Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Padma Awards 2025: পদ্মশ্রী অরিজিৎ-অশ্বিন! ৭১ জনের হাতে পদ্ম পুরস্কার তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    Padma Awards 2025: পদ্মশ্রী অরিজিৎ-অশ্বিন! ৭১ জনের হাতে পদ্ম পুরস্কার তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা হয়েছিল আগেই। সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ৭১ জনের হাতে পদ্ম-সম্মান (Padma Awards 2025) তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এদিন বিকেলে রাষ্ট্রপতি ভবনে হয় পদ্ম সম্মান বিতরণ অনুষ্ঠান। পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণ সম্মান প্রদান করা হয় সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতিদের। এদিন চারটি পদ্মবিভূষণ, ১০টি পদ্মভূষণ এবং ৫৭টি পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপকদের হাতে সম্মান তুলে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। পদ্মভূষণ গ্রহণের অনুষ্ঠানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভারতীয় তারকারা এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি ভবনে।

    সোমবার সম্মানিত ৭১ জন

    ২০২৫ সালের মোট ১৩৯ জন পদ্ম সম্মান (Padma Awards 2025) প্রাপকের মধ্যে ৭১ জন সোমবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে তাঁদের সম্মান গ্রহণ করলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সোমবার ৪ জনকে পদ্মবিভূষণ, ১০ জনকে পদ্মভূষণ এবং ৫৭ জনকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেছেন।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বহু বিশিষ্ট সদস্য এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

    পদ্মবিভূষণে সম্মানিত

    চলতি বছরের পদ্মবিভূষণ সম্মানপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক এমটি বাসুদেবন নায়ার (মরণোত্তর), যাঁর হয়ে স্ত্রী সরস্বতী এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। বাণিজ্য ও শিল্পে অবদানের জন্য মরণোত্তর পদ্মবিভূষণে ভূষিত হয়েছেন সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের প্রাক্তন সিইও প্রয়াত ওসামু সুজুকি। তাঁর হয়ে কিংবদন্তির পুত্র বর্তমান সিইও তোশিহিরো সুজুকি এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। এছাড়া শিল্পক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী অবদানের জন্য প্রখ্যাত বেহালাবাদক এল. সুব্রহ্মণ্যমকে পদ্মবিভূষণে ভূষিত করা হয় এদিন। এছাড়া পদ্মবিভূষণ পান ডঃ দুব্বুর নাগেশ্বর রেড্ডি।

    পদ্মভূষণ যাঁরা

    পদ্মভূষণ প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন হকি কিংবদন্তি পিআর শ্রীজেশ, চলচ্চিত্র নির্মাতা শেখর কাপুর, বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি (মরণোত্তর), যাঁর হয়ে এই সম্মান গ্রহণ করেন স্ত্রী জেসি সুশীল মোদি। এদিন পদ্ম অনুষ্ঠানের (Padma Awards 2025) মঞ্চ থেকে কিংবদন্তি গজল শিল্পী পঙ্কজ উধাসকে মরণোত্তর সম্মানে সম্মানিত করা হয়। তাঁর স্ত্রী ফারিদা উধাস এই সম্মান গ্রহণ করেন। নন্দমুরি বালকৃষ্ণকে পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত করা হয়। তিনি বিশেষ এই দিনে অন্ধ্রপ্রদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সেজে উঠেছিলেন। অজিত কুমারও পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত হন। তাঁর পরনে ছিল স্যুট। তাছাড়াও শেখর কাপুর এবং শোভনাও পেয়েছেন পদ্মভূষণ।

    সম্মানের জন্য কৃতজ্ঞ

    জানুয়ারিতে যখন পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন অজিত কুমার একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিল, ‘ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সম্মানিত পদ্ম পুরষ্কার পেয়ে আমি গভীর ভাবে বিনীত এবং সম্মানিত বোধ করছি। এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মানের জন্য আমি ভারতের মাননীয় রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এমন একটি স্বীকৃতি পাওয়া আমার জন্য খুব সৌভাগ্যের বিষয় এবং আমাদের জাতির প্রতি আমার অবদানের এই স্বীকৃতির জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।’ অন্যদিকে, শেখর কাপুর এক্সে পোস্ট করেছিলেন, ‘ভারত সরকার আমাকে পদ্মভূষণের যোগ্য বলে বিবেচনা করেছে বলে আমি কৃতজ্ঞ। আশা করি এই পুরষ্কার আমাকে আমার শিল্পের সেবা করার জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহ দেবে। আমাদের ভারতীয় ছবির দর্শকদেরও ধন্যবাদ, কারণ আমি আছি, আপনারা আছেন বলেই।

    ক্রীড়াজগত থেকে সম্মানিত

    ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন সহ ৫৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এদিন পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির মধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন অশ্বিন। তবে আইপিএলে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদানের জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছ থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করলেন অশ্বিন। শুধু অশ্বিন নয় পদ্ম পুরস্কার পেলেন ভারতীয় হকি দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক পিআর শ্রীজেশ। ভারতের হয়ে দুটি অলিম্পিক পদক জেতা শ্রীজেশ পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত হলেন। শ্রীজেশ ভারতীয় সাবেকি পোশাক পাঞ্জাবি পরেছিলেন। গত ২৫ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে শ্রীজেশ-অশ্বিনদের নাম ঘোষণা করা হয়। পদ্মভূষণ পেলেন প্রাক্তন ফুটবলার বিজয়নও।

    অরিজিৎ, মমতাশঙ্কর-সহ ৯ বঙ্গ সন্তান সম্মানিত

    সঙ্গীতে নিজের অবদানের জন্য পদ্ম সম্মান পেলেন প্লেব্যাক গায়িকা জসবিন্দর নারুলা। এ ছাড়াও কিংবদন্তি সরোদ বাদক পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণও বাংলা থেকে পেলেন পদ্মশ্রী। নয় বঙ্গ সন্তানের সঙ্গেই পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হলেন অরিজিৎ সিং। এবারের পদ্ম সম্মানের তালিকায় ছিল অরিজিৎ, মমতাশঙ্কর-সহ ৯ বঙ্গ সন্তানের নাম। তবে এদিন ছিল পদ্ম সম্মান প্রদানের প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান। উল্লেখ্য, বিশিষ্ট বৈদিক পন্ডিত গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড়কেও পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করা হয়। অযোধ্যার রাম জন্মভূমি মন্দিরে রাম লালার অভিষেক এবং বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ করিডোরের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানের শুভ সময় নির্ধারণ করেছিলেন তিনি।

  • Pahalgam Attack: ‘আল্লাহু আকবর’ বলছে জিপলাইন অপারেটর, তারপরেই শুরু গুলি, ভাইরাল পর্যটকের ভিডিও

    Pahalgam Attack: ‘আল্লাহু আকবর’ বলছে জিপলাইন অপারেটর, তারপরেই শুরু গুলি, ভাইরাল পর্যটকের ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) জঙ্গি হামলার ঘটনায় ফের সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে জিপ লাইন অপারেটর যুবক, জিপলাইন শুরু হওয়ার আগে আচমকা বলে উঠছে ‘আল্লাহু আকবর’। পরপর তিনবার। এর পরেই জিপলাইনে থাকা পর্যটককে দড়িতে তুলে দেয় সে। ঋষি ভাট নামের পর্যটকের সেলফি ক্যামেরায় ধরা পড়ে একের পর এক হত্যালীলা। পর্যটক প্রথমে শব্দ শুনলেও, বিষয়টা অতটা বুঝতে পারেননি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পিছনে গুলি লেগে পড়ে যাচ্ছেন এক পর্যটক। সবাই চিৎকার করছেন। প্রায় ১৫ ফুট উঁচুতে দড়িতে ঝুলছিলেন ওই পর্যটক। প্রথমটায় তিনি কিছুই বুঝে কী উঠতে পারেননি। এই ভিডিও সামনে আসতেই ওই জিপ লাইন অপারেটরকে ডেকে পাঠিয়েছে এনআইএ।

    কী বলছেন ঋষি ভাট?

    ঋষি ভাট তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে যান পহেলগাঁওয়ে। একাধিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋষি ভাট বলেন, “আমরা যখন জিপ লাইনে পৌঁছই, তখন কয়েকটা ছবি তুলি (Pahalgam Attack)। এরপর, আমরা জিপ লাইনের টিকিট কেটে জিপ লাইন শুরু করি। আমার স্ত্রী, পুত্র ও আরও চারজন জিপ লাইনে পার হয় প্রথমে। তারপর আমার জিপ লাইনে যাওয়ার পালা।” আচমকা অপারেটর তিনবার বলে ওঠে ‘আল্লাহু আকবর’। ওই অপারেটরকে সন্দেহের তালিকায় রাখছেন ঋষি। রাতে যখন তিনি তাঁর নিজের ক্যামেরায় তোলা ভিডিও দেখেন, তখনই বুঝতে পারেন, তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে ওই অপারেটর কী বলেছিলেন। এরপরেই ঠিক গোলাগুলি শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঋষি।

    ৬-৭ ফুট দূরত্বেই কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ হতে দেখেন ঋষি

    হত্যালীলা শুরু হতেই (Pahalgam Attack) ওই পর্যটকের স্ত্রী যখন নীচ থেকে চিৎকার করেন, তখনই ঋষি বুঝতে পারেন তিনি বুঝতে পারেন কিছু একটা হচ্ছে। এরপরেই জিপ লাইনের দড়ি খুলে ১৫ ফুট উপর থেকে মাটিতে ঝাঁপ দিয়ে পড়েন তিনি। এরপর নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। ঋষি ভাট আরও জানিয়েছেন, ৬-৭ ফুট দূরত্বেই কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ (Pahalgam Attack Video) হতে দেখেছেন তিনি নিজে। এরপরেই কোনওক্রমে দৌড়ে জঙ্গলে লুকিয়ে পড়েন তিনি।

    জিপলাইনে অন্যান্য পর্যটকরা সওয়ার হলে ‘আল্লাহু আকবর’ বলেনি ওই অপারেটর

    আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করে ঋষি ভাট জানিয়েছেন যে তাঁর আগে যে সমস্ত পর্যটকরা (Pahalgam Attack) জিপলাইনে সওয়ার হয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ‘আল্লাহু আকবর’ বলেনি ওই অপারেটর। আবার যখনই পর্যটকের স্ত্রী এবং সন্তানরা পার হয় তখনও তাকে ‘আল্লাহু আকবর’ বলতে শোনা যায়নি। ওই পর্যটক বলেন, যখন আমি জিপলাইনে সওয়ার হলাম তখনই ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দেয় ওই অপারেটর। এর পরেই গুলি চালানো শুরু হয়।

    আমার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে আমি দৌড়াতে শুরু করি

    এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,‘‘আপনারা ভিডিওতে (Pahalgam Attack Video) দেখতে পাচ্ছেন একজন লোক পড়ে যাচ্ছে। সেই মুহূর্তেই আমি বুঝতে পারলাম যে কিছু একটা সমস্যা এখানে হয়েছে। এরপরে আমি জিপলাইনে দড়িটিকে খুলে দিই। আর প্রায় ১৫ ফুট উঁচু থেকে লাফ দিয়ে পড়লাম। তখন আমার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে আমি দৌড়াতে শুরু করি। আমার মাথায় তখন অন্য কিছু আসেনি। শুধু আমার নিজের জীবন এবং আমার পরিবারের জীবন বাঁচানোর কথা ভাবছিলাম।’’ ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানিয়েছেন জঙ্গলের দিকে প্রথমে তিনি যান, তারপর পার্কিং এরিয়ার দিকে দৌড়াতে থাকেন। এরপর তিনি শ্রীনগরে চলে যান।

    তাঁর স্ত্রীর পাশে থাকা দুই দম্পতিকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা

    ঋষি ভট্ট নিজের কথা যেমন বলেছেন ওই সাক্ষাৎকারে, তেমনই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঠিক কী হয়েছে মাঠে সেটাও তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর পাশে আরও দুইজন দম্পতি ছিলেন। সন্ত্রাসবাদীরা এসে তাঁদের নাম এবং ধর্ম জিজ্ঞেস করে। তারপরেই তাঁদের উপরে গুলি চালায়। ঋষির মতে, ‘‘আমি রোপওয়েতে ছিলাম বলে আমার জীবন রক্ষা পেল। যদি আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে থাকতাম। তাহলে জানিনা আমার কী হত।’’

    ১৮ মিনিটের মধ্যেই আসে সেনাবাহিনী

    প্রত্যেকটি পর্যটক যে দাবি করেছেন সেই একই দাবি উঠে এসেছে ঋষি ভাটের কথাতেও। অর্থাৎ জঙ্গিরা বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করেছে। তাঁদের ধর্ম জিজ্ঞেস করেছে এবং তাঁরা কলেমা পড়তে পারে নাকি সে কথাও জেনেছে। তারপরেই হত্যা করা হয় হিন্দুদের। ঋষির আরও দাবি, যখন গুলি বর্ষণ শুরু হয়, তখন ঘটনাস্থলে কোনও স্থানীয় লোককে তিনি দেখতে পাননি। স্থানীয়রা প্রথমেই পালিয়ে যায়। তাই পর্যটকদের সাহায্য করার জন্য কেউ ছিল না। কিন্তু তাঁরা যখন জঙ্গলে পৌঁছান তার ১৮ মিনিটের মধ্যেই সেনাবাহিনী এসেছিল বলে জানিয়েছেন ঋষি।

  • Anurag Thakur: “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা নির্লজ্জভাবে একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল,” কংগ্রেসকে তোপ অনুরাগের

    Anurag Thakur: “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা নির্লজ্জভাবে একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল,” কংগ্রেসকে তোপ অনুরাগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নেন। তাঁরা একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল।” সোমবার কথাগুলি বললেন সাংসদ বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে মন্তব্যের জন্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস (Congress) নেতা সৈফুদ্দিন সোজের উদ্দেশে কটাক্ষ বাণ হেনে অনুরাগ বলেন, “কংগ্রেসের আসল চেহারা প্রতিনিধিত্বকারী সোজের মতো ব্যক্তিরা সরকারের সিদ্ধান্তে বিচলিত।”

    অনুরাগের অভিযোগ (Anurag Thakur)

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে অনুরাগ অভিযোগ করেন, “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা যাঁরা নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নেন, তাঁরা একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল।” তিনি বলেন, “পাকিস্তান অভ্যাসগতভাবেই অপরাধী, যা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নকে রাষ্ট্রনীতি হিসেবে নিয়ে ভারতকে ক্ষতবিক্ষত করতে ও বিশ্বকে বিপদে ফেলতে উৎসাহিত করে। তাই তাদের জবাবদিহি করতে হবে। নরেন্দ্র মোদি সরকার সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার মাধ্যমে পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, শত্রুতার বিনিময়ে আতিথেয়তা আশা করো না।”

    নিশানায় কংগ্রেস

    অনুরাগ আরও লিখেছেন, “মোদি সরকারের কূটনৈতিক পদক্ষেপ, যা পাকিস্তান ও তার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংযমের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে, তাকে সমগ্র দেশ অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী সৈফুদ্দিন সোজের মতো লোকেরা, যাঁরা কংগ্রেসের আসল চেহারা তুলে ধরেন, তাঁরা সরকারের সিদ্ধান্তে কষ্ট পাচ্ছেন। পাকিস্তানের পক্ষে নির্লজ্জভাবে দাঁড়িয়ে তাঁদের হৃদয় এই দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের জন্য ব্যাকুল।”

    বিজেপি সাংসদ (Anurag Thakur) বলেন, “পাকিস্তান যদি এই ধরনের হামলা চালাতেই থাকে, তবে ভারত এক ফোঁটা জলও দেবে না। পাকিস্তান ও তার বন্ধুদের ক্লাবকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিই যে তোমরা আমাদের রক্তের এক ফোঁটা ঝরালে, ভারত জল দেবে না এক ফোঁটাও।”

    প্রসঙ্গত, এদিন সকালে সৈফুদ্দিন বলেন, “ভারতের উচিত নয় এতদূর যাওয়া, কারণ সিন্ধু জলচুক্তি যুদ্ধের সময়ও ভালোভাবে কাজ করেছে।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে, তা মর্মান্তিক এবং গ্রহণযোগ্য নয়। প্রত্যেক ভারতীয়ের উচিত (Congress) প্রধানমন্ত্রী যে নীতি গ্রহণ করেছেন, তা মেনে চলা (Anurag Thakur)।”

  • Suvendu Adhikari: ‘‘জেহাদি আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দিরগুলির সংস্কার শুরু অক্ষয় তৃতীয়ায়, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘জেহাদি আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দিরগুলির সংস্কার শুরু অক্ষয় তৃতীয়ায়, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়া। ওই দিনই দিঘাতে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দিনই মুর্শিদাবাদ হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলিকে সংস্কার করার কথা ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মুর্শিদাবাদ জেলার জেহাদিদের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দিরগুলির পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করব।’’ এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিন্দু বিরোধী হিসেবে তোপ দেগে শুভেন্দু আরও জানিয়েছেন, এই সরকারের কাছ থেকে কোনও সাহায্য নেওয়া হবে না মন্দির সংস্কার করতে।

    মন্দিরগুলি জেহাদিদের ঘৃণ্য, নিন্দনীয় এবং বর্বরোচিত আক্রমণের চিহ্ন বহন করছে

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মুর্শিদাবাদ জেলার জেহাদিদের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দিরগুলির পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করব। বর্তমানে এই মন্দিরগুলি জেহাদিদের ঘৃণ্য, নিন্দনীয় এবং বর্বরোচিত আক্রমণের চিহ্ন বহন করছে। সমস্ত সনাতনী ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান যথাযথভাবে পালন করে শুদ্ধিকরণ এবং সংস্কার প্রক্রিয়া করা হবে। হিন্দু-বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছ থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করা হবে না। আমি পুনরায় বলছি, সমস্ত খরচ হিন্দুরা নিজেরাই বহন করবে। মুর্শিদাবাদের হিন্দুদের তাঁদের গ্রামের ও পাড়ার মন্দিরে পুজো অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এই মন্দিরগুলি আমাদের তীর্থস্থানের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।’’

    আক্রান্ত হিন্দুদের জন্য প্রার্থনার আবেদন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    নিজের এক ভিডিও বার্তায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্য লগ্নে আপনাদের সনাতনী অভিনন্দন। আপনারা জানেন গত ১১ ও ১২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জ ও ধুলিয়ান এলাকায় বিস্তীর্ন এলাকাজুড়ে হিন্দুদের সংখ্যা শূন্য করার জন্য জেহাদি, সন্ত্রাসী ও শাসকদল তৃণমূলের মদতপুষ্ঠ রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি হিন্দু গ্রামগুলিতে হামলা হয়েছিল। মন্দির কমিটিগুলির (Hindu Temple) হাতে প্রাথমিকভাবে পুনর্নির্মাণের জন্য অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছে। ৩০ তারিখ সকাল ১০টার সময় পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে সনাতনী প্রথা অনুসারে শুদ্ধিকরণের মাধ্যমে পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হবে। বিশ্বের যে যেখানে হিন্দুরা আছেন, বাংলা ভাষা বুঝতে পারেন তাদের কাছে একটাই আবেদন এই ৯টি মন্দির শুদ্ধিকরণের ক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদ সহ কাশ্মীর সহ জঙ্গিদের হাতে, পাকিস্তান প্রেমীদের হাতে আক্রান্ত হিন্দুদের জন্য প্রার্থনা করুন।’’

  • Pahalgam Attack: জোরালো বিস্ফোরণে কাঁপল পাকিস্তান, হত অন্তত ৭, নেপথ্যে কি টিটিপি?

    Pahalgam Attack: জোরালো বিস্ফোরণে কাঁপল পাকিস্তান, হত অন্তত ৭, নেপথ্যে কি টিটিপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার (Pahalgam Attack) পর এক সপ্তাহও কাটেনি। এবার জোরালো বিস্ফোরণ হল পাকিস্তানের (Pakistan) দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে। সোমবারের ওই বিস্ফোরণে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই অনুমান।

    শান্তি কমিটির বৈঠকে বিস্ফোরণ (Pahalgam Attack)

    এদিন দুপুরে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে স্থানীয় শান্তি কমিটির বৈঠক চলছিল একটি বহুতলে। আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বাড়িটি। বিস্ফোরণের অভিঘাতে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। পাক পুলিশের আধিকারিক উসমান ওয়াজির বলেন, “ওয়াজিরিস্তানের একটি ভবনে শান্তিবৈঠক চলছিল। বিস্ফোরণের ফলে ওই বহুতলের একটি অংশ ধসে পড়ে। তাতেই মৃত্যু হয় সাতজনের। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান বেশ কয়েকজন। এই হামলার নেপথ্যে কারা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।”

    নেপথ্যে কি টিটিপি

    বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে চলে যান উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকারী দলকে সাহায্য করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলাটি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অবস্থিত। এলাকাটি পাক তালিবানদের গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-র ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। এদিন দুপুরে সেখানকারই প্রধান শহর ওয়ানায় সরকারপন্থী এক শান্তি কমিটির দফতরের বাইরে বিস্ফোরণ হয়। অতীতে বিভিন্ন সময় টিটিপির বিরোধিতা করেছিল এই শান্তি কমিটি (Pahalgam Attack)। তাই বিস্ফোরণের নেপথ্যে তাদের হাত রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, রবিবারই পাকিস্তানের হাসান খেল এলাকায় পাক সেনা ও আফগান অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়।

    সামরিক মিডিয়া উইংয়ের মতে, এবছর ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে রাতের বেলায় উত্তর ওয়াজিরিস্তানের হাসান খেল এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের কথা জানতে পারে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। রবিবার এই অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই দুপক্ষে হয় গুলি বিনিময়। পাক সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “আমাদের সেনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ করে দিয়েছে। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।” সোমবারের (Pakistan) বিস্ফোরণে এদের হাত থাকতে পারে বলেও অনুমান পাক সেনার (Pahalgam Attack)।

  • Pahalgam Terror Attack: ভারতের ভয়ে বিদেশ পালালেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির! প্রাণভয়ে কোথায় লুকোলেন, জল্পনা সোশ্যাল মিডিয়ায়

    Pahalgam Terror Attack: ভারতের ভয়ে বিদেশ পালালেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির! প্রাণভয়ে কোথায় লুকোলেন, জল্পনা সোশ্যাল মিডিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরীহ হিন্দু পর্যটক খুনের (Pahalgam Terror Attack) ঘটনায় আগুনে ফুটছে ভারত। পাকিস্তানের উপর প্রত্যাঘাত শানাতে কূটনৈতিক ও সামরিক— দু’ধরনের প্রস্তুতিই নিচ্ছে নয়াদিল্লি। এরই মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে, ভারতের ভয়ে নাকি পাকিস্তান ছেড়ে সপরিবারে বিদেশ পালিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির (Asim Munir)।

    কোথায় আছেন মুনির

    পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ইসলামাবাদের উপর নয়াদিল্লি চাপ বাড়াতেই সমাজমাধ্যমে জেনারেল মুনিরকে নিয়ে একাধিক খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তেই পাক সেনাপ্রধান দেশে ছেড়ে চম্পট দিয়েছেন বলে জল্পনা তীব্র হয়েছে। সেই কারণেই গত ২ দিন ধরে তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না, দাবি সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের। এ ব্যাপারে স্থানীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলিও একাধিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ওই সব প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। আর তাই নাকি তাঁর নাম ‘মিসিং ইন অ্যাকশন’ বা এমআইএতে রেখেছে রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতর। অনেকে বলছেন, অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কিছু অফিসারকে নিয়ে রাওয়ালপিন্ডির একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন জেনারেল মুনির।

    ‘মুনির আউট’ ট্রেন্ডিং

    ‘মুনির আউট’ (Munir Out) হ্যাশট্যাগটি পাকিস্তানসহ ভারতেও ট্রেন্ডিং হয়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে মুনির এবং তার পরিবার পাকিস্তান ত্যাগ করেছেন। কিছু অনির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, মুনির, আইএসপিআর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিক এবং চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি জেনারেল সাহির শামশাদ মিরজা যুক্তরাজ্য ও নিউ জার্সি, যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। তবে, এসব তথ্যের কোনও সরকারি প্রমাণ পাওয়া যায়নি।​ যদিও এই দুই খবরই জল্পনা বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদ। তারা জানিয়েছে ঠিক রয়েছেন মুনির। গত ২৭ এপ্রিল জেনারেল মুনিরের একটি গ্রুপ ছবি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতর। সেখানে একাধিক সেনা অফিসার এবং প্রধানমন্ত্রী শরিফের সঙ্গে পাক সেনাপ্রধানকে সামনের সারিতে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল ওই ছবি অ্যাবটাবাদের সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তোলা হয় বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ।

    পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জনমত

    পহেলগাঁও হামলার পর ভারত পাকিস্তান সম্পর্কের অবনতির পাশাপাশি, পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জনমতও তীব্র হয়েছে। অনেক পাকিস্তানি নাগরিক সোশ্যাল মিডিয়ায় মুনিরের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে ‘#ResignAsimMunir’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছেন। একজন প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা দাবি করেছেন, মুনির আইএসআইকে পহেলগাঁও হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।​ এদিকে, ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়াতেও ‘#PakistanBehindPahalgam’ হ্যাশট্যাগে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

  • Pahalgam Attack: বন্ধ বাণিজ্য, ফাঁপরে পাকিস্তান, চড়া দরে কিনতে হচ্ছে হাতফের হওয়া ভারতীয় পণ্য

    Pahalgam Attack: বন্ধ বাণিজ্য, ফাঁপরে পাকিস্তান, চড়া দরে কিনতে হচ্ছে হাতফের হওয়া ভারতীয় পণ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওকাণ্ডে (Pahalgam Attack) সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে ভারত। তার জেরে ভারতের সঙ্গে সমস্তরকম বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছে পাকিস্তান। যার চড়া মূল্য চোকাতে হচ্ছে ইসলামাবাদকে। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই)-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেলেও, পাকিস্তানে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা অপরিবর্তিত রয়েছে। সেই চাহিদা সামাল দিতে পাকিস্তানকে ভারতীয় পণ্য আমদানি চালিয়ে যেতে হবে। এজন্য চড়া মাশুল গুণতে হবে। জিটিআরআই জানিয়েছে, সীমান্ত বন্ধে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য থেমে গেলেও, চাহিদা কমেনি। পাকিস্তান ভারতীয় পণ্য উচ্চমূল্যে ও তৃতীয় দেশের মাধ্যমে সংগ্রহ করবে।”

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে অবনতি (Pahalgam Attack)

    ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর ভারত পাকিস্তানের মোস্ট ফেভার্ড নেশন মর্যাদা প্রত্যাহার করে এবং পাকিস্তানি পণ্যে ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে অবনতি শুরু হয়। জবাবে পাকিস্তান ২০১৯ সালের অগাস্ট থেকে সকল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে কেবল মাঝে মধ্যে ওষুধের মতো মানবিক পণ্য রফতানি হয়েছে পাকিস্তানে। ভারত পাকিস্তান দুই দেশের এই তলানিতে ঠেকে যাওয়া সম্পর্ক সত্ত্বেও, সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানে ৪৪৭.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের (Pakistan) পণ্য রফতানি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, ১১০.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ফার্মাসিউটিক্যালস, ১২৯.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান, ৮৫.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের চিনি, ১২.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অটো পার্টস এবং ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সার (Pahalgam Attack)। এদিকে, পাকিস্তান থেকে ভারতের আমদানি নগণ্য – মাত্র ০.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ছিল ডুমুর, তুলসি ও রোজমেরির মতো কৃষিজাত পণ্য।

    জিটিআরআইয়ের অনুমান

    জিটিআরআইয়ের অনুমান, আনুষ্ঠানিক পুনঃরফতানি পথে প্রধানত সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে এখনও প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয় দুই দেশের মধ্যে। এর মধ্যে ভারতীয় পণ্য ছিল, ফার্মাসিউটিক্যালস, রাসায়নিক দ্রব্য, চা ও কফি, তুলা ও রং, লবণ, চিনি, লোহা ও ইস্পাত, অটো পার্টস এবং পেঁয়াজ, টমেটোর মতো পচনশীল পণ্য। জানা গিয়েছে, এই একই পথে পাকিস্তানের যেসব পণ্য ভারতে প্রবেশ করে, তার মধ্যে রয়েছে, সৈন্ধব লবণ, খেজুর, খোবানি ও বাদামের মতো শুকনো ফল (Pahalgam Attack)। ভারতের এই বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানে সরবরাহ শৃঙ্খলে জটিলতা ও মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটি ইতিমধ্যেই আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক ও ফিচ রেটিংসের মতো প্রতিষ্ঠানের সতর্কতা সহ অর্থনৈতিক চাপের মুখোমুখি রয়েছে। এমতাবস্থায় ভারতের বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্তে পাক সরকার যে আরও বিপাকে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

    পাকিস্তানে ওষুধের সঙ্কট

    জানা গিয়েছে, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় পাকিস্তানে ওষুধের সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা পাক রাজনীতিবিদদের। কারণ পাকিস্তানে ওষুধের কাঁচামালের সিংহভাগই যায় ভারত থেকে। সেই সরবরাহ বন্ধ হতেই বিপাকে ইসলামাবাদ (Pakistan)। গত বৃহস্পতিবার ভারতের সঙ্গে যাবতীয় বাণিজ্য বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে পাকিস্তান। তার পরেও ওষুধের ভাঁড়ারে টান পড়তে পারে ভেবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে পাক সরকার (Pahalgam Attack)।

    ভারত-পাক সম্পর্কে অবনতির জের

    উনিশ সালে পাকিস্তানের বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও অবনতি হয়েছিল ভারত-পাক সম্পর্কে। সেই সময়ও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বাণিজ্য। যার জেরে ওষুধের সঙ্কট সৃষ্টি হয় পাকিস্তানে। এবার যাতে সেই পরিস্থিতি তৈরি না হয়, আগেভাগেই তার ব্যবস্থা করে রাখতে চায় ইসলামাবাদ। ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি অফ পাকিস্তানের এক আধিকারিক বলেন, “২০১৯ সালের সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে আমরা এই প্রস্তুতি শুরু করেছি। ওষুধের চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা বিকল্পের খোঁজ করছি।” পাক স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “আমরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ওষুধ ভারত থেকে আমদানি করি। ক্যান্সার থেরাপি, বিভিন্ন ভ্যাকসিন, সাপের বিষের প্রতিষেধক ভারত থেকে পাকিস্তানের বাজারে আসে।” তাঁর আশঙ্কা শীঘ্রই বাণিজ্য বন্ধের প্রভাব পড়তে চলেছে ওষুধের বাজারে। জানা গিয়েছে, আমদানির পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিন, রাশিয়া এবং ইউরোপের একাধিক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পাকিস্তান। ওই সব দেশ থেকে ওষুধ কেনার কথা ভাবছে (Pakistan) পাক সরকার। যদিও ঠিক কোথা থেকে ওষুধ কেনা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি বলেই পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর (Pahalgam Attack)।

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলরা জবাবে ভারতে নিষিদ্ধ ১৬ পাক ইউটিউব চ্যানেল, নোটিশ বিবিসি-কেও

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলরা জবাবে ভারতে নিষিদ্ধ ১৬ পাক ইউটিউব চ্যানেল, নোটিশ বিবিসি-কেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) জবাবে এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ ভারতের। এর আগে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে প্রায় সবরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এবার বেশকিছু পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল (Pakistan Youtube Channel) ব্যান করল ভারত (India)। উল্লেখ্য, এর আগে নিষিদ্ধের তালিকায় ছিল পাকিস্তান সরকারের সোশ্যাল মিডিয়া, এবং পাক সংবাদমাধ্যমের সোশ্যাল সাইট। আর এবার নিষিদ্ধ করা হল পাকিস্তানি সমস্ত ইউটিউব চ্যানেল। ভারতে বসে আর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম বা অন্য কোনও ব্যক্তির ইউটিউব চ্যানেল দেখা যাবে না। এই চ্যানেলগুলির সম্মিলিত গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৩০ লক্ষপাশাপাশি বিবিসি-কেও চিঠি লিখে সতর্ক করা হয়েছে।

    কোন কোন চ্যানেল বন্ধ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, সিন্ধু জল চুক্তি, বন্ধ সীমান্ত, পাকিস্তানিদের আর দেওয়া হবে না ভিসা-ও। এবার আরও এক বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের। ডন নিউজ, ইরসাদ ভাটি, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ, বোল নিউজ, রফতার, দ্য পাকিস্তান রেফারেন্স, জিও নিউজ, সামা স্পোর্টস, জিএনএন, উজায়ের ক্রিকেট, উমর চিমা এক্সক্লুসিভ, আসমা সিরাজি, মুনিব ফারুক, শুনো নিউজ, রাজি নামা নামের চ্যানেলগুলি ব্যান করা হয়েছে। ভারতীয় ইউজাররা এখন এসব ইউটিউব চ্যানেল দেখতে গেলে একটি বার্তা দেখতে পাচ্ছেন। দেখাচ্ছে, “এই বিষয়বস্তু এই দেশে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে না, কারণ এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কারণে সরকারের নির্দেশে সরানো হয়েছে। সরকারি অনুরোধ সম্পর্কে আরও জানতে গুগল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট দেখুন।” প্রসঙ্গত, আজ সরকারি তরফে যে সমস্ত অ্যাকাউন্টের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে অনেক চ্যানেলকেই চিরতরে ‘সাসপেন্ড’ করা হয়েছে। অর্থাৎ, পাকিস্তানের ওই সমস্ত চ্যানেলে কোনওদিন ভারত থেকে ‘অ্যাকসেস’ করা যাবে না। যদিও অ্যাকাউন্ট ব্যানড হলেও সেখানে আপলোড করা অনেক পুরনো ভিডিও ইউটিউবের অ্যাপ ও ওয়েবসাইট—দু’জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে।

    বন্ধ আখতারের চ্যানেলও

    প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের চ্যানেলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভারতে। যার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় ৩৫ লক্ষ। উল্লেখ্য, রশিদ লতিফ, বাসিত আলির মতো একাধিক ক্রিকেটারের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হলেও ভারতে তাদের বাজার বেশ জনপ্রিয়। কেন্দ্রের কোপে আপাতত সমস্ত চ্যানেলই ‘ব্যানড’। এই তালিকায় রয়েছেন শোয়েব আখতারও। যদিও বাকিদের চেয়ে কয়েক কদম এগিয়ে ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’। বিভিন্ন বিষয়ে অকপট মন্তব্যের জন্য দুই মুলুকের তামাম ক্রিকেটভক্তের মধ্যে সুখ্যাতি রয়েছে শোয়েবের।

    কেন বন্ধ চ্যানেলগুলি

    সরকারের অভিযোগ, পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে ভারত, ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক, সাম্প্রদায়িক ও মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। সেই কারণেই ইউটিউব চ্যানেলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হল। সরকারি সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। সম্প্রতিই কেন্দ্রের নজরে এসেছে যে পাকিস্তানের ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য় সম্প্রচার করা হচ্ছে। বিশেষ করে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর এমন কিছু কন্টেট পোস্ট করা হচ্ছে, যা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বা হিংসার সৃষ্টি করতে পারে। জাতীয় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলগুলি ব্যান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বিবিসি-র উপর ক্ষুব্ধ সরকার

    অন্যদিকে, কেন্দ্রের তরফে বিবিসি-কেও চিঠি লিখে সতর্ক করা হয়েছে তাদের সংবাদ পরিবেশন নিয়ে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার খবরের শিরোনামে লেখা ছিল “কাশ্মীরের হামলার পর পাকিস্তান ভারতীয়দের জন্য ভিসা বন্ধ করল।” এছাড়া সন্ত্রাসবাদী হামলাকেও ‘মিলিট্যান্ট অ্যাটাক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপরই কেন্দ্রের তরফে বিবিসি ইন্ডিয়ার প্রধান জ্যাকি মার্টিনকে চিঠি লেখা হয় এবং জানানো হয় যে বিদেশ মন্ত্রক বিবিসির রিপোর্টিংয়ে নজর রাখবে।

    মোদি-রাজনাথ বৈঠক

    এর আগে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। ২২ এপ্রিলের ওই নাশকতায় প্রাণ হারান ২৬ জন। তাঁদের অধিকাংশই ভারতীয় হিন্দু পর্যটক। এই হামলার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি বিবৃতি পেশ করে। যেখানে বলা হয়, ‘উস্কানিমূলক ও ‘সাম্প্রদায়িক সংবেদনশীল কন্টেন্ট তৈরি, বিভ্রান্তিমূলক ন্যারেটিভ বানানো এবং ভারত নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের ইউটিউব চ্যানেলগুলি ব্যান করা হল।’ এরপর কোন কোন চ্যানেল পুরোপুরি নিষিদ্ধ, তার তালিকা পেশ করেছে কেন্দ্র। সামা টিভি, ডন নিউজ, ইরশাদ ভাট্টি-র মতো একগুচ্ছ চ্যানেল এই তালিকায় রয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পাকিস্তানের বিরদ্ধে কোন পথে সেনা এগোবে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। প্রসঙ্গত, সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া-সহ গোটা বিশ্বই।

  • Rajnath Singh: রাজনাথের সঙ্গে চল্লিশ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, দুয়ারে যুদ্ধ!

    Rajnath Singh: রাজনাথের সঙ্গে চল্লিশ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, দুয়ারে যুদ্ধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই দেশের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ঠিক তার পরের দিনই রাজনাথ গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। ২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জম্মু-কাশ্মীরে যে সেনা অভিযান চলছে সেই ব্যাপারে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁকে ব্রিফিং দেন। পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় জঙ্গিরা বেছে বেছে খুন করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন হন স্থানীয় এক কাশ্মীরি মুসলমান। এদিন প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হয় মিনিট চল্লিশেক।

    রুদ্ধদ্বার বৈঠক (Rajnath Singh)

    রুদ্ধদ্বার ওই কক্ষে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে রাজনাথ দক্ষিণ ব্লকে যান, যেখানে সেনাপ্রধান তাঁকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি, বিশেষত পহেলগাঁওয়ে সর্বশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া অঞ্চলটি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফিং দেন। পহেলগাঁওয়ের ওই ঘটনার জেরে ভারতে তো বটেই, আন্তর্জাতিকভাবেও ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভারত সরকার এই হামলার সীমান্ত-পার্শ্ববর্তী সংযোগের কথা উল্লেখ করে জোরালো ও সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’

    রবিবারই তাঁর ১২১তম ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পহেলগাঁও হামলায় অপরাধী ও ষড়যন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সব চেয়ে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ‘মন কি বাতে’ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে সমগ্র বিশ্ব ১৪০ কোটি (Rajnath Singh) ভারতবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আমি আবারও আশ্বাস দিচ্ছি, তারা ন্যায়বিচার পাবে। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে।” ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে বলেন, “এটি কাশ্মীর ও দেশের শত্রুদের একটি হতাশাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যারা এই অঞ্চলের অসাধারণ অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে চায়।”

    এই হামলাকে “সন্ত্রাসবাদে প্রশ্রয়দানকারীদের” হতাশার প্রতিফলন বলেও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যে সময়ে কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল, স্কুল-কলেজে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছিল, গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়ে উঠছিল, পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং যুবসমাজের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল, সেই (Pahalgam Attack) সময়ে জম্মু-কাশ্মীর ও দেশের শত্রুরা এটিকে মেনে নিতে পারেনি। জঙ্গিরা আবারও কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায় (Rajnath Singh)।”

  • Pakistan: পেটে নেই খাবার, মুখে যুদ্ধের জিগির! পাকিস্তানে মুরগির মাংস ৮০০ টাকা, চালের দর ৩৪০ টাকা কেজি

    Pakistan: পেটে নেই খাবার, মুখে যুদ্ধের জিগির! পাকিস্তানে মুরগির মাংস ৮০০ টাকা, চালের দর ৩৪০ টাকা কেজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা পাক নেতারা হুমকি দিচ্ছেন ভারতের ওপর পরমাণু হামলা চালানোর। কিন্তু নিজের দেশের অন্দরের অবস্থা ভাঁড়ে মা ভবানী! খাবার সংস্থান করাই পাকিস্তানের (Pakistan) কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। সেদেশে খাদ্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। চাল, আটা, সবজি, ফল ও মাংসের দাম অনেক বেশি (Pakistan Faces Food)। অবস্থা এতটাই খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে যে মুরগির মাংসের দাম পাকিস্তানি মুদ্রায় ছুঁয়েছে প্রায় ৮০০ টাকা। অন্যদিকে, চালের দাম ছুঁয়েছে ৩৪০ পাকিস্তানি মুদ্রা। এই আবহে অনেকেই কটাক্ষ করে বলছেন, আগে পাকিস্তান নিজেদের খাদ্যের সংস্থান করুক, তারপর না হয় ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের কথা ভাববে।

    নিজের পায়েই কুড়ুল মেরেছে পাকিস্তান (Pakistan)

    ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করতেই পাকিস্তানজুড়ে খাদ্য সংকট আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবর্ষেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ৩৮৩৮.৫৩ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছিল। এবার নতুন অর্থবর্ষ শুরু হতেই পাকিস্তানের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত। অমৃতসরের এই সীমান্ত দিয়েই মূলত আমদানি রফতানি হয় পাকিস্তান, আফগানিস্তানে। কিন্তু পাকিস্তান আগ বাড়িয়ে বাণিজ্য স্থগিত করে নিজের পায়েই কুড়ুল মেরেছে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    এক কেজি মুরগির মাংসের দাম ৭৯৮ পাকিস্তানি মুদ্রা, চালের দাম ৩৪০ পাকিস্তানি মুদ্রা

    ভারত থেকেই পাকিস্তান (Pakistan) এতদিন অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ, বিভিন্ন কেমিক্যাল, খাদ্যপণ্য, মাছ-মাংস, ফল, সবজি, জিপসাম ও লবণ আমদানি করত। বর্তমানে যদি পাকিস্তানের বাজারের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের বাজারে এক কেজি মুরগির মাংসের দাম ৭৯৮ পাকিস্তানি মুদ্রা। অন্যদিকে, চালের দাম ছুঁয়েছে প্রতি কেজি ৩৩৯ পাকিস্তানি মুদ্রা! জানা যাচ্ছে, এক ডজন মুরগির ডিমের দাম পাকিস্তানে ৩৩২ পাকিস্তানি মুদ্রা, এক লিটার দুধের দাম সেখানে ২২৪ পাকিস্তানি মুদ্রা।

    আলুর দাম প্রতি কেজি ছুঁয়েছে ১০৫ পাকিস্তানি মুদ্রা

    অন্যদিকে, ৫০০ গ্রাম পাউরুটির দামই রয়েছে ১৬১ পাকিস্তানি মুদ্রা, আলুর দাম প্রতি কেজি ছুঁয়েছে ১০৫ পাকিস্তানি মুদ্রা। আপেলের দাম সেখানে কেজি প্রতি ২৮৮ টাকা, কলার দাম ছুঁয়েছে ১৭৬ পাকিস্তানি মুদ্রা। এই আবহে পাকিস্তানে ইতিমধ্যেই ওষুধ সঙ্কটের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারত থেকেই ৩০-৪০ শতাংশ ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানি করে পাকিস্তান। বাণিজ্য বন্ধ হতেই বাজারে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বিরাট সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    মূল্যবৃদ্ধি আরও বাড়বে পাকিস্তানে

    প্রসঙ্গত, ভারতবর্ষের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পাকিস্তানের বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তৃতীয় দেশের মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ব্যবসা চলতে থাকে। ভারতের বেশিরভাগ জিনিসই পাকিস্তান আমদানি করতে থাকে আফগানিস্তান এবং অন্যান্য দেশ থেকে। সম্প্রতি, তৃতীয় দেশের মাধ্যমেও বাণিজ্য বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধের ফলে পাকিস্তানের অর্থনীতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এর ফলে ওষুধ সহ খাদ্য সামগ্রীর জিনিসপত্রে ঘাটতি তৈরি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যার ফলে যে মূল্যবৃদ্ধি পাকিস্তানে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানে ভারত জিপসাম এবং লবণ ছাড়াও বিপুল পরিমাণে ওষুধ রাসায়নিক, সবজি, হাঁস মুরগির খাবার এবং শুকনো ফল রফতানি করত এতদিন।

    এক কোটিরও বেশি পাকিস্তানিকে অনাহারে ভুগতে হবে, রিপোর্ট বিশ্ব ব্যাঙ্কের

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের অবস্থা যে খুবই খারাপ হতে চলেছে আগামী দিনে, তার ভয়াবহ ভবিষ্যদ্বাণী শোনা গিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের একটি রিপোর্টেও। সেখানে বলা হচ্ছে যে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে চলেছে পাকিস্তান। চলতি আর্থিক বছরে তাদের দারিদ্রতার মাত্রা আরও ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, এক কোটিরও বেশি পাকিস্তানিকে অনাহারে ভুগতে হবে বলে নিজেদের রিপোর্টে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।

    ২০২৫ সালেই চরমভাবে অনাহার দেখা দেবে পাকিস্তানে

    ওই রিপোর্ট অনুসারে, পাকিস্তানের (Pakistan) বর্তমান পরিস্থিতিতে ধান এবং ভুট্টা উৎপাদনের ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই কারণে এক কোটিরও বেশি পাকিস্তানি তীব্র খাদ্য নিরাপত্তার সম্মুখীন হবেন। ২০২৫ সালেই চরমভাবে অনাহার দেখা দেবে পাকিস্তানে। বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্টে পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক নীতি এবং ঋণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে সতর্ক করা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে যে সরকার চলছে তা বাজেট ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংঙ্কের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রতিবছর ২ শতাংশ হারে যদি বাড়তেই থাকে, তাহলে আগামী দিনে অর্থনৈতিক অবস্থা দেশটির আরও খারাপ হবে।

LinkedIn
Share