Tag: bangla news

bangla news

  • QUAD: নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা কোয়াড গোষ্ঠীর, কেন জানেন?

    QUAD: নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা কোয়াড গোষ্ঠীর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-প্রশান্ত (Indo-Pacific) মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমেই পাকাপোক্ত ঘাঁটি গাড়ছে চিন (China)। কৃত্রিম দ্বীপে ইতিমধ্যেই সামরিক ঘাঁটি তৈরি করে ফেলেছে ড্রাগনের দেশ। যার জেরে বিপন্ন মুক্ত বাণিজ্য পথ। এর আগে ওই অঞ্চলে নজরদারি জাহাজ মোতায়েন করেছিল বেজিং। যদিও তাদের দাবি, ওই এলাকায় মোতায়েন করা জাহাজটি লাগানো হচ্ছে গবেষণার কাজে। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে চিন। এমতাবস্থায় নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা দিল কোয়াড (QUAD) গোষ্ঠী।

    কোয়াড (QUAD)…

    ভারত (India), জাপান, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মিলে গঠিত হয়েছে কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ, সংক্ষেপে কোয়াড। চলতি বছর জি-২০ সম্মেলন হচ্ছে ভারতে। সেই উপলক্ষে এসেছেন বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। শুক্রবার সেই বৈঠকের ফাঁকে আলোচনায় বসেন কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাপানের বিদেশমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওং এবং মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। যৌথ এক বিবৃতিতে কোয়াডভুক্ত দেশগুলি সাফ জানিয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বাধীনতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর কোয়াড।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটে একলা চলার সিদ্ধান্ত মমতার, কারণ কি জানেন?

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে আমরা সমর্থন করি। আমরা (কোয়াডভুক্ত দেশগুলি) ইন্ডিয়ান ওসান রিম অ্যাসোসিয়েশনের সম্পর্ককেও মজবুত করব। এই এলাকার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আমরা যৌথভাবে মোকাবিলা করব। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে আমরা ইন্ডিয়ান ওসান রিম অ্যাসোসিয়েশনে ভারতের নেতৃত্বকে স্বাগত জানাই। ওই বিবৃতিতেই বলা হয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকা যাতে মুক্ত থাকে সে ব্যাপারে আমরা (কোয়াডভুক্ত দেশগুলি) প্রতিশ্রতিবদ্ধ। আমরা স্বাধীনতার নীতি, আইনের শাসন, সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের ঐক্য এবং বিতর্কিত বিষয়ের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জোরাল সমর্থক। স্থিতাবস্থা নষ্টের যে কোনও প্রচেষ্টার বিরোধিতাও করি আমরা।

    সন্ত্রাসবাদ যে আধুনিক বিশ্বের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে, এদিন তাও উঠে এসেছে কোয়াড সদস্যভুক্ত দেশগুলির আলোচনায়। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ওয়ার্কিং গ্রুপ গড়তে উদ্যোগী হয়েছে কোয়াডভুক্ত দেশগুলি। মুম্বইয়ের ২৬/১১ হামলায় যাঁদের প্রাণ গিয়েছে তাঁদের মধ্যে কোয়াডভুক্ত দেশেরও বাসিন্দা ছিলেন। এদিন যৌথ বিবৃতিতে কোয়াডভুক্ত দেশগুলি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই জাতীয় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রুখতে ওয়ার্কিং গ্রুপ গড়বে কোয়াড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

  • Plastic Egg: ডিমের ভিতর এরকম কুসুম আগে দেখেছেন কী?

    Plastic Egg: ডিমের ভিতর এরকম কুসুম আগে দেখেছেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ হাঁসের ডিম বা মুরগির ডিমের (Egg) কুসুম কেমন হয়? সকলেই এক কথায় জবাব দেবেন, লালচে কিংবা হলুদ। প্লাস্টিকের ডিমের (Plastic egg) নামও কারও অজানা নয়। কারণ, কিছুদিন আগেই রাজ্য জুড়ে এই ডিম নিয়ে জোর চর্চা ছিল। কিন্তু, সাদা ডিমের মধ্যেই কালো কুসুম কখনও শুনেছেন কিংবা দেখেছেন? অবিশ্বাস হলেও এটা সত্যি। মালদহের মানিকচকের এনায়েতপুরের এক শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার সেদ্ধ ডিম খেতে গিয়ে তাঁর নজরে আসে বিষয়টি।

    ঠিক কী হয়েছিল? সন্দেহ Plastic Egg

    শুক্রবার সকালে বাড়িতে টিফিন করবেন বলে শিক্ষক সুনন্দবাবু বাজারে গিয়ে একটি মুদির দোকান থেকে বেশ কয়েকটি ডিম নিয়ে আসেন। শিক্ষকের অনুরোধে বাড়িতে ডিম সেদ্ধ করা হয়। ডিম খেতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে শিক্ষকের। কারণ, ডিমের মধ্যে যে কুসুম থাকে তা দেখতে একেবারে পিচের মতো কালো। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এটি নকল ডিম (Plastic egg)। ভালো করে না দেখে, সেদ্ধ ডিমটি আমি যদি ভুলবশত খেয়ে নিতাম, তাহলে কি হতো? ডিমের ভিতরে কালো ওই অংশ দেখেই আর ভয়ে ডিম আমি স্পর্শ করিনি। প্রশাসনের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মিড ডে মিলে ডিম দেওয়া হয়। তাদের এই ডিম দেওয়া হলে কী হত? কারণ, স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই ডিম না দেখে খেয়ে ফেলত। বিষয়টি তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি শিক্ষিকা সুপর্ণা মানিক বলেন, ডিম পুষ্টিকর খাবার। আর তাতেই যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে তা সমস্যার। ডিম ভেঙে দেখা যাচ্ছে তার ভিতরে কালো রঙের কিছু আছে। এমন ডিম বাজারে আর বিক্রি না হয় তা দেখার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।পাশাপাশি যে মুদি দোকান থেকে ডিম কেনা হয়েছিল, তাঁর সাফাই, আমি তো মিল্কি থেকে ডিম কিনে নিয়ে আসি। কোনো দিন এরকম হয়নি। কি ভাবে এরকম হল হল তা বুঝতে পারছি না। যদিও এই বিষয়ে প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে, পরীক্ষা করে রিপোর্ট আসার পরই এই বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

     

  • Bridge: গ্রামের নাম শুনলেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না, কেন জানেন?

    Bridge: গ্রামের নাম শুনলেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  গ্রামের নাম শুনলেই কেউ সেই গ্রামে ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না। ভালো সম্বন্ধ এলে তা পিছিয়ে যায়। মাথায় হাত দিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটান গ্রামের বাসিন্দারা। এ আবার কেমন গ্রাম? আমাদের রাজ্যেই রয়েছে এমন গ্রাম। জানতে ইচ্ছে করছে কোথায়? দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট দেউড়া গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের দুর্দশা দেখলে আপনারও সেখানে দুবার যেতে ইচ্ছে করবে না। বিয়ের কথা তো অনেক দূরের বিষয়।

    কেন এই গ্রামে ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না?

    ছোট দেউড়া আসতে গেলে কাশিয়া খাড়ি পার হতে হয়। সেই কাশিয়া খাড়িতে সেতু (Bridge) তৈরির দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। এখনও তা তৈরি হয়নি। নেই গ্রামে রাস্তা। ফলে, উন্নয়নের আলোর কোনও ছোঁয়া লাগেনি এই গ্রামে। প্রাথমিক স্কুল যেতেও কচিকাঁচাদের খাড়ি পার হতে হয়। গরমকালে খাড়িতে জল কম থাকায় বাঁশের নড়বড়ে সেতুই গ্রামবাসীদের পারাপারের ভরসা। কিন্তু, বর্ষার সময় খাড়িতের জল টল টল করে। তখন খাড়ি পার হওয়া মস্তবড় ঝুঁকি হয়ে পড়ে। জলঘর পঞ্চায়েত থেকে ছোট দেউড়া কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্বাধীনতার এত বছর পরেও এই গ্রামে এই পরিষেবার হাল দেখেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের এই গ্রামে বিয়ে দিতে চান না বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় সরকার। তিনি বলেন, আমরা কোনও ভাল পরিবারে ছেলে বা মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে আমাদের গ্রামের নাম শুনে কেউ আর সম্পর্ক তৈরিতে এগিয়ে আসেন না। সেতু (Bridge) না থাকার কারণে প্রসূতি কিংবা কোনও রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চরম নাকাল হতে হয়। ফলে, আমরা চরম মনকষ্টে রয়েছি।

    দাবি আদায়ে গ্রামবাসীরা জোটবদ্ধ হয়ে পথে নেমেছেন। তবে, সামনে পঞ্চায়েত ভোট বলে নয়, এর আগে গত বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁরা জোটবদ্ধ হয়ে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। রাজনীতির কারবারিরা এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভোট মিটতেই তাঁদের আর দেখা নেই। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবার তাঁরা ফেস্টুন তৈরি করে ভোট বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিষয়ে জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান গোপাল মুর্মু বলেন, বর্তমানে রাস্তা ও সেতুর জন্য টাকা ঢোকার কথা রয়েছে, টাকা এলেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বুধন মার্ডিও দাবি আদায়ের গ্রামবাসীদের এই ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তকে নৈতিকভাবে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে ভোট বয়কট সমর্থন করি না। কিন্তু, গ্রামবাসীদের রাস্তা ও সেতুর দাবি ন্যায্য। বিজেপির পক্ষ থেকেও জানাই যে, প্রশাসন যেন গ্রামবাসীদের দাবি মেনে এলাকার রাস্তা ও সেতুর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Guinnes Book Winner SIDDIKA PARVIN: গিনেস বুক জয়ী বিশ্বের দীর্ঘকায় মহিলা সিদ্দিকা পারভিন এখন কেমন আছে, জানেন কী?

    Guinnes Book Winner SIDDIKA PARVIN: গিনেস বুক জয়ী বিশ্বের দীর্ঘকায় মহিলা সিদ্দিকা পারভিন এখন কেমন আছে, জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সাত ফুট ৮ ইঞ্চির দীর্ঘকায় মহিলা সিদ্দিকা পারভিনকে (Siddika Parvin) মনে পড়ছে। কয়েক বছর আগে পৃথিবীর একমাত্র দীর্ঘকায় মহিলা হিসেবে গিনেস বুকে নাম তুলে রাতারাতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি। তাঁকে নিয়ে অনেক হইচইও হয়েছিল। তবে, এখন সে সব শুধু অতীতের ধূসর স্মৃতি মাত্র। বছর আটেক আগেও গ্রামের রাস্তার ধূলো উড়িয়ে শাসক এবং বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা তাঁর বাড়ি বয়ে এসে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, কেউ কথা রাখেনি।

    কেমন আছেন সিদ্দিকা পারভিন?

    পৃথিবীর একমাত্র অতিকায় মহিলা হিসেবে গিনেস বুকে স্বীকৃতি পাওয়া সিদ্দিকা পারভিন এখন অসুস্থ। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামে তিনি থাকেন। বাড়ি বলতে ভাঙাচোরা এক চিলতে ঘর। এখন তাঁর বয়স মাত্র ৩৩ বছর। এই বয়সেও তিনি ঠিকমতো নড়তে চড়তে পারেন না। আজ পর্যন্ত জোটেনি দিন গুজরানের কোনও সরকারি ভাতা। হয়নি আধার কার্ডও। বিরল রোগে তিনি আক্রান্ত। কিন্তু, তাঁর চিকিত্সা করানোর বিষয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। এক সময় নেতা, মন্ত্রীর সুপারিশে দলীয় কর্মী পরিবেষ্টিত হয়ে সিদ্দিকার চিকিৎসার জন্য তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন কিছুটা চিকিত্সা হয়েছিল। তারপর দিল্লি থেকে সেই যে বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি, আর তাঁর কেউ খোঁজ রাখেনি। এখনও তিনি সুস্থ নন। সোজা হয়ে এখন তিনি হাঁটতে পারেন না। ক্ষোভে সকলের সাথে ঠিক ভাবে কথা বলাও প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন অভিমানী সিদ্দিকা।

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ বছর বয়সে সিদ্দিকার পিটুইটারি গ্রন্থিতে টিউমারের সমস্যা তৈরি হয়। তাঁর চেহারা দীর্ঘ হতে থাকে। পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তাঁর খাবারের চাহিদা। রোজ প্রায় দু’কেজি চালের ভাত খাওয়ার চাহিদা মেটাতে হিমসিম খেতে হয় গরিব পরিবারটিকে। তারপর থেকে ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এহেন তেত্রিশ পেরনো সিদ্দিকাকে নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় দিন কাটচ্ছে তার দিনমজুর বাবা আফাজুদ্দিন ও তার মা মানসুরা বিবির। তাঁদের বক্তব্য, তাঁদের মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা কেউ করল না। এবার অন্তত একটি ভাতার ব্যবস্থা কেউ করে দিলে ভাল হয়। ভবিষ্যতে সিদ্দিকার অল্প হলেও নিশ্চিত সংস্থান থাকে। আর সেই দিনের পথ চেয়ে বসে রয়েছেন সিদ্দিকা ও তাঁর পরিবার ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Tmc: চাঁচলের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একী অভিযোগ?

    Tmc: চাঁচলের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একী অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ চাকরি নয়, এবার দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। কোনও বিরোধী দলের অভিযোগ নয়। অভিযোগ করছেন খোদ তৃণমূলেরই নেতা। যে সে নেতা নন, তিনি মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য। নাম মহম্মদ সামিউল ইসলাম। অভিযুক্ত চাঁচলের বিধায়ক( Tmc Mla) নীহার রঞ্জন ঘোষ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে। তৃণমূলের (tmc) বেআব্রু চেহারা ততই প্রকট হচ্ছে। মালদহের চাঁচলে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল এবার প্রকাশ্যে। তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য এবং দলীয় বিধায়কের বিবাদ তুঙ্গে। সম্পর্ক এতটাই তলানিতে ঠেকেছে, একে অপরের বিরুদ্ধে দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগ করেই থামেননি। রীতিমতো চিঠি দিয়েছেন কালীঘাটে। বিধায়কও দলীয় নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ছাড়েননি। তাঁর দাবি, প্রকাশ্যে তোলাবাজি বন্ধ করেছেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে।

    বিধায়কের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    কয়েকজন ঠিকাদার নিয়ে দল পরিচালনা করছেন চাঁচলের বিধায়ক( Tmc Mla) নীহার রঞ্জন ঘোষ। এমনকী তিনি অর্থের বিনিময়ে পদও বিক্রি করছেন। এমনই অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য মহম্মদ সামিউল ইসলাম। তিনি দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Avishek Banerjee) কাছেও এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। গত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দুজনের কাজিয়া চলছে। অভিযোগ, চাঁচলের নিজের দাপট বজায় রাখতেই দলীয় প্রার্থীকেই হারাতে চেয়েছিলেন। ফলে, বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর জেলা পরিষদের এই সদস্যকে তিনি কাছে ভিড়তে দেননি। দুজনের মধ্যে দূরত্ব কমাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকেও। খবর জানতেন কালীঘাটও। মালদহের প্রশাসনিক সভাতেও মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তবে, পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, চাঁচল কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দুজনের বিবাদ তুঙ্গে। তার ফলেই এই চিঠি এবং পাল্টা বিবৃতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভালো অবস্থাতে যে তৃণমূল কংগ্রেস নেই তা পরিষ্কার। দুপক্ষ সক্রিয় অপর গোষ্ঠীর প্রার্থীদের হারাতে।

    প্রকাশ্যে একনেতা আরেক নেতার বিরুদ্ধে মুখ খোলায় ক্ষুব্ধ মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।

    কার হাতে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে, কে কত বেশি কাট মানি নিতে পারবে এই নিয়েই তৃণমূলে বিবাদ, কটাক্ষ বিজেপির। উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই তাদের গোষ্ঠী কোন্দল বেড়ে চলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে টিকিট দিতে পারবে, কে কাটমানির বেশি ভাগ বাটোয়ারা পাবে, এই নিয়ে এদের মধ্যে গন্ডগোল। মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসলেই তা টের পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Cattle Smuggling: তৃণমূলের পতাকাই কি গরু পাচারের পাসপোর্ট?

    Cattle Smuggling: তৃণমূলের পতাকাই কি গরু পাচারের পাসপোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে শাসক দলের প্রতীক থাকলে যেন সাত খুন মাফ। রাস্তায় পুলিশও গায়ে হাত দেওয়ার সাহস দেখাবে না। রাজ্যে ঘাসফুল পতাকার মাহাত্ম্যই আলাদা। আর এই পতাকা ব্যবহার করেই দেদার অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে অনেকেই। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। তবে, বিরোধীদের আনা সেই অভিযোগ এবার সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। এই যেমন সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে চারচাকা গাড়িতে করে গরু নিয়ে যাওয়ার (Cattle Smuggling) জন্যই তৃণমূলের প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িতে করে একটি মাত্র গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পাচার না অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা খতিয়ে দেখছেন। কিন্তু, বিরোধীদের প্রশ্ন, মাত্র একটি গরু চারচাকা গাড়ি করে নিয়ে যেতেও কী শাসক দলের প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। পাচারকারীরা কী ধরেই নিয়েছে এই পতাকা থাকলে সাত খুন মাফ। এসব পাচার করতে রাস্তায় কোনও ঝক্কি পোহাতে হবে না। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Cattle Smuggling)

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে একটি দুধ সাদা গাড়ি সোদপুর ট্রাফিক মোড় ধরে যাচ্ছিল। গাড়ির পিছনের দিকে কালো কাচ তোলা ছিল। সামনের দিকে তৃণমূলের পতাকা গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনের নিচে রাখা ছিল। ফলে, বাইরে থেকে দেখলে মনে হতেই পারে একজন শাসক দলের কোনও হোমড়াচোমরা গাড়ির মধ্যে রয়েছেন। ফলে, গাড়ি আটকানোর ক্ষমতা কারও নেই। এই ভেবেই চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু, গাড়ির চালচলন দেখেই সোদপুর ট্রাফিক গার্ডের কর্মীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তৃণমূলের পতাকা ব্যবহার করে রক্ষা হচ্ছে না দেখে অগত্যা চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। কিন্তু, জনবহুল বিটি রোডে বেশি দূর গাড়ি যেতে পারেনি। পুলিশের তাড়া খেয়ে রাস্তার ডিভাইডারে গিয়ে ধাক্কা মারে। পুলিশ গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে ধরে ফেলে। যদিও ততক্ষণে গাড়ির মধ্যে থাকা চালক এবং খালাসি বা পাচারকারি গাড়ি ফেলে রেখে পগার পার। আর গাড়ি খুলতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। চারচাকা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গরু (Cattle Smuggling)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, গরুটিকে পাচার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে, গাড়ি করে গরুটিকে কোথায় থেকে নিয়ে এসে কোথায় পাচার করা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    এই নিয়ে কী বলছেন তৃণমূল নেতা। খড়দহ যুব তৃণমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, একটি গরু চার চাকা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের দলের পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে। এটা পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে। আসলে আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এসব করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা চাই, ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটন হোক।

    আর বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, গরু পাচার (Cattle Smuggling), বালি পাচার সব কিছুই তৃণমূলের মদতেই ঘটছে। পাচারকারীরাও নিজেদের শাসক দলের কর্মী ভাবছেন। আমরা বার বার অভিযোগ করে এসেছি। এবার সেটাই প্রমাণিত হল। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আর এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Pargana: বনগাঁয় তেলের খনি? সমীক্ষার কাজ শুরু ওএনজিসি-র

    North 24 Pargana: বনগাঁয় তেলের খনি? সমীক্ষার কাজ শুরু ওএনজিসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিরছে সুদিন? রাজ্যেই মিলবে তরল সোনার হদিশ? অন্তত এই আশায়ই বুক বাঁধছেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) বনগাঁর বাসিন্দারা। অনেক আগে থেকেই তৈল ভাণ্ডারের খোঁজে এই জেলারই অশোকনগরে অনুসন্ধান কাজ চালাচ্ছে ওএনজিসি (ONGC)। অশোকনগরের পর এবার বনগাঁয়ও (Bangaon)

    জীবাশ্ম জ্বালানির খোঁজে…

    জীবাশ্ম জ্বালানির খোঁজে সমীক্ষার কাজ শুরু করল এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেবল অশোকনগর এবং বনগাঁই নয়, এই জেলারই গাইঘাটায়ও ওএনজিসির তরফে তৈল ভাণ্ডারের খোঁজে চলবে অনুসন্ধান কার্য। দোরগোড়ার পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগকে ঘিরে আশার আলো দেখছে শাসক তৃণমূল এবং বিরোধী বিজেপি দু পক্ষই।

    ২০১৯ সালে উত্তর ২৪ পরগনারই (North 24 Pargana) নৈহাটি হাবড়া রাজ্য সড়কের পাশে অশোকনগরের বাইগাছিতে প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেলের প্ল্যান্ট তৈরির উদ্যোগ নেয় ওএনজিসি। জানা গিয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে বেঙ্গল বেসিনের অঙ্গ হিসেবে ওই প্রকল্পে পাঁচশো কোটি টাকা লগ্নির পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ওএনজিসি। অশোকনগরের ওই প্রকল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে অনেক আগেই জানিয়েছিল ওএনজিসি। সেখানে আশার আলো দেখা দেওয়ায় এবার এই জেলারই বনগাঁয় জীবাশ্ম জ্বালানির অনুসন্ধান কাজ শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় ওই সংস্থা।

    আরও পড়ুন: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি

    প্রশাসন সূত্রে খবর, বনগাঁর কালুপুর সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তরল সোনার খোঁজে ড্রিলিং করছে ওএনজিসি। গত কয়েকদিন ধরেই চলছে অনুসন্ধান কাজ। ওএনজিসির তরফে জানানো হয়েছে, বনগাঁয় খনিজ তেলের ভাঁড়ার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, এমন কয়েকটি জায়গায়ই জীবাশ্ম জ্বালানির খোঁজ করছে তারা। কেন্দ্রীয় এই সংস্থা জানিয়েছে, বনগাঁ এবং গাইঘাটা তো বটেই, জেলার আরও কয়েকটি জায়গায় খনিজ তেলের খোঁজে চালানো হবে পরীক্ষা নিরীক্ষা।

    বনগাঁয় তৈল ভাণ্ডারের হদিশ মিললে হবে ব্যাপক কর্মসংস্থান। এই আশায়ই বুক বাঁধছে তৃণমূল এবং বিজেপি। যে কালুপুরে শুরু হয়েছে খননকার্য, সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের মুক্তি সরকার। তিনি বলেন, আমার পঞ্চায়েত এলাকায় খননকার্য শুরু করেছে ওএনজিসি। যদি এখানে খনিজ তেল পাওয়া যায়, তাহলে কালুপুর সহ গোটা বনগাঁয় উন্নয়ন হবে। একই সুর বিজেপি নেতৃত্বের গলায়ও। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, এই এলাকায় খনিজ তেল পাওয়া গেলে কর্মসংস্থান হবে। তাতে এলাকারও উন্নয়ন হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Citizenship Act: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    Citizenship Act: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ-মুসলিম (Non Muslims) শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে গুজরাটে (Gujarat)। এবার ওই কাজ জোর কদমে শুরু হয়ে গেল দেশের অন্যত্রও। জানা গিয়েছে, দেশের নটি রাজ্যের ৩১ জেলার জেলাশাসক ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে (Citizenship Act) ওই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নাগরিকত্ব পাবেন পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানরা।

    সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্ট ২০২১-২২। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১ হাজার ৪১৪ জন শরণার্থী এসেছেন ভারতে। এঁদের প্রত্যেককে নাগরিকত্ব আইনে (Citizenship Act) ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।  

    দেশের মধ্যে গুজরাটেই প্রথম শুরু হয়েছে এভাবে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ। দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে গুজরাটে আসা অ-মুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Act), ১৯৫৫ অনুযায়ী এই নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই তিন দেশ থেকে আসা যেসব শরণার্থী গুজরাটের মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাস করছেন, তাঁদেরই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক, কে কে লড়ছেন জানেন?

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনেও (Citizenship Act) পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা অ-মুসলিম এই সমস্ত শরণার্থীদের দেওয়া যায়। তবে যেহেতু তা নিয়ে বিতর্ক চলছে, এবং সরকার এখনও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরি করে উঠতে পারেনি, এই আইনের আওতায় এখনও নাগরিকত্ব দেওয়া যায়নি কাউকেই।

    কোন কোন রাজ্য পেয়েছে ক্ষমতা?

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৯ জেলার কালেক্টর এবং নটি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এঁরা উল্লিখিত শরণার্থীদের শংসাপত্র দিতে পারবেন। যে রাজ্যগুলিকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল, গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র। বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গকে এই ক্ষমতা এখনও দেওয়া হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PM Modi: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    PM Modi: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পক্ষে নকশালরা (Naxals) যে বড় বিপদ, তা ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দেশবাসীকে এই বিপদ সম্পর্কে সচেতন করে দেন প্রধানমন্ত্রী। সশস্ত্র নকশাল ও কলমধারী নকশাল দুই ধরনের নকশালদেরই পরাজিত করতে হবে বলেও জানান মোদি।

    হরিয়ানার সুরজকুণ্ডে চলছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের চিন্তন শিবির। এদিন ভার্চুয়ালি ওই শিবিরে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, গত কয়েক বছরে সন্ত্রাসের শেকড় উপড়াতে কাজ করেছে সব সরকারই। যৌথ বাহিনী ব্যবহার করে এই কাজ করতে হবে। আমাদের সব ধরনের নকশালদের শেষ করতে হবে। সে অস্ত্রধারী হোক কিংবা কলমধারী সব ধরনের নকশাল নির্মূল করতে হবে। এর আগে একাধিকবার শহুরে নকশালদের একহাত নিয়েছিলেন মোদি (PM Modi)। শহুরে নকশালরা যে দেশের বিপদ, তারা যে উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিতে চায়, সেকথা গুজরাটের সভায় বলেওছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বলেন অস্ত্রধারী ও কলমধারী নকশালদের কথা। 

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে ভুল করেছিলেন নেহরু, সংশোধন করেছেন মোদি, দাবি বিজেপির

    ভুয়ো খবরও যে দেশের বিপদ বাড়াচ্ছে, এদিন তাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে জন সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, একটা ছোট্ট ভুয়ো খবর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও মেসেজ ফরওয়ার্ড করার আগে মানুষের উচিত খবরটির সত্যাসত্য যাচাই করা। তিনি বলেন, যাঁরা আইন মেনে চলেন, তাঁদের নিরাপত্তার জন্য নঞর্থক শক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। কোনও খবর বিশ্বাস করার আগে, তা যাচাই করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন মোদি।

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মতে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে এখন আরও বেশি করে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। অপরাধের থেকে দশ কদম এগিয়ে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ অপরাধের প্রকৃতি বদলে গিয়েছে। তাই আমাদের নতুন যুগের টেকনোলজি বুঝতে হবে। আমরা ফাইভ-জি-র যুগে প্রবেশ করেছি। তাই আামাদের প্রয়োজন আরও বেশি সতর্ক হওয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Nirmala Mishra: প্রয়াত নির্মলা মিশ্র, থেমে গেল আরও এক সুরেলা কণ্ঠ

    Nirmala Mishra: প্রয়াত নির্মলা মিশ্র, থেমে গেল আরও এক সুরেলা কণ্ঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী নির্মলা মিশ্র । বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। শনিবার রাত বারোটা পাঁচ মিনিটে চেতলার নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় তাঁর। বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন শিল্পী। গত এক মাস প্রায় কথাই বলতে পারছিলেন না। খাওয়ানো হচ্ছিল টিউবের সাহায্যে। হাসপাতালে ভর্তিও হতে চাননি। তাই চিকিৎসা চলছিল বাড়িতেই। শনিবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে বাড়িতে চলে আসেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক। প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই মৃত্যু হয়েছে বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পীর।  

    ২০১৫ সালে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন নির্মলা মিশ্র। একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হন। সব মিলিয়ে মোট তিন বার স্ট্রোক হয়েছিল শিল্পীর। হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল দু বার। গত ডিসেম্বর মাসেও নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর সুস্থ হয়েই বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। এভাবেই চলছিল লড়াই। কিন্তু সব লড়াই থেমে গেল শনিবার মধ্যরাতে। রবিবার শিল্পীর দেহ শায়িত থাকবে রবীন্দ্রসদনে। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন তাঁর গুণমুগ্ধ শ্রোতারা। এরপর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে। 

    বাংলা আধুনিক গানের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে নির্মলা মিশ্রের নাম। এমন একটি ঝিনুক খুঁজে পেলাম না, ও তোতা পাখি রে, বলো তো আরশি তুমি মুখটি দেখে, আমি তো তোমার হাসি কান্নার চিরদিনের সাথী, কাগজের ফুল বলে –  থেকে একের পর এক হিট গান উপহার দিয়েছেন তিনি। যা মুগ্ধ করেছে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে। বাংলা সিনেমাতেও গান গেয়েছেন তিনি। নির্মলা মিশ্রের স্বামী প্রদীপ দাশগুপ্তও ছিলেন একজন শিল্পী এবং গীতিকার।

    নির্মলা মিশ্রর জন্ম ১৯৩৮ সালে।  তাঁর বাবা পণ্ডিত মোহিনীমোহন মিশ্র এবং মা ভবানীদেবী। চাকরিসূত্রেই দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকে কলকাতায় চলে আসেন মোহিনীবাবু। গ্রামের মেয়ের মধুঝরা কন্ঠ  শুরু করে অনুশীলন।  ষাটের দশকের একেবারে শুরুতে সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন নির্মলা। বাকিটা ইতিহাস। দশকের পর দশক তাঁর স্বর্ণঝরা কন্ঠ বাঙালি শ্রোতাকে বুঁদ করে রাখে। কয়েক মাস আগেই বাঙালি হারিয়েছিল আর এক প্রাণের শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। এবার চলে গেলেন নির্মলা মিশ্র। সঙ্গীত জগতে তাই শোকের ছায়া। 

    শিল্পীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শোকবার্তায় তিনি লেখেন, ‘বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী নির্মলা মিশ্রের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি গভীর রাতে কলকাতায়  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কণ্ঠের জাদুতে তিনি শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন। তাঁর গাওয়া  এই বাংলার মাটিতে, এমন একটি ঝিনুক খুঁজে পেলাম না, ও তোতা পাখি রে-র মতো অজস্র কালজয়ী  গান আজও  শ্রোতাদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে।  আধুনিক, নজরুলগীতি, শ্যামাসঙ্গীত, দেশাত্মবোধক, লোকগীতি ছাড়াও বহু ছায়াছবিতে তিনি গান গেয়েছেন’। আজ তাঁর শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম।

    তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী ।

    [tw]


    [/tw]

    গায়ক শিলাজিৎ মজুমদার ফেসবুকে তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন…

    [fb]https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid0DMxGv2igtH7gAhHmVC9QtDEQPMfVgmkqvytfpfw7uRfesVfyhJgqS7ARVMzijB34l&id=100044223424496[/fb]

     

     

     

     

LinkedIn
Share