Tag: bangla news

bangla news

  • Manipur: ফের হিংসার আগুন জ্বলল মণিপুরে, পুড়ে খাক ১৫ বাড়ি, গুলিতে জখম যুবক

    Manipur: ফের হিংসার আগুন জ্বলল মণিপুরে, পুড়ে খাক ১৫ বাড়ি, গুলিতে জখম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে ফের হিংসার আগুন জ্বলল মণিপুরে (Manipur)। বিষ্ণুপুর, চূড়াচাঁদপুরের পর এবার অশান্তির আগুনে পুড়ল ইম্ফল পশ্চিম জেলার লাংগল গ্রাম। এলাকার ১৫টি বাড়িতে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা। ছোড়া হল এলোপাথাড়ি গুলিও। গুলির ঘায়ে জখম হন এক যুবক। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় নিরাপত্তা বাহিনী। হিংসার এই ঘটনায় রবিবার দুপুর পর্যন্ত মৃত্যুর কোনও খবর মেলেনি। এদিকে, শনিবারই চেকন এলাকায় একটি বাণিজ্যিক ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। রবিবারও কারফিউ জারি রয়েছে পশ্চিম ইম্ফলে। আধাসেনার পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশও।

    বিষ্ণুপুরের কোয়াকতায় সংঘর্ষ

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে মণিপুরের (Manipur) বিষ্ণুপুরের কোয়াকতায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় অন্তত তিনজনের। এঁদের মধ্যে দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। আর একজন গ্রামরক্ষী। একাধিক বাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সংঘর্ষ চলেছিল শনিবার ভোর পর্যন্ত। সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষীও। জায়গাটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা থাকায় যৌথবাহিনীর গুলিতে হামলাকারীদের কেউ নিহত কিংবা আহত হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি।

    অশান্তির শুরু 

    রাজধানী ইম্ফল থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে বিষ্ণুপুর (Manipur) জেলা। জেলাটি মেইতেই অধ্যুষিত। ৩ মে অশান্তি শুরু হওয়ার পর এলাকা ছেড়ে পালায় কুকিরা। আবার চূড়াচাঁদপুর জেলায় কুকিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে মেইতেইরা। কোয়াকতা হল এই দুই জেলার মাঝামাঝি এলাকা। প্রশাসন জায়গাটিকে বাফার জোন হিসেবে আগলে রেখে চলছিল। শুক্রবার গভীর রাতে সংঘর্ষ শুরু হয় এখানেই।

    আরও পড়ুুন: প্রতারণার তথ্য লোপাট করতেই হামলা নুহর সাইবার ক্রাইম থানায়, দাবি হরিয়ানা সরকারের

    পুলিশ সূত্রে খবর, ওই রাতে বাফার জোন (Manipur) টপকে এলাকায় ঢুকে পড়ে কয়েকজন। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুর্বৃত্তরা। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মেইতেইরা। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় অন্তত তিনজনের। তাঁরা মেইতেই জনগোষ্ঠীর। এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগুনও। সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের জ্বলল অশান্তির আগুন। প্রসঙ্গত, ৩ মে অশান্তি শুরু হয় মণিপুরে। মেইতেইরা তফশিলি জাতির দাবি জানাচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তার প্রতিবাদ জানায় কুকি সহ বিভিন্ন জনজাতি। তার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Haryana: প্রতারণার তথ্য লোপাট করতেই হামলা নুহর সাইবার ক্রাইম থানায়, দাবি হরিয়ানা সরকারের

    Haryana: প্রতারণার তথ্য লোপাট করতেই হামলা নুহর সাইবার ক্রাইম থানায়, দাবি হরিয়ানা সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নুহ জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় যে হামলা হয়েছিল, তা প্রমাণ নষ্ট করতেই। চলতি বছরের প্রথম দিকে যেসব প্রতারণার খবর ফাঁস হয়েছিল, সে সংক্রান্ত নথি নষ্ট করতেই হামলা চালানো হয়েছিল। শনিবার এমনই দাবি করল হরিয়ানা (Haryana) সরকার। ৩১ জুলাই নুহতে হিংসার ঘটনা ঘটে। সেই সময়ই হামলা হয় সাইবার ক্রাইম থানায়। হিংসায় সব মিলিয়ে খুন হন ছ’ জন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন দুজন হোমগার্ড এবং একজন ধর্মগুরুও।

    হিংসার নেপথ্যে

    জানা গিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি শোভাযাত্রার পথ আগলানোয় শুরু হয় হিংসা। গত কয়েকদিন ধরে যে হিংসার আগুনে পুড়ছে গুরগাঁও-ও। হরিয়ানা সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তল্লাশি চালানোর সময় যেসব প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেগুলি নষ্ট করতেই হামলা চালানো হয়েছিল সাইবার পুলিশ স্টেশনে। এই থানায়ই সংরক্ষিত রয়েছে বিভিন্ন অপরাধ ও প্রতারণার তথ্য। গত এপ্রিলে ১০০ কোটি টাকার সাইবার প্রতারণার জাল ফাঁস করেছিল পুলিশ। হিংসার জেরে নুহ এখনও থমথমে।

    বন্ধ ইন্টারনেট

    হরিয়ানার (Haryana) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেন, সাইবার ক্রাইম থানায় হামলার ঘটনার বিষয়টিকে হালকাভাবে নিচ্ছে না সরকার। তিনি বলেন, নুহ ক্রমেই নতুন জামতাড়ায় পরিণত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া এলাকাটি ভারতের সাইবার ক্রাইম হাব হিসেবে কুখ্যাত। এদিকে, হিংসার আঁচ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য নুহ এবং পালওয়াল জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ৭ অগাস্ট বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে এসএমএস পরিষেবা। প্রসঙ্গত, হরিয়ানা সরকার ৫ অগাস্ট পর্যন্ত এসএমএস এবং ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত রেখেছিল।

    অন্যদিকে, নুহতে (Haryana) হিংসার মাঝে খুন করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে আম আদমি পার্টির নেতা আহমেদ জাভেদের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রদীপ কুমার নামে বজরং দলের এক কর্মীকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করার ঘটনায় তিনি জড়িত। পুলিশের দাবি, ৩১ জুলাই সোহানায় ওই খুন হয়। সেই খুনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন জাভেদ।

    আরও পড়ুুন: শিখদের হত্যা করতে বলেছিলেন জগদীশ টাইটলার! চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Jagdish Tytler: শিখদের হত্যা করতে বলেছিলেন জগদীশ টাইটলার! চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের

    Jagdish Tytler: শিখদের হত্যা করতে বলেছিলেন জগদীশ টাইটলার! চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি পদবি বিতর্কে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর। তবে ফের অস্বস্তিতে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। এবার শিখ-নিধনের অভিযোগে খুনের মামলা দায়ের হল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলারের (Jagdish Tytler) বিরুদ্ধে। চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে, ১৯৮৪ সালে শিখ বিরোধী মামলায় জগদীশ শিখদের হত্যা করার জন্য জনতাকে প্ররোচিত করেছিলেন।

    প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান

    চার্জশিটে যে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, সেখানে তাঁর দাবি, জগদীশ প্রথমে শিখদের হত্যা করতে জনতাকে বলেছিলেন। পরে বলেছিলেন, তাঁদের দোকান এবং মূল্যবান সামগ্রী লুট করতে। চার্জশিটে এও দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেস নেতা দাঙ্গাকারীদের এই বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। তাঁর (Jagdish Tytler) সংসদ ক্ষেত্রে অন্য কংগ্রেস সাংসদের আসনের তুলনায় বেশি শিখকে হত্যা করা হয়েছে কিনা, তাও তুলনা করে দেখছিলেন ওই কংগ্রেস নেতা। তিনি তাঁর অনুগামীদের আরও শিখকে আক্রমণ করতে বলেছিলেন।

    হত্যায় প্ররোচনা 

    চার্জশিটে প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, সেদিন জগদীশ একটি সাদা অ্যাম্বাসাডরে করে এসেছিলেন এবং জনতাকে প্ররোচিত করছিলেন। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর দুই শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে খুন হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তার পরেই দেশের বিভিন্ন অংশে শুরু হয় শিখদের ওপর অত্যাচার। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর টাইটলার জনতাকে শিখদের হত্যা করতে প্ররোচিত করেছিলেন। যার জেরে দিল্লির পল বাঙ্গাস গুরুদ্বারে আগুন লাগানো হয় এবং শিখ সম্প্রদায়ের তিনজনকে হত্যা করা হয়। জনতাকে প্ররোচিত করার পর ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় টাইটলারকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ব্যালটের পর ইভিএম খেতে তৈরি তৃণমূল’’, নন্দীগ্রামে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    দাঙ্গায় পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে তাঁর দোকান। এমন এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানও দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের চার্জশিটে। ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “তিনি (টাইটলার) (Jagdish Tytler) একটি গাড়িতে করে এলেন এবং জনতাকে বললেন প্রথমে শিখদের হত্যা কর, পরে লুট কর তাদের দোকান।” চার্জশিটে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে আরও এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান। সেখানে তিনি বলেছেন, “আমি (টাইটলার) তোমাদের আশ্বস্ত করছি, তোমাদের কিছুই হবে না। তোমরা শুধু শিখদের হত্যা কর।” সিবিআইয়ের দাবি, দাঙ্গায় যে জগদীশ টাইটলার জড়িত ছিলেন, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kashmir 370 article: ভূস্বর্গে অশান্তির আঁচ! ৩৭০ ধারা রদের চতুর্থ বার্ষিকীতে ফের গৃহবন্দি মেহবুবা মুফতি

    Kashmir 370 article: ভূস্বর্গে অশান্তির আঁচ! ৩৭০ ধারা রদের চতুর্থ বার্ষিকীতে ফের গৃহবন্দি মেহবুবা মুফতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গৃহবন্দি পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা (Kashmir 370 article) বিলোপের চতুর্থ বার্ষিকীর দিনেই ফের গৃহবন্দি করা হল তাঁকে। শুক্রবার রাতে গৃহবন্দি করা হয়েছে তাঁর দলের আরও কয়েকজন নেতাকে।

    গৃহবন্দি মুফতি 

    শনিবার ট্যুইট-বার্তায় মুফতি লেখেন, দলের অন্য পিডিপি নেতাদের পাশাপাশি আমিও গৃহবন্দি হয়ে রয়েছি। মধ্যরাত থেকে ধরপাকড় চলছিল। বেআইনিভাবে থানায় আটক করে রাখা হয়েছে দলের সদস্যদের। উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে সুপ্রিম কোর্টে দাবি করছে ভারত সরকার। ভয় পেয়েই যে এমন কাজ করছে, তা স্পষ্ট। তাঁর দাবি, একদিকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারের পূর্তিতে কাশ্মীরিদের উৎসবে শামিল হতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। তার জন্য বড় বড় পোস্টার, ব্যানার ঝোলানো হয়েছে শ্রীনগর সহ চারিদিকে। কিন্তু নৃশংস আচরণের মাধ্যমে কাশ্মীরের আবেগকেই পদদলিত করা হচ্ছে। মুফতি লিখেছেন, যে সময় অনুচ্ছেদ ৩৭০ (Kashmir 370 article) প্রত্যাহার করা নিয়ে মামলার শুনানি চলছে, আশাকরি, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। 

    শুনানি চলছে সাংবিধানিক বেঞ্চে

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে একটি সভা করার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছিল মুফতির দল। সেই আবেদন খারিজ করে দেয় প্রশাসন। এর পরেই মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয় বলে খবর। যদিও সভার অনুমতির বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। 

    প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে সংবিধানের ৩৭০ (Kashmir 370 article) নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বৈধতা বিচার করছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সাংবিধানিক বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে?”, উলুবেড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভাই যেখানে কার্যকর নয়, সেখানে ধারা প্রত্যাহার বা সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া আদৌ সম্ভব কিনা, কেন্দ্রের উদ্দেশে প্রশ্ন দেশের শীর্ষ আদালতের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৮ অগাস্ট। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে বাতিল করা হয় ৩৭০ ধারা। সেই সময় একবার গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতিকে। পরে অবশ্য মুক্তিও দেওয়া হয় তাঁদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে?”, উলুবেড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে?”, উলুবেড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ধর্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উলুবেড়িয়া থানাকে সিআইডির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত। ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ধরা না পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। বিচারপতির প্রশ্ন, “কতবার তল্লাশি হয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কী কী চেষ্টা করেছে পুলিশ। আমি দেখতে চাই কেস ডায়েরি থেকে কী কী চেষ্টা হয়েছে গ্রেফতারের। মূল অভিযুক্ত যিনি তিনি কি খুব প্রভাবশালী?” সিআইডি তদন্তের পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ, নির্যাতিতার পরিবারকে সশস্ত্র পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে।

    নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণ

    উলুবেড়িয়ায় সরকারি জায়গায় একটি ছোট চায়ের দোকান রয়েছে ওই নাবালিকার পরিবারের। মামলাকারীর অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজন দোকান বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তাঁদের চাপ দিচ্ছিল। তাঁর অভিযোগ, ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে তাঁর নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়। মামলাকারীর দাবি, পুলিশ প্রথমে তাঁর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পরে অভিযোগ নিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করলেও, মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। এর পরেই আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর দাবি, এর মধ্যেই সামাজিক চাপে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন তাঁর স্বামী। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, মূল অভিযুক্ত শেখ এক্রামূল তাঁদের হুমকি দিচ্ছে।

    ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

    এদিনের শুনানিতে আদালতে হাজির ছিলেন উলুবেড়িয়ার আইসি রামেশ্বর ওঝা এবং আইও। ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশ। বিচারপতি বলেন, “রাজ্যের দেওয়া তদন্ত রিপোর্ট, কেস ডায়েরি দেখে আদালত মনে করছে পুলিশ কিছু নথি দেখে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছে। যার জন্য পুলিশ গণধর্ষণের অভিযোগও মানতে চাইছে না। মাস পিটিশনের সঙ্গে দশ টাকার স্ট্যাম্প পেপারের তথ্য দেখে পুলিশ তাতেই মান্যতা দিয়েছে।” আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে, সেটাই তো পরিষ্কার নয়। এটা রাজ্যের লজ্জা। একজন নির্যাতিতার পাশে থাকা উচিত রাজ্যের। সেখানে রাজ্য পুলিশ থাকছে অভিযুক্তের পাশে। এটা চলতে পারে না।” বিচারপতি বলেন, “আদালত নিশ্চিত, মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পুলিশ ব্যর্থ। এটা রাজ্যের ব্যর্থতা। তাই সিআইডিকে তদন্ত হস্তান্তর করা হল।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Calcutta High Court: বোতলবন্দি জলেই শরীরে ঢুকছে বিষ! বৈধ পানীয় জল তৈরি সংস্থার তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ

    Calcutta High Court: বোতলবন্দি জলেই শরীরে ঢুকছে বিষ! বৈধ পানীয় জল তৈরি সংস্থার তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানীয় জলের মাধ্যমেই শরীরে ঢুকছে বিষ। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এবার বেআইনি পানীয় জলের রমরমা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যবাসীকে এ ব্যাপারে সতর্ক করার পাশাপাশি বৈধ পানীয় জল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির তালিকা তৈরির নির্দেশও রাজ্যকে দিয়েছে হাইকোর্ট। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের সর্বত্র নজরদারি চালিয়ে বেআইনি পানীয় জলের কারখানাগুলি বন্ধ করারও।

    রাজ্যের রিপোর্ট তলব

    বছর কয়েক ধরে প্যাকেজড ড্রিংঙ্কিং ওয়াটারের রমরম ব্যবসা চলছে। সেই জল আদৌ পরিস্রুত কিনা বা পানের যোগ্য কিনা তা যাচাই করা হয়নি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগেই গত বছর হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই রিপোর্টে রাজ্য জানিয়েছে, বেআইনি পানীয় জলের কারবার রুখতে গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একাধিক বেআইনি প্যাকেজিং ড্রিংঙ্কিং ওয়াটার কারখানা।  

    বেআইনি পানীয় জলের কারখানা

    মামলাকারীর অভিযোগ, রাজ্যে যত্রতত্র কুটির শিল্পের মতো গজিয়ে উঠেছে বেআইনি পানীয় জলের কারখানা। দূষিত পুকুর কিংবা নদী থেকে জল সংগ্রহ করে সেগুলিকে কৃত্রিম পদ্ধতিতে শোধন করে বোতলজাত করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডর্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ছাড়াই ওই সব কারখানা চালানো হচ্ছে। তার পরেই রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

    আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া রিপোর্টে রাজ্য জানায়, রাজ্যজুড়ে ৪১৩টি ইউনিটে হানা দিয়ে ৮৫টি বেআইনি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২১ সালের মধ্যে ৩৪০টি কারখানার জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮০টি নমুনা। আইনজীবীদের একাংশের মতে, রাজ্যের এই পদক্ষেপকে যথেষ্ট বলে মনে করছে না আদালত। তাই রাজ্যে কতগুলি জল তৈরির কারখানার লাইসেন্স রয়েছে, তার তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

    Abhishek Banerjee: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সরাসরি নাম জড়াল তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে ইডি যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে নাম রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর ভাইপোর। কালীঘাটের কাকুর সংস্থা থেকে অভিষেকের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে টাকা গিয়েছে বলেও চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি।

    ইডির স্ক্যানারে অভিষেকের সংস্থা

    জানা গিয়েছে, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বাবা-মা পরিচালিত তিনটি সংস্থা বর্তমানে বহু কোটি টাকার কয়লা চোরাচালান কেলেঙ্কারির তদন্তে ইডির স্ক্যানারে রয়েছে। এই তিন সংস্থায়ই তাঁরা পরিচালক কিংবা মনোনীত অংশীদার হিসেবে যুক্ত। এই তিনটি সংস্থা হল, লিপস অ্যন্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ইনফ্রা কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিমিটেড এবং লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস এলএলপি। এই তিনটি সংস্থাই নিবন্ধিত একই ঠিকানায়। ঠিকানাটি হল, পি ৭৩৩, ব্লক পি, নিউ আলিপুর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ ৭০০০৫৩।

    শেল কোম্পানি হিসেবে ব্যবহার 

    ইডি সূত্রে খবর, কয়লা কেলেঙ্কারির চাঁই অনুপ মাঝি ওরফে লালার মালিকানাধীন একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি থেকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে ৪.৩৭ কোটি টাকা। শেল কোম্পানি হিসেবে এই সংস্থাগুলিকে টাকা সরানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনে রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজের রেকর্ড অনুসারে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত অভিষেক (Abhishek Banerjee) নিজেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের একজন পরিচালক ছিলেন। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত অভিষেকের মা লতা। অভিষেকের বাবা অমিত যোগ দিয়েছিলেন ২ জানুয়ারি, ২০১৪।

    আরও পড়ুুন: “ইন্ডিয়া নয়, বিরোধী জোটকে ডাকুন ঘমন্ডিয়া নামে”, এনডিএ সাংসদদের বৈঠকে পরামর্শ মোদির

    ২০১৩ সালেই এই কোম্পানির ডিরেক্টর অভিষেকের দিকে আঙুল তুলেছিলেন সিপিএম নেতা গৌতম দেব। পরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমও তাক করেছেন অভিষেকের ওই সংস্থাকে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। চার্জশিটে ইডিরও অভিযোগ, কালীঘাটের কাকুর সংস্থা থেকে টাকা গিয়েছে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে।

    ২০২০ সালে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি সংস্থার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের একটি চুক্তি হয়। এরপর সুজয়কৃষ্ণের সংস্থা থেকে অভিষেকের সংস্থায় প্রায় এক কোটি টাকা পাঠানো হয় বলে জানানো হয়েছে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিস থেকেই এসডি কনসালটেন্সির কাজকর্ম পরিচালনা করার পাশাপাশি তার বিনিময়ে বিপুল অঙ্কের টাকা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে গিয়েছে বলেও দাবি ইডির। ইডি সূত্রে খরব, কলকাতার লি রোডে মেয়ে-জামাইকে আড়াই কোটি মূল্যের একটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Archery: তিরন্দাজিতে ভারতের ইতিহাস, ব্যক্তিগত ভাবে প্রথম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ১৭ বছরের অদিতি স্বামী

    Archery: তিরন্দাজিতে ভারতের ইতিহাস, ব্যক্তিগত ভাবে প্রথম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ১৭ বছরের অদিতি স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস গড়লেন অদিতি গোপীচাঁদ স্বামী (Aditi Swami)। তিরন্দাজিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেন ১৭ বছর বয়সের এই মেয়ে। হারালেন মেক্সিকোর আন্দ্রেয়া বেকেরাকে। ১৪৯-১৪৭ ব্যবধানে জিতলেন অদিতি। এই বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতলেন ভারতের জ্যোতি সুরেখা ভেনাম। সেমিফাইনালে জ্যোতিকে ১৪৯-১৪৫ হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন অদিতি। গত মাসে যুব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিরন্দাজির এশিয়া কাপেও সোনা জেতেন অদিতি। 

    সোনার মেয়ে অদিতি

    ব্যক্তিগত বিভাগে দেশের প্রথম তিরন্দাজ হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতলেন অদিতি। জার্মানির বার্লিনে আয়োজিত  তীরন্দাজি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ব্যক্তিগত বিভাগের কম্পাউন্ড ফাইনালে দু বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আন্দ্রেয়াকে হারিয়ে ইতিহাস গড়লেন মহারাষ্ট্রের সাতারার তীরন্দাজ।

    মাত্র ১১ বছর বয়সে তিরন্দাজি শুরু করেছিলেন অদিতি। এই বছরের শুরুতে তিরন্দাজির বিশ্বকাপে অনূর্ধ্ব-১৮ বিভাগে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। ৭২০ পয়েন্টের মধ্যে ৭১১ পেয়েছিলেন তিনি। আমেরিকার লিকা অ্যারিয়োলাকে ছ’পয়েন্টে হারিয়ে দিয়েছিলেন অদিতি।

    দলগত বিভাগেও সাফল্য

    চলতি বিশ্ব তিরন্দাজিতে গতকাল, শুক্রবার দলগত কমপাউন্ড ইভেন্টে জ্য়োতি সুরেখা ভেনম, পারনীত কৌরকে নিয়ে দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন অদিতি স্বামী। ফাইনালে তাঁরা ২৩৫-২২৯ ব্যবধানে হারিয়েছিলেন মেক্সিকোকে। ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    দীপিকা কুমারী, দোলা বন্দ্যোপাধ্যায়রা দেশকে অনেক সাফল্য এনে দিলেও কখনও বিশ্ব তিরন্দাজি চ্যাম্পিয়নশিপের ব্যক্তিগত বিভাগে সোনা জিততে পারেননি। তবে ২০২১ সালে তিরন্দাজি বিশ্বকাপে সোনা জিতেছিলেন দীপিকা। বিশ্ব তিরন্দাজি চ্যাম্পিয়নশিপে দু বার দলগত বিভাগে রুপো জিতলেও কখনও ব্যক্তিগত বিভাগে পদক জিততে পারেননি দীপিকা কুমারী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করলেন নুসরতের নাম জড়ানো সংস্থার মাধ্যমে ‘প্রতারিত’রা

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করলেন নুসরতের নাম জড়ানো সংস্থার মাধ্যমে ‘প্রতারিত’রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট বিক্রির নাম করে অগ্রিম টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। যাঁরা এই অভিযোগ তুলেছেন, সেই সব প্রবীণ সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের পর অনেকটাই আশ্বস্ত প্রতারণার অভিযোগ তোলা প্রবীণ নাগরিকরা। প্রায় ৩০-৫০ জন শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করেন। 

    নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    অভিযোগকারীদের বক্তব্য, এতদিন ধরে সংস্থার কর্তারা তাঁদের শুধুই ঘুরিয়ে গিয়েছেন। এর পাশাপাশি সংস্থার তরফে ২২২ জনকে টাকা ফেরত দেওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে, সেটাও পুরোটা ফেরত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এখন দশ বছর পেরিয়ে সেই টাকা সুদে-আসলে অঙ্কটা অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতারিত অভিযোগকারীরা চাইছেন, সেই সুদ-সহ টাকা ফেরত পেতে। যাঁরা তাঁদের সঙ্গে এই প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ, তাঁদেরও উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন প্রবীণ নাগরিকরা।

    আরও পড়ুুন: বাফার জোন টপকে এলোপাথাড়ি গুলি মণিপুরে, সংঘর্ষে মৃত ৩, পুড়ে খাক ঘরবাড়ি

    পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

    কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশে নয়, মানবিকতার খাতিরেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বৈঠক শেষে শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, ‘মোট ৪১৫ জন প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। মোট টাকার অঙ্ক ২৩ কোটি। ৩৩০ জন মিলে একটি ফোরাম তৈরি করেছেন। আমি ওনাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলেছি। ওনারা চান, প্রতারকদের শাস্তি হোক এবং ওনাদের মেহনতের টাকা অন্তন্ত ব্যাঙ্কের সুদ-সহ যাতে ওনারা ফেরত পান।’ বিরোধী দলনেতা জানান, আইনি লড়াই প্রবীণ নাগরিকরা যেভাবে চালাচ্ছেন, সেভাবে চালাবেন। তিনিও বিরোধী দলনেতা হিসেবে দেখবেন যাতে তাঁদের সেই আইনি লড়াইয়ের পথ সুগম হয়। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘প্রতারিত’দের আইনি লড়াইয়ে বিজেপি সব রকম ভাবে সাহায্য করবে। এখনও পর্যন্ত যা যা পদক্ষেপ করেছেন, সবই আমার নজরে রয়েছে। যোগাযোগও রাখছি। শাসকদলের হাতে যাঁরা অত্যাচারিত, তাঁদের পাশে বিশ্বাসযোগ্য বিরোধী দল হিসাবে দাঁড়াবে বিজেপি।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: তোষাখানা মামলায় কারাদণ্ড ইমরানের, পাঁচ বছর লড়তে পারবেন না ভোটে!

    Imran Khan: তোষাখানা মামলায় কারাদণ্ড ইমরানের, পাঁচ বছর লড়তে পারবেন না ভোটে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গ্রেফতার পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। শনিবার ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ইসলামাবাদের একটি আদালত। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সুপ্রিমোকে। কারাদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয় তাঁর। গ্রেফতার করার পরে ইমরানকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লাহোরের কোট লতপত জেলে। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, আদালতের এই রায়ের জেরে আগামী পাঁচ বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না ইমরান।

    ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ইমরানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইমরান যেসব উপহার পেয়েছিলেন, সেগুলি তিনি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। দুবাইয়ের এক ব্যবসায়ীর দাবি, তিনি ২০ লক্ষ ডলারে কিনে নিয়েছিলেন উপহার হিসেবে পাওয়া ইমরানের একটি ঘড়ি। সৌদি আরবের রাজা মহম্মদ বিন সলমন বহুমূল্য ওই ঘড়িটি উপহার দিয়েছিলেন ইমরানকে। প্রসঙ্গত, তোষাখানা হল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন একটি বিভাগ যা অন্যান্য সরকার এবং বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং সরকারি কর্তারা যে উপহার দেন, তা সংরক্ষণ করে।

    ইমরানের সাজা

    পাকিস্তানের সংবাদপত্র দ্য ডন জানিয়েছে, আদালত ইমরানকে ১০ লক্ষ রুপি জরিমানা করেছে। তোষাখানা উপহারের বিবরণ গোপন করায় পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি ফৌজদারি অভিযোগে ১০ মে এই মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে (Imran Khan) অভিযুক্ত করে। পাকিস্তানের ১৭৪ ইলেকশন অ্যাক্টে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ইমরান। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন পাঁচ বছরের জন্য ইমরানকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত অক্টোবরে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: “ইন্ডিয়া নয়, বিরোধী জোটকে ডাকুন ঘমন্ডিয়া নামে”, এনডিএ সাংসদদের বৈঠকে পরামর্শ মোদির

    আদালত অবশ্য ইমরানের আর্জি খারিজ করে দেয়। চলতি বছরের মে মাসে ইসলামাবাদের পুলিশ লাইনসের বিশেষ আদালত দোষী সাব্যস্ত করে ইমরানকে। চলতি বছরই সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা পাকিস্তানে। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছিল, ফের বাড়ছে ইমরানের (Imran Khan) জনপ্রিয়তা। এমতাবস্থায় তাঁর জেল হওয়ায় মুসলিম নওয়াজ-পাকিস্তান পিপলস পার্টির জোট সরকারের পোয়া বারো বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share