Tag: bangla news

bangla news

  • Suvendu Adhikari: ‘নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন, পাশে আছি’, বার্তা শুভেন্দু, সুকান্তর 

    Suvendu Adhikari: ‘নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন, পাশে আছি’, বার্তা শুভেন্দু, সুকান্তর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মঘট করুন। আমি পাশে আছি। আপনাদের দায়িত্ব আমি নেব। বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিনই ধর্মঘট রুখতে কড়া নির্দেশিকা দিয়ে ধর্মঘটের দিন সমস্ত সরকারি কর্মীকে অফিসে আসার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর। তার পরেই বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ধর্মঘট করুন। আমি পাশে আছি। আপনাদের দায়িত্ব আমি নেব। আমি আইনজীবী নিয়ে আইনি লড়াই করব।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) উবাচ…

    এদিন হুগলির খানাকুলে শুভেন্দু বলেন, ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে সরকার যদি সরকারি কর্মীদের ব্রেক অফ সার্ভিস, বেতন কাটে, দমনপীড়ন নীতি নিয়ে ট্রান্সফার কিংবা সাসপেন্ড করে আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে সেই সরকারি কর্মীর পাশে থাকব। শুধু পাশে থাকাই নয়, সেই সরকারি কর্মীর পূর্ণ দায়িত্ব আমি নেব। তাঁর আইনি লড়াই, তাঁর মামলা লড়ার জন্য বড় আইনজীবী নিয়োগ এবং আইনি লড়াই করার জন্য যে যে খরচ হবে, তার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমার। যাঁরা মহার্ঘ ভাতার জন্য নিজেদের অধিকারের জন্য কাল ধর্মঘট করতে যাচ্ছেন, তাঁরা নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন। পাশে আছি। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করার ক্ষমতা নেই এই সরকারের।

    বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের তরফে জারি করা আরও এক দফা নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুক্রবার কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না। ধর্মঘটে শামিল হলে কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একদিন। সেই সঙ্গে করা হবে শোকজও।

    আরও পড়ুুন: ধর্মঘটের দিন উপস্থিতির হার কত, নজর রাখবেন মমতা, পাল্টা হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারীদের

    ধর্মঘটীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, আজ ধর্মঘটে অংশ নিয়ে যদি কোনও সরকারি কর্মীর ব্রেক অফ সার্ভিস হয়, তাহলে বিজেপি ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই সেই সব সরকারি কর্মীর ব্রেক অফ সার্ভিস প্রত্যাহার করে নেবে। সুকান্ত বলেন, ধর্মঘট ঠেকাতে রাজ্য সরকারের অর্থ দফতর যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তা নিয়ে কেউ যদি আদালতের দ্বারস্থ হন, সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়বে। কারণ ধর্মঘট করা যে কোনও কর্মীর নৈতিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তিনি বলেন, সরকারি কর্মীদের প্রতি সরকারের এই বঞ্চনায় আমরা আগামিদিনেও আন্দোলনকারীদের পাশে থাকব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি নবান্নর, ‘‘সাহস নেই’’! পাল্টা চ্যালেঞ্জ

    DA: ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি নবান্নর, ‘‘সাহস নেই’’! পাল্টা চ্যালেঞ্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আজ, শুক্রবার ধর্মঘটে অনড় ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। আর ধর্মীঘটীদের আন্দোলন রুখতে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন (Nabanna)। বৃহস্পতিবার অর্থ দফতরের তরফে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে শুক্রবার কোনও সরকারি কর্মী ছুটি নিতে পারবেন না। স্কুল-কলেজ সহ যাবতীয় সরকারি ও সরকার পোষিত প্রতিষ্ঠান ওই দিন পূর্ণ সময় খোলা থাকবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলন…

    নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য কর্মীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। কোনও সরকারি কর্মী যদি হাসপাতালে ভর্তি থাকেন বা কোনও সরকারি কর্মী যদি আগাম ছুটি নিয়ে থাকেন, তবে তাঁর ছুটি মঞ্জুর হবে। ধর্মঘটের দিন বিনা অনুমতিতে কেউ কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকলে, তাঁর বেতন কাটার পাশাপাশি কর্মজীবনের মেয়াদও একদিন কমবে। প্রতিটি দফতরের বিভাগীয় প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও কর্মী এর পরেও গরহাজির থাকলে তাঁকে শোকজের চিঠি ধরাতে হবে। শোকজের উপযুক্ত উত্তর মিললে তবেই মঞ্জুর হবে ছুটি।

    বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু’দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশিকা উপেক্ষা করে ধর্মঘটে অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। রাজ্য সরকারি কর্মীদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি জানিয়েছে, রাজ্য সরকার যতই কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিক, ধর্মঘট হবেই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছেন। তবে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

    ভয় পাবেন না…

    যদিও রাজ্যের হুঁশিয়ারিতে সরকারি কর্মীদের ভয় না পওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠন। ওই সংগঠনের নেতাদের দাবি, রাজ্য যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তা পুরোপুরি বেআইনি। ধর্মঘটে শামিল হলেও, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

    আরও পড়ুুন: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা, ফের নির্দেশিকা জারি রাজ্যের

    এদিকে, বিভিন্ন সরকারি দফতরে উপস্থিতির হার কত, তার রিপোর্ট সকাল ১১টার মধ্যেই পাঠাতে হবে নবান্নে (DA)। বৃহস্পতিবারই এই মর্মে নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন দফতরের সচিবদের কাছে। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এই উপস্থিতির হার দেখতে চান। উপস্থিতির হার পাঠানোর জন্য ইতিমধ্যেই একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন দফতরে। প্রশাসনিক মহলের ধারণা, সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যেই বিভিন্ন সরকারি দফতরে ধর্মঘটকে উপেক্ষা করে উপস্থিতির হার কত, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • DA: প্রভাব পড়বে জেলায় জেলায়! বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা

    DA: প্রভাব পড়বে জেলায় জেলায়! বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আজ, শুক্রবার ধর্মঘট পালন করবেন সরকারি কর্মীরা। যার জেরে এদিন স্কুল-কলেজ-অফিস-কাছারিতে কাজকর্ম না হওয়ারই সম্ভাবনা। যদিও ধর্মঘট রুখতে ফের একপ্রস্ত কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার (State Government)। স্বাভাবিকভাবেই ডিএ ইস্যুতে রাজ্য এবং সরকারি কর্মীদের সংঘাত আরও তীব্র হতে চলেছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    ডিএ-র (DA) দাবিতে ধর্মঘট রুখতে কড়া রাজ্য…

    বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশিকা উপেক্ষা করে ধর্মঘটে অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের তরফে জারি করা আরও এক দফা নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুক্রবার কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না। ধর্মঘটে শামিল হলে কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একদিন। সেই সঙ্গে করা হবে শোকজ।  

    এদিকে, শুক্রবারের ধর্মঘট যাতে সফল হয়, সেজন্য বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পথসভা করেছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার প্রস্তাবিত ধর্মঘটের দিন সকাল সাড়ে ন’টা থেকে সব সরকারি কার্যালয়ের সামনে পিকেটিং করবেন তাঁরা। যাঁরা অফিস-কাছারিতে আসবেন, তাঁদের ধর্মঘটে শামিল হওয়ার অনুরোধও জানানো হবে। তবে যাঁরা কাজ করতে আগ্রহী, তাঁদের আটকানো হবে না বলেই জানান রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক স্তর থেকে আমরা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়েছি। শুক্রবার যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না, তাঁদের সোমবার কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না, এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছে কোথাও কোথাও। তবে আমাদের সদস্যরা ধর্মঘট সফল করতে বদ্ধপরিকর।  

    আরও পড়ুুন: কুন্তলের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে গাড়ি কিনেছিলেন বনি! কী বললেন টলি অভিনেতা?

    এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক আশিস বিশ্বাস বলেন, তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী ছাড়া সকলেই এই ধর্মঘটে (DA) অংশগ্রহণ করবেন। তবে ছাত্রছাত্রীদের কোনও ক্ষতি হোক, এমনটা আমরা চাই না। তাই শুক্রবারে যে পড়ার ক্ষতি হবে, সেটা কোনও একটি ছুটির দিনে আমরা পড়িয়ে দেব। তিনি বলেন, সরকার নির্দেশিকা জারি করলেও, কখনও মাইনে কাটার বা কর্মদিবস কমিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করার সাহস দেখাতে পারেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Indian Succession Act: তিন দশক সংসার করে স্ত্রীকে ফের বিয়ে মুসলিম ব্যক্তির! কারণ শুনলে চমকে যাবেন

    Indian Succession Act: তিন দশক সংসার করে স্ত্রীকে ফের বিয়ে মুসলিম ব্যক্তির! কারণ শুনলে চমকে যাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ে করেছিলেন ২৯ বছর আগে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন ফের বিয়ে করলেন এক দম্পতি। তিন কন্যা সন্তানের বাবা-মা ওই দম্পতি। সেই মেয়েদের সম্পত্তিতে যাতে কেউ ভাগ বসাতে না পারে (Indian Succession Act), তাই দ্বিতীয়বার বিয়ের সিদ্ধান্ত। প্রথমবার বিয়ে হয়েছে শরিয়ত আইন অনুযায়ী। আর দ্বিতীয়বার বিয়ে হল স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে (Special Marriage Act)। কেরলের কাসারগোড জেলার ঘটনা।

    ভারতীয় উত্তরাধিকার আইন (Indian Succession Act)…

    দক্ষিণের নাম করা অভিনেতা সি শুক্কুর। তিনি আইনজীবীও। ১৯৯৪ সালে শরিয়ত আইন মেনে তিনি বিয়ে করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর শিনাকে। এই দম্পতির তিন সন্তান হয়। তিনটিই মেয়ে। মেয়েরা বড় হয়ে গিয়েছে অনেক দিন। তাহলে কেন ফের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন ওই দম্পতি? জানা গিয়েছে, শরিয়ত আইন অনুযায়ী মেয়েরা তাঁদের বাবার সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশেরই অধিকারী হবেন। দম্পতির পুত্র সন্তান না থাকলে পিতার বাকি সম্পত্তি তাঁর অবর্তমানে শুক্কুরের ভাইদের কাছে চলে যাবে। কষ্টার্জিত সম্পত্তি যাতে সন্তানরাই পায় (Indian Succession Act), তা নিশ্চিত করতে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে ফের বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন ওই দম্পতি।

    সেই মতো বিয়ের দিন হিসেবে তাঁরা বেছে নেন ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনটিকেই। এই আইনের অধীনে কোনও ব্যক্তির সম্পত্তি ভারতীয় উত্তরাধিকার আইন (Indian Succession Act) অনুযায়ী ভাগ করা যাবে। ফেসবুক পোস্টে দ্বিতীয়বার বিয়ের কৈফিয়তও দিয়েছেন শুক্কুর। তিনি লিখেছেন, সম্প্রতি আমি দুবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। আর তার পর থেকেই চিন্তা শুরু হয় মৃত্যুর পর পরিশ্রমের কামাই আমার মেয়েরা ভোগ করতে পারবে তো? ওরা পুরোপুরিভাবে আমার সম্পত্তির ভাগ পাবে কি না, তা নিয়ে নানা প্রকার চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে আমার মাথায়। শরিয়ত অনুযায়ী, মেয়েরা পিতার সব সম্পত্তির ভাগীদার হতে পারেন না। এই আইনে ইচ্ছাপত্র লিখে যাওয়ারও অনুমতি নেই। তাই আমি দ্বিতীয়বার  বিয়ে করি। ভারতের সংবিধানে ছেলে আর মেয়ের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই। মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমার এই সিদ্ধান্ত।

    আরও পড়ুুন: ‘শহিদ দিবস’ পালনের প্রস্তুতি, বিজেপিকে স্বাগত বগটুইবাসীর

    এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে কেরলের একটি সুন্নি হায়ার এডুকেশন ইনস্টিটিউট। তাদের দাবি, দম্পতির এই সিদ্ধান্ত ইসলাম ও মুসলিম পার্সোনাল ল’-কে অশ্রদ্ধা জানানোর একটা চেষ্টা। ফের বিয়ে করার এই ঘটনা একটা নাটক ও শুক্কুরের এই হীন কাজের কারণ হল তাঁর দাদা-ভাইদের সম্পত্তি না দেওয়ার চেষ্টা। এর প্রেক্ষিতে ফেসবুকে শুক্কুর লেখেন, এই ধরনের উসকানিমূলক বার্তার কারণে যদি তাঁর ওপরে কোনও শারীরিক আক্রমণের ঘটনা ঘটে, তাহলে দায়ী হবে ওই প্রতিষ্ঠানটিই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bogtui: ‘শহিদ দিবস’ পালনের প্রস্তুতি, বিজেপিকে স্বাগত বগটুইবাসীর

    Bogtui: ‘শহিদ দিবস’ পালনের প্রস্তুতি, বিজেপিকে স্বাগত বগটুইবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইয়ে (Bogtui) শহিদ দিসব পালন করবে বিজেপি (BJP)। সেই কারণে জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। স্বজনহারা মিহিলাল শেখের বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে তৈরি হচ্ছে শহিদ বেদি। দিন কয়েক আগে শহিদ বেদির কাজ কতদূর এগোল তা জানতে বগটুই গ্রামে যান বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ বিজেপির নেতৃবৃন্দ। বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন সকালে শহিদ বেদিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা অর্পণ করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা।

    বগটুইয়ে (Bogtui) সভা করার কথা শুভেন্দুর…

    বগটুই গ্রামের পূর্বপাড়ার খেলার মাঠে প্রকাশ্য সভা করার কথাও রয়েছে শুভেন্দুর। গত বছর ডিসেম্বর মাসে নলহাটির জনসভা থেকে ২১ মার্চ বগটুইয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু। দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করার কথাও বলেছিলেন। সেই কারণে বিজেপির তরফে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বলেন, বগটুই (Bogtui) গ্রামে হতদরিদ্র নিরাপরাধ মানুষগুলি প্রায় এক বছর হতে চলল মারা গিয়েছেন। গণতন্ত্র বিরোধী সেই ঘটনাকে স্মরণে রাখতে স্মৃতি স্মারক তৈরি হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা এসে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। ওই কর্মসূচি যাতে ঠিকঠাক হয় তার জন্য জেলা এবং স্থানীয় নেতৃত্ব পরিদর্শনে এসেছিলেন। এলাকার মানুষ যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে যোগ দেন, সেই জন্যও কথা বললাম।   

    ২০২২ সালের ২১ মার্চ রাতে বরশাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। অভিযোগ, ঘটনার পর মিনিট কুড়ি কাটতে না কাটতেই ভাদু শেখের অনুগামীরা বগটুই গ্রামের ভাদু বিরোধীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরের দিন পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা সোনা শেখের বাড়ি থেকে সাতটি অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। পরবর্তীকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও তিনজনের। ঘটনার পরে পরে এলাকায় আসেন ফিরহাদ হাকিম ও স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণ নিয়ে বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় বিক্ষোভ

    স্বজনহারা পরিবারগুলির হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারকে দেন চাকরিও। ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর নলহাটিতে বিজেপির জনসভায় শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন বগটুইকাণ্ডে (Bogtui) মৃত নাজিমা বিবির স্বামী ফটিক শেখ। তিনি বলেন, আমাদের যা ক্ষতি হওয়ার তা তৃণমূলের নেতা ভাদু শেখের অনুগামীরা করেছেন। সেই রাতে তৃণমূলের ব্লক নেতা থেকে সর্বোচ্চ নেতাদের জানানো হলেও, তাঁরা আমাদের পাশে দাঁড়াননি।মৃতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিজেপি যা করছে, তা ঠিকই করছে। স্বজনহারা মিহিলাল শেখ বলেন, মৃতদের স্মরণে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আমরা স্বাগত জানাব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • India Pakistan: ‘সীমান্তে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে যোগ্য জবাব দেবে মোদির ভারত’, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    India Pakistan: ‘সীমান্তে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে যোগ্য জবাব দেবে মোদির ভারত’, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক (Pakistan) মদতে জঙ্গি হানা হয়েছিল পুলওয়ামায়। বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে তার যোগ্য জবাব দিয়েছিল ভারত (India)। বর্তমানে ফের সেই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা (India Pakistan) প্রকাশ করা হয়েছে মার্কিন রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সীমান্তে বা কাশ্মীরে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আগের মতো আর চুপ করে বসে থাকবে না ভারত। পাকিস্তান যদি তাদের ভারত বিরোধী কৌশলের অঙ্গ হিসেবে সীমান্তে সন্ত্রাসমূলক কাজে লিপ্ত হয়, তবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃ্ত্বাধীন ভারত সেনা নামিয়েই তার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করবে। ভারতের পূর্ববর্তী রক্ষণাত্মক অবস্থানের তুলনায় নতুন এই অবস্থান একেবারেই পৃথক বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রে শক্তিশালী হওয়ায় সঙ্কট আরও গুরুতর হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

    কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে মোদি সরকার… 

    কেন্দ্রের তখতে নরেন্দ্র মোদির সরকার আসার পর জম্মু-কাশ্মীর (India Pakistan) থেকে তুলে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। তারপর থেকেই প্রায় শান্তি ফিরে এসেছে একদা অশান্তির ভূস্বর্গে। তবে মাঝে মধ্যেই কাশ্মীরে হিংসা ও সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটছে। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তানের মদতেই বারবার হিংসার ঘটনা ঘটছে উপত্যকায়। পাকিস্তানের অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরে ভারত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এর জবাব দিয়েছে ভারত।

    আমেরিকার ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটির রিপোর্ট অনুসারে, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করে গিয়েছে। নতুন করে সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হলে নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে কঠোর জবাব দিতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দু দেশের মধ্যে উত্তেজনার কারণে সংঘর্ষের ঝুঁকি থেকেই যায়। ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে পাকিস্তানের (India Pakistan) সমর্থন করার এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের উসকানির জবাব দিতে পারেন বলেও রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এর জবাব দিলেই দুদেশের মধ্যে বড় সংঘর্ষের সম্ভাবনা।

    আরও পড়ুুন: ‘অনুব্রত মণ্ডল সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই হামলার জবাব দেয় ভারত। ওই দিন ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১২টি মিরাজ ২০০০ জেট বিমান নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে আঘাত করে। রিপোর্টে অবশ্য এও লেখা হয়েছে, ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশেই বর্তমানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষপাতী। নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রবিরতি মেনে চলার ব্যাপারেও সদিচ্ছা দেখিয়েছে দুই দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা, সেদিনই মাধ্যমিকের উত্তরপত্র বিলি?

    DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা, সেদিনই মাধ্যমিকের উত্তরপত্র বিলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। প্রস্তাবিত এই ধর্মঘট (Strike) নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনার পারদ।

    ধর্মঘটের দাবিতে অনড়…

    বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারিরা। পৃথা বিশ্বাস নামে এক শিক্ষিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, আমি চাই আগামী ১০ই মার্চ ধর্মঘট করার জন্য সরকার বাহাদুর থুড়ি বাহাদুরানি আমার এক দিনের বেতন কাটুন, চাকরি জীবনের একটি দিন কাটুন। কারণ আমি চাই আমার সার্ভিস বুকে লেখা থাকুক দেশজুড়ে ধর্মীয় বিভাজনকেই রাজনীতির হাতিয়ার বানানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করেছি, যোগ্যতা রাস্তায় ধর্না দিচ্ছে, আর বুক ফুলিয়ে টাকার বিনিময়ে চাকরি কেনাবেচা চলছে। এই বেনিয়মকে আমি ধিক্কার জানিয়েছি…।

    ধর্মঘট বানচাল করার ছক?

    এদিকে, ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘটের দিন থেকেই শুরু হচ্ছে উত্তরপত্র বিলি। সেই পরিস্থিতিতে নির্ঝঞ্জাটভাবে উত্তরপত্র বিলি করার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হল। বুধবার পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করতে ১০, ১১, ১৩, ১৪ ও ১৯ মার্চ উত্তর পত্র বিলি করা হবে। পড়ুয়া ও সমাজের স্বার্থে মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজকর্ম যে জরুরি এবং বাধ্যতামূলক, তা পর্ষদের তরফে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।মূল পরীক্ষকদের উদ্দেশে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে পড়ুয়া ও বৃহত্তর সমাজের স্বার্থে মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোনও কাজ অত্যন্ত জরুরি এবং বাধ্যতামূলক।

    বিধানসভা অভিযানের ডাক…

    এদিকে, এদিনই বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে এসএফআইয়ের পশ্চিমবঙ্গ শাখা। ছাত্র ফেরাও, স্কুল বাঁচাও, ছাত্রভোট ফেরাও, কলেজ বিশ্ববিদ্যায় বাঁচাও এই স্লোগান সামনে রেখে এদিন বিধানসভা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের তরফে সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ১০ মার্চ বেলা ১২টার সময় শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন থেকে দুটি ছাত্র মিছিল রাজ্যের বিধানসভা অভিমুখে যাবে। আমরা রাজ্যের ছাত্র সমাজকে আগামী ১০ মার্চ বিধানসভা অভিযানে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

    আরও পড়ুুন: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rail line: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    Rail line: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ভাবাদিঘি। গোঘাটের এই এলাকার মানুষের কাছে এটা শুধু দিঘি নয়, একটি সেন্টিমেন্ট। কারণ, এই ভাবাদিঘিতে মাছ চাষ করে বহু পরিবারের মুখে দুবেলা অন্ন ওঠে। এলাকার বহু পরিবার এখনও দিঘির জল ব্যবহার করেন। তাই, এই দিঘি এলাকাবাসীর কাছে অন্নদাতা মায়ের মতো। প্রস্তাবিত রেলের প্রকল্প অনুযায়ী, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল (Railline) যোগাযোগের জন্য ভাবাদিঘি দিয়ে রেলপথ নিয়ে যাওয়ার কথা। বিষয়টি জানতে পেরেই এক জোট বাসিন্দারা। দিঘি বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা পথে নামেন। দিঘি রক্ষা করার বার্তা পৌঁছে দেন রেল কর্তাদের কাছে।

    ভাবাদিঘি রক্ষা করতে কী উদ্যোগ নিলেন এলাকাবাসী? Railline

    পথে নেমে লোক দেখানো আন্দোলন নয়। রীতিমতো ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটি গড়ে গঠনমূলক আন্দোলন গড়ে তোলেন এলাকাবাসী। তাঁদের বক্তব্য, রেল (Railline) প্রকল্প হোক। তবে, ভাবাদিঘিকে বাঁচিয়ে এই প্রকল্প করতে হবে। এটাই গ্রামের একমাত্র দিঘি, এর জল‌ই ভরসা সকলের। সেইসঙ্গে এলাকার পরিবেশ ঠিক রাখতে দিঘির বিন্দুমাত্র ক্ষতি হতে দিতে রাজি নয় আমরা। ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির সভাপতি সুকুমার রায় বলেন,   কমিটি গঠনের আগে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা এই এলাকায় রেল পথ তৈরির জন্য মাপজোক করা শুরু করেন। সেই সময় আমরা গুগল এ একটি ম্যাপ দেখতে পেয়েছিলাম। ভাবাদিঘি থেকে ৫০০ মিটার দূর দিয়ে রেল লাইন নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সেখানে অবস্থাপন্ন পরিবার এবং রাজ্যের শাসকদলের বেশ কিছু নেতার জমি ছিল। আচমকাই রাতারাতি সেই লাইনের এলাইমেন্ট চেঞ্জ হয়ে যায়। সেই প্রস্তাবিত পথ বদলে গিয়ে একেবারে দিঘির মাঝখান দিয়ে নতুন ম্যাপ তৈরি হয়। আমাদের প্রাণ থাকতে এই দিঘির উপর দিয়ে রেললাইন (Railline) যেতে দেব না। সরকার যেখানে আইন তৈরি করেছে, সংবিধান সবাইকেই মানতে হবে। পরিবেশ রক্ষার্থে জলাশয়ের অবশ্যই দরকার। আর এই দিঘির জল আমরা গোটা গ্রামের প্রত্যেকটি পরিবার ব্যবহার করি। আমরা কোনওভাবে দিঘির উপর দিয়ে রেলপথ (Railline) নিয়ে যেতে দেব না। এর শেষ দেখে ছাড়ব। বহু মানুষকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। তবু, আমাদের আন্দোলন থেমে নেই। আমরা রেলের বিরুদ্ধে নয়। রেলপথ হোক। তবে, এই ভাবাদিঘিকে বাঁচিয়ে দূর দিয়ে রেল পথ তৈরি হোক। কারণ, দিঘির পাড়ে অনেক জায়গা আছে।

     ভাবাদিঘি আন্দোলনের এক সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, দিদি তো সব জায়গায় হেলিকপ্টার চড়ে যান। ভাবাদিঘিতে সব হয়ে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তিনি অনেক কথা বলেছেন। এখানে কী হয়েছে তিনি নিজে এসে চাক্ষুস করে যান। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার ঠিক  আগে ভাবাদিঘির বাসিন্দারা নিজেদের দাবি বজায় রাখতে আন্দোলনের পারদ চড়াচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Erosion: মুর্শিদাবাদে গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম, হুঁশ নেই প্রশাসনের, আতঙ্কে বাসিন্দারা

    Erosion: মুর্শিদাবাদে গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম, হুঁশ নেই প্রশাসনের, আতঙ্কে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিজ ভূমে পরবাস। চোখের সামনে বিঘার পর বিঘা জমি গঙ্গার ভাঙনে (Erosion) তলিয়ে গিয়েছে। এবার গ্রাস করতে শুরু করেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকের নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালপুর, ধানঘরা, শিবপুর সহ একাধিক গ্রামের বাড়ি। একটি বা দুটি নয়। গত আড়াই বছরের মধ্যে এই সব গ্রাম থেকে হাজারের বেশি বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। এটা গ্রামবাসীদের মন গড়া কোনও তথ্য নয়। খোদ ব্লক প্রশাসনের দেওয়া রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে। ফলে, জমি, বাড়ি হারিয়ে নিজের ভিটে ছেড়ে কেউ খোলা আকাশের নীচে রয়েছেন। কেউ আবার আত্মীয়ের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছেন। কেউ আবার স্কুলের পাশে জমিতে মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়়া গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে বহু পরিবার। গত তিন দিনের মধ্যে নতুন করে এই সব গ্রামে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। চার-পাঁচটি বাড়ি ফের গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। ভাঙন (Erosion) কবলিত গ্রামের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক এবং অনিশ্চতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

    ভাঙন প্রতিরোধে আসা ঠিকাদারকে কেন বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা? Erosion

    এই জেলায় গঙ্গা ভাঙন (Erosion) নতুন কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু, ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধে গঠনমূলক কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। আগের বাম শাসনের আমলেও এই বিষয়ে কেউ কোনও উদ্যোগ নেয়নি। আর ২০১১ সাল থেকে তৃণমূল এই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। এই জেলায় জেলা পরিষদের ত্রিস্তরে বহু বছর ধরে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু, ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান করার বিষয়ে কারও কোনও হেলদোল নেই। এমনটাই অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের। স্থানীয় বাসিন্দা ছবি খাতুন বলেন, চোখের সামনে একের পর এক বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। গ্রামের সকলে মিলে প্রশাসনের কাছে দরবার করেছে। কিন্তু, পাথর দিয়ে গঙ্গা বাঁধানোর কারও উদ্যোগ নেই। তাই, গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁদের বক্তব্য, লোক দেখানো করে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন (Erosion) মোকাবিলা করা হয়। তাতে ঠিকাদারদের পকেট ভরে। কিন্তু, গঙ্গার ভাঙন (Erosion) রোধে কোনও কাজ হয় না। বহুবার প্রশাসনের কর্তাদের কাছে সে কথা জানিয়েছেন বাসিন্দারা। কিন্তু, টনক নড়েনি প্রশাসনের। ফলে, নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনের কর্তারা। এলাকায় ঠিকাদার পাঠিয়ে বালি বোঝাই বস্তা দিয়ে ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু, গ্রামবাসীরা তা মানতে রাজি হননি। লোক দেখানো কাজ নয়। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান করতে হবে। যদিও  পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। বিক্ষোভকারীদের একটাই অভিযোগ, এভাবে বালির বস্তা দিয়ে গঙ্গা বাধা হয় না। পাথর দিয়ে ভালো করে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে  ব্যবস্থা না নেওয়া হলে  আমরা কাজ করতে  দেব না। এই বিষয়ে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র মুন্ডা বলেন, আমার পক্ষ থেকে যেটুকু সাহায্য করা সম্ভব তা আমি করেছি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের চাল- ত্রিপল সহ কিছু আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় এবিভিপি নেতার বাড়িতে তৃণমূলীদের হামলা, জখম প্রাক্তন সেনাকর্মী সহ ৩

    ABVP: মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় এবিভিপি নেতার বাড়িতে তৃণমূলীদের হামলা, জখম প্রাক্তন সেনাকর্মী সহ ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ হোলির দিনে পাড়ার মধ্যে মদ্যপ যুবকরা অভব্য আচরণ করছিল। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের জেরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন  বারাকপুরে শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কলেজ পল্লির এলাকার মানুষ। কিন্তু, সাহস করে কেউ মদ্যপদের প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেনি। প্রাক্তন সেনা কর্মী জন্মেঞ্জয় মাহাতোর দুই ছেলে জগদীশ ও সমীরণ বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করেন। জগদীশবাবু বারাকপুরের অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক (Abvp)। আর জন্মেঞ্জয়বাবু কার্গিল যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনা অফিসার ছিলেন। তাদের বাধায় দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। পরে, মদ্যপরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, দলবল নিয়ে এসে মদ্যপরা প্রাক্তন সেনা কর্মীর বাড়ির ভিতরে ঢুকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সকলেই তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচত। বাড়ির ভিতরে দুই ছেলের উপর হামলা হতে দেখে প্রাক্তন সেনা কর্মী বাধা দিয়ে এগিয়ে আসেন। তাঁর উপরও হামলাকারীরা চড়াও হন। হামলার জেরে প্রাক্তন সেনা কর্মীসহ তিনজন জখম হন। স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে তাঁরা চিকিত্সা করেন। পরে, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    এলাকায় তৃণমূলের দাপট দেখাতেই কী দলবল নিয়ে হামলা? Abvp

    শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা তৃণমূলের খাস তালুক। এই এলাকায় প্রাক্তন সেনা কর্মীর ছেলে প্রকাশ্যেই এবিভিপি-র (Abvp) নেতৃত্ব দেন। ফলে, স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আগে থেকে প্রাক্তন সেনা কর্মীর বাড়ির দিকে নজর ছিল। মদ্যপদের পাড়া থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতারা সুযোগ পেয়ে যায়। দলবল নিয়ে তারা এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রাক্তন সেনা কর্মী জন্মেঞ্জয় মাহাত বলেন, পাড়ার মধ্যে ওরা চরম অভব্য আচরম করছিল। গালিগালাজ দিচ্ছিল। তাই, প্রতিবাদ করা হয়েছিল। সকলেই তৃণমূল কর্মী (Tmc) হিসেবে পরিচিত। নিজেদের দাপট দেখাতেই এভাবে বাড়ির ভিতরে ঢুকে ওরা হামলা চালায়। হামলার জেরে বড় ছেলের কলার বোন ভেঙে যায়। ছোট ছেলের পা ভাঙে। আমার মাথা ফেটে যায়। ওরা হামলা চালানোর সময় তৃণমূলের স্থানীয় প়ঞ্চায়েতের প্রধানের  নাম নিয়েছিল। হামলার বিষয় নিয়ে শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান অরুণ ঘোষ বলেন, এটা নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয়। এরসঙ্গে দলের কোনও বিষয় নেই। আর আমি কাউকে এই ধরনের কাজে মদত দিই না।

    অন্যদিকে, বিজেপির নোয়াপাড়া যুব মোর্চার কনভেনার সুপ্রিয় দে-র উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সুপ্রিয়বাবু বলেন, দোল খেলে বাড়ি ফেরার পথে ওরা আমার পথ আটকায়। এরপর আমার উপর হামলা চালায়। ওরা দুষ্কৃতীকারী। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share