Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Alakran-L VMIMS: চিন-সীমান্ত লাগোয়া সিকিমের দুর্গম পাহাড়ে ভারত মোতায়েন করেছে এই ঘাতক কামান

    Alakran-L VMIMS: চিন-সীমান্ত লাগোয়া সিকিমের দুর্গম পাহাড়ে ভারত মোতায়েন করেছে এই ঘাতক কামান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন-সীমান্তে (India China Border) প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারত। সীমান্ত লাগোয়া সিকিমের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে আর্টিলারি বা কামান-শক্তি বাড়াতে এবার স্বদেশীয় অত্যাধুনিক ‘ভেহিক্যেল মাউন্টেড ইনফ্যান্ট্রি মর্টার সিস্টেম’ (ভিএমআইএমএস), সংক্ষেপে ভিমিমস্-ও বলা হয়ে থাকে, মোতায়েন করতে চলেছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। সেনা সূত্রে খবর, চলতি বছরের শেষের দিকে মোতায়েনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ (Atmanirbhar Bharat) উদ্যোগের আওতায় দেশে তৈরি ‘আলাক্রান-এল’ নামের এই অত্যাধুনিক মর্টার (Alakran-L VMIMS) সিস্টেমের সিকিমে মোতায়েন ভারতীয় সেনাকে বিরাট বড় একটা সুবিধা প্রদান করবে এবং একইসঙ্গে ‘ড্রাগনের দেশ’কে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

    সিকিমে ‘ভিমিমস্’ মোতায়েন কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে ভিমিমস্। আবার, চিন-সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় ভারতের প্রতিরক্ষা ও সার্বভৌমত্বের দিক দিয়ে সিকিম অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এলাকা। অতীতে, এই সিকিমেই একাধিকবার ভারত ও চিনা ফৌজের মধ্যে সংঘাত বেঁধেছে। ফলে, এই সিমান্তাঞ্চলের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর মোদি সরকার (Modi Government)। যার জেরে, এবার সিকিমের উঁচু, দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে আলাক্রান-এল হাল্কা মর্টার সিস্টেমকে (Alakran-L VMIMS) মোতায়েন করেছে সেনা। এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছে, ‘‘ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army) সিকিমে ভেহিক্যেল মাউন্টেড ইনফ্যান্ট্রি মর্টার সিস্টেম (ভিএমআইএমএস) মোতায়েন করেছে। এই স্বনির্ভর ব্যবস্থা বাহিনীর গতিশীলতা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া বা জবাব দেওয়ার যোগ্যতা এবং গোলাবারুদের ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে ভারতের স্বনির্ভরতা এবং প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির উন্নতি ঘটাবে।’’ সেনার মতে, এই সিস্টেম সমর পরিস্থিতিতে বাহিনীকে কঠিন ও দুর্গম ভূখণ্ডে দ্রুত পদক্ষেপ করার সুযোগ করে দেবে।

    ভেহিক্যেল মাউন্টেড ইনফ্যান্ট্রি মর্টার সিস্টেম কী?

    আলাক্রান-এল মর্টার সিস্টেমে (Alakran-L VMIMS) একটি ৮১ মিমি কামান রয়েছে যা আর্মার্ড লাইট স্পেশালিস্ট ভেহিক্যেল (এএলএসভি) নামে পরিচিত একটি বিশেষ সামরিক গাড়িতে স্থাপন করা হয়। ভারতে এই গাড়িটিকে ‘আর্মাডো’ বলা হয়। এই গাড়ির দুদিকে থরে থরে সাজানো থাকে কামানের বিশেষ গোলা। এই গাড়িটির জন্য কামানটিকে অল্প সময়েই এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। ফলে, দ্রুত জায়গা পাল্টে আক্রমণ করার সুযোগ পায় বাহিনী (Indian Army)। যার ফলে, সেনার সমক্ষতা অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।

    আলাক্রান-এল ভিমিমস্-এর কার্যকারিতা ও গুরুত্ব

    দুর্গম অঞ্চলেও যাতে সহজে মর্টার সিস্টেমকে সহজে সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়া যায়, তা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে এই সিস্টেমটি। নেভিগেশন এমন ডিজাইন করা হয়েছে, যা অপারেশনাল রেসপন্সিভনেস বাড়ায়।

    এই সিস্টেমে দ্রুত কামান মোতায়েন ও গোলা নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রয়েছে। দ্রুত সেটআপ এবং ফায়ারিংয়ে সহায়তা করার জন্য ‘আলাক্রান-এল’ মর্টার সিস্টেমটি (Alakran-L VMIMS) সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়।

    এই সিস্টেমটি শত্রুর অবস্থানগুলিকে সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্যবস্তু করে ৮১ মিমি শক্তিশালী মর্টার ব্যবহার করে সেগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম।

    ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Atmanirbhar Bharat) উদ্যোগকে সমর্থন করে মাহিন্দ্রা ডিফেন্স সিস্টেমস লিমিটেড এবং মিলানিয়ান এনটিজিএস যৌথভাবে এই সিস্টেমটি তৈরি করেছে।

    ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে জায়গা করে নিয়েছিল আলাক্রান-এল মর্টার সিস্টেম (Alakran-L VMIMS)। এতেই পরিষ্কার, ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) কাছে এর গুরুত্ব কতটা অপরিসীম।

  • Rahul Gandhi: ‘‘ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই’’! মন্তব্য করে বিপাকে রাহুল, সমন পাঠাল সম্ভলের আদালত

    Rahul Gandhi: ‘‘ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই’’! মন্তব্য করে বিপাকে রাহুল, সমন পাঠাল সম্ভলের আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের লড়াই শুধু বিজেপি বা আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়। কংগ্রেসের লড়াইটা গোটা রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে! কংগ্রেস কর্মীদের এক সম্মেলনে অত্যুৎসাহে বলে ফেলেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এখন সেই মন্তব্যের জন্য আইনি বিপাকে পড়তে হচ্ছে রাহুলকে। এই মন্তব্যের জেরে সম্ভলের জেলা আদালত নোটিস পাঠাল লোকসভার সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। আগামী ৪ এপ্রিল তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলেছিলেন রাহুল

    দিল্লিতে কংগ্রেসের নতুন সদর দফতর উদ্বোধনের দিন বক্তব্য পেশ করছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, বর্তমানে বিজেপি-আরএসএস দেশের সব প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে। এর পরই তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘যদি কেউ মনে করেন, আমরা বিজেপি কিংবা আরএসএস নামে কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, তাহলে বলব দেশে কী ঘটছে তা আপনারা বুঝতে পারছেন না। বিজেপি এবং আরএসএস আমাদের দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে। আমাদের এখন শুধু বিজেপি, আরএসএস নয়, সামগ্রিকভাবে ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হচ্ছে।’’ এই নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যে জোড়া মামলা দায়ের হয়। দুই রাজ্য থেকেই আইনি নোটিস পেয়েছেন রাহুল।

    রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা

    রাহুলের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে বিজেপি শাসিত অসমের গুয়াহাটিতে। আর একটি মামলা দায়ের হয়েছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে। গুয়াহাটিতে দায়ের হওয়া মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রাহুল যা বলেছেন সেটা উগ্রপন্থীদের উসকানি দেওয়ার শামিল। ওই মামলাটি জামিন অযোগ্য ধারায় দায়ের হওয়া। সেই মামলা গৃহীত হলে রাহুলকে ফের জেলে জেতে হতে পারে। আর উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের একটি এমপি-এমএলএ কোর্টেও রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেই মামলাতেও রাহুলকে নোটিস পাঠিয়েছে আদালত। সম্ভলের আদালত আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে রাহুলকে ওই নোটিসের জবাব দিতে বলেছে।

    রাহুলকে আক্রমণ বিজেপির

    বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। তিনি বলেন, ‘‘শহুরে নকশাল এবং ডিপস্টেটের সঙ্গে রাহুল গান্ধী এবং তাঁর বাস্তুতন্ত্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তারা ভারতকে অপমান, অবমাননা এবং অসম্মান করতে চায়। কংগ্রেসের কুৎসিত সত্য তাদের নিজেদের নেতাই উন্মোচন করে দিয়েছেন। আমি রাহুল গান্ধীর প্রশংসা করতে চাই। গোটা দেশ যা জানে, তাই তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন। ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করছেন। তিনি যা কিছু করেছেন বা বলেছেন তা ভারতকে ভাঙার এবং আমাদের সমাজকে বিভক্ত করার লক্ষ্যেই করেছেন।’’ তীব্র আক্রমণ শানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রশ্ন তোলেন, ‘‘তাহলে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধী, তোমরা কেন সংবিধানের কপি হাতে নিয়ে ঘোরো?’’

  • Bangladesh Crisis: সনাতন ধর্মের অবমাননা! উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিক্ষোভ হিন্দু পড়ুয়াদের

    Bangladesh Crisis: সনাতন ধর্মের অবমাননা! উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিক্ষোভ হিন্দু পড়ুয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম (Sanatan Dharma) অবমাননার অভিযোগে প্রতিবাদ করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) হিন্দু পড়ুয়ারা (Hindu students)। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয় রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু-ছাত্রছাত্রীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সম্মিলিত সনাতন নাগরিক জোটের সদস্যরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bangladesh Crisis) রেজিস্ট্রার পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

    বিতর্কের সূত্রপাত সোশ্যাল সাইটের পোস্ট

    বিতর্কের সূত্রপাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র আবু সায়েমের একটি ফেসবুক পোস্ট (face book post)। তাতে সে হিন্দু ধর্মকে অবমাননা (insult to Hindu dharma) করে আপত্তিজনক কথাবার্তা লেখে। জাকি আহম্মেদ নামে আর এক ছাত্র হিন্দুদের হত্যা (call for killing) করার ডাক দেয়। ওই দুই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে পথে নামে হিন্দু ছাত্ররা। তারা স্লোগান দেয়, ‘মানি না, মানব না, ধর্মের অবমাননা’। তাদের দাবি, ‘এক দুই তিন চার চাই সায়েমের বহিষ্কার’।

    ছাত্রদের ৩ দফা দাবি

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের ছাত্র সৌরভ বালাই এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা এ দেশের নাগরিক। আমরা চাই যেন নাগরিকের সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারি।’ তিনি অভিযোগ করেন, সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ বন্ধ করতে সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে। এক ছাত্রী বলেন, যে ধরনের পোস্ট দেওয়া হয়েছে, তা কোনও সংখ্যালঘু দিলে অনেক আগেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়ে দিত। অভিযুক্ত সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের বলেই প্রশাসন হাত গুটিয়ে আছে। আর এক ছাত্রী বোটানি বিভাগের সুমি বিশ্বাস দাবি করেন, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। রেজিস্ট্রারের কাছে হিন্দু পড়ুয়ারা যে দাবিপত্র পেশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ম অবমাননার ঘটনা নির্মূল করতে হবে। অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে পাকাপাকিভাবে বহিষ্কারের পাশাপাশি হিন্দু ছাত্ররা শিক্ষকদের বিষয়েও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, বাংলা, সংস্কৃত বিভাগে সাহিত্য সমালোচনার ক্লাসে শিক্ষকদের অনেকেই হিন্দু ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যা, অবমাননামূলক মন্তব্য করে থাকেন। শিক্ষকদেরও সতর্ক করতে বলেছে হিন্দু ছাত্ররা।

    ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

    এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দফতর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা এবং পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ প্রদানের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সান্টু বড়ুয়া, সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তাক আহমেদ। এ ছাড়া বাকি তিনজন হলেন সহকারী প্রক্টর মুহা. রফিকুল ইসলাম, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশিস পাল এবং প্রাধ্যক্ষ স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন।

  • Maoists in Chhattisgarh: জিরো টলারেন্স নীতি মোদি সরকারের, ৮০ দিনে ছত্তিশগড়ে খতম ১১৩ মাওবাদী

    Maoists in Chhattisgarh: জিরো টলারেন্স নীতি মোদি সরকারের, ৮০ দিনে ছত্তিশগড়ে খতম ১১৩ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী দমন অভিযানে ফের বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। বৃহস্পতিবার ছত্তিশগড়ের (Maoists in Chhattisgarh) বস্তার রিজিয়নে দু’টি পৃথক এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে ৩০ জন সন্দেহভাজন মাওবাদী। গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড’ (ডিআরজি)–এর এক জওয়ানের। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত বস্তার এবং গারিয়াবন্দে কমপক্ষে ১১৩ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিজাপুরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারায় ৩১ জন মাওবাদী, শহিদ হন দুই জওয়ান।

    মাও-দমনে বড় অভিযান

    বস্তারের আইজি পি সুন্দররাজ জানান, বস্তারের গঙ্গালুর এলাকায় মাওবাদী উপস্থিতির খবর পেয়ে অভিযানে গিয়েছিল বিজাপুর ও সুকমার ডিআরজি, কোবরা এবং সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা নাগাদ শুরু হয় গুলিযুদ্ধ, চলে দুপুর পর্যন্ত। গুলিযুদ্ধে ২৬ জন মাওবাদীর (Maoists in Chhattisgarh) প্রাণ গিয়েছে বলে বাহিনীসূত্রে খবর। উদ্ধার হয়েছে স্বয়ংক্রিয়, সেমি–অটোমেটিক একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক। অন্যদিকে, কাঙ্কের ও নারায়ণপুর জেলার সীমানা লাগোয়া জঙ্গলেও নর্থ বস্তার মার ডিভিশনে মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর মিলেছিল। ডিআরজি এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী সেখানে তল্লাশি অভিযানে যায়। কাঙ্কেরের জঙ্গলে গুলির লড়াইয়ে চার জনের প্রাণ গিয়েছে বলে খবর। সেখান থেকেও উদ্ধার হয়েছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল বিস্ফোরক।

    মাওবাদী কমান্ডার ডিডমার-এর খোঁজ

    বিজাপুর এবং দান্তেওয়াড়ায় রাত পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চলার খবর মিলেছে। কিন্তু এখনও মাওবাদী কমান্ডার ডিডমার হদিস মেলেনি। তাঁরই খোঁজে তিন রাজ্য জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে বাহিনী। জানা গিয়েছে, মাওবাদী নেতা ডিডমার খোঁজে ছত্তিশগড়, ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের সীমানায় ১২৫টি গ্রামে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ড্রোন দিয়ে তল্লাশির পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এই তিন রাজ্যের কোনও একটি সীমানা এলাকায় ডিডমা আত্মগোপন করে আছেন বলে মনে করছে পুলিশ। কারণ এই তিন রাজ্যের সীমানা এলাকায় মাওবাদীরা অত্যন্ত সক্রিয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

    সক্রিয় ছত্তিশগড় সরকার

    ২০২৩ সালে ছত্তিশগড়ে (Maoists in Chhattisgarh) বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে। মুখ্যমন্ত্রী হন বিষ্ণু দেও সাই। তিনি রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার পরই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। ফলে গত এক বছরের মধ্যে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানের গতি আরও জোরালো হয়েছে রাজ্যে। ২০২৪ সালে ২১৯ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের দাবি। গত কয়েক মাস ধরে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বাহিনীর অভিযান আরও জোরদার হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, গত ১৩ মাসে ছত্তিশগড়ে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন ১১৭৭ জন। আত্মসমর্পণ করেছে ৯৮৫ মাওবাদী। আর এটাকেই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। তবে অভিযান জারি রাখা হয়েছে। বরং আরও বেশি ধারালো করা হচ্ছে। মাওবাদীদের নিশ্চিহ্ন করতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে বাহিনী।

    সমাজের মূল স্রোতে ফেরার আহ্বান

    হিংসা ছেড়ে মাওবাদীদের (Maoists in Chhattisgarh) সমাজের মূল স্রোতে ফেরারও আহ্বান জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই (Vishnu Deo Sai)। রাজ্য সরকার তাদের সমস্যার সমাধান এবং দাবি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের ‘আহ্বানে’ সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণও করেছে বহু মাওবাদী। বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সাফল্যকে স্যালুট জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাঁই–ও। তাঁর বক্তব্য, ‘২০২৬–এর মধ্যে বস্তার ভয়মুক্ত হয়ে বাঁচবে, আমি নিশ্চিত। ছত্তিশগড়ে মাওবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই প্রবল পরাক্রমে এগোচ্ছে। তবে ডিআরজি জওয়ানের শহিদ হওয়ার খবর পেয়ে আমি মর্মাহত। তাঁর আত্মত্যাগ বিফলে যাবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি দেশ তথা ছত্তিশগড় থেকে ২০২৬ মার্চের মধ্যে মাওবাদ মুছে ফেলার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী তাতে একের পর এক সাফল্য অর্জন করছে। জওয়ানদের সাফল্য প্রশংসনীয়। তাঁদের সাহসিকতাকে স্যালুট জানাই।’

    মাওবাদী মুক্ত দেশের স্বপ্ন

    ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারতকে ‘মাওবাদীমুক্ত’ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেই লক্ষ্যে দেশ আরও কয়েক ধাপ এগোল বলে বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা বাহিনীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শাহ। এ দিন মাওবাদী দমন অভিযানে সাফল্যের খবর মিলতেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর বক্তব্য, ‘আজ আমাদের জওয়ানরা ‘নকশাল মুক্ত ভারত অভিযান’–এর (Maoists in Chhattisgarh) লক্ষ্যে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে। নরেন্দ্র মোদির সরকার মাওবাদীদের বিরুদ্ধে আপসহীন পদক্ষেপ করছে। আত্মসমর্পণ এবং মূলস্রোতে ফেরানোর একাধিক সুযোগ দেওয়ার পরও যে সব মাওবাদী সারেন্ডার করেনি তাদের ক্ষেত্রে মোদি সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়ার পক্ষপাতী। আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ মাওবাদীমুক্ত হয়ে যাবে।’

  • Defence Acquisition: একদিনেই ৬১ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার অনুমোদন কেন্দ্রের, তালিকায় কী কী?

    Defence Acquisition: একদিনেই ৬১ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার অনুমোদন কেন্দ্রের, তালিকায় কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও সমরাস্ত্র কেনার (Defence Acquisition) বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিল মোদি সরকার (Modi Government)। বৃহস্পতিবার একদিকে, ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি (DAC) ৫৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের আটটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে যার মধ্যে রয়েছে— সেনাবাহিনীর অন্যতম ভরসা টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্কের জন্য আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন, নৌবাহিনীর জন্য অ্যান্টি-সাবমেরিন টর্পিডো (Anti-Submarine Torpedo) এবং বায়ুসেনার জন্য এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল এয়ারক্রাফট সিস্টেম। এর আগে, একই দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS) প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ভারতে তৈরি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম কেনার বিষয়ে অনুমোদন দেয়।

    দেশের তিন সীমার সুরক্ষা বৃদ্ধিতে বিরাট পদক্ষেপ

    জল-স্থল-আকাশ, দেশের তিন সীমার সুরক্ষা বৃদ্ধি করতে বিরাট পদক্ষেপ করল মোদি সরকার (Modi Government)। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (Defence Acquisition) বৃহস্পতিবার এক বারেই বিপুল সামরিক সরঞ্জাম এবং অস্ত্র কেনার অনুমোদন দেয়। সেই তালিকার প্রথমেই রয়েছে স্থলসেনার অন্যতম ভরসা টি-৯০ (T-90 Tank) যুদ্ধট্যাঙ্কের জন্য আরও উন্নত ইঞ্জিন। বর্তমানে এই ট্যাঙ্কে ব্যবহার করা হয় ১০০০ অশ্বশক্তির ইঞ্জিন। মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার এই ট্যাঙ্কে আরও শক্তিশালী ১৩৫০ অশ্বশক্তির ইঞ্জিন বসানো হবে। এই নতুন ইঞ্জিন কেনার জন্য এদিন ‘অ্যাকসেপট্যান্স অফ নেসেসিটি’ (এওএন) বা প্রয়োজনীয়তার গ্রহণযোগ্যতা প্রদান করে প্রতিরক্ষা ক্রয় পরিষদ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন উন্নত ইঞ্জিনের ফলে, ট্যাঙ্কটির শক্তি বনাম ওজনের অনুপাত ভালো হবে। এর ফলে, দুর্গম অঞ্চলের যুদ্ধক্ষেত্রে এই ট্যাঙ্কগুলির গতিশীলতা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।

    বিপুল সংখ্যায় বরুণাস্ত্র টর্পিডো কিনবে নৌসেনা

    একইভাবে, ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য দেশীয়ভাবে তৈরি বরুণাস্ত্র টর্পিডো (Varunastra) কেনার জন্য অনুমোদন (Defence Acquisition) দিয়েছে কাউন্সিল। দেশীয় সংস্থা নেভাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ল্যাবরেটরি নির্মিত জাহাজ থেকে নিক্ষেপযোগ্য এই সাবমেরিন-বিধ্বংসী টর্পিডোর বিপুল সংখ্যায় কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এর ফলে, দেশের জলসীমা আরও নিরাপদ হবে। আবার, আকাশসীমার নিরাপত্তায় ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল (AEW&C) এয়ারক্রাফট সিস্টেম কেনার বিষয়েও অনুমোদন দিয়েছে ডিএসি। এর ফলে, বায়ুসেনার সক্ষমতা ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে, যা বিভিন্ন সমরাস্ত্রের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে যুদ্ধের সম্পূর্ণ পট-পরিবর্তন করতে সক্ষম।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক ‘এটিএজিএস’

    রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে একদিকে ৫৪ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা কেনায় অনুমোদন (Defence Acquisition) দেওয়ার আগে, একই দিনে ৭ হাজার কোটি টাকার দেশে তৈরি ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর (Atmanirbhar Bharat) প্রতীক ১৫৫ মিমি অ্যাডভান্সড টোড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS) অধিগ্রহণের অনুমোদন দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি। সম্পূর্ণ দেশীয়ভাবে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং উচ্চ মারণশক্তির এই আর্টিলারি গান (কামান) ভারতীয় সেনাবাহিনীর কার্যকরী ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত। ৫২ ক্যালিবার ব্যারেল সমন্বিত এটিএজিএসের পাল্লা ৪০ কিমি। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, সেনায় এর অন্তর্ভুক্তি যুদ্ধে গেমচেঞ্জার হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। বর্তমানে সেনায় যে সমস্ত ১০৫ মিমি এবং ১৩০ মিমি আর্টিলারি গান রয়েছে, সেগুলিকে দ্রুত প্রতিস্থাপন করে এই নতুন শক্তিশালী, উন্নত এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আর্টিলারি গান মোতায়েন করা হবে। বিশেষ করে, দেশের পশ্চিম ও উত্তর সীমান্তে এটির মোতায়েন ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং শক্তি বৃদ্ধি করে উল্লেখযোগ্য কৌশলগত সুবিধা প্রদান করবে।

    সময়ের অপচয় রুখতে নির্দেশিকা জারি…

    ২০২৫ সালকে ‘সংস্কারের বছর’ হিসাবে উদযাপন করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যে কারণে, সামরিক কেনাকাটাকে (Defence Acquisition) আরও ত্বরাণ্বিত করার ওপর জোর দিচ্ছে মোদি সরকার (Modi Government)। সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে যাতে সময়ের অপচয় না হয় এবং বিষয়টি যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি গাইডলাইনও অনুমোদন করেছে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা পরিষদ। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, মোদি সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর (Atmanirbhar Bharat) লক্ষ্যকে মাথায় রেখে বিপুল পরিমাণ দেশীয় সামরিক সরঞ্জাম কেনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, সরকারের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনাথ সিং প্রকাশ করেছেন যে, ২০২৩-২৪ সালে প্রতিরক্ষা উত্পাদন ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকার রেকর্ড সংখ্যা ছুঁয়েছিল। ২০২৫-২৬ সালে তা আরও অতিক্রম করে মধ্যে ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা রফতানি (India Defence Exports), যা ২১ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড সংখ্যা ছুঁয়েছিল ওই একই সময়ে, এবার তা বেড়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

  • Commonwealth Games 2030: ২০৩০ কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের প্রস্তাব পেশ ভারতের, কোন শহরে হবে খেলা?

    Commonwealth Games 2030: ২০৩০ কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের প্রস্তাব পেশ ভারতের, কোন শহরে হবে খেলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক আয়োজনের আবহে এ বার ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমসের (Commonwealth Games 2030) জন্য বিড করল বা প্রস্তাব পেশ করল ভারত। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সের সময়েই সামনে এসেছিল ভারত ২০৩৬ সালের অলিম্পিক আয়োজন করতে চায়। অলিম্পিকের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করার মধ্যেই তিরিশের কমনওয়েলথ গেমস গুজরাটের আহমেদাবাদের করতে চেয়ে সরকারিভাবে বিড জমা দিল ক্রীড়ামন্ত্রক।

    ত্রাতা নয়াদিল্লি

    বিপুল খরচের জন্য ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমসের (Commonwealth Games 2030) আয়োজনের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশ। পরে সেই গেমস আয়োজনে রাজি হলেও প্রতিযোগিতায় কাটছাঁট করেছে গ্লাসগো। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ওই প্রতিযোগিতায় হবেই না। ২০৩০ কমনওয়েলথ গেমসেও একই পরিস্থিতি। ২০৩০ সালের অগাস্ট মাসে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের কথা ছিল কানাডার অ্যালবার্টায়। কিন্তু খরচের ভয়ে আলবার্টাও সরে দাঁড়ায়। ফলে ২০৩০ কমনওয়েলথ গেমস আদৌ হবে কি না সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে ত্রাতা হয়ে উঠে এল নয়াদিল্লি।

    বিড জমা দিল ভারত

    ক্রীড়ামন্ত্রক সূত্রে খবর, কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের জন্য বিড জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩১ মার্চ। তার আগেই কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের জন্য ভারতের বিড ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন জমা দিয়েছে। ২০৩০ সালে গেমস (Commonwealth Games 2030) আয়োজনের জন্য আহমেদাবাদকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ভারত বিড জমা দেওয়ার পর এ বার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমনওয়েলথ স্পোর্টস। যদি ভারত আয়োজনের অনুমতি পায়, তা হলে ২০১০ সালের পর ফের ভারতে কমনওয়েলথ গেমসের আসর বসবে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তা হলে ২০৩০ সালে কমনওয়েলথ গেমস ও ২০৩৬ সালে অলিম্পিক আয়োজন করবে ভারত। পরপর দুটো মেগা ইভেন্ট। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৬ সালের গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমস থেকে যেই ইভেন্টগুলো বাদ দেওয়া হয়েছিল, ২০৩০ সালে সেই ইভেন্টগুলো ফেরানো হবে। এর আগে ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করেছিল ভারত। সেই গেমস সফলভাবে আয়োজন করা গেলেও পরে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে।

  • Attacks on Hindu: ‘বাধ্যতামূলক ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ে’! পাকিস্তানে হিন্দুরা চরম নির্যাতনের শিকার, সংসদে তথ্য পেশ কেন্দ্রের

    Attacks on Hindu: ‘বাধ্যতামূলক ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ে’! পাকিস্তানে হিন্দুরা চরম নির্যাতনের শিকার, সংসদে তথ্য পেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে খ্রিষ্টান, শিখ, হিন্দু বা আহমদিয়াদের মতো ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা (Attacks on Hindu) প্রতিদিন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সেখানে সংখ্যালঘু সমাজের নারী বা বাচ্চা মেয়েরা পর্যন্ত ধর্ষণ ও অপহরণের শিকার হচ্ছেন। তাদের প্রতিনিয়ত খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিকভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হওয়ার কারণে তাদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার চলে পাক-সরকার ও প্রশাসনের মদতেই। বৃহস্পতিবার বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং রাজ্যসভায় একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানান, পাকিস্তানে (Pakistan) হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চরম অত্যাচার এবং নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।

    নানা প্রতিবেদনে উঠে আসছে নির্যাতন প্রসঙ্গ

    সংসদে বৃহস্পতিবার বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং জানান, বহু প্রতিবেদনে পাকিস্তানে (Pakistan) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Attacks on Hindu) বিরুদ্ধে ভয়ভীতি, অপহরণ, নির্যাতন, বাধ্যতামূলক ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ের মতো ঘটনা উঠে আসছে। এর ফলে ওয়াঘার ওপারের লোকেরা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। একটি প্রশ্নের উত্তরে সিং বলেন, ‘‘পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে, যার মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ও রয়েছে। প্রতিবেদনগুলোতে এমন ঘটনা উঠে এসেছে, যেখানে হিন্দুদের অপহরণ, ধর্মান্তকরণ এবং বিয়ের মতো ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’’

    পাকিস্তান থেকে এসে ভারতে বসবাস

    এছাড়াও, সংসদে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ভারতে আসা হিন্দু শরণার্থীদের (Attacks on Hindu) বিষয়ে সরকারের কাছে কোনও তথ্য রয়েছে কি না। সিং জানান, ‘‘পাকিস্তানের অনেক হিন্দু সদস্য ভারতীয় ভিসার জন্য ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে আবেদন করেন। এই আবেদনগুলি বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী প্রক্রিয়া করা হয়। কিছু হিন্দু যাঁরা বৈধ ভিসায় ভারত এসেছে, তাঁরা ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে পাকিস্তানে ফিরে যাননি।’’ তিনি আরও জানান যে, পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু শরণার্থী যারা স্থায়ী বসবাস এবং ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন, তাঁরা দীর্ঘমেয়াদী ভিসার (LTV) অধিকারী হতে পারেন, যা বিদ্যমান আইনী ব্যবস্থার অধীনে।

  • BJP: সাংসদদের উদ্দেশে হুইপ জারি করল বিজেপি, কেন জানেন?

    BJP: সাংসদদের উদ্দেশে হুইপ জারি করল বিজেপি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) ২০ মার্চ তাদের সকল লোকসভা সাংসদদের (Member of Parliament) উদ্দেশ্যে হুইপ জারি করেছে। হুইপে বলা হয়েছে ২০২৫-২৬ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট পাসের সময় তাদের সংসদে উপস্থিত থাকতে হবে। লোকসভার সকল বিজেপি সদস্যদের জানানো হয়েছে যে ২০২৫-২৬ অনুদানের বিভিন্ন দাবির উপর গিলোটিন ২০ মার্চ সংসদে পাসের জন্য তোলা হবে। তাই লোকসভায় বিজেপির সকল সদস্যকে অনুরোধ করা হয়েছে যে, তারা যেন সারাদিন সংসদে ইতিবাচকভাবে উপস্থিত থাকবেন এবং যেন সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করেন।

    গিলোটিন কী?

    প্রসঙ্গত গিলোটিন হল একটি সংসদীয় কৌশল যা আরও আলোচনার সুযোগ না দিয়ে বিলটি দ্রুত পাস করার জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণত যখন সরকার দ্রুত কোনও বিল পাস করতে চায়, কিন্তু বিরোধীরা বিলটির অগ্রগতি বিলম্বিত করার পালটা কৌশল নেয়। ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ২০২৪-২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট বেতনভোগী শ্রেণীর জন্য বড় ধরনের স্বস্তি এনেছে। পারিবারিক সঞ্চয় বৃদ্ধির জন্য গড়ে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত মাসিক আয়ের উপর কোনও আয়কর নেই।

    সরকার জোর দিচ্ছে চার ক্ষেত্রে (BJP)

    সরকার উন্নয়নের চারটি বিভাগের উপর জোর দিচ্ছে। তা হল কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, বিনিয়োগ এবং রফতানি। অর্থমন্ত্রীর কর ছাড়ের ঘোষণার অর্থ হল বেতনভোগী শ্রেণীর জন্য ১২.৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর শূন্য থাকবে। সীতারামন বাজেটের মূল লক্ষ্য তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, “এই বাজেটের লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে ‘বিকশিত ভারত’-এ রূপান্তরিত করার জন্য একটি ভবিষ্যৎমুখী পথ তৈরি করা। গরিব, যুবক, কৃষক এবং নারীর প্রকৃত উন্নয়ন এই বাজেটের লক্ষ্য।” বাজেটে কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, বিনিয়োগ, রফতানি, গ্রামীণ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সক্ষমকরণ, অভ্যন্তরীণ উপভোগ বৃদ্ধি এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে নতুন পরিকল্পনা এবং সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাজেট দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার এবং আর্থিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে সুক্ষ্মভাবে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে। অর্থমন্ত্রী সীতারমন উল্লেখ করেছেন যে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) বাস্তবায়নের পর থেকে পরোক্ষ কর উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

    ২০২৫ সালের বাজেটকে কী বললেন মোদি?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটকে ভারতের উন্নয়ন যাত্রার জন্য “শক্তি গুণক” হিসেবে (BJP) অভিহিত করেছেন। তিনি এই বাজেটকে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের “আকাঙ্ক্ষার বাজেট” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন তার বাজেট বক্তৃতায় বিহারে ব্যাপকভাবে উৎপাদিত এবং ব্যবহৃত পুষ্টিকর খাবার মাখনার জন্য একটি বোর্ড প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি আরও ঘোষণা করেন যে পাটনা বিমানবন্দরের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিহটায় একটি ব্রাউনফিল্ড বিমানবন্দরের পাশাপাশি বিহারে গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরগুলিকে সম্মানিত করা হবে। তিনি বিহারের মিথিলাঞ্চল অঞ্চলে পশ্চিম কোশি খাল ইআরএম প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন। পশ্চিম কোশি খাল ইআরএম প্রকল্পের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে, যা বিহারের মিথিলাঞ্চল অঞ্চলে ৫০,০০০ হেক্টরেরও বেশি জমি চাষকারী বিপুল সংখ্যক কৃষককে উপকৃত করবে। অর্থমন্ত্রী বিহারে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রমকে শক্তিশালী করার জন্য জাতীয় খাদ্য প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার ঘোষণাও করেছেন।

  • Grok 3: সুপার কম্পিউটারের থেকে কোনও অংশে কম নয় মাস্কের এআই টুল গ্রক-৩

    Grok 3: সুপার কম্পিউটারের থেকে কোনও অংশে কম নয় মাস্কের এআই টুল গ্রক-৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেসলা এবং স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক সম্প্রতি লঞ্চ করেছেন Grok 3 AI চ্যাটবট। এই প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, Grok 3 AI আগের Grok 2 AI এর চেয়ে আরও বেশি উন্নত। এই আবহে টেসলা কর্তার ঘোষণা, নতুন চ্যাটবট OpenAI-এর ChatGPT এবং Google-এর Gemini-এর চেয়েও বেশি জনপ্রিয় হবে। প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি Grok 3 AI লঞ্চ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, এক্স (পূর্বে টুইটার) এর প্রিমিয়াম প্লাস গ্রাহকদের বিনামূল্যে অ্যাক্সেস দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই AI চ্যাটবটটি ChatGPT এবং Google Gemini এর মতো বিনামূল্যে ব্যবহারের সুবিধা মিলবে না। এটি ব্যবহার করতে হলে গ্রাহকদের X এর প্রিমিয়াম প্ল্যান কিনতে হবে। চ্যাটজিপিটি এবং গুগলের জেমিনির এআই মডেলের বিকল্প হিসাবে ২০২৩ সালেই কৃত্রিম মেধা ‘গ্রক’ তৈরি করেছে মাস্কের সংস্থা। পরে গ্রককে এক্স-এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। তারপর তা ধাপে ধাপে উন্নত করা হয়। মাস্কের এই এআই টুল সারা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতীয়দেরও মধ্যেও বেশ জনপ্রিয়।

    একটি সুপার কম্পিউটারের থেকে কোনও অংশে কম নয়

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে লঞ্চ হওয়ার পরেই সংস্থার তরফে জানানো হয়, Grok ব্যবহার করার সুবিধা পাওয়া যাবে ম্যাক ওএস এবং উইন্ডোজে। তবে নতুন এক্সআই চ্যাটবটের লঞ্চের পর এক্স মাধ্যমের প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের রেট বা খরচও বেড়েছে। জানা যাচ্ছে, একটি সুপার কম্পিউটারের তুলনায় কোনও অংশে কম নয় এক্সআই-এর Grok চ্যাটবট। অসম্ভব শক্তিশালী ভাবে তৈরি হয়ে রয়েছে এই মাধ্যম।

    গ্রক-২ এর চাইতে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী

    কলোসাস সুপারকম্পিউটারে চালিত এই চ্যাটবট পূর্বতন জেনারেশনের (গ্রক ২) চাইতে ১০ গুণ শক্তিশালী বলে জানানো হয়েছে। উন্নততর যুক্তি আর বিপুলতর জ্ঞানভাণ্ডারকে ফর্মুলা বানাতে কাজে লাগানো হয়েছে। যেকোনও কোডিং, জটিল অঙ্ক সমাধান, ছবি তৈরি, নির্দেশমাফিক কাজ করা তো নস্যি এই চ্যাটবটের কাছে। গ্রকের নবতম অবতার গ্রক-৩ আপনার পছন্দের গেম মিলিয়ে-মিশিয়ে নতুন কোনও গেমও বানাতে পারে। আর সেটাও চোখের নিমেষে! বাকি চ্যাটবট স্রেফ আদেশটুকু পালন করেই ক্ষান্ত থাকে। গ্রক এই সমাধানের সমস্ত পর্যায় নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম। যুক্তির প্রতিটি স্তর তুলে ধরে।

    ব্যবহার করতে সুপার গ্রক নামে একটি নতুন সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান নিতে হবে

    এছাড়াও, এটি ব্যবহার করতে সুপার গ্রক নামে একটি নতুন সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানও নিতে হবে। এই প্ল্যানটি Grok অ্যাপ এবং নতুন চালু হওয়া ওয়েবসাইট grok.com-এ উপলব্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। লঞ্চের আগে, ইলন মাস্ক এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট এআই বলে অভিহিত করেন। গ্রক ৩ সরাসরি OpenAI-এর ChatGPT সাথে প্রতিযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। OpenAI-এর ChatGPT চালু হওয়ার পর থেকে, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির মধ্যে AI টুল চালু করার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। বিগত এক বছরে অনেক AI টুল বিশ্ববাজারে লঞ্চ হয়েছে। সম্প্রতি, চিনও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে এনেছে ডিপসিক।

    অন্যান্য এআই টুলের থেকে অনেক উন্নত

    নতুন এআই টুল Grok 3-তে অন্যান্য AI টুলের তুলনায় অনেক উন্নত এবং স্মার্ট ফিচার্স পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইলন মাস্ক এমন এক সময়ে গ্রক ৩ চালু করছেন যখন সারা বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে। এই আবহে আবার খবর সামনে এসেছে, ওপেনএআই-এর স্যাম অল্টম্যান এবং টেসলার সিইও ইলন মাস্কের মধ্যে দ্বন্দ্বের। সম্প্রতি নাকি ইলন মাস্ক ওপেন এআই কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু টেসলা কর্তার প্রস্তাব ওপেন এআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

    কী বলছেন ইলন মাস্ক

    এই প্রসঙ্গে বলা দরকার, একটা সময় ছিল যখন ইলন মাস্ক নিজেই ছিলেন ওপেন এআই-এর প্রতিষ্ঠাতা দলের সদস্য। ওপেন এআই ২০১৫ সালে শুরু হয়েছিল। এর কিছুদিন পরেই, মাস্ক তার নিজস্ব এআই টুল চালু করার প্রস্তুতি শুরু করেন। এখন আপনি সহজেই X প্ল্যাটফর্মে Grok AI ব্যবহার করতে পারেন। টেসলা কর্তা জানিয়েছেন, Grok- এর সাহায্যে প্রযুক্তিগত বিভিন্ন আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা খুবই সহজে সম্ভব হবে। পৃথিবী, মহাকাশ, মহাজাগতিক বিষয় সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান এখনও যথেষ্টই সীমিত। সেই জ্ঞানের ভাণ্ডারের বিস্তার হবে Grok- এর সাহায্যে। এর পাশাপাশি নতুন নতুন আবিষ্কারও সম্ভব বলে জানিয়েছেন মাস্ক। জানা গিয়েছে, Grok আসলে একটি জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চ্যাটবট। ইলন মাস্ক আরও জানিয়েছেন, Grok হল ‘স্মার্টেস্ট এআই অন আর্থ’। এক্স মাধ্যমে এমনটাই ঘোষণা করেছেন এই ধনকুবের।

  • IRDAI: স্বাস্থ্যবিমা, জীবনবিমায় কমতে পারে জিএসটি! এপ্রিলেই মন্ত্রী গোষ্ঠীর বৈঠক

    IRDAI: স্বাস্থ্যবিমা, জীবনবিমায় কমতে পারে জিএসটি! এপ্রিলেই মন্ত্রী গোষ্ঠীর বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যবিমায় (Health insurance) কি জিএসটি (GST) কমিয়ে আমজনতাকে স্বস্তি দিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার? সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, জিএসটি হ্রাস করা নিয়ে পরিকল্পনা চালাচ্ছেন তাঁরা। খুব শীঘ্রই সে সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। ভারতের বিমা নিয়ন্ত্রক ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (IRDAI) স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি হ্রাস করার বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেছে। এপ্রিল মাসেই গ্রুপ অফ মিনিস্টার্সের (Ministers to Meet) বৈঠক হওয়ার কথা।

    বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা

    জানা গিয়েছে, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর নেতৃত্বে কাউন্সিল মে মাসে তার পরবর্তী বৈঠকে প্রস্তাবগুলি বিবেচনা করতে পারে। সেইসমস্ত প্রস্তাব জিএসটি কাউন্সিলে জমা দেওয়া হবে। এর পর জিএসটি কাউন্সিল (GST Council) তার পরবর্তী বৈঠকে জীবন ও স্বাস্থ্য বিমার উপর জিএসটিতে ছাড় দেওয়া সম্ভব কিনা সেটি বিবেচনা করে দেখবে। এপ্রিলের শেষে বা মে মাসের শুরুতে মন্ত্রীদের ১৩ সদস্যের দল বৈঠকে বসতে পারে। মেয়াদী বিমার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি সম্পূর্ণরূপে বাতিল করার বিষয়ে রাজ্যগুলি একমত ছিল। তবে এ বিষয়ে ভারতের বিমা নিয়ন্ত্রক ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (IRDAI) কোনও মন্তব্য না করায় এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি।

    মন্ত্রীদের দলে কারা রয়েছেন

    ১৩ সদস্যের মন্ত্রীদের দলে রয়েছেন উত্তর প্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশ কুমার খান্না, পশ্চিমবঙ্গের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কেরলের অর্থমন্ত্রী কেএন বালগোপাল, রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের মতো বিশিষ্ট জনেরা ৷ তবে স্বাস্থ্য বিমা প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি কমানো বা অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আলোচনা এবং প্রস্তাবনা থাকলেও, ২০ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত, ৫ লক্ষ টাকার বেশি কভারেজ সহ পলিসির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিমা প্রিমিয়ামের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বহাল রয়েছে।

    জিএসটি কাউন্সিল-এর পরবর্তী পদক্ষেপ

    জিএসটি কাউন্সিল পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে। জিএসটি কাউন্সিল বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে এবং জীবন ও স্বাস্থ্য বীমার উপর জিএসটি হার পর্যালোচনা করার জন্য একটি মন্ত্রীগোষ্ঠী (জিওএম) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীগোষ্ঠী প্রবীণ নাগরিকদের জন্য মেয়াদী জীবন বিমা পলিসি এবং স্বাস্থ্য বিমা পলিসির প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি ছাড় দেওয়ার সুপারিশ করেছে।

LinkedIn
Share