কত দাঁড়ায়? ২০২৫-৫৯৩=১৪৩২। দুদিন পরেই সেই ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। আর সম্রাট আকবরের শাসনকাল ছিল ১৫৫৬ থেকে ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দ। অর্থাৎ সম্রাট আকবর বাংলা নববর্ষের প্রবর্তক, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল এবং ভিত্তিহীন!

    প্রাচীন ওড়িশার গঞ্জাম থেকে পাওয়া তাম্রশাসন থেকে জানা যায়, শৈলোদ্ভববংশীয় দ্বিতীয় মাধববর্মা মহারাজ শশাঙ্কদেবের সামন্ত ছিলেন। এই তাম্রশাসন মাধববর্মা ৬১৯ খ্রিস্টাব্দে লিখেছিলেন। সুতরাং ৬১৯ খ্রিস্টাব্দের আগেই শশাঙ্ক পূর্ব ভারতের রাজ্যপাটে অভিষিক্ত হয়েছিলেন। শশাঙ্ক সম্পর্কে যেটুকু তথ্য পাওয়া যায় তার অনেকটাই হর্ষবর্ধনের সভাকবি বাণভট্ট রচিত ‘হর্ষচরিত’ থেকে। সেই সঙ্গে চিনা পরিব্রাজক হিউএনসাঙের ভারত ভ্রমণের বৃত্তান্ত থেকেও জানা যায়।

    শশাঙ্কের রাজকার্যের প্রচলিত ভাষা ছিল বাংলা। রাজধর্ম ছিল হিন্দু। তিনিই প্রথম অপরাজিত (Pohela Boishakh 2025) এবং বিস্তৃত বঙ্গের একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন ধর্মসংরক্ষক এবং পরধর্মসহিষ্ণু। বাঙালি হিন্দু রাজাদের মধ্যে তিনি হলেন এক উজ্জ্বল জ্যোতিস্ক।

LinkedIn
Share