Tag: bangla news

bangla news

  • Tarek Fatah: ধর্মীয় বিভাজন এবং ইসলামি চরমপন্থার কঠোর সমালোচক ছিলেন তারেখ ফাতেহ

    Tarek Fatah: ধর্মীয় বিভাজন এবং ইসলামি চরমপন্থার কঠোর সমালোচক ছিলেন তারেখ ফাতেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারেক ফাতেহ (Tarek Fatah) জন্মসূত্রে পাকিস্তানি হলেও মননে একজন ভারতীয় হিন্দুস্থানি। অত্যন্ত বিদগ্ধ বক্তা, লেখক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, গবেষক এবং কট্টর জেহাদিদের বিশেষ সমালোচক ছিলেন তারেক ফাতেহ (Tarek Fatah)। তাঁর জন্ম ১৯৪৯ সালের ২০ নভেম্বর এবং মৃত্যু ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল। পৈতৃক বাসস্থান ছিল অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে। মুসলমান পাঞ্জাবি পরিবারে জন্ম। পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জৈব রসায়নে ডিগ্রি। ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনে যোগদান করেন। ৭৩ বছরের অতিহাবিত করার পর মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তাঁর জীবনাবসান ঘটে।

    জীবনাদর্শ

    ভারতীয় সংস্কৃতির একক সূত্রকে অনুভব করতেন তিনি (Tarek Fatah) এবং এই সংস্কৃতি ভারতকে বিশ্বের সঙ্গে এবং বিশ্বকে ভারতের সঙ্গে এক সূত্রে বাঁধতে পারে বলে বিশ্বাস করতেন। ভারতের ধর্মীয় বিভাজন এবং জেহাদি ইসলামি চরমপন্থার কঠোর সমালোচক ছিলেন। ইসলামি শরিয়াবিধি শাসনের ছিলেন তীব্র বিরোধী। পাকিস্তান রাষ্ট্রের পরিকাঠামো, উন্নয়ন এবং সামজিক প্রগতিশীলতা নিয়ে গভীর চিন্তার রেখাপাত ঘটেছে বিভিন্ন সময়ে তাঁর লেখা এবং বক্তৃতায়। আর এজন্য পাকিস্তানের জেহাদি কট্টরপন্থীরা বেশ কয়েকবার হামলা চালায় তাঁর উপর।

    সাংবাদিকতা ও রাজনীতি

    ১৯৭০ সালে ‘করাচি সান’ পত্রিকায় বিশেষ লেখালেখির কাজ শুরু করেন। পরে পাকিস্তানের টেলিভিশন সংবাদ মাধ্যমে বিশেষ তদন্তমূলক সংবাদ প্রকাশনার কাজ শুরু করেন। তাঁর (Tarek Fatah) বিতর্কিত সরকার বিরোধী মনোভাব সম্পর্কে লেখালেখির জন্য জিয়া-উল-হক পাক সরকার তাঁর লেখালেখি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাঁর উপর বিশেষ নিষেধজ্ঞা জারি করে। এরপর ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান ছেড়ে প্রথমে সৌদি আরব এবং পরে কানাডায় চলে যান। সেখানে গিয়ে ২০০৬ সালে NDP ছেড়ে রাজনৈতিক দল Liberal Party Of Canada’s Leadership-এ যোগদান করেন। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টরন্টো রেডিও স্টেশন ‘CFRB নিউজ টক ১০১০’ তে কাজ করেছেন। পাশাপাশি ২০২১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত টরন্টো সান নিউজ নেটওয়ার্কে সম্প্রসারণের কাজ করতেন। ২০১৮ সালে থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি (Tarek Fatah) ‘হোয়াট দ্য ফাতেহ’ নামে নিউ দিল্লি টাইমস নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত বক্তৃতা রাখতেন। তাঁর বক্তব্য এবং বিষয়ের বিশ্লেষণ কট্টরপন্থীদের বিরুদ্ধে এবং মানবতার পক্ষে থাকত।

    প্রগতিশীল চিন্তাবিদ এবং লেখক 

    পাকিস্তান রাষ্ট্র নির্মাণের পিছনে যে সংকীর্ণ দ্বিজাতিতত্ত্ব সক্রিয় ছিল, সেই বিষয়কে তাঁর (Tarek Fatah) সময় দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করতেন। দেশ বিভাজন এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে বিষয়কে প্রাসঙ্গিক করে তুলতেন। ভারতের কাশ্মীর প্রসঙ্গে তাঁর ভাবনা ছিল খুব স্পষ্ট। কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকায় পাক জঙ্গিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং নাশকাতামূলক কাজে ইসলামি জঙ্গি সংগঠনের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করতেন। তাঁর লেখা বইগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল “চেজিং এ মিরাজ: দ্য ট্রাজিক ইলিউজন অফ অ্যান ইসলামিক স্টেট” ২০০৮ এবং “দ্য জিউ ইজ নট মাই এনিমি: অ্যান লেভিং দ্য মিথস দ্যাট ফুয়েল মুসলিম অ্যান্টি-সেমিজম” ২০১০। শুধু তাই লেখার সাহিত্যগুণে বার্ষিক হেলেন, স্যান ভাইন কানাডিয়ান সাহিত্য পুরস্কারের মতো বিশেষ সম্মান পান ফাতেহ সাহেব।

    মৃত্যুর পর বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া

    পাঞ্জাবের সিংহ, হিন্দুস্থানের পুত্র, কানাডাপ্রেমী এবং সত্যের জন্য বিশিষ্ট বক্তা বলে মৃত্যুর পর সম্মাজ্ঞাপক শব্দ নিবেদন করেন তাঁর কন্যা। তারেক ফাতেহের (Tarek Fatah)  মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকার্যবাহ শ্রী দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, উনি একজন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, লেখক এবং অত্যন্ত সুবক্তা ছিলেন। সাহিত্য রচনা এবং সংবাদ মাধ্যমে তাঁর অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ব্যক্তিত্বের ভাবনা দিয়ে সমাজের কাছে প্রয়োজনীয় বিষয় উপস্থাপন করতেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিচ্ছেন শুভেন্দু, কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিচ্ছেন শুভেন্দু, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। অথচ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবারই ডিজিকে চিঠি দেবেন বলে নন্দীগ্রামে মন কি বাত কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একথা জানান তিনি।

    রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দেওয়া নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে যেভাবে প্রতিদিন কালিয়াচক, কালিয়াগঞ্জের মতো ঘটনা ঘটছে, তারই প্রেক্ষিতে আমি রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিয়ে জানতে চাইব, তৃণমূলের পার্টি ভোটের জন্য যে পুলিশ মোতায়েন করেছে, তাতে কত টাকা তৃণমূল ট্রেজারিতে দিয়েছে? অভিষেকের সভা থেকে ফেরার পথে গাড়ি উলটে পুলিশ কর্মীরা জখম হয়েছেন। গোটা রাজ্য থেকে পুলিশ নিয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপোর সেবায় ব্যবহার করা হচ্ছে। আর রোজ রোজ রাজ্যে সাধারণ মানুষ খুন হচ্ছে। বর্ধমানে এক মাসের মধ্যে তিনজন খুন হয়েছে। রানিগঞ্জে আমাদের দলের নেতা রাজেন্দ্র সাউকে খুন করা হল। আমরা নিরাপত্তা পাই। কিন্তু, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কে দেবে?

    ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে নন্দীগ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রবিবার দেশের পাশাপাশি এই রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছিল। গত বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) জয়ী করেছিলেন নন্দীগ্রামবাসী। স্বাভাবিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠান ঘিরে সাজ সাজ রব ছিল নন্দীগ্রাম। প্রধানমন্ত্রী নন্দীগ্রামবাসীর সঙ্গে কথাও বলেছেন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, প্রায় ১০ হাজার মানুষ মন কি বাত অনুষ্ঠান শুনেছেন। আর মন কি বাতে নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    অভিষেক ব্যানার্জীর নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, অভিষেক ব্যানার্জীকে হরি দাস পাল ব্যানার্জী বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “পিসি ছাড়া জিরো! দু হাজার পুলিশ নিয়ে বের হয়। চার কোটি টাকার বাস। আগে বলেছিল না, অমিত শাহজি নাটক করতে খেতে যায়। কালকে কি করছিল ? নাটক করছিল ? কয়লা, বালি খাচ্ছিল?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Travel: পায়ে হেঁটে দেশ ভ্রমণে বেরিয়েছেন যুবক, কেন জানেন?

    Travel: পায়ে হেঁটে দেশ ভ্রমণে বেরিয়েছেন যুবক, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশ নিয়ে সচেতনতার বড়ই অভাব। বিশেষ করে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এই বিষয়ে উদাসীন। তাই পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দেশে ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। পাশাপাশি জীবনে সুস্থ থাকতে গেলে যোগাসনের যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা সকলকে জানাতে পায়ে হেঁটে সারা দেশ ভ্রমণে (Travel) বেরিয়েছেন কর্ণাটকের বছর ঊনত্রিশ এর যুবক কৃষ্ণা নায়েক। তামিলনাড়ু , তেলেঙ্গানা, ছত্রিশগড়, ওড়িশা পেরিয়ে এখন তিনি এই রাজ্যের হুগলিতে।

    কবে পদযাত্রা শুরু করেছিলেন পরিবেশপ্রেমী যুবক?

    গত ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে কর্নাটকের মহীশূর থেকে তিনি পথ চলা শুরু করেন। ভারতবাসীকে পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপণ ও যোগাসনে শরীর সুস্থ রাখার বার্তা দিতে ২৮টি রাজ্যে পায়ে হেঁটে ভ্রমণের (Travel) সিদ্ধান্ত নেন মহীশূরের এই যুবক। কর্নাটকের মহীশূর থেকে পায়ে হেঁটে গত ৬ মাসে ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছেন কৃষ্ণা। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মোট ২ বছরে ২৮ টি রাজ্য পাড়ি দেবেন তিনি। ইতিমধ্যেই পার করেছেন কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, ছত্রিশগড়, উড়িষ্যা রাজ্য। যাওয়ার পথে প্রতিটি রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের শেখাচ্ছেন যোগাভ্যাস এবং ছাত্র ছাত্রীদের দিচ্ছেন নিজের জন্মদিনে অন্তত একটি করে গাছ লাগানোর পরামর্শ। সিঙ্গুর হয়ে তিনি শৈব তীর্থ তারকেশ্বরে এসে পৌঁছলে, তাঁকে শুভেচ্ছা জানান তারকেশ্বর থানার ওসি অনিল রাজ। তারকেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় ও ইছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতনতার বার্তা দেন তিনি।

    কী বার্তা দিলেন তিনি?

    এবিষয়ে কৃষ্ণা নায়েক বলেন, প্রতিদিন হেঁটে আমি ৩০ কিলোমিটার যাই। যোগব্যায়ামের সুবিধা সম্পর্কে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপণ এর বিষয়ে যুব সমাজকে সচেতন করি। যোগব্যায়াম আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং মানসিক চাপ কমায়, পাশাপাশি একজন ব্যক্তিকে ভাল শারীরিক গঠনে সহায়তা করে। একসময় আমি মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলাম এবং খুব বেশি ক্রিকেট খেলার ফলে ছাত্রজীবনে পিঠে ব্যথা হয়। ব্যথার জন্য ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করি, তখন তাঁরা সবাই আমাকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমি অস্ত্রোপচার করতে ইচ্ছুক ছিলাম না। তাই, আয়ুর্বেদ হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে একজন আমাকে নিয়মিত যোগব্যায়াম করার পরামর্শ দেন। প্রায় ২ বছরের যোগাসন শেখার পর আমার সেই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষকে যোগ শেখানোর জন্য কৃষ্ণম যোগ ইনস্টিটিউট স্থাপন করি। এখন সমস্ত বয়সের ৩০ জনেরও বেশি আমার ওই প্রতিষ্ঠানে যোগ শিখছেন। যোগ ভারতের আদি পরম্পরা, সকলকে সেই বার্তা দিতেই আমার এই দেশ ভ্রমণ (Travel)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Air India: বান্ধবীকে ককপিটে বসিয়ে মদ্যপান, ফূর্তি! পাইলটের ‘কীর্তি’তে এয়ার ইন্ডিয়াকে শো-কজ

    Air India: বান্ধবীকে ককপিটে বসিয়ে মদ্যপান, ফূর্তি! পাইলটের ‘কীর্তি’তে এয়ার ইন্ডিয়াকে শো-কজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবাই-দিল্লি বিমানে (Air India) সুরক্ষাবিধি ভঙ্গের অভিযোগে এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও-কে নোটিস দিল ডিজিসিএ। গত ২৭ শে ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের পাইলট তাঁর এক বান্ধবীকে ককপিটে বসান এবং সেই সঙ্গে মদ্যপান করেন বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই বিমানেরই এক কর্মী। এই ধরনের অভিযোগ যে খুবই মারাত্মক, তা বুঝতে পারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তাই সেই ঘটনাতেই কারণ দর্শাতে বলে নোটিস পাঠানো হল।

    ঘটনা কী ঘটেছিল?  

    বিমানের (Air India) মধ্যে ককপিট কক্ষে সাধারণত বিশেষ অনুমতি ছাড়া কোনও ব্যক্তির প্রবেশাধিকার থাকে না। কারণ এই কক্ষটি যাত্রীদের সুরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত। এয়ার ইন্ডিয়ার এক চালক সুরক্ষাবিধি অমান্য করে ককপিটে তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে মদ খেয়ে ফূর্তি করেন বলে জানা যায়। এবং এ নিয়ে ওই বিমানের এক কর্মী অভিযোগ করায় গত ২১ শে এপ্রিল এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্বেল উইলসনকে ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA) বিশেষ নোটিশ পাঠায়। বিমানের সুরক্ষাবিধি কীভাবে অমান্য করা হয়েছে, তা নিয়ে সংস্থার আধিকারিককে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

    কর্তৃপক্ষের অবস্থান 

    ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (DGCA) বিমানের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার বিষয়ে নজর রাখে। বিমান পরিষেবায় (Air India) যাত্রীদের জন্য সুরক্ষাবিধির বিশেষ গুরুত্ব থাকে। এই সুরক্ষার উপর বিমান পরিষেবার সম্মানও নির্ভর করে। সেই সঙ্গে থাকে বিশ্বাসযোগ্যতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ। তাই এই অভিযোগ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিনা অনুমতি এবং বিশেষ কারণ ছাড়া ককপিটে বসার আদেশ থাকে না। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে তা যে অমান্য করা হয়েছে, তা পরিষ্কার। এই বিষয় নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যাত্রীদের একটি অংশও এই নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করছে। তদন্তের ফলাফল কী হয়, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mental Disorder: কীভাবে বুঝবেন সন্তান অবসাদগ্রস্ত, কীভাবে রুখবেন আত্মহত্যার প্রবণতা?

    Mental Disorder: কীভাবে বুঝবেন সন্তান অবসাদগ্রস্ত, কীভাবে রুখবেন আত্মহত্যার প্রবণতা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্কুলের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে মাত্র দুদিন! আর তার মধ্যেই আত্মহত্যা করেছে ন’জন পড়ুয়া। অন্ধ্রপ্রদেশের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৯ পড়ুয়ার আত্মহত্যার এই ঘটনায় চিন্তিত গোটা দেশ। তবে, অন্ধপ্রদেশের এই ঘটনা ব্যতিক্রম নয়। শুধু স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেই নয়, আইআইটি এবং মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যেও বাড়ছে মানসিক অবসাদ (Mental Disorder) ও আত্মহত্যার প্রবণতা! 

    কী বলছে তথ্য? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, এক বছরে গোটা দেশের সবকটি আইআইটি প্রতিষ্ঠানে ৩৩ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন। মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের তথ্যও চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, প্রতি বছর গড়ে ৩৫০ জন মেডিক্যাল পড়ুয়া আত্মহত্যা করছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১৩,০৮৯ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন। ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রতি বছর এই আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। আত্মহত্যার এই পরিসংখ্যানে ৪৩ শতাংশ ছাত্রী এবং ৫৬ শতাংশ ছাত্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের ৮১ শতাংশ পড়ুয়া মানসিক অবসাদের (Mental Disorder) শিকার। তাদের বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনা, বিষাদ এবং নানান অবসাদ গ্রাস করে। 

    কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, আত্মহত্যা মানসিক অবসাদের (Mental Disorder) এক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কিন্তু যাঁরা আত্মহত্যা করছেন না, তাঁরা যে সম্পূর্ণ সুস্থ ও ভালো আছেন, এমন ভাবা যায় না। মানসিক অবসাদ পড়ুয়াদের মধ্যে মারাত্মকভাবে বাড়ছে। তার ভয়ানক বহিঃপ্রকাশ হল আত্মহত্যা।

    কীভাবে বুঝবেন সন্তান মানসিক অবসাদগ্রস্ত? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সন্তানের জীবনযাপনের ধরনের মারাত্মক পরিবর্তন লক্ষ্য করলেই সতর্ক হোন অভিভাবক। যেমন, ঘুমের অভ্যাসে যদি অতিরিক্ত পরিবর্তন হয়, তাহলে বুঝতে হবে সন্তান মানসিকভাবে অস্থির আছে। যেমন দিনে অতিরিক্ত ঘুমানো কিংবা সারারাত জেগে থাকার মতো ঘটনা ঘটলে সজাগ হতে হবে।খাদ্যাভ্যাসের বদল হলে সতর্কতা জরুরি। অবসাদগ্রস্ত মানুষ অনেক সময়ই প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খান। তাই খাবারের পরিমাণে যদি হঠাৎ মারাত্মক পরিবর্তন হয়, তাহলেও সতর্ক হওয়া জরুরি। যদি অতিরিক্ত রাগ বা দুঃখের বহিঃপ্রকাশ হয়, তাহলেও বুঝতে হবে কোনও সমস্যা (Mental Disorder) হচ্ছে। হঠাৎ আবেগতাড়িত হয়ে পড়া, কিংবা সামান্য বিষয়ে নিরাশ হয়ে পড়লে, অভিভাবকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত সন্তানের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। কোনও ভাবেই তাদের একা থাকতে দেওয়া যাবে না। তাদের সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে হবে। তারা কোনও সমস্যাতেই একা নয়, অভিভাবক তাদের পাশে আছে, এই আশ্বাস তাদের দিতে হবে। তবেই তাদের নিরাপত্তাহীনতা কাটবে। যা মানসিক অবসাদ মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যা জটিল মনে হলে দ্রুত মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে। কোনও রকম দেরি হলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। মানসিক অবসাদগ্রস্ত (Mental Disorder) হলে তাকে আরও বেশি নানান কাজের মধ্যে যুক্ত রাখতে হবে। যাতে তার শরীর ও মন সক্রিয় থাকে। সে ইতিবাচক ভাবনার সঙ্গে যুক্ত থাকে। গান, ছবি আকার মতো সৃজনশীল কাজে সময় কাটাতে হবে। নিয়মিত যোগ্যাভাসে অভ্যস্ত করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যোগ শুধু শরীর নয়, মনকে সুস্থ রাখতেও বিশেষ সাহায্য করে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Salman Khan: ‘আমার দিকে অনেক বন্দুক তাক করা আছে’, প্রাণনাশের হুমকি প্রসঙ্গে সলমন

    Salman Khan: ‘আমার দিকে অনেক বন্দুক তাক করা আছে’, প্রাণনাশের হুমকি প্রসঙ্গে সলমন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড তারকা সলমন খানকে (Salman Khan) ফের প্রাণনাশের (Death Threat) হুমকি। গ্যাংস্টারদের হিটলিস্টে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সলমানকে মেইল পাঠিয়েছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং। তার পরে পরেই ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে এই বলিউড নায়ককে। মুম্বই (Mumbai) পুলিশই (Police) এই নিরাপত্তা দিয়েছে তাঁকে। বান্দ্রা থানায় এ ব্যাপারে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। মেইলে পাঠানো বার্তায় ওই গ্যাং জানিয়েছে, তাঁরও (সলমনের) পরিণতি হবে সিধু মুশেওয়ালার মতো। সলমন বলেন, আমি জানি যা হওয়ার, তা হবেই। হাজার চেষ্টা করেও লাভ নেই। অনেক বন্দুক তাক করা আছে। তাই এই নিরাপত্তা। তবে নিরাপত্তা না নিয়ে আমি কোথাও যাই না।

    সলমন খান (Salman Khan) বলেন…

    সম্প্রতি একটি বৈদ্যুতিন সাংবাদ মাধ্যমের ‘আপ কী আদালত’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সলমন (Salman Khan)। তিনি বলেন, নিরাপত্তাহীনতার চেয়ে নিরাপত্তা ভাল। হ্যাঁ, আমার নিরাপত্তা রয়েছে। তাই এখন আর একা একা রাস্তায় সাইকেল নিয়ে বের হতে পারি না। নিরাপত্তা না নিয়ে কোথাও যেতে পারি না। রুপোলি পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় এই নায়ক বলেন, কখনও যদি ট্রাফিক সিগন্যালে আমার গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে নিরাপত্তারক্ষী থাকায় অন্য যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। তাঁরা এবং আমার ফ্যানেরা আমায় দেখেন। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে আমাকে। তিনি বলেন, পুলিশের তরফে আমাকে যা বলা হয়েছে, আমি তাই করছি। ‘কিসি কা ভাই কিসি কা জান’ ছবিতে একটা ডায়লগ রয়েছে। সেটি হল, তারা ১০০ বার ভাগ্যবান হতে পারে। আমাকে একবার ভাগ্যবান হতেই হবে।

    আরও পড়ুুন: শিল্পাঞ্চলে ফের শুটআউট! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু বিজেপি নেতার

    তাই আমি খুবই সতর্ক হয়ে গিয়েছি। সলমন বলেন, পুরো নিরাপত্তা নিয়েই আমাকে সর্বত্র যেতে হচ্ছে। তার পরেই তিনি বলেন, যা ঘটার তা ঘটবেই। আকাশের দিকে আঙুল উঁচিয়ে তিনি (Salman Khan) বলেন, আমি বিশ্বাস করি সর্বশক্তিমান রয়েছেন। তার মানে এই নয় যে, আমি মুক্তভাবে সর্বত্র যেতে পারি। সলমন বলেন, এখন আমার চারপাশে অনেক শের রয়েছে, আমার চারপাশে অনেক বন্দুক রয়েছে। আজ আমি খুবই ভীত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Snake in Flight: বিমানের ব্যাগেজে মিলল ২২টি সাপ, চেন্নাইয়ে আটক মহিলা যাত্রী

    Snake in Flight: বিমানের ব্যাগেজে মিলল ২২টি সাপ, চেন্নাইয়ে আটক মহিলা যাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন প্রজাতির ২২টি সাপ নিয়ে উঠেছিলেন বিমানে (Snake in Flight)। কুয়ালামপুর থেকে ওঠা ওই মহিলা যাত্রীকে আটকানো হল চেন্নাই বিমানবন্দরে। সেখানেই ব্যাগেজ পরীক্ষা করতে গিয়ে চক্ষু চড়ক গাছ হওয়ার জোগাড় বিমানবন্দরে থাকা শুল্ক দফতরের কর্তাদের। ব্যাগেজে মিলল বিভিন্ন প্রজাতির ২২টি সাপ। ট্যুইট-বার্তায় চেন্নাই শুল্ক বিভাগ জানিয়েছে, ২৮ তারিখে এক মহিলা যাত্রী যিনি একে ১৩ নম্বর ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর থেকে উঠেছিলেন, তাঁকে শুল্ক দফতরের কর্তারা আটকেছেন। তাঁর ব্যাগেজ পরীক্ষা করে বিভিন্ন প্রজাতির ২২টি সাপের সন্ধান মেলে। একটি চ্যামেলিয়নও উদ্ধার হয়েছে। শুল্ক আইনে এবং বন্যপ্রাণ আইনে আটক করা হয়েছে সেগুলি।

    বিমানে সাপ (Snake in Flight)…

    জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেও প্রায় এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেবারও চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৪৫টি বল পাইথন, তিনটি মার্মোসেট, তিনটি স্টার কচ্ছপ এবং আটটা কর্ন সাপ। শুল্ক দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, পরিত্যক্ত দুটি ব্যাগেজ থেকে সেবার উদ্ধার হয়েছিল ওই সাপ, মার্মোসেট, স্টার কচ্ছপ এবং কর্ন সাপ। ব্যঙ্কক থেকে উঠেছিলেন ওই যাত্রী। উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলিকে পরের দিনই ফের ব্যাঙ্কক পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজয়া দশমীর মতো উৎসবে পরিণত হয়েছে মন কি বাত’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    জানুয়ারি মাসেই এক মহিলা যাত্রীর হাতব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় একটি সাপ (Snake in Flight)। ব্যাগের মধ্যে জুতো, ল্যাপটরের পাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে ছিল সাপটি। বোয়া কনস্ট্রিক্টর গোত্রের ফুট চারেকের ওই সাপটি বিষধর না হলেও, শিকারকে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলতে পারে। আমেরিকার ফ্লরিডা প্রদেশের ট্যাম্পা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।

    বিমানের ককপিটে গোখরো সাপের দেখা পেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পাইলট রুডল্ফ ইরাসমাস। মাস কয়েক আগে আচমকাই তাঁর আসনের তলা থেকে একটি সাপকে (Snake in Flight) মুখ বাড়াতে দেখেন ওই পাইলট। বিমান তখন মাঝ আকাশে। দ্রুত অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন ওই পাইলট। শেষমেশ চার যাত্রী সহ নিরাপদেই অবতরণ করে বিমানটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: মিলল না স্বস্তি, ‘মোদি’ পদবি-মামলায় মঙ্গলে ফের শুনানি রাহুলের

    Rahul Gandhi: মিলল না স্বস্তি, ‘মোদি’ পদবি-মামলায় মঙ্গলে ফের শুনানি রাহুলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মোদি’ (Modi) পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) দু বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে গুজরাটের সুরাটের নিম্ন আদালত। দু বছর কারাদণ্ড হওয়ায় সাংসদ পদ খারিজ হয় রাহুলের। তার জেরে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাহুল। শনিবার হল এই মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি হবে ২ মে।

    রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)…

    রাহুলের এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি গীতা গোপী। তাই মামলা চলে যায় বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের এজলাসে। রাহুলের হয়ে এদিন সেখানে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, যে শুনানিতে দোষ প্রমাণিত হয়েছে, সেই শুনানির প্রক্রিয়া নিয়ে যথেষ্ঠ প্রশ্ন রয়েছে। কোনও জনপ্রতিনিধি বা সাংসদের ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত করার আনুষঙ্গিক বেশ কিছু প্রভাব রয়েছে। এর প্রভাব যেমন একদিকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওপর পড়ে, তেমনই পড়ে তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র এবং পুনর্নির্বাচনের ওপরও।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজয়া দশমীর মতো উৎসবে পরিণত হয়েছে মন কি বাত’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রাহুলের (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজের ব্যাপারে লোকসভা সচিবালয়ের অতি সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাহুলের আইনজীবী বলেন, আপনার ক্ষমতা রয়েছে বলেই আপনি যা খুশি করতে পারেন না। টেলিভিশনে অযাচিত বিভিন্ন পরামর্শ দেখে আমি অবাক। কেউ বলছেন, আমি থাকলে আট ঘণ্টার মধ্যে সাজা পুনর্বিবেচনার আর্জি দাখিল করতাম, কেউ বলছেন চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আপিল করা উচিত ছিল। তিনি বলেন, সুপারসনিক আইনজীবী থাকতেই পারেন, কিন্তু আমরা তো এখানে সুপারসনিক ফাইলিং করতে আসিনি। তিনি বলেন, আমি তো মহামান্য আদালতে লাফিয়ে এসে বলতে পারি না, রায়ের অর্ধেকাংশের তর্জমা করতে পেরেছি মাত্র, তবে কালই তো সাংসদ পদ খারিজ হতে চলেছে, তাই তড়িঘড়ি আবেদন করতে এলাম।

    প্রসঙ্গত, ২৩ মার্চ সুরাটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে লোকসভার সচিবালয় রাহুলের (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ করে দেয়। কংগ্রেসের এতজন আইনজীবী নেতা-সাংসদ থাকা সত্ত্বেও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন রাহুলের হয়ে কেউ সাজাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করলেন না, সে প্রশ্ন তোলে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • PM Modi: ‘বিজয়া দশমীর মতো  উৎসবে পরিণত হয়েছে মন কি বাত’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘বিজয়া দশমীর মতো  উৎসবে পরিণত হয়েছে মন কি বাত’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয়া দশমীর মতো ‘মন কি বাত’ও একটা উৎসবে পরিণত হয়েছে। রবিবার মন কি বাতের শততম পর্বের শুরুতে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর মতে, ভারতের (India) ভাল দিক, আশা-আকাঙ্খা, সদর্থক আলোচনা এবং আমজনতার অংশ গ্রহণে পূর্ণ হয়েছে এই উৎসবের বৃত্ত। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে বিজেপি সরকার। তার পর থেকে আমজনতার সঙ্গে কথোপকথন করতে তিনি সূচনা করেন মন কি বাতের অনুষ্ঠান। অতি অল্প সময়েই দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানেরই শততম পর্ব সম্প্রচারিত হল আজ, রবিবার।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন…

    এদিন অনুষ্ঠানের আগে ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, এটা সত্যিই একটা স্পেশাল জার্নি। এখানে আমরা ভারতের জনগণের সম্মিলিত চেতনা উদযাপন করেছি এবং অনুপ্রেরণামূলক জীবনযাত্রা তুলে ধরেছি। সকলকে মন কি বাতের শততম পর্ব শোনার অনুরোধও করেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। মন কি বাতের এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কখনও যোগাভ্যাসের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বলেছেন, কখনও আবার মহিলাদের ক্ষমতায়নের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ভারতীয় সেনাদের আত্মবলিদানের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে এই অনুষ্ঠানে।

    মন কি বাতের অনুষ্ঠানে সমাজের অতি সাধারণ মানুষও যাঁরা দেশের কল্যাণে কাজ করেছেন, তাঁদের কথাও দরাজ গলায় বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনা হয়েছে কখনও বিজ্ঞানে ভারতের অগ্রগতি নিয়ে, কখনও আবার ভারতের ঋদ্ধ সংস্কৃতি নিয়ে। পরিবেশ, খাদি কিংবা দেশের উন্নয়ন এ সব বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কোভিড অতিমারি কিংবা ভারতের ভ্যাকসিন আবিষ্কার, বিদেশিদের বাঁচাতে সেই ভ্যাকসিন বিতরণ এসবও উঠে এসেছে মন কি বাতের অনুষ্ঠানে।

    আরও পড়ুুন: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, মন কি বাতের যে অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিলাম, সেটা দেশে একটা নতুন ধারা তৈরি করবে। তিনি বলেন, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যে কোনও বড় ধরনের পরিবর্তনও সম্ভব। মন কি বাতের অনুষ্ঠানে যে তিনি ওড়িশার ডি প্রকাশ রাও এবং ঝাড়খণ্ডের সঞ্জয় কাশ্যপের কথা বলেছিলেন এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। একটি ছোট চায়ের দোকানের মালিক রাও সমাজের পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলেমেয়েদর শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আর সঞ্জয়? শিক্ষাকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি নিয়ে ঘুরছেন। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারেও দেখানো হবে মোদির মন কি বাতের শততম পর্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rezoana Mallick Heena: এশীয়-মঞ্চে সোনা জয় নদিয়ার ষোড়শী রেজওয়ানা মল্লিক হিনার

    Rezoana Mallick Heena: এশীয়-মঞ্চে সোনা জয় নদিয়ার ষোড়শী রেজওয়ানা মল্লিক হিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাসে নাম তুলল নদিয়ার ষোড়শী। শুক্রবার উজবেকিস্তানের তাসখন্দে এশিয়ার যুব অ্যাথলেটিক্সে ৪০০ মিটার বিভাগে সোনা জিতেছে রেজওয়ানা মল্লিক হিনা (Rezoana Mallick Heena)। ইতিহাস গড়ার পাশাপাশি বছর ষোলোর এই কন্যে ভেঙে দিয়েছে আট বছরের পুরানো মিট রেকর্ড। এই রেকর্ড গড়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান সালওয়া ইদ নাসের। ৪০০ মিটার দৌড়তে হিনা সময় নিয়েছে ৫২.৯৮ সেকেন্ড। নাসের নিয়েছিলেন ৫৩.২ সেকেন্ড। এই মুহূর্তে হিনা দ্রুততম ভারতীয়। অনূর্ধ্ব-১৮ মহিলা বিভাগে দ্রুততম দৌড়বিদও সে। নদিয়ার হিনা কোচিং নেয় বেঙ্গালুরুর অর্জুন অজয়ের কাছে। ভারতীয়দের মধ্যে এশিয়াডে প্রাক্তন রুপোজয়ী জিসনা ম্যাথুর রেকর্ডও ভেঙেছে নদিয়ার এই কিশোরী।

    সোনার মেয়ে (Rezoana Mallick Heena)… 

    ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে নদিয়ার একটি ছোট্ট শহরে থাকা এই সোনার মেয়ের (Rezoana Mallick Heena) খোঁজ পান অর্জুন অজয়। তিনি বলেন, ইনস্টাগ্রামের পোস্টের মাধ্যমে ওকে আমি চিহ্নিত করি। পরে ওকে ট্রেনিং দিই। তিনি জানান, ২০২১ সাল থেকে ওকে ট্রেনিং দিচ্ছেন তিনি। বেঙ্গালুরুর টপ গান ট্র্যাক ও ফিল্ড অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে তাকে। অজয় বলেন, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। ওর পরিবারকে বলতে সহজেই রাজি হয়ে যান। আমিই ওর ট্রেনিং এবং থাকার ব্যবস্থা করি। অর্জুন বলেন, আমার মনে হয় আট বছর বয়স থেকে ও ট্রেনিং নিচ্ছিল। ও বোধহয় আমাকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করছিল। ইনস্টাগ্রামে হিনার দৌড় দেখে আমার মনে হয়েছিল ও বোধহয় নদীর কাছ থেকে ছোটাটা শিখেছে।

    আরও পড়ুুন: প্রতিবাদ পরিণত হিংসায়, মণিপুরে বন দফতরের অফিসে আগুন, নৈশ কারফিউ

    আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। তখনই ভেবেছিলাম, ও  (Rezoana Mallick Heena)একদিন ভাল দৌড়বিদ হবে। তিনি বলেন, হিনার স্টেপ জাম্প ও ঘাসের ওপর দিয়ে দৌড়ানোটা খুবই ভাল। আমি ভেবেছিলাম, এই মেয়েকেই তৈরি করা যাবে। তখনই আমি হিনা ও তার পরিবারকে এ ব্যাপারে রাজি করাই। হিনা জানত আমি প্রিয়ারও কোচ। তাই আমার কাছে ট্রেনিং নিতে সহজেই রাজি হয়ে যায় হিনা। বাংলার এক প্রত্যন্ত শহরের মেয়ের চোখ ধাঁধানো সাফল্যে যারপরনাই খুশি অর্জুন। তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছিল হিনা প্রিয়ার থেকেও ভাল। প্রিয়াকে ট্রেনিং দিতে গিয়ে আমি অনেক কিছু শিখেছি। কোচ হিসেবে সেগুলোই আমাকে ঋদ্ধ করেছে। সেগুলোই আমি হিনার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছি।

    ফাইট হিনা, ফাইট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share