Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Made in India Rafale: ‘ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল’, প্রস্তাব বায়ুসেনার, খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    Made in India Rafale: ‘ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল’, প্রস্তাব বায়ুসেনার, খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান! প্রস্তাব ভারতীয় বায়ুসেনার।

    কেন্দ্রকে অভিনব প্রস্তাব বায়ুসেনার

    চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিচ্ছে মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান। অবসরের দিকে এগোচ্ছে মিগ-২৯, জাগুয়ার ও মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানগুলিও। সেই যুদ্ধবিমানের পরিবর্তে যে তেজস মার্ক-১এ অন্তর্ভুক্ত করার কথা ছিল, তা দীর্ঘ বিলম্বের শিকার। মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যেই একাধিকবার উষ্মাপ্রকাশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এহেন পরিস্থিতিতে দেশে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হ্রাসের মোকাবিলা এবং বাহিনীর শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এমনই একটি অভিনব প্রস্তাব কেন্দ্রকে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)।

    ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফাল যুদ্ধবিমান

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১১৪টি ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফাল যুদ্ধবিমান (Made in India Rafale) কিনতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে সুপারিশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। যুদ্ধবিমানগুলি রাফাল নির্মাণকারী ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একাধিক ভারতীয় সংস্থা তৈরি করবে। বায়ুসেনার পাঠানো স্টেটমেন্ট অফ কেস বা প্রস্তাবটির আর্থিক পরিমাণ ধরা হচ্ছে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি, যেখানে দেশীয় উপাদানের অংশগ্রহণ থাকবে ৬০ শতাংশেরও বেশি।

    অপারেশন সিঁদুর-এ রাফালের ভূমিকা

    অপারেশন সিঁদুর-এ রাফাল যুদ্ধবিমান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, তা নিজেদের প্রস্তাবে রাখে বায়ুসেনা। সেখানে রাফাল যুদ্ধবিমানের সাফল্যকে তুলে ধরা হয়। সূত্রের খবর, বায়ুসেনার নোটে বলা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুর অভিযানে রাফাল তার অত্যাধুনিক স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট ব্যবহার করে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চিনা পিএল-১৫ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে।

    আরও উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত

    সূত্রের খবর, বর্তমান রাফালে যে স্ক্যাল্প মিসাইল আছে, তার থেকে আরও উন্নত, অধিক দূরপাল্লার এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিসাইল থাকতে পারে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফালে (Made in India Rafale)। এই স্ক্যাল্প ব্যবহার করেই পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক এবং জঙ্গিদের ঘাঁটিতে নিশানা করেছিল ভারত। ফরাসি সংস্থা ভারতে তৈরি করবে ইঞ্জিন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের আধুনিক কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদে রাফালে ব্যবহৃত এম-৮৮ ইঞ্জিনের জন্য এমআরও ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। উৎপাদনে অংশ নেবে টাটা-সহ একাধিক ভারতীয় সংস্থা।

    খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    সূত্রের খবর, বায়ুসেনার (Indian Air Force) থেকে পাওয়া সুপারিশ নিয়ে বর্তমানে প্রতিরক্ষা অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন শাখা এনিয়ে কাজ করছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে ডিফেন্স প্রোকিউরমেন্ট বোর্ডের বৈঠক বসতে পারে। তার পরে, এই বিষয়ে আলোচনায় বসবে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল। যদি শেষ পর্যন্ত সেই সুপারিশ গৃহীত হয়, তাহলে সেটি ভারত সরকারের স্বাক্ষরিত সর্ববৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে। এই চুক্তি সম্পন্ন হলে ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে রাফালে বিমানের (Made in India Rafale) সংখ্যা দাঁড়াবে ১৭৬। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা ৩৬টি রাফালে পেয়েছে এবং ভারতীয় নৌবাহিনী চুক্তির মাধ্যমে আরও ২৬টি অর্ডার করেছে।

  • India-US Relation: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছে”! ৫০ শতাংশ শুল্ক নিয়ে সুর নরম করলেন ট্রাম্প

    India-US Relation: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছে”! ৫০ শতাংশ শুল্ক নিয়ে সুর নরম করলেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India-US Relation) উপর শুল্ক চাপানো যে সহজ নয়, তা মানলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করা “সহজ কাজ নয়” কারণ এটি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করে। শুল্কের কাঁটায় ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়েছে তিক্ত। এ কথা নিজেই স্বীকার করে নিলেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

    কী বললেন ট্রাম্প

    ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “দেখুন, ভারত ওদের (রাশিয়া) সবথেকে বড় গ্রাহক ছিল। আমি ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক (Trump Tariff on India) চাপিয়েছি কারণ ওরা রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে। এটা সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু আমি তা করেছি। আমি অনেক করেছি। মনে রাখবেন, এটা আমাদের সমস্যার থেকেও বেশি ইউরোপের সমস্যা।” শুক্রবার ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি ইতিমধ্যেই অনেক কিছু করেছি। আমি সাতটা যুদ্ধ সমাধান করেছি। আমি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যেকার উত্তেজনাসহ অনেক কিছু সমাধান করেছি। যেগুলো অসম্ভব মনে করা হত যেমন কঙ্গো আর রুয়ান্ডা। আমি তা সমাধান করেছি। এটি ৩১ বছর ধরে চলছিল, লাখ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। আমি এমন যুদ্ধও শেষ করেছি, যেগুলোকে বলা হত সমাধান অযোগ্য।”

    ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি

    একদিকে শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প যখন ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক অবনতি হওয়ার কথা বলছেন, সেখানেই বৃহস্পতিবার তাঁরই মনোনীত ভারতে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত সার্গিও গোর বলেছেন যে ট্রাম্প প্রশাসন চায় ভারত রাশিয়ার থেকে তেল ও ক্রুড পণ্য না কিনে, তা আমেরিকার থেকে কিনুক। বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দুই দেশের আলোচনা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। প্রসঙ্গত, ভারতের উপরে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে দেওয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই যুক্তিই দিয়েছিলেন যে ভারত রাশিয়ার থেকে তেল কিনছে। ভারত ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছে এবং এই সিদ্ধান্তকে অনৈতিক বলে উল্লেখ করেছে। সম্প্রতি চিন-রাশিয়া ভারতের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াতেই আবার সুর নরম করেছেন ট্রাম্প। বারবার উল্লেখ করেছেন বন্ধুত্ব ও দীর্ঘ সম্পর্কের কথা। সম্প্রতি মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক এক সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দেন যে, ভারতের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত এগোতে পারে। লুটনিক বলেন, “আসলে আমরা ভারতের ব্যাপারটা সমাধান করব, সেখানে বিশেষ কোনও সমস্যা হবে না।” তিনি আরও যোগ করেন, অগ্রগতি অনেকটাই নির্ভর করছে ভারত রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করছে কিনা তার ওপর।

  • India Welcomes Nepal: সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতার’ আশা, নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানাল ভারত

    India Welcomes Nepal: সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতার’ আশা, নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত (India Welcomes Nepal)। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির (Sushila Karki) নেতৃত্বাধীন এই সরকারকে “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ” বলে অভিহিত করেছে নয়াদিল্লি। সরকার পতনের পর শুক্রবার অগ্নিগর্ভ নেপালের হাল ধরলেন সে দেশের প্রাক্তন বিচারপতি ৭৩ বছরের সুশীলা কার্কি। এদিন রাতে নেপালের রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্য প্রধানদের উপস্থিতিতে শপথ নিলেন তিনি। কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল আবাস থেকে বিবৃতি জারি করে সে কথা জানানো হয়েছে।

    স্বাগত বার্তা ভারতের

    নেপালের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান হিসেবে প্রাথমিকভাবে কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহের নাম উঠছিল। কিন্তু ‘জেন জি’-র তরফে তাঁর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। এরপরই কার্কির নাম ওঠে এবং তাঁর পক্ষেই সবচেয়ে বেশি সমর্থন মেলে। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী, নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি শুক্রবার রাতে শপথগ্রহণের পর আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হলেন। সুশীলা (Sushila Karki) নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে দিল্লি। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “আমরা নেপালে সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। আমরা আশাবাদী যে এই সরকার নেপালে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনার পথে সহায়ক হবে। নিকট প্রতিবেশী, একত্রে গণতান্ত্রিক দেশ এবং দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে, ভারত নেপালের জনগণ এবং দেশের সমৃদ্ধির জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে।”

    নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী

    নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পোদেল শুক্রবার কাঠমান্ডুতে এক অনুষ্ঠানে সুশীলা কার্কিকে (Sushila Karki) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ পাঠ করান। উপস্থিত ছিলেন শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। ৭৩ বছর বয়সি কার্কি ছয় মাসের মধ্যে নতুন সংসদীয় নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছেন। সৎ ও স্পষ্টভাষী হিসেবে পরিচিত কার্কি ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পরই কার্কির নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়। ওলি দেশজুড়ে নেপালের যুব সমাজের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়ে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। এই বিক্ষোভ শুরু হয় ওলির সরকারের বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত ঘিরে — যা নেপালের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণআন্দোলন বলে বিবেচিত। রাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনী এবং “জেনারেশন জেড” আন্দোলনকারীদের মধ্যে একাধিক বৈঠকের পরই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নাম অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর জন্য চূড়ান্ত করা হয়।

    ভারতকে পাশে থাকার আহ্বান

    প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলার নাম কার্যত নিশ্চিত হওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ধন্যবাদ জানান তিনি। বলেন, “মোদিকে আমি নমস্কার জানাই। আমি তাঁকে সম্মান করি। ভারতের প্রতি আমার অপরিসীম শ্রদ্ধা এবং স্নেহ রয়েছে। কারণ, তাঁরা সর্বদা নেপালের পাশে থেকেছেন।” নেপালে সরকার পতনের তিন দিনের মাথায় গঠিত হল অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার রাতে তিনি রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের (Ramchandra Poudal) কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন ৭২ বছর বয়সি সুশীলা (Sushila Karki)। তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি রাম সহায় এবং প্রধান বিচারপতি প্রকাশ সিং রাওয়াত। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই।

    নেপালে পরবর্তী নির্বাচন কবে

    বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সুশীলা কার্কিকে (Sushila Karki) মনোনীত করেন আন্দোলনকারী ছাত্র যুবরা। যদিও প্রাথমিক অবস্থায় তাঁর কাছে এই প্রস্তাবে সম্মতি চাওয়া হলে তিনি প্রস্তাব বিবেচনার জন্য কমপক্ষে ১ হাজার স্বাক্ষর চেয়েছিলেন। পরে তাঁর পক্ষে প্রায় ২ হাজার ৫০০ স্বাক্ষর জমা পড়ে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে সম্মত হন সুশীলা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলা কার্কির নিয়োগের কড়া সমালোচনা করেছে নেপালের মাওয়িস্ট পার্টি। শুক্রবার রাতে সুশীলা কার্কির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করে নেপালি সংসদের দুই কক্ষের প্রধানরা। রাষ্ট্রপতির পক্ষে থেকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও স্পিকার দেবরাজ ঘিমিরে এবং জাতীয় সংসদের চেয়ারম্যান নারায়ণ দাহাল শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। নেপালের জেন জি আন্দোলকারীদের কোর কমিটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আগামী নির্বাচনের সময়সীমা বেঁধে দেবার কথা জানিয়েছেন। তাদের দাবি, আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে নেপালের পরবর্তী নির্বাচন করতে হবে। সূত্র অনুসারে, ২০২৬ সালের ৫ মার্চ নেপালের পরবর্তী নির্বাচন হবার কথা।

  • Supreme Court: ধর্ষণ ও সম্মতিসূচক যৌন সম্পর্কের পার্থক্য খুঁজতে হাইকোর্টগুলিকে চার ধাপের সুপ্রিম নির্দেশ

    Supreme Court: ধর্ষণ ও সম্মতিসূচক যৌন সম্পর্কের পার্থক্য খুঁজতে হাইকোর্টগুলিকে চার ধাপের সুপ্রিম নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বুধবার এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, ধর্ষণ ও সম্মতিসূচক যৌন সম্পর্কের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। শীর্ষ আদালতের মতে, যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে অভিযোগ যাচাই করার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার, কারণ সব অভিযোগকে একইভাবে দেখা যায় না। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে বিয়ে করার ইচ্ছা না রেখেও কেবলমাত্র যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন, তবে তা প্রতারণা হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে এদিন স্পষ্ট হল, শুধুমাত্র বিয়ের প্রতিশ্রুতিকে ভিত্তি করে প্রতিটি যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণ বলা যায় না। কারণ অনেক সময় সম্পর্ক ভেঙে গেলে বা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হলে অভিযোগ ওঠে, যা সবসময় ধর্ষণের আওতায় পড়ে না।

    কী বললেন বিচারপতিরা?

    এই মামলায় বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মিথ্যা বা অযথা অভিযোগ কেবল অভিযুক্তের ভাবমূর্তি নষ্ট করে না, বরং বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার ঘটায়। আদালতের ভাষায়, “ভিত্তিহীন অভিযোগে সমন জারি করা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়, যা অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্মানকে কলঙ্কিত করে।”

    মামলার প্রেক্ষাপট (Supreme Court)

    ২০১৪ সালে এক মহিলা অভিযোগ করেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তি ২০১০ সাল থেকে তার উপর ধর্ষণ, অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক, শারীরিক নির্যাতন এবং জাতিগত অপমান চালিয়েছেন। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তের বাবা-মাকেও মামলায় জড়ানো হয়। চার বছর পর মামলা দায়ের হওয়ায় অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ম্যাজিস্ট্রেট ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৭৬ (ধর্ষণ) অনুযায়ী সমন জারি করেন, যা পরে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বহাল রাখে।

    সম্মতিসূচক সম্পর্ক ছিল, দাবি অভিযুক্তের আইনজীবীর

    অভিযুক্ত ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। তাঁর পক্ষের আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাহুল কৌশিক জানান, সম্পর্কটি ছিল সম্পূর্ণ সম্মতিসূচক, কিন্তু ভেঙে যাওয়ার পর প্রতিশোধমূলকভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ (Supreme Court)

    সুপ্রিম কোর্ট অভিযোগ খারিজ করে জানায়, মামলায় কোনও নির্দিষ্ট তারিখ বা স্থানের উল্লেখ নেই এবং কেন চার বছর পরে অভিযোগ দায়ের করা হলো তারও বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। শীর্ষ আদালত বলেছে, এই ধরনের অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই এবং মূলত এটি ভাঙা সম্পর্কের একটা প্রতিশোধমূলক রূপ।

    চার ধাপের পরীক্ষা

    এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court), হাইকোর্টগুলোর (High Courts) জন্য একটি চার ধাপের পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে, যা ধারা ৪৮২ সিআরপিসি (বর্তমানে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ধারা ৫২৮) অনুযায়ী ফৌজদারি কার্যক্রম খারিজ করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

    প্রথমত – অভিযুক্ত যে প্রমাণ দিচ্ছে, সেটা একেবারে পরিষ্কার, নিখুঁত এবং সন্দেহহীন হতে হবে।

    দ্বিতীয়ত – যদি ওই প্রমাণকে সত্যি ধরা হয়, তাহলে অভিযোগের ভিত্তি পুরো নষ্ট হচ্ছে কিনা, আর সাধারণভাবে একজন মানুষ ওই অভিযোগকে মিথ্যা বলে বিশ্বাস করবে কি না, সেটা দেখতে হবে।

    তৃতীয়ত – অভিযোগকারী সেই প্রমাণের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে পারছে কি না, বা প্রমাণটা এমন যা বাস্তবে কোনওভাবেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।

    চতুর্থত – আদালতকে দেখতে হবে মামলাটা চালিয়ে গেলে সেটা কি বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার হবে, আর ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করবে কি না।

    এই চারটি শর্ত পূর্ণ হলে, হাইকোর্টের উচিত মামলা খারিজ করে দেওয়া। এতে অভিযুক্ত ব্যক্তি অকারণ হয়রানি থেকে রক্ষা পাবেন এবং আদালতের মূল্যবান সময়ও সাশ্রয় হবে।

    সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের গুরুত্ব

    আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় শুধু এই মামলার জন্য নয়, ভবিষ্যতের বহু মামলার ক্ষেত্রেও পথ দেখাবে। দেশে প্রায়ই দেখা যায়, ভালোবাসার সম্পর্কে থাকাকালীন শারীরিক সম্পর্ক হয়। সেই সম্পর্ক ভেঙে গেলে অনেক সময় ক্ষোভ বা প্রতিশোধ থেকে ধর্ষণের মামলা করা হয়। এতে আসল ধর্ষণ মামলার গুরুত্ব কমে যায় এবং আইনের অপব্যবহার বাড়ে। সুপ্রিম কোর্ট এবার স্পষ্ট করে দিয়েছে, সব অভিযোগকে অন্ধভাবে গ্রহণ করা যাবে না। আদালতকে ভালো করে দেখতে হবে—অভিযোগ কতটা বিশ্বাসযোগ্য, প্রমাণ কতটা পরিষ্কার, আর অভিযোগকারিণী কেন দেরি করে মামলা করেছেন। এসব খুঁটিনাটি না দেখলে নির্দোষ মানুষ অকারণে ফেঁসে যায়, সমাজে তাঁর সম্মান নষ্ট হয় এবং বিচারব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রায়ের ফলে মিথ্যা বা প্রতিশোধমূলক অভিযোগ কমবে। আদালতগুলো এখন থেকে আরও সতর্কভাবে প্রতিটি মামলা খতিয়ে দেখবে। এতে একদিকে যেমন নির্দোষ মানুষ অন্যায়ভাবে হয়রানি থেকে রক্ষা পাবেন, তেমনি সত্যিকারের অপরাধীদের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার পাওয়া আরও সহজ হবে। ফলে বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার রোধে এই রায় একটি বড় দিশা হয়ে থাকবে।

  • Sushila Karki: নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন সুশীলা কার্কি!

    Sushila Karki: নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন সুশীলা কার্কি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালের (Nepal) অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি (Sushila Karki)। সেনাবাহিনীর সঙ্গে জেন জেড-এর প্রতিনিধিদের একাধিক বৈঠক শেষে শিলমোহর পড়ে সুসীলার নামে। তার পরেই ঠিক হয় আজ, শুক্রবার রাতেই শপথ নেবেন তিনি। প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলের কাছে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা সুশীলার।

    ভেঙে দেওয়া হল সংসদ (Sushila Karki)

    এদিন জেন জেড ঘোষণা করেছে, তারা সুশীলার নেতৃত্ব মেনে নিতে রাজি। তবে কয়েকটি শর্তও আরোপ করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হল সংসদ ভেঙে দেওয়া। সেই মতো এদিন সন্ধ্যায়ই ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ। জেন জেড গ্রুপের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে বলা হয়, “উই নেপালি গ্রুপ নিশ্চিত করছি যে আমরা বৃহত্তর সহমতে আসতে পেরেছি।” গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সুদান গুরুং জানান, সংসদ ভেঙে দেওয়া তাঁদের প্রধান দাবিগুলির মধ্যে একটি। তার পরেই পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য এগনো যেতে পারে। সুশীলা প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলে নেপালে রচিত হবে ইতিহাস। প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী পাবে বুদ্ধের দেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে সুশীলা ছাড়াও ঘোরাফেরা করছিল আরও চারজনের নাম। এঁরা হলেন কাঠমাণ্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহ, ধারানের মেয়র হরকা সামপাং, প্রাক্তন সাংবাদিক রবি লামিছানে এবং নেপালের বিদ্যুৎ দফতরের অধিকর্তা কুলমান ঘিসিং।

    প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন সুশীলা কার্কি

    প্রসঙ্গত, যে জেন জেডের আন্দোলনের জেরে পালাবদল হল নেপালে, সেই আন্দোলনকারীদের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে কাকে বেছে নেওয়া হবে, তা নিয়েই চলছিল দ্বন্দ্ব। সেই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে দফায় দফায় হয়েছে আলোচনা (Sushila Karki)। রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন জেন জেডের এক প্রতিনিধি দলও। শেষমেশ সুশীলার নামেই পড়ে শিলমোহর। তার পরেই রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। শুরু হয়ে যায় নয়া প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের প্রস্তুতিও। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সংসদের স্পিকার এবং জাতীয় পরিষদের চেয়ারপার্সনকেও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সব নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদেরও।

    জেন জেডের আন্দোলনের জেরে পতন হয় কেপি শর্মা অলি সরকারের। দেশ ছেড়ে পালান তিনি। তার পরেই শুরু হয় নয়া অন্তর্বর্তী সরকারের (Nepal) প্রধানমন্ত্রীর খোঁজ। সেখানেই ‘জয়ী’ হন ‘ভারত-প্রেমী’ সুশীলা (Sushila Karki)।

  • Mohan Bhagwat: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে,” মার্কিন শুল্ককে নিশানা ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে,” মার্কিন শুল্ককে নিশানা ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে।” শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম না নিয়েই এ কথা বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিন ট্রাম্প প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্তকেই কটাক্ষ করে সরসংঘচালক বলেন, “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে। সিদ্ধান্তটি হতাশা থেকে ও চাপে পড়ে নেওয়া হয়েছে।”

    জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় জরিমানা (Mohan Bhagwat)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে থাকায় ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর চাপানো হয় ৫০ শতাংশ শুল্ক, সঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানাও। যুক্তি হিসেবে ট্রাম্প বলেন, “এটি (রাশিয়া থেকে তেল কেনা) প্রকৃতপক্ষে মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধকে পরোক্ষভাবে অর্থায়ন করছে।” মার্কিন প্রশাসনের এই চড়া শুল্ক হারকে ভারত অন্যায়, অপ্রমাণিত এবং অযৌক্তিক হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে যে, “নয়াদিল্লি কোনও চাপের কাছে মাথা নত করবে না।”

    কী বললেন ভাগবত

    আরএসএস প্রধান বলেন, “বিশ্বের মানুষ আশঙ্কিত যে, যদি ভারত শক্তিশালী হয় তাহলে তাদের কী হতে পারে এবং তাদের নিজস্ব অবস্থান কী হবে। এ জন্য ভারতীয় পণ্যগুলিতে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।” শুক্রবার ভাগবত যোগ দিয়েছিলেন নাগপুরে “ব্রহ্ম কুমারিজ বিশ্বশান্তি সরোবর” নামের একটি যোগ ও আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সপ্তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে। সেখানেই তিনি বলেন, “মানব মনোভাব ‘আমি’ থেকে ‘আমরা’-র দিকে পরিবর্তন করলে অনেক সমস্যার সমাধানই করা সম্ভব।” সরসংঘচালক বলেন, “আজকের বিশ্ব সমাধান খুঁজছে, কারণ তাদের অসম্পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তারা সঠিক পথ খুঁজে পাচ্ছে না। শুধুমাত্র আমি মনোভাবের কারণে তাদের পক্ষে পথ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।” ভারত যে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে এবং বিশ্বকে উন্নতির পথে পরিচালিত করতে পারে, সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসও প্রকাশ করেন সরসংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “ভারত মহান দেশ। ভারতীয়দেরও উচিত মহান হওয়ার চেষ্টা করা।” তিনি আরও বলেন, “ভারত বড় দেশ এবং এটি আরও বড় হতে চায়।” বর্তমান ভারতের সামর্থ্যের উল্লেখ করতে গিয়ে ভাগবত (RSS) বলেন, “ভারত বিশ্বের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে পারবে এবং তামাম বিশ্বকে সঠিক পথ দেখাতে সক্ষম।”

    ভারতবাসীর মনোবল এবং ধৈর্যের প্রশংসা

    এদিন ভাগবত ভারতবাসীর মনোবল এবং ধৈর্যের প্রশংসাও করেন। বিশেষ করে উল্লেখ করেন কঠিন সময়ে তাঁদের স্থিরধৈর্য এবং সন্তুষ্টির কথা। বলেন, “কোনও সংকট থাকা উচিত নয়।  তবে যদি থেকেও থাকে, তাহলে সময় এলে তা পরিবর্তিত হবে। তবু, দুঃখ-দুর্দশা থাকা সত্ত্বেও এখানকার মানুষ এই একাত্মতার আত্মার কারণে সন্তুষ্ট থাকে (Mohan Bhagwat)।” প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের আমদানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণা করেন। এটা কার্যকর করা হয় ১ অগাস্ট থেকে। এরই দিন কয়েক পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটি বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশে নিয়ে যান। জানিয়ে দেন, রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনায় এই শাস্তি।  ট্রাম্পের অভিযোগ, ভারত রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে। এর পাশাপাশি তিনি ভারতকে এই বলেও সতর্ক করেন যে, যদি নয়াদিল্লি সরে না আসে, তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। আমেরিকার আরও অভিযোগ, ভারত রুশ তেল কিনে অন্যান্য দেশকে বিক্রি করে মুনাফা লুটছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে (Mohan Bhagwat) নয়াদিল্লি।

    ভারতের অনড় মনোভাব

    এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কৌশলের মুখে পড়েও ভারত তার দৃঢ় মনোভাব বজায় রেখেছে (RSS)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ বলে দিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশের মানুষের স্বার্থেই। ট্রাম্পের শুল্ক নীতিকে তিনি অন্যায়, অপ্রয়োজনীয় এবং অযৌক্তিক আখ্যা দিয়েছেন। এর ঠিক পরে পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যান চিনে। সেখানে তিনি সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন (Mohan Bhagwat) চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। তার পরেই সুর নরম করেন ট্রাম্প। ভারতকে আরও একবার ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

     

  • PM Modi in Mizoram: রেলপথে যুক্ত দুর্গম মিজোরাম, প্রধানমন্ত্রী মোদির হাত ধরে আইজল-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সূচনা

    PM Modi in Mizoram: রেলপথে যুক্ত দুর্গম মিজোরাম, প্রধানমন্ত্রী মোদির হাত ধরে আইজল-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সূচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমূল পরিবর্তন আসছে উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থায়। দেশের রেল মানচিত্রে যুক্ত হচ্ছে আইজল (Bairabi-Sairang Railway Line)। একটা সময় যে উত্তর-পূর্ব ভারতকে মনে করা হতো এক দূরবর্তী অঞ্চল। উন্নয়নের অপেক্ষায় থাকত উত্তর- পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বসবাসকারী মানুষজন। সেই চিত্রপটে আমূল বদল এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi in Mizoram) উদ্যোগে। কারণ, তিনিই সূচনা করেছিলেন ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির। তারই সাফল্য হিসেবে শনিবার বৈরাবি-সায়রাং রেলপথের উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    মিজোরামে মোদি

    বৃহস্পতিবার এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ৮০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ৫১ কিলোমিটারের প্রকল্পটি এই প্রথম আইজলকে যুক্ত করবে জাতীয় রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে। পাশাপাশি সায়রাং থেকে দিল্লি (রাজধানী এক্সপ্রেস), কলকাতা (মিজোরাম এক্সপ্রেস) এবং গুয়াহাটি (আইজল ইন্টারসিটি) পর্যন্ত তিনটি ট্রেনের যাত্রার সূচনাও করবেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর মিজোরাম সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির এটি মিজোরামে দ্বিতীয় সফর। এর আগে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তিনি তুরিয়াল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের (৬০ মেগাওয়াট) উদ্বোধন করতে এসেছিলেন, যা আসাম সীমান্তবর্তী কলাসিব জেলায় অবস্থিত। এদিন আইজলের লামমুয়ালে এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি মোদি নতুন রেলপথের উদ্বোধন ও ট্রেন সার্ভিসগুলির সূচনা করবেন। এছাড়াও তিনি দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করবেন এবং ছয়টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন।

    কলকাতা-আইজল রেল যোগাযোগ

    মিজোরামের রাজধানী আইজলের সঙ্গে কলকাতার সরাসরি রেল যোগাযোগ শুরু হচ্ছে আগামিকাল। আইজলের সাইরাং স্টেশন থেকে ০৩১২৬ সাইরাং – কলকাতা স্পেশাল সকাল ১০ টায় উদ্বোধনী যাত্রা শুরু করে পরের দিন বিকেল ৫ টায় কলকাতা স্টেশনে পৌঁছানোর কথা। এরপর আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩১২৫ কলকাতা – সাইরাং ত্রি সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস নিয়মিত পরিষেবা শুরু হবে। প্রতি শনি, মঙ্গল ও বুধবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে পরের দিন সন্ধ্যা সাতটা ২৫ মিনিটে সাইরাং পৌঁছাবে। একই ভাবে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ১৩১২৬ সাইরাং – কলকাতা ত্রি সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস প্রতি সোম, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে সাইরং থেকে ছেড়ে পরের দিন দুপুর আড়াইটেতে কলকাতা পৌঁছাবে। যাতায়াতের পথে ট্রেন টি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের বদরপুর জংশন, গুয়াহাটি, গোয়ালপাড়া টাউন, গোলকগঞ্জ, নিউ জলপাইগুড়ি ও মালদা টাউন স্টেশনে থামবে বলে রেল সূত্রে খবর।

    রেলপথে যুক্ত দুর্গম মিজোরাম

    এই অঞ্চলের জন্য রেলে বাজেট বরাদ্দ দ্বিতীয় ইউপিএ জমানার তুলনায় পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধুমাত্র এই আর্থিক বছরে ১০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্গম মিজোরামকে রেলপথে যুক্ত করতে ১৪৩টি সেতু এবং ৪৫টি টানেল নির্মাণ করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। এর মধ্যে সাইরাং-এর কাছে ১১৪ মিটার উচ্চতার ব্রিজ নম্বর ১৪৪ বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে উঁচু পিয়ার রেল ব্রিজ। ৫১.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বাইরাবি-সাইরাং রেলপথ প্রকল্পটি ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’-র অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এই রেলপথ আইজলকে আসামের শিলচর-এর সঙ্গে যুক্ত করবে এবং মিজোরামকে প্রথমবারের মতো ভারতের জাতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। ২০০৮-০৯ সালে এই প্রকল্প অনুমোদন পায় এবং ₹৮,২১৩.৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।

    উত্তর-পূর্বে উন্নয়নের জোয়ার

    গোটা দেশে রেল (Bairabi-Sairang Railway Line) যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিবর্তনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন আইজলে নতুন ট্রেন চালু হলে দিল্লি, কলকাতা ও গুয়াহাটিতে যাতায়াত সহজ হবে। এই রেলপথ চালু হলে আইজল থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার সময় কমে ১২ ঘণ্টা হবে, যেখানে সড়কপথে এটি ১৬ ঘণ্টা সময় লাগে। আইজল-শিলচর যাত্রাও সাত ঘণ্টা থেকে তিন ঘণ্টায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। এর ফলে সহজ হবে খাদ্যশস্য ও সারের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণ। উপকৃত হবেন কৃষকরা। পাশাপাশি জোয়ার আসবে পর্যটন শিল্পেও। চাঙ্গা হবে স্থানীয় ব্যবসা। যুব সমাজের কাছে তৈরি হবে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ।

    প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তা

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi in Mizoram) সফরকে ঘিরে মিজোরাম জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাজ্যের আইজি (আইন শৃঙ্খলা) এইচ রামথলেংলিয়ানা জানিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত পুলিশ ইউনিট হাই অ্যালার্টে রয়েছে এবং আইজলে বিএসএফ ও সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের রুটে যান চলাচলে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে, দোকানপাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা, ছাত্রছাত্রী ও সরকারি কর্মচারীদের প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। মিজোরাম সফরের পরে প্রধানমন্ত্রী মোদির মণিপুর সফরের কথাও রয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে মণিপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ শুরুর পর এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম মণিপুর সফর।

  • Bihar Congress: প্রধানমন্ত্রীর মা-কে নিয়ে এআই ভিডিও বানিয়ে ফের বিতর্কে কংগ্রেস

    Bihar Congress: প্রধানমন্ত্রীর মা-কে নিয়ে এআই ভিডিও বানিয়ে ফের বিতর্কে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গালাগালিকাণ্ডের পর এবার এআই ভিডিও! ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন মোদিকে ভোট প্রচারে টেনে এনে বিতর্কে কংগ্রেস (Bihar Congress)। মোদিকে নিয়ে বিহার কংগ্রেসের তৈরি এআই ভিডিও নিয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের দাবি, কংগ্রেস গোটা মহিলা সমাজকে অপমান করেছে।

    এআই দ্বারা তৈরি ভিডিও (Bihar Congress)

    ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। এদিন বিহার কংগ্রেস এআই দ্বারা তৈরি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট করে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর প্রয়াত মা হীরাবেনের মতো চরিত্র একটি সাজানো, স্বপ্নসদৃশ আলাপচারিতায় উপস্থিত হয়েছে বলে অনুমান। ৩৬ সেকেন্ডের এই ক্লিপটি যার ওপরে লেখা এআই জেনারেটেড, অনলাইনে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে। ঘটনাটিকে বিজেপি বিহার নির্বাচনের আগে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবেই দেখছে। যদিও কংগ্রেস এই ভিডিওর পক্ষে বিবৃতি দিয়ে বলেছে, এতে কারও প্রতি অবমাননার কোনও ইঙ্গিত নেই।

    বিজেপির তোপ

    বিজেপি (BJP) সাংসদ রাধামোহন দাস আগরওয়াল ভিডিওটির কড়া নিন্দে করেছেন। তিনি একে রাজনীতিতে নতুন এক নিম্নস্তরের ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি সব সময় রাজনীতিকে পারিবারিক জীবনের থেকে আলাদা রেখেছেন। কষ্টের বিষয় যে কংগ্রেস প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর মাকে গালিগালাজ করেছে এবং এখন ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশকে বিভ্রান্ত করছে ও সব মায়ের প্রতি অবমাননা করছে।” তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে (Bihar Congress)।

    বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এক্স হ্যান্ডেলে। তিনি বলেন, “কংগ্রেস সব সীমা লঙ্ঘন করেছে।” তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর মাকে গালিগালাজ করার জন্য কোনও অনুশোচনার বদলে কংগ্রেস মিথ্যা বলে অভিযুক্তকে যথার্থ ও নির্দোষ বলে সমর্থন করছে। এই দল ‘গান্ধীবাদী’ না হয়ে এখন ‘গালিবাদী’ হয়ে গিয়েছে।” তিনি ওই ভিডিও ক্লিপটিকে ‘ঘৃণ্য’ ও ‘লজ্জাজনক’ বলেও অভিহিত করেছেন।

    প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মায়ের নাম রাজনীতির বিতর্কে টেনে আনার ঘটনা এই প্রথম নয়। ২৭ অগাস্ট বিহারেরই দ্বারভাঙায় কংগ্রেস ও আরজেডি পরিচালিত ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’-র সময়, মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি (BJP) ও তাঁর প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ (Bihar Congress)।

  • Terrorists Arrested: ভারতব্যাপী জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস, দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৫

    Terrorists Arrested: ভারতব্যাপী জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস, দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যান-ইন্ডিয়া বা দেশব্যাপী একটি জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস (Terrorists Arrested) করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। অভিযোগ, পাকিস্তান-ভিত্তিক (Khilafat Model) হ্যান্ডলারের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছিল এই মডিউল। লক্ষ্য ভারতে খিলাফত শৈলীর শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই অভিযোগে দেশের চার রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট পাঁচজনকে। এরা হল আশহার দানিশ, সুফিয়ান আবুবকর খান, আফতাব আনসারি, হুজাইফা ইয়ামান এবং কামরান কুরেশি।

    খিলাফত-শৈলীর গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা (Terrorists Arrested)

    অতিরিক্ত কমিশনার (স্পেশাল সেল) প্রমোদ কুশওয়াহা জানান, এই গোষ্ঠী একটি দুই পর্বের পরিকল্পনা করেছিল। প্রথমত, ‘লস্কর’ নামে একটি খিলাফত-শৈলীর সংগঠন গঠন করা, এবং পরবর্তী কালে ইসলামের বিকৃত ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে ‘গাজওয়া-এ-হিন্দ’-এর অনুপ্রেরণায় ভারতে জিহাদ শুরু করা। তিনি বলেন, “তারা প্রথম ধাপে নিজেদের খিলাফত-শৈলীর একটি গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা করছিল। এরপর তারা গাজওয়া-এ-হিন্দ ধারণা অনুসরণ করে জিহাদ চালিয়ে যেতে চেয়েছিল, যার মধ্যে লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত।” পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে সন্দেহজনক ও বিপজ্জনক পদার্থ বাজেয়াপ্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গন্ধক গুঁড়ো, গন্ধক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, সোডিয়াম বাইকার্বোনেট, পিএইচ লেভেল চেকার, বল বিয়ারিংস এবং ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরি করতে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান। এর পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে তার, মাদারবোর্ড, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজও।

    ১১ জন আটক

    জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। যদিও গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচজনকে। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিল আশহার দানিশ। সে রাঁচির বাসিন্দা। সে নিজেকে একজন পেশাদার কোম্পানি পরিচালনা করা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিত। জনসমক্ষে সে নিজেকে ‘সিইও’ হিসেবেও পরিচয় দিত। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে সে পরিচিত ছিল ‘গাজওয়া নেতা’ নামে। এই গোষ্ঠী একটি এনজিও পরিচালনার অছিলায় জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করছিল। কুশওয়াহা বলেন, “এরা অত্যন্ত উগ্রপন্থী ব্যক্তি যারা একটি ঘনিষ্ঠ অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীর মাধ্যমে কাজ করত।”  সূত্রের খবর (Khilafat Model), রাঁচি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আশহার দানিশকে। সুফিয়ান আবুবকর খান এবং আফতাব আনসারিকে ধরা হয়েছে দিল্লি থেকে। তেলঙ্গানার নিয়াজাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় হুজাইফা ইয়ামানকে। আর মধ্যপ্রদেশের রাজগড় থেকে পাকড়াও করা হয়েছে কামরান কুরেশিকে (Terrorists Arrested)।

    ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরি মায় কার্তুজ তৈরির প্রশিক্ষণও নিয়েছে। তদন্তকারীরা সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে কিছু ‘অপরাধমূলক ছবি’-ও উদ্ধার করেছে। পুলিশের মতে, দলটি স্বীকার করেছে যে তাদের হ্যান্ডলার অনলাইনে আইইডি তৈরির নির্দেশ দিচ্ছিল এবং বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন রাসায়নিক এবং উপাদান সংগ্রহের নির্দেশও দিয়েছিল (Terrorists Arrested)। কুশওয়াহা বলেন, “এটি একটি দেশীয় অভিযান ছিল।” ধৃতদের স্বাধীনভাবে অস্ত্র সংগ্রহ এবং আইইডি তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল (Khilafat Model)। দেওয়া হয়েছিল কার্তুজ তৈরির নির্দেশও। তাদের কাছ থেকে কিছু সন্দেহজনক স্কেচও উদ্ধার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সাম্প্রদায়িক প্রচার, ধর্মীয় বৈষম্য উস্কে দেওয়া এবং অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থা ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা ডিজিটাল ডিভাইসগুলি বিশ্লেষণ করছে। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক শনাক্ত করতে এবং সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক যোগসূত্র খুঁজে বের করতেই বিশ্লেষণ করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া ডিজিটাল ডিভাইসগুলি (Terrorists Arrested)। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের গ্রেফতারের ফলে দেশে একটি বড়সড় জঙ্গি হামলা ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।

    আইইডি এবং অন্যান্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, ধৃতেরা পরস্পরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা থেকে যে তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে আইইডি এবং অন্যান্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই দলটিকে পরিচালনা করছিল দানিশ। পাকিস্তানের হ্যান্ডলাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত তারা। ভারতে যুব সম্প্রদায়ের মগজধোলাই করে জঙ্গি কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ করার কাজ করত ধৃতেরা। শুধু তা-ই নয়, জঙ্গি দলে নিয়োগের দায়িত্বও ছিল ধৃতদের ওপর। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ এও জেনেছে, দিল্লি এবং এনসিআর-সহ দেশের নানা জায়গায় নাশকতার ছক কষা হয়েছিল (Terrorists Arrested)। পুলিশের অনুমান, ধৃতেরা আল কায়দা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট মডিউলের সঙ্গে জড়িত (Khilafat Model)।

  • Indian Man: ট্রাম্প জমানায় নেই আইনের শাসন, আমেরিকায় মাথা কেটে খুন করা হল প্রৌঢ় ভারতীয়কে

    Indian Man: ট্রাম্প জমানায় নেই আইনের শাসন, আমেরিকায় মাথা কেটে খুন করা হল প্রৌঢ় ভারতীয়কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াশিং মেশিন নিয়ে বিবাদ। আর তাতেই আমেরিকার ডালাসে ঘটল ভারতীয়র (Indian Man) নৃশংস হত্যাকাণ্ড। প্রাণ হারালেন কর্নাটকের বাসিন্দা ভারতীয় প্রৌঢ় চন্দ্র নাগামাল্লাইয়াহ্‌ (৫০)। নিজের স্ত্রী ও ১৮ বছরের পুত্রের চোখের সামনেই তাঁকে মাথা কেটে খুন করে হোটেলের কর্মচারী ইয়োরডানিস কোবোস-মার্টিনেজ (৩৭)। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডালাসের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর ফের উঠছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন। বন্দুকবাজদের দৌরাত্ম্য সেদেশে এককথায় রুটিনে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই বন্দুকবাজদের হামলায় হতাহতের ঘটনা প্রচুর ঘটছে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে। অগাস্ট মাসের শেষে আমেরিকার এক স্কুলে হামলা চালায় এক বন্দুকবাজ। এতে নিহত হয় ২ শিশু। চলতি সপ্তাহের বুধবারই ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি খুন হলে, সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায়, সে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সবই প্রমাণ করে দিচ্ছে সে দেশে (USA) আইন-শৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণ কার্যত শিথিল, প্রশাসনের শাসনও দুর্বল হয়ে পড়েছে।

    কীভাবে বিবাদের সূত্রপাত?

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ডালাসের রাস্তায় একটি ছোট হোটেল চালাতেন চন্দ্র নাগামাল্লাইয়াহ্‌। সেখানেই কাজ করত অভিযুক্ত। সম্প্রতি হোটেলের ওয়াশিং মেশিন ভেঙে যাওয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা বাঁধে। প্রৌঢ় কর্মচারীকে মেশিন ব্যবহার না করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু অভিযুক্ত প্রথমে মালিকের কথা বুঝতে না পেরে অন্য এক সহকর্মীর মাধ্যমে অনুবাদ শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এর পর ধারালো অস্ত্র নিয়ে তিনি প্রৌঢ়ের (Indian Man) উপর চড়াও হন। রক্তাক্ত অবস্থায় পালানোর চেষ্টা করেন প্রৌঢ়। স্ত্রী ও ছেলে তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁদেরও ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয় খুনি। শেষে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রৌঢ়ের মাথা কেটে ফেলে সে। ছিন্ন মুণ্ডে লাথি মেরে তা নিয়ে জঞ্জালের স্তূপের দিকে হাঁটতে শুরু করে। ঠিক সেই সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। রক্তমাখা পোশাকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে।

    ভারতীয় দূতাবাসের বিবৃতি

    হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে আমেরিকায় (USA) অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। ভারতীয় দূতাবাস এনিয়ে সমাজমাধ্যমে লিখেছে, ‘‘চন্দ্র নাগামাল্লাইয়াহ্‌-র (Indian Man) দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুতে (Indian Man) আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। চন্দ্র ভারতীয়। ডালাসে কর্মস্থলে তাঁকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা পরিবারটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত এখন ডালাস পুলিশের হেফাজতে। বিষয়টির দিকে আমরা নজর রাখছি।’’

    বুধবারই খুন হন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ নেতা, সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায় উঠছে প্রশ্ন!

    চলতি সপ্তাহের বুধবারে আমেরিকাতে খুন হন ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ এক নেতা। জানা গিয়েছে, ওই নেতার নাম চার্লি কির্ক। ৩১ বছর বয়সী ওই নেতা বুধবার আমেরিকার ইউটা ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। হঠাৎ এই ভিড়ের মধ্যে থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলে নিহত হন তিনি। এই ঘটনায় পরবর্তীকালে শোক প্রকাশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নিহত চার্লিকে মহান দেশপ্রেমিক ও শহীদ বলে আখ্যা দেন। তিনি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আগামী রবিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আমেরিকার সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তিনি যা বলেননি তা হলো—একবারের জন্যও ভাবা যায়, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি কার কারণে হলো। কিভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ একজন ব্যক্তি যদি ভিড়ের মধ্যে খুন হয়ে যেতে পারেন, তাহলে সেখানকার সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায়?

    অগাস্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে হামলা, ২ শিশু নিহত

    গত অগাস্ট মাসেই মিনেসোটা প্রদেশের মিনিয়াপলিসে একটি ক্যাথলিক স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে, যা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় কমপক্ষে দুইজন শিশু নিহত হয় এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়। স্কুল চলাকালীন এক বন্দুকধারী মিনিয়াপলিস ক্যাথলিক হাইস্কুলে ঢুকে গুলিবর্ষণ শুরু করে। হামলার সময় পাঁচজন স্কুলছাত্র গুরুতর আহত হন এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর ওই বন্দুকবাজ স্কুলের পাশে থাকা একটি চার্চেও হামলা চালায়, যেখানে দু’জনের মৃত্যু হয় এবং আরও কয়েকজন আহত হন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গুলি চালানোর সময় স্কুলের শিশুরা সকালের প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করছিল। হামলাগ্রস্ত এই ক্যাথলিক স্কুলটি মিনিয়াপোলিসের দক্ষিণ-পূর্ব আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এবং প্রি-স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা এখানে পড়াশোনা করে। বর্তমানে প্রায় ৩৯৫ জন শিশু এই স্কুলে শিক্ষা গ্রহণ করছে।

LinkedIn
Share