Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • North Bengal Flood: শোকপ্রকাশ মোদি-শাহের, রাজভবনে চালু কন্ট্রোল রুম! উত্তরবঙ্গে দুর্যোগে মৃত্যু বেড়ে ২৮

    North Bengal Flood: শোকপ্রকাশ মোদি-শাহের, রাজভবনে চালু কন্ট্রোল রুম! উত্তরবঙ্গে দুর্যোগে মৃত্যু বেড়ে ২৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ১২ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের পাহাড় থেকে সমতল। কোথাও ধসে ঘরবাড়ি, সেতু ভেঙে পড়েছে। কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট। পুজো মিটতে না-মিটতেই এই বিপর্যয়ে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মিরিক। ফুঁসছে তিস্তা। ক্ষতিগ্রস্ত কালিম্পং থেকে জলপাইগুড়ি-সহ সমগ্র ডুয়ার্স। পুজোর সময় পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া বহু পর্যটকই সেখানে আটকে পড়েছেন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের দুর্গতদের (North Bengal Flood) জন্য ব়্যাপিড অ্যাকশন সেল খোলা হল। ২৪ ঘণ্টা এখানে যোগাযোগ করা যাবে। এর জন্য রাজভবনের তরফে একটি নম্বর ও ই-মেল আইডি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গে দুর্যোগে মৃতদের পরিজনদের সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)।

    রাজভবনের ব়্যাপিড অ্য়াকশন সেল

    রবিবার রাজভবনের তরফে এক বার্তায় জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গে বন্যা (North Bengal Flood) দুর্গতদের জন্য ব়্যাপিড অ্য়াকশন সেল খোলা হচ্ছে। এর সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকছেন অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি সন্দীপ সিং রাজপুত। উত্তরবঙ্গের দুর্গত মানুষ যেকোনও সমস্যার কথা জানাতে এখানে ফোন করতে পারেন। ফোন নম্বর হল ০৩৩-২২০০১৬৪১। এছাড়া মেইল করেও নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন সবাই। ব়্যাপিড অ্যাকশন সেলের মেইল আইডি হল peaceroomrajbhavan@gmail.com। ওই বার্তায় আরও জানানো হয়েছে, রাজভবনে যে পিসরুম খোলা হয়েছিল, তা আবার সক্রিয় করতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। দুর্গতদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    দার্জিলিং-এর দিকে নজর কেন্দ্রের

    উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ে (North Bengal Flood) মৃত্য়ুমিছিল নিয়ে শোকজ্ঞাপন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তের সঙ্গে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি। ইতিমধ্য়েই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এনডিআরএফ সেখানে কাজ করছে, তৈরি আছে আরও টিম, প্রয়োজনে তারাও উদ্ধারকাজে সামিল হবে। পাশাপাশি বৃষ্টি ও ধসে মৃতদের পরিজনদের প্রতি সমবেদনা ও আহতদের আরোগ্য়কামনা করেছেন অমিত শাহ। অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত দার্জিলিঙের এবং আশপাশের এলাকার পরিস্থিতির প্রশাসন গভীরভাবে নজরদারি চালাচ্ছে। শোকগ্রস্থ পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিঙে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্রাণহানির ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমি শোকাহত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আহতদের জন্য আরোগ্য কামনা করেছেন তিনিও।

    সবাইকে ধীরস্থির থাকার আবেদন

    লাগাতার বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ২৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতদের পরিজনদের সমবেদনা জানিয়েছেন রাজ্যপাল। সবাইকে ধীরস্থির থাকার আবেদন জানিয়ে উদ্ধারকাজে প্রশাসনকে সাহায্য করার বার্তা দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। আজ, সোমবার উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। দলের নেতা-কর্মীদের উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে তিনিও নির্দেশ দিয়েছেন।

    বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ

    টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের (North Bengal Flood) বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শুধু পার্বত্য এলাকাই নয়, বিপর্যস্ত ডুয়ার্সে বিস্তীর্ণ এলাকাও। তিস্তা, তোর্সা, মহানন্দা, জলঢাকা-সহ উত্তরের বিভিন্ন নদীগুলি ফুঁসছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বহু এলাকা। সেখান থেকে এলাকাবাসীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্যপ্রাণীরা প্রাণ বাঁচাতে ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। কামারঘাট এলাকায় জলের মধ্যে আটকে পড়েছে একপাল হাতি। পাশাপাশি স্থানীয় কালীবাড়ি এলাকাতেও একটি গন্ডার লোকালয়ে চলে আসে। তবে শুধু হাতি-গন্ডার নয়, কাশিয়ার বাড়ি এলাকায় একটি বাইসনের শাবক উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। কার্শিয়াংয়ে গ্রামে ঢুকে পরে একাধিক হরিণ। বহু বন্যপ্রাণী জঙ্গল থেকে নদীতে ভেসে গিয়েছে বলেও দাবি তাঁদের। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন বনকর্মীরা। বেশকিছু ট্রেন বাতিল করেছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশন। বাংলা থেকে অসম যাওয়ার একাধিক ট্রেন বাতিল হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু ট্রেনকে ঘুর পথে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে এনজেপি আলিপুরদুয়ার জংশন ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন। ধুবরি শিলিগুড়ি ডেমু স্পেশাল। বাতিল শিলিগুড়ি বক্সিরহাট এক্সপ্রেস।

    উত্তরবঙ্গে চলবে বৃষ্টি

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, আজও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের আট জেলায়। ওই জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। তবে জেলার সব জায়গায় ঝড়বৃষ্টি হবে না। উত্তরের আট জেলার মধ্যে সোমবার আলিপুরদুয়ারে হতে পারে ভারী বৃষ্টি। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি কমবে উত্তরবঙ্গে। ওই দিন একমাত্র দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়ার জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

  • North Bengal Flood: কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা পেয়েই দুর্গতদের সহায়তায় মাঠে রাজ্য বিজেপি, সোমেই উত্তরবঙ্গে শমীক

    North Bengal Flood: কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা পেয়েই দুর্গতদের সহায়তায় মাঠে রাজ্য বিজেপি, সোমেই উত্তরবঙ্গে শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবির দুপুরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ আসতেই, উত্তরবঙ্গের দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ঝাঁপিয়ে পড়ল বঙ্গ বিজেপি। ত্রাণ ও উদ্ধারকাজের পাশাপাশি, সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের রাজ্যে ফেরানোর ক্ষেত্রেও সক্রিয় হয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবারই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

    রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয় দল প্রস্তুত। একইসঙ্গে, বিজেপির স্থানীয় কর্মকর্তারাও দুর্গতদের সাহায্য করতে মাঠে নেমেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। অমিত শাহ বলেন, ‘‘দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তার সঙ্গে কথা বলেছি এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি। এনডিআরএফ-এর দলগুলি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, এবং প্রয়োজনে আরও দল তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপি কর্মীরাও বিপর্যস্ত মানুষদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছেন।’’

    উত্তরের জেলা কমিটিগুলিকে ত্রাণ-উদ্ধারকাজে নামার নির্দেশ

    এর পর বিকেলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানান, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রতি মিনিটে পরিস্থিতির খবর নেওয়া হচ্ছে। এনডিআরএফ ও বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীরা উদ্ধারকাজে নেমেছেন, আর সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের সহায়তার জন্য ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে পাঠানো হয়েছে। শমীক জানান, উত্তরবঙ্গে বিজেপির সব জেলা কমিটিকে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেছেন, ‘‘আমাদের সীমিত সাধ্যের মধ্যে দিয়ে উত্তরবঙ্গে আমাদের দলের সমস্ত শাখাকে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সব জেলা ক্ষতিগ্রস্ত নয়, সেখানকার সমস্ত বিজেপি নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীরা উদ্ধারকার্যে নামবেন। আর আজ সন্ধ্যার পর থেকে আমাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। আমাদের সাধ্যমতো যতটা সহযোগিতা এবং ত্রাণ এই মুহূর্তে আমরা দিতে পারি, আমরা তার ব্যবস্থা করব।’’

    সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের ফেরাতে উদ্যোগ

    শুধু দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া নয়, ভিন্‌রাজ্যে আটকে পড়া পর্যটকদের রাজ্যে ফেরানোর ক্ষেত্রেও সক্রিয় হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপির নির্বাচন সহ-প্রভারী তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব রবিবার যোগাযোগ করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন। শমীক বলেন, ‘‘বিপ্লবের ফোন পেয়ে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সচিবালয়ের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। তিনি বিপ্লবকে জানিয়েছেন যে, সিকিম থেকে পশ্চিমবঙ্গে যাতায়াতের একটি মাত্র রাস্তা আপাতত খোলা রয়েছে। বাকি সব রাস্তা দুর্যোগে বিপর্যস্ত। সেই একটিমাত্র অক্ষত রাস্তা দিয়েই যত দ্রুত সম্ভব বাঙালি পর্যটকদের নিরাপদে ফেরানোর জন্য সিকিম সরকার সচেষ্ট হচ্ছে।’’ সিকিম সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে বিজেপির তরফ থেকে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে বলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি জানিয়েছেন।

  • Gyanesh Kumar: “কোনও ভোটকেন্দ্রে ১,২০০-র বেশি ভোটার থাকবে না”, সাফ কথা জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের

    Gyanesh Kumar: “কোনও ভোটকেন্দ্রে ১,২০০-র বেশি ভোটার থাকবে না”, সাফ কথা জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ করার জন্য কোনও ভোটকেন্দ্রে ১,২০০-র বেশি ভোটার থাকবে না।” রবিবার আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলির রূপরেখা তুলে ধরতে গিয়ে এ কথা বলেন জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)।

    জ্ঞানেশ কুমারের বক্তব্য (Gyanesh Kumar)

    তিনি জানান, ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বাড়ানো (Polling Station) ও ভোটারদের অভিজ্ঞতা উন্নত করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন পাটনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়ৈ জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোনও ভোটকেন্দ্রে ১,২০০-এর বেশি ভোটার থাকবে না।” তিনি জানান, বুথ-স্তরের কর্তাদের এখন থেকে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে, যাতে তাদের সহজে চিহ্নিত করা যায়। ভোটারদের মোবাইল ফোন বুথের বাইরে জমা রাখতে হবে। তিনি বলেন, “বুথ-স্তরের কর্তাদের জন্য পরিচয়পত্র চালু করা হয়েছে, যাতে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর সময় তাদের সহজে চেনা যায়। ভোটাররা বুথের বাইরে একটি নির্দিষ্ট কক্ষে মোবাইল ফোন জমা দিতে পারবেন। এই প্রক্রিয়া সমগ্র বিহারে কার্যকর করা হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১০০ শতাংশ ওয়েবকাস্টিং থাকবে।”

    নয়া ঘোষণা

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার আসন্ন নির্বাচনের ব্যালট পেপারেও পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ব্যালট পেপারের সিরিয়াল নম্বরের অক্ষর এখন থেকে সারা দেশে বড় আকারের হবে এবং প্রার্থীদের ছবি থাকবে রঙিন (Gyanesh Kumar)। তিনি বলেন, “যখন ব্যালট পেপার ইভিএম-এ প্রবেশ করানো হয়, তখন তাতে প্রার্থীর ছবি সাদা-কালো ছিল, যদিও নির্বাচনী প্রতীক থাকে। সিরিয়াল নম্বরও আরও বড় হওয়া উচিত। বিহার নির্বাচন দিয়ে শুরু করে সারা (Polling Station) দেশে ব্যালট পেপারের সিরিয়াল নম্বর বড় আকারে ছাপানো হবে এবং প্রার্থীদের রঙিন ছবিও থাকবে(Gyanesh Kumar)।”

  • Workforce Growth: মোদি জমানায় ঊর্ধ্বমুখী কর্মসংস্থানের লেখচিত্র, জানাল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক  

    Workforce Growth: মোদি জমানায় ঊর্ধ্বমুখী কর্মসংস্থানের লেখচিত্র, জানাল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় ঊর্ধ্বমুখী কর্মসংস্থানের লেখচিত্র (Workforce Growth)। শুক্রবারই নয়া তথ্য প্রকাশ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক। এই তথ্য থেকেই প্রকাশ (Bharat), ভারতে কর্মসংস্থান ২০১৭-১৮ সালে ৪৭.৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৩-২৪ সালে ৬৪.৩৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এর অর্থ হল, গত ছ’বছরে নেট ১৬.৮৩ কোটি নতুন চাকরির সৃষ্টি হয়েছে। এই লাফ কেবল পরিসংখ্যানগত নয়, এটি ভারতের অর্থনীতিতে গভীর কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রতিফলন, যা সংস্কার, ডিজিটালাইজেশন এবং লক্ষ্যভিত্তিক সরকারি নীতির দ্বারা পরিচালিত। একই সঙ্গে বেকারত্বের হার ২০১৭-১৮ সালের ৬ শতাংশ থেকে কমে মাত্র ৩.২ শতাংশে নেমে এসেছে। এটি বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

    ফিউচার অব জবস রিপোর্ট ২০২৫ (Workforce Growth)

    ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ফিউচার অব জবস রিপোর্ট ২০২৫ অনুযায়ী, আগামী বছরগুলিতে বৈশ্বিক কর্মশক্তিতে নতুন প্রবেশকারীদের মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই আসবে ভারত থেকে। ১৪০ কোটি জনসংখ্যার একটি দেশের জন্য এই সংখ্যা কেবল প্রবৃদ্ধিই নয়, স্থিতিশীলতার প্রতীকও। এটি নিশ্চিত করছে যে ভারতের তরুণ জনগোষ্ঠী জাতীয় ও বৈশ্বিক অর্থনীতির মেরুদণ্ডে পরিণত হতে পারবে। সরকার মূলত পর্যায়ক্রমিক শ্রমশক্তি সমীক্ষার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ধারা পর্যবেক্ষণ করে। এটি পরিচালনা করে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর। ২০২৫ সালের অগাস্ট মাসের তথ্য অনুযায়ী, এই সমীক্ষায় ৩.৭৭ লক্ষ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২.১৬ লক্ষ গ্রামীণ এলাকা থেকে এবং ১.৬১ লক্ষ শহরাঞ্চল থেকে।

    শ্রমশক্তি অংশগ্রহণের হার

    চলতি বছরের জুন থেকে অগাস্টের মধ্যে শ্রমশক্তি অংশগ্রহণের হার ৫৪.২ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৫ শতাংশ। আর কর্মরত জনসংখ্যার অনুপাত ৫১.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫২.২ শতাংশ হয়েছে (Workforce Growth)। দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিকোণ থেকে পরিবর্তন আরও নাটকীয়। ২০১৭–১৮ সালে শ্রমশক্তি অংশগ্রহণের হার ছিল ৪৯.৮ শতাংশ, ২০২৩–’২৪ সালে এটি বেড়ে হয়েছে ৬০.১ শতাংশ। কর্মরত জনসংখ্যার অনুপাত একই সময়ে ৪৬.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৮.২ শতাংশ (Bharat)।এই পরিসংখ্যানগুলি থেকে এটা স্পষ্ট যে, ভারতের আরও বেশি মানুষ এখন কাজের সন্ধান করছে, এবং তাদের মধ্যে আরও অনেকে সফলভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে।

    ভারতের কর্মসংস্থানের ধরন

    ভারতের কর্মসংস্থানের ধরন আজও গভীরভাবে প্রভাবিত গ্রামীণ–শহুরে বিভাজনের দ্বারা। গ্রামীণ ভারতে কৃষি খাত এখনও কর্মসংস্থানের প্রধান উৎস। এখানে পুরুষদের ৪৪.৬ শতাংশ এবং নারীদের ৭০.৯ শতাংশ কৃষিতে নিযুক্ত। যদিও ধীরে ধীরে কৃষির বাইরের কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা গ্রামীণ অর্থনীতির চেহারায় বৈচিত্র্য আনছে (Workforce Growth)। শহুরে ভারতে কর্মসংস্থানের মূলভিত্তি হল পরিষেবা খাত। এখানে পুরুষদের ৬০.৬ শতাংশ এবং মহিলাদের ৬৪.৯ শতাংশ তৃতীয় খাতে কাজ করছেন — যার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শুরু করে আতিথেয়তা পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত। ২০২৫ সালের এপ্রিল–জুন ত্রৈমাসিকে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ৫৬.৪ কোটি মানুষ কর্মরত ছিলেন। এর মধ্যে ৩৯.৭ কোটি পুরুষ এবং ১৬.৭ কোটি মহিলা।

    অর্থনৈতিক আধুনিকায়নের অন্যতম সুস্পষ্ট চিহ্ন হল আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি, যা ইপিএফও (EPFO)–এর সাবস্ক্রাইবার ডেটায় প্রতিফলিত হয়েছে (Bharat)। শুধু ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষেই ১.২৯ কোটি নতুন নেট সাবস্ক্রাইবার যুক্ত হয়েছেন, যা ২০১৮–১৯ সালের ৬১.১২ লাখের প্রায় দ্বিগুণ। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭.৭৩ কোটি নেট সাবস্ক্রাইবার যুক্ত হয়েছেন (Workforce Growth)।

  • Nadiad Case: হিন্দুদের ধর্মান্তর করতে বিদেশ থেকে অর্থ সাহায্য পেতেন মূল অভিযুক্ত স্টিভেন ম্যাকওয়ান!

    Nadiad Case: হিন্দুদের ধর্মান্তর করতে বিদেশ থেকে অর্থ সাহায্য পেতেন মূল অভিযুক্ত স্টিভেন ম্যাকওয়ান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া মোড় নিয়েছে নাডিয়াদ ধর্মান্তর (Nadiad Case) মামলা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মূল অভিযুক্ত স্টিভেন ম্যাকওয়ান ও তাঁর সহযোগীরা বিদেশ থেকে অর্থ সাহায্য পেতেন হিন্দুদের, বিশেষ করে আদিবাসী ও তফশিলি জাতির মানুষদের ধর্মান্তরিত করতে প্রলুব্ধ করতে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ধর্ম ত্যাগে রাজি হওয়া ব্যক্তিদের টাকার প্রতিশ্রুতি, বিভিন্ন বস্তু দিয়ে সাহায্য এবং ভালো জীবনের আশ্বাস দিতেন। খেদা পুলিশ এই ধর্মান্তর চক্রকে বহু রাজ্যজুড়ে বিস্তৃত একটি বড় নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যেখানে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে আর্থিক (Foreign Funding) সাহায্যের স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। তদন্তকারীদের ধারণা, অভিযুক্তরা ধর্মীয় আবেগ ও আর্থিক দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে সারা ভারতের শয়ে শয়ে মানুষকে প্রভাবিত করেছেন।

    ১.৫৭ লাখেরও বেশি ছবি এবং ভিডিও উদ্ধার (Nadiad Case)

    ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা স্টিভেন ম্যাকওয়ানের ফোন থেকে ১.৫৭ লাখেরও বেশি ছবি এবং ভিডিও উদ্ধার করেছেন। এই ফাইলগুলির অনেকগুলিতেই ধর্মান্তর অনুষ্ঠান ও বৈঠকের নথি রয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যেই আয়োজন করা হয়েছিল এই সব অনুষ্ঠান ও বৈঠকের। উদ্ধার করা ফাইলগুলি নিয়ে বর্তমানে চলছে বিস্তারিত ফরেনসিক বিশ্লেষণ। তদন্তকারীরা স্টিভেনের ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত ব্যাংক লেনদেন ও অনলাইন যোগাযোগও খতিয়ে দেখছেন। কতজন ব্যক্তিকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে এবং কী ধরনের প্রেরণা দেওয়া হয়েছে তা শনাক্ত করতে। প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত, অভিযুক্ত ব্যক্তি একাধিক ধাপে পরিকল্পিত পদ্ধতি ব্যবহার করতেন। প্রথমে ব্যক্তিগত যোগাযোগ স্থাপন, পরে আবেগীয় প্রভাব বিস্তার, এবং শেষ পর্যায়ে ধর্মান্তরণকে শান্তি ও সুখের পথ হিসেবে উপস্থাপন করতেন (Nadiad Case)।

    কোটি টাকার লেনদেন

    পুলিশি তদন্তের সময় কর্তারা স্টিভেনের অ্যাকাউন্টে ১ কোটি টাকার একটি লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন। ওই টাকা বিদেশ থেকে এসেছে বলে অনুমান। এই তথ্য প্রকাশের পর তদন্তকারীদের সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে যে বিদেশি মিশনারি সংগঠনগুলি এই নেটওয়ার্কে অর্থায়ন করেছিল। তদন্তকারীদের মতে, স্টিভেন প্রতিটি অঞ্চলের ওপর বিস্তারিতভাবে গবেষণা করতেন। এরপর শুরু করতেন টার্গেটভিত্তিক কার্যকলাপ। তিনি বিশেষ করে আদিবাসী ও দলিত পটভূমির আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারগুলিকে টার্গেট করতেন এবং তাদের ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্মান্তরণের জন্য প্রলুব্ধ করতেন (Foreign Funding)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অধিকাংশ ধর্মান্তর গোপনে সম্পন্ন করা হয়েছিল প্রার্থনা সভা বা সামাজিক অনুষ্ঠানের আড়ালে, যেখানে প্রায়ই গুজরাট ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অ্যাক্টের আওতায় নির্ধারিত আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি (Nadiad Case)।

    ধর্মান্তর সংক্রান্ত সেমিনার পরিচালনা

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, স্টিভেন গুজরাটের নাডিয়াদ, তাপি, নর্মদা, ভরুচ ও আনন্দ জেলা-সহ বিভিন্ন জেলায় ধর্মান্তর সংক্রান্ত সেমিনার পরিচালনা করেছিলেন। তবে তাঁর প্রভাব গুজরাটের বাইরেও বিস্তৃত ছিল। ধর্মান্তরিত ব্যক্তিদের মধ্যে রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং দিল্লির মানুষও রয়েছেন। তদন্তকারীদের মতে, স্টিভেনের সংস্থা রেস্টোলেশন–রিভাইভাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এই সব  কার্যকলাপের ঢাল হিসেবে কাজ করত। দাতব্য সংস্থা হিসেবে নথিভুক্ত এই ট্রাস্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অবৈধ ও অনথিভুক্ত প্রার্থনা কেন্দ্র পরিচালনা করত, যেখানে পাদ্রিরা গ্রামীণ বা আদিবাসী এলাকার মানুষকে একত্রিত করে ধীরে ধীরে তাদের ধর্মান্তরে উৎসাহিত করত।

    নেটওয়ার্কের অংশ

    ফরেনসিক দল স্টিভেন ও তাঁর নেটওয়ার্কের অংশ বলে ধারণা করা একাধিক পাদ্রির মধ্যে ডিজিটাল পেমেন্ট ও তহবিল স্থানান্তরের তথ্য থেকে জেনেছেন এই ব্যক্তিরা দুর্গম গ্রামগুলিতেও ধর্মান্তরকরণে সাহায্য করেছিলেন। সেখানে তাঁরা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণকারীদের ‘অলৌকিক ঘটনা’ ও ‘ঈশ্বরীয় আশীর্বাদের’ প্রতিশ্রুতি দিতেন (Nadiad Case)। তদন্তে রেস্টোরেশন রিভাইভাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের আর্থিক অনিয়ম স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে। আধিকারিকদের মতে, এই ট্রাস্ট অডিট সম্পন্ন করেনি। এখন চ্যারিটি কমিশনারের দফতরকে অতিরিক্ত তদারকির জন্য সতর্ক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গত তিন বছরে এই ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রায় ১.৩৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যার একটি বড় অংশ বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে এসেছে। এই অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে ধর্মীয় সভা আয়োজন, প্রচারপত্র ছাপানো এবং ধর্মান্তরিত হতে সম্মত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা দানের জন্য।

    বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন

    এই আর্থিক লেনদেনগুলি বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন (FCRA)–এর ধারাগুলি লঙ্ঘন করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান, এই মামলা এনজিও এবং অনথিভুক্ত ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত মিশনারি গোষ্ঠীগুলির একটি বৃহৎ সর্বভারতীয় নেটওয়ার্ক উন্মোচন করতে পারে। পুলিশ এই বিদেশি অর্থায়নের উৎস খুঁজে বের করতে এবং স্থানীয় সহযোগীদের শনাক্ত করতে অন্যান্য রাজ্যের ইউনিটগুলির সঙ্গে সমন্বয় করছে (Foreign Funding)।
    খেদা জেলার এক সিনিয়র পুলিশ কর্তা জানান, “এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই অভিযানটি সুপরিকল্পিত, পর্যাপ্ত অর্থায়িত এবং দাতব্য কাজের ছদ্মবেশে দুর্বল গোষ্ঠীগুলিকে পদ্ধতিগতভাবে ধর্মান্তর করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত (Nadiad Case)।”

  • Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখে নিন এই সপ্তাহের ছবিটা

    Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখে নিন এই সপ্তাহের ছবিটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের (Hindus Under Attack) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিশ্বের বহু অঞ্চলে এই নির্যাতন ক্রমেই এক গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। গত কয়েক দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির প্রকৃত ব্যাপ্তি ও গভীরতাকে উপেক্ষা করে এসেছে, যার নেপথ্যে রয়েছে এক উদ্বেগজনক হিন্দুবিদ্বেষ। হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, উৎসবে হামলা, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, ঘৃণাসূচক ভাষণ, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত, হিন্দুরা আজ তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান (Roundup Week) আক্রমণ ও নজিরবিহীন হিন্দুবিদ্বেষের মুখোমুখি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের ঘটনা প্রবাহ।

    ভারতের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। কানপুরে শুরু হওয়া একটি ছোট্ট স্থানীয় বিবাদ দ্রুত আকার নেয় হিংসার। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গুজরাট এবং অন্যান্য রাজ্যেও। চরমপন্থী ইসলামপন্থী সংগঠনগুলি ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ স্লোগান ব্যবহার করে ইসলামপন্থী জনতাকে সংগঠিত করে। এর জেরে শুরু হয় পাথর ছোড়া, দাঙ্গা এবং পুলিশের প্রতি প্রকাশ্য হুমকি। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের বদলে বিভিন্ন শহরে আয়োজিত মিছিলগুলি থেকে চরমপন্থী স্লোগান দেওয়া হতে থাকে। এর মধ্যে ছিল “সার তান সে জুদা” (মাথা ধড় থেকে আলাদা করে দেওয়া) স্লোগানও।

    অবৈধ ধর্মান্তরণের অভিযোগ

    অবৈধ ধর্মান্তরণের অভিযোগে লখনউয়ের নিগোহান থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে মলখান নামের (বর্তমানে ম্যাথিউ নামে পরিচিত) এক ব্যক্তিকে। অভিযোগ, সে গত দু’বছরে বকতৌরি খেদা গ্রামে ৫০ জনেরও বেশি হিন্দুকে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করতে অভিযান চালিয়েছিল। বিশেষত তফশিলি জাতিভুক্ত দরিদ্র পরিবারগুলিকে টার্গেট করে ‘অলৌকিক আরোগ্য’ ও আর্থিক প্রলোভনের মাধ্যমে তাদের হিন্দুধর্ম ছেড়ে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হতে প্রলুব্ধ করত। ভারতের বিচারব্যবস্থা বারবার কাশ্মীরি হিন্দুদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ওই সম্প্রদায়ের জন্য ন্যায্য সুবিধা চেয়ে করা একটি আবেদনও খারিজ করেছে। অথচ মুসলিম জঙ্গিদের জন্য মধ্যরাতেও খুলে দেওয়া হয়েছে আদালতের দরজা। ভারতের রাজধানীর কেন্দ্রে অবস্থিত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ফের খবরের শিরোনামে। এবিভিপির নেতৃত্বে আয়োজিত দুর্গা পুজোর প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ছোড়া হল পাথর, সবরমতী টি-পয়েন্টের কাছে। হামলাকারীদের (Hindus Under Attack) হাত থেকে রেহাই (Roundup Week) পাননি মহিলারাও।

    পোড়ানো হল রামের কুশপুতুল!

    কয়েক দিন আগে, ঐন্তম তামিলার সঙ্গম নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা ভগবান শ্রী রামের কুশপুতুল পুড়িয়ে ফেলার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিরুচিরাপল্লি জেলা পুলিশ ওই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে। মধ্যপ্রদেশের ধার জেলার আমঝেরা এলাকায় লাভ জিহাদের ঘটনা ঘটেছে। হিন্দু তরুণীকে যৌন নিপীড়ন ও ধর্মান্তরের শিকার হতে হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার দেওবন্দের বাসিন্দা আমির শেখ নিজেকে অনিল পরিচয় দিয়ে আমঝেরার ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে তাঁকে নিয়ে পালায়। এর পরেই শুরু হয় যৌন নির্যাতন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণে চাপও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই তরুণী ধর্ম পরিবর্তন করতে অস্বীকার করলে ব্যাপক অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ।

    বাংলাদেশের ছবিটা

    এবার চোখ ফেরানো যাক বাংলাদেশের দিকে। সেখানেও অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বরকতের এক গবেষণা অনুযায়ী, প্রাতিষ্ঠানিক ও পদ্ধতিগত নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনও হিন্দু থাকবে না। মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল, মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গণআক্রমণ, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, এবং ঘৃণাসূচক বক্তৃতা – এসবই হিন্দুদের ভয় দেখানো ও দেশছাড়া করার (Hindus Under Attack) হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে ভয়াবহ আকার ধারণ করে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। পরে সেই বিক্ষোভ রূপ নেয় প্রাণঘাতী হিংসার। মারমা ছাত্র পরিষদের সভাপতি উয়াফ্রে মারমা জানান, রামসু বাজারের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তিনি এই হামলার জন্য দায়ী করেছেন স্থানীয় মুসলমানদের। পাতাশি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্রকে মেরে তাঁর পা ভেঙে দেয় একদল দুষ্কৃতী। স্থানীয় সূত্রে খবর, হামলার আগে বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান খান তাঁকে ফোন করে হুমকি দিয়েছিলেন।

    তাকানো যাক আমেরিকার দিকেও

    বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও চলছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার (Hindus Under Attack)। আমেরিকার টেক্সাসের সুগার ল্যান্ডে বিশাল হনুমান মূর্তি স্থাপনের পর থেকে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। প্রকাশ্যে এসেছে হিন্দু-বিদ্বেষের ছবি। নিউ ইয়র্কে আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় (Roundup Week) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির ডেপুটি আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মহম্মদ তাহের বলেন, “আমাদের অন্তত পঞ্চাশ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করবে (Hindus Under Attack)।”

  • Darjeeling News: রাতভর বৃষ্টিতে দার্জিলিঙে ভয়াবহ ধস, মৃত অন্তত ১৭; মিরিকে ভাঙল সেতু

    Darjeeling News: রাতভর বৃষ্টিতে দার্জিলিঙে ভয়াবহ ধস, মৃত অন্তত ১৭; মিরিকে ভাঙল সেতু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে ফের প্রকৃতির তাণ্ডব (Darjeeling News)! টানা বৃষ্টিতে পাহাড়জুড়ে নেমে এসেছে ভয়াবহ বিপর্যয়। একের পর এক ধসে বিধ্বস্ত গোটা দার্জিলিং জেলা। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সিকিম। প্রশাসনের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মিরিকে ভেঙে পড়েছে একটি লোহার সেতু। জেলা প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। ধসের জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়েছে। পাহাড় এখন কার্যত বিপর্যস্ত অবস্থায়।আবহাওয়া দফতর আগেই সতর্ক করেছিল পাহাড় ও সমতল মিলিয়ে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই মতোই শুক্রবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গে শুরু হয় প্রবল বর্ষণ। দার্জিলিং জেলা (Darjeeling News) প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, মিরিকে (Heavy Rain) লোহার সেতু ভেঙে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সুখিয়ায় ধসের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরও চারজন। একাধিক জায়গায় এখনও ধস চলছে, এবং ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে, সিকিমের বহু জায়গায় পর্যটকরা আটকে পড়েছেন।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিবৃতি

    কার্শিয়াংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় বলেন, “মিরিকের ধস থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এর আগে ভোরে আরও দুটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সুখিয়াতেও চারজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আবহাওয়ার প্রতিকূলতার কারণে উদ্ধারকাজে অসুবিধা হচ্ছে, তবে দুপুরের দিকে বৃষ্টি কমায় উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। শিলিগুড়ি-দার্জিলিং (Darjeeling News) রোহিণী রোড এবং দিলারাম সংলগ্ন সড়ক ধসে বন্ধ হয়ে আছে। মিরিকের ধস অত্যন্ত ভয়াবহ, সেখানেও উদ্ধারকাজ চলছে।”

    মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে

    প্রশাসনের আশঙ্কা, পাহাড়ে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে (Heavy Rain) । জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অনিত থাপা জানিয়েছেন, “বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বিপদে পড়া মানুষদের সাহায্যের জন্য পঞ্চায়েত সদস্য, জিটিএ আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড়জুড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে। শিশু ও মহিলাদের নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মিরিকের বিডিও, এসডিও, পুরসভা-সহ স্থানীয় প্রশাসন মাঠে নেমে কাজ করছে।”

    বাড়ছে তিস্তার জলস্তর

    শনিবার রাতেই সেবকের কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তার পর টানা বৃষ্টির কারণে একাধিক জায়গায় ধস নামায় রাস্তা পুরোপুরি অচল হয়ে যায়। দুধিয়ায় লোহার সেতু ভেঙে পড়ায় শিলিগুড়ি-মিরিকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পাশাপাশি দিলারামের কাছে ধসে বন্ধ রোহিণী রোডও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। পুলবাজার সেতুরও ক্ষতি হয়েছে, ফলে বিজনবাড়ি ও আশপাশের এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। অবিরাম বৃষ্টিপাতে বারবার ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। তিস্তার জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান বিপর্যয়ের (Darjeeling News) প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে— টাইগার হিল, রক গার্ডেনসহ দার্জিলিংয়ের সব পর্যটনকেন্দ্র আপাতত বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত পর্যটকদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

  • PM Modi: “ট্রাম্প বলছেন বিদেশিরা ফিরে যাও, মোদি বলছেন ঘরে এসো”, মার্কিন নাগরিকের মুখে মোদি-স্তুতি

    PM Modi: “ট্রাম্প বলছেন বিদেশিরা ফিরে যাও, মোদি বলছেন ঘরে এসো”, মার্কিন নাগরিকের মুখে মোদি-স্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ট্রাম্প বলছেন বিদেশিরা ফিরে গিয়ে পাথর ভাঙুক, আর মোদি (PM Modi) বলছেন, ঘরে ফিরে এসো ভাইরা।” ঠিক এই ভাষাতেই ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুণ্ডপাত করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Indian Visa) প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বেঙ্গালুরুবাসী এক মার্কিন নাগরিক। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি গর্বের সঙ্গে তাঁর ৫ বছরের ভারতীয় ভিসার ছবি প্রদর্শন করেছেন। সেখানেই তিনি মোদির প্রশংসা করতে গিয়ে খোঁচা দিয়েছেন ট্রাম্পকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি পরিচিত টনি ক্লোর নামে। যদিও তাঁর আসল নাম ক্লোর অ্যান্থনি লুইস।

    মার্কিন নাগরিকের মোদি-স্তুতি (PM Modi)

    তিনি লিখেছেন, “এটা এখন আনুষ্ঠানিক! ভারত বিদেশি ব্লকচেইন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নির্মাতাদের জন্য নিজেদের দরজা খুলে দিচ্ছে। আমি সদ্য ৫ বছরের একটি মোটা ভারতীয় ভিসা পেয়ে গিয়েছি।”  এর পরেই তিনি লেখেন, “ট্রাম্প বলেন বিদেশিরা ফিরে গিয়ে পাথর ভাঙুক, আর মোদি বলেন, ঘরে ফিরে এস ভাইরা।” তিনি তাঁর পোস্টটি শেষ করেন তাঁর ভিসার একটি ছবি দিয়ে। এতে প্রথমে তাঁর ছবি, তারপর নাম দেখানো হয়েছে। চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বরে ইস্যু করা বি-১ ভিসার মেয়াদ বৈধ ২০৩০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এছাড়াও এতে উল্লেখ রয়েছে যে, ভারতে তাঁর একটানা থাকা  ১৮০ দিনের বেশি হতে পারবে না।

    নেটিজেনদের বক্তব্য

    এক মার্কিন নাগরিকের এহেন মোদি-স্তুতিতে খুশি নেটিজেনরা। একজন মজার ছলে লিখেছেন, “অবশেষে, অভিনন্দন—এই প্রথমবার আমি একটি ‘ইন্ডিয়ান ভিসা ফ্লেক্স’ দেখলাম।” আর একজন মন্তব্য করেছেন, “ভারতে স্বাগতম।” অন্য একজন লিখেছেন, “ভারত (PM Modi) জানে যে ভবিষ্যৎ গড়ে উঠছে ব্লকচেইন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে। এই ধরনের ৫ বছরের ভিসা একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়, যেখানে অন্য দেশগুলি প্রতিভাবান মানুষদের দূরে ঠেলছে, সেখানে ভারত বলছে ‘এস, আমাদের সঙ্গে এসে দেশ গড়ে তোলো’। টনি, ভারতে স্বাগতম।” আরও এক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার লিখেছেন, “ধুর, আমি জানতামই না যে ভারতীয় ভিসা পাওয়া একটা ‘ফ্লেক্স’ অর্থাৎ গর্বের বিষয়।”

    প্রসঙ্গত, বিদেশিদের বি-১ ভিসা (Indian Visa) দিচ্ছে ভারত। ভারতীয় দূতাবাসের সরকারি ওয়েবসাইট অনুযায়ী,  “যাঁরা ভারতে কোনও শিল্প বা ব্যবসা করতে চান বা এর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে চান, অথবা শিল্পজাত পণ্য, বাণিজ্যিক পণ্য বা ভোক্তা সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করতে চান, তাঁদের জন্য এই ভিসা প্রযোজ্য (PM Modi)।”

  • Rajasthan Cough Syrup Case: রাজস্থানে কফ সিরাপ খেয়ে শিশুর মৃত্যু, সাসপেন্ড ড্রাগ কন্ট্রোলার

    Rajasthan Cough Syrup Case: রাজস্থানে কফ সিরাপ খেয়ে শিশুর মৃত্যু, সাসপেন্ড ড্রাগ কন্ট্রোলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি বেসরকারি সংস্থার তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে একাধিক শিশুর মৃত্যু ও অসুস্থতার ঘটনা সামনে এল রাজস্থানে। এই ঘটনাগুলি রাজস্থান (Rajasthan Cough Syrup Case) সরকারকে তৎপর করে তুললেও, দৈনিক ভাস্করের এক এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদনে চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।

    ‘নকল ওষুধে’র সংজ্ঞা বদল (Rajasthan Cough Syrup Case)

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরখাস্ত হওয়া ড্রাগ কন্ট্রোলার (Drug Controller) রাজারাম শর্মা সরকারি নথিতে ‘নকল ওষুধ’-এর সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছেন। রাজ্যের কিছু ফার্মা কোম্পানির সুবিধা করে দিতেই তিনি এটা করেছেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, রাজস্থান সরকার রাজারাম শর্মাকে বরখাস্ত করেছে এবং কেসন ফার্মার সরবরাহ করা ১৯টি ওষুধ বিলিবন্দেজ করা স্থগিত করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, রাজারাম শর্মার হস্তক্ষেপের কারণে ওষুধের উপাদানের মানদণ্ড কমিয়ে আনা হয়েছিল, যা ওষুধের গুণমানের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।

    নকল ওষুধের তথ্য

    জানা গিয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে ওষুধ বিভাগ যে নকল ওষুধের তথ্য ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA)-এর নির্দেশে লোকসভায় পাঠিয়েছিল এবং পরে নীতি আয়োগে পাঠিয়েছিল, তাতে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও সংখ্যাগত গরমিল ছিল। রাজস্থান বিধানসভার জন্য তৈরি আর একটি প্রতিবেদনে আবারও একই ধরনের সংখ্যা ও তথ্যের গরমিল ধরা পড়ে। প্রসঙ্গত, রাজস্থানের (Rajasthan Cough Syrup Case) ফুড সেফটি অ্যান্ড ড্রাগ কন্ট্রোল কমিশনারেট ১৯ সেপ্টেম্বর একটি বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ড্রাগ কন্ট্রোলার (প্রথম ও দ্বিতীয়), ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির ডেপুটি ডিরেক্টর এবং বিভাগের একজন জুনিয়র লিগ্যাল অফিসার। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বৈঠকে প্রকাশ পেয়েছে যে ড্রাগ কন্ট্রোলার (দ্বিতীয়) রাজারাম শর্মা ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট, ১৯৪০-এ নির্ধারিত মানদণ্ডের বিরোধিতা করে নিজের মতো করে নকল ওষুধের সংজ্ঞা যোগ করেছিলেন। ভাস্কর জানিয়েছে, তাদের কাছে ওই বৈঠকের মিনিট-টু-মিনিট বিবরণী রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এর আগে রাজস্থানে তিনটি শিশু কাশির সিরাপের বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছে (Drug Controller)। আরও দু’জনের অবস্থাও সংকটজনক। মধ্যপ্রদেশে মারা গিয়েছে ৯ জন শিশু। তাই গোটা দেশেই কাশির সিরাপের গুণগত মান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (Rajasthan Cough Syrup Case)।

  • Kashmir: চেনা ছন্দে ফিরল ভূস্বর্গ, দশেরায় মাতল শ্রীনগর

    Kashmir: চেনা ছন্দে ফিরল ভূস্বর্গ, দশেরায় মাতল শ্রীনগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দশকেরও বেশি সময় পরে ফের ঘটা করে দশেরা উৎসব পালিত হল জম্মু-কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে (Kashmir)। আবারও প্রাণ ফিরে পেল ভূস্বর্গ। গত ২ অক্টোবর হাজার হাজার কাশ্মীরি হিন্দু এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও উৎসব (Grand Dussehra) পালন করতে জড়ো হয়েছিলেন শের-ই-কাশ্মীর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা একটি অঞ্চলে এটি ছিল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক ঐতিহাসিক পুনর্জাগরণ।

    গর্বের দশেরা (Kashmir)

    এদিনের উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল রাবণ, কুম্ভকর্ণ ও মেঘনাদের বিশাল মূর্তি পোড়ানো। স্টেডিয়ামের অনুশীলন মাঠে রাখা অতিকায় প্রতিমাগুলি আগুনের করাল গ্রাসে চলে গেলে ৫ হাজারেরও বেশি দর্শক করতালিতে ফেটে পড়েন। সঙ্গে ছিল ঐতিহ্যবাহী সংগীত, পটকা ফাটানো ও মিষ্টি বিতরণ। দশেরার এই উৎসব ছিল সামাজিক সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক গর্বের এক বিরল মুহূর্ত। এবারের এই উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরাও। পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেত্রী ইলতিজা মুফতিও উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন (Kashmir)।

    কাশ্মীরি হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি

    অনুষ্ঠানের আয়োজক কাশ্মীরি হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি। তারা স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে ইন্দিরা নগরের একটি মন্দির থেকে ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা বের হয়, ঠিক ৩৩টি বছর আগেও যেমনটি হত।কাশ্মীরি হিন্দু রাহুল মাত্তু বলেন, “কাশ্মীরে দশেরা আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষদের একত্রিত করে। এটি আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।” স্থানীয় বাসিন্দারাও একই কথা বলেন। তাঁরা উৎসবটির ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, “এটি আমাদের যৌথ ঐতিহ্যকে দৃঢ় করে, আশার সঞ্চার করে।” ক্ষীরভবানীর এক বাসিন্দা বলেন, “দশেরা উদযাপন আমাদের শেকড় ও যৌথ ঐতিহ্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি আশা ও একতার এক বিশেষ মুহূর্ত।”

    উৎসবের সমাপ্তি হয় এক মনোমুগ্ধকর আতশবাজির প্রদর্শনীর মাধ্যমে। এটি শ্রীনগরের আকাশকে রঙিন করে (Grand Dussehra) তোলে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছিল প্রশাসন (Kashmir)।

LinkedIn
Share