Tag: bangla news

bangla news

  • Jadavpur University: উত্তরে সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ১২ প্রশ্নের জবাব তলব

    Jadavpur University: উত্তরে সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ১২ প্রশ্নের জবাব তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জবাব তলব করেছিল ইউজিসি। তবে এ বিষয়ে যে রিপোর্ট যাদবপুর কর্তৃপক্ষ পাঠিয়েছিলেন, তাতে এ বার ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আবারও জবাব তলব করা হল ইউজিসি-র তরফে। মোট ১২টি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। 

    কেন রিপোর্ট তলব

    মূলত র‍্যাগিং ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেই সম্পর্কে তথ্য ও সংশ্লিষ্ট নথি চেয়ে পাঠাল ইউজিসি। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, র‍্যাগিং-এর বিরুদ্ধে আদৌ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হত কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, হস্টেলে র‍্যাগিং-এর শিকার হতে হয়েছিল ওই পড়ুয়াকে।ইতিমধ্যেই ইউজিসি-র তরফে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সভা-মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত যাদবপুর, এবিভিপির ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

    কী কী জানতে চাওয়া হল

    ভর্তির সময়ে ছাত্রদের যে ‘ব্রোশিওর’ দেওয়া হয়েছিল, তাতে কি র‌্যাগিং-বিরোধী হেল্পলাইন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং-বিরোধী সংগঠনের নম্বর রয়েছে? সেই ‘ব্রোশিওর’ পাঠাতে হবে। র‌্যাগিং-বিরোধী হেল্পলাইন, প্রতিষ্ঠানের প্রধান, ওয়ার্ডেন, র‌্যাগিং-বিরোধী কমিটি, পুলিশের নম্বর লেখা ‘লিফলেট’ বিলি করা হয়েছিল নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের? সেই ‘লিফলেট’ পাঠাতে হবে। র‌্যাগিং প্রতিরোধের জন্য যে পদক্ষেপ এবং শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে, তা পড়ার পর একটি হলফনামায় সই করার কথা পড়ুয়াদের। সেই হলফনামার প্রতিলিপি কি কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে? থাকলে তা জমা করতে হবে। শুধু পড়ুয়া নয়, তাঁদের অভিভাবকদের সই করা এ ধরনের হলফনামার প্রতিলিপি কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে কি না, তা-ও জানতে চেয়েছে ইউজিসি। থাকলে সেটাও পাঠাতে হবে। নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের কি হস্টেলের আলাদা ব্লকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল? ওই ব্লকে কোনও সিনিয়র ছাত্র যাচ্ছেন কি না, তা নজরে রাখার ব্যবস্থা কি হয়েছিল? পড়ুয়াদের হস্টেলের ঘর বণ্টনের বিষয়ে বিশদে জানাতে হবে। এরকম আরও বেশ কিছু প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, চিঠির উত্তর খতিয়ে দেখে তারপর ইউজিসি প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Traditional Medicine: “ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনে ভারতের একটি সমৃদ্ধশালী ইতিহাস রয়েছে”, বললেন হু প্রধান

    Traditional Medicine: “ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনে ভারতের একটি সমৃদ্ধশালী ইতিহাস রয়েছে”, বললেন হু প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনে (Traditional Medicine) ভারতের একটি সমৃদ্ধশালী ইতিহাস রয়েছে। এই ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের মধ্যে আয়ুর্বেদের পাশাপাশি রয়েছে যোগাও। আজ, বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডর্স আধানম ঘেব্রেইসাস। এদিন গুজরাটের গান্ধীনগরে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন গ্লোবাল সামিটে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তা। সেখানেই তিনি ভারতের ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    হু প্রধানের বক্তব্য

    বুধবারই ভারতে এসেছেন হু প্রধান। এদিনের সম্মেলনে তিনি বলেন, “দুরারোগ্য ব্যাধি, মানসিক স্বাস্থ্য এবং অন্য আরও অনেক রোগের চিকিৎসায় ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের (Traditional Medicine) খোঁজ চালাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। মানুষকে সুস্বাস্থ্য দিতে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের অবদান কম নয়।” এদিন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন টেডর্স। তিনি বলেন, “গতকাল (বুধবার) গুজরাটের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি হাজার পরিবারের পাঁচ হাজার সদস্যের স্বাস্থ্যের দেখভাল করে। তাঁরা যেভাবে ওষুধ ব্যবহার করছেন, তা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমি এও দেখেছি, প্রাথমিক পর্যায়ে কীভাবে তাঁরা ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন ব্যবহার করছেন। ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের ক্ষেত্রে একটা বড় ব্যাপার হল মানব স্বাস্থ্যের সঙ্গে পরিবেশের যোগ। জামনগরে খোলা হয়েছে গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন সেন্টার। গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এর উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।”

    ‘ভারতের কাছে বড় সুযোগ’

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যও। তিনি বলেন, “এই বিশ্ব সম্মেলন (Traditional Medicine) ভারতের কাছে একটা বড় সুযোগ। এখানে বার্তা বিনিময় হচ্ছে, আইডিয়া দেওয়া নেওয়া হচ্ছে, গাঁটছড়া বাঁধা হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বও হচ্ছে। সর্বোপরি, এক সঙ্গে কাজের সুযোগের দুয়ার খুলে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, “আজও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের সাহায্যেই চিকিৎসা হচ্ছে বহু মানুষের। ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের ওপর এই যে বিশ্ব সম্মেলন হচ্ছে, এটাকে একটা প্লাটফর্ম হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্লাটফর্মে রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা, ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের ওপর এভিডেন্স ভিত্তিক অ্যাকশনও করা যেতে পারে। যার দ্বারা বিশ্বব্যাপী উপকৃত হতে পারে লাখ লাখ মানুষ।

    আরও পড়ুুন: প্রয়োগ করা যাবে না ‘ইভটিজিং’, ‘প্রস্টিটিউট’, পরিবর্তে কী লিখতে হবে জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • INS Vindhyagiri: কতটা শক্তিশালী ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’? চিনে নিন এই স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেটকে

    INS Vindhyagiri: কতটা শক্তিশালী ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’? চিনে নিন এই স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেটকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Draupadi Murmu) হাতে শুভ সূচনা হলো ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) নতুন যুদ্ধজাহাজের। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri) নামের ওই স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট গোত্রের রণতরীকে নির্মাণ করেছে গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স। ‘প্রজেক্ট-১৭ আলফা’ বা সংক্ষেপে ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের আওতায় ৭টি স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট তৈরি হয়েছে দেশে। এর মধ্যে ৪টে নির্মিত হয়েছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডকইয়ার্ডে। বাকি তিনটির নির্মাণ হয়েছে জিআরএসই-তে। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ হলো প্রকল্পের ষষ্ঠ তথা এখানে তৈরি হওয়া বরাতের তৃতীয় তথা শেষ জাহাজ। এর আগে, এখান থেকেই উদ্বোধন হয়েছে যথাক্রমে ‘আইএনএস হিমগিরি’ ও ‘আইএনএস দুনাগিরি’। এই দুটিই এখন সমুদ্র-ট্রায়ালে রয়েছে। সম্ভবত, চলতি মাসেই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ‘আইএনএস হিমগিরি’।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় নৌসেনার নতুন যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    জাহাজের মূল বৈশিষ্ট্য ‘স্টেলথ’

    প্রজেক্ট-১৭ আলফা-র আওতায় নির্মিত জাহাজগুলোর নকশা করেছে নৌসেনার (Indian Navy) অধীনস্থ সংস্থা ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো (পূর্বতন ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন)। ডিজেল-ইলেক্ট্রিক শক্তিচালিত এই জাহাজের মূল বৈশিষ্ট্য হল এগুলো ‘স্টেলথ’ (Stealth Missile Frigate) প্রকৃতির। অর্থাৎ, শত্রুর রেডারে এই জাহাজগুলো সহজে ধরা পড়ে না। এর প্রধান কারণ হলো, জাহাজের নকশা এমনভাবে করা হয়, যাতে ধারালো কোণ থাকে না। এই জাহাজগুলোর নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে কম্পোজিট মেটিরিয়াল। এছাড়া, এদের রঙের আস্তরণ এমন থাকে, যা রেডারের তরঙ্গ প্রতিফলিত করে না। ফলত, এই শ্রেণির জাহাজগুলোর রেডার-ক্রস সেকশন অত্যন্ত নগন্য।

    ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-র ডিজেল-ইলেকট্রিক ইঞ্জিন

    ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-র (INS Vindhyagiri) মূল চালিকাশক্তি হলো চারটি ইঞ্জিন। ২টি ডিজেল ও ২টি ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিন চালিত এই জাহাজটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৫০ মিটার। এর ওজন প্রায় ৬ হাজার ৬৭০ টন। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩২ নট। (প্রায় ৬০ কিমি/ঘণ্টা)। এই জাহাজটি ২৮ নট গতিতে একটানা ২,৫০০ নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করতে সক্ষম। অন্যদিকে, ১৬-১৮ নট গতিতে এটির পাল্লা বেড়ে যায় ৫,৫০০ নটিক্যাল মাইল। জাহাজে ৩৫ অফিসার সহ ২২৬ জনের থাকার সংস্থান রয়েছে।

    যুদ্ধজাহাজের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা

    জাহাজের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত মজবুত। এতে রয়েছে একাধিক সেন্সর, রেডার ইডব্লিউ সুইট। ‘আইএনএস বিন্ধ্যাগিরি’-তে রয়েছে অত্যাধুনিক এমএফ-স্টার আয়সা রেডার। আকাশ হোক বা ভূমি— শত্রুর যে কোনও জাহাজ, ড্রোন, বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র, তা সে যত ছোটই হোক না কেন, ৩৬০ ডিগ্রি নজরদারি চালানোর ক্ষমতাসম্পন্ন এই রেডারে সব ধরা পড়বে। ৪৫০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত যে কোনও নিশানাকে ট্র্যাক করতে সক্ষম এই বিশেষ রেডার। এছাড়া, এতে রয়েছে দ্বিতীয় সারফেস-সার্চ রেডার, যা ৪৬০ কিমি পর্যন্ত যে কোনও যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রকে ট্র্যাক করতে সক্ষম। 

    এই জাহাজে সোনার ও রেডারের ক্ষমতা কেমন?

    ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri) জাহাজে রয়েছে ডিআরডিও-নির্মিত সোনার, যা জলের নিচে থাকা সাবমেরিন ও টর্পিডোকে বা আন্ডার-ওয়াটার মাইনকে ট্র্যাক ও ট্র্যাক করতে সক্ষম। এর পাশাপাশি, এতে লাগানো হয়েছে অত্যাধুনিক ‘শক্তি’ ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুইট (ইডব্লিউ স্যুইট)। দেশীয় ওই বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা একদিকে যেমন যে কোনও জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চিহ্নিত করতে সক্ষম, তেমন ভাবেই প্রথাগত রেডারের সিগন্যাল জ্যাম করতে বা নিরস্ত্র করতেও পারে। শুধু তাই নয়, শত্রু যদি চায় এই জাহাজের সিগন্যাল ব্লক করতে, তখন এই ইডব্লিউ স্যুইট পাল্টা তাকে রুখে দিতে সক্ষম, যাতে জাহাজের নিজস্ব যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

    অস্ত্রের বৈচিত্র্যে ভরপুর ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’

    এবার নজর দেওয়া যাক এই ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-র অস্ত্রসম্ভারের দিকে। ‘পি-১৭এ’ ফ্রিগেটগুলোতে বিভিন্ন বিপদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র মজুত করা হয়েছে। স্থলে বা জলে (ভাসমান) যে কোনও হামলা প্রতিহত করার জন্য এতে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই জাহাজে রয়েছে ৮টি ‘ব্রহ্মোস’ জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর গতি শব্দের ৩ গুণ। এছাড়া রয়েছে একটি ৭৬ এমএম ‘ওটো মেলারা’ নেভাল গান এবং ১টি ৩০ এমএম ‘একে-৬৩০’ ক্লোজ-ইন উইপন সিস্টেম (সিআইডব্লিউএস)।

    আকাশপথে হামলা প্রতিহত করার জন্য এই জাহাজে রয়েছে ৩২টি ‘বারাক-৮’ ইআর মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। ১৫০ কিমি পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র যে কোনও যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, জাহাজ-বিধ্বংসী মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করতে পারদর্শী। ইজরায়েলের এই মিসাইল বর্তমানে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতেই উৎপাদন করা হচ্ছে। 

    ভূমি ও জলের ওপরের মতোই জলের নিচে দিয়ে করা হামলার জবাব দিতেও পারদর্শী ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri)। সাবমেরিন বা টর্পিডো ধ্বংস করতে এতে রয়েছে ২টি টর্পিডো লঞ্চার। এক-একটি লঞ্চারে ৩টি করে টর্পিডো তৈরি থাকে। এছাড়া রয়েছে, সাবমেরিন-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার যা ১ কিমি পর্যন্ত যে কোনও বস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। 

    আত্ম-সুরক্ষা ব্যবস্থাও জোরদার

    প্রতিঘাতের পাশাপাশি ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri) জাহাজে আছে অত্যাধুনিক আত্ম-সুরক্ষা ব্যবস্থা। যার মধ্যে রয়েছে ২টি ‘মারীচ’ টর্পিডো-কাউন্টার মেজার ডিকয় সিস্টেম এবং চারটি ‘কবচ’ ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ডিকয় লঞ্চার। শত্রুর টর্পিডো বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে এই মারীচ ও কবচ জাহাজের ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। তখন, শত্রু টর্পিডো-ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এদের টার্গেট ভেবে ধ্বংস করে, বেঁচে যায় জাহাজ। অন্যদিকে, এই জাহাজে ২টি হেলিকপ্টার থাকতে পারে। হ্যাঙ্গারে থাকে একটি, অন্যটি থাকতে পারে ডেকে। সম্ভবত, অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (এএলএইচ) ‘ধ্রুব মার্ক-৩’ বা ‘ওয়েস্টল্যান্ড সি-কিং’ হেলিকপ্টার থাকবে। পরবর্তীকালে, উল্লেখিত হেলিকপ্টারের জায়গায় আসবে সিকর্সকি ‘এমএইচ-৬০ রোমিও’ হেলিকপ্টার (Indian Navy)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: প্রয়োগ করা যাবে না ‘ইভটিজিং’, ‘প্রস্টিটিউট’, পরিবর্তে কী লিখতে হবে জানেন?

    Supreme Court: প্রয়োগ করা যাবে না ‘ইভটিজিং’, ‘প্রস্টিটিউট’, পরিবর্তে কী লিখতে হবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচার করার সময় ব্যবহার করা যাবে না ‘ইভটিজিং’ শব্দটি। নিষেধ করা হয়েছে ‘প্রস্টিটিউট’ বা ‘হুকার’ শব্দ প্রয়োগেও। ‘হাউস-ওয়াইফ’ শব্দটিও ব্যবহার করতে পারবেন না। এসব শব্দের বদলে ব্যবহার করতে হবে যথাক্রমে ‘যৌন নির্যাতন’, ‘যৌনকর্মী’ এবং ‘হোমমেকার’। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ‘হ্যান্ডবুক অন কমবাটিং জেন্ডার স্টিরিওটাইপস’ নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছেন। তাতেই দেওয়া হয়েছে ‘ডুজ’ অ্যান্ড ‘ডোনটজে’র পাঠ।

    শব্দ তালিকা

    ওই পুস্তিকায় ৪৩টি শব্দের একটি তালিকা দিয়ে বলা হয়েছে রায় দেওয়ার সময় বিচারপতিরা যেন কোনওভাবেই এই শব্দগুলি প্রয়োগ না করেন। কেবল তাই নয়, মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবী এবং মামলার পক্ষের লোকজনও যেন শব্দগুলি এড়িয়ে চলেন। তার পরিবর্তে পুস্তিকায় উল্লিখিত শব্দগুলি ব্যবহার করেন। প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, “এই শব্দগুলির মধ্যে রয়েছে লিঙ্গবৈষম্য। তাই এসব শব্দ বাদ দিয়ে রায় লেখা সহ আদালতের যাবতীয় কাজ করতে হবে পুস্তিকায় উল্লিখিত বিকল্প শব্দ প্রয়োগ করে।”

    কী লেখা যাবে না

    পুস্তিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনও মামলার রায় দিতে গিয়ে ‘অ্যাফেয়ার’ শব্দটি লেখা বা উচ্চারণ করা যাবে না। এর পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে ‘রিলেশনশিপ আউটসাইড অফ ম্যারেজ’। ‘ইভটিজিং’ শব্দটিও মামলার শুনানি চলাকালীন লেখা বা বলা যাবে না। তার বদলে লিখতে হবে ‘স্ট্রিট সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট’ বা ‘রাস্তায় যৌন হেনস্থা’। তিরিশ পাতার ওই পুস্তিকায় ‘রক্ষিতা’ শব্দটিও ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। তার পরিবর্তে লিখতে হবে ‘কোনও পুরুষের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে রোম্যান্টিক বা যৌন সম্পর্ক রয়েছে এমন মহিলা’।

    আরও পড়ুুন: এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়ল ছত্তিশগড়ের আটটি গ্রামে

    ‘অবিবাহিতা মা’ শব্দবন্ধটিও প্রয়োগ করা যাবে না। তার বদলে লিখতে হবে কেবল ‘মা’ শব্দটিই। মামলার শুনানি চলাকালীন ‘জারজ’ সন্তান শব্দবন্ধটিও ব্যবহার করা যাবে না। তার পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে ‘অ-বৈবাহিক’ সন্তান। ‘হাউস-ওয়াইফে’র পরিবর্তে প্রয়োগ করতে হবে ‘হোমমেকার’ শব্দটি।পুস্তিকা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, “এর উদ্দেশ্য অতীতের বিচারের সমালোচনা করা বা সন্দেহ করা নয় বরং কেবল এটা দেখানো যে কীভাবে অজান্তেই স্টিরিওটাইপ শব্দ ব্যবহার করা হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Draupadi Murmu: কলকাতায় নৌসেনার নতুন যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: কলকাতায় নৌসেনার নতুন যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হলো ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। এক তারকাখচিত অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সে (GRSE) নৌসেনার নতুন স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেটের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri Launch) নামের এই রণতরী ভারতীয় নৌসেনার ‘প্রজেক্ট-১৭ আলফা’ বা সংক্ষেপে ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের ষষ্ঠ জাহাজ। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার সহ শীর্ষ পদাধিকারীরা। এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন ভারত ক্রিকেট অধিনায়ক তথা প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ।

    বোতাম টিপে রণতরীর শুভ-সূচনা

    এদিন বোতাম টিপে ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’কে (INS Vindhyagiri Launch) জলে ভাসিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর আগে, স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে, নারকেল ফাটিয়ে ও মালা পরিয়ে জাহাজের পুজো করা হয়। সেই শুভ কাজ করেন রাষ্ট্রপতি। তার পর তিনি জাহাজটিকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন এবং বোতাম টিপে জাহাজের নাম ফলক প্রকাশ করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের জলসীমার সুরক্ষিত রাখার জন্য ভারতীয় নৌসেনার প্রশংসা করেন। সময়মতো জাহাজের নির্মাণ শেষ করার জন্য জিআরএসই কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান নৌসেনা প্রধান আর হরি কুমার। 

    ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের ষষ্ঠ জাহাজ ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’

    নৌসেনার ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের অধীনে সাতটি নিলগিরি-শ্রেণির (এই প্রজেক্টের প্রথম জাহাজ ‘আইএনএস নিলগিরি’-র নামে শ্রেণিভুক্ত) ৭টি স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে ৪টে নির্মিত হয়েছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডকইয়ার্ডে। বাকি তিনটির নির্মাণ হয়েছে কলকাতায় গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআরএসই)-তে। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri Launch) হলো এই প্রকল্পের ষষ্ঠ তথা এখানে তৈরি হওয়া তৃতীয় তথা শেষ জাহাজ। সেই দিক থেকে কলকাতার জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থা জিআরএসই-র মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক। এর আগে, এখান থেকেই উদ্বোধন হয়েছে যথাক্রমে ‘আইএনএস হিমগিরি’ ও ‘আইএনএস দুনাগিরি’। এই দুটিই এখন সমুদ্র-ট্রায়ালে রয়েছে। সম্ভবত, চলতি মাসেই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ‘আইএনএস হিমগিরি’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3: প্রপালশন মডিউল থেকে ছিন্ন হল চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম

    Chandrayaan-3: প্রপালশন মডিউল থেকে ছিন্ন হল চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের (Moon) কক্ষপথে প্রদক্ষিণ শেষ হওয়ার পর অবশেষে সফলভাবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এর প্রোপালশন মডিউল থেকে আলাদা হল ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram)। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তরফে একথা জানানো হয়। চাঁদের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার জন্য ল্যান্ডার বিক্রম ধন্যবাদ জানিয়েছে প্রপালশন মডিউলকে। এই প্রক্রিয়া যে সফল হয়েছে, জানানো হয়েছে এমনটাই। এরপর ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হবে ল্যান্ডারের গতি এবং তা অবতরণ করা হবে চাঁদের বুকে। আগামীকাল থেকেই এই কাজ শুরু হবে।

    কবে চাঁদে পা

    ২৩ অগাস্ট বিকেল পৌনে ছ’টা নাগাদ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা রয়েছে চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan-3) ল্যন্ডার ‘বিক্রম’-এর। পরিকল্পনা সফল হলেই আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর সফল ভাবে চাঁদের জমিতে মহাকাশযান অবতরণ করানোর তালিকায় নাম তুলে নেবে ভারত। একই সঙ্গে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথমবার পা পড়বে কোনও দেশের মহাকাশযানের। ভারতীয় সময় ১টা থেকে ১.৩০টার মধ্যে এই বিছিন্ন হওয়ার কাজটি হয়। চন্দ্রকক্ষে ম্যানুয়েভর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর প্রপালশন বিচ্ছেদের কাজটি শুরু হয়েছিল।

    কী বলছে ইসরো

    ইসরোর তরফে জানান হয়েছে বিক্রম ল্যান্ডার চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এর প্রপালশন মডিউল থেকে আলাদা হয়ে গেছে। এখন এটি দ্রুত চাঁদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২৩ আগস্ট চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে বিক্রম ল্যান্ডার। প্রপালশন মডিউলটি এখন চাঁদের কক্ষপথে ঘুরবে। বিক্রম ল্যান্ডার, এখন চাঁদের দিকে এগোচ্ছে। ২৩ আগস্ট চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে বিক্রম ল্যান্ডার। চন্দ্রযান বর্তমানে চাঁদের শেষ কক্ষপথে রয়েছে। চন্দ্রযান-৩ চাঁদ থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ বিক্রম তার একক যাত্রা শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় গর্বিত নারীরা! প্রতিক্রিয়া মহিলা পাইলটের

    ইসরোর তরফে বলা হয়েছে, বক্স আকৃতির প্রপালশন মডিউলটিতে রয়েছে একটি অতিকায় সৌর প্যানেল ও একটি সিলিন্ডার। এর সঙ্গেই যুক্ত রয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান। এদের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর প্রপালশন মডিউলটি কাজ করবে রিলে স্যাটেলাইট হিসেবে। এখন বিক্রম এগিয়ে চলেছে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফট ল্যান্ডিং করতে। সেটি চাঁদের (Moon) মাটিতে নেমে পড়লে শুরু হবে প্রজ্ঞানের কাজ।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Per Capita Income: স্বাধীনতার শতবর্ষে ভারতের মাথাপিছু গড় আয় দাঁড়াবে ১৪.৯ লাখ টাকা, বলছে রিপোর্ট

    Per Capita Income: স্বাধীনতার শতবর্ষে ভারতের মাথাপিছু গড় আয় দাঁড়াবে ১৪.৯ লাখ টাকা, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির জমানায় যে শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছে দেশের অর্থনীতির, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংস্থা। এবার প্রায় একই কথা জানাল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা এসবিআই-ও। তারাও জানাল, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। সমীক্ষা করার পর এসবিআই জানিয়ে দিয়েছে, ২০৪৭ সালে দেশ যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ পালন করবে, ভারতের পার ক্যাপিটা ইনকাম (Per Capita Income) বৃদ্ধি পাবে সাত গুণ।

    এসবিআইয়ের রিপোর্ট

    ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের পরের দিনই একটি রিপোর্ট পেশ করে এসবিআই। তাতেই তারা রীতি মতো হিসেব কষে দেখিয়ে দিয়েছে ভারতবাসীর পার ক্যাপিটা ইনকাম ২ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে হবে ১৪.৯ লক্ষ টাকা। এসবিআইয়ের ওই রিসার্চ রিপোর্টে নমিনাল ইনকামের কথা বলা হয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে ২০৪৭ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতির হিসেব অবশ্য দেখানো হয়নি। আজ ১৪.৯ লক্ষ টাকার যে মূল্য, ২৪ বছর পরে অবশ্য একই থাকবে না। মুদ্রাস্ফীতির কারণে পার ক্যাপিটা ইনকামের (Per Capita Income) একটি হিসেব তুলে ধরে দেখানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। অনুমান করা হয়েছে, বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ শতাংশ।

    মুদ্রাস্ফীতির হার

    গত ১০ বছরে অন্তত এভাবেই বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতির হার। সেই হিসেবে ২০৪৭ সালে ১৪.৯ লক্ষ টাকার প্রকৃত মূল্য আজকের টাকার অঙ্কে দাঁড়াবে ৪ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এই মুহূর্তে ভারতের পার ক্যাপিটা ইনকামের পরিমাণ খুবই কম। পার ক্যাপিটা ইনকামে ভারত রয়েছে বাংলাদেশেরও নীচে। স্বাধীনতার শতবর্ষের মধ্যে দেশে ওয়ার্কফোর্সের পাশাপাশি বাড়বে ট্যাক্সদাতাদের সংখ্যাও। করদাতাদের দিতে হবে এখনের চেয়ে সাতগুণ বেশি ট্যাক্স। ২০৪৭ সালে সব মিলিয়ে করের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪৮.২ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: ১০০ কেজিরও বেশি মাদক বাজেয়াপ্ত, এমবিএ পাশ যুবক সহ গ্রেফতার ৭ পাচারকারী

    রিপোর্টে বলা হয়েছে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির সময় ট্যাক্সদাতাদের সংখ্যা একলপ্তে বেড়ে যাবে অনেকখানি। যাঁদের আয় কম এমনতর ২৫ শতাংশ মানুষের নাম বাদ যাবে ট্যাক্সদাতাদের তালিকা থেকে। যাঁরা আয়কর দেবেন, তাঁদের মধ্যে ১৭.৫ শতাংশ করদাতার আয় হবে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকার মধ্যে। পাঁচ শতাংশ মানুষের আয় হবে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে (Per Capita Income)। আর ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকার মধ্যে আয় করবেন করদাতাদের মধ্যে তিন শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Captain Zoya Agarwal: প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় গর্বিত নারীরা! প্রতিক্রিয়া মহিলা পাইলটের

    Captain Zoya Agarwal: প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় গর্বিত নারীরা! প্রতিক্রিয়া মহিলা পাইলটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের  ভাষণে ভারতীয় মহিলাদের অগ্রগতির এক রূপরেখা তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লালকেল্লা থেকে প্রশংসা করেছিলেন ভারতীয় মহিলা পাইলটদের। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় গর্বিত ভারতের মহিলা পাইলট ক্যাপ্টেন জোয়া আগরওয়াল (Captain Zoya Agarwal)। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা তাঁর কাছে অনুপ্রেরণার কাজ করবে বলে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন ভারতীয় ওই বাণিজ্যিক মহিলা পাইলট।

    কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী

    ৭৭ তম  স্বাধীনতা দিবসে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়নে মনোনিবেশ করেছে। বিমান চালনা থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষেত্রে পারদর্শিতা দেখিয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের নারী শক্তির সাফল্যকে কুর্নিশ জানাই। আমরা ভারতের অগ্রগতিতে নারীদের ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিই। আমাদের সরকার নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে যাবে।” দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নারী শক্তির প্রয়োজনের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সিভিল এভিয়েশনে মহিলা পাইলটের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে মোদি বলেন, “বর্তমানে সিভিল এভিয়েশনে সর্বাধিক মহিলা পাইলট আছে। আর এটা দেশের পক্ষে গর্বের বিষয়।”

    আরও পড়ুন: অতিভারী বৃষ্টিতে তিনদিনে ৭১ জন মৃত হিমাচলে, ‘পর্বত সমান চ্যালেঞ্জ’ বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    শুধু এভিয়েশন নয়, ভারতের চন্দ্রযান মিশনের নেতৃত্বেও মহিলারা আছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জি-২০ ভুক্ত দেশগুলিও ভারতে মহিলাদের অগ্রগতির গুরুত্ব স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি। মহিলা পরিচালিত গ্রামীণ ভারতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির কাজেরও প্রশংসা করেন মোদি। সেই সঙ্গে উল্লেখ করেন মহিলাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নই তাঁর সরকারে প্রধান লক্ষ্য বলে তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আগামী দিনে ড্রোন ওড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার সরকারি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি। ড্রোন মেরামতের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন। 

    গর্বিত জোয়া

    মহিলাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নানান ঘোষণার প্রশংসা করেন মহিলা পাইলট ক্যাপ্টেন জোয়া আগরওয়াল (Captain Zoya Agarwal)। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা, আগামী দিনে আরও বেশি করে মহিলাদের বাণিজ্যিক পাইলটের পেশা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা যোগাবে। শুধু পাইলট নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও মহিলাদের যোগদানের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন জোয়া। কোভিডের সময় বিদেশ থেকে ভারতীয়দের আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন জোয়া আগরওয়াল। বেঙ্গালুরু-সান ফ্রান্সিসকো দীর্ঘতম রুটে বিমান চালানোর ছাড়পত্র রয়েছে তাঁর।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drugs Smuggling: ১০০ কেজিরও বেশি মাদক বাজেয়াপ্ত, এমবিএ পাশ যুবক সহ গ্রেফতার ৭ পাচারকারী

    Drugs Smuggling: ১০০ কেজিরও বেশি মাদক বাজেয়াপ্ত, এমবিএ পাশ যুবক সহ গ্রেফতার ৭ পাচারকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো কেজিরও বেশি মাদক সহ গ্রেফতার সাত পাচারকারী (Drugs Smuggling)। এই পাচারাকারীদের সঙ্গে যোগ রয়েছে আন্তর্জাতিক মাদক বাজারের। লিঙ্ক রয়েছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিরও। পাচারকারীদের গ্রেফতার করতে অসমের গুয়াহাটি ও মণিপুরের ইম্ফলে অভিযান চালিয়েছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় পাচারকারীদের। মাদক বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি মাদক তৈরিতে ব্যবহৃত কেমিক্যালও উদ্ধার হয়েছে। মাদকগুলি সরবরাহ করা হচ্ছিল ৫৫৩টি প্যাকেটে। সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদকের পরিমাণ ১১০.৫ কেজি। মাদকগুলি ছিল ট্যাবলেটের আকারে।

    বি-টু-বি প্লাটফর্ম

    জানা গিয়েছে, মাদক পাচারে (Drugs Smuggling) মূল অভিযুক্ত মহঃ আবদুল ওয়াকলি এমবিএ স্নাতক। মাদক পাচারের জন্য সে খুলেছিল বি-টু-বি প্লাটফর্ম। ধূর্ত আবদুল  জাল নথিপত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াত। মিজোরামস আইজল নামের একটি স্টোরের ভুয়ো ডকুমেন্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াত সে। পরে সে আমেদাবাদের ভদ্রেশ প্যাটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সংগ্রহ করে ১৫০০ প্যাকেট ট্যাবলেট আকারে থাকা মাদক। পুলিশ যাতে মাদক পাচারের খবর জানতে না পারে, তাই ট্যাবলেটের প্যাকেটগুলির লেবেল বদলে দেওয়া হয়েছিল।

    মাদক পাচার ট্যাবলেটের আকারে

    লিভোসেট এবং কলজেন নামের ভুয়ে লেবেল সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছিল মাদকের প্যাকেটগুলিতে। একাধিক অফিস, গোডাউন এবং বাড়িতে হানা দিয়ে সেগুলি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান এনসিবির আধিকারিকরা। নীতীন কুমার পাঞ্চাল এবং অনিলভাই নায়ক অর্ডার সংগ্রহ করত। প্যাকেটের (Drugs Smuggling) গায়ে ভুয়ো লেবেলও সাঁটাত তারা। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে এরাও। কিছুদিন আগেই মায়ানমার থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ১.৩ মিলিয়ন কলজেন ট্যাবলেট। যা থেকে প্রমাণ হয়, আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্র সক্রিয় উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে।

    আরও পড়ুুন: এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়ল ছত্তিশগড়ের আটটি গ্রামে

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে ত্রিপুরার আমবাসা থানার আধিকারিকদের সঙ্গে যৌথ অভিযানে নামে অসম রাইফেলস। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর মারিজুয়ানা। বর্তমানে এই পরিমাণ মাদকের বাজার দর এক কোটি টাকার কাছাকাছি। অভিযান শেষে পুলিশ জানিয়েছিল, একটি গাড়িতে করে ওই মাদক পাচার করার চেষ্টা হচ্ছিল। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে গাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয়। বাজেয়াপ্ত হয় ২৫৭ কেজি মাজুরিয়ানা। ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয় দুজনকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়ল ছত্তিশগড়ের আটটি গ্রামে

    Chhattisgarh: এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়ল ছত্তিশগড়ের আটটি গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পরে এই প্রথম ছত্তিশগড়ের বস্তারের আটটি মাওবাদী অধ্যুষিত গ্রামে তেরঙা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হল মঙ্গলবার। গ্রামগুলি হল সিলগার, নালা, চিন্নাগেলুর, তিমেনার , মানহাকাল, হিরোলি, বেদ্রে, দুব্বামার্কা এবং টেন্ডামার্কা। গোটা দেশ যখন ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মশগুল, তখন প্রথম বার তেরঙা পতাকা উত্তোলন করল ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত বলে পরিচিত বস্তার এলাকার এই গ্রামগুলি। কেন্দ্র সরকারের সক্রিয় চেষ্টায় ক্রমশ উন্নয়নের মুখ দেখছে পিছিয়ে পড়া এই গ্রামগুলি। স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনে এদিন সামিল হন সাধারণ মানুষও।

    উন্নয়নের পথে সামিল মানুষ

    পুলিশের দাবি, এই গ্রামগুলির আশপাশে নতুন ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। এতেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মাওবাদীরা। ১৯৪৭-এর ১৫ অগাস্টের পর কেটে গিয়েছে প্রায় আট দশক। কিন্তু এত দিনে এক বারও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সুযোগ পাননি বিজাপুর জেলার চিন্নাগেলুর, তিমেনার এবং হিরোলি গ্রামের বাসিন্দারা। একই অবস্থা সুকমা জেলার বেদ্রে, দুব্বামার্কা এবং টোন্ডামার্কা গ্রামেরও। বস্তার রেঞ্জের আইজি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, এই গ্রামের বাসিন্দারা এবার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বার এমনটা হল। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় সুকমা জেলার পিডামেল, ডুব্বাকোনটা, সিলগের এবং কুন্দেদ গ্রামেও। 

    আরও পড়ুন: ১০০ শহরে ১০ হাজার বৈদ্যুতিন বাস! ৫ শতাংশ সুদে ১ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন ‘বিশ্বকর্মা’রা

    পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, গ্রামগুলির খুব কাছাকাছি পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে সরকারি সুযোগসুবিধাও সরাসরি ওই অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। তাতে বঞ্চনার অভিযোগকে শূন্যে নামিয়ে আনা যাবে। যা মাওবাদীদের পিছনে ঠেলতে সাহায্য করবে। এর ফলে স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসে কালো পতাকা উত্তোলনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাঁর কথায়, ‘‘এর আগে প্রতি বছরই এমন দিনগুলিতে কালো পতাকা উত্তোলন করত মাওবাদীরা।’’ প্রসঙ্গত, মাওবাদীরা মনে করেন, দেশের নিপীড়িত, শোষিত মানুষ এখনও পরাধীন। তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই বনেজঙ্গলে চলছে বলেও দাবি করে অধুনা নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share