Tag: bangla news

bangla news

  • Nawsad Siddique: ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা! রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি নওশাদের

    Nawsad Siddique: ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা! রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি নওশাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা। ভাঙড়ে প্রবেশ করতে পারছেন না সেখানকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। তবে বিনা যুদ্ধে জমি ছাড়তে নারাজ তিনি। বললেন, ‘‘এ ভাবে বিপ্লব আটকানো যায় না।’’ভাঙড়ের পরিস্থিতি জানিয়ে, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিলেন তিনি। জানালেন, প্রয়োজনে কেন্দ্রেও অভিযোগ জানাবেন। 

    ভাঙড়ে শান্তিপ্রতিষ্ঠাই লক্ষ্য

    মঙ্গলবার বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্ত ১২ জন আইএসএফ সমর্থককে স্বাগত জানাতে যান নওশাদ সিদ্দিকি। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘‘১৪৪-এর অজুহাতে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমাকে আটকে রাখতে পারবে না। আমি ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালতের মাধ্যমে আমি সেখানে ছাড়পত্র পাব।’’ নওশাদের কথায়, ‘‘আমায় ১৪৪ ধারার কথা বলে যে ভাবে আটকাচ্ছে (পুলিশ), তাতে আমি রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার স্যার (বিধানসভার স্পিকার)— সমস্ত দফতরকে জানিয়েছি। এর পর যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে আমি কেন্দ্রের দ্বারস্থ হব। আমার লক্ষ্য, ভাঙড়ে শান্তিপ্রতিষ্ঠা করা।’’ ভাঙড়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে নওশাদ বলেন,‘‘ভাঙড়ের মানুষকে যে ভাবে অশান্তির মধ্যে রাখার চেষ্টা হচ্ছে সেটাকে প্রতিহত করে, সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন যাতে ভাঙড়বাসী করতে পারেন সেটা ব্যবস্থা করব আমি। যারা শান্ত ভাঙড়বাসীকে অশান্তির মধ্যে রেখেছিল, আতঙ্কের মধ্যে রেখেছিল, যারা ভাঙড়কে রাজনৈতিক উত্তাপের শিরোনামে নিয়ে গেল, সেই সমস্ত রাজনীতির কারবারীদের আমি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ঘুমোতে দেব না।’’

    নওশাদের রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধি

    অন্যদিকে, মঙ্গলবারই ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। আগামী ২৭ জুলাই পর্যন্ত ওই রক্ষাকবচ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ, ২৭ জুলাইয়ের আগে পর্যন্ত নওশাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগেরর মামলায় কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের তিন দিন আগে, ৫ জুলাই নিউ টাউন থানায় ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা নওশাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। তাঁকে ‘সহায়তা’ করেছিলেন সল্টলেক পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের তরফে ভাঙড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। ওই অভিযোগকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেন নওশাদ। পরে জানা যায়, ডোমকল শহরে তৃণমূলের সর্বশেষ যে কমিটি ঘোষিত হয়েছিল, তাতে মোট পাঁচ জনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। তার চার নম্বরে নাম ছিল নওশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারিণী তরুণীর। 

  • BJP: অনুমতি নেই পুলিশের! বুধবার কলকাতার পথে মিছিলে অনড় বিজেপি 

    BJP: অনুমতি নেই পুলিশের! বুধবার কলকাতার পথে মিছিলে অনড় বিজেপি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও অশান্তির প্রতিবাদে আজ, বুধবার পথে নামবে বিজেপি। তবে এদিন  মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের অনুমতি না মিললেও মিছিল হবেই, বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই মিছিলে উপস্থিত থাকার কথা। পাশাপাশি দলের সাংসদ, বিধায়কদেরও মিছিলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কেন অনুমতি নেই

    পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার প্রতিবাদে বুধবার কলেজ স্কয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করার কথা ঘোষণা করে বিজেপি। কিন্তু সেই মিছিলে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। শুক্রবার, ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশ। শহর জুড়ে তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে। এর মধ্যেই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে আজ কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ, তৃণমূলের নির্মীয়মাণ মঞ্চের অদূরেই শেষ হওয়ার কথা বিজেপির মিছিলের। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেয়নি বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পাচার হওয়া ১০৫টি প্রাচীন মূর্তি ভারতের হাতে তুলে দিল মার্কিন প্রশাসন

    বিরোধী-কণ্ঠ রোধের চেষ্টা

    রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেবে, এমন আশাও আমাদের ছিল না। কারণ, আমরা জানি, তৃণমূল প্রতিহিংসাপরায়ণ দল। ভোট লুট, গণনায় কারচুপির পরে ওরা বিরোধীদের কণ্ঠস্বর বন্ধ করতে চাইছে। তবে আমাদের মিছিল হবেই।’ পঞ্চায়েত ভোটে বেনজির হিংসার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। মহিলাদের উপরও অত্যাচার করা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন মহিলারা। এই অভিযোগ ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে বিজেপি। আজ হাওড়ার পাঁচলায় বিজেপির ‘তথ্যানুসন্ধানী মহিলা প্রতিনিধি দল’-এর যাওয়ার কথা। একইসঙ্গে হিংসার প্রতিবাদে আজ পথেও নামছে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Opposition Alliance: ’২৪-এর লোকসভা ভোটে লড়াই মোদির এনডিএ বনাম বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের!

    Opposition Alliance: ’২৪-এর লোকসভা ভোটে লড়াই মোদির এনডিএ বনাম বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে চলে গেল ইউপিএ (UPA)! বিজেপি বিরোধী দলগুলির মহাজোটের (Opposition Alliance) নয়া নাম হল দেশের নামে, ইন্ডিয়া (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স)। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর হোটেলে বৈঠক শেষে নয়া নাম ঘোষণা করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। ইউপিএতে ইতি টেনে যে মহাজোটের নয়া নাম হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের একটি ট্যুইটে। সেখানে লেখা ছিল, চক দে! ইন্ডিয়া।

    জোটের হাল কার হাতে? 

    তবে নাম বদল হলেও, জোট-নাওয়ের হাল কে ধরবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। তাই জোটের চেয়ারপার্সন বা আহ্বায়কের নাম এখনও ঘোষণা হয়নি। ইউপিএর চেয়ারপার্সন ছিলেন সোনিয়া। এখন কাকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়, তা-ই দেখার। তবে ১১ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান খাড়্গে। জোটের পরবর্তী বৈঠক হবে মুম্বইয়ে। এদিকে, এদিনই সন্ধ্যায় দিল্লির অশোকা হোটেলে বৈঠকে বসেছে এনডিএ। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এই জোটে রয়েছে শিবসেনা (শিন্ডে), ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (অজিত), আপনা দল, রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া, জনসেনা পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি, লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস)।

    এনডিএতে কারা?

    রয়েছে জননায়ক জনতা পার্টি, এআইএডিএমকে, পাত্তালি মাক্কাল কাটচি, সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টি, তামিল ম্যানিলা কংগ্রেস, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট, অসম গণ পরিষদ, শিরোমণি অকালি দল, ইউনাইটেড পিপলস লিবেরাল, অল ইন্ডিয়া এনআর কংগ্রেস, সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি, নির্বাল ইন্ডিয়ান শোষিত হামারা আম দল, ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি, নাগা পিপলস ফ্রন্ট, প্রহার জনশক্তি পার্টি, রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষ, জন সুরাজ্য শক্তি, কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স এবং ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি। এদিনের বৈঠকে যোগ দিয়েছে হিল স্টেট পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, হরিয়ানা লোকহিত পার্টি, ভারত ধর্ম জন সেনা, কেরল কামরাজ কংগ্রেস, পুথিয়া তামিলগম ও গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট।

    আরও পড়ুুন: “নিজেদের কর্মীদেরও মরার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন বাম-কংগ্রেস নেতারা”, বিস্ফোরক মোদি

    এদিকে, কংগ্রেস ছাড়াও ইন্ডিয়া জোটে (Opposition Alliance) রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, আম আদমি পার্টি, জনতা দল (ইউনাইটেড), রাষ্ট্রীয় জনতা দল, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (শরদ পাওয়ার), শিবসেনা (ইউবিটি), সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় লোক দল, আপনা দল (কামেরাওয়াড়ি), জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপল ডেমোক্রেটিক পার্টি, সিপিআই, সিপিএম-এল লিবারেশন, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, এমডিএমকে, ভিসিকে, কেএমডিকে, এমএমকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, কেরল কংগ্রেস (এম) এবং কেরল কংগ্রেস (জোসেফ)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “নিজেদের কর্মীদেরও মরার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন বাম-কংগ্রেস নেতারা”, বিস্ফোরক মোদি   

    PM Modi: “নিজেদের কর্মীদেরও মরার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন বাম-কংগ্রেস নেতারা”, বিস্ফোরক মোদি   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় নিজেদের কর্মীরা মার খেলেও, বেঙ্গালুরু বৈঠকে হাজির হওয়া বাম-কংগ্রেস নেতারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে পোর্ট ব্লেয়ারের বীর সাভারকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নয়া একটি ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানে ভাষণও দেন তিনি। সেখানেই আক্রমণ শানান বাম এবং কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী জোটে শামিল হওয়া দলগুলিকে।

    ঠিক কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। সেখানে প্রকাশ্যে হিংসা হয়েছে, লাগাতার খুনখারাপি হচ্ছে। এ নিয়ে এঁদের মুখ বন্ধ। কংগ্রেস ও বাম কর্মীরা ওখানে নিজেদের কী করে বাঁচাবেন, ভাবছেন। কিন্তু তাঁদের নেতারা ব্যক্তিগত স্বার্থে নিজেদের কর্মীদেরও মরার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন।”  

    ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    বিজেপি বিরোধী দলগুলির জোটের উদ্যোগকে কটাক্ষ করে ট্যুইট-বাণ হেনেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি লিখেছেন, “বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি!!! কর্মীরা খাবে পেটো, গুলি, রড-লাঠি; আর নেতাদের বরাদ্দ মুচমুচে ফিশ ফ্রাই? কী রাজনীতি রে ভাই!” সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁদের কর্মীদের দিকে দেখেন না বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।

    বছর ঘুরলেই লোকসভা (PM Modi) নির্বাচন। এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে একজোট হতে চাইছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। সেই কারণে বেঙ্গালুরুর হোটেলে আজ, মঙ্গলবার হাজির হয়েছেন কংগ্রেস সহ ২৬টি দলের নেতানেত্রী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারের লালুপ্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার, মহারাষ্ট্রের শারদ পাওয়ারের মতো হেভিওয়েট নেতারা। মহাজোটের বন্ধন শক্তপোক্ত করতে সোমবার নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল ওই হোটেলে। সেদিন উপস্থিত ছিলেন না এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। অবশ্য মঙ্গলবার সাত সকালেই হাজির হয়ে যান তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি’, গোটা জেলায় ফের ভোট চেয়ে আদালতে বিজেপি সাংসদ

    মঙ্গলবারের বৈঠকের সঞ্চালক ছিলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের পরেই ভাষণ দিতে তিনি আমন্ত্রণ জানান মমতাকে। বক্তৃতার শুরুতে খাড়্গে সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। তবে আশ্চর্যজনকভাবে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির নামই নেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে রাহুলকে তিনি প্রিয় রাহুল গান্ধী বলে সম্বোধন করেন। আবার (PM Modi) ভাষণ দিতে উঠে রাহুল মমতার নাম নিলেও, উচ্চারণ করেননি আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়ালের নাম।

    জোটের অন্দরে বইছে মতানৈক্যের চোরাস্রোত!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Panchayat Election 2023: বয়কট সত্ত্বেও ৯৫ শতাংশ ব্যালট পড়ল কীভাবে? তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: বয়কট সত্ত্বেও ৯৫ শতাংশ ব্যালট পড়ল কীভাবে? তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হাতিয়ারা-জ্যাংড়ার ২ নম্বর বুথ। বিক্ষিপ্ত অশান্তির জেরে ভোট বয়কট করেছিলেন ভোটাররা! অথচ সেই বুথে ভোটের হার ৯৫ শতাংশ। ভোটারদের একাংশের বয়কটের পরেও ভোটের হার এত বেশি কী করে? মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং আইজিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এ নিয়ে রাজারহাটের বিডিওকে তলব করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    আদালতের নির্দেশ

    রাজারহাটের হাতিয়ারা-জ্যাংড়ার ২ নম্বর পঞ্চায়েতের আব্দুল কালাম কলেজে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, বাসিন্দাদের ভোট দিতেই দেওয়া হয়নি। ভোট দিতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। রীতিমতো হুমকি দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। তারপরই স্থানীয়রা ভোট বয়কট করেন। ১ জুলাই ভোটের ফলপ্রকাশের দিন দেখা গেল, ওই বুথেই ভোট পড়েছে ৯৫ শতাংশ। যে বুথে ভোটাররা ভোটই দেননি, সেই বুথে এত ভোট পড়ল কীভাবে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি জানিয়েছেন, এক জন পুলিশ আধিকারিককে নিয়োগ করে ঘটনার অনুসন্ধান করবেন ডিজি এবং আইজি। আগামী ৩ অগাস্ট রাজ্যের ডিজি এবং আইজিকে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    ব্যালট পেপার ‘অদল-বদল’

    দুটি বুথে ব্যালট পেপার ‘অদল-বদল’করা হল। গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির ২ বুথের ২ ব্যালট পেপার বদলে যায়। আরামবাগ মলয়পুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্যালট পেপার নিয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ বাসিন্দাদের। এক আসনের ব্যালট অন্য আসনে দিয়ে ভোট হয়। অন্য প্রার্থীর নামের ব্যালটে ভোটে জয়ী হন আর একজন  প্রার্থী। এই কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আরামবাগ বিডিও-র রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি। ২৫ জুলাই মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia Repoll: ‘স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি’, গোটা জেলায় ফের ভোট চেয়ে আদালতে বিজেপি সাংসদ

    Purulia Repoll: ‘স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি’, গোটা জেলায় ফের ভোট চেয়ে আদালতে বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি পুরুলিয়ায়।’ এই মর্মে অভিযোগ জানিয়ে তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন পুরুলিয়ার (Purulia Repoll) বিজেপি (BJP) সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। নিরপেক্ষ তদন্তকারী কোনও সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে। ২০ জুলাই ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। আইনজীবী ব্রজেশ ঝা জানান, আদালতের কাছে পুরো জেলায় নতুন করে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার আবেদন জানানো হয়েছে। একাধিক ব্লকে আনসিলড ব্যালট বাক্স গণনা হয়েছে। কাউন্টিং হলে কারচুপি হয়েছে। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে মামলা করা হয়েছে।

    ২০ বুথে ফের ভোট

    এদিকে, হাওড়ার সাঁকরাইলের ১৫টি, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার ৪টি এবং হুগলির সিঙ্গুরের একটি বুথে ফের নির্বাচন হবে। এই মর্মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। কমিশন জানিয়েছে, সাঁকরাইলের মাণিকপুর ও সারেঙ্গার ১৫টি বুথে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার ছিনতাই করা হয়। তাই ওই বুথগুলিতে ভোট গণনার কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি। প্রসঙ্গত, সাঁকরাইলে বিধায়ক তৃণমূলের প্রিয়া পালের বিরুদ্ধে ব্যালট পেপার লুঠের অভিযোগ উঠেছিল।

    পুনর্নির্বাচনের দাবি

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলার একাধিক বুথে ব্যালট বাক্স লুট, অবাধে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের দাবিও জানানো হয়েছে। তবে গোটা জেলায় (Purulia Repoll) পুনর্নির্বাচনের দাবি এই প্রথম। নির্বাচনের দিনই নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন জ্যোতির্ময়। পুরুলিয়ার বুথগুলিতে দেখা মেলেনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর। তিনি নিজে ভোট দেন ঝালদা থানার পুস্তি হাইস্কুলের ১০৩ নম্বর বুথে। তার পরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায়। জোতির্ময় বলেন, “নির্বাচনের দিন থেকে ভোট গণনা, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটাই হয়েছে লোক ঠকানো। ফলে মানুষের প্রকৃত রায় সামনে আসেনি। তাই পুনর্নির্বাচনের আবেদন।”

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলা, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    কমিশন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়ার (Purulia Repoll) ২০টি পঞ্চায়েত সমিতির সবকটি দখল করেছে তৃণমূল। জেলা পরিষদও তাদের দখলে। ৪৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৪২টি, বিজেপি ২টি। একটিতে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী। ১৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১২৩টি, বিজেপি জিতেছে ১১টিতে। এদিকে, মালদহের গাজোল গণনা কেন্দ্র থেকে উদ্ধার হল সিল করা ৩টি ব্যালট বাক্স। এই বাক্সগুলির খোঁজ না মেলায় সালাইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের জীবনপুর গ্রামের ৮৩ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন হয়েছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিচারপতি সেনগুপ্তের পর এবার বিরক্তি প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতিও, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: বিচারপতি সেনগুপ্তের পর এবার বিরক্তি প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতিও, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক হিংসা সংক্রান্ত মামলার পাহাড় জমেছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সোমবার এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এবার একই কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেলন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম স্বয়ং। তিনি বলেন, “গত দেড় মাস ধরে গাদা গাদা পঞ্চায়েত মামলা দায়ের হচ্ছে। পঞ্চায়েত মামলা শুনতে গিয়ে অন্য কোনও মামলা শোনা হচ্ছে না। আর মানুষ ভাবছে আমরা কাজ করছি না।”

    একের পর এক মামলা

    ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকে একের পর এক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের মধ্যে যেমন রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তেমনি রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। কখনও নির্বাচনের দফা বৃদ্ধি, কখনওবা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, কখনও আবার নির্বাচনে শাসক দলের অবাধ ছাপ্পার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন এঁরা। সুবিচারের আশায় দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। এই সব মামলার বেশ কতকগুলির শুনানি হয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। নির্বাচন হয়েছে ৮ জুলাই। তার পর থেকে এখনও চলছে মামলা। ভোট হিংসার বিচার চেয়ে প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে নতুন নতুন মামলা। এ নিয়েই মঙ্গলবার উষ্মা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

    উষ্মা প্রকাশ প্রধান বিচারপতিরও

    এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান কয়েক জন আইনজীবী। তখনই উষ্মা প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “পঞ্চায়েত মামলার ভিড়েই চাপা পড়ে যাচ্ছে অন্য সব মামলা।” সোমবার প্রায় একই রকম সুর শোনা গিয়েছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের গলায়ও। তিনিও বলেছিলেন, “সারা দিন কি শুধুই রাজনৈতিক মামলা শুনব? অন্য মামলা কি আর শোনা যাবে না!”

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    এদিন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “আইনজীবীদের আবেদন মতো সময়ে শুনানি করা সম্ভব নয়। ওই মামলাগুলির জন্য নির্ধারিত দিনেই পঞ্চায়েত মামলার শুনানি হবে।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এত মামলা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আদালতকে ব্যবহার করে অনেকেই সস্তা প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকেই আদালতকে ব্যবহার করে সংবাদ শিরোনামে আসতে চাইছেন। দয়া করে এই কাজ করবেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।  তদন্ত করে ছয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় প্রকল্পের নামে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। 

    অনিয়মের অভিযোগ

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ক্ষেত্রে রাজ্যে বেনিয়ম হয়েছে বলে বিরোধীরা একাধিকবার অভিযোগ তুলেছিল। অভিযোগের জেরেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে টিম পাঠিয়ে ছিল। রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ক্ষেত্রে রাজ্যে বেনিয়ম হয়েছে বলে স্বীকার করেছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকও ৷ জানানো হয়েছিল দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র ৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) দুর্নীতির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। 

    আরও পড়ুন: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আদালতের নির্দেশ

    এদিনের শুনানিতে মামলাকারীর তরফে সওয়াল করা হয়, ন্যায্য ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। অথচ যাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় আসছেনই না, তাঁদের নামে টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এক ব্যক্তির বহু অ্যাকাউন্টে টাকা যাচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, অথচ টাকা পৌঁছয়নি। আবার অন্য এলাকার লোকের নামে বাড়ি বরাদ্দ হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, জেলায় আবাস যোজনার প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাতে বিস্তর গরমিল রয়েছে। আরও অভিযোগ, ন্যায্য প্রাপকদের বঞ্চিত করে বেআইনিভাবে একাধিক ব্যক্তির নাম তালিকায় তোলা হয়েছে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ করে ট্যুইট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বেঙ্গালুরুতে ২৬টি বিরোধী দলের বৈঠককে কটাক্ষ করে এদিন ট্যুইট করলেন শুভেন্দু। সদ্য শেষ হয়েছে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাতে সন্ত্রাস হয়েছে বলে বিস্তর অভিযোগ সব বিরোধী দলের। সেখানে কংগ্রেস–সিপিএম ওই বৈঠকে তৃণমূলের সঙ্গে একসারিতে আসায় বাম-কংগ্রেসের ওপর তলার নেতাদের  কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু। ২০২৪ লোকসভা ভোটে বিজেপিকে পরবর্তী দফায় ঠেকাতে একজোট হচ্ছে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস-এনসিপি-আপ-সমাজবাদী পার্টি সহ ২৬টি দল। পাটনার প্রথম বৈঠকের পর আজ বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় মেগা বৈঠক বিরোধী জোটের। তাকেই কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    বিরোধীদের খোঁচা

    শুভেন্দু এদিন বিরোধী বৈঠক প্রসঙ্গে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘কর্মীরা খাবে পেটো, গুলি, রড-লাঠি; আর নেতাদের বরাদ্দ মুচমুচে ফিশ ফ্রাই ? কী রাজনীতি রে ভাই ! পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলার শাসকদলের তাণ্ডব আটকাতে প্রাণ দিয়েছেন দলীয় কর্মীরা। তাঁদের মৃতদেহকে উপেক্ষা করছে এই সুবিধাবাদী জোট। বহু আহত কর্মী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে কী যুক্তি দেবেন নেতারা ? সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের (CPM and Congress Worker) প্রতি আমার করুণা হচ্ছে। নেতারাই তাঁদের পিঠে ছুরি মারলেন।’

    বিরোধী জোট নিয়ে গতকাল ট্যুইটে তোপ দাগতে ছাড়েননি  বাংলায় বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক  অমিত মালব্য (Amit Malviya)। তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে ৫০-এর বেশি প্রাণহানি, তালিকায় কংগ্রেস কর্মীরাও। রাহুল গান্ধী কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হবেন? এত মৃত্যুর জন্য রাহুল কি অনুশোচনা করবেন, নাকি আত্মসমর্পণ করবেন? এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নিয়ে রাহুলের নীরবতা তাঁর কাপুরুষতা ও সুযোগ সন্ধানী রাজনীতির উদাহরণ’। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

  • Supreme Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলা, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    Supreme Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলা, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Rama Navami) শোভাযাত্রায় ব্যাপক হিংসা হয়েছিল এ রাজ্যে। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলাও। পরে আদালত অভিযোগের তদন্তভার দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।

    সুপ্রিম কোর্টে শুনানি

    সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতে হয় এই মামলার শুনানি। হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় অশান্তির ঘটনায় পাঁচটি এফআইআর দায়ের করেছিল এনআইএ। এদিন আদালত জানতে চায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় অশান্তির ঘটনা নিয়ে দায়ের হওয়া পাঁচটি এফআইআরের বিবরণ একই কিনা। ওই বিবরণ বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এনআইএকে। শুক্রবার সকালের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই রিপোর্ট জমা দেবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন শুনানিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীরা রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা জানান, রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা ছোড়া হলেও, বিস্ফোরক আইনে মামলা করেনি পুলিশ।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়েছিল এই মামলার। তখন আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তির ঘটনায় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। তার জের টেনে এদিন শুভেন্দুর আইনজীবীর প্রশ্ন, এরপরও কেন রাজ্য পুলিশ বিস্ফোরক আইনে কোনও মামলা রুজু করল না? তিনি (Supreme Court) বলেন, হিংসার ঘটনায় দোষীদের আড়াল করতেই বিস্ফোরক আইনে এফআইআর দায়ের করেনি রাজ্য পুলিশ। মামলাকারীদর বিজেপি নেতা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা ভুল। এঁদের মধ্যে সমাজকর্মী, আইনজীবীরাও রয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    হাইকোর্ট দেখেছে, একজন পুলিশ আধিকারিকই অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে ৫টি সিজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। ভিডিও ফুটেজে দুষ্কৃতীদের দেখা গিয়েছিল, তারপরেও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, সঠিক তদন্ত হয়নি। রামনবমীর মিছিলে নির্বিচারে পাথর, বোমা ছোড়া হয়েছে, তারপরেও বিস্ফোরক আইনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি। প্রসঙ্গত, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হাওড়া ও হুগলি। কোথাও শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। কোথাও আবার ট্রেন বন্ধ করে কার্যত তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share