Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • North Korea: কিমের দেশে কঠোর নিয়ম, উত্তর কোরিয়া ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শোনালেন পর্যটক

    North Korea: কিমের দেশে কঠোর নিয়ম, উত্তর কোরিয়া ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শোনালেন পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া, সংক্ষেপে যাকে বলা হয় উত্তর কোরিয়া (North Korea), এদেশের শাসকের নাম কিম জং উন। তাঁর নামের সঙ্গে গোটা বিশ্ব পরিচিত। আধুনিক পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম কঠোর শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান উত্তর কোরিয়ায়। করোনা মহামারির সময় থেকে সে দেশে পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা সম্প্রতি উঠে যায়, পরে ফের একবার তা চালু হয়েছে।

    কঠোর নির্দেশ ছিল পর্যটকদের ওপর

    উত্তর কোরিয়া সফরকারী একটি পর্যটক দলের অংশ ছিলেন ভুবানী ধরন (Bhubani Dharan)। জানা গেছে, ওই দলে মোট ২২ জন সদস্য ছিলেন এবং তাঁরা চলতি বছরের মার্চ মাসে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। ৩ মার্চ সেখানে তাঁরা যান, ৬ মার্চ সে দেশ থেকে ফেরত আসেন। তাঁদের দলটি ফিরে আসার পরে আবার একবার কিম জং উনের দেশে পর্যটনের দরজা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

    উত্তর কোরিয়া এমন একটি দেশ, যেখানে প্রবেশের সময়ই পর্যটকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। যেমন:

    সর্বদা কিম জং উন-এর নাম সম্মানের সঙ্গে উল্লেখ করতে হবে।

    তাঁকে সম্বোধন করার সময় ‘ক্যাপ্টেন’ বা ‘মার্শাল’ উপাধি যোগ করতে হবে।

    সরকারের পক্ষ থেকে দুইজন গাইড বরাদ্দ করা হয়, যারা সব সময় পর্যটকদের সঙ্গে থাকেন এবং নির্দেশনা দেন।

    একা কোথাও যাওয়া যাবে না।

    কোনও কুৎসিত বা অস্বস্তিকর জিনিসের ছবি তোলা যাবে না।

    সেনা সদস্য বা কঠোর পরিশ্রমরত কোনো ব্যক্তির ছবি তোলা যাবে না।

    ‘উত্তর কোরিয়া’ শব্দ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। পরিবর্তে উচ্চারণ করতে হবে ‘DPRK’ — অর্থাৎ ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া।

    কী জানালেন ভুবানী ধরণ?

    নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ভারতীয় পর্যটক (North Korea) ভুবানী ধরন জানান, তিনি উত্তর কোরিয়ায় চারদিন ও তিন রাত কাটিয়েছেন। এই সময়ে তাঁর মনে কাজ করছিল কৌতূহল, উত্তেজনা এবং একধরনের নার্ভাসনেস। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া পৌঁছানো তাঁদের পক্ষে সহজ ছিল না। তাঁদের গন্তব্য যে শহরে ছিল, সেই রাচন (Rason)-এ কোনও বিমানবন্দর নেই। ফলে তাঁদের প্রথমে পৌঁছাতে হয় চিনের ইয়ানজি শহরে। সেখানে নিরাপত্তা পরীক্ষার পরে তারা উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত পার হওয়ার জন্য একটি বাসে ওঠেন। উত্তর কোরিয়া সীমান্ত পার হওয়ার মুহূর্তে পর্যটকদের উপর শুরু হয় কড়া নজরদারি। তাঁদের সঙ্গে ছিল সরকারের মনোনীত দুই গাইড, যাঁরা প্রতিটি পদক্ষেপে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। সীমান্তে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী তাঁদের জিনিসপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করে। প্রতিটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের তালিকা পর্যটকদের নিজেই তৈরি করতে বলা হয়।

    কোথায় কোথায় পরিদর্শন

    ভুবানী ধরন আরও জানান, উত্তর কোরিয়ায় (North Korea) পৌঁছানোর পর তাঁরা প্রথমে কোনও হোটেলে নয়, বরং একটি মিনারেল ওয়াটার কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের দেখানো হয় কীভাবে পানীয় জল তৈরি হয়। তিনি বলেন, পুরো ব্যাপারটি সাজানো মনে হয়েছে, কারণ সেখানে মাত্র দু’জন কর্মী ছিলেন, এবং কেউই তেমনভাবে কাজ করছিলেন না। চারদিনের অবস্থানকালে তাঁদের দলটি বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করে, যার মধ্যে ছিল একটি জাদুঘর, হরিণ পার্ক, একাধিক স্কুল, কয়েকটি কারখানা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,একটি আদালত কক্ষ। এই সফরে প্রথমবারের মতো ভুবানী ধরন সরাসরি উত্তর কোরিয়ার কোনও নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেন, যখন তিনি একটি স্কুলে যান। সেই স্কুলের এক শিশু তাঁকে বলে, “আমি তোমার মতোই ভ্রমণ করতে চাই।”

    কোনও নাগরিক তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি

    ভুবানী ধরন আরও জানিয়েছেন যে উত্তর কোরিয়ায় ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা পরিবারগুলিকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাসতে এবং ছবি তুলতে দেখা গেছে, কিন্তু কেউই পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলতেন না। রাতে শহরের পরিবেশ ছিল ভয়ানক রকমের নিরব। তিনি যে শহরে ছিলেন, সেখানে তাঁর হোটেল কক্ষে একটি ছোট জানালা ছিল, যার মাধ্যমে তিনি কেবল বাইরের একটি নির্দিষ্ট অংশ দেখতে পেতেন। তিনি লক্ষ্য করেন, রাতে শহরের রাস্তায় কেউ থাকত না, যেন পুরো শহর নিস্তব্ধ হয়ে যেত। তবে ভোর পাঁচটা বাজতেই মানুষজন আবার কাজে নেমে পড়ত।

    ভারত সম্পর্কে কী জানেন উত্তর কোরিয়ার (North Korea) নাগরিকরা

    ভারতের সম্পর্কে কেউ কিছু জানতে চাইলে উত্তর কোরিয়ার স্থানীয়রা শুধু একটি শব্দ বলতেন — “বাহুবলী”। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, উত্তর কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক সিনেমা, বিশেষত ভারতীয় সিনেমাও কোনও না কোনওভাবে পৌঁছে যাচ্ছে। ভুবানী ধরন জানিয়েছেন, তাঁর পুরো ভ্রমণের খরচ হয়েছে প্রায় চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা। তিনি আরও জানান, উত্তর কোরিয়ার একাধিক স্কুলে তিনি এমন ছবি দেখতে পেয়েছেন, যেখানে আমেরিকার সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করা হচ্ছে — যা তাদের সেনাবাহিনী এবং রাষ্ট্রের আদর্শ অনুযায়ী শিক্ষাদানের অংশ।

    পর্যটকদের বহির্বিশ্বের সঙ্গে কোনও যোগাযোগের সুযোগ নেই

    উত্তর কোরিয়ায় পর্যটকদের বহির্বিশ্বের সঙ্গে কোনও যোগাযোগের সুযোগ নেই। সেখানে মোবাইল সিগন্যাল নেই, নেই ইন্টারনেট, এমনকি সাধারণ যোগাযোগ মাধ্যমও অপ্রাপ্য। তবে তিনি বলেন, যখন তাঁদের দলটি উত্তর কোরিয়া, চীন এবং রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পরিভ্রমণ করছিল, তখন মাত্র কয়েক মুহূর্তের জন্য মোবাইল সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময়ই তাঁর মোবাইলে একটি সতর্কবার্তা আসে। এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তর কোরিয়া সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আবার পর্যটন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই পরিস্থিতি দেখে ভুবানী ধরন কিছুটা নার্ভাস হয়ে পড়েন। তবে সঙ্গে থাকা গাইডরা তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, “আপনারাই হচ্ছেন সেই শেষ দল, যারা উত্তর কোরিয়া সফরের সুযোগ পেলেন।”

  • India China Relation: প্রথমবার চিন সফরে জয়শঙ্কর! এসসিও সামিটের পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক দুই বিদেশমন্ত্রীর

    India China Relation: প্রথমবার চিন সফরে জয়শঙ্কর! এসসিও সামিটের পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক দুই বিদেশমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার চিন (India China Relation) সফরে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) তখন একটি দেশ সেখানে সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি উল্লেখ করতে অস্বীকার করে। সন্ত্রাসবাদের উল্লেখ ছাড়া ভারতের কাছে এই ঘোষণাপত্রটির কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই।” উল্লেখ্য, এসসিও সর্বসম্মতিতে কাজ করে। কোনও বিষয় নিয়ে যদি একটি দেশেরও আপত্তি থাকে, তাহলে কিছুই এগোয় না।

    ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    সূত্রের খবর, এসসিও বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ও ওয়াং-এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আলোচনায় বিরল খনিজ উপাদান সরবরাহ, দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং দু’দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করার বিষয়গুলি উঠে আসতে পারে। ভারত সব সময় প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। তাই বেজিংয়ের প্রস্তাব মেনে বৈঠকে সম্মতি দেয় দিল্লি। যদিও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এখনও সরকারিভাবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

    সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে সফর

    চলতি বছর সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতীয় (India China Relation) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একাধিক সফরের অংশ হিসেবে জয়শঙ্করের (S Jaishankar) এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত মাসেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কুউইংদাওয়ে অনুষ্ঠিত এসসিও-র প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নিতে চিন সফর করেন। এসব সফরকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্ভাব্য চীন সফরের প্রস্তুতি হিসেবেও দেখা হচ্ছে। চিনের রাষ্ট্রদূত এপ্রিল মাসে এক বার্তায় জানিয়েছিলেন, মোদিকে “উষ্ণ আমন্ত্রণ” জানানো হয়েছে, যদিও দিল্লি এখনো তা নিশ্চিত করেনি। সূত্রের খবর, এ মাসেই চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ভারত সফরে আসবেন। তীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে তাঁর আলোচনারও কথা রয়েছে।

    জয়শঙ্করের সফরের গুরুত্ব

    ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখ সীমান্তে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন ভারতীয় এবং বহু চিনা (India China Relation) সেনা নিহত হন। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন, ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান স্থানান্তরের ঘটনাও ঘটে। তবে গত অক্টোবরে রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের পর সম্পর্ক স্থিতিশীল করার বিষয়ে সম্মত হন দুই নেতা। এরপর থেকে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ও ওয়াং ই দুইবার বিদেশে – প্রথমে নভেম্বর মাসে রিও ডি জেনেইরোতে জি২০ সম্মেলনে এবং ফেব্রুয়ারিতে জোহানেসবার্গে জি২০ সম্মেলনে অংশ নেন। তবে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চললেও উত্তেজনা এখনো পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। ভারত চিনের উপর ভিসা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। অন্যদিকে চিন ভারতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিল্পখাতকে প্রভাবিত করে এমন খনিজ রফতানিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। জুলাইয়ের শুরুতে মোদির পক্ষ থেকে দলাই লামাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে চিন কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই আবহে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের এই সফর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে গভীর প্রভাব ফেলবে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের।

  • Tribal Students: জনজাতি পড়ুয়াদের জন্য বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, কেরিয়ার তৈরিতে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ

    Tribal Students: জনজাতি পড়ুয়াদের জন্য বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, কেরিয়ার তৈরিতে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের (Tribal Students) জন্য বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রীয় আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রক অধীনস্থ সংস্থা ন্যাশনাল এডুকেশন সোসাইটি ফর ট্রাইবাল স্টুডেন্টস (NESTS), টাটা মোটরস লিমিটেড এবং ইউনিসেফ-এর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, দেশের একলব্য মডেল রেসিডেনশিয়াল স্কুলে পাঠরত প্রায় ১,৩৮,০০০ জন আদিবাসী ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষা, পেশাগত দক্ষতা এবং ক্যারিয়ার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাওয়ার সুযোগ পাবে।

    কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং দেওয়া হবে (Tribal Students)

    ন্যাশনাল এডুকেশন সোসাইটি ফর ট্রাইবাল স্টুডেন্টস একটি স্বশাসিত সংস্থা, যা আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য গুণগতমানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে। এই সংস্থার আওতায় পরিচালিত হয় একলব্য মডেল রেসিডেনশিয়াল স্কুলসমূহ। জানা গেছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের জন্য NEET এবং JEE-এর মতো সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষার কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি, তাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং দেওয়া হবে (Tribal Students)।

    চুক্তিটি ২০২৫ সালের ৯ জুলাই স্বাক্ষরিত হয়েছে (Tribal Students)

    এই চুক্তিটি ২০২৫ সালের ৯ জুলাই স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং এটি আগামী পাঁচ বছরের জন্য বলবৎ থাকবে। এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা—ন্যাশনাল এডুকেশন সোসাইটি ফর ট্রাইবাল স্টুডেন্টস (NESTS), টাটা মোটরস লিমিটেড, এবং এক্স-নবোদয়ান ফাউন্ডেশন একত্রে অংশগ্রহণ করেছে। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার লক্ষ্য হল, আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য টেকসই ও পেশাগত উন্নয়নের পথ তৈরি করা।

    এই প্রকল্পের ফলে আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনেকেই উপকৃত হবেন

    এই চুক্তির মাধ্যমে আদিবাসী সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি, যেমন মেডিক্যাল (NEET), ইঞ্জিনিয়ারিং (JEE) ও অন্যান্য পেশাদার কোর্সে ভর্তির জন্য নিখরচায় কোচিং-এর সুযোগও প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি পড়ুয়াদের কর্মজীবনে প্রবেশের আগে প্রয়োজনীয় দক্ষতার প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের উদ্যোগ আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষাগত সচেতনতা, আত্মবিশ্বাস এবং আগামীর জন্য প্রস্তুতির একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে থাকা এই সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীরা (Tribal Students) এর মাধ্যমে মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। এই প্রকল্পের ফলে আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এমন অনেক পড়ুয়া উপকৃত হবেন, যাঁরা ভৌগোলিক বা আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে উন্নত শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন। এই চুক্তি শুধু একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয় বরং একটি বৃহৎ সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা, যা ভবিষ্যতে আদিবাসী সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশের চিন্তাপল্লি এবং মহারাষ্ট্রের চানকপুরে দুটি কোচিং কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও এই কোচিং অনলাইনের মাধ্যমেও প্রদান করা হবে, যাতে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীরাও এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারে (Industry)।

  • China Rare Earth Metal: পরিবেশ নষ্ট করেই চলছে বিরল খনিজের সন্ধান! মানুষের জীবন নিয়ে উদাসীন চিন সরকার

    China Rare Earth Metal: পরিবেশ নষ্ট করেই চলছে বিরল খনিজের সন্ধান! মানুষের জীবন নিয়ে উদাসীন চিন সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের ইনার মঙ্গোলিয়ার বায়ান ওবো শহরের প্রান্তে দাঁড়ালে চোখে পড়ে ধূসর রঙের এক বিস্তৃত, ক্ষতবিক্ষত ভূমি । এক সময়ের সবুজ তৃণভূমিকে আধুনিক প্রযুক্তির এক অপরিহার্য খনিজের (China Rare Earth Metal) খোঁজে বছরের পর বছর ধরে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়েছে। এই ছোট্ট শহরের নাম হয়তো অনেকেই শোনেননি, কিন্তু বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি-নির্ভর জীবনের চালিকা শক্তি এই জায়গা থেকেই আসে। বায়ান ওবো হচ্ছে পৃথিবীর অর্ধেক বিরল মাটি বা ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজের উৎস। এই খনিজগুলো স্মার্টফোন, ব্লুটুথ স্পিকার, টিভি স্ক্রিন, কম্পিউটার থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই খনিজগুলো ছাড়া চলে না আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্র।

    চিনের বড় হাতিয়ার

    বিশ্বের যে কোনও দেশের চেয়ে চিন বিরল মাটি খনন ও পরিশোধনে অনেক এগিয়ে। এর ফলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিশাল প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হচ্ছে বেজিং। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিতে চিনের প্রধান শক্তিই হচ্ছে এই বিপুল খনিজ ভাণ্ডার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য ও শুল্ক নিয়ে দর কষাকষিতে এই ‘বিরল খনিজ’ চিনের বড় হাতিয়ার। বায়ান ওবো ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর জীবন কার্যত অচল হয়ে পড়তে পারে। বায়ান ওবো ও চিনের জিয়াংসি প্রদেশের গানঝৌ শহরে কেন্দ্রীভূত বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিরল খনিজ আহরণ ও পরিশোধন শিল্প (China Rare Earth Metal)। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক বিরল খনিজ এখান থেকেই তোলা হয়। তবে এই আধিপত্যের পেছনে রয়েছে ভয়াবহ পরিবেশগত মূল্য।

    মূল্য চোকাচ্ছে পরিবেশ

    বিবিসির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চিনের দুটি প্রধান রেয়ার আর্থ খনন কেন্দ্র—উত্তরের বায়ান ওবো এবং দক্ষিণের জিয়াংসির গানঝৌতে দেখা মিলেছে বিষাক্ত বর্জ্যে ভরা কৃত্রিম হ্রদের। দূষিত জল ও মাটির কথা শোনা গিয়েছে ওই অঞ্চলের মানুষের মুখে। কিছু এলাকায় ক্যানসার ও জন্মগত ত্রুটির ঘটনাও দেখা গিয়েছে, যা এই খনন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। চিনের কমিউনিস্ট সরকার এই খবর সামনে আসতে দেয় না। এই খবর বিশ্বের সামনে আনতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় সাংবাদিকদের। খনির মালিক আটকে রাখেন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের, সঙ্গে চলে পুলিশের জেরা। সব ভিডিও ডিলিট করার পরেই মুক্তি মেলে সাংবাদিকদের। তারপরই আর যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তাই খনির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

    দূষণের চিত্র

    বায়ান ওবোতে চলছে নিয়মিত খনন, যেখানে খোঁজা হচ্ছে নিওডিমিয়াম ও ডিসপ্রোসিয়াম নামের বিরল খনিজ (China Rare Earth Metal)। এই ধাতুগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী চুম্বক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বৈদ্যুতিক গাড়ি, কম্পিউটার হার্ডড্রাইভ থেকে শুরু করে এমআরই মেশিন পর্যন্ত বহু প্রযুক্তিপণ্যে এদের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এসব আহরণের প্রক্রিয়ায় উন্মুক্তভাবে তোলা হয় টন টন মাটি, যা ছড়ায় ক্ষতিকর ধুলো ও রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদান। প্রতি এক টন বিরল খনিজ উত্তোলনে তৈরি হয় প্রায় ২ হাজার টন বিষাক্ত বর্জ্য। খনিজের খোঁজে জমির ওপরিভাগ একের পর এক স্তরে সরিয়ে নেওয়া হয়। এতে উঠে আসে ভারী ধাতু ও তেজস্ক্রিয় ধূলিকণা।

    স্যাটেলাইট চিত্র ভয়ঙ্কর

    স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায় গত কয়েক দশকে বায়ান ওবো খনির (China Rare Earth Metal) ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। বনাঞ্চল ধ্বংস করে, নদী-লেকে বিষাক্ত পদার্থ ছড়িয়ে বহরে বাড়ছে খনি অঞ্চল। গানঝৌতে দৃশ্যপট আরও ভয়াবহ—খাড়া পাহাড়ের চূড়ায় উন্মুক্ত বিষাক্ত “লিচিং পুকুর” রয়েছে। এখানে মাটি থেকে খনিজ আলাদা করতে অ্যামোনিয়াম সালফেট, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডসহ বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এর ফলে স্থানীয় নদী ও কৃষিজমিতে দূষণের প্রমাণ মিলেছে। ২০১২ সালে সরকার হস্তক্ষেপ করে খনি লাইসেন্স কমিয়ে দিলেও ততদিনে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যায় এই অঞ্চলের।

    গ্রামবাসীদের দুর্দশা

    স্থানীয় কৃষক হুয়াং জিয়াওচং অভিযোগ করেছেন, তার জমির চারপাশে চারটি খনি রয়েছে। যেখানে ভূমিধস অপ্রতিরোধ্য। তাঁর কথায়, “এই সমস্যা আমার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব না। এটা সরকারিভাবে সমাধান করতে হবে। আমরা সাধারণ মানুষ, দুর্বল। আমাদের কিছু করার নেই।” বায়ান ওবো ও গানঝৌর স্থানীয়রা এখনও ‘আগে উন্নয়ন, পরে পরিষ্কার’ নীতির শিকার বলে মনে করেন অধ্যাপক জুলি ক্লিংগার। তাঁর রেয়ার আর্থ ফ্রন্টিয়ার (Rare Earth Frontiers) বইয়ে এ বিষয়ে বিশদে লিখেছেন তিনি। জুলি বলেন, যদিও এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে, কিন্তু যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। বিশেষ করে বাওতোউ শহরের দক্ষিণে উইকুয়াং বাঁধের পাশের গ্রামগুলোতে ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত বাস করা মানুষদের হাড় ও গাঁটে বিকৃতি, ফ্লোরাইড বিষক্রিয়া এবং আর্সেনিক বিষাক্ততার প্রমাণ মিলেছে।

    ভবিষ্যতের হুমকি

    বায়ান ওবো খনির দক্ষিণে বাওটো শহরে অবস্থিত ওয়েইকুয়াং বাঁধ ঘিরে সবচেয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এক গবেষণায় দেখা যায়, গ্রামের মানুষদের হাড়ের বিকৃতি, অতিরিক্ত ফ্লোরাইড ও আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার অতিরিক্ত মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। সরকার পরে সেখানকার মানুষদের সরিয়ে নিয়েছে, কিন্তু ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ বিষাক্ত বর্জ্যভরা পুকুর আজও রয়ে গেছে। যার বিষাক্ত জল যেকোনও সময় মিশে যেতে পারে চিনের অন্যতম প্রধান জলের উৎস হোয়াংহো নদীতে। বিশ্বজুড়ে স্মার্ট ডিভাইস, বৈদ্যুতিক গাড়ি, সোলার প্যানেল ও উচ্চপ্রযুক্তির যন্ত্রের চাহিদা বাড়ছে। চিন (China Rare Earth Metal) এখন বিদেশেও খনন সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। তবে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন—সঠিক ব্যবস্থা না থাকলে যেখানেই খনন হোক না কেন, প্রকৃতি ও মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বেই।

    কিন্তু তা নিয়ে কী একটুও ভাবছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার?

  • Bhangar News: ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা, ভাঙড়ে খুন তৃণমূল নেতা

    Bhangar News: ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা, ভাঙড়ে খুন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল জমানায় ভালো নেই সংখ্যালঘুরা। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য় সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, মারছে মুসলমান, মরছেও মুসলমান। এ যেন ফের দেখা গেল ভাঙড়ে (Bhangar News)। খুন হল তৃণমূলের মুসলিম নেতা, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারাও মুসলিম সম্প্রদায়ের। বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারালেন ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি। ঘটনাটি ঘটে ভাঙড় থানার অন্তর্গত চালতাবেড়িয়া এলাকায়। অভিযোগ, বাড়ির অদূরে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় এবং পরে কুপিয়ে খুন করে তৃণমূল নেতা রেজ্জাক খাঁ-কে।
    এই ঘটনায় তৃণমূলের (Trinamool Leader) পক্ষ থেকে আইএসএফ-কে দায়ী করা হয়েছে।

    শওকত ঘনিষ্ঠ নেতা (Bhangar News)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয়গঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায় রেজ্জাক খাঁ-কে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। এরপর তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়।গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
    পুলিশ ঘটনার খবর পেয়েই তদন্তে নেমেছে (Bhangar News)। রেজ্জাক খাঁ ছিলেন তৃণমূলের সক্রিয় নেতা এবং ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে।
    ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে রাস্তায় নামেন।

    কী বলছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার

    এদিকে, লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ এই খুনের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, খুনের আগে রেজ্জাক খাঁ-কে ফোন করে বাইরে ডেকে আনা হয়েছিল।এরপর ওয়ান শটারের মতো আগ্নেয়াস্ত্র থেকে অন্তত চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়।পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ (Bhangar News)। রেজ্জাক খাঁ-র মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি বাইক উদ্ধার হয়েছে।
    তদন্তে আরও কেউ জড়িত কি না, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।পুলিশ সূত্রে খবর, এই হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন দুষ্কৃতী জড়িত থাকতে পারে।এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দুষ্কৃতীদের ব্যবহৃত বাইকের নম্বর শনাক্তের চেষ্টা চলছে।কলকাতা পুলিশের নগরপাল মনোজ কুমার ভার্মা জানিয়েছেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    শওকত মোল্লা কী বলছেন?

    এই ঘটনায় সরাসরি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর নাম নেন শওকত মোল্লা।তিনি বলেন, “নওশাদের মদতেই রেজ্জাক খাঁ-কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।দু’টি মিটিং সেরে ফেরার পথে তাঁকে গুলি করে ও পরে কুপিয়ে মারা হয়।ভাঙড়ে আইএসএফের প্রভাব কমে যাওয়াতেই এ ধরনের সন্ত্রাস চালাচ্ছে তারা।সমাজবিরোধীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”

    নওশাদের বক্তব্য

    অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করে দেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।তিনি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আইএসএফের কোনও কর্মী বা সমর্থক জড়িত নয়।এটি তৃণমূলের অন্দরমহলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল।পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করুক এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দিক।”ভাঙড়ের ঘটনা ফের প্রশ্ন তুলল মমতা জমানার ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ে।

  • YouTube Monetisation: ভিডিও বানিয়ে সহজে লক্ষ্মীলাভ আর হবে না! ইউটিউবে বদলে যাচ্ছে টাকা পাওয়ার নিয়ম

    YouTube Monetisation: ভিডিও বানিয়ে সহজে লক্ষ্মীলাভ আর হবে না! ইউটিউবে বদলে যাচ্ছে টাকা পাওয়ার নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে (YouTube Monetisation) কনটেন্ট বানিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করা এখন আর সহজ নয়। আগামী সপ্তাহ থেকেই বদলে যাচ্ছে ইউটিউবের পলিসি। ১৫ জুলাই থেকে একটি নতুন মানিটাইজেশনে পলিসি নিয়ে আসছে গুগল। মূলত, একই ধরনের বা কম খাটনির ভিডিও ক্রিয়েটরদের আয় কমাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

    ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম

    নতুন ইউটিউবের মানিটাইজেশনের (YouTube Monetisation) নীতিতে ইউটিউব বলেছে, “ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম (YPP) এর অংশ হিসাবে এবার মানিটাইজেশনের জন্য, ইউটিউব ক্রিয়েটরদের ‘মূল’ এবং ‘আসল’ ভিডিয়ো আপলোড করতে বাধ্য করা হবে। ১৫ জুলাই থেকে ইউটিউব এই নির্দেশিকা অনুযায়ী আপডেট করবে। যাতে ব্যাপকভাবে উৎপাদিত ও একই ধরনের কনটেন্ট আরও ভালভাবে সনাক্ত করা যায়। এই আপডেটের ফলে যাচাই না করা কনটেন্টগুলি কেমন দেখাতে পারে তাও বোঝা যাবে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, এবার থেকে ইউটিউব মানিটাইজেশন অনুমোদনের জন্য ক্রিয়েটরদের ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ্যতার মান পূরণ করতে হবে। একটি চ্যানেলের অবশ্যই কমপক্ষে ১,০০০ জন সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এবং গত বছরে ৪,০০০ ঘণ্টা বৈধ পাবলিক ওয়াচ আওয়ার থাকতে হবে। অথবা গত ৯০ দিনে ১ কোটি বৈধ পাবলিক শর্টস ভিউ থাকতে হবে কনটেন্ট ক্রিয়েটরের।

    নতুন কী কী পরিবর্তন আনছে ইউটিউব

    প্রথমত, অন্যান্য সোর্স থেকে ধার করা কনটেন্টকে মৌলিক হিসেবে বিবেচনা করার জন্য উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করতে হবে নতুন কনটেন্টে। দ্বিতীয়ত, বার বার দেখানো কনটেন্টকে ভিউ অর্জনের বাইরেও একটি উদ্দেশ্য পূরণ করতে হবে। এটি অবশ্যই বিনোদনমূলক বা শিক্ষামূলক হতে হবে। এই নীতিটি ক্লিকবেট, টেমপ্লেট এবং এআই-জেনারেটেড কনটেন্টের উপরও প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে যে ভিডিওগুলি এআই-জেনারেটেড ভয়েসের উপর নির্ভর করে বা ন্যূনতম সম্পাদনা সহ অন্যান্য নির্মাতাদের উপকরণ পুনরায় ব্যবহার করে তাদের সমস্যা বাড়বে। মূলত ইউটিউবের এই নিয়মের উদ্দেশ্য হচ্ছে এখন থেকে ইউটিউব এমন নির্মাতাদের প্রাধান্য দেবে যারা বিশ্বাসযোগ্য ও আবেগপ্রবণ কনটেন্ট তৈরি করে এবং নিজের চিন্তা ও মেধা দিয়ে ভিডিও বানায়।

    নিয়ম না মানলে কী হবে

    নতুন নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য নির্মাতারা কী পরিণতির মুখোমুখি হতে পারেন তা অবশ্য ইউটিউব নির্দিষ্ট করেনি। আপডেট করা শর্তাবলীর অধীনে জরিমানা, সাসপেনশন বা স্ট্রাইকের কোনও উল্লেখ নেই। কোম্পানি জানিয়েছে নতুন পদ্ধতি তার মানিটাইজেশনের (YouTube Monetisation) নিয়মগুলিকে বর্তমান প্রবণতা ও কনটেন্ট কৌশলগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে নতুন আপডেট অনুযায়ী ইউটিউব ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের প্রাপ্তবয়স্কদের তত্ত্বাবধান ছাড়া প্ল্যাটফর্মে লাইভ স্ট্রিমিং দেখা নিষিদ্ধ করেছে।

  • Greece: গ্রিসে রাফাল যুদ্ধবিমানের ছবি তুলতে গিয়ে গ্রেফতার চার চিনা নাগরিক, আনা হল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ

    Greece: গ্রিসে রাফাল যুদ্ধবিমানের ছবি তুলতে গিয়ে গ্রেফতার চার চিনা নাগরিক, আনা হল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রিসে (Greece) রাফাল যুদ্ধবিমানের ছবি তোলার সময় গ্রেফতার করা হয়েছে চারজন চিনা নাগরিককে (Chinese Nationals), যাঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন মহিলা। তাঁদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে সেদেশের প্রশাসন। এই ঘটনার পর গ্রিসের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা দেশের সমস্ত বিমানঘাঁটি এবং বিমান নির্মাণ ও মেরামতি কেন্দ্রগুলোতে উচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করেছে। গ্রিসের পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা দেশের টানাগ্রা শহরের কাছে হেলেনিক অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি (HAI)-এর সংলগ্ন একটি সেতুর উপর উঠে রাফাল এবং তার অস্ত্রসজ্জার ছবি তুলছিলেন। ওই এলাকাতেই অবস্থিত গ্রিক বায়ুসেনার ১১৪তম কমব্যাট উইং এবং বিমান মেরামতির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। গোপনে ছবি তোলার সময় সেনাবাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন।

    শুরু হয়েছে তদন্ত (Greece)

    গ্রিসের সামরিক বাহিনী এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে—কেন বিদেশি নাগরিকেরা এমন স্পর্শকাতর এলাকায় গোপনে ছবি তুলছিলেন এবং তাঁদের উদ্দেশ্য ঠিক কী ছিল।ইতিমধ্যে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে, এই চেষ্টার পেছনে চিনের রাফাল সংক্রান্ত গোপন তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা থাকতে পারে। উল্লেখ্য, ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন-এর তৈরি রাফাল বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম আধুনিক যুদ্ধবিমান। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলায় এই বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল (Greece)।

    মোবাইল ফোন ও ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে

    এর আগে দাসো কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছিল, চিন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাফালের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে এবং বিমানটির প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করছে (Chinese Nationals)। ফলে এই নতুন ঘটনার সঙ্গে ভারত ও রাফালকে ঘিরে গুপ্তচর কার্যকলাপের যোগ রয়েছে কি না, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। গ্রিসের পুলিশ জানিয়েছে, আটক চার চিনা নাগরিককে কড়া নজরদারির মধ্যে রেখে বিস্তারিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন, ক্যামেরা এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে এই ঘটনার পেছনে গভীর কোনও ষড়যন্ত্র বা গুপ্তচরবৃত্তির যোগ আছে কি না, তা বোঝা যায়। একই সঙ্গে তাঁদের বিদেশে যোগাযোগ, চলাফেরার রুট এবং পূর্বের সফর সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।

  • ssc Scam: ‘দাগি’ বা চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীদের পাশে কেন বারবার দাঁড়াচ্ছে মমতা সরকার?

    ssc Scam: ‘দাগি’ বা চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীদের পাশে কেন বারবার দাঁড়াচ্ছে মমতা সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দাগি’ বা চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া (ssc Scam) থেকে অবিলম্বে বাদ দিতে হবে—এই মর্মে সোমবার গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছেন, যদি কোনও অযোগ্য প্রার্থী ইতিমধ্যেই আবেদন করে থাকেন, তবে সেই আবেদন বাতিল করতে হবে। আদালত আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনেই নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তবে ৩০ মে এসএসসি যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, তার ভিত্তিতেই নিয়োগ এগোতে পারে—এই অংশে আদালত হস্তক্ষেপ করেনি।

    রাজ্য সরকারের জন্য বড় ধাক্কা (ssc Scam)

    এই রায় কার্যত রাজ্য সরকারের জন্য বড় ধাক্কা। কারণ, নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অযোগ্যদের সরাসরি বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। কোর্টের রায় সামনে আসতেই অনেক প্রাক্তন চাকরিপ্রার্থী প্রশ্ন তুলেছেন—”যোগ্যদের বঞ্চিত রেখে রাজ্য কেন বারবার অযোগ্যদের পাশেই দাঁড়াতে চাইছে?” প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। এরপর শিক্ষা দফতর নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, ২০২5 সালের SSC-র বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অমান্য করছে।

    অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার নেই

    চিহ্নিত অযোগ্যদের নিয়োগ পরীক্ষায় (ssc Scam) অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, যদিও সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে তাদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন যোগ্য প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, SSC সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে এবং অযোগ্যদের সুযোগ দিয়ে যোগ্যদের সঙ্গে চরম অবিচার করা হয়েছে। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য এই মামলায় রায় দেন, SSC-র সিদ্ধান্ত অনুচিত এবং অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার নেই। মামলাকারীদের আরও অভিযোগ, প্রায় ৪৪ হাজার শূন্যপদের যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, সেটি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং ২০১৬ সালের চাকরির নিয়মাবলি অনুসরণ না করেই জারি করা হয়েছে। তাঁরা দাবি করেন, ওই বছরের বাছাই প্রক্রিয়া ২০১৬ সালের নিয়মেই সম্পন্ন হওয়া উচিত এবং আবেদনকারীরাও সে সময়কার প্রার্থী হতে হবে। বয়সের ছাড় সংক্রান্ত নিয়মও মানা হয়নি বলে আদালতে অভিযোগ করেছেন মামলাকারীরা।

    অযোগ্যদের পাশে রাজ্য

    তাঁরা এ-ও বলেন, ২০১৬ সালের নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছিল, যার জেরে সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল। তাই নতুন প্রক্রিয়াও যেন পুরনো নিয়মনীতির আলোকে চলে—এমনটাই তাঁদের জোর দাবি।সোমবার আদালতে এসএসসি ও রাজ্য তাদের অবস্থান তুলে ধরে জানায়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোথাও সরাসরি উল্লেখ নেই যে অযোগ্য প্রার্থীদের আবেদন করার অধিকার নেই।

    কমিশনের কাছ থেকে এমন ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়, জানান বিচারপতি

    তবে এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “কমিশনের কাছ থেকে এমন ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়।ফলত, আদালতের নির্দেশ—চিহ্নিত অযোগ্যদের নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে অবিলম্বে বাদ দিতে হবে। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে—রাজ্য সরকার বারবার কেন অযোগ্যদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে?

    ৩০ মে এসএসসি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজারেরও বেশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এরপরই চিহ্নিত অযোগ্যদের বাদ দিয়ে নতুন পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই অনুযায়ী ৩০ মে এসএসসি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে, যা চ্যালেঞ্জ করে ৯টি পৃথক মামলা হয়। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে, রাজ্য ও এসএসসি ফের অযোগ্যদের পক্ষেই সওয়াল করে, যা আদালতের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

  • PM Modi: বিশ্ব কূটনীতিতে নজিরবিহীন সাফল্য, বিদেশের পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি ভাষণ মোদির

    PM Modi: বিশ্ব কূটনীতিতে নজিরবিহীন সাফল্য, বিদেশের পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি ভাষণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ দেশ সফর সেরে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিশ্ব কূটনীতিতে ভারতের অবস্থানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন তিনি। বিদেশি পার্লামেন্টে ভাষণ ও আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রীয় সম্মান গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনি সব ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মিলিত রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন। তাবড় বিশ্বনেতাদের মধ্যে নরেন্দ্র মোদি সবথেকে জনপ্রিয়। তা প্রমাণ হয়েছে বারবার। মূলত বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কারণেই মানুষের মধ্যে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে মোদির গ্রহণযোগ্যতা এত বেশি। ক্রিকেট থেকে বিনোদন, রাজনীতি থেকে অর্থনীতি সব ক্ষেত্রে জনপ্রিয় তিনি। সন্ত্রাস দমনে কঠোর, মানবতার পূজারী, যুদ্ধ রুখে শান্তির বার্তা তাঁর কণ্ঠে।

    ১৭টি বিদেশি পার্লামেন্টে ভাষণ

    সম্প্রতি পাঁচ-দেশ সফরের সময় ঘানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং নামিবিয়ার পার্লামেন্টে ভাষণ দেন মোদি। এই তিনটি ভাষণের সঙ্গে তাঁর মোট বিদেশি পার্লামেন্ট ভাষণের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭। এই সংখ্যাটি কংগ্রেসের সব প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী—জওহরলাল নেহরু (৩), ইন্দিরা গান্ধী (৪), রাজীব গান্ধী (২), পি ভি নরসিমা রাও (১) ও মনমোহন সিং (৭)—এর সম্মিলিত সংখ্যার সমান। অটলবিহারী বাজপেয়ী (২) ও মোরারজি দেশাই (১) ছাড়া অন্য কোনও অ-কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী এই ক্ষেত্রে পৌঁছতেই পারেননি। সেখানে মোদি বিভিন্ন দেশের আইনসভায় ভারতের জয়গান গেয়েছেন। লোকে শুনেছে মোদিকে।

    গণতন্ত্রের জয়গান

    নানা দেশের আইনসভায় দাঁড়িয়ে ভারতের বৈচিত্র, সংস্কৃতির কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Sets Global Records)। বলেছেন, “ভারত গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক। কারণ ভারতের কাছে গণতন্ত্র নিছক কোনও ব্যবস্থা নয়, গণতন্ত্র ভারতের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে জড়িয়ে। ঋগ্বেদে সব দিক থেকে আসা শুভ চিন্তাকে গ্রহণের কথা বলা আছে। সব ভাবনার এই গ্রহণ করার এই ক্ষমতাই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি।” তাঁর কথায়, প্রকৃত গণতন্ত্রে আলোচনা, তর্ক-বিতর্কের অবকাশ থাকে। এতে মানুষের মধ্যে ঐক্য তৈরি হয়। মর্যাদা বোধ তৈরি হয়, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতে বিভিন্ন রাজ্যে ২০টি দল ক্ষমতায় রয়েছে। ২২টি সরকারি ভাষা রয়েছে। হাজার হাজার উপভাষা রয়েছে। এই কারণেই বাইরে থেকে আসা সকলকে দু’হাত বাড়িয়ে স্বাগত জানায় ভারত। আর এই একই কারণে পৃথিবীর সর্বত্র মানিয়ে নিতে পারেন ভারতীয়রা।

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব

    সব দেশের সংসদে দাঁড়িয়েই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মোদি। বলেছেন শান্তির কথাও। মানবতার সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল সন্ত্রাস। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী নীতির কোনও জায়গা নেই। মানবতার স্বার্থে সন্ত্রাস রোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। শান্তির বার্তা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বাগ্মিতায় মুগ্ধ হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাঁকে নানা সম্মানে ভূষিত করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান অর্জনের ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী মোদির নাম এখন শীর্ষে। যেখানে নেহরু, ইন্দিরা ও মনমোহন সিং পেয়েছেন মাত্র ২টি করে সম্মান।

    বিশ্ব নেতৃত্বের সংকটে ভারত একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি

    বিশ্ব রাজনীতির অস্থিরতার মাঝে ভারত একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। যখন চিন স্বৈরাচারী নীতিতে আবদ্ধ, রাশিয়া আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন এবং যুক্তরাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত, তখন ভারতের নেতৃত্বে মোদি একটি ভিন্নতর বার্তা দিচ্ছেন—স্বচ্ছ কূটনীতি, দৃঢ় লক্ষ্য ও নৈতিক নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সাফল্য শুধু সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি ভারতের নতুন আত্মবিশ্বাস, বিশ্বের মঞ্চে বিশ্বাসযোগ্যতা ও নীতিনিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতীক। ১৪০ কোটির আস্থা নিয়ে ভারত আজ বিশ্বের কূটনৈতিক মানচিত্রে এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা।

  • Cooking Oil: তেলেই রয়েছে লিভারের সুস্থতার চাবিকাঠি! জানেন কেমন ভাবে তেল ব্যবহার করতে হবে?

    Cooking Oil: তেলেই রয়েছে লিভারের সুস্থতার চাবিকাঠি! জানেন কেমন ভাবে তেল ব্যবহার করতে হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেলেই হবে কিস্তিমাত! লিভার নিয়ে অনেকেই ভোগেন। কম বয়স থেকেই বাড়ছে লিভারের সমস্যা। ফ্যাটি লিভার কিংবা হজমের নিয়মিত গোলমাল, এমন নানান সমস্যায় জর্জরিত অনেকেই। লিভার সুস্থ রাখতে এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয়দের মৃত্যুর অন্যতম কারণ লিভারের রোগ। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী,  দেশের মোট মৃত্যুর ৬৬ শতাংশ লিভার ঘটিত রোগের কারণে হয়। প্রতি তিন জনে একজন ভারতীয় লিভারের অসুখে ভোগেন। তাই লিভার নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন চিকিৎস মহল।
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভার সুস্থ রাখতে রান্নার তেল নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ লিভারের রোগের অন্যতম কারণ তেল!

    কোন তেল বিপজ্জনক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেল লিভারের জন্য বিপজ্জনক। রান্নায় নিয়মিত অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে বাড়তি বিপদ তৈরি হয়। তাই তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন। পুষ্টিবিদদেরা জানাচ্ছেন, রান্নায় অনেকেই সোয়াবিন তেল ব্যবহার করেন। কিন্তু অতিরিক্ত সোয়াবিন তেলের ব্যবহার লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। বিশেষত উচ্চ তাপে সোয়াবিন তেলে মধ্যে ক্ষতিকার উপাদান তৈরি হয়। যা শরীরে বিশেষত লিভারের উপরে বাড়তি চাপ তৈরি করে। তাই নিয়মিত সোয়াবিন তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। রান্নায় সর্ষের তেল ব্যবহার করা তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্ষের তেলে উচ্চ তাপে রান্না করলেও বাড়তি ক্ষতি হয় না। তবে পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিমাণ সমস্যা তৈরি করছে। সর্ষের তেলের অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যবহারের জেরে হৃদরোগ এবং লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই পরিমিত পরিমাণ অর্থাৎ নিয়মিত চার চামচ সর্ষের তেলে ব্যবহার করলে লিভারের রোগ এড়ানো সম্ভব। তেলের পুনরায় ব্যবহার লিভারের জন্য খুব বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই লুচি বা চপ-কাটলেট ডুবো তেলে ভাজেন। পুনরায় সেই তেল অন্য রান্নায় ব্যবহার করেন। এই ধরনের তেল আবার ব্যবহার করলে, শরীরে নানান রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। এর ফলে লিভারে একাধিক রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

    কীভাবে তেল ব্যবহার করলে লিভারের রোগের ঝুঁকি কমবে?

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ডুবো তেলে রান্না করা খাবার খাওয়া কমাতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, লিভার সুস্থ রাখতে কম তেলের রান্নায় অভ্যস্ত হতে হবে। তাহলে অনেক রোগ এড়ানো সহজ হবে। বিশেষত দোকানে, রেস্তোরাঁয় অধিকাংশ সময়েই রান্নায় তেল পুনঃব্যবহার হয়। তাই দোকানের ভাজাভুজি এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। সামান্য তেল ব্যবহার করে স্যালাড জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেকোনও সব্জি কিংবা মাংসের পদ তৈরির সময়, আগেই কাঁচা অবস্থায় অল্প তেল মাখিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তারপরে সেই সব্জি কিংবা মাংস অল্প আঁচে, ধীরে ধীরে রান্না করলে স্বাদ ও স্বাস্থ্য, দুই ভালো হবে। তিলের তেলে রান্নার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তিলের তেল শরীরের জন্য কম বিপজ্জনক। কিন্তু এই তেল অল্প আঁচেও খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়। ধোঁয়া ওঠে। তাই সাবধানে অল্প পরিমাণ তিলের তেলে রান্না করলে লিভারের রোগ প্রতিরোধ সহজ হবে।

LinkedIn
Share