Tag: bangla news

bangla news

  • ISRO: ‘‘কংগ্রেস টাকা বরাদ্দ করত না, বিশ্বাস করত না ইসরোকে’’, দাবি প্রাক্তন বিজ্ঞানীর

    ISRO: ‘‘কংগ্রেস টাকা বরাদ্দ করত না, বিশ্বাস করত না ইসরোকে’’, দাবি প্রাক্তন বিজ্ঞানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণার কাজে কংগ্রেস সরকার টাকা বরাদ্দ করত না, বিশ্বাস করত না ইসরোকেও (ISRO), ঠিক এমনই অভিযোগ তুললেন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রাক্তন বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণ। একটি ভিডিও বার্তায় ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানীকে (ISRO) এই কথাগুলো বলতে শোনা যাচ্ছে। নাম্বি নারায়ণের এই ভিডিও বার্তা ইতিমধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টও করা হয়েছে। ইসরোর (ISRO) প্রাক্তন বিজ্ঞানীর আরও দাবি, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী সরকার ইসরোকে (ISRO) বিশ্বাস করত না। কোনও রকম বাজেট বরাদ্দ করত না।

    কী বললেন নাম্বি নারায়ণ? 

    ইসরোর (ISRO) প্রাক্তন বিজ্ঞানী ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান’ নামের একটি সংবাদ সংস্থায় সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণ স্থানকে ‘শিবশক্তি’ নাম দেওয়া নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত, অবতরণ স্থানের এমন নামকরণ নিয়ে কংগ্রেস কটাক্ষ করেছে বিজেপিকে। এ প্রসঙ্গে নাম্বি নারায়ণ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে পছন্দ নাই হতে পারে, এটা তাদের সমস্যা। তবে কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর। এটা মানতেই হবে। এর জন্য আর কে কৃতিত্ব পাবে! আগের কংগ্রেস সরকার আমাদের (ISRO) জন্য পর্যাপ্ত তহবিল বরাদ্দ করেনি। ইসরোর ওপর তাদের কোনও আস্থা, বিশ্বাস কিছুই ছিল না।’’ প্রসঙ্গত, মিথ্যা মামলায় নাম্বি নারাযণকে দীর্ঘদিন ধরে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি নাকি বিদেশিদের তথ্য পাচার করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত কিছুই পাওয়া যায়নি। বেকসুর খালাস দেওয়া হয় তাঁকে। ইতিমধ্যে তাঁর জীবনীর ওপর একটি ছবিও বানিয়েছেন মাধবন, যার নাম ‘রকেট্রি-দ্য নাম্বি এফেক্ট’।

    কংগ্রেস-বিজেপি চাপানউতোর

    প্রসঙ্গত চন্দ্রযান ৩ সফলভাবে চাঁদের মাটি স্পর্শ করার পর থেকেই কংগ্রেস-বিজেপি চাপানউতোর চলছে। চন্দ্রযান ১, ২০০৮ সালে যে জায়গায় ভেঙে পড়েছিল সেই স্থানের নামকরণ কংগ্রেস করেছিল ‘জওহর’। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নামে। এই নিয়ে বিজেপি বলে, ‘‘কংগ্রেসের আমলে চন্দ্রমিশন হলে চাঁদের বিভিন্ন জায়গার নামকরণ হতো ইন্দিরা পয়েন্ট, রাজীব পয়েন্ট ইত্যাদি।’’ কংগ্রেস আবার দাবি করেছে, জওহরলাল নেহরু ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা। সে দাবিকেও নস্যাৎ করেছে বিজেপি। তাদের মতে, ইসরো (ISRO) প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৬৯ সালে, অন্যদিকে জওহরলাল নেহরুর মৃত্যু হয়েছে ১৯৬৪ সালে। তাহলে কীভাবে তিনি ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা হতে পারেন?

    আরও পড়ুুন: ‘‘দত্তপুকুর বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল আরডিএক্স,’’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ODI World Cup 2023: বিশ্বকাপের ম্যাচে টিকিটের হাহাকার! একদিনেই কলকাতায় পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট শেষ

    ODI World Cup 2023: বিশ্বকাপের ম্যাচে টিকিটের হাহাকার! একদিনেই কলকাতায় পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট শেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপে ভারতের ম্যাচগুলির টিকিট বিক্রি এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু বাকি দেশগুলির ম্যাচ নিয়েও টিকিটের হাহাকার পড়ে গিয়েছে। সবথেকে বেশি টিকিটের চাহিদা পাকিস্তান ম্যাচের। মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতে ভারত বাদে বাকি দেশগুলির যে ম্যাচ রয়েছে তার সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কলকাতাতেও একই অবস্থা। সেখানে শুধু নেদারল্যান্ডস বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের কিছু টিকিট বাকি। 

    পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনা

    ২৫ অগাস্ট থেকে ভারত বাদে বিশ্বকাপে বাকি ম্যাচগুলোর টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ভারত বাদে যেই দেশের টিকিটের চাহিদা সবথেকে বেশি, সেটা হল পাকিস্তান। প্রথম দিনের টিকিট বিক্রির পর দেখা গিয়েছে  পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে চাহিদা আকাশ প্রমাণ। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ দীর্ঘদিন হয়নি। ২০১৬ সালের পর ভারতের মাটিতে মুখোমুখি হবে ভারত পাকিস্তান। ফলে পাকিস্তান দলকে ভারতের মাটিতে খেলতে সমর্থকরা দেখেননি দীর্ঘদিন। আর বিশ্বকাপ এবার ভারতে হওয়ায় পাকিস্তানের নাগরিকরাও ভারতে এসেছে পাকিস্তানের ম্যাচ দেখতে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকা দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনা নজর কেড়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘সবকিছু করতে পারি…’’! বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে সোনা জিতে আরও কঠোর প্রতিজ্ঞা নীরজের

    পাঁচটা ভেন্যুতে বিশ্বকাপের মোট ৯টা ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। হায়দ্রাবাদ পেয়েছে দুটো ম্যাচ। এছাড়া আছে কলকাতা, বেঙ্গালুরু, আমেদাবাদ ও চেন্নাই। এরমধ্যে আমেদাবাদে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে বাবররা। ফলে এই ম্যাচের টিকিটের চাহিদা সবার থেকে বেশি। যদিও এই ম্যাচের টিকিট বিক্রি এখনও শুরু হয়নি। পাকিস্তানের ৯টা ম্যাচের মধ্যে ৪টে ম্যাচের টিকিট একদিনে শেষ হয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান বনাম নিউ জিল্যান্ড, পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড। স্টেডিয়ামগুলো হল যথাক্রমে বেঙ্গালুরু, কলকাতা ও হায়দ্রাবাদ। ভারত পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: বড়সড় গর্তের সামনে প্রজ্ঞান, কীভাবে বিপদ এড়াল জানেন?

    Chandrayaan 3: বড়সড় গর্তের সামনে প্রজ্ঞান, কীভাবে বিপদ এড়াল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মামাবাড়ি’তে গিয়ে প্রথম বিপদের মুখে প্রজ্ঞান! চাঁদের মাটিতে রোভার প্রজ্ঞান যেখানে ছিল, তার তিন মিটার দূরেই ছিল চার মিটার চওড়া একটি গর্ত। এই গর্তে পড়লে সমূহ বিপদ হত প্রজ্ঞানের। তবে এই গর্ত এড়ানোয় বিপদে পড়েনি প্রজ্ঞান। ট্যুইট-বার্তায় ইসরো জানিয়েছে, প্রজ্ঞানের (Chandrayaan 3) অবস্থানের চেয়ে তিন মিটার দূরে গর্তটি দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে রোভারটিকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। তাই কোনও বিপদ হয়নি।

    চন্দ্রযান ৩

    এই সেদিনও চাঁদের দক্ষিণ মেরু সম্পর্কে বিশেষ কোনও ধারণাই ছিল না তামাম বিশ্বের। অনাবিষ্কৃত এই অঞ্চলেই পা রাখে ভারতের চন্দ্রযান ৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে গর্ত, পাথর, ঢিবি অনেক বেশি। তাই নিরাপদ জায়গা বাছাই করেই সফট ল্যান্ডিং করেছে চন্দ্রযান ৩-র ল্যান্ডার বিক্রম। পরে তার পেট থেকে বেরিয়ে কাজ শুরু করেছে প্রজ্ঞান।

    প্রজ্ঞানের কাজ

    প্রতি সেকেন্ডে প্রজ্ঞানের (Chandrayaan 3) গতি মাত্র এক সেন্টিমিটার। ছ’টি চাকার সাহায্যে চাঁদের মাটিতে অনুসন্ধান কার্য চালাচ্ছে এই রোভার। প্রজ্ঞান যে চাঁদের মাটির উষ্ণতা মেপেছে, রবিবারই সে খবর জানিয়েছিল ইসরো। চাঁদের মাটির গভীরে দশ সেন্টিমিটার পর্যন্ত যেতে পারবে প্রজ্ঞান। পৃথিবীর হিসেবে ১৪ দিন চন্দ্রালোকে কাজ করবে চন্দ্রযান ৩। কারণ এই সময়টাই চাঁদে দিন। যেহেতু চন্দ্রযান ৩ কাজ করছে সোলার প্যানেলের সাহায্যে, তাই সূর্যের আলো জরুরি। চাঁদে সূর্য অস্ত গেলে শক্তি হারাবে চন্দ্রযান ৩। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদে এখনও পর্যন্ত সবকিছু তাদের পরিকল্পনা মতোই হচ্ছে। কোনও সিস্টেমে কোনও গন্ডগোল হয়নি।

    প্রসঙ্গত, ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছায় চন্দ্রযান ৩-র (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার বিক্রম। বিক্রম যে জায়গায় ল্যান্ড করে, সেই জায়গাটির নাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেন ‘শিবশক্তি পয়েন্ট’। এই ‘শিবশক্তি’ পয়েন্টেই দাঁড়িয়ে রয়েছে বিক্রম। গুটি গুটি পায়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে প্রজ্ঞান। পেঁয়াজের খোসার মতো একটু একটু করে খুলছে চন্দ্রভূমের পরত।

     

    আরও পড়ুুন: ‘‘দত্তপুকুর বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল আরডিএক্স,’’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • School Education: রাজ্যে তালা পড়তে চলেছে ৮ হাজারেরও বেশি স্কুলে, কারণ জানলে চমকে যাবেন

    School Education: রাজ্যে তালা পড়তে চলেছে ৮ হাজারেরও বেশি স্কুলে, কারণ জানলে চমকে যাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে হা-শিল্প দশা। চাকরির জন্য হাপিত্যেশ করছেন হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার। সামান্য মাইনেতে কোনও বেসরকারি সংস্থায় হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছেন এঁদের অনেকেই। অথচ ডিগ্রি বন্দি হয়ে রয়েছে ফাইলে। তৃণমূল জমানায় এই যখন রাজ্যের হাল, তখন চাকরিপ্রার্থীদের জন্য মিলল আরও একটি দুঃসংবাদ! সরকারি এক রিপোর্টেই জানা গেল, স্রেফ পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হতে চলেছে রাজ্যের প্রায় ৮ হাজার সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত ও স্পন্সরড স্কুল। কলকাতার পাশাপাশি এই তালিকায় রয়েছে রাজ্যের প্রায় সব জেলার বেশ কিছু স্কুলের নাম। বন্ধ হওয়ার মুখে যেসব স্কুল, তার মধ্যে যেমন প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক স্কুল রয়েছে, তেমনি রয়েছে মাধ্যমিক স্কুলও (School Education)।

    কী বলছে সরকারি রিপোর্ট?

    সরকারি ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, রাজ্যের ৮ হাজার ২০৭টি স্কুলে পড়ুয়া নেই বললেই চলে। অথচ আয়োজনের খামতি নেই। ক্লাসরুম আছে। পড়ানোর জন্য রয়েছেন শিক্ষকও। নিয়ম করে তাঁরা স্কুলে আসেন। খাতায় সই করে বসে বসে বাড়ি চলে যান। কারণ তাঁরা যাদের পড়াবেন, তারাই নেই। রাজ্যের কয়েক হাজার স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা পঞ্চাশেরও নীচে। ২২৬টি স্কুলে তো পড়ুয়াই নেই। অবশ্য যেসব স্কুল (School Education) বন্ধ হতে চলেছে, সেই স্কুলবাড়িগুলিকে কাজে লাগাতে অন্যান্য দফতরকে অনুরোধ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। ওই স্কুলবাড়িগুলিতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে কিছু করা যায় কিনা, সে ব্যাপারেও ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে। 

    ছাত্রাভাবের কারণ 

    কী কারণে ওই স্কুলগুলির হা-পড়ুয়া দশা? শিক্ষকদের একাংশের মতে, সরকারি নীতির কারণেই সরকারি স্কুলে কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা। অথচ পড়ুয়া টানতে কীই না করা হয়েছে? মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা হয়েছে, মুফতে মেলে জামা-জুতো-সেলফোন-সাইকেল। তার পরেও পড়ুয়া নেই স্রেফ সরকারি নীতির কারণে। শিক্ষকদেরই অন্য একটি অংশের দাবি, জন্মহার কমে যাওয়া এবং বেসরকারি স্কুলের রমরমার কারণে তালা পড়তে চলেছে রাজ্যের ওই ৮ হাজার ২০৭টি স্কুলে (School Education)।

     

  • Calcutta High Court: ৪৯৮এ ধারায় মামলা, অভিযুক্তকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার নয়! পুলিশের জন্য নির্দেশিকা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ৪৯৮এ ধারায় মামলা, অভিযুক্তকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার নয়! পুলিশের জন্য নির্দেশিকা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারায় মামলা হলে অভিযুক্তকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা যাবে না বলে পুলিশকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এক্ষেত্রে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে পুলিশকে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় দণ্ডবিধির এই ধারায় কোনও মহিলার ওপর অত্যাচারের ক্ষেত্রে তাঁর স্বামী ও স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যায়। 

    কী এই ধারা

    সাম্প্রতিক অতীতে এমন বেশ কয়েকটি মামলা সামনে এসেছে, যেখানে এই ৪৯৮ এ ধারা অন্যায় ভাবে প্রয়োগ করে, প্রকৃতপক্ষে নির্দোষ স্বামী বা তার পরিবার পরিজনকে হয়রান করা হয়েছে। মামলাগুলিতে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু মহিলা এই আইনের অপপ্রয়োগ করে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের থেকে মোটা টাকা আদায় করার চেষ্টা করছে। এই অন্যায় রুখতে এবার সক্রিয় হল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    কী বলল আদালত

    সেকশন ৪০ প্রয়োগ: আইন বলছে, পুলিশ যখন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারায় কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাবে, সেক্ষেত্রে স্বতপ্রণোদিতভাবে সেকশন ৪০ প্রয়োগ করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে থানায় ডেকে পাঠাবে মামলার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যদি পুলিশ আধিকারিকের মনে হয় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা, তাহলে এ ক্ষেত্রে গ্রেফতারি এড়ানো যেতে পারে। তবে দুই পক্ষের আলোচনায় বিবাদ মিটিয়ে নেওয়া যেতে পারে অথবা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলার সুযোগ পেতে পারেন অভিযুক্ত ।

    সরাসরি গ্রেফতার নয়: সেকশন ৪০ প্রয়োগ না করেই বধূ নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্তকে যদি পুলিশ সরাসরি গ্রেফতার করে, তাহলে তা তদন্তের গাফিলতি হিসাবেই বিবেচিত হবে। আর এ ক্ষেত্রে আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানানো যেতে পারে। অভিযোগ প্রমাণ হলে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত জামিনের আবেদন করতে পারেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘প্রাণ হাতে করে গ্রামে বাস করছি’’, দত্তপুকুরে রাজ্যপালকে নালিশ মহিলাদের

    উপযুক্ত প্রমাণ পেশ: কোর্ট বলছে, ‘ যদি ফৌজদারি আইন একজন অভিযোগকারীকে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করার অনুমতি দেয়, তাহলে এটিকে যৌক্তিক প্রমাণ প্রতিপন্য করে, তাকে ন্যায়সঙ্গত করতে হবে।’

    গ্রেফতারের কারণ নথিভুক্ত করা: একজন অভিযুক্তকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করার পরে, পুলিশ অফিসারকে অবশ্যই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে।

    ম্যাজিস্ট্রেটদের ভূমিকা: ম্যাজিস্ট্রেটদের, আটকের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে, “পুলিশ অফিসার দ্বারা পূর্বোক্ত শর্তাবলীতে প্রদত্ত প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করতে হবে এবং শুধুমাত্র তার সন্তুষ্টি রেকর্ড করার পরে, ম্যাজিস্ট্রেট আটকের অনুমোদন দেবেন।”

    সময়োপযোগী রিপোর্টিং: একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করার সিদ্ধান্ত অবশ্যই “মামলার প্রতিষ্ঠানের তারিখ থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে” জানিয়ে দিতে হবে, যাতে বৈধ কারণে সময় বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya-L1: রবির উদ্দেশে রওনা শনিতেই! ‘আদিত্য-এল১’ উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ ঘোষণা ইসরোর

    Aditya-L1: রবির উদ্দেশে রওনা শনিতেই! ‘আদিত্য-এল১’ উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ ঘোষণা ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনা চলছিলই। তারিখ জানা গিয়েছিল আগেই। এবার তাতে সরকারি সিলমোহর পড়লো। ইসরো জানিয়ে দিল, আগামী ২ সেপ্টেম্বরেই সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দেবে বিশেষ সোলার প্রোব বা অন্বেষণকারী উপগ্রহ ‘আদিত্য-এল১’। অর্থাৎ, আগামী শনিবারই রবির দেশে পাড়ি দেবে ভারতের সূর্য-যান।

    রবির দেশে পাড়ি শনিতেই…

    চাঁদ চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। গত বুধবারই ইতিহাস রচনা করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের যান পাঠিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করার অনন্য কৃতিত্বও অর্জন করেছে ইসরো। কিন্তু, এত কিছু সত্ত্বেও, দম ফেলার জো নেই ভারতীয় বিজ্ঞানীদের। কাজ এখন অনেক বাকি। সময় নষ্ট না করে ভবিষ্যতের মিশনের প্রস্তুতি এখন থেকেই চলছে পুরোদমে। এবার গন্তব্য সূর্য।

     

     

    গত বৃহস্পতিবারই, ইসরোর তরফে ইঙ্গিত মিলেছিল যে, ২ সেপ্টেম্বর উৎক্ষেপণ হতে পারে আদিত্য মিশনের। সোমবার তাতে পড়ল সরকারি সিলমোহর। এদিন ইসরোর তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ বেজে ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পিএসএলভি-৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেবে ‘আদিত্য-এল১’। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার। ‘আদিত্য-এল১’-কে (Aditya-L1) যেখানে পাঠানো হচ্ছে, তা পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ১২৭ দিন। ‘আদিত্য-এল১’ মিশন হতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে প্রথম সৌর অভিযান। 

    ‘আদিত্য-এল১’ নামের তাৎপর্য কী?

    সোলার প্রোবের উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরেই জল্পনা চলছিল। ২০২০ সালেই এই মিশন লঞ্চ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, করোনা অতিমারির জন্য তা পিছিয়ে যায়। ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1) আদতে একটি করোনাগ্রাফি স্যাটেলাইট। ইসরোর আমদাবাদের স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর নীলেশ এম দেশাই জানান, এই মিশনের সব কাজ ও প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এবার বাকি শুধু উড়ানের। হিন্দু দেবতা সূর্যের আরেক নাম আদিত্য। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই নামকরণ করা হয়েছে উপগ্রহের (ISRO Sun Mission)। অন্যদিকে, এল-১ শব্দবন্ধের একটা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। এল১-এর পুরো অর্থ হলো ‘ল্যাগ্রাঞ্জ ওয়ান’। এটি সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী জায়গার একটি বিশেষ বিন্দু, যা পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। 

    কেন ‘ল্যাগ্রাঞ্জ ওয়ান’ পয়েন্টকে বাছাই করা হলো?

    দুটি মূল কারণে ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1) উপগ্রহকে এই ‘ল্যাগ্রাঞ্জ ওয়ান’ পয়েন্টে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে, প্রতিটি বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষীয় বল রয়েছে, যার জেরে তা একে অপরের দিকে টানে। যেমন পৃথিবীর রয়েছে অভিকর্ষজ বল। সাধারণ ভাষায়, যাকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি হিসেবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে। ইসরো বিজ্ঞানীদের মতে, এই এল১ পয়েন্ট সৌর মণ্ডলের এমন একটি জায়গায় অবস্থিত, যেখানে সূর্য বা পৃথিবী, কারও ওই শক্তি বা বল কাজ করে না, অথবা, সম-শক্তিতে বিপরীত দিকে কাজ করে। যার ফলে, এই পয়েন্টে থাকলে, ‘আদিত্য-এল১’ স্থির থাকতে পারবে অনন্তকাল। দ্বিতীয়ত, এই জায়গা থেকে কোনও রকম বাধা ছাড়াই সর্বক্ষণ সূর্যকে দেখতে পারবে ‘আদিত্য-এল১’। এমনকী, গ্রহণের সময়েও সমস্যা হবে না। অর্থাৎ সূর্যকে নিরীক্ষণ করতে কোনও বাধাই থাকবে না। ফলে সূর্যে কী হয়ে চলেছে তার রিয়েল-টাইম অ্যাক্টিভিটি দেখা যাবে।

    কী কাজ করবে ‘আদিত্য-এল১’?

    সূর্যের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1)। এই মিশনের উদ্দেশ্য সৌরজগৎ নিয়ে অনুসন্ধান চালানো। অর্থাৎ সূর্যের জলবায়ু, সৌর শিখা, সৌর ঝড়-সহ একাধঝিক বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। করোনা থেকে নির্গত তরঙ্গ, চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ করা হবে। জানা গিয়েছে, ৭ ধরনের বৈজ্ঞানিক পেলোড থাকবে এই উপগ্রহে (ISRO Sun Mission)। যেগুলির সাহায়্যে নানা ভাবে সূর্যকে ঘিরে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। সূর্যের ফোটোস্ফিয়ার, ক্রোমোস্ফিয়ার, সূর্যের বাইরের স্তরের উপর নজর রাখা হবে। এর জন্য ব্যবহার করা হবে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পার্টিকেল ও ম্যাগনেটিক ফিল্ড ডিটেক্টর।

    ভবিষ্যতে ইসরোর মিশনের তালিকায় রয়েছে কী কী?

    অন্যদিকে, অদূর ভবিষ্যতে পর পর মহাকাশ মিশন রয়েছে ইরসোর ঝুলিতে। ২০২৪ সালে মঙ্গলগ্রহে মহাকাশযান পাঠানোর প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে ইসরো। এই অভিযানের নাম ‘মঙ্গলযান ২’। এই অভিযানে মঙ্গলের মাটিতে নামানো হবে ল্যান্ডার। ২০২৪ সালে আমেরিকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘নিসার’ (নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার) পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। মহাকাশে ভারতের প্রথম মানবাভিযান ‘গগনযান’ নিয়েও ইসরোয় তুঙ্গে ব্যস্ততা। এটিই এখন নয়নের মণি, পাখির চোখ। ২০২৪ বা ২০২৫ সালে মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছে ভারতের এই মহাকাশযান। এছাড়া, প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে ‘শুক্রযান-১’ অভিযানের প্রস্তুতিও।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুলের নাম কংগ্রেসের, “বিপর্যয়ের টিকিট”, কটাক্ষ-বাণ বিজেপির

    Lok Sabha Elections 2024: প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুলের নাম কংগ্রেসের, “বিপর্যয়ের টিকিট”, কটাক্ষ-বাণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিকে (BJP) মাত দিতে জোট গড়েছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। সংগঠনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA)। সেই ‘ইন্ডিয়া’কে পাশ কাটিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বলে জানিয়ে দিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের অশোক গেহলট। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের তরফে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী (Lok Sabha Elections 2024) পদপ্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরোধী জোটের সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

    বিজেপির কটাক্ষ-বাণ 

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন ঘোষণার পর রাহুলকে কটাক্ষ-বাণ হেনেছে বিজেপি। অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে সোমবার সকালে রাহুলের একটি কার্টুন শেয়ার করে বিজেপি লিখেছে, “প্রধানমন্ত্রী পদে বিপর্যয়ের টিকিট।” রাহুলের পাশাপাশি নিশানা করা হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’-কেও। রবিবার সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর (Lok Sabha Elections 2024) ছবি সম্বলিত একটি পোস্টার শেয়ার করে বিজেপি বলেছিল, “কিছু লঞ্চ ইসরোকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।”

    গেহলটের বক্তব্য

    একটি বেসরকারি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে গেহলট বলেন, “প্রত্যেক নির্বাচনেই (Lok Sabha Elections 2024) স্থানীয় ঘটনাবলী গুরুত্ব রাখে। বর্তমানে দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে সব দলের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়ছে। মানুষই চাপ সৃষ্টি করেছেন। তারই ফলশ্রুতি এই ‘ইন্ডিয়া’ জোট।” রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা দ্রুত নামছে। বিরোধী জোট অবশ্যই সফল হবে। রাহুল গান্ধী আমাদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। আসন্ন নির্বাচনে আমরা সফল হবই।” তিনি বলেন, “২০১৪ সালে মাত্র ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। বাকি ৬৯ শতাংশই ওঁর বিরুদ্ধে ছিল। তাই প্রধানমন্ত্রীর এত অহঙ্কার থাকাই উচিত নয়।” তাঁর দাবি, বিজেপি নেতৃত্বাধীন ‘এনডিএ’ এখন থেকেই ‘ইন্ডিয়া’কে ভয় পেতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যপাল দত্তপুকুরে যেতে পারেন আর মুখ্যমন্ত্রী পারেন না?” প্রশ্ন শুভেন্দুর

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) এনডিএ ৫০ শতাংশ ভোট পাবে বলে বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রকাশ। এ প্রসঙ্গে গেহলট বলেন, “কোনওদিন সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পাববেন না মোদি। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকাকালীনই তিনি ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। এবার ভোট আরও কমবে। ২০২৪ সালের নির্বাচনী ফলই বলে দেবে, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন। শেষ পর্যন্ত মানুষই সিদ্ধান্ত নেবেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Duttapukur Blast: “রাজ্যপাল দত্তপুকুরে যেতে পারেন আর মুখ্যমন্ত্রী পারেন না?” প্রশ্ন শুভেন্দুর   

    Duttapukur Blast: “রাজ্যপাল দত্তপুকুরে যেতে পারেন আর মুখ্যমন্ত্রী পারেন না?” প্রশ্ন শুভেন্দুর   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উত্তরবঙ্গ থেকে এসে রাজ্যপাল দত্তপুকুরে যেতে পারেন আর মুখ্যমন্ত্রী পারেন না?”  সোমবার এ প্রশ্ন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পরেই এ বিষয়ে (Duttapukur Blast) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব চেয়ে শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিধানসভা ত্যাগ করেন বিজেপি বিধায়করা। দত্তপুকুরে বিস্ফোরণ হয় রবিবার সকালে। সোমবার বসে বিধানসভার অধিবেশন। এই অধিবেশনেই বিজেপি প্রশ্ন তোলে, “কলকাতা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। অথচ এখনও অকুস্থল পরিদর্শনে যাননি মুখ্যমন্ত্রী?” এর পরেই রাজ্যপালের প্রসঙ্গ টানেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব

    শুভেন্দু বলেন, “মানুষের জীবন রক্ষা করার যে প্রতিশ্রুতি, সে বিষয়ে আমরা সরকারের কাছ থেকে অবিলম্বে বিবৃতি দাবি করি। সেই কারণে আমরা বিধানসভার (Duttapukur Blast) ভেতরে মুলতুবি প্রস্তাব রেখে বাইরে শাউটিং স্লোগান করেছি। পশ্চিমবাংলার জনগণের নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারতীয় জনতা পার্টি অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই লড়াইটা আমরা হাউসের ভেতরে দিচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি এনআইএ দিতে পারে না। এফআইআরে সেই ধারা থাকলে তবে তারা তদন্ত করতে পারে। এরা সেটা করবে না। তাই আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছি। আশা রাখি, হাইকোর্ট ব্যবস্থা নেবে এবং এই মামলার তদন্ত এনআইএর হাতে যাবে।” তিনি বলেন, “এই সরকার স্বচ্ছতা নিয়ে চলে না। মুখ্যমন্ত্রী অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট ১০ মিনিটে বিধানসভায় জানিয়ে তারপর বক্তৃতা করতে পারতেন না? তাঁর কাছে বক্তৃতা করাটা, কখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেটা তাঁর কাছে প্রথম প্রায়োরিটি।” 

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “গত কয়েক মাসে রাজ্যে (Duttapukur Blast) একশোরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করা হবে। তারপরেও একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। ওখানে আরডিএক্স ব্যবহার করা হয়েছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।” দত্তপুকুরকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগও দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু। এদিনও তিনি ফের দাবি করেন, প্রমাণ লোপাটের আগেই দত্তপুকুরকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুুন: সিবিআই, এনআইএ দাবিতে দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে জোড়া মামলা দায়ের বিজেপির

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Murshidabad: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতদের মধ্যে মুর্শিদাবাদের ৪, নিখোঁজ আরও কতজন?

    Murshidabad: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতদের মধ্যে মুর্শিদাবাদের ৪, নিখোঁজ আরও কতজন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরের মোচপোলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি থানার নতুন চাঁদরা এলাকার চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলেই খবর। নিখোঁজ আরও বেশ কয়েকজন শ্রমিক। মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সোমবার সকাল থেকে নতুন চাঁদরা গ্রাম কার্যত থমথমে পরিস্থিতি রয়েছে।

    কী বললেন বিস্ফোরণে মৃতের পরিবারের লোকজন? (Murshidabad)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি থানার নতুন চাঁদরা গ্রাম থেকে প্রায় দশজন শ্রমিক দত্তপুকুরে যান। মোটা টাকার বিনিময়ে সকলকেই বাজি কারখানায় কাজ করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে খবর। তাদের কাজে নিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের উপর বোমা হামলা কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া ঈশা শেখের দাদা জেরাত আলি। রবিবার দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় নতুন চাঁদরা গ্রামেরই চারজন বাসিন্দার। তাঁদের নাম কলেজ শেখ, রণি শেখ, আন্দাজ শেখ এবং ছোটন শেখ। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন জেরাত আলি সহ ৬ জন। উল্লেখ করা যেতে পারে, তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের উপর বোমা হামলাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া ঈশা শেখের বড় দাদা জেরাত আলি। সম্প্রতি মাস কয়েক আগে একই মামলায় জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে জেরাত আলিও। মুক্তি পাওয়ার পরেই গ্রামের শ্রমিকদের নিয়ে মোটা টাকার অফার দিয়ে বাজি কারখানায় নিয়ে যায় সে। তারপরেই সেখানেই কার্যত বিস্ফোরণে মৃত্যু হল চার শ্রমিকের। এর আগেও পিংলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল নতুন চাঁদরা গ্রামের ১১ জন শ্রমিকের। ফের একবার একই গ্রাম থেকে আরও চার শ্রমিকের মৃত্যু এবং কয়েকজন শ্রমিকের নিখোঁজের ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, রাজমিস্ত্রির কাজ করানোর নাম করেই নিয়ে যাওয়া হয়ছিল। পরে, তাঁদের দিয়ে বাজি তৈরি করানো হত। এভাবে অকালে চলে যাবে তা আমরা ভাবতে পারিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur Blast: সিবিআই, এনআইএ দাবিতে দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে জোড়া মামলা দায়ের বিজেপির

    Duttapukur Blast: সিবিআই, এনআইএ দাবিতে দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে জোড়া মামলা দায়ের বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে (Duttapukur Blast) এবার জোড়া মামলা দায়ের করল বিজেপি (BJP)। সিবিআই এবং এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও রাজর্ষি লাহিড়ি। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    বিজেপির দাবি

    রবিবার বিস্ফোরণের পরে পরেই এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিল বিজেপি। পদ্ম শিবিরের নেতা শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্ন ছিল, “কোন শব্দ তৈরি করতে গেলে স্টোনচিপস লাগে?” তিনি দাবি করেছিলেন, ওই এলাকায় স্টোন চিপস সহ একাধিক রাসায়নিকের সন্ধান মিলেছে। ওই এলাকায় লুকিয়ে বোমা তৈরি হত, মারণাস্ত্র তৈরি হত। আর জেলায় জেলায় এই বোমা তৈরি হচ্ছে। তার পরেই এনআইএ তদন্তের দাবি জানান শমীক। 

    সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, এর আগে বহু ক্ষেত্রে এনআইএর হাতে তদন্তভার গেলেও, রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ সামনে এসেছে। তাই এবার আদালতের নজরদারিতে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর পোস্ট

    বিস্ফোরণকাণ্ডের (Duttapukur Blast) পর একটি পোস্টে শুভেন্দু লেখেন, ‘উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের দত্তপুকুরে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ। ৮ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংখ্যাটা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি লেখেন, “এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। কারণ এটি পশ্চিমবঙ্গে সিরিয়াল বিস্ফোরণের সিরিজে নতুন সংযোজন। মে মাসে তালিকায় ছিল এগরা, বজবজ ও দুবরাজপুর। এরপর গত ১ জুন নদিয়ার জেলার মহেশনগর এমনই বিস্ফোরণের সাক্ষী হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি রাজ্যের পরিস্থিতি ও বিস্ফোরণের পুনরাবৃত্তির ঘটনা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তাই আমি কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    আরও পড়ুুন: বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে ফের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, “আমি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে এই বিষয়ে এনআইএ তদন্তের (Duttapukur Blast) জন্য কলকাতা হাইকোর্টে যাব। আমি বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব উত্থাপন করব, যাতে কেন সরকার এই ধরনের অবৈধ বাজি ইউনিট নিয়ন্ত্রণে এতটা নিষ্ক্রিয় সেই বিষয়ে উত্তর চাইতে পারি। এর পরে বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল বিধানসভা থেকে দত্তপুকুরের বিস্ফোরণস্থলের উদ্দেশে যাত্রা করবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share