Tag: bangla news

bangla news

  • Daily Horoscope 25 April 2025: চাকরিতে সুখবর আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 25 April 2025: চাকরিতে সুখবর আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) আগুপিছু না ভেবে উপার্জনের রাস্তায় পা দেবেন না।

    ২) অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) কর্মচারীদের জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) ভালো কথার দ্বারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।

    ২) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) আশাহত।

    ধনু

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন চঞ্চল থাকবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 333: “রাত্রে একটু সুজির পায়েস ও একখানি কি দুখানি লুচি খান, ঠাকুর রামলালকে বলিতেছেন সুজি কি আছে?”

    Ramakrishna 333: “রাত্রে একটু সুজির পায়েস ও একখানি কি দুখানি লুচি খান, ঠাকুর রামলালকে বলিতেছেন সুজি কি আছে?”

    ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ৯ই নভেম্বর
    ভক্তসঙ্গে সংকীর্তনানন্দে

    ভক্ত সঙ্গে–ভক্তকথাপ্রসঙ্গে 

    মণি এবং গোপালের আর যাওয়া হইল না, তাঁহারা আজ রাত্রে থাকিবেন। তাঁহারা ও আরও ২/১ জন ভক্ত মেঝেতে বসিয়া আছেন। কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর শ্রীযুক্ত রাম (Ramakrishna) চক্রবর্তীকে বলিতেছেন, “রাম, এখানে যে আর-একখানি পাপোশ ছিল। কোথায় গেল?”

    ঠাকুর (Ramakrishna) সমস্ত দিন অবসর পান নাই—একটু বিশ্রাম করিতে পান নাই। ভক্তদের ফেলিয়া কোথায় যাইবেন! এইবার একবার বর্হিদেশে যাইতেছেন। ঘরে ফিরিয়া আসিয়া দেখিলেন যে, মণি রামলালের নিকট গান লিখিয়া লইতেছেন (Kathamrita) —

    “তার তারিণি!
    এবার ত্বরিত করিয়ে তপন-তনয়-ত্রাসিত”—ইত্যাদি।

    ঠাকুর মণিকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “কি লিখছো?” গানের কথা শুনিয়া বলিলেন, “এ যে বড় গান।”

    রাত্রে ঠাকুর একটু সুজির পায়েস ও একখানি কি দুখানি লুচি খান। ঠাকুর রামলালকে বলিতেছেন (Kathamrita), “সুজি কি আছে?”

    গান এক লাইন দু’লাইন লিখিয়া মণি লেখা বন্ধ করিলেন।

    ঠাকুর মেঝেতে আসনে বসিয়া সুজি খাইতেছেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) আবার ছোট খাটটিতে বসিলেন। মাস্টার খাটের পার্শ্বস্থিত পাপোশের উপর বসিয়া ঠাকুরের সহিত কথা কহিতেছেন। ঠাকুর নারায়ণের কথা বলিতে বলিতে ভাবযুক্ত হইতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আজ নারায়ণকে দেখলুম।

    মাস্টার—আজ্ঞা হাঁ, চোখ ভেজা। মুখ দেখে কান্না পেল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ওকে দেখলে যেন বাৎসল্য হয়। এখানে আসে বলে ওকে বাড়িতে মারে। ওর হয়ে বলে এমন কেউ নাই। ‘কুব্জা তোমায় কু বোঝায়। রাইপক্ষে বুঝায় এমন কেউ নাই।’

    মাস্টার (সহাস্যে) — হরিপদর বাড়িতে বই রেখে পলায়ন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) —ওটা ভাল করে নাই।

    ঠাকুর চুপ করিয়াছেন। কিয়ৎক্ষণ পরে কথা কহিতেছেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—দেখ, ওর খুব সত্তা। তা না হলে কীর্তন শুনতে শুনতে আমায় টানে! ঘরের ভিতর আমার আসতে হল। কীর্তন ফেলে আসা—এ কখনও হয় নাই।

  • India-Pak Simla Agreement: যুদ্ধের পথে পাকিস্তান! সিমলা চুক্তি স্থগিত, এখনও কেন গুরুত্বপূর্ণ এই সন্ধি?

    India-Pak Simla Agreement: যুদ্ধের পথে পাকিস্তান! সিমলা চুক্তি স্থগিত, এখনও কেন গুরুত্বপূর্ণ এই সন্ধি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন পর্যটকের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে তলানিতে পৌঁছেছে। ভারতের কঠোর পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে, তারা ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি (Simla Agreement) সহ ভারতের সঙ্গে সমস্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করা হচ্ছে।

    সিমলা চুক্তি কী

    ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যুদ্ধের পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সিমলা চুক্তি (India-Pak Simla Agreement) স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তি মূলত একটি শান্তিচুক্তি, যার আওতায় নিয়ন্ত্রণরেখার দুই তরফে শান্তি বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয় দুই দেশ। ১৯৭২ সালের ২ জুলাই, হিমাচলপ্রদেশের সিমলায় ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকর ভুট্টোর মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে গণ্য হয় এই চুক্তি। এর ফলে যুদ্ধ ভুলে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সৌজন্য বজায় রাখার পাশাপাশি, সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে শান্তি টিকিয়ে রাখতে সম্মত হয় দুই দেশ।

    চুক্তিতে কী ছিল

    ● দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে মধ্যস্থতা করবে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

    ● যাবতীয় সংঘাত, মতানৈক্য শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে মেটাবে দুই দেশ, পারস্পরিক বোঝাপড়াকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

    ● কোনও পক্ষ শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটাবে না, কোনও সংগঠন বা গোষ্ঠী শান্তি ও সম্প্রীতি ভঙ্গ করতে চাইলে, তা রুখবে।

    ● প্রতিবেশী দেশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ অবস্থান, পরস্পরের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমিকতাকে সম্মান জানাবে দুই দেশ। একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না।

    ● রাষ্ট্রপুঞ্জের বিধি মেনে কেউ কাউকে হুমকি দেবে না, কেউ কারও আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতার উপর বলপ্রয়োগ করবে না।

    ● ওই চুক্তি মেনে যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের যে ১৩০০০ বর্গকিলোমিটার জায়গা ভারত দখল করেছিল, তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ টুরটুক এবং চালুঙ্কা ধরে রাখে ভারত।

    ● আর এই সিমলা চুক্তির পরই স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় পাকিস্তান, যার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভারত।

    চুক্তির পরবর্তী প্রভাব 

    চুক্তিটি (India-Pak Simla Agreement) একটি কূটনৈতিক কাঠামো তৈরি করলেও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক চিরস্থায়ী শান্তি দেখেনি। সিয়াচেন সংঘর্ষ (১৯৮৪), কারগিল যুদ্ধ (১৯৯৯) এবং নিয়মিত সীমান্ত উত্তেজনা প্রমাণ করে যে, সিমলা চুক্তির প্রতিশ্রুতি অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবায়িত হয়নি। ভারত আজও সিমলা চুক্তিকে আন্তর্জাতিক ফোরামে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যানের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করে। পাকিস্তান কখনো কখনো কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চায়, যা এই চুক্তির ব্যাখ্যা নিয়ে মতানৈক্য সৃষ্টি করে।

    চুক্তির স্থগিতকরণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ

    পাকিস্তানের তরফ থেকে সিমলা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে একটি বড় ধাক্কা। এটি একদিকে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি করছে, অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে থাকা একটি ঐতিহাসিক চুক্তির কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও চুক্তিটি অনেক সময়েই উপেক্ষিত হয়েছে, তবু এটি দুই দেশের সম্পর্কের মৌলিক কাঠামো হিসেবে গণ্য ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই চুক্তির ভবিষ্যৎ ও উপযোগিতা নিয়ে ফের একবার আলোচনা শুরু হয়েছে।

  • Pahalgam Terror Attack: সোশাল মিডিয়াতেও বয়কট, পহেলগাঁও হামলার জবাবে পাক সরকারের এক্স হ্যান্ডেল ব্লকের নির্দেশ কেন্দ্রের

    Pahalgam Terror Attack: সোশাল মিডিয়াতেও বয়কট, পহেলগাঁও হামলার জবাবে পাক সরকারের এক্স হ্যান্ডেল ব্লকের নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) প্রতিবাদে পাক সরকারকে প্রচারমাধ্যমও বয়কট করল নয়াদিল্লি। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ভারতে আর দেখা যাবে না পাক সরকারের সরকারি এক্স হ্যান্ডেল। অ্যাকাউন্টটি ব্লক করার নির্দেশ দিল নয়াদিল্লি। সাধারণত এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে কোনও দেশের সরকার বিভিন্ন সরকারি বিবৃতি, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে অবস্থান ঘোষণা করে।

    কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের নির্দেশ

    পাক সরকারের সরকারি এক্স হ্যান্ডেল এতদিন ভারতে দেখা যেত। বৃহস্পতিবার থেকে সেটা আর দেখা যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের নির্দেশেই পাক এক্স হ্যান্ডেল বন্ধ করেছে ওই সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় যে নারকীয় হত্যালীলা (Pahalgam Terror Attack) চলেছে, তার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। এদেশে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ভিসা। এর পাশাপাশি বাতিল হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়েছেন, যতদিন না পর্যন্ত পাকিস্তান সীমান্ত সন্ত্রাস থামাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই চুক্তি কার্যকর থাকবে না।

    পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিক আঘাত

    পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) প্রত্যাঘাতে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিকভাবে আঘাত এনেছে নয়াদিল্লি। বন্ধ করা হয়েছে ওয়াঘা-আটারি সীমান্তও। আর এইসবের পর পাকিস্তানের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলের অ্যাকসেসও বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এছাড়াও দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানের শীর্ষ কূটনীতিককে সাদ আহমেদ ওয়ারিচকে তলব করেছে ভারত। পার্সোনা নন গ্রাটা অর্থাৎ তিনি অবাঞ্ছিত বলে দিল্লির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ বলতে এমন ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি গ্রাহক রাষ্ট্র কর্তৃক অগ্রহণযোগ্য ও অবাঞ্চিত ঘোষিত হয়েছে। এ ধরনের ব্যক্তি অবাঞ্চিত বলে ঘোষিত হলেই ওই দেশ থেকে ‘প্রত্যাহারযোগ্য’ বলে বিবেচিত হবে। দুই দেশের হাই কমিশনে কর্মরত সাপোর্ট স্টাফদেরও সংখ্যা হ্রাস পাবে। বিক্রম মিশ্রি এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ১ মে ২০২৫ থেকে দুই দেশের হাই কমিশনের মোট জনবল ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনা হবে। ভারতের এই পদক্ষেপগুলো স্পষ্টতই পাকিস্তানের প্রতি একটি শক্ত বার্তা, যে সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের বিরুদ্ধে ভারত কোনোভাবেই আপস করবে না।

     

     

     

     

     

  • Karnataka: কর্নাটকে ফের পৈতা পরে ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে বাধা, বরখাস্ত কলেজ অধ্যক্ষ ও কেরানি

    Karnataka: কর্নাটকে ফের পৈতা পরে ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে বাধা, বরখাস্ত কলেজ অধ্যক্ষ ও কেরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার্থীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ করার ফের অভিযোগ উঠল কর্নাটকে (Karnataka)। এই ঘটনায় কলেজের অভিযুক্ত অধ্যক্ষ এবং এক কেরানিকে বরখাস্ত করল কর্নাটকের উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। সম্প্রতি, কর্নাটকের ব্রাহ্মণ ছাত্রদের পৈতা (Sacred Thread) পরে পরীক্ষা দেওয়াতে বাধার অভিযোগ ওঠে। কয়েকদিন আগেই সে রাজ্যের শিবমোগায় দুই পরীক্ষার্থীর পৈতা ছিড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় তোলপাড় হয় কর্নাটক। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের পৈতা পরে পরীক্ষা না দিতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিদারে। এই ঘটনাতেই সাসপেন্ড করা হল অধ্যক্ষ ও কেরানিকে।

    অভিযোগের ভিত্তিতে বরখাস্ত অধ্যক্ষ চন্দ্রশেখর বীরাদরা

    জানা গিয়েছে, কর্নাটক (Karnataka) কমন এন্ট্রাস টেস্টের পরীক্ষার্থী সুচিব্রত কুলকার্নিকে পৈতা পরে থাকার কারণে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার তিনি নিজের গণিত পরীক্ষা দিতে পারেননি শুধুমাত্র পৈতা পরার কারণে। পরবর্তীকালে তিনি এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরে কর্নাটকের বিদারে ডেপুটি কমিশনার শিল্পা শর্মার রিপোর্টের ভিত্তিতে কর্নাটকের উচ্চশিক্ষা বিভাগ পদক্ষেপ করে কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। সাইস্ফূর্তি কলেজের অধ্যক্ষ চন্দ্রশেখর বীরাদরা এবং কেরানি সতীশ পাওয়ারকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

    কী বলা হয়েছে রিপোর্টে?

    প্রসঙ্গত, পরীক্ষার সময় যে কোনও ধাতুর জিনিসপত্র নিয়ে পরীক্ষা হলে না ঢোকার নির্দেশিকা রয়েছে। পৈতা যা ধাতববিহীন, তা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন আচরণ পরীক্ষার নির্দেশিকাকে লঙ্ঘন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। আরও বলা হয়েছে যে কলেজের কর্মীরা ছাত্রটির প্রতি অপমানজনক মন্তব্য করেছে এবং তাঁকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার ১৭ এপ্রিল ওই ছাত্র গণিত পরীক্ষায় বসতে না পারলেও, তার আগের দিন ১৬ এপ্রিল কুলকার্নিকে ওই একই কেন্দ্রে পৈতা পরে পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এখানে উঠছে প্রশ্ন। প্রথম দুটি পরীক্ষা ওই ছাত্র দিতে পারলে শুধুমাত্র গণিত পরীক্ষাতে কেন বাধা দেওয়া হল!

    ইঞ্জিনিয়ারিং র‍্যাঙ্কিং পাবেন ওই ছাত্র

    এ নিয়ে কর্নাটকের (Karnataka) উচ্চশিক্ষা দফতরের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, গণিত পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রটি ইঞ্জিনিয়ারিং র‍্যাঙ্কিং পাবেন। এ নিয়ে সে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী এমসি সুধাকরের সঙ্গে আলোচনাও করবে উচ্চশিক্ষা দফতর। একইসঙ্গে ছাত্রটির প্রতি ন্যায় বিচার করতে পুনঃপরীক্ষাও নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়ে কর্নাটকের উচ্চ শিক্ষা দফতরের ওই আধিকারিক।

  • Mossad: বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতীয় অর্থনীতি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী? দাবি মোসাদের

    Mossad: বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতীয় অর্থনীতি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী? দাবি মোসাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির জমানায় হাল ফিরেছে ভারতের অর্থনীতির। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারতের স্থান এখন পাঁচ নম্বরে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) কীভাবে ভারতীয় অর্থনীতি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন, তা ফাঁস করেছে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ (Mossad)। এই মোসাদ রাহুল এবং কংগ্রেসের ওভারসিজ নেতা স্যাম পিত্রোদার ওপর গোপনে নজরদারি অভিযান চালায় বলে অভিযোগ। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে এই অভিযান শুরু হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় বিরোধী দলীয় নেতাদের বিতর্কিত আমেরিকান শর্ট-সেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের সঙ্গে সম্ভাব্য যোগসূত্র খুঁজে বের করা।

    স্পুটনিকের খবর (Mossad)

    রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা স্পুটনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কর্পোরেট জালিয়াতির অভিযোগ এনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই মোসাদ এই বিষয়ে জড়িয়ে পড়ে। এই প্রতিবেদনের প্রভাবে আদানি গ্রুপের বাজার মূল্য প্রায় ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে যায়। বড়সড় ধস নামে ভারতের শেয়ার বাজারে।

    হাইফা বন্দরের শেয়ার

    ওই সময় আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন (এপিএসইজেড) ইজরায়েলের কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাইফা বন্দরের অধিকাংশ শেয়ার কেনার জন্য ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি চূড়ান্ত করেছিল। ১৮ মাসের প্রতিযোগিতামূলক দরাদরির পর সম্পন্ন হয় চুক্তি। এই চুক্তিকে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (আইএমইইসি) প্রকল্পের মূল স্তম্ভ হিসেবে দেখা হচ্ছিল (Rahul Gandhi)।

    নেতানিয়াহুর প্রশ্ন

    হাইফা বন্দর অধিগ্রহণের সভায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানিকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “হিন্ডেনবার্গের এই প্রতিবেদনটি আপনার ব্যবসার জন্য একটি বড় হুমকি, তাই না?” আদানি সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন, “একেবারেই না। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা (Mossad)।”
    তবে নেতানিয়াহুকে অপ্রতিভ দেখাচ্ছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি বলেছিলেন, “আপনি যদি কোনও হুমকি না-ও দেখেন, আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে। এটি আপনাকে দুর্বল করলে শুধু এই বন্দর চুক্তিই নয়, ভারতের সঙ্গে যে সম্পর্ক আমরা গড়ে তুলেছি, তা নষ্ট হতে পারে।” হিন্ডেনবার্গের অভিযোগগুলিকে ইজরায়েলের স্বার্থের বিরুদ্ধে পরোক্ষ আক্রমণ বলে উল্লেখ করে নেতানিয়াহু আদানিকে আশ্বস্ত করেন, “ইজরায়েল তার বন্ধুদের রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এটি খতিয়ে দেখব।” এর পরেই আদানির অজান্তেই নেতানিয়াহু মোসাদকে সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেন।

    অপারেশন জেপেলিন

    স্পুটনিকের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে চালু হয় অপারেশন জেপেলিন। এটি একটি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহমূলক উদ্যোগ, যা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট ও তার পরবর্তী প্রভাব পরিকল্পনা বা সমর্থনকারী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ট্র্যাক করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। মোসাদের দুটি এলিট ইউনিট – টজমেট এবং কেশেত তৎপরতা শুরু করে। তাদের মিশন ছিল প্রতিবেদনের উৎস ও পৃষ্ঠপোষকদের শনাক্ত করা, যাকে কেবল একটি কর্পোরেট আক্রমণ নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ ভারত-ইসরায়েলি জোটের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে ভূ-অর্থনৈতিক আক্রমণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় (Mossad)।

    মোসাদের দাবি

    হিন্ডেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন ও তাঁর নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক অফিসকে নজরদারির আওতায় আনা হয়। মোসাদের দাবি, এই ষড়যন্ত্রে অ্যাক্টিভিস্ট ল’ইয়ার, সিমপ্যাথেটিক মিডিয়া আউটলেট, হেজ ফান্ড এবং হাইপ্রোফাইল রাজনৈতিক নেতারা জড়িত রয়েছেন। তাদের আরও দাবি, এই ব্যক্তিদের একটি বড় অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন, ডিপ স্টেট এবং জর্জ সরোসের সঙ্গে যুক্ত।মোসাদের তদন্তের অভিমুখ শীঘ্রই ঘুরে যায় ভারতের বিশিষ্ট বিরোধী নেতাদের দিকে, যার মধ্যে রয়েছেন রাহুল গান্ধী ও স্যাম পিত্রোদা। স্পুটনিকের দাবি, পিত্রোদার আমেরিকা-ভিত্তিক বাড়ির সার্ভার থেকে পাওয়া এনক্রিপ্টেড তথ্য থেকে গোপন যোগাযোগ ও ব্যাকচ্যানেল আলোচনার প্রমাণ মিলেছে, যা তাঁদের হিন্ডেনবার্গ ও এর গ্লোবাল সমর্থকদের সঙ্গে যুক্ত করছে।

    ‘বিটার ডাইনাস্ট’

    এই দাবি অনুযায়ী, মোসাদের অভ্যন্তরীণ নথিতে যাকে ‘বিটার ডাইনাস্ট’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই রাহুল গান্ধী আদানি গোষ্ঠী ও মোদি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে হিন্ডেনবার্গের নেটওয়ার্কের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় সাধন করছিলেন। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মে মাসে রাহুল ক্যালিফোর্নিয়ার প্যালো অল্টোয় ছিলেন, যেখানে তিনি হিন্ডেনবার্গ অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেন। অন্যদিকে, ব্লিৎসের তদন্ত রিপোর্ট বলছে, নিউ ইয়র্কে নাথান অ্যান্ডারসনের সঙ্গে রাহুলের গোপন বৈঠকও হয়েছে (Mossad)।

    যদিও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস হিন্ডেনবার্গ, সোরোস বা কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ অভিযানের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে। তাদের সাফ কথা, এই অভিযোগগুলি হিন্ডেনবার্গ প্রতিবেদনের মূল বিষয়বস্তু থেকে মনোযোগ সরাতে একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিজের দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যতই মহৎ হোক না কেন, কখনওই ন্যায্য হতে পারে না। মোসাদের ‘অপারেশন জেপেলিনে’ প্রকাশিত তথ্য যদি সত্যি হয়, তাহলে রাহুল গান্ধীর বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ – যার মধ্যে রয়েছেন ডিপ স্টেটের (Rahul Gandhi) এজেন্টরা, জর্জ সরোস এবং অন্যান্য ভারত-বিরোধী নেটওয়ার্ক –রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে (Mossad)।

  • PM Modi: ‘‘সন্ত্রাসীদের সাজা হবে কল্পনাতীত, ধারণার বাইরে’’, পহেলগাঁও হামলা নিয়ে গর্জে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘সন্ত্রাসীদের সাজা হবে কল্পনাতীত, ধারণার বাইরে’’, পহেলগাঁও হামলা নিয়ে গর্জে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়। হিন্দু পর্যটকদের বেছে বেছে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। বৃহস্পতিবারই বিহারের মধুবনীতে সভামঞ্চে হাজির ছিলেন  প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। সেখানেই সন্ত্রাস হামলা নিয়ে গর্জে উঠলেন তিনি। দেশের প্রধানমন্ত্রীর হুঙ্কার, হামলায় জড়িত জঙ্গিদের ও নেপথ্যে যে সমস্ত ষড়যন্ত্রীরা রয়েছে তাদের কল্পনাতীত সাজা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এদিন পঞ্চায়েতরাজ দিবস উপলক্ষেই বিহার সফরে যান প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানেই পহেলগাঁও ইস্যুতে (Pahalgam Attack) জঙ্গিদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিতে শোনা যায় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে হাজির ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

    সভা শুরুর আগে ২ মিনিট নীরবতা পালন করেন মোদি (PM Modi)

    নিজের বক্তব্যে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘স্পষ্ট শব্দে বলে দিতে চাই, যারা এই হামলা চালিয়েছে, ওই জঙ্গিদের ও ষড়যন্ত্রকারীদের এমন সাজা দেওয়া হবে, যা তাদের ধারণার বাইরে। সাজা হবেই।’’ এদিন মধুবনীতে সভা শুরুর আগে পহেলগাঁওতে (Pahalgam Attack) নিহতদের স্মরণে হাতজোড় করে ২ মিনিট নীরবতাও পালন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ভারতের আত্মার ওপর এমন হামলা চালানো হয়েছে

    নিজের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘কোটি কোটি দেশবাসী আজ দুঃখিত। পহেলগাঁওতে নিরীহদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। নিহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে গোটা দেশ। সরকার আহতদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করছে। কেউ সন্তান হারিয়েছেন, কেউ ভাই, কেউ আবার জীবনসঙ্গীকে হারিয়েছেন। তাঁদের কেউ বাংলা বলত, কেউ কন্নড়, কেউ মারাঠা। কার্গিল থেকে কন্যাকুমারী সকলেই এখন ক্ষোভে ফুঁসছে।’’ ভারতের আত্মার ওপর এমন হামলা চালানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত জঙ্গিদের তাড়া করব

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন আরও বলেন, ‘‘আজ আমি বিহারের মাটি থেকে সমগ্র বিশ্বকে বলছি, ভারত প্রত্যেকটি জঙ্গি এবং তাদের ষড়যন্ত্রীদের চিহ্নিত করবে। খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে। আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত এই জঙ্গিদের তাড়া করব। ভারতবর্ষের চেতনাকে কখনোই জঙ্গিরা শেষ করতে পারবে না।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন বলেন, ‘‘পুরো দেশ বর্তমানে সংকল্পবদ্ধ। যাঁরা মানবতায় বিশ্বাস রাখেন, তাঁরা সকলেই আমাদের সঙ্গে আছেন। শাস্তি এতটাই কঠোর হবে যে সন্ত্রাসবাদীরা কখনও তা ভাবতে পারেনি।’’

    ১৪০ কোটি ভারতীয়র ইচ্ছাশক্তি দিয়ে জঙ্গিদের কোমর ভাঙব

    জঙ্গিদের উদ্দেশে মোদির (PM Modi) হুঁশিয়ারি, ‘‘সন্ত্রাসবাদীদের মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। ১৪০ কোটি ভারতীয়র ইচ্ছাশক্তি দিয়ে জঙ্গিদের কোমর ভাঙব। সন্ত্রাসবাদীদের ধ্বংস করে ছাড়বে ভারত। বিহারের মাটি থেকে গোটা বিশ্বকে বলছি, ভারত জঙ্গিদের খুঁজে বের করে প্রত্যেককে সাজা দেবে। সন্ত্রাসবাদে ইতি টানবে ভারত। যারা মানবতায় বিশ্বাস করেন, তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমি সেই সমস্ত দেশকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাদের এই বিপদে সমর্থন করেছেন।’’

    ভারতের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্ন মুছে ফেলা হবে, প্রতিজ্ঞা মোদির

    একইসঙ্গে ভারতের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্ন মুছে ফেলা হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্ত্রাসবাদ দিয়ে যে ভারতের মেরুদণ্ড কোনওভাবেই ভাঙা যাবে না, সে বিষয়েও স্পষ্ট বার্তা দেন তিনি। এর পাশাপাশি, এই ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে যা কিছু করার, সবকিছুই করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, হামলার সময় দুদিনের সৌদি আরব সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালেই তাঁর সফর সংক্ষিপ্ত করেন এবং দিল্লিতে ফিরে আসেন। এরপর বুধবারই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তাঁর বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি বৈঠক হয়। এই বৈঠকেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত বলে ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে পাক নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র সরকার

    এই আবহে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা যাচ্ছে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উপস্থিত থাকবেন ওই বৈঠকে। সন্ত্রাস দমন ইস্যু ও জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা সমস্ত দলের রাজনৈতিক নেতাদের কেন্দ্রের হয়ে জানাবেন জয়শঙ্কর। সর্বদলীয় বৈঠক ইস্যুতে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। শোনা যাচ্ছে, সর্বদল বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে পারেন রাজনাথ সিং।

  • Gautam Gambhir: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদ করায় গম্ভীরকে খুনের হুমকি আইসিসের!

    Gautam Gambhir: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদ করায় গম্ভীরকে খুনের হুমকি আইসিসের!

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: খুনের হুমকি পেলেন ভারতীয় সিনিয়র ক্রিকেট দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে মঙ্গলবারই সমাজমাধ্যমে বার্তা লিখেছিলেন তিনি। বুধবার খুনের হুমকি পেলেন গম্ভীর। ভারতীয় দলের কোচকে ইমেলে হুমকিবার্তা পাঠিয়েছে ‘আইএসআইএস কাশ্মীর’। দু’টি হুমকিবার্তা পেয়েছেন গম্ভীর। থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন ভারতীয় দলের কোচ। বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।

    থানায় অভিযোগ দায়ের

    মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা লিখেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। তারপরই খুনের হুমকি পেলেন গম্ভীর (Gautam Gambhir)। এক বার নয়, মোট ২ বার বিরাট-রোহিতদের কোচকে ইমেলে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ৩টি শব্দের ছোট্ট একটি মেসেজ পাঠানো হয়েছে গম্ভীরকে। কী লেখা হয় তাতে? বুধবার (২৩ এপ্রিল) ‘আইসিস কাশ্মীর’ নামের এক সংগঠন গম্ভীরকে ‘আই কিল ইউ’ (যার অর্থ আমি তোমাকে মেরে ফেলব) লিখে দুটি ইমেল পাঠিয়েছে। প্রথম ইমেলটি আসে দুপুরে আর দ্বিতীয়টি বিকেলে যা পাওয়ার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভারতীয় টিমের হেড কোচ। রাজেন্দ্র নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই সঙ্গে দিল্লির ডিসিপিকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার কথা জানিয়েছেন পুলিশকে।

    তদন্তে পুলিশ

    গম্ভীরের (Gautam Gambhir) অভিযোগ পেয়েই দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কোথা থেকে ওই ইমেল এসেছে, কারা তা পাঠিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গম্ভীর এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা বাড়ানো হবে বলেও জানা গিয়েছে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তারা অভিযোগ পেয়েছে। গম্ভীর এখন দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা পান। তবে কতটা নিরাপত্তা বাড়ানো হবে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে বৈসরন উপত্যকায় ২৬ জন সাধারণ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। বেছে বেছে হিন্দুদের টার্গেট করে তারা। তারপর এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ বা টিআরএফ। গম্ভীর সমাজমাধ্যমে এই ঘটনার নিন্দা করেছিলেন। লিখেছিলেন, “মৃতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। যারা এই কাজের জন্য দায়ী তাদের মূল্য চোকাতেই হবে। ভারত পাল্টা আঘাত হানবেই।” প্রসঙ্গত, গৌতম গম্ভীর বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। তিনি পূর্ব দিল্লি কেন্দ্রে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। প্রথমে কেকেআর ও পরে ভারতীয় ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এখন তিনি রাজনীতি থেকে একটু দূরে।

  • Gaurav Gogoi: “সরকারি অনুমতি ছাড়াই পাকিস্তানে কাটিয়ে এসেছেন অসমের কংগ্রেস সাংসদ,” বিস্ফোরক দাবি হিমন্তর

    Gaurav Gogoi: “সরকারি অনুমতি ছাড়াই পাকিস্তানে কাটিয়ে এসেছেন অসমের কংগ্রেস সাংসদ,” বিস্ফোরক দাবি হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগে লোকসভায় কংগ্রেসের সহকারি দলনেতা গৌরব গগৈয়ের (Gaurav Gogoi) স্ত্রী এলিজাবেথ কালবোর্নকে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। বুধবার হিমন্ত তাক করলেন কংগ্রেস সাংসদ স্বয়ং গৌরবকেই। এদিন সরাসরি গৌরবের নাম না নিয়ে হিমন্ত দাবি করেন, ওই সাংসদ ভারত সরকারকে না জানিয়েই ১৫ দিন কাটিয়ে এসেছেন ইসলামাবাদে। নয়াদিল্লিতে পাক হাই-কমিশনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগও রয়েছে।

    হিমন্তর বিস্ফোরক দাবি (Gaurav Gogoi)

    সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পাকিস্তান আমাদের বড় শত্রু। কিন্তু আমাদের দেশের ভিতরে থেকেই যাঁরা পাকিস্তানের প্রশংসা করেন, তাঁরাই আমাদের জাতির সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু।’’ তাঁর দাবি, অসম পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম সংসদ সদস্যের ব্রিটিশ স্ত্রীর মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসূত্র সম্পর্কে “চাঞ্চল্যকর তথ্য” উন্মোচন করেছে। তিনি বলেন, ‘‘সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশবাসী জানতে পারবেন কীভাবে একজন গর্বিত বাবার সন্তান হয়েও জাতির বিরুদ্ধে যেতে পারেন।’’ প্রসঙ্গত, হিমন্তের স্পষ্ট ইঙ্গিত গৌরব গগৈয়ের দিকে, যিনি অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের পুত্র (Himanta Biswa Sarma)।

    দেশের অভ্যন্তরের শত্রুকে চিহ্নিত করা কঠিন

    মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এই সাংসদ ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে কোনও প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য না দিয়েই ১৫ দিনের জন্য ইসলামাবাদে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের সঙ্গে ওই সাংসদের সম্পর্ক রয়েছে। এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানের শত্রুকে চিহ্নিত করা যায়, কিন্তু আমাদের দেশের অভ্যন্তরের শত্রুকে চিহ্নিত করা কঠিন (Gaurav Gogoi)।’’ অসম পুলিশের এসআইটি বর্তমানে এই বিষয়টি তদন্ত করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।’’ তাঁর আশ্বাস, রাজ্য সরকার সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেবে এবং তদন্তের ফল শীঘ্রই জনগণের কাছে প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে যে তদন্ত চলছে, তাতে সংসদ সদস্য ও তাঁর ব্রিটিশ স্ত্রীর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে।’’

    প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে গৌরবের স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাক-যোগের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন হিমন্ত। সেই সময় বিজেপির মুখপাত্র কিশোর উপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, এলিজাবেথ (গৌরবের স্ত্রী) পাকিস্তানের পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা তৌকির শেখের অধীনে ইসলামাবাদে কাজ করেছেন। মার্কিন (Himanta Biswa Sarma) ধনকুবের জর্জ সোরসের একটি সংস্থার সঙ্গেও যোগ রয়েছে তাঁর। এলিজাবেথ ভারতীয় নাগরিক নন বলেও দাবি (Gaurav Gogoi)।

  • Pakistan: নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ৪২ লঞ্চ প্যাডে থাকা ১৩৫ জঙ্গি অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়, দাবি গোয়েন্দাদের

    Pakistan: নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ৪২ লঞ্চ প্যাডে থাকা ১৩৫ জঙ্গি অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়, দাবি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী (Pakistans Southern Strategy) হামলা আসলে কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের গ্রীষ্মকালীন নাশকতা কৌশলের অঙ্গ। পাকিস্তানের (Pakistan) মদতে এই সময়ে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ বেড়ে যায়। গোয়েন্দাদের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জম্মুর দিকে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে এখনও পর্যন্ত ৩২টি অস্থায়ী শিবির বা লঞ্চ প্যাডে ১০০ সন্ত্রাসী লুকিয়ে রয়েছে। এই সমস্ত সন্ত্রাসীরা বর্তমানে অনুপ্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে, কাশ্মীরের কাছে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ১০টি অস্থায়ী শিবির বা লঞ্চ প্যাডে, সেখানে ৩৫ জন সন্ত্রাসবাদী রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    গত ৬ মাসে ৫০ বার অনুপ্রবেশের চেষ্টা (Pakistan)

    গোয়েন্দা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ছয় মাস ধরে জম্মুর দিক থেকে ৫০ বার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা (Pakistans Southern Strategy)। এরমধ্যে কিছু সন্ত্রাসবাদী দক্ষিণ দিক থেকে অনুপ্রবেশ করে কাশ্মীরের দিকে অগ্রসর হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, কাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত ৭৫ জন সন্ত্রাসী রয়েছে। অন্যদিকে, জম্মু অঞ্চলে এই সংখ্যা ৫০। কারণ জম্মু অঞ্চলে লুকানোর জায়গা কম আছে বলে জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা। জম্মু-কাশ্মীরের আত্মগোপন করে থাকা এই সন্ত্রাসবাদীরা (Pakistan) প্রযুক্তিগত সহায়তা পাচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে। তাদেরকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। ২০২৩ সালে এমনই ১২৫টি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছিল। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩০০।

    গত বছরে কাশ্মীরে পর্যটক পৌঁছায় ২.৩৫ কোটি

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা ছিল ১০৭। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে এই হামলার সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২৭ এবং ২৬। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিনটি সন্ত্রাসবাদী হামলার (Pakistan) ঘটনা ঘটেছিল। জানা গিয়েছে, গত বছরে জম্মু-কাশ্মীরে ২.৩৫ কোটি পর্যটক এসেছিলেন। একই সঙ্গে অমরনাথ যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন পাঁচ লাখ ভক্ত। শ্রীনগরের লালচকে প্রতিদিন পর্যটকদের পা পড়ত গড়ে ১১ হাজার। খুব স্বাভাবিকভাবে ব্যাপক অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন হচ্ছিল ভূস্বর্গের। কারণ সেখানকার প্রধান জীবিকাই ছিল পর্যটন। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং আইএসআই এমনটা চাইনি। ফলস্বরূপ, পহেলগাঁও হামলা।

LinkedIn
Share