Tag: bangla news

bangla news

  • Rampurhat: বগটুইয়ে শহিদ পরিবারের বাড়িতে ঢুকতে বাধা তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে! কেন?

    Rampurhat: বগটুইয়ে শহিদ পরিবারের বাড়িতে ঢুকতে বাধা তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বীরভূমের রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই গ্রামে শহিদদের প্রথম বর্ষপূর্তি। এদিন শহিদদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগেই জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বগটুইয়ে শহিদ পরিবারের বাড়ির সামনে শহিদ বেদি বানিয়েছে বিজেপি। পালটা শহিদ বেদি বানিয়েছে তৃণমূলও। এদিন বেলা ১টা নাগাদ বগটুইয়ে মিহিলাল শেখের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। দলে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু, আশিসবাবুকে দেখেই দরজা বন্ধ করে দেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য, আশিস ব্যানার্জিকে ভিতরে ঢুকতে দেব না। অনেক চেষ্টাতেও তাদের রাজি করাতে পারেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে, আশিসবাবুকে ছাড়াই বাড়িতে ঢোকেন তৃণমূল নেতারা।

    কী বললেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা? Rampurhat

    ২০২২ সালের ২১ মার্চ বীরভূম জেলার রামপুরহাটের (Rampurhat)  বগটুই গ্রামে ঘটানো হয়েছিল নৃশংস গণহত্যা। শহিদ পরিবারের অভিযোগ, আশিসবাবু বগটুইয়ে নিহতদের পরিবারগুলির কোনও খোঁজ রাখেননি। ঘটনার পর তাঁকে এলাকায় দেখা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে এলে তাঁর পিছন পিছন এসে মুখ দেখিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের দাবি, বগটুইকাণ্ডে নিহত ১০ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জনের ডেথ সার্টিফিকেট জারি করেছে প্রশাসন। বাকি ৭ জনের ডেথ সার্টিফিকেট এখনও হাতে পাননি পরিবারের সদস্যরা। যার ফলে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে পরিবার বঞ্চিত হচ্ছে। এখন ঘটা করে লোক দেখানো শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। কিন্তু, আক্রান্তদের পরিবার ও তাঁদের স্বজনরা যে সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ড এখনও ভুলতে পারেননি, ক্ষোভে ফুঁসছেন, সেই আভাস পাওয়া গিয়েছে বগটুই কাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী মিহিলাল শেখের পরিবারের কথাতেই। ওই পরিবারের বক্তব্য, “আজ গ্রামে শহিদ দিবস পালন করা হচ্ছে। কিন্তু, এই শহিদ দিবসে যেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে না দেখা যায়, উনি যেন না আসেন। তিনি এলে গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ করবে। তাঁকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না।”

    বগটুইয়ে শহিদ পরিবারে বাধা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? Rampurhat

    শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “একথা আপনারা শুনেছেন। আমি তো শুনিনি। বাধা দেওয়ার কথা কে বলেছে, তাঁকে আমার সামনে নিয়ে আসুন। আর কিছু জানতে চাইলে হত্যাকাণ্ডের আরেক আক্রান্ত ফটিক শেখের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তার পরিবার আমাকে নিয়ে কি কথা বলছে সেটাও শুনে নিন। তাঁদের বাড়িতে জল নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল একবার। তাঁরা আমার কাছে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আমি নিজ উদ্যোগে সেই সমস্যার সমাধান করেছি।” কিন্তু, বেশ কয়েক মাস ধরে কেন আশিসবাবুকে বগটুইয়ের আশেপাশে দেখা যায়নি, এই প্রশ্ন করা হলে এর দায় তিনি মিডিয়া ও বিরোধীদের ওপরে চাপান। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চলছে। তাই, আমি এলাকায় আসিনি। কারণ,  মিডিয়া ও বিরোধী দলগুলি আমার নামে কুৎসা করার সুযোগ পেত, আর বলত যে আমি উপস্থিত থেকে সিবিআই তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছি।”

    বেদী তৈরি ও তাতে শ্রদ্ধা জানানোকে ঘিরে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই বগটুইয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়ছিল চড়চড় করে। এদিন শহিদ পরিবারের তৃণমূল বিধায়ককে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মণীশের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি, কোথায় জানেন?

    Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মণীশের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)  হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির বিপুল পরিমাণ জমির হদিশ পেল ইডি। এর আগে তাঁর ৮২৫ কাঠা জমির হদিশ মিলেছিল। এবার আরও সম্পত্তির খোঁজ মিলল। ইডি সূত্রে খবর, বোলপুর লাগোয়া রূপপুর এলাকায় একটি বড়সড় সম্পত্তি রয়েছে মণীশের। তৃণমূল সূত্রে খবর, ২০১৩-১৪ থেকে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রতের (Anubrata Mondal)   ‘ঘনিষ্ঠ’ হয়ে ওঠেন বোলপুরের চৌরাস্তার বাসিন্দা মণীশ। এর পরই তাঁর সম্পত্তি বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ। এমনই একটি সম্পত্তি রয়েছে রূপপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, রূপপুর গ্রামে মণীশের ৩০-৩৫ বিঘা জমি কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা রয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি ঘরও রয়েছে। একটি রিসর্ট তৈরির পরিকল্পনা ছিল বলে জানান এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ‘আমরা অনেকের মুখেই শুনেছি, এই জমি মণীশ কোঠারির। কয়েক মাস আগেও কাজ হচ্ছিল। হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।’ মণীশ কোঠারি তদন্তকারীদের আরও জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)   নির্দেশেই বিভিন্ন জায়গায় টাকা আমানত করেছেন তিনি। মণীশ আরও জানিয়েছেন, কোথায়, কার অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা হবে, সেই নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলই (Anubrata Mondal)  ।

    বোলপুর চেয়ারপার্সনের নাম মণীশের মুখে, কেন? Anubrata Mondal

     ইডির দাবি, জেরায় মণীশ নাম নিয়েছেন বোলপুরের পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ ও তাঁর স্বামী তথা তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষেরও। ইডি সূত্রে খবর, মণীশ জেরায় বলেছেন যে ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে পর্ণা ও সুদীপ্ত অনেক জমি কিনেছেন। বোলপুর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রেও খবর, ওই সময়ে ইলামবাজারের গোপালনগর মৌজায় পর্ণার নামে প্রায় ৬৮০ কাঠা জমি কেনা হয়েছিল। সেই জমির বর্তমান বাজার মূল্য ১৫ কোটিরও বেশি। এই বিষয়ে পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ বলেন, “আমার স্বামী চাকরি করেন। আমিও একটি স্কুলের সঙ্গীত শিক্ষিকা হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছি। ২০১৫ সাল থেকে আমি কাউন্সিলর। চেয়ারপার্সন হিসেবে মাইনে পাই। এই সমস্ত কিছু যোগ করেও আমাদের যা সম্পত্তি আছে, তা ১৫ কোটি হবে না। এ বিষয়ে যদি তদন্তকারীরা আমাদের ডাকেন, নিশ্চয়ই সমস্ত কাগজপত্র দেখিয়ে আসব”।

    বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার নিয়ে কী বলছে বিরোধীরা? Anubrata Mondal

    এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে শাসকদলকে আক্রমণ করতে দেরি করেনি গেরুয়া শিবির। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, “সঠিক তদন্ত হলে ওঁদের নামে আরও অনেক কিছু বেরোবে”। সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “তদন্ত যত এগোবে, ততই এঁদের দুর্নীতির বহর মানুষ বুঝতে পারবেন”।

    সোমবার রাউস অ্যাভেনিউ আদালতে তোলা হলে তাঁকে তিহাড় জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতের নির্দেশের পর একান্তে স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁর স্ত্রীকে। তবে এদিন ইডি মনীশকে আর তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি করেনি। তবে, জামিন পেলে অনুব্রতর (Anubrata Mondal)   হিসাবরক্ষক তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে বলে আদালতে জানান ইডির আইনজীবী। অন্যদিকে, মনীশের জামিন চেয়ে আদালতে আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর মনীশকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর চাপে জলের দরে নিজের সম্পত্তি সুকন্যাকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন! ইডিকে মণীশ

    Anubrata Mondal: কেষ্টর চাপে জলের দরে নিজের সম্পত্তি সুকন্যাকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন! ইডিকে মণীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তাঁর হিসাবরক্ষক ছিলেন মণীশ কোঠারি। তাঁর উপর একরকম জোর করেই জলের দরে মেয়ে সুকন্যাকে বিপুল টাকার সম্পত্তি হস্তান্তর করতে বাধ্য করেছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। এমনটাই জানা গিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে। সুকন্যার নামে থাকা এএনএম অ্যাগ্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড নামে সংস্থাটি ছিল আদতে মণীশের। তিনি ছাড়াও আরও ১৬ জন ছিলেন ওই সংস্থার অংশীদার। ইডির দাবি, মণীশ তাঁদের জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে এই সংস্থাটি সুকন্যার নামে হস্তান্তর করতে মণীশকে বাধ্য করেছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তদন্তকারীদের মণীশ জানিয়েছেন, মাত্র ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ওই সংস্থাটি সুকন্যার নামে বিক্রি করে দেন তিনি। সেই সময় ওই সংস্থার মূল্য ১৫ কোটি টাকা বলেও ইডিকে জানিয়েছেন মণীশ। তাঁর আমলে কেনা ওই সংস্থার সমস্ত সম্পত্তিও কেষ্ট কন্যাকে হস্তান্তর করতে হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে মণীশের মাধ্যমেই নীর ডেভলপার প্রাইভেট লিমিটেড নামে আরও একটি কোম্পানি  চালু করেন সুকন্যা। জেরার মুখে এমনটাই জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি।  কয়েকদিন আগেই অনুব্রতের হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তিনি এবার অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের আয়ের উৎস সম্পর্কে একের পর এক তথ্য দিচ্ছেন ইডিকে।

    অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যার ফিক্সড ডিপোজিটের টাকার উৎস কী

    অনুব্রতের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান আগেই পেয়েছে ইডি। সেই এফডি যে গরু পাচারের টাকাতেই হয়েছে তা মণীশ কোঠারি জানিয়েছেন ইডিকে। এবার সুকন্যার আরও ১০ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান পেল ইডি। বোলপুরের ব্যাঙ্ক অব বরোদা-য় সুকন্যা মণ্ডলের নামে ১১টি ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। ওইসব ফিক্সড ডিপোজিটের মোট মূল্য ৫ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। এছাড়াও সল্টলেক এসবিআইয়ের এক শাখায় রয়েছে ৫টি ফিক্সড ডিপোজিট। এর মূল্য ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৬৪ টাকা। ওইসব ফিক্সড ডিপোজিট খোলা হয়েছে ২ বছরের মধ্যে। সময়টা ২০১৯ সালে মার্চ থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে।  সূত্রের খবর, অনুব্রতের সিএ মণীশ কোঠারিকে জেরা করেই ওইসব তথ্য মিলেছে। মণীশ জানিয়েছেন গোরু পাচারের টাকাতেই ওইসব ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: খোদ কলকাতায় শীতলা মায়ের জাগরণে আক্রান্ত হিন্দুরা! তীব্র নিন্দা শুভেন্দুর, সরব নেটিজেনরাও

    Suvendu Adhikari: খোদ কলকাতায় শীতলা মায়ের জাগরণে আক্রান্ত হিন্দুরা! তীব্র নিন্দা শুভেন্দুর, সরব নেটিজেনরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোদ কলকাতা শহরের প্রাণকেন্দ্রে মা শীতলার জাগরণে হিন্দুরা আক্রান্ত হলেন বলে অভিযোগ উঠল। এই নিয়ে সমাজমাধ্যমে হামলার ভিডিও প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    জানা গিয়েছে, শহরের প্রাণকেন্দ্র কলেজ স্ট্রিট বাটার কাছে একটি শীতলা মায়ের জাগরণ অনুষ্ঠান চলছিল। অভিযোগ, সেখানে দল বেঁধে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। আক্রান্তদের দাবি, হামলাকারীরা মুসলিম সম্প্রদায়ের। অভিযোগ, দল বেঁধে তারা এসে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হিন্দুদের উপর মারধর করে বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়াতে ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মোবাইলে তোলা সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চারিদিকে লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। ভাঙা চেয়ার, ছেঁড়া জুতো রাস্তায় পড়ে রয়েছে। লোকজনের চিত্কার শোনা যাচ্ছে। কয়েকজনকে এলোপাথাড়ি পাথর ছুড়তে দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই হামলার ঘটনা নিয়ে একজন বলছেন, যেটা হচ্ছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না। মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। মোবাইলে তোলা সেই ছবি দেখলে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের স্মৃতি উসকে দেবে। খোদ কলকাতার বুকে এই ধরনের ঘটনায় শিউরে উঠেছেন নেটিজেনরা। 

    হামলার ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) কী টুইট করেছেন

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই হামলা চালানোর ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন। ভিডিওটি নিজের টুইটার হ্যাণ্ডল থেকে শেয়ার করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি লেখেন, ‘এই হচ্ছে আমার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা। এই হল সেন্ট্রাল কলকাতার মতো জায়গার আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি। জাগরণ মঞ্চের উপর হামলা চালানো হল। কারা হামলা চালিয়েছে এবং কী কারণে চালিয়েছে তা ভিডিওটি দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। কলকাতার প্রাণকেন্দ্রেই চালানো হল এই আক্রমণ। কলকাতার নগরপালকে অনুরোধ করবো তিনি যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেন।’

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) শেয়ার করা ভিডিওতে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, ‘মিনি পাকিস্তান তো হয়েই গেছে। এইবার বড় পাকিস্তান হয়ে যাবে। উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনাতে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। এইবার আবার আমাদের উদ্বাস্তু হয়ে আসাম, ওড়িশাতে চলে যেতে হবে।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘পশ্চিমবাংলায় জঙ্গলের রাজত্ব চালাচ্ছে টিএমসি এবং এর সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারি হচ্ছে অসৎ গুন্ডা বদমাইশ। অতএব এখানে ওই দলের কাছে ভালো কিছু আশা করা বাতুলতা মাত্র।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                     

  • Development: উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েতকে একী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    Development: উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েতকে একী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এলাকায় শ্মশান এবং শবযাত্রী প্রতীক্ষালয়ের জন্য ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছেন বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। কিন্তু, তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের টালবাহানার জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও উন্নয়ন (Development) হয়নি। পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর ব্লকের  মন্তেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের  লোহার গ্রামে এসে উন্নয়ন (Development) নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ তুললেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, এত বড় গ্রাম। কিন্তু, এখনও এখানে শ্মশান গড়ে ওঠেনি। অস্থায়ী শ্মশান যাওয়ার যে রাস্তা রয়েছে তা অত্যন্ত বেহাল। অথচ শ্মশান তৈরির জন্য আমি অর্থ বরাদ্দ করেছি। কিন্তু, গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দেওয়ার কারণে এখনও এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। বিজেপি সাংসদ লোহার গ্রামে প্রস্তাবিত শ্মশানের জায়গা ঘুরে দেখেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে তিনি কথা বলেন। গ্রামে যাওয়ার যে রাস্তা রয়েছে তা অত্যন্ত খারাপ। বেহাল রাস্তা নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,চতুর্দশ অর্থ কমিশনের পর্যাপ্ত টাকা আসছে। কিন্তু, সেভাবে উন্নয়ন (Development)  চোখে পড়ছে না। আসলে এই এলাকার উন্নয়ন (Development)  নিয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সেভাবে নজর দিচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

    বিজেপি সাংসদের অভিযোগ নিয়ে কী বললেন পঞ্চায়েতের উপ প্রধান? Development

    মন্তেশ্বর পঞ্চায়েতে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় শ্মশান সংস্কারের টাকা বিজেপি সাংসদ দিয়েছে বলে তৃণমূল পঞ্চায়েত কাজ করতে ঢিলেমি করছে। যদিও এই  অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন লোহার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বছরে দুই একবার পরিযায়ী পাখির মত  দশ মিনিটের জন্য সাংসদ এলাকায় আসেন। তাই এলাকার উন্নয়ন ওনার চোখে পড়ে না। মন্তেশ্বর, লোহার এবং সাহাপুর গ্রামের শ্মশানের জায়গার কাগজপত্র মাসখানেক আগেই জমা করা হয়েছে। আর লোহার গ্রামে শ্মশান নয়, প্রতীক্ষালয়ের জন্য তিনি টাকা বরাদ্দ করেছেন। শ্মশানের জন্য তিনি অন্য এলাকায় টাকা দিয়েছেন। আসলে তিনি কোথায় এসেছেন তা তিনি জানেন না। আর বেহাল রাস্তার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মাঠে যাওয়ার রাস্তা। গ্রামের রাস্তা নয়। এলাকার রাস্তা করার পর ওই রাস্তা করে দেওয়া হবে।

    পরে, মেমারি ২ ব্লকের ঝিকরা গ্রামে পরিদর্শনে যান বিজেপি সাংসদ। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ঝিকরা গ্রামে কবরস্থান সংস্কার ও সীমানা পাঁচিল তৈরির জন্য এলাকাবাসী আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে জায়গা পরিদর্শনে এসেছিলাম। প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jitendra Tiwari: জিতেন্দ্র তিওয়ারির গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, জামিনে মুক্তি পাবেন কি?

    Jitendra Tiwari: জিতেন্দ্র তিওয়ারির গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, জামিনে মুক্তি পাবেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি (BJP) নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) গ্রেফতারির ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কম্বলকাণ্ডে আগাম জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই বিজেপি নেতা। ওই মামলার শুনানির আগেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত জিতেন্দ্রর গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর জামিনে মুক্তি পাবেন জিতেন্দ্র। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় জিতেন্দ্রর মামলার। আদালতের নির্দেশ, আগামী দু সপ্তাহের জন্য জিতেন্দ্রর গ্রেফতারির ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ থাকবে। দু সপ্তাহ পর এই মামলার শুনানি হবে। ওই দিন মামলার সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) কী বলেছিলেন… 

    রবিবার জিতেন্দ্রকে (Jitendra Tiwari) তোলা হয়েছিল আসানসোলের বিশেষ আদালতে।এদিন আদালতে নিজেই সওয়াল করেন জিতেন্দ্র। বলেন, সুপ্রিম কোর্টে সোমবার এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেজন্য পুলিশ হেফাজত দিন। কিন্তু দু দিনের জন্য দিন। তার পরে সুপ্রিম কোর্টের রায় যা হবে, তা দেখে প্রয়োজন হলে আরও ১২ দিন পুলিশ হেফাজত দিয়ে দেবেন। কিন্তু আজ দু দিনের পুলিশ হেফাজত দিন। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক জিতেন্দ্রকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    প্রসঙ্গত, আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিতেন্দ্রর (Jitendra Tiwari) স্ত্রী চৈতালি। বিজেপির এই নেত্রীর উদ্যোগে ১৪ ডিসেম্বর হয় কম্বল বিলি অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। শুভেন্দু অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যাওয়ার পরেই হুড়োহুড়ি শুরু হয় কম্বল নেওয়ার জন্য। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। পুলিশ জানিয়ে দেয়, ওই অনুষ্ঠানের জন্য তাদের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। জিতেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    জিতেন্দ্রর (Jitendra Tiwari) বিরুদ্ধে অনচ্ছাকৃত খুন, অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা ও যৌথভাবে কোনও ঘটনা সংগঠিত করার মামলা রুজু করে পুলিশ। শনিবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর ও আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে নয়ডার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গ্রেফতার করে জিতেন্দ্রকে। পরে তাঁকে আসানসোল নিয়ে যায় পুলিশ। জিতেন্দ্রর আইনজীবী হর্ষিকা বর্মা বলেন, মূল মামলায় রাজ্যকে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রথম মামলাকারী জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও দ্বিতীয় মামলাকারী গৌরব গুপ্তকে জামিন দেওয়া হয়েছে। দু সপ্তাহ পরে ফের মামলাটির শুনানি রয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train: ডিজেল ইঞ্জিন নয়, ইলেকট্রিক ট্রেনে এবার চড়বেন বালুরঘাটবাসী, কবে থেকে জানেন?

    Train: ডিজেল ইঞ্জিন নয়, ইলেকট্রিক ট্রেনে এবার চড়বেন বালুরঘাটবাসী, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। এবার থেকে ইলেকট্রিক ট্রেনে (Train) চড়বে বালুরঘাটবাসী। বালুরঘাট স্টেশন থেকে ডিজেল ইঞ্জিনের ট্রেন (Train) আর ছুটবে না। ইতিমধ্যেই বৈদ্যুতিকরণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। বালুরঘাট সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্টেশনে উন্নয়নমূলক কাজের অবস্থা পরিদর্শন করেন উত্তর পূর্ব রেলের কাঠিহার ডিভিশনের ডিআরএম শুভেন্দু কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, এই মাসেই বৈদ্যুতিকরণের কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু, সেই কাজ এখনও হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি, তাড়াতাড়ি সেই কাজ শেষ করার। আশা করছি, আগামী এপ্রিলের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। এখন দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। এপ্রিল মাস থেকেই ডিজেল ইঞ্জিনের পরিবর্তে ইলেকট্রিক ট্রেন (Train)  চলবে। এদিকে মার্চের মধ্যেই বালুরঘাট স্টেশনে পিট লাইনের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ধীর গতিতে কাজ হওয়ায় ডিআরএম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন।

     হিলি- বালুরঘাট রেল প্রকল্পের কী অবস্থা? Train

    জমি অধিগ্রহণে দেরি হওয়ার জন্য এই রেল প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। জেলার পূর্ত দপ্তরের ঢিলেমিকেই দায়ী করেছে রেল মন্ত্রক। এই বিষয়ে ডিআরএম বলেন, জমি অধিগ্রহণ এখনও শেষ হয়নি। আমরা জমি অধিগ্রহণ করার জন্য যে টাকা প্রয়োজন তা দিয়ে দিয়েছি। জমি অধিগ্রহণ হলেই কাজ শুরু হবে। হিলি-বালুরঘাট রেল প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার আনন্দ প্রকাশ বলেন, জমি অধিগ্রহণের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। তবে, জমির মধ্যে থাকা ঘর, বাড়ির ভ্যালুয়েশন এখনও জেলার পূর্ত দপ্তর করেনি। ওই কাজে তারা দেরি করছে। এনিয়ে আমরা জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। মে মাসের মধ্যেই ওই জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হবে। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, জমি অধিগ্রহণের কাজ সঠিকভাবেই চলছে। দেরি হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। অতি দ্রুত সেই কাজ শেষ করার  বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

    বালুরঘাট থেকে দূরপাল্লার ট্রেন চালুর জন্য স্টেশন চত্বরে পিট ও সিক লাইনের কাজ চলছে। কিন্তু, অভিযোগ ওই কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে হচ্ছে। যা নিয়ে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সামনেই বর্ষা, তাই ওই কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে না বলে আশঙ্কা আরও বাড়ছে। যদিও রেলের আধিকারিকরা দ্রুত কাজ শেষ হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। সময়মতো সেই কাজ হয় কি না সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বালুরঘাটবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: চিনে ব্যাপক জনপ্রিয় মোদি, কী নামে ডাকা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে, জানেন?

    PM Modi: চিনে ব্যাপক জনপ্রিয় মোদি, কী নামে ডাকা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিশ্বেই দারুণ জনপ্রিয়তা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। পড়শি দেশ চিনের (China) সঙ্গে ভারতের (India) শত্রুতা রয়েছে। তবে সেজন্য ড্রাগনের দেশে একটুও কমেনি মোদির জনপ্রিয়তা। আমেরিকার জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘দ্য ডিপ্লোম্যাটে’র প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। চিনে মোদিকে ডাকা হয় মোদি লাওক্সিয়ান নামে। বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় মোদি অমর (Modi the Immortal)। মোদির পোশাক, বাহ্যিক ভাবমূর্তিতে লাওক্সিয়ানের সঙ্গে সাযুজ্য খুঁজে পান চিনারা। তাঁরা এও দেখেছেন, মোদির কিছু কিছু নীতি ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধানদের চেয়ে অনেক আলাদা। রাশিয়া, আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ইদানিং গড়ে উঠেছে, সেটাও মোদির অন্যতম জনপ্রিয়তার কারণ বলে মনে করেন চিনারা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    মার্কিন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত মোদি সংক্রান্ত প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘হাউ ইন্ডিয়া ইজ ভিউড ইন চায়না?’ ( ‘ভারত সম্পর্কে চিনের কী মনোভাব?’)। চিনা সাংবাদিক মু চুনশান ওই প্রতিবেদনে লিখেছেন, চিনের সমাজমাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) সুন্দর একটি ডাকনাম রয়েছে। তা হল, মোদি লাওক্সিয়ান। লাওক্সিয়ান কথার অর্থ, এক প্রবীণ ব্যক্তি যিনি অমর। তাঁর বেশ কিছু অলৌকিক ক্ষমতাও রয়েছে। মোদিকে এই নাম দেওয়ার অর্থ, চিনের নেট নাগরিকরা মনে করেন, মোদি আর পাঁচজন রাষ্ট্রনেতার চেয়ে আলাদা। চিনের ওই সাংবাদিক বলেন, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক মিডিয়া রিপোর্ট নিয়ে কাজ করছি। চিনারা কোনও বিদেশি নেতৃত্বকে বিশেষ নামে ডাকছেন, এমনটা চট করে দেখা যায় না। এ থেকে বোঝা যায়, চিনা জনগণের কাছে মোদি নিজের ছাপ ফেলতে পেরেছেন।

    আরও পড়ুুন: গুরুদ্বারে অস্ত্র মজুত, রিহ্যাব সেন্টারের আড়ালে ‘খাডকু’ তৈরি করতেন অমৃতপাল?

    মোদি (PM Modi) জমানায়ই ঘটেছিল গলওয়ানের ঘটনা। ২০২০ সালে গলওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ভারতীয় সেনাদের ওপর হামলা চালায় চিনা জওয়ানরা। চিন ও ভারতের সেই সংঘর্ষে শহিদ হন ভারতের ২০ জন জওয়ান। মৃত্যু হয়েছিল ৪০ জন চিনা সেনারও। তবে সীমান্তের সেই তিক্ততা যে চিনা নাগরিকদের মনে বিশেষ ছাপ ফেলেনি, ড্রাগনের দেশে মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তাই তার প্রমাণ।

    প্রসঙ্গত, চিনে মোদির জনপ্রিয়তার আরও একটি কারণ হল ২০১৫ সালে সিনা উইবো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চিনা নাগরিকদের সঙ্গে কথোপকথন চালিয়েছিলেন মোদি। এর ফলোয়ার্স ছিল ২.৪৪ লক্ষ। ২০২০ সালে মোদি উইবো ছেড়ে দেন। কারণ ওই বছর ভারত সরকার ৫৯ চিনা অ্যাপকে এ দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sanitation: দুর্গাপুর পুরসভায় কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে কেন সাফাই কর্মীরা?

    Sanitation: দুর্গাপুর পুরসভায় কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে কেন সাফাই কর্মীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সাত সকালেই গোটা শহর ঝাঁ চকচকে করে রাখা তাঁদের কাজ। কিন্তু, তিন মাস ধরে পরিবার নিয়ে চরম অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছেন দুর্গাপুর পুরসভার ৪৫৮ জন সাফাই (Sanitation) কর্মী। জানুয়ারি মাস থেকেই তাঁদের বেতন হচ্ছে না। বকেয়া বেতনের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখান সাফাই কর্মীরা। যার জেরেই এদিন সকাল থেকেই শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডে কোনও সাফাই (Sanitation) হয়নি। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, জানুয়ারি থেকে বেতন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। বেতন না পাওয়ায় সংসার চালাতে চরম সমস্যা হচ্ছে। দোকানে কেউ ধার দিচ্ছে না। ছেলেমেয়েদের টিউশন ফি দিতে পারছি না। চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে আমরা সকলে দিন কাটাচ্ছি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে বকেয়া বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। বিষয়টি জানতে পেরে পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় সাফাই কর্মীদের দাবি বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে আমরা ওদের বকেয়া বেতন দেওয়ার চেষ্টা করব।

    সাফাই কর্মীদের বেতন পেতে সমস্যা হচ্ছে কেন? Sanitation

    দুর্গাপুর পুরসভার সাফাই কর্মীরা ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগ হন। ফলে, তাঁদের বেতনও দেন ঠিকাদাররা। এতদিন যে ঠিকাদার তাঁদের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি নিয়মিত বেতন দিতেন বলে সাফাই (Sanitation) কর্মীদের দাবি। এখন নতুন ঠিকাদার নিয়োগ হওয়ার পর থেকেই বেতন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সাফাই কর্মীদের বক্তব্য, সরকারি নিয়ম মেনে ঠিকাদার পরিবর্তন করা হয়েছে। তাতে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু, নতুন ঠিকাদার বার বার আমাদের কাছে বিভিন্ন কাগজপত্র চেয়ে হেনস্থা করছে। এমনিতেই আমাদের কোনও ছুটি নেই। এরপরও যদি আমাদের নিয়মিত বেতন না দেয় তাহলে আমরা কী করে কাজ করব?

    দুর্গাপুর পূর্বের বিজেপির বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন, জোর করে তৃণমূল সরকার এই পুরসভার নির্বাচন করছে না। প্রশাসক বোর্ড বসিয়ে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রেখেছে। সাফাই (Sanitation) কর্মীরা সামান্য বেতনে কাজ করেন। তাঁদের ন্যায্য বেতন তিনমাস ধরে আটকে রেখেছে। আমরা চাই, অবিলম্বে পুরভোট করা হোক। স্বচ্ছভাবে  ভোট হলে এই বোর্ড থাকবে না। সাফাই কর্মীরা নিজেদের ন্যায্য পাওনা থেকে আর বঞ্চিত হবেন না। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, সাফাই কর্মীদের বেতন না দেওয়া অন্যায়। এই বোর্ডের উদাসীনতার কারণে এসব হচ্ছে। অবিলম্বে পুরভোট করা দরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, গুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    Sukanta Majumdar: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, গুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে জোরদার আন্দোলনে নামেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের তরফে ওবিসি মোর্চার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ৬ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিজেপির ওবিসি মোর্চার কর্মসূচি পালিত হবে। এই কর্মসূচিতে মূলত কেন্দ্রের মোদি (PM Modi) সরকার ওবিসিদের জন্য কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা-ই প্রচার করা হবে ফলাও করে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েও বিশদে জানানো হবে জনতাকে। বিজেপির ওই ওবিসি মোর্চার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষরা। রবিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, যেহেতু বিজেপির কর্মসূচি, তাই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন বাধা দেবে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। সেই বাধা জয় করেই আমরা এই কর্মসূচি সফল করতে বদ্ধপরিকর।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    দলের ওবিসি মোর্চার এই কর্মসূচি ঘোষণার পাশাপাশি এদিন তৃণমূলকেও একহাত নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু ভোট ফেরাতে তৃণমূল নতুন উঠে আসা মুসলিম নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু যাঁরা দলটা তৈরি করেছিলেন, তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। সুকান্ত বলেন, সেই কারণে ফিরহাদ হাকিমদের পরিবর্তে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, মোশারফ হোসেনদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফিরহাদ হাকিমকে হাওড়া ও হুগলির দায়িত্ব ফিরিয়ে দিলেও, কোথাও একটা তার রাশ টানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, দলের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে তাঁকে (ফিরহাদ)। ভাইপোর অনুমতির পর গলার চাবি খুলতে পারবেন ফিরহাদ।

    আরও পড়ুুন: গুরুদ্বারে অস্ত্র মজুত, রিহ্যাব সেন্টারের আড়ালে ‘খাডকু’ তৈরি করতেন অমৃতপাল?

    বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের প্রচেষ্টাকে সোনার পাথরবাটি আখ্যা দেন সুকান্ত। সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। তার পরেই তৃতীয় ফ্রন্ট গঠন নিয়ে ফের শুরু হয় চর্চা। এদিন সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, সিপিএম ছাড়া তৃতীয় ফ্রন্ট হবে কী করে? প্রকাশ কারাত বা ইয়েচুরির সঙ্গে মমতা হাত ধরে আয় তবে সহচরী গাইতে পারবেন?  তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, ২০১৯ সালে ইউনাইটেড ফ্রন্ট গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন। তখন তো সবাই হাত ধরাধরি করেছিলেন। সবার মনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা ছিল। মনে হচ্ছিল, থার্ড ফ্রন্ট প্রতিমাসে একজন করে প্রধানমন্ত্রী দেবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদটি অলরেডি অকুপায়েড বাই পিএম মোদি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share