Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Mohan Bhagwat: ‘‘প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে’’, পথকুকুরের উপদ্রব থেকে রক্ষার উপায় বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে’’, পথকুকুরের উপদ্রব থেকে রক্ষার উপায় বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথকুকুরদের সরানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেশজুড়ে শোরগোল ফেলেছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই পরিস্থিতিতে রাজধানী দিল্লিতে পথকুকুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় বাতলালেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তাঁর দাবি, পথকুকুরদের কোনও আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠালেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। তাঁর মতে, পথকুকুরদের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় কুকুরদের সংখ্যা এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা।

    জন্মসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই সম্ভব

    সম্প্রতি ওড়িশার কটকে ৫০০-এর বেশি সন্ন্যাসীদের একটি সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে পথ-কুকুর সমস্যা প্রসঙ্গে কথা বলেন আরএসএস প্রধান। তিনি বলেন, “সমস্যার সমাধান কেবলমাত্র পথকুকুরের জন্মসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই সম্ভব। কুকুরদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে এই সংকট দূর করা যাবে না।” প্রসঙ্গত, দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকা থেকে পথকুকুর সরানো সংক্রান্ত মামলায় রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ। দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকা থেকে পথকুকুরদের সরিয়ে বাইরে শেল্টারে পাঠাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার ওই রায় দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

    প্রকৃতি ও মানব সমাজের মধ্যে ভারসাম্য

    পশুচিকিৎসা বিজ্ঞানে স্নাতক ডঃ মোহন ভাগবত তাঁর বক্তব্যে ভারতীয় ঐতিহ্য ও প্রকৃতির সহাবস্থানের প্রথার উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “গ্রামবাসীরা গরুর দুধ দোয়ানোর সময় কিছুটা দুধ বাছুরের জন্য রেখে দেন—এটাই প্রকৃতি ও মানব সমাজের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার কৌশল।” তিনি আরও বলেন, ভারতের কৃষিভিত্তিক সংস্কৃতি প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। ইউরোপীয়দের আফ্রিকায় ভূমি শোষণের সঙ্গে তুলনা টেনে তিনি বলেন, “ভারতের মাটি উর্বর কারণ ভারতীয় কৃষকরা মাটি থেকে অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করেন না। তাঁরা শুধু প্রয়োজনীয় শস্য উৎপাদনের জন্য মাটিকে ব্যবহার করেন, যেখানে ইউরোপীয়রা অধিক উৎপাদনের লক্ষ্যে অতিরিক্ত সার ব্যবহার করে আফ্রিকার মাটিকে নষ্ট করেছে।” তিনি বলেন, ‘মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হবে। উন্নয়ন এবং পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করা উচিত।’ উল্লেখ্য, কুকুরদের আক্রমণে মানুষের মৃত্যু বাড়ছে। এই জন্য পথকুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াকে দায়ী করছেন অনেকেই। আবার, একাংশের মতে, পথকুকুরগুলিকে একেবারে সরিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে সরকারি উদ্যোগে নির্বীজকরণ করে তাদের জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাগ্রহণ করা উচিত।

  • Subhangshu Shukla: অপেক্ষার শেষ, ভারতে ফিরছেন শুভাংশু শুক্লা, সোমবার দেখা করবেন মোদির সঙ্গে

    Subhangshu Shukla: অপেক্ষার শেষ, ভারতে ফিরছেন শুভাংশু শুক্লা, সোমবার দেখা করবেন মোদির সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে ফিরে আসার পর এবার দেশের মাটিতে ফিরতে চলেছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা (Subhangshu Shukla)। দীর্ঘ রিহ্যাবিলিটেশন পর্ব শেষ করে রবিবার তিনি ভারতের (India) মাটিতে পা রাখতে পারেন বলে সূত্রের খবর। অক্টোবরে হতে চলা গগনযান মিশনের প্রশিক্ষণ পুনরায় শুরু করার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি।। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। বিমানে বসে ছবিও পোস্ট করেছেন শুভাংশু। লিখেছেন, “ভারতে ফেরার জন্য এবং সকলের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য তিনি আর অপেক্ষা করতে পারছেন না।” প্রসঙ্গত, শুভাংশু শুক্লার বাড়ি লখনউতে। সেখানেই থাকে তাঁর পরিবার। রবিবার তিনি সেখানে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা যাচ্ছে।

    কী লিখলেন শুভাংশু (Subhangshu Shukla)

    নিজের পোস্টে শুভাংশু লেখেন, “ভারতে (India) ফেরার বিমানে বসে আমার মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। মিশনের জন্য বিগত এক বছর ধরে যারা আমার সঙ্গে ছিলেন, যারা আমার পরিবার, বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন, তাঁদের ছেড়ে আসতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আবার আমার বন্ধু, পরিবার ও দেশের সকলের সঙ্গে দেখা করতেও উৎসাহিত। এটাই হয়তো জীবন। গুডবাই বড় কঠিন, কিন্তু আমাদের জীবনে এগিয়ে যেতে হবে।” শেষে তিনি শাহরুখ খানের গানের দুটি পঙক্তিও লেখেন, “ইউ হি চলা চল রাহি, জীবন গাড়ি হ্যায় সময় পাহিয়া।”

    গত মাসেই পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি

    গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা (Subhangshu Shukla) অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের অন্তর্গত একটি অভিযানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন। সেখানে ১৮ দিন কাটিয়ে গত মাসেই পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। মহাকাশ থেকে ফিরে শরীরকে আবার পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এতদিন তিনি রিহ্যাবে ছিলেন। জানা যাচ্ছে, রবিবার তিনি ভারতে আসবেন এবং সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর ২৩ অগাস্ট ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’-এর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলেও জানা গিয়েছে (Subhangshu Shukla)।

  • Atal Bihari Vajpayee: ১৬ অগাস্ট অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবস, শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

    Atal Bihari Vajpayee: ১৬ অগাস্ট অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবস, শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ অগাস্ট প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবস (Atal Bihari Vajpayee)। এই দিনেই তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দিল্লিতে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে নির্মিত স্মৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন এবং এ নিয়ে তিনি এক্স-এ একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “সমগ্র দেশবাসীর তরফ থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীজিকে (Atal Bihari Vajpayee) তাঁর পুণ্যতিথিতে নমস্কার জানাচ্ছি। দেশের সর্বাঙ্গীন বিকাশের জন্য তাঁর সমর্পণ, সেবাভাব ও বিকশিত এবং আত্মনির্ভর ভারতের নির্মাণে তাঁর অবদান আজও সকলকে প্রেরণা জোগায়।”

    শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু

    এদিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং অন্যান্য সিনিয়র কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও ‘সদৈব অটল’ — যা কিনা অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) সমাধিস্থল — সেখানে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্ম হয়েছিল ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর

    অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) জন্ম হয়েছিল ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর। তিনি ছিলেন ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রদ্ধেয় ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। তাঁর বাগ্মিতা, রাষ্ট্রদৃষ্টিভঙ্গি, দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের জন্য আজও তিনি দেশবাসীর হৃদয়ে অটল।

    প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৯৬ সালে

    তিনি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৯৬ সালে, যদিও সে দায়িত্ব ছিল স্বল্পকালীন। এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর আমলেই ১৯৯৮ সালে পোখরানে ভারত সফলভাবে পরমাণু পরীক্ষা করে। তিনিই ছিলেন সেই ব্যক্তি যিনি ভারতবর্ষকে সড়কপথে যুক্ত করার লক্ষ্যে ‘সোনালী চতুর্ভুজ’ প্রকল্প চালু করেন। দেশের প্রতি তাঁর এই অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে ২০১৫ সালে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’-এ ভূষিত করা হয়। ২০১৮ সালের ১৬ অগাস্ট অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee) প্রয়াত হন।

  • Historic Tiranga Yatra: চিন সীমান্তে ঐতিহাসিক তিরঙ্গা যাত্রা, বার্তা বেজিংকে!

    Historic Tiranga Yatra: চিন সীমান্তে ঐতিহাসিক তিরঙ্গা যাত্রা, বার্তা বেজিংকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার চেতনা উড়ছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আকাশে। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল তিরঙ্গা র‍্যালি (Historic Tiranga Yatra)। ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় দেশপ্রেম ও দলগত কাজের এক অনন্য মিলন ঘটল, যখন ভারতীয় সেনাবাহিনীর গজরাজ কোর ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস (China Border) উপলক্ষে চুনার অগ্রবর্তী এলাকায় তিরঙ্গা মার্চের নেতৃত্ব দিল।

    ১০০ মিটার দীর্ঘ জাতীয় পতাকা (Historic Tiranga Yatra)

    এক অভিনব উদ্যোগে ১৬০ জন গোর্খা সেনা ও সংযুক্ত সেনা এবং ২৫ জন আইটিবিপি কর্মী ১০০ মিটার দীর্ঘ জাতীয় পতাকা বয়ে নিয়ে গেলেন সজীব হিমালয়ান তৃণভূমির মধ্য দিয়ে। তাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটলেন প্রায় ১৫০ জন স্থানীয় বাসিন্দা, এর মধ্যে ছিল ছোট্ট শিশু এবং নবজাতকরাও। ওয়াং জেলার মাগো ও চুনার গ্রিনফিল্ড গ্রাম থেকে শুরু হয় র‍্যালি, যা পুরো প্রাকৃতিক দৃশ্যপটকে রাঙিয়ে তুলল গেরুয়া, সাদা ও সবুজের উজ্জ্বল সমুদ্রে। সহকারী কমিশনার থুতান ওয়াংচুর নেতৃত্বে সিভিল প্রশাসন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমন্বয় ও উদ্যোগে স্থানীয় গ্রামবাসীদের নিয়ে হল এই অনুষ্ঠান। সারনাথ, বারাণসী (উত্তরপ্রদেশ) থেকে সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব হায়ার তিব্বতিয়ান স্টাডিজের ২৩ জন শিক্ষার্থী এবং এক শিক্ষকও তাঁদের দেশপ্রেমের শেকড়ের সন্ধানে এই শোভাযাত্রায় যোগ দেন। গত মার্চের পর এদিন সব সংস্থা একত্রিত হল অগাধ দেশপ্রেম ও গভীর কর্তব্যবোধ নিয়ে। শামিল হলেন ‘নো প্লাস্টিক জোন’ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে। তাঁরা বর্জ্য অপসারণ করে ও ভঙ্গুর হিমালয় পরিবেশ রক্ষার প্রচারাভিযানকে আরও শক্তিশালী করলেন।

    সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গে উড়ল ত্রিবর্ণ পতাকা

    ত্রিবর্ণ পতাকার দিগন্তজোড়া বিস্তার সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গে পৌঁছে এক শক্তিশালী ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠল। সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত সৈনিকেরা “জমির জন্য বেঁচে থাকা”র চেতনা ধারণ করে কাজ করছে। গ্রামবাসীরা ঐতিহ্য রক্ষা করছে। আর প্রশাসকেরা টেকসই উন্নয়নের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। এই পদযাত্রা সবার জন্য একটি শিক্ষা নিয়ে এল যে, প্রত্যেকে একজন মূল্যবান নাগরিক হতে পারে, এবং “আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের” মর্মার্থ তুলে ধরল, জাতির ভবিষ্যৎ সবার কাঁধে নির্ভরশীল (Historic Tiranga Yatra)।

    মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু এই প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করে বলেন, শিখরে ভারতের প্রকৃত চেতনা। কারণ ত্রিবর্ণ পতাকা দূরবর্তী সীমান্ত অঞ্চলকে জাতীয় গৌরব ও পরিবেশ রক্ষার এক উজ্জ্বল দৃশ্যে রূপান্তরিত করেছে (China Border)। মাগো ও চুনা গ্রামের প্রতিটি ঘরেই গর্বের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। এই সমষ্টিগত দেশপ্রেম ছিল এক শক্তিশালী স্মারক, আমাদের স্বাধীনতা এক যৌথ দায়িত্ব এবং একসঙ্গে উদযাপনের এক মহৎ কারণ (Historic Tiranga Yatra)।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ১৫০-র বেশি পাকিস্তানি সেনা নিহত! পাক মিডিয়ার রিপোর্টে ইঙ্গিত, পরে মুছে ফেলা হয়

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ১৫০-র বেশি পাকিস্তানি সেনা নিহত! পাক মিডিয়ার রিপোর্টে ইঙ্গিত, পরে মুছে ফেলা হয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে ১৫০ জনেরও বেশি পাকিস্তানের সেনা নিহত হয়েছে। এই খবর উঠে এসেছিল পাকিস্তানেরই এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে। যদিও দ্রুত সেই খবর সরিয়ে ফেলা হয়। অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) কোনওভাবেই দুর্বল পাকিস্তানের ছবি সামনে আনতে চায় না ইসলামাবাদ। সব সময়ই যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের ক্ষয়-ক্ষতি গোপন করার চেষ্টা করছে শাহবাজ শরিফের সরকার। তা পাক যুদ্ধ বিমান ধ্বংসই হোক বা পাক সেনা ঘাঁটিতে হামলা।

    কী উঠে এল প্রতিবেদনে

    প্রকাশিত ও পরে মুছে ফেলা প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের (India Pakistan) প্রেসিডেন্ট “অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুস”-এ অংশগ্রহণকারী সেনাদের বীরত্বের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন সামরিক পদক প্রদান করেছেন। কিন্তু সেই তালিকাতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে—অনেক পদকপ্রাপ্ত সেনার নামের পাশে লেখা “শহিদ”, অর্থাৎ তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধুমাত্র ইমতিয়াজি সানাদ পেয়েছেন ১৪৬ জন শহিদ সেনা। এই সনদ সাধারণত কর্তব্যে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেওয়া হয়। তাছাড়া, তামগা-ই-বাসালাত পদক পেয়েছেন আরও ৪৫ জন, যাদের মধ্যে ৪ জনের পুরস্কার মরণোত্তর। উচ্চতর বীরত্বের জন্য দেওয়া সিতারা-ই-বাসালাতেও একজন শহিদের নাম ছিল। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়—তামগা-ই-জুরাত, যেটি ভারতের বীর চক্রের সমতুল্য, সেটি দেওয়া হয়েছে ৫ জনকে, যার মধ্যে ৪ জনই শহিদ।

    কূটনৈতিক মহলে আলোচনা

    এই তথ্য সামনে আসতেই কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। অনেকের মতে, এই ঘটনা ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেখানে পাকিস্তান তাদের মৃত সেনার সংখ্যা গোপন করেছিল। এমনকি অনেক শহিদের দেহ ফিরিয়েও নেওয়া হয়নি। যুদ্ধক্ষেত্রে “গোপনীয়তা নীতি” বজায় রেখেই এই প্রতিবেদন দ্রুত মুছে ফেলা হয়েছে, বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যদি প্রতিবেদনটি সত্য হয়, তবে বলা যায় যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উপর কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম বড় আঘাত হেনেছে ভারতীয় বাহিনী। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এখনো পর্যন্ত ভারত বা পাকিস্তান, কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি।

  • Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে কেন পালন করা হয় ‘দহি হান্ডি’ উৎসব? কী এর তাৎপর্য?

    Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে কেন পালন করা হয় ‘দহি হান্ডি’ উৎসব? কী এর তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে ভাদ্র মাসে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীতে পালিত হয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2025)। সারা ভারত জুড়ে উত্সাহের সঙ্গে পালিত হয় এই উৎসব। কৃষ্ণ হলেন ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। এই বছর জন্মাষ্টমী পালিত হবে সোমবার, ২৬ অগাস্ট। দহি হান্ডি উতসব পালিত হবে মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট। জন্মাষ্টমীর সঙ্গে যুক্ত অনেক রীতিনীতির মধ্যে একটি হল দহি হান্ডি (Dahi Handi Festival) উৎসব। গুজরাট, মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে পালিত হয় এই উৎসব। আসুন জেনে নিই এই উৎসবের তাৎপর্য।

    কৃষ্ণের তরুণ বয়সের প্রতীক

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) দহি হান্ডি (Dahi Handi Festival) উৎসব হল কৃষ্ণের তরুণ বয়সের প্রতীক। হাঁড়িতে দই রেখে সেই হাঁড়ি ভাঙা। সংক্ষেপে এমন উৎসবের নামই হল দহি-হান্ডি উৎসব। এই উপলক্ষে একরকম প্রতিযোগিতাও চলে। যারা অংশ গ্রহণ করে, তারা মজার ছলে কৌতুকপূর্ণ এবং দুষ্টু প্রকৃতির ভাবনাগুলিকে ফুটিয়ে তোলে। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, কৃষ্ণ মাখন বেশ পছন্দ করতেন, প্রায়শই কৃষ্ণ গোকুলের গ্রামবাসীদের বাড়ি থেকে মাখন চুরি করতেন। মাখনের প্রতি ভালবাসা এতটাই তীব্র যে, বন্ধুদের সঙ্গে মিলে মানুষের পিরামিড তৈরি করতেন। একটি মাটির পাত্রে অর্থৎ হান্ডিতে মাখন এবং দই রেখে উঁচু থেকে ঝুলিয়ে রাখা হতো। এরপর মানুষের পিরামিড বেয়ে উঠে হান্ডি ভাঙা হয়। এই খেলা বেশ জনপ্রিয় ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যুগের পরিবর্তনে, মাখন চুরির কৌতুকপূর্ণ খেলাটি মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং ভারতের অন্যান্য অংশে অত্যন্ত উত্সাহের সঙ্গে পালিত হয়। এই উৎসবে হাজার হাজার কৃষ্ণভক্ত যোগদান করে থাকেন।

    দহি হান্ডির তাৎপর্য

    দহি হান্ডি (Janmashtami 2025) উদযাপনের গভীর প্রতীকী অর্থ রয়েছে। হান্ডি ভাঙার অর্থ হল মন্দের উপর ভালোর জয়কে চিহ্নিত করা। সামাজিক রীতিনীতির অনমনীয়তার উপর কৃষ্ণের ঐশ্বরিক বিজয়কে কৌতুকের সঙ্গে প্রতিধ্বনিত করা। এই উত্সবে মানুষের দলগত কাজ, ঐক্য এবং সাহসের মূল্যবোধের উপরও জোর দেওয়া হয়। কারণ যুবকদের দল, কৃষ্ণের নাম গোবিন্দ নামে পরিচিত হয়। মাটির পাত্র ভাঙার জন্য মানব পিরামিডের নির্মাণ করা হয়।

    দল এবং একতা

    শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে (Janmashtami 2025) দহি হান্ডির ঐতিহ্যের মধ্যে সহযোগিতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্বকে বিশেষ ভাবে প্রদর্শন করা হয়। গোবিন্দরা অর্থাৎ স্থানীয় যারা যোগদান করে, তারা একত্রে কাজ করে একটি সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টা করে থাকে। এই সবটাই একতার মধ্যে থাকা শক্তির প্রতীক। সাহস ও অধ্যবসায় ছাড়া উঁচুতে রাখা মাটির পাত্র ভাঙা সহজ কাজ নয়। পিরামিডগুলি বেশ লম্বা হতে পারে এবং কাজটির জন্য প্রচুর শারীরিক শক্তি, ভারসাম্য এবং সংকল্পের প্রয়োজন হয়। ফলে সাহস এবং অধ্যবসার মাধ্যমে কীভাবে প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে শক্তি সঞ্চয় করা যায়, সেটাই প্রমাণ করা হয় এই খেলায়। কৃষ্ণ স্বয়ং সমস্যা থেকে জয় পেতে শক্তির প্রতীক ছিলেন।

    আধ্যাত্মিক তাৎপর্য

    এই উৎসবের গভীরে রয়েছে আধ্যাত্মিক উচ্চতার রূপক। হান্ডি অহংকে প্রতিনিধিত্ব করে, যা ভাঙা কঠিন। তাই ভাঙার স্তরে পৌঁছানোর জন্য গোবিন্দকে আত্ম-উপলব্ধির মধ্যে দিয়ে মানব মনকে যাত্রা করাতে হয়। আবার মাটির পাত্রের মধ্যে থাকা দই ঐশ্বরিক আনন্দের মাধুর্যকে নির্দেশ করে, যা একজন ব্যক্তি অহং-কে ভেঙে দেয়। ফলে নিজের আত্মাকে উপলব্ধি করা এবং পরিচালনার জন্য মনকে অনুভব করা প্রয়োজন।

    আধুনিক সময়ে কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী

    সমসাময়িক সময়ে, দহি হান্ডি (Janmashtami 2025) একটি উৎসবমুখর পরিবেশে একটি প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়ায় পরিণত হয়েছে। অনেক রাজ্যে দহি হান্ডি প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়ে থাকে। যেখানে গোবিন্দদের দল সর্বোচ্চ পিরামিড গঠনের জন্য প্রতিযোগিতা করে এবং বিজয় সুনিশ্চিত করে পুরস্কার অর্জন করে থাকে। প্রতিযোগিতাটি সঙ্গীত, নৃত্য এবং “গোবিন্দ আলা রে” গানের সাথে একটি প্রাণবন্ত আনন্দময় পরিবেশ তৈরি করে থাকে। ভক্তরাও দারুণ উপভোগ করে থাকেন। জন্মাষ্টমীর ধর্মীয় উৎসব এখন একটি সামাজিক মাত্রাও অর্জন করেছে। আয়োজকদের দেওয়া পুরস্কারের অর্থ প্রায়ই জনকল্যাণ প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী এবং দহি হান্ডি প্রথা শুধু ধর্মীয় উৎসব (Dahi Handi Festival) নয়, তার থেকেও চেয়েও বেশি পরিমাণে সামজিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। মানুষের জীবন, আনন্দ এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রবহমান ধারাকে নিশ্চিত করে।

  • Trump-Putin Meet: সমাধান মিলল না ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে মোদিকে অনুরোধ জেলনস্কির

    Trump-Putin Meet: সমাধান মিলল না ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে মোদিকে অনুরোধ জেলনস্কির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পদক্ষেপ করুক ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এমনই অনুরোধ জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একই সঙ্গে আলাস্কায় ইউক্রেনের অুনপস্থিতিতে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের সমালোচনাও করলেন তিনি। অন্যদিকে, টানা তিন ঘণ্টা পর আলাস্কায় শেষ হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Trump-Putin Meet) বৈঠক। তবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গেল না।  যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বৈঠককে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেছেন। ফের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

    বৈঠকে একমত হওয়ার চেষ্টা

    আলাস্কায় বৈঠকের পরে ট্রাম্প অবশ‍্য জানিয়েছেন, ‘ভাল অগ্রগতি’ হয়েছে। শান্তিচুক্তি প্রসঙ্গে কথা বলতে হবে ইউক্রেন ও ন্যাটো সদস্যদের সঙ্গে। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “বহু বিষয়েই আমরা একমত হয়েছি। তবে সবচেয়ে বেশি যে দুই বিষয়ে আমরা নজর রেখেছিলাম, তার সমাধান মেলেনি। কিন্তু কিছুটা এগনো গিয়েছে। বলা যায়, ততক্ষণ চুক্তি হবে না, যতক্ষণ আমরা ঐক্যমত্যে পৌঁছাই। তবে কয়েকটা বিষয় বাকি আছে। তার মধ্যে কিছু অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ নয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটাই। আর তার সমাধান হওয়ার খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সেটা এখনও করতে পারিনি। আমরা আশাবাদী সেই সমাধানেও আমরা খুব দ্রুত পৌঁছোতে পারব।”

    সংঘাত শুরুর বিষয়গুলিকেই আগে দূরে সরাতে হবে

    আর বৈঠকের পর পুতিনের বক্তব্য, “যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য সংঘাত শুরুর বিষয়গুলিকেই আগে দূরে সরাতে হবে।” সেই সঙ্গে তাঁর বার্তা, “আমেরিকা ও রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করবে।” যুদ্ধবিরতির জন্য ‘উদ্যোগী’ ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান পুতিন। ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে যুদ্ধবিরতির ‘শর্ত’ হিসাবে ‘ভূমি বিনিময়’ (ল্যান্ড সোয়াপিং)-এর প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল মস্কো। পুতিনের বক্তব্য, শান্তিপ্রক্রিয়ায় ইউক্রেনবাসী বা রাশিয়াবাসী কেউই বাধা সৃষ্টি করবে না। শুক্রবারের বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ বলে দাবি করেছেন তিনি। আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা হয়েছে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রসঙ্গেও।

    সমাধানে পৌঁছোতে অন্তত আরও একটি বৈঠক

    শুক্রবারের বৈঠকের পরে শান্তি নিয়ে স্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে পৌঁছোতে অন্তত আরও একটি বৈঠক করবেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দু’জনে।  এই বৈঠকের আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, একটি বৈঠকে স্থায়ী বা চূড়ান্ত সমাধান হবে না। দ্বিতীয় বৈঠক হবে। এবং সেটিই হবে ‘আসল গুরুত্বপূর্ণ’। ট্রাম্পের উদ্দেশে পুতিনের বার্তা, দ্বিতীয় সেই সাক্ষাৎ হতে পারে মস্কোয়।  ট্রাম্প হাসিমুখে উত্তর দেন, “মজার প্রস্তাব,” যদিও স্বীকার করেন যে যুক্তরাষ্ট্রে তিনি এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে পারেন। তবে তিনি দরজা খোলা রেখেছেন, বলেছেন,“যদি সেটা সম্ভব হয়।”

    বৈঠকে না থাকতে পারায় হতাশ ইউক্রেন

    তবে, আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা, পুতিনকে দেখে ট্রাম্পের হাততালি দেওয়া বা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এক গাড়িতে যাওয়া, রেড কার্পেটে স্বাগত জানানো দেখে ইউক্রেনবাসীদের মধ্যে খানিক হতাশা দেখা গিয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে আলাস্কার এই বৈঠকে আমন্ত্রিতই ছিলেন না ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যথেষ্ট আপত্তি তুলেছে। বিবদমান দু’দেশের মধ্যে যখন যুদ্ধবিরতি নিয়েই আলোচনা, তখন একপক্ষকে অন্ধকারে রেখে কীসের সিদ্ধান্ত হবে? এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে ভারতকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছেন। জেলেনস্কি বলেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্ভব সব ধরনের অবদান রাখতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের উচিত আমাদের শান্তি প্রচেষ্টায় সমর্থন দেওয়া এবং আমাদের অবস্থান ভাগ করে নেওয়া… ইউক্রেনকে ঘিরে যে কোনও সিদ্ধান্ত আমাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই নেওয়া উচিত। আলাস্কার ওই বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা যেন ইউক্রেনের উপর চাপিয়ে দেওয়া না হয়।”

    ভারতকে অনুরোধ জেলনস্কির

    ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠান ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। ভারতকে শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। জেলেনস্কি বলেন, “আমরা আশা করি, ভারত এই যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করবে, যাতে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সত্যিকার অর্থেই সুরক্ষিত হয়।” তিনি এটিকে “স্বাধীনতা ও মর্যাদার জন্য লড়াই” বলে অভিহিত করেন। চলমান প্রায় চার বছরব্যাপী যুদ্ধে ভারত মস্কো ও কিয়েভ—উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে। যার ফলে ভারত একটি সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছে, বলে মনে করে কূটনৈতিক মহল। বিশ্বমঞ্চে ভারতের বাড়তে থাকা অবস্থান ও রাশিয়া এবং পশ্চিম বিশ্বের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভারতকে একটি সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরেছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি জেলেনস্কির আহ্বান একইসঙ্গে প্রতীকী ও কৌশলগত। একটি সার্বভৌম এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য ভারতকে “নৈতিক অংশীদার” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি।

  • Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে গোপালকে কেন নিবেদন করা হয় ৫৬ ভোগ? জানুন পৌরাণিক কাহিনি

    Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে গোপালকে কেন নিবেদন করা হয় ৫৬ ভোগ? জানুন পৌরাণিক কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশজুড়ি পালিত হচ্ছে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মর্ত্যে আবির্ভুত হয়েছিলেন শ্রী কৃষ্ণ। যে কারণে, দেশের প্রতিটি কৃষ্ণ মন্দির সেজে ওঠে এই দিন। ঘরে ঘরে আরাধনা করা হয় যশোদা-কা নন্দলালার। “হরে-কৃষ্ণ নাম”-এ মেতে ওঠে নবদ্বীপ থেকে মায়াপুর, মথুরা-বৃন্দাবন। লুচি, মালপোয়া, মোহনভোগ, তালের বড়া, তাল ক্ষীর সাজিয়ে শ্রী কৃষ্ণের প্রার্থনায় মেতে ওঠেন আট থেকে আশি। গোপালকে নিবেদন করা হয় মাখন, মিছরি, ননী-ক্ষীর-সহ ছাপান্ন ভোগ (Krishna Janmashtami 56 Bhog)।

    জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণের আরাধনা

    দ্বাপর যুগে মর্ত্যে আবির্ভাব ঘটে বিষ্ণুর অষ্টম (Janmashtami 2025) অবতার শ্রী কৃষ্ণের। সনাতন ধর্মে, পাপভার থেকে পৃথিবীকে মুক্তি দিতে ও সাধু-সন্ন্যাসীদের পরিত্রাণের জন্য মর্ত্যে আর্বিভূত হয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। ভাদ্রমাসের রোহিনী নক্ষত্র অবস্থিত অষ্টমী তিথিকে শ্রীকৃষ্ণের আর্বিভাব তিথি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি জন্মাষ্টমী হিসেবে পরিচিত। এদিন ধুমধাম করে সারা দেশে কৃষ্ণ পুজো করা হয়ে থাকে। শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রাধা, বলরাম ও সুভদ্রার পুজোও করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরায়। তবে তিনি বেড়ে ওঠেন গোকুলে। সেজন্য মথুরা ও বৃন্দাবনে এই উত্‍সব সবচেয়ে বড় করে হয়।

    কেন ছাপান্ন ভোগ?

    জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপালকে ৫৬ ভোগ (Krishna Janmashtami 56 Bhog) দেওয়া হয়। জন্মাষ্টমীতে গোপালকে ৫৬ ভোগ অর্পণ করে তাঁর প্রসাদ গ্রহণ করা অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। ৫৬ ভোগে ভগবান কৃষ্ণ প্রসন্ন হন ও ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ করেন, এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। ৫৬ রকমের ভোগ অর্পণ করা হয় গোপালকে। ভাত, ডাল, লুচি থেকে তালের বড়া, ক্ষীর, মালপোয়া, লস্যি কী থাকে না! আর মাখন, মিছরি ছাড়া তো গোপালের ভোগই অসম্পূর্ণ।

    পৌরাণিক কাহিনি

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) দিন বালগোপালকে ৫৬ রকম পদ সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। হিন্দুশাস্ত্র মতে, দেব-দেবীদের পুজোর সময় সাধারণ বিজোড় সংখ্যায় নৈবেদ্য সাজানো হয়ে থাকে। কিন্তু কৃষ্ণকে দেওয়া ৫৬ ভোগ (Krishna Janmashtami 56 Bhog)। পৌরাণিক কাহিনি মতে, বৃন্দাবনবাসীরা ইন্দ্রকে নানারূপে মহার্ঘ ভোগ নিবেদন করে সন্তুষ্ট রাখতেন। হিন্দুশাস্ত্র মতে, ইন্দ্র হলেন বৃষ্টি ও ব্রজের দেবতা। তাঁর আশীর্বাদেই সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত বর্ষণ হয়। তাই চাষীরা ইন্দ্রদেবকে তুষ্ট করতে দামি ও প্রচুর ভোগ রান্না করে নিবেদন করতেন। কিন্তু, গরিব চাষীদের পক্ষে দামি ভোগ নিবেদন করা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। চাষীদের কষ্ট দূর করতে এগিয়ে আসেন শ্রীকৃষ্ণ। এভাবে ভোগ নিবেদন না করে ইন্দ্রকে নিজের ভোগ অবস্থা বুঝে নিবেদন করার পরামর্শ গরিব চাষীদের দেন কৃষ্ণ। তাঁর কথা শুনে চাষীরা সেই কাজই করেন। এদিকে, ভোগের সামগ্রীতে ঘাটতি দেখে ইন্দ্র অত্যন্ত রেগে যান। তাঁর ক্রোধে প্রচণ্ড বৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে থাকে। ক্রোধের কারণে বৃন্দাবনে হতে থাকে মেঘভাঙা বৃষ্টি। তারপর থেকেই মানুষের জীবন হয়ে ওঠে বিপন্ন।

    বিপদে পড়ে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারস্থ হয় সকলে। বন্যা পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে গ্রামবাসীরা গোবর্ধন পর্বতের দিকে চলে যায়। সেখানে গিয়ে সকলেই দেখেন, শ্রীকৃষ্ণ পর্বতকে নিজের কড়ে আঙুল তুলে রেখে দিয়েছেন। সেই পর্বতের তলায় আশ্রয় নেন সকল গ্রামবাসীরা। টানা সাতদিন ধরে বৃষ্টিপাত হলে বন্যা পরিস্থিতি আরও জোরালো হয়ে ওঠে। সাতদিন টানা কৃষ্ণঠাকুর কড়ে আঙুলে পর্বতকে ধরে থাকেন। সাতদিন ধরে একচুলও নড়েননি তিনি। এমনকী, এককণা খাবারও মুখে তোলেননি। এরপর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মাতা যশোদা এবং ব্রজবাসীরা মিলে সাত দিন ও অষ্টপ্রহর হিসেবে ৫৬ ধরনের খাবার প্রস্তুত করে কৃষ্ণের কাছে পরিবেশন করেন। তারপর থেকে প্রত্যেক জন্মাষ্টমীতে (Janmashtami 2025) তাঁর জন্য ছাপ্পান্ন ধরনের ভোগ প্রস্তুত করা হয়। কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণকে প্রসন্ন করতে এই ছাপ্পান্ন ভোগ নিবেদন করলে ভক্তদের মনোবাসনা পূর্ণ হয়ে থাকে।

    ৫৬ ভোগে কী কী থাকে? (Krishna Janmashtami 56 Bhog)

    ভাত (ভক্ত), ডাল (সুপ), চাটনি (প্রলেহ), কঢ়ী (সদিকা), দই-সব্জির কঢ়ী (দধিশাকজা), সিখরন (সিখরিণী), শরবৎ (অবলেহ), বাটী (বালকা), মোরব্বা (ইক্ষু খেরিণী), শর্করা যুক্ত (ত্রিকোণ), বড়া (বটক), মঠরী (মধু শীর্ষক), ফেনি (ফেণিকা), পুরী বা লুচি (পরিষ্টশ্চ), খজলা (শতপত্র), ঘেওয়ার (সধিদ্রক), মালপোয়া (চক্রাম), চোলা (চিল্ডিকা), জিলিপি (সুধাকুন্ডলিকা), মেসু (ধৃতপূর), রসগোল্লা (বায়ুপূর), চন্দ্রকলা (পগী হুই), মহারায়তা (দই), থুলি (স্থূলী), লবঙ্গপুরী (কর্পূরনাড়ী), খুরমা (খণ্ড মণ্ডল), ডালিয়া (গোধূম), পরিখা, সুফলঢয়া (মৌরী যুক্ত), বিলসারু (দধিরূপ), লাড্ডু (মোদক), শাক, অধানৌ আচার (সৌধান), মোঠ (মণ্ডকা), পায়েস (ক্ষীর), দই, গাওয়া ঘি, মাখন (হৈয়ঙ্গপীনম), মালাই (মন্ডূরী), রাবড়ি (কূপিকা), পাপড় (পর্পট), সীরা (শক্তিকা), লস্যি (লসিকা), সুবত, মোহন (সংঘায়), সুপারি (সুফলা), এলাচ (সিতা), ফল, তাম্বুল, মোহন ভোগ, লবণ, কষায়, মধুর, তিক্ত, কটূ, অম্ল।

    কীভাবে প্রস্তুত করবেন ছাপান্ন ভোগ

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) ভোরে উঠেই এই ভোগ রান্না তৈরি করা শুরু করে দেওয়া উচিত। শুদ্ধাচারে হলুদ বস্ত্র পরে এই ভোগ রান্না করা ভাল। অনেকে এই সময় মুখে কাপড় বেঁধে এই রান্না করেন। ছাপান্ন ভোগে শস্য, ফল, শুকনো ফল, মিষ্টি, পানীয়, নোনতা, আচার প্রভৃতিও নিবেদন করা হয়। নিয়ম অনুসারে ৫৬ ভোগে (Krishna Janmashtami 56 Bhog) থাকে ১৬ ধরনের জলখাবার, ২০টি মিষ্টি এবং ২০ ধরনের শুকনো ফল। যার মধ্যে দুধের তৈরি খাবার সবার আগে পরিবেশন করতে হয়।

  • Janmashtami 2025: আজ জন্মাষ্টমী, এ বছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কততম আবির্ভাব তিথি জানেন?

    Janmashtami 2025: আজ জন্মাষ্টমী, এ বছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কততম আবির্ভাব তিথি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2025)। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, দ্বাপর যুগে আজকের দিন শ্রীকৃষ্ণের মর্ত্যে আগমন ঘটেছিল। দেখে নেওয়া যাক, আজ শ্রীকৃষ্ণের কততম জন্মতিথি (Lord Krishna Birth Anniversary)। কীভাবেই বা হিসেব করা হয়েছে সেই সময়?

    শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব কবে?

    বিভিন্ন হিন্দু শাস্ত্র থেকে জানা যায়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর মর্ত্যলোকে ছিলেন। পুরাণ অনুসারে, মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান ইহধাম ত্যাগ করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, সেই দিনই কলিযুগ প্রবেশ করে। জানা যায়, ওই দিন ছিল শুক্রবার। অর্থাৎ হিসেব করে দেখলে খ্রিস্টপূর্ব ৩১০১ সালে কলিযুগ শুরু হয়, বর্তমানে চলছে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ। অঙ্কের হিসেবে কলির বয়স দাঁড়াচ্ছে ৩১০১ + ২০২৫= ৫১২৬ বছর। শ্রীকৃষ্ণের (Lord Shri Krishna) অর্ন্তধানের দিন কলি যুগের সূচনা বলে মনে করা হয়। আগেই বলা হয়েছে, শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর ধরাধামে ছিলেন। তা হলে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ৫১২৬ + ১২৫= ৫২৫১ বছর পূর্বে হয়েছিল বলে বোঝা যাচ্ছে।

    ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি

    ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি এবং রোহিণী নক্ষত্রের মিলনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। কংসের অত্যাচার থেকে পৃথিবীকে মুক্তি দিতে তাঁর মর্ত্যে আগমন। এই দিনে রাতের পুজোর তাৎপর্য রয়েছে, কারণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই রাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশু-রূপের পুজো করা হয়। এই শিশু রূপের অনেক নাম রয়েছে। যেমন— নন্দগোপাল, ননীগোপাল, নাড়ুগোপাল ইত্যাদি। এই পুজের রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম। শিষ্টাচারে, যথাযথ নিয়ম মেনে এই দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করলে দুঃখ-কষ্ট দূর হয়।

    জন্মাষ্টমী পুজোর পদ্ধতি

    জন্মাষ্টমীর আগের দিন নিরমিষ অন্ন খেয়ে সংযম পালন করতে হবে এবং রাত ১২টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। পুজোর দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করুন। বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। সমস্ত দেবতার জলাভিষেক করুন। তারপর ব্রত বা উপাসনার সংকল্প নিন। সারাদিন জলাহার ও ফলাহার করুন। সাত্বিক থাকুন। তারপর একটি পাত্রে ভগবান কৃষ্ণের একটি ধাতব মূর্তি রাখুন এবং স্নান করান। প্রথমে দুধ, তারপর দই, তারপর মধু, তারপর চিনি এবং সবশেষে ঘি দিয়ে প্রভুকে স্নান করান। একে পঞ্চামৃত স্নান বলে। প্রভুকে যথাযথভাবে স্নান করানোর পর, তাকে জল দিয়ে স্নান করান। মনে রাখবেন যে জিনিসগুলি নিবেদন করা হবে তা শঙ্খের মধ্যে রেখেই নিবেদন করা উচিত।

    প্রসাদ নিবেদন

    এরপর পীতাম্বর, ফুল ও প্রসাদ নিবেদন করুন। এর পর ভগবানকে দোলনায় বসিয়ে দোল দিন। নাড়ুগোপালকে ছেলের মতো যত্ন করে ভোগ নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালকে চিনি, মিছরি এবং শুকনো ফল নিবেদন করুন। ননীও মাখন দিতে ভুলবেন ন। তারপর নাড়ুগোপালের আরতি করুন। ঈশ্বরের কাছে আপনার জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর করার জন্য অনুরোধ করুন। এর পরে, আপনি “হরে কৃষ্ণ” মহামন্ত্রও জপ করতে পারেন। জীবনে প্রেম এবং সুখের জন্য “মধুরাষ্টক” পাঠ করুন। শ্রী কৃষ্ণকে গুরুরূপে পেতে হলে শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ করুন।

  • Sri Aurobindo: শ্রী অরবিন্দ প্রকৃত অর্থেই ছিলেন এক বিপ্লবী ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ

    Sri Aurobindo: শ্রী অরবিন্দ প্রকৃত অর্থেই ছিলেন এক বিপ্লবী ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী অরবিন্দ ঘোষ (Sri Aurobindo) কেবল কবি, দার্শনিক এবং যোগীর গুণাবলীই ধারণ করেননি, বরং তিনি প্রকৃত অর্থেই ছিলেন এক বিপ্লবী ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ। তিনি ছিলেন ভারতের (Bharat) পূর্ণ স্বরাজ দাবি করা প্রথম দিকের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অন্যতম। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনের বিরুদ্ধে এক বিপ্লবী সংগ্রামের নেতৃত্বও দেন। যদিও তিনি ইংরেজি বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেছিলেন, তবুও সেই শিক্ষাকে মানবকল্যাণে এবং ভারতের জনগণকে বোঝাতে ব্যবহার করেন যে, ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হল বিপ্লব। তবে তাঁর বিপ্লবের ধারণা ছিল ‘দিব্যত্ব’ ও মাতৃভূমির ঐক্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে।

    ‘সমন্বিত যোগে’র পথপ্রদর্শক (Sri Aurobindo)

    আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন ‘সমন্বিত যোগে’র পথপ্রদর্শক এবং এই নীতির এক সমসাময়িক ব্যাখ্যাতা, যা মানব চেতনাকে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নিরাকার আলোর সঙ্গে সাকার আলোর সংযুক্তি ঘটায়। অরবিন্দ যোগাভ্যাসকে অভ্যন্তরীণ জাগরণ ও সচেতন মনের বিকাশের সর্বোত্তম উপায় হিসেবে গুরুত্ব দেন। মহান এই দেশপ্রেমিকের ভাবনা একই সঙ্গে অতীতের এক জীবন্ত দলিল ও সংরক্ষিত নথি, যা ভারতের বর্তমান অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত দ্বিধাবিভক্ত পরিস্থিতিতে অনুপ্রেরণাদায়ক দিকনির্দেশনা দেয়। সর্বোপরি, তাঁর ভারত-ভাবনা ছিল সভ্যতাকে একতার রূপে দেখা, যা সংস্কৃতির দ্বারা পুষ্ট এবং গভীরতর চেতনার দ্বারা প্রণোদিত। তিনি ভারতের উপলব্ধি ও দেশের মানুষের ঐক্যের পথে একাধিক ধারণা দিয়েছেন। কারাবাস পর্বে যখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ তাঁকে নির্মমভাবে শোষণ করেছিল, তখন তিনি যোগ, ভগবদ্গীতা পাঠ এবং মন ও আত্মার জাগরণকে দিব্যত্ব লাভের একমাত্র (Bharat) পথ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন (Sri Aurobindo)।

    ভারতীয় ঐক্যের কথা

    অরবিন্দ যখন ভারতীয় ঐক্যের কথা বলেছিলেন, তখন তিনি কখনওই জোরজবরদস্তি বা অভিন্নতার মাধ্যমে ঐক্য বোঝাননি, বরং বৈচিত্র্যের অন্তরে নিহিত আধ্যাত্মিক ঐক্যের প্রতি জাগরণের কথা বলেছেন। ভারতীয় প্রতিভা সবসময়ই অগণিত বৈচিত্র্যকে কঠোর অভিন্নতা বা যান্ত্রিক কেন্দ্রীকরণ ছাড়াই এক জীবন্ত সত্তায় ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। দ্য আইডিয়াল অফ হিউম্যান ইউনিটি গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, ভারত একটি জৈবিক ঐক্য, যা সহস্রাব্দ ধরে অভিন্ন আধ্যাত্মিক আদর্শ, দার্শনিক অনুসন্ধান এবং সাংস্কৃতিক স্মৃতির দ্বারা লালিত হয়েছে—ইতিহাসের দ্বারা চাপিয়ে দেওয়া কৃত্রিম কোনও কাঠামো নয় (Sri Aurobindo)। একজন জাতীয় নেতার কাজ এবং একটি জাতির ভূমিকা হল জাতির সমষ্টিগত চেতনাকে তার প্রকৃত সত্তার প্রতি জাগ্রত করা, কেবল প্রশাসনিক সংহতি প্রতিষ্ঠা করা নয়।

    অরবিন্দের দর্শন

    অরবিন্দের দর্শন স্পষ্টভাবে মনে করিয়ে দেয় যে, ঐক্য কেবলমাত্র ভৌতিক বন্ধনে রক্ষা করা যায় না, বরং তা হতে হবে একটি গভীর ভিত্তির ওপর, যা অভিন্ন সাংস্কৃতিক চেতনায় স্থাপিত। এটি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক আমাদের সময়ে, যখন মতাদর্শগত ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন জাতির ঐক্যের বুনোটকে হুমকির মুখে ফেলছে। অরবিন্দর মতে, একজন জাতীয় নেতার কাজ হল জনগণের অন্তর্লোককে জাগিয়ে তোলা। এই জাগরণ আসবে মানবতার মূল ভিত্তিকে পুনরায় গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে, যার মূল রয়েছে বিশ্বাসে এবং প্রতিকূল সময়েও ঐক্যবদ্ধভাবেই থাকবে (Bharat)। অরবিন্দর মতে, একটি জাতির সংস্কৃতি হল তার সাহিত্য, শিল্প, নীতি ও চিন্তায় গভীর আত্মপ্রকাশ। ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে তাঁর প্রভাবশালী প্রবন্ধসমূহে তিনি যুক্তি দেন যে ভারতের আসল শক্তি তার সেই ক্ষমতায়, যেখানে সে নতুন প্রভাবকে গ্রহণ করতে পারে নিজের মৌলিক পরিচয় হারানো ছাড়াই। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়েও ভারত টিকে থাকতে ও নিজেকে পুনর্জীবিত করতে পেরেছে এই গতিশীলতার কারণে, কঠোর নিয়মানুবর্তিতার কারণে নয় (Sri Aurobindo)।

    মনের কল্পনার ফসল

    তাঁর ভবানু মন্দির বইটি দিনের আলো দেখেছিল ১৯০৫ সালে। তাতে তিনি লিখেছিলেন, “একটি জাতি কেবল একটি ভূখণ্ড নয়, নয় কেবল একটি বাক্যের অলঙ্কার, নয় মনের কল্পনার ফসল। এটি এক মহাশক্তি, যা গঠিত হয় সেই কোটি কোটি মানুষের শক্তি দিয়ে, যারা মিলে জাতিকে নির্মাণ করে।” তিনি বলেন, এই শক্তি টিকে থাকে সংস্কৃতির অন্তর্নিহিত আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের দ্বারা। যখন সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ ও সংরক্ষণ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা শীর্ষে, তখন অরবিন্দের কৌশল একটি ভারসাম্য রক্ষা করে। তাঁর বক্তব্য, সভ্যতার ঐতিহ্যকে মর্যাদা দাও, কিন্তু তাকে এমনভাবে বিকশিত ও পরিবর্তিত হতে দাও যাতে আধুনিক বিশ্বের চাহিদা পূরণ করে, ফলে এটি একটি জীবন্ত সত্তা হিসেবে থাকে, জাদুঘরের নিদর্শন না হয়ে যায় (Sri Aurobindo)।

    যখন আমরা বলি সংস্কৃতি একটি জীবন্ত সত্তা, তখন তার মানে হল আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক নিয়ম, বিধি ও প্রথাগুলি পালন করি এবং এমন নতুন পথ খুঁজি যা সমগ্র সভ্যতার ঐক্যের পথে দিশা দেখাতে পারে। সভ্যতা একদিনে তৈরি হয় না। যখন আমরা হিন্দু সভ্যতার কথা বলি, তখন আমরা সেই সভ্যতার কথা বলি যা বেদ (Bharat) ও উপনিষদের আদর্শ ও নীতির উপর নির্মিত, নীতি শাস্ত্র এবং আমাদের পুরাণকথার ওপর প্রতিষ্ঠিত, যা এই সামষ্টিক চেতনার ভিত্তি (Sri Aurobindo)।

LinkedIn
Share