Tag: bangla news

bangla news

  • Satish Kaushik: ১৫ কোটি টাকার জন্য খুন করা হতে পারে সতীশকে, দাবি মহিলার

    Satish Kaushik: ১৫ কোটি টাকার জন্য খুন করা হতে পারে সতীশকে, দাবি মহিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ কোটি টাকার জন্য খুন করা হয়ে থাকতে পারে সতীশ কৌশিককে (Satish Kaushik)। দিল্লির (Delhi) যে ব্যবসায়ীর খামারবাড়িতে হোলি পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল, তাঁর স্ত্রীর দাবি সতীশকে বিষ দিয়ে থাকতে পারেন তাঁর স্বামী। দিল্লি পুলিশের (Police) কাছে এই মর্মে অভিযোগও জানিয়েছেন ওই মহিলা। একটি চিঠিতে তিনি জানান, তাঁর স্বামীকে ১৫ কোটি টাকা ধার দিয়েছিলেন সতীশ। সেই টাকা ফেরত চেয়ে ব্যবসায়ীর সঙ্গে একবার বিদেশেও দেখা করেন সতীশ।

    সতীশ কৌশিক (Satish Kaushik)…

    ওই মহিলার দাবি, টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে ওঁদের দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কিও হয়েছিল। সতীশকে টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন বলে নাকি কথাও দিয়েছিলেন তিনি। ওই মহিলার দাবি, তাঁর স্বামীর খামারবাড়িতে হোলি পার্টিতে এসে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা। তাই অভিযোগকারিণীর ধারণা, তাঁর স্বামীই টাকা ফেরত দেওয়া থেকে বাঁচতে সতীশকে বিষজাতীয় কিছু দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, দিল্লির ওই খামারবাড়ি থেকে বেশ কিছু সন্দেহজনক ওষুধ উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য ইতিমধ্যেই তলব করা হয়েছে ওই মহিলাকে।

    ওই মহিলা এমনতর দাবি করলেও, প্রয়াত অভিনেতার (Satish Kaushik) পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। সতীশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে দিল্লি পুলিশ। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাখা হয়েছে সতীশের হৃৎপিণ্ড ও রক্তের নমুনা। প্রসঙ্গত, ৯ মার্চ আচমকাই সতীশের প্রয়াণের খবর আসে। তাঁর ম্যানেজার সন্তোষ রাই বলেন, সে রাতে সাড়ে আটটা নাগাদ খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েন অভিনেতা। কারণ পরের দিন ভোরের ফ্লাইট ধরে মুম্বই ফেরার কথা ছিল তাঁর। রাত্রি ১১টা নাগাদ আমাকে ডাকেন। ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড ঠিক করে দিতে বলেন। তার পর আমি ঘরে চলে যাই। রাত ১২.০৫ নাগাদ চিৎকার করে আমায় ডাকেন। ছুটে গেলাম ওঁর ঘরে।

    আরও পড়ুুন: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    বললেন, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ডাক্তারের কাছে নিয়ে চলো। সন্তোষ বলেন, কিছু দূর এগোনোর পরেই ওঁর (Satish Kaushik) বুকের ব্যথা বাড়তে থাকে। তাড়াতাড়ি চলো বলতে বলতে আমার কাঁধে মাথা দিয়ে বলেন, আমি মরতে চাই না। আমাকে বাঁচাও। সন্তোষ বলেন, হাসপাতাল পৌঁছতে আট মিনিট সময় লেগেছিল। কিন্তু তার আগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর দাবি, সেদিন সকালেই সতীশ তাঁকে বলেছিলেন, মেয়ে বংশীকার জন্য বাঁচতে চাই। তবে মনে হচ্ছে, বেশি দিন বাঁচব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারিতে যাদবদের দুর্নীতির পরিমাণ ৬০০ কোটি, দাবি ইডি-র

    ED: জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারিতে যাদবদের দুর্নীতির পরিমাণ ৬০০ কোটি, দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় ইতিমধ্যেই তেজস্বী যাদবের দিল্লির (Delhi) বাড়ি সহ ২৪টি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Yadavs) যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন চাকরির বিনিময়ে যে জমি নেওয়া হয়েছিল, তার মূল্য ২০০ কোটি টাকারও বেশি। যদিও দুর্নীতি ধরা পড়েছে ৬০০ কোটি টাকার। লালু প্রসাদের পরিবারের যে সম্পত্তির হদিশ ইডি পেয়েছে, তারও দীর্ঘ একটি তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিবৃতি জারি করে ইডি জানিয়েছে, আর্থিক তছরুপের অভিযোগে যে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে, তা থেকে জানা গিয়েছে, লালু প্রসাদের পরিবারের নামে পাটনার প্রমিনেন্ট লোকেশনে বিভিন্ন জমির খোঁজ মিলেছে।

    ইডি (ED) জানিয়েছে…

    লালু প্রসাদ যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন জমির বিনিময়ে চাকরি দিয়ে এই জমি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল। ইডি (ED) আরও জানিয়েছে, বর্তমানে এই জমির বাজার দর ২০০ কোটি টাকারও বেশি। এই জমিগুলির প্রকৃত মালিক কে, তাঁদেরও চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এদিকে, জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় সিবিআই-ও তলব করেছে লালু প্রসাদের পুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্ব যাদবকে।

    প্রসঙ্গত, জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় চলতি সপ্তাহেই আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং কন্যা মিসা ভারতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তার আগে লালু ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। ওই মামলায় লালু প্রসাদ, রাবড়ি দেবী সহ মোট ১৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ২৭ ফেব্রুয়ারি সমন জারি করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালত।

    ইডির (ED) দফতর থেকে ছাড়া পেয়ে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী নিশানা করেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। গুজব ছড়ানো এবং তৈরি করা খবর ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সিজার লিস্ট যাতে সকলের নাম রয়েছে, সেই তালিকাও প্রকাশ করার দাবি জানান তেজস্বী।

    আরও পড়ুুন: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    ইডির দাবি, দিল্লি, পাটনা, রাঁচি এবং মুম্বই সহ ২৪টি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১ কোটি টাকা, ১৯০০ মার্কিন ডলার বিদেশি মুদ্রা, ৫৪০ গ্রাম সোনা, দেড় কেজির বেশি সোনার গয়না যার বাজার মূল্য ১.২৫ কোটি টাকা এবং যাদবদের পরিবারের বিভিন্ন নামে জমির হদিশ মিলেছে। ইডির অভিযোগ, যাদবদের পরিবার ৭.৪ লক্ষ টাকার জমি গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন। পরে সেই জমি বিক্রি করা হয় আরজেডির প্রাক্তন বিধায়ক সইদ আবু দোজানাকে। মূল্য নির্ধারিত হয়েছিল সাড়ে ৩ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Allotment: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    Allotment: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের (Central Government) বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে নানা সময় সরব হতে দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। বিশেষত কোনও নির্বাচন এসে গেলেই কেন্দ্র টাকা দেয়নি বলে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করতে শুরু করেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে আদতে তৃণমূলের দুর্নীতির দিক থেকে জনতার দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    বাংলার জন্য বরাদ্দ (Allotment)…

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার জন্য বরাদ্দ (Allotment) করেছে ৮৯,৯৬০ কোটি টাকা। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন খাতে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বাংলার রেলওয়ে প্রকল্পের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আমরুত ২.০-র জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩,৬৫০ কোটি টাকা। রেভেনিউ ডেফিসিট গ্র্যান্টস পেমেন্টের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৩,৫৮৭ কোটি টাকা। গ্রামীণ সড়কের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৫৩ কোটি টাকা, ২০২৫ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ৫,৫০০ কোটি টাকা। পিএমএওয়াই-জি প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ৮,২০০ কোটি টাকা। বাংলায় রাস্তা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    শিলিগুড়িতে জাতীয় সড়কের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের সম্মতি না মেলায় ক্যাপেক্স লোন পায়নি বাংলা। যদিও পরিকাঠামোর উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ (Allotment) হয়েছে ৭,৬০০ কোটি টাকা। ১৯৪৫ সালের আগে যেসব স্কুল গড়ে উঠেছে, সেগুলির উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। রানিগঞ্জে চার লেনের বাইপাস তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪১০ কোটি টাকা। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ হয়েছে ২,৬৫০ কোটি টাকা। নমামি গঙ্গা প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ১২৩ কোটি টাকা। সর্ব শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে রাজ্য সরকার পেয়েছে ৯৫৫ কোটি টাকা। কর আদায়ের প্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছে ১০,৬৪২ কোটি টাকা।

    মাত্র চার মাসে দেওয়া হয়েছে এই পরিমাণ (Allotment) অর্থ। তার পরেও বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ টাকা খয়রাতি করে রাজ্য সরকার খরচ করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তার জেরে বন্ধ রয়েছে একশো দিনের কাজের মতো নানা প্রকল্প। অথচ রাজ্য সরকার গলা ফাটাচ্ছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PML Rules: প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং রুলস সংশোধন করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    PML Rules: প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং রুলস সংশোধন করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং রুলস (PML Rules), ২০০৫ সংশোধন করল কেন্দ্র। নয়া এই রুলস অনুযায়ী, যাঁরা পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সনস, তাঁদের যে কোনও ধরনের লেনদেনের (transaction) রেকর্ড রাখতে হবে ব্যাঙ্ক (Bank) এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। চলতি অর্থবর্ষের ৭ মার্চ থেকেই লাগু হয়েছে এই রুলস। এছাড়াও এনজিও বা নন প্রফিট অর্গানাইজেশনের যাবতীয় লেনদেনের যাবতীয় তথ্যও সংগ্রহ করতে হবে ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে।

    পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সনস…

    পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সনসের সংজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে ওই সংশোধনীতে। বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যাঁরা কোনও সরকার বা রাজ্যের প্রধান, প্রবীণ রাজনীতিক, প্রবীণ সরকারি কর্মী কিংবা জুডিশিয়াল বা মিলিটারি অফিসার, রাজ্যের কোনও কর্পোরেশনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এবং কোনও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের আধিকারিক, তাঁরাই পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সনস।

    আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ((PML Rules)) নীতি আয়োগের দর্পন পোর্টালের এনজিও ক্লায়েন্টদের তথ্যও নথিভুক্ত করতে হবে। ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ হওয়ার পাঁচ বছর পর পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। শুধু তাই নয়, সংশোধনীতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ব্যাঙ্ক শুধু পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সনস কিংবা এনজিওর আর্থিক লেনদেনের রেকর্ড মেইনটেইন করবে তাই নয়, যখন এবং যেমন প্রয়োজন লেনদেনের সেই সব তথ্য ইডির কাছেও পাঠিয়ে দেবে।

    ক্রিপ্টোকারেন্সি…

    এদিকে, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং ((PML Rules)) রুলসের আওতায় ক্রিপ্টোকারেন্সি পড়বে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। বুধবার এক নির্দেশিকা জারি করে নয়া নিয়মের বিষয়টি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। বিটকয়েনের মতো কারেন্সির পাশাপাশি ভার্চুয়াল সম্পত্তিতেও এবার থেকে কার্যকর হবে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। ডিজিটাল সম্পদের ওপর নজরদারি বাড়াতেই নয়া নির্দেশিকা আনা হচ্ছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির নানা দুর্নীতি আটকাতেও কড়া পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র।

    ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লগ্নি করে প্রতারিত হয়েছেন অনেকে। তাই এ ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিচ্ছে কেন্দ্র। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে কোনও ধরনের তথ্য, নম্বর বা টোকেন সব ক্ষেত্রেই আর্থিক লেনদেন থেকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এই আর্থিক লেনদেনগুলি আয়কর আইনের আওতায় পড়বে। ডিজিটাল সম্পদ কেনাবেচার আগেও সাবধান হয়ে আর্থিক লেনদেনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ কর বসিয়েছে কেন্দ্র। তার জেরেই এই ক্ষেত্রে বাড়ছে অপরাধের সম্ভাবনাও। সেই অপরাধে লাগাম পরাতেই প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং রুলসের আওতায় আসছে লেনদেনের নয়া পদ্ধতি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Scam: এবার স্বাস্থ্য দপ্তরে দুর্নীতি! ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রীঘরে যুবক, কোথায় দেখে নিন

    Scam: এবার স্বাস্থ্য দপ্তরে দুর্নীতি! ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রীঘরে যুবক, কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষক দুর্নীতি (Scam) নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। আদালতের নির্দেশ রাজ্যে শয়ে শয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল হয়েছে। শুক্রবারই গ্রুপ সি পদে আদালতের নির্দেশে নতুন করে বহু নিয়োগ বাতিল হয়েছে। চাকরি বাতিলের তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝিও রয়েছে। এরইমধ্যে ভুয়ো নথি নিয়ে গ্রুপ ডি পদে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে ধরা পড়ল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। স্বাস্থ্য দপ্তরে এই ধরনের দুর্নীতির (Scam) ঘটনা ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালের আধিকারিকরা তার কাছে থাকা নিয়োগপত্র দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, নিয়োগপত্র নিয়ে তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেন। তারপর নিয়োগপত্রটি জমা দিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি বলেন। নিয়োগপত্র দেখেই আমার সন্দেহ হয়। কারণ, স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এভাবে একজনের নিয়োগপত্র দেওয়া হয় না। আমি চারিদিকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, এই ধরনের কাউকে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে পাঠানো হয়নি। ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে ওই যুবক হাসপাতালে এসেছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।

    কে দিল ওই ভুয়ো নিয়োগপত্র? Scam

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য দফতরের গ্রুপ ডি পদে চাকরিতে যোগ দিতে এসেছিল ওই যুবক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মোক্তার আলি। তার বাড়ি মালদহের ইংলিশবাজার এলাকায়। মোক্তারকে হাসপাতালে বসিয়ে রেখে পুলিশের খবর দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে সে স্বীকার করে স্পিড পোস্টে তার কাছে নিয়োগপত্রটি এসেছিল। তবে, এই নিয়োগপত্রের বিনিময়ে সে কত টাকা দিয়েছে তা পুলিশের কাছে স্বীকার করেনি।  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, পরীক্ষা না দিয়ে সরকারি চাকরি পাওয়া যায় না। এই বিষয়টি সকলের জানা দরকার। একটি চক্র রয়েছে, যারা টাকার বিনিময়ে এভাবে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেয়। অনেকে তাদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়। তবে, এই হাসপাতালে এই ধরনের কোনও চক্র রয়েছে কি না তা জানা নেই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ধৃত যুবককে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ ধৃতকে হেপাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা করবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Santanu Banerjee: সিমকার্ড বেচে দিন কাটত শান্তনুর! সেখান থেকে বাগানবাড়ি, রেস্তোরাঁ, ধাবা কীভাবে?

    Santanu Banerjee: সিমকার্ড বেচে দিন কাটত শান্তনুর! সেখান থেকে বাগানবাড়ি, রেস্তোরাঁ, ধাবা কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় মোবাইল ফোনের সিমকার্ড এবং প্রসাধনী সামগ্রী বেচেই দিন গুজরান হত হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল (TMC) নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Santanu Banerjee)। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই যুবকের আঙুল ফুলে কলাগাছ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শান্তনু। তার পরেই খোঁজ মিলেছে তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। বলাগড়ের চাদরা বটতলা এলাকায় গঙ্গার ধার ঘেঁষে মনোরম বাগানবাড়ি। স্থানীয়দের দাবি, অনেক রাত পর্যন্ত এই বাগানবাড়িতে গানবাজনা হত। বহু পুরুষ, মহিলা আসতেন। নীলবাতি লাগানো গাড়িও এসেছে। এখানে আসতেন কুন্তলও। এই বাগানবাড়ির পাশাপাশি

    শান্তনুর (Santanu Banerjee) সম্পত্তি…

    বলাগড়ে রয়েছে ফার্ম হাউসও। এসবের পাশাপাশি বেনামেও বেশ কিছু জমি তিনি কিনেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বাবার অকাল প্রয়াণের পর বিদ্যুৎ দফতরে চাকরি পান শান্তনু। বলাগড়ের বারুইপাড়ায় বাড়ির কাছে রয়েছে অত্যাধুনিক রেস্তোরাঁ, ধাবা। স্থানীয়দের অভিযোগ, চারটি পরিবারকে উৎখাত করে তৈরি হয় ধাবা। বানিয়েছেন হোম-স্টেও। শান্তনুর একাধিক ফ্ল্যাটও রয়েছে বলে দাবি বিজেপির স্থানীয় এক নেতার।

    অতি সাধারণ একটা চাকরি করে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন তৃণমূল নেতা শান্তনু (Santanu Banerjee)? এর উত্তর পেতে হলে ভরসা করতে হবে ইডি-র কথায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, চাকরি প্রার্থীদের কাছে মাথাপিছু ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিতেন শান্তনু। চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি করে দিতে সরাসরি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে সুপারিশ করতেন তিনি। যে ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা শান্তনুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে ২০ জনের চাকরি তিনি করে দিয়েছিলেন। ইডির দাবি, শান্তনুর বাড়িতে চাকরিপ্রার্থীর তালিকার পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছিল তাঁদের সুপারিশপত্র ও অ্যাডমিট কার্ড। শান্তনুর বাড়িতে যে ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা মিলেছিল, তার একটি প্রতিলিপি উদ্ধার হয়েছে মানিকের বাড়ি থেকেও।

    আরও পড়ুুন: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    শান্তনুর পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি ইডির। চাকরিপ্রার্থীদের টাকার কিছুটা নগদে কিছুটা পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শান্তনু (Santanu Banerjee) নিয়েছিলেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। যে ২০ জনকে শান্তনু চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন, আগামী সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁদের। এর পাশাপাশি কুন্তল ঘোষও শান্তনুকে কয়েক কিস্তিতে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলেও দাবি ইডি সূত্রের। এই যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার উৎস কী সে প্রশ্নের কোনও সদুত্তর ইডিকে দিতে পারেননি শান্তনু। তদন্তকারীদের অনুমান, কুন্তলের দেওয়া টাকায়ই কেনা হয় সম্পত্তি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির কাছে শান্তনু একজন মিডলম্যান। তাঁর এত সম্পত্তির বহর কীভাবে, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদেরও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Mamata Banerjee: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    Mamata Banerjee: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নেত্রী হতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে বিজেপি (BJP)-বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন এক ছাতার তলায়। তবে তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে বসেছে। গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে মুখ থুবড়ে পড়েছে মমতার দল। বাংলায়ও পরিস্থিতি বিশেষ তৃণমূলের অনুকূলে নেই। স্বাভাবিকভাবেই বাংলার গদি সামলাতেই ব্যস্ত তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই দিল্লির দিকে নজর দেওয়ার সময় কই তাঁর?

    গোহারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল। বিধানসভার ২৯৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একাই পায় ২১৫টি। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি। তারা পায় ৭৭টি আসন। তার পরেই বিরোধী দল ভাঙাতে উদ্যোগী হন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের টোপ গিলে ইতিমধ্যেই কয়েকজন বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরের ছাতার তলায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এর পাশাপাশি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে একের পর এক রাজ্যে পা রাখার চেষ্টা করে মমতার দল। গোয়ায় কংগ্রেস ভাঙিয়ে পোক্ত করে তৃণমূলের সংগঠন। তার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। গোয়ায় সরকার গড়ার জায়গায়ই পৌঁছতে পারেনি তৃণমূল। উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডেও হোঁচট খেয়ে পড়েছে মমতার দল। স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় দল হওয়ার মানদণ্ডই পেরতে পারেনি তৃণমূল।

    আরও পড়ুুন: বাম-তৃণমূল বোঝাপড়া? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সুকান্ত

    গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। ফলে বাংলায় গদি টিকিয়ে রাখাই আপাতত মমতার (Mamata Banerjee) সব চেয়ে বড় দায় হয়ে উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফেঁসেছে তৃণমূল। গরু পাচার মামলায় জেলে পচছে তৃণমূলের একাধিক নেতা। বগটুইকাণ্ডের পাঁকও লেগেছে তৃণমূলের গায়েই। আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে থাকায় নিত্যদিন কমছে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা। যার সাম্প্রতিকতম প্রমাণ মিলেছে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ে। একুশের নির্বাচনে যেখানে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী, মাত্র ২২ মাস পরের উপনির্বাচনে সেখানেই গোহারা হারে মমতার দল। পাশার দান উল্টে দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বিঘ্নে নির্বাচন হলে সেখানেও মুখের মাপে দুর্নীতির জবাব পেয়ে যাবে মমতার দল। দিকে দিকে ফুটবে পদ্ম। তাই আপাতত জাতীয় রাজনীতি ভুলে রাজ্যে গদি বাঁচানোর দিকেই নজর দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই এখন আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন না তৃণমূল নেত্রী। বাংলার গদি বাঁচানোই যার কাছে এখন ক্রমশ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে, দিল্লি যাওয়ার স্বপ্ন তিনি দেখবেন কীভাবে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loot: রহড়ায় প্লাস্টিকের কারখানায় লুঠ হওয়া অর্ধেক টাকার হদিশ মেলেনি, মূল দুই অভিযুক্ত পলাতক, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Loot: রহড়ায় প্লাস্টিকের কারখানায় লুঠ হওয়া অর্ধেক টাকার হদিশ মেলেনি, মূল দুই অভিযুক্ত পলাতক, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বড় কোনও ডাকাতির ট্র্যাক রেকর্ড তাদের পুলিশের খাতায় নেই। খুচরো অপরাধের সঙ্গে কামারহাটির ওই যুবকদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এক ট্রিপেই তাদের কেল্লাফতে। রহড়ার ডাঙাদিঘলায় প্লাস্টিকের কারখানায় কামারহাটির কয়েকজন বন্ধু মিলে সেখানে হানা দেয়। কারখানা থেকে ৩৪ লক্ষ লুঠ (Loot) করে পালায় দুষ্কৃতীরা। কয়েকজন বন্ধু মিলে এতবড় ডাকাতি করতে পারে তা পুলিশ ভাবতেও পারেনি। এখন তারাই পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের ঘোল খাইয়ে ছাড়ছে। যদিও লুঠ হওয়া ৩৪ লক্ষের মধ্যে ১৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর এই ডাকাতির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী তিন জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এই তিনজনের মধ্যে দুজন সরাসরি ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভিনরাজ্যে তারা গা ঢাকা দিয়েছে। আর বাকি টাকা অভিযুক্তরা কোথায় রেখেছে তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। এর আগে এই ভাগের টাকা গচ্ছিত করার অভিযোগে মহম্মদ রাজা নামে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ডাকাতির ঘটনায় ৫ জন সরাসরি যুক্ত থাকলেও আরও বেশ কয়েকজন এই চক্রের মধ্যে ছিল। গত দুমাসে কয়েক দফায় ১০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি দুজনের এখনও হদিশ পায়নি পুলিশ। তারা কোথায় রয়েছে তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন,  তদন্তে নেমে আমাদের সামনে বেশ কিছু সূত্র সামনে এসেছে। অর্ধেকের বেশি টাকা আমরা উদ্ধার করেছি। বাকী টাকার খোঁজে আমরা তল্লাশি শুরু করেছি।

    লুঠ করা টাকা নিয়ে কী করেছিল অভিযুক্তরা? Loot

    ডাকাতির ঘটনার পর পরই অভিযুক্তরা নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগ করে নিয়েছিল। ১০ জনকে গ্রেপ্তারের পর প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। লুঠ (Loot) হওয়া  বাকী টাকার হদিশ পুলিশ এখনও পায়নি।  ডাকাতির ঘটনার মূল দুই অভিযুক্ত ডাকাতির অর্ধেক টাকা নিয়ে ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে। ধৃত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও তাদের নাগাল পায়নি পুলিশ। ডাকাতির পর পরই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে, এই ডাকাতির ট্রিপ যে দিয়েছিল, সেই ট্রিপারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর একটি সূত্র থেকে জানতে পেরে মহম্মদ রাজা নামে এক অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। জানা গিয়েছে, ধৃত রাজা সম্পর্কে সনুর ভাই। এই সনু দক্ষিণেশ্বরে একটি হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছিল। পুলিশ হোটেলে হানা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে সে গুলি চালিয়েছিল। তাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হন। সনুকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তবে, এখনও এই ডাকাতির মূল মাস্টার মাইন্ড অধরা রয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় যারা জড়িত ছিল তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি কাঁকিনাড়া। আর বাকী সকলের বাড়ি কামারহাটি এলাকায়।  তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ৫ জানুয়ারি রহড়ার ডাঙাডিহিলায় প্লাস্টিকের কারখানায় ডাকাতির আগেই ডাকাতির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রহড়ার একজনের কাছে ট্রিপ পেয়েছিল। ডাকাতি করার আগে কারখানার খুঁটিনাঁটি সব কিছু জেনে নিয়েছিল সে। এরপরই কামারহাটির বাকী বন্ধুদের সে খবর দেয়। মোটা টাকার লোভে সকলেই মিলে ৫ জানুয়ারি গভীর রাতে কারখানায় হানা দেয়।কারখানার কর্মীদের হাত পা বেঁধে রেখে ৩৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা চম্পট দেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বাম-তৃণমূল বোঝাপড়া? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: বাম-তৃণমূল বোঝাপড়া? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারা নো ভোট টু বিজেপি করেছিল ২০২১-এ। এখন সব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। শুক্রবার কথাগুলি বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কার্যত বোমা ফাটালেন সুকান্ত। বিজেপিকে হারাতে তৃণমূল (TMC)-বাম বোঝাপড়া হয়েছে বলেই ইঙ্গিত করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) অভিযোগ…

    শুক্রবার বিধানসভা অভিযান করে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, বিজেপির অভিযান রুখতে পুলিশ ব্যস্ত ছিল। এসএফআইয়ের আন্দোলন বিধানসভার গেট অবধি পৌঁছে দেওয়া হল। আমরা ভেবেছিলাম বিমানবাবুর চেয়ার অবধি পৌঁছে দেওয়া হবে। কারণ ওখানে একটা বোঝাপড়া চলছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে কে কার দিকে আছে। সুকান্ত বলেন, জোট, ঘোঁট আগামিদিনে কী হবে। কারা নো ভোট টু বিজেপি করেছিল ২০২১-এ। এখন সব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। সবটাই স্বচ্ছ জলের মতো পরিষ্কার।

    প্রসঙ্গত, শিক্ষায় দুর্নীতি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে শুক্রবার বিধানসভা অভিযান করে এসএফআই। পুলিশ অবশ্য তাতে অনুমতি দেয়নি। বরং মিছিল রুখে দেওয়ার সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তবে পুলিশের নজর এড়িয়ে বিধানসভার মেইন গেটের বদলে পশ্চিম দিকের গেটে পৌঁছে যায় এসএফআইয়ের একদল নেতা-কর্মী। সেখানে পুলিশের সংখ্যা ছিল কম। রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিধানসভার গেটে বসেছিলেন কয়েকজন।

    আরও পড়ুুন: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    এদিকে, রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণের জেরে পরপর শিশুমৃত্যু নিয়ে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চা ও যুব মোর্চার স্বাস্থ্যভবন অভিযানকে ঘিরে কুরুক্ষেত্র হয়ে ওঠে সল্টলেকের করুণাময়ী চত্বর। পুলিশ বাধা দেওয়ায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। এদিন দুপুর থেকে করুণাময়ীতে জমায়েত করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ করুণাময়ী মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিল পুলিশ আটকাতেই সৃষ্টি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। একটি গাড়িতে করে বিজেপি কর্মীরা করুণাময়ী মোড়ে পৌঁছতেই গাড়িতে উঠে পড়ে পুলিশ। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ঘোষণা করে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এরই কিছুক্ষণ পরে লোহাপুল মোড় থেকে ইন্দ্রনীল খাঁ, তনুজা চক্রবর্তী, অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল বেনফিশ মোড়ে পৌঁছতেই আটকে দেয় পুলিশ। তখনই বাঁধে খণ্ডযুদ্ধ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় অধিবেশনের মধ্যে রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে (Partha Bhowmik) জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার জেরে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে নিরাপত্তা চাইলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ। ঘটনায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে জমা পড়েছে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ। শুক্রবার বিধানসভায় পঞ্চায়েত দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)…

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলকে কেন্দ্র করে ওঠা বিতর্ককে হাতিয়ার করে শুভেন্দু বলেন, আপনারা বাইরে একরকম বলেন, ভিতরে আর এক রকম। এর পরেই ওঠে দলবদলের কৌশল। বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও কৃষ্ণ কল্যাণীর দিকে দেখিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, বলুন না এঁরা কোন দলে? বলতে পারেন এঁরা বিজেপিতে নেই? এতেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন দলবদলু এই দুই বিধায়ক। এর পরেই শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) উদ্দেশ্য করে পার্থ বলেন, আপনিই বলুন না শিশিরবাবু কোন দলে? তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আপনার নামে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা রয়েছে। এক মাসের মধ্যে আপনাকে দেখে নেব। এই সময় বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, আপনি এরকম অবান্তর কথা অধিবেশনে বলতে পারেন না। পাল্টা জবাব দেন শুভেন্দু।

    তিনি বলেন, শুরুটা করেছেন পার্থ ভৌমিক। আমি নই। পার্থকে উদ্দেশ্য করে অধ্যক্ষ বলেন, আপনি থেমে যান। পরে পার্থ শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, আমি কথাটা ওভাবে বলিনি। পার্থকে ঘিরে উত্তেজনা কমলেও, মোদিকে নিয়ে কটাক্ষ করার জেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে মোদি মোদি স্লোগান। শেষে পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে চলে যান শুভেন্দু। পঞ্চায়েত বাজেট নিয়ে আলোচনা শেষে অধ্যক্ষ বলেন, বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) যেভাবে অধিবেশন কক্ষে দাঁড়িয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন, তা অনভিপ্রেত। এভাবে হুমকি দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুুন: জম্মু কাশ্মীরের ডোডায় ১০০ ফুট উঁচু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করল সেনা

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে কাঁথি থেকে জয়ী হয়েছিলেন শিশির অধিকারী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহের সভায় গিয়েছিলেন তিনি। সেই থেকে তাঁকে কটাক্ষ করে আসছে তৃণমূল। এদিকে, বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী ও সুমন কাঞ্জিলাল। পরে তৃণমূলে যোগ দেন তাঁরা। এই বিষয় নিয়েই এদিন শুভেন্দু-পার্থ দ্বৈরথ হয় বিধানসভায়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     
     
LinkedIn
Share