Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Bangladesh Election: ২০২৬ এপ্রিলে বাংলাদেশ নির্বাচনের ঘোষণা, রাজনৈতিক চাপে সময় কিনছেন ইউনূস?

    Bangladesh Election: ২০২৬ এপ্রিলে বাংলাদেশ নির্বাচনের ঘোষণা, রাজনৈতিক চাপে সময় কিনছেন ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Md Yunus) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি ঘোষণা করেন যে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতেই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন (Bangladesh Election) অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখযোগ্য যে, এর আগে বাংলাদেশের বিএনপি সহ প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই নির্বাচনের দাবি করেছিল। তবে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের দাবিকে উপেক্ষা করলেন ইউনূস। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক চাপের কারণে আসলে এভাবেই সময় কিনতে চাইছেন ইউনূস। একারণেই ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের পরিবর্তে, ২০২৬ সালের এপ্রিলে নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।

    শর্ত সাপেক্ষে ছাত্রদের জাতীয় নাগরিক দলের সমর্থন ইউনূসের সিদ্ধান্তকে

    বাংলাদেশের অন্যতম সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ছাত্রদের জাতীয় নাগরিক দল (এনসিপি) ইউনূসের ২০২৬ এপ্রিলের নির্বাচনের ঘোষণাকে সমর্থন করেছে। তারা জানিয়েছে, জুলাই মাসের ঘোষণা ও অন্যান্য সংস্কারমূলক কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে এপ্রিলেই নির্বাচন হলে অসুবিধা নেই।

    ইউনূসের সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলছেন ঢাকার শিক্ষাবিদ (Bangladesh Election)

    তবে ইউনূস (Md Yunus) যখন এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেন, তিনি কোনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ উল্লেখ করেননি। এনিয়েই ঢাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রেজাউল রহমান লেনিন এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অচলাবস্থা এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী আইন রয়েছে। এ কারণে মনে হয় না ইউনূস সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন (Bangladesh Election) পরিচালনা করতে পারবে।”

    বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চয়তার পরিবেশেই ৮ মাস দেশ শাসন ইউনূসের

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন হয়। জামাতদের ষড়যন্ত্রে দখল করা হয় গণভবন। দেশ ছাড়েন হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। এর পর মহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন (Bangladesh Election)। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর সরকারকে ঘিরে নানা বিতর্ক দেখা গেছে। দেশে বেড়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বেকারত্ব এবং ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচারের কারণে মুখ পুড়েছে ইউনূস সরকারের। প্রায় ৮ মাস এই বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চয়তার পরিবেশের মধ্যেই ইউনূস সরকার দেশ শাসন করছে।

    সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ছাত্ররা

    ইউনূসের ঘোষণার আগে তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা জানিয়েছিলেন যে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছাত্রদের দল এনসিপি দাবি তুলেছে, নির্বাচন কমিশনকে যেন বিএনপির প্রভাব মুক্ত হয়। তারা সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিতে চাইছে। এরপরে নির্বাচন করাতে চায় ছাত্ররা। অন্যদিকে, বিএনপি সমেত প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচন চায়।

    বিএনপির তাড়াহুড়োর কারণ (Bangladesh Election)

    বিএনপির এত তাড়া কিসের? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগ এখন দুর্বল অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশে। একটা সময়ে আওয়ামি লিগের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল বিএনপি। এই সুযোগ নিয়ে বিএনপি মসনদ দখল করতে চাইছে বাংলাদেশে। বিএনপির আশঙ্কা, সময় যত পেরিয়ে যাবে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যেতে পারে।

    সেনাপ্রধান কী বলেছিলেন?

    এদিকে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী গত ৫ জুন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন বিলম্ব করার অভিযোগ আনেন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম দৈনিক যুগান্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু বিএনপি নয়, দেশের প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল চলতি বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন চাইছে। শুধু রাজনৈতিক দল নয়, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানও ডিসেম্বর মাসেই নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, একটি নির্বাচিত সরকারই নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম।

    শীতকালে বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    সম্প্রতি মহম্মদ ইউনূস তাঁর উপদেষ্টা পরিষদকে জানিয়েছিলেন যে তিনি পদত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। এতে দেশজুড়ে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়। তবে পরে তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৫ সালের মধ্যেই একটি নির্বাচিত সরকার গঠন হওয়া প্রয়োজন। কারণ, বাংলাদেশে শীতকালই নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পরীক্ষা চলে, ফলে শিক্ষকরাও ব্যস্ত থাকেন। রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলিতেও লাগাম টানা হয়। তা সত্ত্বেও ইউনূস সরকার সরাসরি ঘোষণা করেছে যে নির্বাচন এপ্রিল মাসেই অনুষ্ঠিত হবে।

  • African Swine Fever: করোনা আবহে ভারতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার হানা! কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    African Swine Fever: করোনা আবহে ভারতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার হানা! কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফের ফিরছে আতঙ্ক! কয়েক বছর আগের স্মৃতি এখনো তাজা! আর তার মধ্যেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ আবার বাড়ছে। তাই বাড়ছে আতঙ্ক! কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। আর তার মধ্যেই দেশে হানা দিয়েছে নতুন রোগ। আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) দেশে ছড়িয়েছে। আর তার জেরেই বাড়তি উদ্বেগ।

    আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার কী?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (ASF Alert in India) একটি সংক্রামক রোগ। জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দির মতো সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বরের উপসর্গ এই রোগে প্রথমে জানান দেয়। কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন ফুসফুস, লিভার এবং হৃদপিণ্ড ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এর ফলে শরীরে একাধিক জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর আশঙ্কাও রয়েছে।

    ভারতের কোথায় এই সংক্রমণ হয়েছে?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের এক গ্রামে এই রোগের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। ওই গ্রামে মূলত পশু পালন করেই অধিকাংশ মানুষ জীবন নির্বাহ করেন। দিন কয়েক আগেই কয়েকজন এই আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) আক্রান্ত হয়েছেন। প্রশাসনের তরফে আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। গোটা গ্রামে ‘প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা’ জারি হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে গ্রামবাসীদের গ্রামের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কয়েক দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    কীভাবে এই রোগ ছড়ায়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) মূলত পশুবাহিত রোগ। অর্থাৎ, পশুর দেহেই এই রোগ ছড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, মূলত শুয়োরের দেহ থেকে এই রোগের ভাইরাস মানুষের দেহে পৌঁছয়। আর সেখান থেকেই সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অসমের যে গ্রামে এই রোগে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, সেখানেও শুয়োর থেকেই মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।

    কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) যথেষ্ট বিপজ্জনক। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়লে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সংক্রমণ রুখতে সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিশেষ করে করোনা আবহে আরও বাড়তি সতর্কতা জরুরি (ASF Alert in India) বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে থেকে ফেরার পথে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব?

    বিশেষত, যারা পশু পালনের কাজ করেন, এই পরিস্থিতিতে তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বারবার হাত পরিষ্কার রাখা এবং কাজের শেষে ঘরম জলে ভালোভাবে স্নান করা দরকার। যাতে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। ভিড় এলাকায় নাক ও মুখ ঢেকে রাখা জরুরি। কারণ নাক ও মুখের মাধ্যমেই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। তাই করোনা হোক বা আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার, যেকোনও সংক্রামক রোগ রুখতে মাস্ক সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    খাবারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) পশুর শরীর থেকেই মানুষের শরীরে পৌঁছয়। তাই যেখানে-সেখানে মাংসের তৈরি পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে পোর্কের পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন। যাতে স্বাস্থ্যের বাড়তি জটিলতা তৈরি না হয়, সেদিকে নজর রেখেই খাওয়া-দাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

  • Elon Musk: ভারতে ছাড়পত্র পেল ইলন মাস্কের সংস্থা, কবে থেকে মিলবে স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট পরিষেবা?

    Elon Musk: ভারতে ছাড়পত্র পেল ইলন মাস্কের সংস্থা, কবে থেকে মিলবে স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট পরিষেবা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ইলন মাস্কের (Elon Musk) সংস্থা স্টারলিঙ্ককে ছাড়পত্র দিল ভারত সরকার। ভারতে ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স পেয়ে গেল স্টারলিঙ্ক (Starlink)। ২০২২ সাল থেকে এই লাইসেন্সের জন্যই অপেক্ষা করছিল সংস্থাটি। শুক্রবারই জানা গিয়েছে, ভারতের টেলিকম মন্ত্রক স্টারলিঙ্ককে লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা মাস্কের সংস্থার তরফে এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

    স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট

    স্টারলিঙ্ক হল একটি ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এই সংস্থা দূরদুরান্তে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের বাজারে তারা প্রবেশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এবং আরও কিছু কারণে বার বার স্টারলিঙ্কের সরকারি ছাড়পত্র পাওয়া পিছিয়ে গিয়েছে। শেষমেশ মিলল ছাড়পত্র। তবে এখনও অ্যামাজনের কুপিয়েরকে লাইসেন্স দেয়নি কেন্দ্র।

    লো আর্থ অরবিট

    স্টারলিঙ্কের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, লো আর্থ অরবিট-এ অবস্থিত ছোট ছোট স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা দেয় মাস্কের এই সংস্থা। প্রসঙ্গত, ভূপৃষ্ঠের ১৬০ থেকে ২০০০ কিলোমিটার উচ্চতার মধ্যে কক্ষপথগুলিকে লো আর্থ অরবিট বলা হয়। নিচু অবস্থানের কারণে এই স্যাটেলাইট থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া যায়। ভারতের বাজারে স্টারলিঙ্ক (Starlink) ব্যবসা শুরু করলে ইন্টারনেট পরিষেবা আরও জোরদার হবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে স্টারলিঙ্কের অধীনে রয়েছে ৬ হাজার ৭৫০টি স্যাটেলাইট। তামাম বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ স্টারলিঙ্কের (Elon Musk) এই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।

    প্রসঙ্গত, ভারতের অন্যতম প্রধান দুই টেলিকম তথা ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থা এয়ারটেল এবং রিলায়েন্স জিওর সঙ্গে ইতিমধ্যেই স্টারলিঙ্কের চুক্তি হয়েছে। ভারতের বাজারে স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট আনার জন্য গত মার্চে মাস্কের স্পেসএক্সের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেছিল এয়ারটেল। পরে মুকেশ আম্বানিরাও একই চুক্তি করেন। তবে উভয়ক্ষেত্রেই চুক্তি ছিল শর্তাধীন। বলা হয়েছিল, ভারত সরকারের ছাড়পত্র পেলে তবেই স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট এ দেশে ব্যবহার করবে এয়ারটেল বা জিও। শেষমেশ (Starlink) মিলল সেই কাঙ্খিত ছাড়পত্র (Elon Musk)।

  • PM Modi: জি৭ সামিটে কানাডায় আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: জি৭ সামিটে কানাডায় আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ জি৭ (G7 Summit ) সামিটে আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কানাডায় হবে এই সম্মেলন। এই সম্মেলনেই যোগ দিতে মোদিকে আমন্ত্রণ জানালেন কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। এই বৈঠকে ভারতের যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। শেষমেশ কানাডা থেকে এল আমন্ত্রণ। এবং সে খবর জানালেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। শুধু তাই নয়, খালিস্তানি কাঁটায় দুই দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েন সত্ত্বেও কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে তিনি জানান, এই বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন তিনি।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক জে কার্নির ফোন পেয়ে খুশি হলাম। কানাডার সাম্প্রতিক নির্বাচনে জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন। চলতি মাসের শেষে কানানাস্কিসে আয়োজিত হচ্ছে জি৭ বৈঠক সেখানে আমায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ভিত্তিতে আবদ্ধ দুই গণতান্ত্রিক দেশ ভারত ও কানাডা। এক অপরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নতুন উদ্যমে হাতে হাত রেখে কাজ করতে প্রস্তুত দুই দেশ। এই সম্মেলনে আমাদের সাক্ষাতের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।

    জি৭ কী

    জি৭ হল বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির দেশগুলির একটি গোষ্ঠী। এর সদস্য দেশগুলি হল ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন, জাপান, আমেরিকা এবং কানাডা। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়ে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনের সময় এগিয়ে এলেও, ভারত ডাক না পাওয়ায় জল্পনা ছড়িয়েছিল। তাই ভারত ওই সম্মেলনে যোগ দেবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছিল। শেষমেশ এল আমন্ত্রণ (PM Modi)। এই বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি এই বৈঠকে আমন্ত্রিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও রাষ্ট্রসংঘ।

    কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জমানায় গত কয়েক বছর ধরে ভারত ও কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল খালিস্তান ইস্যুতে। কানাডার মাটিতে খালিস্তানি নিজ্জর খুনে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন (PM Modi) ট্রুডো। যদিও ভারত তা অস্বীকার করে। তার জেরে ভারত- কানাডা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। ঘরে-বাইরে সমালোচনার জেরে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন ট্রুডো। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে এসে মার্ক কার্নি যে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চান, মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোই তার প্রমাণ (G7 Summit )।

  • PM Modi: ‘‘পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে দাঙ্গা লাগানো’’, ভূস্বর্গে দাঁড়িয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে দাঙ্গা লাগানো’’, ভূস্বর্গে দাঁড়িয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Incident) মানবতা ও কাশ্মীরিয়তের ওপর আঘাত হেনেছে পাকিস্তান। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে দাঙ্গা লাগানো এবং পরিশ্রমী কাশ্মীরিদের জীবিকা ব্যাহত করা। সেই কারণেই তারা পর্যটকদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে।”

    প্রধানমন্ত্রীর মুখে আদিলের কথা (PM Modi)

    শুক্রবার ভূস্বর্গে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় মৃত্যু হয় স্থানীয় সহিস আদিল হুসেনের। এদিন কাশ্মীরের জনসভায় সেই আদিলের প্রসঙ্গও টানলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “কেউ ঘোড়া চালান, কেউ আবার গাইড – সকলকে শেষ করার ষড়যন্ত্র ছিল পাকিস্তানের। সন্ত্রাসবাদীদের সামনে রুখে দাঁড়ানো আদিলও তো ওখানে রোজগারের আশায় গিয়েছিল। পরিবারের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দেওয়ার জন্য কাজ করত। সেই আদিলকেও মেরে দিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান কাশ্মীরের পর্যটনের ওপর হামলা করেছে। এই পর্যটন থেকে জম্মু-কাশ্মীরের গরিব মানুষদের সংসার চলে, সেই পর্যটনকে নিশানা করেছে পাকিস্তান।” তিনি বলেন, “পর্যটন থেকে রোজগার বাড়ে। পর্যটন মানুষকে জোড়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের যে পড়শি দেশ মানবতাবিরোধী এবং পর্যটনবিরোধী। পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিল যা হয়েছে, এটা তার উদাহরণ।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তান পহেলগাঁওয়ে মানবতার ওপর আঘাত করেছে।”

    মোকাবিলা করবে মোদি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের যুব সমাজ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি। বছরের পর বছর সন্ত্রাসবাদের কারণে জম্মু-কাশ্মীরে অনেক ক্ষতি হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের কারণে এখানকার মানুষ স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিয়েছিল। সন্ত্রাসবাদকেই নিজেদের ভাগ্য বলে মেনে নিতে শুরু করেছিল। তবে আমরা সেটা পাল্টে দিতে পেরেছি। এখন জম্মু-কাশ্মীরের যুব সমাজ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। শুধু তা-ই নয়, তা পূরণও করছে।” তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের বিকাশ বন্ধ হবে না। এখানকার যুব সমাজের স্বপ্নপূরণে যদি কোনও বাধা আসে, তবে সেই বাধার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করবে মোদি।”

    প্রধানমন্ত্রীর মুখে প্রত্যাশিতভাবেই উঠে আসে (PM Modi) অপারেশন সিঁদুরের কথা। তিনি বলেন, “৬ মে রাতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের ওপর হামলা চলে। এখন পাকিস্তান যখনই অপারেশন সিঁদুরের নাম শুনবে, তখন তাদের সর্বনাশের কথা মনে পড়বে। পাকিস্তানি ফৌজ এবং সন্ত্রাসবাদীরা ভাবতে পারেনি পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে এভাবে হামলা চালাবে ভারত। ওরা যে সন্ত্রাসবাদের ইমারত তৈরি করেছিল, কয়েক মিনিটের মধ্যে তা ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। গোটা বিশ্ব দেখেছে, পাকিস্তান কীভাবে (Pahalgam Incident) জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে (PM Modi)।”

  • Chenab Rail Bridge: ভূমিকম্প, বিস্ফোরণেও থাকবে অটল! কাশ্মীরে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতুর উদ্বোধন মোদির

    Chenab Rail Bridge: ভূমিকম্প, বিস্ফোরণেও থাকবে অটল! কাশ্মীরে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতুর উদ্বোধন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম জম্মু-কাশ্মীরে (Kashmir) গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে জম্মু-কাশ্মীরের রেয়াসি জেলায় চেনাব নদীর ওপর নির্মিত নয়া সেতুর (Chenab Rail Bridge) উদ্বোধন করলেন তিনি। নয়া এই সেতুর উদ্বোধন হওয়ায় আরও কাছাকাছি চলে এল দিল্লি এবং কাশ্মীর। চেনাব সেতু বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু। এর পাশাপাশি এদিন তিনি উদ্বোধন করেন দেশের প্রথম কেবল রেলসেতু অঞ্জী ব্রিজেরও। তাঁর হাতেই ভূস্বর্গে যাত্রার সূচনা হতে চলেছে নয়া দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। এরই সঙ্গে কাশ্মীরে মোট ৪৬ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন প্রধানমন্ত্রী।

    চেনাব সেতুর বিশেষত্ব (Chenab Rail Bridge)

    চেনাব নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটি উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল সংযোগ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ তৈরি করে, যা কাশ্মীরকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে রেলপথের মাধ্যমে যুক্ত করে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি বিশ্বমানের চেনাব সেতুর ওপর দিয়ে চলবে, যা শুরুতে কাটরাকে যুক্ত করবে শ্রীনগরের সঙ্গে। চেনাব সেতুর সঙ্গে পার্থক্য রয়েছে বিশ্বের অন্যান্য সেতুর, যে কারণে এটি বিশ্বের অন্যতম বিস্ময়। চন্দ্রভাগা নদীর ৩৫৯ মিটার উঁচুতে তৈরি (Chenab Rail Bridge) এই আর্চ রেলসেতু প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের চেয়েও ৩৫ মিটার বেশি উঁচু। দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার। জম্মু ও শ্রীনগরের সংযোগকারী হিসেবে কাজ করবে এটি। যাত্রাপথে পড়বে ৩৬টি টানেল এবং ৯৪৩টি ব্রিজ।

    ভূমিকম্পেও অটল

    সেতুটির নির্মাতাদের দাবি, ভূমিকম্প টলাতে পারবে না চেনাব সেতুকে। মাত্র তিন ঘণ্টাতেই পৌঁছনো যাবে কাটরা থেকে শ্রীনগর। চেনাব সেতু কুতুব মিনারের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি লম্বা। এই সেতুর উচ্চতা চিনের বেপান নদীর ওপর নির্মিত ডুগ সেতুর উচ্চতার চেয়েও বেশি। চেনাব সেতু মেঘের ওপরে বিশ্বের সর্বোচ্চ খিলান। সেতুর এক পাশের পিলারের উচ্চতা প্রায় ১৩১ মিটার। ছবিতে এই সেতুর উচ্চতা এমন যে এর নীচে মেঘও দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় রেলওয়ে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসেই সেতুটির চূড়ান্ত খিলান বন্ধ করার কাজ শেষ করেছিল (Kashmir)। নির্মাতাদের দাবি, ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলের মাত্রা ৮ হলেও, টলাতে পারবে না চেনাব সেতুকে। তীব্র বিস্ফোরণেও টুকরো হবে না সেতু। ১০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার তারতম্যও সহ্য করতে পারবে এমনভাবেই ডিজাইন এবং স্ট্রাকচারাল স্টিলের ব্যবহার করা হয়েছে এই সেতুতে (Chenab Rail Bridge)।

    নির্মাতাদের দাবি

    ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, এই অংশে সারাবছর তাপমাত্রা মারাত্মক ওঠানামা করে। যাতে ব্রিজের স্থায়িত্ব ও কাঠামো ঠিক থাকে সেই কারণে উন্নত টেকলা প্ল্যাটফর্মও ব্যবহার করা হয়েছে। এর ওপর দিয়ে ট্রেনগুলি ঘণ্টা প্রতি সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার বেগে চলবে। তবে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ২৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ট্রেন চলতে পারবে। বিশ্বমানের এই সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, এই প্রকল্পটি শেষ করতে নানা বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। হিমালয়ের প্রকৃতি, মাটির ধারণ ক্ষমতা, প্রতিকূল আবহাওয়া এসবই এই সেতু নির্মাণের সময় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করেই তৈরি করা হয়েছে নয়া সেতু। জানা গিয়েছে, চেনাব সেতুতে ব্যবহৃত হয়েছে ২৮ হাজার মেট্রিক টন ইস্পাত। ঘণ্টা প্রতি ২৬৬ কিমি বেগে বাতাস বইলেও সেতুর কোনও ক্ষতি হবে না।

    ট্রায়াল রান শেষে উদ্বোধন

    জম্মুর কাটরা থেকে শ্রীনগরের কাউরি পর্যন্ত বিস্তৃত এই ব্রিজ। সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। কাজ সম্পূর্ণ হয় ২০২২ সালের মধ্যেই। তার পর থেকে এতদিন ধরে চলেছে ট্রায়াল রান। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই সফলভাবে এই সেতুর ওপর ট্রায়াল রান শেষ করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। নয়া লাইনে এক জোড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালাবে রেল (Chenab Rail Bridge)। এর ফলে শ্রীনগর থেকে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের নিকটবর্তী কাটরা স্টেশনে পৌঁছানো যাবে মাত্র তিন ঘণ্টায় (Kashmir)।

    জাতীয় পতাকা হাতে হাঁটলেন প্রধানমন্ত্রী

    তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেতুটির উদ্বোধন করে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে সেটির ওপর হাঁটতেও দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা। ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও।প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৪৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের গতি বাড়াবে। চেনাব ও আঞ্জি সেতু দেশের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রতীক।” রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একে প্রযুক্তির বিস্ময় বলে অভিহিত করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা লেখেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। অবশেষে উপত্যকা (Kashmir) রেল সংযোগের মাধ্যমে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত হবে (Chenab Rail Bridge)।”

  • Mid Day Meal: মিড ডে মিল খাচ্ছে না রাজ্যের ৫০ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া! জবাব তলব কেন্দ্রের, চুরির অভিযোগ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Mid Day Meal: মিড ডে মিল খাচ্ছে না রাজ্যের ৫০ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া! জবাব তলব কেন্দ্রের, চুরির অভিযোগ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) বাংলার পড়ুয়াদের সংখ্যা বিপুল হ্রাস পেয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রের এক রিপোর্টে এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ৫০ শতাংশ পড়ুয়াই গত শিক্ষাবর্ষে মিড ডে মিল নেয়নি। কেন মিড ডে মিলে পড়ুয়ার সংখ্যা এত বিপুল হ্রাস পেল তা নিয়ে আগামী ৩০ জুনের মধ‍্যে রাজ‍্যের কাছ থেকে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এই ইস্যুতে একযোগে মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী।

    মিড ডে মিল ইস্যুতে রাজ্যকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর (Mid Day Meal)

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “৫০ শতাংশ বাচ্চা মিড ডে মিল খাচ্ছে না। মিড ডে মিল প্রকল্পে কেন্দ্র যে টাকা দেয়, তার ৪ হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। রাজ্য খরচই করেনি। সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে, কী হচ্ছে, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।” অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দেগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকেও কাগজর কাটিং-সহ আমার বক্তব্য পাঠিয়েছি। তৃণমূলের লোকেরা মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) চাল চুরি করছে। ১০০ শতাংশ দেখিয়ে চাল নিচ্ছে। আর ৫০ শতাংশ চাল রান্না হচ্ছে।”

    ২০২৩-২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫-২০২৬ সালে ১০ লক্ষ কম পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা নিয়েছে

    কেন্দ্রের ওই রিপোর্টে যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তাতে করুণ চিত্র দেখা যাচ্ছে। ২০২৩-২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫-২০২৬ সালে ১০ লক্ষ কম পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা নিয়েছে। তথ্য বলছে প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ যোজনার অন্তর্গত এই প্রোগ্রামে পশ্চিমবঙ্গের ১৫টি জেলায় ২০২৪-২৫ সালে নথিভুক্ত আছে এমন চল্লিশ শতাংশেরও বেশি পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা গ্রহণ করেনি। যার মধ্যে কোচবিহার সবচেয়ে নিচে রয়েছে। যেখানে ৪৬ শতাংশ পড়ুয়া মিড ডে মিল (Mid Day Meal) গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ মিড ডে মিলের সুবিধা নেয়নি ৫৪ শতাংশ পড়ুয়া।

    গুরুতর উদ্বেগ হিসেবে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার

    এই প্রবণতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটিকে গুরুতর উদ্বেগ হিসেবেও তারা চিহ্নিত করেছে। ইতিমধ্যে ভারত সরকারের স্কুল এবং স্বাক্ষরতা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে এ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। প্রোগ্রাম অ্যাপ্রুভাল বোর্ড ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছে যে ২০২৩-২৪ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত রাজ্যের মিড ডে মিলের স্কুলগুলির ক্ষেত্রে ভর্তি সংখ্যা ৪.০১ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে।

    ২০২৫-২৬ সালের ভর্তির সংখ্যা আরও ৬ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে

    ২০২৫-২৬ সালের এই ভর্তির সংখ্যা আরও ৬ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে। যা যথেষ্ঠ উদ্বেগপূর্ণ। মিড ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্পের আওতায় পড়ুয়াদের পুনরায় অন্তর্ভুক্ত প্রচেষ্টা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক স্তরে পিএম পোষণের আওতায় যথাক্রমে ৭৮ শতাংশ এবং ৭৪ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী ছিল। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকে তা কমে ৫৮ শতাংশতে দাঁড়িয়েছে।

    সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কোন কোন জেলায় (West Bengal)

    কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ সালে পিএম পোষণ শক্তি যোজনায় নাম নথিভুক্ত করেছিল ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৪৬ জন পড়ুয়া। তবে এর মধ্যে মাত্র ৭৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৪৬ জন মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) সুবিধা গ্রহণ করেছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলাগুলিতে করুণ চিত্র সামনে এসেছে। এখানে অর্ধেকের চেয়েও কম নাম নথিভুক্তকারী ছাত্র-ছাত্রীরা মিড ডে মিলের সুবিধা গ্রহণ করেছে।

    তহবিল তছরুপের গুরুতর অভিযোগ, কেন কমছে পড়ুয়া?

    একই সঙ্গে এই প্রকল্পে প্রোগ্রাম অ্যাপ্রুভাল বোর্ড তহবিল তছরূপের অভিযোগও নিয়ে এসেছে। একাধিক অনিয়মের কথা উল্লেখ করেছে তারা। তাদের অভিযোগ, এই প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করে যে সংস্থাগুলি এবং পৌর কর্পোরেশন, একক নোডাল এজেন্সি অ্যাকাউন্টের বাইরে তহবিল জমা রাখছে। রাজ্যকে অবিলম্বে এই তহবিল স্থানান্তর করা নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত সরকারের নির্দেশিকা লঙ্ঘন এবং বিলম্বের জন্য যাঁরা দায়ী, সেই সমস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে পিএবি। নিজেদের কার্যবিবরণীতে তারা এটা উল্লেখ করেছে (West Bengal)। তবে মিড ডে মিলে এত বিপুল পরিমাণে ছাত্রছাত্রী সংখ্যার কমে যাওয়ার কারণ কী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের স্কুল শিক্ষা বিভাগের বিদ্যালয়গুলিতে ড্রপ আউটের হার ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষত উচ্চ প্রাথমিক বিভাগে। মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) পড়ুয়া কমার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় কারণ হতে পারে।

  • India England Cricket: সরছে পটৌডীর নাম! সচিন-অ্যান্ডারসনের নামে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ

    India England Cricket: সরছে পটৌডীর নাম! সচিন-অ্যান্ডারসনের নামে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন ভারত ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ (India England Cricket) খেলতে গেলে সেই ট্রফি ছিল পটৌডীর নামে। প্রসঙ্গত, ভারতের দুই প্রাক্তন অধিনায়ক ইফতিখর আলি খান পটৌডী এবং মনসুর আলি খান পটৌডীর নামেই ছিল এই ট্রফির নাম। তবে এবারে তা বদলে যাচ্ছে। ট্রফির নাম হচ্ছে সচিন-অ্যান্ডারসন। চলতি মাসের ২০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ। সেই ট্রফির নাম হতে চলেছে জেমস অ্যান্ডারসন এবং সচিন তেন্ডুলকরের নামে। ইংল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যম এমনই দাবি করেছে।

    ২০০৭ সালে ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যে শুরু হয় পটৌডী ট্রফি (India England Cricket)

    প্রসঙ্গত, আজ থেকে ১৮ বছর আগে ২০০৭ সালে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের নাম হয়েছিল পটৌডী ট্রফি। ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের সেটা ছিল ৭৫তম বছর। সেই উপলক্ষ্যেই পটৌডী পরিবারের দুই ক্রিকেটারকে সম্মান জানাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে খবর। এ বার তবে সেই নাম বদলে যাচ্ছে। কিছু দিন আগে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকে (India England Cricket) এই বিষয়টি জানিয়ে দেয়। তখনই নতুন ট্রফি দু’দেশের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর এবং জেমস অ্যান্ডারসনের নামে করার প্রস্তাব দেয় ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড (India England Cricket Series)।

    দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন-অ্যান্ডারসন (India England Cricket Series)

    ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর। টেস্ট ক্রিকেটের (India England Cricket) ইতিহাসে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। যাঁর রান ১৫,৯২১। ১৯৮৯ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেন সচিন তেন্ডুলকর। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি ২০০ টেস্ট খেলেছেন। অন্যদিকে অ্যান্ডারসন হলেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। যার মধ্যে ৭০৪ উইকেট রয়েছে। তথ্য বলছে, এই দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার ১৪টি টেস্ট ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছেন। দুই দেশের সেরা ক্রিকেটারকে সম্মান জানাতে এই ট্রফিটি তাঁদের উভয়ের নামেই নামকরণ করা হচ্ছে।

  • RBI: ফের রেপো রেট কমাল আরবিআই, ঋণের সুদ কমায় সুবিধা মধ্যবিত্তের, কতটা সস্তা ইএমআই?

    RBI: ফের রেপো রেট কমাল আরবিআই, ঋণের সুদ কমায় সুবিধা মধ্যবিত্তের, কতটা সস্তা ইএমআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সুদ কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই (RBI)। শুক্রবার, ৬ জুন নয়া রেপো রেট (Repo Rate) ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এ দিন তাতে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বা ০.৫০ শতাংশ কমানোর কথা বলেছেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্র। তার জেরে ৬ শতাংশ থেকে ওই সূচক নেমে এসেছে ৫.৫০ শতাংশে। এই নিয়ে চলতি বছরে তৃতীয়বারের জন্য কমে গেল রেপো রেট। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিলে ২৫ করে মোট ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

    আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক (RBI)

    ৪ জুন তিন দিনের বৈঠকে বসে আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি কমিটি। সেখানেই রেপো রেট কমানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তা ঘোষণা করেন গভর্নর। আরবিআই যে সুদের হারে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে ঋণ দিয়ে থাকে, তাকেই বলে রেপো রেট। এই রেট কমলে এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বহিরাগত বেঞ্চমার্ক ঋণে সুদের হার কমে যায়। এই হার কমার অর্থ ব্যাঙ্কগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে কম সুদে টাকা ধার নিতে পারবে। ব্যাঙ্ক যদি কম সুদের হারে টাকা ধার পায়, তাহলে গ্রাহকদের ঋণেও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা থাকে। সুদের হার কমলে লগ্নির জন্য টাকা ধার নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এর জেরে ব্যবসা বৃদ্ধি, বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ বাড়ানো সহজ হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতি চাঙা করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ (Repo Rate) কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয় (RBI)।

    কতটা সুরাহা মিলবে মধ্যবিত্তের?

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট কমানোয় রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কের ঋণ গ্রহণকারীদের স্বস্তি মিলবে। যেহেতু তাঁদের মাসিক কিস্তির টাকা কমবে, তাই স্বস্তি পাবেন তাঁরা। তাই যেসব গ্রাহক গৃহঋণ বা গাড়ির ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের সুদ বাবদ গুণতে হবে কম টাকা। এক কথায় গাড়ি, বাড়ি ও ব্যক্তিগত ঋণে কমে যাবে সুদের হার। ফলে, কমবে মাসিক কিস্তির অঙ্কের বোঝা। উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বুঝে নেওয়া যাক (Repo Rate)। কোনও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে কেউ তিরিশ বছরের মেয়াদে ৫০ লাখ গৃহঋণ নিল ৮.৭০ শতাংশ সুদে। বর্তমানে তাঁকে ইএমআই দিতে হয় ৩৯,১৩৬ টাকা। সুদের হার কমে যাওয়ায় এখন তাঁকে ইএমআই দিতে হবে ৩৭,৩৪৬ টাকা। প্রতি মাসে সাশ্রয় হবে ১,৭৯০ টাকা। কেউ যদি ১২ শতাংশ সুদে ৫ বছরের মেয়াদের ৫ লাখ টাকা পার্সোনাল লোন নেয়, বর্তমানে তাঁকে ইএমআই দিতে হবে ১১,১২২ টাকা (RBI)। রেপো রেট কমে যাওয়ায় তাঁকে এখন ইএমআই দিতে হবে ১০,৯৬৩ টাকা। প্রতি মাসে সাশ্রয় হবে ১৫৯ টাকা (Repo Rate)।

    চলতি বছরেই রেপো রেট কমল ১ শতাংশ

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাসের পর আর সুদ কমায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ২০২৫ সালে গভর্নর পদ থেকে শক্তিকান্ত দাস অবসর নেওয়ার পর সেই পদে আসীন হন  সঞ্জয় মালহোত্র। এসেই তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার ০.২৫ শতাংশ রেপো রেট কমান। পাঁচ বছরে সেই প্রথম রেপো রেট কমায় দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ওই সময় ৬.৫০ শতাংশ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার নামিয়ে এনেছিল ৬.২৫ শতাংশে। এপ্রিলে সেটা আরও কমে ছ’শতাংশে চলে আসে। এবার কমল আরও ০.৫ শতাংশ। এর জেরে চলতি বছর রেপো রেট কমল ১০০ বেসিস পয়েন্ট বা ১ শতাংশ। সুদের হারে বড়সড় ছাড় মেলায় ঋণ গ্রহীতাদের মুখে যে হাসি ফুটল, তা বলাই বাহুল্য। এদিন রেপো রেট (Repo Rate) কমানোর ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, “ভারতের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে আমরা সব রকমের চেষ্টা করছি এই সমৃদ্ধিকে আরও বাড়ানোর জন্য।”

    কী বললেন আরবিআইয়ের গভর্নর

    সঞ্জয় বলেন, “খুচরো মুদ্রাস্ফীতি সাম্প্রতিক মাসগুলিতে প্রত্যাশার চেয়ে আরও দ্রুত হ্রাস পেয়েছে এবং এপ্রিল মাসে তা প্রায় ছ’বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩.১৬ শতাংশে নেমেছে। খুচরো মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে আরবিআইয়ের মাঝারি মেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা ৪ শতাংশ ছিল। এর থেকে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই নীচে। ভারতের অর্থনীতি স্থিতিস্থাপক হয়েছে।” জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশে পৌঁছেছে। রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “২০২৫-’২৬ সালের জন্য প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে ৬.৫ শতাংশ, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৬.৭ শতাংশ, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৬.৬ শতাংশ এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৬.৪ শতাংশ হারে বাড়তে পারে জিডিপি।”

  • Suvendu Adhikari: ‘‘যত নষ্টের গোড়া’’, কেষ্টর হুমকিকাণ্ড মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর, আসরে জাতীয় মহিলা কমিশনও

    Suvendu Adhikari: ‘‘যত নষ্টের গোড়া’’, কেষ্টর হুমকিকাণ্ড মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর, আসরে জাতীয় মহিলা কমিশনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশকে ফোনে হুমকিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি, বোলপুরের আইসিকে ফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এবার আসরে নামল কেন্দ্রও। জাতীয় মহিলা কমিশন চিঠি দিল রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমারকে। কমিশন জানতে চেয়েছে, এই ঘটনায় কেন আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি। এই মর্মে রাজ্য পুলিশকে ৭২-ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।

    মমতাকে তুলোধনা করলেন শভেন্দু

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তোপ দাগেন পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুলিশের অতিসক্রিয়তা ও নিষ্ক্রিয়তা তুলে ধরে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘বাংলার পুলিশের যা হাল তা সকলেরই জানা। একজন আইনের ছাত্রীকে তুলে আনতে গুরগাঁও চলে যায় অথচ একজন আইসি, যিনি অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন, ফিটনেসে পাশ করে ডিউটি করছেন, তাঁর মা-বউকে হুমকি-গালিগালাজ করলে পুলিশমন্ত্রীর গায়ে লাগে না।’’

    যত নষ্টের গোড়া মমতা, বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একজন তৃণমূল নেতা মদ্যপ অবস্থায় ফোন করে পুলিশ অফিসারকে গালিগালাজ করছেন। হুমকি দিচ্ছেন। রাজীব কুমারকে বলছেন, এই ডিজি আইসিকে কখন সরাবে? সেই নেতাকে গ্রেফতার না করে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে প্রোটেকশন দিচ্ছেন, সেটা ভাবা যায় না।’’ এরপরেই শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়,‘‘অনুব্রত মণ্ডলরা কেউ নন, যত নষ্টের গোড়া মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁরই ছত্রছায়ায় নেতা-মন্ত্রীরা এই ধরনের আচরণ করার সাহস পান।’’

    আইসিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে, দেখে নিন

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘এই ধরনের নেতারা সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অ্যাসেট। প্রকাশ্যে সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেষ্টকে রাজ্যসভার টিকিট দিতে চেয়েছিলাম, নেয়নি। সেই অনুব্রত থানায় গেলে থোড়াই পুলিশ ফোন বাজেয়াপ্ত করবে? যা দোষ এখন আইসির।’’ বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, ‘‘আমি তো বলছি, আইসিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে, দেখে নিন।’’

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চিঠি

    অন্যদিকে, জাতীয় মহিলা কমিশন রাজীব কুমারকে পাঠানো চিঠিতে জানতে চেয়েছে, একজন আইসিকে কুকথা বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অতীতে অপরাধের রেকর্ডও রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন? বৃহস্পতিবারই এই চিঠি দেয় কমিশন। নিজেদের চিঠিতে তারা এও জানতে চেয়েছে, যদি একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের পরিবারকে এমন হুমকির শিকার হতে হয়, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাটা কোথায়?

    কী লেখা হল চিঠিতে?

    বৃহস্পতিবার পাঠানো সেই চিঠিতে লেখা হয়, ‘‘একজন মহিলার বিরুদ্ধে ওই রকম হুমকি মন্তব্য শুধুই সামাজিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয় নয়, বরং এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধও। যার ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যয় সংহিতায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা উল্লেখ রয়েছে। যাঁর অতীতে অপরাধের ছাপ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন?’’ একইসঙ্গে বীরভূমের এই নেতার বিরুদ্ধে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টও চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এজন্য রাজ্য পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে তারা। এরমধ্যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে করা আইনি পদক্ষেপের রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে তারা।

    খোশমেজাজেই রয়েছেন কেষ্ট

    প্রসঙ্গত, হমকিকাণ্ডের পরেই পুলিশ নোটিশ দেয় অনুব্রতকে। দু’দিন হাজিরা তিনি এড়িয়ে যান। তিনি নাকি অসুস্থ, এমনটাই দাবি ছিল অনুব্রতর। এই কারণেই গত শনি ও রবিবার পুলিশের নোটিশ এড়িয়েছিলেন বীরভূমের কেষ্ট। সূত্রের খবর, টানা পাঁচদিন নাকি তাঁকে ‘বেড রেস্টে’র পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। বুধবার পর্যন্ত ছিল সেই বিশ্রামের সময়সীমা। বৃহস্পতিবার হাজিরা দিলেন কেষ্ট। ঘটনার সাত দিন পরে বৃহস্পতিবারই বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ শান্তিনিকেতন এসডিপিও অফিসে গিয়ে তাঁকে হাজিরা দিতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, তাঁকে ঘণ্টা দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসার। তবে হাজিরা দেওয়ার পরে তাঁকে বেশ খোশ মেজাজেই বের হতে দেখা যায়। মুখে মুচকি হাসিও নজর এড়ায়নি কারও। কোমরের পিছনে দু’হাত জোড় করে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে আসেন কেষ্ট।

    আইসির ফোনই বাজেয়াপ্ত

    অন্যদিকে, ভাইরাল অডিও কাণ্ডে বোলপুর থানার আইসি (Bolpur IC) আইসি লিটন হালদারের বিরুদ্ধেই আবার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশের যুক্তি, অনুমতি ছাড়া রেকর্ড বেআইনি। সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে আইসির মোবাইল ফোনটিও সিজ করেছে পুলিশ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কেষ্টর ফোন এখনও বাজেয়াপ্ত করেনি পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের নিচুতলারই একাংশের মধ্যে ক্ষোভও দেখা গিয়েছে।

LinkedIn
Share