Tag: bangla news

bangla news

  • G20 Summit 2023: জি২০-এর মঞ্চেও ‘ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা ‘ভারত’, দেশের নাম তাহলে বদলাচ্ছেই!

    G20 Summit 2023: জি২০-এর মঞ্চেও ‘ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা ‘ভারত’, দেশের নাম তাহলে বদলাচ্ছেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসে ডাকা হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। পাঁচ দিনের ওই অধিবেশনে দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ থেকে ‘ভারত’ হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। এই আবহে জল্পনার পালে নতুন করে হাওয়া জোগাল জি২০-এর (G20 Summit 2023) শীর্ষ সম্মেলন।

    পোডিয়ামে লেখা ‘ভারত’ 

    এই সম্মেলনের উদ্বোধনী মঞ্চের পোডিয়ামে দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ইংরেজিতে লেখা হয়েছে ‘ভারত’। জি২০-এর শীর্ষ সম্মেলনে আগত রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মানে যে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে, তাতেও ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘ভারত’ লেখা রয়েছে। এতদিন ভারতের রাষ্ট্রপতির তরফে কাউকে কোনও চিঠি লেখা হলে, তাতে লেখা থাকত ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’। অথচ এবার আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ইন্দোনেশিয়া সফরের যে সূচি এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত হয়েছিল, সেখানেও মোদির পদ হিসেবে লেখা হয়েছিল ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’। রাজনৈতিক মহলের মতে, এভাবেই বিরোধীদের জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী। 

    রাষ্ট্রসংঘের বক্তব্য

    জি২০ সম্মেলন (G20 Summit 2023) উপলক্ষে যে বুকলেট বিলি করা হয়েছে বিদেশি প্রতিনিধিদের মধ্যে, তাতেও লেখা হয়েছে ‘ভারত, গণতন্ত্রের প্রসূতি। এই দেশের অফিসিয়াল নাম ভারত। এটি সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে। ১৯৪৬-৪৮-এর আলোচনায়ও এর উল্লেখ রয়েছে’। ভারত প্রয়োজনীয় সমস্ত ফর্মালিটিজ পূরণ করলে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে রাষ্ট্রসংঘের রেকর্ডে ‘ভারত’ লেখা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক এই সংঘের তরফে। রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের প্রধান মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, “নাম পরিবর্তনের জন্য ভারত যখন সমস্ত ফর্মালিটিজ পূরণ করবে, তারা আমাদের জানাবে। তখন রাষ্ট্রসংঘের রেকর্ডে আমরা নাম পরিবর্তন করে দেব।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিন, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থেকে গুচ্ছ কর্মসূচি বঙ্গ বিজেপির

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১৮ তারিখে বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। পাঁচ দিনের এই অধিবেশন শেষ হবে ২২ তারিখে। এই অধিবেশনেই দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। বিজেপির যুক্তি, দেশের নাম এক সময় ‘ভারতবর্ষ’ ছিল। পরে ইংরেজ আমলে দেশের নাম হয় ‘ইন্ডিয়া’। ওয়াকিবহালমহলের মতে, গা থেকে ঔপনিবেশকতার গন্ধ ঝেড়ে ফেলতে দেশের (G20 Summit 2023) নাম বদলে ‘ভারত’ করতে চায় গেরুয়া শিবির। বিজেপির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নক্ষত্রদের একটা বড় অংশ। সিংহভাগ দেশবাসীও মনে করেন দেশের নাম ‘ভারত’ হওয়াই শ্রেয়। জন সুরজ পার্টির প্রধান তথা ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকেও শর্ত সাপেক্ষে দেশের নাম ‘ভারত’ করার পক্ষেই মত পোষণ করেছেন। যদিও বিরোধীরা চান, দেশের নাম থাকুক অপরিবর্তিতই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • G20 Summit: রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজের মেনু প্রকাশ্যে! এক ঝলকে খাবারের তালিকা

    G20 Summit: রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজের মেনু প্রকাশ্যে! এক ঝলকে খাবারের তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে চলছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit), বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারা ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছেন। অতিথি আপ্যায়নে ত্রুটি নেই। আমাদের দেশের পরম্পরায় অনুযায়ী যেমন পাতে থাকছে নানা রকমের পদ, তেমনি বিদেশি পদও থাকছে খাদ্য তালিকায়। ইতিমধ্যেই সোনা রুপোর থালা বাসনে রাষ্ট্রপ্রধানদের (G20 Summit) খাবার পরিবেশন করা হবে সে কথা আগেই জানা গিয়েছে। রাষ্ট্রপ্রধানদের খাবার পরিবেশন করার আগে তা নিরাপত্তার স্বার্থে পরীক্ষাও করা হবে।

    দুপুরে জয়পুর হাউসে মধ্যাহ্নভোজের মেনু

    জয়পুর হাউসে বিদেশী রাষ্ট্রনেতাদের জন্য একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। মধ্যাহ্নভোজে অবশ্য নিরামিষ খাদ্য পরিবেশন (G20 Summit) করা হয়। ভারতীয় খাদ্যশস্য বাজরাকে জনপ্রিয় করে তুলতে ইতিমধ্যে ২০২৩ সালকে বাজরার বছর হিসেবে ঘোষণা করার অনুরোধ আগেই জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি, সেদিকে তাকিয়ে বাজরার তৈরি বিশেষ থালি, বাজরার পোলাও, বাজরার ইডলি এই সমস্ত খাদ্যপদ মধ্যাহ্নভোজে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের পরিবেশন করা। এছাড়াও খাদ্য তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ডাল বাটি, চুরমা, বাংলার বিখ্যাত রসগোল্লা, দক্ষিণ ভারতের মসলা-ধোসা, বিহারের চোখা ইত্যাদি। এর পাশাপাশি ওয়েলকাম ড্রিংকসে রয়েছে ভারতীয় কফি, চা, মিষ্টি, চকোলেট।  রান্নার কাজে সারাদেশ থেকে এসেছেন নামিদামি শেফরা (G20 Summit)।

    রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজের মেনু

    জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজের (G20 Summit) মেনু একেবারে তাক লাগানোর মতো। সেখানে স্থানীয় খাবার যেমন থাকবে, তেমনই জায়গা পাবে কন্টিনেন্টাল ডিশ। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, কী কী থাকছে আজ রাতের মেনুতে। 

    ভারতের আঞ্চলিক পদে থাকছে—

    – দহি ভাল্লা
    – সিঙাড়া
    – ভেলপুরি
    – বড়া পাব
    – মশলাদার চাট
    – ফুচকা
    – দই পুরি
    – সেও পুরী
    – মির্চি বড়া
    – বিকানেরি ডাল পরটা
    – পলাশ
    – লীলভা কচুরি
    – আলু হার্ট হ্যাপি
    – টিক্কি
    – যোধপুরী কাবুলি পোলাও

    এবছর আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। তাই মিলেটের পদও থাকবে নৈশভোজে। তালিকায় রয়েছে—

    – মিলেটের সিঙাড়া
    – মিলেটের পরোটা
    – মিলেটের ক্ষীর
    – মিলেটের পুডিং

    ভারতীয় প্রাদেশিক স্বাদ। এখানে বিভিন্ন রাজ্যের বিশেষ পদকে বাছাই করে আনা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে—

    – বিহারের লিট্টি চোখা
    – বাজরা দিয়ে তৈরি রাজস্থানী ডাল বাটি চুর্মা
    – পশ্চিমবঙ্গের রসগোল্লা
    – পাঞ্জাবের ডাল তরকা
    – দক্ষিণ রাজ্য থেকে উত্তাপম, ইডলি এবং মশলা দোসা
    – মালাবারের পরোটা
    – ইডলি সাম্বার, পেঁয়াজ মরিচ উত্তাপম
    – মহীশূরের দোসা
    – চাঁদনী চকের সুস্বাদু রেসিপি

    স্যালাডে রয়েছে- ভারতীয় গ্রিন স্যালাড, পাস্তা এবং গ্রিল্ড ভেজিটেবল স্যালাড এবং চানা সুন্দল। মেন কোর্সে থাকছে—

    – পনির লাবাবদর
    – আলু লিওনেজ
    – সবজি কোরমা
    – কাজু মাখনা
    – পেন্নে ইন আরারাবিয়াত সস

    এছাড়া থাকবে—

    – জোয়ার ডাল তড়কা
    – ভাত
    – পেঁয়াজ জীরা পোলাও
    – রুটি
    – তন্দুরি রুটি, বাটার নান, কুলচা
    – রাইতা, চাটনি
    – শসা- রাইতা
    – তেঁতুল এবং খেজুরের চাটনি
    – আচার
    – টক দই

    শেষ পাতে ডেসার্টে থাকবে—

    – জিলিপি
    – কুট্টু মালপুয়া
    – কেশর পিস্তা রসমালাই
    – আখরোট এবং আদার গরম পুডিং
    – স্ট্রবেরি আইসক্রিম
    – Blackcurrant আইসক্রিম
    – রসমালাই
    – মালাই ঘেভার
    – গুলাব চুরমা
    – পেস্তা কুলফি
    – গাম পুডিং
    – শ্রীখণ্ড
    – ফালুদার সঙ্গে মালাই কুলফি
    – কেশর পেস্তা ঠাণ্ডাই
    – সেমুই
    – মসুর ডাল-কাঠবাদাম পুডিং
    – মেওয়া
    – ক্ষীর
    – গাজরের হালুয়া
    – মতিচুর লাড্ডু
    – ড্রাই ফ্রুটস
    – আখরোট-ডুমুরের পুডিং
    – আঙ্গুরি রসমালাই
    – অ্যাপল ক্রাম্বল পাই
    – যোধপুরী মেওয়া কচুরি

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরের সাজ শিল্পীদের অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দিচ্ছে আসাম, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশে

    Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরের সাজ শিল্পীদের অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দিচ্ছে আসাম, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। আগমনী দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় খুঁটিপুজো থেকে শুরু করে, শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি পর্ব। উৎসবের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্গা প্রতিমার অঙ্গসজ্জার সাজ শিল্পীদের কারখানায়। এই বছরের কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) সাজ শিল্পীদের তৈরি করা প্রতিমার অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দেবে আসাম, ত্রিপুরা এবং উত্তর প্রদেশে। করোনার মন্দা থেকে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে সাজ শিল্পীদের ব্যবসা। আশায় বুক বেঁধেছেন শিল্পীরা।

    করোনার আবহ কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছে প্রতিমার সাজ শিল্প (Krishna Nagar)

    প্রতিমা প্রস্তুতকারক বিভিন্ন কুমোর পাড়ায় (Nadia) চলছে মূর্তি নির্মাণের চরম ব্যস্ততা। দেবী মূর্তির মৃৎপ্রতিমা প্রস্তুত হওয়ার পর, তা সর্বসাধারণের মাঝে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে বিভিন্ন ধরনের অলংকার ব্যবহারে অঙ্গের সাজ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। যার ফলে, দুর্গাপূজার সূচনা কালে দেবী মূর্তির সাজ প্রস্তুত করার লক্ষ্যে নিরলস কর্মব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চকের পাড়ায়। এলাকার বাসিন্দা পেশায় ডাকের সাজ শিল্পী তন্ময় মোদকের কারখানায় এখন তীব্র ব্যস্ততা। শিল্পী তন্ময় মোদকের তৈরি প্রতিমার ডাকের সাজ এবার পাড়ি দেবে ভিন রাজ্যে। দীর্ঘ দু-তিন বছর করোনা আবহ কাটিয়ে, এই বছর ফেলে আসা পুরনো ছন্দ ফিরে পেয়েছেন ডাক শিল্পীরা। যার কারণে করোনা কালে ব্যবসার অভূতপূর্ব ক্ষতি সামাল দিয়ে, এই বছর কিছুটা হলেও বাড়তি রোজগারের আশার আলো দেখছেন এই সাজ শিল্পীরা।

    সাজ শিল্পীদের বক্তব্য

    চলতি বছরে ডাকের সাজের বাড়তি চাহিদা রয়েছে বলে জানান কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) শিল্পী তন্ময় মোদক। তিনি বলেন, দুর্গোৎসব উপলক্ষে এই বছর তাঁর কারখানায় তৈরি ডাকের সাজ কলকাতার কুমারটুলিতে যাবে। সেই সঙ্গে সাজ সরঞ্জাম পাড়ি দেবে ত্রিপুরা, আসাম ও উত্তরপ্রদেশে। দেবী প্রতিমার এই সাজ তৈরি হয় মূলত তার দিয়ে। চলতি বছরে ভিন রাজ্য থেকে অধিক সংখ্যক বায়নানামা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে তার কারখানায় দিনরাত পরিশ্রম করে দেবীর সাজ তৈরি করে চলেছেন ৬ জন কারিগর। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর ব্যবসায়িক ক্ষতি কাটিয়ে উঠে অভিশপ্ত করোনা কাল যেন আর ফিরে না আসে, এই কথাই জানান কৃষ্ণনগরের এই ডাকের সাজ শিল্পী তন্ময় মোদক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kanchrapara: কাঁচরাপাড়ায় মাকে খুন করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা মেয়ের, চাঞ্চল্য

    Kanchrapara: কাঁচরাপাড়ায় মাকে খুন করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা মেয়ের, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাকে খুন করে নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক মহিলা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে কাঁচরাপাড়ার (Kanchrapara) ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙাপাড়া এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাধারানি প্রসাদ (৭০)। অভিযুক্ত অসুস্থ মেয়ের নাম ববিতা প্রসাদ। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kancharapara)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ববিতা প্রসাদ কাঁচরাপাড়ায় (Kanchrapara) মায়ের কাছেই থাকতেন। পাশে থাকতেন তার ভাইরা। ভাইদের সঙ্গে কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁর ঝামেলা ছিল। তাঁর মা মেয়ের সঙ্গে এক ঘরেই থাকতেন। এদিন সকাল দশটা নাগাদ ঘরের ভেতর থেকে বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার ঠিক পাশেই ববিতা দেবীও গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিলেন। বাড়ির লোকজনের পাশাপাশি পাড়া প্রতিবেশীদের বিষয়টি নজর আসার পর ববিতা দেবীকে উদ্ধার করে কল্যাণী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর বৃদ্ধা রাধারানিদেবীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    এই ঘটনা নিয়ে পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    পরিবারের এক সদস্য বলেন, কয়েকদিন মায়ের সঙ্গে মেয়ের গন্ডগোল হলেও শুক্রবার কোনও ঝামেলা হয়নি। অন্যদিনের মতোই খাওয়া দাওয়া করে তারা শুয়েছেন। এদিন বেলা হয়ে গেলেও ঘর থেকে না ওঠায় আমরা ডাকাডাকি করি। এরপরে ঘরের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই, দেখি দুজনে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কাঁচরাপাড়ায় (Kanchrapara) স্থানীয়  হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যজনের, অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে কল্যাণীতে নিয়ে যাওয়া হয়।

    প্রতিবেশীদের কী বক্তব্য?

    প্রতিবেশী নিলাম সিং  বলেন, ববিতা মাসি তাঁর মায়ের সঙ্গেই থাকবেন। আমরা নিয়মিতই তাঁদের বাড়িতে যাতায়াত করতাম। গত দু-তিনদিন ধরে কোনও একটা বিষয় নিয়ে মায়ের সঙ্গে তুমুল ঝামেলা চলছিল ববিতা মাসির। ফলে মাকে মারধরও করে বলে অভিযোগ। তিনি কাউকে ঘরে ঢুকতে দিতেন না। এদিন সকালে খবরটা পেয়ে আমরা ছুটে আসি। ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখি, ববিতা মাসি নিচে পড়ে রয়েছে। আর তাঁর মা বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সম্ভবত বিষ জাতীয় কোনও কিছু দিয়ে বা কোনও ওষুধ খাইয়ে মাকে মারার পর নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। কিন্তু, তার আগে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, নির্দিষ্ট কি কারণে তিনি এ ধরনের ঘটনা ঘটালেন তা আমাদের কাছে অজানা। জানা গিয়েছে, ঘটনা পর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tea Shop: মেদিনীপুরে ‘পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা’-তে বুঁদ তরুণ প্রজন্ম, কেন জানেন?

    Tea Shop: মেদিনীপুরে ‘পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা’-তে বুঁদ তরুণ প্রজন্ম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মশালা চা, লেমন চা, জিনজার চা সহ রকমারি চা রয়েছে দোকানে। হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ করে চাকরি ছেড়়ে চায়ের দোকান করেছে মেদিনীপুর শহরের অশোকনগর এলাকায়। চায়ের দোকানের (Tea Shop) নামের জাদুতেই রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই চায়ের দোকান। দোকানের নাম রাখা হয়েছে, “পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা”।

    কেন দোকানের (Tea Shop) নাম “পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা”?

    দোকান (Tea Shop) দিয়ে চায়ের আসর বসিয়ে রাজনীতি সচেতনতা বাড়াতে বার্তা দিচ্ছে মেদিনীপুরের বছর ২৬ এর ছেলে অঞ্জন দাস অধিকারী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ডিপ্লোমা করেছেন তিনি। এরপর কর্ণাটকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করতেন। রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘ আকর্ষণ তাঁর। ছাত্র জীবনে রাজনীতিও করেছেন। কিন্তু, বাবা অসুস্থতার কারণে চাকরি ছেড়ে ফের মেদিনীপুরে ফিরে আসা। বাবার অসুস্থতায় প্রয়োজন টাকার, অন্যদিকে তাঁর প্রবল আগ্রহ রাজনীতি নিয়ে। নেতাদের বক্তব্য,ষ নেতাদের সভা আলাপ-আলোচনা কলাকৌশল নিয়েও আগ্রহের সীমা নেই এই অঞ্জনের। কিন্তু বাবার অসুস্থতা এবং পরিস্থিতির চাপে শেষ পর্যন্ত এই দোকান খুলতে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু, সাধ আর সাধ্যের মধ্যে দোকান খুলে নিজের পেশা ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়ে নাম দিয়েছেন “পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা”। মূলত নামেতেই প্রকাশ পাচ্ছে আর রাজনীতির গন্ধ। অনেকটাই দুধের স্বাধ ঘোলে মেটানোর মতো।

    “পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা” নিয়ে কী বললেন তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা?

     তরুণ প্রজন্ম পড়ুয়াদের নিয়েই এই চায়েওয়ালার আসর চলে মেদিনীপুর শহরের অশোকনগর এলাকায়। চায়ের দোকানে (Tea Shop) আড্ডা জমান তরুণ তরুণী সহ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। চা খেতে খেতে আলোচনা করেন বাম ডান সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের রাজনীতির কলা কৌশল আলাপ-আলোচনা। আর তাতেই কিছুটা হলেও নিজের ইচ্ছে পূরণ হয় এই অঞ্জনের। তার এই চায়ের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভ্যারাইটি চা, যার দামও ৭ টাকা থেকে শুরু হয়ে চল্লিশ টাকায় ঠেকেছে। চা খেতে আসা সৌরভ,হিমাদ্রি,বিক্রমরা বলেন, অঞ্জনদার চায়ের দোকানের নাম এবং চা এই এলাকায় অন্যতম জনপ্রিয়। শুধু চা খেতে আসা নয়,এর সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনার সঙ্গে চুটিয়ে রাজনীতির আলোচনা চলে। তবে, তরুণ সমাজকে রাজনীতিতে আসা প্রয়োজন বলেও আমরা মনে করি। কারণ, সমস্ত রাজনীতি দুর্নীতিতে যুক্ত বা অসচ্ছ নয়। আর সেই জ্ঞান নিতেই এই পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা এর কাছে আসা আমাদের।

    কী বললেন পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা?

    পলিটিকাল চায়েওয়ালা অঞ্জনবাবু বলেন, ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল রাজনীতিতে নেতা হওয়া। একসময় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।  সামনে থেকে দেখেছে রাজনীতির কর্মকাণ্ড। কিন্তু, তারপরেই ছন্নছাড়া এবং ফিরে আসতে হয়েছে বাড়িতে,খুলতে হয়েছে আর্থিক প্রয়োজনে দোকান (Tea Shop)। তবে, ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়েই এই দোকানের নাম রেখেছি পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা। যেখানে সমস্ত ইয়ুথকে জানানো হচ্ছে রাজনীতি মানে অসৎ নয়,দুর্নীতি নয়। অনেক ভালো মানুষ আছে এবং সৎ রাজনীতিও করা যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi Birthday: প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিন, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থেকে গুচ্ছ কর্মসূচি বঙ্গ বিজেপির

    PM Modi Birthday: প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিন, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থেকে গুচ্ছ কর্মসূচি বঙ্গ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজোয় মাতবে বাংলা। আর সেদিনই প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিন (PM Modi Birthday) পালন করবে বিজেপি। এই দিন থেকে ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তী পর্যন্ত সারা দেশে ‘সেবা পক্ষ’ পালন করবে বিজেপি। এই সময় দেশের প্রতিটি রাজ্যে স্বচ্ছতা অভিযানে জোর দিতে দলীয় সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এর পাশাপাশি রাজ্যে নানা রকম সেবামূলক কর্মসূচিও গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এই পক্ষে রাজ্যের সর্বত্র রক্তদান শিবির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    দিন কয়েক আগে বিজেপির সল্টলেক দফতরে রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হবে রক্তদান শিবিরের। দলের প্রতিটি জেলাকে অন্ততঃ ১০০ ইউনিট করে রক্ত সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে লোকসভার আসন রয়েছে ৪২টি। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ৪ হাজার ২০০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করতে চায় বিজেপি। সুকান্ত বলেন, “আমরা প্রতি বছরই এই সময়টায় নানারকম সেবামূলক কর্মসূচি পালন করে থাকি। এবারও সব কিছু হবে। সারা বছরই দলের উদ্যোগে রক্তদান শিবির হয়। তবু আলাদা করে রক্তদান শিবিরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে শুধু সেটাই হবে, এমনটা নয়।”

    নরেন্দ্র মোদির ৭৪তম জন্মদিন

    ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর গুজরাটের ভাদনগরে জন্মগ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদি। উত্তর গুজরাটের মেহসানা জেলার এই ছোট্ট শহরেই বেড়ে ওঠা অধুনা প্রধানমন্ত্রী মোদির। গত কয়েক বছর ধরে তাঁর জন্মদিন ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে পক্ষকালের জন্য সেবা পাখওয়াড়া অনুষ্ঠান পালন করে বিজেপি। গত বছর এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল বিজেপির পক্ষ থেকে। কেবল মোদির জন্মদিন (PM Modi Birthday) নয়, ২৫ সেপ্টেম্বর দীনদয়াল উপাধ্যায় জয়ন্তী, ২ অক্টোবর লালবাহাদুর শাস্ত্রী জয়ন্তীও পালন করা হয় বিজেপির তরফে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভারতের সঙ্গে রয়েছে রক্তের সম্পর্ক’’, বৈঠকে মোদিকে জানালেন হাসিনা

    আগামী বছরের মাঝামাঝি হবে লোকসভা নির্বাচন। তাই এবার সেবামূলক কর্মসূচিতে (PM Modi Birthday) বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে বিজেপি। রক্তদান, স্বচ্ছতা অভিযান, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মতো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। সেই কর্মসূচি পালনেই কোমর কষে নামছে পদ্মশিবির।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Death: ‘মৃত’ শ্রমিকের গরম দুধ পান! দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়ে যেতেই ফের মৃত্যু!

    Death: ‘মৃত’ শ্রমিকের গরম দুধ পান! দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়ে যেতেই ফের মৃত্যু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ‘মৃত’ ব্যক্তির দুধ পান! পরে, হাসপাতালে নিয়ে গেল মৃত ঘোষণা! এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল মুর্শিদাবাদে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    মুর্শিদাবাদের সুতি ব্লকের জগদা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তেনাউড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা যাচ্ছে, বৃষ্টির জমা জলে নেমে নিকাশি নালা নির্মাণের কাজ করছিলেন অর্জুন সিং নামক এক ব্যক্তি। সেই সময় খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, উপস্থিত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তখন ওই শ্রমিককে বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন পরিবারের লোকজন। 

    এখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। দাবি, দেহ বাড়িতে নিয়ে এলে পরিবারের লোকজন ‘মৃত’ শ্রমিকের দেহে আচমকা নড়া-চড়া লক্ষ্য করেন। শুধু তাই নয়। পরিবারের দাবি, এর পর বাড়িতে গরম দুধও খান ওই ‘মৃত’ ব্যক্তি। পরিবারের আরও দাবি, এর পর ফের একবার ওই শ্রমিককে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শ্রমিককে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা এবারও মৃত ঘোষণা করেন।

    পরিবার কী বলছে?

    মৃত শ্রমিকের পরিবারে অভিযোগ, চিকিৎসকের গাফিলতির জন্যই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের দাবি, ভালো করে পরীক্ষা না করেই প্রথমে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন চিকিৎসক। তাঁদের অভিযোগ, প্রথমবার ঠিক মতো চিকিৎসা হলে হয়তো অর্জুন সিং বেঁচে যেতেন। মৃতের স্ত্রীর বক্তব্য, ভালো করে পরীক্ষা না করেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত বলে ঘোষণা করে দেয়। মৃত শ্রমিকের মেয়ে নিসা সিং জানান, প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা কোনও চিকিৎসা করেননি। পরে বাড়িতে নিয়ে আসার পর বাবা গরম দুধ খান। কিন্তু দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বাবার মৃত্যু হয়।

    এই ঘটনায় অভিযুক্ত বেসরকারি হাসপাতালের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, মৃত্যুর সঠিক কারণ এবং সময়কে স্পষ্ট করার জন্য পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়েছিল কিনা এই নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের চেয়ারম্যান-বিধায়ক সংঘাত চরমে! কেন জানেন?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের চেয়ারম্যান-বিধায়ক সংঘাত চরমে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুর বিধানসভায় পঞ্চায়েত সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এল। শাসক দলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের বক্তব্যকে কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। দলের জেলা চেয়ারম্যান একটি কমিটি গঠন করেছেন। সালারে বিধায়ক কার্যালয় উদ্বোধন করে বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, পূর্ণাঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি এখনও ঘোষণা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে, আমি যদি দেখি প্রকৃত যারা তৃণমূল তারা কমিটিতে বাদ পড়েছে, কারও মর্জি মতো কমিটি তৈরি করা হয়েছে তাহলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না।

    কী নিয়ে গন্ডগোল?

    ভরতপুর বিধানসভায় দুটি পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় যে সব গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে, সেখানে  বহু বুথে স্থানীয় বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামীরা টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন। বোর্ড গঠনের সময় তৃণমূল নয়, বিধায়ক অনুগামীরা সিপিএম বা কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করেন। কার্যত দলের নির্দেশকে না মেনেই ভরতপুরের বিধায়ক অনুগামী জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা নিজেদের মতো করে বোর্ড গঠন করেন। বিষয়টি জানার পরই দলের জেলা চেয়ারম্যান ক্ষোভ উগরে দেন।

    কী বললেন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার চেয়ারম্যান?

    ভরতপুরের বিধায়ক  হুমায়ুন কবীরের নাম না করেই তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভরতপুরে বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চেয়ারে বসেছেন, তাদেরকে আমরা দলের কেউ মনে করি না। যেহেতু এদের কোনও পদ নেই, এদের বহিষ্কার করার কোনও প্রশ্ন আসে না। কি সব ফাইভ ম্যান কমিটি হয়েছিল, সেগুলো রাজ্যের অনুমোদিত নয়, সেই কমিটির অস্তিত্ব নেই। সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে অর্থাৎ কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি দলের সঙ্গে যারা হাত মিলাবে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সমর্থন করে না বলে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন।

    কী বললেন ভরতপুরের বিধায়ক?

    ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ভরতপুরে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের টিকিটে জয়ী  গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রয়েছে তারাও যদি বেচাল করে তাহলেও ব্যবস্থা নেব। মূলত তৃণমূলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের নাম না করে শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব ও পঞ্চায়েত এবং ব্লক স্তরের নেতৃত্বদের তীব্র হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এলাকার যারা পদে রয়েছেন তারাই আমাকে বঞ্চিত করেছিল। তাদের মর্জি মতো টিকিট আমাকে দিয়েছিলেন। আমি আমার প্রার্থীদের জিতিয়ে দেখিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আগেই জল ঘোলা হয়েছে, রাজ্য নেতৃত্ব সবই জানে। আমি শুধু বলতে চাই, যারা শাসক দলের টিকিটের গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিতে জিতেছে তারা যেন মা মাটি মানুষের নীতি আদর্শ মেনে চলে। যদি তারা লাইনচ্যুত হয়, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। আমরা তখন কিন্তু রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি! রাজ্যে আসছেন নির্বাচন কমিশনের দুই কর্তা

    Lok Sabha Elections 2024: লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি! রাজ্যে আসছেন নির্বাচন কমিশনের দুই কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় নাম সংযুক্তিকরণ, পরিমার্জন ও প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আসছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দুই ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। রবিবার রাজ্যে আসছেন নীতেশ ব্যাস এবং ধর্মেন্দ্র শর্মা। সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সহ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (Lok Sabha Elections 2024) অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা। জেলাগুলির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্টও খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। এজন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে জেলাশাসকদেরও।  

    লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। কমিশন সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই বাংলায় আসছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজ্যে আসছেন জাতীয় নির্বাচন কমশনের দুই ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার। পরের দিন সকাল ৯টা থেকে ম্যারাথন বৈঠক করবেন তাঁরা। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের সব জেলাশাসকরা। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) কাজ কতটা এগিয়েছে, কোন কোন দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন, মূলত সেই সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে বৈঠকে। আগামী লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জুলাই মাস থেকেই। ওই মাসেই রাজ্যের সব জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। ১ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে ইভিএম পরীক্ষার কাজও। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে সেই কাজ। কিছু দিন আগেই শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফল প্রকাশও হয়ে গিয়েছে।

    শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের তোড়জোড় 

    ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া থেকে ফল (Lok Sabha Elections 2024) প্রকাশ পর্যন্ত যেভাবে রাজনৈতিক হিংসায় রক্তাক্ত হয়েছে বাংলা, লোকসভা নির্বাচনে সেরকম যাতে না হয়, তাই কোনও ফাঁক-ফোকর রাখতে চাইছে না জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সাগরদিঘি নির্বাচন যেভাবে শান্তিপূর্ণ ও রক্তপাত বিহীন হয়েছে, সেইভাবেই সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই ৮০ হাজার ৯০৯টি বুথের উল্লেখ করে রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। এক লক্ষ ১৪ হাজার ৯৯৪টি কন্ট্রোল ইউনিটও খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। পরীক্ষা করা হবে লাখ দেড়েক ভিভিপ্যাটও। এসব কাজের পাশাপাশি ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজও চালানো হবে। 

    আরও পড়ুুন: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্তের, মোদিকে সাফ জানালেন হাসিনা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi Hasina Meet: ‘‘ভারতের সঙ্গে রয়েছে রক্তের সম্পর্ক’’, বৈঠকে মোদিকে জানালেন হাসিনা

    Modi Hasina Meet: ‘‘ভারতের সঙ্গে রয়েছে রক্তের সম্পর্ক’’, বৈঠকে মোদিকে জানালেন হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi Hasina Meet)। পরে বৈঠকের নির্যাস নিয়ে রীতিমতো ট্যুইটও করলেন বাংলায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী লিখলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় যোগাযোগ ব্যবস্থা, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।

    হাসিনাকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর

    শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে গিয়ে ঘণ্টা দেড়েক বৈঠক করেন হাসিনা। বাড়ির দরজায় এসে হাসিনাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবদুল মোমেন সহ দুই দেশের শীর্ষ কর্তারা।

    এদিনের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে তিনটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে গবেষণায় সহযোগিতার জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ রিসার্চ এবং বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিল মউ স্বাক্ষর করেছে। দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে রুপে কার্ড সংক্রান্ত চুক্তিপত্রও স্বাক্ষরিত হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

    রক্তের সম্পর্ক

    এদিনের বৈঠকে (Modi Hasina Meet) হাসিনা বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে মার্কিন হস্তক্ষেপ ও চাপের কথা যেমন তুললেন, তেমনি সাফ জানিয়ে দিলেন চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিছকই বাণিজ্যিক ও আর্থিক। রক্তের সম্পর্ক মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গী ভারতের সঙ্গেই। যদিও নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে কোনও কথাই হয়নি বলেই দাবি বাংলাদেশের। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের সামনে তাঁদের কোনও কথা হয়নি।

    আরও পড়ুুন: ভারত মণ্ডপমে রাষ্ট্রনেতাদের স্বাগত জানালেন মোদি, শুরু হল জি২০ সম্মেলন

    শনিবারই দিল্লিতে শুরু হয়েছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G20 Summit)। বাংলাদেশ জি২০-এর সদস্য নয়। তবে আমন্ত্রিত দেশের প্রতিনিধি হিসেবে ভারতে এসেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। সম্মেলন শুরুর আগেই হাসিনার সঙ্গে বৈঠক সেরে নিলেন মোদি। পরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দু দেশের বৈঠক যে ফলপ্রসূ হয়েছে, তা জানান প্রধানমন্ত্রী। মোদি জানান, আমাদের আলোচনায় বাণিজ্যিক সংযোগ, সার্বিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভারতের (Modi Hasina Meet) বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, আন্তরিক ও খোলামেলা পরিবেশে হয়েছে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস ও মৈত্রীর প্রতিফলন ঘটেছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share