Tag: bangla news

bangla news

  • Kolkata High Court: ইডি-র হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা, রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে মমতার আইনজীবী

    Kolkata High Court: ইডি-র হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা, রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে মমতার আইনজীবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র (ED) হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা করে আগেভাগেই রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) দ্বারস্থ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আইনজীবী সঞ্জয় বসু (Sanjay Basu)। সঞ্জয় সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল। মঙ্গলবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানিতে ইডি তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য সময় চেয়েছে। বুধবার সেই আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর।

    সঞ্জয়কে তলব ইডি-র…

    জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার নিজেদের দফতরে সঞ্জয়কে তলব করেছে ইডি। এদিনই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সঞ্জয়। সঞ্জয়ের আইনজীবী সপ্তাংশু বসুর দাবি, ভুয়ো অর্থনৈতিক সংস্থার একাধিক মামলায় রাজ্যের আইনজীবী ছিলেন তাঁর মক্কেল। তাই ইডি বারবার হেনস্থা করছে সঞ্জয়কে।

    প্রসঙ্গত, ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় তদন্তে নেমে সঞ্জয়ের আলিপুরের বাড়িতে ইতিমধ্যেই হানা দিয়েছে ইডি। ১ মার্চ সকালে তাঁর বাড়িতে ঢুকেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। ২ মার্চ দুপুরের দিকে তাঁর বাড়ি থেকে বের হন তাঁরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রায় ২২ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরেই ইডির দফতরে তলব করা হয় সঞ্জয়কে।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    সঞ্জয়ের বাড়িতে (Kolkata High Court) ইডির হানা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মার্চ দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ওরা (ইডি) গতকাল সঞ্জয়ের বাড়িতে ঢুকেছিল। আজ মেঘালয়ে ফল ঘোষণা পর্যন্ত ছিল। তিনি বলেন, সঞ্জয় রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল। সরকারের অনেক কাগজপত্র স্বাভাবিকভাবেই ওর কাছে থাকে। ও আমারও আইনজীবী। ওকে আমি জিজ্ঞেস করেছি, এত তল্লাশি করে কী কী পেল? ও বলল, কিছু পায়নি। খালি আপনাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছিল।

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপি বিরোধী আটটি রাজনৈতিক দলের ৯জন নেতা। ওই চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁকে সাসপেন্ড করা হলেও বহিষ্কার করা হয়নি। যেমন বহিষ্কার করা হয়নি পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকেও। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও বহাল তবিয়তে রয়েছেন দলে। তবে এঁদের মতো ‘কপাল’ নয় নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হুগলির দুই তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষের। মঙ্গলবার তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    তৃণমূলের (TMC) শাস্তির খাঁড়া…

    এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের তরফে দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এই দুই নেতার বহিষ্কারের খবর জানান। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে শশীর পাশে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শশী বলেন, আমরা বরাবর বলে এসেছি, আমরা এই দুর্নীতির সমাধান চাই। যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের রেয়াত করা হবে না। শশী বলেন, তৃণমূল (TMC) কখনওই দোষীদের সমর্থন করেনি। বরং তারা চায় এই দুর্নীতির তদন্তে গতি আসুক। দ্রুত এর সমাধান হোক। এই প্রক্রিয়ায় যাঁদের নাম প্রকাশ্যে এসেছে, দল তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করছে। তিনি বলেন, এখানেই অন্যান্য দলের সঙ্গে তৃণমূলের ফারাক। তৃণমূল অভিযুক্তদের সমর্থন করে না। অথচ বিজেপিকে দেখা গিয়েছে, স্পষ্টতই তাদের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতাদের জামিনের জন্য তদ্বির করতে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    শশীর দাবি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে বহু রাজনৈতিক দল জড়িত। বহু নেতা বিধানসভায় প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন তোমায় জেলে ভরে দেব। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস কোনও দুর্নীতি সহ্য করতে করে না। শশী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে তৃণমূলের আপত্তি নেই। কিন্তু যেভাবে রোজ নিয়ম করে সিবিআই-ইডি তল্লাশি চালিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বদনাম করার চেষ্টা চলছে, তাতে আপত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, একটা কথা মানতে হবে, তা হল যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা কিন্তু তৃণমূলের কোনও পার্টি অফিস (TMC) থেকে হয়নি। তা উদ্ধার হয়েছে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে। শশী বলেন, কারও বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হলে, তার দায় দলের নয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament: জেপিসি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি সংসদ, একলা চলো নীতি তৃণমূলের

    Parliament: জেপিসি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি সংসদ, একলা চলো নীতি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদানিকাণ্ডে বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC) গড়ার দাবিকে ঘিরে সরকার ও বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে উত্তপ্ত সংসদের (Parliament) দুই কক্ষ। মঙ্গলবার বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ার দাবির পাল্টা হাতিয়ার হিসেবে বিজেপি প্রয়োগ করে ইংল্যান্ডে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীর মোদি সরকারের সমালোচনাকে। তার জেরে দু পক্ষে ব্যাপক হইচই হয়। যার জেরে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদ। কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী কয়েকটি দল যখন সংসদে হইহট্টগোল করছে, সেই সময় ওই একই দাবিতে সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্না দেন তৃণমূল সাংসদরা।

    উত্তপ্ত সংসদ (Parliament)…

    এদিন অধিবেশনে রাহুলকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তিনি বলেন, এক সংসদ সদস্য (পড়ুন রাহুল গান্ধী) যেভাবে বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছেন, তাতে সংসদ (Parliament) চুপ থাকতে পারে না। রাহুলের ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছে বিজেপি। দেশের সমস্ত সাংসদ যাতে রাহুলের মন্তব্যের নিন্দা করেন, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে পদ্ম শিবিরের তরফে। পাল্টা কটাক্ষ করেছে কংগ্রেসও। বিজেপির উদ্দেশে সোনিয়া গান্ধীর দলের কটাক্ষ, গণতন্ত্রের হত্যাকারীর মুখে আজ এ কী কথা শুনি! এ নিয়ে দু পক্ষে হইহট্টগোলের জেরে মুলতুবি করে দেওয়া হয় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    এদিকে, দ্বিতীয় দফার (Parliament) অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সাংসদরা। সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে সিপিএম, আরজেডি, জেডিইউ, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবির, এনসিপি সহ ১৬টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস বিরোধী আম আদমি পার্টিও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে। এদিন সংসদ ভবন থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধীরা। তাতে যোগ দেয় কংগ্রেস বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত বিআরএসও। তবে এখানেও তৃণমূলের কাউকে দেখা যায়নি। লোকসভার দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, বিরোধী ঐক্য যেন না থাকে, মোদির যেন সুবিধে হয়, এটাই করছে তৃণমূল। বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, বিরোধীদের কোনও ঐক্য নেই। কখনও হবেও না। মোদিই থাকবেন। ওরা নিজেদের ঘর বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • School:  স্কুলে ২৭ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পড়াতে ১০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা! কোথায় দেখে নিন

    School: স্কুলে ২৭ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পড়াতে ১০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা! কোথায় দেখে নিন

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাংলা মাধ্যমে পড়ার অনীহা, নাকি অভিভাবকদের ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি করার প্রবণতা? যে কোন কারণেই হোক বাংলা মাধ্যম স্কুল গুলিতে কিভাবে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমছে তা কোন্নগর জোড়াপুকুরে নগেন্দ্রনাথ কুন্ডু বিদ্যালয়ে (School) গেলেই বোঝা যায়। প্রায় ৫০ বছরের পুরানো স্কুল। এক সময় স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের ভিড়ে গম গম করত। এলাকার অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা এই স্কুলেই (School)  পড়শুনা করেছেন। কিন্তু, এখন স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকলেও নতুন করে কেউ আর ভর্তি হতে চায় না। এই স্কুলের (School) পরিকাঠামোতে কোন গলদ নেই। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে মিড ডে মিল সবই চালু। স্কুলে এখন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ১০ জন। ২ জন শিক্ষা কর্মী রয়েছেন। আর ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৭ জন। পড়়ুয়ার অভাবে রাজ্যে ৮ হাজারের বেশি স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, আগামীদিনে এই স্কুল সেই পথেই হাঁটছে।

    কেন কমছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা? School

    এই স্কুলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানা হয়। সাধারণত যে স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত রয়েছে, সেখানেই অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের ভর্তির বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এই বিষয় নিয়ে স্কুলের (School) এক শিক্ষিকা দীপান্বিতা চক্রবর্তী বলেন, ২০২১ সালে অন্য স্কুল (School) থেকে বদলি হয়ে এই স্কুলে এসেছি। তখন থেকে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা কম। আমার মনে হয়েছে, বর্তমান অভিভাবকদের ইংরেজি স্কুলে পড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। সেই কারণে শুধু এই স্কুলে (School)  নয় সারা রাজ্যের বাংলা মিডিয়াম স্কুলগুলি ধুঁকছে। অভিভাবকরা সাধারণত চেষ্টা করেন পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি করিয়ে একেবারে উচ্চমাধ্যমিক অবধি একই স্কুলে (School) রেখে দিতে। কিন্তু এই স্কুলে (School)  সেই ব্যবস্থা নেই। স্কুলের মাঠের অবস্থাও ভাল না। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। পঠনপাঠনকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়। আশা রাখব, ভবিষ্যতে এই অবস্থা থাকবে না।

    স্কুলটি কোন্নগর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে। স্থানীয় কাউন্সিলর বাবলু পাল বলেন, এই স্কুল বহু পুরোনো। বর্তমানে এর গরিমা হারালেও একসময় এই স্কুল রমরম করে চলতো। আসলে বিগত সরকারের ভ্রান্ত শিক্ষানীতি, প্রাথমিক স্তরে ইংরেজি উঠিয়ে দেওয়া এবং বর্তমানে শিক্ষায় ইংরেজির গুরুত্ব ,সব কিছু ধরে দেখা যাবে এখনকার অভিভাকরা চাইছেন ছেলেমেয়েরা ইংরেজি ভালো করে শিখুক। তাই তারা বিভিন্ন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে (School) ভর্তি করাতে চান। সেই জন্যই এই ধরণের বাংলা মিডিয়াম স্কুলগুলি ডুবছে। দুঃখের বিষয় যাঁরা শিক্ষক হওয়ার জন্য ধর্ণা দিচ্ছেন তাঁরাই আবার তাঁদের উত্তরসূরি দের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে দিচ্ছেন। কি আর হবে?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রামনবমীতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে বাংলা, জানালেন শুভেন্দু

    Ram Navami: রামনবমীতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে বাংলা, জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবারের মতো এবারও মহা সমারোহে রামনবমী (Ram Navami) উদযাপন করতে চলেছে বিজেপি (BJP)। এজন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। উত্তর থেকে দক্ষিণ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কয়েক হাজার শোভাযাত্রার পরিকল্পনা করেছে পদ্ম শিবির। চলতি বছর রামনবমী পালিত হবে ৩০ মার্চ। ওই দিন জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে বাংলা কাঁপিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, রামনবমীতে রাজ্যে কীভাবে জয় শ্রীরাম স্লোগান ওঠে, তার জন্য অপেক্ষা করুন দুটি সপ্তাহ। রাজ্যে কয়েক হাজার মিছিলে ৪০-৫০ লক্ষ মানুষ গেরুয়া ঝান্ডা নিয়ে অংশ নেবেন। আলিপুরদুয়ার থেকে কাঁথি, কাকদ্বীপ থেকে পুরুলিয়া সর্বত্র জয় শ্রীরাম স্লোগান উঠবে।

    রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা…

    রাজ্যে রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা সেই অর্থে হত না। ২০১৮ সালে প্রথম রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করে বিজেপি। ওই বছর জেলায় জেলায় শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। তার ফল ফলেছিল উনিশের লোকসভা নির্বাচনে। এ রাজ্যে এক লপ্তে বিজেপির আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮। তার পর থেকে প্রতি বছর দিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করে বিজেপি। এ বছরও হবে রামনবমীর শোভাযাত্রা। সনাতন পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, চৈত্র মাসকে হিন্দু নববর্ষের সূচনা বলে মনে করা হয়। এ মাসের শুক্লপক্ষে ন দিন ধরে মাতৃদেবীর পুজো করা হয়। নবম দিনটিকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর সপ্তম অবতার হিসেবে মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রী রামচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেই কারণেই চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে পালিত হয় রামনবমী।

    আরও পড়ুুন: ভারতের উত্থান অনেকের কাছে বিপদ! মোদি সরকারের দিশাকে সিলমোহর সঙ্ঘের

    এ বছর রামনবমী (Ram Navami) পালিত হবে ৩০ মার্চ। তার পরে পরেই রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই হবে লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তার আগে রামনবমীর শোভাযাত্রা করে শক্তি যাচাই করে নিতে চাইছে বিজেপি। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একদিকে যেমন পুরষোত্তম রামকে শ্রদ্ধা জানানো হবে, তেমনি এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা যাবে সনাতনীদের। যার সুফল ফলতে পারে আসন্ন পঞ্চায়েত ও আগামী লোকসভা নির্বাচনে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajasekhar Mantha: নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিতের পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশেরই, জানাল হাইকোর্ট  

    Rajasekhar Mantha: নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিতের পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশেরই, জানাল হাইকোর্ট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হয়েছেন কাঁকুড়গাছির বিজেপি (BJP) কর্মী অভিজিৎ সরকার (Abhijit Sarkar)। অন্তত এমনই অভিযোগ বিজেপির। এই সংক্রান্ত মামলায় প্রয়াত অভিজিতের মা ও দাদার নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকেই। তাঁরাই এই মামলার মূল দুই সাক্ষী। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মন্তব্য করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Rajasekhar Mantha)। তাঁর নির্দেশ, নারকেলডাঙা এলাকায় অভিজিতের বাড়িতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ক্যাম্প করে পাহারা দিতে হবে পুলিশকে। এই সময়ের মধ্যে সিবিআই তাদের পাঠানো অভিযোগ বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

    বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha) প্রশ্ন…

    বিচারপতি মান্থার প্রশ্ন, নিরাপত্তার গাফিলতিতে যদি দুজনের ওপর আক্রমণ হয়, যদি বড় কোনও ঘটনা ঘটে যেত, তাহলে তার দায় কে নেবে? আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিম্ন আদালতে অভিজিতের মা ও দাদা ১৯ ও ২০ মার্চ সাক্ষ্য দেবেন। এরই মধ্যে তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা খুব জরুরি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয় ২ মে। এর পরেই কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, ওই বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করে তারা। পিটিয়ে মারা হয় তাঁর সঙ্গী কুকুটিকেও। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আক্রান্তের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত (Rajasekhar Mantha)।

    অভিজিৎ খুনের প্রধান সাক্ষী তাঁর মা ও দাদা। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর দাদা বিশ্বজিতের বাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। অভিজিৎ খুনে জেলবন্দি অভিযুক্তদের পরিবারের লোকজন আইনজীবী এনে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এমনকী অভিজিতের মাকে সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিজিতের মা। ওই রাতেই চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস হাসপাতালে। তার পরেই নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিশ্বজিৎ।

    আরও পড়ুুন: ‘‘এবার মিছিল করে আসব’’! দলবদলু বিধায়কদের ইস্যুতে স্পিকারকে স্মারকলিপি শুভেন্দুদের

    ওই মামলার শুনানির আগেই ২৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা (Rajasekhar Mantha)। পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিজিতের পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে। এদিন বিচারপতি মান্থা বলেন, আগামী ১৯ ও ২০ মার্চ অভিজিৎ হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে সাক্ষ্য দেবেন অভিজিতের মা ও দাদা। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পরিবারটিকে নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এবার মিছিল করে আসব’’! দলবদলু বিধায়কদের ইস্যুতে স্পিকারকে স্মারকলিপি শুভেন্দুদের

    Suvendu Adhikari: ‘‘এবার মিছিল করে আসব’’! দলবদলু বিধায়কদের ইস্যুতে স্পিকারকে স্মারকলিপি শুভেন্দুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দিলাম। এরপর মিছিল করে আসব। অবস্থান হবে, ধর্না হবে, শহিদ মিনারের মতো অনশনও হবে। সোমবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিধানসভার স্পিকার (Speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিল বিজেপির পরিষদীয় দল। সেখান থেকে বেরিয়েই এই হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দলবদলু মুকুল রায়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। তবে বিজেপি ছেড়ে যাওয়া বাকি বিধায়কদের সম্পর্কে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানোর দাবিতেই এদিন স্পিকারকে স্মারকলিপি দেয় বিজেপির পরিষদীয় দল।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হুমকি…

    এদিন স্পিকারের ঘর থেকে বেরিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, মুকুল রায় সম্পর্কে অধ্যক্ষ তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। স্পিকার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি (মুকুল) বিজেপিতেই রয়েছেন। তেমনি বিজেপি ছেড়ে যাওয়া বাকি বিধায়কদের সম্পর্কেও অধ্যক্ষ তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করুন। শুভেন্দু বলেন, এতে আমাদের কোর্টে যেতে সুবিধা হবে। এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আজ শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দিলাম। এরপর মিছিল করে আসব। অবস্থান হবে, ধর্না হবে, শহিদ মিনারের মতো অনশনও হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে প্রার্থী হন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়। বিজেপির প্রতীক থাকায় বিপুল ভোটে জয়ীও হন তিনি। তার পরেই দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল। তৃণমূল ভবনে গিয়ে যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। তা সত্ত্বেও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান মুকুল রয়েছেন বিজেপিতেই। যদিও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে এসে মুকুল জানান, তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মুকুল একা নন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হয়েছে দলবদলুর তালিকা। এই তালিকায় রয়েছেন বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী, সুমন কাঞ্জিলাল সহ আরও কয়েকজন। এঁরা প্রত্যেকেই বিজেপির টিকিটে জিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। একুশের বিধানসভা নি্র্বাচনে ৭৭টি আসন পায় বিজেপি। যদিও পদ্ম শিবির ছেড়ে যাওয়ায় বিধানসভায় এখন বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৬৯। বিজেপি ছেড়ে যাঁরা শাসক শিবিরে গিয়ে ভিড়েছেন, তাঁদের অবস্থান জানতেই এদিন স্পিকারকে স্মারকলিপি দেয় বিজেপির পরিষদীয় দল (Suvendu Adhikari)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fish: দক্ষিণ দিনাজপুরের আত্রেয়ী নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই মাছ! কী সেই মাছ জানেন?

    Fish: দক্ষিণ দিনাজপুরের আত্রেয়ী নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই মাছ! কী সেই মাছ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট। বালুরঘাট শহরের বুক চিরে চলে গিয়েছে আত্রেয়ী নদী। রাইখোর মাছের (Fish) জন্য বহু সুখ্যাতি ছিল এই নদীর। মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার বড় আধার ছিল এই মাছ। কারণ, নৌকা নিয়ে নদীতে নামলেই তাঁরা প্রচুর পরিমাণে রাইখোর মাছ (Fish) বাজারে নিয়ে যেতে পারতেন। বিক্রি করে ভালো টাকা মুনাফা হত। কয়েক বছর আগে বালুরঘাট শহরের তহ বাজার, সাহেবকাছারি বাজার সহ শহরের বিভিন্ন বাজারে রাইখোর মাছ (Fish) দেখা যেত। আমদানিও ভালো ছিল। শুধু জেলাবাসী নয় ভিন জেলার মানুষের চাহিদার জোগান দিত এই নদী। এক সময় এই রাইখোর মাছ (Fish) রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যেত। যদিও এখন তা ইতিহাস। আত্রেয়ীর ঐতিহ্য ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। জেলায় রাইখোর মাছের ভালো চাহিদা রয়েছে। কিন্তু, চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে পারছে না আত্রেয়ী নদী, যার ফলে রাইখোর মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মৎস্যপ্রেমীরা। ধীরে ধীরে বালুরঘাটের বাজার গুলিতে আর সেইভাবে দেখা মিলছে না রাইখোর মাছের।

    আত্রেয়ী থেকে কেন হারিয়ে যাচ্ছে রাইখোর মাছ? Fish

    বর্ষার পর আত্রেয়ী নদীর জল ক্রমশ কমতে থাকে। ফলে, কিছু কিছু জায়গায় নদীতে জল প্রায় শুকিয়ে যায়। এছাড়া একসময় এই নদীর গতিপথে প্রচুর বিলের সঙ্গে সংযোগ ছিল। বিলগুলিতে বাঁধ দেওয়ার কারণে নদীর সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই। আর নদীতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ এই মাছ হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তবে, জেলার পরিবেশপ্রেমীরা আত্রেয়ী নদীতে রাইখোর মাছ যাতে পাওয়া যায় তার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগে বেশ কয়েকবার আত্রেয়ী নদীতে মাছের চারাও ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এখন সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মৎস্যজীবীরা বলেন, আগের নৌকা নদীতে নামালেই ঝুড়ি ভর্তি করে রাইখোর মাছ (Fish) পেতাম। এখন সারাদিন নৌকা নিয়ে নদীতে চষে বেড়ালেও এই মাছ (Fish) পাই না। অথচ এখন এই মাছের বিশাল চাহিদা। বাজারে ৫০০ টাকা কেজি। নদীতে এই মাছের (Fish) যোগান থাকলে খুব ভাল হত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলে খুব ভাল হয়।

    জেলা মৎস্য দপ্তরে আধিকারিক  অভিজিৎ সরকার বলেন, রাইখোর মাছ (Fish) মৃদু বাহিত জলে  ডিম পাড়ে। এরজন্য আত্রেয়ী নদীর তীরে যেখানে ঘাস জাতীয় উদ্ভিত থাকে, সেখানে ডিম পারে। কিন্তু, আত্রেয়ী নদী তীরে দূষনের কারণে রাইখোর মাছ আর ডিম পাড়তে পারে না। রাইখোর যাতে বিলুপ্ত না হয়, সেজন্য কৃত্রিমভাবে পুকুরে চাষ করা হলেও আত্রেয়ী নদীর মাছের মত তার স্বাদ নেই। পরিবেশপ্রেমী তুহিন শুভ্র মণ্ডল বলেন, রাইখোর মাছ আমাদের অহংকার ছিল। জেলায় রূপালি মাছ বলে পরিচিত ছিল। বাবা-ঠাকুরদা কাছে শুনেছি, দুর্গা পূজার পর পর আত্রেয়ী নদীতে রাইখোর মাছ (Fish) এত যোগান হত যে নদীর জলের রঙ বোঝা যেত না। এখন এই মাছ নদীতে বিলুপ্ত। পুকুরে চাষ করা মাছের সেই স্বাদ নেই। আসলে বাংলাদেশের আত্রাই নদীর সঙ্গে আমাদের আত্রেয়ী নদী সংযোগ রয়েছে। এতে নদীর প্রবহমান ছিল। কিন্তু, বর্তমানে নদীর প্রবহমান বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে এই মাছ হারিয়ে যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC West Bengal: ‘টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়’, শান্তনু প্রসঙ্গে বলল ইডি

    SSC West Bengal: ‘টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়’, শান্তনু প্রসঙ্গে বলল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার ছোট টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়। সোমবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC West Bengal) গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল (TMC) নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করে এমনই দাবি করল ইডি (ED)। শান্তনুর জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করেছেন ইডির আইনজীবী। তাঁর দাবি, শান্তনুর যে ২টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি সোনার খনি। সেখানে এমন অনেকের অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন। এমন কতজনকে শান্তনু চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। ইডির আইনজীবী বলেন, চার্জশিটে যাঁদের নাম রয়েছে, দেখলে চমকে যাবেন। তিনি জানান, শান্তনু দুটি আইফোন ব্যবহার করতেন। সেখান থেকে অ্যাডমিট কার্ডের পাশাপাশি মিলেছে প্রচুর নথিও।

    ইডির প্রভাবশালী তত্ত্ব…

    শান্তনু যে প্রভাবশালী, এদিন আদালতে তার সপক্ষে যুক্তিজাল বিস্তার করেন ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, শান্তনুর সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। তল্লাশির সময় তাঁর বাড়িতে দুজন হিসাবরক্ষক ছিলেন। ইডির দাবি, শান্তনু (SSC West Bengal) গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেই প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা করতেন। এদিন শান্তনুর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির প্রসঙ্গও উঠে আসে ইডির সওয়ালে। ইডির আইনজীবীর প্রশ্ন, ২০১৫ সালে সামান্য মোবাইলের দোকানদার থেকে কীভাবে শান্তনু ৫১ কাঠা জমির মালিক, রিসর্ট, রেস্তোরাঁর মালিক হলেন?

    আরও পড়ুুন: কার মাধ্যমে কাকে চাকরি? বিধানসভায় ছবি-পোস্টার হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    স্ত্রীর নামে কোম্পানি খুলে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছেন শান্তনু। অন্তত ইডির আইনজীবীর দাবি এমনই। শান্তনু গ্রেফতার হতেই খোঁজ মিলছে না তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জেরায় কুন্তল শান্তনুকে ১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলেও যে স্বীকার করেছেন, এদিন তাও আদালতকে জানান ইডির আইনজীবী। ইডির দাবি, শান্তনুর ফোনে ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের একাংশের অ্যাডমিট কার্ড রয়েছে। যাঁরা চাকরি (SSC West Bengal) পেয়েছেন, তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড কীভাবে শান্তনুর ফোনে এল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাকি যে ৩০০ জনের লিস্ট উদ্ধার হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন, তা জানার জন্য ডিপার্টমেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানায় ইডি।   

    প্রসঙ্গত, ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল শান্তনুর বাড়ি থেকে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবারই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয় হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনুকে। দু দিনের হেফাজত শেষে এদিন তাঁকে ফের আদালতে পেশ করে ইডি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কার মাধ্যমে কাকে চাকরি? বিধানসভায় ছবি-পোস্টার হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    Suvendu Adhikari: কার মাধ্যমে কাকে চাকরি? বিধানসভায় ছবি-পোস্টার হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন গ্রুপ সি-র ৮৪২ জন। এঁদের অনেকেই তৃণমূলের (TMC) নেতা-নেত্রীর আত্মীয়-পরিজন। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলেই স্কুলের চাকরি জুটেছিল। এমনই দাবি করে চাকরি হারানো বেশ কয়েকজনের ছবি নিয়ে প্রদর্শনী করল বিজেপি (BJP)। সোমবার ছিল এই পর্বে বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন। এদিনই বিধানসভার ২ নম্বর গেটের সামনে আয়োজিত ওই প্রদর্শনীতে অংশ নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং বিজেপির অন্য বিধায়করা।

    প্রতিবাদে শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)…

    আদালতের নির্দেশে যাঁরা চাকরি খুইয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতর ভাই খোকন মাহাত। এদিন তাঁদের ছবি ছিল। ছবি ছিল তৃণমূল নেত্রী অসীমা পাত্রর সঙ্গে তাঁর চাকরি খোয়ানো ভাগ্নির। চাকরি গিয়েছে বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতার ছেলেরও। রিষড়ার পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁর চাকরি খোয়ানো স্ত্রীর ছবিও। এদিন যে ১২ জনের ছবি সম্বলিত পোস্টার দেখা গিয়েছে, তাদের মধ্যে তৃণমূলের বিধায়ক, মন্ত্রী, পঞ্চায়েত সদস্য এবং জেলা সভাপতির আত্মীয়দের নাম রয়েছে। রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইঝি বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের নামও। তৃণমূলের এক কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের সদস্য এবং যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি নিজেই বেআইনিভাবে চাকরি নিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে পোস্টারগুলিতে। এদিনের পোস্টার প্রদর্শনীতে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, মনোজ টিগ্গা সহ বিজেপি বিধায়করা।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে ১৪ মার্চ শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, অনুমতি মিলল আদালতে

    বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, এদিন থেকে শুরু হল এই প্রদর্শনী। রাজ্যের মানুষকে চেনানো হবে কোন চোরেদের তাঁরা মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতা বানিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসক দল। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করে নিজেদের অযোগ্য আত্মীয়-পরিজনদের চাকরি দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। রাজ্যের শাসক দলকে আরও গাড্ডায় ফেলতে কোমর কষে নামছে বিজেপি। এদিন সূচনা হল তারই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, বাংলার প্রতিটি পাড়ায় এই প্রদর্শনী করা হবে। লোককে দেখানো হবে এই হল মা-মাটি-মানুষের পার্টি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share