Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Census 2027: জাতীয় জনগণনার ঢাকে পড়ল কাঠি, দুই ধাপে হবে প্রক্রিয়া, দিন ঘোষণা কেন্দ্রের

    Census 2027: জাতীয় জনগণনার ঢাকে পড়ল কাঠি, দুই ধাপে হবে প্রক্রিয়া, দিন ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে ১৬তম জাতীয় জনগণনা। সরকারি নির্দেশিকা জারি করল ১৬ জুন। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ঘোষণা করেছে যে, জনসংখ্যা গণনা দুটি ধাপে যথাক্রমে ১ অক্টোবর, ২০২৬ এবং ১ মার্চ, ২০২৭ তারিখে পরিচালিত হবে। প্রথম ধাপে, যা গৃহতালিকাকরণ অভিযান (HLO) নামেও পরিচিত, সেখানে সম্পদ, পারিবারিক আয়, আবাসন পরিস্থিতি এবং সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রথমবার, উত্তরদাতারা বাড়ি থেকে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন, কারণ আসন্ন আদমশুমারি হবে ভারতের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি। দ্বিতীয় ধাপ, যা জনসংখ্যা গণনা (PE) নামেও পরিচিত, তাতে পরিবারে বসবাসকারী প্রতিটি ব্যক্তির সম্পর্কে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক, আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করবে।

    এর আগে রবিবার দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জনগণনার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত (Digital Headcount) ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং ভারতের জনগণনা কমিশনার-সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, সোমবার সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শুরু হবে জনগণনা প্রক্রিয়া। স্বাধীন ভারতের এই অষ্টম এবং দেশের ১৬তম জনগণনা একাধিক কারণে ঐতিহাসিক। এই প্রথমবার জনগণনার আওতায় আনা হবে জাতি অনুসারে তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াও। ২০২৭ সালে যে এই জনগণনা (Census 2027) হবে, তা হবে দেশের সম্পূর্ণ ডিজিটাল এবং কাগজবিহীন জনগণনা।

    কী বললেন শাহ (Census 2027)

    এদিনের বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ১৬ জুন জনগণনা ২০২৭-এর জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের ১৬তম জনগণনা এবং স্বাধীনতার পর ৮ম জনগণনা হিসেবে শুরু হবে। এই জনগণনাকে ঐতিহাসিক করে তুলেছে একটি বিশেষ দিক—প্রথমবারের মতো এতে জাতিভিত্তিক গণনা অন্তর্ভুক্ত করা হবে, এবং চূড়ান্ত তথ্য প্রকাশ করা হবে মাত্র ৯ মাসের মধ্যে। এটি একটি বড় অগ্রগতি। শাহ বলেন, “আমি ১৬তম জনগণনার প্রস্তুতি নিয়ে প্রবীণ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আগামিকাল গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এই প্রথমবার জাতিভিত্তিক গণনাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রায় ৩৪ লাখ গণনাকারী ও তদারকি কর্তা এবং প্রায় ১.৩ লাখ জনগণনা কর্মী অত্যাধুনিক মোবাইল ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করে এই কাজ পরিচালনা করবেন।” তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, পুরো প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরে তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে সংরক্ষণ পর্যন্ত কঠোর তথ্য নিরাপত্তা বিধি মেনে চলা হবে।

    কোভিড-১৯ অতিমারি

    এই গণনা হবে প্রথম আদমশুমারি যা কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে ২০২০ সালে স্থগিত হয়েছিল। নতুন আদমশুমারির রেফারেন্স তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ মার্চ, ২০২৭, যা অতিমারি-উত্তর সময়ে দেশের জনসংখ্যার একটি প্রাসঙ্গিক চিত্র দেবে। ২০২৭ সালের জনগণনা দুটি প্রধান ধাপে পরিচালিত হবে। প্রথম ধাপটি হল, হাউসলিস্টিং অপারেশন। এটি শুরু হবে ২০২৬ সালে। এই পর্যায়ে ভারতের শহর ও গ্রামাঞ্চলের ঘরবাড়ির অবস্থা, সুযোগ-সুবিধা এবং গৃহস্থালির সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপটি হল জনসংখ্যা গণনা (Digital Headcount)এটি হবে ২০২৭ (Census 2027) সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এই ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যেমন নাম, বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষা, ভাষা, বৈবাহিক অবস্থা, পেশা এবং জাতি সম্পর্কিত তথ্যও।

    দ্রুত তথ্য সংগ্রহ

    এই দুই ধাপের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে যাতে গৃহ-ভিত্তিক ভৌত পরিকাঠামো ও সেই ঘরে বসবাসকারী মানুষের বিষয়ে বিস্তারিত ও স্তরভিত্তিক তথ্য মেলে। ৩৫ লাখেরও বেশি কর্মীর সহায়তায় এটি হবে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মানব-নির্ভর তথ্য সংগ্রহ কর্মসূচি। তবে এটি হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল রূপে। জানা গিয়েছে, জনগণনা ২০২৭-এ ব্যবহার করা হবে না প্রচলিত কাগজের ফর্ম ও ক্লিপবোর্ড। এবার গণনাকারীরা ব্যবহার করবেন বিশেষভাবে ডিজাইন করা মোবাইল অ্যাপ, যা ইংরেজি, হিন্দি সহ মোট ১৬টি ভারতীয় ভাষায় মিলবে। এর ফলে দেশের প্রতিটি অংশ — হিমালয়ের কোলের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উপকূলবর্তী শহর পর্যন্ত — সরাসরি ও দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করা যাবে।

    জনগণনার অ্যাপ

    ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার, নাগরিকরাও নিজেদের তথ্য নিজেরাই অ্যাপের মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন, যা এই প্রক্রিয়ায় এক অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ ও স্বায়ত্তশাসনের সুযোগ এনে দেবে। এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “ভারতের ইতিহাসে এটিই হবে সবচেয়ে আধুনিক ও নির্ভুল জনগণনা (Census 2027)।” জনগণনার এই অ্যাপে থাকবে একাধিক স্মার্ট ফিচার। এগুলি হল, অধিকাংশ প্রশ্নের জন্য প্রাক-কোডেড ড্রপডাউন মেনু, যা বিভ্রান্তি ও তথ্য নথিভুক্ত করার ভুল কমাবে। ইনটেলিজেন্ট ক্যারেক্টার রিকগনিশন, যা যে কোনও হাতে লেখা তথ্যকে ডিজিটাল রূপে রূপান্তর করতে পারবে। কোড ডিরেক্টরি দেবে বর্ণনামূলক উত্তরের জন্য একক বিকল্প। এতে দেশের অঞ্চল ও ভাষাভিত্তিক মান বজায় থাকবে। এই ডিজিটাল রূপান্তর পূর্ববর্তী জনগণনাগুলির একটি বড় প্রতিবন্ধকতা দূর করবে। আগে লাখ লাখ কাগজের ফর্ম ম্যানুয়ালি স্থানান্তর করা হত। পরে তাকে স্ক্যান করতে হত। এসব কারণে ফল প্রকাশে দেরি হত, বাড়ত ভুলের ঝুঁকিও (Digital Headcount)।

    রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ

    ভারতীয় জাতীয় জনগণনার ইতিহাসে ২০২৭ সালের জনগণনা সম্ভবত সবচেয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে নয়া সংযোজন হল জাতিভিত্তিক গণনা। এবারই প্রথম জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত জাতিগত তথ্য রেকর্ড করা হবে। দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি করেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। জাতিগত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে যাতে সংরক্ষণ নীতি ও কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি আরও ভালোভাবে কার্যকর করা যায়, তাই এই ব্যবস্থা (Census 2027)। এই অন্তর্ভুক্তির ফলে দেশজুড়ে প্রতিনিধিত্ব, সম্পদের বণ্টন এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হতে পারে। যে আলোচনা এতদিন হয়নি নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাবে।

    গোপনীয়তার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে

    প্রসঙ্গত, ১৮৮১ সাল থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ জমানায় জাতগণনা জনগণনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ছিল। তবে ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম জনগণনার সময় তৎকালীন জওহরলাল নেহরুর সরকার এই প্রথা বন্ধ করে দেয়। সাধারণ জনগণনায় তফশিলি জাতি, উপজাতি মানুষের নানা তথ্য উঠে আসে। তবে ওবিসির বিষয়টি সাধারণ জনগণনায় থাকে না। তাই গত কয়েক বছর ধরে ক্রমেই জোরালো হচ্ছিল জাত গণনার দাবি (Digital Headcount)। যেহেতু এবার আগের চেয়ে ঢের বেশি পরিমাণে ব্যক্তিগত তথ্য, বিশেষ করে সংবেদনশীল তথ্য যেমন জাতিগত পরিচয় ডিজিটালভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে, তাই সরকার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তথ্য আদান-প্রদানের সময় সম্পূর্ণ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, কঠোর প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপদ সংরক্ষণ এ সব একাধিক স্তরের ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখা হবে নাগরিকদের তথ্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গোপনীয়তার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে এবং তথ্য শুধুমাত্র পরিসংখ্যানগত উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হবে (Census 2027)।”

    বিশ্বব্যাপী মানদণ্ডে পরিণত হতে পারে

    ভারতের আসন্ন জনগণনা শুধুমাত্র একটি জাতীয় ঘটনা নয়, এটি একটি বিশ্বব্যাপী মানদণ্ডে পরিণত হতে পারে। এটি যদি সফলভাবে বাস্তবায়িত করা যায়, তবে এটি হবে যে কোনও গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ ডিজিটাল গণনার চেষ্টা, যেখানে থাকবে গতি, নির্ভুলতা, অন্তর্ভুক্তি এবং নাগরিক ক্ষমতায়নের এক অনন্য সমন্বয়। এই বিশাল কর্মসূচি অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি মডেল হয়ে উঠতে পারে। শাহ বলেছিলেন, “আসন্ন জনগণনা হবে ঐতিহাসিক। শুধু কি গণনা করা হচ্ছে সেই জন্য নয়, বরং কীভাবে তা করা হচ্ছে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যই তুলে ধরে জনগণনা ২০২৭-এর মূল ভাবনা – এটি শুধুই সংখ্যার হিসেব নয়, বরং ভারতের বিস্তৃত উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রতিফলন।

    প্রসঙ্গত, ২০২৭ সালে যে জনগণনা হবে, তা হবে মোদি জমানার প্রথম জনগণনা। ওই বছরেরই ১ মার্চ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয় এই কর্মসূচি (Digital Headcount)। যদিও জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং লাদাখের বেশ কিছু অংশে বছরের সেই সময় তুষারাবৃত থাকায় ২০২৬ সালের অক্টোবর থেকেই ওই অংশে শুরু হয়ে যাবে জনগণনার কাজ (Census 2027)।

  • Indus River: পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানায় ব্যবহার হবে সিন্ধুর জল! ১১৩ কিমি খাল তৈরি করবে কেন্দ্র

    Indus River: পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানায় ব্যবহার হবে সিন্ধুর জল! ১১৩ কিমি খাল তৈরি করবে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পরেই সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে ভারত সরকার। এর পরেই এই নদীর জলকে (Indus River) কীভাবে দেশের কাজে আরও বেশি করে লাগানো যায়, সে পরিকল্পনাই করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে এনিয়ে একাধিক পদক্ষেপও গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে দিল্লিকে। এই আবহে আরও এক পরিকল্পনার কথা সামনে এসেছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে সিন্ধু নদের জলকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে চাইছে ভারত সরকার। এজন্য ১১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খাল তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে। এ নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এই খালটি চেনাব নদীকে সিন্ধুর অন্যান্য উপনদীর সঙ্গে যুক্ত করবে।

    কী বলছেন অমিত শাহ?

    এই প্রকল্পের (Indus River) লক্ষ্য হল সিন্ধুর জলকেব্যাপকভাবে কাজে লাগানো এবং পাকিস্তানে অতিরিক্ত জলপ্রবাহ রোধ করা। শনিবারই রাজস্থানে বিজেপির একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি এই পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে এই খালের মাধ্যমে রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে সিন্ধুর জল নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান সিন্ধুর প্রতিটি বিন্দু জলের জন্য আকুলভাবে প্রার্থনা করবে।

    অন্যান্য ১৩টি খালের সঙ্গে যুক্ত করা হবে (Indus River)

    প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এই প্রস্তাবিত খাল জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থান জুড়ে বিস্তৃত অন্যান্য ১৩টি খালের সঙ্গে যুক্ত হবে। মনোহর পারিক্কর ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিস-এর একজন সিনিয়র ফেলো উত্তম সিনহা এই বিষয়ে বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনশীলতা এবং পরিবর্তিত বৃষ্টিপাতের ধরন মোকাবিলায় এই খাল কার্যকরী হবে। একইসঙ্গে ওই বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) এমন উদ্যোগের ফলে আঞ্চলিক যে বৈষম্যতা তাও দূর হবে। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার রণবীর খালের দৈর্ঘ্য ৬০ কিলোমিটার থেকে ১২০ কিলোমিটার (Indus River) করার কথাও ভাবনা-চিন্তা করছে।

  • Air India Plane Crash: মিলল এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্ত বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স, কেন ঘটল দুর্ঘটনা?

    Air India Plane Crash: মিলল এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্ত বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স, কেন ঘটল দুর্ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ঘটনার তিন দিন পর হদিশ মিলল আমেদাবাদে ভেঙে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের (Air India Plane Crash) দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সের। রবিবার সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে এই তথ্যটি জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ‘ককপিট ভয়েস রেকর্ডার’ (সিভিআর) ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার যে হস্টেলের ছাদে বিমানটি আছড়ে পড়েছিল, সেখান থেকে প্রথম ব্ল্যাক বক্স, অর্থাৎ ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর) উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার খোঁজ মিলল দ্বিতীয়টির। দুই ব্ল্যাক বক্স এবার আমেদাবাদের তদন্তে গতি আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ককপিট ভয়েস রেকর্ডার পাওয়ায় তদন্তে সুবিধা

    রবিবার, আমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান (Air India Plane Crash) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান সচিব পিকে মিশ্র। রবিবার, ওই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা ছাড়াও আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। তাঁর কাছেই ওই দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে আধিকারিকদের তরফে। ককপিট ভয়েস রেকর্ডারটি পাওয়ার পর তদন্তে সুবিধা হবে, বলে মনে করা হচ্ছে। কী কারণে সেদিন ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল তার সম্ভাব্য কারণ জানতে সাহায্য করবে এই দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি। ইতিমধ্যে বিমানের ‘ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার’ বা প্রথম ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১২ জুন বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডন গ্যাটউইকের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১। বোয়িং সংস্থার এই ড্রিমলাইনার বিমানে এর আগে বড়সড় দুর্ঘটনা হয়নি। কিন্তু সে দিন রানওয়ে ছাড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সামনের বিল্ডিংয়ে ধাক্কা খেয়ে বিমানটি ভেঙে পড়ে। মুহূর্তে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চারপাশ। বিমানে আগুন ধরে যায়।

    কেন গুরুত্বপূর্ণ ‘ব্ল‍্যাক বক্স’?

    বিমান দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) তদন্তে সব প্লেনেই দু’রকমের ব্ল‍্যাক বক্স রাখা থাকে। এটাই নিয়ম। একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)। অপরটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। সিভিআর থাকে বিমানের সাংনের অংশে। অন্যদিকে, এফডিআর থাকে বিমানের শেষের অংশে। যে কারণে, দুর্ঘটনার দিন যে মেডিক্যাল হস্টেলের ছাদে ধাক্কা লেগে বিমানের লেজের অংশ ভেঙে আটকে গিয়েছিল, সেই ছাদ থেকেই এফডিআরটি উদ্ধার হয়। কোনও দুর্ঘটনা হলে এই দুই রেকর্ডিং থেকে কী ঘটেছিল সেটার একটা ছবি ভেসে ওঠে তদন্তকারীদের সামনে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ড থেকে পাওয়া যায় অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের হিসেব, কোনদিকে যাচ্ছিল বিমান, কত স্পিড ছিল এমন মোট ৮০ রকমের তথ্য পাওয়া যায়। বিমানের ককপিটের কথাবার্তা রেকর্ড করা রয়েছে ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে। প্রথমে মেটালিক স্ট্রিপে রেকর্ড হত বিমানের ভিতরের সব ঘটনা। যাতে জলে কিংবা আগুনের গ্রাসে পড়লেও নষ্ট না হয় তথ্য। পরবর্তীতে উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাগনেটিক ড্রাইভ এবং মেমরি চিপ রাখা হয় ব্ল‍্যাক বক্সে।

    দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স থেকে বিশদ তথ্য

    দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) তদন্ত করছে এয়ারক্র্যাফ্‌ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) এবং এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই)। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিবের সঙ্গে তাদের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে। কেন্দ্রীয় সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক আমেদাবাদের দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। তিন মাসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ার আগে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন পাইলট। পাঠিয়েছিলেন বিপদবার্তা (মেডে কল)। কিন্তু তার পর আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। মুহূর্তের মধ্যে বিমানটি ভেঙে পড়ে। একটি অডিয়োয় পাইলটকে বলতে শোনা গিয়েছে, থ্রাস্ট পাওয়া যাচ্ছে না। বিমান ক্রমশ নীচের দিকে নামছে। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স থেকে এই সংক্রান্ত আরও বিশদ তথ্য পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি কী অবস্থায় মিলেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, প্রাথমিকভাবে দু-টি রেকর্ডারই কার্যত অক্ষত রয়েছে, বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। দেশেই ব্ল্যাকবক্সের ডেটা ডি-কোডিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

    বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে সক্রিয় কেন্দ্রীয় ও গুজরাট সরকার 

    এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেটিগেশন ব্যুরো এবং এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সার্কিট হাউসে হওয়া ওই উচ্চ-পর্যায়ের পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান সচিব পিকে মিশ্র কেন্দ্রীয় এবং গুজরাট রাজ্য সরকার, এএআইবি এবং ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে তদন্ত প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানেই তাঁকে ওই ফ্লাইটের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR) এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR) দু’টিই পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই বিমান দুর্ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেটিগেশন ব্যুরো। আন্তর্জাতিক প্রোটোকল মেনে সমান্তরালভাবে তদন্ত করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্র্যান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড-ও।

  • Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মই হল ভারতবর্ষের আত্মা, শুধু পুজো পদ্ধতি নয়, ধর্মের সংজ্ঞা আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত

    Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মই হল ভারতবর্ষের আত্মা, শুধু পুজো পদ্ধতি নয়, ধর্মের সংজ্ঞা আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ম হল ভারতের (Bharat) আত্মা। ধর্ম শাশ্বত, নৈতিকতা এবং আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের প্রতীক। এটি কোনও নির্দিষ্ট পুজো-পদ্ধতি নয় বরং একটি জীবনবোধ। কর্তব্য, দায়িত্ব ও উৎসর্গের প্রতীক। ধর্ম ও সংস্কৃতি একে অপরকে প্রতিফলিত করে এবং এই সংস্কৃতি হল যে কোনও সভ্যতার ভিত্তিপ্রস্তর। সংস্কৃতি থেকেই জন্ম নেয় মানুষের মর্যাদা, সামাজিক মূল্যবোধ এবং জাতির পরিচয়।

    ধর্ম আসলে কী? (Sanatan Dharma)

    প্রাচীন ভারতীয় ধর্মশাস্ত্রগুলিতে উল্লেখ আছে ধারয়তি ইতি ধর্মঃ —অর্থাৎ যা ধারণ করে, সেটাই ধর্ম। ধর্ম ব্যক্তি, সমাজ, প্রকৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে। সনাতন ধর্ম কোনও বিশেষ জাতি বা সম্প্রদায়কে বোঝায় না এটি শাশ্বত এবং এর দর্শন বিজ্ঞানসম্মত। ধর্ম পরিবর্তিত হয় মানুষের জীবনধারা, সময় এবং পরিস্থিতির উপর। পরিবারের প্রতি কর্তব্যবোধ, সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ, রাজনৈতিক কর্তব্য, এসবই ধর্মের অংশ।

    ভারত একটি সনাতন রাষ্ট্র (Sanatan Dharma)

    জাতি, সমাজ বা আধ্যাত্মিকতার সংকটের সময় মানুষের কর্তব্যই হয়ে ওঠে ধর্ম। যে কোনও সংকট মোকাবিলায় সমাজকে জাগ্রত হতে হয়, সংঘবদ্ধ হতে হয়, শক্তিশালী হতে হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে সনাতন ধর্মকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করা মানেই দেশের ঐক্য ও সংহতিকে রক্ষা করা। সনাতন রাষ্ট্র শঙ্খনাদ মহোৎসব, যা বর্তমানে (Sanatan Dharma) গোয়াতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেখানেই স্বামী গোবিন্দ দেবগিরি মহারাজ বলেন, ‘‘ভারত একটি সনাতন রাষ্ট্র। আমাদের প্রয়োজন একে স্বীকৃতি দেওয়া ও পুনরায় গঠন করা। তাঁর মতে, সনাতন ধর্ম কোনও বিশেষ সম্প্রদায় নয়, এটি জীবনের (Bharat) মূল্যবোধ।’’

    শাস্ত্র এবং শস্ত্র দিয়ে করতে হবে ধর্ম রক্ষা

    তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে শাস্ত্র এবং শস্ত্র, এই উভয় দিয়েই আমাদের সনাতন ধর্মকে রক্ষা করতে হবে। অর্জুনের মতো আমাদের যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হতে হবে। একটি জাতি গড়ে ওঠে ভূমি, সমাজ এবং প্রচলিত প্রথার ভিত্তিতে আর এইগুলিই সনাতন ধর্মের (Sanatan Dharma) ভিত্তিপ্রস্তর এবং মূল্যবোধ।’’

  • Ashad Month: ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ থেকে এল আষাঢ়, দক্ষিণে কবে আসবে বর্ষা?

    Ashad Month: ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ থেকে এল আষাঢ়, দক্ষিণে কবে আসবে বর্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে— ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।’’ কবিগুরুর লেখা ‘আষাঢ়’ কবিতা পড়লেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কৃষ্ণ কালো মেঘে ঢাকা বিস্তৃত নীলাম্বর। আষাঢ় (Ashad Month) মানেই পাঁপড় ভাজা আর রথের রশিতে টান। আষাঢ় মানেই মন পাগল করা সোঁদা মাটির ঘ্রাণ।

    আজ পয়লা আষাঢ়

    ক্যালেন্ডারের পাতা বলছে, আজ, সোমবার ১৬ জুন থেকে শুরু হল আষাঢ় মাস (Ashad Month)। বাংলা পঞ্জিকা মতে, আজ পয়লা আষাঢ়। তবে, পঞ্জিকার পাতায় আষাঢ় এলেও দক্ষিণবঙ্গে নেই বৃষ্টির ছিটেফোঁটা। কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গই বেশ কয়েকদিন ধরেই গুমোট। আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকলেও বৃষ্টির দেখা নেই। রোদের তাপ, গরমের ভাপ আর শুষ্ক বাতাস যেন প্রকৃতির বর্ষা-ঘোষণাকে উপহাস করছে (Ashad Month)। চারদিকে শুধুই ভ্যাপসা গরম, গুমোট বাতাস আর রোদের তাপপ্রবাহ। গরমে হাঁসফাঁস করছে জনজীবন। আকাশে মেঘ, অথচ তার নিচে ঝরছে ঘাম। প্রকৃতি যেন অপেক্ষার খেলা খেলছে। বিদায় নেয়নি পুরোপুরি গ্রীষ্ম, আসেনি পুরোপুরি বর্ষাও।

    কী বলছে আবহাওয়া দফতর (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, পরিস্থিতি বর্ষার অনুকূল। যে কোনও সময় নামতে পারে বৃষ্টি। পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসন্ন। আর দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করবে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। তার মাঝেই কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় মুষলধারে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Ashad Month)। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দুটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি। যা থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে দক্ষিণ ওড়িশা পর্যন্ত। আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। সোমবার থেকে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে।

    আবহাওয়া দফতরের আরও পূর্বাভাস (Weather Update), মঙ্গলবার ও বুধবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পশ্চিমের জেলাগুলিতেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। অন্যদিকে, আগামী কয়েক দিনে উত্তরের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে (Ashad Month)। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের জন্য। এছাড়া জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারেও ভারী বৃষ্টি চলবে।

  • Vande Bharat: উদ্বোধন করেন মোদি, জম্মু-কাশ্মীরে বন্দে ভারত ঘিরে তুমুল আগ্রহ যাত্রীদের, নিঃশেষ টিকিট

    Vande Bharat: উদ্বোধন করেন মোদি, জম্মু-কাশ্মীরে বন্দে ভারত ঘিরে তুমুল আগ্রহ যাত্রীদের, নিঃশেষ টিকিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি জুন মাসের ৬ তারিখে জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই ট্রেনটি শ্রী মাতা বৈষ্ণোদেবী কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত যাত্রা করে। একইসঙ্গে অপর একটি বন্দে ভারত (Vande Bharat) ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেল প্রতিমন্ত্রী রঘুবীর সিং বিট্টু। এই দুই ট্রেন একযোগে চলতে শুরু করে। একটি ছাড়ে কাটরা থেকে, অপরটি শ্রীনগর থেকে। নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে তারা সময় নেয় প্রায় তিন ঘণ্টা। বিকেলেও এই দুই বন্দে ভারত ট্রেন চালু থাকে। কাটরা থেকে ছাড়ে ২টা ৫৫ মিনিটে, শ্রীনগর থেকে ছাড়ে ঠিক ২টোয়।

    টিকিট প্রায় নিঃশেষ (Vande Bharat)

    এখনও পর্যন্ত এক মাস হয়নি এই দুটি ট্রেন চালু হয়েছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে টিকিট প্রায় নিঃশেষ। পরবর্তী এক মাসের জন্য সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, বর্তমানে শুধুমাত্র ১৮ জুলাইয়ের টিকিটই বুকিংয়ের জন্য পড়ে রয়েছে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, বন্দে ভারত নিয়ে যাত্রীদের আগ্রহের শেষ নেই।
    এ নিয়েই কাটরা রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার যুগল কিশোর শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে এই দুই ট্রেনকে ঘিরে। পর্যটক এবং স্থানীয় মানুষ উভয় ধরনের যাত্রীরাই বন্দে ভারতের অংশ হতে চাইছেন। টিকিটের চাহিদা এত বেশি যে সপ্তাহের পর সপ্তাহ কোনও আসন খালি থাকছে না।

    কেন এত উন্মাদনা (Vande Bharat)

    আসলে বন্দে ভারত নিয়ে এমন উন্মাদনার কারণ হল যে রুট দিয়ে ট্রেন যায়, তার পাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য, উচ্চ গতি এবং আধুনিক মানের পরিষেবা। এই সবকিছুই যাত্রীদের আগ্রহ বাড়াচ্ছে। এই ট্রেনে ২১ জুন কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত যাত্রা করবেন তেমনই এর যাত্রী মহিন্দর পন্থ। তাঁর সঙ্গী হিসেবে থাকবেন স্ত্রী রেনু শর্মা। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বন্দে ভারতের যাত্রা বেশ আকর্ষণীয় হবে।
    ব্যাঙ্কিং সেক্টরে চাকরি করেন পন্থ। বিগত ৩০ বছর ধরে কখনও সড়ক পথে, কখনও বিমান পথে যাতায়াত করেছেন। কিন্তু এখন ট্রেনের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে জম্মু ডিভিশন এবং কাশ্মীর। বন্দেভারতেই যাতায়াত করছেন পন্থ। বন্দে ভারত Vande Bharat Express) নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেছেন, এটি কাশ্মীরবাসীর এক দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ।

  • India-Cyprus CEO forum: ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব! ফ্রান্সের পর এবার সাইপ্রাসেও চালুর পথে ইউপিআই?

    India-Cyprus CEO forum: ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব! ফ্রান্সের পর এবার সাইপ্রাসেও চালুর পথে ইউপিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সের পর এবার সাইপ্রাসেও চালু হতে চলেছে ইউপিআই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) রবিবার ভারত-সাইপ্রাস সিইও ফোরামে (India-Cyprus CEO forum) এই কথা জানান। ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব, অর্থনৈতিক শক্তি এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, ভারতের ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস (UPI) বর্তমানে বিশ্বে ডিজিটাল লেনদেনের ৫০ শতাংশ পরিচালনা করছে। তাঁর কথায়, ভারত যেভাবে প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছে, তা আজ গোটা বিশ্বের কাছে এক উদাহরণ।

    সাইপ্রাসে ইউপিআই

    ইউপিআই শুধু প্রযুক্তির প্রতীক নয়, এটি ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রকাশ। ভারত-সাইপ্রাস সিইও ফোরামে (India-Cyprus CEO forum) প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “ফ্রান্সের মতো অনেক দেশ ইতিমধ্যে ইউপিআই-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সাইপ্রাসকেও এতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আলোচনা চলছে। আমি একে স্বাগত জানাই। গত ৬০ বছরে এই প্রথম একই সরকার টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসেছে। গত ১০ বছরে দেশে এক ডিজিটাল বিপ্লব ঘটেছে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি তার অন্যতম বড় উদাহরণ। আজ বিশ্বের ৫০ শতাংশ ডিজিটাল লেনদেন ভারতে হয় ইউপিআই-এর মাধ্যমে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “গত এক দশকে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়েছে এবং শীঘ্রই তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার দিকে দ্রুত এগোচ্ছে। আজ ভারত বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম বৃদ্ধি পাওয়া উদীয়মান অর্থনীতি।”

    ভবিষ্যতমুখী পরিকাঠামো 

    প্রধানমন্ত্রী ভারতের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলেন, দেশের পরিকাঠামো গঠনে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এবারের বাজেটে চালু হয়েছে নতুন ‘ম্যানুফ্যাকচারিং মিশন’, যার লক্ষ্য হলো ইলেকট্রনিক্স, তথ্যপ্রযুক্তি, সেমিকন্ডাক্টর, বায়োটেকনোলজি এবং সবুজ উন্নয়ন খাতে উৎপাদনকে উৎসাহিত করা। মোদি বলেন, “আমরা সামুদ্রিক ও বন্দর উন্নয়নে জোর দিচ্ছি। জাহাজ নির্মাণ ও ভাঙাড়ি খাতেও নতুন নীতির কথা ভাবা হচ্ছে। অসামরিক বিমান চলাচল খাতেও দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। উদ্ভাবন ভারতের অর্থনৈতিক শক্তির বড় স্তম্ভ হয়ে উঠেছে। আমাদের এক লক্ষেরও বেশি স্টার্টআপ শুধু স্বপ্ন নয়, সমাধান বিক্রি করছে।” উল্লেখ্য, রবিবার পাঁচ দিনের ত্রিদেশীয় সফরে রবিবার (১৫ জুন) সাইপ্রাসে (India-Cyprus CEO forum) পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাস হয়ে কানাডায় যাবেন তিনি। পরে সেখান থেকে যাবেন দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপীয় রাষ্ট্র ক্রোয়েশিয়ায়। সোমবার সাইপ্রাস থেকেই কানাডার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা মোদির। কানাডায় জি-৭ বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

  • Smart City: ভুয়ো কোম্পানি খুলে ২,৬৭৬ কোটি টাকার প্রতারণা, দুই ভাইয়ের খোঁজে হন্যে পুলিশ

    Smart City: ভুয়ো কোম্পানি খুলে ২,৬৭৬ কোটি টাকার প্রতারণা, দুই ভাইয়ের খোঁজে হন্যে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেক্সা এভারগ্রিনকাণ্ডে ২ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। স্বল্প বিনিয়োগে বড় অঙ্কের আর্থিক লাভ এবং ফ্ল্যাটের টোপ দিয়ে ৭০ হাজার মানুষকে প্রতারণার অভিযোগ (Smart City) রাজস্থানের (Rajasthan) সুভাষ বিজারানি এবং রণবীর বিজারানির বিরুদ্ধে। এই দুই ভাইয়ের খোঁজে হন্যে পুলিশ।

    ভুয়ো সংস্থা (Smart City)

    জানা গিয়েছে, নেক্সা এভারগ্রিন নামে একটি ভুয়ো সংস্থা খোলে বিজারানি ভ্রাতৃদ্বয়। এই কোম্পানির বিরুদ্ধে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলা রুজু করেছিল রাজস্থান পুলিশ। তার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি গুজরাট ও রাজস্থানের ২৪টি জায়গায় এক সঙ্গে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। তার পরেই ফাঁস হয়ে যায় বিজারানি ভাইদের কীর্তিকলাপ। জানা গিয়েছে, বড় অঙ্কের আর্থিক লাভ ও গুজরাটের ঢোলেরা শহরে স্মার্ট সিটি প্রজেক্টে জমি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে লগ্নিকারী ও আমানতকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন বিজারানি ভ্রাতৃদ্বয় ও তাদের শাগরেদরা। কয়েক বছর আগে সীকর জেলার বাসিন্দা ওই দুই ভাই ভুয়ো কোম্পানিটি খোলেন। তার পরেই পাতা হয় ফাঁদ। যে ফাঁদে ধরা দিয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন ৭০ হাজার মানুষ। অভিযোগ, অন্যের হাউসিং প্রজেক্টের ছবি দেখিয়ে বিজারানি ভাইয়েরা দাবি করে, এগুলিই তাদের আগামী দিনের প্রকল্প।

    ফ্ল্যাট এবং জমির টোপ

    তুলনামূলকভাবে সস্তায় ভালো মানের ফ্ল্যাট এবং জমির লোভে প্রচুর মানুষ বিনিয়োগ করতে থাকেন এই দুই ভাইয়ের সংস্থায়। শুধু জমি-বাড়িই নয়, স্বল্প বিনিয়োগে বড় লভ্যাংশের টোপও দেওয়া হয়েছিল বিনিয়োগকারীদের। অভিযোগ (Smart City), এভাবে এজেন্টদের দিয়ে ২ হাজার ৬৭৬ কোটি তোলে ওই সংস্থা। এজেন্টদের কমিশন বাবদ দেওয়া হয় প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। এরপর প্রতারণার অর্থে অভিযুক্ত সহোদররা কেনে ১৩০০ বিঘে জমি। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা গত কয়েক বছরে দামি দামি গাড়ি কিনেছে। রাজস্থানে হোটেল করেছে। আমেদাবাদ এবং গোয়ায় অন্তত ২৫টি রিসর্ট গড়েছে। নগদে নেওয়া ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বিভিন্ন ভুয়ো কোম্পানিতে। তার পর আচমকাই ঝাঁপ ফেলে দেওয়া হয় নেক্সা এভারগ্রিনের।

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ও গুজরাট সরকার যৌথভাবে তৈরি করছে ঢোলেরা স্মার্ট সিটি। এই প্রকল্পটি (Rajasthan) হতে চলেছে ভারতের বৃহত্তম গ্রিনফিল্ড স্মার্ট সিটি (Smart City)।

  • Bridge Collapsed: খরস্রোতা নদীতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সেতু, জলের তোড়ে ভেসে গেলেন পর্যটকরা

    Bridge Collapsed: খরস্রোতা নদীতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সেতু, জলের তোড়ে ভেসে গেলেন পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খরস্রোতা নদীর ওপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল পায়ে চলার সেতু (Bridge Collapsed)। রবিবার দুপুরের ওই ঘটনায় সেতু থেকে ইন্দ্রায়ণী নদীতে পড়ে যান প্রায় ২০ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, ৬ পর্যটকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও খোঁজ মেলেনি ১০-১৫ জনের। তাঁরা জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। মহারাষ্ট্রের পুণের (Pune) ঘটনা।

    ভাঙল খরস্রোতা ইন্দ্রায়ণী নদীর ব্রিজ (Bridge Collapsed)

    পুণের পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় থানা এলাকার কুন্দমালা গ্রামের সৌন্দর্য চোখ জুড়ানো। এখান দিয়েই কুলু কুলু শব্দে বয়ে চলেছে খরস্রোতা ইন্দ্রায়ণী নদী। এই নদীর ওপর পায়ে চলার পুরানো সেতুটি পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। বিভিন্ন ছুটিছাটায় এবং সপ্তাহ শেষের ছুটিতে পর্যটকরা ভিড় করেন নদীর ধারে এবং সেতুর ওপর। এদিনও বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়েছিলেন সেতুতে। নদীর পাড়েও ঘোরাঘুরি করছিলেন অনেকে। দুপুরে আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেতু। সেতু ভেঙে যাঁরা তলিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই পর্যটক বলেই আশঙ্কা। স্থানীয় সূত্রের খবর, সেতুর নীচে আটকে রয়েছেন দুই মহিলা। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীদের একটি দল। পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দলও। নদীতে তলিয়ে যাওয়া পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

    জরাজীর্ণ সেতু

    এই সেতুটি দীর্ঘদিন ধরেই জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। অনেক আগেই এই সেতুর ওপর দিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। তবে বর্ষকালে নদীর জল বাড়লে বাড়ে সৌন্দর্যও। ইন্দ্রায়ণীর সেই সৌন্দর্য দেখতেই সেতুতে ভিড় করেন পর্যটকরা। অনুমান, জলের তোড়েই ভেঙে গিয়েছে জীর্ণ সেতুটি। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ৬ জনকে নদী থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে জারি রয়েছে তল্লাশি (Bridge Collapsed)।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, গত দুদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল ওই এলাকায়। এদিন বৃষ্টি খানিক ধরতেই পর্যটকরা চলে যান সেতুর ওপরে। সেতুটি যে জীর্ণ, সেখানে না যাওয়াই ভালো বলে পর্যটকদের সতর্ক করেছিলেন (Pune) স্থানীয়দের অনেকেই। তার পরেও সেতুতে ওঠেন তাঁরা। খানিক পরেই ঘটে বিপত্তি (Bridge Collapsed)।

  • Nigeria: নাইজেরিয়াতে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন ফুলানির হামলায় নিহত ১০০ খ্রিস্টান

    Nigeria: নাইজেরিয়াতে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন ফুলানির হামলায় নিহত ১০০ খ্রিস্টান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফ্রিকা মহাদেশে খ্রিস্টানদের উপর গণহত্যা চলছেই। ইসলামিক মৌলবাদীরা (Islamic Terrorists) এই মহাদেশে খ্রিস্টানদের নির্মূল করার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে একের পর এক দেশে চলছে খ্রিস্টান গণহত্যা।

    ফুলানি ইসলামিক মিলিট্যান্টস (Islamic Terrorists)

    মহাদেশটির অন্যতম ইসলামী জঙ্গি সংগঠন হল ফুলানি ইসলামিক মিলিট্যান্টস। সম্প্রতি তারাই নাইজেরিয়ার (Nigeria) ইয়েলেওতা গ্রামের উপর ভয়ংকর সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং হত্যা করে শতাধিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে। এই হামলা শুরু হয় গত শুক্রবার এবং চলে শনিবার পর্যন্ত। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অজস্র পরিবার গৃহবন্দি অবস্থায় ছিল। বহু পরিবারকে ঘরের ভিতর থেকে তালা বন্ধ করে আটকে রাখা হয় এবং গোটা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। গৃহবন্দি অবস্থায় থাকা এই পরিবারগুলির এভাবেই মারা যায়। কয়েক ডজন মানুষ এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন এবং শতাধিক মানুষ গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এই হামলায় গুরুতরভাবে আহত হওয়া ব্যক্তিরা প্রাথমিক চিকিৎসাও পাচ্ছেন না।

    আফ্রিকার খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ণ করাই উদ্দেশ্য

    এই ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে নাইজেরিয়ার (Nigeria) বেনুয়ে রাজ্যে। এই রাজ্যেই বড় সংখ্যক খ্রিস্টান বসবাস করেন। সেখানে জিহাদিরা হামলা চালিয়ে এই জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য যে, এটি কোনো নতুন ঘটনা নয়। ফুলানি নামক এই জঙ্গি সংগঠনের জিহাদিরা দীর্ঘদিন ধরেই এই গণহত্যা চালিয়ে আসছে। এদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বোকো হারাম, আইএসডব্লিউএপি-সহ একাধিক ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন। এই সংগঠনগুলোর লক্ষ্য হল আফ্রিকার খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ণ করা।

    এপ্রিল-মে মাসেও চলে হামলা, হত্যা করা হয় খ্রিস্টানদের

    এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যেমন সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ রয়েছে, তেমনি অভিযোগ রয়েছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জমি দখলেরও। ২০২৫ সালের জুন মাসের ১ তারিখেই ফুলানি জিহাদিরা নাইজেরিয়ার (Nigeria) বেনুয়ে রাজ্যে হামলা চালায়, এখানে ৪৩ জন খ্রিস্টান নিহত হন। এই হামলা চলে জুন মাসের ১ ও ২ তারিখের মধ্যে। এর আগে ২৪ ও ২৫ মে, নাইজেরিয়ার প্লেটো রাজ্যে আরেকটি হামলা চালায় জঙ্গিরা, যেখানে ৫০ জন নাগরিক নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন খ্রিস্টান। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে প্লেটো স্টেট-এ আরেকটি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ৪০ জন খ্রিস্টান। এই হামলা কয়েকদিন ধরে চলে। তারও আগে, মে মাসের শুরুতেই ফুলানি ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন বেনুয়ে স্টেটে হামলা চালিয়ে (Nigeria) হত্যা করে ২০ জনকে।

LinkedIn
Share