Tag: bangla news

bangla news

  • Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় তিনি ছিলেন আধার (Aadhar) কার্ডের ঘোরতর বিরোধী। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার যখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করে, তখন তার কড়া সমালোচনা করেছিল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই তিনিই এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পে বাধ্যতামূলক করে দিলেন আধারকার্ড।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করে মমতা সরকার। তখন আধার বাধ্যতামূলক ছিল না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প মমতাকে ফের নিয়ে আসে নবান্নের কুর্সিতে। পরে সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায় রাজ্য সরকারের। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সাধারণ মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। তফশিলি জাতি কিংবা উপজাতির মহিলারা মাসে পান ১০০০ টাকা করে। ফি মাসে এক ধাক্কায় বিপুল পরিমাণ টাকার জোগান দিতে হিমশিম খায় রাজ্য সরকার। বাধ্য হয়ে প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar) বরাদ্দ জোগান দিতে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা ব্যয় করা হতে থাকে খয়রাতি প্রকল্পে। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। ভুয়ো ডকুমেন্ট দিয়ে অনেকেই মুফতের টাকা লুটেপুটে নিতে থাকেন। তার পরেই টনক নড়ে সরকারের। যার জেরে এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও বাধ্যতামূলক করা হল আধার কার্ড।

    আরও পড়ুুন: রাজু ঝা–কে খুনের পিছনে রয়েছে বড় মাথা, প্রাণহানির শঙ্কা লতিফেরও! চাঞ্চল্যকর দাবি অর্জুন সিং-এর

    এর আগে ভুয়ো রেশন কার্ড ধরতে হাতিয়ার করা হয়েছিল আধার। আধার অস্ত্র প্রয়োগ করতেই ধরা পড়ে ৬০ লক্ষ ভুয়ো গ্রাহক। রাতারাতি ছেঁটে ফেলা হয় তাঁদের। ফি মাসে সরকারের বাঁচে কয়েক কোটি টাকা। ভুয়ো রেশন কার্ডই নয়, জাল জবকার্ড বানিয়ে লুঠে নেওয়া হচ্ছিল সরকারের কোটি কোটি টাকা। অভিযোগ, তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মীও ভুয়ো জবকার্ডের সাহায্যে দিব্যি চালাচ্ছিলেন লুঠের কারবার। আধার অস্ত্র প্রয়োগ করে সেই কারবারেও ইতি টানা হয়েছে। এক ধাক্কায় বাদ গিয়েছে প্রায় এক কোটি ভুয়ো জবকার্ড। এবার জাল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) গ্রাহক ধরতে বাধ্যতামূলক করা হল সেই আধার কার্ড। এক সময় যে কার্ডের বিরোধিতা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এহেন গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল নেত্রী। এই মর্মে জারি করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। এখন দেখার, পঞ্চায়েত নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই তৃণমূলের শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায় কিনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: অপেক্ষার অবসান, রবিবারই গঙ্গার নিচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো

    Kolkata Metro: অপেক্ষার অবসান, রবিবারই গঙ্গার নিচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্জিকা মতে রবিবারই মিলেছে শুভক্ষণ। তাই এই দিনেই গঙ্গার (Ganga) নিচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো (Kolkata Metro)। এদিনই হবে ট্রায়াল রান। রেলের তরফে এই ঘোষণার পরেই সাজ সাজ রব হাওড়ায়। মঙ্গলবার দুপুরে ট্রায়াল রান হওয়ার কথা ছিল। শেষমেশ ঠিক হয়, মঙ্গলের পরিবর্তে ট্রায়াল রান হবে রবিবার। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই যে গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রো দৌড়বে, সে খবর জানা গিয়েছিল আগেই। মহাকরণ থেকে হাওড়া ময়দান ট্রায়াল রান শুরু হবে ৮ এপ্রিল। বউবাজারের পূর্বমুখী টানেল দিয়ে আসবে মেট্রোর রেক।

    মেট্রো (Kolkata Metro)…

    জানা গিয়েছে, হাওড়া ময়দান থেকে মহাকরণ পর্যন্ত রেলের (Kolkata Metro) লাইন বসানোর কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। বউবাজারের কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় আপাতত হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পরিষেবা চালুর চিন্তাভাবনা করছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হতে পারে ট্রায়াল রান। মেট্রো সূত্রে খবর, শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ না হওয়ায় রেক আনা হবে টেনে। বউবাজারে সাইড ওয়াল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। দেওয়াল হবে ৯ মিটারের মতো। কাজ হয়েছে ২ মিটারের মতো। দেওয়াল তৈরি হয়ে গেলে শুরু হবে ছাদের কাজ। এখানে কিছু ব্র্যাকিং রয়েছে। সাপোর্টিং স্ট্রাকচার হিসেবে এগুলি তৈরি হয়েছিল। সেই ব্র্যাকিংগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে। তার পরেই হাওড়া ময়দান এবং সল্টলেক সেক্টর ৫ এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে বউবাজার।

    আরও পড়ুুন: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    প্রসঙ্গত, গঙ্গার গভীরতা ১৩ মিটার। তারও ১৩ মিটার নিচে তৈরি হয়েছে টানেল (Kolkata Metro)। ২০১৮ সালে ৬৬ দিনে শেষ হয় গঙ্গার নিচে টানেল তৈরি। গঙ্গার নিচে লাইনের দৈর্ঘ্য সাড়ে ৫০০ মিটার। ২০১৯ সালে প্রথমবার বউবাজারে বিপর্যয় ঘটে। ২০২২ সালে দ্বিতীয়বার ফাটল দেখা দেয়। দ্বিতীয় বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার আগেই আসে তৃতীয় বিপর্যয়। তার জেরে বউবাজারকে নিয়ে বারংবার সমস্যায় পড়তে হয় মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। তাই এবার হাওড়া ময়দান থেকে মহাকরণ পর্যন্ত ছুটবে মেট্রো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • IMF Chief: ২০২৩ সালে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির অর্ধেকই হবে ভারত ও চিনে, দাবি আইএমএফের

    IMF Chief: ২০২৩ সালে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির অর্ধেকই হবে ভারত ও চিনে, দাবি আইএমএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির অর্ধেকই হবে ভারত (India) ও চিনে (China)। একথা জানাল আইএমএফ (IMF)। বৃহস্পতিবার আইএমএফ প্রধান (IMF Chief) আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন এ বছর বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধি ৩ শতাংশের নিচে নেমে যাবে। আগামী কয়েক বছরও শ্লথ হতে পারে আর্থিক বৃদ্ধির গতি। এহেন আশঙ্কার মধ্যেই আশার আলো দেখাবে ভারত ও চিন। কারণ এ বছর বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির অর্ধেকই হবে এই দুই দেশে। করোনা অতিমারির ধাক্কায় বেসামাল হয়ে গিয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধি। পরে তা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ফের অর্থনীতির আকাশে দেখা দিয়েছে অশনি সংকেত।

    আইএমএফ (IMF) প্রধান জানান…

    আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিভা (IMF Chief) বলেন, ২০২১ সালে অর্থনীতির পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ফের সংশয় তৈরি করে। এর জেরে ২০২২ সালে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধি প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল। ৬.১ শতাংশ থেকে ৩.৪ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা আরও বাড়তে পারে, একটি বিপজ্জনক প্রবণতা যা কোভিড সংকট দ্বারা শুরু হয়েছিল তা আবার দেখা দিতে পারে।

    আরও পড়ুুন: রাজু ঝা–কে খুনের পিছনে রয়েছে বড় মাথা, প্রাণহানির শঙ্কা লতিফেরও! চাঞ্চল্যকর দাবি অর্জুন সিং-এর

    গত বছরই বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেই কোভিড ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এ বছরও চলবে। তাঁর মতে, আগামী পাঁচ বছর এই আর্থিক বৃদ্ধির গতি হ্রাস পাবে। তিনি বলেন, অর্থনীতিতে আশার আলো দেখা যাচ্ছে এশিয়া মহাদেশের দেশগুলিতে। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্যে ভারত ও চিন চলতি বছর বিশ্ব আর্থিক বৃদ্ধির অর্ধেকটা করবে। কিন্তু অন্যান্য দেশের অবস্থা তুলনায় করুণ হবে।

    আইএমএফের (IMF Chief) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৯৯০ সালের পর থেকে বিশ্ব অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এটাই সর্বনিম্ন এবং গত দু দশকের গড় বৃদ্ধির ৩.৮ শতাংশের কম। আইএমএফ কর্তা বলেন, ঘুরে দাঁড়ানো শ্রম বাজার, ভোক্তা চাহিদা যথেষ্ঠ থাকা এবং চিনের উত্থান সত্ত্বেও আমরা আশা করছি এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধি ৩ শতাংশের কম থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Pond: পুকুরে ডুব দিলেই মনোবাসনা পূরণ, কোলে আসছে সন্তানও! জেনে নিন কোথায় এই “কামনা পুকুর”?

    Pond: পুকুরে ডুব দিলেই মনোবাসনা পূরণ, কোলে আসছে সন্তানও! জেনে নিন কোথায় এই “কামনা পুকুর”?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।” কিন্তু এখানে বিশ্বাস অন্ধ বিশ্বাস কি না, তা নিয়ে যেমন শিক্ষিত মহলে প্রশ্ন আছে , তেমনি অনেকেরই আবার দাবি, এ আসলে ঠাকুরের অপার মাহাত্ম্য। বাস্তব যাই হোক না কেন, এমনই একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়ায়। পুকুরে ডুব দিলেই নাকি হচ্ছে মনোবাসনা পূরণ। শুধু তাই নয়, ডুব দিলেই মিলছে চাকরি, অসুস্থ শরীর হচ্ছে সুস্থ, এমনকী মিলছে সন্তানও। এমনটাই নাকি ঘটছে বানিপুরের ইতনা কলোনির এক পুকুরে, স্থানীয়রা যার নাম রেখেছেন “কামনা পুকুর”।  

    স্থানীয়দের কী দাবি এই পুকুর নিয়ে ?

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এই পুকুরের জলে নাকি রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য। এলাকার মানুষজন তাই পুকুরপাড়ে তৈরি করে ফেলেছেন হরিচাঁদ গুরুচাঁদ-এর মন্দির। শুধু তাই নয়, দূর থেকে ঠাকুরবাড়ির পুকুরের ১০১ ঘটি জল এনে শোধনও করেছেন। এই পুকুরের খবর ছড়িয়ে যায় সর্বত্র। ভক্তরা আসতে শুরু করেন দূরদূরান্ত থেকে, তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্য। আবার অনেকের, যাদের চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ কাজ করছে না, তাদের নাকি এই জলে ডুব দিলে শারীরিক সমস্যা দূর হচ্ছে। দীর্ঘদিন সন্তান না হওয়ায় সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল এক গৃহবধূকে। মনের ইচ্ছা নিয়ে এই পুকুরে ডুব দিতেই কয়েক মাসের মধ্যে নাকি চলে আসে সন্তান। সকাল থেকেই ভক্তদের তাই লাইন পড়ছে এই এলাকায়, পুকুর সংলগ্ন হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরেও পড়ছে লম্বা লাইন। সঙ্গে খিচুড়ি ভোগ প্রসাদ বিতরণ, কাঁসর, ডঙ্কা, নিশান নিয়ে হরিনাম সংকীর্তন। উপস্থিত ছিলেন মতুয়া ভক্ত দলপতি গোসাই পাগল রাও। সব মিলিয়ে স্নান ঘিরে যেন উৎসবের মেজাজ গোটা এলাকায়।

    শুনুন, এক বৃদ্ধা কী বলছেন

    এখানেই দেখা হয়েছিল এক বৃদ্ধার সঙ্গে। নাতির পায়ে এতই যন্ত্রণা যে তারা কেউই রাতে ঘুমাতে পারতেন না। তাই তিনি এখানের শরণাপন্ন হলেন। নাতির রোগ সারলে এক মন চাল মানসিক হিসেবে দেব বলেছিলেন। তিনি এসেছিলেন সেই মানসিক দিতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kiran Kumar Reddy: বিজেপিতে যোগ দিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডি

    Kiran Kumar Reddy: বিজেপিতে যোগ দিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডি (Kiran Kumar Reddy)। মার্চ মাসে কংগ্রেস (Congress) থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। এদিন যোগ দিলেন বিজেপিতে। বৃহস্পতিবারই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন একে অ্যান্টনির ছেলে অনিল কে অ্যান্টনি। তার পরের দিনই যোগ দিলেন কিরণ। বিজেপিতে যোগ দিয়ে কিরণ বলেন, আমি কোনওদিন ভাবিনি যে আমাকে কংগ্রেস ছাড়তে হবে। তিনি বলেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পর পর ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই কংগ্রেস ছাড়তে বাধ্য হয়েছি আমি। কিরণ বলেন, কংগ্রেস হাইকমান্ড মনে করে মনে করে যে তাঁরা যা ভাবেন, সেটাই সঠিক। আর ভারতের জনগণ সহ অন্য সাবাই ভুল। 

    কিরণকুমার রেড্ডি (Kiran Kumar Reddy)…

    ২০১৪ সালে তেলঙ্গনা রাজ্য গঠনের আগে অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কিরণকুমার রেড্ডি (Kiran Kumar Reddy)। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। ওই বছরই হবে অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনও। কিরণ কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন চারবার। কংগ্রেস ছাড়েন দুবার। অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে দুভাগ হওয়ার পর কংগ্রেস ছেড়ে সমৌক্যানন্ধ্র নামে একটি দল গঠন করেন। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ে সেই দল। ২০১৮ সালে ফের কংগ্রেসে ফেরেন কিরণ। ছাড়লেন এই সেদিন। এদিন যোগ দিলেন পদ্ম শিবিরে।

    আরও পড়ুুন: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একের পর এক রাজ্যে হাইকমান্ডের ভুল সিন্ধান্তের কারণে ভরাডুবি হচ্ছে দলের। সব রাজ্যেই শক্তি হারাচ্ছে কংগ্রেস। মানুষের সঙ্গে তারা কথা বলে না। দলেন নিচুতলার নেতাদের মতামত গ্রহণ করে না। এটা কোনও নির্দিষ্ট একটি রাজ্যের কথা নয়, গোটা দেশেই একই ঘটনা ঘটে চলেছে। কিরণ (Kiran Kumar Reddy) রায়লসীমা অঞ্চলের বাসিন্দা। এলাকায় তাঁর যথেষ্ঠ প্রভাব রয়েছে। কিরণকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে ভোটে যেতে পারে বিজেপি। এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়ে কিরণ বলেন, আমার পরিবারের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক ছয় দশকের। কিন্তু মানুষ কী চায় তা গ্রহণ করতে ওরা চায় না। কংগ্রেস নেতৃত্বের ধারণা, ওরাই ঠিক, ভারতবাসী সহ সকলেই ভুল। কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করতে চায়। কিন্তু বিনা পরিশ্রমে এবং বিনা দায়িত্বে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Anant Ambani:  ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফের আগের চেহারায় মুকেশ-পুত্র, রহস্যটা কী ?

    Anant Ambani: ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফের আগের চেহারায় মুকেশ-পুত্র, রহস্যটা কী ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাঁকজমক করে বিয়ের অনুষ্ঠান তো হল। আর তার কত ছবিও প্রকাশ্যে এল। কিন্তু সেইসব ছবি আর ভিডিও দেখে অনেকেরই একটা বিষয়ে ঘোর যেন কাটতে চাইছে না। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠপুত্র অনন্ত আম্বানির চেহারা তো এমন ছিল না। হ্যাঁ, এমন চেহারাই তার ছিল, তবে তা ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত। তারপর তো শোনা গিয়েছিল তার ওজন কমেছে এক লপ্তে ১০৮ কেজি। প্রকাশ্যেও দেখা গিয়েছিল, সেই বিশালাকার চেহারা হয়ে উঠেছে একেবারে ছিমছাম। তাহলে এরপরে কী এমন হল, যাতে তার ওজন ফের বেড়ে গেল?

    ১০৮ কেজি ওজন কমল কীভাবে?

    প্রথমে দেখা যাক,  অনন্ত আম্বানির ১০৮ কেজি ওজন মাত্র দেড় বছরে, অর্থাত ১৮ মাাসে কমেছিল কিভাবে। জানা গিএছে, এর মধ্যে প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম চলত পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা। দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার হাঁটা, ট্রেনিং, কার্ডিও ইত্যাদি নানা রকমের নিয়মকানুন তাকে মেনে চলতে হত। সঙ্গে ছিল যোগ ব্যায়ামও। আর বলার অপেক্ষা রাখে ন্‌ খাবার ছিল এরকম-জিরো সুগার, লো ফ্যাট, লো কার্ব এবং হাই প্রোটিন। জাঙ্ক ফুডের মায়া পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হয়েছিল। পরিবর্তে ফলমূল এবং প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ছিল মূল ডায়েট। দৈনিক শরীরে ক্যালরি যেত ১২০০ থেকে ১৪০০। এসব করে যখন সে একেবারে ছিমছাম হয়ে গেল, তখন তার ছবি ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছিল। তখন সে যেন অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। অনেকেই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল এই ভেবে যে, এটাও সম্ভব।

    ফের ওজন বেড়ে গেল কেন?

    এই রহস্যের কিছুটা সমাধান হয়েছিল নিতা আম্বানির একটি বক্তব্যে। ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ছেলে প্রচণ্ডভাবে অ্যাজমায় ভোগে। তাই তাকে নিয়মিত স্টেরয়েড নিতে হয়। এটাই হয়তো তার আচমকা ফের ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারির জট খুলতে গুগলকে চিঠি সিবিআইয়ের

    SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারির জট খুলতে গুগলকে চিঠি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এসএসসি (SSC Scam) মামলায় তথ্য চেয়ে গুগলকে (Google) চিঠি দিল সিবিআই (CBI)। জাল ওয়েবসাইট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে গুগলের কাছে। জানা গিয়েছে, এই জাল ওয়েবসাইটেই অযোগ্যদের টাকার বিনিময়ে পাশ করার রেজাল্ট দেখানো হত। সেই কারণেই ওই জাল ওয়েবসাইট সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, দুটি ওয়েবসাইটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।

    এসএসসি (SSC Scam) মামলা…

    এই দুটি ওয়েবসাইটে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেখানো হত তাঁদের নাম। টাকা নেওয়ার পরে ডিলিট করে দেওয়া হত সেই তালিকা। সেই কারণেই আইপি অ্যাড্রেস সহ যাবতীয় তথ্য পেতে গুগলকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কিছু কর্মপ্রার্থী চাকরি পেলেও, অনেকেই পাননি। যদিও টাকা দিয়েছেন তাঁরা। যার অর্থ, প্রতারিত হয়েছেন তাঁরাও। কারা প্রতারিত হয়েছেন, কোন অযোগ্য প্রার্থী চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তা জানতেই তথ্য চাওয়া হয়েছে গুগুলের কাছে।

    সিবিআইয়ের দাবি, যাঁরা পরীক্ষায় (SSC Scam) ফেল করত, ওয়েবসাইটের দেওয়া রেজাল্টে তাঁকে পাশ দেখানো হত। সেই রেজাল্টের প্রিন্টআউটও দেওয়া হত। টাকা নেওয়ার পরে ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে যেত সেই নাম। সিবিআই সূত্রে খবর, পর্ষদের আসল ওয়েবসাইটে .ইন রয়েছে। কিন্তু ভুয়ো ওয়েবসাইটে সেটাই .কম। জানা গিয়েছে, চাকরির জন্য যারা টাকা দিত, তাদের নাম তোলা হত ভুয়ো ওয়েবসাইটে। পরে সেটা দেখিয়েই আরও টাকা দাবি করা হত। যে ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ফুলে ফেঁপে উঠেছে দালালরা।

    আরও পড়ুুন: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    এদিকে, পুরসভা নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১২ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল। অন্তত হার্ড ডিস্কে এমনই তথ্য মিলেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের (SSC Scam) ক্ষেত্রে অয়ন প্রার্থী পিছু লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন বলে অভিযোগ। নামে-বেনামে অয়নের নামে ফ্ল্যাট রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। অয়ন সেই ফ্ল্যাটগুলির টাকা কোথা থেকে পেয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। অয়নের প্রায় আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। সেই টাকার উৎস কী তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    Nadia: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত সরকার। বিরোধীরাও তেমন শক্তিশালী নন। এহেন আবহে ভরা বাজারে গুলি করে খুন করা হল তৃণমূলেরই এক নেতাকে। মৃতের নাম আমোদ আলি বিশ্বাস। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালির ছোট চুপড়ি বাজারের কাছে। প্রকাশ্য দিবালোকে তৃণমূল নেতা খুন হওয়ায় এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বেহাল দশা নিয়েও।

    নদিয়ায় (Nadia) খুন…

    স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও বাজারে যান বড় চুপড়ির (Nadia) বাসিন্দা আমোদ। বাজার করার সময় সেখানে বাইকে চড়ে আসে দুই ব্যক্তি। আমোদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে তারা। পরে হয় কথা কাটাকাটি। আচমকাই আমোদকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আমোদকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাঁকে। খবর পেয়ে দ্রুত অকুস্থলে পৌঁছায় হাঁসখালি থানার পুলিশ। কী কারণে আমোদকে খুন করা হল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তৃণমূলের হাঁসখালি ব্লক সভাপতি শিশির রায় বলেন, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে খুন বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করলে সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবে।

    আরও পড়ুুন: ফের বিতর্কে প্রেসিডেন্সি! সরস্বতী পুজোয় না, অথচ ইফতারের আয়োজন জাঁকজমকপূর্ণ

    রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কান্নান বলেন, আমোদ আলি বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক খুন ও খুনের চেষ্টার মামলা রয়েছে। কয়েক দিন আগে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছিল বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র। দুটি গোষ্ঠীর লড়াইয়ের জেরে খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এদিনই ভোরে খুন হয়েছেন কোচবিহারের শীতলকুচির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের নীলিমা বর্মণ। খুন হয়েছেন তাঁর স্বামী বিমলচন্দ্র বর্মণ এবং এক মেয়েও। গুরুতর জখম অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন নীলিমার আরও এক মেয়ে। রাজ্যের দু প্রান্তে একই দিনে দুই তৃণমূল নেতার খুনে উদ্বেগ শাসক শিবিরেও। 

    কেবল এই দুই খুন নয়, দিন তিনেক আগে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ল্যাংচা দোকানের (Nadia) সামনে খুন হন কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা। সাত সকালে তাঁকেও খুন করে পালিয়ে যায় খুনিরা। রাজুর খুনের আততায়ীরা এখনও অধরা। এরই মধ্যে একই দিনে পর পর দুটি খুনের ঘটনা এ রাজ্যেই। দিন দিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ। রাজ্যের ওপর কী ক্রমেই শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাশ? উঠছে প্রশ্ন।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistan: ‘আমরা ভারতকে ভালবাসি, ভালবাসি পঞ্জাবকে’, বললেন শিখ নেতা  

    Khalistan: ‘আমরা ভারতকে ভালবাসি, ভালবাসি পঞ্জাবকে’, বললেন শিখ নেতা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মিলিয়নেরও বেশি শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন উত্তর আমেরিকায়। তার মধ্যে ভারতীয় দূতাবাসের কাছে বিক্ষোভ দেখিয়েছে জনা পঞ্চাশেক। ভারতের (India) বাইরে খালিস্থানপন্থীদের (Khalistan) হামলা নিয়ে এই ভাষায়ই প্রতিক্রিয়া জানালেন যশদীপ সিং নামে আমেরিকার এক শিখ (Sikh) নেতা।

    খালিস্থানপন্থীদের (Khalistan) হামলা…

    সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইংল্যান্ড এবং আমেরিকায় শুরু হয়েছে খালিস্তানপন্থীদের দাপাদাপি। কোথাও ভাঙা হচ্ছে মন্দির, কোথাও আবার মন্দিরের দেওয়ালের গায়ে লিখে দেওয়া হচ্ছে ভারত বিরোধী স্লোগান। আবার কোথাও পুজো করতে গিয়ে খালিস্তানপন্থীদের হুমকির মুখে পড়ছেন ভক্তরা। ভারতীয় দূতাবাসের সামনেও তাণ্ডব চালিয়েছে তারা। কোথাও দূতাবাসের সামনে থাকা ভারতের জাতীয় পতাকা টেনে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ওড়ানো হয়েছে কল্পিত খালিস্তানের (Khalistan) ঝান্ডা। তবে এ সবই যে হাতে গোণা কয়েকজনের কাজ, তা জানিয়ে দিলেন আমেরিকার শিখ নেতা যশদীপ।

    তিনি বলেন, ভারতের বাইরে কানাডা, আমেরিকায় যা দেখানো হচ্ছে, তা মিডিয়ার অতিরঞ্জিত করা খবর। তিনি বলেন, উত্তর আমেরিকায় এক মিলিয়নেরও বেশি শিখ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেবলমাত্র ৫০ জন ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। যশদীপ বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা মিলিয়ে ২৫০-র মতো মানুষ এদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তার জেরে ভারতে এবং বিদেশে বিপদে পড়ছেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। অথচ তাঁরা ভারতকে ভালবাসেন, ভালবাসেন পঞ্জাবকে।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    প্রসঙ্গত, পঞ্জাব প্রদেশ নিয়ে পৃথক খালিস্তান (Khalistan) রাষ্ট্রের দাবি করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। প্রথমে ভারতের পঞ্জাব ও পাক পঞ্জাব নিয়ে পৃথক খালিস্তান রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হলেও, আটের দশকে দাবি করা হয় হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থানের কিছু অংশ। সম্প্রতি এই আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়েছে। কারণ স্বঘোষিত ধর্মগুরু অমৃতপাল সিং পৃথক খালিস্তানের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ভারতীয়দের ওপর হামলা চালাচ্ছে খালিস্তানপন্থীরা। অমৃতপালকে পাকিস্তান মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জেরেই বাড়বাড়ন্ত খালিস্তানি আন্দোলনের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Environment: ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে জঙ্গল ধ্বংস করে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স? প্রতিবাদে সরব বিজেপি বিধায়ক

    Environment: ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে জঙ্গল ধ্বংস করে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স? প্রতিবাদে সরব বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পরিবেশ (Environment) বাঁচাতে কজনই বা এগিয়ে আসেন? কিন্তু উত্তরবঙ্গে বন ও নদী বাঁচাতে আন্দোলনে নেমেছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক, বিজেপির (BJP) শঙ্কর ঘোষ। উত্তরবঙ্গের মূল সৌন্দর্য হল ওই নদী আর বনজঙ্গল। কিন্তু সম্প্রতি একটি খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন থেকে তিনি জানতে পারেন, ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি জঙ্গলে একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণ হচ্ছে, যা পরিবেশবান্ধব নয়।  বনজঙ্গল ধ্বংস করেই সেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। যা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। 

    শঙ্করবাবুর মূল অভিযোগ কী ? 

    অভিযোগ, কোনওরকম নিয়মের তোয়াক্কা না করে এবং বনজঙ্গল (Forest) ধ্বংস করে চলছে এই নির্মাণকার্য। এর ফলে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পের (Tourism) ওপর খারাপ প্রভাব পড়ছে। লাটাগুড়ির এই বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স (Commercial Complex) বানানো নিয়ে তাই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গের বন আইন, পরিবেশ (Environment) আইন ইত্যাদি কিছুই মানা হচ্ছে না এই নির্মাণকার্যে। শুধু এটি নয়, আরও অনেক হোটেল, রিসর্ট নির্মাণ হচ্ছে এইভাবেই, আইনকে তোয়াক্কা না করেই। অপরদিকে তিস্তা নদীতে ক্রাসার নামিয়ে প্রকাশ্যে পাথর তোলার কাজ চলছে। এতে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এরপর এর থেকে বড় কোনও বিপর্যয় ঘটতে পারে। আর এর প্রতিবাদেই আমি উত্তরবঙ্গে নদী ও বন বাঁচাতে আন্দোলন করছি। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বনভূমির এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনও কংক্রিটের নির্মাণ করা যাবে না। কোর এলাকায় পিচরাস্তা নির্মাণ হবে না। এক্ষেত্রে কিছুই মানা হয়নি। এছাড়া বন্যপ্রাণ আইনও ভাঙা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।

    বিধানসভাতে পর্যন্ত জানানো হয় ব্যাপারটি, কিন্তু তারপর ?

    গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি শঙ্করবাবু নিজে বিধানসভাতে মুখ্যমন্ত্রী, পর্যটনমন্ত্রী ও বনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জানান। তিনি চিঠি দিয়ে জানতে চান, এই নির্মাণকার্যের ক্ষেত্রে পরিবেশ (Environment) দফতরের ছাড়পত্র আছে কিনা। কিন্তু আজও তার সদুত্তর মেলেনি। এরপর আবার তিনি জেলাশাসককে চিঠি দেন। তিনি কোনও উত্তর না দিয়ে সেটি বনদফতরের কাছে রেফার করে দেন। সেখান থেকেও কোনও উত্তর আসেনি বলে তিনি জানিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি পরিবেশপ্রেমীদের একজোট করে এর প্রতিবাদে সরব হবেন বলেই জানিয়েছেন। পাশাপাশি গ্রিন বেঞ্চে মামলা করবেন বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    তাঁর এই অভিযোগের ব্যাপারে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কী জানিয়েছেন ?

    দুদিন উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শিলিগুড়ির বিধায়কের অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ উঠতে তিনি বলেন, “শঙ্কর ঘোষ বিধানসভায় বিষয়টি তোলেননি। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক ঠিক কথা বলছেন না। লাটাগুড়ির যে নির্মাণকার্য নিয়ে তিনি অভিযোগ করছেন, সেটি কোর এরিয়ার মধ্যে নয়। তার আগে থেকেই সেখানে অনেক বাড়ি রয়েছে। আর গরুমারা হল অভয়ারণ্য। তাই সেখানে নির্মাণের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। নির্মাণ হচ্ছে লাটাগুড়িতে। ওই নির্মাণ আমাদের এলাকায় হচ্ছে না, তাই এই নির্মাণকার্যে আমরা বাধা দিতে পারি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share