Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • ECI: বিহারে ৭.২৪ কোটিরও বেশি ভোটার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন, জানাল নির্বাচন কমিশন

    ECI: বিহারে ৭.২৪ কোটিরও বেশি ভোটার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন, জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে (Bihar) মোট ৭.৮৯ কোটি নথিভুক্ত ভোটারের মধ্যে ৭.২৪ কোটিরও বেশি মানুষ স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে তাঁদের গণনার ফর্ম জমা দিয়েছেন। ২৪ জুন থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলেছে। এতে ৯১.৬৯ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছেন। রবিবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (ECI) তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

    এসআইআর প্রক্রিয়া (ECI)

    কমিশন এই এসআইআর প্রক্রিয়াকে একটি ব্যাপক ও সফল নাগরিক অংশগ্রহণের প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছে। এর লক্ষ্য হল, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকাগুলির যথার্থতা বাড়ানো। জাতীয় নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই গণনা প্রক্রিয়া বিহারের ৩৮টি জেলায়ই ভোটার রেকর্ড যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, এসআইআরের প্রধান লক্ষ্য ছিল সমস্ত ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। তারা আরও জানিয়েছে, বুথ লেভেল অফিসার, বুথ লেভেল এজেন্ট, স্বেচ্ছাসেবক ও রাজনৈতিক কর্মীদের ভূমিকাও এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বুথ লেভেল এজেন্টদের সংখ্যা ১৬ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। িসিপএেমর ১০৮৩ শতাংশ, কংগ্রেসের ১০৫ শতাংশ এবং সিপিআইয়ের ৫৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজেপির সংখ্যা বেড়েছে ৩ শতাংশ। আর আরজেডি এবং জেডিইউয়ের বুথ লেভেল এজেন্টের সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

    তিন দফায় ফর্ম বিলি

    বুথস্তরের (Bihar) অফিসাররা প্রতিটি নথিভুক্ত ভোটারের বাড়িতে গিয়ে অন্তত তিন দফায় ফর্ম বিলি ও সংগ্রহ করেন (ECI)। শহরাঞ্চলের ভোটার, প্রথমবারের তরুণ ভোটার এবং বিহার থেকে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত ভোটারদের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রবাসী ভোটারদের কাছে পৌঁছতে ২৪৬টি পত্রিকায় একটি পুরো পাতাজুড়ে হিন্দিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। বিহারের প্রধান নির্বাচনী অফিসার সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি লেখেন, যাতে তারা বিহার থেকে আগত অভিবাসীদের গণনায় অংশগ্রহণের জন্য সাহায্য করে (Bihar)। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ২৯ লক্ষ ফর্ম অনলাইনে পূরণ বা ডাউনলোড করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৬ লক্ষেরও বেশি ফর্ম জমা দেওয়া হয়েছে (ECI) ডিজিটাল মাধ্যমে।

  • PM Modi: মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসে প্রধান অতিথি মোদি, কী বলছে গ্লোবাল মিডিয়া?

    PM Modi: মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসে প্রধান অতিথি মোদি, কী বলছে গ্লোবাল মিডিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমে গেল খেলা! ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে চিনপন্থী (China) মহম্মদ মুইজ্জু মলদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নন, প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। শুধু তাই নয়, মুইজ্জুর মুখে মোদি-স্তুতিও নজর কেড়েছে তামাম বিশ্বের। এতেই যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে শি জিনপিংয়ের দেশের। মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মোদিকে প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মান প্রদর্শন কেবল ভারত ও মলদ্বীপেই নয়, বিশ্বজুড়ে শিরোনাম হয়ে ওঠে সংবাদ মাধ্যমের।

    মোদির সফর বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ (PM Modi)

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই দ্বীপরাষ্ট্র সফর বেশ কয়েকটি কারণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তার প্রধান কারণ মলদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ২০২৩ সালে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে স্লোগান দিয়েছিলেন ‘ইন্ডিয়া আউটে’র। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই প্রতিশ্রুতি পূরণে উঠেপড়ে লাগেন মুইজ্জু। ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার পাশাপাশি চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতেও উদ্যোগী হন তিনি। কুর্সিতে বসার পরে পরেই তিনি মলদ্বীপে থাকা ভারতীয় সেনাকর্মীদের ভারতে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। মলদ্বীপের এই পদক্ষেপটিকে নয়াদিল্লি চিনের দিকে মালদ্বীপের একটি কৌশলগত ঝুঁকে পড়া হিসেবে দেখেছিল। সেই একই নেতাই এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই প্রতীকী বার্তাটি একেবারেই স্পষ্ট। এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন, বিশেষ করে যখন চিন যখন ভারত মহাসাগরে নিজের প্রভাব আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

    কী বলছে গ্লোবাল টাইমস

    বেজিংয়ের রাষ্ট্র-পরিচালিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে ভারতের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট প্রকাশে ধরনের সমালোচনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মলদ্বীপ সফরকে ঘিরেই এই রিপোর্ট। গ্লোবাল টাইমসের মতে, কিছু ভারতীয় মিডিয়া এই সফরকে চিনের কৌশলগত পরাজয় এবং ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেছে (PM Modi)। গ্লোবাল টাইমসের অভিযোগ, ভারতীয় মিডিয়া (China) ‘জিরো সাম থিংকিং’য়ে জড়িয়ে পড়েছে। এই চিন্তাধারা অনুযায়ী, ভারতের যে কোনও লাভকেই চিনের ক্ষতি হিসেবে দেখা হয়। ওই সংবাদপত্রে চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কৌশল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর কিয়ান ফেংয়ের মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “মলদ্বীপ স্বাভাবিকভাবেই তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয়, তবে একইসঙ্গে বৈচিত্র্যময় বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে, যার মধ্যে চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর সঙ্গে যুক্ত থাকাও অন্তর্ভুক্ত।” তিনি বলেন, “এই কৌশলগুলির মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।”

    নিউজ এশিয়ার প্রতিবেদন

    সিঙ্গাপুরভিত্তিক চ্যানেল নিউজ এশিয়ার প্রতিবেদনের শিরোনাম “মলদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভারতের মোদি”। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদির সফরে নয়া পরিকাঠামো অংশীদারিত্ব, আর্থিক প্রতিশ্রুতি এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উষ্ণতার পুনর্জাগরণ স্পষ্ট। মলদ্বীপে প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রক ভবনের উদ্বোধন করেন। ভারত যেসব প্রকল্পে টাকা ঢেলেছে, সেগুলির উদ্বোধনও করেন। দ্বীপরাষ্ট্রকে দেন অর্থনৈতিক সাহায্যের আশ্বাসও (China)। নিউজ এশিয়ার দাবি, নয়াদিল্লিতে মোদির এই সফরকে চিনের প্রভাব থেকে মলদ্বীপকে দূরে রাখার আশ্বাস হিসেবে দেখা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর শাসনের শুরুতেই ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল (PM Modi)। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে মোদির এই দু’দিনের দ্বীপরাষ্ট্র সফরকে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তারা এও জানিয়েছে, এটি ভারত মহাসাগরের প্রধান সমুদ্রপথে ভারতের প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর একটি লক্ষ্য। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি নতুন সূচনার ইঙ্গিত দিতে পারে।

    ব্রিটিশ দৈনিকের বিশ্লেষণ

    ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ভারত সরকার যখন লাক্ষাদ্বীপকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে প্রচার করতে শুরু করে, তখন মলদ্বীপের অনেকেই তাকে ভারতীয় পর্যটকদের নিজেদের সমুদ্রসৈকত থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখেছিলেন। তার ফলে উভয় দেশের মধ্যেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল (PM Modi)। ভারতের বেশ কয়েকজন তারকাও মলদ্বীপকে পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বয়কট করার ডাক দিয়েছিলেন। প্রতিবেদনটিতে এও বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট মুইজু ভারত সফরের আগে চিন সফরকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। এটি নজর এড়ায়নি নয়াদিল্লির। চিন সফর শেষে তিনি ওষুধ ও খাদ্য-সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরতা কমানোর কথাও ঘোষণা করেন। তার (China) জেরে উভয় দেশেই শুরু হয় উদ্বেগ। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে যখন মুইজ্জু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ওই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উষ্ণতা ফিরিয়ে আনার পথ প্রশস্ত করে। এরই পরিণাম হল মোদির বর্তমান মলদ্বীপ সফর (PM Modi)।

  • Bangladesh: হিন্দু হেনস্থায় নতুন ফাঁদ বাংলাদেশে, সমাজমাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে ছড়ানো হচ্ছে বিদ্বেষ

    Bangladesh: হিন্দু হেনস্থায় নতুন ফাঁদ বাংলাদেশে, সমাজমাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে ছড়ানো হচ্ছে বিদ্বেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের হেনস্থা করার নতুন ফাঁদ বাংলাদেশে। হিন্দু যুবকের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে সেখান থেকে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ছড়ানো হয়। বাংলাদেশের (Bangladesh) রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ বছর বয়সি ওই যুবকের নাম রঞ্জন রায়। তার বিরুদ্ধে ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর পোস্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

    ভুয়ো প্রোফাইল (Bangladesh)

    রিপোর্ট অনুযায়ী, রঞ্জন রায়ের নামে থাকা একটি ফেসবুক আইডি—‘ রঞ্জন রায় LRM’ নামক অ্যাকাউন্ট থেকে টানা পাঁচ দিন ধরে এমন বিতর্কিত পোস্ট করা হয়। তবে এই বিষয় নিয়ে বাংলাদেশি ফ্যাক্টচেকার ও সাংবাদিক সোহান আরসি তদন্ত করে দেখান যে, রঞ্জনের নামে আরেকটি ভুয়ো (ডুপ্লিকেট) ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এসব পোস্ট করা হয়েছে। সাংবাদিক সোহান জানান, নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি থেকে রঞ্জনের পুরোনো প্রোফাইল ছবি ও পারিবারিক ছবিগুলি শেয়ার করা হয়েছে এবং সেগুলোর সঙ্গে অবমাননাকর ক্যাপশন জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও, যথাযথভাবে সত্যতা যাচাই না করেই মৌলবাদীরা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গঙ্গাচড়ার রাস্তায় বিক্ষোভে নামে (Bangladesh News)। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা পরিস্থিতির চাপে পড়ে মৌলবাদীদের সামনে আত্মসমর্পণ করে এবং তাদের দাবির মুখে হিন্দু যুবক রঞ্জন রায়কে গ্রেফতার করে।

    দুর্গাপুজো কমিটির সভাপতিকে গুলি (Bangladesh)

    এদিকে, হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা শুধু এখানেই থেমে থাকেনি। শনিবার খুলনা জেলায় এক হিন্দু ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। একই দিনে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলায় দুর্গাপূজা কমিটির সভাপতি অনির্বাণ চৌধুরী ওরফে রাজীবের ওপর গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। বাংলাদেশের (Bangladesh) একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মোটরসাইকেলে করে বন্ধু সহ ভ্রমণের সময় এই হামলার শিকার হন অনির্বাণ। দুর্বৃত্তদের গুলিতে অনির্বাণের কোমরে দুটি গুলি লাগে, আর তাঁর বন্ধুর পায়ে একটি গুলি লাগে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে অনির্বাণকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা গিয়েছে, অনির্বাণ চৌধুরী আওয়ামী লিগের যুব সংগঠন ‘যুবলিগ’-এর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন (Bangladesh News)। পুলিশ জানিয়েছে, হামলার বিষয়টি তদন্তাধীন।

  • Christians Massacred: চার্চে ঢুকে এলোপাথারি গুলি, কঙ্গোতে ভয়াবহ হামলা আইসিস-এর শাখা সংগঠনের, মৃত ৩৮

    Christians Massacred: চার্চে ঢুকে এলোপাথারি গুলি, কঙ্গোতে ভয়াবহ হামলা আইসিস-এর শাখা সংগঠনের, মৃত ৩৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কঙ্গোতে মধ্যরাতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় (Christians Massacred) ৩৮ জন খ্রিস্টানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে অ্যালায়েড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (ADF), যা ইরাক-সিরিয়ার আইসিস (ISIS) জঙ্গি সংগঠনের একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।

    রাত ১টায় অতর্কিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা

    এই মর্মান্তিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের কোমান্ডা শহরে। জানা গেছে, রাত প্রায় ১টার দিকে ইসলামপন্থী জঙ্গিরা খ্রিস্টানদের লক্ষ্যবস্তু বানায় এবং এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে (Christians Massacred)। প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গিরা প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসেছিল এবং চার্চের আশপাশে অবস্থান নেয়। এরপরই তারা গুলি চালাতে শুরু করে।

    চার্চের ভিতরে অন্তত ২১ জনকে হত্যা করা হয়েছে

    জঙ্গিদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রায় ২০ জন নিহত হন এবং আরও অনেক আহত অবস্থায় পরে মারা যান। কঙ্গোর সিভিল সোসাইটির কো-অর্ডিনেটর জানিয়েছেন, চার্চের ভিতরে অন্তত ২১ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং চার্চের বাইরে আরও অনেককে হত্যা করা হয়। হামলার সময় চার্চে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও জানা গেছে। স্থানীয় চার্চের ফাদার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছেন এবং শহরের অন্য প্রান্তে আরও সাতটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে (Christians Massacred)। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে অপহরণ করা হয়েছে এবং তারা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন (Church)।

    রাষ্ট্রসংঘের রেডিও চ্যানেল “ওকাপি” কী বলছে?

    রাষ্ট্রসংঘের রেডিও চ্যানেল “ওকাপি” জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৪৩ জনে পৌঁছেছে। পূর্ব কঙ্গোর এই ধরনের হামলা নতুন নয়—ADF পূর্বে বহুবার খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে, বিশেষ করে কোমান্ডা এলাকায়। জানা গিয়েছে, ADF তথা অ্যালায়েড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (Allied Democratic Forces) নামক এই সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠনটি গঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালের শুরুতে। মূলত এটি গঠিত হয়েছিল উগান্ডায়, যেখানে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে একদল উগ্রপন্থী নেতা এই সংগঠনটি তৈরি করে।

  • PM Modi: প্রথম রাজেন্দ্র চোলের জন্মবার্ষিকীতে গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরমে মোদি, প্রার্থনা করলেন শিব মন্দিরে

    PM Modi: প্রথম রাজেন্দ্র চোলের জন্মবার্ষিকীতে গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরমে মোদি, প্রার্থনা করলেন শিব মন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার, ২৭ জুলাই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তামিলনাড়ুর গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরম মন্দিরে যোগ দেন চোল সম্রাট প্রথম রাজেন্দ্র চোলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। ঐতিহাসিক এই শিব মন্দিরে তিনি প্রায় ২০ মিনিট ধরে প্রার্থনা করেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রার্থনার পর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এই ভূমি বিশ্বাস ও সংস্কৃতির ভূমি। আমি কাশী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এখানে এসে যখন ‘ওম নমঃ শিবায়’ ধ্বনি শুনি, তখন অভিভূত হয়ে পড়ি। এই পবিত্র মন্দিরে আমি ১৪০ কোটি ভারতবাসীর কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করেছি।” তিনি আরও বলেন, “শিবের শক্তি এবং মন্ত্রের আধ্যাত্মিক প্রভাব আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি চাই, ভগবান শিব সকল ভারতবাসীকে আশীর্বাদ করুন।” প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে চোল সাম্রাজ্যের ইতিহাস ও তাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “প্রথম রাজেন্দ্র চোলের শাসনকালে শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ঘটনাক্রমে আমি গতকালই মালদ্বীপ সফর সেরে ফিরেছি, আর আজ এখানে এসে নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করছি (Gangaikonda Cholapuram Temple)।”

    রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রথম রাজেন্দ্র চোলের স্মরণে একটি স্মারক মুদ্রা (কয়েন) উদ্বোধন করেন। ঐতিহ্যবাহী চোল শৈলীর প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ধুতি ও সাদা জামা পরে উপস্থিত হন, যা উপস্থিতদের নজর কাড়ে। এদিন তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লী জেলার রাস্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কনভয় চলাকালীন রাস্তার দুই ধারে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। তাঁরা জাতীয় পতাকা ও ব্যানার হাতে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। রাস্তাজুড়ে ছিল ‘ভারত মাতার জয়’ ও ‘নরেন্দ্র মোদি জিন্দাবাদ’ ধ্বনি। আশেপাশের ভবনের ছাদ, ব্যালকনি ও রাস্তার মোড়ে উৎসুক মানুষ ভিড় জমিয়েছিল তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য। এই জনসমাগম ও উৎসাহ দেখেই বোঝা যায়, প্রধানমন্ত্রী মোদির জনপ্রিয়তা উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারত সর্বত্র সমান।

  • Mig 21: ৬২ বছর পর অবসর নিচ্ছে ‘নায়ক’ মিগ-২১! ভারতীয় সেনার হাতে এল ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’

    Mig 21: ৬২ বছর পর অবসর নিচ্ছে ‘নায়ক’ মিগ-২১! ভারতীয় সেনার হাতে এল ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বিমান বাহিনীর দীর্ঘদিনের সঙ্গী এবং বহু ঐতিহাসিক যুদ্ধের সাক্ষী মিগ-২১ যুদ্ধবিমান (Mig 21) অবশেষে অবসর নিতে চলেছে। বিমান বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চণ্ডীগড়ের বিমানঘাঁটিতে ২৩ স্কোয়াড্রন (প্যান্থার্স) এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ উড়ান সম্পন্ন করে বিদায় জানানো হবে এই কিংবদন্তি যুদ্ধবিমানকে। ৬২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় আকাশকে রক্ষা করার পর অবশেষে এর স্থানে যোগ দিচ্ছে দেশীয় প্রযুক্তিতে (Fighter Jet) তৈরি তেজস এমকে১এ যুদ্ধবিমান, যা আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত সেন্সর এবং যুদ্ধক্ষমতা নিয়ে সজ্জিত।

    মিগ-২১ একাধিক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী (Mig 21)

    ১৯৬৩ সালে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হওয়া এই যুদ্ধবিমানটি তৈরি হয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মিকোয়ান-গুরেভিচ অ্যারোস্পেস কর্পোরেশন দ্বারা। মিগ-২১ একাধিক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে—১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, কার্গিল সংঘাত, ২০১৯ সালের বালাকোট অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এই যুদ্ধবিমানেই ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে উইং কমান্ডার (বর্তমানে গ্রুপ ক্যাপ্টেন) অভিনন্দন বর্তমান পাকিস্তানের এফ-১৬ জঙ্গিবিমানকে তাড়া করে আকাশযুদ্ধে মোকাবিলা করেছিলেন। শত্রুপক্ষের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ঢুকে পড়ার পরে তিনি ধরা পড়েন, তবে দু’দিনের মধ্যে পাকিস্তান কূটনৈতিক চাপের মুখে তাঁকে ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে ভারতের হাতে ফিরিয়ে দেয় (Mig 21)। এই সাহসিকতার জন্য তাঁকে (Fighter Jet) বীর চক্র সম্মানে ভূষিত করা হয়।

    প্রথম দফায় তিনটি অত্যাধুনিক অ্যাপাচে হেলিকপ্টার হাতে পেয়েছে ভারত

    তবে মিগ-২১ (Mig 21) নিয়ে বিতর্কেরও অভাব ছিল না। দীর্ঘ কার্যকালজুড়ে একাধিক দুর্ঘটনা ও যান্ত্রিক ত্রুটির অভিযোগে বিমানটি ‘ফ্লাইং কফিন’ বলেও সমালোচিত হয়েছে। তবুও ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষার ইতিহাসে মিগ-২১ এর অবদান অস্বীকার করা যায় না। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য আশার খবর—প্রায় ১৫ মাস অপেক্ষার পরে প্রথম দফায় তিনটি অত্যাধুনিক অ্যাপাচে হেলিকপ্টার হাতে পেয়েছে ভারত। বছরের শেষে আরও তিনটি কপ্টার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এই মার্কিন-নির্মিত অ্যাপাচে AH-64E হেলিকপ্টারগুলি যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর আক্রমণ ও নজরদারি চালাতে সক্ষম, যা সেনার শক্তি আরও বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু! এবার খুলনায় খুন হিন্দু ব্যবসায়ী

    Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু! এবার খুলনায় খুন হিন্দু ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৬ জুলাই শনিবার, বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের মাগুরা সদর উপজেলায় নৃশংসভাবে খুন হন ৫৫ বছর বয়সি হিন্দু ব্যবসায়ী ভজন কুমার গুহ। বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, মহম্মদ আবির নামের এক ব্যক্তি এবং তার কয়েকজন সহযোগী এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে জানা গেছে।

    দোকান থেকে ফেরার পথেই হামলা চালায় মহম্মদ আবির

    বাংলাদেশের (Bangladesh) একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, রাত প্রায় ১১টার দিকে ভজন কুমার গুহ তাঁর দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় দুষ্কৃতীরা তাকে পথের মাঝে থামিয়ে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। পরে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ভজন কুমার গুহ। স্থানীয়রা নিহতের দেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন (Khulna)। মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আইয়ুব আলী সাংবাদিকদের জানান, নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    নিহতকে মালাউন বলে গালি দেয় মহম্মদ আবির

    হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত ৩৫ বছর বয়সি মহম্মদ আবিরকে গ্রেফতার করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশ যখন আবিরকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন সে প্রকাশ্যে ভজন কুমার গুহকে “মালাউন” বলে গালিগালাজ করতে থাকে। এই ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায় (Bangladesh)। নিহত ভজন কুমার গুহের স্ত্রীকে একাধিক বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।

    উগ্র মৌলবাদীদের প্রচার

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশের কিছু উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী “টিএমডি” নামে একটি প্রচার অভিযান চালাচ্ছে। এই শব্দটির পূর্ণরূপ “Total Maloun Death”, যার উদ্দেশ্য বাংলাদেশ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নির্মূল করার বার্তা ছড়ানো (Khulna)। মানবাধিকার কর্মীরা এই প্রচারকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন (Bangladesh)।

  • PM Modi: মোদির ‘মন কি বাত’-এ উঠে এল বিপ্লবী ক্ষুদিরাম থেকে মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা

    PM Modi: মোদির ‘মন কি বাত’-এ উঠে এল বিপ্লবী ক্ষুদিরাম থেকে মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ‘মন কি বাত’-এর ১২৪তম পর্বে উঠে এল বিপ্লবী ক্ষুদিরাম থেকে মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার প্রসঙ্গ। রবিবার সম্প্রচারিত ‘মন কি বাত’-এর (Mann ki Baat) ১২৪তম পর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন ভারতের মহাকাশ অভিযানে সাফল্য, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদদের স্মরণ, স্বদেশী আন্দোলন, এবং ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক।

    শুভাংশু শুক্লা ও ভারতের মহাকাশ গবেষণা (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, ভারতের মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS) সফর শেষে দেশে ফিরেছেন, যা দেশের জন্য এক গর্বের বিষয়। পাশাপাশি তিনি বলেন, আগামী ২৩ অগাস্ট ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’ পালিত হবে। এই দিনে দেশের নাগরিকরা ‘নমো অ্যাপে’ পরামর্শ ও মতামত জানাতে পারবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের সাফল্য এবং অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করব। বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে অনেক ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে।” প্রধানমন্ত্রী এদিন চন্দ্রযান-৩ এর কথাও স্মরণ করেন, যা ভারতের মহাকাশ অভিযানে এক ঐতিহাসিক অধ্যায় রচনা করেছে।

    ক্ষুদিরামের প্রসঙ্গ (Mann ki Baat)

    ‘মন কি বাত’-এ প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসু-র আত্মবলিদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ১৯০৮ সালে মুজাফফরপুরে যখন তাঁকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়, তখন তাঁর মুখে ভয় ছিল না, বরং ছিল আত্মবিশ্বাস। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি শহীদ হন। এই আত্মত্যাগের ফলেই আমরা আজ স্বাধীন।তিনি অগাস্ট মাসকে ‘বিপ্লবের মাস’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ১৫ অগাস্ট আমাদের সেইসব শহীদদের স্মরণ করার দিন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯০৫ সালের ৭ অগাস্ট থেকে শুরু হয় স্বদেশী আন্দোলন। এই উপলক্ষে প্রতিবছর ৭ আগস্ট ‘জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। তিনি জানান, ভারতের তাঁত শিল্প দিনে দিনে শক্তিশালী হচ্ছে এবং স্থানীয় শিল্পীদের অবদান জাতির গৌরব বাড়াচ্ছে।

    শিবাজী মহারাজের ১২টি দুর্গ পেয়েছে হেরিটেজ স্বীকৃতি, যা দেশের জন্য গর্বের

    আলোচনায় উঠে আসে অলিম্পিক ও অলিম্পিয়াড প্রসঙ্গও। প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতীয় খেলোয়াড় ও ছাত্রছাত্রীরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য অর্জন করছে। সবশেষে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, ইউনেস্কো সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের শিবাজী মহারাজের বারোটি দুর্গকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের’ স্বীকৃতি দিয়েছে, যা ভারতের গৌরবময় ইতিহাসের নিদর্শন।

  • Hamas: জাল পাসপোর্ট বানিয়ে গাজা থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছেন নিহত হামাস প্রধানের স্ত্রী, বলছে রিপোর্ট

    Hamas: জাল পাসপোর্ট বানিয়ে গাজা থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছেন নিহত হামাস প্রধানের স্ত্রী, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে গাজায় ইজরায়েলি হামলায় নিহত হন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার (Hamas)। এবার তাঁর স্ত্রী সামার মোহাম্মদ সম্পর্কে একটি বড় খবর সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে, ইয়াহিয়ার মৃত্যুর আগেই তাঁর স্ত্রী সামার মোহাম্মদ আবু জামা (Hamas) জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে গাজা থেকে পালিয়ে যান। তিনি সন্তানদেরও সঙ্গে করে নিয়ে যান। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে তিনি তুরস্কে অবস্থান রয়েছে, এবং সেখানেই তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন।

    হামাসের এক সিনিয়র নেতা সামার মোহাম্মদকে পালাতে সাহায্য করেন

    জানা গেছে, সিনওয়ারের মৃত্যুর কয়েক মাস পরেই এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাসের (Hamas) এক সিনিয়র নেতা সামার মোহাম্মদকে পালাতে সাহায্য করেন। ওই নেতা গোপনে জাল পাসপোর্ট, জাল চিকিৎসা-সংক্রান্ত নথিপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে দেন। এমনকি, তুরস্কে (Turkey) বিয়ের আয়োজনও সেই নেতা-ই করেছিলেন বলে জানা যায়। ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হন। তবে তাঁর স্ত্রী এর আগেই গাজা ছেড়ে রাফা সীমান্ত দিয়ে মিশরে প্রবেশ করেন, এবং পরে সেখান থেকে জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে তুরস্কে পাড়ি জমান। ২০১১ সালে সামার মোহাম্মদকে বিয়ে করেছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তিনি ছিলেন সিনওয়ারের থেকে প্রায় ১৮ বছর ছোট। তাঁদের তিনটি সন্তান রয়েছে।

    ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ইয়াহিয়া সিনওয়ার চিহ্নিত করা হয়

    প্রসঙ্গত, ইয়াহিয়া সিনওয়ার ছিলেন হামাসের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ২০১৭ সাল থেকে তিনি গাজায় হামাসের (Hamas) প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন এবং ২০২৪ সালের অগাস্ট থেকে তিনি সংগঠনের প্রধান হন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তাঁকেই চিহ্নিত করা হয়। যুদ্ধের আবহে, ইজরায়েলি সেনাবাহিনী একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে দেখা যায় ইয়াহিয়া সিনওয়ার, তাঁর স্ত্রী সামার মোহাম্মদ (Hamas) এবং তাঁদের সন্তানরা খান ইউনুসের একটি সুরঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। পালানোর সময় সামার মোহাম্মদের হাতে ছিল একটি মূল্যবান ব্র্যান্ডেড হ্যান্ডব্যাগ, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়।

  • Udaipur Files: ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি হিন্দুদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য?’, ‘উদয়পুর ফাইলসে’র মুক্তি রদে প্রশ্ন

    Udaipur Files: ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি হিন্দুদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য?’, ‘উদয়পুর ফাইলসে’র মুক্তি রদে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি ছবি ‘উদয়পুর ফাইলস’ (Udaipur Files) মুক্তির দাবিতে লড়ছে সুপ্রিম কোর্টে। এই ছবিটি মুক্তির জন্য ছাড়পত্র দিয়েছিল (Film) কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আবেদনের শুনানি দিল্লি হাইকোর্টকে করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। ২৮ জুলাই ওই আবেদনের শুনানি করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সূ্র্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ।

    মাথা কেটে হত্যা (Udaipur Files)

    ২০২২ সালে মাথা কেটে হত্যা করা হয়েছিল উদয়পুরের পেশায় দর্জি কানাইয়া লালকে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তৈরি হয়েছে ‘উদয়পুর ফাইলস’। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় এবং বিচারপতি অনিশ দয়ালের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন এই ছবি মুক্তি পাবে কিনা, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকারই। তার পর গত ২১ জুলাই ছায়াছবিটির কয়েকটি দৃশ্য বাদ দেওয়ার শর্তে মুক্তির ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় জমিয়ত উলেমা হিন্দ। এই মামলার নাম ‘মহম্মদ জাভেদ বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া এবং জানি ফায়ারফক্স মিডিয়া বনাম মৌলানা আরশাদ মাদানি’।

    মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন  

    যাঁরা ছবিটির বিরুদ্ধে তাঁদের দাবি, ছবিটি সম্প্রদায়িকতা উসকে দেয়। তাই কখনওই মুক্তি পাওয়া উচিত নয় (Film)। আবেদনকারীদের তরফে বলা হয়েছে এটি একটি উসকানিমূলক চলচ্চিত্র। এই ছবির মুক্তি বন্ধে নিয়োগ করা হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীদের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটা অবাক করার মতো বিষয়, যে অনেকেই মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে (Udaipur Files) সওয়াল করেন। কিন্তু যখন এই ধরনের কোনও সিনেমার কথা আসে, তখন তাঁরাই সেই স্বাধীনতার বিরোধিতায় সরব হন। প্রশ্ন উঠছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি কেবলমাত্র ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য? ভারত যদি একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হয়, তাহলে সেই ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করার দায় শুধুই হিন্দুদের ওপর বর্তায়, না কি সবাইকেই সেটা মান্যতা দিতে হয় (Film)?

    ছবিটির মুক্তিতে অনুমোদন

    জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC) ছবিটির মুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে এবং সমস্ত বিতর্কিত দৃশ্য মুছে ফেলা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের প্রশ্ন, তার পরেও কেন সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে এটি প্রদর্শন বন্ধ করা হয়? আবেদনকারীদের যুক্তি, সিনেমাটি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু আমরা কি অস্বীকার করতে পারি যে ২০২২ সালের ২৮ জুন উদয়পুরে ইসলামি উগ্রবাদী রিয়াজ আত্তারি ও গউস মোহাম্মদ দর্জি কানহাইয়া লাল তেলিকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করে? এক উগ্রপন্থী এই হত্যার ঘটনা ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। খুনিরা দাবি করেছিল, এটি বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নুপুর শর্মাকে সমর্থন করায় কানহাইয়া লালের ওপর একটি সামাজিক পোস্টের প্রতিশোধ। এই নির্মম ইসলামি উগ্রচিন্তাধারার ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে নিন্দিত হয় (Udaipur Files)।

    সমাজে সচেতনতা বাড়তেই তৈরি করতেই ছবি

    পরিচালক ভারত এস শ্রিনেত এই উগ্র মানসিকতার বিষয়ে সমাজে সচেতনতা বাড়তেই তৈরি করেছেন ‘উদয়পুর ফাইলস’। তা সত্ত্বেও মহম্মদ জাভেদ, মৌলানা আরশাদ মাদানি এবং আরও কয়েকজন চেষ্টা করছেন যাতে ছবিটি কখনওই মুক্তি না পায়। যদিও সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন, ছবিটিতে ৫৫টি কাট দেওয়া হয়েছে। সব উসকানিমূলক বিষয়বস্তু বাদ দেওয়া হয়েছে। যোগ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় ডিসক্লেমারও। তাঁর দাবি. ছবিটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ বিবরণ তুলে ধরে (Udaipur Files)।

    সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা

    সলিসটির জেনারেল আদালতে বলেছিলেন, “সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। ছবিতে এমন কিছু নেই যা বিদেশ নীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বা কোনও সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করে। গল্পটি ভারসাম্যপূর্ণ। এতে ইতিবাচক চরিত্র রয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে এটি বাস্তব ঘটনার দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি কল্পকাহিনি।” আদালতকে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে যে, ছবিটির সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন কীভাবে কাজ করেছে। তাতে বিদেশমন্ত্রকেরও মতামত অন্তর্ভুক্ত ছিল। জানা গিয়েছে, ছবিটির মোট ১৩ মিনিট অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তাও মার্জিত এবং নিরপেক্ষ। প্রবীণ আইনজীবী গৌরব ভাটিয়া লড়ছেন ছবি নির্মাতাদের পক্ষে। তিনি আদালতকে এও জানিয়েছেন, ছবিটি মুক্তির আগে যে ছ’টি প্রধান পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল, তার সবই ইতিমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে। এর পরেও কেন মহম্মদ জাভেদ ও মৌলানা আরশাদ মাদানির পক্ষে দাঁড়ানো আইনজীবীরা এখনও ছবিটির মুক্তির বিরোধিতা করে যাচ্ছেন, তা (Film) নিয়েই উঠছে প্রশ্ন (Udaipur Files)।

    মামলাকারীদের আইনজীবীদের যুক্তি

    মামলাকারীদের তরফে লড়ছেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং মেনকা গুরুস্বামী। তাঁদের যুক্তি, চলচ্চিত্রটি চার্জশিটের অনুকরণে তৈরি এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে। এই যুক্তি দুর্বোধ্য। বিশেষ করে যখন ছবিটির উদ্দেশ্য সমাজকে জাগ্রত করা। ভয়াবহ ঘটনাটি কোটি কোটি ভারতীয়কে ভাবতে বাধ্য করেছিল, কীভাবে একটি সুস্থ গণতন্ত্রে ধর্মীয় ঘৃণা প্রতিরোধ করা যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যারা আদালতে এই ছবির বিরোধিতা করছেন, তাঁদের উচিত কানাইয়া লালের পরিবারের যন্ত্রণা বোঝার চেষ্টা করা (Udaipur Files)।

    হতাশ কানাইয়া লালের ছেলে

    এদিকে, কানাইয়া লালের ছেলে ইয়শ হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “এই ছবিটি বন্ধ করার জন্য আবেদন করা হয়েছে মাত্র তিন-চার দিন আগে। আর সেটা সঙ্গে সঙ্গেই শুনানি পেয়ে যাচ্ছে। অথচ আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চেয়ে যে আবেদন প্রায় তিন বছর আগে করেছিলাম, তার এখনও কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। এই মামলায় ১৫০টিরও বেশি সাক্ষী ছিল, যার মধ্যে ১৫-১৬ জন আজও আদালতে হাজিরই হয়নি। কোনও ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন করা হয়নি। প্রচুর প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তকেই শাস্তিও দেওয়া হয়নি।” তিনি বলেন, “যখন কেউ সত্যিটা সামনে আনার জন্য একটি সিনেমা বানায়, তখন পুরো ব্যবস্থাটাই যেন তার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে। জমিয়তে উলেমা-এ-হিন্দ বা মৌলানা মাদানির মতো সংগঠনগুলো ছবিটি নিষেধাজ্ঞার দাবি জানায় (Film)। আর তিন দিনের মধ্যেই সিনেমাটির মুক্তি পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কী দারুণ ব্যবস্থা!”

    জঙ্গিদের প্রতি এত দরদ কেন

    তিনি বলেন, “অথচ খুনিদের শাস্তি দিতে এত তৎপরতা কোথায়? এই প্রশ্ন আমাদের ব্যথিত করে। আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথচ আজও বিচার হয়নি। যখন একটি সিনেমা দেশের মানুষকে সাম্প্রদায়িকতা ও জেহাদি মতাদর্শ সম্পর্কে সচেতন করতে চায়, তখন সেটাকে দমন করা হয়। কেন? এ কেমন মানসিকতা? যেসব জঙ্গি আমার বাবাকে খুন করার ষড়যন্ত্র করেছিল, তাদের সত্যটা আজ স্পষ্ট। তবুও কিছু সংগঠন যেন সেই দেশবিরোধী শক্তির পাশেই দাঁড়াচ্ছে।” তাঁর প্রশ্ন, “জঙ্গিদের প্রতি এত দরদ কেন (Udaipur Files)?”

LinkedIn
Share