Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাহুলের, ‘ভোট চুরি’ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা শুনলই না আদালত

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাহুলের, ‘ভোট চুরি’ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা শুনলই না আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভোট চুরি’ নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (SIT) গঠন করে তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলাও। সেই মামলায় হস্তক্ষেপই করল না দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যেখানে ইচ্ছা প্রতিকার চান। এখানে জনস্বার্থ মামলা শোনা হবে না। আবেদনকারী চাইলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারেন বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে বেঞ্চ। মামলাকারীর আবেদন, এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট সময় বেঁধে দিক নির্বাচন কমিশনকে। তাতেও না করে দিয়েছে বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “আমরা আবেদনকারীর কথা শুনেছি। জনস্বার্থ মামলার আকারে দায়ের হওয়া এই মামলা আমরা শুনতে ইচ্ছুক নই। আবেদনকারী চাইলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারেন।”

    জনস্বার্থ মামলা (Supreme Court)

    দেশের শীর্ষ আদালতে যিনি দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা, তিনি তাতে উল্লেখ করেছিলেন রাহুলের সাংবাদিক বৈঠকের কথা। তিনি জানিয়েছেন, রাহুল ৭ অগাস্ট জানিয়েছিলেন ভোটার তালিকায় অপরাধমূলক জালিয়াতি হয়েছে। কর্নাটকের একটি লোকসভা কেন্দ্রে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগও করেছিলেন রাহুল। আবেদনকারী জানান, সংবিধানেই অবাধ এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। প্রশাসনিক পদক্ষেপের কারণে সংবিধানের এই প্রাথমিক নীতি লঙ্ঘিত হতে পারে না। রাহুলের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় তাঁকে এ সংক্রান্ত সমস্ত প্রামাণ্য নথি দিতে বলেন মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। ১৭ অগাস্ট দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার পরের সাতদিনের মধ্যে রাহুলকে হলফনামা জমা দিতে বলেন। মামলাকারী সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জমা করা নিজের আবেদনে জানান, ভোটপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হোক। সেই আবেদনও শুনতে রাজি হয়নি দেশের শীর্ষ আদালত।

    রাহুলের বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে রাহুল বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল আসনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে একহাত নেন। তাঁর দাবি, ভোটে জালিয়াতি করার পাঁচটি ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। রাহুল (Rahul Gandhi) মহাদেবপুরা বিধানসভা এলাকার কংগ্রেসের তদন্তের ফলও তুলে ধরেন। এটি ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখ্য, ওই আসনে বিজেপি ৩২ হাজার ৭০৭ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল (Supreme Court)।

  • Indian Army: কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, কুপওয়ারায় বাহিনীর গুলিতে খতম ২ জঙ্গি

    Indian Army: কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, কুপওয়ারায় বাহিনীর গুলিতে খতম ২ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজৌরি, অনন্তনাগের পরে এ বার কুপওয়ারা। কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযানে ফের সাফল্য ভারতীয় সেনার। অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিয়ে ২ জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার রাতে কুপওয়ারা জেলার মাছিল সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্বাভাবিক গতিবিধি নজরে আসে প্রহরারত জওয়ানদের। তার পরেই সেখানে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সে সময় বিপদ বুঝে গুলি চালাতে শুরু করে পাক জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। শুরু হয় দু’তরফের গুলির লড়াই। এখনও পর্যন্ত দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। যদিও এখনও তাদের পরিচয় জানানো হয়নি। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে সেনাবাহিনীর অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে। মাছিল সেক্টরের বিরাট এলাকা ঘিরে ফেলে চলছে তল্লাশি।

    অন্যদিকে, দুদনিয়াল সেক্টরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। যার ফলে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ করার চেষ্টার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেনাকে বিভ্রান্ত করার জন্য একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে বলে মনে করছেন সেনার পদস্থ আধিকারিকরা। তবে এখনও ওই এলাকায় জঙ্গির খোঁজ মেলেনি। তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী।

    শীতের আগে সেনা তৎপরতা তুঙ্গে

    গত কয়েকদিন ধরে এমনিতেই সীমান্ত এলাকায় তৎপরতা বাড়িয়েছে সেনা। কারণ শীত পড়ার আগেই বিপুল পরিমাণে জঙ্গিকে ভারতে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। শীত পড়ে গেলে সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢোকা কঠিন। তাই শীত পড়ার আগে পাকিস্তানি লঞ্চপ্যাড থেকে জঙ্গিরা ভারতে ঢোকে, এমনটাই মত বিএসএফ কর্তার। সেকরণেই বিএসএফ এবং সেনাকে বাড়তি সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    এর আগে, লক্ষ্মীপুজোর দিন দক্ষিণ অনন্তনাগে অপারেশন চলার সময়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নিখোঁজ হয়ে যান দুই প্যারা কম্যান্ডো (স্পেশাল ফোর্স) সুজয় ঘোষ ও পলাশ ঘোষ। শুক্রবার বরফ ঢাকা পাহাড় থেকে তাঁদের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। অনন্তনাগের আলান গাডোলে এলাকার কোকেরনাগ সাব ডিভিশনের জঙ্গলে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে অভিযান শুরু করে সেনা। অভিযান চলাকালীন আচমকাই স্পেশাল প্যারা ইউনিটের দুই জওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

    গত কয়েকদিনে আরও জঙ্গি নিকেশ

    সম্প্রতি, একটি যৌথ অভিযানের সময় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ ওয়ারসান এলাকার ব্রিজথর জঙ্গলে একটি জঙ্গি ঘাঁটি আবিষ্কার করে। অভিযানের সময়, নিরাপত্তা বাহিনী দুটি একে-সিরিজ রাইফেল, চারটি রকেট লঞ্চার, বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ এবং অন্যান্য যুদ্ধ সামগ্রী উদ্ধার করে।

    আবার, কুলগাম জেলার গুদ্দার জঙ্গলে সেনাবাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে এর আগেও একটি সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছিল। দুই সেনা জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছিল। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একজন শোপিয়ানের বাসিন্দাস নাম আমির আহমেদ দার। এই ব্যক্তি লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সক্রিয় ছিল। পহেলগাম হামলার পর মুক্তিপ্রাপ্ত ১৪ জন ওয়ান্টেড জঙ্গির তালিকায় তার নাম ছিল।

  • EPFO: ১৩-র বদলে এক নিয়ম! এবার তোলা যাবে পিএফের ১০০ শতাংশ টাকা, থাকতে হবে ন্যূনতম ব্যালেন্স

    EPFO: ১৩-র বদলে এক নিয়ম! এবার তোলা যাবে পিএফের ১০০ শতাংশ টাকা, থাকতে হবে ন্যূনতম ব্যালেন্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মচারী ভবিষ্য নিধি তথা ইপিএফও বা এমপ্লয়েজ প্রভিডেন্ট ফান্ড-এর (Employees’ Provident Fund – EPFO) নিয়মে বড় বদল আনল কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ড। এবার থেকে ইপিএফের টাকা তোলার নিয়ম আরও সহজ হবে। এবার থেকে পিএফ-এ জমানো ১০০ শতাংশ টাকাই তুলতে পারবেন সদস্যরা। সোমবার অছি পরিষদের বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। যার মাধ্যমে এবার থেকে পড়াশোনা, বিয়ে-সহ একাধিক জরুরি পরিস্থিতিতে পিএফ-র সম্পূর্ণ টাকা তুলতে পারবেন গ্রাহকরা। তবে, একই সঙ্গে নতুন কিছু শর্তও জুড়ছে, যাতে অবসরের পর হাতখালি না হয়ে যায় এবং পেনশন খাতে যথেষ্ট টাকা জমে থাকে।

    ইপিএফও-কে আরও সহজ করার সিদ্ধান্ত

    সোমবার কেন্দ্রীয় শ্রম, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যর সভাপতিত্বে বসেছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্ট-র ২৩৮ তম সভা। সেখানেই ইপিএফ-র ‘উদারীকরণ’-সহ টাকা তোলার প্রক্রিয়াকে সরল করা, বিশ্বাস প্রকল্পের ঘোষণা, ইপিএফ ৩.০ – কার্যকর করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নয়াদিল্লি সূত্রে খবর, আংশিক টাকা তোলার জন্য থাকা ১৩টি পুরনো নিয়মকেও একত্র করে একটিই নিয়ম ধার্য করা হয়েছে। যার মাধ্যমে দরকারে-অদরকারে ইপিএফও সদস্যরা নিজেদের টাকা তুলতে পারবেন। নতুন নিয়মে (EPFO new rules) তিনটি নতুন শ্রেণিতে টাকা তোলার সুযোগ থাকবে। আগে নানা ধরনের কারণে টাকা তোলার আলাদা আলাদা নিয়ম ছিল। এবার থেকে পুরো ব্যবস্থাকে সহজ করে তিনটি শ্রেণিতে আনা হয়েছে—এক, প্রয়োজনীয় খরচ— যেমন অসুস্থতা, পড়াশোনা বা ছেলেমেয়ের বিয়ে জন্য। দুই, ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনা বা মেরামতির জন্য এবং তিন, বিশেষ পরিস্থিতিতে কোনও কারণ না জানিয়েই টাকা তোলা যাবে।

    কোন কোন ক্ষেত্রে বদল

    ইপিএফও-র (EPFO) পরিষেবা আরও দ্রুত ও স্বচ্ছ করতে চালু হচ্ছে ‘ইপিএফও ৩.০’ প্রকল্প। এতে থাকবে আধুনিক ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে—অনেক দ্রুত টাকা তোলা যাবে। টাকা তোলার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে, বেতন থেকে সরাসরি কন্ট্রিবিউশন জমা হয়ে যাবে, ডকুমেন্টেশনের ঝক্কি কমবে। কেন্দ্র জানিয়েছে, পড়াশোনার জন্য ১০ বার সম্পূর্ণ টাকা তোলা যাবে। বিয়ের জন্য এই সুবিধা পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ পাঁচবার। এর আগে বিয়ে ও শিক্ষার জন্য মিলিয়ে ৩ বার পর্যন্ত টাকা তোলার নিয়ম ছিল। বাড়ি তৈরির জন্য টাকা তুলতে গেলে ন্যূনতম চাকরির মেয়াদ কমিয়ে আনা হয়েছে ৫ বছর থেকে ১২ মাসে। শিক্ষা ও বিয়ের ক্ষেত্রেও ন্যূনতম চাকরির মেয়াদ ৭ বছর থেকে কমিয়ে ১২ মাস করা হয়েছে।

    অবসরের সময় একটি বড় অঙ্কের টাকা

    কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন নিয়মে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে ২৫ শতাংশ ব্যালেন্স রাখা বাধ্যতামূলক। ইপিএফ (EPFO) অ্যাকাউন্টে মোট টাকার অন্তত ২৫ শতাংশ সবসময় রাখতে হবে সদস্যদের। সরকার বলছে, এর ফলে সদস্যরা ৮.২৫ শতাংশ হারে সুদ পেতে থাকবেন এবং জমা হবে। কখনওই সুদ পেতে কোনও অসুবিধা হবে না সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের। আগে ইপিএফও-র টাকা তোলার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বেকারত্ব বা লকআউট ইত্যাদি কারণ জানানো বাধ্যতামূলক ছিল। এখন থেকে সেই বাধ্যবাধকতা থাকবে না।

    একটি বিশেষ কমিটি গঠন

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুপারিশ অনুযায়ী তহবিল পরিচালনা ও বিনিয়োগে সংস্কারের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করবে ইপিএফও (EPFO)। বর্তমানে ইপিএফও-র ১৫ শতাংশ টাকা শেয়ার মার্কেটে, ৪৫–৬৫ শতাংশ সরকারি বন্ডে এবং ২০–৪৫ শতাংশ কর্পোরেট বন্ডে বিনিয়োগ হয়। আরবিআই কর্পোরেট বন্ডে বিনিয়োগের ন্যূনতম সীমা তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তা ছাড়া নতুন ফান্ড ম্যানেজার নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। ঋণ পোর্টফোলিও পরিচালনার জন্য আগামী পাঁচ বছরের জন্য চারটি সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছে— স্টেট ব্যাঙ্ক ফান্ড ম্যানেজমেন্ট, এইচডিএফসি, আদিত্য বিড়লা সান লাইফ ও ইউটিআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট। এই নতুন নিয়মে সদস্যরা সহজে ও দ্রুত তাদের ইপিএফ টাকার একটি বড় অংশ তুলতে পারবেন, আবার একই সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ও বজায় থাকবে। সরকার বলছে, এই পরিবর্তনের ফলে কর্মজীবী মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়া আরও সহজ হবে।

    বাড়িতে বসেই ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট

    টাকা তোলার ক্ষেত্রে নিয়ম পরিবর্তন করার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ (CBT)। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, এখন থেকে বাড়িতে বসেই ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট হাতে পাবেন গ্রাহকরা। তাও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এর জন্য ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে একটি চুক্তিও করেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ। প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিষেবাকে আধুনিক করতে ইপিএফও ৩.০ (EPFO 3.0) চালুর অনুমোদন মিলেছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে চলা পিএফ বকেয়া ও জরিমানা সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি করতে চালু করা হচ্ছে ‘বিশ্বাস স্কিম’।

     

     

     

     

     

     

  • Healthy Liver: তিন ফলেই হবে বাজিমাত! লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষজ্ঞদের ভরসা এই ত্রিফল

    Healthy Liver: তিন ফলেই হবে বাজিমাত! লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষজ্ঞদের ভরসা এই ত্রিফল

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হজম থেকে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা, শরীর সুস্থ রাখতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লিভার। কিন্তু আধুনিক জীবন‌যাপন আর খাদ্যাভ্যাস লিভারের উপরেই সবচেয়ে বেশি খারাপ প্রভাব ফেলছে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লিভারের অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে। তার মূল কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। লিভার সুস্থ রাখতে তাই বিশেষ কিছু খাবার ফি-দিনের মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    কেন লিভারের বাড়তি যত্ন জরুরি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ খুব কম বয়স থেকেই লিভারের অসুখে কাবু। নিয়মিত হজমের গোলমাল, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেওয়ার পাশাপাশি চুল পড়ে যাওয়া, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মতো নানান সমস্যাও দেখা যায়। লিভার শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই সেই ভারসাম্য নষ্ট হলে চুল ও ত্বকের উপরে গভীর প্রভাব পড়ে। শরীর সুস্থ রাখতে ও স্বাভাবিক জীবন যাপন চালাতে লিভারের কার্যক্ষমতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ এখন চটজলদি প্যাকেটজাত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু এই সমস্ত প্যাকেটজাত খাবারে স্বাদ ধরে রাখতে কমবেশি প্রক্রিয়াজাত রাসায়নিক দেওয়া থাকে। যা মানুষের শরীরে খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে লিভারের উপরেই। তাছাড়া, পিৎজা, বার্গার কিংবা তেলে ভাজা জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়ায় অনেকেই অভ্যস্ত। তাই লিভারের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। তাই লিভারের সুস্থতার দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।

    কোন তিন ফল বাজিমাত করবে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভার সুস্থ রাখতে নিয়মিত তিনটি ফল খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। আর সেই তালিকায় প্রথমেই রাখছেন আপেল। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, দারচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে আপেলের কয়েকটি টুকরো নিয়মিত খেলে লিভার সুস্থ থাকবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে দারচিনির গুঁড়ো মেশানো আপেল অত‌্যন্ত উপকারি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আপেলে পেকটিন এবং পলিফেনলসের মতো উপাদান। আবার দারচিনি ইনসুলিন সেনসিটিভিটি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে লিপিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই এই খাবার ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে।

    পাতিলেবুর রস মেশানো তরমুজের সরবত সপ্তাহে তিন দিন খেলেই লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়বে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরমুজ নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনে সাহায্য করে। আবার লেবু হলো‌ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। এই দুই ফল একসঙ্গে খেলে লিভারে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। তাই এই ফল শরীরের জন্য বাড়তি উপকারি।

    লিভারের ভিতরে ক্ষত কিংবা অন্য কোনও সমস্যা তৈরি হলে তা নিরাময়ে সাহায্য করে বেদানা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বেদানায় রয়েছে পলিফেনল। এই যৌগ উপাদান লিভারের ভিতরের ক্ষত সারাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন বেদানাকে খাবারের মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    এই তিন ফলের পাশপাশি বেরি জাতীয় ফল এবং বিট, গাজর, পালং শাকের মতো নানান রঙের সব্জি নিয়মিত খেলে হজমের ক্ষমতা বাড়বে। লিভারের শক্তিও বাড়বে। শরীর সুস্থ থাকবে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Tripura: ত্রিপুরায় ধর্ষণের শিকার সংখ্যালঘু শিশুকন্যা, অপরাধী কে?

    Tripura: ত্রিপুরায় ধর্ষণের শিকার সংখ্যালঘু শিশুকন্যা, অপরাধী কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরায় (Tripura) ধর্ষণের শিকার ১৪ মাসের সংখ্যালঘু শিশুকন্যা (Infant Raped)! পরে খুন করে পুঁতে দেওয়া হয় বাচ্চাটিকে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিশুটিরই সম্পর্কিত মামাদাদু। শিশুটিকে ধর্ষণ, হত্যা এবং মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগর মহকুমার জয়নালউদ্দিন। ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় অসমের নীলম বাজার এলাকা থেকে জয়নালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তের জন্য তাকে নিয়ে আসা হয়েছে ত্রিপুরায়।

    শিশুটি নিখোঁজ (Tripura)

    জানা গিয়েছে, শিশুটিকে নিয়ে তার মা বেড়াতে গিয়েছিলেন মামাদাদুর বাড়িতে। ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই মহিলা শিশুটিকে তাঁর কাকার কাছে রেখে কাছের বাজারে যান। বাড়ি ফিরে দেখেন, শিশুটি নিখোঁজ। এক প্রত্যক্ষদর্শী তাঁকে জানান, জয়নালউদ্দিন শিশুটিকে কাছের ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত তারা বাড়ি ফিরে না আসায় শিশুকন্যাটির মা এবং পরিবার পুলিশে খবর দেয়। তদন্তে নামে পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। দেখা যায়, ঘরের পেছনের উঠোনে পুঁতে রাখা হয়েছে শিশুটিকে। দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় পানিসাগর মহকুমা হাসপাতালে।

    যৌন নির্যাতনের ফলে মৃত্যু

    ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, যৌন নির্যাতনের ফলে মৃত্যু হয়েছে ওই একরত্তির। অভিযুক্ত জয়নাল গা-ঢাকা দেন। রবিবার সকালে শিশুটির মামাদাদু এফআইআর দায়ের করেন। এদিনই অভিযান শুরু করে পুলিশ। জয়নালকে গ্রেফতার করা হয় অসমের শ্রীভূমি জেলার নীলম বাজার এলাকা থেকে (Tripura)। জানা গিয়েছে, অসমের শিলচর রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে করে পশ্চিমবঙ্গে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল জয়নাল। তার সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেয়  পুলিশ। এসডিপিও রাহুল বলহারা জানান, অভিযুক্ত জয়নালউদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ শিশুটির ময়নাতদন্তের সরকারি রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে (Infant Raped)। এই অমানবিক ও জঘন্য অপরাধে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ত্রিপুরাবাসী (Tripura)।

  • PM Modi: কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির, কী নিয়ে আলোচনা হল?

    PM Modi: কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির, কী নিয়ে আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার কানাডার বিদেশমন্ত্রী (Canadian FM) অনিতা আনন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আনন্দ এই প্রথম ভারত সফরে এসেছেন। চলতি সফরে তাঁর তিনটি দেশে যাওয়ার কথা। সেই সফরে বেরিয়েই আনন্দ প্রথম এসেছেন ভারত সফরে। সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আনন্দের সফরকে ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বে নতুন গতি সঞ্চারের একটি সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

    মোদি-আনন্দ সাক্ষাৎ (PM Modi)

    এদিন কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন চলতি বছরের জুন মাসে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে কানাডায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে “প্রধানমন্ত্রী বিদেশমন্ত্রী আনন্দকে স্বাগত জানান এবং উল্লেখ করেন যে তাঁর এই সফর ভারত–কানাডা দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বে নতুন গতি সঞ্চারের চলমান প্রচেষ্টায় সাহায্য করবে।” প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য, জ্বালানি, প্রযুক্তি, কৃষি এবং জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করার গুরুত্বও তুলে ধরেন (PM Modi)।

    কী বললেন কানাডার বিদেশমন্ত্রী

    এক্স হ্যান্ডেলে নিজের সাক্ষাৎ সম্পর্কিত বিস্তারিত শেয়ার করে আনন্দ লেখেন, “আজ সকালে আমি নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী @নরেন্দ্রমোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এই বছরের গ্রীষ্মে জি৭ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী @মার্ককার্নি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠকের গতিকে ভিত্তি করে কানাডা ও ভারত আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে—একইসঙ্গে আইন প্রয়োগ ও নিরাপত্তা আলোচনা বজায় রেখে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কও সম্প্রসারিত করছে।”

    রবিবার আনন্দ পৌঁছন নয়াদিল্লিতে। বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। আলোচনার বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “বৈশ্বিক অর্থনীতির ঝুঁকি কমাতে এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পুনর্গঠনের জন্য দুই দেশের সম্পর্ককে সর্বাঙ্গীনভাবে আরও মজবুত করা উচিত।” চলতি সফরে আনন্দের (Canadian FM) বৈঠক করার কথা বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গেও। ওই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা হবে। নয়াদিল্লি সফর শেষে কানাডার বিদেশমন্ত্রী যাবেন চিন এবং সিঙ্গাপুরে (PM Modi)।

  • Women’s World Cup 2025: পরপর দু’ম্যাচে পরাজয়! জেনে নিন বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে যেতে ভারতের মেয়েদের সমীকরণ

    Women’s World Cup 2025: পরপর দু’ম্যাচে পরাজয়! জেনে নিন বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে যেতে ভারতের মেয়েদের সমীকরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপে পরপর দু’ম্যাচে পরাজয়ের একটু বেকায়দায় ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার পর রবিবার বিশাখাপত্তনমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও হারতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজিত হয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছানোর পথ এখন অনেকটাই জটিল হয়ে পড়েছে হরমনপ্রীত কৌরদের জন্য। এখন টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে বাকি তিনটি ম্যাচ ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সব কটাতেই জয় দরকার ভারতের, তাহলেই নিশ্চিত হবে শেষ চারে ওঠা। বর্তমানে ভারত পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বাকি তিনটি ম্যাচ জিতলে তাদের মোট পয়েন্ট হবে ১০।

    সেমিফাইনালের টিকিট কারা পাবে

    মেয়েদের বিশ্বকাপ মোট ৮টি দল নিয়ে হচ্ছে। এর মধ্যে শীর্ষ চার দল সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করবে। অস্ট্রেলিয়া (৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট) ও ইংল্যান্ড (৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট) শীর্ষ দুই স্থানে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে। কিন্তু ভারত টানা দুই ম্যাচে হেরে যাওয়ায় তিন বা চার নম্বরে জায়গা করে নিতে পারবে কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। ভারতকে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এখন সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করতে হবে। কোনও ম্যাচ হারা চলবে না। যেটা ভালো খবর, সেটা হলো, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলেও পয়েন্ট তালিকায় ভারত (চার ম্যাচে ৪ পয়েন্ট) নিজেদের তিন নম্বর জায়গা ধরে রেখেছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ যেটা, সেটা তাদের রানরেট। ভারতের রানরেট বর্তমানে ০.৬৮২। স্বাভাবিক ভাবে রানরেট ভালো হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন স্মৃতি মান্ধানারা। কিন্তু শুধু রানরেট যথেষ্ট নয়, মাঠে নেমে জিততেই হবে। না হলে ভারত শীর্ষ চারের দৌড় থেকে ছিটকে যেতে পারে।

    অস্ট্রেলিয়া ভাল খেললে সহজ হবে ভারতের পথ

    তবে ভারত যদি সব ম্যাচ না জিততেও পারে সেক্ষেত্রে ভাগ্য অনুকূলে থাকলে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে ভারতের সামনে। কারণ, ভারত, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড এই তিনটি দলই একে অপরের মুখোমুখি হবে বাকি ম্যাচগুলোতে, আর সেই ফলাফলই নির্ধারণ করবে শেষ চারের লড়াইয়ের সমীকরণ। তবে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও পর্যন্ত মুখোমুখি হয়নি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার। শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারানো মোটেই সহজ নয়। ফলে অন্য ম্যাচগুলিতে ফলাফল অস্ট্রেলিয়ার অনুকূলে গেলে ভারত শুধুমাত্র দুটি ম্যাচ জিতেও সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে পারে। আর যদি ১৯ অক্টোবর ইংল্যান্ড, ২৩ অক্টোবর নিউজিল্যান্ড এবং ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ— ভারত যদি এই তিনটি ম্যাচ জেতে, তা হলে সরাসরি সেমিফাইনালে উঠবে।

  • Durgapur Gangrape: “ওড়িশার এক মেয়েকে আমরা এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না!”, আক্ষেপ শুভেন্দুর

    Durgapur Gangrape: “ওড়িশার এক মেয়েকে আমরা এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না!”, আক্ষেপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওড়িশার এক মেয়েকে আমরা এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না! আমরা লজ্জিত, ক্ষমাপ্রার্থী।” সোমবার দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডের (Durgapur Gangrape) শিকার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। সোমবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের সামনে ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্না মঞ্চ বেঁধেছিল বিজেপি। পদ্মশিবিরকে সেই মঞ্চ বাঁধায় পুলিশ প্রথমে বাধা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। তা নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে উপস্থিত পুলিশ কর্তাদের তর্কাতর্কি পর্যন্ত শুরু হয়ে যায়। পরে ওই মঞ্চে উপস্থিত হন শুভেন্দু। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অভিযোগে সোচ্চার হন তিনি।

    ‘আমরা লজ্জিত’ (Durgapur Gangrape)

    এই মঞ্চ থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সটান চলে যান নির্যাতিতার বাড়িতে। পরে বলেন, “ওঁর পরিবার জানিয়েছে, আরও ভালো চিকিৎসার জন্য মেয়েটিকে ওরা ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যেতে চায়। আমি শুনে আরও লজ্জিত হয়েছি যে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসেননি, ফোনও করেননি। অথচ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি ফোন করে সহানুভূতি জানিয়েছেন।” এদিকে, দুর্গাপুরের ওই গণধর্ষণকাণ্ডে (Durgapur Gangrape) সোমবার পর্যন্ত গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। রবিবার তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সোমবার সকালে আরও একজনকে ধরা হয়। তাকে জেরা করে পরে আরও একজনকে গ্রেফতার করে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ।

    শুভেন্দুর তোপ

    অন্যদিকে, দুর্গাপুরকাণ্ডের মেডিক্যাল রিপোর্টে ইতিমধ্যেই ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলেছে। দুর্গাপুরের এই কাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূল-যোগের অভিযোগে সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত মোট চারজন গ্রেফতার হয়েছে। আজকে যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী, তৃণমূলের ক্যাডার। ওঁর বাবা পার্টির পোর্টফোলিও হোল্ডার।” তিনি বলেন, “এই গণধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারী জড়িত। শাসক যেখানে শোষক, সেখানে আইনের শাসন ও বিচার পাওয়ার কোনও জায়গা নেই।” এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বয়ানেও একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে।

    তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা যখন জঙ্গলের মধ্যে নির্যাতিতা ও তাঁর সহপাঠীকে ঘিরে ধরেছিলেন, তখন বেশ কিছুক্ষণের জন্য তাঁর সহপাঠী তাঁকে সেখানে ফেলে চলে এসেছিলেন। আধঘণ্টা পরে তিনি আবারও সেখানে যান এবং নির্যাতিতাকে নিয়ে আসেন। কেন তিনি প্রথমে চলে গিয়েছিলেন, কেনই বা পরে সহপাঠীকে ফেরত নিতে এসেছিলেন (Shuvendu Adhikari), সেই সব মিসিং লিঙ্ক খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ (Durgapur Gangrape)।

  • India Afghanistan Relation: মহিলা সাংবাদিকদের নিয়েই সম্মেলন তালিবান মন্ত্রীর! দিল্লিই পারে, দেখাল ভারত সরকার

    India Afghanistan Relation: মহিলা সাংবাদিকদের নিয়েই সম্মেলন তালিবান মন্ত্রীর! দিল্লিই পারে, দেখাল ভারত সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কাজ আমেরিকার মতন রাষ্ট্রশক্তি পারেনি, রাশিয়া পারেনি, ন্যাটো পারেনি— সে কাজ করে দেখাল ভারত সরকার (India Afghanistan Relation)। আদ্যান্ত মহিলা বিরোধী, তালিবান সরকার বাধ্য হল মহিলা সাংবাদিকদের সামনে সাংবাদিক সম্মেলন করতে। যারা মনে করে মেয়েদের জন্মই হয়েছে বংশবিস্তার করার জন্য, যারা মনে করে মেয়েদের চোখ টুকু বাদ দিয়ে পুরো শরীরটাই পর্দা করা দরকার সেই তালিবানরা যখন ভারতে এসে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনটি করে সেখানে মহিলা সাংবাদিক ছিল না। তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠে। যদিও ভারত সরকার বিবৃতি দেয় যে, আফগান দূতাবাসের ভেতর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাতে ভারতের কোনও হাত থাকে না। তা সত্ত্বেও একদল বামপন্থী এবং তৃণমূলের লোকজন ভয়ংকর প্রচার চালাচ্ছিল ভারত সরকারের বিরুদ্ধে।

    ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য

    ভারত সরকারের (India Afghanistan Relation) অপমান হচ্ছে বুঝতে পেরে এক অভাবনীয় পদক্ষেপ করে তালিবান সরকার। পরের দিন আরও একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডাকে তারা এবং অবাক করা বিষয় এইবার সেই সাংবাদিক সম্মেলনে মহিলারা ছিলেন একেবারে সামনের সারিতে। যার পুরোটাই সম্ভব হয়েছে মোদি সরকারের কূটনীতির ফলেই। তাহলে কি তালিবান-রা শুধরে গেল? ভারত বন্ধু হয়ে গেল? হয়ত নয়। বা সেটা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে আগের ভারত বিরোধী অবস্থান থেকে যে সরে এসেছে তালিবানরা সেটা স্পষ্ট। চাণক্য বলতেন যখন চারদিকে শত্রু রয়েছে৷ তখন সবার সঙ্গে যুদ্ধ করা সমীচীন নয়৷ শত্রু বন্ধু না হলে, শত্রুতা নিষ্ক্রিয় করো যতটা সম্ভব৷ মোদির ভারত ঠিক এই পদ্ধতিই অবলম্বন করেছে তালিবানের জন্য। পাক সন্ত্রাসবাদী শক্তিকে যতটা দূর্বল করা যায় ততটাই ভারতের জন্য মঙ্গল।

    পাক বিরোধিতায় তালিবান

    পাকিস্তান তাদের জন্ম লগ্ন থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে রেখেছে। সম্মুখ সমরে বার বার হারার পর, ভারতে সন্ত্রাসবাদী পাঠিয়ে আক্রমণ করে গিয়েছে৷ নতুন ভারত পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দেখিয়েছে৷ কিন্তু শুধু ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েই থেমে নেই মোদি সরকার। কংগ্রেসের আমলে পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী হানা, প্লেন হাইজ্যাকের মতো একাধিক বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারত বিরোধী সন্ত্রাসে অংশ নিত তালিবান৷ সেখান থেকে ১৮০ ডিগ্রি উল্টো অবস্থানে পহেলগাঁও হামলার সময় ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের বিরোধিতা করে তালিবান৷

    আফগান নীতি বদল করে মোদি সরকার

    ভারতের আফগানিস্তান (India Afghanistan Relation) বিজয়ের চেষ্টা বেশ কয়েক বছর আগের৷ ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে আফগান নীতি বদল করে মোদি সরকার৷ আফগানিস্তানে পরিকাঠামো উন্নয়ন, সড়ক, হাসপাতাল, সহ একাধিক ক্ষেত্রে প্রচুর বিনিয়োগ করা শুরু করে ভারত। ভারতের সাহায্যে একাধিক ব্রিজ নির্মাণ হয় আফগানিস্তানে৷ এমনকি ক্রিকেটের মতো খেলার পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রেও ভারত আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করে। তালিবানরা আফনাগিস্তানে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই আফগানদের ভারত নির্ভরশীলতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল মোদি সরকার৷

    ভারত-পাক-আফগানিস্তান ত্রিদেশীয় সম্পর্কে নয়া মোড়

    ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবান৷ সে সময়ও খবুই সাবধানী তালিবান নীতি নিয়েছিল ভারত৷ সে সময় তালিবান শাসকদের সরাসরি সরকার না বলে, ‘আফগানিস্তানে যারা শাসন ক্ষমতা নিয়েছে’ বলে উল্লেখ করে৷ এমনকি ২০২১-২২ সালে আফগানিস্তান দূতাবাসে শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কিছু সদস্য রেখে বাকিদের সুরক্ষার কারণে ফিরিয়ে এনেছিল ভারত৷ শাসন ক্ষমতা দখল করেও ভারত বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটেনি তালিবানরা৷ উল্টে বারবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান শাসকরা৷ যে তালিবানরা ভারত-পাক সীমান্ত সমস্যায় পাকিস্তানকে শক্তি যুগিয়ে আসত তারাই এখন ভারতের পাশে। তালিবান-পাকিস্তান সীমান্ত সমস্যা তো রয়েছেই কিন্তু মোদি সরকারের ভবিষ্যতমুখী আফগান নীতিই ভারত-পাক-আফগানিস্তান ত্রিদেশীয় সম্পর্ককে নতুন সুতোয় বুনছে৷

    কেন প্রথমে কিছু বলেনি ভারত

    ভারতে আফগান (India Afghanistan Relation) দূতাবাসে বসে তালিবান বিদেশমন্ত্রী একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। যেখানে মহিলা সংবাদিকদের জায়গা না দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে বিরোধীরা৷ বাম-কংগ্রেস-নকশালপন্থী সাংবাদিক-ব্লগার-বুদ্ধিজীবীরা এই ইস্যুতে মোদি সরকারকে আক্রমণ করতে মাঠে নেমে পড়েন। বিরোধীদের অদ্ভুত যুক্তি হল, আফগান বিদেশমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনে মহিলা সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার এটা কী করে মেনে নিতে পারে! কিন্ত প্রশ্ন হল কোথায় হল এই সাংবাদিক সম্মেলন? সাউথ ব্লকে? খুব সাধারণ উত্তর, না। এই সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে আফগান দূতাবাসে। তালিবান নেতা ওমর আল মুত্তাকির এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

    ভিয়েনা কনভেনশন-এর যুক্তি

    ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশনস, ১৯৬১-এর ধারা ২২ এর ১, ২২ এর ২ এবং ২২ এর ৩ অনুযায়ী কোন দেশে বিদেশি রাষ্ট্রের দূতবাস বিশেষ কিছু ক্ষমতা ভোগ করে। ধারা ২২ এর ১ এ বলা হয়েছে দূতাবাসের জায়গায় অন্যরা যখন তখন ঢুকে পড়বে না৷ অর্থাৎ ভারতের কোনও সরকারি আধিকারিককে কোনও দূতাবাসে ঢুকতে হলে সেই দেশের অনুমতি নিতে হবে৷ আতিথ্যদানকারী দেশ (host country) দূতাবাসের প্রাঙ্গণে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারে না বা সেখানে তাদের নিজস্ব আইন প্রয়োগ করতে পারে না। সংবাদ সম্মেলনের জন্য কাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে, তা সম্পূর্ণভাবে দূতাবাসের নিজস্ব সিদ্ধান্ত বা অধিকার।

    মিথ্যে ন্যারেটিভ দিয়ে মোদি সরকারকে আক্রমণ

    মজার বিষয় হচ্ছে যারা সব ইস্যুতে মিথ্যে ন্যারেটিভ দিয়ে মোদি সরকারকে আক্রমণ করতে রাস্তায় নামে তাদেরও অনেকে এই ভিয়েনা কনভেনশনটি জানেই না৷ অনেকে আবার জেনে বুঝে মোদি-বিরোধী মিথ্যে প্রচারটি করছিলেন৷ ২০২২ সালে আফগানিস্তানে মেয়েদের উপর যখন একের পর এক শাসন চাপিয়ে দিচ্ছে তালিবানরা তখন ভারত সেই নীতির বিরোধিতা করে স্পষ্ট বলেছিল, ‘আফগানিস্তানে তালিবানের নারী নীতি উদ্বেগজনক। নারী সুরক্ষা ও স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিয়ে আফগানিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যাক তালিবান। স্পষ্টতই ভারতের আফগান নীতি ভারতের শর্তে। অন্য কারও চাপিয়ে দেওয়া নীতির কারণে বা পিছু হঠে নয়।

    নতুন ধারণা তৈরি করতে মরিয়া তালিবান

    তালিবান মানেই ‘নারীবিদ্বেষী’, এই ধারণা ভাঙতে মরিয়া মন্ত্রী মুত্তাকিও। রবির সাংবাদিক বৈঠক থেকে তালিবান মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ১ কোটি। যার মধ্য়ে মেয়ের সংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ। মাদ্রাসাতেও শিক্ষায় কোনও সীমা নেই। একেবারে স্নাতক স্তর পর্যন্ত কেউ নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন। অবশ্য, কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু আমরা কখনওই মেয়েদের শিক্ষাদানকে হারাম বলে মনে করি না।’ আগের দিনের সমস্যা প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি ‘ওই সাংবাদিক বৈঠকটি সংক্ষিপ্ত নোটিসে আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এই নয় যে তাতে কোনও মহিলা সাংবাদিকদের ডাকা হয়নি। সেখানেও মহিলা সাংবাদিকদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু একটি যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ওই সমস্যা তৈরি হয়। এর নেপথ্যে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।’ তবে কারণ যাই হোক শেষ সাংবাদিক বৈঠকে মহিলা সাংবাদিকদের দূতাবাসে প্রবেশ করতে দিয়ে তালিবান বুঝিয়েছে ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে শেষ কথা বলে মোদির ভারতই।

  • Pakistan TLP: টিএলপি কর্মীদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন পাক পুলিশের, গুলিতে হত ১১

    Pakistan TLP: টিএলপি কর্মীদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন পাক পুলিশের, গুলিতে হত ১১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেহরিক-ই-লাবাইক পাকিস্তান (টিএলপি) কর্মীদের (Pakistan TLP) ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালাল পাকিস্তানের পাঞ্জাব পুলিশ।  মুরিদকেতে (Islamabad Violence) পাকিস্তানি পুলিশের এই অভিযানে মৃত্যু হয় ১১ জনের, জখম হন ৫০ জনেরও বেশি। জানা গিয়েছে, ইজরায়েল-গাজা সংঘাতের জেরে গাজার সপক্ষে মিছিল করে ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন টিএলপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। পার্টির প্রধান সাদ হুসাইন রিজভির নেতৃত্বে লাহোর থেকে ওই মিছিল শুরু হয়। অভিযোগ, মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের রুখতে নিরাপত্তা বাহিনী লাঠিচার্জ করে, ছোড়ে টিয়ার গ্যাসের সেলও। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পাকিস্তান রেঞ্জার্সও। এর পরেই বিক্ষোভকারীরা ইসলামাবাদের পথে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে মুরিদকে শিবির করে। জানা গিয়েছে, টিএলপি নেতৃত্ব ‘রণাঙ্গন’ থেকে পিছু হটার কোনও ইঙ্গিত দেয়নি।

    গুলিতে হত ১১ (Pakistan TLP)

    পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার পর এই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। গত সপ্তাহে পুলিশ যখন প্যালেস্তাইনপন্থীদের পূর্বনির্ধারিত সমাবেশের জন্য রাজধানীর দিকে টিএলপির মিছিল রোধ করার চেষ্টা করছিল, তখন লাহোরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। টিএলপির অভিযোগ, পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। তাতে তাদের ১১ জন কর্মী নিহত হয়, জখম হয় ৫০ জনেরও বেশি (Pakistan TLP)।

    কী বললেন টিএলপি নেতা

    প্রতিবাদের একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। এক টিএলপি নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আজ সকাল থেকে টিএলপির ১১ জন নিহত হয়েছে। অবিরাম শেলিং ও গুলিবর্ষণ চলছে।” প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর গাজায় ইজরায়েলি বিমান হামলার প্রতিবাদে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, ১১ অক্টোবর তা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল নিক্ষেপ করে, লাঠিচার্জ করে। পাল্টা ইট-পাটকেল ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার জুম্মার নমাজের সময় লাহোরে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে টিএলপির প্রধান বলেন, “গ্রেফতার কোনও সমস্যা নয়, গুলি কোনও সমস্যা নয়, শেলও কোনও সমস্যা নয় – শহিদ হওয়া আমাদের নিয়তি (Islamabad Violence)।” পাকিস্তানের মন্ত্রী তালাল চৌধুরী টিএলপির নিন্দে করে বলেন, “গোষ্ঠীটি গাজা সঙ্কটকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য ব্যবহার করছে।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, সরকার কোনও সংগঠনের (Pakistan TLP) হিংসা বা জবরদস্তি সহ্য করবে না।

LinkedIn
Share