Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Amit Shah: ‘‘আরও ২০ বছর বিরোধী বেঞ্চেই বসতে হবে’’, নাম না করে সংসদে কংগ্রেসকে নিশানা শাহের

    Amit Shah: ‘‘আরও ২০ বছর বিরোধী বেঞ্চেই বসতে হবে’’, নাম না করে সংসদে কংগ্রেসকে নিশানা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করে না বিরোধীরা। অন্য দেশের বক্তব্যকে মান্যতা দেয়। বিরোধী দলে বিদেশিদের গুরুত্ব আছে। তাই তারা দেশের সংসদে বিরোধী বেঞ্চে বসে রয়েছেন। ভবিষ্যতেও তাই থাকতে হবে। সরাসরি নাম না করে সংসদেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংসদের অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সময় বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতিতে আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। বিদেশমন্ত্রী বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এদিন বিরোধীদের তোপ দাগেন অমিত শাহ (Amit Shah)।

    কী বললেন শাহ

    সংসদে বিরোধীদের তোপ দেগে শাহ (Amit Shah) বলেন,“ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যে বিশ্বাস নেই বিরোধীদের। অথচ অন্য দেশের বক্তব্যে তাদের আস্থা আছে। এই নিয়ে আমার আপত্তি রয়েছে। তাদের দলে বিদেশিদের গুরুত্ব আমি বুঝি। তার মানে এই নয়, দলের বিষয় এখানেও চাপাবে। এই কারণে তারা বিরোধী বেঞ্চে বসে রয়েছে। এবং আগামী ২০ বছর বিরোধী বেঞ্চেই বসে থাকবে।” বারবার ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে নিজের অবদান জাহির করে কৃতিত্বের দাবি করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় বিরোধীরা। সেই মর্মেই লোকসভায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ ডিবেটে ভাষণ রাখতে গিয়ে এস জয়শঙ্কর হট্টগোলের মুখোমুখি হন।

    জয়শঙ্করের দাবি

    পহেলগাঁও হামলার দিন অর্থাৎ ২২ এপ্রিল থেকে ১৭ জুনের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনও কথা হয়নি বলে সংসদে জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, গত ৯ জুন জেডি ভান্স প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, পাকিস্তানের তরফে হামলা হবে। প্রধানমন্ত্রীও তখন বলেছিলেন, পাকিস্তান হামলা করলে তার যোগ‍্য জবাব দেবে ভারত। আর ভারত সেটা দিয়েছে বলেই উল্লেখ করেন এস জয়শঙ্কর। জয়শঙ্কর আরও বলেন, “আমরা ১০ তারিখে ফোন পাই যে পাকিস্তান আলোচনা করতে প্রস্তুত। আমরা জানাই, পাকিস্তান চাইলে তারা সরাসরি কথা বলুক। এটুকুই হয়েছিল।” বিদেশমন্ত্রীর এই বক্তব্যেরই প্রতিবাদ জানিয়ে সংসদে হট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। তখনই বিরোধী সাংসদদের আচরণে বিরক্ত হয়ে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন অমিত শাহ।

  • BJP Attacks Mamata: মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিও ‘‘ভুয়ো’’ বলল দিল্লি পুলিশ, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা’’ আক্রমণ বিজেপির

    BJP Attacks Mamata: মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিও ‘‘ভুয়ো’’ বলল দিল্লি পুলিশ, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা’’ আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালিদের ওপর নির্যাতন নিয়ে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যা অভিযোগ ফাঁস হয়ে যেতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে একহাত নিল বিজেপি। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের দাবি, মমতার মিথ্যাচার মানুষ বুঝে গিয়েছে। তৃণমূলকে আক্রমণ করে গেরুয়া শিবিরের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী কি এতটাই নিচে নেমে গেছেন?

    বাংলা ভাষা ও বাঙালি অস্মিতার আড়ালে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল যে কতটা নোংরা রাজনীতি করে চলেছে তার জলজ্যান্ত প্রমাণ সামনে এল। মুখোশ খসে পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুয়ো ন্যারেটিভের। আরও একবার প্রকট হল তৃণমূলের উস্কানিমূলক ও মিথ্যাচারে ভরা বিদ্বেষমূলক নীতি। রবিবার, মমতা একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেন, আধার যাচাইয়ের নামে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের ওপর নির্যাতন করছে দিল্লি পুলিশ। তাঁর অভিযোগ ছিল, এক বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী এবং শিশুপুত্রকে মারধর করছে দিল্লি পুলিশ।

    কী অভিযোগ ছিল?

    মমতার পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, তাঁর দেড় বছরের শিশু ও স্ত্রীকে কীভাবে মেরেছে দিল্লি পুলিশ, সেই বর্ণনা দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। আক্রান্ত মহিলা দাবি করেছিলেন, সাধারণ পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর ঘরে এসে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। এর পর তাঁকে ও তাঁর শিশুসন্তানকে জোর করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর দেড় বছরের শিশুসন্তানকে কোল থেকে নিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। যার জেরে আহত হয় শিশুটি। এর পর ওই মহিলার স্বামী ২৫ হাজার টাকা দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের মুক্ত করেন।

    কী বলল দিল্লি পুলিশ?

    সোমবার, মমতার তোলা যাবতীয় দাবিকে ‘‘ভুয়ো’’ বলে উড়িয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ। সংবাদমাধ্যমকে দিল্লি পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভিডিও পোস্ট করেছেন তা “ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার”। আরও জানানো হয়, শাজনুর পারভিন নামে মহিলা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য এবং ভিত্তিহীন। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবি খারিজ করে দেন পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডিসিপি অভিষেক ধানিয়া। তিনি বলেন, “স্থানীয় গোয়েন্দার মাধ্যমে সেই ভিডিওর ভিত্তিতে তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। নানা প্রযুক্তিগত পরীক্ষানিরিক্ষাও করা হয় এবং সেই ভিত্তিতেই একাধিক প্রমাণ জড়ো করে তদন্তকারী দল।”

    ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা…

    দিল্লি পুলিশের ওই আধিকারিকের দাবি, ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তিনি নিজের ইচ্ছে মতো তাঁর বাসস্থানের কাছাকাছি বিভিন্ন গলিতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন সঙ্গে ২ সন্তান। ফলে, বিবরণের সঙ্গে ছবি না মেলায় সত্যতা জানতে মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সময় ওই মহিলা স্বীকার করেন, মালদার চাঁচলে তাঁর এক আত্মীয় রয়েছেন, যিনি তৃণমূল কর্মী। তাঁর কথাতেই ওই ভিডিও তৈরি করেছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন ওই মহিলা। পরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর সঙ্গেই অভিষেক ধানিয়া বলেন, ‘‘দিল্লি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই ইচ্ছাকৃত ভাবে ভিডিওটি সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে।’’

    মমতাকে তুলোধনা বিজেপির

    দিল্লি পুলিশের এই সাংবাদিক বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম আক্রমণ শুরু করে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা জেনে গেছে জনতা।’’ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এই পুরো ঘটনাটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পনা করে করেছেন। বিষয়টি শুধু বাঙালির জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়, বরং বিভক্ত করার মরিয়া প্ররোচনা!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কি এতটাই নিচে নেমে গেছেন যে আপনার বাড়ির বাচ্চাদের কোটিপতি করতে হবে বলে আপনি বাচ্চাদের নিয়েও রাজনীতি শুরু করে দিয়েছেন? আপনার লজ্জা করে না? এরকম নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রীর গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’

  • Illegal Bangladeshi: অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরিয়ে দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ীরা?

    Illegal Bangladeshi: অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরিয়ে দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমদানি হয়েছে বাংলার ভাষার উপর সন্ত্রাসের এক নতুন তত্ত্ব। এই তত্ত্বে আবার সিলমোহর দিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ডাকও দিয়েছেন মাননীয়া। আপনারা নিশ্চয় জানেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে দেশজুড়ে চলছে অভিযান। পদ্মা পার থেকে আসা বাংলাদেশিরা বাংলাতেই কথা বলেন। ঠিক আমি আপনি যেমন বলি। আবার তাদের শারীরিক গঠনও পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের সঙ্গেই মিলে যায়। দিনকয়েক আগেই গুরগাঁও পুলিশের হাতে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে, যাদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত রাখা হয় ১০ জনকে, বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কারণ, এই ১০ জন ছিল সবাই অনুপ্রবেশকারী। The Wire সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে (Illegal Bangladeshi)।

    অভিযানে সবচেয়ে বেশি খুশি বাঙালি পরিযায়ীরাই

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Bangladeshi) বিরুদ্ধে এই অভিযান শুধুমাত্র যে বিজেপি শাসিত রাজ্যে চলছে, এমনটা নয় — দেশজুড়েই চলছে। সিপিএম শাসিত কেরালা কিংবা ডিএমকে শাসিত তামিলনাড়ুতেও চলছে। আর সত্যি কথা বলতে, এই অভিযানে সবচেয়ে বেশি খুশি বাঙালি পরিযায়ীরাই। অনেকেই বলছেন, সন্দেহভাজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরিয়ে দিতে ভিনরাজ্যের প্রশাসনকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে আমাদের রাজ্যের পরিযায়ীরাই। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসন কখনোই সেই খবরদাতাদের পরিচয় প্রকাশ করছে না। কেন জানেন? একেবারে নিরাপত্তার স্বার্থে। আপনাদের কৌতূহল জাগছে, কেন বাঙালি পরিযায়ীরা ধরিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজব আজ। এক কথায়, এর উত্তর হচ্ছে — বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভিড়ে একের পর এক কাজ হারাচ্ছিলেন বাংলার হতভাগ্য পরিযায়ী শ্রমিকরা। স্বাভাবিক, এটাই। পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। তাই নিজেদের পেট বাঁচাতেই তারা ভিনদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে তাঁরা প্রশাসনকে খবর দিচ্ছেন।

    বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক এখন কত বলা মুশকিল

    জানেন কি এই মুহূর্তে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ঠিক কত — সঠিক তথ্য কারও কাছেই নেই। ২০১১ সালে হয়েছিল শেষ জনগণনা। তখন বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিক সংখ্যা কত ছিল তা জানা গিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই সংখ্যা নেই কারও কাছেই। সে সময় বাংলা ছিল সারা দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে। তার আগে ছিল উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান। মানে, একদা যে রাজ্যগুলোকে বিমারু রাজ্য বলা হত (West Bengal)। তবে গত এক দশকে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান তড়তড়িয়ে এগিয়ে গেছে, আর পিছিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০২৬ সালের জনগণনা যতক্ষণ না হয়, বলা খুব মুশকিল যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক এখন কত (Illegal Bangladeshi)।

    নোংরা ঘেঁটে বিক্রয় যোগ্য জিনিস সংগ্রহ করেন বাঙালি পরিযায়ীরা

    ইতিমধ্যে ‘The Indian Journal of Labour Economics’-এ একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। সমীক্ষার শিরোনাম ছিল Bengali Migrant Workers in South India। এখানে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তাতে চোখে জল আসবে আপনারও। কি বলা হয়েছে জানেন? বলা হয়েছে, বাঙালি পরিযায়ীদের একটা বড় অংশ “Rag Pickers” — মানে, আস্তাকুঁড় থেকে নোংরা ঘেঁটে যা কিছু বিক্রয়যোগ্য জিনিস, তা সংগ্রহ করেন এবং সেগুলো তাঁরা মহাজনের কাছে পৌঁছে দেন। এভাবেই চলে তাঁদের পেট। এই আস্তাকুঁড়ের নোংরা ঘেঁটে যারা বিক্রয়যোগ্য জিনিস সংগ্রহ করে, তাঁদের ৭৮.৬ শতাংশই একেবারে নিরক্ষর।

    বাঙালি রক্ষার জিগির তুলে নিজের ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে চাইছেন মমতা

    কয়েকদিন আগে গুরগাঁওয়ের যে খাটোলা গ্রাম থেকে বাংলাভাষীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানকার পরিচিতিও “Bengali Rag Pickers’ Colony” হিসেবে দেওয়া হয়। ভিনদেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এখানেই ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন। যার ফলে কাজ হারাচ্ছিলেন বাংলার হতভাগ্য পরিযায়ীরা। তাই স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের পেট বাঁচাতে ও স্বার্থ রক্ষায় তাঁরা যা করার, সেটাই করেছেন। আসলে মমতা ব্যানার্জী বাঙালি রক্ষার জিগির তুলে নিজের ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে চাইছেন। তাঁর এই খেলা ধরে ফেলেছেন বাংলার গরিব পরিযায়ীরা। তাই নিজেদের কাজ বাঁচাতে তাঁরাই এখন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করছেন।

  • Nimisha Priya: কেরলের নার্স প্রিয়া নিমিশার মৃত্যুদণ্ড খারিজ ইয়েমেনে! দাবি গ্র্যান্ড মুফতির

    Nimisha Priya: কেরলের নার্স প্রিয়া নিমিশার মৃত্যুদণ্ড খারিজ ইয়েমেনে! দাবি গ্র্যান্ড মুফতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ আইনি লড়াই ও কূটনৈতিক আলোচনার পর অবশেষে স্বস্তি। ইয়েমেনে (Yemen) খুনের অপরাধে জেলবন্দি নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya) মৃত্যুদণ্ড রদ করে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে, ভারতীয় সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মগুরু, গ্র্যান্ড মুফতি কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার দফতর। ভারত সরকারের সহায়তায় এই কাজ সফল হয়েছে। বিদেশমন্ত্রক সবসময় সঙ্গে ছিল এমনই দাবি, নিমিশার পরিবারের।

    নিমিশার মৃত্যুদণ্ড খারিজ কীভাবে

    এএনআই সূত্রে খবর, গ্র্যান্ড মুফতির কার্যালয় জানিয়েছে, গত ১৬ জুলাই মৃত্যুদণ্ড পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল নিমিশার (Nimisha Priya)। এবার সেই সাজা পুরোপুরি বদলে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ইয়েমেনের রাজধানী সানায় দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা খারিজ করা হয়েছে। তবে, ইয়েমেন বা ভারত সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও করা হয়নি। উল্লেখ্য, এক ব্যক্তিকে হত্যার অপরাধে ২০১৭ সাল থেকে ইয়েমেনের জেলে বন্দি রয়েছেন নিমিশা। ২০১৮ সালে এই মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় ইয়েমেনের আদালত। তাঁর প্রাণ বাঁচাতে এত বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে এসেছে নিমিশার পরিবার। প্রবাসী ভারতীয় ওই যুবতীর প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছলে তা খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট রশিদ মহম্মদ আল আলিমি। নিমিশার ফাঁসির আদেশ কার্যকর হওয়া আটকাতে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয় তাঁর পরিবার। কেন্দ্রীয় সরকার যাতে বিষয়টিতে কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ করে, সেই আর্জি জানান তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড রদ করতে তৎপর হয় বিদেশমন্ত্রক।

    ভারতের কৃটনৈতিক জয়

    কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পর দেখা যায়, নিমিশার (Nimisha Priya) মৃত্যুদণ্ড আটকানোর একমাত্র উপায় ছিল ‘ব্লাড মানি’। এই পরিস্থিতিতেই কেরলের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মগুরু কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার। ইয়েমেনের ধর্মীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন তিনি। যদিও রক্তের দাম নিতে শুরু থেকেই নারাজ ছিলেন মৃত তালাল মেহেদির ভাই আবদুল মেহেদি।। এই পরিস্থিতিতে রক্তের দামের বিনিময়ে মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পেলেন নিমিশা নাকি ‘ব্যাক চ্যানেল’ কূটনৈতিক আলোচনায় ভারত সরকারের এই সাফল্য! এখনই এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে নারাজ কোনও পক্ষই। তবে এই ঘটনা যে মোদি সরকারের বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য তা মানছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Influenza: ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপটে বাড়ছে‌ ভোগান্তি! সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    Influenza: ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপটে বাড়ছে‌ ভোগান্তি! সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    লাগাতার বৃষ্টিতে জেরবার রাজ্যবাসী।‌ বিভিন্ন জায়গায় জমা জল, বন্যা পরিস্থিতির দুর্ভোগের পাশপাশি স্বাস্থ্য সঙ্কট বাড়তি ভোগান্তি তৈরি করছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আট থেকে আশি, কমবেশি সকলেই জ্বরের (Influenza) কবলে। সর্দি-কাশির সঙ্গে জ্বর। গোটা শরীরে মারাত্মক যন্ত্রণা। দিন তিনেকের এই ভোগান্তির জের থাকছে কয়েক সপ্তাহ। ওষুধ খেয়ে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলেও, ক্লান্তিবোধ থাকছে। যে কোনও স্বাভাবিক কাজেও বিশেষ এনার্জি পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে নিয়মিত কাজের গতি কমছে। সাধারণ কিছু কাজ করার পরেও শরীরে অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। অনেকের মাথা ঘোরা, পেশিতে খিঁচুনি অনুভব হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই জ্বর (Viral Fever) মোকাবিলায় তাই বাড়তি তৎপরতা জরুরি।

    কেন জ্বর (Influenza) হচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ এখন জ্বরে কাবু। কিন্তু আসল ‘ভিলেন’ আবহাওয়া। তাঁরা জানাচ্ছেন, লাগাতার বৃষ্টির জেরেই বিপদ বাড়ছে। মাঝেমধ্যে তাপমাত্রার মারাত্মক রকমফের হচ্ছে। হঠাৎ করেই তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। রোদের প্রকোপ বাড়ছে। ঘাম হচ্ছে। আবার তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রবল বৃষ্টি। যার জেরে তাপমাত্রার পারদ হঠাৎ করে কমে যাচ্ছে। আবার যারা নিয়মিত বাইরে যাতায়াত করেন, তাদের অনেক সময়েই বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে‌। জমা জলেই যাতায়াত করতে হচ্ছে। আর এর ফলেই শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের (Viral Fever) ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় একাধিক ভাইরাস বাতাসে সক্রিয় থাকে। সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়লে, রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই শিশু থেকে বয়স্ক, কমবেশি সকলেই জ্বরে নাজেহাল।

    জ্বরের পরে কোন উপসর্গ ভোগান্তি বাড়াচ্ছে?

    তবে ওষুধ খেয়ে জ্বর কমলেও দেখা যাচ্ছে, পরবর্তী বেশ কয়েকদিন নানান ভোগান্তি থাকছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাইরাস ঘটিত এই জ্বরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি ধাক্কা খাচ্ছে। শরীরের এনার্জি কম হচ্ছে। তাই আরও ভোগান্তি বাড়ছে। যেমন সাধারণ কাজ করলেও মাথা ঘুরছে, অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ তৈরি হচ্ছে। কোনো কাজ করার ইচ্ছে থাকছে না। শরীর সোডিয়াম ও পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানান উপাদানের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন পেশিতে খিঁচুনি দেখা যাচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে গেলেও, বুকে কিংবা পিঠে লাগাতার যন্ত্রণাও অনুভব হচ্ছে। এগুলো শরীরের ভোগান্তি আরও বাড়াচ্ছে।

    কীভাবে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জ্বর যাতে না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখার পাশাপাশি জ্বর হলে কীভাবে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা যায়, সে নিয়েও সচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগ সংক্রামক। তাই পরিবারের কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে আলাদা ঘরে থাকার ব্যবস্থা করা জরুরি। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের থেকে আক্রান্তকে আলাদা রাখা জরুরি। পাশপাশি এসি ঘরে থাকা এড়িয়ে চলা দরকার। এতে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। আবার নিয়মিত তুলসী পাতা দেওয়া জল, মধুর মতো ঘরোয়া উপাদানের সাহায্য নেওয়া জরুরি। যাতে এই ধরনের জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। তবে জ্বর হলে তার পরবর্তীতে কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে শরীর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। ক্লান্তিবোধ কমবে। পাশপাশি জ্বর পরবর্তী ভোগান্তিও কমানো যাবে।

    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই জ্বরের (Influenza) পরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। তার ফলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি আরও বেশি অনুভব করা যায়। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই জ্বরের পরে অনেকেই পর্যাপ্ত খাবার খেতে পারেন না। এর ফলে শরীর আরও দূর্বল হয়ে পড়ে। তাই আক্রান্তকে নিয়মিত লেবু কিংবা কিউই জাতীয় ফল খাওয়ানো জরুরি।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত অন্তত একটা লেবু বা কিউইয়ের রস করে খেলে শরীরে দ্রুত ভিটামিন সি-র জোগান হবে। এতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। আবার শরীর এনার্জিও ফিরে পাবে।

    নিয়মিত প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে

    নিয়মিত প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রোটিন থেকে শরীর সহজেই এনার্জি পায়। আর প্রোটিন পেশিকেও মজবুত রাখে। এর ফলে প্রোটিন নিয়মিত খেলে জ্বরের (Influenza) পরের ভোগান্তি কমবে। মাথা ঘোরা, ক্লান্তিবোধ কমবে। পেশিতে খিঁচুনি ও কমবে। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত একটা ডিম সিদ্ধ খাওয়া জরুরি। একাধিক ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ডিম এই সময়ে শরীরে বাড়তি উপকার দেবে। প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে তেল-মশলার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রোটিন হজম করতে সময় লাগে। তাই অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় প্রোটিন খাবার খেলে উপকার কিছুই হবে না। বরং হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, মটন, চিকেন, ডিম, সোয়াবিন বা পনীর যেকোনও প্রোটিন জাতীয় খাবার রান্নার সময় তেল ও মশলায় রাশ জরুরি। স্ট্রু কিংবা স্যুপ জাতীয় খাবার খেলে তবেই উপকার পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    এনার্জি জোগাতে নিয়মিত খান দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার

    শরীরে এনার্জি জোগাতে নিয়মিত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেকোনও সংক্রামক রোগ শরীরকে দূর্বল করে দেয়। দ্রুত এনার্জি ফিরে পেতে দুধ খুবই উপকারি। নিয়মিত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে শরীর এনার্জি ফিরে পায়। আবার হলুদ মেশানো দুধ খেলে আরও বাড়তি উপকার পাওয়া যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্বাসনালী বা বুকে কোনো ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে, তা কমিয়ে দিতে পারে হলুদ মেশানো দুধ।

    খেজুর, কাঠবাদাম, কিসমিস মেটাবে ঘাটতি

    খেজুর, কাঠবাদাম, কিসমিসের মতো খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই জ্বরের (Influenza) পরে শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এই ভারসাম্য বজায় রাখতে খেজুর, কাঠবাদাম, কিসমিসের মতো খাবার জরুরি। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার এনার্জির জোগান ঠিকমতো থাকে। ফলে কাজ করার ইচ্ছে তৈরি হয়।

  • Higher Education Commission: আলাদা ইউজিসি, এআইসিটিই থাকবে না, আসছে ভারতীয় উচ্চশিক্ষা কমিশন, জানালেন সুকান্ত

    Higher Education Commission: আলাদা ইউজিসি, এআইসিটিই থাকবে না, আসছে ভারতীয় উচ্চশিক্ষা কমিশন, জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক একটি উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে ভারতীয় উচ্চশিক্ষা কমিশন (Higher Education Commission) গঠনের লক্ষ্যে বিল খসড়া করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সোমবার লোকসভায় এই তথ্য জানাল (New Bill) কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। এদিন শিক্ষা বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার একটি লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ খবর জানান। তিনি বলেন, “জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) ২০২০ একটি ‘হালকা কিন্তু কঠোর’ নিয়ন্ত্রক কাঠামোর কথা বলে যার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার সততা, স্বচ্ছতা এবং সম্পদের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হবে নিরীক্ষা ও সর্বজনীন প্রকাশনার মাধ্যমে। এর পাশাপাশি স্বায়ত্তশাসন, সুশাসন ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে এটি উদ্ভাবন এবং প্রচলিত ধারা ভেঙে নতুন চিন্তাধারাকে উৎসাহিত করবে।”

    কী বললেন সুকান্ত

    তিনি বলেন, “জাতীয় শিক্ষানীতি আরও একটি উচ্চশিক্ষা কমিশন অফ ইন্ডিয়া গঠনের পরিকল্পনা করেছে, যা একটি ছাতার মতো প্রতিষ্ঠান হবে। এই কমিশনের অধীনে বিভিন্ন স্বাধীন শাখা থাকবে, যেগুলি আলাদা আলাদা কাজ করবে যেমন নিয়ন্ত্রণ, স্বীকৃতি প্রদান, অর্থায়ন এবং অ্যাকাডেমিক মান নির্ধারণ।” সুকান্ত বলেন, “জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-এর এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী মন্ত্রক বর্তমানে একটি উচ্চশিক্ষা কমিশন অফ ইন্ডিয়া বিলের খসড়া করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।”

    প্রস্তাবিত উচ্চশিক্ষা কমিশন অফ ইন্ডিয়া

    প্রসঙ্গত, নয়া এই শিক্ষানীতিতে প্রস্তাবিত উচ্চশিক্ষা কমিশন অফ ইন্ডিয়া বর্তমানে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পরিষদ এবং জাতীয় শিক্ষক শিক্ষা পরিষদের জায়গা নিতে যাচ্ছে। বর্তমানে ইউজিসি নন-টেকনিক্যাল উচ্চশিক্ষার তদারকি করে, এআইসিটিই করে (New Bill) প্রযুক্তিগত শিক্ষার তদারকি এবং এনসিটিই শিক্ষক প্রশিক্ষণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে কাজ করে (Higher Education Commission)।

    উচ্চশিক্ষা কমিশন অব ইন্ডিয়ার ধারণা আগেও একটি খসড়া বিলের মাধ্যমে আলোচিত হয়েছিল।
    ২০১৮ সালে ভারত সরকার একটি খসড়া বিলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে বিলুপ্ত করে নয়া “হায়ার এডুকেশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া” গঠনের প্রস্তাব দেয়। এই বড় ধরনের নিয়ন্ত্রক পরিবর্তন নিয়ে সরকার অংশীদারদের মতামতও চেয়েছিল। ওই খসড়া আইনটি স্পষ্টভাবে বর্তমানে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আইন বাতিল করার পরিকল্পনা তুলে ধরেছিল, যাতে ভারতের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি নতুন নিয়ন্ত্রক কাঠামো গড়ে তোলা যায়। এই খসড়া বিলের মাধ্যমে ভারতের উচ্চশিক্ষাকে পরিচালনার জন্য একটি সম্পূর্ণ নয়া ব্যবস্থা তৈরির লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছিল (New Bill)। এই ভারতীয় উচ্চশিক্ষা কমিশন বাস্তবায়নের প্রচেষ্টাকে নতুন করে ত্বরান্বিত করা হয় জুলাই ২০২১-এ ধর্মেন্দ্র প্রধান শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর (Higher Education Commission)।

  • Modi Government: ২ বছরে সাড়ে তিন কোটি চাকরি, মোদি সরকারের প্রকল্প চালু হচ্ছে ১ অগাস্ট থেকে

    Modi Government: ২ বছরে সাড়ে তিন কোটি চাকরি, মোদি সরকারের প্রকল্প চালু হচ্ছে ১ অগাস্ট থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের ১ অগাস্ট থেকে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করতে চলেছে ‘প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা’ (Modi Government)। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক এ বিষয়ে খবর নিশ্চিত করেছে এবং তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল—দেশে কর্মসংস্থানের প্রসার ঘটানো, কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা এবং যেসব খাত বা সেক্টর নতুনভাবে কর্মসংস্থান তৈরি করতে সক্ষম, তাদের বিশেষভাবে সহায়তা করা।

    ২ বছরে সাড়ে তিন কোটি চাকরি (Modi Government)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পটিকে অনুমোদন দিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় আগামী দুই বছরে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের সুবিধা ২০২৫ সালের ১ অগাস্ট থেকে ২০২৭ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে যেসব নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, সেগুলির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

    প্রকল্পের দুই ভাগ সম্পর্কে জানুন (Modi Government)

    পার্ট A: এই অংশটি তাঁদের জন্য, যাঁরা প্রথমবারের মতো কোনও চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন। যাঁরা ইপিএফ (EPF) স্কিমে নতুনভাবে নাম নিবন্ধন করবেন, তাঁরা প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ইপিএফ সুবিধা পাবেন। এই সুবিধাটি দুই কিস্তিতে প্রদান করা হবে—প্রথম কিস্তি ছয় মাস চাকরি করার পর, এবং দ্বিতীয় কিস্তি বারো মাস পূর্ণ হলে। তবে এই সুবিধা পেতে হলে কর্মীর মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ১৫,০০০ টাকার মধ্যে থাকতে হবে।

    পার্ট B: এই অংশটি নিয়োগদাতাদের জন্য। প্রতি অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের বিপরীতে সরকার নিয়োগকারীদেরকে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রণোদনা (ইনসেন্টিভ) দেবে, যা টানা দুই বছর পর্যন্ত প্রদান করা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান উৎপাদন খাতে কর্মী নিয়োগ করবে, তাদের জন্য এই প্রণোদনার পরিমাণ তৃতীয় ও চতুর্থ বছরেও বাড়ানো হবে (Modi Government)।

  • Mohan Bhagwat: “‘ভারতে’র অনুবাদ করলে নষ্ট হয়ে যাবে সম্মান,” বললেন ভাগবত 

    Mohan Bhagwat: “‘ভারতে’র অনুবাদ করলে নষ্ট হয়ে যাবে সম্মান,” বললেন ভাগবত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ভারতে’র (Bharat) অনুবাদ করা উচিত নয়, কারণ তাতে এর স্বাতন্ত্র্য এবং বিশ্বজুড়ে যে সম্মান তা নষ্ট হয়ে যাবে।” রবিবার এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “এখন আর ভারতের সোনার পাখি হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ সময় এসেছে সিংহ হয়ে ওঠার।” কেরালার কোচিতে আরএসএস ঘনিষ্ঠ শিক্ষা সংস্কৃতি উত্তান ন্যাস আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সম্মেলন জ্ঞান সভায় যোগ দিয়েছিলেন ভাগবত।

    ‘ভারতে’র অনুবাদ করা উচিত নয় (Mohan Bhagwat)

    সেখানেই তিনি বলেন, “ভারত একটি বিশেষ্য পদ। এর অনুবাদ করা উচিত নয়। ভারত-কে ভারত-ই থাকতে হবে। কারণ, যদি আমরা আমাদের পরিচয় হারিয়ে ফেলি, তবে আপনার যত গুণই থাকুক না কেন, এই জগতে আপনি সম্মান বা নিরাপত্তা পাবেন না। পরিচয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর পরিচয় নির্ভর করে আপনার ‘সংস্কৃতি’র ওপর। আমি ‘কালচার’ শব্দটি ব্যবহার করি না। আমরা যে শব্দটি ব্যবহার করি তা হল ‘ধর্ম-সংস্কৃতি’, এবং এর কোনও ইংরেজি প্রতিশব্দ নেই। আমাদের সংস্কৃতি জড়িয়ে রয়েছে ঐতিহ্যের সঙ্গে।”

    কী বললেন সরসংঘচালক?

    সরসংঘচালক বলেন, “ভারতের আর ‘সোনার পাখি’ হওয়ার দরকার নেই। বরং আজকের পরিস্থিতি দাবি করে যে ভারতকে এখন সিংহ হতে হবে। কারণ বিশ্ব আদর্শ নয়, শক্তিকে সম্মান করে। ভারতকে অর্থনৈতিক দিক থেকেও শক্তিশালী হতে হবে। বিশ্বের সর্বোত্তম প্রযুক্তিগুলিও এখানে দৃশ্যমান হতে হবে। তা না হলে বিশ্ব আমাদের মূল্য দেবে না।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমরা বিশ্ব শাসন করতে চাই না। আমরা চাই বিশ্বটি একটি সুন্দর জায়গা হয়ে উঠুক।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেরালার রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আর্লেকারও। ভাগবতের বক্তব্য সমর্থন করে তিনি বলেন, “পরবর্তী প্রজন্ম আর সোনার পাখি হতে চায় না। তারা চায় ভারত হোক সোনার সিংহ। পুরো বিশ্ব সেই সিংহের গর্জন দেখবে ও শুনবে। আমরা কাউকে ধ্বংস করতে আসিনি, বরং বিশ্বের উন্নয়নের জন্য নতুন কিছু দিতে এসেছি।”

    “শিক্ষায় ভারতীয়ত্ব” বিষয়ক বক্তৃতায় ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “ভারতকে জান এবং ভারতের অংশ হও — এই চেতনার মাধ্যমেই শিক্ষায় ভারতীয়ত্ব গড়ে উঠবে।শিক্ষা ক্ষেত্রে (Bharat) আমাদের অনেক জায়গায় সংস্কারের প্রয়োজন। কেবল পাঠ্যক্রমে সীমাবদ্ধ থাকলেই হবে না।”

  • Operation Mahadev: সন্দেহজনক রেডিও যোগাযোগই ধরিয়ে দিল! ‘অপারেশন মহাদেব’-এ কীভাবে ফাঁদে পড়ে জঙ্গিরা?

    Operation Mahadev: সন্দেহজনক রেডিও যোগাযোগই ধরিয়ে দিল! ‘অপারেশন মহাদেব’-এ কীভাবে ফাঁদে পড়ে জঙ্গিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার মাস্টারমাইন্ড হাসিম মুসা ও তার ২ সহযোগীকে খতম করল ভারতীয় সেনা। উপত্যকায় সোমবার বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা ও জম্ম-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। ঠিক যেই মুহূর্তে সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বক্তব্য রাখছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তখনই উপত্যকা থেকে বড় খবর দিয়েছে ভারতীয় সেনা। পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রীকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের কাছেই লিদওয়াসেতে দাচিগাঁওয়ের হারওয়ানের জঙ্গলে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর চিনার কোর। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন মহাদেব’ (Operation Mahadev)।

    সংঘর্ষে ৩ জঙ্গি নিহত

    সেনা সূত্রে খবর, নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তারা এ দেশের বাসিন্দা নয়। গোয়েন্দাদের একটি সূত্র বলছে, জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি মুসার। এই মুসা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে ছিল বলে খবর। সে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের। শ্রীনগরের দাচিগাঁওয়ে সোমবারের সংঘর্ষে নিহত আর দুই জঙ্গির নাম হল আবু হামজা এবং ইয়াসির। এমনটাই বলছে একটি সূত্র। এই দু’জনও মুসার মতো পাকিস্তানের বাসিন্দা। শ্রীনগর পুলিশের সিনিয়র সুপার জিভি সন্দীপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, নিহত তিন জন পাকিস্তানের। তাঁরা লস্করের জঙ্গি।

    কে ছিল এই হাসিম মুসা?

    হাসিম মুসা, যিনি সুলেমান মুসা নামেও পরিচিত, এর আগে পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ (এসএসজি) এর সাথে যুক্ত ছিল৷ যা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কমান্ডো শাখা। অর্থাৎ, পাক সেনায় কমান্ডোর শাখার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনাকর্মী ছিল সে৷ একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, লস্করকে নানা ভাবে এই ভাবেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনা ‘উপহার’ দিয়ে থাকে পাকিস্তানের সেনা৷ যাতে তারা সমান্তরাল সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং তাদের দিয়ে ভারতে নাশকতামূলক কাজ করা চালিয়ে যেতে পারে৷ সাধারণত, একটু বেশি বয়সি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনারাই যোগ দেয় লস্করের এই বিশেষ বিশেষ কাজগুলোতে৷ গোয়েন্দা সূত্র অনুসারে, মুসা পরবর্তীকালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দেয়। মুসা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর কাঠুয়া-সাম্বা সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। জম্মু ও কাশ্মীরে ঢোকার পরে, সে বদগাঁও, বারামুল্লা, রাজৌরি, পুঞ্চ এবং গান্ডেরওয়ালের মতো জেলাগুলোতে সক্রিয় ছিল। পহেলগাঁও হামলার পরে আটক ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের (OGWs) জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের অন্তত তিনটি হামলার সাথে মুসার যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়৷ যার মধ্যে রয়েছে গান্ডেরওয়াল এবং বারামুল্লায় হামলা, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী এবং অসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করা হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে সংগৃহীত ডিজিটাল গোয়েন্দা তথ্য এবং মানুষের থেকে জানা তথ্যের মাধ্যমে ওই অঞ্চলগুলিতে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছিল।

    কীভাবে ফাঁদে ফেলা হয় জঙ্গিদের?

    সূত্রের খবর, দাচিগাঁও অঞ্চলে সন্দেহজনক রেডিও সিগন্যাল ধরা পড়ে। এই সূত্র ধরে গত দু’দিন ধরে সেনার একাধিক টিম ওই অঞ্চলে টহল ও তল্লাশি চালায়। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ২৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেল ও ৪ প্যারা ইউনিটের একটি যৌথ দল তিন জঙ্গিকে চিহ্নিত করে তাৎক্ষনিকভাবে অভিযানে নেমে তাদের খতম করে। নিহত তিনজন একটি ঘন জঙ্গলে গাছের নীচে মাটির তৈরি অস্থায়ী বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিল। দীর্ঘ ১৪ দিন ধরে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর গতিবিধির উপর নজর রাখছিল সেনা। এটি ছিল লস্কর ও জৈশ-ই-মহম্মদের একটি যৌথ মডিউল। শ্রীনগরের কাছেই দাচিগাঁও ন্যাশনাল ফরেস্ট। তার কাছেই এক জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ি জায়গায় ছিল ত্রিপল ঢাকা এক এলাকা। রিপোর্ট বলছে, সেই ত্রিপল ঢাকা এলাকা থেকেই উদ্ধার হয়েছে মুসার দেহ। ২২ এপ্রিলের অভিশপ্ত দুপুরে পহেলগাঁওতে নিরস্ত্র ২৬ জনকে নিকেশ করে জঙ্গিরা। দ্য রেজিসটেন্স ফ্রন্ট নামের এক জঙ্গি সংগঠন তার দায় নেয়। সামনে আসে ৪ জঙ্গির স্কেচ। উপত্যকা জুড়ে শুরু হয় তল্লাশি। পহেলগাঁওতে হামলা চালানো সেই জঙ্গিদেরই মধ্যে একজন হল হাসিম মুসা। জঙ্গি দমনে এখনও অভিযান চলছে, আরও দুইজন জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের খোঁজা হচ্ছে। একটি জঙ্গিঘাঁটি সেনার নজরে এসেছে। সেখান থেকে অনেকগুলি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে একটি কমিউনিকেশন ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে, যা ডিকোড করে ‘সেফ হাউস ও পি-৩’ শব্দ সামনে এসেছে। যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Rajnath Singh: “যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের হাতে-পায়ে ধরেছিল পাকিস্তানই”, সংসদে রাজনাথ

    Rajnath Singh: “যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের হাতে-পায়ে ধরেছিল পাকিস্তানই”, সংসদে রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  “যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের হাতে-পায়ে ধরেছিল পাকিস্তানই।” সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা স্পষ্টভাবে বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।

    লোকসভায় শুরু ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনা

    সোমবার লোকসভায় শুরু হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনা। সংসদে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। সেই অধিবেশনে এই অভিযান নিয়ে আলোচনা শুরুর পরেই দাঁড়িয়ে উঠে বলতে থাকেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই আলোচনা অনেক আগেই শুরু হয়ে যেতে পারত। কিন্তু বিরোধীদের প্রতিবাদের কারণে সংসদ মুলতুবি থেকেছে।”

    ভারতীয় সেনার অবদান

    অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজনাথ মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় সেনার অবদানের কথাও। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অপারেশেন সিঁদুর (Operation Sindoor) আদতে ভারতীয় সেনার সাফল্যের কাহিনি। রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “অপারেশন সিঁদুর যে সাফল্য ছুঁয়েছে, সে প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য আজ এই সংসদ তৈরি। আমি সেই জওয়ানদের সম্মান জানাই, যাঁরা এই দেশের জন্য নিজেদের প্রাণ দান করেছেন, যাঁরা এখনও এই দেশের প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করে চলেছেন।” তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের আগে এর সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি করেই এগিয়ে গিয়েছে আমাদের সেনা। অপারেশনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে নজরে রাখা হয়েছে। মাথায় রাখা হয়েছে যেন কোনওভাবেই সাধারণ মানুষের প্রাণ না যায়। আর এভাবেই মাত্র ২২ মিনিটেই পাকিস্তানের ভেতরে থাকা ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, “ভারতের প্রত্যাঘাতের জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা আঘাত হানে। তবে দেশের আকাশরক্ষী সুদর্শন চক্র বা এস-৪০০ সেই হামলা প্রতিহত করে (Rajnath Singh)।”

    সেনাকে ফ্রি-হ্যান্ড

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের জন্য ভারতের সামরিক বাহিনীকে একেবারে ফ্রি-হ্যান্ড দেওয়া হয়েছিল। কোন কোন (Operation Sindoor) জায়গায় হামলা চালানো হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সামরিক বাহিনীই। একেবারে নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা করে হামলা চালানো হয়েছিল।” তিনি বলেন, “যেভাবে হনুমানজি লঙ্কায় নিজের রণনীতি তৈরি করেছিলেন, সে রকমভাবেই আমরা তাদের নিশানা করেছি, যারা আমাদের ক্ষতি করেছিল (Rajnath Singh)।”

    কীভাবে সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি

    কীভাবে সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি হয়েছে, এদিন তাও জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, ১০ মে পাকিস্তানের একাধিক এয়ারফিল্ডে প্রত্যাহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই পরিস্থিতিতে নিজেদের হার মেনে নিয়ে সংঘর্ষ-বিরতির জন্য ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে (Operation Sindoor) পাকিস্তান। আর ভারত সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে একটাই শর্তে, তা হল অপারেশন সিঁদুর কেবল স্থগিত করা হয়েছে। পাকিস্তান যদি ফের ভুলভাল কাজ করে, তাহলে আবারও পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। রাজনাথের জবাবেই স্পষ্ট, যেভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন, সেটা আদতে বিভ্রান্তিকর। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির জন্য ট্রাম্প বারবার নিজেই ক্রেডিট নিয়েছেন। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন (Operation Sindoor), “যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের হাতে-পায়ে ধরেছিল পাকিস্তানই (Rajnath Singh)।”

    রসদের জোগানে জোর রাজনাথের (Rajnath Singh)

    এর আগে, রবিবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজনাথ বলেছিলেন, “বন্দুক বা গুলি দিয়ে এখন আর যুদ্ধে জয়লাভ করা যায় না। যুদ্ধ জেতার অন্যতম হাতিয়ার এখন সামরিক রসদ সঠিক সময় জোগান দিতে পারা।” গতিশক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়ায় মে মাসে ভারতের অপারেশন সিঁদুর সে কথাই প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে।” ভারতের রেলমন্ত্রকের অধীন এই বিশ্ববিদ্যালয় মূলত জোগানকেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানকারই সমাবর্তনে ভাষণ দিতে গিয়ে যুদ্ধ জয়ের বর্তমান কৌশলটি বলে দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। রসদের জোগানকে একটি কৌশলগত সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করার ওপর জোর দেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “রসদের জোগানই একটি যুদ্ধক্ষেত্রকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করে। রসদের জোগান ঠিকঠাক না থাকলে গোটাটাই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পরিণত হবে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানোর পর প্রমাণিত হয়েছে একাধিক সংস্থার সমন্বয় কীভাবে প্রয়োজনীয় উপকরণ সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে। আধুনিক যুদ্ধ জয় এর ওপরই নির্ভর করে।” এর পরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধ কেবল বন্দুক এবং গুলি দিয়ে জেতা যায় না, বরং সময়মতো রসদ জোগানের ওপর নির্ভর করে (Operation Sindoor) কারা জিতবে, আর হারবেই বা কে।”

    ভিন্ন সেনার জন্য পৃথক রসদের ব্যবস্থা

    সব বাহিনীর জন্য যে একই রসদ নয়, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনায় রসদ জোগানের অর্থ ভিন্ন। সেনাবাহিনীর জন্য রসদ জোগানের অর্থ অস্ত্র, জ্বালানি, রেশন এবং ওষুধ প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া। আবার নৌবাহিনীর কাছে এর অর্থ হল জাহাজে খুচরো যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া। আর বায়ুসেনার কাছে এর অর্থ হল নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রাউন্ড সাপোর্ট দিতে থাকা। এর পাশাপাশি প্রয়োজন জ্বালানি সরবরাহ ঠিক রাখা।”

LinkedIn
Share