Tag: bangla news

bangla news

  • Ramakrishna 325: “কেশব সেন হরিনাম করেন, ঈশ্বরচিন্তা করেন, অমনি তাঁকে দেখতে ছুটেছেন”

    Ramakrishna 325: “কেশব সেন হরিনাম করেন, ঈশ্বরচিন্তা করেন, অমনি তাঁকে দেখতে ছুটেছেন”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে অক্টোবর
    সেবক হৃদয়ে

    সন্ধ্যার পূর্বে মণি বেড়াইতেছেন ও ভাবিতেছেন—“রামের ইচ্ছা” এটি তো বেশ কথা! এতে তো Predestination আর Free will, Liberty আর—Necessity এ-সব ঝগড়া মিটে যাচ্ছে। আমায় ডাকাতে ধরে নিলে “রামের ইচ্ছায়”; আবার আমি তামাক খাচ্ছি “রামের ইচ্ছায়”, আমি ডাকাতি করছি “রামের ইচ্ছায়। আমায় পুলিসে ধরলে “রামের ইচ্ছায় (Ramakrishna)”, আমি সাধু হয়েছি “রামের ইচ্ছায়”, আমি প্রার্থনা করছি, “হে প্রভু আমায় অসদ্বুদ্ধি দিও না—আমাকে দিয়ে ডাকাতি করিয়ো না”—এও “রামের ইচ্ছা”। সৎ ইচ্ছা, অসৎ ইচ্ছা তিনি দিচ্ছেন। তবে একটা কথা আছে, অসৎ ইচ্ছা তিনি কেন দিবেন—ডাকাতি করবার ইচ্ছা তিনি কেন দিবেন? তার উত্তরে ঠাকুর বলেন এই,—তিনি জানোয়ারের ভিতর যেমন বাঘ, সিংহ, সাপ করেছেন; গাছের ভিতর যেমন বিষগাছও করেছেন, সেইরূপ মানুষের ভিতর চোর, ডাকাতও করেছেন। কেন করেছেন? কেন করেছেন, তা কে বলবে (Kathamrita)? ঈশ্বরকে কে বুঝবে?

    “কিন্তু তিনি যদি সব করেছেন, Sense of responsibility তো যায়; তা কেন যাবে? ঈশ্বরকে না জানলে, তাঁর দর্শন হলে “রামের ইচ্ছা (Ramakrishna)”, এটি ষোল আনা বোধই হবে না। তাঁকে লাভ না করলে এটি এক-একবার বোধ হয়; আবার ভূল হয়ে যাবে। যতক্ষণ না পূর্ণ বিশ্বাস হয়, ততক্ষণ পাপ-পুণ্য বোধ, responsibility বোধ, থাকবেই থাকবে। ঠাকুর বুঝালেন, “রামের ইচ্ছা”। তোতা পাখির মতো “রামের ইচ্ছা” মুখে বললে হয় না। যতক্ষণ ঈশ্বরকে জানা না হয়, তাঁর ইচ্ছায় আমার ইচ্ছায় এক না হয়, যতক্ষণ না “আমি যন্ত্র” ঠিক বোধ হয়, ততক্ষণ তিনি পাপ-পুণ্য বোধ, সুখ-দুঃখ বোধ, শুচি-অশুচি বোধ, ভাল-মন্দ বোধ রেখে দেন; Sense of responsibility রেখে দেন; তা না হলে তাঁর মায়ার সংসার কেমন করে চলবে?

    “ঠাকুরের ভক্তির কথা (Kathamrita) যত ভাবিতেছি, ততই অবাক্‌ হইতেছি। কেশব সেন হরিনাম করেন, ঈশ্বরচিন্তা করেন, অমনি তাঁকে দেখতে ছুটেছেন,—অমনি কেশব আপনার লোক হলেন। তখন কাপ্তেনের কথা আর শুনলেন না। তিনি বিলাতে গিয়াছিলেন, সাহেবদের সঙ্গে খেয়েছেন, কন্যাকে ভিন্ন জাতিতে বিবাহ দিয়াছেন—এ-সব কথা ভেসে গেল! কুলটি খাই, কাঁটায় আমার কি কাজ?

  • National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট ইডির

    National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিল ইডি (ED)। এই প্রথম তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে ২৫ এপ্রিল। চার্জশিটে নাম রয়েছে কংগ্রেসের ওভারসিজ নেতা স্যাম পিত্রোদা এবং সুমন দুবের। শনিবার এই মামলায় সোনিয়া ও রাহুলের ৬৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইডি। মঙ্গলবারই টাকা তছরুপের মামলায় জেরা করা হয় সোনিয়ার জামাই রবার্ট বঢরাকে। তার পরেই সোনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে ইডি।

    ইডির চার্জশিট (National Herald Case)

    চলতি মাসের শুরুর দিকে ন্যাশলান হেরাল্ড মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। সেটি পর্যালোচনা করেন বিশেষ বিচারক বিশাল গগনে। সেটি গৃহীত হওয়ার পরে স্থির হয় এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ এপ্রিল। বিশেষ বিচারক জানান, ওই দিন কেস ডায়েরি দাখিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে ইডির তদন্তকারী অফিসার ও ইডির আইনজীবীকে।প্রসঙ্গত, ১১ এপ্রিল থেকে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের প্রকাশনা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড এবং মালিক সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইডি। দিল্লি, মুম্বইয়ের বান্দ্রার বেশ কিছু জায়গা, লখনউয়ের বিশেশ্বর নাথ রোডের এজেএল বিল্ডিং খালি করার জন্য বিজ্ঞপ্তিও সেঁটে দেওয়া হয়েছে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার সূত্রপাত

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার (National Herald Case) সূত্রপাত বিজেপির সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর করা মামলা থেকে। তাঁর অভিযোগ, ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের প্রকাশনা সংস্থা এজেএলের বাজারে কোটি কোটি টাকার দেনা ছিল তাদের। এর সিংহভাগ টাকাটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া। ২০০৮ সালে প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায় সংবাদপত্রটির। সেই অবস্থায় সংস্থাটি অধিগ্রহণ করেন সোনিয়া, রাহুল এবং শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থা। এরপর ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ানের দখলে চলে আসে। কোটি কোটি টাকা দেনার দায়ও চাপে তাদের ঘাড়ে। এর কিছুদিন পরে দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলে কারণ দেখিয়ে কংগ্রেসের তরফে ঋণের টাকা (ED) মকুব করে দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এই টাকা নয়ছয়ের তদন্ত শুরু করে ইডি (National Herald Case)।

  • BJP: ‘‘বদলে যাচ্ছে সীমান্তের জেলাগুলির জনবিন্যাস, ছেচল্লিশের দিন ফিরিয়ে আনছেন মমতা’’, তোপ শমীকের

    BJP: ‘‘বদলে যাচ্ছে সীমান্তের জেলাগুলির জনবিন্যাস, ছেচল্লিশের দিন ফিরিয়ে আনছেন মমতা’’, তোপ শমীকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। এনিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। বিজেপি (BJP) নেতার মতে, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জনবিন্যাসই বদলে যাচ্ছে। এক সময় যারা ভারত ‘নাপাক’ বলে থাকতে চায়নি এদেশে, তাদেরকেই ফের টেনে আনছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাক্ষাৎকারে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের এভাবেই অভ্যর্থনা জানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এভাবেই তাদের রাজ্যে টেনে আনছে শাসক দল।’’

    ১৯৪৬ সালের দিন ফিরিয়ে আনছে মমতা সরকার, তোপ শমীকের

    প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের অশান্তি নিয়ে শমীক ভট্টাচার্যের (BJP) মত, সীমান্তের জেলাগুলিতে যে ধরনে অশান্তি হচ্ছে, তাতে ১৯৪৬ সালে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর প্রতিফলন ধরা পড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সেই সময়ে (১৯৪৬) রাজ্যকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।’’ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শমীক ভট্টাচার্য (BJP) বলেন, ‘‘সীমান্ত অঞ্চলের জনবিন্যাস সম্পূর্ণভাবে বদলে গিয়েছে। আমরা বর্তমানে কোথায় বাস করছি? এই জায়গা এক সময় রক্তাক্ত হয়েছিল গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর সময়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সেই অবস্থাকে ফের ফিরিয়ে আনছে।’’

    মুর্শিদাবাদের হিন্দুদের ভিটেমাটি ছাড়ার ছবি সামনে এসেছে

    প্রসঙ্গত মুর্শিদাবাদের হিংসা ব্যাপক আকার ধারণ করে। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে নামে তাণ্ডব দেখা যায় জেলাজুড়ে। এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুও হয়েছে। অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন (Samik Bhattacharya)। সেখানকার স্থানীয় হিন্দুদেরকে নিজেদের ভিটেমাটিও ছাড়তে হয়েছে। তা ধরা পড়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সৌজন্যে। শুধু তাই নয়, বাড়ির ট্যাঙ্কের জলে বিষ মেশানোর অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে। একটি ভাইরাল ভিডিওতে (মাধ্যম সত্যতা যাচাই করেনি) এমনই কথা বলতে শোনা যাচ্ছে এক মধ্যবয়সি হিন্দু মহিলাকে। তিনি বলছেন, ‘‘মৌলবাদীরা জলের ট্যাঙ্কগুলিতে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে। আমরা সেই জল খেতে পারিনি। কারণ তা বিষ মিশ্রিত ছিল।’’ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তরফ থেকে যে ভিডিওগুলি দেখানো হচ্ছে সেখানে দেখা যাচ্ছে হিন্দু মহিলারা মুর্শিদাবাদ থেকে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে পালিয়ে আসছেন। এমনকি মাত্র ছয় দিনের বাচ্চাকে নিয়েও পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন হিন্দুরা। এই ঘটনায় বিজেপি (BJP) আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই কারণ তারা ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলনকারীদের সমর্থন করছে।

  • Tamil Nadu: উৎকণ্ঠায় ১৫০টি পরিবার! হঠাতই গ্রামবাসীদের জমি ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা তামিলনাড়ুতে

    Tamil Nadu: উৎকণ্ঠায় ১৫০টি পরিবার! হঠাতই গ্রামবাসীদের জমি ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা তামিলনাড়ুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) ভেল্লোর জেলার আনাইকাট্টু তালুকের কট্টুকোল্লাই গ্রামে হঠাৎ এক নোটিশ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ১৫০টি পরিবার সম্প্রতি এমন একটি নোটিশ পেয়েছেন, যেখানে তাদের বসবাসের জমিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা ভেল্লোর জেলা কালেক্টরের কার্যালয়ে গিয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানান ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। নোটিশটি সাঈদ আলি সুলতান শাহ নামে এক ব্যক্তির পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কট্টুকোল্লাই গ্রামের জমি একটি স্থানীয় দরগার সম্পত্তি এবং গ্রামবাসীদের হয় সেই জমি ছেড়ে চলে যেতে হবে, অথবা দরগাকে কর (ট্যাক্স) দিতে হবে।

    অযৌক্তিক দাবি

    গ্রামবাসীদের কথায়, তারা প্রায় চার প্রজন্ম ধরে তামিলনাড়ুর ওই গ্রামে বসবাস করছেন। তাদের অধিকাংশের কাছেই সরকারি দলিলপত্র রয়েছে। তারা কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল এবং এই জমিই তাদের একমাত্র জীবিকা। এই দাবির ফলে তারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। হিন্দু মুনানির নেতা মহেশ এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন এবং প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “এই গ্রামে চার প্রজন্ম ধরে মানুষ বসবাস করছেন। তাদের কাছে সব ধরনের সরকারি দলিল আছে। অথচ এখন সার্ভে নম্বর ৩৩০/১-এর জমিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করা হচ্ছে।” তিনি প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসীদের নামে ‘পাট্টা’ (মালিকানা দলিল) জারি করার দাবি জানান, যাতে তাদের বসবাস এবং জীবিকা সুরক্ষিত থাকে।

    এই দাবি নতুন নয়, তাই ওয়াকফ বিল

    তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) তিরুচিরাপল্লি জেলার থিরুচেন্দুরাই গ্রামেও সম্প্রতি ওয়াকফ বোর্ড প্রায় ৪৮০ একর জমি এবং একটি ১৫০০ বছরের পুরনো চোল যুগের মন্দিরকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করে। সেখানেও গ্রামবাসীদের জানানো হয়েছিল, তারা জমি বিক্রি করতে পারবেন না, যদি না ওয়াকফ বোর্ড থেকে ‘না-আপত্তি সনদ’ (NOC) নেন। ওয়াকফ বোর্ডের দাবি অনুযায়ী, ১৯৫৪ সালের সরকারি জরিপ অনুযায়ী তাদের মালিকানায় রাজ্যের ১৮টি গ্রামে প্রায় ৩৮৯ একর জমি রয়েছে। তবে এসব দাবি বহু বাসিন্দার কাছে অজানা ছিল, যতক্ষণ না তারা জমি বিক্রির উদ্যোগ নেন। এই ইস্যুটি জাতীয় স্তরেও আলোড়ন তোলে। সংখ্যালঘু বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সংসদে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল আলোচনা চলাকালে বিষয়টি তুলে ধরেন। সংসদে ১২ ঘণ্টার বিতর্কের পরে, উক্ত বিল দুই কক্ষে পাশ হয় এবং ৫ই এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অনুমোদন দেওয়ার পর এটি আইনে পরিণত হয়েছে।

     

     

     

     

     

     

  • Delhi: স্কুলে বেআইনি ফি বৃদ্ধি নিয়ে কড়া অবস্থান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার

    Delhi: স্কুলে বেআইনি ফি বৃদ্ধি নিয়ে কড়া অবস্থান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) স্কুল ফি বৃদ্ধি (School Fee Hike) এবং অভিভাবক ও ছাত্রদের হয়রানির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা। সোমবার এক জনসংযোগ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই ধরনের অন্যায় সহ্য করা হবে না এবং দোষী স্কুলগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “ছাত্রদের হুমকি দিয়ে বা অস্বাভাবিকভাবে ফি বাড়ানো যাবে না। ফি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম ও বিধিনিষেধ আছে এবং সেগুলো না মানলে সেই স্কুলকে ভুগতে হবে। আমরা অভিযুক্ত স্কুলগুলোকে নোটিশ পাঠাবো।”

    বেআইনি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ

    এদিনের অনুষ্ঠানে কুইন মেরি স্কুল, মডেল টাউনের একদল অভিভাবক অভিযোগ করেন, বেআইনি ফি (School Fee Hike) বৃদ্ধির প্রতিবাদ করার কারণে তাঁদের সন্তানদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রী একজন সরকারি আধিকারিককে নির্দেশ দিচ্ছেন ওই স্কুলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাতে। মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা আরও বলেন, “দিল্লি (Delhi) সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, সমান সুযোগ এবং শিশুদের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্যায়, শোষণ এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের নীতি একদম স্পষ্ট — জিরো টলারেন্স। প্রতিটি শিশুর ন্যায্যতা, সম্মান এবং মানসম্মত শিক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে।”

    কেন এই অবস্থা

    দিল্লি বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা সম্প্রতি অভিযোগ করেন, “দিল্লিতে ১,৬৫০-র বেশি বেসরকারি স্কুল রয়েছে, কিন্তু কেজরিওয়াল সরকার বছরে মাত্র ৭৫টি স্কুলের হিসাবই অডিট করতে পেরেছে। এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অধিকাংশ বেসরকারি স্কুলই ফি বৃদ্ধি (School Fee Hike) করেছে।” এখন দেখার বিষয়, নতুন মুখ্যমন্ত্রীর কড়া পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হয়। দিল্লির শিক্ষা ব্যবস্থায় বেসরকারি স্কুলগুলোর প্রভাব ব্যাপক। তাই এইসব স্কুলে অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের কাছে অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়। স্কুলগুলি যাতে নিয়মের মধ্যে থাকে এবার সেদিকেই নজর দিয়েছে রাজধানীর বিজেপি সরকার।

  • Pune: প্রখর গ্রীষ্মে পুনের আদিবাসী গ্রামে আজও নেই ফ্যান, মিশন উর্জার আওতায় সৌর পাখা চালুর পরিকল্পনা

    Pune: প্রখর গ্রীষ্মে পুনের আদিবাসী গ্রামে আজও নেই ফ্যান, মিশন উর্জার আওতায় সৌর পাখা চালুর পরিকল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তানভীর ইনাম্দার। ২৮ বছর বয়সি এই ইঞ্জিনিয়ার ২০২০ সালে পৌঁছে যান পুনের (Pune) ভালানি নামের গ্রামে। এই গ্রাম একেবারে আদিবাসী সম্প্রদায় অধ্যুষিত। সেখানেই তিনি একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যান মিশন উর্জার আওতায়। গ্রামবাসীদেরকে বলেন, আমি তোমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ আনতে চাই। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে স্বাধীনতার এতদিন পরেও পুনে শহরের কেন্দ্র থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামে তখনও পৌঁছায়নি বিদ্যুতের আলো। এই গ্রামটি সভ্যতার আলো থেকে অনেকটাই দূরে ছিল। ছিল না কোনও সুযোগ সুবিধা। আদিবাসী সমাজ সমস্ত কিছু আশা ছেড়ে দিয়েছিল যে তাদের ক্ষেত্রে হয়তো এভাবেই আগামী দিনগুলো কাটতে হবে। কিন্তু মিশন উর্জাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে পৌঁছান ওই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সেটা ছিল মে মাস। মহারাষ্ট্রে চলছিল তাপপ্রবাহ। ওই গ্রামের বাড়িগুলি কাঠ এবং কাদা দিয়ে নির্মাণ করা হয়। বাড়িগুলোতে গ্রীষ্মের তাপ ব্যাপক পরিমাণে প্রবেশ করে। ঘরের ভিতরে যত মানুষের ভিড় বাড়ে তত বেশি গরম বাড়ে। ঘাম তত তীব্র হয়। মিশন উর্জার বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তানভীর এবং তার দল অস্বস্তিতে পড়ে যায়। তানভীর আদিবাসী পরিবারগুলোকে জিজ্ঞেস করেন যে একটু পাখা করে সাহায্য করবে কিনা। তখন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন এদিক ওদিক তাকাতে থাকেন এবং তাঁরা বলতে থাকেন পাখা (Tribal Villages) আবার কি!

    গ্রামের যুবক অক্ষয়ের স্বপ্ন সে তার মাকে পাখা কিনে দেবে (Pune)

    এরপরেই তাঁরা চলে যান স্থানীয় অক্ষয় যাদবের বাড়িতে। অক্ষয়ের বয়স কুড়ির কোঠায়। কিন্তু তার চোখে মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। খুব একটা ভালো নেই তার মায়েরও অবস্থা। ঘরে গ্যাস নেই। স্বাভাবিকভাবে উনোনের সাহায্যে রান্না করতে হয়। ইট এবং মাটি দিয়ে তৈরি উনুন। রান্না হয় ঘুঁটে দিয়ে। অক্ষয়ের মা এভাবেই প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা ধরে রান্না করেন। প্রতিদিন রান্নার সময় ঘর ধোঁয়ায় ভরে যায়। বায়ু দূষণ হয়। এর ফলে ফুসফুসে নানা রোগও দেখা যায়। বাড়িতে পাখা না থাকা সত্ত্বেও সেই ধোঁয়া বের হওয়ার কোন রাস্তাও নেই। অক্ষয়ের মনে সংকল্প রয়েছে যে সে তার মাকে একদিন পাখা কিনে দিতে পারবে। আদিবাসী সমাজের মানুষগুলো (Pune) এই গ্রামে এভাবেই থাকেন।

    গ্রামের পরিবারগুলির আয় ১৮০০ টাকা

    ওই গ্রামে গিয়ে তানভীর জানতে পারেন যে এই গ্রীষ্মের কারণে যে পাখা (Pune) তিনি চেয়েছেন তা এখানকার মানুষজনের আর্থিক সামর্থ্যের একেবারে বাইরে। এই গ্রামের পরিবারের মানুষজনের মাসে আয় মাত্র ১,৮০০ টাকা। একথা সত্যিই ভাবা যায় না ২০২৫ সালে এসে পরিবারের আয় ১,৮০০ টাকা। তবে আদিবাসী পরিবারগুলো বলছেন, এতেই তাদের জীবিকা নির্বাহ চলে যায়। এই গ্রামের মানুষ গ্রীষ্মের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ির বাইরে বাড়ির বাইরে বসে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। কিন্তু সেখানেও অনেক সমস্যা। কারণ গ্রামটিতে বিছে, সাপ, পোকামাকড় অনেক কিছুই ভর্তি। এভাবেই গ্রামের একজন মানুষ সোনু যাদব জানিয়েছিলেন যে তার প্রতিবেশীকে একবার একটি সাপে কামড়ে ছিল। যার ফলে পুরো গ্রাম নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিল। তাপপ্রবাহের কারণে পুনের পারদ চড়তেই থাকে। মে মাসে যেন রাস্তায় বের হওয়া যায় না। এমন আবহাওয়াতে স্বস্তির প্রয়োজন। তাই ওই গ্রাম বর্তমানে অপেক্ষা করছে সৌর পাখার জন্য।

    ৫ বছরে অনেকটাই উন্নতি করেছে এই গ্রাম

    নগর জীবনের আধুনিকতা থেকে অনেক দূরে থাকা এই মুলসি গ্রাম গত পাঁচ বছরে তবে অনেকটাই উন্নতি করেছে। এ গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহের কোনও সুযোগই ছিল না। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তানভীর ব্যাখ্যা করছেন যে আমরা গ্রামের অনেক বাড়িতেই সৌর ব্যবস্থা স্থাপন করতে পেরেছি এবং এর পুরোটাই হয়েছে মিশন উর্জার অধীনে। জানা যাচ্ছে বিদ্যুৎ যখন প্রাথমিক পর্যায়ে তখন থেকেই তানভীর ভালানি এবং অন্যান্য গ্রামের বাড়ির ছাদ পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে মেলামেশা বাড়াতে থাকেন। অনেকের বাড়িতে তিনি টেলিভিশনও চালু করেন।

    কী বলছেন তানভীর?

    এ নিয়ে তানভীরের মত হল, ১৯৫০ সালের দিকে ভারতবর্ষে টেলিভিশন এসেছিল কিন্তু এই গ্রামগুলি কখনও টিভি চোখে দেখেনি। আমরা যে টিভিগুলিকে চালু করেছি সেগুলো এলইডি টিভি নয়। বরং ভারতীয় বাড়িতে এক সময়ে যে জনপ্রিয় পুরনো টিভিগুলি দেখা হতো সেগুলি। তানভীর আরও বলেন, ৯০ দশকে যেমন পাড়ার পরিবার একটি ব্যক্তির বাড়িতে ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে একত্রিত হত। বর্তমানে মুলশি গ্রামেও একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। যে বাড়িতে টিভি আছে আশেপাশের লোকজন সেখানে জমায়েত করছে। জানা গিয়েছে, মিশন উর্জার (Pune) মাধ্যমে ভারতের ২৮০ গ্রামের পরিবারকে বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তবে এখানকার জীবন সম্পূর্ণ আলাদা। তা বাকি ভারতবর্ষের অন্যান্য শহর অঞ্চলের জীবনের সঙ্গে একেবারেই মিলছে না। এটা তানভীর ভালো করেই লক্ষ্য করেছেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে আদিবাসীরা প্রখর গ্রীষ্মের কারণে চর্মরোগ দেখেও বিভ্রান্ত হন না। তাঁরা বলেন, এটা গরমের কারণে হচ্ছে। প্রচুর ঘাম ঝরছে এবং তার কারণেই হচ্ছে। গ্রীষ্মকালে তাঁরা ডিহাইড্রেশনে ভোগেন। তাঁদের মাথা ঘুরতে থাকে। তাঁদের বমি বমি ভাব পায় এবং এবং এটি তাদের জীবনকে অনেকভাবে কষ্ট দেয়। সৌর পাখার মাধ্যমে পুনের ওই গ্রামগুলিতে গরম অনেকটাই কমাতে চান তানভীর এবং তাদের জীবনটাকে নতুন মাত্রায় আনতে চান।

    ৫০০ পরিবারের হাতে সৌর পাখা বিতরণ করা হবে (Pune)

    কাশি, মালে, ভালানি প্রভৃতি গ্রামের ৫০০ পরিবারের হাতে সৌর পাখা বিতরণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই গ্রামগুলি পাহাড়ি পরিবেশে গড়ে উঠেছে। এই জায়গাগুলিতে খুব বেশি পরিমাণে হাওয়া বাতাস ও খেলে না। তাই গ্রীষ্মকাল যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। পরিবারগুলিকে যে সৌর পাখা দেওয়া হবে সেগুলো পরীক্ষা করা হবে এবং এই পাখাগুলিতে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন তানভীর। তা ধাতু দিয়ে তৈরি করা হবে। পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টিও থাকবে। মুলসির মানুষ এখন আনন্দে রয়েছেন এটা ভেবে তাদের গ্রামে আসছে পাখা।

  • Baewar Rape Case: “রাজস্থানের বিজয়নগরে ধর্ষণের ঘটনা সুপরিকল্পিত অপরাধ”, বলছেন আইনজীবী

    Baewar Rape Case: “রাজস্থানের বিজয়নগরে ধর্ষণের ঘটনা সুপরিকল্পিত অপরাধ”, বলছেন আইনজীবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজস্থানের বেয়ারের বিজয়নগর এলাকার ধর্ষণের ঘটনা (Baewar Rape Case) একটি সুপরিকল্পিত অপরাধ।” অন্তত এমনই দাবি ওই মামলার এক আইনজীবীর। সম্প্রতি ওই এলাকার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে (Organised Crime)। ঘটনাটি হল দশম শ্রেণীর অপ্রাপ্তবয়স্ক কয়েকজন হিন্দু মেয়েকে ফাঁসিয়ে কয়েকজন মুসলিম ছেলে ধর্ষণ করেছে। অশ্লীল ছবি দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেলও করা হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, হিন্দু এই মেয়েদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে বাধ্য করা ও পরে বিয়ে করা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ৪ নাবালক-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪ জন অভিযুক্তকে।

    নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আইনজীবী (Baewar Rape Case)

    নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আইনজীবী গোপাল নারায়ণ শর্মা। তিনি বলেন, “সমাজের সর্বস্তরের মানুষদের নিয়ে একটি সমাবেশ হয়। এই সমাবেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১,০০০ থেকে ১,৫০০ মানুষ অংশ নেন। সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও তাদের পক্ষে ন্যায়বিচার আদায়ের জন্য সর্ব সমাজ সংগ্রাম সমিতি নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আমিও এই কমিটির সদস্য হই। বর্তমানে এই মেয়েদের আইনি সহায়তা দেওয়া, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মামলাগুলির তদন্তে সহায়তায় এই কমিটি সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।” ওই আইনজীবী বলেন, “অভিযুক্তরা (মুসলিম) সব মেয়েকে এক সঙ্গে ফাঁদে ফেলেনি। প্রথমে তাদের এক একজন এক একটি মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে বাইকে চড়ে পিছু নিত। এই সময় কাগজের চিরকুট ফেলতে ফেলতে যেত। বন্ধুত্বের জন্য বারবার তাদের আবেদন নিবেদন করত। কিশোরীরা একবার তাদের জালে আটকা পড়লে, তাদের ক্যাফেতে নিয়ে গিয়ে খাবার খাওয়ানো হত। তাতে মেশানো হত মাদক। তোলা হত ছবি। সেই সব ছবি দেখিয়ে অন্য মেয়েদেরও ফাঁদে ফেলা হত। এভাবেই এই চক্র চলানো হত।”

    মহিলাদের আকর্ষণ করতে দাঁড়কাকের ময়ূর সাজা!

    এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত (Baewar Rape Case) পাঁচ কিশোরী এগিয়ে এসেছে। আরও অনেক মেয়েই রয়েছে যারা মান-সম্মান খোয়ানোর ভয়ে কথা বলতে চাইছে না। তাদের (Organised Crime) পরিবারও ভীত-সন্ত্রস্ত্র। অপরাধীরা প্রত্যেকেই শ্রমিক শ্রেণির। আর মেয়েরা সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য, পড়াশোনায়ও বেশ ভালো। শর্মা বলেন, “অভিযুক্তরা সাধারণ পারিবারিক পটভূমি থেকে উঠে আসা সত্ত্বেও, তারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করে — দামি পোশাক, হাই-এন্ড জুতো, ডিজাইনার সানগ্লাস ও বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করে। মেয়েদের আকর্ষণ করতে তারা এগুলো করে। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সংগঠন সিস্টেমেটিকভাবে হিন্দু মেয়ে ও মহিলাদের টার্গেট করে এবং এই যুবকদের মাধ্যমে তাদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে।” তিনি জানান, ওই মেয়েদের জোরপূর্বক হিজাব পরতে বাধ্য করা হয়েছিল, রমজানে রোজা রাখতেও চাপ দেওয়া হয়েছিল। বিয়ে করার অজুহাতে তাদের ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করা হয়েছিল। কোনও মেয়ে প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা তাদের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলার হুমকি দিত। তাদের পরিবারেরও একই পরিণতি হবে বলেও ভয় দেখাত।

    পায়ে কালো সুতো বাঁধা

    শর্মা বলেন, “ওই মেয়েদের মোবাইল ফোন ছিল না। তারা তাদের বাবা-মায়ের ফোন ব্যবহার করত। তবে মুসলিম যুবকেরা তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছোট চিনা মোবাইল ফোন কিনে দিত। এই ফোন এতই ছোট যে সহজে চোখে পড়ে না। সব মেয়েকে একই ব্র্যান্ড ও মডেলের ফোন দেওয়া হয়েছিল, যাতে তারা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে। মেয়েদের হাত ও পায়ে কালো সুতো বাঁধা থাকত। এই সুতো তাদের মানসিক অবস্থাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করত। সুতো খুলে নেওয়ার পর তারা স্বাভাবিক হয়ে যেত (Baewar Rape Case)।”

    ক্যাফেতে যৌন নির্যাতন

    শর্মা জানান, যে মেয়েদের ক্যাফেতে ডাকা হয়েছিল, তাদের যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা আরও কয়েকজন নির্যাতিতার মা-বাবার কাছ থেকে তথ্য পেয়েছি। আমাদের কমিটির সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁরা সবাই অত্যন্ত ভীত। মুসলিম ছেলেদের পিছনে একটি গোষ্ঠী আছে, যারা তাদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় অর্থায়ন করছে। তারা এই মেয়েদের বলত যে একজন ব্রাহ্মণ মেয়েকে হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করলে ২০ লাখ টাকা পাওয়া যাবে, আর এসসি-এসটি বা ওবিসি পরিবারের মেয়েকে ধর্মান্তরিত করলে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। সংগঠনটি এই অর্থকে পুরস্কার হিসেবে টোপ দিয়ে তাদের উৎসাহিত করত।” তিনি ঘটনাটিকে সংঘবদ্ধ অপরাধ বলে উল্লেখ করে জানান, এ বিষয়ে কোনও তদন্ত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। কারা অর্থায়ন করছে তা নিয়েও অনুসন্ধানের অভাব রয়েছে। তিনি বলেন, “তদন্তে ওয়াসিমের ছেলে রেহানের নাম উঠে আসে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। তবে যেসব মেয়ের সঙ্গে সে কথা বলছিল, তারা সাহস করে এগিয়ে না আসায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই সুযোগে সে অন্য নির্যাতিতাদের পরিবারকেও ভয় দেখাচ্ছে।”

    মামলা প্রত্যাহারে চাপ!

    শর্মা জানান, নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়ানো এবং মামলায় জড়িত ব্যক্তিরা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে পারেন এমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। মেয়েদের পরিবারকেও মামলা প্রত্যাহারে চাপ দেওয়া হচ্ছে (Organised Crime)। তিনি বলেন, “আমাদের দাবি হল তদন্তকে সংঘবদ্ধ অপরাধের দিকে নিয়ে যাওয়া (Baewar Rape Case)। যেসব যুবককে আটক করা হয়েছে, তারা একটি বৃহত্তর অপারেশনের কয়েকটি গুটি মাত্র। আশ্চর্যের বিষয়, কর্তৃপক্ষ সংগঠন চালানো মূল হোতাদের বা অর্থায়নকারীদের প্রকাশ্যে আনছেন না।”  নির্যাতিতাদের আইনজীবী বলেন, “কাফেতে যাতে হঠাৎ করে কেউ ঢুকে পড়তে না পারে, তাই ফুটপাথে বাঁশের লাঠি ও অন্যান্য জিনিসপত্র ডাঁই করে রাখা হয়েছিল। রাস্তায় রাখা হয়েছিল একটি বিরাট বুলডোজার। এলাকাটি বুলডোজার দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছিল, যদিও সেটি হাতে করেই পরিষ্কার করা যেত। এটি করা হয়েছিল সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দিতে।” মামলাটিকে তিনি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান। তাঁর মতে, এতে করে মূল ফোকাস থাকবে সংগঠিত অপরাধের ওপর।

    লাভ জিহাদ” ও “গ্রুমিং জিহাদ”!

    শর্মা বলেন, এই মামলাটির সঙ্গে ১৯৯২ সালের আজমেঢ় ধর্ষণ মামলার লক্ষণীয় মিল রয়েছে। দুটিরই প্যাটার্ন একই। এই ঘটনায় মেয়েরা অসাধারণ সাহস দেখিয়েছ। যার জন্য ভিলওয়াড়ার এক মহিলাও এগিয়ে আসতে উৎসাহিত হয়েছিলেন। তাঁকেও আটজন মুসলিম যুবক একই রকমভাবে নির্যাতন করেছিল। তাঁকেও মাদক সেবন করানো হয়েছিল। তাঁরও ছবি তোলা হয়েছিল এবং তারপর তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল। এই পুনরাবৃত্ত প্যাটার্নটি ইঙ্গিত করে যে আমরা সংগঠিত অপরাধের মুখোমুখি হয়েছি, যার পেছনে একটি সংগঠন কাজ করছে।” শর্মা এই ঘটনাকে (Organised Crime) “লাভ জিহাদ” ও “গ্রুমিং জিহাদ” হিসাবে বর্ণনা করেন। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত যুবকরা মেয়েদের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রলুব্ধ করেছিল এবং তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল মেয়েদের ধর্মান্তরিত করে জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করা (Baewar Rape Case)।

  • Rose Valley Ponzi Scam: রোজ ভ্যালি পনজি কেলেঙ্কারির ক্ষতিগ্রস্তদের ফেরত দিতে ৫১৫.৩১ কোটি টাকা হস্তান্তর করল অর্থ মন্ত্রক

    Rose Valley Ponzi Scam: রোজ ভ্যালি পনজি কেলেঙ্কারির ক্ষতিগ্রস্তদের ফেরত দিতে ৫১৫.৩১ কোটি টাকা হস্তান্তর করল অর্থ মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজ ভ্যালি পনজি (Rose Valley Ponzi Scam) কেলেঙ্কারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে ₹৫১৫.৩১ কোটি টাকার ডিমান্ড ড্রাফট অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটির (ADC) হাতে তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী শ্রী পঙ্কজ চৌধুরী। ডিমান্ড ড্রাফটটি গ্রহণ করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি ডি.কে. শেঠ। এই উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) ডিরেক্টর শ্রী রাহুল নবীন ও অন্যান্য সিনিয়র আধিকারিকরা। এই অর্থে প্রায় ৭.৫ লক্ষ প্রতারিত বিনিয়োগকারী উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩১ লক্ষ ব্যক্তি ‘www.rosevalleyadc.com’ পোর্টালের মাধ্যমে দাবি জানিয়েছেন।

    বিনিয়োগেকারীদের অর্থ ফেরত

    চিটফান্ড কাণ্ডে টাকা জমা রেখে জালিয়াতির শিকার হওয়া বিনিয়োগেকারীদের ইতিমধ্যেই ধীরে ধীরে অর্থ ফেরত দিচ্ছে ইডি। ‘রোজ ভ্যালি’ চিটফান্ড (Rose Valley Ponzi Scam) মামলায় এখনও পর্যন্ত ২১ কোটি ৯৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৪৪ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ৩১ হাজার ৩১৯ জন টাকা পেয়েছেন। মোট পাঁচ দফায় এই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছে ইডি। চিটফান্ড কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অসম এবং ত্রিপুরা থেকে ইডি এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এর মধ্যে স্রেফ বাংলা থেকেই বা‌জেয়াপ্ত হয়েছে ১ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্যোগ

    এবারের ৫১৫.৩১ কোটি টাকার সম্পদ ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ইডি বিভিন্ন তদন্তের মাধ্যমে ২,৯৮৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে সংযুক্ত করেছিল। এই অ্যাকাউন্টগুলি আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত করে প্রায় ৭০০টিরও বেশি ফিক্সড ডিপোজিটে রূপান্তর করা হয়। সেই টাকাই বিনিয়োগকারীদের ফেরত দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি দরিদ্রদের থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থ ফেরত দেবেন। অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকার ভবিষ্যতেও এই ধরনের জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করবে এবং সাধারণ মানুষের টাকা তাঁদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।

     

     

     

     

  • Baloch Human Rights Protests: বালোচ বিদ্রোহ পাকিস্তানের তৈরি! মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তির দাবিতে উত্তাল করাচি

    Baloch Human Rights Protests: বালোচ বিদ্রোহ পাকিস্তানের তৈরি! মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তির দাবিতে উত্তাল করাচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালোচিস্তানের মানবাধিকার কর্মী (Baloch Human Rights Protest) মেহরান বালোচকে মুক্তির দাবিতে উত্তাল করাচি। বালোচিস্তানে (Balochistan) মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। কোয়েটায় বালোচ ইয়াকজেহতির (BYC) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিবার্গ জেহরি, তার ভাই হাম্মাল জেহরি, ডাঃ ইলিয়াস, মানবাধিকার কর্মী সাঈদা বালোচসহ বেশ কয়েকজন বেলুচ কর্মীর বলপূর্বক অন্তর্ধানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অভিযোগ, বালোচ নেতাদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক কর্মীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী (Pakistan Army) কঠোর পদক্ষেপ করছে। বালোচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট (BNM) এবং বালোচ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন আজাদ (BSO-A)-এর কর্মীদের নিশানা করে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে। পাক সেনাবাহিনীর দমন অভিযানে নারী ও শিশুরাও আক্রান্ত।

    বালোচ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, জিন্নার বিশ্বাসঘাতকতা

    ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্মলগ্নে বালোচিস্তানকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন মহম্মদ আলি জিন্না। ওই সময়ে বালোচিস্তান মোট চারটি এলাকায় বিভক্ত। কালাত ছাড়া বাকি তিনটি জায়গা হল খারান, লাসবেলা এবং মাকরান। এগুলিও আর পাঁচটা দেশীয় রাজ্যের মতোই ছিল। ভারত ভাগ হওয়ার পর ২২৭ দিন পর্যন্ত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র ছিল স্টেট অব কালাত বা বালোচিস্তান। কিন্তু ব্রিটিশদের চলে যাওয়ার পর শুরু হয় বিশ্বাসঘাতকতা! ১৯৪৮ সালের মার্চের মধ্যে সুচতুর জিন্না এক এক করে খারান, লাসবেলা এবং মাকরানকে পাকিস্তানের সঙ্গে জুড়ে নেন। কালাত তখনও স্বাধীনতার ধ্বজা টিকিয়ে রেখেছে। ১৯৪৮ সালের ২৮ মার্চ মেজর জেনারেল আকবর খানের নেতৃত্বে ওই এলাকায় হামলা চালায় পাক সেনা। কালাতের শেষ শাসককে বন্দি করে করাচি নিয়ে যায় তারা। করাচিতে পাকিস্তানের সঙ্গে কালাতের (ইনস্ট্রুমেন্ট অব অ্যাকসেশন) সংযুক্তির চুক্তিতে সই করতে বাধ্য করা হয় বালোচদের। ফলে বালোচিস্তান পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায়। আর তার প্রতিবাদেই শুরু হয় প্রথম বালোচ বিদ্রোহ (১৯৪৮-১৯৫০)। এই বিদ্রোহের নেতা ছিলেন প্রিন্স আবদুল করিম। তিনি দোস্ত-ই-ঝালাওয়ান নামে বাহিনী নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেন। শুরু হয় বালোচিস্তানের স্বাধীনতার লড়াই।

    বালোচদের সাম্প্রতিক লড়াই

    বালোচিস্তানের মানবাধিকার কর্মীদের (Baloch Human Rights Protest) অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার প্রথম থেকেই বালোচ জনগণের ন্যায্য দাবিকে সহিংস দমন-পীড়নের মাধ্যমে দমিয়ে রাখছে। সম্প্রতি পাক সেনার হামলায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ এবং নির্বিচারে গণগ্রেফতারের মাধ্যমে আন্দোলন থামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হয়ে ওঠে, যখন সরিয়াবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে তিনজন বালোচ বিক্ষোভকারী নিহত হন এবং বহু আহত হন। এছাড়া, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে বিক্ষোভের খবর আন্তর্জাতিক মহলে না পৌঁছায়। শুধু বিক্ষোভকারীরাই নয়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সাধারণ বালোচ জনগণের ওপরও ভয়াবহ নির্যাতন চালাচ্ছে।

    আন্তর্জাতিক মহলে চর্চা

    যতই পাক সরকার আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করুক, বালোচিস্তানে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন আন্তর্জাতিক মহলের নজর এড়ায়নি। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের (UNHRC) ৫৮তম অধিবেশনে বালোচিস্তানের এই পরিস্থিতি গুরুতরভাবে উত্থাপিত হয়েছে। বালোচ জাতীয় আন্দোলনের নেতা নিয়াজ বালোচ বলেছেন, “বলপূর্বক অন্তর্ধান এখন বালোচিস্তানে নিপীড়নের একটি পদ্ধতিগত অস্ত্র হয়ে উঠেছে।” তিনি অভিযোগ করেন যে বিবার্গ জেহরি, হাম্মাল জেহরি এবং আরও বহু বালোচ কর্মীকে পরিকল্পিতভাবে গুম করা হয়েছে। পাশাপাশি, নিরাপত্তা বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বালোচিস্তানের সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে। নিয়াজ বালোচ আরও বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সরকার-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে বালোচ জনগণের ওপর দমননীতি চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে বহু পরিবার সম্মিলিত শাস্তির শিকার হচ্ছে।

    বালোচরা শুধু প্রাকৃতিক সম্পদের উৎস

    পাকিস্তানের কাছে বালোচরা শুধু প্রাকৃতিক সম্পদের উৎস। বালোচিস্তানের খনিজ সম্পদ, গ্যাস, খনিগুলি লুট করা শুরু হল। অথচ, বালোচদের উন্নয়নে কিছুই করা হল না। রাজস্বের ভাগও তারা পেল না। বিনিয়োগও এল না। পাকিস্তানের অধীন এসে বালোচরা টের পেল, তাদের শুধু লুট-ই করা হচ্ছে! পরিসংখ্যান বলছে, এখানকার ৭০ শতাংশ বাসিন্দা এখনও দারিদ্র্যসীমার নীচে। আর ১৫ শতাংশ বালোচ ভোগেন হেপাটাইটিস বি এবং সি-তে। বালোচিস্তানের প্রায় ১৮ লাখ শিশু স্কুলে পড়ার সুযোগই পায় না। সেখানকার পাঁচ হাজার বিদ্যালয়ে রয়েছে মাত্র একটি করে ক্লাসরুম। পাকিস্তানের শিশুমৃত্যুর হার যেখানে প্রতি এক লক্ষে ২৭৮, সেখানে বালোচিস্তানে তা ৭৮৫। মৃত্যুহারের এই পার্থক্যের পিছনে রয়েছে অত্যন্ত নিম্নমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা। এসব পরিসংখ্যানে ইসলামাবাদের কোনও যায় আসে না।

    বালোচ বিদ্রোহ পাকিস্তানের তৈরি

    পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, বালোচ বিদ্রোহ আসলে বাইরের শক্তির ষড়যন্ত্র। একসময় এই ‘বাইরের শক্তি’ বলতে তারা ভারতকে বোঝাত। এখন তারা আফগানিস্তানকেও সেই তালিকায় ঢুকিয়েছে। কিন্তু আসলে বালোচদের বিদ্রোহ পাকিস্তানের হাতেই তৈরি। সেই ১৯৪৮ সাল থেকে। বালোচদের প্রতি ইসলামাবাদের বছরের পর বছর ধরে অবহেলা, দমননীতি আর নিপীড়নের ফল— বালোচ লিবারেশন আর্মির সশস্ত্র বিদ্রোহ! পাকিস্তানের ভুল নীতির কারণে যেসব সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার জন্য কখনও নিজেদের দায় স্বীকার করেনি ইসলামাবাদ। তার উপর রয়েছে ‘চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর’-এর (সিপিইসি) প্রকল্প ঘিরে বালোচিস্তানের প্রতি দীর্ঘ বঞ্চনা।

  • Shubho Nabo Barsho: পশ্চিমবঙ্গবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Shubho Nabo Barsho: পশ্চিমবঙ্গবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানাতে মেতেছে গোটা বাংলা। বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে আজ হালখাতার জন্য লক্ষ্মী ও সিদ্ধিদাতা গণেশ পুজোও চলছে। রাজ্যজুড়ে চলছে প্রভাত ফেরীর অনুষ্ঠান। এই আবহে বঙ্গবাসীকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নিজের এক্স মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘‘পয়লা বৈশাখের (Shubho Nabo Barsho) শুভেচ্ছা। আশা করি এ বছর আপনাদের সব আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে। আমি সকলের সাফল্য, সুখ সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করছি। শুভ নববর্ষ।’’

    পয়লা বৈশাখ কীভাবে পালিত হয়?

    এই দিনে বাঙালি সমাজের মানুষ সব কাজ থেকে অবসর নিয়ে নতুন ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে। এর পাশাপাশি মন্দিরে অনেক সাজসজ্জার পাশাপাশি নিয়ম-কানুন মেনে পুজো করেন তারা। এই দিনে গরুর পুজো করারও বিধান আছে। গরুকে তিলক, ভোগ এবং পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেওয়া হয়। অন্যদিকে এদিন ব্যবসার হিসাব দেখেন ব্যবসায়ীরা (Shubho Nabo Barsho)। বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হওয়া এই উৎসবে খড় পোড়ানোরও ঐতিহ্য দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। মনে করা হয়, খড় জ্বালিয়ে গত বছর যে কষ্ট পেয়েছিলেন তা থেকে মুক্তি মেলে।

    ঐতিহ্যবাহী খাবারও তৈরি করার রীতিও দেখা যায় (Shubho Nabo Barsho)

    বাঙালিরা আজ ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেন। একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে। চলে নানা অনুষ্ঠান। এর পাশাপাশি এদিন ঐতিহ্যবাহী খাবারও তৈরি করার রীতিও দেখা যায়। এই দিনে অনেক বাঙালি বাড়িতে পান্তা ভাত তৈরি করে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ এবং ভাজা ইলিশ মাছ সহযোগে খাওয়া-দাওয়া চলে। এছাড়াও এই দিনে অনেক ধরনের মিষ্টিও তৈরি করা হয়। বাংলা জুড়ে বর্ষবরণের (Shubho Nabo Barsho) উৎসব উপলক্ষ্যে দিকে দিকে সাজো সাজো রব। নতুন বছরে প্রিয়জন, গুরুজনদের নতুন বছরের প্রণাম ও শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারেও।

LinkedIn
Share