Tag: bangla news

bangla news

  • Boiled rice: গরম থেকে বাঁচতে দু’বেলা ভাত! চলছে পান্তাও! অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে?

    Boiled rice: গরম থেকে বাঁচতে দু’বেলা ভাত! চলছে পান্তাও! অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির নিত্যদিনের সঙ্গী ভাত! যত রকমের লোভনীয় পদ থাকুক না কেন, ভাত ছাড়া বাঙালির খাওয়া অসম্পূর্ণ! বৈশাখের তীব্র গরমে আবার কেউ কেউ দিনে একাধিকবার ভাত (Boiled rice) খাচ্ছেন। অনেকেই আবার গরম এড়াতে পান্তা ভাত খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বারবার ভাত খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং এতে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। দিনের একাধিকবার ভাত খেলে শরীরে নানান রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। অনেক সময়েই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণ ভাত খাওয়া হয়‌। এর ফলে কিছু জটিল রোগের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। দেখে নেওয়া যাক, একাধিকবার ভাত খেলে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে?

    স্থূলতার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে (Boiled rice)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাতে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাই দিনে একাধিকবার ভাত খেলে শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেড়ে যায়। বাড়তে পারে ক্যালোরি। যার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত দু’বেলা ভাত খেলে শরীরের ওজন অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষত, যাঁরা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য দুবেলা ভাত যথেষ্ট বিপজ্জনক। অতিরিক্ত ওজন সুস্থ জীবন যাপনের পথে বাধা। তাই দিনে একাধিকবার ভাত খাওয়ার আগে এই বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, বাড়তি উদ্বেগ ডায়াবেটিসের

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাত (Boiled rice) বারবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বাড়তি বিপদ তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কোনও ভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দিনে একাধিকবার ভাত খাওয়া উচিত নয়। ভাত শরীরের শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্ত নিয়মিত বারবার ভাত খেলে নানান শারীরিক জটিলতা বাড়তে পারে।
    তবে শুধুই ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য নয়, নিয়মিত বারবার ভাত খাওয়ার অভ্যাস বিপদ বাড়াতে পারে সকলেরই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই ডায়াবেটিস আক্রান্ত নন। তবে ডায়াবেটিস প্রবণ। তাঁদের জন্যও বাড়তি বিপদ তৈরি করে।

    অতিরিক্ত ঘুম কাজের ক্ষতি করতে পারে (Boiled rice)

    ভাত খেলে অতিরিক্ত ঘুম হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত বারবার ভাত খেলে শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়। আর তার ফলেই অতিরিক্ত ঘুম হয়। তাই কাজ করার ইচ্ছে কমে। ক্লান্তি বোধ বাড়ে। এর জেরেই কাজের ক্ষতি হয়।

    পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি

    তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বারবার না খেলেও দিনে অন্তত একবার ভাত (Boiled rice) খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মানুষ সেদ্ধ চালের ভাত খান। আর এই ভাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের এবং ক্যালসিয়ামের মতো উপাদান। পাশপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর হয়। তাই নিয়মিত এক কাপ ভাত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। লোহিত কণিকার সংখ্যা বাড়ে। এর ফলে শরীরে এনার্জির জোগান‌ ঠিকমতো হয়‌। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বারবার জানাচ্ছেন, ভাতের পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া (Overeating) বিপদ ডাকতে পারে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 01 May 2025: একাধিক উৎস থেকে আয় হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 01 May 2025: একাধিক উৎস থেকে আয় হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সামাজিক ক্ষেত্রে কর্মরত, তাঁরা আজ কোনও সুসংবাদ পেতে পারেন।

    ২) ভালো পদ লাভ করতে পারেন।

    ৩) ভাইদের সঙ্গে চলতে থাকা কথা কাটাকাটি সমাপ্ত হবে।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি আনন্দে ভরপুর থাকবে।

    ২) ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে কর্মরত জাতকরা সতর্ক থাকুন, প্রতারণার শিকার হতে পারেন।

    ৩)  আপনার দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে সকলে আপনার সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করবেন।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি অনুকূল পরিণাম নিয়ে আসবে।

    ২) সুযোগ পেলে অসহায় ব্যক্তির সাহায্য করুন।

    ৩) কোনও নতুন কাজে অগ্রসর হতে পারেন।

    কর্কট

    ১)  লোকদেখানোর স্বভাব ত্যাগ করুন, অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করবেন না।

    ২) কারও কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে থাকলে তা শোধ করতে পারবেন।

    ৩) আয় বৃদ্ধি হবে।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ থাকবে।

    ২) বন্ধুদের পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ৩) ব্যবসায় ভালো লাভ করবেন।

    কন্যা

    ১)  ব্যবসায়ীদের জন্য আজকের দিনটি প্রতিকূল।

    ২) দিনের শেষে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হওয়ায় আনন্দিত থাকবেন।

    ৩) কেরিয়ারে উন্নতির চেষ্টা করলে তার গতি বাড়বে।

    তুলা

    ১) ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় আগত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

    ২) একাধিক উৎস থেকে আয় হবে।

    ৩) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) যে কোনও কাজে নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে।

    ২) ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা পাবেন।

    ৩) অংশীদারীর কাজে ভালো প্রদর্শন করবেন।

    ধনু

    ১) জাতকদের মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে।

    ২)  কর্মক্ষেত্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজ পেলে সকলকে সঙ্গে নিয়ে সেই কাজ করে তা সময়ের মধ্যে পূর্ণ করবেন।

    ৩) সম্পত্তি লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

    মকর

    ১) জাতকদের আশপাশের পরিবেশ আনন্দে পরিপূর্ণ থাকবে।

    ২) কিছু ব্যক্তিদের থেকে সতর্ক থাকুন।

    ৩) নিজের টাকা অন্য কাজে ব্যয় করবেন না।

    কুম্ভ

    ১)  ত্যাগ ও সহযোগিতার অনুভূতি থাকবে।

    ২) আধুনিক বিষয়ে রুচি থাকবে।

    ৩) ছাত্রছাত্রীরা বন্ধুর সঙ্গে শিক্ষায় আগত বাধা সম্পর্কে আলোচনা করবে।

    মীন

    ১) জাতকদের তাড়াহুড়োয় ও আবেগতাড়িত হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না।

    ২) ভাইদের পরামর্শ নিয়ে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিন।

    ৩) ব্যক্তিগত বিষয়ে ধার্মিকতা পালন করে চলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 338: “শিবে সনাতনী সর্বাণী ঈশানী, সদানন্দময়ী, সর্বস্বরূপিণী, সগুণা নির্গুণা সদাশিব প্রিয়া”

    Ramakrishna 338: “শিবে সনাতনী সর্বাণী ঈশানী, সদানন্দময়ী, সর্বস্বরূপিণী, সগুণা নির্গুণা সদাশিব প্রিয়া”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    চতুর্দশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ৯ই-১০ই নভেম্বর
    সেবকসঙ্গে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) এই কথা শুনিয়া উচ্চহাস্য করিলেন।

    মণি (অতি বিনীতভাবে)—আচ্ছা, কর্তব্য কর্ম—হাঙ্গাম— কমানো তো ভাল?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হাঁ, তবে সম্মুখে কেউ পড়ল, সে এক। সাধু কি গরিব লোক সম্মুখে পড়লে তাদের সেবা করা উচিত।

    মণি—আর সেদিন ঈশান মুখুজ্জেকে খোসামুদের কথা বেশ বললেন। মড়ার উপর যেমন শকুনি পড়ে। ও-কথা আপনি পণ্ডিত পদ্মলোচনকে বলেছিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—না, উলোর বামনদাসকে।

    কিয়ৎপরে মণি ছোট খাটের পার্শ্বে পাপোশের নিকট বসিলেন।

    ঠাকুরের (Ramakrishna) তন্দ্রা আসিতেছে,—তিনি মণিকে বলিতেছেন, তুমি শোওগে। গোপাল কোথায় গেল? তুমি দোর ভেজিয়ে রাখ।

    পরদিন (১০ই নভেম্বর) সোমবার। শ্রীরামকৃষ্ণ বিছানা হইতে অতি প্রতূষ্যে উঠিয়াছেন ও ঠাকুরদের নাম করিতেছেন, মাঝে মাঝে গঙ্গাদর্শন করিতেছেন। এদিকে মা-কালীর ও শ্রীশ্রীরাধাকান্তের মন্দিরে মঙ্গলারতি হইতেছে। মণি ঠাকুরের ঘরের মেঝেতে শুইয়াছিলেন। তিনি শয্যা হইতে উঠিয়া সমস্ত দর্শন করিতেছেন ও শুনিতেছেন (Kathamrita)।

    প্রাতঃকৃত্যের পর তিনি ঠাকুরের কাছে আসিয়া বসিলেন।

    ঠাকুর আজ স্নান করিলেন। স্নানান্তে ৺কালীঘরে যাইতেছেন। মণি সঙ্গে আছেন। ঠাকুর তাঁহাকে ঘরে তালা লাগাইতে বলিলেন।

    কালীঘরে যাইয়া ঠাকুর আসনে উপবিষ্ট হইলেন ও ফুল লইয়া কখনও নিজের মস্তকে কখনও মা-কালীর পাদপদ্মে দিতেছেন। একবার চামর লইয়া ব্যজন করিলেন। আবার নিজের ঘরে ফিরিলেন। মণিকে আবার চাবি খুলিতে বলিলেন। ঘরে প্রবেশ করিয়া ছোট খাটটিতে বসিলেন। এখন ভাবে বিভোর—ঠাকুর নাম করিতেছেন। মণি মেঝেতে একাকী উপবিষ্ট। এইবার ঠাকুর গান গাহিতেছেন। ভাবে মাতোয়ারা হইয়া গানের ছলে মণিকে কি শিখাইতেছেন যে, কালীই ব্রহ্ম, কালী নির্গুণা, আবার সগুণা, অরূপ আবার অনন্তরূপিণী।

    গান   —   কে জানে কালী কেমন, ষড়দর্শনে।

    গান   —   এ সব ক্ষেপা মেয়ের খেলা।

    গান   —   কালী কে জানে তোমায় মা (তুমি অনন্তরূপিণী!)
    তুমি মহাবিদ্যা, অনাদি অনাদ্যা, ভববন্ধের বন্ধনহারিণী তারিণী!
    গিরিজা, গোপজা, গোবিন্দমোহিনী, সারদে বরদে নগেন্দ্রনন্দিনী,
    জ্ঞানদে মোক্ষদে, কামাখ্যা কামদে, শ্রীরাধা শ্রীকৃষ্ণহৃদিবিলাসিনী।

    গান   —   তার তারিণী! এবার ত্বরিত করিয়ে,
    তপন-তনয়-ত্রাসে ত্রাসিত প্রাণ যায়।
    জগত অম্বে জনপালিনী, জন-মিহিনী জগত জননী,
    যশোদা জঠরে জনম লইয়ে, সহায় হরি লীলায় ॥
    বৃন্দাবনে রাধাবিনোদিনী, ব্রজবল্লভ বিহারকারিণী,
    রাসরঙ্গিনী রসময়ী হ’য়ে, রাস করিলে লীলাপ্রকাশ ॥
    গিরিজা গোপজা গোবিন্দমোহিনী, তুমি মা গঙ্গে গতিদায়িনী,
    গান্ধার্বিকে গৌরবরণী গাওয়ে গোলকে গুণ তোমার ॥
    শিবে সনাতনী সর্বাণী ঈশানী, সদানন্দময়ী, সর্বস্বরূপিণী,
    সগুণা নির্গুণা সদাশিব প্রিয়া, কে জানে মহিমা তোমার ॥

    মণি মনে মনে করিতেছেন ঠাকুর যদি একবার এই গানটি গান—

    “আর ভুলালে ভুলবো না মা, দেখেছি তোমার রাঙ্গা চরণ।”

    কি আশ্চর্য! মনে করিতে না করিতে ওই গানটি গাহিতেছেন (Kathamrita)।

    কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিতেছেন—আচ্ছা, আমার এখন কিরকম অবস্থা তোমার বোধ হয়!

    মণি (সহাস্যে)—আপনার সহজাবস্থা।

    ঠাকুর (Ramakrishna) আপন মনে গানের ধুয়া ধরিলেন,—“সহজ মানুষ না হলে সহজকে না যায় চেনা।”

  • Ramakrishna 336: “যতক্ষণ ‘কুম্ভ’ জ্ঞান, ততক্ষণ “আমি কুম্ভ” থাকবেই থাকবে, যতক্ষণ ‘আমি’ জ্ঞান, ততক্ষণ “আমি ভক্ত, তুমি ভগবান”

    Ramakrishna 336: “যতক্ষণ ‘কুম্ভ’ জ্ঞান, ততক্ষণ “আমি কুম্ভ” থাকবেই থাকবে, যতক্ষণ ‘আমি’ জ্ঞান, ততক্ষণ “আমি ভক্ত, তুমি ভগবান”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    চতুর্দশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ৯ই-১০ই নভেম্বর
    সেবকসঙ্গে

    “আর চাতকের কথা,—ফটিক জল বই আর কিছু খাবে না।

    “আর জ্ঞানযোগ আর ভক্তিযোগের কথা।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কি?

    মণি—যতক্ষণ ‘কুম্ভ’ জ্ঞান, ততক্ষণ “আমি কুম্ভ” থাকবেই থাকবে। যতক্ষণ ‘আমি’ জ্ঞান, ততক্ষণ “আমি ভক্ত, তুমি ভগবান।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ—না, ‘কুম্ভ’ জ্ঞান থাকুক আর না থাকুক, ‘কুম্ভ’ যায় না। ‘আমি’ যাবার নয়। হাজার বিচার কর, ও যাবে না।

    মণি খানিকক্ষণ চুপ করিয়া রহিলেন। আবার বলিতেছেন (Kathamrita)—

    মণি—কালীঘরে ঈশান মুখুজ্জের সঙ্গে কথা হয়েছিল—বড় ভাগ্য তখন আমরা সেখানে ছিলাম আর শুনতে পেয়েছিলাম।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—হাঁ, কি কি কথা বল দেখি?

    মণি—সেই বলেছিলেন, কর্মকাণ্ড। আদিকাণ্ড। শম্ভু মল্লিককে বলেছিলেন, যদি ঈশ্বর তোমার সামনে আসেন, তাহলে কি কতকগুলো হাসপাতাল ডিস্পেনসারি চাইবে?

    “আর-একটি কথা হয়েছিল,—যতক্ষণ কর্মে আসক্তি থাকে ততক্ষণ ঈশ্বর দেখা দেন না। কেশব সেনকে সেই কথা বলেছিলেন (Kathamrita)।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কি?

    মণি—যতক্ষণ ছেলে চুষি নিয়ে ভুলে থাকে ততক্ষণ মা রান্নাবান্না করেন। চুষি ফেলে যখন ছেলে চিৎকার করে, তখন মা ভাতের হাঁড়ি নামিয়ে ছেলের কাছে যান।

    “আর-একটি কথা সেদিন হয়েছিল। লক্ষ্মণ জিজ্ঞাসা করেছিলেন—ভগবানকে কোথা কোথা দর্শন হতে পারে। রাম অনেক কথা বলে তারপর বললেন—ভাই, যে মানুষে ঊর্জিতা ভক্তি দেখতে পাবে—হাঁসে কাঁদে নাচে গায়,—প্রেমে মাতোয়ারা—সেইখানে জানবে যে আমি (ভগবান আছি)।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আহা! আহা!

    ঠাকুর (Ramakrishna) কিয়ৎক্ষণ চুপ করিয়া রহিলেন।

    মণি—ঈশানকে কেবল নিবৃত্তির কথা বললেন। সেই দিন থেকে অনেকের আক্কেল হয়েছে। কর্তব্য কর্ম কমাবার দিকে ঝোঁক। বলেছিলেন (Kathamrita)—‘লঙ্কায় রাবণ মলো, বেহুলা কেঁদে আকুল হলো!’

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এই কথা শুনিয়া উচ্চহাস্য করিলেন।

    মণি (অতি বিনীতভাবে)—আচ্ছা, কর্তব্য কর্ম—হাঙ্গাম— কমানো তো ভাল?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হাঁ, তবে সম্মুখে কেউ পড়ল, সে এক। সাধু কি গরিব লোক সম্মুখে পড়লে তাদের সেবা করা উচিত।

    মণি—আর সেদিন ঈশান মুখুজ্জেকে খোসামুদের কথা বেশ বললেন। মড়ার উপর যেমন শকুনি পড়ে। ও-কথা আপনি পণ্ডিত পদ্মলোচনকে বলেছিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—না, উলোর বামনদাসকে।

    কিয়ৎপরে মণি ছোট খাটের পার্শ্বে পাপোশের নিকট বসিলেন।

    ঠাকুরের তন্দ্রা আসিতেছে,—তিনি মণিকে বলিতেছেন, তুমি শোওগে। গোপাল কোথায় গেল? তুমি দোর ভেজিয়ে রাখ।

  • Caste Census: দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার ঘোষণা নরেন্দ্র মোদি সরকারের

    Caste Census: দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার ঘোষণা নরেন্দ্র মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার (Caste Census) ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদির সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এ নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানাও করেন (Population Survey) তিনি। অশ্বিনী সাফ জানিয়ে দেন, আলাদা করে দেশে জাতি শুমারির প্রয়োজন নেই। জনগণনার সঙ্গেই হবে জাতিভিত্তিক গণনা।

    আদমশুমারি (Caste Census)

    প্রতি ১০ বছর অন্তর হয় আদমশুমারি। শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। করোনা অতিমারির কারণে জনগণনা হয়নি ২০২১ সালে। তার জেরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মোদি সরকারকে। বুধবার, এপ্রিল মাসের একেবারে শেষ দিনে সরাসরি জাতিশুমারির কথা ঘোষণা করে দিল কেন্দ্র।

    জাতিভিত্তিক জনশুমারি

    বিহারে ইতিমধ্যেই জাতিভিত্তিক জনশুমারি হয়েছে। এদিন জাতিভিত্তিক জনশুমারি ঘোষণা করার সময় কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটে থাকা অন্যান্য দলকেও নিশানা করেন তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী। তিনি বলেন, “কংগ্রেস বরাবর জাতিভিত্তিক জনশুমারির বিরোধিতা করেছে। ২০১০ সালে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন যে, ক্যাবিনেটের উচিত জাতিভিত্তিক জনশুমারি নিয়ে বিবেচনা করা। মন্ত্রীদের নিয়ে কমিটিও গঠন করা হয়। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই জাতিভিত্তিক জনশুমারির সুপারিশ করেছিল। তার পরেও কংগ্রেস সরকার জাতিভিত্তিক (Caste Census) সমীক্ষা করেছিল।” অশ্বিনী বলেন, “কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটের সদস্যরা জাতিভিত্তিক জনশুমারিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। কিছু রাজ্য এই সমীক্ষা করেছে শুধুমাত্র কোনও জনজাতির সংখ্যা জানতে। কিছু রাজ্য ভালো কাজ করেছে, কেউ আবার রাজনৈতিক স্বার্থে করেছে।”

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বিহারে নীতীশ কুমারের সরকার জাতিভিত্তিক জনশুমারি করেছিল। তবে তখন বিহারে জেডিইউ, আরজেডি এবং কংগ্রেসের জোট সরকার ছিল। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, রাজ্যের ৩৬ শতাংশ জনগণ প্রান্তিক শ্রেণির, ২৭.১ শতাংশ মানুষ অনগ্রসর শ্রেণির, ১৯.৭ শতাংশ মানুষ জনজাতি সম্প্রদায়ের এবং উপজাতির নাগরিক ১.৭ শতাংশ।

    চলতি বছরেই রয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। এই বিহারই প্রথম জাতিভিত্তিক জনশুমারি করেছিল (Population Survey)। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই কেন্দ্রের এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ (Caste Census)।

  • Suvendu Adhikari: নাম না করে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর, কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: নাম না করে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর, কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ায় উদ্বোধন হল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Suvendu Adhikari)। সরকারি কোষাগার থেকে এক কাঁড়ি টাকা খরচ করে তৈরি মন্দিরের (Jagannath Temple) উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মুসলিমরা হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার করে বলে অভিযোগ। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নেন হিন্দুরা। ওই ঘটনায় হিন্দুরা যে ক্ষুব্ধ, তা বিলক্ষণ জানেন মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দুদের ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ দিতে এদিন উদ্বোধন করা হল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। উদ্বোধনের দুদিন আগেই দিঘায় প্রায় হত্যে দিয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন করলেন মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    মুখ্যমন্ত্রী যখন দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করছেন, তখনই এই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সনাতনী হিন্দুদের নিয়ে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাম না করেই শুভেন্দু নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্য সরকারের সমালোচনায়ও সরব হন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। তবে মৃতের সংখ্যা ২৫ পর্যন্ত গড়াতে পারে। এই সময় পুরো সরকারকে দিঘায় তুলে আনা হয়েছে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সবাই আমাদের অতিথি ছিলেন। ঘটনাটি আমি এক্স হ্যান্ডেলে দিয়েছি ৯টা ১০ মিনিটে। আর সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। কিন্তু ওঁর অনীহা! চটি চাটাদের নিয়ে ফূর্তি করতে গিয়েছেন।”

    রাজ্য সরকারকে নিশানা

    দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন প্রসঙ্গেও এদিন রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “পুরো সরকার দিঘায় তুলে এনে ২৮ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিয়ে মন্দির নাম দিয়েছেন। শ্রী জগন্নাথদেবকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। রাধারমনের আসল নাম রাহুল যাদব।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “টিকি রাখলেই সবাই ইসকন হয় না। সনাতনী কাজ সকলকে দিয়ে হয় না। জগন্নাথ তো সিগন্যাল দিচ্ছিলেন। ধর্ম বিরোধী কাজ করলে ঈশ্বর মেনে নিতে পারেন না।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “অনুষ্ঠান তো শেষ হয়ে গেল। এ জ্বালা বিশাল জ্বালা। সাজতে এসেছিল (Jagannath Temple) হিন্দু, আমরা বানিয়েছি জালি হিন্দু। রেড রোডে হিজাব পরে হিন্দু ধর্মকে গান্ধা ধর্ম বলে (Suvendu Adhikari)! জালি কোথাকার!”

  • Pahalgam Attack: ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান! পাক সেনায় বিদ্রোহ, গণ ইস্তফার হিড়িক

    Pahalgam Attack: ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান! পাক সেনায় বিদ্রোহ, গণ ইস্তফার হিড়িক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে পাক সেনায় বিদ্রোহের খবর মিলেছে! বুধবার মধ্যরাতে পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত আক্রমণ করবেই। এর পরেই একাধিক সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেনাপ্রধান মুনিরকে ঘিরে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে সেদেশে। সূত্রের খবর, পাক সেনায় গণ-ইস্তফার হিড়িক লেগে গিয়েছে। ইতিমধ্যে, ২৫০ অফিসার ও সাড়ে ৪ হাজার জওয়ান ছুটি চেয়েছেন বা ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পাক প্রশাসন। ইস্তফা রুখতে জরুরি নির্দেশ জারি করেছে সেনা-আইএসআই। এদিকে, আকাশপথে ভারত আক্রমণ করতে পারে ধরে নিয়েই, সীমান্তে রেডার সিস্টেম বসিয়েছে (Pahalgam Attack) পাকিস্তান।

    ইস্তফার কারণ হিসেবে অনেকেই অসুস্থতা ও মানসিক চাপকে দেখিয়েছেন

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই বিপুল সংখ্যক পদত্যাগের ফলে প্রচুর সামরিক পদ পাকিস্তানে খালি হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই সৈন্যদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত তাদের দ্বাদশ কোরের ২০০ জন অফিসার এবং ৬০০ জন সৈন্য পদত্যাগ করেছেন (Pahalgam Attack) বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে নর্দার্ন কমান্ড এরিয়ায় ১০০ জনেরও বেশি অফিসার এবং ৫০০ জন সৈন্য পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া ভারতের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মঙ্গল কোরের ৭৫ জন অফিসার এবং ৫০০ জনেরও বেশি সৈন্য পদত্যাগ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার আধিকারিকরাও ইস্তফা দিচ্ছেন। ইস্তফার কারণ হিসেবে অনেকেই অসুস্থতা ও মানসিক চাপকে দেখিয়েছেন।

    ভাইরাল গোপন চিঠি

    এমন গণপদত্যাগের খবরের মধ্যেই একটি চিঠি ভাইরাল হয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অন্দরে। ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তাতেই এই যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলেই পদত্যাগের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। ওই চিঠিতে সৈন্যদের ভয় না পেতে বলা হয়েছে। পাকিস্তানের সেনার (Indo Pak War) উদ্দেশে বলা হয়েছে, তারা যেন এই পরিস্থিতিতে নিজেদের মনোবল অক্ষুন্ন রাখে। ওই চিঠিতেই আহ্বান জানানো হয়েছে, সৈন্যরা যেন অর্ধচন্দ্র এবং তারার নিচে নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন। ওই চিঠিতে সৈন্যদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, তোমরা আমাদের শহিদের উত্তরাধিকারী। শুধু তাই নয়, ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে যারা পদত্যাগ করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। সেখানে লেখা হয়েছে, যাঁরা পদত্যাগ করতে চাইবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ১৯৫২ সালের পাকিস্তান সেনা আইনের অধীনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ফাঁস করল কারা?

    কিন্তু পাকিস্তানের এমন গোপন চিঠির ফাঁস হলই বা কীভাবে? বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (Pahalgam Attack) ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এই কারণে এমন ফাঁসের খবর সামনে এসেছে। বর্তমান সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং প্রাক্তন জেনারেল ফাইজ আহমেদ ও কামার জাভেদ- এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই বিভেদের কারণেই চিঠি ফাঁস হয়ে গিয়েছে। একদিকে ভারতের প্রত্যাঘাতের তীব্র আশঙ্কা, তারপর দেশের মধ্যে আঞ্চলিক উত্তেজনা, বেহাল অর্থনীতি, খাদ্য সংকটের পরে এবার জুড়ল এই পাকিস্তান (Indo Pak War) সেনাবাহিনীর আভ্যন্তরীণ অসন্তোষ।পহেলগাঁও হামলার পরপরই একের পর এক গরম গরম কথা বলতে শোনা গিয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী-সহ একাধিক মন্ত্রীকে। পরমাণু হামলার হুমকিও দিতে দেখা গিয়েছে তাদের। তার মধ্যেই এই ঘটনায় স্পষ্ট যে তাঁরা সবাই ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছিলেন। কারণ ময়দানে তো নেতা মন্ত্রীরা যুদ্ধ করবেন না। লড়াই করবে পাক সেনা। তারাই এখন পিছিয়ে যাচ্ছে ভয়ে।

    দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভূ রাজনৈতিক অস্থিরতাও বাড়িয়ে তুলেছে পহেলগাঁও হামলা

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ের পরেই ভারত পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় (Pahalgam Attack)। শুধু তাই নয়, এই হামলা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে তা নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যেও ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলেছে। এই আবহে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে। সীমান্ত বন্ধ করেছে। এর ফলে ইসলামাবাদকে কূটনৈতিকভাবে আরও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এই আবহে বুধবারই এক উচ্চপর্যায়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। কোথায় কখন হামলা হবে তা ঠিক করতে।

    পাক সেনায় গণ-ইস্তফার পর সীমান্ত রক্ষা করবে কে

    এখন একটা প্রশ্নই উঠছে বারবার,পাক সেনায় গণ-ইস্তফার পর সীমান্ত রক্ষা করবে কে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। শুধু জওয়ানরাই নয়, তাদের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অফিসাররাও গণইস্তফা দিচ্ছেন। এখন ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ লাগলে, তা পরিচালন করবে কে, তা নিয়েই চিন্তিত পাকিস্তান। এক্ষেত্রে বলা দরকার, এক মাস আগেই পাকিস্তানি সেনার জুনিয়র অফিসার ও সেনারা চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, আসিম মুনিরের নেতৃত্ব ভালো লাগছে না তাঁদের। শুধু তাই নয়, তাঁকে পদ থেকে না সরালে, বিদ্রোহ শুরু হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পাক সৈন্যদের একাংশ। এবার পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর যেখানে দুই দেশের মধ্যে কার্যত যুদ্ধ আবহ তৈরি হয়েছে, সেখানেই পাক সেনার গণইস্তফা একদিকে চিন্তা, অন্যদিকে বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছে।

    আকাশপথে ভারত হামলা চালাতে পারে, আশঙ্কায় ঘুম ছুটেছে পাকিস্থানের, সীমান্তে বসছে রেডার সিস্টেম

    অন্যদিকে, আকাশপথে ভারত হামলা চালাতে পারে, এই আশঙ্কায় ঘুম ছুটেছে পাকিস্থানের। তারা নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও করেছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের সম্ভাব্য বিমান হামলার ঠেকাতে সীমান্তে রেডার বসাচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী শিয়ালকোট সীমান্তে রেডার সিস্টেমগুলিকে বসাচ্ছে। ভারতের সম্ভাব্য বিমান হামলা ঠেকাতে সেদেশের চোর ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তান টিপিএস-৭৭ রেডার ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। এই চোর ক্যান্টেনমেন্ট হল নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ৫৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলার পরে এই আবহে টানা পঞ্চম বার পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তে গুলি চালাল। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই ভারতের যুদ্ধ মহড়া চলছেই। একসঙ্গে স্থলবাহিনী নৌ বাহিনী এবং বিমান বাহিনী মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। তীব্র উত্তেজনার মাঝে সেদেশের যুদ্ধ বিমানগুলিকে করাচি থেকে লাহোর এবং সে দেশের উত্তরের রাওয়ালপিণ্ডির দিকে ঘাঁটির দিকে রওনা হতে দেখা গিয়েছে। গত সোমবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ জানিয়েছিলেন, ভারত সামরিক হামলা চালাবেই।

  • PM Modi: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভারতের, ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন মোদি

    PM Modi: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভারতের, ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ মে নিজের রাশিয়ার সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত রাশিয়াতে ৯ মে বিজয় দিবস পালিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওই দিনেই নাৎসি জার্মানিকে পরাস্ত করে সোভিয়েত রাশিয়া। তারপর থেকেই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। চলতি বছরের তা ৮০তম বিজয় উৎসব। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই নিজের রাশিয়া সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন মোদির সফর বাতিলের কথা

    পহেলগাঁও-তে ২৭ জন হিন্দু নাগরিককে যেভাবে তাঁদের ধর্মীয় পরিচয় বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে, তাতে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে প্রত্যেকটি ভারতবাসীর মধ্যে। এই আবহে যুদ্ধ পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে। বৃহস্পতিবারই এই খবর সামনে এল যে ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন একথা। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া সফরে যোগ দিচ্ছেন না। তাঁর বদলে অন্য একজন কূটনৈতিক প্রতিনিধি এই বিজয় উৎসবে যোগদান করবেন।

    আগেই আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মোদি, তারই মধ্যে ঘটে পহেলগাঁও হামলা

    আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) রাশিয়া সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। একথা ঘোষণা করেছিলেন সে দেশের উপ-বিদেশ মন্ত্রী অ্যান্দ্রে রুডেনেকো। তিনি সে সময় জানিয়েছিলেন যে, সারা মস্কো অপেক্ষা করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পরবর্তীকালে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আমন্ত্রণের বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ পেয়েছেন এবং উপযুক্ত সময়ই আমরা জানাব যে বিজয় উৎসবে অংশগ্রহণের কথা। কিন্তু এরপরেই পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। পরিস্থিতি বদলে যায়। প্রসঙ্গত নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ২২তম রাশিয়া-ভারত শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সে সময় তিনি মস্কোতে (Russia) পা রেখেছিলেন।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের মাথায় বসানো হল ‘র’-এর প্রাক্তনীকে

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের মাথায় বসানো হল ‘র’-এর প্রাক্তনীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ড (Pahalgam Attack) ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে পুনর্গঠন করা হল নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ (NSA Board)। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক জোশীকে ওই পর্ষদের প্রধান করা হয়েছে।

    নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ পুনর্গঠন (Pahalgam Attack)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদীরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এছাড়া স্থানীয় এক মুসলিম যুবক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকেও খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় এক খ্রিস্টান পর্যটকেরও। এই প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহ। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার পুনর্গঠন করল নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ।

    কারা রয়েছেন পর্ষদে

    এই পর্ষদের সদস্য সংখ্যা সাত। এই সদস্যরা হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কিংবা সিভিল সার্ভিস আধিকারিক। রয়েছেন প্রাক্তন কূটনীতিক বি বেঙ্কটেশ বর্মা। ভারতীয় বায়ুসেনার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান এয়ার মার্শাল পিএম সিং, স্থলসেনার দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে সিং এবং নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্নাও রয়েছেন এই পর্ষদে।

    অলোক ছাড়াও রয়েছেন দুই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার রাজীবরঞ্জন বর্মা এবং মনমোহন সিং। প্রসঙ্গত, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সুরক্ষা সংক্রান্ত মূল পদক্ষেপের দায়িত্বে রয়েছ। অলোকের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টার কাজ হবে সুরক্ষাজনিত দৃষ্টিকোণ পর্যালোচনা করে ডোভালের কমিটিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম পুনর্গঠিত হল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ (Pahalgam Attack)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের প্রত্যাঘাতের পাল্টা যদি পাকিস্তান কোনওভাবে হামলা চালায় বা পাকিস্তানের বন্ধু বলে পরিচিত দেশগুলি ভারতে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে, সেজন্যও প্রস্তুত থাকা দরকার। সম্ভবত সেই কারণেই উপদেষ্টা বোর্ডকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে, প্রাক্তন গোয়েন্দাপ্রধানকে শীর্ষে রেখে।

    ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় যে জঙ্গিরা, তাদের একজনেরও খোঁজ মেলেনি। ওই ঘটনার জেরে উত্তেজনা বেড়েছে ভারত-পাকিস্তানের। সেই সঙ্গে উপত্যকাজুড়ে চলছে সেনা তৎপরতা। এই ঘটনার দায় স্বীকার (NSA Board) করে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (Pahalgam Attack)।

  • Bangladesh Crisis: ছ’মাস পরে বাংলাদেশের হাইকোর্টে জামিন পেলেন হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস

    Bangladesh Crisis: ছ’মাস পরে বাংলাদেশের হাইকোর্টে জামিন পেলেন হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত বন্দিদশা ঘুঁচল বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হিন্দু সন্ন্যাসী তথা ইসকনের প্রাক্তন কর্তা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের (Chinmoy Krishna Das)। বুধবার বাংলাদেশের আদালত তাঁকে জামিন দিয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল চিন্ময়কৃষ্ণকে। এদিন জামিনে ছাড়া পেলেন এই হিন্দু সন্ন্যাসী।

    জামিনের আবেদনের শুনানি (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশের হাইকোর্টে এদিন চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। শুনানি শেষে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে বিচারপতি আয়োতার রহমান ও আলি রেজার ডিভিশন বেঞ্চ। ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখে চিন্ময়কৃষ্ণের মামলায় রুল জারি করেছিল আদালত। কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত শুনানি হওয়ার কথা ছিল ২৩ এপ্রিল। সেদিন আদালত জানায়, শুনানি হবে ৩০ এপ্রিল। সেই মতো এদিন হয় শুনানি। এবং জামিনে ছাড়া পান হিন্দু এই সন্ন্যাসী।

    চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার

    গত বছরের মাঝামাঝি সময় গণঅভ্যুত্থান ঘটে বাংলাদেশে। পতন হয় হাসিনা সরকারের। গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের রাশ যায় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। তার পরেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর শুরু হয় চরম অত্যাচার। হিন্দুদের বাড়িঘর-মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নির্বিচারে চলতে থাকে খুন-জখম-রাহাজানি। হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। এসবের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ। এর পরেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ছিল। এর পরেই (Bangladesh Crisis) রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার করা হয় হিন্দু এই সন্ন্যাসীকে।

    চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারিকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয় ওপার বাংলায়। এই হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে ভারতেরও নানা জায়গায় মিছিল হয়। ২৭ নভেম্বর চিন্ময়কৃষ্ণকে চট্টগ্রাম আদালতে পেশ করার সময় আদালত চত্বরে সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়। তার পর থেকে একাধিকবার চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে। চিন্ময়কৃষ্ণের (Chinmoy Krishna Das) হয়ে সওয়াল করতে চাননি কোনও আইনজীবীই। কারণ তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। প্রায় ছ’মাস পরে এদিন মিলল বহুকাঙ্খিত জামিন (Bangladesh Crisis)।

LinkedIn
Share