Tag: bangla news

bangla news

  • Jalpaiguri: ভাই ও তাঁর স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে কী দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    Jalpaiguri: ভাই ও তাঁর স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে কী দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  ভাই ও তাঁর স্ত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে পাঁচদিন আগেই  জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের পান্ডাপাড়া রোড এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবোধ ভট্টাচার্য এবং জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অপর্ণা ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। এই ঘটনা নিয়ে সুবোধবাবুর দিদি তথা বিজেপি বিধায়ক জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায় কয়েকজনের নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু, পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বুধবার বিকেলে তিনি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায় ফের যান। থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ দায়ের করার পরেও কেন অভিযুক্তরা গ্রেফতার হল না, তা তিনি জানতে চান। পরে, এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দেন। বিজেপি বিধায়ক বলেন, “এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি। তাই তিনি ওই পদে যতক্ষণ বসে থাকবেন ততক্ষণ পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে না। তাই পুলিশের তদন্তের উপর আমাদের কোনও ভরসা নেই। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সকলের, তাই তাঁর কাছে চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ জানালাম সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ যাঁরা অভিযুক্ত রয়েছেন, তাঁদের সরকারি এবং দলীয় পদ থেকে সরিয়ে পুলিশকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিন। অনুরোধ, মুখ্যমন্ত্রী যেন নিজেই এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চান।” পাশাপাশি জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে আদালতের নজরদারিতে ঘটনার তদন্তের দাবি জানানো হয়। 

    সুইসাইড নোটে কোন নেতার নাম লেখা রয়েছে?

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন অপর্ণা ভটাচার্য এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবোধ ভট্টাচার্যের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সুইসাইড নোট উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই তা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, সুইসাইড নোটে তাঁদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা যুব সভাপতি তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও আরও তিন জনের নাম পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, অপর্ণা ভট্টাচার্য ২০০০ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের কাউন্সিলর হিসেবে জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি জলপাইগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের চাইল্ডলাইনে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্বামী সুবোধবাবুও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির প্রাক্তন সদস্য। কয়েক বছর আগে তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে শিশু পাচার কাণ্ডের পর্দা ফাঁস হয়েছিল। 

    এনিয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কী বললেন?

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে যাঁরা জমি মাফিয়া বলছে, আমি তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “মনোময় সরকারের কাছ থেকে শিখা চট্টোপাধ্যায় ২১ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে কোতোয়ালিতে অভিযোগ জমা পরেছে। ৪ এপ্রিল তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে শিখা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি চাই এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে’, রাজ্যপালকে চিঠি বুদ্ধিজীবী সেলের

    BJP: ‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে’, রাজ্যপালকে চিঠি বুদ্ধিজীবী সেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় হামলা প্রসঙ্গে এই মর্মে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখল বিজেপির (BJP) বুদ্ধিজীবী সেল (Intellectual Cell)। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ২৬ জন বুদ্ধিজীবী। বিজেপির বুদ্ধিজীবী সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক পুলক নারায়ণ ধর বলেন, রাজ্যে যে অশান্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, সে ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নিন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচ্ছন্ন মদত ছাড়া পুলিশ এতটা নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না। পুলিশ দুর্নীতি ইস্যুতে চোখ বন্ধ করে রয়েছে। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে সময় চেয়েছেন তাঁরা।

    বিজেপির (BJP) বুদ্ধিজীবী সেল…

    রাজ্যপালকে লেখা ওই চিঠিতে (BJP) যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী রুবি মুখোপাধ্যায়, ডঃ গোপালচন্দ্র মিশ্র, প্রাক্তন আইএএস দীপক ঘোষ, লেখক দীপ্তিমান বসু, চলচ্চিত্র নির্মাতা কৌশিক অধিকারী, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষও। চিঠিতে আহ্বায়ক হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক পুলকনারায়ণ ধরের। চিঠির প্রথমেই বলা হয়েছে, হাওড়া ও পরে রিষড়ায় একটি ধার্মিক বিশ্বাসের মানুষের রামনবমীর শোভাযাত্রায় আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছি আমরা। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আপনার (রাজ্যপাল) আশ্বাসবাণী ছিল যে অপরাধীদের লৌহমুষ্ঠিতে দমন করা হবে, তা সত্ত্বেও এই ঘটনা ঘটে চলেছে। আইন ভঙ্গকারীরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর রাজ্যের পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে চোখ বন্ধ করে রয়েছে। এই জন্যই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা।

    আরও পড়ুুন: ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগে বিরোধীদের করা আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    এ থেকেই বোঝা যায়, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। নির্দ্বিধায় বলা যায়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই চোখ বন্ধ করে রয়েছে পুলিশ। বুদ্ধিজীবী (BJP) সেলের মতে, পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। অন্যত্রও অশান্তি ছড়াতে পারে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আমাদের ধারণা, দুর্নীতিতে জর্জরিত রাজ্য সরকার নজর ঘোরাতেই রাজ্যজুড়ে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি। সব ধর্মের মানুষের ধর্মাচরণের স্বাধীনতার রক্ষার পক্ষে দাবি জানাচ্ছি। পুলক নারায়ণ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দিষ্ট কোনও সম্প্রদায়ের দোষ ত্রুটি ঢেকে রাখছেন। রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক ও নেতিবাচক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগে বিরোধীদের করা আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগে বিরোধীদের করা আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মুখ পুড়ল বিরোধীদের। ইডি (ED) ও সিবিআইকে (CBI) হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই দুই সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করেছিল দেশের ১৪টি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল। বুধবার বিরোধীদের সেই পিটিশন খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেছে, কোনও নির্দিষ্ট উদাহরণ নিয়ে শুনানি চলতে পারে। কিন্তু সার্বিকভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে মামলার শুনানি ও রায়দান সম্ভব নয়। আবেদনকারী (Supreme Court) পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে প্রধান বিচারপতি বলেন, যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারবেন, তখন আবার আসবেন।

    সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন…

    প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছিল দেশের ১৪টি বিরোধী দল। কংগ্রেসের পাশাপাশি তাতে ছিল তৃণমূল, আপ, বাম, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি এবং বিআরএস-ও। এদিন আদালতে (Supreme Court) বিরোধীদের তরফে আইনজীবী মনু সিংভি জানান, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত শুরু করেছে, তাদের মধ্যে মাত্র ২৩ শতাংশ ক্ষেত্রে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। ২০০৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ইডি তদন্তাধীন ৯৩ শতাংশ রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল। ২০১৪ সালের পর থেকে সিবিআই ও ইডি যে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে, তাঁদের ৯৫ শতাংশই বিরোধী দলের নেতা। অথচ ইউপিএ সরকারের সময় যে ৭২ জন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল সিবিআই, তাদের মধ্যে ৪৩ জন বিরোধী দলের।

    আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই হনুমান জয়ন্তী, অশান্তি রুখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    শীর্ষ আদালত জানায়, মামলার আবেদনে লেখা হয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে সামগ্রিক রাজনৈতিক বিরোধিতা ও অন্যান্য সরব কণ্ঠস্বরকে ধ্বংস করা, দীর্ঘ দিনের জন্য তাদের জেলে বন্দি করার একটি স্পষ্ট নকশা দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি, মাঝেমধ্যেই ভয়াবহ আইন তৈরি করা হচ্ছে যাতে জামিন পাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, সিবিআই এবং ইডির অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী সহ ৮টি বিরোধী দলের ৯ জন  নেতা। ওই চিঠিতে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মতো নেতারা স্বাক্ষর করলেও, কংগ্রেসের কারও সই ছিল না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rishra: ছন্দে ফিরছে রিষড়া, পুলিশ কমিশনারেটে ডেপুটেশন দিলেন লকেট

    Rishra: ছন্দে ফিরছে রিষড়া, পুলিশ কমিশনারেটে ডেপুটেশন দিলেন লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বুধবার থেকে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে রিষড়া (Rishra)। রিষড়ার ৪ নম্বর রেলগেটের কাছে হাতেগোনা দু-একটি মুদিখানা, সব্জির দোকান খুলেছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্ক কাটিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে কেনাকাটাও করেছেন। তবে, রাস্তায় এদিন কোনও জটলা করতে দেয়নি পুলিশ। গোটা রিষড়া (Rishra) জুড়ে প্রায় ৭০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। এদিন এলাকায় দিনভর পুলিশি টহল রয়েছে। রিষড়া, শ্রীরামপুর দুজায়গায় এদিনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। চন্দননগর ও হুগলি গ্রামীণ পুলিশের পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে পাঠানো হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। রিষড়ার (Rishra) ৪ নম্বর রেল গেট এলাকায় অশান্তির জেরে সোমবার রাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবারও আতঙ্কে বিস্তীর্ণ এলাকা একেবারে থমথমে ছিল। এমনকী ব্যান্ডেল-হাওড়া লাইনে মঙ্গলবার লোকাল ট্রেনও খাঁ খাঁ করেছিল। তবে, বুধবার ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় ছিল।

    পুলিশ কমিশনারেটে ডেপুটেশন দিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়?

    মঙ্গলবার বালি থেকে ট্রেন রুটে রিষড়ায় (Rishra) গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ট্রেন থেকে নামার পর ব্যাপক পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। পূর্ব ঘোষণা মতো রিষড়াকাণ্ড ইস্যুতে  বুধবার হুগলির চুঁচুড়ার ঘড়ি মোড়ে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত হন। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ সেখানে হাজির হন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি পুলিশ কমিশনারেট অফিসের দিকে যান। বিজেপি-র ডেপুটেশন কর্মসূচির জন্য আগে থেকেই পুলিশ কমিশনারেটের অফিসের সামনে গার্ডরেল দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। সেখানে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল। ফলে, বিজেপি কর্মীরা কমিশনারেটের অফিসের সামনে আসতেই পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। পরে, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পুলিশ কমিশনারের অফিসে যান। তবে, পুলিশ কমিশনার না থাকায় ডিসি (সদর) মিসেস নিধিরানির কাছে তাঁরা ডেপুটেশন জমা দেন। ডেপুটেশন দিয়ে বেরিয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, খেলনা পিস্তল নিয়ে একজনকে রিষড়া থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আর যারা ট্রেনে পাথর ছুঁড়ল, এলাকায় হামলা চালাল পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিল না। সাগরদিঘিতে ভরাডুবি হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী পরিকল্পিতভাবে এসব করছে। যারজন্য হনুমান জয়ন্তীতে গন্ডগোল হবে তা তিনি আগাম বলে দিচ্ছেন। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে রিষড়া (Rishra) নিয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য বলেছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Mobile Phone: মোবাইলে আড়াই লাখের অর্ডার দিয়ে ফেলেছে মেয়ে! একরত্তিকে কী শাস্তি দিলেন মহিলা?

    Mobile Phone: মোবাইলে আড়াই লাখের অর্ডার দিয়ে ফেলেছে মেয়ে! একরত্তিকে কী শাস্তি দিলেন মহিলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র পাঁচ বছর। নাম লীলা ভ্যারিস্কো। আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস-এর বাসিন্দা সে। মায়ের সঙ্গে গাড়িতে চেপে ফিরছিল বাড়ি। চালকের আসনে বসে আছেন মা। আর মেয়ে পিছনে সিটে বসে মায়ের মোবাইল (Mobile Phone) নিয়ে খেলতে ব্যস্ত।

    কিন্তু কে জানত, মোবাইল (Mobile Phone) নিয়ে খেলতে খেলতেই মেয়ে এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড বাধিয়ে ফেলবে! ঘটনাটা তখনই জানতে পারেননি মা। পরে বাড়ি ফিরে যখন মোবাইলের নানা জিনিস ঘাঁটাঘুঁটি করে দেখছেন, তখনই তাঁর নজর আটকে গেল একটি নামী অনলাইন কেনাবেচা সংস্থার অ্যাপে।  এ কী কাণ্ড! তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে অর্ডার চলে গেছে ওই সংস্থায়। তাও আবার এক-দু টাকার অর্ডার নয়। ডলারে যার অঙ্ক চার হাজারের কাছাকাছি। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। কিন্তু তিনি তো অর্ডার দেননি। তাহলে কী করে এমনটা হল। না, ধাঁধার মধ্যে তাঁকে বেশিক্ষণ থাকতে হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যই তিনি বুঝে যান, কী করে এমনটা ঘটেছে। ‘বাই নাউ’ বাটনে ক্লিক করে দিয়েছে তাঁর আদরের কন্যাসন্তানই। ব্যস, এবার হ্যাপা সামলাও।

    মোবাইল (Mobile Phone) কী অর্ডার দিয়েছে শুনবেন?

    বাচ্চাদের খেলনা ১০টি মোটরসাইকেল, একটি জিপ এবং মেয়েদের সাত নম্বর সাইজের কাউগার্ল জুতো। এসব দেখে তো মাথায় হাত মহিলার। রাতেই ফোন করে ফেললেন সংস্থার কাস্টমার কেয়ারে। কিন্তু তখন অনেকটা সময় দেরি হয়ে গিয়েছে। হলে অর্ডার করার সব জিনিস তখনই ক্যানসেল করা যায়নি। কারণ বেশ কিছু জিনিস ওই সংস্থা যখন ডেসপ্যাচ করে দিয়েছে। ভাবছেন, ওই মহিলা আদরের মেয়েকে দু’ঘা কষিয়ে দিয়েছেন, দিয়েছেন চরম শিক্ষা। কিন্তু না তেমনটা ঘটেনি। তিনি মেয়েকে কিছুই বলেননি। তাঁর মতে, তিনি তাঁকে শাস্তি দিতে চান না। এই ঘটনার পর ভবিষ্যতের জন্য সে চরম শিক্ষা পাক, সেটাই তিনি চেয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে অশান্তি রুখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা কেন্দ্রের  

    Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে অশান্তি রুখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা কেন্দ্রের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়। সামনেই হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti)। ফের যাতে অশান্তি না হয়, সেজন্য আগেভাগেই রাজ্যগুলিকে একটি অ্যাডভাইসারি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। হনুমান জয়ন্তীর প্রস্তুতি ও সেই অনুষ্ঠানের সময় যাতে কোনও অশান্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে সতর্ক করা হয়েছে রাজ্যগুলিকে।

    হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti)…

    ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে পালিত হবে হনুমান জয়ন্তী। ওই দিন দেশের কোথাও যাতে অশান্তির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে বার্তা দিয়ে এই অ্যাডভাইসারি জারি করেছে কেন্দ্র। যে অ্যাডভাইসারি জারি হয়েছে, তা নিয়ে ট্যুইটে লেখা রয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) প্রস্তুতি নিয়ে অ্যাডভাইসারি জারি করছে। সরকারগুলিকে বলা হচ্ছে, যাতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হয়। এবং সেই সমস্ত ফ্যাক্টরে যাতে নজর দেওয়া হয়, যা সাম্প্রদায়িক শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হনুমান জয়ন্তী প্রসঙ্গে সমস্ত রাজ্যকে অ্যাডভাইসারি দেওয়া হয়েছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা, শান্তিপূর্ণভাবে এই অনুষ্ঠান পালন করা, সমস্ত বিষয় যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে, তা যাতে না ঘটে, সেদিকে নজর রাখার বিষয়ে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী! শান্তি বজায় রাখতে কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    প্রসঙ্গত, বুধবার হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) অনুমতি সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বাংলায় যেসব এলাকায় অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে, হনুমান জয়ন্তীর প্রাক্কালে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে ফ্ল্যাগ মার্চ করেছে পুলিশ। ওই এলাকায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও অন্যান্য সংগঠনের তরফে কোনও শোভাযাত্রা বের করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত বছর দিল্লির ওই এলাকায়ই হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে হিংসা ছড়িয়েছিল। সেই ঘটনায় ৮ জন পুলিশ কর্মী ও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জখম হয়েছিলেন।

    প্রসঙ্গত, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে ব্যাপক অশান্তি হয় হাওড়ার কাজিপাড়া ও শিবপুরে। অশান্তি হয়েছে হুগলির রিষড়াও। উত্তেজনার আঁচ ছড়িয়েছে কোন্নগরেও। সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই চলে এসেছে হনুমান জয়ন্তী। এদিন কোনও অশান্তি হয় কিনা, তাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal People: আদিবাসীদের সড়ক ও রেল অবরোধে স্তব্ধ জঙ্গলমহল, ব্যাপক ভোগান্তি

    Tribal People: আদিবাসীদের সড়ক ও রেল অবরোধে স্তব্ধ জঙ্গলমহল, ব্যাপক ভোগান্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব ঘোষণা মতো বুধবার পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে রেল অবরোধে সামিল হলেন সংগঠনের সদস্যরা (Tribal People)। এদিন সকাল থেকেই তীর, ধনুক, ধামসা-মাদল নিয়ে সংগঠনের সদস্যরা স্টেশনে এসে জমায়েত হন। পরে, বিভিন্ন দাবিদাওয়ার স্লোগান তুলে রেল লাইনে নেমে অবরোধ শুরু করেন। সকাল পাঁচটা থেকে রেল অবরোধ শুরু করে। পাশাপাশি সড়ক অবরোধ করা হয়। একইসঙ্গে ঝাড়গ্রামেও সংগঠনের পক্ষ থেকে রেল অবরোধ করা হয়। ফলে, এদিন সাধারণ মানুষ চরম নাকাল হন। হাজার হাজার যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

    আন্দোলনের জেরে কত ট্রেন বাতিল হল?

    সকাল থেকে রেল অবরোধ করার জন্য খড়গপুর-আদ্রা শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একাধিক ট্রেন বাতিল হয়ে যায়। আগাম রেল অবরোধের কথা ঘোষণা করায় দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুম্বই এবং আদ্রা শাখার বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়। জানা গিয়েছে, টাটা-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া -হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া-বরবিল জনশতাব্দী, হাওড়া-রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু মেমু স্পেশাল বাতিল করা হয়েছে। এমনিতেই মঙ্গলবার বেলা ১০টা নাগাদ অনির্দিষ্টকালের জন্য খড়গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এদিন জাতীয় সড়কের পাশাপাশি রেলপথও অবরোধ করা হয়। ফলে, জাতীয় সড়কে লাইন দিয়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর নতুন করে রেল অবরোধ শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।

    আন্দোলন নিয়ে কী বললেন কুড়মি সমাজের নেতা?

    আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে এই আন্দোলন করা হয়েছে। আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত বলেন, আমরা রাজ্য সরকারকে বহুদিন ধরে সময় দিয়েছি। কিন্তু, আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই। তাই, আমরা এর আগেই এই কর্মসূচি নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলাম। রাজ্য সরকার আমাদের দাবির বিষয়ে বিবেচনা না করলে আমরা এই আন্দোলন আরও জোরদার করব। প্রয়োজনে জঙ্গলমহল স্তব্ধ করে দেব। এর আগে ‘কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ’ সংগঠনের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত বলেন, ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া সহ বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকা জুড়ে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হয়। দাবিদাওয়া আদায়ে এবার সেই আন্দোলন আরও জোরদার করা হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Horse Carriage: ফাইট, মোস্তাক ফাইট! ৬৫ বছর বয়সেও শনশন করে টমটম ছোটাচ্ছেন মোস্তাক

    Horse Carriage: ফাইট, মোস্তাক ফাইট! ৬৫ বছর বয়সেও শনশন করে টমটম ছোটাচ্ছেন মোস্তাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অদম্য ইচ্ছাশক্তি। সঙ্গে সাহসও। এমনই দুই বৈশিষ্ট্যের যেন মেলবন্ধন বছর ৬৫ এর মোস্তাক আলি। ছোটবেলা থেকেই সংসারের জন্য লড়াই আর লড়াই। টমটম অর্থাৎ ঘোড়ার গাড়িই (Horse Carriage) তাঁর বন্ধু, জীবনসঙ্গী। তাই এলাকায় টমটম চালক হিসাবেই সুপরিচিত মোস্তাক।

    কলিয়াচকের (Kaliachak) ২ নম্বর ব্লকের পীরুটোলা গ্রামের বাসিন্দা তিনি।  এই এলাকায় ৪টি ঘোড়ার গাড়ি দৌড়ায়। তার মধ্যে মোস্তাকেরটিই বেশি পরিচিত। কারণ এই বয়সেও (Old Age) তিনি অবিরাম একই কাজ করে চলেছেন উৎসাহের সঙ্গে। মুখে মৃদু হাসি, চোখেমুখে বয়সের ছাপ। তবুও যেন হার না মানা চরিত্র।

    এই মানুষটি তাঁর পেশা সম্পর্কে কী বলছেন?

    মোস্তাক আলি বলেন,  “ছোট থেকেই আমি এই কাজ করছি। অন্য কাজ আর কীই বা করব? তাই সাতপাঁচ না ভেবে এই কাজটিই আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত করতে চাই।” জানা গেল, তাঁর দৈনিক আয় ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, যা আজকের বাজারে অনেক কম হলেও সাহস আর মনের জোরে টমটম চালক হিসাবেই রয়েছেন কলিয়াচকে। বললেন, এক সময় অনেক যাত্রী হত। কিন্তু আজকাল কমে গেছে। তাই দোকানহাটে মাল বহন করে যা আয় হয়, তাতেই সংসার (Family) চলে। তিনি জানান, এক সময় এই অঞ্চলে পাঁচশোর বেশি ঘোড়ার গাড়ি (Horse Carriage) ছিল। সেসব গাড়ি বৈষ্ণবনগর, মোথাবাড়ি, সাহাবাজপুর, গোলাপগঞ্জ, কালিয়াচক প্রভৃতি রুটে ছুটে বেড়াত। তিনি এখন মোথাবাড়ি, অচিনতলা সিলামপুর ও কালিয়াচক রুটে ঘোড়ার গাড়ি চালিয়েই জীবিকার নির্বাহ করেন।

    এই বয়সেও অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা মোস্তাক

    এক সময় এই এলাকা সহ পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গাতেই যোগাযোগের (Communication) মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হত এই টমটম। কিন্তু কালের নিয়মে তা আজ শেষের পথে। আজ এই এলাকায় ঘোড়ার গাড়ির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪টিতে। তবুও এই বয়সে মনের জোর নিয়েই মোস্তাক তাঁর ঘোড়ার গাড়িকে (Horse Carriage) ছুটিয়ে নিয়ে চলেছেন কলিয়াচক জুড়ে। আজ ৬৫ বছর বয়সেও তিনি নিজে অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। কখনও নিজের মনে মনে গান করে ছুটিয়ে নিয়ে চলেন তাঁর টমটম। আর এইসবই তাঁকে আরও উৎসাহ আর মনের জোর দেয় বলে দাবি মোস্তাকের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: রাজু খুনে দুই সাক্ষীকে ‘অরক্ষিত’ অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হল কেন? প্রশ্ন বিজেপির

    BJP: রাজু খুনে দুই সাক্ষীকে ‘অরক্ষিত’ অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হল কেন? প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা (Coal) ব্যবসায়ী রাজু ঝা (Raju Jha)-র খুনের মামলায় প্রধান দুই সাক্ষী ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও আব্দুল লতিফের গাড়িচালক নুর হোসেনকে অরক্ষিত অবস্থায় ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, এই মামলার মূল দুই সাক্ষীকে কোনও নিরাপত্তা দেয়নি পুলিশ। জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ন’টা নাগাদ পুলিশ সুপারের অফিস থেকে বেরিয়ে যান ব্রতীন ও নুর। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের প্রশ্ন, ব্রতীন ও নুরকে কীভাবে ছেড়ে দিল পুলিশ? জেরা শেষে কেন তাঁদের হেফাজতে নিল না পুলিশ?

    দুই সাক্ষীর বয়ান…

    তিনি বলেন, দুই সাক্ষী আলাদা আলাদা বয়ান দিয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁদের অরক্ষিত অবস্থায় ছাড়া হল কেন? পুলিশ কী করে জানল ওঁদের ওপর আক্রমণ হবে না? মৃত্যুঞ্জয় (BJP) বলেন, বাহাত্তর ঘণ্টা হতে চলল। এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি দলদাস পুলিশ। রাজ্য সরকারকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে জেলা পুলিশ। নাহলে খুন করে গাড়ি ফেলে খুনিরা পালিয়ে গেল কীভাবে? তাঁর প্রশ্ন, ধামাচাপা দিতেই কি সিট গঠন? প্রসঙ্গত, সোমবারই পুলিশ সুপারের দফতরে ব্রতীনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিটের সদস্যরা। নুরকেও সেখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। নুরের দাবি, গাড়িতে ছিলেন আব্দুল লতিফ। এফআইআরেও তিনি একই দাবি করেছেন। যদিও লতিফকে তিনি চেনেন না বলেই দাবি করেছেন ব্রতীন।

    আরও পড়ুুন: সাভারকার ইস্যুতে রাহুলকে নিশানা গডকড়ির, একহাত নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশও

    এদিকে, রাজু খুনে আততায়ীদের ব্যবহৃত নীল রংয়ের গাড়িটি দিল্লি থেকে চুরি করা হয়েছিল। গাড়িটির ফরেন্সিক পরীক্ষা করে একথা জানান বিশেষজ্ঞরা। গাড়িটির ইঞ্জিন ও চ্যাসি নম্বর জানতে গিয়ে তদন্তকারীরা দেখেন, সেগুলি উঘা দিয়ে ঘসে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরে রাসায়নিক ব্যবহার করে ইঞ্জিন ও চ্যাসি নম্বর উদ্ধার করা হয়। তখনই জানা যায়, গাড়িটি গুরুগ্রাম থেকে চুরি গিয়েছিল জানুয়ারি মাসে। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে জাল নম্বর প্লেট ব্যবহার করেছিল আততায়ীরা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, রাজু যেদিন খুন হন, সেদিন ভোরে গাড়িটি যায় ঝাড়খণ্ডে। পরে সুপারি কিলারদের নিয়ে যায় শক্তিগড়ে। ঝাড়খণ্ডের টোল প্লাজার সিসিটিভির সেই ফুটেজ এসেছে পুলিশের হাতে। ওই গাড়িতে উদ্ধার হয়েছে ২টি সেভেন এমএম পিস্তল, ১২ রাউন্ড গুলি ও বেশ কয়েকটি নম্বর প্লেট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: মাথায় বুলেটপ্রুফ টুপি, কাঁধের পিছনে ব্যালিস্টিক শিল্ড, কড়া প্রহরায় আদালতে ইমরান

    Imran Khan: মাথায় বুলেটপ্রুফ টুপি, কাঁধের পিছনে ব্যালিস্টিক শিল্ড, কড়া প্রহরায় আদালতে ইমরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরা জনসভায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তাই এবার আর কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চায়নি পুলিশ। বুধবার লাহোর আদালতে তোলা হল পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan)। তাঁর মাথা থেকে কাঁধ পর্যন্ত রয়েছে গোলাকার বুলেটপ্রুফ টুপি। কাঁধের পিছনে ঝুলছে বুলেটপ্রুফ ব্যালিস্টিক শিল্ড। জানা গিয়েছে, এদিন কড়া প্রহরায় ইমরানকে নিয়ে আসা হয়েছে আদালতে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা তাঁর কাঁধের পিছনে ঝুলিয়ে রেখেছেন বুলেটপ্রুফ ব্যালিস্টিক শিল্ড। ব্যালিস্টিক শিল্ড দিয়ে ইমরান খানের চারপাশে একটি বৃত্তও তৈরি করে রাখা হয়েছে।

    ইমরান খানের (Imran Khan) অভিযোগ…

    পাকিস্তান সরকার তাঁকে হত্যা করতে চায় বলে আগে একাধিকবার দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (Imran Khan)। পাকিস্তান পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগও তুলেছেন ইমরান। তাঁর দাবি, জারদারি তাঁকে হত্যার জন্য সন্ত্রাসবাদীদের সুপারিও দিয়েছেন। এহেন অভিযোগের আবহে ইমরানের নিরাপত্তায় কড়া প্রহরার ব্যবস্থা করায় শুরু হয়েছে জোর চর্চা। গত বছরের শেষের দিকে পাকিস্তানের এক জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। গুলি লাগে পায়ে। প্রাণে বাঁচলেও জখম হন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান। ওই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল লাহোর।

    পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর (Imran Khan) বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে ইসলামাবাদের দুটি আদালত জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এর একটি হল তোষাখানা মামলা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান যেসব বহুমূল্য উপহার পেয়েছিলেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে, সেগুলি তিনি তোষাখানায় জমা দেননি বলে অভিযোগ। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাক সংসদ তাঁর সদস্যপদ খারিজ করে দিয়েছে। আগামী ছ বছর নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। কিছু দিন আগে ইমরানের লাহোরের বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ। সেদিন অবশ্য সমর্থকদের বাধায় ইমরানকে গ্রেফতার করা যায়নি। পরে গ্রেফতার করা হয় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। এদিন তোলা হয় আদালতে।

    আরও পড়ুুন: সাভারকার ইস্যুতে রাহুলকে নিশানা গডকড়ির, একহাত নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share