Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • IMF: ৫০টি শর্ত পূরণ হলে তবেই পাকিস্তান পাবে ঋণ, ভারতের চাপেই কি এই সিদ্ধান্ত আইএমএফের?

    IMF: ৫০টি শর্ত পূরণ হলে তবেই পাকিস্তান পাবে ঋণ, ভারতের চাপেই কি এই সিদ্ধান্ত আইএমএফের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে ভারতীয় মুদ্রায় আট হাজার কোটি টাকার বাড়তি ঋণ মঞ্জুর করেছে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (IMF)। ইতিমধ্যেই প্রথম দু’কিস্তির টাকাও পেয়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ (Operation Sindoor)। তবে পরের কিস্তির টাকা দেওয়ার আগে ইসলামাবাদের ওপর ১১টি নতুন শর্ত চাপিয়েছে আইএমএফ। শনিবার এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও প্রকাশ করেছে তারা। জানা গিয়েছে, ঋণের জন্য পাকিস্তানকে আগে থেকেই ৩৯টি শর্ত দিয়ে রেখেছিল আইএমএফ। পরে আরও ১১টি শর্ত চাপানোয় মোট শর্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০। এই সবক’টি শর্ত পূরণ করলেই ঋণের পরবর্তী কিস্তির টাকা হাতে পাবে শাহবাজ শরিফের দেশ।

    আইএমএফের রিপোর্ট (IMF)

    আইএমএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ২০২৬ অর্থবর্ষের বাজেট আইএমএফের চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে এবং তাতে সংসদীয় অনুমোদন নিশ্চিত করতে হবে। পাকিস্তানের ফেডারেল বাজেটে ১৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেখিয়েছে আইএমএফ। এর মধ্য শুধু উন্নয়নের জন্যই খরচ করতে বলা হয়েছে ১.০৭ লাখ কোটি টাকা। পাকিস্তানের যে প্রদেশগুলিতে নয়া কৃষি আয়কর আইন বাস্তবায়ন করার কথা, সেখানে আয়কর রিটার্নের প্রক্রিয়াকরণ, করদাতাদের শনাক্ত করা এবং নথিভুক্ত করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করতে বলা হয়েছে। এজন্য জুন মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। আইএমএফের সুপারিশ অনুযায়ী, পাকিস্তান সরকারকে একটি নির্দিষ্ট প্রশাসনিক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে এবং তা প্রকাশ করতে হবে। প্রশাসনিক দুর্বলতাগুলিকে চিহ্নিত করে সংস্কারের পরিকল্পনা জনসমক্ষে তুলে ধরাই এর উদ্দেশ্য। ২০২৭ সালের পরে অর্থনৈতিক সেক্টরে পাকিস্তানের পরিকল্পনা কী হবে, তার একটি রূপরেখাও তৈরি করতে বলা হয়েছে পাকিস্তানকে। এই রূপরেখাও প্রকাশ করতে হবে।

    চারটি নয়া শর্ত

    শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের ওপর আরোপ করা হয়েছে আরও চারটি নয়া শর্ত। চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের মধ্যে পাকিস্তান সরকারকে বার্ষিক বিদ্যুৎ শুল্ক পুনর্নির্ধারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। পাকিস্তানে বিদ্যুতের ঋণ পরিশোধের বাড়তি খরচের সর্বোচ্চ সীমা ইউনিট প্রতি ৩.২১ টাকা। জুন মাসের মধ্যে আইন করে (Operation Sindoor) এই সীমা তুলে দিতে হবে। সরকারের ভুল নীতির কারণেই যে পাকিস্তানের ওপর ঋণের পাহাড় প্রমাণ বোঝা চেপেছে, তাও জানিয়ে দিয়েছে আইএমএফ। আইএমএফের তরফে পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা তাদের উন্নয়ন প্রকল্পের আর্থিক, বহিরাগত এবং সংস্কারের লক্ষ্যগুলির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে (IMF)।

    হাঁড়ির হাল হয়েছে পাক অর্থনীতির

    বস্তুত, হাঁড়ির হাল হয়েছে পাক অর্থনীতির। ঋণের ভারে ধুঁকছে শাহবাজ শরিফের দেশ। বাজেট করতে গেলেও বিশ্বের দুয়ারে দুয়ারে হাত পাততে হচ্ছে পাকিস্তানকে। তার পরেও পূর্ণ উদ্যমে জঙ্গিদের মদত দিয়ে চলেছে তারা। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে নতুন করে ঋণ দেওয়ার জন্য ১১টি শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। এই শর্তে রাজি হলে পাকিস্তান অবিলম্বে হাতে পাবে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। ফলে বেলআউট প্যাকেজের আওতায় তাদের মোট ঋণের অঙ্ক দাঁড়াবে ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও, আরএসএফের আওতায় আরও প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ডলার দিতেও রাজি হয়েছে আইএমএফ।

    আইএমএফ প্রকাশিত স্টাফ লেভেল রিপোর্ট

    শনিবার আইএমএফ প্রকাশিত স্টাফ লেভেল রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা যদি অব্যাহত থাকে বা এর আরও অবনতি হয়, তাহলে কর্মসূচির আর্থিক, বহিরাগত ও সংস্কার লক্ষ্যগুলির ঝুঁকি বেড়ে যাবে (IMF)। গত দুসপ্তাহে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বাজারের প্রতিক্রিয়া সেভাবে হয়নি। শেয়ার বাজার তার বেশিরভাগ লাভ ধরে রেখেছে এবং মধ্য গতিতে এগোচ্ছে (Operation Sindoor)।

    অপারেশন সিঁদুর

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পরেই ব্যাপক অবনতি হয় ভারত-পাক সম্পর্কের। এই জঙ্গি হামলার পক্ষকাল পরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। দুরমুশ করে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। হামলা এবং পাল্টা হামলার জেরে টানা চার দিন উত্তপ্ত থেকেছে সীমান্ত। শেষমেশ গত ১০ মে দুই দেশ রাজি হয় সংঘর্ষ বিরতিতে। এরই মাঝে পাকিস্তানের জন্য বিপুল অঙ্কের ঋণ মঞ্জুর করে আইএমএফ (IMF)।

    প্রসঙ্গত, ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও পাকিস্তানের জন্য বিপুল ঋণের অনুমতি দিয়েছে আইএমএফ। শনিবার জানা গিয়েছে পাকিস্তানকে বেলআউট ফান্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে ১১টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে (Operation Sindoor) আইএমএফের তরফে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ভারত এবং আন্তর্জাতিক চাপের ফলেই শেষমেশ করা হল শর্ত আরোপ (IMF)।

  • Golden Temple: স্বর্ণমন্দির লক্ষ্য করে মিসাইল-ড্রোন হামলা পাকিস্তানের! কীভাবে রুখল ভারত, ভিডিও প্রকাশ সেনার

    Golden Temple: স্বর্ণমন্দির লক্ষ্য করে মিসাইল-ড্রোন হামলা পাকিস্তানের! কীভাবে রুখল ভারত, ভিডিও প্রকাশ সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃতসরের বিখ্যাত স্বর্ণমন্দির (Golden Temple) ধ্বংসের লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ঐতিহাসিক এই মন্দিরের গায়ে একটি আঁচড়ও লাগেনি। কারণ পাক মিসাইল আর ড্রোন হামলার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। অপারেশন সিঁদুরের জবাবে ভারতে পাল্টা হামলার ছক কষেছিল পাকিস্তান। ড্রোন হামলার চেষ্টা হয়েছিল স্বর্ণ মন্দিরেও। গত ৮ মে ভোররাতে পাকিস্তান ড্রোন ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায়। তবে ভারতীয় সেনা আগে থেকেই প্রস্তুত থাকায় তা প্রতিহত হয়। ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা বলয় এক ইঞ্চিও ক্ষতি হতে দেয়নি পবিত্র এই ধর্মস্থানের।

    কীভাবে প্রতিহত হল হামলা

    পাক সেনার ছক প্রতিহত করেছে ভারত। ভারতের প্রত্যাঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে লাহোরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ভয় পেয়েছে ইসলামাবাদ। ৫১তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং পদে থাকা মেজর জেনারেল কার্তিক সি শেষাদ্রি জানান, “আমরা জানতাম পাকিস্তান নির্দিষ্ট কোনও টার্গেট পাবে না হামলা চালানোর জন্য। তাই ওরা ভারতীয় সেনার ঘাঁটি এবং জনবসতিতে হামলা করবে। জনবসতির মধ্যে থাকা ধর্মস্থানেও পাক হামলার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। ধর্মস্থানের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত স্বর্ণমন্দির (Golden Temple)। তাই ৮ মে অমৃতসর লক্ষ্য করে হামলা শুরু হতেই আমরা স্বর্ণমন্দির সুরক্ষিত রাখতে একটি ছাতা গড়ে তুলি।” মেজর জেনারেল শেষাদ্রি আরও জানান, মূলত ড্রোন এবং দূরপাল্লার মিসাইলের মাধ্যমে ওইদিন হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেটা রুখতে পুরোপুরি তৈরি ছিল সেনা। তাঁর কথায়, “আমাদের সাহস এবং সতর্কতা পাক সেনার জঘন্য ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রত্যেকটি ড্রোন এবং মিসাইলকে গুলি করে নামানো হয়েছে। স্বর্ণমন্দিরের কোনও ক্ষতি হয়নি।”

    ভিডিও প্রকাশ সেনার

    কীভাবে পাক হানা রুখে দেওয়া হল, তার বিশদ বিবরণ দিয়ে সোমবার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় সেনার তরফে। সেখানে আকাশ মিসাইল সিস্টেম, এল-৭০ এয়ার ডিফেন্স গানের ব্যবহার দেখানো হয়েছে। অমৃতসর-সহ পাঞ্জাবের অন্যান্য শহরগুলিকে রক্ষা করেছিল এই সিস্টেমই। কীভাবে পাক হামলার সামনে দুর্ভেদ্য প্রাচীর গড়েছে সেনা, তুলে ধরা হয়েছে সেনার প্রকাশিত এই ভিডিওতে। পাকিস্তান মূলত ড্রোন, লয়টারিং মিউনিশন ও দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায়। কিন্তু ভারতের প্রতিরক্ষা গঠনতন্ত্র ২৪ ঘণ্টা নজরদারি ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে সক্ষম হওয়ায় সব ধরনের হুমকিকে আগেভাগেই ধ্বংস করে দেয়। ভারতের ৩৬ জায়গায় হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। প্রতি বারই পাকিস্তানের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারতীয় বাহিনী। ৩০০ থেকে ৪০০ বার ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে সেই হামলা প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনা। বেশ কয়েকটি পাক ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

  • Jyoti Malhotra: জ্যোতিকে চর হিসেবে গড়ে তুলছিল আইএসআই! জানুয়ারিতেই গিয়েছিলেন পহেলগাঁও, উঠে এল তদন্তে

    Jyoti Malhotra: জ্যোতিকে চর হিসেবে গড়ে তুলছিল আইএসআই! জানুয়ারিতেই গিয়েছিলেন পহেলগাঁও, উঠে এল তদন্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার ট্রাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রা। পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Agents) অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। রবিবারই এই খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের কাছে গোপন তথ্য পাচার করতেন জ্যোতি (Jyoti Malhotra)। শুধু তাই নয়, পুলিশে তরফে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে, যে পহেলগাঁও হামলার আগে জানুয়ারি মাসেই সেখানেই ঘুরতে যান জ্যোতি। অপারেশন সিঁদুরের আবহেও পাকিস্তানি এজেন্টদের সঙ্গে জ্যোতি মালহোত্রা যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তবে প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত কোনও তথ্য তিনি পাননি, কারণ ততদূর পর্যন্ত পৌঁছানোর ক্ষমতা তাঁর ছিল না। জানা যাচ্ছে, জ্যোতিকে ‘অ্যাসেট’ বা চর হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিল পাকিস্তান।

    কী জানালেন হিসারের পুলিশ সুপার

    এ নিয়ে সামনে এসেছে হিসারের পুলিশ সুপার শশাঙ্ক কুমার শাওনের বিবৃতি। রবিবারই উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে,  জ্যোতি মালহোত্রাকে (Jyoti Malhotra) পাকিস্তানের ভ্রমণে নিয়ে যায় সে দেশের গোয়েন্দারা। তাঁদের টাকাতেই একাধিকবার পাকিস্তানের গিয়েছেন জ্যোতি। পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন যে, পহেলগাঁও হামলায় যদি কোনও যোগসূত্র থাকে, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্তে। পুলিশ সুপারের দাবি, আধুনিক যুদ্ধ কেবলমাত্র সীমান্তে গুলি-বারুদের লড়াইতেই হয় না। পাকিস্তানি এজেন্টরা (Pak Agents) তাঁদের নিজেদের বক্তব্য প্রচারের জন্য এদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় যাঁরা প্রভাবশালী রয়েছেন, তাঁদের ‘অ্যাসেট’ (গুপ্তচর দুনিয়ার পরিভাষায় বিদেশে থাকা চর) হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। সেই লক্ষ্যেই জ্যোতিকে তারা গড়ে তুলছিল পাকিস্তান।

    চিন সফরও করে পাকিস্তানের চর জ্যোতি (Jyoti Malhotra)

    হিসারের পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, জ্যোতি মালহোত্রা সাম্প্রতিককালে একবার চিন সফরও করেছেন। জ্যোতি মালহোত্রার ভ্রমণের যে ব্যয় তা তাঁর আয়ের থেকে অনেক বেশি বলে দেখা যাচ্ছে। এনিয়েই এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা জ্যোতি মালহোত্রা আর্থিক বিবরণটা বিশ্লেষণ করছি। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের সময় জ্যোতি মালহোত্রা পাকিস্তানি এজেন্টদের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগে ছিলেন। দেখা যাচ্ছে, তাঁর ভ্রমণের যে অর্থ ব্যয় করেছেন তিনি, তা তাঁর মোট আয়ের থেকেও বেশি। এই টাকা তিনি কোথা থেকে পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

    অপারেশন সিঁদুরের সময়ও পাক এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জ্যোতির

    প্রসঙ্গত, জ্যোতি মালহোত্রার (Jyoti Malhotra) চ্যানেলের নাম হল ‘ট্রাভেল উইথ জো’। শনিবারই জ্যোতিকে গ্রেফতার করা হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির তরফ থেকে গোপন তথ্য পাওয়ার পরেই এই কাজ করে হরিয়ানা পুলিশ। পাকিস্তানের এজেন্টদের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল বলে জানিয়েছে প্রশাসন। যাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিল এহসান-উর-রহিম। যাঁর অপর নাম দানিশ। এই পাকিস্তানি এজেন্ট নয়া দিল্লিতে পাক হাই কমিশনের একজন কর্মচারী বলেই জানা গিয়েছে।

    পাক হাইকমিশনের ইফতার পার্টিতেও ছিল জ্যোতি

    গত বছরে ড্যানিসের সঙ্গেই পাক হাইকমিশন একটি বিশেষ ইফতার পার্টিতেও যোগদান করেছিলেন জ্যোতি মালহোত্রা। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ভারতের অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রশাসন মনে করছে, এই মামলায় আরও অনেকেই জড়িত থাকতে পারে। গ্রেফতারের পর জ্যোতিকে আদালতে তোলা হলে তাঁকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    চিন-বাংলাদেশ-পাকিস্তানের হাইকমিশনের কর্মীদের ওপর কড়া নজর রাখে দিল্লি

    অন্যদিকে, এই ঘটনায় জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন ডিজিপি, শেস পল বৈদ্য জানিয়েছেন যে পাকিস্তানি গুপ্তচরের কাছে হানি ট্রাপে পড়েছিলেন জ্যোতি। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পহেলগাঁওয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন ডিজিপি আরও জানিয়েছে, বর্তমান কালে আমাদের দেশে পাকিস্তান, চিন এবং বাংলাদেশের হাইকমিশনের কর্মীরা কোথায় কোথায় যাচ্ছেন তা কড়া নজরদারিতে রাখেন আমাদের গোয়েন্দারা।

    ২০২৩ সালে প্রথম পাকিস্তানে যান জ্যোতি

    পাকিস্তান গিয়ে জ্যোতি একাধিক আইএসআই এজেন্ট এবং কর্তার সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের মধ্যে শাকির আর রান শাহবাজ নামের দুই পাক এজেন্টের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। গত তিন বছরে হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবে বড় চর নেটওয়ার্ক তৈরি করেন জ্যোতি। জানা যাচ্ছে, পাক এজেন্টদের মোবাইল নম্বর অন্য নামে সেভ করা রয়েছে তাঁর ফোনে। নিয়মিত যোগাযোগ থাকত এঁদের সকলের সঙ্গে। সূত্রের খবর, কথা চলত হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটে। হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার হওয়া জ্যোতি মালহোত্রার বিভিন্ন ডিভাইস ঘেঁটে উঠে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০২৩ সালে প্রথম পাকিস্তান যান জ্যোতি। সেই সময়েই নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের আধিকারিক এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই এই দানিশকে ভারতে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

  • India vs Pakistan: বাইশ গজেও বয়কট পাকিস্তান! এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহারের পথে ভারত

    India vs Pakistan: বাইশ গজেও বয়কট পাকিস্তান! এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহারের পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত উত্তেজনার রেশ ফের বাইশ গজে। ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) সাম্প্রতিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (ACC) আসন্ন প্রতিযোগিতাগুলি থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI)। ইতিমধ্যে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে এই ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।

    কেন সরছে ভারত

    আগামী মাসেই শ্রীলঙ্কায় মহিলাদের এমার্জিং এশিয়া কাপ (Asia Cup) শুরু হতে চলেছে। এরপর আগামী সেপ্টেম্বর মাসে পুরুষদের এশিয়া কাপের আসর বসবে। এই দুটো টুর্নামেন্ট থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট দল নিজেদের নাম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বর্তমানে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের শীর্ষপদে রয়েছেন পাকিস্তানের মন্ত্রী মহসিন নকভি। তিনি আবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেরও (PCB) চেয়ারম্যান। সূত্রের খবর, পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে দুরত্ব বজায় রাখার জন্যই এহেন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় দল এমন কোনও টুর্নামেন্ট খেলবে না যেটা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজন করবে। কারণ এই কাউন্সিলের শীর্ষপদে একজন পাকিস্তানের মন্ত্রী রয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে দেশের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। আমরা মৌখিকভাবে এসিসি-কে এই ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছি। বলে দিয়েছি যে আসন্ন মহিলা এমার্জিং এশিয়া কাপে টিম ইন্ডিয়া অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এমনকী, ভবিষ্যতেও অন্য টুর্নামেন্টে ভারত অংশগ্রহণ করবে কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। ভারত সরকারের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রেখে যাচ্ছি।’

    ভারত না থাকলে প্রভূত ক্ষতি

    আগামী সেপ্টেম্বর মাসে যে পুরুষদের এশিয়া কাপে ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা খেলতে নামার কথা। গোটা বিষয়টা নিয়ে আপাতত চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, বিসিসিআই খুব ভালো করেই জানে যে ভারত ছাড়া এশিয়া কাপ আয়োজন কার্যত দুষ্কর ব্যাপার। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অধিকাংশ স্পনসরই ভারত থেকে আসে। তার উপরে এশিয়া কাপে যদি ভারত-পাকিস্তান ম্য়াচেরই আয়োজন করা না হয়, তাহলে সম্প্রচারকারী সংস্থাকেও ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। ২০২৪ সালে এশিয়া কাপের স্বত্ত্ব আগামী ৮ বছরের জন্য সোনি পিকচার্স নেটওয়ার্ক ইন্ডিয়াকে দেওয়া হয়েছে। এই চুক্তির জন্য সোনি পিকচার্সকে ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে। যদি এই বছর এশিয়া কাপে ভারত না খেলে, তাহলে এই চুক্তি নিয়েও নতুন করে ভাবনাচিন্তা করতে হবে।

  • Mohan Bhagwat: ‘‘শক্তিশালী হলে তবেই বিশ্ব আমাদের ভালোবাসার ভাষা শুনবে’’, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘শক্তিশালী হলে তবেই বিশ্ব আমাদের ভালোবাসার ভাষা শুনবে’’, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘এই বিশ্ব ভালোবাসার ভাষা তখনই শুনবে যদি তোমার শক্তি থাকে। ভারত (Bharat) হল পৃথিবীর সবথেকে প্রাচীনতম সভ্যতা। বর্তমানে আমরা কাজ করছি বিশ্ব শান্তি এবং সম্প্রতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।’’ রাজস্থানের জয়পুরে এমনই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক চালক ডঃ মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সে রাজ্যের জয়পুরে রবিনাথ আশ্রমে একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন সংঘপ্রধান। সেখানেই তাঁকে এই কথাগুলি বলতে শোনা যায়। একইসঙ্গে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘এদেশের ইতিহাস আত্মত্যাগের ইতিহাস। ভগবান রামচন্দ্র থেকে ধামাশাহ আমরা প্রত্যেকেই তাঁদের পুজো করি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতের কর্তব্য হল, গোটা বিশ্বকে ধর্ম শিক্ষা দেওয়া। কিন্তু তার জন্য অবশ্যই শক্তি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’ অপারেশন সিঁদুর সফল হওয়ার পরে সংঘ প্রধানের এমন বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করে ভারত যে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে তাতে গোটা বিশ্ব এদেশের সামরিক শক্তি প্রত্যক্ষ করেছে।

    এ দেশ কারও ক্ষতি করতে চায় না (Mohan Bhagwat)

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, ‘‘এ দেশ কারও ক্ষতি করতে চায় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদেরকে শক্তিশালী হতে হবে। কারণ শক্তিশালী হলেই গোটা বিশ্ব আমাদের ভালোবাসার ভাষা শুনবে। কারণ এটাই বিশ্বের প্রকৃতি। এই প্রকৃতিকে কখনও পরিবর্তন করা যাবে না। যে কারণে পৃথিবীর কল্যাণের জন্য আমাদেরকে শক্তিশালী হতে হবে এবং সারা বিশ্ব সাক্ষী থাকবে আমাদের শক্তির।’’

    জাতির কর্তব্য হল সারা বিশ্বকে ধর্ম শিক্ষা দেওয়া

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, ‘‘সমস্ত দিক দিয়ে ভারত বর্তমানে এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে আমাদের জাতির কর্তব্য হল, সারা বিশ্বকে ধর্ম শিক্ষা দেওয়া। কারণ পৃথিবীর কল্যাণই আমাদের ধর্ম। বিশেষত হিন্দু ধর্মে এটা আমাদের পবিত্র কর্তব্য। এটা প্রাচীন ভারতীয় প্রথার মধ্যেও রয়ে গিয়েছে। আমরা ঋষি মুনিদের আমল থেকেই তা দেখতে পাচ্ছি। বর্তমানেও সেই একই ধারা প্রবাহিত রয়েছে।’’

  • ISIS Terror Plan: হায়দরাবাদে হামলার ছক! মজুত করা হচ্ছিল বিস্ফোরক, গ্রেফতার ২ আইসিস জঙ্গি

    ISIS Terror Plan: হায়দরাবাদে হামলার ছক! মজুত করা হচ্ছিল বিস্ফোরক, গ্রেফতার ২ আইসিস জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অল্পের জন্য রক্ষা পেল হায়দরাবাদ (Bomb plot in Hyderabad)। দক্ষিণের এই শহরে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল আইসিস জঙ্গিদের (ISIS Terror Plan)। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে বড়সড় এই হামলার থেকে শহরকে রক্ষা করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই সন্ত্রাসবাদীকে। উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরকও। তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের যৌথ অভিযানেই ওই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম সিরাজউর রহমান (২৯) ও সঈদ সমীর (২৮)।

    সদা সতর্ক পুলিশ

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর দেশ জুড়ে আরও সতর্ক হয়েছে পুলিশ। সম্ভাব্য যে কোনও খবর পেলেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চলছে তল্লাশি অভিযান। সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনওরকম আপস নয়। মোদি সরকারের নীতি মেনেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও কঠোর করা হচ্ছে। দেশের নানা প্রান্তে জঙ্গিদের খোঁজে সক্রিয় রয়েছে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হায়দরাবাদের (Hyderabad) বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযুক্ত দুজনকে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়। সিরাজ ভিজিনগ্রামের বাসিন্দা, সমীর হায়দরাবাদেরই ছেলে। জানা গিয়েছে, এদের দুইজনেরই আইসিস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। আইসিসের (ISIS Terror Plan) নির্দেশেই হায়দরাবাদে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।

    বিস্ফোরণের ছক তৈরি ছিল

    জেরায় জানা গিয়েছে, সৌদি আরবের আইসিস মডিউল থেকে তাদের হামলা চালানোর যাবতীয় নির্দেশ দেওয়া হচ্ছিল। হায়দরাবাদে কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ করতে হবে, সেই নির্দেশও দিচ্ছিল আইসিস জঙ্গিরা। আগে তাদের ‘ডামি’ বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল বলেই জানা গিয়েছে। ওই প্ল্যান সফল হলে, তারপর করা হত বড় হামলা। ভিজিনগ্রাম থেকে সিরাজ বিস্ফোরকের সামগ্রী নিয়ে এসেছিল। জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ২জন বড় সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করেছিল দেশজুড়ে। সিরাজ ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে চাকরির চেষ্টা করছিল, সমীর একটি লিফট অপারেটিং সংস্থায় কর্মরত। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই ২ জন অল হিন্দ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন সংগঠনের (ISIS Terror Plan) সঙ্গে যুক্ত ছিল।

  • Pakistan: অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজের হামলা! পাকিস্তানে খতম আরএসএস সদর দফতরে হামলা চালানো রজুল্লা

    Pakistan: অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজের হামলা! পাকিস্তানে খতম আরএসএস সদর দফতরে হামলা চালানো রজুল্লা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৬ সালে নাগপুর সদর দফতরে পুলিশের বেশে ঢুকে পড়ে একদল জঙ্গি। সেসময় সদর দফতরে থাকা পুলিশি নিরাপত্তার কারণে একেবারে ভিতর পর্যন্ত যেতে পারেনি তারা। সেসময় ছদ্মবেশি জঙ্গিদের (Abu Saifullah) ‘চাল’ বুঝতে পেরেই গুলি চালায় সেখানে মোতায়েন থাকা পুলিশ বাহিনী। সঙ্গে সঙ্গে খতম হয় তিন জঙ্গি। একইসঙ্গে প্রাণ যায় মহারাষ্ট্র পুলিশের ২ জনের (Pakistan)। সেসময় তথ্য উঠে আসে, এই সন্ত্রাসহানার ছক কষেছিল পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি গোষ্ঠী। সংঘের সদর দফতরে হামলার গোটা কৌশল সাজিয়েছিল লস্কর কমান্ডর আবু সইফুল্লা ওরফে রজুল্লা। এই ঘটনার ১৯ বছর পর অবশেষে খতম হল সেই মূলচক্রী রজুল্লা।

    পাকিস্তানেই (Pakistan) এক অজ্ঞাত পরিচয়ের গুলিতে খতম রজুল্লা

    জানা গিয়েছে, পাকিস্তানেই (Pakistan) এক অজ্ঞাত পরিচয়ের গুলিতে শেষ হয়েছ আরএসএস-র সদর দফতরে হামলা চালানো মূল চক্রী। এদিন পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মাতলি ফালকারা চক এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে সন্ত্রাসী রজুল্লার দেহ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রজুল্লার মৃত্যুর কারণ বালোচ বিদ্রোহীরাও হতে পারে। সাম্প্রতিক কালে, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে আবহে নতুন করে ‘শক্তি’ বাড়িয়েছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি। তাদের দাপটে কার্যত কোণঠাসা পাকিস্তানের (Pakistan) সরকার ও সেনা।

    কাশ্মীর ও উত্তরপ্রদেশেও হামলার ছক কষেছিল রজুল্লা (Abu Saifullah)

    পাক সরকারের (Pakistan) ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে তারা। নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেও ঘোষণা করেছে তারা। পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াতেই এই মৃত্যু সেই চাপেরও একটা নমুনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরএসএস সদর দফতর ছাড়া, কাশ্মীর ও উত্তরপ্রদেশের রামপুরের সেনা ছাউনিতেও হামলার ছক কষেছিল এই রজুল্লা। প্রসঙ্গত, ৬ ও ৭ মে, মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। পাকিস্তানের ৯ জঙ্গিঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। পাল্টা সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ড্রোন হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। যদিও সবকটি হামলা প্রতিহত করে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স। ১০ মে পাকিস্তান-ভারত সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়। এই আবহেই সামনে এল শীর্ষ এই লস্কর নেতার খতমের খবর।

  • Operation Sindoor: বদলা নয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর উদ্দেশ্য বিচার, ভিডিও প্রকাশ ভারতীয় সেনার

    Operation Sindoor: বদলা নয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর উদ্দেশ্য বিচার, ভিডিও প্রকাশ ভারতীয় সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের পর পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রত্যাঘাত চালায় ভারত। শুরু হয় অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। সেনাবাহিনী, নৌ সেনা, বায়ুসেনার একযোগে এরপর শুরু করে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত। এবার নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে একটি নতুন ভিডিও পোস্ট করল ভারতীয় সেনা। সেখানে তারা সাফ জানাল, বদলার মনোভাব থেকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান নয়, এর পিছনে উদ্দেশ্য একটাই- বিচার।

    ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে (Operation Sindoor)

    ওয়েস্টার্ন কমান্ড- ইন্ডিয়ান আর্মির (Indian Army) এক্স হ্যান্ডেলে ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। তারই ক্যাপশনে লেখা, পরিকল্পিত, প্রশিক্ষিত এবং বাস্তবায়িত। ভিডিও-র শুরুতে দেখা যাচ্ছে একদল সেনাকে। তাঁদেরই একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) জেরে এর (অপারেশন সিঁদুর) শুরু হয়েছে। রাগ ছিল না, একটাই লক্ষ্য ছিল, এবার উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে যাতে আগামী দিনে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম মনে রাখবে (Operation Sindoor)।’’

    পহেলগাঁওকাণ্ড (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর (Indian Army) হামলা চালায় জঙ্গিরা। এর জেরে মৃত্যু হয় ২৫ পর্যটক ও এক স্থানীয় বাসিন্দার। এই হামলার দায় স্বীকার করে লস্কর-ই-তইবার শাখা সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। এরপরই ৬ ও ৭ মে, মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। পাকিস্তানের ৯ জঙ্গিঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। পাল্টা সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ড্রোন হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। যদিও সবকটি হামলা প্রতিহত করে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স। ১০ মে পাকিস্তান-ভারত সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়।যদিও সেদিনই আবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান সীমান্তে গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। প্রসঙ্গত,পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পরেই ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এবার দেশের সাংসদরা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে যাবেন পাকিস্তানের মদতে চলা সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বক্তব্য রাখবেন।

  • Bangladesh: এবার বিহার-ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডকেও দেখানো হল গ্রেটার বাংলাদেশের ম্যাপে, পোস্টার পড়ল ঢাকায়

    Bangladesh: এবার বিহার-ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডকেও দেখানো হল গ্রেটার বাংলাদেশের ম্যাপে, পোস্টার পড়ল ঢাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানকে অস্ত্র ও সেনা দিয়ে সাহায্য করে তুরস্ক (Turkey)। তার মাশুল অবশ্য গুনতে হচ্ছে তুরস্ককে। নিরাপত্তা থেকে উড়ান, শিক্ষা, বাণিজ্য- সব ক্ষেত্রেই এই দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে ভারত। তবে তুরস্কের ভারত বিরোধিতা এবার দেখা গেল বাংলাদেশে (Bangladesh)। ভারত মুখ ফেরাতেই নতুন করে কারসাজি শুরু করেছে এই দেশ। এক সর্বভারতীয় সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী অনুযায়ী, বাংলাদেশে ফের একবার হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠেছে তুরস্ক। ওই সংবাদমাধ্যমের খবর, তুরস্কের একটি এনজিও সমর্থিত ইসলামিক সংগঠন বাংলাদেশের ঢাকায় গজিয়ে উঠেছে। জানা যাচ্ছে, এই সংগঠনের নাম ‘সালতালাত-ই-বাংলা’। এই সংগঠনই এবার দাবি তুলেছে গ্রেটার বাংলাদেশের। এনিয়ে নতুন একটি মানচিত্রও প্রকাশ করেছে তারা। ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও গোটা উত্তর-পূর্বকে বৃহত্তর বাংলাদেশ বা গ্রেটার বাংলাদেশের অংশ বলে দাবি করা হল।

    মানচিত্রের পোস্টার সাঁটানো হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Bangladesh)

    শুধু তাই নয়, এই ম্যাপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও অন্যান্য এলাকাতেও লাগানো হয়েছে। লাগানো হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, মূলত যে জায়গাগুলিতে পড়ুয়া ও যুব সম্প্রদায় যায়, সেখানেই এই গ্রেটার বাংলাদেশের (Bangladesh) পোস্টার লাগানো হয়েছে। এদিকে আবার ইউনূস সমর্থকরা এই ম্যাপের সমর্থনও জানিয়েছে। তারাও বিভিন্ন জায়গায় দাবি করছে, অন্তত উত্তর-পূর্ব ভারতকে বাংলাদেশের অংশ করা হোক।

    ২০২৪ সালে পতন হয় হাসিনা সরকারের, তারপরেই বেড়েছে ভারত বিরোধিতা

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রে হাসিনা সরকারের পতন এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত হয়। এর পর থেকেই সেদেশে হিন্দু নির্যাতনের পাশাপাশি বেড়েছে ভারত বিরোধিতাও। ওপার বাংলা থেকে ক্রমাগত উসকানিমূলক মন্তব্য এসেছে ভারতের বিভিন্ন অংশ দখল করার। শুধু তাই নয়, এই আবহে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপও বেড়েছে। সাম্প্রতিক, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আন্দোলনের নামে ব্যাপক হিংসা ছড়ায়। সেখানেও উঠে আসে বাংলাদেশ যোগ।

  • Amit Shah: গান্ধীনগরে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: গান্ধীনগরে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্বাচিত হয়েছেন গুজরাটের (Gujarat) গান্ধীনগর থেকে। সেই গান্ধীনগরে বস্তুত উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার তিনি গান্ধীনগর শহর ও জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। প্রকল্পগুলির মোট মূল্য ৭০৮ কোটি টাকারও বেশি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।

    কী বলছে সরকারি বিবৃতি? (Amit Shah)

    সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, গান্ধীনগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন একাই ২০০.৯৪ কোটি টাকার নাগরিক ও পরিকাঠামো প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে। নতুন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে ৩৫২.৭৬ কোটি টাকার। গান্ধীনগর জেলা প্রশাসন সম্পন্ন করেছে ৪৫.৭০ কোটি টাকার কাজ। গান্ধীনগর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কাজ করেছে ১০৭.৮৫ কোটি টাকার। এদিন উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে বাসান, পালাজ ও পোর অঞ্চলে আরসিসি এবং সিসি রোড, ভাভোল ও পেঠাপুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং সিএইচ-০ থেকে জিএইচ-০ মিউনিসিপ্যাল করিডরে ল্যান্ডস্কেপিং ইত্যাদি।

    গুচ্ছ প্রকল্প

    অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে ছিল বরিজ ও কোলাভাদা-সহ বিভিন্ন এলাকায় পয়ঃপ্রণালী নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ পাইপলাইন স্থাপন, টাউন প্ল্যানিং এরিয়া উন্নয়নমূলক কাজ যার মূল্য ৭৫.০৮ কোটি টাকা, ভাট এলাকায় একটি পয়ঃশোধনাগার স্থাপন এবং সেক্টর ২১ ও ২২-এর মধ্যে একটি সড়ক আন্ডারপাস নির্মাণ। অতিরিক্ত পরিকাঠামোর মধ্যে রয়েছে সৌর প্যানেল ও রাস্তার আলোর ব্যবস্থা, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ও পরীক্ষাগার উন্নয়ন (Amit Shah)।

    যেসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে, সেগুলি হল খোরাজ, কোবা, রান্ধেজা এবং সরগাসনে রাস্তা নির্মাণের কাজ, সেক্টর ৭, ২১, ২২ ও ঢোলাকুয়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ, নবহোই ও ডাভোলে জল ও ড্রেনেজ লাইনের কাজ এবং কোলাভাদা রায়সান ও নবহোইতে তিনটি নয়া পয়ঃশোধনাগার নির্মাণ। পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল দুটি নয়া জোনাল অফিস নির্মাণ, অঙ্গনওয়াড়ি সংস্কার, শহরজুড়ে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, কুদাসন ও আমিয়াপুরে কমিউনিটি হল, ইন্দ্রোডায় গুজরাট দর্শন পার্ক, রিচার্জ ও টিউবওয়েল স্থাপন, টিপি-০৯ এলাকায় একটি নয়া ইলেকট্রিক বাস ডিপো (Gujarat) এবং বিভিন্ন সেক্টরে ক্রিকেট বক্স স্থাপন ও কাম্পাউন্ড ওয়াল নির্মাণ (Amit Shah)।

LinkedIn
Share