Tag: bangla news

bangla news

  • Bagha Nacha: ওড়িশায় দেবী বুধি ঠাকুরানিকে সন্তুষ্ট করতে বাঘের পোশাক পরে নাচ করেন শিল্পীরা

    Bagha Nacha: ওড়িশায় দেবী বুধি ঠাকুরানিকে সন্তুষ্ট করতে বাঘের পোশাক পরে নাচ করেন শিল্পীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার (Odisha) গঞ্জামের ঐতিহাসিক লোকনৃত্য় হল বাঘা-নাচ বা বাঘ নৃত্য (Bagha Nacha)। এই উৎসবে নৃত্যশিল্পীদের বাঘের পোশাক পরে নাচতে দেখা যায়। তাঁরা দেবীকে বুধি ঠাকুরানিকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন এভাবেই। এরসঙ্গে শুরু হয় ঠাকুরানি যাত্রা। ভক্তদের বিশ্বাস, এতে দেবী সন্তুষ্ট হন।

    বাঘা নাচ (Bagha Nacha) সম্পর্কে কী বলছেন জনৈক নৃত্যশিল্পী?

    বাঘা নাচ (Bagha Nacha) সম্পর্কে বলতে গিয়ে একজন শিল্পী রাজকুমার বেহারা বলেন, ‘‘এখানে নাচটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেমন পরিবেশন হল সেই নাচটা, সেটাও খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসলে এই নৃত্যের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে আধ্যাত্মিকতার এবং দেবত্ব লাভের। দেবীকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এই বাঘা নাচ (Bagha Nacha) অনুষ্ঠিত হয়। এটি এক ধরনের ব্রত বলা যেতে পারে। ভক্তরা যাঁরা এই নৃত্যশিল্পীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং বাঘা নাচে অংশগ্রহণ করেন, তাঁরা এই ব্রত পালন করেন। তাঁদেরকে উপবাস পালন করতে হয়। এই সময়কালে ব্রহ্মচর্য বজায় রাখতে হয়। এর পাশাপাশি মানসিকভাবে শান্ত থাকতে হয়। তাঁরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকেন এবং পবিত্র পোশাক পরেন। গোটা গায়ে তাঁরা পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে হলুদ এবং চন্দনের গুঁড়ো লাগান। একইসঙ্গে বাঘের মতো ডোরাকাটা দাগ দিয়েও তাঁরা শরীরে নকশা করেন।’’

    সারা রাত ধরে চলে বাঘা নাচ (Bagha Nacha)

    জানা যায়, এভাবে সেজে উঠতে প্রত্যেক ব্যক্তির পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা সময় লাগে। ব্যবহৃত রঙ গুলিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে নানা রকমের পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়। যাতে তা খুব সহজে গা থেকে উঠে না যায়। নৃত্যশিল্পী বেহেরা আরও বলেন,‘‘এই রঙ গুলি তৈরি করতেও আমাদের দু মাসের বেশি সময় লাগে। সারা শরীর এইভাবেই আমরা চিত্রকর্ম করি। দেবী বুধি ঠাকুরানীকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই শিল্পীরা বাঘের মুখোশ পরেন।’’ তবে, নৃত্যশিল্পীরা যে ধরনের পোশাক ব্যবহার করেন, তার দাম কিন্তু খুব একটা কম নয়। ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে এই পোশাক তাঁরা কেনেন। নিজেরাই কেনেন। দেবী বুধি ঠাকুরানির প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভক্তি অর্পণ করতেই তাঁরা এই কাজ করেন। এই পোশাক প্রস্তুত হয়ে গেলে নৃত্যশিল্পীরা এক একটি স্থানে যান। সেখানে অনেক মানুষের জমায়েত হয়। সারা রাত ধরেই তাঁরা নৃত্য পরিবেশন করতে থাকেন। এই সময়ের মধ্যে যে সমস্ত মানুষ বা ভক্তবৃন্দ বাঘা নাচ দেখতে আসেন, তাঁরাই এই শিল্পীদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যান।

  • Mithun Chakraborty: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানালেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন

    Mithun Chakraborty: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানালেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানালেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। অসমের শিলচরে সাংবাদিক (West Bengal) বৈঠকে এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনায় বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা। সেই প্রসঙ্গেই এমন মন্তব্য করেন মিঠুন।

    ওয়াকফ বিলের সঙ্গে এদের কী লেনাদেনা? (Mithun Chakraborty)

    বিজেপির এই তারকা নেতা বলেন, “খুবই দুঃখের ব্যাপার। এখনও বুঝতে পারছি না, কেন বাঙালি পরিবারগুলির ওপর অত্যাচার করা হল। ওয়াকফ বিলের সঙ্গে এদের কী লেনাদেনা?” মিঠুন বলেন, “তাঁরা (হামলার শিকার যাঁরা) এখন রাস্তায়। ত্রাণশিবিরে খিচুড়ি খাচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখের। ওঁদের বাড়িঘর হয়তো ছোট কুঠি, কিন্তু সেটাই ওঁদের কাছে মহল। এখন সেখান থেকে তাঁরা ত্রাণশিবিরে গিয়ে খিচুড়ি খাচ্ছেন। খুব খারাপ অবস্থা। এরকমটাই যদি চলতে থাকে, তাহলে আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদন জানাব।” বিজেপির এই নেতা বলেন, “আর এটা যদি নাও হয়, তাহলে অন্তত নির্বাচনটা যেন সেনার নিরাপত্তায় হয়। তাহলে অন্তত সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে। আমরা মারামারি চাই না। আমাদের ভোট করতেই দেওয়া হয়নি।”

    আপনার পুলিশ কী করছিল?

    মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় বিএসএফের দিকে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, “আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বিএসএফকে দোষ দিচ্ছেন। মেনে নিলাম যে বিএসএফ ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু তারপর যে জমিটা রয়েছে, সেখানে তো পুলিশ রয়েছে। তাহলে আপনার পুলিশ কী করছিল? পুলিশ তো দেখেছে, তাহলে তখন তারা কী করেছে?”

    তৃণমূলে যোগ দেওয়া যে ভুল হয়েছিল, এদিন তাও স্বীকার করেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। বলেন, “ওটা আমার ভুল হয়েছিল। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেস অন্যরকম দল ছিল। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য এক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। তিনি একজন ফাইটার ছিলেন। মানুষের ভালো করার ইচ্ছা ছিল তাঁর মধ্যে। গরিবদের পাশে দাঁড়ানোর ভাবনা (West Bengal) ছিল। আর আজকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুই ক্ষমতালোভী। যে কোনওভাবে ক্ষমতা চাই তাঁর (Mithun Chakraborty)।”

  • Shubhanshu Shukla: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে প্রথম কোনও ভারতীয়, ইতিহাস গড়তে চলেছেন শুভাংশু

    Shubhanshu Shukla: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে প্রথম কোনও ভারতীয়, ইতিহাস গড়তে চলেছেন শুভাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪০ বছরের অপেক্ষার অবসান। ভারত আবারও মহাকাশের অন্ধকার গভীরে সোনালী ইতিহাস লেখার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ফের মহাকাশযাত্রা করতে চলেছেন ভারতীয় মহাকাশচারী। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার সহযোগিতায়, ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla) আগামী মে মাসে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হবেন। ১৯৮৪ সালে রাকেশ শর্মার পর এবার এই তালিকায় নাম জুড়তে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশুর।

    দেশের সর্বকনিষ্ঠ নভোচর

    ৪০ বছরের শুভাংশুই দেশের মহাকাশ যাত্রার ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ নভশ্চর, যিনি মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। কেন্দ্রের তরফে মহাকাশ ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, আগামী মে মাসে স্পেস এক্সের মহাকাশযানে চড়ে গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু পাড়ি দেবেন মহাশূন্যে। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সহকর্মীরা। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, ‘ভারত পরবর্তী মহাকাশ অভিযানের জন্য তৈরি। চার দশক পর শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla) আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পা রাখতে চলেছেন। তাঁর যাত্রা দেশের মহাকাশ গবেষণায় নতুন অধ্যায় রচনা করবে।’

    কে এই শুভাংশু শুক্লা?

    ১৯৮৫ সালের ১০ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখনউতে জন্ম নেন শুক্লা (Shubhanshu Shukla)। পড়াশোনা করেছেন পুনের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে (এনডিএ)। ২০০৬ সালের জুন মাসে তিনি ভারতীয় বায়ুসেনার (আইএএফ) ফাইটার উইংয়ে যোগদান করেন। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতিও পান। ২০০০ ঘণ্টারও বেশি বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শুক্লা নানা ধরনের বিমান উড়িয়েছেন। ২০১৯ সালে, ইসরো শুক্লাকে মহাকাশচারী প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন করে। মস্কোর স্টার সিটিতে অবস্থিত ইউরি গ্যাগারিন কসমোনট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, তাঁকে ২০২৬ সালের জন্য পরিকল্পিত ভারতের প্রথম মানব মহাকাশযান কর্মসূচি, ইসরো’র গগনযান মিশনের জন্য প্রধান মহাকাশচারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

    ড্রাগন ক্যাপসুলে মহাকাশে পাড়ি

    সব ঠিক থাকলে মে মাসে আমেরিকার ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেক স্পেস এক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে মহাকাশে পাড়ি দেবেন শুভাংশু-সহ ৪ জন। মহাকাশযানের পাইলট হিসেবে শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla) ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর তার প্রস্তুতি ভালোভাবেই সেরেছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, গগনযান প্রকল্পে অংশ নিতে গত ৮ মাস ধরে নাসা এবং বেসরকারি সংস্থা অ্যাক্সিয়ম স্পেসের অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। এর জন্য ভারতের খরচ হয়েছে ৬০ মিলিয়ন ডলার বা ৫১২ কোটি টাকার বেশি। অ্যাক্সিয়ম স্পেস ফোরের এই সফরে নেতৃত্ব দেবেন নাসার প্রাক্তন জনপ্রিয় মহিলা নভশ্চর পেগি হুইটসন। নাসা থেকে অবসরের পর তিনি এখন বেসরকারি সংস্থা অ্যাক্সিয়মের হয়ে কাজ করেন। পেগি ছাড়া শুভাংশুর দুই সহযাত্রী পোল্যান্ডের স্লাউজস উজনানস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবোর কাপু। আইএসএস-এ যাওয়া চারজনের এই দলটি স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে বসবে। এটি স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হবে। এই মিশনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উড়বে।

    ওয়াটার বেয়ার বা জল-ভালুকের কথা

    আগামী মিশনে মহাকাশ গবেষণাকেও অন্য আঙ্গিকে নিয়ে যেতে চলেছে ইসরো। জানা যাচ্ছে, অক্সিয়ম-৪ মিশনে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে ওয়াটার বেয়ার। আণুবিক্ষণিক ওই চারপেয়ে জীব পৃথিবীর প্রায় সব স্থানেই রয়েছে। জানা যাচ্ছে, পৃথিবীর যেকোনও আবহাওয়ার সঙ্গেই ওই ওয়াটার বেয়ার নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে তারা বংশবৃদ্ধিতেও সক্ষম। এবার ১৪ দিনের মিশনে তারা স্পেস স্টেশনে থাকবে। মহাকাশের বিরূপ আবহাওয়ায় তারা কীভাবে লড়াই করছে তা নিয়েই গবেষণা চালাবে ইসরো। ফলে ভবিষ্যতে মহাকাশের বিরূপ তাপমাত্রায় মহাকাশচারীরা কীভাবে বেশিদিন থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে নয়া তথ্য মিলবে।

    গগনযান মিশনের আগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিশন

    শুক্রবার নয়াদিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যাবেন, সেটা মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। মহাকাশযানে করে তিনি যে মহাশূন্যে পাড়ি দেবেন, তা বাস্তব অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে প্রস্তুত থাকার মতো বিষয়ের সঙ্গে ধাতস্থ হয়ে উঠবেন শুভাংশু। যা ভারতের গগনযান মিশনের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

    একগুচ্ছ প্রকল্প ইসরোর

    গগনযান ছাড়াও শুক্রবার নয়াদিল্লির বৈঠকে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মিশনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীদিনে ইসরোর বিভিন্ন মিশনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী মে থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ইসরোর যে বড়-বড় মিশন আছে, তার মধ্যে অন্যতম হল পিএসএলভি-সি৬১ মিশন। যে রকেটের পিঠে চাপিয়ে ইওএস-০৯ স্যাটেলাইট পাঠানো হবে।ইসরোর চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন, গগনযান মিশনের দিকে টেস্ট ভেহিকেল-ডি২ মিশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই মিশনের মাধ্যমে গগনযানের প্রস্তুতি ঝালাই করে নেওয়া হবে। ক্রু মডিউলকে কীভাবে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হবে, সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। আবার জুনে জিএসএলভি-এফ১৬ রকেটের পিঠে চাপিয়ে নিসার স্যাটেলাইট পাঠানো হবে। জুলইয়ে আবার এলভিএম৩-এম৫ মিশন আছে।

  • Daily Horoscope 20 April 2025: বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 20 April 2025: বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি ও বিপুল অর্থপ্রাপ্তির যোগ।

    ২) গুরুজনের শরীর নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) দাম্পত্য কলহের কারণে মন চঞ্চল হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায় ফল নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) কাজের ক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) বাড়িতে অশান্তির সম্ভাবনা ও সেই কারণে আপনার মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদন্নোতি।

    ২) বাসস্থান পরিবর্তন নিয়ে খরচ বৃদ্ধি।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভালো হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Kailash Mansarovar Yatra: গলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, ৫ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে কৈলাশ-মানস যাত্রা

    Kailash Mansarovar Yatra: গলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, ৫ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে কৈলাশ-মানস যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর হাজার হাজার ভক্তকে আকর্ষণ করে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)। গত পাঁচ বছর বন্ধ ছিল এই যাত্রা। এবার ফের চালু হতে চলেছে। শীঘ্রই জারি হবে নাম নথিভুক্তকরণের বিজ্ঞপ্তি (New Route)। এটি ভারত-চিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ইঙ্গিত। কোভিড-১৯ অতিমারি এবং দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে ২০২০ সাল থেকে বন্ধ ছিল এই তীর্থ যাত্রা। এবারই ফের শুরু হচ্ছে যাত্রা। হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে সমানভাবে পবিত্র কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা। এই যাত্রাকে ঐতিহ্যগতভাবে আধ্যাত্মিক মুক্তি ও শুদ্ধির পথ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা হিমালয়ের দুর্বোধ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে আন্তঃসাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীকও।

    কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)

    ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার ফলশ্রুতিতেই কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। গালওয়ান উপত্যকায় সহিংস সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্ক প্রবল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার প্রেক্ষিতে পূর্ব লাদাখের ডেমচোক ও ডেপসাংয়ের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার জেরে যাত্রা ফের চালুর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে শীঘ্রই ফের যাত্রা শুরু সংক্রান্ত একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল প্রস্তুতির কথা স্বীকার করে বলেন, “আমরা শীঘ্রই এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করব। যাত্রা অচিরেই শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে (New Route)।”

    নয়া পথের সন্ধান

    কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু করতে ভারত ও চিনের কর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর নয়া পথের সন্ধান মিলেছে। সূত্রের খবর, লিপুলেখ পাসের ঐতিহ্যবাহী পথের পাশাপাশি ডেমচোক দিয়েও যাত্রাপথ বিবেচনা করা হতে পারে। তবে এটি চূড়ান্ত হবে আরও কিছু সমীক্ষার পর। দুই দেশের মধ্যে চলা আলোচনার প্রেক্ষাপটে যাত্রার নিরাপত্তা ও সুগমতা বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি  একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Kailash Mansarovar Yatra)।যদিও নতুন রুটগুলির নির্দিষ্ট বিবরণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র পুণ্যার্থীদের এই বলে আশ্বস্ত করেছেন যে ২০২৫ সালে এই যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে আরও তথ্য শেয়ার করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, এবং শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে।”

    যাত্রা বন্ধ ছিল পাঁচ বছর

    সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা। লক্ষাধিক ভক্তের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় তীর্থযাত্রাগুলির মধ্যে একটি এই কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা। তবে, কোভিড-১৯ অতিমারি ও পরবর্তী কালে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনার কারণে এই যাত্রা ব্যাহত হয়েছে। উভয় দেশই এই উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে কাজ করেছে। তারই প্রেক্ষিতে যাত্রা ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Kailash Mansarovar Yatra)। ভারত ও চিন দুই দেশের সম্পর্কের এই অগ্রগতি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকীর সঙ্গেও মিলে যাচ্ছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে উভয় দেশের শীর্ষ কর্তারা বেইজিংয়ে বৈঠক করে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন, যার মধ্যে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করাও অন্তর্ভুক্ত ছিল (New Route)।

    গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাত

    প্রসঙ্গত, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের পর কূটনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি গত বছর নভেম্বর মাসে রিও ডি জেনিরোতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময়ও কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা নিয়ে আলোচনা হয় ভারত ও চিনের মধ্যে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই যাত্রার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন। তার পরেই তীর্থযাত্রা ফের শুরু করতে কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা আরও শক্তিশালী হয়। ২০২৫ সালের শুরুতেই ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রকের কর্তারা কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত বিস্তারিত আলোচনা করেন। জানুয়ারি ২০২৫-এর আলোচনায় যাত্রা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা এই পবিত্র যাত্রায় অংশ নিতে আগ্রহী ভক্তদের জন্য একটি ইতিবাচক ফল নিয়ে আসে (Kailash Mansarovar Yatra)।

    কোন পথে যাত্রা

    এর আগে মূলত সিকিমের নাথু লা এবং উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাসের মাধ্যমে ভারত থেকে তিব্বতে প্রবেশ করতেন ভারতীয়রা। তারপর কড়া নিরাপত্তার বলয়ে তাঁদের কৈলাস-মানস পর্যন্ত নিয়ে যেত চিন প্রশাসন। উত্তরাখণ্ডের পথে এই যাত্রার তিনটি ভাগ রয়েছে। প্রথম ভাগে যেতে হয় পিথোরাগড় থেকে তাওয়াঘাট। দ্বিতীয় পর্যায়ে যাত্রা শুরু হয় তাওয়াঘাট থেকে। পৌঁছতে হয় ঘটিয়াবগড় (New Route)। এই ঘটিয়াবগড় থেকে চিন সীমান্ত লাগোয়া লিপুলেখ পাস পর্যন্ত রাস্তার দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। বর্তমানে এই রাস্তাটা গাড়িতেই পৌঁছে যাওয়া যায় (Kailash Mansarovar Yatra)।

  • Ramakrishna 328: “মেঘ দেখলে ময়ূরের উদ্দীপন হয়, আনন্দে পেখম নৃত্য করে, শ্রীমতীরও সেইরূপ, কৃষ্ণকে মনে পড়ত”

    Ramakrishna 328: “মেঘ দেখলে ময়ূরের উদ্দীপন হয়, আনন্দে পেখম নৃত্য করে, শ্রীমতীরও সেইরূপ, কৃষ্ণকে মনে পড়ত”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ৯ই নভেম্বর

    সঞ্চয় ও তিন শ্রেণীর সাধু 

    (সহাস্যে)—“হ্যাঁগো! শুনেছিলাম, যখন অমাবস্যা-পূর্ণিমা ভুল হবে তখন পূর্ণজ্ঞান হয়। হলধারী তা বিশ্বাস করবে কেন, হলধারী বললে, এ কলিকাল! একে আবার লোকে মানে! যার অমাবস্যা-পূর্ণিমাবোধ নাই”।

    ঠাকুর (Ramakrishna) এ-কথা বলিতেছিলেন, এমন সময় মহিমাচরণ আসিয়া উপস্থিত।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সসম্ভ্রমে)—আসুন, আসুন। বসুন!

    (বিজয়াদি ভক্তের প্রতি)—“এ অবস্থায় ‘অমুক দিন’ মনে থাকে না। সেদিন বেণী পালের বাগানে উৎসব; দিন ভুল হয়ে গেল। ‘অমুক দিন সংক্রান্তি ভাল করে হরিনাম করব’—এ-সব আর ঠিক তাকে না। (কিয়ৎক্ষণ চিন্তার পর) তবে অমুক আসবে বললে মনে থাকে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) মন-প্রাণ কোথায়—ঈশ্বরলাভ ও উদ্দীপন 

    ঈশ্বরে ষোল আনা মন গেলে এই অবস্থা। রাম জিজ্ঞাসা করলেন, হনুমান, তুমি সীতার সংবাদ এনেছ; কিরূপ তাঁকে চেখে এলে আমায় বল। হনুমান বললে রাম, দেখলাম সীতার শুধু শরীর পড়ে আছে। তার ভিতরে মন প্রাণ নাই। সীতার মন-প্রাণ যে তিনি তোমার পাদপদ্মে সমর্পণ করেছেন! তাই শুধু শরীর পড়ে আছে। আর কাল (যম) আনাগোনা করছে! কিন্তু কি করবে, শুধু শরীর; মন-প্রাণ তাতে নাই।

    “যাঁকে চিন্তা করবে তার সত্তা পাওয়া যায়। অহর্নিশ ঈশ্বরচিন্তা করলে ঈশ্বরের সত্তা লাভ হয়। লুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিয়ে তাই হয়ে গেল।

    “বই বা শাস্ত্রের কি উদ্দেশ্য? ঈশ্বরলাভ। সাধুর পুঁথি একজন খুলে দেখলে, প্রত্যেক পাতাতে কেবল ‘রাম’ নাম লেখা আছে। আর কিছু নাই।

    “ঈশ্বরের উপর ভালবাসা এলে একটুতেই উদ্দীপন হয়। তখন একবার রামনাম করলে কোটি সন্ধ্যার ফল হয়।

    “মেঘ দেখলে ময়ূরের উদ্দীপন হয়, আনন্দে পেখম ধরে নৃত্য করে। শ্রীমতীরও সেইরূপ হত। মেঘ দেখলেই কৃষ্ণকে মনে পড়ত।

    “চৈতন্যদেব মেড়গাঁর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন (Kathamrita)। শুনলেন, এ-গাঁয়ের মাটিতে খোল তৈয়ার হয়। অমনি ভাবে বিহ্বল হলেন,—কেননা হরিনাম কীর্তনের সময় খোল বাজে।

    “কার উদ্দীপন হয়? যার বিষয়বুদ্ধি ত্যাগ হয়েছে। বিষয়রস যার শুকিয়ে যায় তারই একটুতেই উদ্দীপন হয়। দেশলাই ভিজে থাকলে হাজার ঘষো, জ্বলবে না। জলটা যদি শুকিয়ে যায়, তাহলে একটু ঘষলেই দপ্‌ করে জ্বলে উঠে।”

    ঈশ্বরলাভের পর দুঃখে-মরণে স্থিরবুদ্ধি ও আত্মসমর্পণ 

    “দেহের সুখ-দুঃখ আছেই। যার ঈশ্বরলাভ হয়েছে সে মন, প্রাণ, দেহ, আত্মা সমস্ত তাঁকে সমর্পণ করে। পম্পা সরোবরে স্নানের সময় রাম-লক্ষ্মণ সরোবরের নিকট মাটিতে ধনুক গুঁজে রাখলেন। স্নানের পর উঠে লক্ষণ তুলে দেখেন যে, ধনুক রক্তাক্ত হয়ে রয়েছে। রাম দেখে বললেন, ভাই দেখ দেখ, বোধ হয় কোন জীবহিংসা হল। লক্ষ্মণ মাটি খুঁড়ে দেখেন একটা বড় কোলা ব্যাঙ। মুমূর্ষ অবস্থা। রাম করুণস্বরে বলতে লাগলেন, ‘কেন তুমি শব্দ কর নাই, আমরা তোমাকে বাঁচাবার চেষ্টা করতাম! যখন সাপে ধরে, তখন তো খুব চিৎকার কর।’ ভেক বললে , ‘রাম! যখন সাপে ধরে তখন আমি এই বলে চিৎকার করি-রাম রক্ষা করো, রাম রক্ষা করো। এখন দেখছি রামই আমায় মারছেন! তাই চুপ করে আছি’।”

  • PM Modi: আমন্ত্রণ স্বয়ং যুবরাজের,  ফের একবার সৌদি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: আমন্ত্রণ স্বয়ং যুবরাজের,  ফের একবার সৌদি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সৌদি আরবে (Saudi Arabia) যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সৌদির প্রধানমন্ত্রী তথা সে দেশের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সলমনের আমন্ত্রণে দু’দিনের সফরে সেখানে যাচ্ছেন তিনি। গত ১০ বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার সৌদিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৬ সালে মোদি প্রথম গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। তারপর গিয়েছিলেন উনিশে। ফের যাচ্ছেন এবার। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন সৌদির যুবরাজ। ওই সময়ই ভারত ও সৌদি আরবের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকের প্রায় দেড় বছর পরে প্রধানমন্ত্রী মোদির সৌদিযাত্রা এই সফরের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

    হজযাত্রা সংক্রান্ত জটিলতা কেটেছে (PM Modi)

    দিন কয়েক আগেই মক্কায় ভারতীয়দের হজযাত্রা সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা কেটেছে। হজযাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে সৌদি প্রশাসন। যদিও গত সপ্তাহেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আরও ১০ হাজার ভারতীয় হজযাত্রায় যেতে পারবেন। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে কথা বলেছে। এর পরেই হজ পোর্টাল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। এই আবহেই ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে দিল সৌদির যুবরাজের আমন্ত্রণে ২২-২৩ এপ্রিল সৌদি সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন ক্রাউন প্রিন্স স্বয়ং

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জেড্ডা শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন ক্রাউন প্রিন্স স্বয়ং। এই সফরে মোদি ও সালমান যৌথভাবে দ্বিতীয় কৌশলগত অংশীদারিত্ব পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, সৌদি আরব ভারতের এক কৌশলগত অংশীদারিত্ব। এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। প্রসঙ্গত, ভারত ও সৌদির মধ্যে রাজনীতি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। মোদি ও সালমানের ব্যক্তিগত সম্পর্কও এই বন্ধনকে আরও গভীর করেছে (PM Modi)।

    ভারতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মুকুন্দ নারাভানে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সৌদি সফরে গিয়েছিলেন। সেবার দ্বিপাক্ষিক নৌ-মহড়া আল মোহেদ আল হিন্দি অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি নৌবাহিনীর প্রধান ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবার ভারতে আসেন। গত বছর প্রথমবার ভারত-সৌদি যৌথ (Saudi Arabia) স্থলবাহিনীর মহড়া এক্স-সাদা তানসিক-১ অনুষ্ঠিত হয় রাজস্থানে (PM Modi)।

  • Murshidabad Unrest: ‘‘হিন্দু হওয়াটা কী অপরাধ? আমাদের বাঁচান’’, রাজ্যপালের পা ধরে প্রশ্ন জাফরাবাদের মহিলাদের

    Murshidabad Unrest: ‘‘হিন্দু হওয়াটা কী অপরাধ? আমাদের বাঁচান’’, রাজ্যপালের পা ধরে প্রশ্ন জাফরাবাদের মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু হওয়াটাই কী অপরাধ? অশান্ত মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Unrest) রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে প্রশ্ন করলেন অসহায় মহিলারা। এদিন জাফরাবাদে নিহত বৃদ্ধ এবং তাঁর ছেলের বাড়িতে গেলেন রাজ্যপাল। বাড়়িতে রাজ্যপাল আসতেই তাঁর পা ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জাফরাবাদের সেই নিহত বৃদ্ধের স্ত্রী। কাঁদতে কাঁদতে তিনি রাজ্যপালকে বললেন, ‘‘আমার সব হারিয়েছে। আমরা ঘুমোতে পারছি না। আপনি দয়া করে কিছু করুন।’’ সব শুনে রাজ্যপাল বোসও সাহায্যের আশ্বাস দিলেন। নিহতের পরিবারকে দিয়ে এলেন ‘শান্তিকক্ষ’ (পিস রুম)-এর নম্বরও।

    শান্তি ফিরিয়ে আনার বার্তা রাজ্যপালের

    এদিন জাফরাবাদে হিংসায় নিহত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের বাড়িতে যান রাজ্যপাল। সেখানে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ স্বজনহারাদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশে থাকার আশ্বাসও দেন বোস। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা হবে। ফোন নম্বর দেওয়া রইল। প্রয়োজনে আপনারা সরাসরি ফোন করবেন।’’ নিহত বৃদ্ধের স্ত্রী রাজ্যপালকে জানান, তাঁরা খুবই আতঙ্কে রয়েছেন। অশান্তির সময় তাঁদের বাড়িতে লুটপাট চলেছে। তাঁদের দাবি, নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় বিএসএফের স্থায়ী ক্যাম্প বসানো হোক। স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেছেন রাজ্যপাল। সকলের অভিযোগ শোনার পর তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে কিছু অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা যাতে সরাসরি ফোন করতে পারেন, সেই নম্বর দেওয়া হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠাই প্রধান লক্ষ্য। রাজ্য সরকারকে বলব, উপযুক্ত পদক্ষেপ করুন।’’ নিহতের বাড়িতে রাজ্যপাল যাওয়ার আগে সেখানে গিয়েছিলেন মালদার ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র।

    প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    জাফরাবাদের নিহত বৃদ্ধের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যেরাও। সব শুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। ধুলিয়ানের বেতবোনাতেও গিয়েছিলেন মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখানে তাঁদের পা ধরে কান্না ভেঙে পড়েছিলেন স্থানীয় মহিলাদের একাংশ। স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্পের আর্জি জানান তাঁরা। পরে কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘‘দেশবাসী ও কেন্দ্রীয় সরকার আপনাদের পাশে আছে। বিএসএফ আপনাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে।’’ রাজ্যপাল ধুলিয়ানেও গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই স্থানীয়দের একাংশ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের দাবি, পুলিশ রাজ্যপালকে তাঁদের কাছে আসতে দেননি। যার ফলে নিজেদের অভিযোগের কথা রাজ্যপালকে জানাতে পারেননি তাঁরা। শুক্রবারের পর শনিবারও ওয়াকফ আইন নিয়ে ঘটা হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল। তাঁকে সামনে পেয়েই স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Unrest) হিংসায় আক্রান্তরা।

  • Waqf Amendment Act 2025: সংশোধিত ওয়াকফ আইন লাগু হলে ২৫৬টি ঐতিহাসিক কাঠামোর মালিকানা বদল হতে পারে

    Waqf Amendment Act 2025: সংশোধিত ওয়াকফ আইন লাগু হলে ২৫৬টি ঐতিহাসিক কাঠামোর মালিকানা বদল হতে পারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকর (Waqf Amendment Act 2025) হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২৫৬টি ঐতিহাসিক কাঠামোর মালিকানায় বদল ঘটতে পারে। এই সম্পত্তিগুলির অনেকগুলিই ইতিমধ্যেই ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (এএসআইয়ের) (ASI) সুরক্ষায় রয়েছে। শীঘ্রই এগুলিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এএসআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। আর যদি তা হয়, তাহলে বাতিল হয়ে যাবে ওয়াকফ বোর্ডগুলির দীর্ঘদিনের অবৈধ দাবি।

    মূল বিতর্কের কেন্দ্রে (Waqf Amendment Act 2025)

    মূল বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে “ব্যবহারের মাধ্যমে ওয়াকফ” বিভাগে অন্তর্ভুক্ত সম্পত্তিগুলি, যেগুলি ঐতিহাসিকভাবে ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হলেও ওয়াকফ সম্পত্তির প্রমাণপত্র নেই। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডগুলিকে ছ’মাসের মধ্যে একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টালে বৈধ মালিকানার নথি আপলোড করতে হবে। সর্বোচ্চ আরও ছ’মাসের সময় বাড়তি দেওয়া হতে পারে। নির্দেশিকা মেনে না চললে আপনাআপনিভাবেই দাবি বাতিল হয়ে যাবে এবং ঐতিহ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে তালিকাভুক্ত স্মৃতিসৌধগুলির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এএসআইয়ের হাতে ফিরে যাবে। বিতর্কিত কাঠামোগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লির পুরানো কেল্লা, অগ্রসেন কি বাওলি, হুমায়ূনের সমাধি এবং মোতি মসজিদ, রাজস্থানের আমের জামা মসজিদ, মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গজেবের সমাধি, এবং প্রতাপগড় দুর্গও।

    প্রধান বিচারপতির মন্তব্য

    দিল্লির অগ্রসেন কি বাওলি এএসআইয়ের তালিকাভুক্ত একটি সুরক্ষিত স্থান। এর পশ্চিম পাশে একটি ছোট মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদকে ভিত্তি করে ওয়াকফ বোর্ড সুরক্ষিত স্থানেরও মালিকানার দাবি করেছে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ালে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়। কোর্ট আইনটি স্থগিত না করলেও কেন্দ্রকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দাখিলের পরামর্শ দিয়েছে (Waqf Amendment Act 2025)। ভারতের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) মন্তব্য করেছেন যে, আরও নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সংশোধিত আইনের অধীনে নতুন কোনও নিয়োগ করা যাবে না। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে যে বিদ্যমান ওয়াকফ রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে না এবং একতরফা পদক্ষেপ রোধ করতে বর্তমান অবস্থা বজায় রাখার আহ্বানও জানানো হয়েছে। আদালত আরও অনুরোধ করেছে যে আবেদনকারীরা যেন শুনানিকে সহজলভ্য করতে তাদের যুক্তির পরিধি পাঁচটি মূল ইস্যুতেই সীমাবদ্ধ রাখে।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ বোর্ড এবং এএসআইয়ের মধ্যের এই দ্বন্দ্ব নতুন নয়। তাজমহলের মতো স্মারকগুলিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করার প্রচেষ্টা নথিভিত্তিক প্রমাণের অভাবে ব্যর্থ হয়েছে (ASI)। ২০০৫ সালে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড তাজমহলকে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করেছিল। ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই দাবি খারিজ করে দেয়। প্রশ্ন তোলে, এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও আইনি বৈধতা নিয়েও (Waqf Amendment Act 2025)।

  • UN Security Council: ভেটো ক্ষমতা সহ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য করা হোক ভারতকে, চাইছে কুয়েত-ফ্রান্স

    UN Security Council: ভেটো ক্ষমতা সহ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য করা হোক ভারতকে, চাইছে কুয়েত-ফ্রান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে (India) ‘বিশ্ব মঞ্চে প্রধান খেলোয়াড়’ বলে অভিহিত করলেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত কুয়েতের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং আন্তঃসরকার আলোচনার (আইজিএন) সহ-সভাপতি তারেক আলবানাই। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UN Security Council) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ লাভের প্রতি সমর্থনও করেছেন তিনি। কাউন্সিলের সম্প্রসারণ হলে ভারতও একটি প্রতিযোগী হবে বলেও জানান তিনি।

    ভারতের পক্ষে সওয়াল কুয়েতের (UN Security Council)

    আলবানাইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার নিশ্চিত করতে কী কী প্রয়োজন? তখনই তিনি বলেন, “গত বছর আমি আনন্দিত ছিলাম, কারণ আমি আমার বিশিষ্ট সহ-সভাপতি অ্যাক্সেল মার্চিকের সঙ্গে ভারত সফর করে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করেছি। এই সংস্কার করা পরিষদের লক্ষ্য অবশ্যই প্রতিনিধিত্বমূলক হতে হবে এবং স্পষ্টতই, ভারত আজ বিশ্ব মঞ্চে একটি প্রধান খেলোয়াড়। কিন্তু এটি ১৯৩টি দেশের সদস্য, তাই না?” তিনি বলেন, “তাই নিশ্চিতভাবেই যদি কাউন্সিলের সম্প্রসারণ ২১ থেকে ২৭ সদস্যের মধ্যে যে কোনও স্থানে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে অবশ্যই ভারত এতে একটি প্রতিদ্বন্দ্বী হবে এবং বৃহত্তর সদস্যপদ সিদ্ধান্তের অধীন হবে।”

    ভারতকে সমর্থন ফ্রান্সেরও

    কুয়েতের পাশাপাশি ভারতকে সমর্থন করেছে ফ্রান্সও। গত ১ এপ্রিল ভারতে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস বলেছিল, ফ্রান্স রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাসিক সভাপতিত্ব গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে ভারতকে স্থায়ী আসন দেওয়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেবে (UN Security Council)। এক্স হ্যান্ডেলে দূতাবাসের তরফে একটি পোস্টে জানানো হয়েছে, ফ্রান্সের নিরাপত্তা পরিষদের মাসিক সভাপতিত্বের অধীনে এটি বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা এবং মানবিক প্রভাবের ক্ষেত্রগুলিতে আলোচনা পরিচালনা করবে। দূতাবাসের তরফে এও বলা হয়েছে, ফ্রান্স রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা আবারও বলবে, যা ভারতকে স্থায়ী আসন দেবে। এক্সের ওপর একটি পোস্টে ভারতে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস জানিয়েছে, “আজ ফ্রান্স রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাসিক সভাপতিত্ব গ্রহণ করছে। এটি মানবিক প্রভাবের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পরিচালনা করবে। আজকে বিশ্বকে প্রতিফলিত করার জন্য ফ্রান্স রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করে যাতে ভারতকে ভেটো ক্ষমতা সহ স্থায়ী আসন দেওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের সংখ্যা ৫। এই দেশগুলি হল আমেরিকা, চিন, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং রাশিয়া। চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে বারবার (India) আটকে যাচ্ছে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি হওয়া (UN Security Council)।

LinkedIn
Share