Tag: bangla news

bangla news

  • Manipur: মণিপুরে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত মহিলা কনস্টেবল, নিরাপত্তা বাহিনীর বাসে আগুন

    Manipur: মণিপুরে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত মহিলা কনস্টেবল, নিরাপত্তা বাহিনীর বাসে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) এবার আক্রান্ত খোদ নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার কঙ্গপকপি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। বুধবার সকালে ভারত-মায়ানমারের সীমান্তে মোরে এলাকায়ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। চালানো হয় এলোপাথাড়ি গুলিও। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা কনস্টেবলের। এদিকে, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য সরকারকে শান্তি ফেরাতে সক্রিয় হতে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

    গুলির লড়াই

    এদিন সকাল (Manipur) সাড়ে ন’টা নাগাদ সশস্ত্র দুষ্কৃতী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। মৃত্যু হয় ওই মহিলা কনস্টেবলের। গুলির ওই লড়াইয়ের জেরে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তার আগেই অবশ্য এলাকার অন্তত ৩০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। জানা গিয়েছে, যে বাড়িগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, সেগুলি মেইতেইদের। হিংসার কারণে অবশ্য বাড়িগুলিতে এখন কেউ ছিলেন না। বাড়িগুলির পাশাপাশি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বন বিভাগের অফিসেও।

    বাসে আগুন 

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালে (Manipur) নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর থেকে জেলা সদরে যাওয়ার পথে সাপোরমেইনা এলাকায় অবরোধের মুখে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি বাস। তখনই বাস দুটিতে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত ৩ মে। এদিনই হিন্দু মেইতেইদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে খ্রিস্টান কুকিদের। মেইতেইরা দীর্ঘদিন ধরেই তফশিলি জাতি মর্যাদার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। তার প্রতিবাদে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর মিছিল করে। এর পরেই শুরু হয় দু পক্ষে সংঘর্ষ। যার জেরে ইতিমধ্যেই বলি হয়েছে শতাধিক মানুষের প্রাণ।

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

    হিংসা থামাতে একাধিক (Manipur) পদক্ষেপ করা হয়। তার পরেও জ্বলেছে অশান্তির আগুন। পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু বাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে ভিটেমাটি ছেড়ে সেনাবাহিনীর আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই নিয়েছেন বহু মানুষ। মণিপুরবাসীর জীবন এবং সম্পত্তি বাঁচাতে রাজ্যের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকের ভার তুলে দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহের হাতে। তার পরেও শান্তি ফেরেনি মণিপুরে। যার মাশুল গুণছেন সাধারণ মানুষও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Calcutta High Court: ভারতীয় সেনায় পাক নাগরিকের চাকরির মামলায় এফআইআর করতে চায় সিবিআই

    Calcutta High Court: ভারতীয় সেনায় পাক নাগরিকের চাকরির মামলায় এফআইআর করতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাল নথি নিয়ে ভারতীয় সেনায় চাকরি করছেন দুই পাক নাগরিক। এ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই মামলায়ই এবার এফআইআর দায়ের করতে চায় সিবিআই। বুধবার মামলার শুনানি হয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। সেখানেই একথা জানায় সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থার তরফে এও জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের আগের নির্দেশ মতো এই ঘটনার অনুসন্ধান করছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, সোমবারই সিবিআইকে তাদের অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    জাল নথি দিয়ে নিয়োগ

    কেবল সেনাবাহিনীতেই নয়, আধা সামরিক বাহিনীতেও জাল নথি দাখিল করে নিয়োগের হদিশ দিয়েছিল সিআইডি। তবে কোনও পাক নাগরিকের জাল নথি নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করার কোনও নজির (Calcutta High Court) তারা পায়নি বলে হাইকোর্টে জানিয়েছিল রাজ্য। ২৩ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। এর সঙ্গে দেশের নিরাপত্তাও জড়িয়ে রয়েছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সব সমস্যাকে সমন্বয় রেখে এই ঘটনার তদন্ত করতে হবে। এই মামলারই শুনানি হয়েছে বুধবার।

    সেনায় পাক চর!

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় সেনার ব্যারাকপুর ছাউনিতে দুই পাক নাগরিক জাল নথি দিয়ে চাকরি করছেন বলে হাইকোর্টে মামলা করেন বিষ্ণু চৌধুরী নামে হুগলির এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই মারফত চর ঢোকানো হচ্ছে ভারতীয় সেনায়। তাঁর দাবি, ব্যারাকপুর সেনা ছাউনিতে জয়কান্ত কমার ও প্রদ্যুম্ন কুমার নামে দুই পাক নাগরিক চাকরি করছেন। সেনা বাহিনী, রাজ্য পুলিশ, ভিন রাজ্যের পুলিশ ও প্রভাবশালীদের মারফত তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। জাল নথি দাখিল করে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

    এই মামলার শুনানির পর প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা (Calcutta High Court)। ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি এবং মিলিটারি পুলিশকে এই মামলার শরিক করার নির্দেশও দেওয়া হয়। সিআইডির কাছেও এই মামলার প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসন্ধান করে সিবিআই। এদিকে, এদিন আদালতে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিষ্ণু। তিনি জানান, তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পরেই আদালত তাঁকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে হুগলি জেলার পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করার নির্দেশ দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের  

    Panchayat Election 2023: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) ব্যাপক অশান্তি হয়েছে রাজ্যে। এই নির্বাচনের আগে-পরে যত হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেসব ক্ষেত্রেই সিবিআই তদন্ত দাবি করল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। কেবল তাই নয়, বিজেপির দাবি, তদন্ত হতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে। নির্বাচন-পর্বে রাজ্যের যেসব জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, সব ক্ষেত্রেই এনআইএ তদন্ত দাবি করেছে ওই টিম।

    রাজ্যের সমালোচনা

    বুধবার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার হাতে ভোট-হিংসা নিয়ে রিপোর্টও জমা দিয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। দাবি করেছে সিবিআই, এনআইএ তদন্তের। নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারের নিন্দা করেন রবিশঙ্কর। সমালোচনা করেন তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানেরও। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election 2023) ঘিরে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে রাজ্যে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই শুরু হয়ে যায় খুনখারাপি। চলতে থাকে নির্বাচনের ফল বেরনোর পরেও বেশ কয়েকদিন ধরে। সব মিলিয়ে এই পর্বে রাজনৈতিক হিংসার বলি হন ৫২ জন। এঁরা যে সবাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থক তা নয়, এঁদের মধ্যে রয়েছেন ভোটারও।

    রক্তের হোলি খেলা

    এই হিংসায় কোথাও খুন হয়েছেন বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা, কোথাও আবার রাজনীতি করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছেন তৃণমূলেরই কোনও কর্মী-সমর্থক। তিনি অবশ্য বলি হয়েছেন গোষ্ঠীকোন্দলের। রাজ্যে ভোট-হিংসার প্রকৃত চিত্র দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গঠন করেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। টিমের মাথায় রাখায় হয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে। ১২-১৪ জুলাই তাঁরা (Panchayat Election 2023) ঘুরে দেখেন রাজ্যের বিভিন্ন হিংসা প্রবণ এলাকা। এই সময় তাঁরা যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন, সেই সব তথ্যই এদিন দিল্লিতে তুলে দেওয়া হয় নাড্ডার হাতে।

    আরও পড়ুুন: ভোট ‘সন্ত্রাসের শিকার’! আক্রান্ত মহিলাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেল বিজেপির পরিষদীয় দল

    ২৬ পাতার ওই রিপোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় গেলেও, স্পর্শকাতর বুথের তথ্য দেয়নি কমিশন। বাংলার গ্রামাঞ্চলে বিজেপি কর্মীরা যে ভয়ে ভয়ে রয়েছেন, তাও জানানো হয়েছে রিপোর্টে। এর পাশাপাশি সব হিংসার ক্ষেত্রে সিবিআই এবং সব বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে এনআইএ তদন্ত দাবি করা হয়েছে। রবিশঙ্কর বলেন, নির্বাচনের আগে আদালত অন্তত পাঁচবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছিল। স্পর্শকাতর জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: টানা ছ’ ঘণ্টা জেরা, মানিকের বিরুদ্ধে ১০০ পাতার নয়া এফআইআর সিবিআইয়ের  

    Manik Bhattacharya: টানা ছ’ ঘণ্টা জেরা, মানিকের বিরুদ্ধে ১০০ পাতার নয়া এফআইআর সিবিআইয়ের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) ঘণ্টা ছয়েক ধরে জেরা করে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বেরলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। মঙ্গলবার রাতেই মানিকের বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ পাতার এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, নকল নথি বানানো, নথি জাল করা, জালিয়াতি সহ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মানিক ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের নামেও দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। তবে জেরায় তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে মানিক সহযোগিতা করছেন না বলেই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।

    মানিকের বিরুদ্ধে এফআইআর

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআয়ের তরফে জানানো হয়, মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। এদিন মানিককে দীর্ঘক্ষণ জেরাও করা হয়েছে। মামলাটি নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন তিনি। সব কিছু ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে। এর পরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই ভিডিও ফুটেজ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টও সিবিআইকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই

    এদিন সকালে ফের একবার মানিককে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছান তদন্তকারীরা। প্রাথমিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মতো মঙ্গলবার রাতেই ঘণ্টা দুয়েক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। ওই রাতেই দায়ের হয় এফআইআর। এদিকে, এদিন সিবিআইয়ের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমাদের সরকারি আধিকারিকরা অত্যন্ত দক্ষ। ভাল কাজের জন্য ধন্যবাদ।”

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে কাউন্সেলিং পর্বে ডিজাইনড কোরাপশন (Manik Bhattacharya) হয়েছে বলে মঙ্গলবারই বলেছিল আদালত। তার পরেই আদালত চেয়েছিল, সিবিআই নতুন করে এফআইআর রুজু করে তদন্ত করুক। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, এদিনই জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই। তিনি বলেছিলেন, “২০২০ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এটা নতুন ধরনের দুর্নীতি। আজই মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সিবিআইয়ের দক্ষ দুই অফিসার।” সন্ধে ৬টার মধ্যে মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে আজই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।

    আরও পড়ুুন: ভোট ‘সন্ত্রাসের শিকার’! আক্রান্ত মহিলাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেল বিজেপির পরিষদীয় দল

    ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে হয়েছিল কাউন্সেলিং। পরের বছর জুলাই মাসে কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। সেখানে চতুরতার সঙ্গে ড্রাফট লেখা হয়েছিল। হোম ডিস্ট্রিক্ট ফাঁকা না দেখিয়ে, প্রেফার্ড ডিস্ট্রিক্টকে পছন্দ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কাউন্সেলিং পর্বে প্রার্থীদের বলা হয় ‘লাস্ট চান্স’। যদিও সেবারই তাঁরা প্রথম সুযোগ পাচ্ছিলেন। এখানেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে, পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: ‘‘অসুস্থ হলে বসে যান’’, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘‘অসুস্থ হলে বসে যান’’, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ মানেননি। বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্যকে ছুটিতে পাঠিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমে তাঁকে বরখাস্তের নির্দেশ দেয় আদালত। পরে তিনি অসুস্থতার কথা বলে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপরই বরখাস্তের নির্দেশ বদলে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেন বিচারপতি।

    আদালতের নির্দেশ

    মঙ্গলবার প্রাথমিক সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় শিক্ষকের স্থানান্তর সংক্রান্ত একটি তথ্য চাওয়া হয়েছিল মধুসূদনের কাছে। তিনি পর্ষদের উচ্চপদস্থ কর্মচারীকে দিয়ে হলফনামা জমা দেন হাইকোর্টে। এতেই বেজায় ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কারণ, আদালতের নির্দেশ ছিল, শিক্ষকের স্থানান্তরের বিষয়টি চেয়ারম্যানকেই হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। পর্ষদের চেয়ারম্যানের উদ্দেশে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Calcutta High Court) বলতে শোনা যায়, ‘অসুস্থ হলে পদত্যাগ করুন, অন্য লোক কাজ করবেন। আমি মনে করি, আপনি শারীরিক ভাবে এই পদে কাজ করতে অপারগ।’ এরপরই চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন তিনি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-দুর্নীতিতে নজরে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর পুরসভা! সিবিআই তলবে হাজির আধিকারিকরা

    ক্ষমা চাইলেন চেয়ারম্যান

    মঙ্গলবার মধুসূদন আদালতে জানান, তিনি করোনা এবং ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন। তাই নিজে সশরীরে এই কাজ না করে পদস্থ আধিকারিককে দিয়ে এই কাজ করিয়েছেন। এ জন্য তিনি ক্ষমাও চান আদালতের (Calcutta High Court) কাছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রাথমিকে ‘পোস্টিং দুর্নীতি’ নিয়ে জেলে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় দু’ঘণ্টা মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের চার আধিকারিক। এর পর রাতেই মানিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kargil Vijay Diwas: শ্রদ্ধাজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর, দেশজুড়ে পালিত কার্গিল বিজয় দিবস

    Kargil Vijay Diwas: শ্রদ্ধাজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর, দেশজুড়ে পালিত কার্গিল বিজয় দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্গিল যুদ্ধজয়ের ২৩ তম বর্ষপূর্তি হিসেবে দেশজুড়ে মহাধুমধামের সঙ্গে পালিত হচ্ছে কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas)। ১৯৯৯ সালে আজকের দিনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কার্গিল যুদ্ধে জয়ী (Victory Over Pakistan) ঘোষিত হয়েছিল ভারতীয় সেনা। ১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই, অপারেশন বিজয়ের সাফল্য ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। প্রায় ২ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ভারতের অনেক বীর সন্তান দেশের জন্য প্রাণের বলিদান দিয়েছেন। প্রতি বছর এই দিনে ভারতের সেই যোদ্ধাদের বীরত্বকে স্মরণ, সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশজুড়ে পালিত হয় কার্গিল বিজয় দিবস। 

    কী বললেন রাষ্ট্রপতি?

    এদিন কার্গিল যুদ্ধজয়ের ২৩ তম বর্ষপূর্তিতে ভারতীয় সেনাকে শ্রদ্ধঘা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সেনাবাহিনীর তরফেও। এদিন ট্যুইট করে দ্রৌপদী মুর্মু লেখেন, ‘‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অসাধারণ বীরত্ব, পরাক্রম ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক এই কার্গিল দিবস৷ ভারত মাতার রক্ষার জন্য প্রাণ বলিদান দেওয়া সব বীর সৈনিককে আমি প্রণাম জানাই৷ সব দেশবাসী, তাঁদের পরিবারের প্রতি সর্বদা ঋণী থাকবে৷ জয় হিন্দ!’’

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘‘কার্গিল বিজয় দিবস মা ভারতীর গৌরবের প্রতীক৷ মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য পরাক্রম দেখানো দেশের সাহসী সুপুত্রদের আমার শত শত প্রণাম৷ জয় হিন্দ!’’ 

    তিনি আরও লেখেন, ‘‘কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas) ভারতের সেই অসাধারণ সাহসীদের বীরগাথাকে স্মরণে আনে, যাঁরা সর্বদা দেশবাসীর জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। এই বিশেষ দিনে, আমি তাঁদের প্রতি আমার হৃদয়ের গভীর থেকে প্রণাম এবং অভিবাদন জানাচ্ছি। জয় হিন্দ!”

    অমিত শাহের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

    কার্গিল দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইট করে বলেছেন, ‘‘কার্গিল বিজয় দিবস কোটি কোটি দেশবাসীর কাছে সম্মানের এক মুহূর্ত। আমি কার্গিলের দুর্গম পাহাড়ে তেরঙ্গা উত্তোলন করে দেশের অখণ্ডতা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য আপনার উৎসর্গকে সালাম জানাই।’’

    দ্রাসে কার্গিল যুদ্ধসৌধে শ্রদ্ধা রাজনাথের

    জম্মু ও কাশ্মীরের দ্রাস সেক্টরের কার্গিলে হওয়া এই যুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন ৫২৭ জন ভারতীয় জওয়ান। আহত হয়েছিলেন ১৩৬৩ জন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। এদিন লাদাখের দ্রাসে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে (Kargil Vijay Diwas) পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    রাজনাথ বলেন, ‘‘১৯৯৯ সালে ইসলামবাদ পিছন থেকে ভারতের পিঠে ছুরি মেরেছিল। ভারতের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়। যুদ্ধে ভারতীয় জওয়ানরা যে বীরত্ব দেখিয়েছিলেন, তাকে কুর্ণিশ।’’ একইসঙ্গে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে রাখেন, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবার বেআইনি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে ভারত চুপ করে বসে থাকবে না।

    সংসদেও কার্গিল দিবস পালন

    ২৪ বছর আগে ওই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদরা। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বুধবার লখনউতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে কার্গিল যুদ্ধে নিহত সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বুধবার তিনি ট্যুইটে লেখেন, “কার্গিল বিজয় দিবসে রাজ্যের সমস্ত মানুষকে আন্তরিক অভিনন্দন। ভারত মাতার সমস্ত অমর পুত্রদের প্রতি শত শত প্রণাম যাঁরা দেশের সেবায় তাঁদের সর্বস্ব উৎসর্গ করেছেন!”

    মিগ-২৯ বিমানের ফ্লাই পাস্ট

    সেনাবাহিনীর তরফে এদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas) উপলক্ষে দ্রাস সেক্টরে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনির তিনটি চিতাল হেলিকপ্টার দ্রাসের কার্গিল যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ফুল বর্ষণ করা হয়। ফ্লাই পাস্ট করে নৌসেনার ৪টে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান।

     

    ফোর্ট উইলিয়ামেও কার্গিল দিবস উদযাপন

    কলকাতাতেও পালিত হলো কার্গিল দিবস (Victory Over Pakistan)। এদিন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতর ফোর্ট উইলিয়ামে শহিদবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কালিতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পকসো মামলায় নির্যাতিতার ছবি প্রকাশ, আইসি-আইওকে সাসপেন্ডের নির্দেশ হাইকোর্টের  

    Calcutta High Court: পকসো মামলায় নির্যাতিতার ছবি প্রকাশ, আইসি-আইওকে সাসপেন্ডের নির্দেশ হাইকোর্টের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পকসো (POCSO) আইনের মামলার কেস ডায়েরিতে নির্যাতিতার ছবি দিয়ে নাম লিখে দেওয়ার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করে অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের অন্তর্গত বাগুইআটি থানা।

    সাসপেন্ডের নির্দেশ

    এই মামলায় থানার আইসি ও তদন্তকারী অফিসারকে (IO) সাসপেন্ড করে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য বিধাননগরের কমিশনারকে নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে চার সপ্তাহ পরে। সেদিন বিধাননগর কমিশনারেটকে আদালতে জানাতে হবে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এদিন আদালতের ভর্ৎসনার মুখেও পড়ে পুলিশ। বেঞ্চের (Calcutta High Court) প্রশ্ন, “যিনি নাবালিকাকে পাচারকারীদের হাত থেকে বাঁচালেন, তাঁকেই অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করার কারণ কী? তার মানে কি ওই যুবক পাচার চক্র ভাঙতে চাইছিলেন না? পাচার চক্র যাতে চলতে পারে, পুলিশ কি সেই রাস্তা করে দিচ্ছে? কেন পুলিশ নাবালিকার গোপন জবানবন্দি দেখল না? না কি দেখেও দেখল না! সেখানে স্পষ্ট লেখা, ওই যুবক তাকে উদ্ধারে সাহায্য করেছেন।”

    বিচারপতির প্রশ্ন 

    কেস ডায়েরিতে কীভাবে পাচার হওয়া নাবালিকার ছবি সহ পরিচয় প্রকাশ করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এর পরেই বাগুইআটি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ শান্তনু সরকার ও তদন্তকারী অফিসার বিশ্বজিৎ দাসকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, ৩ মার্চ বন্ধুর বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নাবালিকার মা। পরে তিলজলা এলাকা থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: মালদার ২ মহিলাকে নির্যাতন! রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

    পুলিশকে সাহায্য করে ওই নাবালিকার প্রেমিক অনল সর্দার। পরে তাঁকেই অভিযুক্ত ঠাউরে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মামলায় আদালতের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশ। অনিলকে জামিনও দিয়েছে আদালত। এদিন থানার আইসি এবং তদন্তকারী অফিসারকেও তলব করেছিল হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: রামনবমী হিংসা মামলা, তদন্তে সহযোগিতা করছে না রাজ্য, আদালতে এনআইএ

    Calcutta High Court: রামনবমী হিংসা মামলা, তদন্তে সহযোগিতা করছে না রাজ্য, আদালতে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তে সহযোগিতা করছে না রাজ্য সরকার। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই অভিযোগ জানান এনআইএর আইনজীবী। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

    রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার অভিযোগ

    রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে হিংসার অভিযোগ ওঠে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া, চন্দননগর এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায়। এ নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় এনআইএ তদন্তের। হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। তাদের যুক্তি ছিল, জনস্বার্থ মামলায় তদন্তের ভার এনআইএকে দেওয়া যায় না। দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা ছাড়া সাধারণ হিংসার মামলায় এনআইএ আইন প্রয়োগ করা যায় না।

    সুপ্রিম কোর্টের রায় 

    এনআইএ তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাজ্য সরকারের তরফে যে আর্জি জানানো হয়েছিল, মে মাসে তা খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারডিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চেও খারিজ হয়ে গিয়েছে ওই আর্জি। তার পরেই জোর কদমে তদন্ত শুরু করে এনআইএ।

    তবে এই প্রথম নয়, চলতি বছরের জুন মাসেও রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসা সংক্রান্ত মামলার নথি হস্তান্তর না করায় রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল এনআইএ। সেই সময় হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা নির্দেশে বলেন, “রায় চ্যালেঞ্জ করার মানে আগের নির্দেশ কার্যকর করা না হয়। রাজ্য বাধ্য ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ কার্যকর করতে। তাই আগে নথি হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এলে তখন আলাদা হবে। স্থগিতাদেশ পেয়ে যাব, এই ধারণা করে রাজ্য নথি চেপে বসে থাকতে পারে না।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ-দুর্নীতিতে নজরে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর পুরসভা! সিবিআই তলবে হাজির আধিকারিকরা

    এদিন হাইকোর্টে এনআইএর আইনজীবী জানান, আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে রাজ্যের কাছে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া-চন্দননগর, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় হিংসার নথি রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের কাছে চাওয়া হলেও, তারা এখনও দেয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal BJP: নারী সুরক্ষা ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য বিধানসভা! প্রস্তাব পেশে ‘বাধা’, ওয়াকআউট বিজেপির

    West Bengal BJP: নারী সুরক্ষা ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য বিধানসভা! প্রস্তাব পেশে ‘বাধা’, ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী নির্যাতনের ইস্যুতে বুধবার উত্তাল রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন৷ রাজ্যে মহিলা নির্যাতনের ইস্যুতে এদিন বিধানসভায় অগ্নিমিত্রা পালের আনা দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব পড়তে বাধা দেওয়া হলে স্লোগান তুলে ওয়াকআউট করেন বিজেপির (West Bengal BJP) বিধায়করা৷

    প্রস্তাব পেশ করতে বাধা বিজেপিকে!

    বুধবার অধিবেশন শুরু হতেই রাজ্যের নারীসুরক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব আনে বিজেপি (West Bengal BJP)৷ তবে, সেই প্রস্তাব পাঠের অনুমতি মেলেনি বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের৷ এরপরেই উত্তপ্ত হয় বিধানসভা। অধিবেশন কক্ষে স্লোগান তুলে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে ওয়াকআউট করে বিজেপি৷ বিধানসভার চত্বরেও স্লোগান দিতে থাকেন মহিলা বিজেপি বিধায়করা। অগ্নিমিত্রা পালদের অভিযোগ, রাজ্যে নির্যাতিত হচ্ছেন মহিলারা, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কোনও পদক্ষেপ করছেন না! 

    কী বলছেন অগ্নিমিত্রা পাল?

    আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘‘একুশের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু মণিপুরের কথা বললেন৷ আমরাও ওই ঘটনার নিন্দা করি৷ কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেটা নিয়ে কিছু বলা হচ্ছে না৷ ওঁরা কি বাংলার মেয়ে নয়? একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীই বাংলার মেয়ে?’’ এদিকে, আলোচনার সময়ে কেন স্লোগান তোলা হলো, বিরোধীদের এই আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপির ওয়াকআউট নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন তিনি৷

    বিজেপি মহিলা মোর্চার দুদিন ব্যাপী ধর্না

    এদিকে, পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস ও হিংসার প্রতিবাদে ধর্নায় নামছে বিজেপি মহিলা মোর্চা (BJP Mahila Morcha)৷ আজ, বুধবার এবং আগামিকাল ধর্নায় বসতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি মহিলা মোর্চা৷ জানা যাচ্ছে, শ্যামবাজারের মোড়ে দু’দুদিন ব্যাপী এই ধর্না প্রদর্শন করবে মহিলা মোর্চা৷ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এই ধর্না কর্মসূচি। বঙ্গ বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র ধর্নার নেতৃত্ব দেবেন৷ তিনি জানান, রাজ্যে লাগাতার অশান্তি, মানুষের উপর হামলা, হত্যা চলছে৷ এমনকী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে৷ ভোট সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এই ধর্নার ডাক দেওয়া হয়েছে৷

    যোগ দেবেন শুভেন্দু-অগ্নিমিত্রারা?

    মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে ফাল্গুনী পাত্র (BJP Mahila Morcha) বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন স্বেচ্ছাচারী মানুষ৷ তিনি কোনও আইন মানেন না৷ তিনি রাজতন্ত্র কায়েম করতে চাইছেন৷ তিনি কাউকে তোয়াক্কা করেন না৷ আর এতে সন্ত্রাসবাদীরা আরও ইন্ধন পাচ্ছে৷ তিনি শুধুনিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছেন৷ তাই পশ্চিমবঙ্গে এমন জঙ্গলরাজ তৈরি হয়েছে৷’’ জানা যাচ্ছে, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল-সহ অন্য বিজেপি (West Bengal BJP) নেতারা এই ধর্না মঞ্চে উপস্থিত থাকতে পারেন৷ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: “৫ অগাস্টের দরকার নেই, আগেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দে!” বলেই মাথায় লাঠির বাড়ি!

    Nadia: “৫ অগাস্টের দরকার নেই, আগেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দে!” বলেই মাথায় লাঠির বাড়ি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ অগাস্ট বিজেপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। এতো দেরি বোধহয় কর্মীদের সহ্য হল না। তার অনেক আগেই শুরু হয়ে গেল হামলা। নদিয়া (Nadia) জেলার গয়েশপুর পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুরের ঘটনা। বিজেপির পঞ্চায়েত ভোটের এজেন্টকে রাস্তায় ঘেরাও করে ব্যাপক মারধর করল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ একটাই, কেন বিজেপি করেন?

    ঘটনা কী ঘটেছে (Nadia)?

    মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় শ্রীরামপুর (Nadia) গ্রামে বিজেপির বুথ এজেন্টের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা অজয় মাঝি এবার ভোটে তাঁর এলাকায় বিজেপির বুথ এজেন্ট হয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে কাজ শেষে পূর্ব পাড়া থেকে বাড়ি ফেরার সময়, তাঁকে কিছু তৃণমূলের দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে এবং ৫ই অগাস্টের আগেই ব্যবস্থা নেব বলে তাঁর ওপর হামলা চালায়। মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয় মানুষজন। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর দাবি, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে গয়েশপুর এলাকায় ভালো ফল করেছে বিজেপি। একদিকে তাঁর উপর তৃণমূলের হিংসাত্মক আক্রোশ এবং অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিমূলক মন্তব্য, এই দুইয়ে মিলে তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    বিজেপি কর্মীর বক্তব্য

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মী অজয় মাঝি (Nadia) বলেন, তৃণমূলের গুন্ডা তারকনাথ কবিরাজ বলে, ৫ অগাস্টের দরকার নেই, আগেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দে! এই প্রসঙ্গে অজয়বাবু আরও বলেন, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির এজেন্ট ছিলাম। সেই সময় বিজেপি ১৩ টি ভোট পেয়েছিল। এই বছর ২০২৩ সালে আবার আমি বিজেপির এজেন্ট হই। এই বার আমাদের গ্রামের পঞ্চায়েতে ১১ টার মধ্যে ১০ টায় বিজেপি প্রার্থী দিয়ে জয়ী হয়েছে। আমি একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলেই আমায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share