Tag: bangla news

bangla news

  • Two Nation Theory: দ্বিজাতি তত্ত্বের আড়ালে ঐক্যবদ্ধ মুসলিম ব্লক গঠনের চেষ্টা পাক সেনা প্রধানের! তুলোধনা ভারতের

    Two Nation Theory: দ্বিজাতি তত্ত্বের আড়ালে ঐক্যবদ্ধ মুসলিম ব্লক গঠনের চেষ্টা পাক সেনা প্রধানের! তুলোধনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির দ্বি-জাতি তত্ত্বের (Two Nation Theory) প্রচার করছেন। পাকিস্তানিরা হিন্দুদের থেকে “ভিন্ন”– এমন মন্তব্যও করছেন। তাঁর এহেন বক্তব্য প্রমাণ করে যে তিনি একটি গভীরভাবে হতাশ এবং একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের জেনারেল হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সংবাদ মাধ্যমে এমনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারত সরকারের এক শীর্ষ কর্তা। তিনি জানিয়েছেন, মুনিরের সাম্প্রতিক হিন্দুবিরোধী বক্তব্যকে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং ভারতের ওয়াকফ আইন সংশোধনের সময়ের প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত। তিনি ভারতের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ মুসলিম ব্লক গঠন করতে চাইছেন, যেখানে মৌলবাদী, চরমপন্থী ও জঙ্গিদের আক্রমণ চালানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে।

    পাক সেনা প্রধানের লক্ষ্য (Two Nation Theory)

    ওই কর্তা বলেছেন, ‘‘মুনিরের বক্তব্যের লক্ষ্যই হল লস্কর ও জইশের মতো পাকিস্তানের দেশি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে ভারত ও হিন্দু শক্তির বিরুদ্ধে সক্রিয় করতে উদ্বুদ্ধ করা। তাঁর মতে, মুনিরের কাহিনিটি হিন্দু-মুসলিম সভ্যতাগত পার্থক্যকে তুলে ধরার ওপর নির্ভরশীল এবং এই বিভাজনে পাকিস্তানকে নেতৃত্বের অবস্থানে স্থাপন করা হয়েছে। ভারতকে মুসলিমদের নিপীড়ক হিসেবে তুলে করে তিনি ভারতের বৈশ্বিক অবস্থানকে দুর্বল করতে চাইছেন। এই কৌশলটি ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ হুমকি হিসেবে উপস্থাপন করে বালুচিস্তানের বিদ্রোহের মতো অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে মনোযোগ সরানোর কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে।’’

    কাশ্মীর দখলকে অবৈধ!

    কেন্দ্রের ওই কর্তার মতে, ‘ভারত কাশ্মীর দখল করেছে’ দাবি করে মুনির পাকিস্তানের সামরিক অবস্থানকে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সংহতির সঙ্গে একাত্ম করেছেন, যা গাজায় প্যালেস্তাইনিদের প্রতি তাঁর সমর্থনেরই প্রতিফলন। ওই কর্তার মতে, ‘‘এটি এমন সময়ে এসেছে যখন পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে। মুনির নিজেকে বিশ্বব্যাপী মুসলিম স্বার্থের রক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন (India)।’’

    ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করা

    ভারত সরকারের ওই কর্তা আরও জানান, ভারতের সংশোধিত ওয়াকফ আইন এবং বর্তমানে ঘটে চলা বিক্ষোভের সময় কৌশলগতভাবে মুনির এই বক্তব্য রাখছেন, যাতে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের (Two Nation Theory) ন্যারেটিভগুলিকে শক্তিশালী করে ভারতকে মুসলিমবিরোধী হিসেবে দেগে দেওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘‘ওয়াকফ ইস্যুর টানাপোড়েনকে কাজে লাগিয়ে মুনিরের লক্ষ্য, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করা, এবং এর পাশাপাশি ভারত ও বাংলাদেশে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহিত করা। অভ্যন্তরীণভাবে, তিনি (মুনির) এমন এক পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে চাইছেন যেখানে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদের সঙ্গেই সেনাপ্রধানের দায়িত্বকাল শেষ হয়। তাঁর এই বক্তব্য উগ্রবাদী ভোটার ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর কাছে সামরিক বাহিনীর ভূমিকাও শক্তিশালী করছে। মুনিরের বক্তব্য বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের অংশ, যেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে চাল আমদানি ফের শুরু ও উচ্চপর্যায়ের সফর বজায় রেখে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা চলছে নিরন্তর।’’

    জাতির জন্মকাহিনি

    প্রসঙ্গত, বুধবার ইসলামাবাদে (Two Nation Theory) পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মুনির বলেন, “প্রতিটি পাকিস্তানি নাগরিকের উচিত তাদের সন্তানদের কাছে জাতির জন্মকাহিনি বর্ণনা করা। তিনি বলেন, “আপনাদের সন্তানদের কাছে পাকিস্তানের গল্প বলতে হবে, যাতে তারা ভুলে না যায় কীভাবে আমাদের পূর্বপুরুষরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেদের হিন্দুদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন মনে করতেন।” তিনি বলেন, “আমাদের দেশের রাষ্ট্রদূতদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে তাঁরা একটি উন্নততর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক। আপনাদের অবশ্যই আপনার সন্তানদের কাছে পাকিস্তানের গল্প বলা উচিত। আমাদের পূর্বপুরুষরা ভাবতেন যে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা হিন্দুদের থেকে আলাদা। আমাদের ধর্ম, আমাদের রীতিনীতি, ঐতিহ্য, চিন্তাভাবনা এবং উচ্চাকাঙ্খা পৃথক। এটাই ছিল দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তি (India)।”

    “পাকিস্তানের নিয়তি”

    বালুচিস্তানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করে সেনাপ্রধান এ অঞ্চলকে “পাকিস্তানের নিয়তি” বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “জঙ্গিদের আগামী দশ প্রজন্মও বালুচিস্তান ও পাকিস্তানের ক্ষতি করতে পারবে না।” তিনি বলেন, “কাশ্মীর হল ইসলামাবাদের গলার শিরা। তাই পাকিস্তানিরা কখনওই তাকে ভুলতে পারবে না।” বালুচ বিদ্রোহীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “বালুচিস্তান পাকিস্তানের গর্ব! তোমরা এত সহজেই এটা কেড়ে নেবে?” তিনি বলেন, “আপনাদের কি মনে হয় জঙ্গিরা পাকিস্তানের ভাগ্য নির্ধারণ করবে? ভারতের সেনার সংখ্যা ১৩ লাখের (India) বেশি। তবুও আমরা তাদের পরোয়া করি না। জঙ্গিরা তো কোন ছার (Two Nation Theory)!”

  • Mithun Chakraborty: ‘‘হিন্দু সমাজের জন্য হুমকি মমতা’’, ওয়াকফ-হিংসা নিয়ে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: ‘‘হিন্দু সমাজের জন্য হুমকি মমতা’’, ওয়াকফ-হিংসা নিয়ে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে হিংসা-বিতর্ক ইস্যুতেই এমন মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা। মমতা দাবি করেছিলেন, বাংলায় ওয়াকফ আইন কার্যকর করতে দেবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে ব্যঙ্গের সুরে মিঠুন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কি সংবিধানের ঊর্ধ্বে, এই অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে?’’ একইসঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবিও জানিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুন চক্রবর্তী ওই সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, বাংলায় এখন হিন্দু সম্প্রদায় একজোট হচ্ছে।

    কোনও কিছুই বাঁচাতে পারবে না মমতাকে, তোপ মিঠুনের

    এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বলেন, ‘‘রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তারা সম্প্রদায়কে বিভক্ত করার জন্য কাজ করছে। বাঙালি হিন্দুরা এখন গৃহহীন, ত্রাণ শিবিরে খিচুড়ি খাচ্ছে। তাদের দোষ কী?’’ ওই সাক্ষাৎকারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পরিকল্পনাকেও নিশানা করে মিঠুন বলেন, ‘‘এখন কিছুই তাদের বাঁচাতে পারবে না, হিন্দুরা তাদের খেলা বুঝতে পেরেছে।’’

    মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছেন

    মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে দাবি করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, বিএসএফ, কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং বিজেপি এই হিংসার সঙ্গে জড়িত ছিল। মমতা অভিযোগ করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীদের অনুপ্রবেশ করতে নাকি সাহায্য করেছিল বিএসএফ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এমন দাবি নিয়ে তোপ দাগেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। মমতার এমন বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলে অভিহিত করে মিঠুন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছেন। ভারতের সংসদে পাস হওয়া আইন কার্যকর না করার ক্ষমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কে দিয়েছে? তিনি শুধু মুখ্যমন্ত্রী, সংবিধানের ঊর্ধ্বে নন।’’

  • JNUSU Elections: জেএনইউ-র ভোট ২৫ এপ্রিল, প্রচার শুরু এবিভিপির, মিলছে অভূতপূর্ব সাড়া

    JNUSU Elections: জেএনইউ-র ভোট ২৫ এপ্রিল, প্রচার শুরু এবিভিপির, মিলছে অভূতপূর্ব সাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের (JNUSU Elections) নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল হতে চলেছে ভোট। এই আবহে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) শুরু করেছে প্রচার। ক্যাম্পাসে এবিভিপির প্রচারে ব্যাপক সাড়া মিলছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যার্থী পরিষদের নেতৃত্ব। সমস্ত বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরাই এবিভিপির প্রচারে অংশগ্রহণ করছেন বলেও জানানো হয়েছে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠ-অবাধ-স্বচ্ছ হয় সে দাবিও রেখেছে এবিভিপি। বিদ্যার্থী পরিষদ এই নির্বাচনে প্রচার অভিযান চালাচ্ছে দুটি থিমের ওপর একটি হল, ‘রুম-টু-রুম’ এবং অপরটি হচ্ছে ‘ক্লাস-টু-ক্লাস’। এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে ক্লাসরুম, ক্যান্টিন থেকে কমনরুম- সমস্ত জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে এবিভিপি।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা উঠে আসছে এবিভিপির প্রচারে (JNUSU Elections)

    বিগত বছরগুলিতে বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে উন্নত হয়েছে, সে নিয়েও প্রচার চালাচ্ছে এবিভিপি। প্রচারে উঠে আসছে র‍্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাসের কথা। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNUSU Elections) নানা বিভাগের সংস্কারের কথাও বলছে এবিভিপি। বিদ্যার্থী পরিষদের নেতৃত্ব জানাচ্ছে, ভর্তির পদ্ধতিও আগের থেকে অনেক সহজ হয়েছে। একইসঙ্গে, সময় মতো পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়া এবং হস্টেলগুলিতে জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন, নতুন ফেলোশিপ, স্কলারশিপ চালু হওয়ার কথাও নিজেদের প্রচারে তুলে এনেছে এবিভিপি।

    কী বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি (ABVP) নেতৃত্ব?

    জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNUSU Elections) এবিভিপির তরফ থেকে প্রচার প্রমুখের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অর্জুন আনন্দকে। অর্জুন আনন্দ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা প্রচার চালাচ্ছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনকে (JNUSU Elections) সামনে রেখে। প্রচারের কাজে আমরা টিম তৈরি করেছি। এই টিম প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করছে। তাঁদের মতামত শুনছে এবং কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়ন আরও ভালোভাবে করা যায় সে নিয়েও তাঁরা কথা বলছেন।’’ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ-সম্পাদক হলেন এবিভিপির বিকাশ প্যাটেল। তিনি বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের মধ্যে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।’’

  • Train Sabotage: চালকের তৎপরতায় ভেস্তে গেল ট্রেন অন্তর্ঘাতের চেষ্টা, প্রাণে বাঁচলেন গরিব রথের যাত্রীরা

    Train Sabotage: চালকের তৎপরতায় ভেস্তে গেল ট্রেন অন্তর্ঘাতের চেষ্টা, প্রাণে বাঁচলেন গরিব রথের যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন বন্ধ থাকার পর রেলে ফের অন্তর্ঘাতের (Train Sabotage) চেষ্টা! চালকের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দিলওয়ার নগর ও রহিমাবাদ স্টেশনের মাঝের ঘটনা। দুষ্কৃতীরা রেললাইনের ওপর কাঠের ব্লক ফেলে রেখেছিল। তাতে একটা গামছা জড়ানো। গামছায় লেখা ছিল ‘রাম’ নাম। গভীর রাতে ওই লাইনে আসছিল গরিব রথ। ট্রেন ধাক্কা খায় কাঠের ব্লকে। তবে ট্রেনটির গতি কম থাকায় এড়ানো গিয়েছে দুর্ঘটনা। চালক সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি জানান সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষকে। কর্তৃপক্ষ লখনউ থেকে আসা ০৫৫৭৭ সহরসা আনন্দ বিহার গরিব রথ নামের ওই ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন মাহিলাবাদ স্টেশনে। ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঠের ব্লক সরিয়ে দেয় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় রাম নাম লেখা গামছা। সন্দেহজনক এই সব জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে ১১০৯/১১ নম্বর পোলের কাছে। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে আরপিএফ এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি দল। রেললাইনে পাওয়া জিনিসপত্রের ফরেনসিক পরীক্ষাও করবে পুলিশ।

    লাইনে কাঠের ব্লক (Train Sabotage)

    দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছে। জানা গিয়েছে, গরিব রথকে লাইনচ্যুত করতে দুর্বৃত্তরা দিলাওয়ার নগর ও রহিমাবাদের মধ্যে প্রায় আড়াই ফুট লম্বা ও ছয় ইঞ্চিরও পুরু একটি কাঠের ব্লক আড়াআড়িভাবে রেখেছিল রেলওয়ে ট্র্যাকের ওপর। অন্তর্ঘাতের দিক থেকে নজর ঘোরাতে লাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়েছিল কিছু সবুজ গাছের ডালপালাও। তদন্তকারী এক পদস্থ পুলিশ কর্তা বলেন, “যে সময়ে (রাত ২.৪৩ মিনিট), যে অবস্থানে এবং যে পদ্ধতিতে বাধাটি স্থাপন করা হয়েছিল, তাতে ব্যাপক প্রাণহানির উদ্দেশে একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা ছিল বলে ইঙ্গিত মিলেছে।” তিনি বলেন, “আমরা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছি এবং ঘটনাটিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অন্তর্ঘাতের চেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করছি।”

    অন্তর্ঘাতের চেষ্টা হয়েছে আগেও

    এর আগে গত বছর একাধিকবার ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে নাশকতার ছক কষা হয়েছিল। সময়মতো রেলকর্মী ও স্থানীয়দের তৎপরতায় সেগুলি ভেস্তে যায়।  উত্তরপ্রদেশেরই কানপুরে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় কালিন্দী এক্সপ্রেস। সেবার কানপুরের শিবরাজপুরের কাছে রেললাইনের ওপর রাখা ছিল রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার (Train Sabotage)। সিলিন্ডার উদ্ধারের পাশাপাশি আরপিএফ ওই জায়গা থেকে সন্দেহজনক কয়েকটি জিনিসও উদ্ধার করে। সিলিন্ডারটি যেখানে (Uttar Pradesh) রাখা ছিল, সেখানে একটি হলুদ রংয়ের পদার্থও উদ্ধার করে পুলিশ (Train Sabotage)। কখনও রায়বরেলীতে রেললাইনের ওপর সিমেন্টের ব্লক ফেলে রাখা হয়। আবার কোথাও রেললাইনে ডাঁই করা মাটি, তো কোথাও আবার মোটরসাইকেলের স্ক্র্যাপ ফেলে রাখা হয়। কোথাও ফিশপ্লেট খুলে রাখা হয়। ফের একবার, রেলে নাশকতা তৈরির ছক বানচাল করা হল।

  • JD Vance: ‘শুল্কযুদ্ধে’র আবহে ভারতে আসছেন সস্ত্রীক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে হবে কথা?

    JD Vance: ‘শুল্কযুদ্ধে’র আবহে ভারতে আসছেন সস্ত্রীক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে হবে কথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সফরে আসছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (JD Vance) ও তাঁর ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী ঊষা ভান্স। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই ভারতে আসতে পারেন তাঁরা। ভান্সের এই ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ভান্স কবে ভারতে আসছেন, তা জানা যায়নি। ইটালি সফরেও যাবেন তাঁরা। ইটালি সফর শেষে তাঁরা ভারতে আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর।

    ‘শুল্কযুদ্ধে’র আবহে ভারত সফরে ভান্স (JD Vance)

    ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি যৌথ বিবৃতিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছিল। অনুমান, ভান্সের ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সেগুলি আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। প্রসঙ্গত, ভান্স এমন একটা সময়ে ভারতে আসছেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঘিরে গোটা বিশ্বে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ট্রাম্প যেসব দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও। তবে চিন ছাড়া আপাতত ৯০ দিন বাকি দেশগুলির ওপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা

    আসন্ন ভারত সফরে তিন সন্তান ইউয়ান, বিবেক ও মিরাবেলকেও সঙ্গে আনতে পারেন ভান্স। ভারত সফরে এসে নয়াদিল্লির পাশাপাশি জয়পুর ও আগরায়ও যাওয়ার কথা রয়েছে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের। পিটিআই সূত্রে খবর, আগামী ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন ভান্স (JD Vance)। বৈঠকে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি দুদেশের বাণিজ্য ও পারস্পরিক শুল্কের হার নিয়েও আলোচনা হতে পারে। আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফায় আলোচনা হয়েছে ভারতের। আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ইতিমধ্যেই ভারত থেকে ঘুরে গিয়েছে। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও সেরে এসেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর। সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা হয়েছে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর। দু’দেশই চাইছে বাণিজ্যচুক্তি দ্রুত বাস্তবায়িত হোক। তবে জয়শঙ্কর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে নয়া বাণিজ্যচুক্তির ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া ফার্স্ট এবং বিকশিত ভারতের নীতি নিয়ে এগোবে নয়াদিল্লি।

    উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটি বাণিজ্যচুক্তি হয়েছে, যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে বলে অনুমান (JD Vance)।

  • Murshidabad: তাড়া করছে আতঙ্ক! ভয়ে নিহতদের শ্রাদ্ধে অরাজি নাপিত-ব্রাহ্মণ, মমতাকে তুলোধনা করে ক্ষতিপূরণে না পরিবারের

    Murshidabad: তাড়া করছে আতঙ্ক! ভয়ে নিহতদের শ্রাদ্ধে অরাজি নাপিত-ব্রাহ্মণ, মমতাকে তুলোধনা করে ক্ষতিপূরণে না পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শৈষ চৈত্রতেই শুরু হয় তাণ্ডব। নববর্ষের মাত্র ৪ দিন আগেই। লুট, হত্যা, ভাঙচুর চলতে থাকে। তছনছ হয়ে যায় বাড়ি-দোকান। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় ওয়াকফ ইস্যুতে প্রতিবাদের নামে গুণ্ডামি, তাণ্ডব, হিংসা দেখল গোটা দেশ। এমন নৈরাজ্য অনেক প্রশ্নই তুলল। নববর্ষেও থমথমে মুর্শিদাবাদ। খুশি নেই ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের মনে। নতুন বছরেও তাঁদের মনে ঘিরে ধরেছে একরাশ ভয় ও হতাশা। ওয়াকফ বিক্ষোভের মাঝেই গত ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে খুন হন বাবা-ছেলে। হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে নৃশংসভাবে খুন করে মৌলবাদীরা। পরিবার তো বটেই, এমন বিভীষিকা কোনওভাবেই ভুলতে পারছেন না স্থানীয় গ্রামবাসীরাও। ঘরে ঢুকে আচমকাই কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল বাবা-ছেলেকে। হরগোবিন্দর বয়স ছিল ৭০ বছর, চন্দনের বয়স ছিল ৪০। ভয়ের পরিবেশে পিতা-পুত্রের শ্রাদ্ধের দিনেও জুটল না কোনও নাপিত বা ব্রাহ্মণ। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলির ভরসা সেই বিএসএফ। বিএসএফের বিরুদ্ধে মমতা যতই অভিযোগ, যাই দাবি করুক না কেন, মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়া হিন্দুরা কিন্তু বিএসএফকেই ত্রাতার চোখে দেখছেন। তাঁরা বিলক্ষণ জানেন, বিএসএফ আছে বলেই তাঁরা প্রাণে বেঁচে রয়েছেন। তাই, বিএসএফ চলে গেলে, তাঁদের ওপর কী ত্রাস নেমে আসবে, তা ভেবেই আতঙ্কিত সকলে।

    তিন জন নাপিত এবং দু’জন ব্রাহ্মণ রয়েছেন, আসতে চাননি কেউই

    প্রসঙ্গত, বুধবারই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে নিহত বাবা এবং ছেলের আদ্যশ্রাদ্ধ ছিল। অভিযোগ, পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মের জন্য কোনও নাপিত বা ব্রাহ্মণকে পায়নি তাঁদের পরিবার। এরফলে নিজেদের মতো করেই কোনও রকমে কাজ সেরেছে নিহতের পরিবার। নিহতের পরিবারের দাবি, ভয়ে তাঁদের বাড়িতে কেউ আসতে চাইছেন না। তবে এগিয়ে আসেন কীর্তনের দলের সদস্যরা। কীর্তনের মধ্যে দিয়েই শ্রাদ্ধ সম্পন্ন করেন পরিবারের সদস্যরা। তাই কেউ এগিয়ে আসেনি। নিহতদের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের এলাকায় তিন জন নাপিত এবং দু’জন ব্রাহ্মণ রয়েছেন। শ্রাদ্ধের কাজের জন্য তাঁদের কাছেও গিয়েছিলেন ওই পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতেই। ক্ষৌরকারদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সংক্রান্ত কাজের জন্য যে জিনিসপত্র লাগে, তা তাঁদের কাছে এই মুহূর্তে নেই। তাই পারলৌকিক কাজ করা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে, দুই ব্রাহ্মণই জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনা নিয়ে থানা-পুলিশ হয়েছে এবং বর্তমানে মামলা চলছে। তাই তাঁরা এই সংক্রান্ত কাজ করতে পারবেন না।

    ফের যেন দেশভাগের ছবি ফিরে এসেছে

    জেলার হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে পুড়ে গিয়েছে ঘরবাড়ি। হিংসার আগুন শেষ করে দিয়েছে রুজিরুটিও। দোকানপাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পুড়ে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন হিন্দুরা (Murshidabad)। ফের যেন দেশভাগের ছবি ফিরে এসেছে। ভিটে মাটি হারিয়ে ভয়ে কেউ গিয়েছেন ঝাড়খণ্ড, কেউ আবার বীরভূমে। বেশিরভাগ জন প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে মালদায়। তবে এখানেই শেষ নয়, উদ্বাস্তু হওয়া হিন্দু পরিবারগুলি বলছে, প্রাণভয়ে পালানোর সময়ও উগ্রপন্থীরা ট্রাকের পিছনে ধাওয়া করেছে। আতঙ্কে আবার অনেকেই মুখ খুলতেই চাইছেন না। প্রসঙ্গত, অশান্তি শুরু হয় গত শুক্রবার ১১ এপ্রিল। জুম্মা নমাজের দিনই অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল মুর্শিদাবাদে। নমাজ শেষেই বেরিয়েছিল বিরাট মিছিল।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে কে বাঁচাবে?- এমনই হুমকি দিচ্ছে মৌলবাদীরা

    কিন্তু পুলিশ-কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকতে কীসের ভয়? মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশে তাঁদের আস্থা আগেই চলে গিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর ভরসা আছে বলে জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে আরও বড় হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের দাবি। বাহিনী চলে গেলে কে বাঁচাবে?- এমনই হুমকি মৌলবাদীরা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে গ্রামবাসীরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করছেন। একজোট হয়ে বসে তাঁরা দাবি জানাচ্ছেন, গ্রামে গ্রামে স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প চাই। নাহলে অবস্থা আরও খারাপ হবে হিন্দুদের। যদিও, এলাকার বাসিন্দারা এখনও আতঙ্কিত নিরাপত্তা নিয়ে। তাঁদের দাবি, প্রশাসন খাবার দিচ্ছে, ত্রিপল দিচ্ছে। নিরাপত্তার করতে হবে। এক মহিলা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে আবার আমরা গ্রাম ছাড়া হব। রাতে আমাদের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তার (Murshidabad) ব্যবস্থা করতে হবে। এই ঘটনা বারবার করে ঘটতে থাকবে। আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করলে, আমরা বাঁচবো কিভাবে?’’

    নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে স্বামী-সন্তানের প্রাণ টিকিয়ে রাখা? ভয়ঙ্কর অভিযোগ

    ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ সামনে এসেছে। কোথাও নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে স্বামী-সন্তানের প্রাণ টিকিয়ে রাখা হয়েছে, কোথাও আবার প্রকাশ্যেই দেওয়া হচ্ছে ধর্ষণ-খুনের হুমকি। একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে, সারি সারি দোকানের রয়েছে তবে তারই মাঝে বেছে বেছে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হিন্দু মালিকদের দোকান। ঘরের মজুত চাল থেকে শুরু করে নগদ টাকা, গয়না এ সব কিছুই লুটে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদের অছিলায় হামলার সেই বিভীষিকার দৃশ্য কিছুতেই কোনওভাবই ভুলতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। যারা পালিয়ে বেঁচেছেন, তাঁরা কবে ফিরবেন? এই প্রশ্নের উত্তরও নেই কারও কাছে।

    ক্ষতিপূরণ প্রত্যাখান, বাবা-ভাইকে ফিরিয়ে দেবে মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন নিহতেদর দিদির

    প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে হিংসার (Murshidabad Violence) ঘটনায় মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। তবে নিহত হরগোবিন্দ এবং চন্দনের পরিবার জানিয়েছে, তাঁরা ক্ষতিপূরণ নিতে চান না কোনওভাবেই। দোষীদের কঠোর শাস্তি চান তাঁরা। নিহত চন্দন দাসের দিদি বলেন, ‘‘আমার ভাই, আমার বাবাকে কেটে খুন করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ফিরিয়ে দেবে?’’ নিহত চন্দন দাসের স্ত্রীও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘সাহায্য নেব না। যে মেরেছে তার শাস্তি চাই।’’

    সময়মতো পুলিশ এলে বাঁচানো যেত বাবা-ভাইকে, আক্ষেপ নিহতের দিদির

    এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ ঘোষণা প্রসঙ্গে হরগোবিন্দ দাসের মেয়ে বলেন, ‘‘আমরা ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ (Murshidabad Violence) চাই না। যে চলে গিয়েছে তাঁকে ফিরিয়ে দিতে পারবে না এই সরকার।’’ এর পাশাপাশি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন হরগোবিন্দ-চন্দনের বাড়ির লোক। পুলিশ সেদিন সময়মতো এলে বাবা ও ভাইকে হারাতে হত না বলে দাবি হরগোবিন্দর মেয়ের। গ্রামের একাধিক বাড়ি-ঘরও ধ্বংস হত না বলেও জানিয়েছেন চন্দনের দিদি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘পুলিশকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ফোন করেছি। পুলিশ এগিয়ে আসেনি। পুলিশের অসহযোগিতার কারণে চোখের সামনে আমাদের পরিবারের দুজনকে চলে যেতে হল। বাবাকে ও ভাইকে হারিয়েছি। গ্রামে একাধিক বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভাঙচুর করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ আসেনি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী নিয়ে পুলিশ যখন আসে ততক্ষণে সব শেষ। আর আজকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আমরা এই ক্ষতিপূরণ চাই না।’’

  • Sukanta Majumdar: ‘‘দম থাকলে প্রমাণ করুন অশান্তি বিজেপি করিয়েছে’’, মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘দম থাকলে প্রমাণ করুন অশান্তি বিজেপি করিয়েছে’’, মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল বুধবার বিকালে মুর্শিদাবাদ হিংসার ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে ভবানী ভবনে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দেখা করেন রাজ্যে পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে। সুকান্তর সঙ্গে ছিলেন আরও তিন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, তাপস রায় ও অর্জুন সিং। প্রথমে ভবানী ভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হলে সেখানেই ধর্নায় বসে পড়েন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপরে তাঁদের দেখা করা অনুমতি দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘আশ্বস্ত হওয়ার মতো কিছু পেলাম না। আমরা একাধিক দিক তুলে ধরেছি। পুলিশ দুস্থদের খাওয়াতে পারছে না, এদিকে আমরা যখন ত্রাণ দিতে যাচ্ছি আমাদের আটকে দিচ্ছে।’’ একইসঙ্গে মমতাতে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সুকান্ত জানান, দম থাকলে উনি প্রমাণ করুন অশান্তি বিজেপি করিয়েছে।

    ভবানী ভবনের সামনে থেকে তোপ মমতাকে

    ভবানী ভবনের সামনে থেকেই এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি করেছে বলছেন উনি। আমার ফোন, আমাদের বিজেপি নেতাদের ফোন দিয়ে দিচ্ছি আমরা। দেখাক প্রমাণ করে যে আমরা করেছি। চ্যালেঞ্জ করছি আমরা, চ্যালেঞ্জ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি দম থাকে, প্রমাণ করে দেখাক যে সুকান্ত মজুমদার বা বিজেপির অন্য কোনও নেতা এই অশান্তি করিয়েছে। প্রমাণ করে দেখাক।’’

    ব্যর্থতার দায় কে নেবে প্রশ্ন তুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, ‘‘আমাদের তোলা সমস্ত অভিযোগগুলিই উনি শুনেছেন ও নোট করেছেন। কিন্তু রাজ্য পুলিশের প্রধান হয়েও উনি এই ঘরছাড়াদের এমন কিছু বললেন না যাতে এনারা আশ্বস্ত হয়। ডিজি শুধু বললেন, আমরা আইন মেনে কাজ করব।’’ পুলিশের ভূমিকা টেনে সুকান্ত মজুমদার (Murshidabad Violence) বলেন, ‘‘আমরা যে যে প্রশ্ন করেছি, তার উত্তর পাইনি। বিএসএফ পুলিশ পাশাপাশি রাখলে, পুলিশ সব থেকে বেশি দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম, ওরা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। এদিকে আক্রান্তরা বলছে, বিএসএফ বেশি ভালো কাজ করেছে। এদিকে ডিজি আমাদের জানিয়েছেন, পুলিশ নাকি পর্যাপ্ত ছিল না। অর্থাৎ গোয়েন্দা বিভাগ তাদের আগাম কোনও খবরই দেননি। এটার মানে একটাই, তারা ব্যর্থ। কিন্তু এই ব্যর্থতার দায়টা নেবে কে?’’

  • Amarnath Yatra: ৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে এবছরের অমরনাথ যাত্রা, চলছে রেজিস্ট্রেশন-পর্ব

    Amarnath Yatra: ৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে এবছরের অমরনাথ যাত্রা, চলছে রেজিস্ট্রেশন-পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমরনাথ যাত্রার (Amarnath Yatra) রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল থেকে। অফলাইন এবং অনলাইন এই দুই পদ্ধতিতেই তীর্থযাত্রীদের নাম নথিভুক্তকরণের কাজ চলছেষ এ নিয়ে শ্রী অমরনাথ যাত্রার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রেজিস্ট্রেশনের জন্য নেওয়া হচ্ছে ২২০ টাকা। অন্যদিকে, অফলাইন রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে দেশের ৬০০ ব্যাঙ্কের শাখা থেকে। চলতি বছরে অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra 2025) শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ৩ জুলাই থেকে। এই যাত্রা চলবে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত। ৩৯ দিন ধরে অমরনাথ যাত্রা চলবে। এই সময় তীর্থযাত্রীরা দুটি পথ দিয়ে অমরনাথের উদ্দেশে যেতে পারবেন। একটি হল, জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাম হয়ে। অপরটি হল গান্দেরবাল জেলার বালতাল থেকে।

    ৫ মার্চ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় (Amarnath Yatra)

    প্রশাসনের অনুমান, চলতি বছরে ছয় লাখেরও বেশি তীর্থযাত্রী অমরনাথ যাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। গত বছরের সংখ্যাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে চলতি বছরের অমরনাথ যাত্রা। গত ৫ মার্চ এনিয়ে অমরনাথ যাত্রার কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। তাঁর সভাপতিত্বেই অমরনাথ যাত্রা সংক্রান্ত নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা (Amarnath Yatra 2025) হয় বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে বড় অ্যাজেন্ডা ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত কোথায় করা হচ্ছে?

    এর পাশাপাশি তীর্থযাত্রীদের অন স্পট রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি, তাদের ডিজিটাল পরিচয়- এ নিয়েও আলোচনা হয়। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জম্মু, শ্রীনগর, বালতাল, পহেলগাম, নুনওয়ান, পান্থাচক ইত্যাদি স্থানে তীর্থযাত্রীদের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে ব্যবস্থা থাকছে চিকিৎসকদের দলের। বয়স্কদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে তীর্থযাত্রা (Amarnath Yatra) সহজেই অমরনাথ যাত্রা করতে পারেন, সেই নিয়ে সর্বদাই তৎপর প্রশাসন। এদিকে পোর্টাল খুলতেই তীর্থযাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া দেখা দিয়েছে। যাদের মধ্যে একজন হলেন রোহিত। তিনি এ বছরে দ্বিতীয়বারের জন্য অমরনাথ যাত্রা করছেন। তিনি নিজের অভিজ্ঞতায় জানিয়েছেন, অমরনাথ যাত্রা ফের একবার করতে তিনি উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন।

  • Daily Horoscope 17 April 2025: বন্ধুদের দিক থেকে ক্ষতি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 17 April 2025: বন্ধুদের দিক থেকে ক্ষতি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কর্মদক্ষতায় চাকরির স্থানে সুনাম অর্জন করতে পারবেন।

    ২) বিষয়সম্পত্তি নিয়ে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর জন্য বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) দিনটিতে বিবাদে জড়াবেন না।

    মিথুন

    ১) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ২) সঙ্গীতচর্চায় নতুন রাস্তা খুলতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ২) বন্ধুদের দিক থেকে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    সিংহ

    ১) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ২) প্রতিযোগিতায় জেতার আশা রাখতে পারেন।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে বেশি।

    কন্যা

    ১) মাত্রাছাড়া আবেগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    তুলা

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ২) শরীরের সমস্যায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ২) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

    ২) ঘরের পরিবেশ অনুকূল থাকলেও বাইরে পরিবেশ খুব একটা উপযুক্ত হবে না।

    ৩) সংযমী হতে হবে।

    মকর

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) সন্তানদের বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ।

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনাকে ঠকাতে পারে।

    ২) সাংসারিক সমস্যার সমাধান হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনায় সফল হবেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 327: “গয়াতে সাধু দেখেছিলাম, একদিন ভক্তদের খাওয়াবার ইচ্ছা হল, দেখি মাথায় করে ময়দা ঘি এসে পড়ল, ফলটলও এল”

    Ramakrishna 327: “গয়াতে সাধু দেখেছিলাম, একদিন ভক্তদের খাওয়াবার ইচ্ছা হল, দেখি মাথায় করে ময়দা ঘি এসে পড়ল, ফলটলও এল”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ৯ই নভেম্বর
    সন্ন্যাসী সঞ্চয় করিবে না — ঠাকুর ‘মদগত-অন্তরাত্মা’

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বরে কালীমন্দিরে আছেন। তিনি নিজের ঘরে ছোট খাটটিতে পূর্বাস্য হইয়া বসিয়া আছেন। ভক্তগণ মেঝের উপর বসিয়া আছেন। আজ কার্তিক মাসের কৃষ্ণা সপ্তমী, ২৫শে কার্তিক, ইংরেজী ৯ই নভেম্বর, ১৮৮৪ খ্রীষ্টাব্দ (রবিবার)।

    বেলা প্রায় দুই প্রহর। মাস্টার আসিয়া দেখিলেন, ভক্তেরা ক্রমে ক্রমে আসিতেছেন। শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর সঙ্গে কয়েকটি ব্রাহ্মভক্ত আসিয়াছেন (Kathamrita)। পূজারী রাম চক্রবর্তীও আছেন। ক্রমে মহিমাচরণ, নারায়ণ, কিশোরী আসিলেন। একটু পরে আরও কয়েকটি ভক্ত আসিলেন।

    শীতের প্রারম্ভ। ঠাকুরের (Ramakrishna) জামার প্রয়োজন হইয়াছিল, মাস্টারকে আনিতে বলিয়াছিলেন। তিনি লংক্লথের জামা ছাড়া একটি জিনের জামা আনিয়াছিলেন; কিন্তু ঠাকুর জিনের জামা আনিতে বলেন নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—তুমি বরং একটা নিয়ে যাও। তুমিই পরবে। তাতে দোষ নাই। আচ্ছা, তোমায় কিরকম জামার কথা বলেছিলাম।

    মাস্টার—আজ্ঞা, আপনি সাদাসিদে জামার কথা বলেচিলেন, জিনের জামা আনিতে বলেন নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তবে জিনেরটা ফিরিয়ে নিয়ে যাও।

    (বিজয়াদির প্রতি)—“দেখ, দ্বারিক বাবু বনাত দিছল। আবার খোট্টারাও আনলে (Kathamrita)। নিলাম না।—ঠাকুর আর কি বলিতে যাইতেছিলেন। এমন সময় বিজয় কথা কহিলেন।

    বিজয়—আজ্ঞা—তা বইকি! যা দরকার কাজেই নিতে হয়। একজনের তো দিতেই হবে। মানুষ ছাড়া আর কে দেবে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—দেবার সেই ঈশ্বর! শাশুড়ী বললে, আহা বউমা, সকলেরই সেবা করবার লোক আছে, তোমার কেউ পা টিপে দিত বেশ হত। বউ বললে, ওগো! আমার পা হরি টিপবেন, আমার কারুকে দরকার নাই। সে ভক্তিভাবে ওই কথা বললে।

    “একজন ফকির আকবর শার কাছে কিছু টাকা আনতে গিছল। বাদশা তখন নমাজ পড়ছে আর বলছে, হে খোদা! আমায় ধন দাও, দৌলত দাও। ফকির তখন চলে আসবার উপক্রম করলে। কিন্তু আকবর শা তাকে বসতে ইশারা করলেন। নমাজের পর জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কেন চলে যাচ্ছিলে। সে বললে, আপনিই বলছিলেন ধন দাও, দৌলত দাও। তাই ভাবলাম, যদি চাইতে হয়, ভিখারীর কাছে কেন? খোদার কাছে চাইব!”

    বিজয়—গয়াতে সাধু দেখেছিলাম (Kathamrita), নিজের চেষ্টা নাই। একদিন ভক্তদের খাওয়াবার ইচ্ছা হল। দেখি কোথা থেকে, মাথায় করে ময়দা ঘি এসে পড়ল। ফলটলও এল।

LinkedIn
Share