Tag: bangla news

bangla news

  • Rajnath Singh: বাড়বে প্রত্যাঘাত? প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দেশের সিডিএস অনিল চৌহান

    Rajnath Singh: বাড়বে প্রত্যাঘাত? প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দেশের সিডিএস অনিল চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান তথা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আরও বড় প্রত্যাঘাতের খবর কি সামনে আসতে চলেছে? এমন জল্পনাই শুরু হয়েছে। কারণ রবিবার বিকালেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) বাড়িতে তাঁর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন দেশের সিডিএস অনিল চৌহান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর উপত্যকায় ‘অ্যাকশনে’ নেমেছে ভারতীয় সেনা। প্রশাসন শুরু করেছে অভিযান। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ জঙ্গি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা। এবার এই আবহেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন সিডিএস অনিল চৌহান (CDS Anil Chauhan)।

    কোন কোন ইস্যুতে বৈঠক জানা যায়নি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Rajnath Singh) সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার বিকাল ৫টা নাগাদ শুরু হয় এই বিশেষ বৈঠক। তবে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হবে সেই নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Rajnath Singh) তরফে। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা, মূলত কোন লাইনে এগোবে ভারত সে নিয়েই আলোচনা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরনের হামলার পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতার অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। জঙ্গিদের সন্ধানে চলছে চিরুনি তল্লাশি। একাধিক লস্কর জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও জঙ্গির বাড়িতে বিস্ফোরণ করা হয়েছে, তো কোনও জঙ্গির বাড়িতে চালানো হয় বুলডোজার।

    শনিবার মধ্যরাতেও নিয়্ন্ত্রণ রেখায় গুলি চালায় পাকিস্তান, পাল্টা জবাব দেয় ভারত

    শনিবার মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। রবিবারই এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ভারতের সেনা। নিজেদের বিবৃতিতে ভারতীয় সেনা  জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। ভারতীয় সেনা এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরে এটা ছিল তৃতীয় রাত, যখন পাকিস্তান (Pakistan) নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়। ভারতীয় সেনা নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘২৬-২৭ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে, পাকিস্তানি সেনা তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলিবর্ষণ করে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।’’

  • Kasturirangan: প্রাক্তন ইসরো চেয়ারম্যান কস্তুরীরঙ্গনের শেষকৃত্য সম্পন্ন, ‘‘অমূল্য রত্ন হারালাম’’, বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

    Kasturirangan: প্রাক্তন ইসরো চেয়ারম্যান কস্তুরীরঙ্গনের শেষকৃত্য সম্পন্ন, ‘‘অমূল্য রত্ন হারালাম’’, বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরীরঙ্গন (Kasturirangan) শেষকৃত্য সম্পন্ন হল রবিবার। প্রসঙ্গত, শুক্রবার নিজের বেঙ্গালুরুর বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিন শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর মতে, ‘‘অমূল্য রত্ন হারালাম।’’ কস্তুরীরঙ্গনের মৃত্যুতে আগেই শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইসরোর (ISRO) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কস্তুরীরঙ্গন শুক্রবার সকাল ১০.৪৩ টায় প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। সাধারণ মানুষদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁর মরদেহ এদিন ২৭ এপ্রিল রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুরের মধ্যে বেঙ্গালুরুর রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটে রাখা হয়।

    মহাকাশ গবেষণাকে নতুন উচ্চতা দিয়েছিলেন, সমাজমাধ্যমে লেখেন মোদি

    তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী মোদি শোক প্রকাশ করে সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘তাঁর (Kasturirangan) দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং জাতির প্রতি নিঃস্বার্থ অবদান সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে ইসরোর সেবা করেছেন। ভারতের মহাকাশ কর্মসূচিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন, তার জন্য আমরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতিও পেয়েছি।’’

    ১৯৯৪-২০০৩ সাল পর্যন্ত ইসরোর পঞ্চম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন

    প্রসঙ্গত, ডঃ কস্তুরীরঙ্গন (Kasturirangan) ১৯৯৪-২০০৩ সাল পর্যন্ত ইসরোর পঞ্চম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বলে জানা যায়। ৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরোর মহাকাশ কমিশন এবং মহাকাশ বিভাগে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও কস্তুরীরঙ্গন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং কর্নাটক জ্ঞান কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন ইসরোর এই প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তৎকালীন ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন কস্তুরীরঙ্গন (Kasturirangan)।এছাড়াও, ইসরো স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি । ইনস্যাট-২, আইআরএস-১এ/১বি উপগ্রহ এবং অন্যান্য উপগ্রহ তৈরির সঙ্গেও যুক্ত থেকেছেন ইসরোর এই প্রাক্তন চেয়ারম্যান।

  • Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু,” তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু,” তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু।” রবিবার ঠিক এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হয় বলে অভিযোগ। তার জেরে জেলা ছেড়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নেন বহু হিন্দু।

    মমতা ভণ্ড হিন্দু (Suvendu Adhikari)

    এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু। দিঘায় নয়া জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। সে প্রসঙ্গেই সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে হিন্দু বিরোধী বলেও অভিহিত করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু। হিন্দু সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করবেন না। হিন্দুরাই হিন্দু মন্দির তৈরি করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু বিরোধী। তাঁর জন্যই মুর্শিদাবাদের হিন্দু পরিবারগুলি এখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।” এর আগে গত ২০ এপ্রিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, রাজ্যে হিন্দুরা হুমকির মুখে রয়েছেন। মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় এনআইএ তদন্তও দাবি করেছিলেন তিনি। এই ঘটনার জন্য রাজ্য পুলিশকে দায়ীও করেন শুভেন্দু। একে তিনি ‘নৃশংস হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছেন।

    কী বললেন শুভেন্দু

    সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা আমাদের সংস্কৃতি ও ধর্মকে সজীব রাখতে নিরন্তর কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা হুমকির মুখে। আমরা এনআইএ তদন্ত চাই। এই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য রাজ্য পুলিশ সম্পূর্ণ দায়ী। এখানে সবাই চায় এনআইএ এখানে এসে মামলার দায়িত্ব নিক।” হিংসার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। অখিলেশের এহেন মন্তব্যকে শুভেন্দু বলেন, “অখিলেশ যাদবের বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে প্রেরিত।”

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনের জেরে খুন করা হয় দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পীকে। তাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর (Mamata Banerjee) করা হয়। প্রাণভয়ে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে মালদায় আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। এখনও ভিটেয় ফেরেননি মুর্শিদাবাদ ছেড়ে যাওয়া সব হিন্দু (Suvendu Adhikari)।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা ভারতের ‘জল-বোমা’! বানের জলে ভাসছে পাকিস্তান

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা ভারতের ‘জল-বোমা’! বানের জলে ভাসছে পাকিস্তান

    সুশান্ত দাস

    পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) প্রেক্ষিতে ভারত সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে দেওয়ায় অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এসব করে কী লাভ? তাঁদের মতে, পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে হলে সেখানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করতে হবে। এসব জল বন্ধ করে (Water Treaty) লাভের লাভ কিছুই হবে না।

    ভারতের মাস্টারস্ট্রোক! (Pahalgam Attack)

    তাঁদের প্রশ্নগুলোকে সম্মান দিয়েও প্রশ্নকর্তাদের উদ্দেশে কিছু কথা। জল চুক্তি স্থগিত করার বিষয়টি এত হালকাভাবে নিলে হবে না। এই চুক্তির অনেক ভূ-রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানের। এটা ভারতের একটা মাস্টারস্ট্রোক। কেন? এটা এমন একটা অদৃশ্য অস্ত্র, যা যে কোনও পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই শক্তিশালী। এর প্রভাব মারাত্মক। কীভাবে? এটা জানতে হলে আগে একটু ইতিহাস আওড়ে নেওয়া যাক। ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিতে সিন্ধু এবং এর উপনদীগুলির জল দুই দেশের মধ্যে ন্যায্যভাবে ভাগ করার কথা বলা হয়েছিল। চুক্তির অধীনে, পূর্বাঞ্চলীয় ৩ নদী- বিয়াস (বিপাশা), রাভি (ইরাবতী) এবং সাতলেজ (শতদ্রু)র জল ভারতকে এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় ৩ নদী- চেনাব (চন্দ্রভাগা), সিন্ধু (ইন্ডাস) এবং ঝিলাম (বিতস্তা)-র জল পাকিস্তানকে বরাদ্দ করা হয়েছিল।

    পাকিস্তানে সিন্ধু নদের গুরুত্ব

    এতদিন ধরে এই চুক্তি লাগু থাকার ফলে, সিন্ধুর জলের ওপর কার্যত দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের কৃষি। পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিজমিতে জল সরবরাহ হয় এই চুক্তির মাধ্যমেই। গম, চাল, আখ, তুলো চাষের জন্য এই জল ব্যবহার হয়। পাকিস্তানের সেচের জন্য প্রয়োজনীয় জলের ৯০ শতাংশেরও বেশি আসে সিন্ধু নদ থেকে। এর পাশাপাশি, পাকিস্তানের তারবেলা এবং মাংলার জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রও চলে সিন্ধুর জলেই। ফলে, পাকিস্তানের জিডিপির ২৫ শতাংশ নির্ভর করে এই সিন্ধুর জলের ওপরেই (Water Treaty)। এবার ভারত এই চুক্তি স্থগিত করায় কৃষি থমকে (Pahalgam Attack) যাবে। এমনিতেই, পাকিস্তানে খাদ্যসঙ্কট চূড়ান্ত। তার ওপর কৃষি লাটে উঠলে দেশজুড়ে হাহাকার দেখা দেবে। এমনিতেই পাকিস্তানে প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকে না। তার ওপর বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হলে চরম অন্ধকার নেমে আসবে। সেটাও শরিফ সরকার বিলক্ষণ জানে।

    মসজিদের মাইকে সাইরেন

    এখানেই শেষ নয় কিন্তু। চুক্তি স্থগিত হওয়ার কারণে এবার ভারত আর তথ্য সরবরাহ করবে না। সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব- এই তিন নদীর ওপরে কোনও বড় বাঁধ নেই। তথ্য আদান প্রদান বন্ধ হওয়ায় আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও আপডেট আর পাকিস্তানের কাছে যাবে না। যেমন বন্যার পূর্বাভাস, সেচ ব্যবস্থা -এ সংক্রান্ত তথ্য প্রতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে পৌঁছে যেত পাকিস্তানে। সেই মতো ব্যবস্থা গড়ে উঠত পাকিস্তানে। বন্যা-খরার আগাম মোকাবিলাও পাকিস্তান করতে পারত ভারতের দেওয়া তথ্যের ওপরে ভিত্তি করেই। এবার সেসব কিছুই বন্ধ হল। এর প্রভাব কী হতে চলেছে, তার প্রমাণ মিলেছে শনিবারই। এদিন দুপুরবেলা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে বিপদঘণ্টি (Pahalgam Attack) বেজে ওঠে। চারদিকে হই-হই পড়ে যায়। প্রতিটা মসজিদের মাইকে সাইরেন বেজে ওঠে। জানা যায়, আচমকা ঝিলম নদীর জলস্তর হু-হু করে বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। সেকি কাণ্ড! ভরা গ্রীষ্মে প্লাবিত ঝিলম! বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করে দিয়েছে জল। চকোঠি সীমান্ত থেকে মুজাফফরাবাদ শহর পর্যন্ত, নদীর জল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। যা দেখে স্থানীয়দের আত্মারাম খাঁচা হয়ে যায়। নদী তীরবর্তী সমস্ত গ্রাম – হাতিয়ান বালা, ঘড়ি দুপাট্টা, মাঝোই – সর্বত্র ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে যায়। দ্রুত খালি করা হয় গ্রাম। পরিবারগুলি নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয় (Water Treaty)।

    প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান

    সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান প্রমাদ গুণতে শুরু করে দিয়েছিল। তবে, তারা যেখানে খরার আশঙ্কা করে প্রস্তুতি নিচ্ছিল, সেখানে প্লাবন চলে এল। যাকে বলে, আউট অফ সিলেবাস কোশ্চেন! এর চেয়ে আরও বড় প্রভাব দেখা যায় পাকিস্তানের অন্য প্রান্তে। পহেলগাঁও হত্যার পরের দিনই হামলার দায় নিয়েছিল লস্কর-এ-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। ঝিলম প্লাবিত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আগের দায় ঝেড়ে ফেলে তারা (Pahalgam Attack)। অর্থাৎ, মৌচাকে ঢিল পড়েছে! ফলে, যাঁরা বলছিলেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা, এটাও একটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। তফাতের মধ্যে এখানে অস্ত্র আগুন নয়, এখানে অস্ত্র জল। ভারতের পূবদিকের প্রতিবেশীর নোবেলজয়ী সর্বেসর্বা, তিনি খবর শুনছেন তো! নয়তো কোনওদিন তারাও বানের জলে ভেসে (Pahalgam Attack) যেতে পারে…

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদে দিল্লিতে আজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ‘আক্রোশ যাত্রা’

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদে দিল্লিতে আজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ‘আক্রোশ যাত্রা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) প্রতিবাদে আজ রবিবার দিল্লিতে আক্রোশ যাত্রার ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা বিনোদ বনসল জানিয়েছেন আক্রোশ যাত্রা শুরু হবে দিল্লির পূর্ব কৈলাসে অবস্থিত ইসকন মন্দির থেকে। অন্যদিকে, আরও একটি আক্রোশ যাত্রা (Pahalgam Attack) শুরু হবে দিল্লির বদরপুর থেকে। ইসকন মন্দিরের আক্রোশ যাত্রা শুরু হবে বিকাল পাঁচটা থেকে। বদরপুরের আক্রোশ যাত্রা শুরু হবে বিকাল ৫টা ৪৫ থেকে।

    দিল্লির সন্ত নগরে হবে যজ্ঞ (Pahalgam Attack)

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওই নেতা জানিয়েছেন, ভারতবর্ষের প্রত্যেক নাগরিক এখন সমস্ত কিছু ভুলে গিয়েছেন এবং তাঁরা এ দেশ থেকে দেশদ্রোহীদের বিতারণ করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে আর্য সমাজ মন্দিরে একটি যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। দিল্লির সন্ত নগরে হওয়া ওই যজ্ঞে অংশগ্রহণ করবেন পহেলগাঁও হামলার ক্ষতিগ্রস্তদের (Pahalgam Attack) বেশ কয়েকটি পরিবার। এদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার সময় এসেছে বলে মনে করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওই নেতা।

    পহেলগাঁও হামলা

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, পহেলগাঁও হামলার সন্ত্রাসীরা প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালায়। তাদের হাতে থাকা একে-৪৭ রাইফেল থেকে কমপক্ষে ৫০ রাউন্ড গুলি চালায় জঙ্গিরা। এই সময়ই তারা পর্যটকদের নাম ও ধর্ম জিজ্ঞাসা করে। যারা হিন্দু বলে শনাক্ত হন, তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলায় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের স্কেচ এবং ছবি প্রকাশ করেছে। তদন্তকারীরা এই আক্রমণকারীদের আসিফ ফৌজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা নামে চিহ্নিত করেছে। নিজেদের বয়ানে মৃতদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছিলেন হিন্দু পুরুষদের বেছে বেছে হত্যা করে জঙ্গিরা। আরও দাবি ছিল, নিম্নাঙ্গের পোশাক পর্যন্ত খোলা হয় ধর্ম যাচাই করতে। এমন বয়ানের সঙ্গে মিলে গিয়েছে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসা তথ্য। অর্থাৎ, জঙ্গিরা নির্দিষ্ট করেই হিন্দু পুরুষদের হত্যা করতেই এসেছিল। সেটাই ছিল হামলার মূল ছক। তদন্তে উঠে এসেছে ২০জন পর্যটকের প্যান্টের চেইন খোলা হয় শুধুমাত্র ধর্ম যাচাই করতে।

  • PM Modi: “ন্যায় মিলকে রহেগা,” ‘মন কি বাতে’ পহেলগাঁওকাণ্ডে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “ন্যায় মিলকে রহেগা,” ‘মন কি বাতে’ পহেলগাঁওকাণ্ডে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ন্যায় মিলকে রহেগা (ন্যায় অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে)।” রবিবার ‘মন কি বাতে’র (Mann Ki Baat) ১২১তম পর্বে পহেলগাঁওকাণ্ডে এই আশ্বাসই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে তিনি বলেন, “আমার হৃদয় গভীর বেদনায় ভারী। তবে এটা জেনে রাখুন, এই হামলার ষড়যন্ত্রকারী ও অপরাধীরা কঠোরতম প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।” এর পরেই তিনি আশ্বাস দেন, ন্যায় অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে।

    আমার হৃদয় গভীর বেদনায় ভরা (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি যখন আপনাদের সঙ্গে হৃদয়ের কথা বলছি, আমার হৃদয় গভীর বেদনায় ভরা। ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা দেশের প্রতিটি নাগরিককে মর্মাহত করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের প্রতি প্রতিটি ভারতীয় গভীর সমবেদনা অনুভব করছে। তাঁরা যে কোনও রাজ্যের বা কোনও ভাষার মানুষই হোন না কেন, এই হামলার ছবি দেখে প্রতিটি নাগরিক রাগে জ্বলছে বলে আমি বুঝতে পারছি।” তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের এই কাজ তাদের দুর্বলতা ও ভীতিরই প্রতিফলন। ভারতীয়রা ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করবে (PM Modi)।”

    কাশ্মীরের উন্নয়ন শত্রুরা মেনে নিতে পারেনি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কাশ্মীরে যখন শান্তি ফিরে এল, দেশের শত্রু ও জম্মু-কাশ্মীরের শত্রুরা তা মেনে নিতে পারেনি। জঙ্গি ও তাদের প্রভুরা কাশ্মীরকে আবার ধ্বংসস্তূপে দেখতে চায়। তাই এমন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছে, তাতে দেশের ঐক্যই হল এর সবচেয়ে বড় শক্তি।” এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশবাসীকে তাদের সংকল্প দৃঢ় করার আহ্বানও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অঞ্চলটিতে (পহেলগাঁওয়ে) পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি, মানুষের রোজগার বাড়ানো এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার বিষয়গুলো হামলার পিছনে থাকা শক্তিগুলো মেনে নিতে পারছিল না।”

    তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে এই হামলা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকদের মরিয়া হয়ে ওঠার লক্ষণ। এটি তাদের কাপুরুষতা প্রকাশ করে। যে সময়ে কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল, স্কুল-কলেজে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছিল, নির্মাণকাজ অভূতপূর্ব গতি পেয়েছিল, গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছিল, পর্যটকের সংখ্যা রেকর্ড হারে বাড়ছিল, মানুষের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছিল, যুবসমাজের জন্য (Mann Ki Baat) নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল – দেশের শত্রুরা, জম্মু ও কাশ্মীরের শত্রুরা এসব সহ্য করতে পারেনি। তাই এই হামলা (PM Modi)।”

  • Pahalgam Attack: মোদিকে সমবেদনা বিশ্বনেতাদের, দিলেন সন্ত্রাসবাদ দমনে পাশে থাকার বার্তাও

    Pahalgam Attack: মোদিকে সমবেদনা বিশ্বনেতাদের, দিলেন সন্ত্রাসবাদ দমনে পাশে থাকার বার্তাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় (Pahalgam Attack) পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ফোন করেছেন একের পর এক বিশ্ব নেতারা। জঙ্গি হামলার নিন্দা করার পাশাপাশি তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে সমবেদনাও জানিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতের প্রচেষ্টায় সমর্থনও জানিয়েছেন তাঁরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে নিরীহ মানুষের প্রাণহানির জন্য সমবেদনা জানান। তিনি হামলার নিন্দাও করেন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানান।

    কী বললেন ট্রাম্প(Pahalgam Attack)

    এক্স হ্যান্ডেলে বিদেশমন্ত্রক জানিযেছে, “প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি হামলায় নিরীহ মানুষের প্রাণহানির জন্য গভীর সমবেদনা জানান। তিনি এই নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা করেন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একত্রে দাঁড়িয়েছে।”

    সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাষ্ট্রপতির বক্তব্য

    সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (ইউএই) রাষ্ট্রপতি মোহামেদ বিন জায়েদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে জম্মু ও কাশ্মীরে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং ভারতের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে লেখা হয়েছে, “উভয় নেতাই একমত হন যে সন্ত্রাসবাদের সব রূপ ও প্রকাশকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এই জঘন্য অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ও তাদের সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনার ভারতের দৃঢ় সংকল্পের কথা (Pahalgam Attack) জানান।”

    অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজি এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু-ও জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, শোক প্রকাশ করেছেন এবং সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টায় ভারতকে সমর্থন করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে বিদেশমন্ত্রক লিখেছে, “অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে জম্মু-কাশ্মীরের নৃশংস জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে তিনি শোক প্রকাশ করেছেন এবং (PM Modi) এই দুঃসময়ে ভারতের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি ভারতকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন।” ভারতের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও। তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদকে কোনওভাবেই বৈধতা দেওয়া যায় না (Pahalgam Attack)।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও কাণ্ডে ভারতকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিল দিল এফবিআই

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও কাণ্ডে ভারতকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিল দিল এফবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পরে ভারতকে সব ধরনের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিল ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। সমাজ মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের পরিচালক কাশ প্যাটেল। ওই পোস্টে এফবিআই পরিচালক লিখেছেন, ‘‘কাশ্মীরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার সকল ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি এফবিআই সমবেদনা জানাচ্ছে। ভারত সরকারের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’’ সন্ত্রাসবাদের কুফলের কারণে বিশ্ব যে ক্রমাগত হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, এই ঘটনা তাও স্মরণ করিয়ে দেয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

    আগেই ভারতকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল জঙ্গি হামলা হয় জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় (Pahalgam Attack)। এখানেই জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ২৬ জন পর্যটকের। অভিযোগ বেছে বেছে হিন্দুদের হত্য়া করা হয়। ওই হামলার পরেই ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়াতে একথা জানানোর পাশাপাশি তিনি টেলিফোনে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সঙ্গে। তখনই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে (Pahalgam Attack) ভারতকে সব রকমের সাহায্য করার কথা জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    আগেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান

    প্রসঙ্গত , শুক্রবারই পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ান মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড ।জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি, জঙ্গিদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা বলেও জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড  নিজের সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘পহেলগাঁওতে ২৬ জন হিন্দুকে হত্যা করেছে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীরা (Pahalgam Attackers)। এর নিন্দা করছি এবং আমরা ভারতের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। যাঁরা তাদের প্রিয়জন হারালেন তাঁদের প্রতি আমার প্রার্থনা এবং গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতের সমস্ত নাগরিকের পাশে আছে আমেরিকা। এই জঘন্য হামলার জন্য দোষীদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতের পাশে আছে আমেরিকা।’’

  • Pakistan: শনিবার মধ্যরাতে ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    Pakistan: শনিবার মধ্যরাতে ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। রবিবারই এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ভারতের সেনা। নিজেদের বিবৃতিতে ভারতীয় সেনা (Indian Army) জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। ভারতীয় সেনা এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরে এটা ছিল তৃতীয় রাত, যখন পাকিস্তান (Pakistan) নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়।

    ভারতীয় সেনার বিবৃতি (Pakistan)

    ভারতীয় সেনা নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘২৬-২৭ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে, পাকিস্তানি (Pakistan) সেনা তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলিবর্ষণ করে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।’’ এদিকে, শনিবারই সেনাবাহিনী (Indian Army) এবং সিআরপিএফের যৌথ অভিযানে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। এদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে সে দেশের সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণ করছে এমনটাই খবর উঠে আসতে থাকে। শনিবার রাতে ফের চলে গুলি। সাম্প্রতিক সময়ে এই ঘটনা ঘটেনি বলেই জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। যদিও পাক সেনা যে গুলি চালিয়েছে, তার পাল্টা জবাব ভারতের সেনাবাহিনীও দিয়েছে প্রতিবার। এই হামলাগুলিতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    শনিবার গ্রেফতার করা হয় ২ জঙ্গিকে

    জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাঁও থেকে শনিবারই গ্রেফতার করা হল দুই কাশ্মীরি তরুণকে। ধৃতদের নাম বিলাল আহমেদ ভাট এবং মহম্মদ ইসমাইল ভাট। দুজনেই কুলগাঁও জেলার বাসিন্দা। কুলগাঁও জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই তরুণের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, ২৫ রাউন্ড গুলি এবং দুটি ম্যাগাজিন পাওয়া গিয়েছে। পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে জঙ্গিদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ চেক পয়েন্টগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এই তল্লাশি অভিযানেই কুলগাঁওয়ের কাইমো শহরের ঠোকেরপোরা এলাকায় একটি চেক পয়েন্টে আটক করা হয় দুই কাশ্মীরি তরুণকে। তারা জঙ্গিদের সাহায্য করত বলে অভিযোগ।

  • Pahalgam Attack: “গীতার অনুসারীরা উগ্র মুর্খতার মুখে অসহায় হয়ে দাঁড়ায় না,” বললেন লেখক প্রশান্ত

    Pahalgam Attack: “গীতার অনুসারীরা উগ্র মুর্খতার মুখে অসহায় হয়ে দাঁড়ায় না,” বললেন লেখক প্রশান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত গীতার দেশ এবং এর অনুসারীরা কখনও উগ্র মুর্খতার মুখে অসহায় হয়ে দাঁড়ায় না।” পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রশান্ত অদ্বৈত ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রখ্যাত লেখক আচার্য প্রশান্ত (Acharya Prashant)।

    কী বললেন প্রশান্ত (Pahalgam Attack)

    গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় খুন হন ২৭ জন হিন্দু। এক জঙ্গির বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন হন স্থানীয় এক মুসলিমও। সেই হামলা প্রসঙ্গেই ভারতকে গীতার দেশ বলে উল্লেখ করেন প্রশান্ত। তিনি জানান, গীতা অন্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করতে নিষেধ করে, জীবনের যুদ্ধ থেকে পলায়ন করতে বারণ করে। তিনি বলেন, “যারা সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের মনে রাখা উচিত, আমরা এমন মানুষ নই যারা মাথা নত করি। ভারত গীতার ভূমি। গীতার অনুসারীরা কখনও উগ্র মুর্খতার মুখে অসহায় হয়ে দাঁড়ায় না। গীতা অন্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করতে, পরাজয় মেনে নিতে বা জীবনের যুদ্ধ থেকে পলায়ন করতে নিষেধ করে।”

    গীতা কেবল দর্শন বা বিমূর্ত চিন্তা নয়

    গীতা যে জীবনযাপনের একটি ব্যবহারিক নির্দেশিকা, সে কথার উল্লেখ করে প্রশান্ত বলেন, “সত্যের পাশে থাকলে ভয় পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। গীতা কেবল দর্শন বা বিমূর্ত চিন্তা নয়। এটি সাহসের সঙ্গে বাঁচার একটি ব্যবহারিক নির্দেশিকা। ভয়, ঘৃণা ও সহিংসতা আপনাকে চ্যালেঞ্জ করবে, কিন্তু গীতা দাবি করে যে আপনি চোখ খুলুন, বাস্তবতার মোকাবিলা করুন এবং স্বচ্ছতার শক্তি দিয়ে প্রতিক্রিয়া দিন। সত্যের পাশে থাকলে আপনি ভয় পাওয়া বন্ধ করে দেবেন।”

    তিনি বলেন, “পহেলগাঁও হামলা কয়েকজনের বর্বরতা নয়। এটি গভীরভাবে প্রোথিত মুর্খতা ও ঘৃণার ফল, জাতি হিসেবে যার মোকাবিলা আমাদের করতে হবে (Pahalgam Attack)।”

    গীতায় শ্রীকৃষ্ণের অর্জুনকে দেওয়া শিক্ষার উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শ্রীকৃষ্ণ যেমন অর্জুনকে গীতায় বলেছিলেন অজ্ঞতার শক্তি প্রতিটি যুগে ফিরে আসবে। আর সেগুলির বিরুদ্ধে লড়তে প্রতিটি যুগে গীতার প্রয়োজন হবে। আমাদের শক্তি আসবে জ্ঞান থেকে। গীতার স্পষ্টতা ও সাহস ছাড়া অর্জুন যুদ্ধক্ষেত্রে একটি তীরও ছুড়তে পারতেন না। ধর্মের বিকৃতি সমাজের সবচেয়ে হিংস্র শক্তি হতে পারে। যখন ধর্ম শুদ্ধ থাকে, তা জীবনকে উৎকর্ষ দেয়। যখন তা কুসংস্কার ও উগ্রতায় পচে যায়, মানবতার মৌল কাঠামোকেই হুমকির মুখে ফেলে (Acharya Prashant)। তিনি বলেন, আজ ভারতের গীতার দিকনির্দেশনা প্রয়োজন, এবং আমাদের নিঃশঙ্ক দৃঢ়তা ও পরম স্পষ্টতা দিয়ে হিংসার জবাব দিতে হবে (Pahalgam Attack)।”

LinkedIn
Share