Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Piyush Goyal: চিনা আধিপত্যে থাবা! বিশ্বের ১৫৩টি দেশে খেলনা পাঠাচ্ছে ভারত, জানালেন পীযূষ গোয়েল

    Piyush Goyal: চিনা আধিপত্যে থাবা! বিশ্বের ১৫৩টি দেশে খেলনা পাঠাচ্ছে ভারত, জানালেন পীযূষ গোয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের সাফল্যের মুকুটে ফের একটা নয়া পালক! বিপ্লব ঘটেছে ভারতের (India) খেলনা শিল্পে। আমদানি নির্ভরতা থেকে বিশ্বমানের রফতানিকারী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। বর্তমানে বিশ্বের ১৫৩টি দেশে রফতানি হচ্ছে ভারতীয় খেলনা। এটা কোনও গল্পকথা নয়। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৬তম টয় ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল বি-টু-বি এক্সপোতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই তথ্য তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)।

    ভারতের খেলনা শিল্প (Piyush Goyal)

    তিনি বলেন, “আমাদের খেলনা শিল্প, যা এক সময় আমদানির ওপর অনেকটা নির্ভরশীল ছিল, এখন ১৫৩টি দেশে রফতানি হচ্ছে। এটি গর্বের বিষয় এবং সঠিক নীতিগত সহায়তা পেলে আমরা কতদূর এগিয়ে যেতে পারি, তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।” এই সাফল্যের নেপথ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে বলেও এদিন জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এই কারণগুলি হল গুণমানের মানদণ্ডে নিরবচ্ছিন্ন জোর, দেশীয় উৎপাদন কেন্দ্রের উন্নয়ন এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার চালু হওয়া। পীযূষ বলেন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার ভারতে গুণমান সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করেছে। এখন আমাদের নির্মাতারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করছেন।”

    কী বললেন মন্ত্রী

    তিনি বলেন, ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি এর বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার।১৪০ কোটির জনসংখ্যা আমাদের একটি বিরাট বাজার দেয়, যার মাধ্যমে আমরা উৎপাদন স্কেল বাড়াতে পারি, খরচ কমাতে পারি এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় লড়াই করতে পারি।” খেলনা শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের উদ্দেশে মন্ত্রী (Piyush Goyal) বলেন, এই গতি বজায় রাখতে এবং পণ্যের নকশা, ব্র্যান্ডিং ও প্যাকেজিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিন। আমরা যদি এই তিনটি স্তম্ভ মজবুত করি, তাহলে ভারতীয় খেলনা বিশ্ববাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে।” মন্ত্রী বলেন, “যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘ভোকাল ফর লোকাল’ অভিযান শুরু করেছিলেন, তখন অনেকে এর প্রভাব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু আজ আত্মনির্ভর ভারতের (India) দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে ‘লোকাল গ্লোবাল হতে পারে’ এই বিশ্বাস বাস্তবে পরিণত হচ্ছে।” তিনি (Piyush Goyal) বলেন, “সৃজনশীল খেলনার ধারণা নিয়ে আসা স্টার্টআপগুলিকে প্রধানমন্ত্রীর মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে সাহায্য করা হচ্ছে, যার জেরে এখন ২০ বছরের জন্য জামানতহীন ঋণ পাওয়া যাচ্ছে।”

  • PM Modi At BRICS Summit: ‘সুবিধা বুঝে নয়, সন্ত্রাসের নিন্দাই নীতি হওয়া উচিত’, ব্রিকস-মঞ্চ থেকে বিশ্বকে বার্তা মোদির

    PM Modi At BRICS Summit: ‘সুবিধা বুঝে নয়, সন্ত্রাসের নিন্দাই নীতি হওয়া উচিত’, ব্রিকস-মঞ্চ থেকে বিশ্বকে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে এবার পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi At BRICS Summit)। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে ব্রাজিলে ব্রিকস সম্মেলনে মোদি বলেন, ‘‘ভারত সন্ত্রাসবাদের শিকার আর পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের সমর্থক। তাই আক্রান্ত ও সমর্থককে একই পাল্লায় বিচার করা যায় না।’’ এই সময় যে দেশগুলি ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। একইসঙ্গে যারা ব্যক্তিগত স্বার্থ বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণের জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলে না, তাদের তীব্র ধিক্কার জানান প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “চুপ থেকে জঙ্গিদের সম্মতি দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। ভারত একাধিকবার প্রমাণ দিয়েছে যে জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়ে পাকিস্তান কীভাবে সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রনীতি বলে চালাচ্ছে।”

    মানবতার উপর আঘাত

    ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে ব্রিকস (BRICS) শীর্ষ সম্মেলনে রবিবার, প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যে হামলা হয় তা শুধুমাত্র ভারতের উপর নয়, এটি মানবতার উপর আঘাত। মানবতার সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সন্ত্রাসবাদ। পহেলগাঁওয়ে একটি অমানবিক এবং কাপুরুষোচিত জঙ্গি হামলা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়ে দ্বিমুখী নীতির কোনও স্থান নেই। যদি কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করে, তবে তাকে অবশ্যই এর মূল্য চোকাতে হবে।” আগামী বছরের ব্রিকস সম্মেলন হতে চলেছে ভারতে। তার আগেই ব্রিকসের মঞ্চ থেকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    শান্তির পথই সর্বোত্তম

    ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে ‘শান্তি ও নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক শাসন সংস্কার’ শীর্ষক অধিবেশনে, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের প্রতি ভারতের অবস্থানের কথাও স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi At BRICS Summit)। তিনি মহাত্মা গান্ধী ও গৌতম বুদ্ধের শান্তির বার্তা উদ্ধৃত করে বলেন, “পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন, মানবতার কল্যাণের জন্য শান্তির পথই সর্বোত্তম।” মোদি বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে নিন্দা করা আমাদের সুবিধামতো নয়, বরং নীতিগত অবস্থান হওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন, যারা রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত লাভের জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলে না, তারা প্রকৃতপক্ষে মৌন সমর্থন দিচ্ছে। এটা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। ব্রিকস সম্মেলনে দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলির ‘বঞ্চনা’ নিয়েও সরব হন মোদি। তাঁর দাবি, দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলির প্রায়শই দ্বিচারিতার শিকার হচ্ছে। দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলি বর্তমান বিশ্ব কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেও এই দেশগুলির স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে না।

    ভারতের সঙ্গে সহমত

    উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। এই হামলার দায় গ্রহণ করে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। ওই হামলার পিছনে পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের হাত আছে তা সামনে আসার পরেই অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করার জন্য ব্রিকস দেশগুলিকে একটি স্পষ্ট এবং ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণ করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর সঙ্গে সমহত প্রকাশ করে যৌথ ঘোষণাপত্র ব্রিকসের রাষ্ট্রনেতারা সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করেন। তাদের উদ্দেশ্য যা-ই হোক না কেন, যে বা যারা সন্ত্রাস করছে, তাদের অপরাধী বলেই অ্য়াখ্যা দেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, “জম্মু-কাশ্মীরে ২২ এপ্রিল যে জঙ্গি হামলা হয়েছে, যেখানে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা করি। সীমান্ত পার করে সন্ত্রাসবাদ থেকে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়া- সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা করি আমরা।”

    ভারতের বড় কূটনৈতিক জয়

    যদিও ঘোষণাপত্রে পাকিস্তানের নাম সরাসরি লেখা হয়নি, কিন্তু সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ, অর্থ জোগান, ও নিরাপদ আশ্রয়ের মতো শব্দগুলি দিয়ে যে ইঙ্গিত কোথায়, তা স্পষ্ট। ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, ব্রিকস সন্ত্রাসবাদ দমনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সমন্বিত পদক্ষেপে বিশ্বাস করি। ব্রিকসের এই ঘোষণায় স্বাগত জানানো হয়েছে জোটের ‘কাউন্টার-টেরোরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপ’-এর চলমান কর্মসূচিকে। রাষ্ট্রসংঘে ‘কমপ্রিহেনসিভ কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল টেরোরিজম’ দ্রুত চূড়ান্ত করার আহ্বান জানিয়েছে ব্রিকস। ব্রিকসের এই সরাসরি এবং স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া ভারতীয় কূটনীতির এক বড় জয় হিসেবে দেখছে বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানের বন্ধু চিনের উপস্থিতিতেই এই সম্মেলনে ইসলামাবাদের সন্ত্রাস-নীতির সমালোচনা করেন মোদি। তাঁর পাশে দাঁড়ায় ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। চিনের উপস্থিতিতেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা ঘোষণা করা হয়।

  • High Blood Pressure: শুধু নুন নয়, এই চার খাবারেও লুকিয়ে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপের বিপদ!

    High Blood Pressure: শুধু নুন নয়, এই চার খাবারেও লুকিয়ে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপের বিপদ!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপে (High Blood Pressure) আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই সমস্যা বাড়ছে। ভারতীয় পুরুষদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয়দের মধ্যে অতিরিক্ত নুন খাওয়ার প্রবণতা আছে। আর তাতেই বাড়তি বিপদ তৈরি হচ্ছে। তবে, নুন খাওয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আরও চারটি খাবার বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, নুন খাওয়ায় লাগাম টানার পাশাপাশি আরও চার ধরনের খাবারে (Foods to Avoid) লাগাম দেওয়া জরুরি। তবেই উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমবে।

    কোন চারটি খাবার বাড়তি বিপদ তৈরি করছে?

    নিয়মিত চিজ খাওয়া!

    সকালের জলখাবারে অনেকেই অমলেটের সঙ্গে কিংবা স্যান্ডুইচের মধ্যে চিজ দিয়ে খেতে পছন্দ করেন। আবার পাস্তা, পিৎজা, বার্গারের মতো মন-পসন্দ খাবারে তো অবশ্যই থাকে অতিরিক্ত পরিমাণ চিজ। আর এই চিজ বিপদ বাড়াচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছে সাম্প্রতিক তথ‌্য। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১০০ গ্রাম চিজের মধ্যে ৬২১ মিলিগ্রাম নুন থাকে। নিয়মিত পাউরুটি, রুটি কিংবা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে চিজ খেলে রক্তে অতিরিক্ত পরিমাণ সোডিয়াম মিশতে থাকে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় না। উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই চিজ খেলে বাড়বে রক্তচাপ। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নুনের পাশপাশি চিজ খাওয়ায় রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    প্রক্রিয়াজাত খাবারে বাড়ছে বিপদ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে বিভ্রান্তি বাড়ছে। অনেকেই শুধু বিরিয়ানি, পিৎজা হটডগ‌ কিংবা বার্গারকেই অস্বাস্থ্যকর খাবার ভাবেন। কিন্তু এই খাবারের পাশাপাশি আরও একাধিক খাবার আছে, যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত খাবার দীর্ঘদিন তাজা রাখার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণ রাসায়নিক মেশানো হয়, সেই সব খাবার অস্বাস্থ্যকর। সবুজ সতেজ সব্জি, টাটকা মাছ, মাংস পরিমিত তেল মশলায় রান্না করলে তবেই তা স্বাস্থ্যকর হয়‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জলখাবারে সপ্তাহে অন্তত একাধিকবার সসেজ, হ্যাম, সালামির মতো নানান দেশি-বিদেশি মাংসের পদ খান। অনেকেই মনে করেন, এই ধরনের পদ স্বাস্থ্যকর। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই খাবার একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। এই খাবার প্রক্রিয়াজাত। এগুলোতে রক্তে (High Blood Pressure) অতিরিক্ত সোডিয়াম মেশে। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এই খাবারগুলো হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকারক।

    নরম পানীয় বিপজ্জনক!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নোনতা জাতীয় খাবারের পাশপাশি পানীয়তেও বিপদ বাড়তে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যাকেটজাত নরম পানীয় অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এতে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। প্যাকেটজাত ফলের রস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যাকেটজাত ফলের রসে থাকে অতিরিক্ত চিনি। এই মাত্রাতিরিক্ত শর্করা শরীরে রক্তচাপ ওঠানামা অনিয়ন্ত্রিত করে তোলে। আবার অতিরিক্ত কফি খেলেও উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) ঝুঁকি বাড়তে পারে।

    রান্নায় সস ব্যবহারে নজর জরুরি!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রান্নায় নানান ধরনের মশলা এবং সস ব্যবহারের রেওয়াজ বাড়ছে। আধুনিক নানান রান্নায় সস ব্যবহারের রেওয়াজ বাড়ছে‌। তাই সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। সোয়া সস, টমেটো কেচাপ, বার্বিকিউ সস এবং নানান ধরনের প্যাকেটজাত মশলা নিয়মিত রান্নায় ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নজরদারি জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) অন্যতম কারণ এই ধরনের প্যাকেটজাত সস নিয়মিত রান্নায় ব্যবহার। এতে শরীরের পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত তাজা ফল ও সব্জি খাওয়া জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত কলা, আপেল, বেদানা এবং লেবু জাতীয় ফল খেলে শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশপাশি মোচা, ডুমুর, পটল, পালং শাকের মতো সব্জি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের তাজা ফল ও সব্জি নিয়মিত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • BJP: জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন বিজেপির

    BJP: জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Shyama Prasad Mukherjee) জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করল বিজেপি। রবিবার সকালে দিল্লিতে শ্যামাপ্রসাদকে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, দিল্লি বিজেপির (BJP) সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এবং অন্যান্য দলীয় নেতারা। এদিন রেখা বলেন, এই দেশের মাটিতে যদি কেউ প্রথম জাতীয়তাবাদের বীজ বপন করে থাকেন, তাহলে তিনি হলেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। তিনি দেশে প্রথমে রাষ্ট্র এই চেতনা জাগিয়ে তুলেছিলেন। তৎকালীন বিভিন্ন সরকার যখন দেশীয় স্বার্থের পরিপন্থী কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল, তখন তিনি মন্ত্রীত্ব পদে ইস্তফা দেন। ভারতের ঐক্যের জন্য লড়াইও করেছিলেন তিনি। একটি দেশের দুটি সংবিধান, দুটি প্রধান এবং দুটি পতাকা থাকতে পারে না – এ কথা বলার সাহস ছিল তাঁর।

    কী বললেন যোগী (BJP)

    শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ১২৫তম জন্ম বার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। লখনউতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগী তাঁকে একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে উল্লেখ করেন। উল্লেখ করেন শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদানের কথাও। ১৯৪৩ সালে বাংলার দুর্ভিক্ষের সময় তাঁর সেবার কথাও স্মরণ করেন যোগী। ১৯০১ সালের ৬ জুলাই জন্ম শ্যামাপ্রসাদের। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বকনিষ্ঠ উপাচার্য হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামীও। যোগী বলেন, সরকার যখন জম্মু-কাশ্মীরকে পৃথক মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করছিল, তখন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। তিনি বেলন, শ্যামাপ্রসাদের স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জম্মু-কাশ্মীরকে মূলধারায় নিয়ে এসেছিলেন (BJP)।

    জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা

    শ্যামাপ্রসাদকে এদিন শ্রদ্ধা জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপিও। বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জনসংঘের এই প্রতিষ্ঠাতাকে। কিছুদিন আগেই তাঁর বলিদান দিবস ছিল। সেদিন কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায়ও তিনি মাল্যদান করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদের মূর্তিতে। কেওড়াতলায় গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহাও। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি কার্যালয়ে শ্যামাপ্রসাদকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

    ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ত্রিপুরা সরকারও। একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি জানান, আগরতলা টাউন হলের নাম পরিবর্তন করে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির (Shyama Prasad Mukherjee) নামে করা হবে (BJP)।

  • Arijit Singh: জনপ্রিয়তায় শীর্ষে! অরিজিতের টেক্কা হলিউডের তারকাদের

    Arijit Singh: জনপ্রিয়তায় শীর্ষে! অরিজিতের টেক্কা হলিউডের তারকাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হলিউডের তাবড় তারকাদের পিছনে ফেললেন বাংলার গায়ক অরিজিত্‍ সিং (Arijit Singh)। সঙ্গীত স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাইয়ে ফলোয়ারের সংখ্যায় তিনিই এখন বিশ্বের সেরা শিল্পী। ২০২৫ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত অরিজিৎ সিংয়ের ফলোয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫১ মিলিয়ন, যা তাকে টেলর সুইফট, এড শিরান, বিলি আইলিশ, এমনকী কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের চেয়েও এগিয়ে দিয়েছে।

    জনপ্রিয়তার নিরিখে কোথায় কারা

    ২০১৯ সালে ভারতে এসেছে স্পটিফাই। ছয় বছর সময় পেয়েছেন ভারতের শিল্পীরা। তার মধ্যে অরিজিত্‍ (Arijit Singh) যেভাবে এশিয়া থেকে উঠে এলেন তালিকার শীর্ষে, তা নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। অরিজিৎ সিংয়ের অনুষ্ঠান মানেই মানুষের উপচে পড়া মানুষের ভিড়। তাঁর গানের মূর্ছনায় মুহূর্তে ভাসেন অনুরাগীরা। তাঁর গান যেমন আনন্দ দেয়, তেমনই অবলীলায় আবেগে ভাসাতে পারে। বিশ্বের সংগীতমঞ্চে ইতিহাস গড়লেন অরিজিৎ সিং। আন্তর্জাতিক পপ আইকনদের পিছনে ফেলে স্পটিফাই (Spotify)-র সবচেয়ে বেশি ফলোয়ারের মালিক এখন বাংলার ছেলে! এই মুহূর্তে স্পটিফাই-তে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৫১ মিলিয়ন—যেখানে আমেরিকান সুপারস্টার টেলর সুইফট রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে (১৩৯.৬ মিলিয়ন) এবং ব্রিটিশ গায়ক এড শিরান তৃতীয় (১২১ মিলিয়ন)। সপ্তাহের শুরুতেই চার্টমাস্টার্স (Chartmasters) এবং ভোল্ট।এফএম (Volt.fm)-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিলি আইলিশ (১১৪ মিলিয়ন), আর পঞ্চম স্থানে দ্য উইকেন্ড (১০৭.৩ মিলিয়ন)। এই শীর্ষ দশের তালিকায় আছেন আরও কিছু হেভিওয়েট নাম—আরিয়ানা গ্র্যান্ডে, এমিনেম, ড্রেক, ব্যাড বান্নি এবং জাস্টিন বিবার।

    অনুরাগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে

    বিশ্বমানের শিল্পী, জগৎজোড়া খ্যাতি। তবু থাকেন মাটির কাছাকাছি। শিকড়ের টানে মুম্বই ছেড়ে আসেন জন্মভিটে জিয়াগঞ্জে। সেখানেই দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার। সাফল্য ও অর্থ নাকি মানুষের মাথা ঘুরিয়ে দেয়। কিন্তু সেখানেই সকলের থেকে আলাদা অরিজিৎ (Arijit Singh)। তাঁকে নিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন সমসাময়িকরা। অর্থ, প্রতিপত্তি কম নেই, কিন্তু দেখনদারি নেই অরিজিতের। জিয়গঞ্জের বাড়ি ছাড়া নাভি মুম্বইয়ে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট আছে তাঁর এ ছাড়াও প্রায় ৩ কোটির গাড়ি রয়েছে। যদিও অধিকাংশ সময় স্কুটি করেই ঘুরতে দেখা যায় তাঁকে। পোশাকেও নেই কোনও বাহুল্য। মাটির কাছাকাছি থাকতেই ভালবাসেন গায়ক। ২০২৪ সালে অরিজিৎ সিংয়ের গাওয়া কেশরিয়া, তুম কেয়া মিলে, ধুন, জানে তু গানগুলো স্থান পেয়েছে বছরের সর্বাধিক স্ট্রিমিং হওয়া গানের তালিকায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

  • Shrikant Jichkar: তাঁর ঝুলিতে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, চিনে নিন ভারতের সব চেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তিকে

    Shrikant Jichkar: তাঁর ঝুলিতে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, চিনে নিন ভারতের সব চেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি। এর মধ্যে ২০টি আলাদা আলাদা বিষয়ে। মনে করা হয়, তিনিই (Shrikant Jichkar) ভারতের (India) সর্বাপেক্ষা শিক্ষিত ব্যক্তি। জীবনে একটা ডিগ্রি অর্জন করতেই কালঘাম ছুটে যায় পড়ুয়াদের একটা বড় অংশের। স্নাতকোত্তরের পর আরও উচ্চশিক্ষিত হতে আর পরিশ্রম করতেই চান না অধিকাংশ মানুষ। তাই স্নাতকোত্তেরর পর পড়াশোনা ছেড়ে চাকরির বাজারে লাইন দেন ছেলেমেয়েরা। এহেন আবহে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ২০টি ডিগ্রি। যে ভারতীয়কে নিয়ে কথা হচ্ছে, তিনি হলেন শ্রীকান্ত জিচকার। দেশের সর্বাধিক ডিগ্রি লাভের পাশাপাশি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি হয়েছিলেন বিধায়ক। সেই সময় তিনিই দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক ছিলেন।

    শ্রীকান্তের জন্ম মারাঠি পরিবারে (Shrikant Jichkar)

    বিস্ময়কর এই মানুষটির জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নাগপুরের একটি মারাঠি পরিবারে। উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে তিনি ভর্তি হন নাগপুরের একটি মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই তিনি প্রথমে করেন এমবিবিএস এবং পরে এমডি। এই দুই ডিগ্রি অর্জনের পর শ্রীকান্ত পড়াশোনা করতে শুরু করেন আইন নিয়ে। স্নাতক হওয়ার পর স্নাতকোত্তর করেন আন্তর্জাতিক আইনে। আইনের পাঠ চুকিয়ে শ্রীকান্ত (Shrikant Jichkar) পড়াশোনা করতে শুরু করেন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে। পরে স্নাতক হন সাংবাদিকতায়। সংস্কৃতে ডিলিটও পান শ্রীকান্ত। এর পর একে একে শ্রীকান্ত সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ইতিহাস, ইংরেজি সাহিত্য, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ব এবং মনোবিজ্ঞানের মতো বিষয়ে ডিগ্রিও অর্জন করেছিলেন তিনি।

    ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসেছিলেন

    চিত্রাঙ্কন, ফোটোগ্রাফি এবং অভিনয়েও ডিগ্রি লাভ করেছিলেন শ্রীকান্ত। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। দু’-দু’বার উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ইউপিএসসি পরিচালিত প্রবেশিকা পরীক্ষায়। প্রথমবার পাশ করে শ্রীকান্ত হন আইপিএস। পরে পদত্যাগ করে ফের পরীক্ষা দিয়ে আইএএস হন ১৯৮০ সালে। মাস চারেক ধরে আইএএসের চাকরি করে সব ছেড়েছুড়ে শ্রীকান্ত চলে আসেন রাজনীতিতে। ১৯৮০ সালেই মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতীকে জিতে বিধায়ক হন তিনি। পরে হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রভাবশালী মন্ত্রীও। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ সাল (India) পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন শ্রীকান্ত। ২০০৪ সালের ২ জুন একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় শ্রীকান্তের (Shrikant Jichkar)। সেই সময় তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্রই ৫১।

  • Delhi News: দিল্লিতে ২ সাংবাদিকের ওপর হামলা চালাল মৌলবাদীরা, ছিনতাই করা হল টাকা-মোবাইল

    Delhi News: দিল্লিতে ২ সাংবাদিকের ওপর হামলা চালাল মৌলবাদীরা, ছিনতাই করা হল টাকা-মোবাইল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi News) সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ। একদল মৌলবাদী এই হামলা চালিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জানা গেছে, গত ৪ জুলাই সাংবাদিক সুপ্রিয়া পাঠক এবং তাঁর ক্যামেরাম্যান স্যামের উপর হামলা চালায় একটি দল। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির সীমাপুরি থানা এলাকার বেঙ্গলি মার্কেট অঞ্চলে। অভিযোগ, সেখানে সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছিল। এই বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়েছিলেন (Journalist) সুপ্রিয়া ও স্যাম। সেই সময়েই তাঁদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ চালানো হয়।

    জিনিসপত্র লুটও করে তারা (Delhi News)

    ঘটনার ফলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। আহত সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, আচমকাই বেশ কয়েকজন বোরখা পরা মহিলা এবং কিছু অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর তাঁদের উপর নির্মমভাবে হামলা চালায়। তাঁদের ক্যামেরা, মোবাইল, মাইক, নগদ টাকা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার (Delhi News) হয়নি। সোমবার সন্ধ্যাবেলায় দুই সাংবাদিক বেঙ্গলি বস্তির কাছাকাছি যান। দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় সরকারি জমি দখল, অনুপ্রবেশকারী এবং বেআইনি নির্মাণ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ছিল। অভিযোগ, সেই এলাকায় বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের বসবাস রয়েছে।

    ২০০ জনের দল হামলা চালায়

    প্রথমে প্রায় ২০-৩০ জনের একটি দল সাংবাদিকদের (Journalist) বাধা দেয়। এরপর সেই সংখ্যা দ্রুত বেড়ে প্রায় ২০০ জনে পৌঁছায়। তাদের হাতে ছিল লাঠি ও অন্যান্য অস্ত্র। তারা লাথি, ঘুষি, চড়-থাপ্পড়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের উপর হিংস্র আক্রমণ চালায়। সুপ্রিয়া পাঠকের উপর বিশেষভাবে চড়াও হয় তারা এবং তাঁর মোবাইল, ক্যামেরা, মাইকসহ যাবতীয় সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেয়। সাংবাদিকরা একটি বাসে উঠতে (Delhi News) চাইলেও হামলা থেমে থাকেনি। হামলাকারীরা বাসের জানলা ভেঙে ফেলে এবং বাসের মধ্যেও তাদের উপর হামলা চালাতে থাকে। অভিযোগ, বাসমালিক সাংবাদিকদের (Journalist) সাহায্য না করে উলটে তাঁদের জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেন। এই ঘটনার একাধিক ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনার জেরে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

  • CBI: শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর! আদালতের নির্দেশে তিন বিজেপি কর্মীর খুনের তদন্তভার নিল সিবিআই

    CBI: শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর! আদালতের নির্দেশে তিন বিজেপি কর্মীর খুনের তদন্তভার নিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ঘটে যাওয়া হিংসাত্মক ঘটনার তদন্তভার শেষমেশ গ্রহণ করল সিবিআই। ওই ঘটনায় তিন বিজেপি কর্মীর খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে তৃণমূল দুষ্কৃতী শাহজাহান শেখের নাম। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই (CBI)। শনিবার এই তথ্য সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।

    ৩০ জুন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ

    গত ৩০ জুন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে, সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করবে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআইকে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠনের নির্দেশও দেন। ওই তিন বিজেপি কর্মী—প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল। ২০১৯ সালের ৮ জুন এঁরা খুন হন বলে অভিযোগ।

    শাহজাহানের বাড়িতে ইডি

    প্রাথমিক চার্জশিটে শাহজাহান শেখের নাম থাকলেও, পরবর্তী সময়ে সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ (CBI) করলে তাঁর নাম বাদ পড়ে বলে দাবি নিহতদের পরিবারের। নিহতদের পরিবারগুলোর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া হয় । উল্লেখ্য, ২০২২ সালে আরেকটি খুনের মামলার চার্জশিটেও শাহজাহানের নাম ছিল, কিন্তু পরে তিনি জামিন পান।
    ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে (CBI) রেশন দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চালাতে গিয়ে শাহজাহানের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আধিকারিক ও আধাসেনা জওয়ানরা ‘আক্রান্ত’ হন বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির আন্দোলন

    এই ঘটনার কিছুদিন পর থেকেই সন্দেশখালির বহু বাসিন্দা শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সরব হতে থাকেন। অভিযোগ ওঠে, স্থানীয়দের কৃষিজমি জোর করে দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করা হয়েছে, সেই ভেড়ির লিজের টাকা প্রাপ্যদের দেওয়া হয়নি, এবং একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁরা জড়িত। এছাড়াও, এলাকায় মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায় (CBI)। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকায় বিজেপি-সহ একাধিক বিরোধী দল রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে অংশ নেয়। এই চাপের মুখেই তৃণমূল কংগ্রেস শাহজাহান শেখকে দল থেকে সাসপেন্ড করে।

  • Supreme Court: চন্দ্রচূড় কেন দখল করে রেখেছেন সরকারি বাংলো? কেন্দ্রকে চিঠি সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: চন্দ্রচূড় কেন দখল করে রেখেছেন সরকারি বাংলো? কেন্দ্রকে চিঠি সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়েছেন বছরখানেক আগে। স্বাভাবিকভাবেই হারিয়েছেন সরকারি বাসভবনে থাকার অধিকারও। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (Supreme Court) তার পরেও সরকারি বাংলো দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে চিঠি দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। চিঠিতে (DY Chandrachud) জানানো হয়েছে, অবিলম্বে ওই বাংলো খালি করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং শীর্ষ আদালতের বর্তমান বিচারপতিদের জন্য সেটি বরাদ্দ করতে হবে।

    চন্দ্রচূড়কে নিয়ে প্রশ্ন (Supreme Court)

    বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই। তাঁকে নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে বিচারপতির সংখ্যা ৩৩, যদিও থাকার কথা ৩৪। এই ৩৩ জনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত বাড়ি বরাদ্দ করা যায়নি চারজন বিচারপতির জন্য। এঁদের মধ্যে তিনজন রয়েছেন আদালতের ট্রানজিট আবাসনে, একজন অতিথিশালায়। কৃষ্ণ মেনন মার্গে রয়েছে ৫ নম্বর বাংলো। এটিই বরাদ্দ করা হয় প্রধানবিচারপতিদের। অবসর নেওয়ার পরেও সেই বাংলো এখনও কেন চন্দ্রচূড় দখল করে রেখেছেন, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। যার জেরে কেন্দ্রকে চিঠি লিখল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

    কী বললেন চন্দ্রচূড়?

    এ প্রসঙ্গে চন্দ্রচূড় বলেন, “সরকারের তরফে ভাড়ায় নেওয়া বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তবে বাড়িটি দু’বছর ধরে বন্ধ পড়েছিল। সেখানে সংস্কারের কাজ চলছে। সুপ্রিম কোর্টকে সেকথা জানিয়েওছিলাম। বাড়ির কাজ শেষ হলে পরের দিনই বাংলো ছেড়ে দেব বলেও জানিয়েছিলাম।” তিনি বলেন, “বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দুই মেয়ে আছে আমার। গুরুতর কোমর্বিডিটিজ রয়েছে ওদের, জিনগত কিছু সমস্যাও রয়েছে, বিশেষ করে নেমালিন মায়োপ্যাথি। এইমসে ওদের চিকিৎসাও চলছে। এগুলো আমার ব্যক্তিগত সমস্যা, জানি। আদালতকেও জানিয়েছি। আর কিছুদিনের ব্যাপার। সর্বোচ্চ পদে আসীন ছিলাম আমি। নিজের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত। তবে অতীতে অন্য বিচারপতিদের নির্ধারিত সময়ের পরও বাসভবন ধরে রাখতে দেওয়া হয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রকে লেখা চিঠিতে আদালত লিখেছে, ‘দেরি না করে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের কাছ থেকে অবিলম্বে কৃষ্ণ মেনন মার্গের ৫ নম্বর বাংলোটির দখল নিন। ৩১ মে পর্যন্ত বাংলোটি ধরে রাখার যে সময়সীমা ছিল, তা পেরিয়ে গিয়েছে (DY Chandrachud)। ৩বি বিধির আওতায় ১০ মে পর্যন্ত নির্ধারিত ছ’মাসের সময়সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে (Supreme Court)।

  • Amit Shah: ফৌজদারি ক্ষেত্রে নয়া আইন, দেশের বিচার ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সংস্কার, জানালেন শাহ

    Amit Shah: ফৌজদারি ক্ষেত্রে নয়া আইন, দেশের বিচার ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সংস্কার, জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় আনা সবচেয়ে বড় সংস্কার হিসেবে নতুন তিনটি ফৌজদারি আইনের প্রশংসা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) মঙ্গলবার বলেছেন, দেশজুড়ে এই নতুন আইনগুলি পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার পর, এফআইআর দায়েরের তিন বছরের মধ্যেই বিচার নিষ্পত্তি সম্ভব হবে। নতুন তিনটি আইন—ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS), ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (BNSS) এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন (BSA)—২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। এই আইন তিনটি যথাক্রমে ঔপনিবেশিক যুগের ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC), ফৌজদারি কার্যবিধি (CrPC) এবং ১৮৭২ সালের ভারতীয় সাক্ষ্য আইনকে প্রতিস্থাপন করেছে।

    তিন বছরের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হবে এবার জানালেন শাহ (Amit Shah)

    দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “এই তিনটি আইন এক ধরনের রূপান্তর আনতে চলেছে আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায়। এতদিন এই ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল বিচারপ্রক্রিয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা না থাকা। আমি ভারতের প্রতিটি নাগরিককে (New Criminal Law) আশ্বস্ত করতে চাই যে, আগামী তিন বছরের মধ্যে নতুন আইনগুলির পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে এবং তারপরে, কোনও এফআইআর দায়ের হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে তার বিচার নিষ্পত্তি হবে—এটি নিশ্চিত করা হবে।”

    ভারত মণ্ডপমে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    রাজধানীর ভারত মণ্ডপমে (Amit Shah) ভাষণ দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “এই সংস্কার প্রতিটি নাগরিকের অধিকারকে আরও সুদৃঢ় করে তোলে। এটি তাঁদের নিরাপত্তার সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ, সময়োপযোগী এবং সহজলভ্য করে তোলাই এই সংস্কারের মূল লক্ষ্য। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে এটাই দেশের সবচেয়ে বড় আইনি সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হবে।” তিনি আরও জানান, এই আইনগুলির প্রণয়নের (New Criminal Law) পেছনে ছিল বিস্তৃত পরামর্শ, বহু বিশেষজ্ঞের মতামত ।

LinkedIn
Share