Tag: bangla news

bangla news

  • DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা, সেদিনই মাধ্যমিকের উত্তরপত্র বিলি?

    DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা, সেদিনই মাধ্যমিকের উত্তরপত্র বিলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। প্রস্তাবিত এই ধর্মঘট (Strike) নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনার পারদ।

    ধর্মঘটের দাবিতে অনড়…

    বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারিরা। পৃথা বিশ্বাস নামে এক শিক্ষিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, আমি চাই আগামী ১০ই মার্চ ধর্মঘট করার জন্য সরকার বাহাদুর থুড়ি বাহাদুরানি আমার এক দিনের বেতন কাটুন, চাকরি জীবনের একটি দিন কাটুন। কারণ আমি চাই আমার সার্ভিস বুকে লেখা থাকুক দেশজুড়ে ধর্মীয় বিভাজনকেই রাজনীতির হাতিয়ার বানানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করেছি, যোগ্যতা রাস্তায় ধর্না দিচ্ছে, আর বুক ফুলিয়ে টাকার বিনিময়ে চাকরি কেনাবেচা চলছে। এই বেনিয়মকে আমি ধিক্কার জানিয়েছি…।

    ধর্মঘট বানচাল করার ছক?

    এদিকে, ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘটের দিন থেকেই শুরু হচ্ছে উত্তরপত্র বিলি। সেই পরিস্থিতিতে নির্ঝঞ্জাটভাবে উত্তরপত্র বিলি করার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হল। বুধবার পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করতে ১০, ১১, ১৩, ১৪ ও ১৯ মার্চ উত্তর পত্র বিলি করা হবে। পড়ুয়া ও সমাজের স্বার্থে মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজকর্ম যে জরুরি এবং বাধ্যতামূলক, তা পর্ষদের তরফে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।মূল পরীক্ষকদের উদ্দেশে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে পড়ুয়া ও বৃহত্তর সমাজের স্বার্থে মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোনও কাজ অত্যন্ত জরুরি এবং বাধ্যতামূলক।

    বিধানসভা অভিযানের ডাক…

    এদিকে, এদিনই বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে এসএফআইয়ের পশ্চিমবঙ্গ শাখা। ছাত্র ফেরাও, স্কুল বাঁচাও, ছাত্রভোট ফেরাও, কলেজ বিশ্ববিদ্যায় বাঁচাও এই স্লোগান সামনে রেখে এদিন বিধানসভা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের তরফে সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ১০ মার্চ বেলা ১২টার সময় শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন থেকে দুটি ছাত্র মিছিল রাজ্যের বিধানসভা অভিমুখে যাবে। আমরা রাজ্যের ছাত্র সমাজকে আগামী ১০ মার্চ বিধানসভা অভিযানে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

    আরও পড়ুুন: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rail line: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    Rail line: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ভাবাদিঘি। গোঘাটের এই এলাকার মানুষের কাছে এটা শুধু দিঘি নয়, একটি সেন্টিমেন্ট। কারণ, এই ভাবাদিঘিতে মাছ চাষ করে বহু পরিবারের মুখে দুবেলা অন্ন ওঠে। এলাকার বহু পরিবার এখনও দিঘির জল ব্যবহার করেন। তাই, এই দিঘি এলাকাবাসীর কাছে অন্নদাতা মায়ের মতো। প্রস্তাবিত রেলের প্রকল্প অনুযায়ী, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল (Railline) যোগাযোগের জন্য ভাবাদিঘি দিয়ে রেলপথ নিয়ে যাওয়ার কথা। বিষয়টি জানতে পেরেই এক জোট বাসিন্দারা। দিঘি বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা পথে নামেন। দিঘি রক্ষা করার বার্তা পৌঁছে দেন রেল কর্তাদের কাছে।

    ভাবাদিঘি রক্ষা করতে কী উদ্যোগ নিলেন এলাকাবাসী? Railline

    পথে নেমে লোক দেখানো আন্দোলন নয়। রীতিমতো ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটি গড়ে গঠনমূলক আন্দোলন গড়ে তোলেন এলাকাবাসী। তাঁদের বক্তব্য, রেল (Railline) প্রকল্প হোক। তবে, ভাবাদিঘিকে বাঁচিয়ে এই প্রকল্প করতে হবে। এটাই গ্রামের একমাত্র দিঘি, এর জল‌ই ভরসা সকলের। সেইসঙ্গে এলাকার পরিবেশ ঠিক রাখতে দিঘির বিন্দুমাত্র ক্ষতি হতে দিতে রাজি নয় আমরা। ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির সভাপতি সুকুমার রায় বলেন,   কমিটি গঠনের আগে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা এই এলাকায় রেল পথ তৈরির জন্য মাপজোক করা শুরু করেন। সেই সময় আমরা গুগল এ একটি ম্যাপ দেখতে পেয়েছিলাম। ভাবাদিঘি থেকে ৫০০ মিটার দূর দিয়ে রেল লাইন নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সেখানে অবস্থাপন্ন পরিবার এবং রাজ্যের শাসকদলের বেশ কিছু নেতার জমি ছিল। আচমকাই রাতারাতি সেই লাইনের এলাইমেন্ট চেঞ্জ হয়ে যায়। সেই প্রস্তাবিত পথ বদলে গিয়ে একেবারে দিঘির মাঝখান দিয়ে নতুন ম্যাপ তৈরি হয়। আমাদের প্রাণ থাকতে এই দিঘির উপর দিয়ে রেললাইন (Railline) যেতে দেব না। সরকার যেখানে আইন তৈরি করেছে, সংবিধান সবাইকেই মানতে হবে। পরিবেশ রক্ষার্থে জলাশয়ের অবশ্যই দরকার। আর এই দিঘির জল আমরা গোটা গ্রামের প্রত্যেকটি পরিবার ব্যবহার করি। আমরা কোনওভাবে দিঘির উপর দিয়ে রেলপথ (Railline) নিয়ে যেতে দেব না। এর শেষ দেখে ছাড়ব। বহু মানুষকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। তবু, আমাদের আন্দোলন থেমে নেই। আমরা রেলের বিরুদ্ধে নয়। রেলপথ হোক। তবে, এই ভাবাদিঘিকে বাঁচিয়ে দূর দিয়ে রেল পথ তৈরি হোক। কারণ, দিঘির পাড়ে অনেক জায়গা আছে।

     ভাবাদিঘি আন্দোলনের এক সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, দিদি তো সব জায়গায় হেলিকপ্টার চড়ে যান। ভাবাদিঘিতে সব হয়ে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তিনি অনেক কথা বলেছেন। এখানে কী হয়েছে তিনি নিজে এসে চাক্ষুস করে যান। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার ঠিক  আগে ভাবাদিঘির বাসিন্দারা নিজেদের দাবি বজায় রাখতে আন্দোলনের পারদ চড়াচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Erosion: মুর্শিদাবাদে গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম, হুঁশ নেই প্রশাসনের, আতঙ্কে বাসিন্দারা

    Erosion: মুর্শিদাবাদে গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম, হুঁশ নেই প্রশাসনের, আতঙ্কে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিজ ভূমে পরবাস। চোখের সামনে বিঘার পর বিঘা জমি গঙ্গার ভাঙনে (Erosion) তলিয়ে গিয়েছে। এবার গ্রাস করতে শুরু করেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকের নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালপুর, ধানঘরা, শিবপুর সহ একাধিক গ্রামের বাড়ি। একটি বা দুটি নয়। গত আড়াই বছরের মধ্যে এই সব গ্রাম থেকে হাজারের বেশি বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। এটা গ্রামবাসীদের মন গড়া কোনও তথ্য নয়। খোদ ব্লক প্রশাসনের দেওয়া রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে। ফলে, জমি, বাড়ি হারিয়ে নিজের ভিটে ছেড়ে কেউ খোলা আকাশের নীচে রয়েছেন। কেউ আবার আত্মীয়ের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছেন। কেউ আবার স্কুলের পাশে জমিতে মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়়া গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে বহু পরিবার। গত তিন দিনের মধ্যে নতুন করে এই সব গ্রামে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। চার-পাঁচটি বাড়ি ফের গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। ভাঙন (Erosion) কবলিত গ্রামের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক এবং অনিশ্চতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

    ভাঙন প্রতিরোধে আসা ঠিকাদারকে কেন বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা? Erosion

    এই জেলায় গঙ্গা ভাঙন (Erosion) নতুন কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু, ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধে গঠনমূলক কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। আগের বাম শাসনের আমলেও এই বিষয়ে কেউ কোনও উদ্যোগ নেয়নি। আর ২০১১ সাল থেকে তৃণমূল এই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। এই জেলায় জেলা পরিষদের ত্রিস্তরে বহু বছর ধরে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু, ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান করার বিষয়ে কারও কোনও হেলদোল নেই। এমনটাই অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের। স্থানীয় বাসিন্দা ছবি খাতুন বলেন, চোখের সামনে একের পর এক বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। গ্রামের সকলে মিলে প্রশাসনের কাছে দরবার করেছে। কিন্তু, পাথর দিয়ে গঙ্গা বাঁধানোর কারও উদ্যোগ নেই। তাই, গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁদের বক্তব্য, লোক দেখানো করে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন (Erosion) মোকাবিলা করা হয়। তাতে ঠিকাদারদের পকেট ভরে। কিন্তু, গঙ্গার ভাঙন (Erosion) রোধে কোনও কাজ হয় না। বহুবার প্রশাসনের কর্তাদের কাছে সে কথা জানিয়েছেন বাসিন্দারা। কিন্তু, টনক নড়েনি প্রশাসনের। ফলে, নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনের কর্তারা। এলাকায় ঠিকাদার পাঠিয়ে বালি বোঝাই বস্তা দিয়ে ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু, গ্রামবাসীরা তা মানতে রাজি হননি। লোক দেখানো কাজ নয়। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান করতে হবে। যদিও  পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। বিক্ষোভকারীদের একটাই অভিযোগ, এভাবে বালির বস্তা দিয়ে গঙ্গা বাধা হয় না। পাথর দিয়ে ভালো করে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে  ব্যবস্থা না নেওয়া হলে  আমরা কাজ করতে  দেব না। এই বিষয়ে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র মুন্ডা বলেন, আমার পক্ষ থেকে যেটুকু সাহায্য করা সম্ভব তা আমি করেছি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের চাল- ত্রিপল সহ কিছু আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় এবিভিপি নেতার বাড়িতে তৃণমূলীদের হামলা, জখম প্রাক্তন সেনাকর্মী সহ ৩

    ABVP: মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় এবিভিপি নেতার বাড়িতে তৃণমূলীদের হামলা, জখম প্রাক্তন সেনাকর্মী সহ ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ হোলির দিনে পাড়ার মধ্যে মদ্যপ যুবকরা অভব্য আচরণ করছিল। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের জেরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন  বারাকপুরে শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কলেজ পল্লির এলাকার মানুষ। কিন্তু, সাহস করে কেউ মদ্যপদের প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেনি। প্রাক্তন সেনা কর্মী জন্মেঞ্জয় মাহাতোর দুই ছেলে জগদীশ ও সমীরণ বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করেন। জগদীশবাবু বারাকপুরের অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক (Abvp)। আর জন্মেঞ্জয়বাবু কার্গিল যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনা অফিসার ছিলেন। তাদের বাধায় দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। পরে, মদ্যপরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, দলবল নিয়ে এসে মদ্যপরা প্রাক্তন সেনা কর্মীর বাড়ির ভিতরে ঢুকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সকলেই তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচত। বাড়ির ভিতরে দুই ছেলের উপর হামলা হতে দেখে প্রাক্তন সেনা কর্মী বাধা দিয়ে এগিয়ে আসেন। তাঁর উপরও হামলাকারীরা চড়াও হন। হামলার জেরে প্রাক্তন সেনা কর্মীসহ তিনজন জখম হন। স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে তাঁরা চিকিত্সা করেন। পরে, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    এলাকায় তৃণমূলের দাপট দেখাতেই কী দলবল নিয়ে হামলা? Abvp

    শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা তৃণমূলের খাস তালুক। এই এলাকায় প্রাক্তন সেনা কর্মীর ছেলে প্রকাশ্যেই এবিভিপি-র (Abvp) নেতৃত্ব দেন। ফলে, স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আগে থেকে প্রাক্তন সেনা কর্মীর বাড়ির দিকে নজর ছিল। মদ্যপদের পাড়া থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতারা সুযোগ পেয়ে যায়। দলবল নিয়ে তারা এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রাক্তন সেনা কর্মী জন্মেঞ্জয় মাহাত বলেন, পাড়ার মধ্যে ওরা চরম অভব্য আচরম করছিল। গালিগালাজ দিচ্ছিল। তাই, প্রতিবাদ করা হয়েছিল। সকলেই তৃণমূল কর্মী (Tmc) হিসেবে পরিচিত। নিজেদের দাপট দেখাতেই এভাবে বাড়ির ভিতরে ঢুকে ওরা হামলা চালায়। হামলার জেরে বড় ছেলের কলার বোন ভেঙে যায়। ছোট ছেলের পা ভাঙে। আমার মাথা ফেটে যায়। ওরা হামলা চালানোর সময় তৃণমূলের স্থানীয় প়ঞ্চায়েতের প্রধানের  নাম নিয়েছিল। হামলার বিষয় নিয়ে শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান অরুণ ঘোষ বলেন, এটা নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয়। এরসঙ্গে দলের কোনও বিষয় নেই। আর আমি কাউকে এই ধরনের কাজে মদত দিই না।

    অন্যদিকে, বিজেপির নোয়াপাড়া যুব মোর্চার কনভেনার সুপ্রিয় দে-র উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সুপ্রিয়বাবু বলেন, দোল খেলে বাড়ি ফেরার পথে ওরা আমার পথ আটকায়। এরপর আমার উপর হামলা চালায়। ওরা দুষ্কৃতীকারী। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

     

     

     

  • Poster: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে সামাজিক বয়কট! কারা দিল পোস্টার?

    Poster: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে সামাজিক বয়কট! কারা দিল পোস্টার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্য করে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি। রাতারাতি রাজ্যবাসীর কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন কৌস্তভবাবু। জামিনে বাড়ি ফিরে আসার পর তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে বিজেপি, সিপিএম নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষদের শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ব্যারাকপুর শহরে বেশ কয়েকটি এলাকায় রাস্তার ধারে একটি পোস্টার (Poster) ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হওয়া এই কংগ্রেস নেতাকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    কৌস্তভ বাগচিকে কারা সামাজিক বয়কটের ডাক দিল? Poster

    গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে নিজের মস্তক মুণ্ডন করে তৃণমূল সরকারকে উত্খাত করার তিনি শপথ নেন। তাঁর এই জেদ দেখে স্বাভাবিকভাবে কংগ্রেসের নীচুতলার কর্মীরা চাঙা হয়ে ওঠেন। সঙ্গে বিরোধীরাও তাঁর বাড়়ি বয়ে এসে প্রশংসা করে যান। একদিকে তাঁর নামে সর্বত্র জয়জয়কার করছে বিরোধীরা, সেই অবস্থা রবিবার তাঁর ব্যারাকপুরে বাড়়ির আশপাশের এলাকায় রাস্তার ধারে তাঁকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়ার পোস্টার (Poster) দেওয়া হয়েছে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্য করে আমাদের এলাকার সাংস্কৃতিকে সারা বাংলার কাছে হেয় প্রতিপন্ন করেছে কৌস্তভ বাগচি, তাকে সামাজিক বয়কট করা হোক। পোস্টারের (Poster) নীচে কোনও রাজনৈতিক দলের নাম নেই। শুধু লেখা রয়েছে বারাকপুরবাসীর পক্ষ থেকে। তবে, কে বা কারা এই পোস্টার (Poster)   দিয়েছে তা পরিষ্কার নয়। তবে, কংগ্রেস নেতা মাথা ন্যাড়া নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। কামারহাটির পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মলা রায় কংগ্রেস নেতাকে কটাক্ষ করে বলেন, ওই নেতার মাথায় উকুন ছিল। তাই, তিনি মাথা ন্যাড়া হয়েছেন। আর দলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করছেন। এরপর নিজের ওয়ার্ডে এক মাথা ন্যাড়া যুবকের মাথায় গোল ঢেলে কৌস্তভ বাগচিকে ওই কাউন্সিলর কটাক্ষ করেন।

    বারাকপুর শহরে সামাজিক বয়কটের পোস্টার নিয়ে কৌস্তভবাবু বলেন, এই ধরনের পোস্টার দেওয়ার কাজ তৃণমূলের। নিজেরা সামনে নাম দিতে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু, পোস্টার (Poster) দিয়ে সামাজিক বয়কটের ডাক দিলেই তো হল না। আমাকে এলাকার মানুষ ভালোবাসেন। বাড়ির বাইরে বের হলেই প্রচুর মানুষ এসে কথা বলে যাচ্ছে। বারাকপুর পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান উত্তম দাস বলেন, বাংলার একটি নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। তিনি একজন আইনজীবী হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যে অশালীন মন্তব্য করেছেন তা নিন্দার ভাষা নেই। তবে, সামাজিক বয়কটের পোস্টার (Poster) দেওয়ারও আমরা তীব্র নিন্দা করছি। এসব তৃণমূলের কাজ নয়। ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rabri Devi: বিহারে রাবড়ি, তেজস্বীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি, কেন জানেন?

    Rabri Devi: বিহারে রাবড়ি, তেজস্বীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সিবিআই (CBI)-ইডি (ED)-র অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে রবিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি দিয়েছিল দেশের ৮টি রাজনৈতিক দলের ৯ জন প্রতিনিধি। এই চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও। তার ঠিক পরের দিন সাত সকালে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর (Rabri Devi) বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের স্ত্রী রাবড়ি ঘটনাচক্রে তেজস্বীর মা। সিবিআই সূত্রে খবর, জমি বেচে চাকরি দুর্নীতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এই আরজেডি নেত্রীকে। অশান্তি এড়াতে পাটনায় রাবড়ির বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ।

    রাবড়ি দেবী (Rabri Devi)…

    প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন লালু। ওই সময় বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় তোলা হয় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী (Rabri Devi) এবং তাঁর দুই কন্যা মিসা ও হেমাকে। ঘটনার তদন্তে গত ২০ মে পাটনা, দিল্লি সহ দেশের ১৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। অগাস্টে অভিযান চালানো হয় আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতে। গত বছর ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় লালু ঘনিষ্ঠ আধিকারিক ভোলা যাদবকে।

    ২২ অক্টোবর জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারি মামলায় লালুর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা ওই চার্জশিটে লালু ছাড়াও নাম রয়েছে রাবড়ি, মিসা ও হেমার। এঁরা ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে আরও ১২ জনের। সিবিআইয়ের দাবি, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বহু অযোগ্য প্রার্থীকে লালু মুম্বই, জব্বলপুর ও কলকাতা সহ রেলের বিভিন্ন জোনে চাকরি পাইয়ে দেন। এর বিনিময়ে তাঁদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা বা জমি নিয়েছিলেন লালুর পরিবারের কয়েকজন সদস্য এবং লালু-ঘনিষ্ঠ নেতারা।

    আরও পড়ুুন: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    এদিন সকালে পাটনায় লালুর বাড়িতে পৌঁছায় সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল। তারা বাড়ির ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। বাড়ি থেকে কাউকে বের হতেও দিচ্ছে না। তেজস্বীর বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারি মামলায় দিল্লির রাউজ অ্যাভেনিউ আদালত লালু, রাবড়ি (Rabri Devi), ও তাঁদের কন্যা মিসাকে সমন পাঠায়। সিবিআইয়ের চার্জশিটে তাঁদের আদালতে হাজিরার দিন দেওয়া হয়েছিল ১৫ মার্চ। তার আগেই রাবড়ির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তবে এদিন কোন মামলায় রাবড়ির বাড়িতে সিবিআইয়ের আধিকারিক দল এসেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Imran Khan Arrest: ইমরানের খোঁজে হন্যে পুলিশ, কোথায় গেলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী?

    Imran Khan Arrest: ইমরানের খোঁজে হন্যে পুলিশ, কোথায় গেলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষাখানা মামলায় হাজিরা দেননি তিনি। সেই কারণে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারের (Imran Khan Arrest) নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। আদালতের নির্দেশ মেনে ইমরানকে ধরতে রবিবারই তাঁর লাহোরের জামান পার্ক এলাকার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। প্রথমে ইমরানের পিটিআই (PTI) নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বাধায় প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতেই ঢুকতে পারেনি পুলিশ। পরে পুলিশের তরফে এক প্রতিনিধি প্রবেশ করেন ইমরানের বাড়িতে। ওই বাড়িতে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর নাগাল পায়নি পাকিস্তান পুলিশ। পিটিআই সুপ্রিমোকে তাঁর লাহোরের বাড়িতে না পেয়ে পুলিশ ছোটে ইসলামাবাদে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েও ইমরানের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। অনুমান, গ্রেফতারি এড়াতেই কোথাও গা-ঢাকা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    ইমরান খানকে গ্রেফতারের (Imran Khan Arrest) নির্দেশ…

    ইসলামাবাদ পুলিশের তরফে ট্যুইট-বার্তায় জানানো হয়েছে, ইসলামাবাদ থেকে পুলিশ অফিসারদের একটি দল আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী লাহোরে যায় ইমরান খানকে গ্রেফতার (Imran Khan Arrest) করতে। কিন্তু ইমরান খান আত্মসমর্পণে নারাজ। পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট তাঁর ঘরে যান, কিন্তু সেখানে তাঁর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। পুলিশ প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর নাগাল না পেলে কী হবে, রবিবার বিকেলেই জামান পার্কের বাড়ি থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন ইমরান। ইমরান বলেন, মিথ্যা মামলায় আমায় বারবার সমন পাঠানো হচ্ছে। গোটা দেশের এই বিষয়ে জানা উচিত। তিনি বলেন, যদি দুর্নীতি পরায়ণ নেতাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো না হয়, তাহলে তা দেশের জন্য খুব খারাপ হবে।

    আরও পড়ুুন: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    প্রসঙ্গত, গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরানের (Imran Khan Arrest) বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়। এগুলির মধ্যে তাঁর রাজনৈতিক দলের জন্য অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এদিকে, পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তৃতা বা মন্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করেছে সে দেশের মিডিয়া নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ পিইএমআরএ। বিবৃতি জারি করে পিইএমআরএ বলেছে, ইমরান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন এবং ঘৃণাসূচক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন।

    প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশ থেকে যেসব উপহার পেয়েছিলেন ইমরান, সেগুলি চড়া দরে তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের নিয়ম অনুযায়ী, সেগুলি জমা পড়ার কথা তোষাখানায়। সেই মামলায় ইমরানকে খুঁজছে পুলিশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Scam: আইসিডিএসে চাকরি দেওয়ার নাম করে এরকম দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    Scam: আইসিডিএসে চাকরি দেওয়ার নাম করে এরকম দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ টেট, গ্রুপ ডি এবং এসএসসির পর এবার দুর্নীতির(Scam) ছায়া আইসিডিএসে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসাবে চাকরি দেওয়ার নামে বেশ বড় রকমের প্রতারণার অভিযোগ উঠল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। আইসিডিএসের হেল্পার মোসলেমা বেওয়া ও তাঁর মেয়ে পুতুল নশা পারভিন ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক এবং তৃণমূল নেতাদের নাম ভাঙিয়ে মহেন্দ্রপুর গ্রামের জাহেদুল ইসলামের মেয়েকে আইসিডিএস-এ চাকরির টোপ দেন বলে অভিযোগ। কিন্তু, দুবছর হতে চলল এখনও চাকরি পাওয়া তো দূরের কথা, টাকা ফেরত দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেই। সামনেই জাহেদুল ইসলামের মেয়ের বিয়ে। তাই, পাওনা টাকা চাইতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক বচসা হয়। হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ।

    চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে কত টাকা লেনদেন হয়েছিল?

    শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা আছে জেনে জাহেদুল চাকরি পাওয়ার আশা ছিল। ১৫ দিনের মধ্যে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। বিনিময়ে চার লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই মতো জাহেদুল ইসলাম স্ত্রীর গয়না বন্ধক ও জমি বিক্রি করে নগদ চার লক্ষ টাকা তুলে দেন। জাহেদুল ইসলামের অভিযোগ, টাকা নেওয়ার সময় ব্লকের সিডিপিও ও জেলার ঊর্ধ্বতন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাদের ভালো পরিচয় রয়েছে বলে ছিল। ১৫ দিনের মধ্যেই চাকরি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এই রাজ্যে তৃণমূল নেতাদের টাকা দিলেই চাকরি হয়। তাই, চাকরি পাওয়ার আশায় টাকা দিয়েছিলাম কিন্তু, দুবছর হতে চলল চাকরি পাওয়ার কোনও আশা নেই। সামনেই আমার মেয়ের বিয়ে। তাই, ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাদের কাছে গিয়েছিলাম। আমাকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।

     

    যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আইসিডিএস-এর হেল্পার মোসলিমা বেওয়ার মেয়ে পুতুল নেশা পারভিন। তিনি বলেন, ওরা ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছে।চাকরি দেওয়ার নাম করে আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি। আমার কাছে ওরা মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা ধার চাইতে এসেছিল।এর আগেও ওদের টাকা ধার দিয়েছি। এদিন টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার বিরুদ্ধে এই সব মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। কোনও ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যেই প্রতারিত জাহেদুলসাহেব থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Mohan Bhagwat: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা। রবিবার এ কথা বলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। কার্নালের একটি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভাগবত। সেখানেই ভাষণ দিতে গিয়ে সরসংঘ চালক বলেন, ব্রিটিশ শাসনের আগে ভারতীয় জনসংখ্যার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ শিক্ষিত ছিলেন। সেই সময় কেউ বেকার থাকতেন না। সেই সমাজে শ্রেণি এবং রংয়ের ভিত্তিতে বৈষম্য ছিল না।

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন…

    ভাগবত বলেন, সেই সময় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল যাতে মানুষ আত্ম নির্ভরশীল হয়ে ওঠেন। কিন্তু ব্রিটিশরা আমাদের দেশে ইংল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছিল। এবং এভাবেই তারা আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। সরসংঘ চালক বলেন, আমাদের তৎকালীন শিক্ষা ব্যবস্থা কেবল মাত্র চাকরির জন্য ছিল না, ছিল জ্ঞানের মাধ্যমও। সেই সময় শিক্ষা ছিল সস্তা। প্রত্যেকের নাগালের মধ্যে ছিল। তাই সমাজই বহন করত শিক্ষার খরচ। স্কলার, শিল্পী এবং কারিগর, যাঁরা শিক্ষিত হতেন, তাঁদের পরিচিত ছিল বিশ্বজনীন। শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া জরুরি, এদিন তাও বুঝিয়ে দেন আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat)। তিনি শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপরও জোর দেন।

    আরও পড়ুুন: ‘নো ভোট টু তৃণমূল বললে এই দিন দেখতে হত না’, অধীরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    এদিন আত্ম মনোহর মুনি আশ্রম কর্তৃপক্ষের ভূয়সী প্রশংসা করেন ভাগবত। এই আশ্রম কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে হাসপাতাল তৈরি করছেন। সরসংঘ চালক বলেন, আমাদের দেশের সব চেয়ে বড় প্রয়োজন হল সবার জন্য শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। কারণ এই দুটি ক্রমেই খরচ সাপেক্ষ হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, সস্তায় যাতে মানুষ শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ পান, তার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সরসংঘ চালক বলেন, আমরা তাঁরা নই, যাঁরা কেবল নিজের জন্য বাঁচেন। আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যই হল সর্বজন হিতায়, সর্বজন সুখায়। তিনি বলেন, সমাজের বাঁধনটাকে শক্ত করতে হবে, যাতে মানুষ দেশের ভাল জিনিসগুলি দেখতে পায়। মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, আমরা যদি সুখী হতে চাই, তাহলে আগে সমাজকে সুখী করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Farmers Protest: সিঙ্গুরের মতো আবারও কি জমি আন্দোলন দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী, কোথায় দেখে নিন?

    Farmers Protest: সিঙ্গুরের মতো আবারও কি জমি আন্দোলন দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী, কোথায় দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ তিন বা চার ফসলা জমির উপর ঝাঁ চকচকে রাস্তা তৈরি করা হবে। তাই, সরকার জমি অধিগ্রহণ করার জন্য নোটিশ জারি করেছে। ক্ষতিপূরণ দিয়ে জমি অধিগ্রহণ করা হবে। উন্নয়নের জন্য জমি দিতে রাজি গোঘাট-২ ব্লকের চাষিরা। তাঁরা শুধু চান, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ। কিন্তু, সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকায় চার ফসলা জমি ছাড়তে নিমরাজি গোঘাট -২ ব্লকের হাজার হাজার চাষি। সিঙ্গুরের চাষিদের মতো নিজেদের দাবি আদায়ে জোটবদ্ধ হচ্ছেন এই ব্লকের চাষিরা (Farmers protest)।

    বিঘা প্রতি জমির কত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে? Farmers protest

    কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ এবং হাইওয়ে মন্ত্রক এই রাস্তা তৈরির জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের জমির মূল্য দেওয়ার জন্য রাজ্যকে টাকাও দিয়ে দিয়েছে। বর্তমান রেজিস্ট্রি অফিসে যে মূল্যে ওই এলাকার জমি রেজিস্ট্রি হচ্ছে, তার দ্বিগুণ এর একটু বেশি দাম পাবেন চাষিরা। যেদিন থেকে নোটিফিকেশন জারি হয়েছে সেদিন থেকে টাকা নেওয়ার দিন পর্যন্ত আরও ১০ শতাংশ সুদ পাবেন চাষিরা। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে, এই এলাকার জমির বর্তমান সরকারি মূল্য যদি ৫ লক্ষ টাকা বিঘা হয়, তাহলে চাষিরা এক বিঘা জমি দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা পাবেন। চাষিদের (Farmers protest) বক্তব্য,সিঙ্গুরের জমির যদি ক্ষমতা একগুণ হয়ে থাকে, তাহলে এই এলাকার জমির ক্ষমতা তার থেকে অনেক গুণ বেশি। সিঙ্গুরের জমি যদি দু- তিন ফসলি হয়ে থাকে,গোঘাট-২ ব্লকের চাষিদের জমি চার ফসলি। বছরে চারটি ফসল এখানে খুবই ভালভাবে হয়। ওই এক বিঘা জমি থাকলে একটি পরিবারের ৩-৪ জন হেসে খেলে সারা জীবন  ভাত ,কাপড় পরে বাঁচতে পারবেন। তাই, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

    পশ্চিমবঙ্গে তিনটি আর্থিক করিডর তৈরি হচ্ছে। খড়গপুর-মোড়গ্রাম, হলদিয়া-রক্সৌল-কলকাতা ও বারাণসী করিডরের জন্য রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যেই প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ইতিমধ্যেই ল্যান্ডম্যাপ সুনিশ্চিত করছে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। সেই মতো এবার হতে চলেছে জমি অধিগ্রহণ। খড়গপুর-মোড়গ্রাম করিডরের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। পোঁতা হয়েছে পিলারও। তবে, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে হুগলি ঢুকতেই বিপত্তি। নিজেদের জমি ছাড়তে নারাজ হুগলির গোঘাট ২ ব্লকের পশ্চিমপাড়া, গুরুলিয়া- ভাতশালা, লস্করপুকুর, মুল্লুক, মেহেরবানপুর, সাতবেড়িয়ার চাষিরা (Farmers protest)। চাষিদের বক্তব্য,“যে জমির উপর দিয়ে এই হাইওয়ে যাচ্ছে সেই জমি আমাদের কাছে অন্নদাতা মায়ের মত। এই জমি সোনা জমি। উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আমরা জমি দিতে রাজি আছি। কিন্তু, যেভাবে জমির মূল্য দেওয়া হবে শুনছি, এত কম দামে আমরা জমি দেব না। তারজন্য যদি আমাদেরকে আন্দোলন করতে হয় আমরা করব। যদি আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় আমরা হব। আমাদের জীবন জীবিকার একমাত্র সম্বল ওই জমি,আধা মূল্যে তা দেব না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share