Tag: bangla news

bangla news

  • Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) ধ্বংস হওয়া সন্ত্রাসী কেন্দ্র ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঘাঁটিগুলির (Pakistan Terror Camps) পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, হামলার এক মাস পর ফের চালু হয়েছে বাহাওয়ালপুরের একটি কুখ্যাত মাদ্রাসার সুইমিং পুল—যা সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান সরকার, সামরিক বাহিনী ও আইএসআইয়ের তত্ত্বাবধানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো পুনর্নির্মানের কাজ চলছে। ঘাঁটিগুলিতে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি প্রশিক্ষণ দিত।

    জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা পাক সেনার

    পহেলগাঁও হামলার পর সম্মুখ সমরে নামে ভারত-পাকিস্তান। ভারতের কাছে রীতিমতো পর্যদুস্ত হওয়ার পরও শোধরানোর কোনও লক্ষণ নেই ইসলামাবাদের। বরং অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানে ভারত যে জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করেছিল, পাকিস্তান সেগুলির পুনর্নির্মাণ করছে। নতুন করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির এবং লঞ্চপ্যাডের নির্মাণ চলছে সেখানে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের অভিযানে ঘাঁটিগুলি ধ্বংস হওয়ার পরে ‘লাইন অফ কন্ট্রোল’ বরাবর ছোট ছোট শিবির গড়ে প্রশিক্ষণ (Pakistan Terror Camps) দেওয়ার কাজ করছিল জঙ্গি সংগঠনগুলি। কিন্তু এবার জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের অত্যাধুনিক কেন্দ্র গড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনা, গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং দেশের সরকার জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা করছে, আর্থিক সাহায্য় জোগাচ্ছে।

    ফের খুলল জঙ্গিদের সাঁতার কেন্দ্র

    ভারতের অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে নির্ভুল হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মার্কিন উপগ্রহ সংস্থা ম্যাক্সার টেকনোলজির স্যাটেলাইট চিত্রে তা স্পষ্ট হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল ও নির্ভুল বোমার সাহায্যে হামলা চালিয়েছিল। বাহাওয়ালপুরে জইশ এবং মুরিদকেতে লস্কর-ই-তইবার প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। তবে পুনরায়, পাক সেনা, আইএসআই ও সরকারের পূর্ণ মদতে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে ছোট ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। খোলা হয়েছে বাহাওয়ালপুরের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Pakistan Terror Camps)। এই সাঁতার অনুশীলন কেন্দ্রটিই ব্যবহার করেছিল ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার জঙ্গিরা। ওই হামলায় ভারতের সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। জানা যায়, ওই চার মূল জঙ্গি—মহম্মদ উমর ফারুক, তালহা রাশিদ আলভি, মহম্মদ ইসমাইল আলভি ও রাশিদ বিল্লা—হামলার আগে এই পুলেই ছবি তুলেছিল। সাঁতার প্রশিক্ষণ ছাড়াও, এই পুলটি সন্ত্রাসবাদীদের “শারীরিক পরীক্ষার” অংশ। যেসব জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে হামলা চালাতে চায়, তাদের এই পুলে কঠিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং সাঁতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াটাই ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।

    পুনরায় তৈরি হচ্ছে লঞ্চ প্যাড

    গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানত লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন ও দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (TRF) মতো সংগঠনগুলোর নতুন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে লাইন অফ কন্ট্রোল (LoC)-এর কাছাকাছি জঙ্গলে, যাতে সেগুলি সহজে নজরে না আসে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে চারটি লঞ্চপ্য়াডের পুনর্নির্মাণ হচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানের আওতায় যেগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জম্মু সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর চারটি লঞ্চপ্যাডকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। মসরুর বড়া ভাই, ছাপরার, লুনি রয়েছে তালিকায়, শকরগড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে ড্রোন কেন্দ্র। ভারতের বিরুদ্ধে নতুন কৌশল নিচ্ছে পাকিস্তান। বড় বড় শিবিরগুলিকে ভেঙে ছোট করা হচ্ছে, যাতে এক জায়গায় সমস্ত রসদ, সব জঙ্গি না থাকে। এতে হামলা হলেও বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।

    আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর রয়েছে যে, সম্প্রতি বাহওয়ালপুরে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির (Pakistan Terror Camps) সঙ্গে পাক প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়। জইশ, লস্কর, হিজবুল, পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করা দ্য রেজিসস্ট্যান্স ফ্রন্ট, আইএসআই আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মোটা টাকা অর্থসাহায্য় দিতে সম্মত হয় আইএসআই। জঙ্গি ঘাঁটি নির্মাণে উচ্চমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন ঘন জঙ্গলে ছোট ছোট শিবির গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে সহজে চোখে না পড়ে, সহজে হামলাও চালানো যায় না। এই মুহূর্তে লুনি, পুটওয়াল, তাইপু পোস্ট, জামিলা পোস্ট, উমরানওয়ালি, ছাপরার, ফরোয়ার্ড কাহুটা, ছোটা চক, জঙ্গলোরায় জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণের কাজ চলছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বসানো হচ্ছে সেখানে, থার্মাল ইমেজার প্রতিহত করার ব্যবস্থা থাকছে। রেডার, স্যাটেলাইট নজরদারি এড়ানোর প্রযুক্তিও থাকছে জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে।

  • RSS: শতবর্ষে আরএসএস, দেশজুড়ে দেড় হাজারেরও বেশি হিন্দু সম্মেলন করার পরিকল্পনা সংঘের

    RSS: শতবর্ষে আরএসএস, দেশজুড়ে দেড় হাজারেরও বেশি হিন্দু সম্মেলন করার পরিকল্পনা সংঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালে শততম বছরে পা দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)। এই আবহে সংগঠনের এই ঐতিহাসিক যাত্রাপথকে স্মরণীয় করে রাখতে সারা দেশজুড়ে হিন্দু সম্মেলন করার কথা ভাবছে আরএসএস। প্রসঙ্গত, ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীর দিন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আরএসএস। চলতি বছরে বিজয়া দশমী উৎসব পড়েছে ২ অক্টোবর। আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে, শততম বর্ষের আনুষ্ঠানিক উৎসব শুরু হয়ে যাবে ২৬ অগাস্ট থেকেই। ওই দিন থেকে তিন দিন ধরে চলবে বিভিন্ন বিষয়ে সর সংঘচালক মোহন ভাগবতের বক্তব্য।

    দেশের চার মহানগরে বক্তব্য রাখবেন সংঘ প্রধান (RSS)

    দেশের চার মহানগর দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু ও কলকাতায় বক্তব্য রাখবেন মোহন ভাগবত। এইভাবেই শতবর্ষে আরএসএস-এর যাত্রাপথ, দেশের প্রতি অবদান, সমাজ গঠনে ভূমিকা, এই সমস্ত কিছুই তিনি তুলে ধরবেন। প্রসঙ্গত, আরএসএস-এর (RSS) নীতিই হল প্রথমে দেশ, মাঝখানে সংস্কৃতি এবং নিঃস্বার্থ সেবাভাব সবার উপরে (Hindu Conferences)।

    ১,৫০০-১,৬০০ সম্মেলন করবে আরএসএস (RSS)

    শততম বর্ষে আরএসএস-এর পক্ষ থেকে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে যে দেশের প্রতিটি ব্লকে যেন সংঘের কাজ পৌঁছে যায়। আরএসএস-এর আদর্শ, নিঃস্বার্থ সেবাভাব এই সমস্ত কিছু দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দিতে চায় সংঘ। দিল্লির প্রান্ত কার্যবাহ অনিল গুপ্ত এনিয়ে বলেন, “আমরা লক্ষ্য রেখেছি যে সারাদেশে এক লাখেরও বেশি শাখা চালু করব।” প্রসঙ্গত, শাখাই হল আরএসএস-এর সংগঠনের ভিত্তি। আরএসএস (Hindu Conferences) চলতি বছরে ১৫০০ থেকে ১৬০০ হিন্দু সম্মেলন করার কথা ঘোষণা করেছে। এই সম্মেলনগুলির প্রতিটিই হবে স্বয়ংসেবক, সমাজের নেতা, সাধু-সন্ত, গবেষক, যুব, মহিলা এবং শিল্পীদের নিয়ে। আরএসএস নেতার বক্তব্য অনুযায়ী, “এটা শুধুমাত্র কোনও সম্মেলন হবে না বরং এটা হবে এক সভ্যতার মিশন।”

    হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করে আরএসএস (RSS)

    সম্প্রতি পুনেতে বক্তব্য রাখেন সরসংঘচালক (RSS) মোহন ভাগবত। সেখানে আয়ুর্বেদ আচার্য দাদা খাদিওয়ালে-র জীবনী প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। সেখানে মোহন ভাগবত বলেন, “যদি কেউ এক কথায় জিজ্ঞেস করে যে আরএসএস কী করে, তার উত্তর হবে , হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করে।” তিনি আরও বলেন, “প্রকৃতপক্ষে ঐক্য তখনই সামনে আসে, যখন আমরা দেখি যে মানুষ নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে।”

  • Doctor-Patient Relationsip: ওষুধের নিদানেই শেষ নয়, রোগীর মন বোঝাও ডাক্তারদের দায়িত্ব

    Doctor-Patient Relationsip: ওষুধের নিদানেই শেষ নয়, রোগীর মন বোঝাও ডাক্তারদের দায়িত্ব

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রোগ নির্ণয়, তার চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা, এতেই শেষ নয়। বরং আধুনিক জীবনে রোগী চিকিৎসায় সবচেয়ে জরুরি পাঠ রোগীর মানসিক অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া। শারীরিক রোগের সঙ্গে মনের যোগ কতখানি, তা বিচার করা। সেই মতোই চিকিৎসা চালানো। রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্কের (Doctor-Patient Relationsip) এই নয়া সমীকরণে জোর দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    ১ জুলাই ভারতে পালিত হচ্ছে জাতীয় চিকিৎসক দিবস (National Doctors Day)। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রখ্যাত চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন উপলক্ষে দেশজুড়ে পালিত হয় জাতীয় চিকিৎসক দিবস। আর সেই উপলক্ষে কলকাতায় একটি কর্মশালার আয়োজন হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রোগী ও চিকিৎসক সম্পর্ক নিয়ে বাড়তি নজরদারি জরুরি। আধুনিক সময়ে চিকিৎসা পদ্ধতিতে নানান অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। চিকিৎসকদের শুধু সেই নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলেই চলবে না। পাশপাশি, রোগীকে কীভাবে সে সম্পর্কে জানাবেন, রোগীর সঙ্গে ‘কমিউনিকেশন স্কিল’ নিয়ে সজাগ থাকতে হবে। কীভাবে সেই দক্ষতা বাড়ানো যায়, সেদিকেও নজর দিতে হবে!

    রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কে (Doctor-Patient Relationsip) কেন বাড়তি নজর?

    রোগ নির্ণয় আর চিকিৎসা এতেই দায়িত্ব শেষ নয়। এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকলে রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে অনেক রোগ নির্ণয় সহজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রোগ নিরাময়ের জন্য রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সুসম্পর্ক জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একটি সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত কিনা, সেটা বোঝা যায়। কিংবা খুবই সাধারণ কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব সম্পর্কেও‌ জানা যায়। কিন্তু এই সমস্যা কেন হচ্ছে, সেটা জানার জন্য রোগীর সঙ্গে কথা বলা জরুরি। রোগীর ব্যক্তিগত জীবনে কোনও জটিলতা রয়েছে কিনা, তাঁর মানসিক চাপ কতখানি, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা করতে না পারলে, রোগীর এই রোগ নিরাময় কঠিন। তাই রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং কথা বলার অর্থাৎ কমিউনিকেশন স্কিলের (Communication Skill) দিকে নজরদারি জরুরি।

    বারবার রোগীদের ক্ষোভের মুখে চিকিৎসকরা

    কলকাতা ও রাজ্য জুড়ে গত কয়েক বছরে বারবার চিকিৎসক হেনস্থার ঘটনা ঘটছে। একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও চিকিৎসকদের শারীরিক হেনস্থা করার ঘটনা চলছে। তাই এই পরিস্থিতিতে রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্কের (Doctor-Patient Relationsip) নয়া সমীকরণ নিয়ে সচেতনতা বাড়তি জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নানান পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। অনেক সময়েই রোগী সময় মতো চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন না। কিন্তু তার জন্য চিকিৎসককে পুরোপুরি দায়ী করা যায় না। চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠনের তরফে ওই কর্মশালায় বলা হয়েছে, চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রথম সারিতে থাকা কর্মী মাত্র। পরিকাঠামো ঠিক করার দায় সরকারের। চিকিৎসকের সেক্ষেত্রে বিশেষ কিছুই করার থাকে না। কিন্তু তাঁদের রোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তাই রোগী ও চিকিৎসক সম্পর্কে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কাজ কিছুটা সহজ হবে।

    রোগী-চিকিৎসক নতুন সম্পর্কের সমীকরণ কীভাবে হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিকিৎসা-পড়ুয়াদের পঠনকালের প্রথম বছর থেকেই এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল করা জরুরি। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (National Medical Council) সুপারিশ মেনে রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সম্পর্ক (Doctor-Patient Relationsip) ও যোগাযোগের দক্ষতা নিয়ে একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদেরও সেই সমস্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ওই আলোচনা চক্রে (National Doctors Day) বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, রোগীর সামাজিক পরিচয় জরুরি। অর্থাৎ, চিকিৎসক রোগী কোথায় থাকেন, কীভাবে থাকেন, পরিবারের পরিস্থিতি, এগুলো সম্পর্কে জানাও জরুরি। কারণ, অনেক সময়েই এই অবস্থাগুলো রোগীর রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে খুবই জরুরি হয়ে ওঠে। কারণ, একাধিক রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তার সামাজিক পরিস্থিতি রোগ নিরাময়ের পথে বাধা হয়ে ওঠে। তাই সে সম্পর্কে চিকিৎসক ওয়াকিবহাল না থাকলে, রোগীকে চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে উঠবে। তাই চিকিৎসক এবং রোগীর সম্পর্কের (Doctor-Patient Relationsip) নয়া দিক সবচেয়ে জরুরি হয়ে উঠছে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 01 July 2025: মান-সম্মান বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 01 July 2025: মান-সম্মান বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনে ধনবৃদ্ধি হবে।

    ২) কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

    ৩) পরিবারের সদস্যদের তরফে সুসংবাদ শুনতে পাবেন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি প্রাণশক্তিতে ভরপুর থাকবে।

    ২) মান-সম্মান বাড়বে।

    ৩) অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে।

    মিথুন

    ১) আজ মিশ্র পরিণাম লাভ করবেন।

    ২) সহযোগিতার মনোভব বাড়বে।

    ৩) কোনও বিষয়ে বয়স্কদের পরামর্শ নিন।

    কর্কট

    ১) আর্থির সুযোগের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারেন, এর ফলে বড়সড় সিদ্ধান্ত হাতছাড়া হবে।

    ২) পরিবারের সকল সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

    ৩) ব্যবসায়িক কাজের জন্য অন্য কোনও ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল থাকবেন, যার ফলে তা পূরণ করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি উন্নতিদায়ক।

    ২) ব্যবসায়িক প্রস্তাব নিয়ে বহিরাগত ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তাঁরা আপনার কথা বুঝতে পারবেন।

    ৩) চাকরিজীবীরা একই ভুল বার বার করবেন না।

    কন্যা

    ১) আজ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সুনাম অর্জন করবেন।

    ২) চিন্তাভাবনা না-করেই যে কোনও কাজ করে ফেলবেন, এ কারণে পড়ে সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।

    ৩) সামাজিক সম্মান বাড়বে।

    তুলা

    ১) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা ও সান্নিধ্য লাভ করবেন।

    ২) পরিবারের কোনও সদস্য ব্যবসা শুরু করতে পারে।

    ৩) বিদেশি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে লাভান্বিত হবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য জীবনে মাধুর্য আসবে।

    ২) কোনও সমস্যার বিষয়ে বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।

    ৩) অংশীদারীর কাজের দ্বারা লাভান্বিত হবেন।

    ধনু

    ১)  চাকরিজীবী জাতকদের জন্য আজকের দিনটি ভালো।

    ২) ইতিবাচক চিন্তাভাবনার সুফল পাবেন।

    ৩) কেরিয়ারে ভালো প্রস্তাব পেতে পারেন।

    মকর

    ১) কর্মক্ষেত্রে ভালো প্রদর্শন করবেন।

    ২) ব্যবসায়ে নতুন কিছু অন্তর্ভূক্ত করবেন।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাফেরার সময়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) আজ ধৈর্য ধরে রাখুন।

    ২) বাড়ি বা বাইরে তাড়াহুড়োয় কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না।

    ৩) সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদে জয়ী হবেন।

    মীন

    ১) আজকের দিনটি শুভ পরিণাম নিয়ে আসবে।

    ২)  ব্যবসায়ে কারও সাহায্য চাইলে তা সহজে পেয়ে যাবেন।

    ৩) ভাই-বোনের সহযোগিতা লাভ করবেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 396: আপনা আপনি ভক্তি আসা—সংস্কার না থাকলে হয় না

    Ramakrishna 396: আপনা আপনি ভক্তি আসা—সংস্কার না থাকলে হয় না

    ঠাকুর ছোট নরেনকে একদৃষ্টে দেখিতেছেন। দেখিতে দেখিতে সমাধিস্ত হইলেন। শুদ্ধার্থ ভক্তের ভিতর ঠাকুর কি নারায়ণ দর্শন করিতেছেন!

    ভক্তেরা এক দৃষ্টে সেই সমাধি চিত্র দেখিতেছেন।

    কিয়ৎ পরে সমাধি ভঙ্গ হইল, ঠাকুরের বায়ু স্থির হইয়া গিয়েছিল। এইবার দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিলেন। ক্রমে বহির্জগতে মন আসিতেছে। ভক্তদের দিকে দৃষ্টিপাত করিতেছেন।

    এখনও ভাবস্থ হইয়া রহিয়াছেন। এবার প্রত্যেক ভক্তকে সম্বোধন করিয়া কাহার কী হইবে ও কাহার কীরূপ অবস্থা, কিছু কিছু বলিতেছেন।

    ছোট নরেনের প্রতি —
    “তোকে দেখবার জন্য ব্যাকুল হচ্ছিলাম। তোর হবে, এক একবার। আচ্ছা, তুই কী ভালোবাসিস—জ্ঞান না ভক্তি?”
    ছোট নরেন: “শুধু ভক্তি।”
    শ্রীরামকৃষ্ণ: “আমাকে না জানলে ভক্তি কাকে করবি?”
    (মাস্টারকে দেখাইয়া সহাস্যে)
    “তবে শ্রদ্ধার! তা যে কালে বলেছে—শুধু ভক্তি চাই, এর অবশ্য মানে আছে।
    আপনা আপনি ভক্তি আসা—সংস্কার না থাকলে হয় না। এইটি প্রেমভক্তির লক্ষণ।
    জ্ঞানভক্তি—বিচার করা ভক্তি।”

    ছোট নরেনের প্রতি: “দেখি তোর শরীর, জামা খোল দেখি। বেশ বুকের আয়তন! তোর হবে। মাঝে মাঝে আসিস।”

    ঠাকুর এখনও ভাবস্থ। অন্য ভক্তদের সস্নেহে এক একজনকে সম্বোধন করিয়া আবার বলিতেছেন—

    পল্টুর প্রতি: “তোরও হবে, তবে একটু দেরিতে হবে।”

    বাবুরামের প্রতি: “তোকে টানছি না কেন? শেষে কী একটা হাঙ্গামা হবে!”

    মোহিনী মোহনের প্রতি:
    “তুমি তো আছই—একটু বাকি আছে, সেটুকু গেলে কর্মকাজ, সংসার—কিছু থাকে না। সব কাজ যাওয়া কি ভালো?”

    (এই বলিয়া তাহার দিকে একদৃষ্টে সর্বদা তাকাইয়া রহিলেন, যেন তাহার হৃদয়ের অন্তরতম প্রদেশের সমস্ত ভাব দেখিতেছেন। মোহিনী মোহন কী ভাবিতেছিলেন—‘ঈশ্বরের জন্য সব যাওয়াই ভালো।’)

    কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর আবার বলিতেছেন—

    “ভাগবত পণ্ডিতকে একটি পাশ দিয়ে ঈশ্বর রেখে দেন—তা না হলে ভাগবত কে শুনাবে? রেখে দেন লোক শিক্ষার জন্য। মা সেইজন্য সংসারে রেখেছেন।”

  • SAARC: ভারতকে রুখতে সার্কের বিকল্প মঞ্চ তৈরি করছে চিন!

    SAARC: ভারতকে রুখতে সার্কের বিকল্প মঞ্চ তৈরি করছে চিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে ভারত। বিশ্বমঞ্চের সমস্ত ফোকাস কেড়ে নিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অতএব, দ্রুত রুখতে হবে ভারতকে! সেই কারণেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তৈরি হচ্ছে নয়া জোট (SAARC)। অন্তত পাকিস্তানের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে (China) এমনই প্রতিবেদন। তাতে বলা হয়েছে, চলতি মাসে চিনে গিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন চিনা উপবিদেশমন্ত্রী সুন ওয়েইডং, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী এবং পাকিস্তানের অতিরিক্ত বিদেশসচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী। সার্কের প্রতিপক্ষ হিসেবে জোট গড়তেই হয়েছে ওই বৈঠক।

    বাংলাদেশের বক্তব্য (SAARC)

    বৈঠক শেষে বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হাসান বলেন, “এই বৈঠকের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। নতুন করে কোনও জোট তৈরির আলোচনা হয়নি।” এই বৈঠক নিয়ে বিবৃতিও দিতে চায়নি বাংলাদেশ। যদিও বৈঠক শেষে পাকিস্তানের তরফে আলাদা করে জারি করা হয়েছে বিবৃতি।

    সার্কভুক্ত দেশ

    ১৮৮৫ সালে ভারত, ভুটান, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা-সহ মোট সাতটি দেশ মিলে গঠিত হয় সার্ক। দক্ষিণ এশিয়ায় একটি শক্তিশালী জোট করতেই এই গোষ্ঠী তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। পরবর্তীকালে এই গোষ্ঠীতে যোগ দেয় আফগানিস্তান। এর পর সার্কের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ৮। ২০১৪ সালে শেষবারের মতো নেপালের কাঠমান্ডুতে বৈঠক হয়েছিল সার্কের সদস্যদের। তারপর থেকেই কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে এই গোষ্ঠী। অভিজ্ঞ মহলের মতে, এহেন পরিস্থিতিতে ভারতকে এড়িয়ে নয়া জোট গঠনে উদ্যোগী হয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ।

    পাকিস্তানের ‘এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ নামের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯ জুন চিনের কুনমিংয়ে আয়োজিত একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মূলত সার্কের আওতাভুক্ত দেশগুলিকেই বৈঠকে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমন্ত্রিতের তালিকায় অবশ্য ঠাঁই হয়নি ভারতের (SAARC)।

    প্রসঙ্গত, ভারত উন্নত আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংযোগের জন্য সার্ককে ব্যবহার করার চেষ্টা করলেও, পাকিস্তান সেটিকে বারবারই কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছে। বৃহত্তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ভারত সার্কে উল্লেখযোগ্য অর্থ দিয়ে থাকে। সদস্য দেশগুলির মধ্যে শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সার্ক উন্নয়ন তহবিল এবং নয়াদিল্লিতে দক্ষিণ এশিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো (China) উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ভারত (SAARC)।

  • BJP: এন্ট্রান্স পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করেও, কীভাবে ল’ কলেজে চান্স পেয়েছিলেন অভিযুক্ত জইব?

    BJP: এন্ট্রান্স পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করেও, কীভাবে ল’ কলেজে চান্স পেয়েছিলেন অভিযুক্ত জইব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের ঘটনায় নয়া বিতর্ক। বিতর্ক উসকে দিলেন বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর দাবি, ধর্ষণে অভিযুক্ত জইব আহমেদ এন্ট্রান্স পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করেও, কীভাবে চান্স পেয়েছিলেন ওই কলেজে (Kasba Gangrape)? কে তাঁকে আড়াল করছেন? সেই প্রশ্নও তুলেছেন অমিত।

    অমিত মালব্যর বক্তব্য (BJP)

    সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে অমিত লেখেন, “জইব কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পাঠ্যক্রমের এন্ট্রান্স পরীক্ষায় খুবই হতাশাজনক ব়্যাঙ্ক করার পরেও কীভাবে ভর্তি হতে পারেন? কিউলেট ইউজি ২০২৪ (এন্ট্রান্স পরীক্ষা) সালের পরীক্ষায় মেধাতালিকায় জইবের স্থান ছিল ২৬৩৪। তার পরেও কোন জাদুবলে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত-স্বীকৃত সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ভর্তি হতে পারেন? তাঁর ভর্তি হওয়ায় অনেক মেধাবী ও আইন পড়ায় আগ্রহী ছাত্রদের ভর্তি হওয়া আটকে গিয়েছে। অনেক ভালো ব়্যাঙ্ক করা সত্ত্বেও কী কারণে বঞ্চিত হয়েছেন তাঁরা?”

    মালব্যর প্রশ্ন

    মালব্যর প্রশ্ন, “জইব আহমেদকে কে এই নামজাদা আইন কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন? কে তাঁকে আড়াল করে চলেছেন, আমরা এখনই তাঁদের নাম জানতে চাই।” অমিত আরও নির্দিষ্ট করে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারকে। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় স্বাগত – যেখানে আইনের শাসনকে নিয়ে প্রহসন করা হয়। এখানে (BJP) রাজনৈতিক যোগ থাকলেই অপরাধীদের রক্ষাকবচ দেওয়া হয়। সুপরিকল্পিতভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়। ক্রিমিনালকে সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক কানেকশনের ওপর ভিত্তি করে।”

    প্রসঙ্গত, কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে জইব আহমেদকেও। তপসিয়ার বাসিন্দা জইব বর্তমানে ক্যালকাটা ল’ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। বয়স কুড়ির কাছাকাছি। দুই শাগরেদের কাছে মনোজিতের নির্দেশ ছিল, সব ভিডিও উড়িয়ে দে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে চলে এসেছে ওই কলেজের সাড়ে সাত ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ। তাতে দেখা গিয়েছে, রাতে আতঙ্কিত অবস্থায় গেটের কাছে আসছেন নির্যাতিতা। গেটে তালা দেওয়া দেখে তিনি অসহায় হয়ে পড়েছেন। তখন দুই অভিযুক্ত তাঁকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে গার্ডরুমের দিকে। সেখানেই ঘটে ভয়ঙ্কর এই ঘটনা। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু আপত্তিকর ভিডিও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা (BJP)। অভিযোগ (Kasba Gangrape), মনোজিতের নির্দেশে ওই ভিডিওগুলি তুলেছিল জইব ও প্রমিত।

  • Kasba Gangrape: “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, তবু নিরাপদ নন বাংলার মেয়েরা”! কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি বিজেপির

    Kasba Gangrape: “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, তবু নিরাপদ নন বাংলার মেয়েরা”! কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। তা সত্ত্বেও মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। এক বছরের মধ্যে শহরের বুকে দুটি ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কসবার (Kasba Gangrape) সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করল বিজেপি (BJP Fact Finding Team)। গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে বিজেপির চার সদস্যের একটি দল কলকাতায় এসেছে। সেই দলে রয়েছেন সৎপাল সিং, মীনাক্ষী লেখি, বিপ্লব দেব এবং মনন মিশ্র। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

    ঘটনাস্থলে যাবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

    একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনা লজ্জার। কলকাতায় এসে এমনই মন্তব্য করল বিজেপির চার সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম৷ বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৎপাল সিং৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ তাঁদের তরফে দেখা করার জন্য সময় চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছিল, তা খারিজ করা হয়েছে৷ পাশাপাশি, ঘটনাস্থল কসবা ল’ কলেজে যাওয়ার অনুমতিও কলকাতা পুলিশের তরফে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সৎপাল। তবে, তাঁরা মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন৷ সেই মতো চিঠিও পাঠানো হয়েছে৷ মুখ্যসচিব এবং কমিশনার কেউ দেখা না-করলে, সোজা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা জানিয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি৷

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে বিজেপির মুখপাত্র গৌরব বল্লভ বলেছেন, ‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও নারীদের উপর শোষণ ও অত্যাচারের নিরিখি পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে। প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। নারীদের উপর অত্যাচার আর তৃণমূল এখন সমার্থক হয়ে উঠেছে। দলটির নেতারা সবসময় অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করে। তারা নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ায় না। আমরা অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করছি।’ কসবার কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র সহ মোট চারজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ২৫ জুন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেছেন ‘জে’, ‘এম’, এবং ‘পি’ নামে।

    মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনা লজ্জার

    এ নিয়ে ত্রিপুরা পশ্চিমের সাংসদ বিপ্লব দেব বলেন, “বাংলায় মহিলাদের নিরাপত্তা একেবারেই নেই ৷ বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে৷ তাও কি না, মেডিক্যাল কলেজ ও ল’ কলেজে৷ একজন ছাত্রী পরবর্তী সময়ে যিনি অন্য মেয়ের অধিকারের হয়ে আইনি লড়াই লড়বেন, তাঁকে ধর্ষণ করা হচ্ছে ৷ এটা খুবই লজ্জাজনক৷ বিশেষ করে যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা৷ সেখানে মহিলাদের নিরাপত্তার এই হাল ৷” প্রতিনিধি দলের সদস্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি বলেন, “এমন একটা প্রশাসন চলছে, যেখানে বারবার মহিলাদের সঙ্গে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে৷ আর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা ৷ সেখানে এই ঘটনা খুবই লজ্জাজনক৷ আর এখানকার প্রশাসনিক আধিকারিকরা আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চান না৷ সেখানে রাজ্যের মানুষের কী অবস্থা, তা বোঝাই যাচ্ছে ৷ আমরা ঘটনাস্থলে যাব, খতিয়ে দেখব পুরো বিষয়টা৷”

    রাজ্যে অরাজকতা চলছে

    সাংসদ সত্যপাল সিং বলেন, “আমরা নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব। এই ধরনের ঘটনার থেকে দুর্ভাগ্যের কিছু হয় না। পুলিশের কী ভূমিকা ছিল, সেটাও দেখা হবে। আমি বিশ্বাস করি, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দেবেন।” ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্য বলেন, “এই রাজ্যে অরাজকতা চলছে। রাজ্য পহেলগাঁওতে টিম পাঠাতে পারে, হাথরসে টিম যেতে পারে, কিন্তু অন্য দলের কোনও টিম আসবে, তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে না। মুখ্যসচিব দেখা করবেন না। ডিজিপি দেখা করবেন না। এটা অগণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা।” উল্লেখ্য, সোমবার কসবা কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। ঘটনায় বিচারপতি সৌমেন সেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবীরা। তাঁরা আদালতের নজরদারিতে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি কলেজ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করারও দাবি জানান তাঁরা। আদালত সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Indus Treaty: সিন্ধুর জল নিয়ে পাকিস্তানকে জবাব! আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের অস্তিত্বই মানল না ভারত

    Indus Treaty: সিন্ধুর জল নিয়ে পাকিস্তানকে জবাব! আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের অস্তিত্বই মানল না ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জলচুক্তি প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতের অস্তিত্বই অস্বীকার করল নয়াদিল্লি। সিন্ধু জলচুক্তি বা (Indus Treaty) তিলের ফলে গভীর সঙ্কটের মুখে পাকিস্তান। পরিস্থিতি পাল্টাতে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইসলামাবাদ। এ প্রসঙ্গে ভারত জানিয়েছে, ওই আদালত অবৈধ। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি পেশ করা হয়েছে। সেখানে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাতলে ও কিষেনগঙ্গায় ভারতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তির অন্তর্গত। এই নিয়ে আপত্তি করেছে পাকিস্তান। এবার এই বিষয়ে মামলা শুনবে কিনা তা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালত জানিয়েছে, তারা তা বিচার করবে।

    আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতকে অস্বীকার

    এদিন বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘ভারত কখনও এই তথাকথিত সালিশি আদালতের অস্তিত্বকে আইনত স্বীকৃতি দেয়নি। এবং ভারতের অবস্থান সর্বদাই এই যে এই তথাকথিত সালিশি সংস্থার গঠন নিজেই সিন্ধু জলচুক্তির একটি গুরুতর লঙ্ঘন। ফলস্বরূপ এর দ্বারা গৃহীত কোনও রায় বা সিদ্ধান্তও সেই কারণে অবৈধ এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বাতিল।’উল্লেখ্য, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করেছে দিল্লি। যা নিয়ে ক্রমাগত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। বারবার দাবি করছে, ভারত নাকি এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু ভারত আগেও রাষ্ট্রসংঘে জানিয়েছে পাকিস্তানের উপর আস্থা রেখে, বিশ্বাস করে ৬৫ বছর আগে ভারত এই চুক্তি করেছিল। কিন্তু সেই বিশ্বাস ভেঙে ভারতের বুকে ৩টি যুদ্ধ ও হাজার হাজার জঙ্গি হামলা চালিয়েছে পাক সন্ত্রাসীরা।

    ভারতের জল কোথাও যাচ্ছে না

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওল ভুট্টো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ভারত যদি আমাদের ন্যায্য জল অধিকার না দেয়, তাহলে যুদ্ধ অনিবার্য।’ সেই প্রেক্ষিতেই ভারতের এই প্রতিক্রিয়া। জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাটিল বলেন, ‘পাকিস্তান যতবারই চিঠি পাঠাক না কেন, এটা একরকম ফর্মালিটি ছাড়া আর কিছু নয়। আমাদের অবস্থানে কোনও পরিবর্তন আসবে না।’ তিনি সাফ জানান, ভারতের জল কোথাও যাচ্ছে না। চুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কোনও পরিকল্পনাও নেই।

  • Bangladesh Crisis: কুমিল্লায় হিন্দু বধূকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ

    Bangladesh Crisis: কুমিল্লায় হিন্দু বধূকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লায় হিন্দু বধূকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় বিএনপি নেতা ফজর আলির গ্রেফতারির দাবিতে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) পড়ুয়ারা। ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে উত্তাল বাংলাদেশের রাজধানী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরাসরি পদক্ষেপের দাবিতে সরব হয়েছেন প্রতিবাদীরা। ঘটনার প্রতিবাদে রবিরার রাতে মশাল হাতে মিছিল করেন তাঁরা।

    দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি (Bangladesh Crisis)

    মিছিল থেকে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়ার আওয়াজ ওঠে। মিছিল শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে। শাহবাগ প্রদক্ষিণ করে মিছিল শেষ হয় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে। কেন্দ্রীয় ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সলমান সিদ্দিকি বলেন, “বিগত আওয়ামি লিগের আমলে তনু, খাদিজা-সহ অসংখ্যা নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের বিচার হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম, ৫ অগাস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার নারীদের সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কিন্তু এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরেও দেখলাম নারীরা ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নন।” ইউনূস সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এই সরকারের আমলেও আছিয়া, লামিয়া এবং কুমিল্লার মুরাদনগরের ঘটনা-সহ অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে।” সিদ্দিকি বলেন, “এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”

    ধর্ষণে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা

    প্রসঙ্গত, কুমিল্লার রামচন্দ্রপুর পচকিট্টা গ্রামের বাসিন্দা তথা স্থানীয় বিএনপি নেতা ফজর আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ সে এক হিন্দু তরুণী বধূকে বাড়িতে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করে। দুই সন্তানের মা ওই বধূর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে ফজরকে ধরে ফেলে। যদিও পরে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় সে। পরে সায়েদাবাদ এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে (Bangladesh Crisis)। এই ঘটনার পর কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফজর-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে তিনজন ঘটনার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও (Dhaka University) এই ঘটনার প্রতিবাদে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভের আগুন। ঘটনায় মুখ খুলেছে ভারত সরকারও (Bangladesh Crisis)।

LinkedIn
Share