Tag: bangla news

bangla news

  • CV Ananda Bose: আচমকা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির রাজ্যপাল, কেন জানেন?  

    CV Ananda Bose: আচমকা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির রাজ্যপাল, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারপ্রাইজ ভিজিটে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Calcutta University) হাজির রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। সোমবার আচমকাই কলেজস্ট্রিট ক্যাম্পাসে চলে আসে রাজ্যপালের কনভয়। রাজ্যপাল যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছন, তখনও আসেননি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আশিস চট্টোপাধ্যায়। পরে খবর পেয়ে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন তিনি। এদিন প্রায় ২০ মিনিট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন উপাচার্য। এই সময়ের মধ্যেই তিনি বৈঠক করেন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের সঙ্গে। তবে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে স্পিকটি নট বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা রাজভবন।

    সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)…

    ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন, রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে এসেছিলেন। অন্য কাজ মিটিয়ে তিনি আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কোনও কর্মসূচি ছিল না রাজ্যপালের। আচমকাই গাড়ি ঘুরিয়ে ক্যাম্পাসে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি। এদিনই জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাবিত কাঠামো নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কলেজগুলির অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা উপাচার্যের। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও, সূত্রের খবর, এই বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। যেহেতু পদাধিকারবলে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য, তাই তিনি যদি এই বৈঠকে উপস্থিত থাকেন, তাহলে তা হবে তাৎপর্যপূর্ণ।

    আরও পড়ুুন: দু’দিনের সফরে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি থাকছে?

    রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য পদে নিয়োগ-পুনর্নিয়োগ ঘিরে রাজভবন-রাজ্য সরকার সংঘাত, আইনি লড়াই চলেছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে বড় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, কোনওভাবেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের নিয়োগ কিংবা পুনর্নিয়োগের ক্ষমতা রাজ্য সরকারের নেই। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এও জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের কোনও এক্তিয়ারই নেই।

    সম্প্রতি রাজভবনের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে (CV Ananda Bose) বলা হয়, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক কাজের রিপোর্ট পাঠাতে হবে আচার্যের কাছে। আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে আগাম অনুমোদন নিতে হবে রাজ্যপালের। রাজভবনের এই নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের কাছে। এই নির্দেশিকাকে ঘিরে দূরত্ব বেড়েছে রাজভবন-নবান্নের। প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজভবনের তরফে জারি করা হয় একটি বিবৃতি। তাতে বলা হয়, আচার্য পদের ক্ষেত্রে বর্তমান পদ্ধতিই বজায় থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার অর্থ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে থাকবেন রাজ্যপালই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় এনআইএ তদন্তের দাবি, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় এনআইএ তদন্তের দাবি, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল রাজ্যে। তার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তিনি। সোমবার রায়দান হওয়ার কথা ছিল ওই মামলার। তবে এদিন রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এনআইএর তরফে আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা এই ঘটনার তদন্ত করতে প্রস্তুত।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ…

    হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, কারা এই অশান্তির ঘটনায় জড়িত, কারাই বা উসকানি দিয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। হাইকোর্টের এও পর্যবেক্ষণ, পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট যে অশান্তি হয়েছে। পুলিশের রিপোর্টে কোথাও কোনও বোমার উল্লেখ নেই, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। ইসলামপুরের গন্ডগোলে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। পুলিশ সুপার সহ অনেক পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন। মামলা দায়ের হয়েছে, গ্রেফতারও হয়েছে বলে রাজ্য জানিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত বিচারপতির প্রশ্ন, এই ধরনের গন্ডগোল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক বছর ৬,৭, ৮টা করে ঘটনা ঘটছে। এটা কীভাবে আটকানো সম্ভব?

    আরও পড়ুুন: প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি! বালুরঘাটের দণ্ডি-কাণ্ড নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর

    ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, বোমাবাজি, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়া, অশান্তির সব ঘটনাই সাধারণ মানুষকে উদ্বিগ্ন করে। তাঁর প্রশ্ন, আদালতের (Calcutta High Court) আগের নির্দেশও কার্যকর হয়নি কেন? পুলিশের অদক্ষতা? গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা? নাকি অন্য কিছু? রিষড়া ও শিবপুর সহ রাজ্যের সর্বত্র গোলমালে এনআইএ অনুসন্ধানের পক্ষে সওয়াল কেন্দ্রের। বোমা বিস্ফোরণের কোনও ঘটনার উল্লেখই নেই রাজ্যের রিপোর্টে। বিস্ফোরণ ও নাশকতা যোগ খতিয়ে দেখতে এনআইএ অনুসন্ধান কেন্দ্রীয় আইনসঙ্গত। নাশকতা ও বিস্ফোরণের কিছু পাওয়া না গেলে সেখানে এনআইএ তদন্ত করবে না। সওয়াল কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এবং ডেপুটি সালিসিটর জেনারেলের। পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ জনস্বার্থ মামলায় প্রথম দিন থেকেই।

    হাওড়া সিপির রিপোর্টে তার কোনও উল্লেখই নেই! পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট অবশ্যই অর্থবহ হওয়া উচিত, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। রাজ্যকে দু দিন সময় দেওয়া হোক। সর্বশেষ তদন্তের অগ্রগতি সহ রিপোর্ট পেশ করবে রাজ্য। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Anganwadi Corruption: শিক্ষকের পর এবার অঙ্গনওয়াড়ির  সুপারভাইজার পদে নিয়োগেও ‘দুর্নীতি’?

    Anganwadi Corruption: শিক্ষকের পর এবার অঙ্গনওয়াড়ির সুপারভাইজার পদে নিয়োগেও ‘দুর্নীতি’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অঙ্গনওয়াড়ির সুপারভাইজার পদে নিয়োগ ঘিরেও উঠল দুর্নীতির (Anganwadi Corruption) অভিযোগ। এনিয়ে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা কল্যাণ সমিতি। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে সংগঠনের তৃতীয় রাজ্য সম্মেলনে এই প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। শূন্য থেকে ছয় বছর বয়সি শিশুদের এবং প্রসূতি মায়েদের পরিচর্চার দায়িত্ব এই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। এর বাইরেও তাঁদের অনেক সরকারি কাজ করানো হয়। পালস পোলিও, দুয়ারে সরকারের শিবির, নির্বাচন, স্বাস্থ্যশিবির সবেতেই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ‘ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো’।

    সুপারভাইজার পদে নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি কেন ?

    এই অমানুষিক পরিশ্রম করেও ন্যায্য সাম্মানিক পাচ্ছেন না তাঁরা। প্রাপ্য সুযোগসুবিধা থেকেও তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সুবীর সাহা। তাঁর অভিযোগ, সীমাহীন বঞ্চনার সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে সরকারি স্থায়ী পদে নিয়োগের সুযোগ কেড়ে নেওয়া। তিনি বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সহকারি স্থায়ী সুপারভাইজার পদে উন্নীত করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ২৫ শতাংশ সংরক্ষণ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছে। রাজ্যে ৩৪০০ সুপারভাইজার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। তাতে ১৭০০ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে নিয়োগ করার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মাত্র ৪১২ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে সুপারভাইজার পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও প্রায় ১৩০০ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সুপারভাইজার পদে নিয়োগ পাচ্ছেন না। প্রায় ১৩০০ সুপারভাইজার পদে রাজ্যের শাসকদলের নেতা-কর্মী-মন্ত্রীরা দুর্নীতি (Anganwadi Corruption) করছেন। এ নিয়ে আমরা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। এবার সব বিধায়ক ও সাংসদের কাছে এই তথ্য তুলে ধরা হবে। তারপর আমরা এই সুপারভাইজার পদে নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হব। 

    মোবাইল নিয়েও দুর্নীতি ?

    অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল কেনার জন্য প্রাপ্য টাকা না পাওয়ার বিষয়টি নিয়েও সংগঠনের তৃতীয় রাজ্য সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে। সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, খবর রয়েছে কেন্দ্র সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল কেনার জন্য আট হাজার টাকা করে দিয়েছে। কেননা এখন সবকিছুই অনলাইনে হয়ে গিয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল ফোন থেকে রিপোর্ট পাঠাতে হয়। পশ্চিমবঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা সেই মোবাইল কেনার টাকা পাননি (Anganwadi Corruption)। কেউ গয়না বিক্রি করে, কেউ ধারদেনা করে মোবাইল কিনে সরকারি কাজ করছেন। রাজ্যের ১ লক্ষ ১৬ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে মোবাইল কেনার টাকা দেয়নি রাজ্য সরকার।
    কুড়ি থেকে ৬৫ বছর বয়সের মহিলাদের অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী হিসেবে কাজ করার সুযোগ থাকছে। ৬৫ বছর হয়ে গেলে সেই কর্মীদের অবসর নিতে হয়। অবসরের সময় এককালীন মাত্র তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। সুবীরবাবু বলেন, আমাদের দাবি, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন, গ্র্যাচুইটি দিতে হবে।

    সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মাড়োয়ারি ভবনে গত আট এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা কল্যাণ সমিতি তৃতীয় রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৮টি জেলা থেকেই প্রায় তিন হাজার সদস্যা উপস্থিত হয়েছিলেন। আর এই বিপুল সমাবেশ শিলিগুড়ি বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও এই সম্মেলনে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রতি রাজ্যের সীমাহীন শোষণ, বঞ্চনা ও অবিচার (Anganwadi Corruption) নিয়ে সরব হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ‘‘দু’তিন দশকের মধ্যেই ভারত বিশ্বগুরু হবে’’, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘দু’তিন দশকের মধ্যেই ভারত বিশ্বগুরু হবে’’, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) একদিন বিশ্বগুরু হবে। মুম্বইয়ে রবীন্দ্র নাট্য মন্দিরের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। হিন্দু সমাজ যে বিশ্বাসঘাতকতার মুখোমুখি হচ্ছে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ভাগবত। সরসংঘচালক বলেন, বিশ্ব ক্রমেই আমাদের ওপর ভরসা করতে শুরু করেছে। বিশ্বের অনেক দেশই বর্তমানে ভারতকে অনুকরণ করছে। এখন কেউ যুক্তিতে ভারতের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারে না। আজ সমাজও কথা শোনে। হিন্দু জাতি হিসেবে আমরা অনুভব করি দেশের আরও বড় হওয়া উচিত।

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন…

    তিনি বলেন, যাঁরা ভারতকে হিন্দু জাতি বলে স্বীকার করেন না, তারাও অনুভব করবে বিশ্বের প্রয়োজনেই ভারতের উন্নতি করা উচিত। ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, ভারত সম্পর্কে ভুল ধারণা ও বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছে। ভারত যাতে বিশ্বগুরু হয়ে উঠতে না পারে, সেই জন্যই এসব করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী দুই বা তিন দশক পরে ভারত বিশ্বগুরু হবে। সরসংঘ চালক বলেন, দেশ সম্পর্কে এই বিকৃত তথ্য ছড়ানো হচ্ছে ১৮৫৭ সালের পর থেকে। কিন্তু স্বামী বিবেকানন্দ তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে যুক্তিতে এঁটে উঠতে না পেরে এবং আমাদের অগ্রগতিতে রুখে দিতে ভারত সম্পর্কে এসব রটানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: দু’দিনের সফরে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি থাকছে?

    ভাগবত বলেন, বর্তমানে হিন্দু সমাজ বিশ্বাসঘাতকতার মুখোমুখি হচ্ছে। আমাদের ধ্বংস করতে কাজ করছে সমাজ বিরোধী শক্তি। তারা আমাদের ভাগ করার চেষ্টা করবে। এসবই ঘটছে। তা সত্ত্বেও আমাদের ওপর ভরসা করছে বিশ্ব। সরসংঘচালক (Mohan Bhagwat) বলেন, বিশ্বের সব চেয়ে সেরা ধারণা আমাদের আছে। আছে উপাদানও। আমরা মহৎ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা করি। কিন্তু মনে রাখা উচিত যে আমরা তাঁদের পথ অনুসরণ করব না। কারণ সেই পথ খুবই কঠিন। তিনি বলেন, জীবনে কেবল সফল হলেই চলবে না, জীবনকে অর্থবহও করতে হবে। আরএসএস প্রধান বলেন, আজ আমরা সেই অবস্থায় ফিরে এসেছি, যেখানে লড়াই দিতে পারব। আজ তামাম বিশ্ব উপলব্ধি করতে পারছে যে ভারতকেই অনুসরণ করতে হবে। আমাদের রাজনীতিবিদরা এই দিকেই পদক্ষেপ করছেন। আজ কেউই যুক্তিতে আমাদের পরাজিত করতে পারে না। বিশ্বাসঘাতকতা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Mid Day Meal: গোল্লায় যাক শিশুদের মিড ডে মিল! মধুভাণ্ডের কাড়াকাড়িতেই মত্ত তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী

    Mid Day Meal: গোল্লায় যাক শিশুদের মিড ডে মিল! মধুভাণ্ডের কাড়াকাড়িতেই মত্ত তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের মাদার ও যুব সংগঠনের দুই নেতার বিবাদে সমস্যায় করণদিঘির আলতাপুর হাইস্কুল। অভিযোগ, মিড-ডে-মিল (Mid Day Meal) সহ স্কুল পরিচালন কমিটির হিসাবের টাকার ভাগ কে কতটা পাবে, তা নিয়েই এই বিবাদের সৃষ্টি। এই বিবাদ ধীরে ধীরে হাতাহাতি থেকে হানাহানি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে৷ প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগও পৌঁছেছে থানা থেকে জেলাশাসক পর্যন্ত। 
    এইসব গোলমালে আলতাপুর স্কুলের উন্নয়ন, পড়ুয়াদের মিড-ডে-মিল সব গোল্লায় যেতে বসেছে বলে বিরোধী দলের স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ। স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যরা একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন প্রকাশ্যেই। তাদের এক পক্ষের দাবি, হিসেব চাইতেই পরিচালন সমিতির সদস্যকে মারধর করেছেন অন্যজন। 

    স্কুল চালাতে সমস্যা হচ্ছে, স্বীকার প্রধান শিক্ষকের

    প্রধান শিক্ষক অবশ্য দাবি করেছেন, স্কুলের সবকিছু চলছে নিয়ম মেনেই। তবে গোলমালের কথা স্বীকার করেছেন তিনি এবং সেই গোলমালে স্কুল চালাতে সমস্যার কথাও গোপন করেননি তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই মিটতে পারত। যেহেতু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পরিচালন সমিতির সদস্য লিখিত অভিযোগ করেছেন, তাই তিনিও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সবটা লিখিত আকারে জানাবেন। সব মিলিয়ে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি ব্লকের আলতাপুর হাইস্কুলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য বিভিন্ন মহলে। 

    অভিযোগ থানা এবং জেলাশাসককেও

    করণদিঘির আলতাপুর হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও অন্য দুই সদস্যর মধ্যে মারামারির ঘটনায় চলতি মাসের ২ তারিখ করণদিঘি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পরিচালন সমিতির সদস্য আবু তাহিরের স্ত্রী। অভিযোগ, স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি মহাঃ হানিফ তাঁর স্বামী আবু তাহিরকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। ওই ঘটনায় আহত আবু তাহির রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপরে চলতি মাসের ৫ তারিখ আবু তাহির ও স্কুল পরিচালন সমিতির আরও ২ সদস্য জেলাশাসক সহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলে মিড-ডে-মিল ঠিকভাবে খাওয়ানো হয় না। পুষ্টির খাবারও সঠিকভাবে দেওয়া হয় না পড়ুয়াদের। পাশাপাশি স্কুলের পরিচালন সমিতির কোনও বৈঠক হয় না কোনওদিন। এই সমস্ত বেনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান তাঁরা। শুধু তাই নয়, পড়ুয়া ভর্তি বা মিড ডে মিল (Mid Day Meal)-সব ক্ষেত্রেই অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করে তাঁদের অন্ধকারে রেখেই পরিচালন সমিতির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের দুজনের যোগশাজশেই স্কুলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষত মিড-ডে-মিলে অবৈধ কারবার চলছে বলে অভিযোগ। 

    কী বলছেন পরিচালন কমিটির সভাপতি ? 

    যদিও মিড-ডে-মিলের (Mid Day Meal) টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চক্রান্তে সায় না দেওয়াতেই এই চক্রান্ত বলে পাল্টা দাবি করেন অভিযুক্ত পরিচালন সমিতির সভাপতি মহাঃ হানিফ। তাঁর দাবি, মিড-ডে-মিলের টাকা হাতানোর ছক ছিল অভিযোগকারীদের।

    আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির

    তবে সব মিলিয়ে পরিচালন সমিতির অন্দরে এই বচসা বা তীব্র দ্বন্দ্বে স্কুলের একটা বড় ক্ষতি হতে বসেছে এবং তার প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের উপর পড়ছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের মাদার এবং যুব সংগঠনের দুই নেতা মিড-ডে-মিলের টাকার বখরা নিয়ে গোলমাল পাকানোয় আলতাপুর হাইস্কুলের উন্নয়ন, পড়াশোনা ও মিড-ডে-মিল (Mid Day Meal) গোল্লায় যাচ্ছে। প্রশাসনকে সক্রিয় হয়ে সবটা সামাল দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যদি প্রশাসন সঠিক ভুমিকা গ্রহণ না করে, তবে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: দু’দিনের সফরে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি থাকছে?

    Amit Shah: দু’দিনের সফরে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি থাকছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) আপাতত তিহাড় জেলের বাসিন্দা। শুক্রবার সেই জেলায়ই সভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পরের দিন দক্ষিণেশ্বরে ভবতারিণীর মন্দিরে পুজো দিয়ে ফিরবেন দিল্লি। শুক্রবার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে আলোচনায়ও বসতে পারেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে সাজ সাজ রব গেরুয়া শিবিরে। জানুয়ারি মাসে এ রাজ্যে আসার কথা ছিল অমিত শাহের। শেষমেশ বাতিল হয়ে যায় বঙ্গ সফর। তখনই জানিয়েছিলেন বাজেট অধিবেশনের পর আসবেন। সেই মতো চলতি সপ্তাহের শেষে দু দিনের সফরে বাংলায় আসছেন তিনি।

    অমিত শাহ (Amit Shah)…

    তাঁর এই সফরকে কাজে লাগাতে শুক্রবার বীরভূমের সিউড়িতে সভা করার কথা তাঁর (Amit Shah)। ওই দিন রাতে কলকাতায় ফিরে করবেন কোর কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বকে। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শাহের এই বাংলা সফর যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কেন সিউড়িতেই সভা হবে শাহের? বিজেপির একটি সূত্রের খবর, বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বীরভূম লোকসভা আসনটির দিকে নজর রয়েছে পদ্ম শিবিরের। তাই জেলায় সংগঠন চাঙা করাই লক্ষ্য বিজেপি নেতৃত্বের। জনসভার বদলে ওই দিন সিউড়িতে শাহ কর্মিসভাও করতে পারেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    এর আগে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল রাজ্য বিজেপির নেতাদের। প্রধানমন্ত্রী সময় দিতে না পারায় সেই বৈঠক হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) সঙ্গে। সেই বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছিল সিএএ প্রসঙ্গ। রাজ্য বিজেপির কয়েকজন নেতা শাহের কাছে জানতে চেয়েছিলেন বাংলায় সিএএ কবে চালু হবে? সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ১০-১৫ দিন অপেক্ষা করতে। সেই সময়সীমাও পার হয়ে যাবে শুক্রবার। তাই ওই জনসভায় সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু বলেন কিনা, এখন তাই দেখার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অভিযোগে রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে দু দিনের ধর্নায়ও বসেন তৃণমূল নেত্রী। সিউড়ির জনসভায় সে সম্পর্কেও কিছু বলতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Earthquake: কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নিকোবর দ্বীপ

    Earthquake: কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নিকোবর দ্বীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টার। তার মধ্যেই পর পর তিনবার ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল নিকোবর (Nicobar) দ্বীপ। রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৫.৩। নিকোবর দ্বীপ থেকে ১০ কিমি গভীরে কম্পন অনুভূত হয়েছে। এদিন দুপুর ২টো ৫৯ মিনিট নাগাদ দ্বিতীয় কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.১। প্রথম কম্পনটি অনুভূত হয়েছিল দুপুর ১টা ১৬ মিনিটে।

    ভূমিকম্প (Earthquake)…

    রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৯। শেষবারের মতো কম্পন অনুভূত হয় বিকেল ৪টে নাগাদ। এদিন সন্ধে পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। মার্চ মাসের শুরুতেও একবার কেঁপে উঠেছিল নিকোবর দ্বীপ। রিখটার স্কেলে সেবার কম্পনের মাত্রা ছিল ৫।

    এদিন ঘণ্টা কয়েকের ব্যবধানে পর পর তিন বার ভূমিকম্প (Earthquake) হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়ি ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন অনেকেই। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ভূমিকম্প প্রবণ এলাকার মধ্যেই পড়ে। ২০২২ সালের জুলাইয়ের শুরুতে ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ২২ বার কম্পন অনুভূত হয়েছিল। ৬ এপ্রিলও একবার কেঁপে উঠেছিল আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৬। রাজধানী পোর্টব্লেয়ার থেকে ১৪০ কিমি উত্তর পূর্বে ছিল সেই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল।

    আরও পড়ুুন: ফের প্রকাশ্যে কংগ্রেসের কোন্দল, গেহলটের বিরুদ্ধে অনশনে বসবেন পাইলট

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রিখটার স্কেলে ৪.৯ মাত্রার কম্পনের (Earthquake) উৎস ছিল ক্যাম্পবেল বে-র ২২৮ কিলোমিটার উত্তরে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। পরের কম্পনটির উৎস ছিল নিকোবর দ্বীপে। এটিরও সূচনা হয় মাটির ১০ কিলোমিটার নিচে। আর বিকেল ৪টের সময় যে ৫.৩ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়, সেটিরও উৎস ছিল নিকোবর দ্বীপে, মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather: উষ্ণতম এপ্রিল! আগামী সপ্তাহে রাজ্যে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা

    Weather: উষ্ণতম এপ্রিল! আগামী সপ্তাহে রাজ্যে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬-র পরে ২০২৩। আবহাওয়াবিদদের মতে, গত সাত বছরে এটাই উষ্ণতম (Weather) এপ্রিল (April) মাস। আগামী রবিবার পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের (Heat Wave) সম্ভাবনা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার থেকেই রাজ্যে বাড়বে গরম। ৬ থেকে ৭ জেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি বেশি থাকতে পারে পারদ। কলকাতার পারদ ছুঁতে পারে ৪০ ডিগ্রি। ১০ থেকে ১৫ এপ্রিল গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরে হতে পারে তাপপ্রবাহ।

    আবহাওয়া (Weather)…

    আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। রবিবার কলকাতার আকাশ ছিল পরিষ্কার। তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। জলীয় বাষ্প থাকায় বেলা বাড়লে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বাড়বে। আগামী কয়েকদিন শুকনো গরম থাকবে। আগামী সপ্তাহে (Weather) কলকাতাও ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়ে তাপপ্রবাহের কবলে পড়তে পারে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, আসানসোল, বোলপুর, মুর্শিদাবাদের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশপাশে পৌঁছে গিয়েছে। প্রচণ্ড গরমে গুচ্ছ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা।

    আরও পড়ুুন: চাকরির নামে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, এবার গ্রেফতার কাঁথির এক শিক্ষক

    হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যা এড়াতে কড়া রোদে বাইরে বার হতে গেলে সাদা বা হালকা কোনও রংয়ের পোশাক পরতে হবে। প্রচুর পরিমাণে জলপান করতে হবে। বাইরে বের হলে ছাতা অবশ্যই নিতে হবে। ফার্স্ট ফুড এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। কম তেলমশলাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। আবহাওয়াবিদদের মতে, গত কয়েক (Weather) বছরের মধ্যে এ বছর মার্চ ছিল শীতলতম। গোটা কয়েক কালবৈশাখীর জেরে অনুভূত হচ্ছিল ঠান্ডা। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় কম। তার জেরে চলতি বছর মার্চ মাসটা স্বস্তিতেই কাটিয়েছেন বঙ্গবাসী। তবে আক্ষরিক অর্থেই মাথার ঘাম পায়ে পড়ছে এপ্রিলে। তার ওপর আগামী সপ্তাহে হতে পারে তাপপ্রবাহ। এমতাবস্থায় দুপুরে ঘরবন্দি থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সকাল সকাল কাজ সেরে ফেলাই ভাল। যাঁদের সে উপায় নেই, তাঁদের প্রিকোশান নিয়েই বেরনোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sachin Pilot: ফের প্রকাশ্যে কংগ্রেসের কোন্দল, গেহলটের বিরুদ্ধে অনশনে বসবেন পাইলট

    Sachin Pilot: ফের প্রকাশ্যে কংগ্রেসের কোন্দল, গেহলটের বিরুদ্ধে অনশনে বসবেন পাইলট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে (Rajasthan) ফের প্রকাশ্যে কংগ্রেসের (Congress) ঘরোয়া কোন্দল। চলতি বছরই হবে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই সচিন পাইলট (Sachin Pilot) ও অশোক গেহলটের দ্বন্দ্বে জেরবার সোনিয়া গান্ধীর দল। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদল হয় রাজস্থানে। এহেন পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেহলট নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অনশনে বসছেন দলেরই নেতা সচিন পাইলট। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সচিন বলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি বর্তমান সরকার। এরই প্রতিবাদে ১১ এপ্রিল প্রতীকী অনশনে বসবেন সচিন।

    সচিন পাইলট (Sachin Pilot) বলেন…

    কংগ্রেসের এই তরুণ নেতা বলেন, আমি যখন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি ছিলাম, তখন থেকেই বসুন্ধরা রাজে সরকারের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলাম। আমি প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। তবে বিরোধী হিসেবে আমাদের ওপর মানুষ নিশ্চয়ই (Sachin Pilot) বিশ্বাস করেছিলেন। তাই আমরা সরকার গঠন করেছিলাম। এই কারণেই আমি দেড় বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে চিঠি লিখে এই দুর্নীতির তদন্তের দাবি করেছিলাম। তিনি বলেন, কংগ্রেসকে দেখাতে হবে আমাদের কথা ও কাজে কোনও ফারাক নেই।

    সচিন বলেন, ২০২২ সালের ২২ মার্চ আমি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে একটি চিঠি লিখেছিলাম। ওই বছরেরই ২ নভেম্বর আরও একটি চিঠি লিখেছিলাম মুখ্যমন্ত্রীকে। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম যে মানুষ আমাদের বিশ্বাস করেছিল বলেই ২১ থেকে ১০০টি আসন দিয়েছিল। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই এবং ইডির অপব্যবহার করছে। সেখানে আমাদের সরকার কোনও এজেন্সিকেই কাজে লাগাচ্ছে না দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য।

    আরও পড়ুুন: পুঞ্চে ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা, সেনার গুলিতে খতম জঙ্গি, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি

    সচিনের অভিযোগ, বিরোধী আসনে থাকাকালীন গেহলট নিজেও বসুন্ধরা রাজে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। ক্ষমতায় আসার আগে ওই সরকারের দুর্নীতির তদন্ত করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে কোনও কথা বলেননি তিনি। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই সচিনকে (Sachin Pilot) গদ্দার বলে কটাক্ষ করেছিলেন গেহলট। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের সময়ও রাজস্থান কংগ্রেসের অন্দরে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল বিভাজন। গেহলটকে প্রথমে সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। পরে অবশ্য তাঁকে বাদ দেওয়া হয় প্রার্থীর তালিকা থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: তোলার টাকা না পেয়ে কামারহাটিতে অটো চালকসহ তিনজনকে বেধড়ক মার! কাঠগড়ায় তৃণমূলের ছাত্র নেতা

    Kamarhati: তোলার টাকা না পেয়ে কামারহাটিতে অটো চালকসহ তিনজনকে বেধড়ক মার! কাঠগড়ায় তৃণমূলের ছাত্র নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  রাস্তায় অটো চালাতে গেলেও তোলা দিতে হবে। কামারহাটি (Kamarhati) এলাকায় রানা বিশ্বাস নামে এক তৃণমূলের ছাত্র নেতার এটাই নিদান। আর যে তাঁর কথার খেলাপ করেছে তাঁর কপালে জুটেছে মার। কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সন্দীপ রায়। তিনি পেশায় অটো চালক। রথতলা রুটে তিনি অটো চালান। আর তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাঁর কাছেও রানা ও তার দলবল গিয়ে তোলা চায়। সন্দীপ তা দিতে অস্বীকার করে। এটাই তাঁর অপরাধ। শনিবার রানা ও তাঁর দলবল মিলে সন্দীপ ও তাঁর দুই বন্ধুকে বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ। সন্দীপসহ দুজনের চোট গুরুতর হওয়ায় তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সন্দীপের পরিবারের পক্ষ থেকে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ইন্দ্রজিত্ মহান্তি এবং অক্ষয় শর্মাকে গ্রেফতার করেছে।

    হামলা নিয়ে কী বললেন আক্রান্ত পরিবারের লোকজন?

    রানা বিশ্বাস কামারহাটির (Kamarhati) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। আর শাসকদলের না ভাঙিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। এমনই অভিযোগ আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর আত্মীয় বাবু রক্ষিতের। তিনি বলেন, রানা বিধায়কের নাম ভাঙিয়ে তোলাবাজি করে। আমার শ্যালক সন্দীপ রথতলায় অটো চালায়। ওর নিজের অটো। ওর কাছে থেকে রানা তোলা চেয়ে ছিল। ও তা দিতে রাজি হয়নি। এটাই ওর অপরাধ। শনিবার রানা তার দলবল নিয়ে এসে আমার শ্যালক আর তাঁর সঙ্গে দুই বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত অটো চালকের মা বলেন, রানা একজন গুন্ডা। তৃণমূলের নাম করে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। সবার কাছে তোলা চায়। আমার ছেলেকে ও খুব মেরেছে। আমরাও তৃণমূল করি। আমরা কী বিচার পাব না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে রানাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

    কী বললেন কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার চেয়ারম্যান?

    এই ঘটনা নিয়ে কামারহাটি (Kamarhati)  পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, বিষষয়টি শুনেছি। তবে, তোলাবাজি না অন্য কোনও কারণে মারধর করা হয়েছে তা জানি না। ইতিমধ্যেই সমস্ত ঘটনা দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    হামলার ঘটনা নিয়ে কী বলল বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও নিন্দনীয়। তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে। কামারহাটি (Kamarhati)  তার ব্যতিক্রম নয়। দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share