Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Hinduphobia: আমেরিকায় প্রথম কোনও প্রদেশ হিসেবে হিন্দু-বিদ্বেষ রুখতে বিল আনল জর্জিয়া

    Hinduphobia: আমেরিকায় প্রথম কোনও প্রদেশ হিসেবে হিন্দু-বিদ্বেষ রুখতে বিল আনল জর্জিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় হিন্দু-বিদ্বেষ (Hinduphobia) বৃদ্ধি পাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই। এই আবহে হিন্দু-বিদ্বেষ রোখার জন্য বিল আনল জর্জিয়া (Georgia)। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, আমেরিকায় প্রথম কোনও প্রদেশ এমন পদক্ষেপ করল। জানা যাচ্ছে, বিলটি আইনে পরিণত হলে হিন্দু বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

    এসবি ৩৭৫ নামে ওই বিলটি জর্জিয়ার আইনসভায় পেশ করা হয়েছে

    সম্প্রতি, এসবি ৩৭৫ নামে ওই বিলটি জর্জিয়ার আইনসভায় পেশ করা হয়েছে বলে খবর। বিলটিকে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দুই দলেরই জনপ্রতিনিধিদের। রিপাবলিকান দলের দুই সেনেট সদস্য শন স্টিল, ক্লিন্ট ডিক্সন এবং ডেমোক্র্যাট দলের দুই সেনেট সদস্য জেসন এস্টিভস, এমানুয়েল জন এই বিলটি উত্থাপন করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। বিলটি উত্থাপনের পরে শন বলেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে আমরা দেখছি, দেশে হিন্দুদের (Hinduphobia) বিরুদ্ধে হিংসা বৃদ্ধি পেয়েছে।’’ এই বিলটিতে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসার যে কোনও ঘটনাকে ‘বৈরিতামূলক, ধ্বংসাত্মক, অবমাননাকর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    হিন্দু ধর্মের অকুণ্ঠ প্রশংসা করা হয়েছে বিলটিতে (Hinduphobia)

    জর্জিয়ার (Georgia) আইনসভার এমন সিদ্ধান্তে হিন্দুদের (Hinduphobia) একটি সংগঠন ‘কোয়ালিশন অফ হিন্দুস অফ নর্থ আমেরিকা’ সেনেটরদের এবিষয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, এই বিলটির জন্য ওই সেনেটরদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে তারা গর্বিত। বিলে সনাতন ধর্মের ভূয়সী প্রশংসা করে বলা হয়েছে, পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন ধর্ম হল হিন্দু। বৃহত্তর ধর্মও বটে। প্রায় ১০০টি দেশে ১২০ কোটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছড়িয়ে রয়েছেন। বৈচিত্র্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিকে সমর্থন করে এই ধর্ম।

    আমেরিকায় হিন্দুদের ওপর হামলার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান

    আমেরিকায়ও হিন্দুর সংখ্যা অনেক। জর্জিয়ায় প্রায় ৪০ হাজার হিন্দুর বাস। সেখানে গত কয়েক বছরে আমেরিকায় হিন্দুদের (Hinduphobia) বিরুদ্ধে হিংসা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, ‘গাভিষ্ঠি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠন হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আমেরিকায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে ১,৩১৪টি ‘ধর্মীয় হিংসা’-র ঘটনা ঘটেছে।

  • Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই (মুর্শিদাবাদের) পরিস্থিতি (Murshidabad Violence) এমন হয়েছে।” শনিবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ঠিক এই ভাষায়ই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে মুর্শিদাবাদে ঘটে চলা হিংসার প্রেক্ষিতে সুকান্তর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য রাজ্যকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে রাজ্যে আরও একটা গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড়! (Murshidabad Violence)

    সুকান্ত বলেন, “পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ রায় দিয়েছে, এবং আমরা তাকে স্বাগত জানাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে। হাইকোর্টের আজকের রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড় – যে তিনি রাজ্য শাসনের জন্য প্রস্তুত নন। তিনি এই রাজ্য শাসনের অযোগ্য।”

    মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড়!

    সাম্প্রদায়িক হিংসার সময় রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সুকান্তর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। তিনি (Murshidabad Violence) বলেন, “পুলিশ তাঁর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড় দিচ্ছে। এই সময়ে তারা লুটপাট করতে পারে, মহিলাদের সঙ্গে অসদাচরণ করতে পারে, হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর করতে পারে এবং ইচ্ছেমতো সব করতে পারে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। পুলিশের ওপর হামলা হয়েছিল, গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য সমগ্র পশ্চিমবঙ্গকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে কলকাতা হত্যাকাণ্ডের মতো আরও একটি ঘটনা ঘটবে।”

    প্রসঙ্গত, শনিবারই পশ্চিমবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার আইজি কর্নি সিং শেখাওয়াত জানিয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশের অপারেশনে সাহায্য করতে তারা পাঁচ কোম্পানি সেনা (BJP) মোতায়েন করেছে। তিনি বলেন, “বিএসএফ পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে এবং অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে আরও বাহিনী পাঠানোর প্রস্তুতি রয়েছে।” গত ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Murshidabad Violence)।

  • Andhra CM: মুসলিম উন্নয়ন বাদে আয় বাড়াতে ওয়াকফ সম্পত্তি লিজের পরিকল্পনা! রুখে দিলেন চন্দ্রবাবু

    Andhra CM: মুসলিম উন্নয়ন বাদে আয় বাড়াতে ওয়াকফ সম্পত্তি লিজের পরিকল্পনা! রুখে দিলেন চন্দ্রবাবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সম্পত্তিকে কাজে লাগিয়ে আয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াকফ বোর্ড ৩০ হাজার একর জমি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে লিজ দেওয়ার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তবে গত বৃহস্পতিবারই চন্দ্রবাবু নাইডু সরকার ওই বিজ্ঞপ্তিকে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। এমন নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু (Andhra CM)। নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার যখন এমন পদক্ষেপ করছে, তখন এরাজ্যে ঠিক যেন বিপরীত চিত্র ধরা পড়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, তাঁর সরকার এই আইনকে সমর্থন করেনা। এই আইন পশ্চিমবঙ্গে লাগুও হবে না। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। দরিদ্র মুসলিম সমাজের কল্যাণে যে আইন পাশ হল দেশের সংসদে, তা লাগু না করার কথা কোন স্বার্থে বলছেন মমতা।

    কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু (Andhra CM)

    তারপরে সে রাজ্যের সংখ্যালঘু কল্যাণ বিভাগ গত বুধবারে তা বাতিল করার আদেশ জারি করেছে। মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু (N Chandrababu Naidu) জানিয়েছেন, এই ধরনের জমি শুধুমাত্র মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য ব্যবহার করা উচিত। তা অন্য কোনও কাজে যেন ব্যবহার না করা হয়। এ নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর আজিজ জানিয়েছেন, তাঁরা অবগত অন্ধ্র প্রদেশ সরকারের এমন সিদ্ধান্তে।

    পেট্রোল পাম্প, শপিং কমপ্লেক্স, বাণিজ্যিক ভবনকে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা

    জানা যাচ্ছে, এই জমিগুলি বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থার কাছে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে পেট্রোল পাম্প, শপিং কমপ্লেক্স, বাণিজ্যিক ভবন, মাল্টিপ্লেক্স- এই সমস্ত কিছুই ছিল। ওয়াকফের তরফ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, তাতে ৮ মে পর্যন্ত আবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সে সবই বাতিল হল সরকারের সিদ্ধান্তে। এনিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর (Andhra CM) এমন বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারে নির্দেশ দিয়েছেন এবং সংখ্যালঘু বিভাগকে তিনি তা জানিয়ে দিয়েছেন। ওয়াকফ সম্পত্তিকে রক্ষা করার জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও বলেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু (N Chandrababu Naidu)।

  • Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবারই হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদে (Violence Hit Murshidabad) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানান শুভেন্দু। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি শুনলেন না। তাই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। কলকাতা হাইকোর্টের প্রতি আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই।”

    কী বললেন শুভেন্দুর আইনজীবী

    প্রসঙ্গত, শনিবার (Suvendu Adhikari) হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় ঘটা সংঘর্ষ ও তিনজনের প্রাণহানির ঘটনার প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অনীশ মুখার্জি। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে, বিশেষত মুর্শিদাবাদে, হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকারী একটি জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “রাজ্যজুড়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ অপরিহার্য ছিল।”

    হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ

    হাইকোর্ট মমতা সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়কেই পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ এপ্রিল। আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “মামলাটি শুনানির পর আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী অবিলম্বে মোতায়েন করতে হবে। রাজ্য প্রশাসন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সহায়তা করবে যাতে প্রাণহানি, আইন লঙ্ঘন বা কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে। এই জনস্বার্থ মামলাটি হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে এবং ১৭ এপ্রিল এর আবার শুনানি হবে, যেখানে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ই তাদের অবস্থান (Violence Hit Murshidabad) স্পষ্ট করে হলফনামা জমা দেবে।” এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, জেলায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বিরোধী উত্তেজনার জেরে শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে (Suvendu Adhikari) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

  • Serial Killer: ১০ মহিলাকে হত্যার অভিযোগ, পুলিশের জালে সিরিয়াল কিলার

    Serial Killer: ১০ মহিলাকে হত্যার অভিযোগ, পুলিশের জালে সিরিয়াল কিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশ মহিলাকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সিরিয়াল কিলার অবশেষে ধরা পড়ল পুলিশের জালে (Serial Killer)। ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গনায়। জানা গিয়েছে সে রাজ্যে পাঁচটি জেলায় কমপক্ষে ১০ জন মহিলাকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে এই সিরিয়াল কিলারের বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তের বাড়ি তেলেঙ্গনার মাহবুবনগর জেলার আয়াগরিপল্লিতে থান্ডারে। তার নাম গোপাল ওরফে দাপ্পু গোপাল (৫৪)। গত শুক্রবার সে রাজ্যের নরসাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। জানা গিয়েছে গোপাল একজন দাগী অপরাধী।

    দুর্বল মহিলাদের টার্গেট করত দাগী অপরাধী গোপাল (Serial Killer)

    পুলিশ জানিয়েছে, যে প্রথমেই দুর্বল মহিলাদের টার্গেট করত এই গোপাল (Serial Killer)। এর পরে তাদেরকে মদের দোকানে নিয়ে যেত। তাদের সঙ্গে গল্প গুজব করে তাদের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করত। তাদের নেশা করাত। এরপর অপরাধ সংগঠিত করার জন্য তাদেরকে নির্জন স্থানে নিয়ে যেত সে। সেখানে মহিলাদের ধর্ষণ-খুন করে লুট করত বলে জানা যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, গোপাল ২০০৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মাহাবুবনগর, সাঙ্গারেড্ডি, ভিকারাবাদ, কামারেড্ডি এবং মেডাক জেলায় একাধিক খুনের (Murder) কথা স্বীকার করে। এর আগে ২০০৮ সালে ভিকারাবাদ জেলার বোম্মারাসপেটে একটি খুনের জন্য সে ১০ বছরের কারাদণ্ডও ভোগ করেছিল গোপাল। তার বিরুদ্ধে নবাবপেট (২০১৮), নরসাপুর মণ্ডল (২০২৩), পাশাপাশি গুম্মাদিদালা, সদাশিবনগর, কামারেড্ডি এবং তাদোয়াইতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অবশেষে ধরা পড়ল পুলিশের জালে।

    কীভাবে ধরা পড়ল গোপাল, কী জানালেন এসপি (Serial Killer)

    মেডকের এসপি উদয় কুমার রেড্ডি, মামলার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। গত ২৫ মার্চ নরসাপুরে নামের এক জায়গায় জয়রাম থান্ডার একজন দিনমজুর শ্রমিক ভুজালি (৫২) নিখোঁজ হন। এরপরেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তাকে শেষবার একটি দেশি মদের দোকানের কাছে দেখা গিয়েছে। একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে একটি অটোতে যেতেও দেখা গিয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে গোপালকে।

  • Bangladesh: ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে দিল্লি, ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প

    Bangladesh: ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে দিল্লি, ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছেই। সম্প্রতি ব্যাঙ্ককে পাক-ঘনিষ্ঠতা সমেত ইউনূসদের দেশে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে ঢাকাকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে দিল্লি। এই আবহে মোদি সরকার, সে দেশের ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধাকে বাতিল করেছে। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউনূসদের বাংলাদেশ হল পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারকদের দেশ। এদের ব্যবসা হল ৪৫ বিলিয়ন ডলারের। ভারতের এমন সিদ্ধান্তে বেশ বিপাকে ঢাকা।

    পেট্রাপোল সীমান্তে আটকে বাংলাদেশের ট্রাক (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, ভারত সরকার ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায়, নেপাল, ভুটান এবং অন্যান্য দেশে দ্রুত যেভাবে পোশাক রফতানি করতে পারত বাংলাদেশ সেটা আর পারছে না তারা। এর ফলে পোশাক রফতানিকারকদের শিপমেন্ট পরিবর্তন করতে হচ্ছে। যার ফলে খরচও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বাংলাদেশের পোশাক ব্যবসায়ীদের। সেই খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এই আবহে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারীর সংস্থাগুলির মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি, ভারতের প্রশাসন বাংলাদেশের ট্রান্স শিপমেন্ট (Garment Industry of Bangladesh) সুবিধা বাতিল করার পরেই পণ্যবাহী চারটি বাংলাদেশি ট্রাককে পেট্রাপোল স্থলবন্দরের আটকে দেওয়া হয়। এই ট্রাকগুলিকে ভারতের মাটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, এই ট্রাকগুলি যশোরের বেনাপোল থেকে এসেছিল।

    ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে বিপুল ব্যবসা করেছে বাংলাদেশ

    ২০২০ সালের ২৯ জুন একটি চুক্তির মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে (Bangladesh) ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা দেয়। এর ফলে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ভারতের কাছে তৃতীয় দেশ হিসেবেই এই সুযোগ পায় বাংলাদেশ। পরবর্তীকালে ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই পনেরো মাসে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে ব্যাপক ব্যবসা করে বাংলাদেশ (Bangladesh)। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ভারতীয় সড়ক পরিবহনকে ব্যবহার করে ৩৬টি দেশে পোশাক রফতানি করেছে। জানা যাচ্ছে, এইভাবে গত ১ বছরে ৪৬২ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করেছে ভারত।

  • Nil Sasthi 2025: আজ, বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে নীলষষ্ঠী, জানেন এই ব্রতর তাৎপর্য?

    Nil Sasthi 2025: আজ, বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে নীলষষ্ঠী, জানেন এই ব্রতর তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নীলের ঘরে দিয়ে বাতি, জল খাওগো পুত্রবতী’! শুধু পুত্র নয়, পুত্র-কন্যা সবার জন্যই এই ব্রত রাখেন বাংলার মায়েরা। চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন প্রতি বছর পালিত হয় নীল ষষ্ঠী (Nil Sasthi 2025)। বাংলার ১২ মাসের ১৩ পার্বনের মধ্যে অন্যতম পার্বন হল নীল ষষ্ঠীর ব্রত। এটি বাংলার একটি নিজস্ব লোকায়ত ধর্মীয় উত্‍সব। এই বছর আজ, রবিবার, ১৩ এপ্রিল পালিত হবে নীল ষষ্ঠী।

    কেন নাম নীল ষষ্ঠী

    নীল ষষ্ঠীর (Nil Sasthi 2025) পরের দিন চৈত্র সংক্রান্তি। তার পরের দিন বাংলা নববর্ষের শুরু। পুরাণ অনুসারে, নীল ষষ্ঠীর দিনেই মহাদেবের সঙ্গে নীল চণ্ডিকার বিয়ে হয়। নীলকণ্ঠ, মহাদেবের সঙ্গে এদিন নীল চণ্ডিকা বা নীলাবতীর বিয়ের কারণেই এই দিনটি নীলষষ্ঠী নামে পরিচিত। আর এই ষষ্ঠীর পুজোকে নীল পুজো বলা হয়। গ্রামীন অঞ্চলে চৈত্র সংক্রান্তিতে চরক পুজো উপলক্ষে গাজনের মেলাও বসে।

    কীভাবে পালন করা হয় নীল ষষ্ঠী

    চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সারাদিন নির্জলা উপবাস রাখতে হয়। সন্ধেবেলা শিবলিঙ্গে জল ঢেলে মহাদেবের পুজোর প্রসাদ মুখে দিয়ে উপবাস ভাঙা হয়। উপোস ভাঙার পরও এদিন ফল, সাবু ইত্যাদি ছাড়া ময়দার তৈরি খাবারই খেতে হয়। চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন পঞ্জিকা অনুসারে ষষ্ঠী তিথি নয়। তা হলেও এদিন নীল ষষ্ঠীর ব্রত পালন করা হয়। নীল ষষ্ঠীতে (Nil Sasthi Brata) ষষ্ঠী দেবীর সঙ্গেই সন্তানের মঙ্গল কামনা করে মহাদেবের আরাধনা করা হয়ে থাকে। শিবের মাথায় বেলপাতা, ফুল ও একটি ফল ছুঁয়ে রাখতে হয়। অপরাজিতা বা আকন্দ ফুলের মালা পরিয়ে, সন্তানের নামে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করা হয়।

    নীল ষষ্ঠী ২০২৫ পুজোর সময়

    ১৩ এপ্রিল ২০২৫, বাংলা ক্যালেন্ডারে ৩০ চৈত্র ১৪৩১ রবিবার পালিত হবে নীল পুজো। প্রতিপদ পড়েছে রবিবার ভোর ৫টা ৫২ মিনিটে। পঞ্জিকা অনুসারে নীলকণ্ঠ শিবের পুজো করুন কাল সকাল ৯টা ৩২ মিনিটের মধ্যে। তবে দেবীর ষোড়শ যাত্রার মধ্যে অন্যতম হল নীলযাত্রা। দেবী নীলাবতীর পুজো করতে হবে সন্ধেবেলা। নীলের পুজোয় অবশ্যই পঞ্চামৃত নিবেদন করতে হবে। এই পঞ্চামৃত হল দুধ, দই, ঘি, মধু ও চিনি। এর সঙ্গে একটু কালো তিল ও সিদ্ধি পাতা মিশিয়ে দিতে পারলে খুবই ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়া গঙ্গাজল, আকন্দ ফুল, ধুতরো, নীল অপরাজিতা ও কাঁচা আম দিয়ে এ দিন মহাদেবের পুজো করুন।

  • ISL 2024-25: যুবভারতী সবুজ-মেরুন! চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান, ম্যাকলারেনের গোলে ইতিহাস মেরিনার্সদের

    ISL 2024-25: যুবভারতী সবুজ-মেরুন! চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান, ম্যাকলারেনের গোলে ইতিহাস মেরিনার্সদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোড়া মুকুট  মোহনবাগানের (Mohun Bagan Super Giants)। লিগ-শিল্ডের পর আইএসএল কাপের (ISL 2024-25) রংও সবুজ-মেরুন। এই ম্য়াচে মেরিনার্স ব্রিগেডের হয়ে একটি করে গোল করলেন জেমি ম্য়াকলারেন এবং জেসন কামিন্স। ফাইনাল ম্য়াচে ২-১ গোলে জয়লাভ করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। শনিবারের রাতে যুবভারতীতে উৎসবে মাতল মেরিনার্সরা।

    সমানে সমানে লড়াই

    আইএসএল কাপ ফাইনালে এদিন মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giants) ও বেঙ্গালুরু এফসি। ঘরের মাঠ যুবভারতীতে দ্বিমুকুট জয়ের লক্ষ্যে নেমেছিল মোলিনার দল। অন্যদিকে টক্কর দিতে প্রস্তুত সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু। লিগ শিল্ড জয়ের পর আইএসএল কাপও যাতে সবুজ-মেরুন হয়, তার জন্য মাঠ ভরিয়েছিল মেরিনার্সরা। ৬০ হাজারের যুবভারতী ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। এই হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে প্রথমার্ধ শেষে উভয় দলই গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে। তবে ম্যাচের শুরু থেকেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং উত্তেজনা মাঠের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। মোহনবাগানের ঘরের মাঠে খেলা হলেও বেঙ্গালুরু এফসি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়িয়ে ম্যাচে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে।

    সাফল্য মানেই মোহনবাগান

    সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে চাপিয়ে এদিন স্টেডিয়ামে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভক্তরা। এর আগে ২০২২-২৩ মরশুমের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরু এফসি। যেখানে পেনাল্টি শুটআউটে ম্যাচ জেতে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব (Mohun Bagan Super Giants)। ঘরে ওঠে ট্রফি। কিন্তু এবার লড়াইটা জমে উঠছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ঘটেছিল সেই অঘটন। অ্যালবার্তো রডরিগসের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC)। কিন্তু, পেনাল্টিতে কামিন্সের শট সমতা ফেরাল মোহনবাগান। ম্য়াচের ফলাফল ১-১। ম্যাচের ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করলেন জেসন কামিন্স। বলটা লেফট বটম কর্নার দিয়ে বেঙ্গালুরুর জালে জড়িয়ে যায়। গুরপ্রীত শরীর ভাসিয়ে বলটা আটকানোর চেষ্টা করলেও, কামিন্সের শটে যে গতি ছিল, তার সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেননি। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে পাঁচ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেন জেমি ম্যাকলারেন। বক্সের মধ্যে বল বাড়ান গ্রেগ স্টুয়ার্ট। বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডার চিংলেনসানার ভুল থেকে বল পান ম্যাকলারেন। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। এগিয়ে যায় মোহনবাগান। আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বেঙ্গালুরু। রেফারি বাঁশি দিতেই গোটা সল্টলেক স্টেডিয়ামের ৬০,০০০ দর্শক একসঙ্গে গর্জন করে ওঠে। তাঁরাই চ্যাম্পিয়ন।

  • BJP: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে, উসকানি দিচ্ছেন মমতা”, তোপ বিজেপির

    BJP: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে, উসকানি দিচ্ছেন মমতা”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হিংসাকে উৎসাহিত, সমর্থন এবং উসকানি দিচ্ছেন। বাংলায় টার্গেটেড হিন্দুবিরোধী হিংসাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুরক্ষা দিচ্ছেন এবং তাকে উৎসাহিত করছেন।” ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ (Anti Waqf Act Protests) করতে গিয়ে যেসব হিংসার ঘটনা ঘটছে রাজ্যে, সে সম্পর্কে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারী।

    বিজেপির তোপ (BJP)

    তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বামী বিবেকানন্দের ভূমি, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ভূমি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকে তোষণের ল্যাবরেটরিতে পরিণত করেছেন। পাশের রাজ্য অসমে সব শান্তিপূর্ণ, দেশের অন্যান্য অংশে শান্তি থাকলেও, বাংলায় কেন হিংসা হচ্ছে? কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাকে সমর্থন করছেন।” বিজেপির মুখপাত্র বলেন, “এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের মুখোশ খুলে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “এক দিকে এসএসসি কেলেঙ্কারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ খুলে যাওয়ায় পুলিশ-প্রশাসন লাঠি ও বেতন ব্যবহার করে। অন্যদিকে, মালদা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় যখন সুনির্দিষ্টভাবে হিন্দুদের লক্ষ্য করে উগ্রপন্থী জনতা হামলা চালায়, তখন পুলিশ নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকে। যখন তাদের ওপর পাথর ছোড়া হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তখন পুলিশ চুপচাপ বসে থাকে (Anti Waqf Act Protests)।” তিনি বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করতে চাই, বাংলার হিন্দুদের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা কি আপনার দায়িত্ব নয়? আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়, এবং এজন্য সরাসরি দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ

    এদিকে, মুর্শিদাবাদের (BJP) ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় অশান্তির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সেই মামলার শুনানি হল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে। ওই মামলায়ই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে গত (BJP) কয়েক দিন ধরে মুর্শিদাবাদ-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের কিছু এলাকায় অশান্তিও ছড়িয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধও বাঁধে বিক্ষোভকারীদের। এই হিংসায় এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে বেসরকারি সূত্রের খবর (Anti Waqf Act Protests)।

  • Rafale-M: ভারতীয় বায়ুসেনার রাফালের থেকে কতটা আলাদা হতে চলেছে নৌ-সংস্করণ রাফাল-এম?

    Rafale-M: ভারতীয় বায়ুসেনার রাফালের থেকে কতটা আলাদা হতে চলেছে নৌ-সংস্করণ রাফাল-এম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান (Rafale-M) কেনার বিষয় চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government)। বুধবারই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS)। যা জানা গিয়েছে, এই বিমান কিনতে গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট ডিল (G2G Deal) হবে। ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে সরাসরি চুক্তি হবে। চুক্তির মূল্য আনুমানিক ৬৩ হাজার কোটি টাকা। যার দৌলতে, ২৬টি রাফাল মেরিন (Rafale-M) ফাইটার জেট পাবে ভারত। এর মধ্যে ২২টি হবে সিঙ্গল-সিটার বা এক আসন বিশিষ্ট এবং ৪টি টুইন সিটার বা দুই আসন বিশিষ্ট। শেষোক্ত চারটি প্রশিক্ষণের কাজেও ব্যবহৃত হবে। এর পাশাপাশি, যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম, যন্ত্রাংশ, অস্ত্র, সিমুলেটর, পাইলট প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অন্তর্ভুক্ত থাকবে চুক্তির আওতায়।

    বেশি খরচে কম সংখ্যক বিমান

    এর আগে, ২০১৬ সালে একইভাবে ফ্রান্সের থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৩৬টি রাফাল এফ-৩ যুদ্ধবিমান কিনেছিল ভারত। সেবারও দুই দেশের মধ্যে সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে ৫৯ হাজার কোটি টাকায় রফা হয়েছিল। ফলে, একটা প্রশ্ন আসতে পারে, ৩৬টি বিমান কিনতে যা অর্থ ব্যয় হয়েছিল, সেই তুলনায় একই সংস্থা থেকে কম সংখ্যক একই প্রজাতির বিমান কিনতে বেশি খরচ কেন? প্রশ্নটা বৈধ। তবে, উত্তরটা লুকিয়ে রয়েছে বিমানেই। বায়ুসেনার ব্যবহৃত রাফালের (Rafale-M) সংস্করণ এবং বিশেষভাবে নৌবাহিনীর জন্য তৈরি রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের মধ্যে অনেক মিল আছে বটে, তবে ফারাকটাও বিস্তর। বায়ুসেনার মডেলের তুলনায় এই সংস্করণে একাধিক পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে এটি বিমানবাহী রণতরী থেকে অপারেট করতে পারে। কীরকম? তা একটু খোলসা করে বলা যাক (Rafale vs Rafale-M)।

    রাফাল বনাম রাফাল-এম: তুল্যমূল্য বিচার (Rafale vs Rafale-M)

    বায়ুসেনায় ব্যবহৃত রাফালের তুলনায় তার নৌ-সংস্করণ (Rafale-M) বেশি ভারী। এর প্রধান কারণ, রাফাল-এম জেটের সামনের ছুঁচলো দিক (বিমানের নাক) অধিক লম্বা ও রিইনফোর্সড করা। লক্ষ্য, মাঝ-সমুদ্রে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে বিমান ও পাইলটকে অধিক সুরক্ষা প্রদান করা। একইসঙ্গে, এই বিমানে একটি শক্তিশালী ‘আন্ডারক্যারেজ’ দেওয়া হয়েছে, যাতে বিমান বা রণতরীর ডেকের কোনও ক্ষতি না হয়।

    সাধারণ রাফাল যুদ্ধবিমান টেক-অফ ও ল্যান্ডিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট রানওয়ে পায়। একটা রানওয়ে সাধারণত দেড় থেকে ২ কিমি লম্বা হয়। ফলে, আকাশে ওড়ার প্রয়োজনীয় শক্তি রানওয়ে থেকে পেয়ে যায় রাফাল। সেই জায়গায়, রাফাল-এম (Rafale-M) জেটকে উড়তে হবে ভারতীয় বিমানবাহী রণতরীর ডেক থেকে। আইএনএস বিক্রমাদিত্য বা আইএনএস বিক্রান্ত-এর ডেকে দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬০ মিটার। যা রানওয়ের তুলনায় অনেকটাই ছোট।

    ছোট ডেকে টেক-অফ ও ল্যান্ডিং

    এছাড়া, ভারতীয় এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারগুলির ডেকের চরিত্র ভিন্ন। মার্কিন বিমানবাহী রণতরীগুলিতে রয়েছে ক্যাটাপুল্ট অ্যাসিস্টেড টেক-অফ বাট অ্যারেস্টেড রিকভারি (ক্যাটোবার) সিস্টেম। এখানে ডেকের ঠিক নীচে একটি স্প্রিং-কয়েল থাকে। সেই স্প্রিংকে বিমানের সামনের চাকার সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর স্প্রিং ছেড়ে দিলে, তা উচ্চগতিতে রিকয়েল করতে করতে বিমানকে টেনে নিয়ে গিয়ে ডেক থেকে উড়িয়ে দেয়। ফলে, বিমান যত ভারীই হোক, তাতে সমস্যা হয় না। সেখানে, ভারতের ক্যারিয়ারগুলি শর্ট টেক-অফ বাট অ্যারেস্টেড রিকভারি (স্টোবার) পদ্ধতি ব্যবহার করে। এখানে বিমানের টেক-অফ (ওড়ার) করার জন্য এক প্রান্তে স্কি-জাম্প রয়েছে। অর্থাৎ, ওপরের দিকে বাঁকানো। ফলে, বিমানকে নিজের শক্তিতে উড়তে হয়।

    রাফাল-এম (Rafale-M) একে বেশি ভারী। তার ওপর টেক-অফের জায়গা কম এবং ক্যাটবার বা আরও আধুনিক ইমালস (ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক সিস্টেম) নেই ভারতীয় রণতরীতে। ফলত, এই সমস্যার মোকাবিলা করতে রাফাল-এম জেটে বসানো হয়েছে অনেকটাই শক্তিশালী ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনের থ্রাস্ট ভারী রাফাল-এম জেটকে অস্ত্র নিয়ে ছোট দৈর্ঘ্যের ডেক থেকেও উড়তে সাহায্য করে।

    এছাড়া, রাফাল-এম (Rafale-M) বিমানে রয়েছে একাধিক পরিবর্তন। এতে যোগ করা হয়েছে এমন কিছু প্রযুক্তিগত উন্নতি, যা একে বায়ুসেনার ভার্সান থেকে পৃথক করেছে।

    রাফাল-এম জেটের অনন্য বৈশিষ্ট্য

    ● এতে থাকছে অ্যারেস্টার হুক। জাহাজের ডেকে অবতরণ করার জন্য। এই হুকের সাহায্যেই বিমানগুলি রণতরীর ছোট্ট ডেকে গতিতে অবতরণের পরও থেমে যেতে পারে। এছাড়া রয়েছে ক্যারিয়ার-নির্ভর মাইক্রোওয়েভ ল্যান্ডিং সিস্টেম।

    ● জায়গা বাঁচাতে এই বিমানের সঙ্গেই থাকে একটি ছোট ভাঁজযোগ্য সিঁড়ি। যার মাধ্যমে পাইলট বিমানে চড়তে বা বেরোতে পারেন।

    ● জায়গা বাঁচাতে রাফাল-এম (Rafale-M) বিমানের ডানাগুলি ভাঁজ করা যায়, যা বায়ুসেনার ভেরিয়েন্টে সম্ভব নয়।

    ● ডানার একেবারে শেষ প্রান্তে রয়েছে বিশেষ ‘টেলেমির সিস্টেম’, যা বাহ্যিক সরঞ্জামের সঙ্গে বিমানের ইনার্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেমের সুসংহত যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে।

    ● এছাড়া, এই রাফালের নৌ-ভার্সানে রয়েছে ‘থালেস আরবিই২-এম’ রেডার সিস্টেম। এটি যে কোনও সমুদ্র-অভিযানের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

    ● রাফাল-এম (Rafale-M) বিমানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ‘থালেস স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সুইট’, যা নৌসেনার অভিযানে ভীষণই প্রয়োজনীয়।

    ● এখানেই শেষ নয়। রাফালের বায়ুসেনার ভার্সানের তুলনায় রাফাল-মেরিন (Rafale vs Rafale-M) সংস্করণ বিমানটি আরও বেশি ধরনের অস্ত্রবহনে সক্ষম। যার মধ্যে অন্যতম হল জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া থাকে আকাশ থেকে ভূমিতে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রও।

LinkedIn
Share