Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • E AADHAAR: আর হুটহাট ছুটতে হবে না আধার কার্ডের তথ্য আপডেট করতে, নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের

    E AADHAAR: আর হুটহাট ছুটতে হবে না আধার কার্ডের তথ্য আপডেট করতে, নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কার্ড নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল ইউআইডিএআই (ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া)। জানা গিয়েছে, কিউআর কোডের ওপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হবে (E AADHAAR) ডিজিটাল আধার সিস্টেম। এই সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে (AADHAAR Card) ডিজিটাল পদ্ধতিতে আধার কার্ড শেয়ার করা যাবে। আঙুলের ছাপ এবং চোখের মণি বাদ দিয়ে আধার কার্ডের বাকি যাবতীয় পরিবর্তনও ডিজিটাল মাধ্যমেই করা যাবে।

    কিউআর কোড-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন (E AADHAAR)

    আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই একটি নতুন কিউআর কোড-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন চালু হয়ে যাবে। এর ফলে আর কোথাও আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে না। দেশবাসী তাঁদের আধারের ডিজিটাল ভার্সন শেয়ার করতে পারবেন — পুরো বা আংশিকভাবে গোপন ফরম্যাটে, যেমন তাঁদের পছন্দ। নভেম্বরের মধ্যে ইউআইডিএআই একটি সহজ প্রক্রিয়া চালুর পরিকল্পনা করছে। এটি চালু হলে আধার আপডেট করতে কেন্দ্রগুলিতে যাওয়ার প্রয়োজন অনেকটাই কমে যাবে।জীবনধারণের প্রমাণ হিসেবে বায়োমেট্রিক তথ্য বাদে, ঠিকানা বা অন্যান্য তথ্যের আপডেট স্বয়ংক্রিয়ভাবেই করা যাবে। কারণ এটি বিভিন্ন সরকারি ডেটাবেসের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এর মধ্যে থাকবে জন্মের শংসাপত্র, মাধ্যমিক পরীক্ষার রেকর্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, প্যান কার্ড, রেশন ব্যবস্থা (PDS) এবং এমএনআরইজিএ (MNREGA) সিস্টেম।

    ইউআইডিএআই-র সিইওর বক্তব্য

    এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হল নাগরিকদের ঝুট-ঝামেলা পোহানো বন্ধ করা এবং আধার রেজিস্ট্রেশনের সময় ভুয়ো নথিপত্র জমা দেওয়ার প্রবণতা কমানো। এছাড়াও, ব্যবহারকারীদের সুবিধা বাড়াতে বিদ্যুৎ বিলের রেকর্ডও যুক্ত করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। ইউআইডিএআই-র সিইও (E AADHAAR) ভুবনেশ কুমার জানান, চলতি বছরের নভেম্বর মাস থেকেই পুরোপুরিভাবে চালু হয়ে যাবে ই-আধার প্রকল্প। নয়া এই সিস্টেম চালু হয়ে গেলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দেওয়ার আর প্রয়োজন পড়বে না। তার বদলে সাধারণ মানুষ আধার কার্ডের ডিজিটাল ভার্সন জমা দিতে পারবেন। চাইলে আধার কার্ডের মাস্কড ভার্সনও জমা দিতে পারবেন (AADHAAR Card)।  নতুনভাবে তৈরি অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে তিনি জানান, এক লাখ যন্ত্রের মধ্যে প্রায় ২ হাজার যন্ত্র ইতিমধ্যেই এই নয়া সিস্টেম ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, “আঙুলের ছাপ ও আইরিস (চোখের স্ক্যান) দেওয়া ছাড়া বাকি সব কিছু আপনি খুব শীঘ্রই বাড়িতে বসেই করতে পারবেন।”

    ঝামেলা পোহানোর দিন শেষ

    এখন আধার কার্ড আপডেট করতে হলে কোনও ব্যক্তিকে আধার কেন্দ্রে যেতে হয়। নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ বা মোবাইল নম্বর পরিবর্তন হোক না কেন, প্রতিটি আপডেটের জন্য ব্যক্তিকে সশরীরে উপস্থিত হতে হয়।   চলতি বছরের নভেম্বর থেকে এই ঝামেলা আর পোহাতে হবে না। তখন ব্যবহারকারীদের কেবলমাত্র একটি ওটিপি-র প্রয়োজন হবে, যার মাধ্যমে তাঁরা বাড়িতে বসেই তাঁদের আধার কার্ডের তথ্য আপডেট করতে পারবেন (E AADHAAR)। যাঁরা ব্যস্ততার কারণে আধার কেন্দ্রে যেতে পারছেন না, তাঁদের জন্য এই পরিবর্তন বিশেষভাবে উপকারী হবে।

    এক নজরে সুবিধা

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নয়া এই অ্যাপ্লিকেশনে কী কী সুবিধা মিলবে।

    এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর, নাম এবং জন্মতারিখ সংশোধনের মতো তথ্য আপডেট করার সুবিধা দেবে। মোবাইল ডিভাইস বা অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে কিউআর কোড-ভিত্তিক আধার স্থানান্তর চালু করাকে অপব্যবহার রোধের জন্য অত্যাবশ্যক মনে করা হচ্ছে। এর ব্যবহার হতে পারে হোটেলে চেক-ইন থেকে শুরু করে রেলভ্রমণের সময় পরিচয়পত্র যাচাই পর্যন্ত। কুমার বলেন, “এটি ব্যবহারকারীদের নিজস্ব তথ্যের ওপর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ দেবে এবং শুধুমাত্র সম্মতির ভিত্তিতে তা শেয়ার করা যাবে (E AADHAAR)।”

    এই ব্যবস্থা উপ-রেজিস্ট্রার ও রেজিস্ট্রারদের দ্বারা সম্পত্তি নিবন্ধনের সময় প্রতারণামূলক কাজকর্ম রোধেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। কুমার জানান, ইউআইডিএআই রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কাজ করছে যাতে সম্পত্তি নিবন্ধনের সময় আধার যাচাইকরণ অন্তর্ভুক্ত করা যায় এবং জালিয়াতির ঘটনা কমানো যায় (AADHAAR Card)।

    ইউআইডিএআই ইতিমধ্যেই সিবিএসই এবং অন্যান্য পরীক্ষা বোর্ডগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে যাতে শিক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক ও অন্যান্য তথ্য আপডেট করা যায়। এই আপডেট দুটি বয়সসীমার মধ্যে করতে হবে – পাঁচ থেকে সাত বছর, এবং ১৫ থেকে ১৭ বছর। এই বিষয়ে তারা একটি বিশেষ প্রচারের পরিকল্পনা করছে, যাতে প্রথম আপডেটের (৫-৭ বছর বয়সী শিশুদের) জন্য ৮ কোটি এবং দ্বিতীয় আপডেটের (১৫-১৭ বছর বয়সীদের) জন্য ১০ কোটি সমস্যার সমাধান করা যায় (E AADHAAR)। এছাড়াও ইউআইডিএআই বিভিন্ন সংস্থা, যেমন নিরাপত্তা সংস্থা এবং হসপিটিলিটি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করছে, যেখানে আধার ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা না থাকলেও তার পরিষেবা বিস্তারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

  • Air India Plane Crash: নাশকতার সম্ভাবনা! বিমান বিপর্যয়ে এয়ার ইন্ডিয়া কর্মীদের জেরা, কয়েক জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত

    Air India Plane Crash: নাশকতার সম্ভাবনা! বিমান বিপর্যয়ে এয়ার ইন্ডিয়া কর্মীদের জেরা, কয়েক জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) নেপথ্যে নাশকতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। তদন্তে উড়ান সংস্থার কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। গুজরাটের আমেদাবাদে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্তব্যরত গ্রাউন্ড স্টাফদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও, ১২ জুন উড়ানের আগে যাঁরা বিমান ছাড়ার অনুমতি দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন কর্মীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে। উদ্ধার করা হয়েছে ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (DFDR) এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR)। বিমানটির ব্ল্যাক বক্সও উদ্ধার হয়েছে, যা দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

    বেশ কয়েক জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত

    সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত এআই ১৭১ বিমানটি ওড়ার আগে সেটির দেখাশোনার কাজে যে কর্মীরা ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। বিমানটি (Air India Plane Crash) ওড়ার সবুজ সঙ্কেত যে কর্মীরা দিয়েছিলেন, এমন বেশ কয়েক জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দাবি ওই সূত্রের। মোবাইলগুলি যাচাই করে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা, এমনই দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। গত বৃহস্পতিবার লন্ডনের গ্যাটউইকগামী ওই বিমানটি আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ানের কিছু ক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। তিনিও ওই বিমানেই ছিলেন।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশ্বাস

    বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা ওই দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) কারণ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। ঘটনার তদন্তে যুক্ত হয়েছে বোয়িং, আমেরিকার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (NTSB) এবং ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA)। ভারতের ডিজিসিএ এবং অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক জানিয়েছে, উড়ানের ঠিক আগে পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাবহারওয়াল এবং ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডার একটি ‘মে ডে’ বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তবে এরপর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (ATC)-এর সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এই প্রথমবার কোনো বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমান দুর্ঘটনার শিকার হলো। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলিধর মোহল জানান, কেন্দ্রীয় তদন্ত কমিটি এই দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তিন মাসের মধ্যে জমা দেবে।

  • Jaffar Express: আবার বালোচ বিদ্রোহীদের নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস! বিস্ফোরণে লাইনচ্যুত ট্রেনের ছ’টি বগি

    Jaffar Express: আবার বালোচ বিদ্রোহীদের নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস! বিস্ফোরণে লাইনচ্যুত ট্রেনের ছ’টি বগি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তিন মাসের মধ্যে বালোচ বিদ্রোহীদের নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস (Jaffar Express)! বালোচিস্তানের কাছে বুধবার সকালে পাকিস্তানের (Pakistan) জাকোবাবাদে ব্যাপক বিস্ফোরণের পর লাইনচ্যুত হল জাফর এক্সপ্রেসের ৬টি কামরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের দিকে যাচ্ছিল জাফর এক্সপ্রেস। ঘটনাটি ঘটে সিন্ধ প্রদেশের কাছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রেল আধিকারিক ও পাক সেনা। কীভাবে এই বিস্ফোরণ তার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    কীভাবে হল?

    বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ার রেলপথে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মধ্যে দিয়ে জাফর এক্সপ্রেস (Jaffar Express) প্রতি দিনই যাতায়াত করে। ওই ট্রেনে কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যেতে সময় লাগে প্রায় ৩০ ঘণ্টা। জানা যাচ্ছে, এদিনও কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের উদ্দেশে যাচ্ছিল ট্রেনটি। তখনই ঘটে এই ঘটনা। রেললাইনের পাশে একটি গরুবাজারে তীব্র বিস্ফোরণ হয়। তার অভিঘাতেই লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। হতাহতের কোনও খবর মেলেনি এখনও। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে। এই দুর্ঘটনার পর আপাতত ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে ৷ এমনিতে স্বাধীনতার দাবিতে অশান্ত বালুচিস্তান ৷ স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র বালুচ গোষ্ঠী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এর আগে মার্চে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করেছিল ৷

    অতীতেও নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস

    প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, এই ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে বালোচ বিদ্রোহীদের। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। উল্লেখ্য, এই নিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার বড় হামলা হল জাফর এক্সপ্রেসে। এর আগে গত মার্চ মাসে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করে বালোচ লিবারেশন আর্মি। পাক সেনাকর্মী থেকে শুরু করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকেই ছিলেন ওই ট্রেনে। প্রায় ৫০০ যাত্রী-সহ এই ট্রেনের দখল নেয় বালোচ বিদ্রোহীরা। পণবন্দি করা হয় ট্রেনে থাকা পাক সেনাদের। পালটা বালোচদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পাক সেনা। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬৪ জনের। যার মধ্যে ছিলেন, ১৮ জন পাক সেনা ও ৩৩ জন বিদ্রোহী।

     

  • Maoist Gjarala Ravi: মাও-মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে ফের মিলল সাফল্য, খতম আরও ৩ শীর্ষ নেতা

    Maoist Gjarala Ravi: মাও-মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে ফের মিলল সাফল্য, খতম আরও ৩ শীর্ষ নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশার সীমান্তে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে (Andhra Pradesh) মাওবাদীদের তুমুল লড়াই। এনকাউন্টারে খতম তিন শীর্ষ মাওবাদী নেতা (Maoist Gjarala Ravi)। বুধবার সকালে এই তথ্য প্রকাশ করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। আল্লুরি সীতারামা রাজু জেলায় মাত্র ২৫ মিনিটের অপারেশনে এই সাফল্য পায় যৌথবাহিনী। এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় মাওবাদীদের এওবিএসজেডসি-র স্পেশাল জোনাল কমিটির সেক্রেটারি গজারলা রবি ওরফে উদয়, ইস্টার্ন বিভাগের সেক্রেটারি বরি ভেঙ্কা চৈতন্য ওরফে অরুণা এবং মাওবাদী নেত্রী অঞ্জু। অরুণা মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা চালাপতির স্ত্রী। ২০১৫ সালে খতম করা হয় চালাপতিকে। অরুণা মাওবাদীদের খাতায় নাম লিখিয়েছিল বছর পঁচিশ আগে। সে ছিল মাওবাদীদের অন্ধ্রপ্রদেশ জোনাল কমিটির সদস্য।

    উদয়ের গোটা পরিবার মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত (Maoist Gjarala Ravi)

    পুলিশ সূত্রে খবর, বর্তমানে উদয়ের বয়স ৬২। সে তেলঙ্গানার বাসিন্দা। আটের দশকে সে যোগ দেয় মাওবাদীদের পিপলস ওয়ার গ্রুপে। দেশে বহু নাশকতার ঘটনায় নাম জড়ায় তার। ২০০৪-০৫ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী রাজশেখর রেড্ডির সঙ্গে মাওবাদীদের শান্তি আলোচনায় যে দল যোগ দিয়েছিল, সেই দলে ছিলেন উদয়ও। পুলিশের দাবি, উদয়ের গোটা পরিবার মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত। যৌথবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে খতম হয় উদয়ের দাদা আজাদ এবং শ্যালিকা। আত্মসমর্পণ করে উদয়ের ভাই।

    খতম উদয়-সহ তিন মাওবাদী

    পুলিশ জানিয়েছে, সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে মারেদুমিল্লির জঙ্গলে অভিযান চালায় যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী। ওই এলাকায় ১৬ জন মাওবাদীর একটি দল আত্মগোপন করে রয়েছে বলে খবর পায় বাহিনী। এর পরেই এলাকা ঘিরে ধরে শুরু হয় তল্লাশি। কোণঠাসা হয়ে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। দু’পক্ষে দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলে। শেষমেশ খতম হয় উদয়-সহ তিন মাওবাদী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র (Maoist Gjarala Ravi)।

    জানা গিয়েছে, এওবিএসজেডসি-র স্পেশাল জোনাল কমিটির সেক্রেটারির পাশাপাশি উদয় ছিলেন অন্ধ্র-ওড়িশা বর্ডার জোনাল কমিটির সদস্যও। তার মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা। ২৫ লাখ টাকা মাথার দাম ছিল অরুণারও। আরাকুর বিধায়ক কিদারি সর্বেশ্বরা রাও এবং প্রাক্তন বিধায়ক সিভেরি সোমার হত্যাকাণ্ডে অরুণা জড়িত (Andhra Pradesh) ছিলেন। অরুণার বাড়ি বিশাখাপত্তনমের পেন্ডুরথি মণ্ডলের কারাকাভানিপালেম এলাকায় (Maoist Gjarala Ravi)।

  • Crude Oil Crisis: ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষে বিশ্বে তেল সঙ্কট! ভারতে কী প্রভাব? ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    Crude Oil Crisis: ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষে বিশ্বে তেল সঙ্কট! ভারতে কী প্রভাব? ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাউদাউ করে জ্বলছে ইরানের তেলকূপ। সেই আগুনের লেলিহান শিখা যত ছড়াচ্ছে, ততই চিন্তার ভাঁজ পড়ছে বিশ্বে। না, কোনও পরিবেশজনিত কারণে এই উদ্বেগ নয়। এই উদ্বেগ বিশ্বের চালিকা শক্তিকে ঘিরে। এই চিন্তা জ্বালানি তেলকে (Crude Oil Crisis) ঘিরে।

    শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েল এবং ইরানের সংঘর্ষের (Israel Iran Conflict) মাঝে আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের বাজারেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের একের পর এক তেলের খনিতে আছড়ে পড়ছে। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে তেহরানও। ফলে, সংঘর্ষ থামার ইঙ্গিত তো নেই-ই, উল্টে তার পরিধি ও প্রভাব আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে তৈরি চাপা উৎকণ্ঠা (Crude Oil Crisis)।

    দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র ইরান

    কেন? বিশ্বের খনিজ তেলের ভান্ডারের প্রায় ১০ শতাংশ রয়েছে ইরানের হাতে। বিশ্বে তেল রফতানিকারী দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে রয়েছে ইরান। পেট্রোলিয়াম রফতানিকারী দেশগুলির সংস্থা ওপেক-এর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র এটি। ইরান সহ বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রগুলির গোষ্ঠী অয়েল অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (সংক্ষেপে ওপেক) গড়ে দৈনিক ১২ কোটি ব্যারেল তেল উৎপাদন করে (Crude Oil Crisis)। এর মধ্যে, ইরান প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৪ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে, যার মধ্যে প্রায় ১৭ লক্ষ ব্যারেল রফতানি করা হয়। বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেল সরবরাহে ইরান একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে।

    আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি

    তথ্য বলছে, ইজরায়েল এবং ইরানের সংঘর্ষ (Israel Iran Conflict) শুরু হওয়া ইস্তক, বিশ্বের দৈনিক তেল উৎপাদনের পরিমাণ ১২ কোটি থেকে কমে ৯.৭ কোটি ব্যারেল হয়েছে। ধরে নেওয়া যেতে পারে, এই ঘাটতি ইরানের থেকেই উৎপন্ন। ফলে, ইরানের যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্ব তেলের বাজারে (Crude Oil Crisis)। যুদ্ধ শুরু ইস্তক আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নির্ধারণের মানদণ্ড ব্রেন্ট-এর প্রকাশিত দৈনিক মূল্য তালিকা অনুযায়ী, জুন মাসে অপরিশোধিত তেলের দাম ২০.২ শতাংশ বেড়েছে। গত ১৪টি সেশনে বেড়েছে ৯ বার! অর্থাৎ, সেশন-প্রতি ১.৩২ শতাংশ বৃদ্ধি।

    ৮৫ শতাংশ তেল আমদানি করে ভারত

    বিশ্বে তেল আমদানিকারী দেশগুলির অন্যতম ভারত। বর্তমানে, প্রায় ৮৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেলই অন্য দেশ থেকে আমদানি করে ভারত। তবে, বিগত ২ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কমিয়েছে ভারত। এখন এই ৮৫ শতাংশের মধ্যে ৪০ শতাংশ তেলই ভারত কেনে রাশিয়া থেকে। এটা চালু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে। সেই সময় অত্যন্ত সুকৌশল অবলম্বন করে রাশিয়া থেকে সস্তায় বিপুল পরিমাণ অশোধিত তেল আমদানি শুরু করে ভারত। একটা সময় ছিল, যখন ভারত ২৭টি দেশ (মূলত ওপেক গোষ্ঠীভুক্ত) থেকে তেল আমদানি করত। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০। ফলে, ভারতের হাতে একাধিক বিকল্প রয়েছে। যার জেরে দেশের তেল সরবরাহ সুরক্ষা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

    হরমুজ প্রণালির গুরুত্ব কতটা?

    তবে, ভারতের আশঙ্কা কি একেবারেই নেই? না, অবশ্যই রয়েছে। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের (Israel Iran Conflict) জেরে যদি হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে একটা আশঙ্কা (Crude Oil Crisis) তৈরি হতে পারে। কী এই হরমুজ প্রণালি? কোথায় অবস্থিত? কেন এতটা তাৎপর্যপূর্ণ? হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর সংযুক্ত হয় এবং পরে এর মাধ্যমে তা আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়।হরমুজ প্রণালি মাত্র ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত। এই হরমুজ প্রণালির উত্তরে রয়েছে ইরান, দক্ষিণে রয়েছে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। সবচেয়ে বড় কথা, এর নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই ইরানের হাতে।

    কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে?

    মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করা তেল মূলত হরমুজ প্রণালি রুট দিয়ে ভারতে আসে। শুধু ভারত নয়, এটি দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি তেল আমদানির অন্যতম পথ। বিশ্বের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ তেল (১ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যারেলেরও বেশি) প্রতিদিন এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো উৎপাদক দেশগুলি থেকে জ্বালানির রফতানির অন্যতম প্রধান জাহাজপথ হল এই প্রণালি। আবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসন যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেলের বেশি তেল এই সংকীর্ণ হরমুজ প্রণালির জলপথ দিয়েই যায়। এর ৮৩ শতাংশই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারের জন্য নির্ধারিত।

    ভারতের আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের ৩৩ শতাংশ এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে আসে। এই রাস্তা বন্ধ হলে ইরাক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী থেকে আসা তেলের সরবরাহ (Crude Oil Crisis) বাধাপ্রাপ্ত হবে। এর ফলে অন্য দেশ থেকে তেল আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে, যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়বে তেলের দামে। শুধু তেল নয়, এই পথেই কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে ভারত। তাই এই প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানিও বন্ধ হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়।

    বিকল্প পথ তৈরি ভারতের

    তাহলে ভারতের সামনে উপায় কী? পশ্চিম এশিয়ায় সম্ভাব্য টালমাটাল পরস্থিতির (Israel Iran Conflict) কথা চিন্তা করে আগাম বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করেছে ভারত। এখন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা থেকেও তেল কেনে ভারত। যেগুলি ভারত মহাসাগর হয়ে আসে। তাই এগুলোই বিকল্প হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় তা অনেকটাই কম। হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে, সেই পরিমাণ বাড়াতে হবে। তবে, তাতে অর্থ ও সময় দুই বেশি ব্যয় হবে। ফলে, বাড়বে তেলের দাম। অর্থাৎ, হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রতিটি ভারতবাসী এর প্রভাব অনুভব করতে পারবে। পেট্রোলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি মাসে সাংসারিক খরচও প্রতিটি পরিবারকে বেঁধে দিতে হবে, বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতিও।

    ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    যদিও, দেশে জ্বালানি তেল নিয়ে সঙ্কট তৈরি হবে না বলে অভয় দিচ্ছে ভারত সরকার। কেন্দ্রের মতে, দাম বাড়লেও, সরবরাহের কোনও ঘাটতি হবে না। তৈরি হবে না দেশে তেলের ভান্ডারগুলিতে যে পরিমাণ তেল মজুত রয়েছে, তাতে কোনও সঙ্কট তৈরি হবে না বলেই আশ্বাস দিচ্ছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৫৬ লক্ষ ব্যারেল তেল ব্যবহার হয় ভারতে (Israel Iran Conflict)। এর মধ্যে মাত্র ১৫ থেকে ২০ লক্ষ ব্যারেল পরিমাণ তেল হরমুজ প্রণালি দিয়ে আসে। বাকিগুলি এখন আসে অন্য রুট দিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরে এই রুটের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে দিল্লি। উপরন্তু, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, সারাদেশে বর্তমানে ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে এবং কৌশলগত মজুতও রয়েছে ১০ দিনের তেল।

    ফলে, এখনই ভারতের চিন্তার কিছু নেই (Crude Oil Crisis)।

  • Asim Munir: ‘‘আপনি কাপুরুষ’’! আমেরিকায় ‘স্বদেশি’দের হাতেই বিক্ষোভের মুখে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির

    Asim Munir: ‘‘আপনি কাপুরুষ’’! আমেরিকায় ‘স্বদেশি’দের হাতেই বিক্ষোভের মুখে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে গিয়েও রক্ষে নেই পাকিস্তানের (Pakistan) সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের (Asim Munir)। পাঁচ দিনের আমেরিকা সফরে গিয়েছেন তিনি। উঠেছেন ওয়াশিংটনের একটি হোটেলে। সেখানে হাজির হন পাকিস্তানের নাগরিক এবং পাক-বংশোদ্ভূত প্রচুর মানুষ। তাঁরা পাকিস্তানে নিরবচ্ছিন্ন গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে সোচ্চার হন। ওয়াশিংটনের এই বিক্ষোভের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে শোনা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আসিম মুনির আপনি একজন কাপুরুষ। আপনি গণহত্যাকারী, ধিক্কার আপনাকে’। পরে ফের বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘ধিক্কার আপনাকে, একনায়ক এবং পাকিস্তানিদের হত্যাকারী’। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে উপস্থিত সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। কারণ তাঁরা তাঁদের হোটেলের বিল্ডিংয়ে ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন।

    আসিম মুনির গণহত্যাকারী (Asim Munir)

    ভাইরাল হওয়া অন্য একটি ভিডিও ফুটেজে একটি মোবাইল ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড দেখা গিয়েছে। বিল্ডিংয়ের সামনে পার্ক করে রাখা ওই বিলবোর্ডে লেখা, ‘আসিম মুনির (Asim Munir), গণহত্যাকারী’ এবং ‘যখন বন্দুক কথা বলে, তখন গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়’। জানা গিয়েছে, যাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন, তাঁরা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থক। এঁরা বরাবরই বর্তমান পাক সরকারের বিরোধিতা করে আসছেন। মুনিরের সফর সরকারিভাবে ঘোষণার আগেই ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি দূতাবাসের বাইরে প্রতিবাদ জানিয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল।

    ওয়াশিংটনে মুনির

    রবিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছন মুনির। উদ্দেশ্য, আমেরিকার সঙ্গে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করা। ‘প্রাথমিকভাবে দ্বিপাক্ষিক প্রকৃতি’র এই সফর ১৪ জুন মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। কারণ ওই দিন মুনির ওয়াশিংটনে গেলেও যোগ দেননি মিলিটারি প্যারেডের অনুষ্ঠানে। অবশ্য জল্পনা ছড়িয়েছিল শনিবার ওয়াশিংটনে মিলিটারি প্যারেডে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শালকে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দেয় হোয়াইট হাউস।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। ভারতের ওই অভিযানে কার্যত ল্যাজেগোবরে দশা হয় পাকিস্তানের। তা সত্ত্বেও সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে প্রমোশন দেয় শাহবাজ শরিফের সরকার (Pakistan)। তাঁকে উন্নীত করা হয় পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক পদ ফিল্ড মার্শাল পদে (Asim Munir)।

  • PM Modi: “পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেবে না,” ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

    PM Modi: “পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেবে না,” ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।” মঙ্গলবার রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) ফের একবার এ কথা মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে তাঁর প্রায় ৩৫ ধরে কথোপকথন হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আরও একবার স্পষ্ট করে দেন ভারতের অবস্থান।

    ভারতের পদক্ষেপ পরিমিত (PM Modi)

    চলতি বছরের ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তারই প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পড়শি দেশের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। এই প্রেক্ষাপটেই এদিন কথা হয়েছে ট্রাম্প এবং মোদির। ফোনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ভারতের এই পদক্ষেপ ছিল পরিমিত, সুনির্দিষ্ট এবং উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী নয়’।

    বিক্রম মিস্রির বক্তব্য

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে আমেরিকার কোনও ভূমিকা ছিল না। তিনি বলেন, “অভিযান চলাকালীন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও মধ্যস্থতা বা বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অনুরোধ করেনি বা আলোচনা করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের গুলির জবাবে ভারত মর্টার শেল ছুড়েছে। আমরা সন্ত্রাসবিরোধী এক সক্রিয় অভিযানে রয়েছি এবং এখন সন্ত্রাসবাদকে আমরা আর ছায়াযুদ্ধ বলে মনে করি না। এটা সরাসরি যুদ্ধই।” প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র পাকিস্তানের অনুরোধের পরেই। এই অনুরোধ করা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে যে সামরিক যোগাযোগ চ্যানেল রয়েছে, তার মাধ্যমে। এর পরেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই প্রক্রিয়ায় কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ ছিল না। প্রসঙ্গত, ভারত-পাক যুদ্ধ বিরতির পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে তাঁরই হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন দাবি যে নেহাৎই অর্থহীন, পরোক্ষভাবে ট্রাম্পকে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদি (PM Modi)।

    সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদির বক্তব্য

    কানাডায় আয়োজিত জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত জি৭-এর সদস্য নয়। তিনি ছিলেন আমন্ত্রিত দেশের প্রতিনিধি। তাঁকে আহ্বান জানিয়েছিলেন আয়োজক দেশের প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি স্বয়ং। সেখানে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদির ভাষণে অবধারিতভাবে উঠে আসে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত জঙ্গি হামলা শুধুমাত্র পহেলগাঁওয়ের ওপর হামলা ছিল না। এটি ছিল প্রতিটি ভারতীয়ের আত্মা, পরিচয় এবং মর্যাদার ওপর হামলা। এটি ছিল সমগ্র মানবতার ওপর এক আঘাত।” সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে যাতে দ্বিমুখী নীতি প্রয়োগ করা না হয় এবং এর বিরুদ্ধে যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, বিশ্বনেতাদের কাছে সেই আহ্বানও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    মোদি-ট্রাম্পের পার্শ্ববৈঠক বাতিল 

    জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকেই পার্শ্ববৈঠক হওয়ার কথা ছিল মোদি ও ট্রাম্পের। কিন্তু ট্রাম্পকে তাড়াতাড়ি ওয়াশিংটন ফিরে যেতে হওয়ায়, সেই বৈঠক হয়নি। ট্রাম্পের অনুরোধে ফোনালাপের ব্যবস্থা করা হয়। পহেলগাঁও হামলার পর এটাই ছিল ট্রাম্প-মোদির প্রথম বিশদ আলোচনা। পাকিস্তান থেকে সম্ভাব্য জঙ্গি হুমকি সম্পর্কে আগে মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি ভ্যান্স যে একটি সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, এদিন ফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তা স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “ভারত সেই অনুযায়ী কঠোর ও সুনির্দিষ্টভাবে জবাব দিয়েছে, যেমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল (PM Modi)।”

    ‘কোয়াড’ সম্মেলনে আহ্বান

    এদিকে, এদিন ফোনেই মোদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে (Donald Trump) পরবর্তী ‘কোয়াড’ সম্মেলন উপলক্ষে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান। মিস্রি জানান, ট্রাম্প আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। জানিয়েছেন তিনি ভারতে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছর কোয়াড সম্মেলন হবে ভারতে। মিস্রি বলেন, “কোয়াডের পরবর্তী বৈঠকের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভারতে আসার আমন্ত্রণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত।” ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কানাডা থেকে ফেরার পথে যুক্তরাষ্ট্রে থামবেন কি না। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী মোদি তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন ট্রাম্পকে। এরপর উভয় নেতাই সিদ্ধান্ত নেন অদূর ভবিষ্যতে তাঁরা সাক্ষাতের চেষ্টা করবেন (PM Modi)।”

  • PM Modi: ১০ ঘণ্টায় ১২টি বৈঠক! জি-৭ সম্মেলনে একাধিক দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi: ১০ ঘণ্টায় ১২টি বৈঠক! জি-৭ সম্মেলনে একাধিক দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় জি৭ সম্মেলনে যোগ দিয়ে ১০ ঘণ্টায় ১২টি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠকে উঠে এসেছে নানা দিক। কখনও তাঁকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে, আবার কখনও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছেন। এ ছাড়াও, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করেছেন মোদি।

    জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জের সঙ্গে বৈঠকে

    জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, সবুজ শক্তি, প্রযুক্তি, শিক্ষা ও উদ্ভাবনের মতো বহু ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেন। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জের সঙ্গে এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন মোদি। এই বৈঠক করতে পেরে তিনি আনন্দিত বলেই জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সন্ত্রাস দমনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে ভবিষ্যতে ভারত এবং জার্মানি একসঙ্গে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

    মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথম বৈঠক

    মেক্সিকোর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম পার্ডোর সঙ্গেও প্রথমবারের মতো বৈঠকে মিলিত হন মোদি। দুই নেতা ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে বাণিজ্য, স্টার্ট-আপ, উদ্ভাবন, কৃষি, ওষুধ শিল্প এবং সেমিকন্ডাক্টর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা বলেন।

    দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ‘স্পেশাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ’

    দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ংয়ের সঙ্গে বৈঠকে মোদি (PM Modi) দ্বিপাক্ষিক বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানান। আলোচনায় উঠে আসে বাণিজ্য, উদীয়মান প্রযুক্তি, সবুজ হাইড্রোজেন, শিপবিল্ডিং এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মতো বিষয়।

    ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জাপানের নেতাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ

    ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে মোদির ‘পুল অ্যাসাইড’ বৈঠকে বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যুতে মত বিনিময় হয়। মাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক শেষে মোদি বলেন, ‘‘এক জন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে পারা সব সময়েই আনন্দের।’’ একই সঙ্গে ভারত-ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককে ‘ব্যতিক্রমী’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে আলোচনা শেষে মোদি জানান, “ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক আরও দৃঢ় হচ্ছে, বিশেষ করে বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে।” মেলোনির সঙ্গে বৈঠক সেরে মোদি জানান, ইটালি ও ভারতের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে। এই বন্ধুত্বের ফলে উপকৃত হবে দুই দেশের মানুষই। জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে আলোচনায় মোদী বলেন, ভারত-জাপান সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার জন্য দুই দেশই একসঙ্গে কাজ করে যাবে।

    সন্ত্রাস দমনে অন্য রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে কথা মোদির

    কানাডায় জি৭ সম্মেলনে সন্ত্রাস দমনে ভারতের অবস্থানের কথাও বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের কাছে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানানোর জন্য মঙ্গলবার ওই সম্মেলনে রাষ্ট্রনেতাদের ধন্য়বাদও জানান। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলাকে ‘মানবতা’-র উপর হামলা বলে মন্তব্য করেন। কিছুদিন আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে মেরেছিল পাক জঙ্গিরা। তার ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর আঘাত হেনে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্সের বার্তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৌঁছে দেয় বহুদলীয় ৭টি প্রতিনিধি দল। জি৭ সম্মেলনে সন্ত্রাসদমনে ভারতের বার্তা স্পষ্ট করে দেন মোদি। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও ডবল স্ট্যান্ডার্ড থাকা উচিত নয়। গত ২২ এপ্রিল যে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল, তা কেবল পহেলগাঁওয়ের উপর হামলা ছিল না। তা প্রত্যেক ভারতীয়র আত্মা, পরিচয়, মর্যাদার উপর হামলা ছিল। পুরো মানবতার উপর হামলা হয়েছিল।”

    ক্রোয়েশিয়ায় মোদি

    পাঁচ দিনের ত্রিদেশীয় সফরের শেষ পর্যায় বুধবার ভোরে ক্রোয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বুধবার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর তিন দেশের সফরের শেষ পর্যায়ে ক্রোয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তিনি এও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কানাডায় অত্যন্ত ফলপ্রসূ সফর সম্পন্ন করেছেন। জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

  • Dengue in Bengal: বর্ষা আসতে না আসতেই রাজ্যে ডেঙ্গির চোখরাঙানি! কোথায় বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    Dengue in Bengal: বর্ষা আসতে না আসতেই রাজ্যে ডেঙ্গির চোখরাঙানি! কোথায় বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ চড়লেও আকাশে মেঘ জমেছে! মাঝেমধ্যেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বর্ষা (Monsoon) আসছে! আবহাওয়া দফতর জানান দিয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গেই ডেঙ্গির চোখরাঙানি (Dengue) শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে ফের ডেঙ্গির দাপট (Dengue in Bengal) শুরু হতে পারে। তাই আগাম বাড়তি সতর্কতা জরুরি। রাজ্যবাসীর ভোগান্তি কমাতে এখন থেকেই বাড়তি তৎপরতা (Dengue Precautions) প্রয়োজন। না হলে বিপদ মারাত্মক হতে পারে।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর?

    রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের একাধিক জেলায় বর্ষা (Monsoon Season) শুরু হওয়ার আগেই ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছে। বৃষ্টি বাড়লে প্রকোপ আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে রাজ্যে অগাস্ট-সেপ্টেম্বর-অক্টোবর এই তিন মাসে ডেঙ্গি সবচেয়ে বেশি দাপট দেখিয়েছে। বিশেষত সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে ব্যাপকভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তাই অন্তত জুন-জুলাই থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি (Dengue Precautions)। বর্ষার শুরু থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় সক্রিয় হলে, বিপদ মোকাবিলা সহজ হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    রাজ্যের কী পরিস্থিতি?

    স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের (Dengue in Bengal) সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বর্ষা শুরুর আগেই হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি এবং মুর্শিদাবাদের ডেঙ্গি পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তথ্য অনুযায়ী, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত হাওড়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৯০ জন। উত্তর চব্বিশ পরগনায় কমবেশি ১৬০ জন। হুগলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১৩৫ জন। মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১২০ জন। ডেঙ্গির চোখরাঙানি থেকে বাদ নেই কলকাতাও। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলকাতাতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ জন। এছাড়াও, বর্ধমান, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, নদিয়া জেলার পরিস্থিতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য প্রশাসনের একাংশ।

    কীভাবে ডেঙ্গি মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারের তৎপরতা এবং সাধারণ মানুষের সতর্কতা ডেঙ্গি মোকাবিলা সহজ করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় এলাকা (Dengue in Bengal) পরিষ্কার সবচেয়ে জরুরি। মশার আঁতুরঘর ভাঙতে না পারলে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়বে। তাই এলাকার পার্ক, রাস্তা এমনকি আবর্জনা ফেলার জায়গাও পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল জমতে দেওয়া চলবে না। বাড়ির ছাদে, বাগানে কিংবা এলাকার পার্কে আগাছা জন্মালে পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষত যারা ছাদে বা বারন্দায় বাগান করেন, তাঁদের জন্য পরামর্শ, টবে যাতে জল না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থির জলে ডেঙ্গি মশা বেশি জন্মায়। তাই টব কিংবা ফুলদানির মতো জায়গায় জল জমলে ডেঙ্গির মশার প্রকোপ বাড়ার ঝুঁকিও (Dengue Risks) বেশি। বাড়িতে চৌবাচ্চা থাকলে সেখানেও সাত দিনের বেশি জল যাতে না জমে সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    আশপাশ পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি ডেঙ্গি মোকাবিলায় নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সংক্রমণ রুখতে ডেঙ্গির উপসর্গ সম্পর্কেও সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, তিন দিন লাগাতার জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করা জরুরি (Dengue in Bengal)। ডেঙ্গি হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। তাহলেই সংক্রমণ রুখতে সহজ হবে। রোগীর দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানোও সহজ হবে। পরিবারের কোনো সদস্য ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে তাকে অবশ্যই আলাদা ঘরে রাখতে হবে। মশারি টাঙিয়ে রাখা জরুরি। বাড়ির অন্য সদস্যদের যাতে ডেঙ্গি (Dengue Precautions) না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে বাড়তি তৎপরতা প্রয়োজন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Strait of Hormuz: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে বন্ধ হতে পারে হরমুজ প্রণালি! কেন ভারতের জন্য এই জলপথ গুরুত্বপূর্ণ?

    Strait of Hormuz: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে বন্ধ হতে পারে হরমুজ প্রণালি! কেন ভারতের জন্য এই জলপথ গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরান-ইজরায়েল মধ্যে যুদ্ধ ক্রমশই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। এই আবহে দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি তেল আমদানির অন্যতম পথ হরমুজ প্রণালি নিয়ে আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ইরান বন্ধ করে দিতে পারে হরমুজ প্রণালি। এই হরমুজ প্রণালির (Strait of Hormuz) উত্তরে রয়েছে ইরান, দক্ষিণে রয়েছে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।

    ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত হল হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz)

    হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর সংযুক্ত হয় এবং পরে এর মাধ্যমে তা আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়। হরমুজ প্রণালি মাত্র ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত, তবে জাহাজের জন্য প্রকৃত নাব্য চ্যানেলটি মাত্র কয়েক কিলোমিটারই প্রশস্ত রয়েছে। এই কারণেই এই অঞ্চল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। হরমুজ প্রণালির কাছে অবস্থিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর রয়েছে। এগুলি হল—ইরানের আব্বাস বন্দর, এই বন্দর মূলত একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ কেন্দ্র। হরমুজ প্রণালির কাছাকাছি রয়েছে ওমানের সোহার বন্দর, এই বন্দর বাণিজ্য তথা জাহাজের রুট বদলের জন্য ব্যবহৃত হয়। হরমুজ প্রণালিতে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ফুজাইরা বন্দর, এই বন্দরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ এবং জাহাজ বন্দর হিসেবে পরিচিত।

    হরমুজ প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন যায় বিশ্বের পাঁচ ভাগের একভাগ তেল

    হরমুজ প্রণালির (Strait of Hormuz) মাধ্যমেই আশেপাশের বেশিরভাগ উপসাগরীয় দেশ তেল ও গ্যাস রফতানি করে। এই কারণে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রণালি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ তেল প্রতিদিন (১ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যারেলেরও বেশি) এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো উৎপাদক দেশগুলি থেকে জ্বালানির রফতানির অন্যতম প্রধান জাহাজপথ হল এই প্রণালি।

    ভারতের ৮৫ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত তেল আসে এই হরমুজ প্রণালি দিয়েই

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসন (EIA) যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২০.৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল এই সংকীর্ণ হরমুজ প্রণালির জলপথ দিয়েই যায়। এর ৮৩ শতাংশই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারের জন্য নির্ধারিত। ভারতের (India) ৮৫ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত তেল আসে এই হরমুজ প্রণালি দিয়েই। তাই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে তা দেশের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ। বিপুলভাবে বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দাম। এই হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) বন্ধ হলে ইরাক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী থেকে আসা তেলের সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হবে। এর ফলে অন্য দেশ থেকে তেল আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে, যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়বে তেলের দামে। শুধু তেল নয়, এই পথেই কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে ভারত। তাই এই প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানিও বন্ধ হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়।

    হরমুজ প্রণালি দিয়ে ভারতের রফতানি (Strait of Hormuz)

    অন্যদিকে, এই পথ (Strait of Hormuz) দিয়ে ভারত রফতানিও করে অনেক কিছু। যেমন যন্ত্রপাতি, বস্ত্র, গয়না, রাসায়নিক ইত্যাদি। যার ফলে এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হতে পারে। একইসঙ্গে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয় এবং তার সঙ্গে তেলের দাম বাড়ে, তাহলে বিমান সংস্থা ও টায়ার শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতের টাকাও ব্যাপক চাপের মধ্যে পড়বে। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে তখন আর্থিক নীতি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হতে হবে, বিশেষ করে বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। অর্থাৎ, হরমুজ প্রণালি যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রতিটি ভারতবাসী এর প্রভাব অনুভব করতে পারবে। পেট্রোলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি মাসে সাংসারিক খরচও প্রতিটি পরিবারকে বেঁধে দিতে হবে, বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতিও।

    বিকল্প কী রয়েছে ভারতের কাছে?

    মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা থেকেও তেল কেনে ভারত, তাই এগুলোই বিকল্প হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় তা অনেকটাই কম। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত এপ্রিল মাসে ভারত আফ্রিকার দেশগুলি থেকে ১২ শতাংশ তেল আমদানি করেছিল, গত মে মাসে সেটা কমে দাঁড়ায় ৫ শতাংশে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সংঘাত শুরু হয়েছে, তাতে পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যদি হরমুজ প্রণালি সত্যিই বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিকল্প হিসেবে আফ্রিকার দেশগুলি থেকে তেল কেনার কথা ভারত (India) ভাববে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে এখান থেকে তেল নিয়ে তেলের ঘাটতি কতটা মেটানো যাবে, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে দেশের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে সারাদেশে বর্তমানে ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে এবং কৌশলগত মজুতও রয়েছে ৯.৫ দিনের তেল। তবে ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে তেল নিয়ে ভাবতে হবে ভারতকে।

LinkedIn
Share