Tag: bangla news

bangla news

  • Dengue: জায়গা নেই, একটি বেডে দুজন ডেঙ্গি আক্রান্ত! আতঙ্কে ২ রোগীর পরিজনরা

    Dengue: জায়গা নেই, একটি বেডে দুজন ডেঙ্গি আক্রান্ত! আতঙ্কে ২ রোগীর পরিজনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া জেলায় গত দুসপ্তাহের মধ্যে দুজন ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। জেলায় হু হু করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গির চোখ রাঙানিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সরকারি হাসপাতালে। নাজেহাল হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই তীব্র হওয়ায় বেডে জায়গা নেই রোগীদের। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের।

    রোগীর পরিবারের লোকজনেরা কী বললেন?

    গত কয়েক মাস ধরে গোটা জেলা জুড়ে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের নাজেহাল অবস্থা। অনেকটাই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগী পরিবার গুলিকে। বেডে জায়গা না থাকার কারণে মেঝেতেই শুয়ে চিকিৎসা চলছে অনেক ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের। কিন্তু সেই একই চিত্র ধরা পড়ল শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। একটি ওয়ার্ডে রয়েছে চল্লিশটি বেড। আর ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী রয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি, তার মধ্যেও অন্যান্য রোগীদেরও চলছে চিকিৎসা। রোগীর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। কিন্তু, বাস্তবে এই হাসপাতালে কোনও পরিকাঠামোই নেই। ফলে, ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। আরও বেড সংখ্যা বাড়লে হয়তো চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হত রোগীদের। কিন্তু, সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও নজর নেই। ফলে, একটি বেডে দুজন আক্রান্তকে রেখেই চলছে চিকিৎসা। ফলে, হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসেও রোগীরা আতঙ্কিত রয়েছেন।

    কী বললেন হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা?

     হাসপাতলে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মীদের বক্তব্য, দিনরাত এক করে আমরা কাজ করছি। কিন্তু, কিছুতেই সামাল দিতে পারছি না। এখন একটাই দুশ্চিন্তা আমাদের, প্রতিদিনই যেভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে রোগীদের সামলাতে গিয়ে নিজেরাও বেসামাল হয়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে, ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মুখে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Derek O’Brien: ধনখড়ের সঙ্গে তুমুল বিতণ্ডা, বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক

    Derek O’Brien: ধনখড়ের সঙ্গে তুমুল বিতণ্ডা, বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমের পর ফের মঙ্গলবার। এবারও অসংসদীয় আচরণের অভিযোগের আঙুল উঠল রাজ্যসভার সাংসদ তৃণমূলের (TMC) ডেরেক ও’ব্রায়েনের (Derek O’Brien) দিকে। তার জেরে সংসদের বাদল অধিবশনের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করা হল এই তৃণমূল নেতাকে।

    ডেরেক ধনখড় তর্কাতর্কি

    সোমবার দিল্লি অর্ডিন্যান্স নিয়ে বিতর্ক চলছিল রাজ্যসভায়। বিলের বিরোধিতায় বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূলের ডেরেক (Derek O’Brien)। বিল নিয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগও তোলেন তিনি। উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় তাঁকে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে অনুরোধ করেন। অন্য সদস্যদের বলতে সুযোগ দেওয়ার জন্য যে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করা প্রয়োজন, তাও মনে করিয়ে দেন ধনখড়। সেসব কথায় কান না দিয়ে বক্তব্য চালিয়ে যেতে থাকেন তৃণমূল নেতা। এনিয়েই এদিন ব্যাপক তর্কাতর্কি হয় ডেরেকের সঙ্গে ধনখড়ের।

    ফের শুরু হট্টগোল

    মঙ্গলবার অধিবেশন শুরু হওয়ার পরেই রাজ্যসভায় শুরু হয় হট্টগোল। সাংসদ কংগ্রেসের রাজীব শুক্লা বলেন, “ভারতকে ডিজিটাল করার চেষ্টা চলছে, আর গতকাল (সোমবার) সংসদে ভোটাভুটি করা হয়নি।” ইলেকট্রনিক ভোটিং ব্যবস্থা বিকল হওয়ায় সমস্যা হয়। তার জেরে এদিন রাজীব বলেন, “চেয়ারম্যান যেন দোষীদের তিরস্কার করে দেন।” তখনই ধনখড় বলেন, “যদি কোনও ভুল হয়, আমি তা শুধরে নিই। আগের দিনই ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien) দুটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তিনি সঠিক ছিলেন। তাই আমি নিজে সেই বদল করেছিলাম।“

    এরপর মণিপুর নিয়ে হট্টগোল জুড়ে দেন বিরোধীরা। ধনখড় তাঁদের বলেন ইতিমধ্যেই এনিয়ে রাজ্যসভায় বক্তব্য পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তখনই ‘পয়েন্ট অফ অর্ডার’ ডেকে ওঠেন ডেরেক (Derek O’Brien)। এবং নিজের বক্তব্য পেশ করতে শুরু করেন। তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আমরা মণিপুর ইস্যুতে আলোচনা চাই। তবে সরকার পক্ষ যেভাবে এই আলোচনা চাইছে, আমরা তা চাই না।” ধনখড় তাঁকে বসিয়ে দিয়ে ‘পয়েন্ট অফ অর্ডারে’র নিয়মাবলীর ক্রমতালিকা জিজ্ঞেস করেন। ডেরেক বলেন, “৯২ পাতার ২৬৭ নম্বর নিয়ম।”

    আরও পড়ুুন: মোদির মুখে ‘কুইট ইন্ডিয়া’! জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবসের মঞ্চে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    এর পরে ফের শুরু হয় তীব্র হট্টগোল। চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন ধনখড়। তখনই রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গোয়াল ডেরেকের সাসপেনশনের প্রস্তাব দেন। তার পরেই সাসপেন্ড করা হয় ডেরেককে (Derek O’Brien)। অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করে বেরিয়ে যান চেয়ারম্যান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Mohun Bagan: ডার্বি নিয়ে চিন্তিত নই! ফুটবলারদের ফিট রাখাটাই আসল, দাবি মোহন-কোচের

    Mohun Bagan: ডার্বি নিয়ে চিন্তিত নই! ফুটবলারদের ফিট রাখাটাই আসল, দাবি মোহন-কোচের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডুরান্ড কাপে মোহনবাগানের জয়ের ধারা অব্যাহত। সোমবার কিশোরভারাতী স্টেডিয়ামে সবুজ মেরুন ব্রিগেড ২-০ গোলে হারালো পাঞ্জাব এফ সি কে। প্রথম গোলটি আত্মঘাতী। দ্বিতীয় গোলটি করেন হুগো বোমাস। এই জয়ের সুবাদে গ্রুপ শীর্ষে চলে গেল মোহনবাগান। যা শনিবার ডার্বির আগে ফেরান্দোর ফুটবলারদের মনোবল অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে।

    আক্রমণাত্মক ফুটবল

    তবে স্কোরলাইন থেকে যদি মনে হয় ম্যাচটা একতরফা হয়েছে তাহলে ভুল হবে। শুরুতে দুই দল একে অপরকে মেপে নেওয়ার চেষ্টা করে। তার মধ্যে গড়ে ওঠে কিছু বিক্ষিপ্ত আক্রমণ। মনবীরের ক্রস থেকে প্রথম গোলটি হয়। ডান দিক থেকে আসা ক্রসটি ক্লিয়ার করতে গিয়ে পিছলে পড়ে যান পাঞ্জাব এফ সির মেলরয় আসিসি। বল তাঁর পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায় (১-০)। দ্বিতীয়ার্ধে  ব্যবধান বাড়ান হুগো বোমাস। বাঁ দিক থেকে বিপক্ষের বক্সে বল ভাসান লিস্টন কোলাসো। যা ধরে গোল করার চেষ্টা করেন বোমাস। কিন্তু পাঞ্জাবের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ফিরতি বল গোলে ঠেলতে ভুল করেননি মোহনবাগনের তারকা স্ট্রাইকার।

    তবে বৃষ্টি ভেজা মাঠে পাসিং ফুটবল খেলতে বেশ সমস্যায় পড়েন দুই দলের ফুটবলাররা। মোহনবাগান কোচ হুগো ফেরান্দো এই মরশুমে প্রথমবার বিদেশীদের মাঠে নামালেন। অভিষেক হল আনোয়ার আলিরও। মোহনবাগানের এই জয় প্রত্যাশিত। কারণ দল গঠনের ক্ষেত্রে এবার কার্পণ্য করেননি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। কোটি কোটি টাকা খরচ করে শক্তিশালী দল গড়ে তুলেছেন। নিয়েছেন দেশের প্রথম সারির এক ঝাঁক ফুটবলারকে।

    চিন্তামুক্ত নন কোচ ফেরান্দো

    তবে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে মোহনবাগান জয় পেলেও চিন্তামুক্ত থাকতে পারলেন না কোচ ফেরান্দো। গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে পাঞ্জাব এফসি। ভাগ্য তাদের সহায় হলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেও পারতো। জোয়ান মিরার শর্ট ক্রস পিসে লেগে প্রতিহত না হলে ব্যবধান কমাতে পারতো পাঞ্জাব। ৫৬ মিনিটে লুকাসের চকিত শট দক্ষতার সঙ্গে সেভ করেন মোহনবাগানে গোলরক্ষক বিশাল কেইথ। প্রিয় দলের জয় খুশির হাওয়া মোহনবাগান শিবিরে। সমর্থকদের উচ্ছাস ছিল চোখে পড়ার মতো। কারণ শনিবার মরশুমের প্রথম ডার্বি। অশ্বমেধ ঘোড়ার মতো ছুটছে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। উল্টোদিকে ধুঁকছে ইস্টবেঙ্গল। তবে ফেরান্দো জানেন ডার্বির গুরুত্ব কতটা অপরিসীম। তাই ছেলেদের চাপ মুক্ত রাখতে তিনি বলছেন, “আমি শুধু ডার্বি নিয়ে ভাবছি না। একইসঙ্গে কলকাতা লিগ এবং এফসি কাপকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছি। সেই কারণেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হচ্ছে ছেলেদের। যাতে ক্লান্তি গ্রাস না করতে পারে। সামনে অনেক ম্যাচ। অবশ্যই ডার্বিকে বাড়তি প্রাধান্য দিতে হবে। তাই ফুটবলারদের ফিট রাখাটাও জরুরী।”

  • Chandrayaan 3: পিছন দিকে মুখ করে চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কেন?

    Chandrayaan 3: পিছন দিকে মুখ করে চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কেন?

    সুশান্ত দাস

    চাঁদের চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) নিজের গতি ও কক্ষপথের পরিধি দুই-ই কমিয়ে ফেলছে। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ প্রথম কক্ষপথ বদল করেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। এইভাবে আরও চারবার এই একই প্রক্রিয়া চালানো হবে। যার শেষে চাঁদ থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকবে ভারতের মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। সেখান থেকে শুরু হবে চূড়ান্ত অবরতণের প্রক্রিয়া।

    পেরিজি ও অ্যাপোজি ঠিক কী?

    কিন্তু, কীভাবে গতি কমানোর প্রক্রিয়া সম্ভব হচ্ছে? তা বোঝার আগে দেখে দেখে নেওয়া যাক উৎক্ষেপণের পর টানা ১৮ দিন ধরে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে ঠিক কীভাবে নিজের কক্ষপথ ও গতি বাড়িয়েছিল মহাকাশযানটি (ISRO Moon Mission)। তাহলেই সহজ হবে গোটা বিষয়টি। ১৪ তারিখ উৎক্ষেপণের সময় চন্দ্রযান মডিউলকে পৃথিবীর থেকে ১৭০ কিলোমিটার (পেরিজি) x ৩৬ হাজার কিলোমিটার (অ্যাপোজি) পরিধির ডিম্বাকৃতি কক্ষপথে স্থাপন করে এলভিএম-৩ রকেট। আগে দেখে নেওয়া যাক, পেরিজি ও অ্যাপোজি ঠিক কী? যেমনটা বলা হয়েছে, কক্ষপথের আকার ডিম্বাকৃতি। অর্থাৎ, একটি চন্দ্রযান পৃথিবীর চারপাশে এমন একটি কক্ষপথে ছিল, যার দূরত্ব (পৃথিবী থেকে) একটি জায়গায় ন্যূনতম এবং ঠিক তার উল্টোদিকে বৃহত্তম। এই ন্যূনতম দূরত্বের অবস্থানকে বলা হয় পেরিজি (অর্থ- পৃথিবীর কাছে)। অন্যদিকে দীর্ঘতম দূরত্বের পয়েন্টকে বলা হয় অ্যাপোজি (অর্থ- পৃথিবীর দূরে)।

    গতি ও কক্ষপথ বদলের নেপথ্যে ‘পেরিজি ফায়ারিং’! সেটা কী?

    এই ভাবে পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে করেত কয়েক দিন অন্তর যখন ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) ওই পেরিজি পয়েন্টে এসে পৌঁছত, তখন বেঙ্গালুরুতে স্থিত ইসরোর মিশন কন্ট্রোল (ISTRAC) থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং করিয়ে তার কক্ষপথ বাড়িয়ে দেওয়া হতো। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় প্রথম আর্থ-বাউন্ড পেরিজি ফায়ারিং (Earth Bound Perigee Firing)। এটা সম্ভব হতো কারণ, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর দিশা যে দিকে থাকত, ঠিক সেই দিকে তার মাথা থাকতো, আর রকেট ইঞ্জিন থাকতো লেজ বা পিছনের দিকে। রকেট ফায়ারিংয়ের ফলে, ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলের গতি বেড়ে যেত। এক কথায় তাকে কিছুটা বাড়তি ধাক্কা দিয়ে গতি বৃদ্ধি করে দেওয়া হতো, যার ফলস্বরূপ, কক্ষপথের পরিধিও বেড়ে যেত।

    পৃথিবীর বৃত্তে কেমন ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’-এর কক্ষপথ বদল?

    এই ফায়ারিং যেহেতু পেরিজিতে করা হতো, তাই পেরিজি-দূরত্বে খুব একটা হের-ফের না হলেও অ্যাপোজি-দূরত্ব অনেকটা বেড়ে যেত। যেমন, অরবিট রেইজিং ম্যানুভারের (Orbit Raising Maneuvre) ফলে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর কক্ষপথের পরিধি বেড়ে হয়েছিল ১৭৩ কিমি x ৪১,৭৬২ কিমি। এর পর পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যানুভারের পর ‘চন্দ্রযান ৩’ কক্ষপথের পরিধি হয় যথাক্রমে ২২৬ কিমি x ৪১,৬০৩ কিমি, ২২৮ কিমি x ৫১,৪০০ কিমি এবং ২৩৩ কিমি x ৭১,৩৫১ কিমি। শেষ তথা পঞ্চম ম্যানুভারে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) কক্ষপথের পরিধি বেড়ে হয়েছিল ২৩৬ কিমি x ১,২৭,৬০৯ কিমি। পাঁচবার চক্কর কাটার পর, প্রয়োজনীয় গতি জোগাড় করা ‘চন্দ্রযান ৩’-কে গত ১ অগাস্ট নিক্ষেপ করা হয় চন্দ্র-বৃত্তে। এর পর প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত শনিবার চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করে ‘চন্দ্রযান ৩’। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় চলে আসে ভারতের মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। এবার তখন থেকে শুরু হয় উল্টো পদ্ধতি— অর্থাৎ গতি ও কক্ষপথের পরিধি কমানোর পালা। কী করে তা সম্ভব হলো?

    রিভার্স-গিয়ারে চাঁদের চারপাশে ঘুরছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কীভাবে?

    ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করানোর সময় এমনভাবে রকেট ফায়ারিং করা হয়, যাতে দিশা এক থাকলেও, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর মাথা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায়। অর্থাৎ, পৃথিবী থেকে চাঁদের দিকে এগনোর সময় ‘চন্দ্রযান ৩’-এর মাথা ছিল চন্দ্র-অভিমুখে। এবার মডিউলের মুখ বিপরীত দিকে থাকায় চাঁদের চারপাশে মহাকাশযান প্রদক্ষিণ করে চলেছে পিছন দিকে মুখ করে। এক কথায়, যেন ‘চন্দ্রযান ৩’ চাঁদের চারপাশে ঘুরে চলেছে ব্যাক বা রিভার্স-গিয়ারে। অর্থাৎ, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর দিশা যেদিকে রয়েছে, সেদিকে রয়েছে রকেটের ইঞ্জিন। এবার লুনার পেরিজি ফায়ারিং বা পেরিলিউন ফায়ারিং-এর (Perilune Firing) মাধ্যমে সীমিত সময়ের জন্য রকেট চালানো হচ্ছে। এর ফলে, রকেট ব্যাক-থ্রাস্ট দিচ্ছে মহাকাশযানকে। অনেকটা ব্রেক কষার মতো। ফলস্বরূপ, এইভাবে বারে বারে ধাক্কা খেতে খেতে গতি ও পরিধি কমিয়ে নিচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। এক কথায়, আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভারের ঠিক বিপরীত হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার। কারণ, যে রকেট পৃথিবীর কক্ষে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর গতি বাড়াতে সাহায্য করছিল, তা এখন উল্টোভাবে রেট্রো-রকেটের ভূমিকা পালন করে গতি কমাতে সাহায্য করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের জের! আগামী কয়েকদিন কলকাতা-সহ রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের জের! আগামী কয়েকদিন কলকাতা-সহ রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণ শেষে দুর্যোগের ঘনঘটা। বঙ্গোপসাগরে (Bay Of Bengal)উত্তর বাংলাদেশ সংলগ্ন এলাকায় ফের ঘূর্ণাবর্ত (Cyclone) তৈরি হয়েছে। অবস্থান বদল করে মৌসুমী অক্ষরেখা আপাতত বিহারের ভাগলপুর ও মালদার ওপর দিয়ে বাংলাদেশ হয়ে মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। তার জেরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর।  

    দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাত

    রবিবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছিল। সোমবার কলকাতা সহ জেলায় জেলায় দিনভর চলছে একটানা বৃষ্টি। কখনও ঝিরঝিরে, কখনও ইলশেগুঁড়ি, কখনও আবার প্রবল বর্ষণ জেলায় জেলায়। সোমবারের মতো মঙ্গলবারও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আরও আট জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। সঙ্গে ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগেবইবে ঝড়ো হাওয়া। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের জন্য জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।  

    শহরে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাবে মঙ্গলবার ও বুধবারেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতায় মেঘলা থাকবে আকাশ । আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা মঙ্গলবার এবং বুধবারও সারাদিনে পর্যন্ত ৭ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৯ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ। এদিনও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজবে তিলোত্তমা। সোমবার বৃষ্টি হয়েছে ১৫.১ মিলিমিটার। বৃষ্টির কারণে কমেছে তাপমাত্রা।

    আরও পড়ুন: মোদির মুখে ‘কুইট ইন্ডিয়া’! জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবসের মঞ্চে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি

    বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গেও। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় আজ অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। মঙ্গলবারে অতি ভারী বৃষ্টি অর্থাৎ ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পার্বত্য এলাকা দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Data Protection Bill: লোকসভায় পাশ ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল, জানেন কী আছে বিলে?

    Data Protection Bill: লোকসভায় পাশ ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল, জানেন কী আছে বিলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হয়ে গেল ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল (Data Protection Bill) ২০২৩। বিলটিতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ব্যক্তিগত তথ্য প্রোটেকশন আইন লঙ্ঘিত হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে কম করে ৫০ কোটি টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই লোকসভায় পেশ হয়েছিল বিলটি। বিলটি পুনর্বিবেচনার জন্য স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। সোমবার লোকসভায় সেই বিলটিই পাশ হয়ে গেল ধ্বনি ভোটে।

    প্রথমবার বিলটি পেশ হয়েছিল ২০১৯ সালে

    ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে লোকসভায় বিলটি পেশ করেছিল মোদি সরকার। বিলটি পাঠানো হয়েছিল সংসদের যুগ্ম কমিটির কাছে। বিলটি নিয়ে আলোচনার পর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে রিপোর্ট পাঠায় যুগ্ম কমিটি। সেই সময় বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এবং সংস্থা আপত্তি জানায় বিলটিতে। শেষমেশ ২০২২ সালের অগাস্টে প্রত্যাহার করা হয় বিলটি। নয়া খসড়া বানিয়ে ফের পেশ করা হয় বৃহস্পতিবার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের ডিজিটাল (Data Protection Bill) প্রয়াস গোটা বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ভারতকে দেখেই অনেক দেশ ইউপিআই চালু করার চেষ্টা করছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সৌজন্যে বর্তমানে শহর থেকে গ্রামকে অনায়াসেই সংযুক্ত করা যায়। ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার অধিকারকে সুনিশ্চিত করতেই এই বিল আনার সিদ্ধান্ত। সংসদীয় কমিটির একাধিক বৈঠকের পর এই বিলটি তৈরি করা হয়।”

    তথ্য সুরক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব

    এই বিলে একটি তথ্য সুরক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, এই বোর্ড যদি তদন্তের পর জানায়, কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা এই ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা আইনের বিধানগুলি লঙ্ঘন করেছে, তাহলে ওই ব্যক্তি বা সংস্থাকে প্রথমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। পরে করা হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার চার ‘অযোগ্য’ শিক্ষক, পাঠানো হল প্রেসিডেন্সির গারদে

    ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল (Data Protection Bill) ২০২৩ বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে কোনও পদক্ষেপ করা হলে কেন্দ্রীয় সরকার, তথ্য সুরক্ষা বোর্ড, বোর্ডের চেয়ারপার্সন এবং বোর্ডের কোনও সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনও মামলা বা অন্য কোনও আইনি প্রক্রিয়া করা যাবে না। তথ্য সুরক্ষা বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী, জনসাধারণের স্বার্থে কোনও বিষয়বস্তু ব্লক করতে পারবে কেন্দ্র। জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো জরুরি পরিস্থিতিতে আইনিভাবে এই সব ডিজিটাল তথ্য ব্যবহার করতে পারবে কেন্দ্র।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার চার ‘অযোগ্য’ শিক্ষক, পাঠানো হল প্রেসিডেন্সির গারদে

    Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার চার ‘অযোগ্য’ শিক্ষক, পাঠানো হল প্রেসিডেন্সির গারদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার চার শিক্ষক। নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় এই প্রথম কোনও শিক্ষককে গ্রেফতার করা হল। এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে যাঁদের হাত ধরে অযোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদের। আজ, সোমবার আলিপুর আদালতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের ওই চার শিক্ষককে।

    গ্রেফতার ৪ শিক্ষক 

    এর পরেই তাঁদের গ্রেফতারির নির্দেশ দেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। ওই শিক্ষকদের পাঠানো হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। এদিন যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন সাইগার হোসেন, জাহিরউদ্দিন শেখ, সমীর হোসেন এবং সৌগত মণ্ডল। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম ছিল এই চার শিক্ষকের। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের পর টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলে সিবিআইয়ের কাছে কবুল করেছিলেন এঁরা।

    কবুল করেছিলেন অপরাধ?

    জানা গিয়েছে, এঁরা প্রত্যেকেই প্রাথমিক (Recruitment Scam) স্কুলের শিক্ষক। প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তাপস মণ্ডলের মাধ্যমে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। সিবিআইয়ের কাছে এই মর্মে বিবৃতিও দিয়েছিলেন এই চারজন। এঁদের বয়ানকে হাতিয়ার করে তাপসের বিরুদ্ধে তথ্য হিসেবে এবং সাক্ষী হিসেবে চার্জশিটে উল্লেখ করেছিলেন তদন্তকারীরা। এ ব্যাপারে এদিন তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, নিজেরা অযোগ্য জেনেও এঁরা টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছেন। এঁরা তো বাকিদের সঙ্গে সমান অভিযুক্ত। এর পরেই ওই শিক্ষকদের গ্রেফতারির নির্দেশ দেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    এদিন শুনানিতে বিচারক চট্টোপাধ্যায় এই শিক্ষকদের আইনজীবীকে বলেন, “আপনার মক্কেলদের কেন জামিন দেব? এরাই সেই পাবলিক, যার জন্য এতগুলো মানুষ ভুগছে।” অভিযুক্তদের উদ্দেশেও তাঁর প্রশ্ন, “আপনাদেরই বলতে হবে যে কেন আপনাদের জামিন দেব।” এদিকে, এদিনই নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা। দিন কয়েক আগেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন, শতরূপাকে এভাবে আটকে রাখার কোনও মানে হয় না। এদিন বিচারপতি ঘোষই শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন শতরূপাকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Chandrayaan 3: প্রথম চন্দ্র-কক্ষপথ বদল প্রক্রিয়া সফল, চাঁদের আরও কাছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: প্রথম চন্দ্র-কক্ষপথ বদল প্রক্রিয়া সফল, চাঁদের আরও কাছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শনিবারই চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। গতকাল চাঁদের প্রথম ছবি পাঠিয়েছে ভারতের তৃতীয় চন্দ্র মহাকাশযান। সেই সঙ্গে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’।  

    এর সঙ্গে সঙ্গেই, গতকাল আরেকটি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। একটি ট্যুইটে ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের চারপাশ প্রদক্ষিণ করতে করতে গতকাল রাত ১১টা নাগাদ প্রথম বার কক্ষপথ সঙ্কোচন সফলভাবে ঘটিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার (Moon-bound Maneuvre)। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদ থেকে এই মুহূর্তে চন্দ্রযানের দূরত্ব মাত্র ৪ হাজার ৩১৩ কিলোমিটার। ইসরোর ট্যুইট অনুযায়ী, ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) বর্তমানে ১৭০ কিমি (অ্যাপোলিউন বা চন্দ্র থেকে নিকটে) x ৪,৩১৩ কিমি (পেরিলিউন বা চন্দ্র থেকে দূরে) কক্ষপথে অবস্থান করছে। 

    ধাপে ধাপে এমনই কয়েক বার কক্ষপথ পরিবর্তন করে চাঁদে পৌঁছবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। দ্বিতীয় কক্ষপথ সঙ্কোচন প্রক্রিয়া হতে চলেছে ৯ অগাস্ট দুপুর ১টা থেকে ২টোর মধ্যে। মোট পাঁচ বার কক্ষপথ পরিবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর। এইভাবে বার বার কক্ষপথ সঙ্কোচন এবং সেই সঙ্গে গতি কমিয়ে চন্দ্রের ১০০ কিমি কক্ষপথে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল। সেখানে পৌঁছনোর পর ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলের থেকে ল্যান্ডার মডিউল আলাদা হবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সেখান থেকে সম্ভবত আগামী ২৩ তারিখ চূড়ান্ত অবতরণ বা ‘টাচডাউন’-এর দিকে এগিয়ে যাবে ল্যান্ডার মডিউল। সম্ভবত, অগাস্টের ২৩ তারিখ হবে কাঙ্খিত ‘সফট-ল্যান্ডিং’।

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে একদিকে কক্ষপথের পরিধি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি গতিও বাড়িয়ে চলেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। পাঁচবার এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর গত ১ অগাস্ট এক লাফে চন্দ্র-বৃত্তে পৌঁছে যায় ‘চন্দ্রযান ৩’। সেখান থেকে প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ পৌঁছে যায় চাঁদের কক্ষপথের কাছে। পরের ধাপে গত ৫ তারিখ, চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় চলে আসে ‘চন্দ্রযান ৩’। সেই থেকে চাঁদের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ভারতের মহাকাশযান। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Behala Road Accident: শিশুমৃত্যুর জের! বেহালা চৌরাস্তাকে হকারমুক্ত করতে নামল বুলডোজার 

    Behala Road Accident: শিশুমৃত্যুর জের! বেহালা চৌরাস্তাকে হকারমুক্ত করতে নামল বুলডোজার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেহালা চৌরাস্তায় ট্রাকের ধাক্কায় শিশু মৃত্যুর (Behala accident) পর রাতারাতি বদলে গিয়েছে বেহালার রাস্তার চিত্র। রাস্তায় জায়গায় জায়গায় বসেছে পুলিশি পাহারা, বসানো হয়েছে ড্রপগেট। তার পাশাপাশি এবার রাস্তার দুপাশের হকারদের সরিয়ে দিয়ে রাস্তা চওড়া করার কাজও শুরু হল (Behala Hawker eviction)।  রবিবার রাত থেকেই বেহালা চৌরাস্তায় নেমেছে বুলডোজার। ইতিমধ্যেই দু’ফুট করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তায় বসা হকারদের। বহু গুমটি তুলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক গুমটি মালিকের খোঁজ না মেলায় বুলডোজার দিয়ে সেগুলি তুলে নেওয়া হয়েছে। রাতভর চলেছে এই কাজ।

    বেহালার রাস্তায় বুলডোজার

    গত শুক্রবার বেহালা চৌরাস্তা এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে সাত বছরের শিশু সৌরনীল সরকার। তারপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এতদিন তাদের চোখ বন্ধ ছিল বলে দাবি, স্থানীয়দের।  ফুটপাথের দু’পাশ থেকে বেআইনি নির্মাণ এবং দোকান ইত্যাদি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জনসাধারণের চলাচলের পরিসর প্রশস্ত করার জন্য। সেই মর্মে প্রশাসনিক পদক্ষেপও করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রশাসনিক পদক্ষেপের এই পর্যায়ে ভাঙা পড়তে পারে ‘বেআইনি ভাবে’ তৈরি ফুটপাথ লাগোয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘এসি রুম’। 

    ভাঙা পড়তে চলেছে পার্থের কার্যালয়

    তার মৃত্যুতে বেহালার জনতার ক্ষোভের আঁচ পৌঁছেছে চরমে। সেই ক্ষোভ প্রশমিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে প্রশাসন।গত কয়েক দিনের ঘটনাক্রম তেমনই বলছে। কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভা একযোগে বেহালার ডায়মন্ড হারবার রোডের ফুটপাথ লাগোয়া অংশে বেআইনি ভাবে তৈরি যাবতীয় নির্মাণ ভাঙতে উদ্যোগী হচ্ছে। সেই সূত্রেই বেহালা ম্যান্টনের কাছের ফুটপাথে বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থের বসার যে বাতানুকূল ঘরটি রয়েছে, সেটি নজরে এসেছে প্রশাসনের। তার পরেই সেটি ভাঙার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে প্রশাসন। 

    আরও পড়ুন: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    ২০২২ সালের জুলাইয়ে শেষ বার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এসে ওই বাতানুকূল ঘরটিতেই বসেছিলেন তিনি। ২০২২ সালের ২৩ জুলাই পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর বিধায়ক কার্যালয় খোলা হলেও ওই ঘরটি আর খোলা হয়নি। তবে সেটি পরিচ্ছন্ন রাখা হত। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী রাখী চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘শাসকদলের এত বড় একজন নেতা হয়ে দিনের পর দিন বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বেহালার আইন সচেতন মানুষ সকলেই জানতেন, তাঁর ওই বসার জায়গাটি বেআইনি ভাবে তৈরি। এ ছাড়াও বেহালা ম্যান্টনের ওই ফুটপাথ এবং ডায়মন্ড হারবার রোডের বড় একটা অংশ পার্থবাবু ও তাঁর অনুগামীদের জন্য গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে রাখতে পুলিশ। ক্ষমতায় আছেন বলে কেউ মুখ খুলত না। এ সব কাজ দিনের পর দিন হয়েছে বেহালার মানুষের চোখের সামনে। আমরা সবাই তখন চোখ বুজে ছিলাম। গরিব মা-বাবার সন্তানকে প্রাণ দিয়ে আমাদের চোখ খোলাতে হয়েছে। এটা আমাদের মতো বেহালাবাসীদের কাছে লজ্জার। এমন আরও অনেক কাজ পার্থবাবু বেহালায় করে গিয়েছেন, যা দিনে দিনে প্রকাশ পাবে।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi AIIMS: দিল্লির এইমসে আগুন, আতঙ্ক, দ্রুত সরানো হল জরুরি বিভাগের রোগীদের

    Delhi AIIMS: দিল্লির এইমসে আগুন, আতঙ্ক, দ্রুত সরানো হল জরুরি বিভাগের রোগীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগুন লাগল দিল্লির এইমসে (Delhi AIIMS)। আজ, সোমবার দুপুরের দিকে এইমের এন্ডোস্কোপি বিভাগে আগুন দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত চলে আসে দমকলের আটটি ইঞ্জিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয় আগুন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ জায়গায়।

    সরানো হল রোগীদের

    এন্ডোস্কোপি বিভাগটি রয়েছে দোতলায়। এই বিভাগের ঠিক নিচেই রয়েছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। এইমস সূত্র খবর, এদিন বেলা ১২টা নাগাদ আচমকাই হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আগুন লাগার খবর দেওয়া হয় দমকলে। এর পাশাপাশি দ্রুত রোগীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ জায়গায়। আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ছোটাছুটি শুরু করে দেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চিকিৎসকরাও। ততক্ষণে এন্ডোস্কোপি বিভাগ থেকে গলগল করে কালো বের হতে দেখা যায়। এদিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত চলে আসে দিল্লি (Delhi AIIMS) দমকলের ছটি ইঞ্জিন।

    আগুন নিয়ন্ত্রণে

    পরে আসে আরও দুটি ইঞ্জিন। আটটি ইঞ্জিনের মিলিত প্রচেষ্টায় আয়ত্ত্বে আসে আগুন। এইমস কর্তৃপক্ষের (Delhi AIIMS) তরফেও জানানো হয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অকুস্থল ঘুরে দেখেছেন হাসপাতালের ডিরেক্টর। ডিরেক্টর বলেন, কোনও রোগীর ক্ষতি হয়নি। সকলকেই নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। দেশের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে থাকা এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কীভাবে আগুন লাগল, তা অবশ্য জানা যায়নি। দিল্লি দমকলের আধিকারিকরা জানান, আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। আগুন লাগার কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুন বলে দমকল কর্তাদের অনুমান।

    আরও পড়ুুন: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষের দিকে সাইবার হামলা হয়েছিল দিল্লির (Delhi AIIMS) এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পক্ষকালের বেশি সময় ধরে অকেজো হয়ে পড়েছিল হাসপাতালের কম্পিউটার সিস্টেম। নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বহু তথ্যও। তার পর এবার লাগল আগুন। তবে এবার অবশ্য কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share